এই জীবনে কারো ক্ষতি করার নূন্যতম চিন্তা করিনি। আমাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যও তাই। অবশ্যই তাই। তা আত্মবিশ্বাসের সাথে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো। তবে নিজের অজান্তে কিংবা আবেগের প্রাবল্যের কারনে হয়তো ভুল করেছি কিন্তু ভুলগুলো খুব রকমের বড় আকারে বা নাক কাটার মতো অপরাধ হতে পারে না। আবেগের ভুল আবেগের মতোই ক্ষনস্থায়ী।
কারো সাথে মিশলে মন থেকে মেশা হয়েছে, কোনো প্রকার বৈষয়িক চিন্তাকে সামনে রেখে কখনোই সম্পর্ক নামক অভিধান রচনা করিনি। যার সাথেই থেকেছি, থাকি মন থেকে তার জন্য কল্যান কামনা করি , তাদের ভুল দেখলে সংশোধন করে দেয়ার চেষ্টা করি।
আমি অনেক ভাগ্যবান যে এই জীবনে যাদেরকে আমি পেয়েছি তাদের সঙ্গ পেয়ে আমি সুখবোধ করেছি, গর্ব দিয়েছি নিজেকে। আমার সাথে থেকেছে, থাকে কিন্তু আমার ক্ষতি কামনা করে এমন কেউ আছে বলে কল্পনাতেও আমি বিশ্বাস করতে পারি না। তবে আমার প্রিয় কোনো কোনো সঙ্গ আছে যারা আমার কিছু মানবীয় আচরন মেনে নিতে পারে না, পারে না বললে ভুল হবে-- আমার কাছ থেকে প্রত্যাশা করে না। সে আচরনকে আমি অবশ্যই চিনি কিন্তু ....।
নরসিংদী অল স্টার মেসে থাকতাম। আমাদের রুমে আমরা তিনজন। আমি শামীম, আর নীরব ভাই। তারা আমাকে খুব পছন্দ করতো, আমিও। আমরা যখন পড়তে বসতাম তখন ঘড়ি দেখা নিষিদ্ধ ছিল। নিয়মটা আমার পক্ষ থেকেই পাশ করা হয়েছিল যাতে অনেকক্ষন পড়তে পারি। নীরব ভাই ঘুমিয়ে যেতো আর আমি তার চোখে পানি দিয়ে দিতাম, সে আবার মনোযোগ দিয়ে পড়তে বসতো। আমাদের মাঝে চমৎকার বোঝাপড়া ছিল, বিশেষ করে আমার আর নীরব ভাইয়ের মধ্যে। নীরব ভাইকে নিয়ে একটি গল্পও লিখেছিলাম `` নীরব আলীর নীরব ঘুম ", ছাপা হয়েছিল মঈন ভাই সম্পাদিত কানামাছি পত্রিকায়। নীরব ভাইয়ের চোখেমুখে চমৎকার এক আশারোদ খেলা করতো।
মেস ছেড়ে দিয়ে একসময় বাড়ি চলে যাই। নিজকাজে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
কয়েকমাস পর স্মৃতির টানে ঐ মেসে আবার যাই। গিয়ে দেখি আমার রেখে আসা বেডে আরেকজন বিছানা পেতেছে। আমার বেডে বিছানাপাতা ছেলেটির সাথে খুব মনোযোগ সহকারে কথা বললাম, যেহেতু উপদেশ দেয়ার অভ্যাস আছে তাই মাশেল্লা উপদেশ দিতে কম দেইনি।
নীরব ভাই আসে, আমাকে দেখে সে কান্না শুরু করে দেয়। আমি রুম থেকে আসার পর সে একদিনও মানসিক শান্তিতে থাকতে পারেনি। তার একধরনের মানসিক রোগের জন্ম হয়ে যায়। অথচ আমি যখন ছিলাম ....!
আমি নিজেকে খুব সার্ফ এ্যাকসেল ধোঁয়া সাধু মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি না, শুধু বলতে যাচ্ছি আমি যাদের সাথে চলাফেরা করি তাদের জন্য আমার এমন অন্তরতম শুভকামনা থাকে যা তাদের মা বাবার পক্ষেই করা সম্ভব। ছোট্ট কাল থেকে শুনতে শুনতে বড় হয়েছি একটি আপ্তবাক্য, আর তা হলো মা বাবার মনে কষ্ট দেয় যে সন্তান সে কখনো শান্তিতে থাকতে পারে না। মা বা কখনোই সন্তানের অকল্যান কামনা করে না।
কারো সাথে মিশলে মন থেকে মেশা হয়েছে, কোনো প্রকার বৈষয়িক চিন্তাকে সামনে রেখে কখনোই সম্পর্ক নামক অভিধান রচনা করিনি। যার সাথেই থেকেছি, থাকি মন থেকে তার জন্য কল্যান কামনা করি , তাদের ভুল দেখলে সংশোধন করে দেয়ার চেষ্টা করি।
আমি অনেক ভাগ্যবান যে এই জীবনে যাদেরকে আমি পেয়েছি তাদের সঙ্গ পেয়ে আমি সুখবোধ করেছি, গর্ব দিয়েছি নিজেকে। আমার সাথে থেকেছে, থাকে কিন্তু আমার ক্ষতি কামনা করে এমন কেউ আছে বলে কল্পনাতেও আমি বিশ্বাস করতে পারি না। তবে আমার প্রিয় কোনো কোনো সঙ্গ আছে যারা আমার কিছু মানবীয় আচরন মেনে নিতে পারে না, পারে না বললে ভুল হবে-- আমার কাছ থেকে প্রত্যাশা করে না। সে আচরনকে আমি অবশ্যই চিনি কিন্তু ....।
নরসিংদী অল স্টার মেসে থাকতাম। আমাদের রুমে আমরা তিনজন। আমি শামীম, আর নীরব ভাই। তারা আমাকে খুব পছন্দ করতো, আমিও। আমরা যখন পড়তে বসতাম তখন ঘড়ি দেখা নিষিদ্ধ ছিল। নিয়মটা আমার পক্ষ থেকেই পাশ করা হয়েছিল যাতে অনেকক্ষন পড়তে পারি। নীরব ভাই ঘুমিয়ে যেতো আর আমি তার চোখে পানি দিয়ে দিতাম, সে আবার মনোযোগ দিয়ে পড়তে বসতো। আমাদের মাঝে চমৎকার বোঝাপড়া ছিল, বিশেষ করে আমার আর নীরব ভাইয়ের মধ্যে। নীরব ভাইকে নিয়ে একটি গল্পও লিখেছিলাম `` নীরব আলীর নীরব ঘুম ", ছাপা হয়েছিল মঈন ভাই সম্পাদিত কানামাছি পত্রিকায়। নীরব ভাইয়ের চোখেমুখে চমৎকার এক আশারোদ খেলা করতো।
মেস ছেড়ে দিয়ে একসময় বাড়ি চলে যাই। নিজকাজে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
কয়েকমাস পর স্মৃতির টানে ঐ মেসে আবার যাই। গিয়ে দেখি আমার রেখে আসা বেডে আরেকজন বিছানা পেতেছে। আমার বেডে বিছানাপাতা ছেলেটির সাথে খুব মনোযোগ সহকারে কথা বললাম, যেহেতু উপদেশ দেয়ার অভ্যাস আছে তাই মাশেল্লা উপদেশ দিতে কম দেইনি।
নীরব ভাই আসে, আমাকে দেখে সে কান্না শুরু করে দেয়। আমি রুম থেকে আসার পর সে একদিনও মানসিক শান্তিতে থাকতে পারেনি। তার একধরনের মানসিক রোগের জন্ম হয়ে যায়। অথচ আমি যখন ছিলাম ....!
আমি নিজেকে খুব সার্ফ এ্যাকসেল ধোঁয়া সাধু মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি না, শুধু বলতে যাচ্ছি আমি যাদের সাথে চলাফেরা করি তাদের জন্য আমার এমন অন্তরতম শুভকামনা থাকে যা তাদের মা বাবার পক্ষেই করা সম্ভব। ছোট্ট কাল থেকে শুনতে শুনতে বড় হয়েছি একটি আপ্তবাক্য, আর তা হলো মা বাবার মনে কষ্ট দেয় যে সন্তান সে কখনো শান্তিতে থাকতে পারে না। মা বা কখনোই সন্তানের অকল্যান কামনা করে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন