আমার আম্মা কইতেন পুলাফানরে হারাপ বানা বিলাফান , পুলাফানের কোনো দোষ নাই। আম্মার আম্মা, তারও আম্মা এই কথা বিশ্বাস করতেন। আম্মার এই হাজার বছরের বিশ্বাসকে আমি শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি, পারবো না।
তাই আমি আম্মার পুলা হয়েও এখনো এক বিলার কথা খুব মনে পড়ে। মনে পড়ার সাথে কেমন যেন এক প্রশান্তি নিজের ভেতরে প্রবাহিত হতে থাকে-- অনেকটা শরৎমেঘের মতো, অনেকটা নিঝুমদ্বীপের একলা রাতের ঘুমপ্রিয় পাখির মতো, অনেকটা তিনশ ফিট রাস্তায় নিভে যাওয়া সন্ধ্যায় রিকসা চড়া ভ্রমনের মতো।
বিলাডা কেমন আছে জানি না, জানতে ইচ্ছে হয় না এমন না। সব অজানা জীবনের জন্য ক্ষতিকর না, তাই জানতে চাই না। কিছু প্রিয় অজানা আছে যা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আনন্দে আনন্দে বেঁচে থাকার জন্য আম্মার মতোই সহায়ক ভূমিকা রাখে।
যখন দেখি আকাশে একটা পাখি একলা একলা ঘুরছে, যখন দেখি কোথাও কোনো এক দূরতম নির্জন দ্বীপ, যখন শুনি কোনো কথা কোনো সুরে বসতে যাচ্ছে, যখন কোনো ডিরেক্টর মনতাজ করতে গিয়ে সিগারেট ধোঁয়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে তখন, ঠিক তখনই আমার বিলাডার কথা মনে পড়ে।
বিলাডা অনেক ভালো আছে জানতে পারলে অনেক ভালো লাগবে, অনেক ভালো লাগা কেমন তা অবশ্যই ভাষায় প্রকাশ করার সক্ষমতা আমার নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি কাউকে ভেতর থেকে ভালো লাগলে নিজের ভেতরটা তার জন্য নিবেদিত প্রানে পরিগনিত হতে বাধ্য-- সেই জায়গা থেকে তাহার জন্য শুভকামনাবোধ ব্যতীত আজও অন্য কিছু আবিষ্কারের খাতায় নাম নিবন্ধন করেনি।
একটি গান মানুষের মুখে প্রায় শুনি আল্লা নাকি তার প্রেমিক / প্রেমিকা বিচার করবো।
কেন?
সে নাকি তার অনেক ক্ষতি করেছে। গানটি শুনে আমি হাসি আর ভাবি কীরে ভাবা এ কোন ধরনের প্রেমিক যে তার বন্ধুকে অভিশাপ দেয়। ক্ষতি করার অধিকার যে আমাকে দিবে না তাকে কেন আমি উপকার করতে যাবো।
উপকার আর ক্ষতির বাইরে সম্পূর্ন আলাদা এক পৃথিবী আছে যেখানে জলবায়ুহীন মন থাকে সেখানে দেখা যায় প্রেমের মর্মাহত বাসা-- যত গভীর আশা, যত গভীর প্রত্যাশা, যত গভীর হতাশা সবই আছে সেই মর্মাহত পুরাতন বাসায়। সেই বাসায় বিলাডা আসে, আমিও যাই অথচ দুজনের দেহ কত সুন্দর করে অদৃশ্য, অদৃশ্য দেহে চলে আত্মার ইথার, কাতারে কাতারে সাজাই আমরা কথার বাহার।
আমাদের মাঝে যে কথা জন্মগ্রহন করে তা হয়তো অনেকদিন নবাগত শিশুর চোখসম শক্তিতে অনুবাদহীন থাকবে। তারপর তারা একদিন অনুবাদ হবে পৃথিবীর পাড়ায় পাড়ায়।
তারপর, তারপর হবো ইতিহাস
তাই আমি আম্মার পুলা হয়েও এখনো এক বিলার কথা খুব মনে পড়ে। মনে পড়ার সাথে কেমন যেন এক প্রশান্তি নিজের ভেতরে প্রবাহিত হতে থাকে-- অনেকটা শরৎমেঘের মতো, অনেকটা নিঝুমদ্বীপের একলা রাতের ঘুমপ্রিয় পাখির মতো, অনেকটা তিনশ ফিট রাস্তায় নিভে যাওয়া সন্ধ্যায় রিকসা চড়া ভ্রমনের মতো।
বিলাডা কেমন আছে জানি না, জানতে ইচ্ছে হয় না এমন না। সব অজানা জীবনের জন্য ক্ষতিকর না, তাই জানতে চাই না। কিছু প্রিয় অজানা আছে যা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আনন্দে আনন্দে বেঁচে থাকার জন্য আম্মার মতোই সহায়ক ভূমিকা রাখে।
যখন দেখি আকাশে একটা পাখি একলা একলা ঘুরছে, যখন দেখি কোথাও কোনো এক দূরতম নির্জন দ্বীপ, যখন শুনি কোনো কথা কোনো সুরে বসতে যাচ্ছে, যখন কোনো ডিরেক্টর মনতাজ করতে গিয়ে সিগারেট ধোঁয়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে তখন, ঠিক তখনই আমার বিলাডার কথা মনে পড়ে।
বিলাডা অনেক ভালো আছে জানতে পারলে অনেক ভালো লাগবে, অনেক ভালো লাগা কেমন তা অবশ্যই ভাষায় প্রকাশ করার সক্ষমতা আমার নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি কাউকে ভেতর থেকে ভালো লাগলে নিজের ভেতরটা তার জন্য নিবেদিত প্রানে পরিগনিত হতে বাধ্য-- সেই জায়গা থেকে তাহার জন্য শুভকামনাবোধ ব্যতীত আজও অন্য কিছু আবিষ্কারের খাতায় নাম নিবন্ধন করেনি।
একটি গান মানুষের মুখে প্রায় শুনি আল্লা নাকি তার প্রেমিক / প্রেমিকা বিচার করবো।
কেন?
সে নাকি তার অনেক ক্ষতি করেছে। গানটি শুনে আমি হাসি আর ভাবি কীরে ভাবা এ কোন ধরনের প্রেমিক যে তার বন্ধুকে অভিশাপ দেয়। ক্ষতি করার অধিকার যে আমাকে দিবে না তাকে কেন আমি উপকার করতে যাবো।
উপকার আর ক্ষতির বাইরে সম্পূর্ন আলাদা এক পৃথিবী আছে যেখানে জলবায়ুহীন মন থাকে সেখানে দেখা যায় প্রেমের মর্মাহত বাসা-- যত গভীর আশা, যত গভীর প্রত্যাশা, যত গভীর হতাশা সবই আছে সেই মর্মাহত পুরাতন বাসায়। সেই বাসায় বিলাডা আসে, আমিও যাই অথচ দুজনের দেহ কত সুন্দর করে অদৃশ্য, অদৃশ্য দেহে চলে আত্মার ইথার, কাতারে কাতারে সাজাই আমরা কথার বাহার।
আমাদের মাঝে যে কথা জন্মগ্রহন করে তা হয়তো অনেকদিন নবাগত শিশুর চোখসম শক্তিতে অনুবাদহীন থাকবে। তারপর তারা একদিন অনুবাদ হবে পৃথিবীর পাড়ায় পাড়ায়।
তারপর, তারপর হবো ইতিহাস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন