বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১৮

পা হা ড়

পাহাড়কে মাটির চুলা যাতে মনে না করতে হয় তাই যথাসম্ভব দূর থেকে দেখি

টাকার ময়লা

এক‌টি জনগোষ্ঠী প্রতিদিন কী পরিমানে ময়লা খায় তা সেই জনগোষ্ঠীর টাকার শারীরিক অবয়ব দেখেই অনুমান করা যায়

বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

তা লা

তালার ভেতর তালা
চাবির হইছে জ্বালা
ভেতরে ফানুস হাপ
বাইরে থাকা বালা

মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮

খা লি ক ল স

খালি কলস বাজে বেশি বিষয়টা এমন না, খালি কলস কাঁদে বেশি। কারন তার ক্ষুধা পায়।

রবিবার, ২৭ মে, ২০১৮

কা জ

বড় মানুষদের সম্পর্কে বড় বড় মিথ্যা থাকে, মিথ্যাটা তারাই প্রচার করে যারা বড় হতে পারে না। তবে বড়রা মিথ্যা দিয়ে বড় হয় না, বড় হয় কাজ দিয়ে।

শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

ভু ল

বাম হাতে দেখি ডান হাতের ভুল
সাগর চিনে না সাগরের কূল

শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮

প্রশ্ন

মানু‌ষের বানানো ঘর যদি আল্লার ঘর হয় তাহলে আল্লার বানানো ঘর কোথায়?

মূর্তি যদি পালনকর্তা না হয় তাহলে মসজিদ কীভাবে পালনকর্তার ঘর হয়? মূর্তি মসজিদ নির্মান করতে ত একই জিনিস লাগে-- ইট পাথর সিমেন্ট মিস্ত্রি।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

নি খোঁ জ

তার প্রেমে বিভোর হয়ে আছি যাকে দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না উপলব্ধি করা যায় না শব্দে ডাকা যায় না কিন্তু খুঁজতে খুঁজতে নিখোঁজ হওয়া যায়

প্রে ম

গোপন প্রেম মারা যায় গোপনে
গোপন কথা ভাসে চোখের জলে

বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

আব্বার উপদেশ

এই জীবনে অনেককেই অপছন্দ করি কিন্তু কাউকেই শত্রু ভাবি না। কাউকে শত্রুভাবার শিক্ষা আমাকে দেয়া হয় নাই। ছোটকালে অনেক শয়তানি করতাম কিন্তু মারামারি করি নাই।

নিরীহ কারনে আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে মারামারি করতাম। সকালে মারামারি করলে দুপুরে গলাগলি করে গোসল করে একসঙ্গে খাবার খেতে বসতাম। তাই আমাদের মারামারি ছিল আমাদের সম্পর্কের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অবয়ব।

কখনো যদি বাইরের কারো নামে আব্বার কাছে বিচার দিতাম আব্বা উল্টো আমার বিচার করতেন। আব্বা বলতেন,

"কাডে গুনে ধরলে গুনের দুস নাই দুস কাডের।"

মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

প্রিয়তমা রাষ্ট্র আমার

সমস্যার ভাইরাস সমাজে ছড়িয়ে দেন। তারপর যখন দেখবেন ভাইরাস ঠিকমতো কাজ করছে, মানে জনগনকে আক্রান্ত করছে, বুঝবেন আপনার ছড়ানো ভাইরাসে ভেজাল নাই।

তারপর আপনিই আবার এই ভাইরাস ধবংস করার জন্য কমিটি গঠন করেন, সাংবাদিক সম্মেলন করেন, স্কুল কলেজসহ গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানে ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হতে আদেশলিপি প্রেরন করেন। জনগনকে দিয়েই আপনার ছড়ানো ভাইরাস জনগনের সমাজ থেকে তুলে নেন।

এমন কাজটি ধারাবাহিকভাবে করতে পারলে দেখবেন আপনি রাষ্ট্র হয়ে ওঠবেন। তখন আপনার রাষ্ট্রে আমরা নিয়মিত কর দিবো এবং আন্তরিক আনুগত্য প্রকাশ করবো।

ধরা

তোমার সুন্দর ধরা পড়ে গ্যাছে আগুনে
শীতবাতাস তোমার যাবে না আর ফাগুনে

উপোস থাকলে রোজা নয়

উপোস থাকলে রোজা হয়
ঘুম কেন রোজা নয়
শান্তিতে র্ধম হয়
অশান্তিতে র্ধম নয়।। 

দাড়ি টুপি হুজুর হলে
পৈতাকে ব্রাহ্মন বলে
কল্যানে ধর্ম হয় 
পৈতা টুপি ধর্ম নয়।। 

টাকা থাকলে হাজী হয়
জ্ঞান থাকলে কাজী হয়
গরীব কেন উপোস রয়
তার উপোস রোজা নয়।। 

 মানুষ থাকে প্রেমের দলে
প্রেম রাখে দেহ বলে
প্রেমে থাকে আল্লা রাসূল
 অপ্রেমেতে তারা নয়।।

সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

অভি শা প

তোমাকে দেখার সাথে সাথে ভুলে গেলাম আমাকে-- ঝড়ের সাথে বৃষ্টি যেমন।  আমাকে দেখামাত্র মনে পড়ে তোমার কথা-- ঝড়ের রাতের ভয় যেমন।

তোমাকে ভুলে গেলে অভিশাপ দিতে ইচ্ছা করে-- কেন মুগ্ধতা চলে গেল তোমার আকাশ থেকে। তোমাকে মনে পড়লে অভিশাপ দিতে ইচ্ছা করে-- কেন মুগ্ধ হই তোমার এলোহিস্ট দৃষ্টিতে।

আমার প্রথম অভিশাপে তোমার বিয়ে হয়, আমার দ্বিতীয় অভিশাপে তোমার বিয়ে ভেঙে যায়। আবার তোমাকে অভিশাপ দিবো যেন তুমি ফলবতী গাছ হয়ে ওঠো, ফলবতী গাছটি যেন আকাশের কোনো গভীর প্রান্তে বাড়ি খুঁজে পায় যেখানে আমার অভিশাপপাখি ডানা মেলে বাতাস কাটতে অক্ষম।

তাহলে?

তাহলে অভিশাপ দেয়ার দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবো, মাটিতে মিশে যেতে যেতে বলতে পারবো অন্তত তোমাকে অভিশাপ দেয়ার জন্য পৃথিবীতে বেঁচে ছিলাম, তোমার চোখের সামনে বেঁচে ছিলাম,তোমার আশীর্বাদের সামনে বুক পেতে ছিলাম।

শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮

ডানে বামে

সোনম কাপুর। আম্মা সোনম কাপুরের ছবি দেখলেন পত্রিকায়।

আইচ্ছা, বিলাডার নামে কাফুর আছে, সইললে কাফুর অত কম কেরে?

আমার মাথার ভেতর দিয়ে এক‌টি লাল ট্রেন বয়ে গেলো।

আম্মা, যাদের নামের শেষে কামেল আছে দেখবেন কামের শেষে তারা অধিকাংশ জালেম।

আমার কথা শুনে আম্মা এক‌টি মিষ্টি হাসি দিলেন। মায়ের হাসি সন্তানের জন্য কাবা শরীফ জিয়ারতের চেয়েও বরকতময়। সোনম কাপুর পর্যাপ্ত পর্দানশীল হলে এই প্রেমের মাসে আমি বিশেষ বরকতের অধিকারী হতে পারতাম না।

ধন্যবাদ সোনম কাপুরকে, ধন্যবাদ তাঁকে যিনি ডান হাতের সাথে বাম হাতের ব্যবস্থা রেখেছেন।

প্রে ম

শয়তান প্রেমের প্রধান শত্রু। রমজান মাস আসলে শয়তানের দরজা বন্ধ হয়ে যায় প্রেমের দরজা খুলে যায়।

স্বয়ং

কেউ হয়তো জানে না রাতের আঁধারে জন্ম নিচ্ছে অনেক অন্ধকার
কেউ হয়তো জানে না দিনের আলোতে ঘুমিয়ে যাচ্ছে অনেক আঁধার

মানুষ মানিক রতন

সেজদারত মানুষ আমার
আমার  প্রিয় আপনজন
মানুষ মন্দির মানুষ মসজিদ
মানুষ মানিক রতন।।

মানুষ তইয়্যা মসজিদ খোঁজ
এ কেমন তুমি
ফুলের গন্ধে মাতাল তুমি ভুলে ফুলভূমি
ফুলের প্রেমে মগ্নমন জানে গন্ধের কারন।।

মানুষের মনে থাকে দেশ
বাইরে থাকে বেশ
দেশে বেশে সেজদা দিলে মানুষ হয় অশেষ
অশেষ মানুষ অসীম প্রভুর সাথে সদা কানেকশন।।

মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮

সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮

ব ল দ

আমরা একটা গোয়াল ঘরের দিকে যাচ্ছি। গোয়াল ঘরে দুই একটা গাভী রাখা হবে। কারন মাঝেমধ্যে গাভীর খাঁটি দুধের প্রয়োজন হবে। গোয়াল ঘরে বেশিরভাগই থাকবে বলদ। দুধের চেয়ে মাংস উত্তম এতোদিনে মালিকপক্ষ জেনে গ্যাছে। পর্যাপ্ত খড় দেয়া হবে, গরাত দেয়া হবে কচুরিপানা, গামলায় দেয়া হবে পর্যাপ্ত হইল বুসি। মালিকপক্ষের প্রচুর গোয়ালঘর প্রয়োজন, প্রয়োজন অনেক অনেক বলদ।

আমাকেও গোয়ালপাড়ার একজন করা হবে আমি জানি। কিন্তু মালিকপক্ষ জানে না গোয়ালে যাবো বলে শিংদুটো যত্ন করে ট্রেনিং নিচ্ছে বহুদিন ধরে। কিন্তু মালিকপক্ষ আমার শিংদুটো ভেঙ্গে দিবে যত্ন করে। আমিও হয়ে যাবো গোয়ালপাড়ার বলদ। আমিও মাছডালের পরিবর্তে খড় হইল বুসি খেতে অভ্যস্ত হয়ে যাবো।

এমনি করে অভ্যাস তাকে বানিয়েছে মালিক আর আমাকে বানাবে বলদ। 

আ লো টা

আলোটা অন্ধকার দূর করতে করতে অন্ধকারই হয়ে যায়-- এটা আলোর নিয়তি নয়, সীমাবদ্ধতা।

রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮

ওয়াজাদা এক‌টি বিপ্লবের নাম

আরবি শব্দ وجدة, যার অর্থ দাঁড়ায় এমন একজন নারী যে তার অস্তিত্ব খুঁজে পায়। অস্তিত্ব মানে সাহস যা মানুষের মৌলিক গুন। একমাত্র সাহসই মানুষের চরিত্রের মৌলিক দিক যা মানুষের চরিত্রের অন্য দিকগুলোকে হেফাজত করে বা বিকশিত করে তুলে।

তাহলে ওয়াজাদা সিনেমায় কে সাহসী বা অস্তিত্ববান?

অবশ্যই হাইফা আল মনসুর। কারন অনেক। তবে তার দূরদর্শী মানসিকতার সাথে সর্বময় দৃষ্টিকোনের দিকটি গুরুত্বপূর্নভাবে আলোচনার দাবি রাখে।

ওয়াজাদা এক‌টি সিনেমা। দশ বছরের এক‌টি মেয়ের সাইকেল কেনার কাহিনিকে মূল বিন্দু ধরে সৌদি আরবের জীবনাচার তুলে ধরার প্রয়াসই ওয়াজাদার প্রধান চরিত্র। এই সিনেমার লেখক ও পরিচালক হাইফা আল মনসুর। হাইফা আল মনসুরের বাবা একজন কবি। ফলে ছোটকাল থেকেই সৌদি আরবের ধুলাবালির ভেতর যে জীবননাশকারী সাপ লুকিয়ে আছে তার সন্ধান পেয়েছিলেন হাইফা আল মনসুর। তাইতো নির্মান করেন প্রথার বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষনাকারী সিনেমা ওয়াজাদা।

ওয়াজদা এক‌টি সাইকেল কিনবে। তার সামাজিক প্রথা বলে মেয়েদের সাইকেল কেনা যাবে না। ওয়াজদা সামাজিক প্রথা মানতে রাজি নয়। তার বন্ধু আবদুল্লাহ তাকে সাইকেল শিখতে সহযোগিতা করে। ওয়াজদা বিভিন্ন উপায়ে টাকা জমাতে থাকে। সবুজ কালারের সাইকেলটি কিনতে ওয়াজদার আটশত রিয়াল প্রয়োজন। সে সাতশত তের রিয়াল সংগ্রহ করেছে এবং সাতাশি রিয়াল মাকে দেয়ার জন্য অনুনয় করে। কিন্ত তার মা সাইকেল কেনার ব্যাপারে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

পাঠশালার কুরান প্রতিযোগিতায় ওয়াজদা প্রথম পুরস্কার পায়। পাঠশালার চেয়ারম্যান তাকে অভিন্দন জানায় এবং জানতে চায় পুরস্কার হিসাবে পাওয়া এক হাজার রিয়াল দিয়ে সে কী করবে।
ওয়াজদা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে সে এক‌টি সাইকেল কিনবে। চেয়ারম্যান তার উপর রেগে যায়। কারন চেয়ারম্যানের পাঠশালা মেয়েরা রাস্তায় সাইকেল চালাবে এমন অনুমতি দেয় না। তাই সে পুরস্কারবাবদ এক হাজার রিয়াল পায় না। কিন্তু ওয়াজদার মনে প্রশ্ন থেকে যায় তার বন্ধু আবদুল্লাহ যদি রাস্তায় সাইকেল চালাতে পারে তবে সে কেন নয়! তার মনের প্রশ্ন এক সময় বিজয়ের মুখ দেখে। ওয়াজদা রাস্তায় সাইকেল নিয়ে বের হয় এবং তার বন্ধু আব্দুল্লাহকে অনেক পেছনে ফেলে প্রধান রাস্তার বড় বড় গাড়ির সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয় ওয়াজদার সাইকেল।

সিনেমার ব্যাপ্তিকাল আটানব্বই মিনিট। চমৎকার অভিনয় করেছে ওয়াজদা, রিম আব্দুল্লাহ মানে ওয়াজদার মা, ওয়াজদার বন্ধু আব্দুল্লাহ। তারা কাহিনির সাথে মিশে যেতে পেরেছে। সিনেমা দেখতে দেখতে কখনো মনে হয়নি কোনো চরিত্র অভিনয় করছে, মনে হচ্ছে বাস্তবিক চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো কাহিনিপ্রবাহ। এর জন্য অবশ্যই ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ দিতে হয়। সৌদি আরব সিনেমাটি নির্মানের অনুমতি দিলেও সৌদি আরবের জনগন সিনেমা নির্মানের মানসিকতা লালন করে না, তার উপরেও আরেকটি কথা আছে-- হাইফা আল মনসুর একজন নারী। নারী রাস্তায় নেমে ডিরেকশন দিবে, তাও আবার সিনেমার কেরেক্টারদের! অসম্ভব! একদম অসম্ভব!!

আর এই অসম্ভব কাজটি সম্ভব করলেন হাইফা আল মনসুর। তার জন্য অবশ্যই তাকে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। তিনি ভ্যানে থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে ডিরেকশন দিয়েছেন। ফলে দেখা যায় আউটডোর শট থেকে ইনডোর শটগুলো বেশ পরিচ্ছন্ন।

পরিবেশ দেখানোর ব্যাপারে ডিরেক্টর যথেষ্ট মার্জিত। ডিরেক্টরের মূল দৃষ্টি ছিল সৌদি আরবের কালচারে নারীর অবস্থান।

ঘরে ঝুলানো বংশ তালিকায় ওয়াজদার কোনো নাম নেই। কারন সে মেয়ে। ওয়াজদা তা মেনে নেয়নি, ওয়াজদা ঠিকই তালিকায় নিজের নাম লিখে দেয়। মাথায় স্কার্ফ পরে যাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক আদেশ দেয় পাঠশালা। ওয়াজদা তাও মেনে নেয়নি। একটি ছেলের জন্য ওয়াজদার বাবা আরেকটি বিয়ে করতে চায়। ওয়াজদা তাও মেনে নিতে পারে না। ওয়াজদা তার মাকে লাল পোশাকটি মার্কেট থেকে কিনে তার বাবার মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়। কারন ওয়াজদা মনে করে লাল পোশাকটিতে তার মাকে সুনিপুন অপরূপ দেখায়। কিন্তু তার মা লাল পোশাকটি কিনে নাই, লাল পোশাকের জন্য যে টাকা তার কাছে সঞ্চ‌িত ছিল তা দিয়ে কিনেছে ওয়াজদার জন্য সাইকেল। ওয়াজদাই এখন তার সব, সব ফেলে তার স্বামী চলে গ্যাছে দ্বিতীয় বিয়ের কাছে।

সৌদিজীবনাচার আর আধুনিক জীবনবোধের দ্বন্দ্ব দেখানোর জন্য ওয়াজদার সাইকেল কেনার ইচ্ছাটি মূলত রূপক।

সালাতের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে এমন সময় ওয়াজদা তার বন্ধু আব্দুল্লাহকে শিষ দেয়। সৌদিজীবনাচারে মেয়েদের শিষ দেয়া এমনিতেই নিষিদ্ধ তাও আবার সালাতের জন্য মসজিদে যাচ্ছে এমন এক‌টি যুবককে। এমন করে অনেক নিদারুন সুন্দর আচরন করেছে আধুনিক জীবনের প্রতিবিম্ব ওয়াজদা। প্রতিষ্ঠাকে প্রশ্ন করে ওয়াজদা সফলও হয়েছে, কেবল সফল হতে পারেনি হাজার বছরের পুরাতন পুত্রলিস্পা বাবার কাছে।

শনিবার, ১২ মে, ২০১৮

প্রসঙ্গ

প্রস্থে বেড়েছে বহুগুন
হয়েছে বস্তা সস্তার চেয়ে আগুন
দৈর্ঘ্য আছে আগের মতন মামাবাড়ি আম
মনমূল্য পুরাতন গলি হ্রাস পেয়েছে দাম

তুলনা

মাথার চেয়ে যে দেহের বিকাশ আগে ঘটে সেই দেহ মাথাকে শান্তিতে থাকতে দেয় না

শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮

রপ্তানি

ঘুষহুরকে গালি দিতে ঘুষহুর হওয়া লাগে না, আবার হুজুরকে সম্মান করতেও হুজুর হতে হয় না

বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮

প্র তি বা দ

আমাদের মেয়েদেরকে বানানো হয়েছে প্রকৃতির মতো, গাছের মতো, বাতাসের মতো। সব কিছু সহ্য করবে তারা নীরবে নিভৃতে। মেয়েরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে কেমন যেন পুরুষ পুরুষ লাগে।

রাতভর

আমাদের গল্পরা মাঝরাতে বেড়াতে এসে সকাল করে বাড়ি ফিরে

বুধবার, ৯ মে, ২০১৮

বিজয় সিংহ দীঘি

ফেনী নদী। ফেনী নদীর মায়ের বাড়ি ত্রিপুরার পর্বত। মায়ের বাড়ি থেকে সে বাবার বাড়ি বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।  ফেনী নদী থেকে ফেনী জেলার নামকরন। মুহুরী নদী আবার ছোট ফেনী নদী নামে লোকালয়ে পরিচিত।

ফেনী জেলার অন্তরে মহিপাল এলাকায় ধপধপ করছে বিজয় সিংহ দীঘি। আয়তন ৩৭.৫৭ একর। রাজা বিজয় সেন অত্যন্ত আরাম করে এই দীঘি খনন করেছিলেন।

এই দিঘীর খনন নিয়ে অনেক কিংবদন্তী প্রচলতি রয়েছে লোকালয়ে। যে জ্বিনদের সহযোগিতায় এই দীঘি রাজা খনন করেছিলেন তাদের কেউ কেউ এখনো এই দীঘির আশেপাশে অবস্থান করে বলে অনেকের মতামত।

বিজয় সিংহ দীঘি রাতের বেলা একরকম, সকাল বেলা আরেক রকম, বিকাল বেলা আবার অন্য রকম। প্রত্যেক সময়ে প্রত্যেক মুহূর্তদৃশ্য লক্ষ করা যায় তার শরীর অবয়বে।

এই দীঘির চারপাশে রয়েছে কবর। বৃষ্টির জলে কবরের মাটি দীঘির জলে এসে পড়ে। তাই দীঘির জলকে হাড়ধোয়া জল বললে ভুল হবে না। তবে এই বিজয় সিংহ দীঘির প্রধান আকর্ষন কাকডাকা নীরবতা, অন্ধকারমাখা তরলতা, সূর্যমাখা প্রিয়তা।

মানুষ তবে ভালো চিনুক

ভালো মানুষদের জানতে হয় তার পাশে ভালো মানুষ কারা, খারাপ মানুষদের জানতে হয় না তার পাশে খারাপ মানুষ কারা।

ভালো মানুষ  তার পাশের ভালো মানুষদের না চিনলেও খারাপ মানুষ ঠিকই তাকে চিনে রাখে এবং চিনে রাখার মাশুল ভালো মানুষটি ভালো করেই পায়।

একা ভালো মানুষ কখনো ভালো মানুষ নয়, একা পশু সব সময় একাই পশু।

মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮

দেহের মাহফিলে

মরে ত যাবই সই
কেন তবে মরনের কথা কই
চলো একটা রাত আঁকি
চোখে মুখে ঠোঁট রাখি
ফুল ধরি জাল ফেলে
গান হই গলা তুলে
প্রেমের জিকির তুলি দেহের মাহফিলে

মহানগর প্রভাতী

মাইশা। ওর নাম মাইশা। বাবা পুলিশ। মা গৃহিনী। মাইশার সাথে আমার দেখা ট্রেনে। আমাদের পেছনের সিটে তাদের সিট। আমরা একটি ঝড়কে ধরবো বলে চিটাগাং যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঝড়কে ধরতে পারিনি, পেরেছি এই ঝড়কন্যাকে হালকা উপলব্ধি করতে।

এই ঝড়কন্যা ক্লাস টুতে পড়ে। প্রথম দেখাতে মনে হয়েছিল মাইশা জমানো চুপচাপ এক বরফের নাম। ক্লাস টুতে তার রোলনং দুই। সে চায় ক্লাস থ্রিতে তার রোলনং হোক তিন। ক্লাস ওয়ানে তার রোলনং ছিল এক। যখন তার বরফ গলে গেলো তখন সে নদী হতে পারতো, হয়েছে সাগর, তাও আবার আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তাল ঝড়।

এই ঝড়কন্যা আমাকে সিটে বসে থাকতে দেয়নি। তার মতে আমি আল্লার চেয়েও কালা।

আমি বললাম "আল্লা কালা এই কথা তোমাকে কে বলছে?" সে বলে সে নাকি প্রতি রাতে আল্লাকে দেখে।

আমি বললাম আমি যেহেতু কালা সেহেতু আমার থেকে দূরে থাকো, তুমি তোমার সিটে বসে থাকো।
সে বলে তর কাছে থেকে তোকে মারব এটাই আমার আনন্দ।

তার আনন্দ সহ্য না করতে পেরে আমাকে অবশেষে আমার সিট থেকে ওঠে যেতে হয়েছে। যেহেতু ফাস্ট ক্লাস কামরা সেহেতু এখানে সভ্যদের ভীড়। এই ঝড়কন্যাকে ইগনোর করবে এমন মহান শক্তি কারোই ছিল না। সবার দৃষ্টি এই ঝড়কন্যার দিকে, সবার মুখে মৃদু হাসি।

ঝড়কন্যা আমার সিট দখল করে। এখন তার দুইটা সিট। প্রায় শেষের দিকে আমি আমার সিটে আবার বসতে পারি কিন্তু এর জন্য আমাকে ঝড়কন্যার অনেক আনন্দ সহ্য করতে হয়েছে।

ঝড়কন্যা ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার সময় আমাকে একটা নাম দিয়েছে। নামটা হলো কালোমাছি। ট্রেন থেকে নামার সময় তার কনিষ্ঠতম আঙ্গুলটি আমার চোখের সামনে এনে আমার কনিষ্ঠ আঙ্গুলের সাথে মৃদু স্পর্শ করে আস্তে করে বলে "আড়ি"।

আজকে মনে হচ্ছে সত্যিই ত "আড়ি"। তার সাথে ত আমার আর দেখা হবে না, দেখা হলেও সে তখন অনেক রঙ চিনে ফেলবে, অনেক রঙ্গের বাহারে এই কালোমাছির দৃশ্যত রঙ তার চোখে পড়বে না!

সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

বাং লা দে শ

বাংলাদেশে বড় হওয়া মানে পাওয়ারের অধিকারী হওয়া। যার কাছে পাওয়ার আছে সেই সবচেয়ে বড় মানুষ। একসময় লাঠির পাওয়ার খুব গুরুত্বপূর্ন ছিল। এখন টাকার আর প্রশাসনিক পাওয়ার খুবই গুরুত্বের দাবিদার।

কোনো মানুষ যখন এই তথাকথিত গুরুত্বপূর্ন পাওয়ারের দিকে যেতে থাকে তখন অন্যরা মানুষটির লেজে ছাই দিয়ে ধরে পেছনের দিকে টানতে থাকে। সকল টান উপেক্ষা করে মানুষটি যখন পাওয়ারের অধিকারী হয় তখন অন্যরা মানুষটির লেজে তেল ঘি মাখতে শুরু করে।

বাংলাদেশের মানুষ আসলে পায়ের নিচে রাখা আর মাথার উপরে রাখার কাজটা ভালো পারে, বুকে টেনে রাখবার কাজটি এখনো শিখে উঠেনি।

রবিবার, ৬ মে, ২০১৮

শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮

ইনবক্স

ফেইসবুকের ইনবক্সে সে নাগরকে খুঁজে পেলো যে অনেক প্রেম পাকায়। কয়েকদিন পর এই নাগরই হয়ে গেলো নাগরাজ যে অনেক বিষ পাঠায়।

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮

বিড়াল ভোগে থাকলে ইঁদুর শান্তিতে থাকবে না স্বাভাবিক

বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার প্রয়োজন নেই। ঘন্টা বাঁধার কাজটিও বিড়ালের  সাথে একধরনের আপোষ করা। সাক্ষাৎ শত্রুর সাথে কোনো প্রকার আপোষ থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না।

বিড়ালের গলায় ঘন্টা না বেঁধে বিড়ালের  গলা কেটে ফেলা আবশ্যিক কাজ।

বিড়াল বহুবছর যাবৎ অলস হয়েও রাষ্ট্রের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে, কৃষকের গাভীর তাজা দুধ খাচ্ছে চুরি করে।

বিড়ালের অত্যাচার আর সহ্য করা যাবে না। বিড়ালকে পৃথিবীছাড়া করেই পৃথিবীর সত্যিইকারের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে।

সত্যিকারের স্বাধীনতা কখনো অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন নয়। কারন স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হয় না, স্বাধীনতা নিজেই তার অনুসারীদের রক্ষা করে।