শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯

চিন্তাশীল

চিন্তাশীল হলেন তিনি যিনি অধর ও ওষ্ঠ্যে তালা লাগানোর পর চাবিটাকে সাগরে মাঝখানে ফেলে দেন

রাস্তা

পথিক দেখলেই রাস্তার দুঃখ বেড়ে যায়

সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৯

স্বাধীনতা

আমাদের স্বাধীনতা সর্বোচ্চ সার্টিফিকেট পেয়েছে কিন্তু এখনো চাকরি পাচ্ছে না

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯

ভু ল

মানুষ, ভুল মানুষ চিনতে সবচেয়ে বড় ভুল করে

।।

নির্জন বৃন্দাবন
কৃষ্ণরাধা অচেতন

পুরুষতন্ত্র

পুরুষরা বিয়ের রাত থেকে বউয়ের গলায় পুরুষতন্ত্রের একটা কৃত্রিম মালা ঝুলিয়ে দেয়-- এই মালা সুগন্ধ দেয় না আবার নষ্টও হয় না তবে সমাজ ধরে রাখে। এই সমাজ ধরে রাখা মালা নিয়ে বউরা গৃহপালিত জীব আর তারা জীবের পতি বা স্বামী বা প্রভু।

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

আমাদের অভ্যাস গ্রামের বাড়ি যাবে

বাঁশপাতার চোখ বলতে আপনারা কী বুঝবেন আমি জানি না। আমি জানি কাল ভোর ফুটবে। ঠিক কাল নয়। আজই। একটু পরেই অন্ধকার চলে যাবে গ্রামের বাড়ি। মসজিদে মসজিদে আযান হবে একটু পরেই।লাল আর অসম বিরোধ জলের সাথে যাচ্ছে জীবন যাচ্ছে সময়।

বাঘচোখ বলতে আমরা নদীর গর্জন বুঝি। আমরা বলতে যারা বাঘের মাংস খেতে অভ্যস্ত হয়নি তারা।আমরা বলতে যারা এখনো বাঘের খাবার হয়নি তারা। তারপর হাওয়া আর পলাশের প্রান্তর। একটা লাল রং গিলে খায় সবুজ প্রান্তিক জোন। গলার শীত কমে গেলে ডিসটোপিয়া বন্যা আমাদের গ্রামে বেড়াতে আসে। বেড়ানো তার অভ্যাস। পুরাতন সাইকেল আর টিউবওয়েল পড়ে থাকে ইটের চমকচিত্রে। ইউটোপিয়ান আগামী কল্যানী কর্মকারকে পূজা দিতে আসে রোজ। আমাদের বর্ষাকাল।

‘আমরা কিংবা আমাদের’ বলতে যা বুঝি সেখানেও থাকে বিন্দু বিন্দু বিভেদের দেয়াল। মানুষ তার দেয়াল ভাঙে না। মানুষ তার প্রতিবেশীর দেয়াল ভাঙে। মানুষ প্রায়ই নিজের কাছে নিজে প্রতিবেশী হয়ে ওঠে। সকালের কিংবা ভোরের স্বপ্ন দেখা মন্দ কিছু নয় নিশ্চয়। তারপরেও রাত জেগে জেগে ভোর লালন করে কয়জন!? ক্লান্তিতে নুয়ে পড়া আমলকি চারা জানে বেদনার রং কেন নীল। ভালো বাসতে বাসতে প্রেমিক হয়ে ওঠতে অনেকটা পথ হাঁটা লাগে। সকালকে প্রশ্ন করো। সে মানে সকাল ঠিকই বলে দিবে কেমন তমসা রোদনীল থাকে তার রাত জীবন।

রাত থেকে একটা দিন
একটা দিন থেকে একটা রাত
মানুষ বলবে অন্য কথা

মানুষ অন্য কথা ভিন্ন কথা বলতে পারে বলেই সে মানুষ। মানুষের চোখ আছে বলে মানুষ দেখে না, মানুষ দেখে বলে মানুষের চোখ আছে।

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৯

বনসাই আলাপ

বিজ্ঞান দিয়ে জীবনের দৈর্ঘ্য প্রস্থ মাপতে যাওয়া মানে পা দিয়ে সাগরের গভীরতা নির্ধারনের চেষ্টা। জীবনকে কোনো ফর্মায় থিওরিতে তত্ত্বের মশালে ফেলা যায় না। জীবন তার মতো স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক, সমতল কিংবা বহুতল। তাই বৈজ্ঞানিক জীবন বা বৈজ্ঞানিক দর্শন বলতে আমরা যা শুনে থাকি তাও একধরনের বনসাই আলাপ।

সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯

দুদুমদু কবিতা

একদিন ক্যাকটাসে হেঁটে
চলে যাবো বহুদূর
অনেক অনেক পরে
কলাপাতা দুপুর
দুদুমদু কবিতা দুদুমদু কবিতা

আষাঢ়ের মাসি এসে
সবুজ পাতার দেশে
ঝুমঝুম বৃষ্টি সেজে
নিয়ে যাবে শেষে
দুদুমদু কবিতা দুদুমদু কবিতা

ছাদের এক উঠোন কোনে
কাপড়ের ফাঁকে ফাঁকে
লাল নীল হলুদ রোদে
চোখদের পিদিম ফোটে
দুদুমদু কবিতা দুদুমদু কবিতা

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯

আমাদের আমেনা

আমাদের আমেনা স্কুলে যায় না
আমাদের আমেনা ঠিকঠাক খায় না
আমাদের আমেনা বেশি কথা কই না
আমাদের আমেনা চুপ করে থাকে না
না না না না না
আমাদের আমেনা আমাদের আমেনা
আমাদের আমেনা ক্ষুধা পেলে হাসে না
আমাদের আমেনা চোখে তার জোছনা
আমাদের আমেনা লোকে বলে 'জোস না!'
আমাদের আমেনা চুলে ঢেউয়ে মোহনা
আমাদের আমেনার বড় বড় পাখনা
মেঘপাখি ধরতে
দেশে দেশে ঘুরতে
লোকসেবা করতে
জলকনা সাজতে
আমাদের আমেনা দেখে রোজ আয়না
আমাদের আমেনার আছে কিছু বায়না
আমাদের আমেনা সময়ের উড়না
রোজ তাই বলি ভাই ' আমেনা আমেনা'
সময়ের কাছে আছে আমেনার পাওনা

শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

বিড়ি

যারা এখনো আকিজ আর পাতার বিড়ি খায় তারাই বাংলা ভাষা ও বাংলা জীবনের রিয়েল প্রতিনিধি

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯

বুলেট

মানুষ যা কিছু বানায় তা অবশ্যই নিজেদের জন্যে এমনকি কামান কিংবা বুলেট

বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯

মানুষের হৃদয়

চ্যালাদের চাল হবে ডাল হবে ভাত হবে মাছ হবে, চিলেরও মিলে যাবে মোরগীর ছানা মাছের মাংস মরা গরুর গিলা কলিজা। মানুষের হবে-- মানুষের হবে কেবল ফরমালিনমুক্ত হৃদয়, অবিক্রিত শরীর।

দুঃখ পেলে

দুঃখ পেলে আকাশে চোখ রেখো
একটা তারা জ্বলছে রোজ
নামছে নিচে দেখো
দুঃখ পেলে জানালা খুলে দিও
আসবে বাতাস আমারই মতো
প্রানে টেনে নিও
দুঃখ পেলে কবিতা পড়তে বসো
কাব্য সুখের আলো আসবে
উদার মনে হেসো
দুঃখ পেলে জলের পাশে হেঁটো
ঢেউয়েরা সব গায়বে গান
দুঃখসুতা কেটো
দুঃখ পেলে দুঃখ করো বসে
চোখের জলে কথা বলো নিজের সাথে হেসে

বসন্ত এসেছে বলে বসন্ত আসেনি

রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯

আমি হাসতে পেরেছিলাম কারন কান্নার যথেষ্ট কারন ছিল

ফেরেশতারা

আমি ছিলাম তার কাছে ফেরেশতার মতো। এখন আমি তার কাছে ফেরেশতা। তাই সে আমাকে বিয়ে করেনি। সে বিয়ে করেছে ফেরেশতার মতো কোনো একজনকে।

মানুষ পরিস্থিতির সন্তান

শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯

ছক্কা বনাম

ছক্কা মারলে হাততালি এমনিতে আসবে, হাততালির জন্য ছক্কা মারে না খেলোয়াড়

বেদনায় বেদনায় আঘাতে আঘাতে

মেঘনা নদী। পদ্মা নদী। জলের কল্পনা। জলের আল্পনা। জলের শহর। জলের গ্রাম। জলের পৃথিবী। মেঘনাকে ভুল করে পদ্মা বলে ফেলার মিনিটখানেক পরে আমার ঘুম ভাঙার ডাক বাতাসে আসে। বাতাসের অনেক দায়। দায় থেকে ভারমুক্ত হয়ে দেখি নদীও পালক মেলে মেঘ হয়ে গেছে। মেঘবতী বৃষ্টি হয়ে পৃথিবীর কোথাও উর্বর করবে আগুন পানি মাটি বাতাস। তাই একবার আগুন, কয়েকবার বাতাস, বহুবার মাটি ও পানি হয়ে দেখেছি মানু‌ষের গন্তব্য শেষপর্যন্ত ব্যথায় বেদনায় যন্ত্রনার তীব্র আঘাতে আঘাতে!

মানু‌ষ অভ্যাসের নয়, সমাজের দাস

বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯

সুবিধাভাগী

সুবিধার জন্যে যারা অসুবিধাকে সামনে আনে তারা সুবিধাবাদী, অসুবিধার জন্যে যারা সুবিধার কথা বলে তারা সুবিধাভাগী

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯

শ্রমিকের রাজা

রাজ্যে নতুন আইন হলো। এক রাজ্যে। অবশ্যই সেখানে এক রাজা ছিল। একদা এক রাজা ছিলেন। রাজ্যের আয়তন খুবই ছোট ছিল। এক লক্ষ সাত চল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মতো। জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। মাত্র বিশ কোটি। যেহেতু আয়তন ও জনসংখ্যা খুবই কম ছিল সেইকারনে প্রজাদের খাবার রাজকোষ থেকেই দেয়া হতো।

রাজা নতুন আইন করেন। আইনে বলা আছে সকালের নাস্তা প্রজাদের দেয়া হবে না। রাজা মনে করেছিলেন তিন বেলার খাবার খেয়ে প্রজারা শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান হয়ে যেতে পারে যা তার আসনের জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্তু রাজা প্রেসব্রিফিং করে জানালেন অন্য কথা। রাজা নাস্তা বন্ধ করার ব্যাপারে যে কথা জানালেন তা আপনাদের না জানলেও চলবে। আমাদের মসজিদের হুজুর বলতেন "সব কথা জানতে নেয়, সব কথা বলতে নেয়।"

কেউ কেউ রাজার নতুন আইনকে ভগবানের আইন বলে মেনে নিলেন। কেউ কেউ মানবে না এটা স্বাভাবিক। যারা মানল না তারা শুরু করে মিটিং মিছিল অনশন। তারা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। রাজ্যের বাইরে রাজা যেখানে চা খেতে যান সেই চায়ের দোকানেও তারা সকালের নাস্তার দাবিতে চিকা মেরে দেয়। পোস্টার ভ্যানগার্ডের প্রচার প্রচারনা ত আছেই। রাজা পড়লেন মহা বিপাকে। সমস্যা নেই। আইডিয়াবাজ লোকেরা ত রাজার পাশে আছেনই। রাজার পাশের আইডিয়াবাজরা আবার তিন বেলা নিয়ম করে খাবার খান। সুস্থ সাবলীল তাজা খাবার। ফলে তাদের আইডিয়াও হবে বা হয় টাইম ডি ফিক্টু।

রাজা ঘোষনা দিলেন, ঘোষনা দিলেন সকাল বেলার নাস্তা দেয়া হবে। রাজার আইনকে যারা ভগবানের আদেশ বলে মনে করেন আগের মতোই খুশি হলেন। যারা রাজার আইনকে ভগবানের আদেশ মনে করেন না তারা একটু বেশি খুশি হলেন। খুশির প্রমান হিসাবে তারা আনন্দ মিছিল বের করেন, লাইভে আসেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

নাস্তা নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ায় প্রজারা। রাজাও লাইনে দাঁড় করায় সিভিল লাঠিয়াল। সিভিল লাঠিয়াল নিয়ম করে নানা অজুহাতে প্রজাদের উপর লাঠিচার্জ করে। এইভাবে কয়েকদিন চলতে থাকে। কেউ কেউ আহত হয়ে খাবার নিতে আসতে পারে না কয়েকদিন। কেউ কেউ ভয় পেয়ে খাবার নিতে আসতে পারে না কয়েক বছর।

মানুষ টিকে থাকতে পারে বলে মানুষ টিকে আছে। প্রজারাও খাবার সংগ্রহের নতুন পথ আবিষ্কার করে। তারা বাড়ির পাশের জমিজমা চাষবাস শুরু করে। তবে রাজকোষ থেকে দূরে চলে আসে। রাজকোষ চলে যায় একচেটিয়া সিভিল লাঠিয়ালদের হাতে। তবে রাজকোষ প্রজাদের কাছ থেকে দূরে যায়নি। বিভিন্ন উপায়ে রাজকোষ পূর্ন হয় প্রজাদের ঘামের বিন্দু বিন্দু জলে!