প্যাঁচা জানে না সূর্যেরও রয়েছে আরও গভীর দৃষ্টি
বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আ✔ন
আমেরিকা পলিসি মেইনটেইন করে চলে। এই পলিসিতে কেউ ইচ্ছা করলেই ফেরেশতা হতে পারে না, শয়তান হতে পারে না, এমনকি মানুষও হতে পারে না। প্রত্যেকে পলিসিকে ধর্মদর্শন মনে করে বাঁদরের মতো ঝুলে থাকে।
যাবো
ছোট কালে আমি ছিলাম একশো পার্সেন্ট বানর। কেউ আমাকে শতভাগ আদর করার সাহস পেতো না-- কারন সবাই চায় মাথায় শতভাগ চুল রাখতে। আমাকে আদর করা মানে খুব কাছে যাওয়া, তারপর মাথায় ওঠা, তারপর একটি একটি চুল খুব আয়েসভের মোডে তুলে ফেলা।
আমাকে শতভাগ আদর করার সাহস যিনি দেখালেন তিনি আমার খালাম্মা। আদর কাকে বলে আমি তাঁর কাছ থেকে বুঝতে শিখেছি। আমার জন্য তাঁর হৃদয়ের জানালাটা আলাদাভাবে উন্মুক্ত ছিল।
আজ আর তিনি নেই!
জীবিত আশীর্বাদের একটি সজীব জানালা মৃত্যুপর্দায় ঢাকা পড়েছে!
তিনি কোথায় গেলেন আমরা জানিনা। তিনি আমাদের সাথে আমাদের মতো করে আর কথা বলতে আসবেন না এতটুকু জানি।
তিনি হয়তো মেঘ হয়ে গ্যাছেন কিংবা দেখা যায় না এমন কোনো তারা। পাগলা নদীর জলের সাথেও তিনি মিশে যেতে পারেন বিকাল পাখি হয়ে উড়বার নেশায়।
খালাম্মা আমাকে আদর করবেন বলে পৃথিবীতে আগে এসেছিলেন, আবার আগে আগে চলে গেলেন পরকালে আমাকে আদর করবেন বলে।
24 09 2016
আমাকে শতভাগ আদর করার সাহস যিনি দেখালেন তিনি আমার খালাম্মা। আদর কাকে বলে আমি তাঁর কাছ থেকে বুঝতে শিখেছি। আমার জন্য তাঁর হৃদয়ের জানালাটা আলাদাভাবে উন্মুক্ত ছিল।
আজ আর তিনি নেই!
জীবিত আশীর্বাদের একটি সজীব জানালা মৃত্যুপর্দায় ঢাকা পড়েছে!
তিনি কোথায় গেলেন আমরা জানিনা। তিনি আমাদের সাথে আমাদের মতো করে আর কথা বলতে আসবেন না এতটুকু জানি।
তিনি হয়তো মেঘ হয়ে গ্যাছেন কিংবা দেখা যায় না এমন কোনো তারা। পাগলা নদীর জলের সাথেও তিনি মিশে যেতে পারেন বিকাল পাখি হয়ে উড়বার নেশায়।
খালাম্মা আমাকে আদর করবেন বলে পৃথিবীতে আগে এসেছিলেন, আবার আগে আগে চলে গেলেন পরকালে আমাকে আদর করবেন বলে।
24 09 2016
মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
থাকা
রতন থিয়াম থিয়েটারের লোক। মনিপুর এলাকায় তাঁর নিবাস। বাবা মা নৃত্য জগতের বিখ্যাত মানুষ। ইমফলের মতো ছোট্ট শহর থেকে তাঁর যাত্রা শুরু। থিয়েটারকে তিনি dark chamber হিসাবে আখ্যায়িত করেন। থিয়েটারের ব্যাপারে তিনি human energy কে গুরুত্ব দেন। তাঁর বিখ্যাত বক্তব্য I want to satisfy myself।
গ্রামের মানুষও নিজেকে সন্তুষ্ট করতে চায়। তবে রতন থিয়ামের মতো যৌথ জায়গা থেকে নয়। রতন থিয়ামের সন্তুষ্টির মানে হলো সবাই মিলে ভালো থাকা-- একজনের বিপদে আরেকজনের পাশে থাকা, সবাই মিলে বিপদের রাস্তাটাকে যত বেশি হ্রাস করা যায় সেই দিকে নজর রাখা সাপেক্ষে কাজ করা।
গ্রামের মানুষের দৌড়ঝাঁপ খাবারের প্লেট পর্যন্ত। খাবারের প্লেটে আঘাত আসছে তো সব বাদ-- চাচা আপন পরান বাঁচাজাতীয় ঘটনা।
অথচ গ্রামের সহজ সরল পরিবেশ মুগ্ধ হওয়ার মতো। সকালের সূর্য থেকে শুরু করে রাতের জোনাকিপোকার ডাকাডাকি পর্যন্ত প্রকৃতির একনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকে তারা। আর প্রকৃতির প্রত্যেক উপাদান প্রত্যেক উপাদানকে সহযোগিতা করে চলেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ বধির, বোবা, অন্ধ। প্রকৃতির এই নবুওয়াত শিক্ষা তারা গ্রহন করে না।
তারা ততক্ষন পর্যন্ত মাটিঘেঁষা মানুষ যতক্ষন পর্যন্ত তাদের প্রয়োজনে আঘাত আসবে না। তারা লিখে রেখো একফোঁটা দিলাম শিশির জাতীয় উপকার করবে তাও আবার উপকার প্রত্যাশী মানসিকতাকে সামনে রেখে।
জসীম উদ্ দীনের সেই গ্রাম আর এখন নেই। এখন ডালিম গাছের তলে দাদির কবর থাকে না, নয়নের জল বহু আগে চলে গ্যাছে কর্পোরেট ব্যস্ততার ঘর বাড়িতে। লাঙল আর কয়েকদিনের মধ্যে জাদুঘরে পাওয়া যাবে। বৌদি আর তামাসা করার মানসিকতা রাখে না, বৌদিরা এখন হিংসা রোগে আক্রান্ত।
প্রত্যেক মানুষকে প্রথমে তার বেসিক প্রয়োজনগুলি মেটানোর দিকে নজর দিতে হয়। তারপর সঞ্চয় মানসিকতা। তারপর বিলাসিতা। গ্রামে যেহেতু কারিনা কাপুর অনেক আগেই চলে গ্যাছে তাই গ্রামের মানুষ এখন বিলাসি হয়ে ওঠেছে পুরোদস্তুর। আবশ্যিক প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ যে মানুষের নেই সে যখন বিলাসি জীবনযাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে তা অবশ্যই ভয়ঙ্করভাবে বিপদজনক।
ছেলে যেহেতু বিদেশে থাকে সেহেতু তাদের কাছে অর্থ আছে কিন্তু অর্থের বিনিয়োগ জায়গা নেই। অর্থ আর অস্ত্র মানুষের স্বাভাবিক আচরনে পরিবর্তন নিয়ে আসে। ফলে ভাসমান অর্থের ধারক হয়ে তারাও ভাসমান আচরনের মালিক যেখানে মূলঘ্রান পাওয়া যায় না। কোনো আচরনে যখন মূলঘ্রান পাওয়া যাবে না তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই আচরন সমাজে শৃঙ্খলা আনতে পারে না। রতন থিয়াম সেই বিশৃঙ্খল জায়গায় কাজের স্বপ্ন দেখান এবং সে স্বপ্নবাজ মাঝি যার কাছে ঢেউ কোনো বিপত্তির নাম নহে -- এক প্রশিক্ষনের নাম।
গ্রামের মানুষও নিজেকে সন্তুষ্ট করতে চায়। তবে রতন থিয়ামের মতো যৌথ জায়গা থেকে নয়। রতন থিয়ামের সন্তুষ্টির মানে হলো সবাই মিলে ভালো থাকা-- একজনের বিপদে আরেকজনের পাশে থাকা, সবাই মিলে বিপদের রাস্তাটাকে যত বেশি হ্রাস করা যায় সেই দিকে নজর রাখা সাপেক্ষে কাজ করা।
গ্রামের মানুষের দৌড়ঝাঁপ খাবারের প্লেট পর্যন্ত। খাবারের প্লেটে আঘাত আসছে তো সব বাদ-- চাচা আপন পরান বাঁচাজাতীয় ঘটনা।
অথচ গ্রামের সহজ সরল পরিবেশ মুগ্ধ হওয়ার মতো। সকালের সূর্য থেকে শুরু করে রাতের জোনাকিপোকার ডাকাডাকি পর্যন্ত প্রকৃতির একনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকে তারা। আর প্রকৃতির প্রত্যেক উপাদান প্রত্যেক উপাদানকে সহযোগিতা করে চলেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ বধির, বোবা, অন্ধ। প্রকৃতির এই নবুওয়াত শিক্ষা তারা গ্রহন করে না।
তারা ততক্ষন পর্যন্ত মাটিঘেঁষা মানুষ যতক্ষন পর্যন্ত তাদের প্রয়োজনে আঘাত আসবে না। তারা লিখে রেখো একফোঁটা দিলাম শিশির জাতীয় উপকার করবে তাও আবার উপকার প্রত্যাশী মানসিকতাকে সামনে রেখে।
জসীম উদ্ দীনের সেই গ্রাম আর এখন নেই। এখন ডালিম গাছের তলে দাদির কবর থাকে না, নয়নের জল বহু আগে চলে গ্যাছে কর্পোরেট ব্যস্ততার ঘর বাড়িতে। লাঙল আর কয়েকদিনের মধ্যে জাদুঘরে পাওয়া যাবে। বৌদি আর তামাসা করার মানসিকতা রাখে না, বৌদিরা এখন হিংসা রোগে আক্রান্ত।
প্রত্যেক মানুষকে প্রথমে তার বেসিক প্রয়োজনগুলি মেটানোর দিকে নজর দিতে হয়। তারপর সঞ্চয় মানসিকতা। তারপর বিলাসিতা। গ্রামে যেহেতু কারিনা কাপুর অনেক আগেই চলে গ্যাছে তাই গ্রামের মানুষ এখন বিলাসি হয়ে ওঠেছে পুরোদস্তুর। আবশ্যিক প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ যে মানুষের নেই সে যখন বিলাসি জীবনযাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে তা অবশ্যই ভয়ঙ্করভাবে বিপদজনক।
ছেলে যেহেতু বিদেশে থাকে সেহেতু তাদের কাছে অর্থ আছে কিন্তু অর্থের বিনিয়োগ জায়গা নেই। অর্থ আর অস্ত্র মানুষের স্বাভাবিক আচরনে পরিবর্তন নিয়ে আসে। ফলে ভাসমান অর্থের ধারক হয়ে তারাও ভাসমান আচরনের মালিক যেখানে মূলঘ্রান পাওয়া যায় না। কোনো আচরনে যখন মূলঘ্রান পাওয়া যাবে না তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই আচরন সমাজে শৃঙ্খলা আনতে পারে না। রতন থিয়াম সেই বিশৃঙ্খল জায়গায় কাজের স্বপ্ন দেখান এবং সে স্বপ্নবাজ মাঝি যার কাছে ঢেউ কোনো বিপত্তির নাম নহে -- এক প্রশিক্ষনের নাম।
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
বহতা
আজও মনে পড়ে তাকে। আজও মনে পড়ে তার সেই হাসি। আজও মনে পড়ে তার সেই চোখ।
বাংলা বিভাগে ভর্তির যাবতীয় কাজ শেষ করলাম। এখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মনে আনন্দ আর আনন্দ।
কলাভবনের দ্বিতীয় তলায় আমাদের বাংলা বিভাগ। রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এই কড়িডোর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতেন, আমি এখন এই কড়িডোর দিয়ে পায়চারী করে রোদেলা সময় যাপন করবো। এতো আনন্দ আমি কোথায় রাখি!
আনন্দ মনে গানে গানে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামি। ডিন অফিসের সামনের দরজায় বের হয়ে যাবো। দেখি ডিন অফিসের সামনে কস্টিউম করা সুন্দরী মেয়েরা ম ম করছে।
এক সুন্দরী মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম এখানে কী?
মেয়েটি হাসিমাখা চোখে উত্তর দেয়-- নাট্যকলা ও সঙ্গীতের ভাইভা হচ্ছে।
ও তাই।
জ্বী তাই।
তারপর মেয়েটি আমার সম্পর্কে জানতে চায়লো। আমি আপনি আপনি আমার আনন্দের নিউজটা প্রকাশ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি, তারউপরে আবার ঢোলের বারি।
গড়গড় করে সব বলতে লাগলাম। আমার কথা শুনে যখন সে মুগ্ধ তখন তাকে টিপস দিতে লাগলাম, কী করে ভাইভা ফেইস করবে সেই টিপস।
একপর্যায়ে তার সাথে আমিও লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ি। আমিও ভাইভা ফেইস করবো।
নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগে পড়ার ইচ্ছা আমার নেই। জাস্ট গ্রাম থেকে আসা এক ছেলের কৌতূহল থেকে এমন কাজ করার অভিলাষ।
সাতজন করে লাইন। এখন আমাদের লাইন রুমের ভেতরে যাবে। আমি লাইনের একপ্রান্তে। আমি পরিধান করেছি কালো টিশার্ট, টিশার্টে গোল একখান লাটিম, জিন্স পেন্ট, পায়ে কেটস, পেছনে ব্যাগ। ব্যাগ নিয়ে অফিস রুমের ভেতরে ঢুকে পড়ি-- আমাকে দেখামাত্র ধমক-- এই ছেলে, এই ছেলে ব্যাগ রেখে আসো।
ধমক শুনে ব্যাগ বাইরের চেয়ারে রেখে আসি। যখন রুমের ভেতরে আসি তখনই পকেটে মোবাইল বেজে ওঠে-- আবার আমার দিকে তীব্রবেগে নেমে আসে ধমক। তাড়াতাড়ি মোবাইল অফ করি।
এখন শুরু হয় নিয়মতান্ত্রিক ভাইভা। ভাইভা প্রধান রহমত আলী স্যার, তাঁকে প্রায় টিভিতে দেখে অভ্যাস্থ। এখন সরাসরি দেখছি, তাও আবার আমার ভাইভা নিচ্ছে। সব মিলিয়ে অন্য রকম অবস্থা। কিন্তু মনেপ্রানে আমি চাচ্ছি যেন সিলেকশন না হই।
একটি মিউজিক বাজবে। মিউজিকের তালে তালে তোমরা হাঁটতে থাকবে।
আমরা তাই করলাম।
আরেকটি মিউজিক বাজবে। তোমরা মিউজিকের তালে তালে হাঁটবে।
আমরা তাই করলাম।
চারজন সামনে আসো। তিনজন পেছনে যাও।
আমি পেছনে গেলাম।
এই ছেলে তুমি সামনে আসো।
যখন আমাকে সামনে যেতে বলে আমি ভয় পেয়ে যাই। কারন আমি চাই আমি যেন সিলেকশন না হই। তারপরও প্রাথমিভাবে টিকে গেলাম। যারা বিদায় নিলো তাদের জন্য মনে মনে মায়া হলো।
দ্বিতীয় সেশনে মেয়েটি নৃত্য করে, আরো দুজন ঢোলতবলা বাজিয়ে দেখায়। আমার পালা-- এই ছেলে গান পারো?
জ্বী স্যার, হালকা হালকা।
গাও ....
আমি গান ধরি, যে গানের কথায় নদীর জলে দুঃখ লুকিয়ে থাকে।
রিদম দিয়ে গাও আরেকটি গান।
আমি কাহারবা তালের একটি গান ধরি যেখানে পাহাড়ি কন্যার কথা আছে।
তারপর তারাও গান গায়। তাদের কন্ঠের আশেপাশেও আমার কন্ঠ নাই, তাদের সুরেলা কন্ঠ আমাকে বেশ মুগ্ধ করে।
এই ছেলে একটি কবিতা আবৃত্তি করো।
আমি চোখ বন্ধ করে বনলতা সেন কবিতাটি আবৃত্তি করি। তারপর তারা আমার জন্মস্থান জিজ্ঞেস করে।
ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়া।
প্রত্যেকে প্রত্যেকের চোখের দিকে কেন যেন তাকায়। আমার ভয় আরও বাড়তে থাকে। তারপর একটি কবিতার বই হাতে দিয়ে বলে একটি কবিতা আবৃত্তি করার জন্য। এমন কবির নাম আমার জীবনেও শুনেনি। তারপরও আবৃত্তি করার চেষ্টা করি-- কী জটিল জটিল শব্দ রে বাবা।
একজন সামনে আসো, বাকীরা পেছনে যাও।
আমি প্রথমেই পেছনে চলে যাই।
এই ছেলে তুমি সামনে আসো।
আমার স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে আসে, নিজয়েন্টে একদম শক্তি পাচ্ছি না।
তোমার নাম কী, মিরিট পজিশন কত?
স্যার, আমি বাংলায় আজ ভর্তি হলাম, এখন এখানে কী ভর্তি হতে পারবো?
সাথে সাথে রহমত আলী স্যারসহ সবাই রেগে গেলেন।
তোমাকে এখনি পুলিশে দেয়া দরকার।
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ন রহমান স্যার । তিনি ভাইভা বোর্ডে বসা। আমি তিনাকে চিনি না। তিনি আস্তে করে কী যেন বলেন। তাঁর বলা বাক্যটি শুনিনি, দেখি রুমের ভেতর শীতল বাতাস বইতে লাগলো।
যাও, আর কখনো এমন করবে না।
আমি পিলপিল পায়ে হাসি হাসি মুখে ভাইভা রুম থেকে বের হয়ে আসি।
বাইরে এসে দেখি মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে, তার মুখে পৃথিবীর মেঘ, চোখে শীতের কুয়াশা।
তার অসহায় চোখেমুখে দৃষ্টি রেখে আমি আর একটি শব্দও উচ্চারন করতে পারিনি। অসহায় পদক্ষেপে আমি কলাভবন ত্যাগ করি। মেয়েটি নিথর দেহে দাঁড়িয়ে থাকে।
কিছুদূর অতিক্রম করে পেছনে তাকাতেই দেখি ফেসিয়াল টিস্যু তার কস্টিউম করা চোখে।
আজও আমি তার সেই চোখটি ভুলতে পারিনি। আজও তার নিথর দেহের অসহায় দৃষ্টি ভুলতে পারিনি।
বাংলা বিভাগে ভর্তির যাবতীয় কাজ শেষ করলাম। এখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মনে আনন্দ আর আনন্দ।
কলাভবনের দ্বিতীয় তলায় আমাদের বাংলা বিভাগ। রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এই কড়িডোর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতেন, আমি এখন এই কড়িডোর দিয়ে পায়চারী করে রোদেলা সময় যাপন করবো। এতো আনন্দ আমি কোথায় রাখি!
আনন্দ মনে গানে গানে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামি। ডিন অফিসের সামনের দরজায় বের হয়ে যাবো। দেখি ডিন অফিসের সামনে কস্টিউম করা সুন্দরী মেয়েরা ম ম করছে।
এক সুন্দরী মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম এখানে কী?
মেয়েটি হাসিমাখা চোখে উত্তর দেয়-- নাট্যকলা ও সঙ্গীতের ভাইভা হচ্ছে।
ও তাই।
জ্বী তাই।
তারপর মেয়েটি আমার সম্পর্কে জানতে চায়লো। আমি আপনি আপনি আমার আনন্দের নিউজটা প্রকাশ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি, তারউপরে আবার ঢোলের বারি।
গড়গড় করে সব বলতে লাগলাম। আমার কথা শুনে যখন সে মুগ্ধ তখন তাকে টিপস দিতে লাগলাম, কী করে ভাইভা ফেইস করবে সেই টিপস।
একপর্যায়ে তার সাথে আমিও লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ি। আমিও ভাইভা ফেইস করবো।
নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগে পড়ার ইচ্ছা আমার নেই। জাস্ট গ্রাম থেকে আসা এক ছেলের কৌতূহল থেকে এমন কাজ করার অভিলাষ।
সাতজন করে লাইন। এখন আমাদের লাইন রুমের ভেতরে যাবে। আমি লাইনের একপ্রান্তে। আমি পরিধান করেছি কালো টিশার্ট, টিশার্টে গোল একখান লাটিম, জিন্স পেন্ট, পায়ে কেটস, পেছনে ব্যাগ। ব্যাগ নিয়ে অফিস রুমের ভেতরে ঢুকে পড়ি-- আমাকে দেখামাত্র ধমক-- এই ছেলে, এই ছেলে ব্যাগ রেখে আসো।
ধমক শুনে ব্যাগ বাইরের চেয়ারে রেখে আসি। যখন রুমের ভেতরে আসি তখনই পকেটে মোবাইল বেজে ওঠে-- আবার আমার দিকে তীব্রবেগে নেমে আসে ধমক। তাড়াতাড়ি মোবাইল অফ করি।
এখন শুরু হয় নিয়মতান্ত্রিক ভাইভা। ভাইভা প্রধান রহমত আলী স্যার, তাঁকে প্রায় টিভিতে দেখে অভ্যাস্থ। এখন সরাসরি দেখছি, তাও আবার আমার ভাইভা নিচ্ছে। সব মিলিয়ে অন্য রকম অবস্থা। কিন্তু মনেপ্রানে আমি চাচ্ছি যেন সিলেকশন না হই।
একটি মিউজিক বাজবে। মিউজিকের তালে তালে তোমরা হাঁটতে থাকবে।
আমরা তাই করলাম।
আরেকটি মিউজিক বাজবে। তোমরা মিউজিকের তালে তালে হাঁটবে।
আমরা তাই করলাম।
চারজন সামনে আসো। তিনজন পেছনে যাও।
আমি পেছনে গেলাম।
এই ছেলে তুমি সামনে আসো।
যখন আমাকে সামনে যেতে বলে আমি ভয় পেয়ে যাই। কারন আমি চাই আমি যেন সিলেকশন না হই। তারপরও প্রাথমিভাবে টিকে গেলাম। যারা বিদায় নিলো তাদের জন্য মনে মনে মায়া হলো।
দ্বিতীয় সেশনে মেয়েটি নৃত্য করে, আরো দুজন ঢোলতবলা বাজিয়ে দেখায়। আমার পালা-- এই ছেলে গান পারো?
জ্বী স্যার, হালকা হালকা।
গাও ....
আমি গান ধরি, যে গানের কথায় নদীর জলে দুঃখ লুকিয়ে থাকে।
রিদম দিয়ে গাও আরেকটি গান।
আমি কাহারবা তালের একটি গান ধরি যেখানে পাহাড়ি কন্যার কথা আছে।
তারপর তারাও গান গায়। তাদের কন্ঠের আশেপাশেও আমার কন্ঠ নাই, তাদের সুরেলা কন্ঠ আমাকে বেশ মুগ্ধ করে।
এই ছেলে একটি কবিতা আবৃত্তি করো।
আমি চোখ বন্ধ করে বনলতা সেন কবিতাটি আবৃত্তি করি। তারপর তারা আমার জন্মস্থান জিজ্ঞেস করে।
ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়া।
প্রত্যেকে প্রত্যেকের চোখের দিকে কেন যেন তাকায়। আমার ভয় আরও বাড়তে থাকে। তারপর একটি কবিতার বই হাতে দিয়ে বলে একটি কবিতা আবৃত্তি করার জন্য। এমন কবির নাম আমার জীবনেও শুনেনি। তারপরও আবৃত্তি করার চেষ্টা করি-- কী জটিল জটিল শব্দ রে বাবা।
একজন সামনে আসো, বাকীরা পেছনে যাও।
আমি প্রথমেই পেছনে চলে যাই।
এই ছেলে তুমি সামনে আসো।
আমার স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে আসে, নিজয়েন্টে একদম শক্তি পাচ্ছি না।
তোমার নাম কী, মিরিট পজিশন কত?
স্যার, আমি বাংলায় আজ ভর্তি হলাম, এখন এখানে কী ভর্তি হতে পারবো?
সাথে সাথে রহমত আলী স্যারসহ সবাই রেগে গেলেন।
তোমাকে এখনি পুলিশে দেয়া দরকার।
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ন রহমান স্যার । তিনি ভাইভা বোর্ডে বসা। আমি তিনাকে চিনি না। তিনি আস্তে করে কী যেন বলেন। তাঁর বলা বাক্যটি শুনিনি, দেখি রুমের ভেতর শীতল বাতাস বইতে লাগলো।
যাও, আর কখনো এমন করবে না।
আমি পিলপিল পায়ে হাসি হাসি মুখে ভাইভা রুম থেকে বের হয়ে আসি।
বাইরে এসে দেখি মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে, তার মুখে পৃথিবীর মেঘ, চোখে শীতের কুয়াশা।
তার অসহায় চোখেমুখে দৃষ্টি রেখে আমি আর একটি শব্দও উচ্চারন করতে পারিনি। অসহায় পদক্ষেপে আমি কলাভবন ত্যাগ করি। মেয়েটি নিথর দেহে দাঁড়িয়ে থাকে।
কিছুদূর অতিক্রম করে পেছনে তাকাতেই দেখি ফেসিয়াল টিস্যু তার কস্টিউম করা চোখে।
আজও আমি তার সেই চোখটি ভুলতে পারিনি। আজও তার নিথর দেহের অসহায় দৃষ্টি ভুলতে পারিনি।
বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
রাধাকৃষ্ণ
যুক্তপ্রদেশ থেকে উত্তর প্রদেশ। উত্তর প্রদেশে ছোটো ও বড়ো মিলে মোট বত্রিশটি নদী রয়েছে। তার মধ্যে স্বরসতী ও বেতোয়া আমার প্রিয় নদী। যমুনা নদীও উত্তর প্রদেশের জনপ্রিয় নদী।
উত্তর প্রদেশে জেলার সংখ্যা পঁচাত্তর। মথুরা একটি। মথুরা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ন শহর বৃন্দাবন। বৃন্দাবন আর যমুনা নদীর সাথে আশশ্যাওড়ার মতো জড়িয়ে আছে রাধাকৃষ্ণ।
প্রেমের এক পর্যায়ে কৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরা চলে যায়। রাধার হাহাকার দেখে ( এবে কেহ্নে গোআলিনী পোড়ে তোর মন /পোটলী বান্ধিঞাঁ রাখ নহুলী যৌবন) মনে হতো বৃন্দাবন থেকে মথুরার দূরত্ব বুঝি মাইলের পর মাইল। তাই বুঝি রাধার মাইল মাইল হাহাকার। কিন্তু না, রাধাকৃষ্ণের এই বিরহ দূরত্ব মূলত মানসিক দূরত্ব। অভিমানের দেয়ালের কারনে তাদের কর্মীপ্রেম সক্রিয় হয়ে ওঠতে পারেনি।
দূরত্ব গননা যন্ত্রে পরিমাপ করা যায় কিন্তু অভিমানের দূরত্ব, মানসিক দূরত্ব পরিমাপ করার যন্ত্র সৃষ্টির আদি লগ্ন হতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি, হওয়ার না।
উত্তর প্রদেশে জেলার সংখ্যা পঁচাত্তর। মথুরা একটি। মথুরা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ন শহর বৃন্দাবন। বৃন্দাবন আর যমুনা নদীর সাথে আশশ্যাওড়ার মতো জড়িয়ে আছে রাধাকৃষ্ণ।
প্রেমের এক পর্যায়ে কৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরা চলে যায়। রাধার হাহাকার দেখে ( এবে কেহ্নে গোআলিনী পোড়ে তোর মন /পোটলী বান্ধিঞাঁ রাখ নহুলী যৌবন) মনে হতো বৃন্দাবন থেকে মথুরার দূরত্ব বুঝি মাইলের পর মাইল। তাই বুঝি রাধার মাইল মাইল হাহাকার। কিন্তু না, রাধাকৃষ্ণের এই বিরহ দূরত্ব মূলত মানসিক দূরত্ব। অভিমানের দেয়ালের কারনে তাদের কর্মীপ্রেম সক্রিয় হয়ে ওঠতে পারেনি।
দূরত্ব গননা যন্ত্রে পরিমাপ করা যায় কিন্তু অভিমানের দূরত্ব, মানসিক দূরত্ব পরিমাপ করার যন্ত্র সৃষ্টির আদি লগ্ন হতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি, হওয়ার না।
শ
শিশুর কোনো জাহান্নাম নেই। কারন জান্নাতের প্রতি তার কোনো লোভ নেই, পাগলেরও তাই।
No hell for the child as they have no a little yearning for the heaven is to the crazy dab
No hell for the child as they have no a little yearning for the heaven is to the crazy dab
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
বিশ্বাস
একটি প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাসকে অপ্রয়োজনীয় বলতে গেলে আরেকটি বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করা লাগে। আর বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ঝড়ের দিনের আম হলে চলে না, হতে হবে রক্তবীজের মতো প্রানদায়ক।
রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
গেছে
কপালের টিপের মতো তারা প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে, কপাল বদলানোর ক্ষমতা না থাকলেও টিপ বদলানোর ক্ষমতা নিয়েই তারা জন্মেছে
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
হিসাব আছে
হিসাব আছে বন্ধু, সবকিছুর গভীর এবং জটিল হিসাব আছে। এই চোখ কেবল চোখ না, মনের খতিয়ান। এই হাত শুধু হাত না, কর্মের সামনের হাতিয়ার।
যা করো তা দ্বিগুন বেগে তোমার দিকে ফিরে আসবে বন্ধু-- ভালো কিংবা মন্দ, গরম কিংবা মন্দা। সবকিছুর হিসাব হবে চোখের সামনে। বিগত অতীত জোম হয়ে হয়ে চোখের সামনে ভাসবে। হৃদয়ের কাছে পোষা সত্যিরা এসে শুনাবে সান্ত্বনার গান-- ভালো আছি ভালো থেকো প্রিয় আমার।
রোদের সাথে তাল মিলিয়ে ঝড় আসে না-- আইলা, অভিশাপের দেবী আসে একরঙা রাতে অল্প কিছু সময়ের সাথে।
অল্প কিছু ঘাস জানে বিস্তর ব্যথার কারন। বিস্তর ব্যথা জানে হৃদয় কেন আকাশের দিকে তাকায়। আমি জানি, আমি জানি রোদের শেষে রাত। সত্যকে মেনে নিয়ে সূর্যের কর্মসূচী শেষে চাঁদের প্রিয়তম মুখ আসে, আমার মৃত্যুর পর তুমি আসে-- এতোসব আসা যাওয়ার ভেতর গভীর এক হিসাব আছে বন্ধু, গভীর এক হিসাব আছে।
যা করো তা দ্বিগুন বেগে তোমার দিকে ফিরে আসবে বন্ধু-- ভালো কিংবা মন্দ, গরম কিংবা মন্দা। সবকিছুর হিসাব হবে চোখের সামনে। বিগত অতীত জোম হয়ে হয়ে চোখের সামনে ভাসবে। হৃদয়ের কাছে পোষা সত্যিরা এসে শুনাবে সান্ত্বনার গান-- ভালো আছি ভালো থেকো প্রিয় আমার।
রোদের সাথে তাল মিলিয়ে ঝড় আসে না-- আইলা, অভিশাপের দেবী আসে একরঙা রাতে অল্প কিছু সময়ের সাথে।
অল্প কিছু ঘাস জানে বিস্তর ব্যথার কারন। বিস্তর ব্যথা জানে হৃদয় কেন আকাশের দিকে তাকায়। আমি জানি, আমি জানি রোদের শেষে রাত। সত্যকে মেনে নিয়ে সূর্যের কর্মসূচী শেষে চাঁদের প্রিয়তম মুখ আসে, আমার মৃত্যুর পর তুমি আসে-- এতোসব আসা যাওয়ার ভেতর গভীর এক হিসাব আছে বন্ধু, গভীর এক হিসাব আছে।
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
গ্রাম.
বাজারচারতলা। মেঘনা নদী। খেয়া ঘাট। তারপর চরচারতলা। চরচারতলা আশুগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। বাজারচারতলা আড়াইসিধা ইউনিয়নের অন্তভুর্ক্ত।
চর থেকে চরচারতলা, বাজার থেকে বাজারচারতলা। চরচারতলা আর বাজারচারতলার মাঝে সীমানা নির্ধারনকারী নদীর নাম মেঘনা। মূল মেঘনা এখানে আসে না। এখানে মেঘনার মাসির বাড়ি। বর্ষাকালে মেঘনা এখানে বেড়াতে আসে। মূল মেঘনা আরও কয়েক কিলোমিটার পশ্চিমে।
মেঘনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড। হাজার হাজার লোক এখানে কাজ করে। সারা বাংলাদেশ থেকে চাকরির জের ধরে আসা লোক এখানে নির্মান করেছে কলোনি-- আমার শৈশবের লন্ডন।
বাজারচারতলা থেকে খেয়া নৌকা যেখানে গিয়ে নোঙর গাড়ে সেই জায়গাটি লালপুরের কোনা হিসাবে পরিচিত। আমরা চিনি হাউজিঙয়ের কোনা হিসাবে। এই কোনায় একসময় ডাকাতি হতো। এখন ডাকাতি ব্যবসাটি অনেকটা বাজার হারিয়েছে। বাজার যে একেবারে নেই তা বলা যাবে না। আছে, অল্পবিস্তর।
রাত দশটা পর্যন্ত খেয়া নৌকা পারাপার চলে। সবচেয়ে পুরাতন খেয়া মাঝি আমাদের শামসু কাহা। তার রাগের সুনাম আছে! এখনো মাগরিবের নামাযের পর এই জায়গাটি দিয়ে লোক চলাচল কমে আসে। কারন একটাই-- ডাকাতের ভয়।
হাউজিঙয়ের এই কোনায় একদিন এক ডাকাতের লাশ পাওয়া যায়। ডাকাতের নাম শাকির। দায়িত্বরত আনসার তাকে তিনটি গুলি করেছিল। শাকির এক ডায়ালগ দিতো-- বিল নাই বিল নাই। বিল মানে বেলা। অন্য মানুষকে এই ডায়ালগ দিয়ে সে সরাসরি টিস করতো। অথচ একদিন সাধারন আনসারের হাতে তার বিল শেষ হয়ে গেলো।
এই কোনা দিয়ে বিকাল বেলা আমি প্রায় হাঁটতে যাইতাম। হাঁটা ছিল উপলক্ষ্য। লক্ষ্য ছিল অন্য কিছু। বিকাল বেলা সুন্দর নারীরা ছাঁদে হাঁটতে আসতো। তাদের কোনো একজন যদি আমার দিকে তাকায় আর হাসি দেয় তাহলে আমার জীবন ধন্য হয়ে যাবে এমন লক্ষ্য মনে মনে পোষন করতাম। কিন্তু যদি কোনোদিন বাস্তবতার মুখ দেখেনি, যদি যদিই রয়ে গেলো!
চর থেকে চরচারতলা, বাজার থেকে বাজারচারতলা। চরচারতলা আর বাজারচারতলার মাঝে সীমানা নির্ধারনকারী নদীর নাম মেঘনা। মূল মেঘনা এখানে আসে না। এখানে মেঘনার মাসির বাড়ি। বর্ষাকালে মেঘনা এখানে বেড়াতে আসে। মূল মেঘনা আরও কয়েক কিলোমিটার পশ্চিমে।
মেঘনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড। হাজার হাজার লোক এখানে কাজ করে। সারা বাংলাদেশ থেকে চাকরির জের ধরে আসা লোক এখানে নির্মান করেছে কলোনি-- আমার শৈশবের লন্ডন।
বাজারচারতলা থেকে খেয়া নৌকা যেখানে গিয়ে নোঙর গাড়ে সেই জায়গাটি লালপুরের কোনা হিসাবে পরিচিত। আমরা চিনি হাউজিঙয়ের কোনা হিসাবে। এই কোনায় একসময় ডাকাতি হতো। এখন ডাকাতি ব্যবসাটি অনেকটা বাজার হারিয়েছে। বাজার যে একেবারে নেই তা বলা যাবে না। আছে, অল্পবিস্তর।
রাত দশটা পর্যন্ত খেয়া নৌকা পারাপার চলে। সবচেয়ে পুরাতন খেয়া মাঝি আমাদের শামসু কাহা। তার রাগের সুনাম আছে! এখনো মাগরিবের নামাযের পর এই জায়গাটি দিয়ে লোক চলাচল কমে আসে। কারন একটাই-- ডাকাতের ভয়।
হাউজিঙয়ের এই কোনায় একদিন এক ডাকাতের লাশ পাওয়া যায়। ডাকাতের নাম শাকির। দায়িত্বরত আনসার তাকে তিনটি গুলি করেছিল। শাকির এক ডায়ালগ দিতো-- বিল নাই বিল নাই। বিল মানে বেলা। অন্য মানুষকে এই ডায়ালগ দিয়ে সে সরাসরি টিস করতো। অথচ একদিন সাধারন আনসারের হাতে তার বিল শেষ হয়ে গেলো।
এই কোনা দিয়ে বিকাল বেলা আমি প্রায় হাঁটতে যাইতাম। হাঁটা ছিল উপলক্ষ্য। লক্ষ্য ছিল অন্য কিছু। বিকাল বেলা সুন্দর নারীরা ছাঁদে হাঁটতে আসতো। তাদের কোনো একজন যদি আমার দিকে তাকায় আর হাসি দেয় তাহলে আমার জীবন ধন্য হয়ে যাবে এমন লক্ষ্য মনে মনে পোষন করতাম। কিন্তু যদি কোনোদিন বাস্তবতার মুখ দেখেনি, যদি যদিই রয়ে গেলো!
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
চা♬
আমরা কেবল চাঁদের হাসিটা দেখি, চাঁদের দুঃখ দেখার সুযোগ আমাদের নেই। চাঁদ তার দুঃখসময়ে আড়ালে চলে যায়, মানুষের চোখের সীমানা থেকে দূরে বহুদূরে চলে যায়।
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
ও.
বৃষ্টি।
প্রানেল বৃষ্টি।
ঘুম আর ঘুম।
বাড়ির পাশে ঐতিহাসিক ইদগা। আজকে লোক নেই। বৃষ্টি আছে। প্রানেল বৃষ্টি। প্রকৃতির কাছে ইদের আলাদা কোনো মূল্য নেই। প্রকৃতি মানুষের আনন্দের দিনও হরদম কান্না করতে পারে।
বৃষ্টি এলো বলে মামু আসেনি, ইদের দিন জমবে না আমাদের টকশো। প্রকৃতি এমনই মামু ভাগনের টকশোমর্ম জানে না, বিশালের কাছে ছোট্ট খোঁজ তাহে না।
আনন্দ ভেসে যায় বৃষ্টির জলে। ইদের আনন্দ না নমাযে, না খাবারে, না টুপিতে-- ইদের আনন্দ ত্যাগে, ত্যাগের মতো মনে।
প্রানেল বৃষ্টি।
ঘুম আর ঘুম।
বাড়ির পাশে ঐতিহাসিক ইদগা। আজকে লোক নেই। বৃষ্টি আছে। প্রানেল বৃষ্টি। প্রকৃতির কাছে ইদের আলাদা কোনো মূল্য নেই। প্রকৃতি মানুষের আনন্দের দিনও হরদম কান্না করতে পারে।
বৃষ্টি এলো বলে মামু আসেনি, ইদের দিন জমবে না আমাদের টকশো। প্রকৃতি এমনই মামু ভাগনের টকশোমর্ম জানে না, বিশালের কাছে ছোট্ট খোঁজ তাহে না।
আনন্দ ভেসে যায় বৃষ্টির জলে। ইদের আনন্দ না নমাযে, না খাবারে, না টুপিতে-- ইদের আনন্দ ত্যাগে, ত্যাগের মতো মনে।
নেয়া
ঘরে আকাশ নেমে আসে। তারা উড়ে রাতে, চাঁদ দেখা দেয় হালকা করে। অসম্ভব নীরব সুন্দর আকাশ। সোফা বই খাতা ফ্রিজ আব্বা আম্মা বোনদের ঘুম মাইকের আওয়াজের মতো বাতাসে ভাসে। মাথার মূর্তিটি কেবল পৃথিবীর গভীরে অন্য এক পৃথিবী নির্মান করে যাচ্ছে। ফ্যান আস্তে আস্তে হেঁটে চলে মেঘনা নদীর ঠাঁইহীনা জলে। ককশিটে লেখা সবুজ আর লাল কালিতে মা তুমি অদ্বিতীয়।
ফর্মাঘেষা আনন্দ এখানে আসে না, এখানে ফুল আর পাতার মেলা আশেকে মাশুকে। রঙের সম্মোহনে আকাশ টেনে নেয় যতসব চোখ, যতসব মত, যতসব দেহাত্নবাদী ভ্রুন। নীরব হলে জানা যায় যতসব নির্জনতার গুন।
আকাশ হাজার হাজার কবরের হমান। কবরে পেঁয়াজের চাষ হলে মানুষের ব্যবসা ভালো হতে চায়। ব্যবসা ভালো হবে না, ব্যবসা তো মানুষবাহী ক্যান্সার খুব গোপনে, পশুর কাছেও পশু আপন পশু গুনে।
ফর্মাঘেষা আনন্দ এখানে আসে না, এখানে ফুল আর পাতার মেলা আশেকে মাশুকে। রঙের সম্মোহনে আকাশ টেনে নেয় যতসব চোখ, যতসব মত, যতসব দেহাত্নবাদী ভ্রুন। নীরব হলে জানা যায় যতসব নির্জনতার গুন।
আকাশ হাজার হাজার কবরের হমান। কবরে পেঁয়াজের চাষ হলে মানুষের ব্যবসা ভালো হতে চায়। ব্যবসা ভালো হবে না, ব্যবসা তো মানুষবাহী ক্যান্সার খুব গোপনে, পশুর কাছেও পশু আপন পশু গুনে।
শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আমি যদি হতাম বনহংস
আমাদের সমাজ বোনকে বোঝা মনে করে। কোনো বোন যখন পৃথিবীতে আসে তখন আযান দেয়ার রীতি নেই। অথচ ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী কোনো মানুষ জন্মগ্রহন করলে তাকে নতুন পৃথিবীতে স্বাগতম বার্তা হিসাবে আযান দেয়ার রীতি ধর্মবৈধতা লাভ করেছে। কিন্তু আমাদের সমাজে কেবল বেটাছেলে পৃথিবীতে এসেই স্বাগতম বার্তা লাভ করে। স্বাগতম বার্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিষম বাহুর হিসাব নিকাশ যেখানে তিন বাহু কখনো এক হয় না।
দেখা যায় সমদ্বিবাহুর বিপরীত কোনের মানে অবস্থান করে নারী আর বেটাছেলে একেবারে নব্বই ডিগ্রি। অর্থাৎ দুজন মেয়ে সমান একজন ছেলে।
আদিমকালে প্রত্যেক সম্প্রদায় প্রার্থনা করতো মাটিতে অধিক ফসলের, গাভীর অধিক বেটিসন্তান আর অধিক উর্বর নারীর। আদিম ধারনার পরিবর্তন কিছুটা হয়েছে। এখন সমাজ অধিক সন্তান কামনা করে না।
গ্রামে দেখতাম গাভী যখনই বেটাসন্তান প্রসব করতো তখন বুরুব্বির মুখ ম্লান হয়ে যেতো। কারন বেটিবাছুর যেমন অর্থময় বেটাবাছুর তেমন অর্থময় না । পক্ষান্তরে পুরুষসন্তান হলে গ্রামের মানুষ খুব খুশি, জরিনা কিংবা সখিনা হলে মুরুব্বিরা তেমন খুশি না। কারন গ্রামের মানুষ মনে করে বেটাশিশু মানে বংশের চেরাগ, অর্থের যোগান; মাইয়্যা তো চলে যাবে অন্যের ঘরে।
ফলত দেখা যায় মেয়েটি বাপের বাড়িকে অস্থায়ী বাড়ি মনে করে, আবার স্বামীর বাড়িকে নিজের বাড়ি মনে করতে পারে না। ফলে আমাদের সমাজে নারী ভাসমান কচুরিপানার মতো ভাসতে থাকে যাদের কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য বা ঘর নেই।
মেয়েছেলের প্রাকৃতিক সম্পর্ক এখানে ট্যাবু। প্রেম শব্দটি এখানে ট্যাবু। এখানকার গালিগুলি মা জাতির উপরে গিয়ে বর্তায়। শালা গালিটি একসময় মনে করতাম খারাপের ভালো। পড়ে দেখা গেলো শালা গালিটির ভেতরেও পুরুষসুলভ অহংকার খেলা করে। শালা গালিটি মানে তর বোন আমার নিচে, আমার অধীনে। শালা গালিটির মধ্য দিয়ে ভাইটিকে মনে করিয়ে দিতে চায় তর বোন এখনো আমার দাস। অন্য গালিগুলির কথা না-ই বললাম।
বর্ষাকালে আমাদের এলাকায় বেদে সম্প্রদায় আসে। ছোট্ট কাল থেকে বেদে সম্প্রদায়ের প্রতি আমার এক বিশেষ আকর্ষন আছে। বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েরা আমাদের সমাজের ছেলেদের মতো কাজকর্ম করে। আর ছেলেরা নৌকায় বসে রান্নাবান্না করে। খুব কাছ থেকে দেখেছি তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ আছে, শান্তি আছে। বেদেমেয়েদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনও বেশ ভালো। আর আমাদের বোনদের শরীরে চিংড়ি মাছের রক্ত বসবাস করে। বোনেরা রান্নাবান্নার সাথে জড়িত অথচ তাদেরই একান্ত আন্তরিক রোগের নাম গ্যাস্ট্রিক।
গয়নার বাক্স ছবিতে ভূত বুড়িমার যৌবনের টান ওঠে। ক্ষুধা না চিনে জাতের বাহার। কাজের ছেলের সাথে যৌনচাহিদা শেয়ার করতে চায় সে। কিন্তু কাজের ছেলে আর যৌবনের বুড়িমার সামনে দেয়াল রচনা করে সমাজ। সমাজ এমনই ভদ্র মানুষ যে আপনি ক্ষুধাতুর মনে কাতরাতে থাকবেন কিন্তু খাবার দিবে না, তবে আপনাকে বলা হবে আপনি যেন চুরি না করেন।
অর্থাৎ যে ছেলেটি মাস্টরের বেত্রাঘাত খেয়ে সাতদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল সেই যখন মাস্টর হয় তখন সে আবার তার ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে হাসপাতালে পাঠায়।
ম্যানিলা মুভিতে একটি ছেলে এক সুন্দর মেয়ের প্রতি আকর্ষন অনুভব করে। মেয়েটিকে কিশোর ছেলেটি অনুসরন করতে থাকে। মেয়েটি যখন কাপড় বদল করে ছেলেটি ফোঁকর দিয়ে চেয়ে থাকে। অনেক কষ্ট করে মেয়েটির ব্রা সংগ্রহ করে রাতে ব্রা নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। ছেলেটির অভিভাবক বিষয়টি লক্ষ করে এবং সোজা তাকে পতিতালয়ে নিয়ে যায়।
কল্পনা করা যায় বাবা তার ছেলেকে পতিতালয়ে নিয়ে যাচ্ছে! ম্যানিলা মুভির এই ছেলেটি যখন ভারতবর্ষের ফড়িং ছবিতে আসে তখন তাকে অনেক মানসিক যন্ত্রনার শিকার হতে হয়। স্বাভাবিক সত্য সুন্দর বিষয় নেয়ার মানসিকতা এখানে নেই।
কেন নেই?
কারন এখানকার মানুষ কাজধর্ম পালনে আস্থা রাখে না, ভাবধর্মে বিশ্বাসী। কাজধর্মে আস্থা রাখলে মা জাতির সঠিক মূল্যায়ন আমরা বুঝতে পারতাম।
রান্নাঘরে যে পৃথিবী উৎপাদন হতে পারে তা আমাদের উপলব্ধিতে আসতো। আমাদের সুন্দর বুড়িমা কখনো ভূত বুড়িমা হওয়ার সুযোগ থাকতো না। ছেলেটি ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল মিনিটে নিজের জীবনের বীর্য নষ্ট করতো না, টুকরো টুকরো মৃত্যু আর থাকতো না -- আমি যদি হতাম বনহংস, বনহংসী হতে যদি তুমি!
দেখা যায় সমদ্বিবাহুর বিপরীত কোনের মানে অবস্থান করে নারী আর বেটাছেলে একেবারে নব্বই ডিগ্রি। অর্থাৎ দুজন মেয়ে সমান একজন ছেলে।
আদিমকালে প্রত্যেক সম্প্রদায় প্রার্থনা করতো মাটিতে অধিক ফসলের, গাভীর অধিক বেটিসন্তান আর অধিক উর্বর নারীর। আদিম ধারনার পরিবর্তন কিছুটা হয়েছে। এখন সমাজ অধিক সন্তান কামনা করে না।
গ্রামে দেখতাম গাভী যখনই বেটাসন্তান প্রসব করতো তখন বুরুব্বির মুখ ম্লান হয়ে যেতো। কারন বেটিবাছুর যেমন অর্থময় বেটাবাছুর তেমন অর্থময় না । পক্ষান্তরে পুরুষসন্তান হলে গ্রামের মানুষ খুব খুশি, জরিনা কিংবা সখিনা হলে মুরুব্বিরা তেমন খুশি না। কারন গ্রামের মানুষ মনে করে বেটাশিশু মানে বংশের চেরাগ, অর্থের যোগান; মাইয়্যা তো চলে যাবে অন্যের ঘরে।
ফলত দেখা যায় মেয়েটি বাপের বাড়িকে অস্থায়ী বাড়ি মনে করে, আবার স্বামীর বাড়িকে নিজের বাড়ি মনে করতে পারে না। ফলে আমাদের সমাজে নারী ভাসমান কচুরিপানার মতো ভাসতে থাকে যাদের কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য বা ঘর নেই।
মেয়েছেলের প্রাকৃতিক সম্পর্ক এখানে ট্যাবু। প্রেম শব্দটি এখানে ট্যাবু। এখানকার গালিগুলি মা জাতির উপরে গিয়ে বর্তায়। শালা গালিটি একসময় মনে করতাম খারাপের ভালো। পড়ে দেখা গেলো শালা গালিটির ভেতরেও পুরুষসুলভ অহংকার খেলা করে। শালা গালিটি মানে তর বোন আমার নিচে, আমার অধীনে। শালা গালিটির মধ্য দিয়ে ভাইটিকে মনে করিয়ে দিতে চায় তর বোন এখনো আমার দাস। অন্য গালিগুলির কথা না-ই বললাম।
বর্ষাকালে আমাদের এলাকায় বেদে সম্প্রদায় আসে। ছোট্ট কাল থেকে বেদে সম্প্রদায়ের প্রতি আমার এক বিশেষ আকর্ষন আছে। বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েরা আমাদের সমাজের ছেলেদের মতো কাজকর্ম করে। আর ছেলেরা নৌকায় বসে রান্নাবান্না করে। খুব কাছ থেকে দেখেছি তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ আছে, শান্তি আছে। বেদেমেয়েদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনও বেশ ভালো। আর আমাদের বোনদের শরীরে চিংড়ি মাছের রক্ত বসবাস করে। বোনেরা রান্নাবান্নার সাথে জড়িত অথচ তাদেরই একান্ত আন্তরিক রোগের নাম গ্যাস্ট্রিক।
গয়নার বাক্স ছবিতে ভূত বুড়িমার যৌবনের টান ওঠে। ক্ষুধা না চিনে জাতের বাহার। কাজের ছেলের সাথে যৌনচাহিদা শেয়ার করতে চায় সে। কিন্তু কাজের ছেলে আর যৌবনের বুড়িমার সামনে দেয়াল রচনা করে সমাজ। সমাজ এমনই ভদ্র মানুষ যে আপনি ক্ষুধাতুর মনে কাতরাতে থাকবেন কিন্তু খাবার দিবে না, তবে আপনাকে বলা হবে আপনি যেন চুরি না করেন।
অর্থাৎ যে ছেলেটি মাস্টরের বেত্রাঘাত খেয়ে সাতদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল সেই যখন মাস্টর হয় তখন সে আবার তার ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে হাসপাতালে পাঠায়।
ম্যানিলা মুভিতে একটি ছেলে এক সুন্দর মেয়ের প্রতি আকর্ষন অনুভব করে। মেয়েটিকে কিশোর ছেলেটি অনুসরন করতে থাকে। মেয়েটি যখন কাপড় বদল করে ছেলেটি ফোঁকর দিয়ে চেয়ে থাকে। অনেক কষ্ট করে মেয়েটির ব্রা সংগ্রহ করে রাতে ব্রা নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। ছেলেটির অভিভাবক বিষয়টি লক্ষ করে এবং সোজা তাকে পতিতালয়ে নিয়ে যায়।
কল্পনা করা যায় বাবা তার ছেলেকে পতিতালয়ে নিয়ে যাচ্ছে! ম্যানিলা মুভির এই ছেলেটি যখন ভারতবর্ষের ফড়িং ছবিতে আসে তখন তাকে অনেক মানসিক যন্ত্রনার শিকার হতে হয়। স্বাভাবিক সত্য সুন্দর বিষয় নেয়ার মানসিকতা এখানে নেই।
কেন নেই?
কারন এখানকার মানুষ কাজধর্ম পালনে আস্থা রাখে না, ভাবধর্মে বিশ্বাসী। কাজধর্মে আস্থা রাখলে মা জাতির সঠিক মূল্যায়ন আমরা বুঝতে পারতাম।
রান্নাঘরে যে পৃথিবী উৎপাদন হতে পারে তা আমাদের উপলব্ধিতে আসতো। আমাদের সুন্দর বুড়িমা কখনো ভূত বুড়িমা হওয়ার সুযোগ থাকতো না। ছেলেটি ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল মিনিটে নিজের জীবনের বীর্য নষ্ট করতো না, টুকরো টুকরো মৃত্যু আর থাকতো না -- আমি যদি হতাম বনহংস, বনহংসী হতে যদি তুমি!
শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
ব্যাকরণ
সালাম থেকে সেলাম, সেলাম থেকে সেলামি। সেলামি মানে সালাম দেয়ার জন্য প্রাপ্য অর্থ। এখানে সেলামি মানে সালাম করার কারনে প্রাপ্য অর্থ। সালাম করার রীতি মুসলিম কালচারে নেই। সনাতনী কালচারে প্রনাম করার রীতি চালু আছে। যারা একসময় প্রনাম করতে অভ্যস্ত ছিল তারাই এখন সেলাম করে।
সালাম অর্থ শান্তি ~ আসসালামু আলাইকুম Peace be upon yours (not you) = আপনাদের উপর শান্তি নেমে আসুক। কারন এখানে কা শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি, করা হয়েছে কুম (আলাইকুম)। কা ' র বহুবচন কুম। কা ( জমির বা সর্বনাম) অর্থ আপনি বা তুমি কিন্তু কুম অর্থ আসে আপনাদের বা তোমাদের।
তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে একজন ব্যক্তিকেও কেন আসসালামু আলাইকুম বলবো। বলবো এই কারনে যে মুসলিম বিশ্বাস মনে করে ব্যক্তি কখনো একা না, ব্যক্তির সাথে সব সময় দুইজন ফেরেশতা ( কেরাবান, কাতিবিন) থাকে যারা আমলনামা লেখার কাজে ব্যস্ত।
আসসালামু আলাইকুম অর্থ কখনো আপনার উপর রহমত বর্ষিত হোক ' এমন অনুবাদ করা যাবে না। রহমত আর শান্তি এক কথা না। রহমত শব্দটি রাহমান বা দয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট ( ওমা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামিন ~ হে নবী আপনাকে রহমত হিসাবে প্রেরন করা হয়েছে) । দয়া আগে, শান্তি পরে। অর্থাৎ দয়ার পরের ঘটনা শান্তি। অন্যভাবে বললে দয়া একটি ফেকাল্টি আর শান্তি ডিপার্টমেন্ট।
নম অর্থ নত হওয়া ( শিষ্টাচার)। প্রনাম মানে বিশেষভাবে নত হওয়া। প্র উপসর্গটি এখানে বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সনাতনী কালচারে বহুপদ্ধতিতে প্রনাম করার রীতি চালু আছে, বহুপদ্ধতির মাঝে নমস্কার ( কল্যানমূলক ধ্বনি) বলা একটি। মুসলিম কালচারে আসসালামু আলাইকুম ( কল্যানমূলক ধ্বনি) উচ্চারন সাক্ষাৎমাত্র ওরাকল পদ্ধতি।
English weather একটি pharase। যার অর্থ changing weather। যখন এটি মানুষের আচরনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তখন এটি mood swing বিষয়টিকে বুঝিয়ে থাকে। অর্থাৎ English weather মানে ঘন ঘন আচরনের পরিবর্তনকে বুঝায়। যেহেতু ইংলিশদের সকালের আবহাওয়ার সাথে বিকেলের, সন্ধ্যার আবহাওয়ার মিল নেই। তাই আবহাওয়া ভালো থাকা তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তাইতো তাদের কল্যান ধ্বনি good morning, good evening, good night প্রভৃতি।
সা শব্দটির চেয়ে সে শব্দটি অধিক পরিচিত। আর গ্রামের মানুষের স্বজনপ্রীতি প্রখর। তাইতো সালাম না বলে, সেলাম বলে।
সেলামি = দন্ড দেয়া যখন সেলামির আগে আক্কেল শব্দটি বসে ( আক্কেল সেলামি = অতি চালাক বা অতি বোকামির জন্য প্রদত্ত ক্ষতিপূরন)। তারা কিন্তু আক্কেল বলে না, বলে আহল। ল আর ক বর্ন পাশাপাশি থাকলে তারা ক বর্নটির প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ে। যেমন তারা বেক্কল বলে না, বলে বেহল ; বাকল বলে না, বলে বাহল।
আরবিতে আহলে, আহলো, আহল সম্প্রদায় অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।যেমন : আহলে সুন্নাত। আহলে সুন্নাত হলো এমন এক ইসলামি সম্প্রদায় যারা মনে করে হযরত মোহাম্মদ (স) নূর দিয়ে তৈরি, তিনি দেখতে মানুষের মতো কিন্তু মানুষ না, তিনি মানুষ রূপ ধরে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আবার সনাতনী ধর্মের দেবতার মতো না।
দেবতারা তো স্বয়ং ভগবান। ভগবান, ভগবান হয়ে পৃথিবীতে আসতে পারেন না, তাই মানুষ হয়ে পৃথিবীতে আসেন। ভগবান শব্দটি বিশ্লেষন করলে আমরা পাই -- ভগ ধারন করে আছে যে। ভগ মানে যোনি।
এক স্রষ্টা অভিশপ্ত হলেন। ফলে তাঁর সারা অঙ্গে যোনি দিয়ে ভরাট হয়ে যায়। পরে অভিশাপ তুলে নেয়া হলো সেলামির বিনিময়ে। কিন্তু অঙ্গে যোনি না থাকলেও নামে যোনি চলে আসে। ভগবান।। আদম নবীও সেলামির বিনিময়ে হাওয়ার সাথে অবশেষে পৃথিবীর বুকে সংসার করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ডায়েট
নতুন এক ডায়েট আমদানি হয়েছে। নাম তার ক্রাস ডায়েট। মেদ কমাতে তারা ক্রাস ডায়েট করে অথচ তাদের মেয়াদ কমে যায়।
জ✔.
আমি চাইবো আমাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিবেন সবাই স্নান করে ঘুমাতে যাবেন। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের অসুস্থ হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে, স্বাস্থ্যখাতেও বাজেট কম দিবে হবে, ডাক্তারের উপর চাপ কমবে।
তাতে ঔষধ কোম্পানি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর উপর মনে মনে মামলা দায়ের করতে পারে। তাতে সমস্যা নেই, জনগন সাথে থাকলে প্রকাশ্য মামলাই মামলা না, আর কে যে বলে মনে মনে মামলা!
তাতে ঔষধ কোম্পানি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর উপর মনে মনে মামলা দায়ের করতে পারে। তাতে সমস্যা নেই, জনগন সাথে থাকলে প্রকাশ্য মামলাই মামলা না, আর কে যে বলে মনে মনে মামলা!
বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
গ.
হঠাৎ বুকের ভেতর যখন শুরু হয়ে যায় এক কোয়া কান্না, এক সোয়া নদী আসে চোখের ধারায়, নিথর এক শব্দ নেমে আসে নদীর চেনাজানা আলপথ ধরে। কতটুকু পেছনে গেলে অনেক দূরের অচেনা পথটা তবুও চেনা হয়ে যায় মন তখন জানে না।
পাগল মনেরও একটি বাড়ি আছে, খুব গোছালো এক বাড়ি, সেখানে সে বাজার করে, রান্না করে, রোজ নিয়ম করে ঘুমায়, আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল করে। কতটুকু পাগল হলে সেই পাগল মনের দেখা পাওয়া যায় এ অবুঝ মন তা জানে না।
আমাদের সবার একদিন সব কিছু ছেড়ে পথে বসতে হবে। কেউ হয়তো দালান বানায়, কেউ বানাবে পাহাড়। বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকা কেবল। ব্যস্ততা এক ঔষধের নাম। কত ঔষধ খেলে হৃদয় ভুলে যায় হৃদরোগ হৃদয় তা জানে না।
পাগল মনেরও একটি বাড়ি আছে, খুব গোছালো এক বাড়ি, সেখানে সে বাজার করে, রান্না করে, রোজ নিয়ম করে ঘুমায়, আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল করে। কতটুকু পাগল হলে সেই পাগল মনের দেখা পাওয়া যায় এ অবুঝ মন তা জানে না।
আমাদের সবার একদিন সব কিছু ছেড়ে পথে বসতে হবে। কেউ হয়তো দালান বানায়, কেউ বানাবে পাহাড়। বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকা কেবল। ব্যস্ততা এক ঔষধের নাম। কত ঔষধ খেলে হৃদয় ভুলে যায় হৃদরোগ হৃদয় তা জানে না।
চানাচুর
এখন বর্ষাকাল। রোজ রাত নেমে আসে আমাদের চোখে মুখে নাকে। আমাদের ঘুমেরা আর জ্বালাতন করে না। আমাদের স্বপ্নরা আর আমদানি করে না রাতজাগাপাখি। বস্তা বস্তা দুঃখ ট্রাকভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় দূরে, অনেক দূরে।
শাহবাগ চুপচাপ শ্রীরামচন্দ্রের ধ্যানী আসনের মতো।
আমাকে যদি এখনই পৃথিবীর প্রধান করে দেয়া হয় তাহলে আমি এখনই পদত্যাগ করবো, নতুবা সন্ত্রাস দমন করবো নিজ হাতে বাঁচি কিংবা মরি।
আসন পাবার পর হয়তো আমার মানসিকতাও বদল হয়ে যেতে পারে-- সন্ত্রাস দমনের পরিবর্তে আমার চেয়ারের নিচে থাকবে কতিপয় পোষা সন্ত্রাস। নিজে পদত্যাগের পরিবর্তে আমার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের কপালে লেখা হবে পদত্যাগের শাব্দিক হিসাব।
আসনের লোভ আসলেই কপালের লাল টিপের মতো, কেবলই নিজেকে দেখায়।
শাহবাগ চুপচাপ শ্রীরামচন্দ্রের ধ্যানী আসনের মতো।
আমাকে যদি এখনই পৃথিবীর প্রধান করে দেয়া হয় তাহলে আমি এখনই পদত্যাগ করবো, নতুবা সন্ত্রাস দমন করবো নিজ হাতে বাঁচি কিংবা মরি।
আসন পাবার পর হয়তো আমার মানসিকতাও বদল হয়ে যেতে পারে-- সন্ত্রাস দমনের পরিবর্তে আমার চেয়ারের নিচে থাকবে কতিপয় পোষা সন্ত্রাস। নিজে পদত্যাগের পরিবর্তে আমার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের কপালে লেখা হবে পদত্যাগের শাব্দিক হিসাব।
আসনের লোভ আসলেই কপালের লাল টিপের মতো, কেবলই নিজেকে দেখায়।
কাস্টমস
সজ্জনের সজলা মনের মতো তমসানদী আমার
কালে কালে পলে পলে বাড়ছে তোমার রূপের বাহার
রাম-লক্ষ্মন-সীতা শুনেনি তোমার করুন বারন
নদীর আবেদন জানে না বিতস্তা, ঝমঝম কূপের কারন
প্রিয়তমা ঘোর রাতের আধাঁর, শাপলা ফুল
রোজ নিয়ম করে বাঁশপাতার আড়ালে ঝুলে থাকে গোপন কিছু ভোর
গোপন কথা গোপন থাকে না কাছে কিংবা দূর
বিপাশা নদীর জলে সন্ধ্যার চুলে নামে বাউল নামে উদাসীন এক সুর
দাঁতের সাথে জিব্বা যুদ্ধ করে বাঁচে
সরস্বতী নদীকূল
বাল্মীকির মনে আসা প্রিয়ফুল
বারবার জেগে উঠে সজলা মনের কাছে
মনের তৃপ্তি চোখসুলভ
কাশফুলে না মিটে কাশফুলে না মিটে
কালে কালে পলে পলে বাড়ছে তোমার রূপের বাহার
রাম-লক্ষ্মন-সীতা শুনেনি তোমার করুন বারন
নদীর আবেদন জানে না বিতস্তা, ঝমঝম কূপের কারন
প্রিয়তমা ঘোর রাতের আধাঁর, শাপলা ফুল
রোজ নিয়ম করে বাঁশপাতার আড়ালে ঝুলে থাকে গোপন কিছু ভোর
গোপন কথা গোপন থাকে না কাছে কিংবা দূর
বিপাশা নদীর জলে সন্ধ্যার চুলে নামে বাউল নামে উদাসীন এক সুর
দাঁতের সাথে জিব্বা যুদ্ধ করে বাঁচে
সরস্বতী নদীকূল
বাল্মীকির মনে আসা প্রিয়ফুল
বারবার জেগে উঠে সজলা মনের কাছে
মনের তৃপ্তি চোখসুলভ
কাশফুলে না মিটে কাশফুলে না মিটে
বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
একদিকে
একটি নৌকা একদিকে ডুবে গেলে অন্যদিকে ভেসে ওঠে। আপনি যদি নৌকাটি গর্ত করে দেন তাহলে দেখবেন নৌকাটি ভেসে আছে, আসলে নৌকাটি ডুবে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
শেখানো
আমি প্রতিদিন রাতে একগ্লাস জুস খাই। পেঁপের বা আমের বা কলার জুস। একটি দোকান থেকেই খাই। পকেটে যেহেতু টাকা এবং মনভর্তি স্বাধীনতা আছে সেহেতু যে কোনো দোকান থেকেই খেতে পারি। কিন্তু খাই না। যেখানেই থাকি জুস খাওয়ার জন্য আমি সেই দোকানে চলে আসি(ঢাকা থাকলে)।
লেনদেন আমি একজায়গা থেকে করতে পছন্দ করি। আমার মোবাইল কোনো কারনে অন্য চার্জজার দিয়ে চার্জ দিলে মোবাইল গুসসা করে অনেকটা বাংলা সিনেমার এককালীন চমৎকার অভিনেত্রী শাবানার মতো। সে তখন ভালোভাবে কাজ করতে চায় না। তাই যেকোনো লেনদেনে আমি বহুগামীতা পছন্দ করি না।
একবছর যাবৎ আমি সেই দোকান থেকে জুস খাচ্ছি। কিন্তু দোকানদার আমার সাথে অন্য কাস্টমারের মতোই আচরন করে। প্রতিদিন দোকানে গিয়ে আমাকে বলতে হয়, ভাই প্রয়োজনে টাকা বেশি নেন কিন্তু আমার জুস যেন ভালো হয়। সে এমন এক ভাব ধরে যেন আমার কথা হয়তো শুনেছে হয়তো শুনেনি।
দোকানদাদের এই বিচারবুদ্ধিহীন আচরনের জন্য মনে মনে আমি খুব কষ্ট পেতাম। আরে বেটা প্রতিদিন তর এখানে একটি ছেলে একগ্লাস জুস খাওয়ার জন্য আসে সে তো স্বাভাবিকভাবেই একটু ভালো আচরন আশা করে। মাঝে মাঝে দেখতাম অন্য কিছু কাস্টমারের সাথে হাসি দিয়ে কথা বলছে এবং সে তার সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
তাহলে আমি কী দোষ করলাম?
সব কিছুরই শেষ দেখার একটি মানসিকতা আমি রাখি। শেষ দেখে শুরুর সিদ্ধান্ত আমি নিয়ে থাকি। ফলে তখন আমার সিদ্ধান্তে এসে জমা হয় অভিজ্ঞতা, বাস্তবতা, নৈতিকতার এক জমকালো খতিয়ান। মনে মনে প্রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম তার দোকান থেকে আর জুস খাবো না। যেকোনো অভ্যাসগত জায়গা আমি আস্তে আস্তে ত্যাগ করি ( Run fast leave slow)।
চীন থেকে দেশে ফিরলাম। ইদের ছুটিতে সবাই বাড়ি চলে গ্যাছে। আমিও চলে যাবো। রাতে সাইফুল ভাইয়ের দোকানে গেলাম। জুস খাবো। দেখি সে একহাত দিয়ে জুস বানাচ্ছে।
ভাই , আপনার অন্য হাতে কী?
দেখেন না ক্যামন ঘা হয়েছে?
কী করে?
দুইদিন আগে কেটে যায়, তখন ওয়ানটাইম দিয়ে বেঁধে রাখি, ওয়ানটাইম খুলে দেখি এই অবস্থা!
দোকান এখন বন্ধ করেন। সে তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে। তারপর তাকে নিয়ে যাই ঢাকা মেডিকেলে। ইমার্জেন্সি গেইট দিয়ে ঢুকি। চিকিৎসক চিকিৎসা করতে চায় না। তারপরও আমি ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা বলাতে ডাক্তারের সুমর্জি হয়। তার আঙুলে কয়েকটি সেলাই দিয়ে একমাসের ঔষধ দিয়ে বিদায় করে।
সে দোকানে চলে আসে, আমিও তাকে সমস্ত ঔষধসেবন বিধি বুঝিয়ে দিয়ে আমার হলে চলে আসি। পরদিন সকালে বাড়ি চলে যায়।
এখনো তার দোকানে প্রতিরাতে জুস খেতে যায়। সে দেখামাত্র একটি হাসি দিবে। কী চমৎকার হাসিরে বাবা! তারপর সুন্দর করে গ্লাস ধৌত করবে, তারপর মজা করে একগ্লাস জুস দিবে।
মাঝে মাঝে অনেক রাত হয়ে যায়। তারপরও দেখি তার দোকান বন্ধ হয়নি। কেন দোকান বন্ধ করেনি তা আমি জিজ্ঞেস করি না। কারন আমি জানি আমার জন্যই তার এই রাতজাগা।
যে মানুষটি আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলতো না, সে এখন আমার জন্য রাত জেগে থাকে, হৃদয়ভর্তি ভালোবাসা জমা রাখে। আসলেই মানুষকে ভালোবাসা শেখাতে হয় ....
লেনদেন আমি একজায়গা থেকে করতে পছন্দ করি। আমার মোবাইল কোনো কারনে অন্য চার্জজার দিয়ে চার্জ দিলে মোবাইল গুসসা করে অনেকটা বাংলা সিনেমার এককালীন চমৎকার অভিনেত্রী শাবানার মতো। সে তখন ভালোভাবে কাজ করতে চায় না। তাই যেকোনো লেনদেনে আমি বহুগামীতা পছন্দ করি না।
একবছর যাবৎ আমি সেই দোকান থেকে জুস খাচ্ছি। কিন্তু দোকানদার আমার সাথে অন্য কাস্টমারের মতোই আচরন করে। প্রতিদিন দোকানে গিয়ে আমাকে বলতে হয়, ভাই প্রয়োজনে টাকা বেশি নেন কিন্তু আমার জুস যেন ভালো হয়। সে এমন এক ভাব ধরে যেন আমার কথা হয়তো শুনেছে হয়তো শুনেনি।
দোকানদাদের এই বিচারবুদ্ধিহীন আচরনের জন্য মনে মনে আমি খুব কষ্ট পেতাম। আরে বেটা প্রতিদিন তর এখানে একটি ছেলে একগ্লাস জুস খাওয়ার জন্য আসে সে তো স্বাভাবিকভাবেই একটু ভালো আচরন আশা করে। মাঝে মাঝে দেখতাম অন্য কিছু কাস্টমারের সাথে হাসি দিয়ে কথা বলছে এবং সে তার সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
তাহলে আমি কী দোষ করলাম?
সব কিছুরই শেষ দেখার একটি মানসিকতা আমি রাখি। শেষ দেখে শুরুর সিদ্ধান্ত আমি নিয়ে থাকি। ফলে তখন আমার সিদ্ধান্তে এসে জমা হয় অভিজ্ঞতা, বাস্তবতা, নৈতিকতার এক জমকালো খতিয়ান। মনে মনে প্রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম তার দোকান থেকে আর জুস খাবো না। যেকোনো অভ্যাসগত জায়গা আমি আস্তে আস্তে ত্যাগ করি ( Run fast leave slow)।
চীন থেকে দেশে ফিরলাম। ইদের ছুটিতে সবাই বাড়ি চলে গ্যাছে। আমিও চলে যাবো। রাতে সাইফুল ভাইয়ের দোকানে গেলাম। জুস খাবো। দেখি সে একহাত দিয়ে জুস বানাচ্ছে।
ভাই , আপনার অন্য হাতে কী?
দেখেন না ক্যামন ঘা হয়েছে?
কী করে?
দুইদিন আগে কেটে যায়, তখন ওয়ানটাইম দিয়ে বেঁধে রাখি, ওয়ানটাইম খুলে দেখি এই অবস্থা!
দোকান এখন বন্ধ করেন। সে তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে। তারপর তাকে নিয়ে যাই ঢাকা মেডিকেলে। ইমার্জেন্সি গেইট দিয়ে ঢুকি। চিকিৎসক চিকিৎসা করতে চায় না। তারপরও আমি ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা বলাতে ডাক্তারের সুমর্জি হয়। তার আঙুলে কয়েকটি সেলাই দিয়ে একমাসের ঔষধ দিয়ে বিদায় করে।
সে দোকানে চলে আসে, আমিও তাকে সমস্ত ঔষধসেবন বিধি বুঝিয়ে দিয়ে আমার হলে চলে আসি। পরদিন সকালে বাড়ি চলে যায়।
এখনো তার দোকানে প্রতিরাতে জুস খেতে যায়। সে দেখামাত্র একটি হাসি দিবে। কী চমৎকার হাসিরে বাবা! তারপর সুন্দর করে গ্লাস ধৌত করবে, তারপর মজা করে একগ্লাস জুস দিবে।
মাঝে মাঝে অনেক রাত হয়ে যায়। তারপরও দেখি তার দোকান বন্ধ হয়নি। কেন দোকান বন্ধ করেনি তা আমি জিজ্ঞেস করি না। কারন আমি জানি আমার জন্যই তার এই রাতজাগা।
যে মানুষটি আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলতো না, সে এখন আমার জন্য রাত জেগে থাকে, হৃদয়ভর্তি ভালোবাসা জমা রাখে। আসলেই মানুষকে ভালোবাসা শেখাতে হয় ....
সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
দুইজন
দুই হাজার এগারো সালে আমি একখান কম্পিউটার কিনি। দুই হাজার তের সাল পর্যন্ত তার সাথে আমার সম্পর্ক ভালোই ছিল। দুই হাজার তের সালের পর তার সাথে আমার সম্পর্ক অনিয়মিত হয়ে পড়ে। যেহেতু আমি ব্রেকআপ নীতিতে বিশ্বাসী না সেহেতু বলতে পারছি না তার সাথে আমার ব্রেকআপ হয়েছিল কিংবা বলতে পারছি না পিরিতি ভাঙিয়া গেলে নাহি লাগে জুড়া।
আমার প্রিয়তমা কম্পিউটার আরামসে ঘুমে ব্যস্ত, আমিও তাকে কোনো প্রকার বিরক্ত করতাম না। সে যেখানে ঘুমিয়ে থাকতো সেখানেই আমি আমার দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র রাখতাম। তার কানের কাছ দিয়ে আমার হাত চলাফেরা করত কিন্তু কখনো তার শরীরে হাতের স্পর্শ সজাগ করেনি।
কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল আমি ডাক দেয়া মাত্র আমার প্রিয়তমা কম্পিউটার কাজ করতে আরম্ভ করবে। অনেক কম্পিউটার বিশারদ আমাকে অনেকভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। আমি ভয় পাইনি। কারন আমি সম্পর্ককে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি, কোনো বৈষয়িক দেয়াল আমাদের মাঝে ফাটল তৈরি করতে পারবে বলে আমার মনে হয়নি। হয়তো দুজন দুপথে দুইভাবে আছি, এর মানে এই নয় দুজন দুজনের কাছ থেকে দূরে চলে গেছি।
প্রয়োজনে কাছাকাছি আসা যেমন যায়, আবার প্রয়োজনে দূরেও যাওয়া যায়। দুজনের প্রয়োজন এক হলে কাছে কিংবা দূরে থাকা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নয়। প্রয়োজনে চাঁদ লুকিয়ে যায় কিন্তু নদীর মাঝি ঠিকই জানে চাঁদ লুকিয়ে গেছে মানে চিরতরে দূরে সরে গ্যাছে না। ভালো যোদ্ধা যেমন যুদ্ধ করতে পারে তেমনি যুদ্ধ থেকে পালাতেও পারে।
আমি আর আমার কম্পিউটার সম্পর্ক থেকে পালিয়ে ছিলাম সম্পর্কের গুরুত্ব উপলব্ধি করার জন্যে।
আজ আবার কম্পিউটার ওপেন করলাম। চার্জ নেই তাই চার্জ দিলাম। সে ঠিক আগের মতোই আছে। একটুও বদলায়নি। আমার আস্থা ছিল সে বদলাতে পারে না।
আমার প্রিয়তমা কম্পিউটার আরামসে ঘুমে ব্যস্ত, আমিও তাকে কোনো প্রকার বিরক্ত করতাম না। সে যেখানে ঘুমিয়ে থাকতো সেখানেই আমি আমার দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র রাখতাম। তার কানের কাছ দিয়ে আমার হাত চলাফেরা করত কিন্তু কখনো তার শরীরে হাতের স্পর্শ সজাগ করেনি।
কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল আমি ডাক দেয়া মাত্র আমার প্রিয়তমা কম্পিউটার কাজ করতে আরম্ভ করবে। অনেক কম্পিউটার বিশারদ আমাকে অনেকভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। আমি ভয় পাইনি। কারন আমি সম্পর্ককে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি, কোনো বৈষয়িক দেয়াল আমাদের মাঝে ফাটল তৈরি করতে পারবে বলে আমার মনে হয়নি। হয়তো দুজন দুপথে দুইভাবে আছি, এর মানে এই নয় দুজন দুজনের কাছ থেকে দূরে চলে গেছি।
প্রয়োজনে কাছাকাছি আসা যেমন যায়, আবার প্রয়োজনে দূরেও যাওয়া যায়। দুজনের প্রয়োজন এক হলে কাছে কিংবা দূরে থাকা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নয়। প্রয়োজনে চাঁদ লুকিয়ে যায় কিন্তু নদীর মাঝি ঠিকই জানে চাঁদ লুকিয়ে গেছে মানে চিরতরে দূরে সরে গ্যাছে না। ভালো যোদ্ধা যেমন যুদ্ধ করতে পারে তেমনি যুদ্ধ থেকে পালাতেও পারে।
আমি আর আমার কম্পিউটার সম্পর্ক থেকে পালিয়ে ছিলাম সম্পর্কের গুরুত্ব উপলব্ধি করার জন্যে।
আজ আবার কম্পিউটার ওপেন করলাম। চার্জ নেই তাই চার্জ দিলাম। সে ঠিক আগের মতোই আছে। একটুও বদলায়নি। আমার আস্থা ছিল সে বদলাতে পারে না।
জানান
একপক্ষ ফাঁসিতে ঝুলে জান্নাতে চলে যাবে, আরেকপক্ষ ফাঁসি দিয়ে জান্নাতে চলে যাবে, অন্যপক্ষ চুপ থেকে জান্নাতে চলে যাবে (যে চুপ থাকলো সেই নিরাপদ), আমাদের আক্কাস ভাই কোনো পক্ষের সাথেই নাই তাই তাকে সোজা জাহান্নামে চলে যেতে হবে।
রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
নো টক
মানুষের সাথে আমার আন্ডারগ্রাউন্ড সম্পর্ক
কে আছো সম্পাদক
কে আছো প্রোডিওসার
পালাও পালাও
অফিস ঘেরাও হবে
জ্বলবে আগুন দাউ দাউ।
শিল্পের নামে চলছে যৌনতার ব্যবসা
বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে প্রোগ্রাম
এই মাটি এই শিল্প তোমার আব্বার না, জনগনের গ্রাম।
এই গ্রামে ফুলের চাষ হবে, মৌমাছি আবার আকাশে উড়বে, মাছের বাজারে মাছি করবে ভনভন।
যে কৃষক ফসল তুলতে গিয়ে ঘাম ঝড়ায়,
যে নদীকন্যা পৃথিবীর ভার বুকে নিয়ে সংসারপথে গতি হারায়,
যে লেখক স্রোতকে ধাক্কা দিয়ে বিল্পব বানায়-- তাঁদের কাছে মাথা নত করে নদীর জোয়ারের মতো চিনে নিবো আশালতা ফল,
সমাহিত মন,
হৃদয়ের জন,
জীবের আগের জল
ভুলে যাবো নেমে আসা যতসব ভয়ার্ত কনকন।
তোমাদের কাছে খুচরো পয়সার মতো গরীবের জীবন
গরীব মরে আইনের ফাঁদে, তোমাদের আদালত
রোজ চলে এসিরুমে তোমাদের মানবিক বৈঠক
টেবিলের নিচে কাজ চালায় আমাদের সম্পাদক
মানুষের সাথে আমার আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন
নো টক নো টক!
কে আছো সম্পাদক
কে আছো প্রোডিওসার
পালাও পালাও
অফিস ঘেরাও হবে
জ্বলবে আগুন দাউ দাউ।
শিল্পের নামে চলছে যৌনতার ব্যবসা
বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে প্রোগ্রাম
এই মাটি এই শিল্প তোমার আব্বার না, জনগনের গ্রাম।
এই গ্রামে ফুলের চাষ হবে, মৌমাছি আবার আকাশে উড়বে, মাছের বাজারে মাছি করবে ভনভন।
যে কৃষক ফসল তুলতে গিয়ে ঘাম ঝড়ায়,
যে নদীকন্যা পৃথিবীর ভার বুকে নিয়ে সংসারপথে গতি হারায়,
যে লেখক স্রোতকে ধাক্কা দিয়ে বিল্পব বানায়-- তাঁদের কাছে মাথা নত করে নদীর জোয়ারের মতো চিনে নিবো আশালতা ফল,
সমাহিত মন,
হৃদয়ের জন,
জীবের আগের জল
ভুলে যাবো নেমে আসা যতসব ভয়ার্ত কনকন।
তোমাদের কাছে খুচরো পয়সার মতো গরীবের জীবন
গরীব মরে আইনের ফাঁদে, তোমাদের আদালত
রোজ চলে এসিরুমে তোমাদের মানবিক বৈঠক
টেবিলের নিচে কাজ চালায় আমাদের সম্পাদক
মানুষের সাথে আমার আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন
নো টক নো টক!
বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
সূর্য
সূর্য অনেকটা গ্রামীন বধূর মতো লাজুক প্রিয়া। গ্রামীন বধূ বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি আসা মাত্র লজ্জায় লাল হয়ে যায়, স্বামীর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি যাওয়া মাত্র লজ্জায় লাল হয়ে যায়।
লজ্জা সূর্যের ভূষন।
লজ্জা সূর্যের ভূষন।
কলা
আমার একটা লাল কলম ছিল, কলমের শুধু আমিই ছিলাম
I had a red pen, the pen was busy only to annex my compliment
I had a red pen, the pen was busy only to annex my compliment
ঝড়
পাখনার নিচে কচিপাতা আসন
ঝড় হবে
বৃষ্টি হবে
শহরে দেখা দিবে সূর্যশিশির আলোর নাচন
বহুবছর ধরে দূরে থাকা নদীকূল এক হবে
সবুজ গাছের উপর নেমে আসবে মেঘবর্ন আকাশ
দুধশাদা মেয়েটি শিলাঝড় হাসিতে ফু দিবে বাঁশিতে
গানের সুরে বাজবে ভেজা বাতাস
পাখনার নিচ থেকে সরে যাবে সিংহাসন
রচিত হবে নতুন নতুন আকাশ
ঝড় হবে
বৃষ্টি হবে
শহরে দেখা দিবে সূর্যশিশির আলোর নাচন
বহুবছর ধরে দূরে থাকা নদীকূল এক হবে
সবুজ গাছের উপর নেমে আসবে মেঘবর্ন আকাশ
দুধশাদা মেয়েটি শিলাঝড় হাসিতে ফু দিবে বাঁশিতে
গানের সুরে বাজবে ভেজা বাতাস
পাখনার নিচ থেকে সরে যাবে সিংহাসন
রচিত হবে নতুন নতুন আকাশ
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)