মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫

তীব্র কিছু

আলোআঁধারি শহরে প্রয়োজন হয়ে থাকে অতীব নিকট ঋতু যেখানে জমা থাকে তীব্র কিছু -- হয় ঘৃণা নয় ভালোবাসা।
ক্লীবের মাঝে পটল তোলা, পটল খেলা। পটল খেলায় কেউ হারতে শিখেনি অথচ পরাজয় একটি উত্তম জয়, অনিবার্য জয়।
পটল খেলায় খেলোয়াড় মানুষ, শয়তান এবং আমি। আমি হয়তো মানুষ, নয়তো শয়তান কিন্তু আমি নই।
বাবা-মায়ের গাজন প্রক্রিয়ায় আমার প্রথম মৃত্যু। দ্বিতীয় মৃত্যু গর্ভে এবং শেষ মৃত্যু পৃথিবীর পাটাতন। আমার আর মৃত্যু হবে না।
 জীবের কাছে তুচ্ছ অপমানের গালিচা -- Imperfect media can't choice a perfect media, can't।
তবুও শ্রদ্ধায় মাথা নত করে জানায় বিনম্র অভিবাদন। কারণ আমি জানি সরল সমীকরণের স্রোতে থাকে জটিল এবং ফেনায়িত ঢেউ। ঢেউ যেন মনের মতো তীরের দেখা পায়।

রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

মুখস্থ অনুভূতি

দিদি, তোমাকে কে অপমান করল?
আমি এখনি দৈত্য পাঠিয়ে দিচ্ছি

Puros manos to seee

দিদি গো আমরা মানুষ

Puros manos vinno jati

আজ বৃষ্টির দিন, আকাশ মেঘলা। তাইতো তোমার অভিমান। অভিমান আছে বলেই এখনো পৃথিবী এতো নারীময়

Nare

Maan ovimane aj r kuliye uthte pari na

না এবং রে-এর মাঝখানের কথাগুলো আমার খুবই চেনা

Seta kmn

তবে বিকালের কাছেও কিন্তু সকাল প্রত্যাশা করা যায়। সেইতো জীবন, এইতো জীবন

পুরুষ বলে কেউ নেই, সবই নারী

Ami hoyto ekta duswapno dekhchi...

Toi to boisnobdrr kotha bolli

Sei puros j dabi niye ashe

Sobai to puros nai

Nari jane puros k

প্রকৃতি আমার রাধাস্নাত
পুরুষের ছদ্মনামে, ছদ্মবেশে কিছু মানুষ আছে রে দিদি, আসলে আমরা সৃজনী কিংবা নারী

besh besh besh

Valo basa r prem tobe kare koy?

এইগুলা, এইগুলি এক অভ্যাসের নাম। সৃজনী অভ্যাস।

Voyanok ovvas

যাকে আমরা থুথু বলি তাই শ্লেষ্মা, তাই পুঁজ, তাই বীর্য। একই তবে ভিন্ন নাম, ভিন্ন করাই তো মানুষের কাম

Rrrr

নইলে খেলা জমে না, খেলা ভিন্ন আদমজাত বাঁচবে কেমনে

Sob e to khela...

বেলা যাপনের খেলা, বেলা কাটানোর খেলা

Aj monn ta voyonkor kharap

Accha monn ki?

Bolo to

মন হলো কিছু মুখস্থ অনুভূতির ধারক যা আমাদের মাঝে install করা হয়েছে। ইংরেজিতে তাকে বলে indoctrination

A collection of feelings = mind যখন কোনো অনুভূতির loose connection হয় তখন আমাদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বিঘ্ন ঘটে। তাকেই আমরা মন খারাপ বলে চালিয়ে দেই

Ha ha ha

প্রকৃত মন খারাপ বলে কিছু নেই। এটিও একটি অনুভূতির স্তর। যেমন রঙ্গিন পানি পান করার পর ভিন্ন ধরনের অনুভূতি স্তর তৈরি হয় তেমনি রুটিনগত জীবনের মধ্যে মন খারাপ একধরনের অনুভূতি যার সাথে মানুষের অভিযোজন হয়নি। তবে সাধক মন খারাপের সময় বেশি ভালো থাকেন। চাতক পাখির মতো মন খারাপের জন্যও তাঁরা বসে থাকেন

besh besh besh

Ki korbo taile

হাস্য শুধু আমার সখা, অশ্রু আমার কেউ নই
হাস্য করে অর্ধ জীবন করেছি তো অপচয়
চলে যারে সুখের রাজ্য, দুঃখের রাজ্য নেমে আয়
গলা ভরে কাঁদতে শিখি গভীর সম বেদনায়

Sadhu Sadhu

Hasi jodi fekase hoy?

মানুষের মুখস্থ অনুভূতি পাঁচ থেকে ছয়টি। আনন্দ একটি। মানুষ কেবল আনন্দ নিয়ে থাকে ফলে অন্য অনুভূতিগুলো অধরা। অথচ জীবনকে পূর্ণ জোয়ারে জানতে গেলে সমস্ত অনুভূতির পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে হবে।

মাথায় থাকতে হবে প্রত্যেক মানুষের দুটি ভাগ self and feelings

Valo lagche Ekhon

অনুভূতিকে জানো দিদি , অনুভূতি আমাদের স্বর্গ, অনুভূতিই আমাদের নরক

টা টা, মানুষের জয় হোক

শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০১৫

গালি

মানুষের ভেতরের কুকুরটা `কুকুর' বলে গালি দেয় 

বিক্রি

বিক্রি হচ্ছে দেশ
বিক্রি হচ্ছে বেশ
বিক্রি হচ্ছে  মুখের কথা
দাঁড়ি, কমা, ড্যাশ
বিক্রি হচ্ছে মায়ের আঁচল
আঁচলে রাখা ক্যাশ 

মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০১৫

মেশিন

আজকাল লেখক হওয়ার মেশিন পাওয়া যায়।
আপনি লেখক হতে চাইলে মেশিনের সহোযোগিতা নিতে পারেন।

ধরুন, আপনার ভাব আছে কিন্তু ভাষা নেই, কোনো প্রকার সংকোচ না রেখে আপনি মেশিনের কাছে যান, মেশিন আপনার  ভাবকে আধুনিক পদ্ধতিতে ভাষিক অবয়ব দিয়ে দিবে।

যদি আপনার ভাষা এবং ভাব কোনোটাই না থাকে; তাহলে কী করবেন? তাহলেও আপনি মেশিনের কাছে যেতে পারেন।
তখন মেশিন প্রথমে আপনাকে ফটোকপি করবে। তারপর আপনার ভাব ও ভাষা তরতর করে মেশিনের পায়ুপথে বের করে দিবে।

আরেকটি কথা, মেশিনের কাছে যাওয়ার আগে আপনার ব্লাঙ্ক চেক বইয়ে হেন্ডসাম টাকার এমাউন্ট বসাবেন। কারণ মেশিন আবার টাকা খায় তো!

বাবু ভাই

বর্ণাঢ্য দার দিকে তাকালেই বাবু ভাইয়ের কথা মনে পড়ে।  বাবু ভাই আমার চেয়ে পনেরো বছরের বড়। তারপরও আমার কাছেই সে আরামবোধ করত।
প্রতিবেশীজন বাবু ভাই আমার কাছে এলেই হাসতো, মিটির মিটি হাসি। তার হাসিতে গান, তার গানে ছিল প্রাণ, তার হাসিতে ছিল সমাজের প্রতি ভরাট কটাক্ষ।
তার চোখে কোনোদিন জল দেখিনি।
সে আমাকে কেবল নায়ক হওয়ার গল্প শুনাতো, নায়ক ওমর সানির গল্প।
ওমর সানি-মৌসুমী তখন দারুণ জুটি।
কিন্তু আমি, আমি কিন্তু ওমর সানি হতে চাইনি। কারণ ততদিনে সালমান শাহ আমার স্বপ্নের নায়ক। আর শাবনূর আমার স্বপ্নের নায়িকা -- সাথী তুমি আমার জীবনে, সাথী তুমি আমার মরণে!
বাবু ভাই খুব আস্তে আস্তে কথা বলতো, আমাকে মেথ ম্যাজিক শেখাতো। একদিন শুনেছিল, একদিন শুনেছিলাম বাবু ভাইয়ের সুতীব্র চিৎকার। পৃথিবীর পাঁজরে নেমে এসেছিল সত্যের কোমল। তারপর বাবু ভাই চুপ। আর কোনোদিন কথা বলেনি। মাটির সাথে পেতেছে এখন সে চিরদিনের সংসার।
তারপর শুনি বর্ণাঢ্য দা বেঁধেছে মানুষের সংসার পৃথিবীর অর্ধবৃত্তে ঝুলে থাকা স্তনের মতো। কিছুদিন টুয়াপাতি খেলা…  সংসার আর করা হলো না তার।

 এখন সে ছবি আঁকে -- লাল, নীল, হলুদ, কালো রঙ্গের ছবি। অথচ কালো রঙ্গের ছবি আঁকার জন্য কত্ত চেষ্টা করেছিল বাবু ভাই।
বাবু ভাইয়ের কালো রঙের আঁকা ছবিগুলো কেন যেন লাল রং হয়ে যেতো।
আমিও আজকাল কালো রং দেখিনা, কেবল লাল রং দেখি, কেবল বাবু ভাইকে দেখি।

সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫

কাঁঠাল

কাঁঠাল মানুষের মুখ থেকে শুরু করে পশুর পাকস্থলী পর্যন্ত উপযোগিতা তৈরি করতে পারে। মানুষ কখনো জাতীয় ফল কাঁঠাল হতে পারে না। 

রবিবার, ২১ জুন, ২০১৫

জন্মদিন

আমাকে বলা হলো জন্মগ্রহণ করেছি। আমাকে মুখস্থ করানো হলো পৃথিবীতে আমার জন্ম হয়েছে। অথচ মৃত্যুর ঠিক কয়েক মুহূর্তের পর জানতে পারি পৃথিবীতে আমার জন্ম নেয়ার কথা ছিল। 

সিমেন

এক ঝাঁক অন্ধকার নেমে আসে
জারুলপাতা অন্ধকার
অন্ধকার সন্ধ্যা আনে
সন্ধ্যায় বটতলায় বসে জোড়ায় জোড়ায় কবুতরের হাঁট
একজনের পাখনায় আরেকজনের পালক
আরেকজনের পালকে একজনের রক্তের স্পন্দন
লিপটুগেদার অতি আদিম পরাগায়ণ
পরাগায়ণের ভাঁজে ভাঁজে তেড়ে আসে অসুস্থ চোখ
উৎকট শব্দ
তবু দেহ চায় দেহের জনক
একের ভেতর এক দেহজ রমণ
দেহাতীত প্রেমের কাল এ্যান্টিলা দ্বীপের মতন
আধখানা চাঁদ তার আধখানা গোপন
কবুতরজোড়া চায় সিমেনের সুস্থ রোপণ

শনিবার, ২০ জুন, ২০১৫

হাঁচি

চুরি করতে গেলে হাঁচি-কাসিও প্রধান শত্রু।পর্যাপ্ত তৈলে হাঁচি-কাসির শরীর পিচ্ছিল করে নেয়া ভালো। 

শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০১৫

জুতা

জুতা দেখে ভদ্রলোক চেনা যায় -- এটি ইংল্যান্ডের প্রবাদ।  জুতা নির্বাচন আর সঙ্গ নির্বাচনে আমি খুব বেশি চোজি। আঙুল দিয়ে ধরে রাখতে হয়, এমন জুতা  ব্যবহার করি না আমি । তাই বেল্টযুক্ত জুতা ব্যবহার করি।

রুমের সামনে বেল্টযুক্ত জুতা রাখলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি জুতা নেই। ওমা! জুতার কী হলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও জুতা পেলাম না। সবার জুতা আছে, কেবল আমার নেই। জুতাচোর প্রার্থনালয়ে থাকে জানতাম কিন্তু রুমের সামনেও!  তাছাড়া অনেকের জুতা ছিল, তাহলে আমার জুতা কেন...  মনে মনে আনন্দ পেলাম এই ভেবে যে আমার পুরাতন জুতার ব্যবহারিক মূল্যও চোরের কাছে আছে। দুঃখ হচ্ছিল এই ভেবে যে, এই জুতার সাথে প্রিয় কিছু স্মৃতি আছে যা বলার নয়, ভুলার নয়।
তিন দিন পর রুমের সামনে জুতা হাজির। বিশ্বাস হচ্ছিল না। স্বপ্ন দেখছি না তো। সত্যিই জুতা পেয়ে গেলাম! হ্যাঁ, সত্যিই জুতা আমার ফিরে এসেছে।

নরসিংদী আমার জন্মের দ্বিতীয় শহর। সময় পেলেই নরসিংদী চলে আসি। তাছাড়া আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নরসিংদী এক ঘণ্টার পথ। নরসিংদী এসে নবী ভাইয়ের সাথে সারাদিন দেখা না হলেও রাতে তাঁর রুমেই আসি। ঘুমাই। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি জুতা নেই। আরে, জুতা গেল কোথায়!  আমি এবং নবী ভাই মিলে জুতা খুঁজলাম, জুতা পাইনি। নবী ভাইয়ের  কাছ থেকে একজোড়া জুতা ধার নিলাম। জুতাজোড়া ধার নেয়া আমার জন্য এক ধরনের মানসিক পীড়ন। সকাল গেল, দুপুর গেল, বিকাল এলো। রুম থেকে বের হবো এমন সময় রুমের সামনের উঁচু দেয়ালে চোখ গেল। দেখি উঁচু দেয়ালে ভাঁজ করে একজোড়া  জুতা রাখা। অবাক হলাম। দেয়ালের উপরে জুতা গেল কীভাবে?

আম্মা ফোন করে কবিতা শুনায়-- খোকা তুই কবে বাড়ি আসবি, কবে ছুটি? ইমোশনাল ব্লাকমেইল। সুতরাং অনেক কাজ থাকলেও বাড়ি না গিয়ে পারলাম না। বাড়ি গেলে কেউ খোঁজ না পেলেও পোষা বেড়ালটি ঠিকই আমার গন্ধ পেয়ে যায়। যেখানেই থাকুক সে চলে আসবেই। যতক্ষণ আমি বাড়িতে আছি সে কোথাও যাবে না। বিড়ালটিকে যাদুপ্রিয়া নামে ডাকি। বাড়িতে গেলে চা খাওয়ার জন্য আড়াইসিধা বাজারে যাই। মূলত বন্ধু, ছোট ভাই, ভাইস্তা এদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্যই যাওয়া। সন্ধ্যায় বের হবো, জুতার কাছে গেলাম। অবাক কাণ্ড!  জুতাকে বালিশ বানিয়ে ঘুমিয়ে আছে যাদুপ্রিয়া । আরও অনেকের জুতা ছিল। তাহলে আমার জুতা কেন যাদুপ্রিয়ার  বালিশ হতে যাবে?

সুর আমাকে পাগল করে তোলে। সুরের কাছে আমার সত্তা শান্তি পায়, প্রশান্তি পায়। সুর আর আমি যদি এক হয়ে যেতে পারতাম তাহলে পৃথিবীতে আসা সার্থক হতো। তাই সুরচর্চা  করে এমন মানুষের সাথে থাকার চেষ্টা করি। হিমেল আমার ছোট ভাই। সুরচর্চা করে এমন একজন  মানুষ সে। তাই নরসিংদী শহরে তার বাসাটিই আমার হেরাগুহা। যতক্ষণ তার সাথে থাকি ততক্ষণ সে সুরের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলে। দুপুরের খাবারের পর আমি আর হিমেল বসে আছি। বাংলাদেশ বনাম ইন্ডিয়ার ক্রিকেট খেলা দেখবো। খেলা শুরু হয়নি তখনো। হঠাৎ দেখি আমার জুতা নিয়ে যাচ্ছে,
ও আল্লা, আমার জুতা কুকুর নিয়ে যাচ্ছে। অনেক দৌঁড়-ঝাঁপে হিমেল আমার জুতা উদ্ধার করলো।

আমার জুতার দিকে পৃথিবীর এতো নজর কেন? পৃথিবী আমার জুতা নিয়ে কী করবে?

বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫

পরিবার

আমাদের পরিবার আমাদেরকে সীমাবদ্ধ করেছে
দিয়েছে উজার করে সসীম ভালোবাসা
অথচ পরিবারের পাশেই ছিল অসীম নদী, সাগর, জোয়ার, জোয়ারপ্রবণ জীবন
পরিবার বলে মন্দিরে যাও, প্রার্থনা কর, দেব- দেবী তোমাদের ডেসটিনি,
যেও না ঐ খানে, ঐ মিনারের নিচে নাম যার মসজিদ, ঐ খানে যে আল্লা থাকে তা আমাদের  নয়,
পরিবার শিখিয়েছে লালঘরের নাম নাকি নীলঘর, নীলঘরের নাম নাকি বেদনা, মানুষের নাম নাকি  আন্টি, খালা, কাকা, মামা আরও কত কী....

পরিবার ভরাট করেছে নদী-সাগরের স্বাভাবিক গতিময় সফেন স্রোত

এখন মানুষ পুকুরে স্নান করে, যে পুকুরের ময়লা কোনোদিন শেষ হয় না, কোনোদিন শেষ হবার নয়

পরিবার, আর কতকাল দেখাবে তোমার আগলিআগলি চোখ, আগলিআগলি মুখ?
মানুষমাত্রই প্রাকৃতিক, পরিবার বন্দিখাঁচার সুখ

মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫

শ্রমিক এবং লেখক

একটি আলোর কণা পেলে
লক্ষ প্রদীপ জ্বলে
একটি মানুষ মানুষ হলে
বিশ্ব জগৎ টলে

লেখাটি কার আমি জানি না, তবে লেখাটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি। লেখা তো এমনই হওয়া চাই,  জীবনের মতো উর্বর। লেখা মানে আমি মনে করি উন্নত কথা। যে কথা আইডিয়াবাহী, যে আইডিয়া জীবন বদলে দিতে পারে, জীবনকে নিয়ে যেতে পারে সত্য, সুন্দর, মহিমায় পৃথিবীর দিকে। একটি জীবন যদি অন্য জীবনের কাজে না আসে,  তাহলে সেই জীবনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। জীবনের প্রয়োজন কেবলই জীবনের কাছে।

লেখা তো সূর্যের কিরণোৎসব যা সূর্যের মতো লেখকের জৈবিক কাজ।

তবে লেখাধরা আর মাছধরা এক কথা নয়, মাছ থাকে জলের নিচে যা ধরার জন্য জেলেমন হলেই যথেষ্ট, আর লেখা থাকে বোধের নিচে যার জন্য প্রেমআগ্রহ এবং লেখকমন থাকা আবশ্যক।

বুদ্ধিকে যাঁরা জীবিকার মাধ্যম হিশাবে বেছে নেন তাঁরা শ্রমিক। শ্রমিকের একটি সুবিশাল গুরুত্ব সমাজে আবশ্যিকভাবে রয়েছে তবে লেখকের অবস্থান অন্য রকম -- খুব বেশি মানবিক। বুদ্ধিজীবী মনে করেন বেঁচে থাকার জন্য `বুদ্ধি' তাঁর পণ্য, কিন্তু লেখক মনে করেন বাঁচিয়ে রাখার জন্য লেখাটি তাঁর উপকরণ।

শ্রমিক আর লেখকের জন্য সমাজ এখনো বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়নি।

শনিবার, ১৩ জুন, ২০১৫

ব্যক্তিগত ভাবনা

ট্রেনে দাঁড়িয়ে আছি। কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে কেউ জানে না, না লোকোমাস্টার, না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিটি সময় উৎযাপন করার পক্ষে। তাই যেই অবস্থায় আছি শুকর আল হামদুলিল্লাহ। অসহ্যবোধ করা সহজ, কারণ তাতে চেষ্টা লাগে না। আমি তো মানুষ। চেষ্টার মধ্য দিয়ে আজকের মানুষ যুক্তিশাস্ত্রের মুক্তি দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে। তাই চেষ্টার দরজা- জানালা খুলে দিয়েছি।

আমার পেট বরাবর ষাট বছর বয়সী এক চাচা। তিনি চিপস খাচ্ছেন। দৃশ্যটি বেশ এটাকটিভ। হঠাৎ চাচুর ফোন আসে। তিনি বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন। চাচু দাঁড়ানোর সাথে সাথে তাঁর বুড়ি সমেত পেট মহাশয় আমার স্লিম পেটে ধাক্কা মারে। আমার পেট অসহায়। কারণ তার পেছনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিছুক্ষণ পেটে পেটে ঘষাঘষি খেলায় অনুভূতির নতুন মাত্রা যোগ হল অভিজ্ঞতার খাতায়।

চাচুর পাশে একজন পুরুষ। বয়স চল্লিশ হবে। তার পাশে তারই বউ। বউমেয়ের পাশে আরেকটি মেয়ে। বউ- স্বামী ঘুমাচ্ছে। ট্রেনে শোভন চেয়ারে ঘুমের ইনিংস সচরাচর দেখা যায় না। তবুও তাদের ঘুমের ইনিংস দেখতে হচ্ছে। রাতে হয়তো তারা ভালো ইনিংস উপহার দিয়েছে, তাই হয়তো পর্যাপ্ত ঘুম আসেনি চোখে।আর ঘুম তো আমেরিকার মতো নিজ প্রাপ্তি পুষিয়ে নেয় ষোলোকলায়।

বউমেয়ের পাশে যে মেয়েটি সেই মেয়েটির চেহারায় সাঁওতালী ছবিচিত্র। লাল রঙ্গের পোশাক। হাতে ঘুড়ি, ঘুড়ির প্রতিবেশী সাতটি চুড়ি। ডান হাত খালি। সে ডান হাতের কনুইয়ে ভর দিয়ে জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। চোখে তার ক্লান্তির ছাপ। মুখে হালকা প্রসাধনী। তবে ঠোঁট লিপস্টিকমুক্ত নয়। প্রত্যেক মেয়ে যেদিন থেকে জেনে যায় তার ঠোঁট নামক একটি অঙ্গ আছে সেইদিন থেকে লিপস্টিক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

আচ্ছা, ঠোঁট লাল হলে কী হয়?

ঠোঁটের পুষ্টিগুন বেড়ে যায়?

ঠোঁট কোনো কালেই সুষম খাবার ছিল না, ঠোঁট দিয়ে বরং সুষম খাবার গ্রহণ করা হয়।

মেয়েটির ফোন আসে। ফোন আসার সাথে সাথে ছবিচিত্রে সবুজ রঙ্গের ছড়াছড়ি। কী যেন বলতে চায়, মানুষের ভীড়ে যেন বলা যাচ্ছে না। দিনে দিনে আমরা কত্ত ব্যক্তিগত হয়ে উঠছি, ব্যক্তিগত রুমের ভেতর ব্যক্তিগত রুম।

আমার সরাসরি পেছনে তিনজন বসে আছেন। আমার নিতম্ব থেকে তাদের মুখের দূরত্ব পাঁচ ইঞ্চি কিংবা ছয় ইঞ্চি। হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না থাকায় ঘন ঘন পাত দিচ্ছি। আমার পাতে যেহেতু কোনো প্রকার কৃত্রিম পারফিউম মেশানো নাই সেহেতু তাদের কী অবস্থা হচ্ছে বুঝতে পেরে অসংখ্যবার মনে মনে সরি বলছি। আমার তো সরি বলা ব্যতীত কিচ্ছু করার নেই, তাই না?
বাংলাদেশে রানা প্লাজা ধ্বসের মতো ঘটনা ঘটে যায় তাতে সরি বলা তো দূরের কথা নিজের পোশাকে যে ময়লা আছে তা স্বীকার করার নূন্যতম অনুশোচনাবোধ কর্তৃপক্ষের আছে বলে মনে হয় না।  তার চেয়ে বরং দোষ অন্যের ঘাড়ে  চাপিয়ে দিতে পারলে বাঁচে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি তো যথেষ্ট মানবিক।

আজকের ট্রেনে কোনো প্রকার কোলাহল নেই। বাংলাদেশের মানুষ কথা না বলে থাকতে পারে?  সত্যিই অবিশ্বাস! একজন ভিক্ষুক অবশ্যই কিছুক্ষণ সুর দিয়ে কথা বলেছিলেন --

আল্লা নবীজীর নাম
জন্মের পরে ভাইজানেরা আমি চোখে দেখি না
আমার আল্লা নবীজীর নাম
দয়া করে কিছু টাকা করে যাবেন দান
আমার আল্লা নবীজীর নাম ....

আমার হাতের কাছে যখন ভিক্ষুকের থালাটি আসে তখন দুই টাকা পকেটে নিয়ে নিলাম। ভিক্ষুক টাকাওয়ালাদের করুণা জমা রাখার ব্যাংক। এরা যখন করুণা নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়, আমি তাদেরকে উপহার দিতে চায় কঠোরতা। কঠোর আচরণ মানুষকে সাময়িক কষ্ট  দেয় সত্যি কিন্তু বৃহত্তর উপকার করে, দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে।

ও মা! ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসছে।
 কখন?
আমি বুঝতেই পারিনি!

শুক্রবার, ১২ জুন, ২০১৫

হাগু

আমার বন্ধু প্রযুক্তি আর আমি ওয়েস্টেন হোটেলে গেলাম। নতুন জায়গায় যেতে ভালো লাগে যদি তা মিউজিয়াম জাতীয় কোনো জায়গা না হয়। মিউজিয়ামকে পুরনো দিঘি মনে হয়। আর দিঘিতে তো স্নান করা যায় না। একসময় করতাম যখন নদীতে স্নান করার স্বাদ আস্বাদন করিনি।

বন্ধু আমার সেলুনে প্রবেশ করল, চুলমিস্ত্রি ভালো করে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে যত কাজ করা যেতে পারে সবই করল। তার জন্য চুলমিস্ত্রি বিল ধার্য করল পাঁচ হাজার টাকা মাত্র। পরে জুতা কালি করাতে সময়ের আরও কিছু বয়স হল। মাইনে ধার্য হলো সাত শত টাকা। পরে আমি আর আমার বন্ধু দুটি কফি নিলাম। বিল আসলো আটত্রিশ শত টাকা।
হিসাব কষে দেখলাম এক ঘণ্টায় আমার বন্ধুর মনিহারি খরচ প্রায় দশ হাজার টাকা। একদিনে প্রায় এক লক্ষ টাকা। এক মাসে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা।

 ছোট্ট কালের কিছু সময়ের বন্ধু জসীম। সে এখন রিকসা চালায়। দৈনিক ইনকাম তিন শত টাকা। তিন বেলা ভালোভাবে খাবারের ব্যবস্থা করতেই সে হিমসিম খায়। আর্থিক অনটনের কারণে সেনেটারি টয়লেটের ব্যবস্থা করতে পারেনি জসীম। প্রকৃতির উন্মুক্ত পরিবেশ তার টয়লেট।

জসীমের হাগু পানিতে, বায়ুতে মিশে যায়। আমার ধনাঢ্য বন্ধু হয়তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে শুয়ে আছে। কিন্তু বায়ু ঐ রুমেও পৌঁছে যায়। ফলে বায়ুর মাধ্যমে জসীমের হাগু আমার ধনাঢ্য বন্ধুর নাক দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে।

এসি গাড়িতে বসে আমার ধনাঢ্য বন্ধু মাম পানি পান করে। এই মাম পানিতেও মিশে আছে জসীমের হাগু।
কোনোভাবেই জসীমের হাগু থেকে পরিত্রান পাবে না আমার ধনাঢ্য বন্ধু প্রযুক্তি।

হয়তো


হয়তো মেঘের রং কালো কিংবা কালো গম্ভীর হলে মেঘ হয় 

সোমবার, ৮ জুন, ২০১৫

1-7

                                 1

পারসোনাল বলে কিছু নেই, অপশনাল বলে কিছু ছিল না

                                 2

স্পর্শ ছাড়া প্রেম হয় না, যা হয় তা ভাবালুতা

                                  3

হাসপাতাল জিয়ারতে মানুষ মানুষের সহমর্মী হয়ে উঠে
                                  4

পুরুষের চোখে নারী মাংস, নারীর মনে পুরুষ আশ্রয়
                                   5

বাস্তবতার দোহাই দিয়ে অধিকাংশ গড়ে তোলে অবাস্তব জগৎ
                                   6

পুরুষের সুখ বাহুর বলে, নারীর সুখ চোখের জলে  
                                    7

অসুস্থ বেগকে আবেগ বলা যায় না 

রবিবার, ৭ জুন, ২০১৫

প্রেমের উইন্ডোজ

বেঁচে থাকতে গেলে মানসিক আশ্রয়ের প্রয়োজন হয়। প্রেম একধরনের মানসিক আশ্রয়। প্রেমের শরীরকে নিদিষ্ট সময়ে রোদে দিতে হয়, শুধু মাথার নিচে কিংবা মনের বাগানে রাখলে চলে না।ছায়ায় প্রেমের শরীরে যে ছারপোকা বাসা বাঁধে রোদের তাপে তারা দৌঁড়ে পালায়।

খুনসুটি, ঝগড়া প্রেমের ক্ষেত্রে পুরাতন অথচ নিত্য নতুন সফটওয়্যার যা উইন্ডোজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমন উইন্ডোজ যা প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কের মাঝে পুরাতন অথচ সম্পূর্ণ নতুন উদ্দীপনা তৈরি করে। 

শুক্রবার, ৫ জুন, ২০১৫

গান আমার

ধরি ধরি গণিত ছেড়ে
দেহের সঙ্গে দেহ মিশাই
দেহের ভেতর আছে দেহ, আছে দেহের কালা সাঁই।।

সাগরে জোয়ার এলে নারীদেহে জোয়ার হয়
সূর্য তাপ ছড়ালে কামুক পুরুষ রসিক হয়
রসিক প্রেমিক মন জানে না, মন জানে না প্রেম কোথায়।।

ঋণাত্মক আধান হলে ধনাত্মক ছুটে আসে
শুন্য আধানে সাঁই আমার খেলা করে
শুন্য আধানে যায় প্রভু তোমার দেখা পাই।।


সুরকথা : এমরানুর রেজা
5 জুন 2015, 7:10 

জিজ্ঞাসা

প্রযুক্তিকে জিজ্ঞেস করলাম,

``কেমন আছো?"

সে বললো, ``ভালো নেই।"

- কেন?

- প্রচণ্ড মাথা ব্যথা।

আরেকদিন জানতে চাইলাম,

``প্রযুক্তি, কেমন আছো?"

সে উত্তর দিল, ``ভালো নেই?"

- কেন?

- মা বকা দিয়েছে খুব?

কয়েকদিন পর আবার  প্রযুক্তির সাথে দেখা হলে জানতে চাইলাম কেমন আছে প্রযুক্তি।

জানতে পারি সে ভালো নেই।

- কেন?

- গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া।

আমি তখনই একটি মেথ করতে বসি। মেথের নাম `প্রযুক্তি ভালো নেই'।

মাথা ব্যথা = প্রযুক্তি ভালো নেই = খারাপ অবস্থা

মা বকেছে = প্রযুক্তি ভালো নেই = খারাপ অবস্থা

গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া = প্রযুক্তি ভালো নেই = খারাপ অবস্থা

তিন ধরনের মানসিক অবস্থা বোঝানোর জন্য প্রযুক্তি এক ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছে। কারণ তিন ধরনের উপলব্ধি প্রকাশের জন্য ভাষার তিন ধরনের ব্যবহার নেই।
এটাই ভাষার সীমাবদ্ধতা।
অর্থাৎ অসীম উপলব্ধি প্রকাশের জন্য ভাষার যে আয়োজনের প্রয়োজন তা ভাষার নেই। এখানে ভাষা সসীম।
পৃথিবীর প্রত্যেক ভাষায় এমন সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। ধর্মগ্রন্থের ভাষাও প্রচলিত ভাষার উপর ভিত্তি করে রচিত। অর্থাৎ ধর্মগ্রন্থও সীমিত ভাষার ধারক।

তাহলে কি ঈশ্বর সীমিত ভাষায় কথা বলেন কিংবা ঈশ্বরের ভাষাও সীমাবদ্ধ?

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০১৫

আল্লা, ও আল্লা

আল্লা, ও আল্লা, তুমি মেয়ে হলে তোমার সাথে প্রেম করতাম, তারপর আমাদের মতো করে একটি দিন নির্ধারণ করে বিয়ে করতাম।

আরে না, বিয়ে করা লাগত না।
কারণ নিয়ম তো তুমিই তৈরি কর। তাছাড়া বিয়ে তো একটি চুক্তি যেখানে বাধ্যতামূলকভাবে একসাথে থাকার কথা আছে।
কয়েকদিন আগে রায়পুরা গ্রামে চুরি অইছে। গরু চুরি। সকালে দরজায় একটি চিরকুট পাওয়া যায়, কাঁচা হাতের লেখায় --

কাবিনে ভাত খাওয়ানো যায় না
তালা দিয়ে গরু রাখা যায় না!

আজকাল চোরও পরামর্শ দিতে জানে, পরামর্শ দিতে জানে এমন লোকের অভাব নেই। অভাব কেবল সংবেদ্য হৃদয়ের অভেদ্য সম্পর্ক। আর এমন অভেদ্য সম্পর্ক তোমার সাথেই তো হতে পারে, তাই না?

তুমি কত স্মার্ট, শান্ত, প্রাজ্ঞ। তুমি বলবে আমি শুধু শুনবো, তুমি হাসবে আমি শুধু দেখবো।

তবে একটি কথা আগেই বলে রাখি,  তোমার কথা আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যায় যদি , আমি কিন্তু পাখি হয়ে তোমার কথা ধরতে পারুম না। আমি যাতে বুঝি এমন সহজ সহজ অমৃত কথা বলতে থাকবে, বলতে থাকবে।

জগতে তুমি যে মায়ের জাত বানাইছ, এরা হালি যোগ্যতা চায়, টাকার যোগ্যতা, বাড়ির যোগ্যতা, খ্যাতির যোগ্যতা। তোমার তো কোনো যোগ্যতারই অভাব নাই। আর আমার একটুও যোগ্যতা নাই। সুতরাং উল্টো দিক থেকে হলেও হমান হমান। তাছাড়া আমগো লাহান তুমি অত অস্থির না। তাইতো যে দুনিয়া তুমি এক পলকে বানাইতে পারো, এই দুনিয়া বানাইছো ছয় দিনে।

আল্লা, ও আল্লা, তুমি কী নারী?
আমার দেহের বাড়িতে মাঝে মাঝে তোমার দেখা পাই,চিরদিন কেন পাই না!

আমার লগে তোমার অভিমান করা হাডে না, তুমি যদি অভিমান কর কোথায় শান্তি পাবো, কে আছে এমন শান্তি দিবো!

আমার অন্তরে যে বিরহ তা এতো তীব্র, এতো গভীরে ভাষাতে আনতে পারি না, কিন্তু তুমি তো অনুধাবন করতে পারো, তাই না?

আমারে একবার তোমার করে লও, তোমার হয়ে আমি সবার হতে চাই, চাই হতে আপনার আপনি।

মনেপ্রাণে

কোনো মানুষ মনেপ্রাণে যা সত্য মনে করে অন্য কোনো মানুষ মনেপ্রাণে তা মিথ্যা মনে করে। সত্যকে নিয়ে কথা বলা যেতে পারে কিন্তু মন আর প্রাণকে নিয়ে কথা বলতে গেলেই সমস্যার জন্ম হয়। কারণ মন আর প্রাণ ফ্রেমেবাঁধা রিসিভার। ফ্রেমেবাঁধা রিসিভার তো তাই গ্রহণ করে যা গ্রহণ করতে তা অভ্যস্ত। করাত যেমন কাঠ কাটে, লেদ মেশিন যেমন কাটিংয়ের কাজ করতে অভ্যস্ত। 

সোমবার, ১ জুন, ২০১৫

রাগ

মনে এলাহি রাগ। কেন এমন হচ্ছে?
আকাশে ভরা জোছনা থাকলে আমার এমন রাগ ওঠে। মনে হচ্ছে কাউকে শুধু শুধু গালি দেই। কিন্তু সবার কাছে আমি ফরমাল মানুষ। একজনও ইনফরমাল মানুষ নেই। থাকলে কিছুক্ষণ অযথা গালি দিতাম, তারপর সরি বলতাম।