সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

আমাদের ঘরে শব্দের দেহ

যে একলা একলা হয় না মানুষ তার সাথে বসবাস করে, একলা হয়ে গেলে শব্দের প্রয়োজন ন পড়ে ন পড়ে, সব কিছু শব্দ করে, সূর্যের শব্দ আসে না কানের ঘরে, তবু কানে থাকে কানামাছি বু বু প্রজাশ্রমিক সাপলুডু 

আমাদের দেখা হবে কোনো এক শীতমাসে

শহরের জ্বর থেমে গেলে সভাজন বসে ঘাটে
প্রার্থনা পাঠিয়েছি ডাকে
প্রার্থনা পাঠিয়েছি বাতাসে
পেয়ে যাবে কোনো এক রাতে
মন্দিরে সুখ নেই
সুখ নেই মসজিদে
সুখ নেই বানানো যতসব অভিধানে
সুখ আছে প্রেমিকের কান্নায়
আম্মার রান্নায়
আব্বার সকালের বাজারে
জ্বর আসে শহরে
জ্বর আসে বাতাসে
জ্বর আসে প্রেমিকার শীতকালে
শহরের মাথায় জল দিবে কেউ নেই
শহরের মাথায় হাত দিবে কেউ নেই
শহর মারা যাবে এইভাবে ঠিক এইভাবে জ্বরে আর শোকে
আমার প্রার্থনায় বেঁচে রবে তুমি এইভাবে ঠিক এইভাবে কাল থেকে কালে
আমাদের দেখা হবে কোনো এক পৌষের কোনো এক কুয়াশার কোনো এক দোকানে

সচেতনতা

অনেক সার্টিফিকেট মানুষকে সচেতন বানাতে পারে না, সচেতনতা একটি অভ্যাস যা মানুষ ধীরে ধীরে অর্জন করে। সচেতন মানুষমাত্র বিপ্লবী মানে কল্যানকামী কৃষক। 

শ্লোক

শাড়ি খুললে স্বদেশ
শাড়ি পরলে বিদেশ 

রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭

উত্তরের বাতাস

তোমার জানালায় উত্তরের বাতাস
আমার হৃদয়ে গ্রীষ্মানল আকাশ 

ছায়াময়ী বেহুলা আমার

ছায়াময়ী বেহুলা আমার অনাদিকাল নামে শীতকালে বিথারি
বৃষ্টির কাল শেষে বেহুলার সাথে দেখা হয় শব্দে, আস্তে করে বললে ''বিরক্ত কেন করছেন?"

আগে 'বিরক্ত' তারপর 'কেন' তারপর 'করছেন'

প্রথমে বিশেষ্য তারপর প্রশ্নবোধক তারপর ক্রিয়া

জানো, ক্রিয়ার আগে বিশেষ্য এনে বনলতা সেন কম্পন তুলেছিল জীবনানন্দের হৃদয়

আমিও কম্পিত হয়েছি বরফ গলা নদী-- কথা নেই শব্দের জোয়ার নেই, সূর্যের তাপ নেই, চোখে ভেসে আসছিল বারবার আমাদের ঘাসময় জীবন, কেবল চোখের ভেতর খেলা করতে থাকে তোমার পুনশ্চ কাল।

ভুলে গেলে বাচাল নদীর কালাম?

বাচালতা থেমে গেলে তারাগাছ সবুজ হয়ে ওঠে আকাশমাঠে
আশীর্বাদ চাষাবাসে রূপালি হয় ধান বৈজ্ঞানিক হলুদ নামে ঠোঁটের ফাঁকে
কুয়াশার দ্বন্দ্ব ভুলে এসো কথামনে দেখা হোক চোখের সাগরে আনমনে
আমার ইশ্বর জানে তোমাকে চাই আমি আমার অনাদি জীবনে

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

শতাব্দীর পর

অর্ধ শতাব্দীর পর মানুষের নাম বদলে যাবে
যার গতরে পাঞ্চাবি আর মাথায় টুপি দিয়ে বলছো 'হুজুর' তার নামও বদলে যাবে

কয়েকটি মন্ত্রের দোহাই দিয়ে প্রনাম পাবে না কেউ, ঠাকুরঘরে আর কেউ কলা খেতে যাবে না

যার পায়ে নূপুর কপালে কালো টিপ হাতে চুড়ি দিয়ে অত্যন্ত আদুর করে ঘরের বিলাসী আসবাব করা হয়েছে তার নামও বদলে যাবে, তোমার ঠোঁট হবে না কোনো কাঁচা মাংস কিংবা কারো কামের আগুনে ছেঁকাবদ্ধ শিককাবাব

তখন তোমার নাম হবে আকাশ, আকাশের কোনো এক বনে হবে তোমার বসবাস। বনে বাস করলেই কারো নাম শকুন্তলা হয় না, সব বনে রাজা দুষ্মন্ত থাকে না, বন মানেই সকালের একটা রং, রং মানেই চরম নির্জনতা, একটা অখন্ড ভ্রমন

তোমার নাম পদ্মপাতাও হতে পারে, সারাটা সময় জড়িয়ে ধরবে জলের মিলন,তোমার নাম মানুষ কিংবা নারী হবে না, তোমার নাম হবে ভোর, সূর্যের কালিমা শরীরে তোমার থাকবে না থাকবে না হৃদয়ে তোমার অন্ধকারের লকলকে আড্ডা।তোমার নামে থাকবে না মাতাপিতার অলিখিত কলঙ্ক

তোমার নাম 'আমি' হলেও জানবে আমার কোনো দেশ কাল নেই তবে নাম তোমার মানুষ হবে না, মানুষের ঘরে মানবিক কোনো দরজা থাকে না, মানুষের আদালতে মানুষের নাম এক লাঞ্ছনা

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

হরতালের দিন

আমাদের হরতালের দিন কেউ রাস্তায় নামেনি, ঠিকই একটি পাখি রাস্তায় নেমেছিল এবং সবদিক কম্পিত করে বলেছিল ' হরতাল মানি না'। দুঃখের বিষয় আমরা কেউ পাখির ভাষা বুঝি না। 

বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

শিক্ষক

শিক্ষক কেবল শিক্ষক না এক অভিজ্ঞতার পাহাড় যেখান থেকে আকাশ খুব চোখে নেমে আসে

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

জীবন যেখানে

জীবন যেখানে ছোট সেখানে বড় বড় ওয়াদা পাতার উপর জলের শব্দ

বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

Dream

I am learned how to walk towards the rossy lips of my dream, Used to have sweet breast of my dream, I am nothing when my dream is anything

বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

রাত বেরাইতে আমার চোখে কালো চশমা

দেখছি ইদানিং মান্দারও জাল বুনে নিজের দেহে
জাল বুনে সে আগে থেকেই হয়তো
জাল বুনে সে কারন কুয়াশায়
মান্দারের জাল বুনন দেখবো বলে কার্তিক মাসের ভরা জোছনায় জন্ম হওয়ার কথা ছিল আমার
তা হয়নি
হতে পারত
I have ever thought
Nature does nothing so great for the great men
পৃথিবীতে আসলাম দুই তারিখ অগ্রহায়ন দুপুর দুইটায়
জলের শব্দ থেমে যায়
মেঘনা চুপিচুপি বেরাতে আসে আমার নির্জন গাডায়
হলুদিয়া পাখি বিমানের মতো নাথফুল পরে
শব্দের গতর থেকে অন্ধকার থেমে থেমে নামে
ইন্দুরের লগে আম্মা আমার দুস্তি করায়
আমিও তহন ইন্দুরের লাহান দিনে একবার ঘুমাই রাতে দুইবার ঘুমাই
নিয়ম মেনে বিলাইকে ভয় পাই
বিরাট ঝড় এল
আনত ঠোঁটে নামে মাটির ঘ্রান
আলাবালা প্রেমে চুলে হাত রাখে তর্জনী
বিলাই আটকে গেল আমার পায়ের নিচে
আমার পায়ের নিচে জন্ম নিল দুইয়ের অধিক বিলাইছানা
তারপর থেকে পৃথিবীর তাবৎ বিলাই আমাকে পীর মানে
হুজুর কেবলা আমি বিলাইয়ের সাথেও থাকি ইন্দুরের সাথেও থাকি
রাত বেরাইতে চশমা পরি
ইন্দুরের মুখ দেখি
বিলাইয়ের চোখ ঢাকি

সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭

সমস্যা আর সমস্যা

সমস্যার পর সমস্যার কথা বলে রোগীকে মানসিকভাবে দুর্বল করা যায়। রোগীর সমস্যা কিন্তু একটাই।

হয়তো আপনি বলবেন মাথা ব্যথার কথা, পাশাপাশি পেট ব্যথার কথা হয়তো চোখে কম দেখার কথাও বলতে পারেন। আসল কথা হচ্ছে রোগীর বুডি ফাংশন ঠিকমতো কাজ করছে না।

তা এতো সমস্যা না দেখে, একটি সমস্যা আবিষ্কার করতে পারি আমরা, কাল থেকে শুরু করতে পারি আমার চোখে আবিষ্কৃত সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক পদক্ষেপ।

এডিশন হয়ে যেতে পারি আমরা যিনি সমস্যা নিয়ে গোল টেবিলে বসেন নাই, বসেছেন চিন্তাঘরে একা একা। তারপর তাঁর  চিন্তা সফল হলো, অন্ধকারের রাত হয়ে গেল প্রায় দিনের মতো। এখন রাতেও আমরা গোল বলের ক্রিকেট খেলি আর হুঙ্কার দিয়ে বলি মার ছক্কা হেইয়্যা।

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

বিলুপ্ত নগরী

বিলুপ্ত নগরী প্রায় দেখতে যাও তুমি
তুমি জান কী
কারো কাছে তুমিও বিলুপ্ত নগরী 

শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

অনেক দিয়ে অশেষ করে আমাকে মুগ্ধ করো

টাকা দিয়েছো ইচ্ছা দাওনি তার
ইচ্ছা দিয়েছো টাকা দাওনি আর
আকাশ দিয়েছো পাখা দাওনি উড়িবার
পাখা দিয়েছো শক্তি দাওনি তার
মাথা দিয়েছো ব্যথাও দিয়েছো আবার
ফুল দিয়েছো কাঁটাও দিয়েছো তার
মন দিয়েছো প্রেম দাওনি তার
প্রেম দিয়েছো মন পাইনা একবার
মাও করেছো কষ্টও দিয়েছো বারবার
বাবা করেছো বৃষ্টি দাওনি তার
সব দিয়েছো যারে সময় দাওনি গুনে মানে
বরফের ঘরে মানুষ বাঁচে অসীম শুন্যতা মনে
অসীম অসম মিলে গেলে তাই আমি অসহায়
তোমার ঘরে রোদ নামে আমি থাকি কান্নায়

শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭

দেখাতে পারি দেশ অনেক উন্নত

তাই ত হলো
বৃষ্টি হলো এনাফ
কাদা মাখামাখি হলো ফুটবল
টব ঝুলানো হলো বারান্দার গ্রিলে
নদীকে আনা হলো বিস্তরভাবে অলস মনিটরের হালখাতায়
সাইকেল চালাতে গিয়ে সুবোধ ভুলে গেল মেঘনা নদীর সরল মাছের কথা
অধ্যাপক ভালো আছে
কুয়াশা ভালো আছে
চাকরির পড়াশোনা ভালো আছে
কেবল সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কোথায় যেন চলে গেল মানুষের প্রিয় ছয় ঋতু
মেরুদন্ড বেয়ে নোনা জল নামে
প্রেমিকার মুখ ভরে যায় ঘামে
লিপস্টিক কাঁপানো ঠোঁটের পাতায় শ্রাবনের কাক ডাকে
আবহাওয়া অফিসে সন্ন্যাসচর্চা চলে অবিরত
মানুষ অনেক ব্যস্ত অফিস অনেক ব্যস্ত নিউজরুম অনেক ব্যস্ত
একটু পরে একটু পর পর হেড অফিস লাইভে যাবে দেখাবে দেশ অনেক উন্নত

বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

নামিকা

রাতের মতো যারা হাসতে জানে না তাদেরকে আমি বিকাল বলি

আমার মায়ের শরীর

গল্পটা বলা যেতে পারে। গল্পটা এক সঙ্গীতকার আর এক বকরির। গভীর জঙ্গলে লোকটি মৃদন বাজায়। মৃদন ঢোল জাতীয় বাদ্যযন্ত্র। লোকটি যখন মৃদন বাজাতে থাকে এক বকরি এসে হাজির হয়। যতক্ষন লোকটি মৃদন বাজায় ততক্ষন বকরিটি কান পেতে বাজনা শুনতে থাকে।

একদিন লোকটি বকরির কাছে জানতে চায় "আমার সুরসঙ্গীত কী তোর কাছে খুব ভালো লাগে যে প্রতিদিন আমার কাছে এসে মনোযোগে বাজনা শুনতে হয়?"

বকরি বলে "তোর বাজনার সুর তাল লয় আমি কিছুই বুঝিনা"

তাহলে?

বকরি এবার বলে আসল কথা। বকরি বলে "তোর বাদ্যযন্ত্র বানাতে যে চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে তা আমার মায়ের শরীর থেকে এসেছে"

তোমার প্রার্থনা আমার বাড়ি

অনেক রাতে ভোর নামে। ভোর আসলে সত্য ও মিথ্যার মিঠাই সন্তান। পাগল খুঁজে সাদা কাগজ, মায়ের দুধের মতো সাদা কাগজ। একটা কলম এই সময়ে রাতের অন্ধকারে কোথাও নেই। রাতের অন্ধকারে কেউ থাকে না, সবাই গভীর ঘুমে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, ফোন অফ রাখে প্রিয়তমা পর্না। কিন্তু একটা কলম তার খুব দরকার। দরকারের সময় দরকাররা কোথায় যেন পালিয়ে যায়।

আমার অপরাধ তোমাকে আলোতে নিয়ে আসা। জীবন আলোতে ম্লান হয়ে পড়ে। এই ত আমরা মায়ের জঠরে অন্ধকারের মতো আলোতে ছিলাম, আলোর অন্ধকারে ভালোই ত ছিলাম। অন্ধকারে যে মালতী ফুল ঘ্রান দিতে আসে তাই মানুষের শীতনিদ্রা। পৃথিবীতে এসে মানুষ ভুলে যায় হাওয়ায় রাত, মানুষ হত্যা করে চলে দৃশ্যের পর দৃশ্য। দূর থেকে দৃশ্য হত্যা করা অনেক কঠিন প্রিয়তমা। তুমি ত দৃশ্যহত্যার আগেই জীবন বিমা চালু করেছো আপনার লাগি।
অনেক রাত।
পাতার শব্দ কানে আসে।
পাখিরাও মানুষের মতো অক্টোপাস, পলিপাস রোগে শ্লেষ্মা আনে পৃথিবীর মাটিতে অনাচারে অনাকাঙ্ক্ষিত বোধগম্য বোধে।

আজ প্রথম তোমার শব্দ শুনলাম। অনেক বছর তোমাকে দেখেছি দূর জঙ্গলে ঝাপসা ঝাপসা-- তুমি এক পিচঢালা রাস্তা-- শান্তিতে অনেক গরম, অশান্তিতে হিমেল শীতল। তাই পাগল সাদা কাগজ পেয়ে যায়, বেঁচে থাকার শোকে খালবিল রচনা করে একবার বহুবার বাট নট বারবার।

মানুষ নিজের আয়নায় মুখ দেখে কথা বলে অবিরত। কিন্তু তারা কারা যারা ভোর রাতে মেলা করতে আসে গাছের নিচে? তাদের ঘরেও কী আত্মরতি উৎসব? এক অজানা প্যাকেজ অনুষ্ঠান চলতে থাকে হৃদয়ে হৃদয়ে আয়নায় আয়নায়-- কেনেডি হত্যা আমাকে একটু হলেও বিচলিত করে। কারন বৈঠক শেষে কিছু শান্তি রোপন করেছিলাম তার চোখে।

গরম নামে আবার, মাছ ওঠে আসে ডাঙায়। আপনি ত চুপ করে বসে থাকার লোক নন জনাব। চুপচাপ হলে ওডিসি রোগে নিজেকে পুতুল করে ফেলেন, তাই না?

কার কাছে হাত পাতি প্রিয়তমা আমার, সব হাতে হৃদয় থাকে না অর্থের বাসনায়।

চোখে ঘুম নামে।

হাতের কলম থেমে যায় ক্লান্তিতে ঘুমে ঘুমে অবসর বিষন্নতায়।

মেঘদল একটানা পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায়। কে তুমি স্বপ্ন আমার এক পীঠ চুল নিয়ে চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যাও-- আমাকে থেমে যেতে হয়, আমাকে থেমে যেতে হয় কৃত্রিম আলোর মোহনায়।

চোখে ঘুমের ঢল নামে, অনেক নবগ্রাম ঘাসের আদলে ঢেকে রাখে মুখ, বুঝাতে পারিনা কোনমতে,বৃষ্টি নামে বৃষ্টি নামে মানুষের ঘরে। তুমি নীল নিয়ে দরজা খুললে অবশেষে।

সূর্য আসবে এখুনি, কান পেতে থাকি ভ্যাপসা অন্ধকারে, কালোফুল গন্ধ ছড়ায় অনর্গল। একাধারে গল্প থাকা সত্ত্বেও পুলিশ গুলি চালায় মিছিলে। মানুষ আসে না মানুষ আসে না, পানির তৃষ্ণা নিয়ে চোখে মরুভূমি নামে, খেজুর গাছের চাষ শুরু হবে শীঘ্রই-- প্রার্থনা শেষ হলে আমিও তোমার, আমিও তোমার অথবা তোমার প্রার্থনায় বেঁচে থাকি আমি

মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

অনেক রোদ তোমার চোখে এসে রাত হয়ে যায়

অনেক বেদনা নিয়োগ করে প্রিয়তমা আয়নাকে চিনি
আয়নাকে দেখা হলো
আয়নাকে এমন করে দেখা হয়ে যায়
আমাকে দেখা হয় নাকো আয়নার
যার জন্য মালতী ফুল রাখি থরেবিথরে
যার জন্য এক জীবন সাগর জমা হৃদয়ের ঘরে
সেও বাতাসের মতো পিচ্ছিল
সেও মানুষের পথে বড় দুর্লভ অনাচার
অর্থকরী মানুষ
নিয়মবাহী সাইকেল টুংটাং টুংটাং করে
বড় করে দেখে নাকো সাগরের মেঘ
মেঘদল হয়ে ছুটাছুটি করে জঙ্গলে পাহাড়ে জীবন এক আকাশের নাম, জীবন এক তৃষ্ণার সমান
পাহাড়ে না হয় না গেলে
জঙ্গলে না হয় না রাখলে পা
মেয়ে না হয়ে মানুষ ত হতে পারতে অনেক রাতে একটা নিষ্পাপ চোখে
হলে না, হতে পারলে না
অনেক নাপারা ইচ্ছা মানুষের ঘরে এসে বেগুন হয়ে গেলে সকালের নাস্তা ভালো হয়, ফ্রিজ আলমারি বেডরুম চকচকে দেখায়

তুমি বরং ঘরে থাকো আগুনের সাথে চুলার সাথে বিড়ালের সাথে
তোমার বন্ধু হবে একটা কালো টিপ প্রায় কপালের সমান, কয়েকটি শাড়ি আর রিমোট ঘুরানো ডিস ইন্টিনা, ফুলের বাগান তোমার দরজার সামনে থাকবেই থাকবে, ঘর সাজাতে সাজাতে ভুলে যাবে তুমি বাহিরেও থাকে নীল পদ্মের জোয়ার, আজকের ঘর না দিলো তোমারে আকার, আজকের নিয়ম  না দিলো তোমারে আকার 

রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭

ডানহাতি আপনি

আপনার ডান হাতের চেয়ে বাম হাত শক্তিশালী। বাদ, নীতি আর আইডিয়ার বাজার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিজের জানান দেবার প্রয়োজন কী? আপনার হাতকে প্রশ্ন করুন-- ডান হাত কিংবা বাম হাতকে-- বৈষম্যের উত্তর সহজে মিলবে।

ডানহাতি আপনি যে বাম হাতকে রোহিঙ্গা করে রেখেছেন তার জন্য কিন্তু আপনার মস্তিষ্ক কোনো ত্রান সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেনি।

নাথফুল

তোমার নাথফুল আমার চোখে এসে নৌকা হয়ে যায়

শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭

তুমি আছো তুমি হয়ে সে-ই ভালো

আমি যদি তুমি হয়ে যাই
জমে থাকা অভিযোগ কার নামে পাঠাই
তুমি যদি আমি হয়ে যাও
কার নামে অভিমান হৃদয়ে জমাই
কার ঘরে জ্বলবে আলো
কার দেহে ডানা মেলে শান্তিতে ঘুমাই
আমি তুমি এক হলে
কাঁশবনে কে যাবে
সন্ধ্যা সৌরভ যাবে কার মনে
কার চোখে চোখ রেখে নিজেকে বানাই
কার প্রেমে মগ্ন হয়ে সাধুবাদ জানাই

তুমি আছো তুমি হয়ে সে-ই ভালো
আমি আছি আমি হয়ে রাতের আলো

বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৭

আমার চোখে চট্রগ্রাম শহর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালি শব্দটি কয়েকটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। হালি মানে শুন্য। হালি মানে চার। হালি মানে মাত্র।On eating I call you~ খাওয়ার পর পরই আমি তোমাকে কল দিলাম বা হালি খাওয়া শেষ করলাম এমনি তোমারে কল দিলাম।

শহরের আগে যখন হালি শব্দটি যুক্ত হয়ে হালিশহর হয় তখন আমাকে একটু থেমে কথা বলতে হয়। হালিশহরে একটি জায়গার নাম বৌবাজার, আরেকটি জায়গার নাম পানির কল। নামদ্বয় ভালো লেগেছে।

বৌবাজারে কী বৌ বিক্রি করা হতো?

ছুটির দিন এইসব বাজারে মাইয়্যা ফোয়া বাজার করতে আসে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার অথবা বিয়েসামগ্রীর বউ রিলেটেড মালামাল এখানে পাওয়া যায় বেশ করে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার।   বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গার নাম হয়ে যায়, রাখা হয় না।

হালিশহরে কোনো বৌকে রাস্তাঘাটে তেমন দেখি নাই। তাদের জন্ম হয়েছে কেবল ঘরের অলঙ্কার হয়ে থাকার জন্যে। তাই অলঙ্কার মোড়ে গিয়ে আমাকে থেমে যেতে হয়। আমাকে ধুলাবালির মাস্তানি দেখে ভাবতে হয় এ কোন দেশে আইলাম ভাই!

দিল্লী শহর প্রথমে দেখে আমাকে বিস্মিত হতে হয়েছে। কোনো পজেটিভ কারনে নয়, নোংরা পরিবেশের কারনে। দিল্লীর অনেক জায়গা শহরের মতো সাজানো সুন্দর, অনেক জায়গা চট্রগ্রাম শহরের মতো অগোছালো, দৃষ্টিবালিময়।

রানী রাসমনি বারুনী স্নান ঘাট আমাকে আনন্দ দেয়। জীবনে প্রথম দেখলাম কেমন করে সূর্য আস্তে আস্তে জলের নিচে নিজের মুখ লুকায়। ভদ্রলোকরা যাকে সান সেট বলে আমি তাকে বলি রানওয়ে। সময়ের রানওয়েতে সূর্য আস্তে আস্তে ছায়ার আড়ালে চলে যায়। দৃশ্যটি খুবই নির্মম খুবই বাস্তব খুবই সত্য।

দক্ষিন কাট্টলীর মানুষ অনেকটা রেগে থাকা লাতার মতো, আন্তরিকতার গভীর কোনো ছাপ নাই। জাইল্লা পাড়ায় কিছু সনাতনী বাচ্চাকে দেখি মোনাজাত করতে আর আল্লার নাম জপ করতে। আমি অবাকই হয়েছি। আবার অবাক তেমন হয়নি। কারন আমার জানা আছে প্রভাব ভাইরাসের কথা। প্রভাব ভাইরাসের কারনে লোহাও জলে ভাসে। এই জাইল্লা পাড়ায় ত্রিনাথ ঠাকুর তত শক্তিশালী নহে যত শক্তিশালী বেলায়াতে রাসুল।

ফয়েজ লেকের আরিফের কথা মনে ভাসে। ফয়েজ লেকের সুন্দর দ্বীপ দোকানটির চালক সে।  ছেলেটি চমৎকার হাসে। ফয়েজ লেকের পাহাড়ি জলের মতো মনোলোভা তার হাসি। কিন্তু তার মনে বড় দুঃখ কেন সে গরীবের ঘরে জন্ম নিল কেন সে পড়াশোনা করতে পারিনি।

এই দেশের প্রতিটি মানুষ দুঃখের ভার বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের হাজার রকমের দুঃখ। কারো দুঃখ বেলুন টাইপের, কারো দুঃখ সবুজ রঙের, কারো দুঃখ খেলনা ঢঙের। দুঃখ যেন এখনকার মানুষের একটি অদৃশ্য গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ।

আরে ভাই এতো কষ্ট কেরে? পথ থেকে সরে গিয়ে ছদ্মবেশে দেখা যায় প্রিয়নাথের মুখ যদি দেখাই শান্তির কারন হয় এবং ভালোবাসা হয় জীবনের নাম।  জীবনের দিকে ভালো করে তাকাতে পারলে সে চমৎকার আলো দেয়, তখন জীবনের ফাঁকে ফাঁকে জমা হওয়া দুঃখজল শুকিয়ে যায় অনায়াসে, অনায়াসে তখন বলা যায় লাইফ ইজ শান্তি ইন নো সিজন লেন্ড।

সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

তার নাম রেখো বেহুলা

তোমার বেড়ালটা খুব সুন্দর। চোখের পকেটে প্রিয় কোনো চিঠি রাখবার মতো সুন্দর। তোমার খোঁপার দোলনচাঁপা ফুলের মতো সুন্দর। বিশেষ করে তার চোখ এবং কান। তার শরীর সাদা মেঘের মতো, মানে কাঁশবনে পলাতক কোনো ফুলের মতো।

তার নাম কিন্তু চন্দ্রাবতী কিংবা রাধা রেখো না, তাহলে তাকে সারা জীবন মানুষের সাথে থাকতে হবে। কোনো মানুষ কোনো মানুষের সাথে থাকতে চায় না সমগ্র জীবন। কেউ কেউ থাকে। তবে খুব কষ্টে। বিড়াল বিড়ালের সাথে থেকে সুখ রচনা করে, সুখ পায়।
বিড়াল কেন কষ্ট করবে?

বেড়ালপরিবারে কোনো কৃষ্ণ নেই যাকে মথুরা জয় করতে হয় রাধাকে বিরহ রাজ্যের রানী করে, বেড়ালের দেশে কোনো ফুলেশ্বরী নদী নেই যেখানে প্রেমিক প্রেমিকা সলিলসমাধি নেয়, তাদের চোখে আছে কিছু চাওয়া কিছু চাওয়ার মতো পাওয়া।

আদর পেলে বেড়াল কান খাড়া করে। তখন তাকে খরগোস খরগোস লাগে। আদর পেলে বেড়ালের চোখে দেখা দেয় মেঘফুল-- কন্ঠে নামে মিউ মিউ প্রেমগর্জন। ঠিক তখনই বিড়াল তার অভ্যাসগত সঙ্গীকে খুঁজে। সঙ্গী হয়তো তার ডাক শুনতে পাই হয়তো পাই না। হয়তো মানুষাসুর তাদের সুর ব্যঞ্জনার পথে লঙ্কারাবন হয়ে দাঁড়ায়। তাই বলছি তার নাম মলুয়া কিংবা সীতা রেখো না। তার নাম রেখো বেহুলা। বেহুলা অন্তত প্রেমিককে নিয়ে যৌথভাবে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করতে জানে ....

রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭