সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬

সাজে ..

সাম্যবাদী স্লোগানধারী সম্প্রদায়কে সিগারেটের মোড়ক মনে হয় যেখানে লেখা ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর 

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

কালা নানা

এই মুহূর্তে আমার কালা মিয়ার কথা মনে পড়ছে। কালা মিয়া মানে কালা নানা। কালা নানা মানে আমাদের স্কুলের দাপ্তরিক কাজের একজন। সে দেখতে নাকি কালো ছিল, তাই তার নাম কালা মিয়া। কিন্তু আমার চোখে এখন তার যে রং ভাসতেছে তা মোটেও কালো নয়, কফি কালারের সাথে মেটে মেটে একটি রং।

প্রতিটি ঘন্টার নীরব স্বাক্ষী ছিল সে। তার দুটি হাত এবং দুটি মুখ ছিল। হাত ও মুখ যখন কারো সমান সমান হয় ব্যক্তিটি তখন বাঁকাপন্থী। বাঁকাপন্থী মানুষ ভালো বা খারাপ এমন কোনো মন্তব্য করতে রাজি না। তবে বলতে পারি ঘটনাকে বাঁকা করে দেখা এবং বলার মধ্যে তাদের সুখ।

এখন আসি কাজের কথায়। স্কুলে  একজন ভদ্র  ছাত্র এবং একজন ভদ্র ছাত্রীকে  পুরষ্কার দেয়া হবে। খেলাধূলা, ভালো ছাত্রের পুরস্কার ততদিনে আমার হাতে চলে আসছে। এখন যদি ভদ্র ছাত্রের পুরষ্কার নিতে পারি তাহলে তো হলোই-- বাংলা সিনেমার নায়ক রুবেলের যে পার্ট আমার গতরে এমন একখান পার্ট নাইম্মা আইবো।

তারপর সব দুষ্টুমির মুখে লাগাম দিলাম। ক্লাস শুরু হবার আগে স্কাউটের নিয়মমাফিক ব্যায়াম করানো হতো, ব্যায়াম  শুরু হবার আগে কোরআন তেলাওয়াত হতো। জনাব তোফাজ্জল স্যার আমাদের স্কাউট টিচার।

রেজা কোথায়?

জ্বি স্যার।

সারির একেবারে পেছনে আমি দাঁড়াতাম। পেছনে দাঁড়ানোর একটি রাজনৈতিক কারন আছে। পেছন থেকে সামনে আসতে আসতে সময় লাগতো তো দুইএক মিনিট। দুইএক মিনিটের পুরো সময়টাই সবার অপেক্ষামন ছিল আমার দিকে। এই বিষয়টি খুব ইনজয় করতাম।


কোরআন তেলাওয়াত শুরু করতাম। আমি প্রথম স্কুলে তেলাওয়াতের পর বাংলা অনুবাদ করতাম। মাঝেমাঝে প্রথমে কোরআন তেলাওয়াত, তারপর তেলাওয়াতকে ইংরেজিতে অনুবাদ, তারপর বাংলা অনুবাদ। আমাদের স্কুলে কোনো বিদেশি ছাত্র বা শিক্ষক ছিল না। তাহলে কেন আমি ইংরেজিতে অনুবাদ করতাম? করার একটাই উদ্দেশ্য ছিল-- নিজেকে জাহির করা-- সবাই জানুক আমি ইংরেজিতে পারদর্শী। জাহির করার পেছনের কারন হলো ভদ্র পুরষ্কার। অর্থাৎ এমনভাবে তৈরি হচ্ছি যেন ভদ্র পুরস্কার আমার দিকে আসতে কোনো বাধাই না থাকে।

আব্বা কোনোদিনই অভিভাবকগিরি দেখানোর জন্য স্কুলে যায় নাই। অথচ তার প্রত্যেক সন্তান স্কুলের মেধাবীদের একজন ছিল। সেদিন হেডস্যার আব্বাকে কেন যেন ডাকলেন। আব্বাকে স্কুলে দেখে আমি রীতিমত বিস্মিত।

কালা নানা আব্বাকে দেখামাত্র আমাকে বলে 'লাক, আজকে তোর নামে বিচার দিমু। আমি তো জানি আমার নামে বিচার দেয়ার কিছু নেই। তারপরও সে হেডস্যারের সামনে আব্বার কাছে আমার সম্পর্কে বিচার দিয়েছিল। কী বিচার দিয়েছিল আব্বা আমাকে কোনোদিন বলেনি। আম্মার কাছ থেকে জানতে পারি আমার নামে কালা মিয়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ দাখিল হয়েছিল।

তিনচার দিন পর ভদ্র পুরস্কার ঘোষনা করা হয়। ভদ্র পুরষ্কারে আমার নাম নেই! এতো আলোময় সূর্যটা হঠাৎ করে নিবে যায়, রাতের আকাশে অনেক তারা থাকার কথা কিন্তু কোনো তারা নেই, কার্তিক মাসের অনবরত বৃষ্টি আমার হৃদয়ে বয়ে যেতে লাগলো।

বাড়ি গেলে কালা মিয়ার সাথে দেখা হয়। এখন আর সে স্কুলে নেই। তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। স্কুল থেকে বের করে দেয়ার কারন জানতে চাই। কালা মিয়া কারন জানে না। স্কুলের কথা বললেই তার অধর আর ওষ্ঠের মাঝপথ দিয়ে একটি চিকন দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে, আমি তখন তাকে একটি মালবরো এডবান্স সিগারেট কিনে দেই। সে তখন আস্তে আস্তে সিগারেট টানে। সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে সাথে তার গরম দীর্ঘশ্বাস আরও দীর্ঘ হতে থাকে 

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬

পু

মানুষ তার শত্রুকে চিনে না, মানুষ তার বন্ধুকেও চিনে না, মানুষ চিনে তার নিকটতম প্রয়োজনকে, মানুষ শুনে ঠোঁটের কাছের কথা, হৃদয়ের শব্দ আর তারা শুনতে পাই না। পুকুরের পানি পরিবর্তন করা লাগবে।

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬

কবে

কবিতা ইজ কবিতা, ভালো কিংবা খারাপ বলে কিছু নেই। হয় কবিতা নতুবা কবিতা নয় এমন। ভালো ভগবান, খারাপ ভগবান বলে কিছু নেই। হয় ভগবান নয় অসুর।।

আমার ভগবানের নাম কবিতা, রোজ তার দেখা পাই স্বপ্নের ভেতর শিশুর মতো হাঁটতে থাকে। আমি তার শরীরে পূজা দেই, নিজেকে সমর্পন করি তার সামনে আপন মহিমায়।

তোমাদের ভগবানও কবিতার মধ্য দিয়ে নিজেকে দেখায়। কবিতার মতো করে ভগবানকে চিনি। ভগবানও কবিতার ভাঁজে ভাঁজে মেলে ধরে নিজের শরীর, মানুষের মুখে মুখে আরও শুনি যতসব লেখাবাজ কথামালা কবিতার দলিল।

ভগবান কবিতার কাছে নতজানু হয়েছি আজ। কবিতার সাথে প্রেমের বাড়িতে বসে থাকা, অনেকটা চাঁদের বুড়ির মতো আমার কাজ।। মন্দির প্রার্থনা স্বরসতী অর্চনা সবকিছু গেছি ভুলে, আমার হৃদয় সময়ের খেলা খেলে কবিতার দলে, কবিতা চললে আমার হৃদয় চলে। 

চয়া

কারো হৃদয়ে যখন ভালো চিন্তা থাকে সেই ভালো চিন্তার জায়গাটিকে আমি ফুলের বাগান বলি যার গন্ধ মানুষ পায় মৌমাছি থাকুক কিংবা না থাকুক 

Will

Will not I go in the space
Will not I go in the moon
I am here among the men within the agony and peace
Dislike the death though it is much possible doze
Here is here is the accident lips sweetest kiss
No way to go no wish is bound of the abroad step
Here is heaven in the prophet of sense
See nothing say nothing just keep poking in the sense of time
Everything in mind every cultivation on eye is possible
Blind door firing alone
Go for book go for the bond dear
Keep singing and singing and will be I right there in time 

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

ভান্ডার

আমাদের ভানুসিংহের আক্ষেপ ছিল মাঝে মাঝে তার দেখা পায় চিরদিন কেন পায় না। চিরদিন যারে পাওয়ার ইচ্ছা তার দেখা মাঝে মাঝে পাইলেই বেটার। শীত আর সূর্যের আদরে যে গাছ বেড়ে ওঠে তার পুষ্টিমান অনেক ভালো। তাইতো প্রতিদিন নিয়মতান্ত্রিক ব্যস্ততার মধ্যে যখন একদুইদিন ছুটি পাওয়া যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই আলিফ লাইলার সিন্দবাদ হয়ে রাতের জলে জাহাজ ভাসাতে ইচ্ছা করে এবং বাস্তবায়নও করি।

এখান থেকে সেখানে, সেখান থেকে এখানে-- এমন করে রাতজাগাপাখি হয়ে ছুটি উপভোগে ব্যস্ত কতিপয় বিন্দুবোধের দল। আমরা যারা বিন্দুবোধের সদস্য তারা তাবৎ পৃথিবীর তাবলিক রাতের জলে ভাসা জাহাজে নিয়ে আসি, আর বাতাসের স্রোতে ভাসিয়ে দেই আমাদের বিশ্লেষন।

আজকে কথা হচ্ছিল সার্বিয়া নিয়ে, কথা হচ্ছিল জেনেভা ক্যাম্প নিয়ে, কথা হচ্ছিল ওমর মুভিটি নিয়ে যেখানে প্রেমিক দম্পতি বাংলাদেশ হানিমুনে আসার ব্যাপারে হাস্যরসের কারখানায়, কথা হচ্ছিল পুরান ঢাকা আর কলকাতার মধ্যে সাদৃশ্য নিয়ে, কথা হচ্ছিল আমগো ডিপজলকে নিয়ে, পিডোফাইল বিষয়টি নিয়ে। আরও আরও বিষয় নিয়ে। কথা ফুরায় না, ছুটির সময় ফুরিয়ে যায়! 

মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬

আলোর

আলোর খেলা জাস্ট সুইচ অফ আর অনের মতো
দেহের মাঠে চলছে শ্বাস প্রশ্বাসের মেলা
কেউ গান করে
কেউ ভান ধরে
কেউ চায় প্রান প্রানের টানে
সবাই তো বাতাসের সন্তান
গভীর প্রেমে মানুষ
তেলাপোকা ভাসমান
আরো চাই চেতনা আরো চাই প্রান 

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬

প.

গতকাল আমি যা বলেছি আজ তা মিথ্যা যদি আমার চিন্তার উন্নতি হয়ে থাকে 

দ.

দুই ইঞ্চি আঙ্গুলের ফাঁকে সব স্বপ্নরাজ্যের আলাদিন থাকে 

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬

দ্রর

দৃষ্টি বলের দিকেই রাখতে চাই, গ্যালারির দিকে নয়। কেউ কালে থাকতে পারে না যদি না কাল ব্যক্তিকে গ্রহন করে। আমার কাছে আমি একটি গুরুত্বপূর্ন শব্দ। এই আমির ভেতর আমরা শব্দটি নিহিত। তাই আমি যত বেশি আমি হয়ে ওঠবো ততই আমরার দেখা পাবো।

আমার সমাজ, আমার খাবার এক আমির জন্ম দিয়েছে, সেই আমির মধ্যে কল্যানকর কিছু নেই। নির্মিত আমির গুরুত্ব পৃথিবীর জন্য জরুরী। বনজ পাতা থেকে যেমনভাবে প্রক্রিয়াকরন  করে ঔষধ আবিষ্কার  করতে হয় তেমনি আমিকে ফিল্টারিং করে নিজের খোঁজ পেতে হয়। নিজস্বতা আবিষ্কার ব্যক্তির অহংকার, পৃথিবীর সোনার ফসল।

যে খেলোয়াড় বলের চেয়ে দর্শকদের প্রতি অধিক মনোযোগী তার আউট হবার সম্ভাবনা অধিক হবে তাই স্বাভাবিক। কাল এক গভীর ব্যাপার। গভীর হলেই কালের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন সম্ভব। কালের বন্ধু হলেই রথ দেখা সম্ভব আর সাথে কলা বিক্রির বিষয়টি তো আছেই। 

গজপ্রতি

ঘুমিয়ে ছিলাম। চোখ বন্ধ। চোখে সজাগ দৃষ্টি। মন চোখের আগেই সজাগ হয়ে গেলো। জানালা দিয়ে সোজা আকাশের দিকে। অনেক আলো চাঁদের গতরে। অনেক আলোই চাঁদের একাকীত্বের বিজ্ঞাপন করেছে। আমি অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছি। আমার একাকীত্বের কোনো বিজ্ঞাপন নেই।

শুয়ে শুয়ে চাঁদ দেখার আনন্দই আলাদা-- আনন্দ মনের মাঠে আন্দোলন করে। তাদের মতো অনেক টাকার মালিক হলে ছাদ দিয়ে আকাশ দেখা যায় এমন ব্যবস্থা করবো।

গরীবের ছাদের নাম অবশ্যই আকাশ। গরীবের ছাদ দিয়ে সব কিছু সোজা সোজা আসে-- বিষ্টি কিংবা রইদ। গরীবের রোগ হলেও সোজা মৃত্যুর দেশে চলে যায়। মাঝখানে চিকিৎসা, হাসপাতাল, ডাক্তার, আইসিও এমন কোনো মিডিয়া নাই। গরীবের সব কিছু সোজাসাপ্টা।

টাকাওয়ালারা কী আমার মতোই  আকাশ দেখে, অন্ধকার ঘরে মাঝরাতে, একা একা, শুয়ে শুয়ে?

তাদের আকাশ দেখার, চাঁদ দেখার প্রয়োজন হয় না। তাদের রুমেই আকাশ, চাঁদ বসানো থাকে। ইচ্ছা হলেই তারা আকাশ আর চাঁদ একসাথে পায়।

আমরা গরীব, আমাদের আকাশে ইচ্ছাকৃত চাঁদ তাহে না, আমাদের চাঁদ ইচ্ছাকৃত আকাশে তাহে না। অধীনস্ত জীবন আমাদের। আমাদের প্রেম কাম যম ধন সব কিছু উপরওয়ালার হাতে। তার ইচ্ছা হলেই শ্রীনিধির কুলে একটু তীরের দেখা পাই, মাঝরাতে একটু চাঁদের দেখা পাই অন্ধকার ঘরে একা একা। 

শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬

ভয়হীন

অনেক কথা বলার ছিল নদীর কিনারে বসে। মাথার উপর থেকে আমাদের কথায় নেমে আসতো কাকভুলা জোছনা। ঝিরিঝিরি ঢেউ বাতাসের সাথে। ঝিরিঝিরি স্বপ্ন আমাদের চোখে। দূর থেকে ভাসান মাঝির ঢেউ কানে সুরের মতো খেলা করে সূর্যবেলার লালিমা হয়ে আস্তেধীরে চলে যেতো কোনো এক নতুন গ্রামে।

জোছনার জলে নৌকা ভাসালে মন্দ হতো না। তীর ভেঙে ভেঙে জল নৌকার সীমানা বাড়াবে। নতুন নদীতে আমরা দুজন। তখন তুমি বাউল গান ধরবে। আর আমি? আমি ওয়াজ করতে থাকবো বাতাসের হাকিকত নিয়ে।

ভাববাদ আর জীবনবাদ আমাদের আলোচ্য বিষয়। ঢেউখেলানো নৌকায় আরও কাছে চলে আসবে তুমি। আরও কাছে, যত কাছে এলে চোখ তার কাজ ভুলে যায়, নাক ভুলে যায় গন্ধ নেয়া, জিব্বার সাথে ব্যস্ত থাকে জিব্বা তত কাছে। কাছে আসলেই রোগের উপশম ঘটে, দেহের কাছে আসলেই পটাশিয়াম লবন মানুষের কাছে উপকারী প্রান।

দেহ থেকে দেহ দূরে থাকলে কথার নৈকট্য গাছের কাঁঠাল। স্বপ্নের কাছে মানুষ সুন্দর বলে সত্যের কাছে বাস্তব। দেহ যখন  ভুলে যায় দেহের ইবাদত প্রেমের কাছে তখন কষ্টেরা আপন। ঠোঁটের কাছে ঠোঁট রেখে দেখো এই অচেনা মানুষটি কত যে আপন, কত যে আপন। 

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

কত অসীম তুমি তোমায় দেখি না বলে
এই হাতের কাছে অধরা তোমার আকাশ, আকাশের তারা, যৌবন রাতে দেখা যাওয়া চকিত নীহারিকা
তোমার ঠোঁটের রাজপথে জোছনার হেঁটেচলা
একদিন গেলো, দুই দিন গেলো, বর্ষার জলে ভেসে থাকা শাপলা ভুলে গেছে যৌবন জ্বালা
সময়ের স্বরসতী তোমার মন্দিরে এখনো পূজাপ্রেম সাজাই
নীরব দুপুরে সুজন মাঝির গান গাই
বিড়ালপায়ে তুমি কেবল মনমন্দিরে হেঁটে যাও
মার্বেল খেলা শৈশব আমার বারবার ভুলে যাই বারবার ভুলে যাই-- আকাশের পথে বিমানচোখ ভাসতে থাকলে তুমিও সীমানার মতো দেখায় 

বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬

ফুলের

নিজেকে না জানিয়া ফুলের দেশে ভুলের গন্ধে মাতাল, শেকড়ে শিখরের ছায়া, ফুলের শেকড়ে রাতঘুমে আছে সাপের মায়া 

দাও

ভেতরে ভেতরে রক্তের ঘাট
বাইরে বাইরে প্রেমের দাগ 

মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬

ছাড়াও

ছায়ায় থাকলে নিজের ছায়া দেখা যায় না, নিজেকে দেখার জন্য ছায়ার কাছে যাই বারবার, যতবার ছায়া মারি ততবারই আমার আমি নাই, আমার আমি নাই 

আসেন

আদিতে সব কিছু এক, তিনিও এক, তিনি সৃষ্টিও করবেন একটাই-- মাঝখানে সসীমে অসীমে দৌড়ঝাঁপ 

ঝাঁ

শব্দের ঝামেলা নেই
কর্মের ঝামেলা নেই
মর্মের ঝামেলা নেই
এখানে হৃদয় এসে বসে থাকে 

শাখা

ভাঁজ না দিলে শাড়ি পড়া যায় না, ভাঁজ না খুললে নারী হওয়া যায় না 

মেঘ

মেঘ হয়ে ভেসে দেখো
আমি বৃষ্টির জন্য স্থির দাঁড়িয়ে থাকবো
কেউ যেন না বলে ভুলে গেছি তোমায়
ভুলে যাওয়ার মতো ভুল আর নেই একটাও
সেই হাতে রেখেছিল হাত এই হাত
হাতে রাখা হাত ভুল ছিল
এক ভুল দুইবার আর হবে না
এক ভুল দুইবার আর হবে না 

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬

নো

নোবোডি মানুষটি আজ তোমার এ্যাবরিবোডি 

সাথে

শয়তান বেয়াদব। কারন তার জ্ঞানের অভাব আছে এমন না। বিশ্লেষনের অভাব আছে এমন না। শয়তানের ভক্তির অভাব। ভক্তি থাকলে মুক্তি মিলবেই। যেখানে ভক্তি নাই কিন্তু জ্ঞান এবং বিশ্লেষন সক্রিয় সেখানে শান্তির বদলে আগুন খেলা করে।

রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬

:::::

Return! you have to realize must what is the rationality of the serious 

আরেক

মেয়েরা সাধারনত তার বাবার মতো ছেলেদের পছন্দ করে, আর ছেলেরা পছন্দ করে মিডিয়ায় প্রচলিত সুন্দরের মতো মেয়েদের। ফলে মেয়েদের সত্যজ্ঞান মনে আর অধিকাংশ ছেলেদের সত্যজ্ঞান চোখে।

আর্থিকভাবে খুব বেশি স্বয়ংসম্পূর্ন না এমন ছেলেমেয়েদের পছন্দের নাম সমাজ। সমাজ যেদিকে পাল তোলে তারা সেই দিকে দৌঁড়াতে থাকে-- তারা জীবনে না পায় গতি না দেখে বাতি।

তবে এখনো মেয়েরা মা হয়ে জন্মগ্রহন করে। ফলে সন্তান ধারনের বিষয়টি তার মাথায় থাকে। সমাজে যদিও পিতা অভিভাবক, অভিভাবকসুলভ মানসিকতা মায়েরই বেশি। মা তো পিতারও অভিভাবক। তাই আর্থিকজ্ঞান মা জাতিরই বেশি থাকে। মেয়েটি অবশ্যই ছেলেটির আর্থিক দিক খুব গুরুত্বসহকারে অবজার্ভ করে। 

:?:

রাজ্যসুখ নামে রাতদুপুর

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬

আয়নাবাজি

বাংলা সিনেমা হিসাবে আয়নাবাজি  যথেষ্ট ভালো হয়েছে এমন কথা আমি বলতে রাজি না। বলতে পারি বাংলা সিনেমার এই ক্রাইসিস মুহুর্তে আয়নাবাজি বাংলাদেশীদের স্বাদ ধরতে পেরেছেন অমিতাভ রেজা চোধুরী। বাংলা সিনেমার দর্শক নাই এমন কথা আর মুখ বড় করে বলতে পারবে না হল মালিকেরা।
আয়নাবাজিতে আয়না ভালো অভিনয় করেছে। আয়নার কস্টিউম ভালো ছিল। ভালো হবে না কেন! সুদূর কলকাতা থেকে কস্টিউম ইঞ্জিনিয়ার আমদানি করা হয়েছে।

অতি অল্প খরচে ভালো কিছু করা সম্ভব এমন সত্যের মুখোমুখি আমরা বারবার হয়েছি। সুখ শান্তির জন্য যারা মঙ্গলগ্রহে বাড়ি বানাতে ইচ্ছুক তারা আসলে আজাইরা মানুষ। দর্শক বরাবরই সিনেমাতে বাস্তব কিছু চায়। যে সমাজের চোখের সামনের ঘটনা দেখার ক্ষমতা নাই তাদেরকে রাডার সেটেলমেন্টের কাহিনি শোনালে দেশ একেবারে উন্নত হয়ে যাবে এমন বলি আওড়ানোর সময় এখনো আসেনি।

আয়নাবাজি ছায়াছবিতে খরচ তেমন হয়নি। কিন্তু পারিপার্শ্বিক নান্দনিকতা দেখানোর প্রয়াস লখিন্দরযোগ্য দৃষ্টি রাখে।

আয়নাবাজিতে চমৎকার সুন্দর বৃষ্টি আওয়াজসহ দেখতে পাই। চোখে এখনো আয়নার কান্দন আর ঝুম বৃষ্টি লেগে আছে। শিশুরা ভালো অভিনয় করে, একেবারে বাস্তবের মতো করে-- তা আয়নাবাজিতে দেখতে পাই আবার দেখতে পাই মাজিদ মাজিদির The Song Of Sparrow মুভিতে।

The Song Of Sparrow মুভিতে রেজা নাজির জীবনের মতো নয় হুবহু জীবন আমাদের উপহার দিয়েছেন। এমন আচরনস্রোত ক্যামেরার সামনে প্রবহমান রাখা রেজা নাজির আর নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকীর পক্ষেই সম্ভব। বদলাপুর কিংবা By Pass এ নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকী যা করেছেন তা কেবল তার পক্ষেই সম্ভব।

আয়নাবাজি জাস্টকেবল অভিনয় গ্যালারি অথবা অভিনয়ের কোলাজ। ফলে দর্শককে প্রতিনিয়ত অভিনয় সত্যের মুখোমুখি হতে হয়।

আর মাজিদ মাজিদির The Song Of Sparrow সমাজ বিপ্লবের সিনেমেটিক আখ্যান। রেজা নাজির ও শিশুরা যখন পুরাতন কূপ পরিষ্কার করার কাজে ব্যস্ত তখনই তাদের একজন মুরু মুরু ( সাপ সাপ)  বলে চিৎকার করে ওঠে,  আবার তাদেরই একজন সাপের গলা টিপে ধরে। একজন সমস্যা দেখায় আরেকজন সমাধানে নেমে পড়ে-- এমনই তো হওয়া উচিত না,  আবশ্যক।

প্রত্যেক সমাজে কিছু ফতোয়াবাজ আছে যাদের কামই হইলো দেয়াল তৈরি করা, তারা কখনো দেবীর পূজা করতে আসে না, তারা আসে দেবীর নাম বিক্রি করে সুনামি অর্জন করতে। সুনামিবাজদের জন্য আজ ঘরের পাশে ঘর আছে কিন্তু প্রতিবেশী শব্দটি জোড়ালোভাবে নেই।

চড়ুই পাখির গান মুভিতে প্রতিবেশী দিন আর রাতের মতো প্রাকৃতিক। রেজা নাজিও সাবেক সহকর্মীকে দেখে মুখ ফ্যাকাসে করে অন্যদিকে চলে যায় না, নিজের মোটর বাইকে তুলে নেয়।

আরে ভাই, ছবি বানাইলেই হবে? ছবি বানানো মানে সম্পর্ক স্থাপন, সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা তো থাকতে হবে, তাই না? 

গ্যারান্টি

ন্যাংটা চোখ হালি চাইয়া চাইয়া দেখে
বোরখার ভেতর শান্তির ঘুম দেয় প্রিয় দেশ
কপট হাসি ঝিলিক মারে স্নো পাউডার মেখে
দেশ বিক্রির ঘটক ছাতার নিচে মুখ রাখে
দেশ ভালো আছে পৃথিবী অনেক ভালো আছে
পাপ তাপ যতসব লজ্জার কথা তারা সব খানদের মতো মুসলমান হয়ে গ্যাছে
স্বাধীনতা অনেক ভালো আছে মুক্তির সংগ্রাম অনেক ভালো আছে 

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

অভ্র

এক হাতে কোদাল আর কাস্তে দিয়া পিতার লাহান পুরুষেরা আমগোরে চিনাইছে মা মাটি মার্তিরডম অর্কিড। আমরা দিববি অভিনয় করেছি।

চোরচক্র রেলওয়ে স্টেশনের বাত্তি নিবায় দিছে। আমরা তখনো অভিনয় করছি ভদ্রতার।

কবিরাজ ঘরে আইসক্রিম খেলায় প্রেগন্যান্ট করছে হাজার হাজার রমনী। আমরা তখনো অভিনয় করছি সরল সহজ মানুষের।

সুন্দর এনজিও মার্কা হাসি দিয়ে সরল মানুষের ঘরে নামাইছে শনিবারের জ্বীন আরব দেশের সেই দালাল। আমরা একটু আরাম কইরা কাঠের চেয়ার ছাইরা ইজি চেয়ারে বইছি।

বিদ্বানের নাম লইয়া তিনারা শিশু মনের উপর চালাচ্ছে বুলডুজার। আমরা খোকা ঘুমানোর গান গেয়ে পাড়াকে পাঠাচ্ছি চিন দেশে।

বিদেশের জিকির করতে  করতে ভুলে গেছি স্কুল পালানো সময়ের কথা, ভুলে গেছি হুলার ভেতর ফলাফলি খেলার কথা, আমরা ভুলে গেছি আমাদের কথা। 

মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬

এদিকে

উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা। আমি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলাম, রেজাল্টও প্রকাশ হলো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলেই ...।

আমাদের মতো ছাত্রদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশাল স্বপ্নের জায়গা। টিএসসির নাম শুনলেই একটি শান্তির ঝরনা হৃদয়ের কোনো একটি রেখা বরাবর বয়তে শুরু করে। আমি একটি ফর্মই তুললাম। ভর্তি হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই হবো। আমাকে সিট দেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্য ছাত্রদের সিট দিবে এমনই গোঁয়ার আত্মবিশ্বাস। অনেকে আমাকে পরামর্শ দিলেন অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম সংগ্রহ করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত  নিয়ে নেয়ার পর আর কারো পরামর্শ গ্রহন করি না।

বৃহস্পতিবার। ট্রেনে করে ঢাকা আসি। থাকি মোস্তফা ভাইয়ের সাথে। পিলখানার আশেপাশে। মোস্তফা ভাই কোনো এক পরিবারের সাথে সাবলেট থাকে। পরিবারের সবাই শরিয়তি মানুষ। সাত বছরের মেয়ে বাবুটাও ঘরের ভেতর পর্দা করে। আমাকে দেখামাত্র পর্দা করা বাবু সালাম দেয় 'আসসালামু আলাইকুম '।

রাতটা শেষ হতে চায় না। তারপরও শেষ হলো। সকাল সকাল নাস্তা করে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে চললাম। আমার সিট এমবিএ ভবনে। ক্যাম্পাসে আসি পনেরো মিনিট আগে। তারপর সিট খোঁজার পালা। ওমা! সিট খোঁজে পাই না। এক লোক বলে এক কথা, অন্য লোক বলে অন্য আরেক কথা। নির্ধারিত সময় থেকে পাঁচ মিনিট চলে গেলো। আমার হার্টবার্ন শুরু হয়ে যায়। তারপরও সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করি। মন কিছুতেই শান্ত হতে চায় না।

হঠাৎ দেখলাম ভীড় থেকে অনেক দূরে এক লোক দাঁড়িয়ে বাদাম খাচ্ছে।

ভাই, এই সিট নাম্বারটা কোন ভবনে?

লোকটি প্রথমে আমার মাথায় হাত দেয়। শান্ত হও, এতো অস্থির হবার কিছু নেই।

লোকটি কে আমি তাকে চিনি না। কিন্তু তার স্নেহভরা কন্ঠ, স্নেহ তুলতুলে হাত আমাকে একদম শান্ত করে দেয়।

এই যে তোমার সামনের এই বিল্ডিং দেখছো,এর এগারো তলার কোনার রুমটা তোমার। যাও, একদম অস্থির হবে না।

লিফট কেবল টিচারদের জন্য। হেঁটে ওঠো রেজা। চোখ বন্ধ করে সিঁড়ি ভাঙ্গতে লাগলাম। রুমে যাওয়ার পর চোখে কিচ্ছু দেখছি না। ঘামে শরীর ভেজা ভেজা। পনেরো মিনিট হেজ গন! অপটিক্যাল মার্ক রিডার ও প্রশ্ন নিয়ে সিটে বসলাম।

একদিকে অস্থিরতা, অন্যদিকে শারীরিক ক্লান্তি, অন্য দিকে একটি মাত্র সুযোগ। চোখ বন্ধ করে শ্বাসপ্রশ্বাস নিজের নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করি। আমার নজর যখন শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কাজে ব্যস্ত তখনই নাকে চমৎকার সুন্দর একটি গন্ধ আসে। চমৎকার সুন্দর গন্ধে ত্রিশ সেকেন্ডের মতো মগ্ন ছিলাম। চোখ খুলে দেখি ইশান কোনের মেঘের মতো কালো বর্নের একঝাঁক চুল। আমার চোখ ঝলসে যায়, মন ভুলে যায় পরীক্ষার চাপ।  এই চুলের সাথে কিছুক্ষন কল্পনা বিলাসী হয়ে উঠি। চুল দেখা গেলেও বনলতা সেনের মুখ দেখা যায় না। টিচার স্বাক্ষর খাতা নিয়ে আসেন। মেয়েটি স্যারের দিকে তাকায়। তার মুখ দেখার পর আমি আর পরীক্ষাতেই নাই। তার মুখ আর চুল নিয়ে মনে হলো হোসেন মিয়ার ময়না দ্বীপে চলে যাই।

স্যার ধমক দিলেন, এই ছেলে ফর্ম ফিল আপ করো।

এতোক্ষনে মনে হলো আমি পরীক্ষা দিতে আসছি। নাম লিখছি। লিখবো MD, লিখে ফেলছি MP। এমন সময় চোখ পড়ে একটি লেখায়-- OMR এ কোনো প্রকার কাটাকাটি করলে পরীক্ষা বাতিল বলে গন্য হবে। oh my God!

মন একদম অস্থির হয়ে যাবার কথা। কিন্তু মন একদম শান্ত। এমন সুন্দর চুল আর মুখ চোখের সামনে থাকলে নাবিক তার পথ হারাতে পারে না। আমিও পথ হারায়নি।

যা পারি তা উত্তরপত্রে পূরন করতে লাগলাম। এক মিনিট বাকী থাকতেই টিচার সতর্কবার্তা দিলেন। সময় শেষ হয়ে গেলো। পরীক্ষাও শেষ। মোবাইল ফোন অন করি। অসংখ্য ফোন আসতে শুরু করে। কথা বলি। কখন যে সেই মুখ আর চুল ভীড়ের মধ্যে হারিয়ে যায় বলতেই পারিনি। আমার আর ময়না দ্বীপে যাওয়া হলো না....

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬

কখনো

বহুদিন হয়ে গেলো রাতের ভেতর আঁকি না শস্যফুল, কাঁশবনে পালায় না প্রিয়তমা রাধা, ফুল ফুটে বাহার বাহার, প্রেম নাই প্রেম নাই, প্রথম বিপ্লবী মন তার ভগন্দর বাহানায়, কামঘরের কামিনী ভুলে যায় যতসব প্রতিজ্ঞাগতরাত-- বাজারহিসাব বাজারহিসাব।

সব বাজারি উটের পীঠের মতো দেখায় হৃদয়ের পাহাড়। যাহাদের এতোটুকু হৃদয় আছে বলে মনে হয়, তাহাদের দিকে পীঠ দেখায় এই আমার বাজারি মন।

বাজারে থেকে বাজারি হয়ে গেছি বহু আগে, ক্যালেন্ডারের পাতায় ঝুলে প্রেমিক হৃদয়, প্রয়োজনের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি মারে খাবি খাওয়া মাছের সদয়। 

শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৬

টমি

গল্পটি শোনা।
কোথাও পড়িনি।
গল্পটি আইনস্টাইনকে নিয়ে।
আইনস্টাইন একদিন ট্রেনে করে কোথাও যাচ্ছেন। টিকেট চেকার আসলেন। তো আইনস্টাইন টিকেট খুঁজে পাচ্ছেন না। টিটি আইনস্টাইনকে চিনত। তাই সে বললো সমস্যা নেই আপনাকে আমি চিনি। আইনস্টাইন জবাব দিলেন সমস্যা টিকেট পাওয়া কিংবা না পাওয়াতে না, সমস্যা হলো টিকেটে লেখা আমি কোথায় যাবো।

আইনস্টাইনের মতো লোক কোথায় যাবেন এই বিষয়টি তাঁর মনে নেই। তাহলে বিষয়টি  পরিষ্কার অন্য কোনো বিষয়ে তিনি শতভাগ মনোযোগী। তাই তিনি কোথায় যাবেন তা মনে রাখতে চান না। আসলেই তো তাই-- যা বই খুললে পাওয়া যায় তা কেন মাথায় থাকবে, মাথা তার পছন্দমতো সংগ্রহ করবে বিপুলা এই প্রকৃতির বিশাল আয়োজন থেকে।

আমাদের মাথা পছন্দমত কিছু সংগ্রহ করতে পারে না। মাথা কেন মুখও পারে না। প্রত্যেক খাবারে জনাবদের পছন্দ অনুযায়ী মেশানো হচ্ছে ভেজাল। গ্রামে থাকতে দুধে ভেজাল মানে বুঝতাম পানি মেশানো। আর এখন যখন আমি পুরোদস্তুর শহুরে তখন দুধে ভেজাল মানে দুধের সবটা অংশই পানি, সাথে দুধফ্লেবার।

শরীরে অপুষ্টি, মস্তিষ্কে অপুষ্টি-- এমন দুই অপুষ্টি নিয়ে বাংলাদেশী ক্যামনে পাড়ি দিবে জীবননদী। মাঝিও বৈঠা নিতে পারবে না। কারন তার শরীরেও শক্তি নাই। তুফান আসলে শিক্ষিত বাবুও মারা যাবে, সাঁতার জানা মাঝিও মারা যাবে।

এখন কিন্তু শিক্ষিত বাবুও তৈরি হয়না, পন্ডিতও তৈরি হয় না-- তৈরি হওয়ার মেশিন প্রায় নষ্ট হয়ে গ্যাছে। নষ্ট মেশিন কাজের চেয়ে শব্দ করে বেশি। নষ্ট মেশিনের উদ্ভট শব্দে কাজের মানুষ কাজ করতে পারে না। মশার কামড়ের চেয়ে মশার গান খুবই বিরক্তিকর।

মশার গানসহ কামড়, সমাজের লতাচাপালী তাচ্ছিল্যকে সহ্য করে যারা কাজ করে যান তাঁরা  সমাজের ফাউন্ডেশন। তাঁদের দলে কাজী নজরুল ইসলাম থাকতে চান-- আমি আজ তাহাদের দলে যাহারা কর্মী নন ধ্যানী।

ধ্যানী মানুষেরা প্রচার বিমুখ এমন না, তাঁরা বরং প্রচারে উৎসুক,  কিন্তু তাঁরা ততটুকুই প্রচার করে যতটুকু তাঁদের মানায়।

আইনস্টাইন তখনো আবিষ্কারক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেননি। জীবিকার প্রয়োজনে  বিভিন্ন প্রতষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কোথাও তাঁর চাকরি হয় না। কয়েকদিন পর যখন  তিনি e= mc√ তত্ত্ব পৃথিবীকে উপহার দিলেন তখন প্রতিষ্ঠানগুলি আইনস্টাইনের আবেদনপত্র তাদের অফিসের সামনে ঝুলিয়ে রাখলেন যার মধ্য দিয়ে তারা জানাতে চায় দেখো আমাদের প্রতিষ্ঠান কত ভালো আইনস্টাইন এখানে চাকরির আবেদন করেন।

প্রতিষ্ঠান এমনই-- ছোট্ট টমিকে অবজ্ঞা করে কিন্তু এই টমিই যখন টমাস আলভা এডিশন হয়ে ফিরে আসে তখন তাঁকে মাথায় তুলে নাচে-- তখন আমার বঙ্কিমচন্দ্রের বড় বাজার প্রবন্ধটির কথা মনে পড়ে যেখানে দেখানো হয়েছে মানুষ আর মানবিকতার মাঝে প্রধান দেয়াল অর্থজ্ঞান প্রবনতা, প্রকৃত মানুষের কোনো আবেদনই নাই-- ঠাঁই নাই ছোট সে তরী। 

জতেক

কত সকালে চলে গেলে তুমি বিকালে
এখনো আমি খেলি ফলাফুলি লাই পুকুরের জলে
ব্যাঙাচি শরীর আমার ব্যাঙাচিগতি আমহার মনে 

তারপর

খুব বেশি প্রতিবেশী চোখে জলের নুয়ে পড়া দেখি
দেখি ঘাটশিলা থেকে নেমে আসা একঝাঁক যৌবন
সবুজ পাহাড় থেকে লাল রঙের সূর্যটা পানসে মাঝির নৌকা চালাতে চালাতে বাজায় কাপালিক সুর

আস্তে আস্তে তারা জঙ্গলে যেতে থাকে
মাটির পাত্রে চাচি বসালেন জীবনগন্ধী রান্না
শিশুসুলভ চানাচুর চালের সাথে কথা কই
ধারাগিরির আরাম কোনায় তোমার পা ফাসিক বেদনায় আটকে পড়ে
পতনের শব্দ হৃদয়ে আসে, তবুও ঢেউ তুলে না-- আজ অনেক বছর হয়ে গেলো আমাদের গ্রীষ্মকাল-- রোদাহত হৃদয়

ওগো দুধসাধা মেঘ তাদেরকে বলো আমারও আছে আকাশনীলা সুখ--
কান্নার মতো চুয়ে চুয়ে আসা কাজল নিয়ত নয়না মুখ

প্রেমিকা ছাতিম ফুলের নিচে আজ হৃদয়ের আসন
ম্যাগনোলিয়ার বুক পকেটে চিরায়ত হাসি
তার কোনো সুখ নেই
তার সুখ থাকতে পারে না
তাহাদের চোখে কেবল বিষন্ন যৌবন
তার ফুল হতে খসে পড়া ভুল
বিলিয়ন বিলিয়ন ভুল নলাতুলা পথে চলে
দোল সুখে হাওয়া খাওয়া তারা জানে না, ঘুমন্ত পুরুষের দুঃসপ্ন দোষ

দিনশেষে সেও জোছনা ও জননী

ছিদ্র দিয়ে চোখ রাখা বারন
দরজা খোলে রাখো রাতভর
একরাত একরাত করে জেনে যাবে ডাকাতির কারন।
ছায়ার রাত শেষ হবে কিসসার মতো, খুব অপ্রেম দেখাবে আকাশে বাতাসে রচনাতীত জীবন 

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৬

জোব

দেবী দশ হাতে সুন্দর হতে পারে, মানুষ দুই হাতেই সুন্দর 

বাতিঘর

জুতার কালার এক হলো না
এক হলো না সবুজ গ্রামের বাতাবি সুখ
পালের তালে সকাল সাজে
বৃষ্টি ভেজা বিকাল মুখ
ভীষন ভীষন মনে পড়ে
বৃষ্টি নামে বৃষ্টি নামে আমার ঘরে
তারা কেবল নাচতে জানে হাসতে জানে
খুব রাতে ভোর রাতের সুর বাজে
ফ্যানের তালে বাতাস ভাসে বাহা পথে
শ্যামা লাটিম ঘুরতে জানে ঘুরতে জানে
চেয়ে থাকি আকাশপথে
বাতাসপাখি উড়াল দিলে উড়াল দিলে 

মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬

সাথে

গরীবের দুঃস্বপ্ন সাপ বা কুকুরের কামড়, টাকাওয়ালার দুঃস্বপ্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন 

সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬

উপর

অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার আগে একবার যেন ভাবি প্রভুর দুনিয়ায় আমিও বড় অপরাধী 

রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৬

গুঁড়া

গভীরে যেতে যেতে ভাসমান হয়ে আসে চোখ, মনের ভেতর ক্রিকেট খেলে শৈশব। হেল্পার ছাড়া বাস কখনো দেখা হয়নি, হেল্পার ছাড়া কতকিছু করে এই মন, বেলা শেষ হয়ে আসে, মেঘের মৃত্যু বৃষ্টি নামে পরিচয় পেতে থাকে, মেঘের বেদনা কেউ দেখে না। সারারাত ঘুমহীন ছটফট করে প্রিয়জন, ঘুমের ভেতর ছটফট করি।

বিশাল বিশাল ছটফট ঘড়িটা কেমন করে সহ্য করে! বাতাসের মতো আকারহীন হলে ঘুমের সাথে কথা হতো সরলরৈখিক ভোরে।

ভোর আর কতদূরে!

প্রিয়জন কান্দে ঘুমহীন সুরে 

ভা

কার সুরে যেন আমার মনতবলা বাজে
আমি যেন তার হয়ে যাই
মন বসে না মন বসে না কাজে