শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

গ্রামীন মেয়ে

গ্রামীন মেয়ে
তোকে দেখতে ভীষন ইচ্ছে করে
গ্রামীন মেয়ে
তোর চোখে ভাসতে ইচ্ছে করে
গ্রামীন মেয়ে
তোর ঠোঁটে আমার বসতবাড়ি
ইচ্ছে হলে লজ্জাসুখে ঢেকে দিতে পারিস
গ্রামীন মেয়ে
বেড়ার ফাঁকে একটু মারিস উঁকি
রাস্তা বেয়ে দেখে নিব সন্ধ্যা রাতের জ্যোতি
তোর হাতে গাইন্দ্যা চালের ভাত
হালকা ঝোলের পুঁটি মাছ
গরম দুধের স্বাদ
তোর গতরের জংলি গরম ভীষন আরাম রাত
গ্রামীন মেয়ে
তোর উঠোনে খেলতে আমার চরম নেশা ধরে
দুজন মিলে কানামাছি চার পাঁচ ছয়
ঠোঁটের কোনে মুগ্ধ হাসি
জয় আমাদের জয়
গ্রামীন মেয়ে
তোর ত  অনেক লজ্জা লজ্জা ভাব
মনের বোতাম চারটা হলে তিনটা খোলা রাখ
তোর মনের গোপন খাতায় রেজা নামটি থাক

বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

এসিকাল

আমরা যারা গরীব তাদের জন্য টিনের চালে নামে কনকনে শীতকাল, কর্দমাক্ত রাস্তায় নামে বর্ষাকাল, মাথায় নামে গ্রীষ্মকাল, আর তাদের রুমে তাদের গাড়িতে তাদের মার্কেটে একটিই কাল-- এসিকাল( air conditioner season)

বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রয়ো জ ন

প্রিয়জন বলে আলাদা কোনো পোস্টার নেই, সবই প্রয়োজন

দ্বিতীয়

পাড় থেকে নদীর দূরত্ব মাত্র এক‌টি দীর্ঘশ্বাস

ভালোবাসা

ভালোবাসাকে বুঝতে হয় একটা জীবন দিয়ে, জীবনে ভালোবাসা আসে না

মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

পেস্ট আর ব্রাশ

আশেপাশে প্রচুর অভিধান রেজা ভাই, মাথাটাকে অন্ততপক্ষে অভিধানমুক্ত রেখো। পেস্ট আর ব্রাশ কিন্তু দাঁত খেয়ে ফেলে। রেজা ভাই পেস্ট আর ব্রাশকে নিয়মিত চেক করে নিও।

গরমের শীত

গ্রীষ্মকালে বিরক্ত করার জন্য গরম থাকে, শীতকালে আরাম দেয়ার জন্য বেকারদের জন্য কেউ থাকে না। রাত শেষে বালিশের সাথে একা।

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

বেদনা তার জন্যে

এক কবি ছিলেন। আমাদের মাঝে ছিলেন তিনি। এখন আর নেই। না না। মারা যাননি। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। ছোট কালে তাকে দেখতাম। ভাবই আলাদা। কবি হতে গেলে আলাদা একটা ভাব লাগে। তাকে দেখে এমনই মনে হতো আমাদের। তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে তার ভাবের গন্ধ নাকে এসে লাগত। ভুল করে যদি তিনি কথা বলতো তাহলে ত ...! তিনি যে ভাষায় কথা বলতেন সেই ভাষা বাংলার মতো তবে বাংলা ভাষা মানে আমরা যে ভাষাকে বাংলা ভাষা বলি ঠিক সেই ভাষা ছিল না। এর নাম নাকি কাব্য ভাষা। তিনি টয়লেট করতেন কাব্য ভাষায়, তিনি বাজার করতেন কাব্য ভাষায়, তিনি ক্রিকেট খেলতেন কাব্য ভাষায়, হয়তো ছক্কাও মারতেন কাব্য ভাষায়। কবি বলে কথা। আমরা যারা মুনির পুত কামলা তাকে কেবল দেখতাম, আর ভাবতাম কবিরা বুঝি অন্য জাতের মানুষ।

হঠাৎ দেখি কবি উধাও! বহু বছর কবির সাথে দেখা নাই। বহু বছর বলতে প্রায় দশ বছর। হঠাৎ করে কবির সাথে দেখা। টিএসসিতে। কবি একা না। সাথে এক সুন্দরী। সুন্দরীর সাথে দুই থেকে তিন বছরের রেডিও এফএমও আছ। বুঝতে পারলাম কবি বিয়ে করেছে। সাহস করে কথা বলা শুরু করলাম।

কেমন আছেন?
ভালো।
তুমি কেমন আছো?
আমিও ভালো ( মনে মনে বললাম 'বাহ' কবির কথা বুঝতে পারতেছি)
কী করছো তুমি?
বাংলায় পড়ছি।
আপনি?
সংসার করছি।
কবিতা লিখেন না আর?
না।
কেন কেন?
কবিতাকে পেয়ে গেছি, আর কবিতা আসে না।

"কবিতাকে পেয়ে গেছি, আর কবিতা আসে না" কথাটি শুনামাত্র আমি আর এক‌টি কথাও বলিনি। কাজের অজুহাতে সোজা মধুর ক্যান্টিনে চলে আসি। মধুর ক্যান্টিনের মার্বেল টাইপের মিষ্টি খেতে খেতে ভাবি কত না কারনে মানুষ কবিতা লিখে-- কেউ কবিতা লিখে নিজের চেহারার টিআরপি বাড়ানোর জন্যে, কেউ কবিতা লিখে রাজপ্রাসাদে যাওয়ার জন্যে, কেউ কবিতা লিখে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে, কেউ কবিতা লিখে আত্মদুঃখকাতরতা থেকে, কেউ আবার লিখে হাততালি পাওয়ার জন্যে।

বেদনা হলো কবির জন্য। কারন হাততালির পাওয়ার ইচ্ছাটা তাকে মাঠছাড়া করেছে!

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮

যেমনতেমন

সাপের কাছ থেকে মধু আশা কর কেন রেজা ভাই, মৌমাছির কাছ থেকে মধু আশা না করলেও মধুই পাবে

টেনশন

টেনশন হলো আপনার গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের এক্স, খুব কাছে ডাকলে সংসার ভাঙবে

Here me for you

Where go dear
Where
Not and now
Now for now
Miss you feel you
Just you just dear you
Not only now not only now
Where dear where do work for
Do come do come
Chill me
Kiss me
Touch me
Touch of you is heaven of me
Kiss of you is birth of me
Where go
Where are going my master
Where are you going my good night master
Where going my morn tide master
Where are you going my nightmare talk

Do come do come my talk world forest make me bird to have a sing eternal make me river to have a bathe of man eternal

Your eye is more beautiful than your primitive womb
Your breast is more attractive than your anger
Your presence is much pretty than your talk
Need your presence
Need your talk in here in me
In here in me need you just need you
I can I can't burn my car cause you are above of it
I can I can't destroy myself cause  you are within me
Within me you are
Within me you are
Where
Where are you going my master
Not bluff but belief
No bluff just belief
You are my belief my master
Where are you walking for
Here
I am here for your home for your child
Here
I am here for your night for your light

বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮

শব্দের বাড়িঘর

আগিলা দিন (agila din) ~ no longer young day, ancient day, aged time, historical time, old day, chronic ass day

আগের কাল > আগিলা

ততা (tota)~ very hot, warm, fervent, arrogant, having a high degree of heat

তপ্ত > ততা

টেলহা (telha)~ bitter cold, chill, frosty, innocent, simple, honest

ঠাণ্ডা > টান্ডা > টেন্ডা > টেলহা

হেরা (hara) ~ third person plural number, they, a group of people

তারা > হেরা

তরা (tora) ~ second person plural number, plural number of you

'তুই' এক বচন 'তরা' বহুবচন

হিতা (hita) হিতানে (hitane) ~ they, third person plural number, negligible third person, a negligible group

তারা > হেরা > হিতা > হিতানে

অহন (ohon)~ now, this time
এখন > অহন
অক্কন ( okkon) ~ very this time, very now
এখন > অহন > অক্কন

ঝার (jhar) ~ feeling cold, effect of fever, cold fever
জ্বর > ঝার

লাইত (lait) ~ night
রাত > লাইত
বেন লাইত (ben lait) ~ morning tide, cock-crow, dawn
ভাটা > ভাটি > বাটি > বেন

ঠাডা (thada) ~ বজ্রপাত ( ঠাডা< থান্ডার = thunder)

হা হা হা

চলছে ভোটাভুটি
উফরে তলে লুটালুটি

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

Nothing ass

I am now
I am then
I am there
Here I am
I am this
That I am
I is the I neither more either much
Living between much and more
Living between little and huge go afar being my ass
Being afar
Afar being nothing just like nothing
White road
Black clock makes me
Yes I am made for
I made for green leaf ass

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

শুধু তুমি

শুধু পাথরে ফসল হয় না-- শ্যাওলা হয়, শুধু জলে ফসল হয় না-- শ্যাওলা হয়-- শুধু মাটিতে ফসল হয় না-- ধূলা হয়

শুধু তুমিতে হয় শ্যাওলা হবে নয় ধূলা হবে

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

মেশিন

প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ এক‌টি মেশিন নিয়ে ঘুরে-- মেশিন ঠান্ডা থাকলে তাদের মাথা গরম থাকে,মেশিন গরম বা এক্টিভ থাকলে তাদের মাথা ঠান্ডা থাকে

সংস্কৃতি

এক ভদ্রলোক বলেছিলেন "মানুষ খাবে এটাই তার প্রকৃতি, তবে মানুষ যখন কেড়ে খায় এটা তার বিকৃতি, আর যখনই মানুষ বন্টন করে খায় এটা তার সংস্কৃতি।"

সমাজের দুর্নীতিবাজ, চোর, সন্ত্রাস বন্টন ব্যবস্থা অত্যন্ত সুষমভাবে মেনে চলে। রেলওয়ে স্টেশনে এক‌টি মোবাইলও যদি চুরি হয় এর ভাগাংশ পাবে টপে যে চোর আছে সে। আর সন্ত্রাসদের ত কার্যালয় বিভাগ এলাকা ডিপার্টমেন্ট ভাগ করা থাকে। কেউ কারো জায়গায় নাক গলানো ত দূরে থাক আঙুলও গলাবে না। অর্থাৎ এরা বন্টন সংস্কৃতি মেনে চলে। ফলে তারা বিরাট বিরাট নেগেটিভ কাজ করেও তারা বিরাট মানুষ।

সত্যিকারের সত্য মানুষ যারা, যারা আসলেই বিরাট মানুষ তাদের ভালো কথা আছে সুন্দর চিন্তা আছে বেদনা মানিক আছে আরামের কম্বল আছে, নাই কেবল বন্টন, নাই কেবল সংস্কৃতি।

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

গাধা

গাধাকে আদা খেতে বলবেন না, কারন আদাটা মানুষের খাবার

শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

আমার তিনি

তিনি নারী কিংবা পুরুষ নন (নারী কিংবা পুরুষের নাম থাকে)
তিনি পদার্থ কিংবা অপদার্থ নন (পদার্থ কিংবা অপদার্থের নাম থাকে)
তিনি ওজন কিংবা আয়তন নয় (ওজন কিংবা আয়তনের নাম থাকে)
তিনি জন্ম দেন না, আবার জন্ম নেন না (জন্ম দেয়া মাধ্যমের অথবা জন্ম নেয়া মাধ্যমের নাম থাকে)

তিনি শব্দ নন, তিনি বাক্য নন, তিনি কোনো আকারে নেই-- তিনি আমার নীরবতা-- তিনির সাথে কথা বলি গোপনে গোপনে-- আমি যত গোপন হতে থাকি ততই প্রকাশ হতে থাকেন তিনি

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

ভূতলের আকাশ

ভূতের মুখে রাম রাম
রাম বলে তফাত যান।।

ভূত ধরেছে সরিষায়
আনন্দে শিব গাজা খায়।।

বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

জমির মিয়ার বাঘ

জঙ্গলের পাশেই তার বাড়ি। জমির মিয়ার বাড়ি। তাতে সুবিধা আছে অসুবিধাও আছে। জঙ্গলে সাপ আছে বাঘও আছে। জমির মিয়া ছাগল পালে। বাঘ প্রায় তার ছাগল খেয়ে ফেলে। তাতে জমির মিয়ার কষ্ট বাড়ে-- আর্থিক ও মানসিক কষ্ট।

কীভাবে জমির মিয়া ছাগলকে বাঘের নখ থেকে রক্ষা করবে ভাবে,ভাবতে থাকে। কোনো বুদ্ধি তার মাথায় খাবি খায় না। সে পারে একটা একটা করে বাঘ মেরে ফেলতে। কিন্তু সে মৃত্যুবোয়াল হতে চায় না।

একদিনের ঘটনা। সকালে ঘন গভীর কুয়াশা। দুই হাতের সামনে তিন হাত দেখা যায় না। বাঘ আসে। সাথে আসে তার বাচ্চা। বাঘ জমির মিয়া ছাগল খেয়ে চলে যায়। কিন্তু তার বাচ্চা যেতে পারে না। কুয়াশা চলে গেলেও বাচ্চা থেকে যায়।

জমির মিয়া বাঘের বাচ্চাকে অত্যন্ত স্নেহধন্য করে বড় করতে থাকে। ছাগল আর বাঘের বাচ্চাটি একসঙ্গে লালিত পালিত হতে থাকে। যদিও বাঘের বাচ্চাটি এক্সট্রা কেয়ার পায়।

বাঘের বাচ্চা এখন আর বাঘের বাচ্চা না। এখন সে ছাগলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এখন সে অনেক শক্তিশালী এক বাঘ। কিন্তু সে ছাগল খায় না। জমির মিয়া তাকে যে খাবার খেতে শিক্ষা দিয়েছে তাই সে খায়। এখন ছাগলের পাল আর বাঘটি একসঙ্গে মাঠে যায় একসঙ্গে বাড়ি ফিরে আসে। বন থেকে ক্ষুধার্ত বাঘ ছাগলের দিকে তাকায় কিন্তু ছাগলপালে আসার সাহস পায় না।

জমির মিয়ার বাঘ চিনে না বনের বাঘ কারা, বনের বাঘ জানতে পারে না ছাগলপালে বাঘটি কী বনের না মনের!?

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

আপনার সাথে আমার সম্পর্ক

আপনাকে ভালো বলার আমার কোনো দরকার নেই, কারন আপনার সাথে আমার কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই, তারপরও যদি আপনাকে ভালো বলি বুঝতে হবে আপনি একজন মানুষ।

আপনাকে খারাপ বলার দরকার নেই, কারন আপনার সাথে আমার কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই, তারপরও যদি আপনার মন্দ বলি বুঝতে হবে আপনি এক‌টি শয়তান।

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

পরীক্ষা বনাম শিক্ষা

বর্ন শিখলেই শিক্ষার্থী হওয়া যায় না তবে পরীক্ষার্থী হওয়া যায়, বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীর শিক্ষা থাকে কলমের মাথায় আর শরীরের মাথায়। মাথা টু মাথা। ফলে মাথায় শিং গজায়, শিং দিয়ে গুতা দেয়। এ এক আজব গুতাগুতি খেলা। মহান মাস্টররা এই গুতাগুতি খেলার সম্মানিত আম্পায়ার, মাঝেমধ্যে তারাও বেম্পায়ার হয়ে গুতাগুতি খেলায় অংশগ্রহন করে থাকেন-- তাতে সুবিধা লুটে হাতি মার্কা সাবান।

অপমানবোধ এখানে প্রবল। এক এক জনের অপমানবোধ দেখলে মনে হয় যেন তারা মানুষ নয় পারমানবিক গবেষণা কেন্দ্র-- শীঘ্রই শুরু করবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ত পরের কথা, ঘরের সামনে যে বিদ্যুতের পিলার রয়েছে অপমানবোধ দিয়ে তাই ধবংস করে দেয়।

আপনাদের ফসলের জমিতে আগাছা জন্মাতে দেন না, তাহলে চিন্তার জমিতে এতো নেগেটিভ পরগাছা কেন?

শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮

সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮

মন রে আমার

শরীর এমন একটা প্রকৃতি তা জন্মের পর থেকেই পরিবর্তন হতে থাকে। এর পরিবর্তন কেউ রোধ করতে পারবে না। অন্যভাবে বললে এর পরিবর্তন করারও কিছু নেই। পরিবর্তনটা করতে হয় মনের।
মন
মন রে আমার

রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

ছায়া

একটি ছায়ার দুটি রূপ
একটি ছোট এক‌টি বড়
এক‌টি ছায়ার বহু রূপ
একটি নারী একটি নর

বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৮

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

বিন্দুসর্গ

চাঁদ দেখবো বলে এক‌টি রাত চেয়েছিলাম, ভোর দেখতে হলে রাতের দরকার হয়

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮

মায়ার ছায়া নেই আর

আমার বোতলে যে মধু ছিল আজকে তাকে পরিপূর্নভাবে শেষ করলাম। মধুটা জেনুইন। গাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা। আমার ভাই সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন।  প্রতিদিন মধুকে দেখতাম আর আস্তে আস্তে খেতাম। ইচ্ছা করলে তিন মাসেই খেয়ে শেষ করতে পারতাম। করি নাই। ভালো কিছু আস্তে আস্তে খাওয়া উত্তম। আবার নতুন মধু আসবে আমার ঘরে। এই মধু আরও ভালো হবে। কারন এইবার নিজেই মৌয়াল হবো, নিজেই মধু সংগ্রহ করবো। জীবনের জন্য যা কিছু উত্তম তা চয়েজ করতে ভাই কেন বাবার উপরও নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়।

বোতলের  মধু তোমাকে বিদায়!
আমার মধু তোমাকে স্বাগতম!!

আমি জানি আজ সকাল থেকে মৌমাছি উড়তে শুরু করবে ফুলে ফুলে। কেবল আমার জন্য। আমি মৌয়াল হবো-- এই আনন্দে মৌমাছি উড়বে। আমি নিজে মৌপর্না থেকে মধু নিয়ে আসবো-- এই আনন্দে মৌমাছি উড়বে।

মৌমাছি আর আমার আনন্দ মধু জানে না। মধুর কোনো আকার নেই। আকার তাকে দেয়া হয়। যার অনেক আকার থাকে তার আসলে কোনো আকার থাকে না। আকারহীন মধুকে আমি আকার দেবো-- তা নারী কিংবা পুরুষের নয়, মানুষের ত আরও নয়, সে পাবে প্রেমের আকার যার উপর থেকে কোনোদিন মায়ার ছায়া তুলে নিতে হয় না।

আজকে বোতলের মধুকে পরিপূর্নভাবে শেষ করলাম, বুঝবে এবার ডাইজেস্ট মেশিনের নিষ্ঠুরতা।
মায়ার ছায়া নেই
মায়ার নেশা নেই
চোখের ছায়া নেই
চোখের নেশা নেই
বোতলের মধু চলে গেল নতুন বোতলে
হায়রে বোতল
হায়রে মধু

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

ঘড়ির শব্দ

পৃথিবীতে অনেক শব্দের ভীড়ে আমরা ঘড়ির শব্দ শুনতে পাই না। ঘড়ির শব্দ যখন শুনতে শুরু করি পৃথিবীর আর কোনো শব্দ কানে আসে না।

মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

ভালোবাসা আমার

রেগে গিয়ে দেখালে কত দূরত্ব তোমার
চেপে গিয়ে দেখালাম ভালোবাসাটা আমার

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

মানুগর্ত

আপনার পাশে কেবল মানুষ থাকে না, গর্তও থাকে-- সাবধানে পা ফেলুন!

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

দূরে তবে কাছে খুব

শব্দ থেকে দূরে    
                    হৃদয় থেকে নয়
হৃদয় ত প্রেমের ঘর  
                          রাখে না নয় ছয়

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮

শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮

রেজার মন

যে রেজার মন ভাঙলে তুমি সে রেজার মনেই ছিল তোমার অর্জিনাল ছবি

ছাগলের বাচ্চা

একটা ছাগলের সাথে ছিলাম বহুদিন। ইদানিং ছাগলটি আমাকে 'মানুষের বাচ্চা' বলে গালি দেয়। আমিও গালি দেই 'ছাগলের বাচ্চা' বলে।

ভালো বা সা

ভালোবাসা সহজ, সহজ ভালোবাসা ধরে রাখা কঠিন, ভালোবাসা কঠিন, কঠিন ভালোবাসা ধরে রাখা যায় না

মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮

জ্ঞানী

পা দিয়ে যারা সাগরের গভীরতা মাপতে যায় তাদের জ্ঞান পা পর্যন্ত

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১৮

মানুসাপ

সাপের বিষে মানুষ মারা যায়, মানুষের বিষে মানুষ সাপ হয়ে যায়

বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮

দুধেল

বেশ দুধেল হয়েছো তুমি
রক্তগরম পুরুষ এখন তোমার মাতৃভূমি

বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮

প্রেমের লাম্পট্য

বাসর ঘরই যে প্রেমিকের প্রধান উদ্দেশ্য সেই প্রেমিক লম্পট, প্রেমে লাম্পট্য আহার্যের লবনের মতো পরিমিত প্রয়োজনীয়

সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

বৃত্ত

জীবন এমন এক বিন্দু বৃত্ত তৈরির ক্ষমতা নিয়ে সে বেঁচে থাকে

রক্ত

মানুষ সাপকে ভয় পায় অথচ ছারপোকা থাকে বালিশের আন্তরিক নিকটে

বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

সুর

সুর হলো এমন বিষয় তুমি যাপন করলে সে তোমার পোশাক হয়ে যাবে

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

রোদে মলিন

প্রতিদিন আকাশ দেখতে দেখতে মনের ভেতর একটি পাখি উড়তে থাকে। কালো ঠোঁট তার। প্রেমে আদ্র। রোদে মলিন।

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮

তালতলা বাজার

তালতলা বাজারে মানুষ বিক্রি হয় মাছের দামে-- টেবিলের উপরে টেবিলের নিচে।

তান্দুরী চিকেন। জুস। ফ্রাইড রাইস। রূপচাঁদা কাবাব।

তালতলা বাজারে বিরাট গরু ছাগলের হাট।

বার্গার। থাই সুপ। কাচ্চি বিরিয়ানি। চিকেন ফ্রাই। নান রুটি।

তালতলা বাজারে স্বার্থপোকা খাবি খায় জলে অক্সিজেনে।

শীতের সকালে বৃষ্টির মিছিল
মিছিলে কৈবর্ত রোদ।

তালতলা বাজারে কলাবউয়ের বেগুন সস্তায় পাওয়া যায়
কার্তিকের ঠোঁট পায় মাংসের স্বাদ।

কামান তাক করা আছে-- মরিচের বিরুদ্ধে মিষ্টি মিষ্টির বিরুদ্ধে মরিচ। মজায় আছে তালতলা বাজারে শিয়াল বনরাজ সিংহ মাংসাশী বাঘ।

আলো বিক্রি চলছে
হত্যা বিক্রি চলছে
বিক্রি চলছে উপাসনা প্রার্থনা।

সকাল মানে তালতলা বাজার, দুপুর মানেও তাই বিকাল মানে তালতলা বাজার রাত মানেও তাই। মানুষ এখন অনেক ভদ্রতা নিয়ে তালতলা বাজারে যায়।

সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

ঘুমাতে যাবো

কবি, তোমার কবিতা পড়ে যে মানুষটি ঘুমাতে যায় সেও কোনো কবিকে কাঁদায়

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

কান্না নয়

তোমার চোখে কান্না নয়
আমায় চোখে রেখো
শব্দের ইশান কোনে
আমার ছবি দেখো

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮

অ আ

মেয়ে দেখলেই যে ছেলেটি প্রেমে পড়ে যায় সেই ছেলেটি এখনো হাঁটা শিখেনি অথবা তার শরীরে পুষ্টির অভাব

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮

মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮

আগুঞ্চ

প্রত্যেক পরিবারে এক‌টি চুলা থাকে যেখানে আগুন জ্বলে

সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

ভালো আছি

তোমাকে দেখে কাছে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করতো "ভালোবাসি", এখন তোমাকে দেখে দূর থেকেই মনে মনে বলি "ভালো আছি"

তো মা কে

তোমাকে চাই না মানে তুমি  চায়লেও আমি তোমাকে চাই না, তোমাকে চাই মানে তুমি না চায়লেও আমি তোমাকে চাই

শনিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৮

প্রেমের বাতি

প্রেমে পড়ার আগে তার যে পরিমান তিল ছিল, প্রেমে পড়ার পরেও তার সেই পরিমান তিল আছে, প্রেমে পড়ল অথচ তিল পরিমান ক্ষতি হলো না-- এ কেমন প্রেম!

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮

বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

ভার

আনন্দকে ভয় পাই মৃত্যুর মতো মৃত্যুকে ভয় পাই আনন্দের মতো

বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮

যার চোখ আছে কিন্তু কেন নেই

চিকিৎসক। কবিরাজি চিকিৎসক। কবিরাজ ভাই। কবিরাজ ভাই নিজে ঔষধ বানায়, আবার ক্রয় করেও আনে। গাছের লতাপাতা দিয়ে ঔষধ নির্মান করে। হ্যাঁ, নির্মানই করে। একবার কবিরাজ ভাই আমারই পরিচিত এক বিবাহিত বন্ধুকে ঔষধ দিয়েছে। মজার ঘটনা হলো ঔষধ সেবনের একদিনের মাথায় বন্ধুর বউ চলে যায় তার বাপের বাড়ি কোনো এক গুরুত্বপূর্ন কাজে।

সাতদিন বন্ধুর বউ তার বাপের বাড়ি থাকে।এই সাতদিনে বন্ধু আমার কোল বালিশের পাছা ছিঁড়ে ফেলে। তখন থেকেই বুঝতে পারি কবিরাজ ভাইয়ের নির্মিত ঔষধ বেশ কার্যকরী।

কবিরাজ ভাই আমাকে দিলেন জিংকু বিলুবা। প্রথমে ঔষধ দেখে মনে হয়েছে মেহেদি পাতার  (Lawsonia inermis) গুঁড়া যার ইংরেজি নাম হেনা। কিন্তু কবিরাজ ভাই বলে অন্য কথা। ফলে জানতে পারি জিংকু বিলুবা আসে নেদারল্যান্ড থাইল্যান্ড থেকে। এবং এই ঔষধ কাজ করতে শুরু করে সেবনের সাতদিন পর থেকে।

জিংকু বিলুবা সেবন করতে শুরু করি। এই ঔষধ ব্রেইন ফাংশন সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।

কিন্তু ঘটনা অন্য জায়গায়। তিন মাসের ঔষধ আমি ভুলে সাত দিনে খেয়ে ফেলি!  ফলে আমার মাথা মাত্রাতিরিক্ত কাজ করতে আরম্ভ করে। মানুষের শরীরের দিকে তাকালে মানুষের শরীরের পোশাক আর চোখে পড়ে না, সরাসরি শরীর চোখে পড়ে। এই কথা অনেকদিন চাপা দিয়া রাখলাম মনে মনে। একদিন এক আড্ডায় বলেই ফেললাম যে আমার চোখ কাপড় দেখে না, সরাস‌রি শরীর দেখে। এই কথা শুনে বন্ধুরা বান্ধুবীরা হাসে। বিষয়টা এমন যে মজা করার আর বুঝি কোনো বিষয় নাই। তারপরও এক বন্ধু অল্প বিশ্বাস করে প্রমান নিতে চায়। আমিও দিলাম প্রমান!

প্রমান পেয়ে বান্ধুবীরা  দৌঁড়ানো শুরু করে। একজন বন্ধু ছাড়া সবাই চলে যায়। এখনো বান্ধুবীরা আমার সামনে আসতে চায় না, আমাকে দেখলে রাস্তা বদল করে জায়গা বদল করে। আমার অপরাধ আমি একটু বেশি দেখি কিন্তু জিংকু বিলুবা সেবনের আগে আমি তাদের সাথেই বসে আড্ডা দিতাম, কারন আমার দেখার চোখ ছিল তখন তাদেরই মতো।

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

বিয়াদুধ

অটোতে বসা। দুধ কিনে আনছি। সয়াবিন তেল দিয়া যে বাজারি দুধ বানায় এই দুধ না। রিয়েল দুধ। বিয়ের আগে দুধ খাওয়া উত্তম। বিয়ের পরে দুধ খাওয়া অতি উত্তম। তবে বিয়ের আগে ও পরে রিয়েল দুধ পাওয়া খুবই কষ্টের। অনেক খুঁজতে হয়। অনেক কষ্ট করেও খুঁজে পেলে ভালো। মুরুব্বিদের বলতে শুনছি রিয়েলের এক গুন, আনরিয়েলের আঠারো দোষ।

গেইট বাজার থেকে রিয়েল দুধ কিনে আনছি।তরতাজা ব্যাপার স্যাপার।
অটোতে আমি আর অটোম্যান। অটো চলছে। অটো থামল। এক লোক উঠে।লোকটির দিকে তাকিয়ে কথা বলার ইচ্ছা হল।

আপনার মন খারাপ?

লোকটির আমার দিকে মিটমিট করে তাকায়।

আপনি বিয়ে করেছেন। ( রাস্তার পাশেই তার বাড়ি। অটোতে উঠার সময় তার চেহারায় বউয়ের সাথে ঝগড়া করার ছাপ)।

হুম।

বিয়ে করলে মন ত খারাপ থাকবেই।

কেন?

স্বামী চায় বউ তাকে যেন বুঝে, বউ চায় স্বামী যেন তাকে বুঝে, দুজনই চাওয়ার মধ্যে থাকে, ফলে পাওয়া দূর থেকে কাঁদে।

আমার কথা শুনে লোকটি প্রথমে ঠোঁট ফাঁক করে, তারপর ঠোঁটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে গরম বাতাস বের করে। গরম বাতাস আমার মুখে এসে লাগে।

আপনি রাস্তার ধুলোবালি শরীরের ভেতরে নেন?

লোকটি আমার দিকে চোখ বড় করে তাকায়। এমন করে তাকানোর এক‌টি অর্থ আছে। অর্থ হল পাগলের মতো কথা বলে ক্যান।

তারপরও আমি বললাম আবার।

ধুলোবালি শরীরের ভেতর নেন কিনা বলেন?

একপ্রকার বিরক্ত হয়েই বলে "না"।

তারপর আমি বললাম " একপ্রকার কথা থাকে ধুলোবালির মতো শরীরের ভেতরে বা মাথার ভেতরে নিতে হয় না, নিলে শরীর অসুস্থ হয়"।

কথাটি শুনে লোকটি তার ঠোঁটে ঠোঁট কামড়ে ধরে, চোখ টলমল করে ওঠে, আস্তে করে চোখের জলের কয়েকটি ফোঁটা আমার বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলের নখের একটু নিচে পড়ে।

অটো থামে।

আমি নেমে যাই।
লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি বাসার দিকে হাঁটতে থাকি। আমার হাতে রিয়েল দুধের আনন্দ। আর লোকটির? লোকটির মাথায় বিয়াদুধের ভার!

শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

প্রিয়তমা ভুল আমার

ভুলের ঠোঁটে চুমু খেয়ে বলেছিলাম সংসার করবো, সংসার আমার শান্তিনিকেতন থেকে সাইকেল চাপতে চাপতে চলে গেল যাদবপুর, তারপর হয়ে গেল মিছিল স্লোগান

মিছিলে নামে মানুষ
মিছিলে নামে ফানুস
মিছিলে নামে আমার ভুল
মিছিলে নামে সকল ফুল

রাত আসে। রাতের রেলিং বেয়ে জোছনা আসে। জোছনা এসে আমার ঘরের সমস্ত লাইট অফ করে দেয়। জোছনা আমাকে ঘুমাতে দেয় না অথচ ঘুমানো উচিত। প্রিয়তমা ভুল আমার তোমাকে আজকাল চাঁদে দেখি।

পাবলিক বনাম অবলিক

লোকজন লোকালয়ের, লোকালয়ের লোক মনে ঢুকে গেলে মনটাকে তারা লোকালয় বানিয়ে ফেলে,  লোকালয়ে কিন্তু কেবল ফুল গাছ থাকে না, ডাস্টবিনও থাকে

আমার ভীষন একলা লাগে

আমার ভীষন একলা লাগে
চাঁদমুখের হাসিও মনে দুঃখ আনে
সাগর জলে প্রান ভিজিয়ে শান্তি পাইনা
ভেতর মনে খুঁজতে থাকি নিজের আয়না
চায়ের কাপে রোজ নামে তুমুল ঝড়
আমিও তখন সবার মতো সবার পর
দূরদেশের ছায়ামানবী টানতে থাকে
অদৃশ্য তার মন্ত্রটান
কাছে গেলে পাইনা গান
দেয় না দেখা কই না কথা আমার সাথে
একলা লাগে একলা লাগে
হাঁটতে গেলে একলা লাগে
খাইতে গেলে একলা লাগে
দুপুর রাতে একলা লাগে
নদীর পাড়ে একলা লাগে
ভাসছি আমি একলা লাগার প্লাবন বন্যায়
মাছের মতো সাঁতার কাটি আমার কান্নায়

শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পূজা

চন্ডীর পূজা দিলে মনসা মাইন্ড করে, মনসার পূজা দিলে টনসা মাইন্ড করে, আমাদেরকে শুধুমাত্র এক দেবতা দেবীর পূজা দিতে হয় বলেই একশত বছর পরেও আর রবীন্দ্রনাথ তৈরি হয় না, তৈরি হয় না কাজী নজরুল

বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রাত বলে একটা শব্দ আছে

চোখের পাতা লেগে আসতে পারে এমন একটা মায়া। মাথা কোথায় যেন হারিয়ে যেতে চায়। গেল ঘুম, ঘুম গেল মাথার ভেতরে। সকালে আজ আর সূর্য উঠবে না। জাস্ট ঘুম হবে। মানুষের কোনো মৃত্যু দিবস নেই। মানুষ মরে যায় এমন কোনো তথ্য কোনো বিজ্ঞানী দেয়নি। হাত থেকে মোবাইল পড়ে যেতো। মরে মরে বেঁচে  গেলো।

সকাল হলে আশ্বিনের চাঁদের কথা মনে পড়ে। অনেক সুন্দর চোখে নেশা দিয়ে চলে যায়। চলে যাওয়া আর থেকে যাওয়ার মাঝপথ ভীষন ক্লান্তিকর।ট্রেনের আওয়াজ বাজতে থাকে কানে। গতি থেমে গেলে যেন একটা মৃত্যু নামে মনে। পাথর উপরে তুলছিল মানব, পাথর নিচে টেনে আনে প্রকৃতি। সময় এক উদ্ভুত মার্বেল। প্রলোভনে প্রলোভনে সমাজ নির্মান করে সম্পর্ক। সবাই যেতে চায়, কই যেতে চায় তারা কেউ জানে না। যাচ্ছে ত যাচ্ছে। হাঁটছে ত হাঁটছে।

আকাশের বাম পাশে চাঁদপিন্ড জোছনা বিলাতে বিলাতে কবির কাছে এসে প্রেমিকা হয়ে ওঠে। কবিরা পারে কবিরা পারে নর্তকীর নাচে পবিত্র নগরীর পরিব্রাজক গন্ধ পেতে। তাইতো এক কবিতায় তাদের জন্ম, অন্য কবিতায় তাদের গোছানো নির্বান!

পাতার ফাঁকে ফাঁকে সবুজের কোয়ান্টাম ক্রাইম, সবুজফাঁকে ছায়ামিল মায়াবী হরিন বাঘের ভয়ে স্লিম হয়ে ওঠে দিনে দিনে। দিন যায় কথা থাকে, কথা থাকে দিন যায়, চাঁদের গায়ে সমুদ্রকাশ, জানালায় মোমচোখ গলে গলে যায়, ঠাঁই নাই পৃথিবীতে পৃথিবীর ঠাঁই নাই

যোগবিয়োগ

গনিতে আমরা যোগ ভালো পারলেও সমাজে বিয়োগটাই আমরা ভালো পারি

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জয় নয় পরাজয়

কাউকে পরাজিত করে জয়ী হওয়ার আনন্দ আমি নিতে পারি না, কারো সাথে পরাজিত হয়ে কষ্ট পাওয়ার ভার আমি নিতে পারি না, আমি চাই সামনে এগিয়ে যেতে জয় ও পরাজয়কে পেছনে ফেলে

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফেইসবুকে রাতে

মানুষের নিন্দা করে দেখেছি মানুষ সুন্দর, মানুষের প্রশংসা করে দেখেছি মানুষ সুন্দর, মানুষকে হিংসা করে দেখেছি মানুষ সুন্দর, মানুষের সহযোগী হয়ে দেখেছি মানুষ সুন্দর,মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করে দেখেছি মানুষ সুন্দর

মানুষকে একবার জাস্ট একবার পশু ভাবতেই দেখি আমি অসুন্দর

শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

এখন রাত

প্রেমের এক অতি আধুনিক চমৎকার সুগন্ধ রয়েছে যা নাক দিয়ে নয়, মন দিয়ে নিতে হয়

বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মাঝরাত

প্রেম এক আকাশের নাম যার কোনো আকাশি নেই

রাতের প্রার্থনা

তুমি আমার প্রিয়তমা রাত যেখানে আমি ঘুমাতে যাই

অ ই

দূরে যাবে। অনেক দূরে যাবে জানি। তবু আকাশের মতো কাছেই থাকবে।

মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রাজনৈতিক

তোমাকে একটানে উপরে তোলা হবে তাও রাজনীতি একটানে তোমাকে  নিচে নামানো হবে তাও রাজনীতি

সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

নোভা

তোমার নদীতে জোয়ার আসে বলে এখনো আমি নৌকা নিয়ে বের হই

মাছিমারা ওস্তাদ

একটা ব্রিজ। একটা গোলাপের বাগান। একটা ট্রেন। গোলাপী এখন ট্রেনে থাকে না। থাকতে হয় না। সত্য বানানোর ক্ষমতা মানুষের আছে। মানুষ মিথ্যা বানাতে পারে রুটি বানানোর মতো আগুনে দিয়ে। 

ক্যাকটাস গাছটি সূর্যের পূজা না দিয়ে দিব্যি কামকাজ করে যাচ্ছে। মনসার যুগ শেষ। এখন ইটের ঘর। জানালা আছে। জানালার পাশে বাতাস নেই। বাতাস আছে, কৃত্রিম বাতাস। চোর এখন খুব সাবধান। ঝাঁক বদল করে বারবার।

নদীতে বাঁক আছে। প্রিয়তমার কোমর এখন জোয়ারনদী। মাছের দাম বেড়ে গেছে। কলার দাম বেড়ে গেছে। ছাগলের দাম বেড়ে গেছে। মানুষ! মানুষের দাম বাড়েনি। 

আমার সুবিধা তুমি নিয়েছো? তাতে কী? তোমার সুবিধাও আমি পেয়েছি। আমার বেড়েছে ক্ষুধা। ওঁম শান্তি। তোমার বেড়েছে ক্ষুধামন্দা। আমার বেড়েছে ঘুম। তোমার লাগে ট্যাবলেট। একই কথা, একই কথা বন্ধু-- ফ্লাটে আর বস্তিতে থাকা। 

মজা হতো অনেক সবাই একই ছাদের নিচে বাস করলে টিভি দেখলে প্রেমিকার হাতের রান্না খেলে। 

বিড়াল অন্ধ হলেও তপস্বী হতে বাধা নেই। অনেক বিড়াল অন্ধ হয়েও বসে আছে মসনদে। সিংহাসন নাড়ে। ইন্দুর বাড়ছে দেশে। খাবারে হুমকি। তবু কেউ তুলবে না আঙ্গুল। প্রতিবাদের লাল আঙ্গুল।

প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছে রোজ। শান্তির হাট অন্ধকার ছিল এখনো আছে। হাজার বছর ধরে উপন্যাসের শান্তির হাট। প্রতিবাদ হচ্ছে রূপকে। রূপক শাড়ি খুলতে খুলতে সবুজ পাতা খয়রাতি হবে-- মিছিল যাবে ঘামে ক্লান্তিতে। এমন করে ঘুম আর ক্লান্তি মাঝে মাঝে প্রতিবাদ-- চোখের সামনে দেখতে থাকবো কেবল মাছিমারা ওস্তাদ।

রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জীবন এমন রাতের মতো

সুতো ছাড়া কোনো ঘুড়িকে আকাশে উড়তে দেখি না, পরে যেতে দেখি। মানুষঘুড়িতেও লেগে আছে সময়সুতো।

শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শব্দ হবে জাস্ট

প্রেমিকরা প্রেমিকার কাছে গেলে বাচ্চা হয়ে যায়। এক থেকে দেড় বছরের বাচ্চা।
বলেন ত বাচ্চাদের প্রধান খাবার কী?

বাংলাদেশ

একটা সময় গ্রামের চেয়ারম্যান বা বেপারীর পেটে ভুঁড়ি দেখা যেতো। এবং ভুঁড়ি ছিল আভিজাত্যের বা অর্থ সম্পত্তির প্রতীক। এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের পেটে ভুঁড়ি দেখা যায়। সুতরাং সরকারি দলের বলার দরকার নাই, পেটের ভুঁড়িই বলে বাংলাদেশের মানুষ আর্থিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ হয়েছে হচ্ছে।

যে পুকুর গোসল করতে নামে

প্রত্যেকবার একটি রাত আসে। আমরা ঘুমাতে যাই। প্রত্যেকবার এক‌টি সকাল আসে। আমরা ঘুম থেকে জেগে উঠি। স্মরনকাল থেকে এমন করে রাত আর দিনকে দেখে আসছি।

আমরা ছোট ছিলাম। এখন ছোটদের দেখি। কাঁচা আমের গতরে সূর্যের আলো পড়তে দেখি। দেখি কেমন করে ঝড়ের তাড়নায় আম গাছটি মাটিমুখী হতে থাকে। আজ বৃষ্টি হলে ভালো হতো। একটা বিরাট বৃষ্টি।

কসম খোদার তোমার জলে আমি ভিজতে চাই। আমার কোনো ঘর নেই। একটা পরিচিত মধ্যরাত আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। দায়িত্ব জিনিসটা হেব্বি পানসে। লালবাতি জ্বলছে জীবনের আস্তাবলে। চুমু খেতে গেলে লেজের মতো লেগে থাকে সময়। দায় নাই কারো কোনো দায় নাই। সবই সূর্যের খেলা। সূর্য যে আমে বেশি সময় থাকে সেই আম দ্রুত পাকে। পাকা আর কাঁচা আম মিলে না বন্ধু মিলে না। সবই সময়ের খেলা। সবই সময়ের উপদ্বীপের বাসিন্দা।

সকাল সকাল ইছা মাছ দিয়া ভাত খেলাম। বিরাট শান্তি। ইউফোরিয়া ইউফোরিয়া একখান ভাব জাগে মনে।  প্রেমিকা থাকলে কানের ভেতরে গিয়ে বলতাম "ভালোবাসি"।

ঝরনার শব্দ হৃদয়ের বাম পাশে বাজতে থাকে অনাগত ক্রমাগত। মানুষ অনিশ্চিত প্রানি। মানুষ আগুনে জ্বলবে তবু জলে যাবে না। মালদ্বীপ গেলে ভালো হতো। জলের নিচে ব্রেকফাস্ট করা হয় না বহুদিন। আহা! আহা! সময় কেবল ইতরের মতো তাকিয়ে থাকে আমাদের নগ্ন ইচ্ছার খালবিল ধরে।

শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

প্রেমে মন জোয়ারে নদী

এ তালা আরেক তালা
বুঝে না মনের জ্বালা
বৃষ্টি এলেও ছাতা ধরে না
বোকাদের স্বর্গ জেনো হয় না হয় না।।

বসন্ত এসে গ্যাছে
বাতাসে ফুল লেগেছে
তালাতে ঝং ধরেছে খুলে না
বোকাদের স্বর্গ জেনো হয় না হয় না।।

গাছে ফল রসে ভরা
জোয়ারে নদী তরা
তালা তার এসব কিছু টানে না
প্রেমে মন ডাকে তবু আসে না আসে না।।

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ভয়ে ভয়ে নয় রয়ে রয়ে

ভূমিকম্পে পুরো বিল্ডিং কেঁপে ওঠল, আমি খাচ্ছিলাম, খেতে থাকলাম, হাউমাউ কান্না পুরো বিল্ডিং ছড়িয়ে গেল। আমি তখনো খেতে থাকলাম। ভূমিকম্প থেমে গেলো। আমি তখনো খেতে থাকলাম। পুঁটিমাছ ভাজি আর ভাত। বিল্ডিং ভাঙেনি। তাদের ভয় পাওয়া আর কান্নাকাটি লজ প্রজেক্টে লেখা হলো।

মরে যাবো একদিন নিশ্চিত কিন্তু ভয়ে ভয়ে মরতে চাই না। ভয় মৃত্যুর ঔষধ নয় বরং ভয় মৃত্যুর এসিস্টেন্ট। মরে যাবো একদিন নিশ্চিত কিন্তু ভয়ে ভয়ে মরতে চাই না।

মরে গেলে আমার জন্য কেউ দোয়া করবেন না, দোয়া করবেন তাদের জন্য যাদের পাশে আমি দাঁড়াতে চেয়েছিলাম।

আশ্বিনের গান ভাদ্র মাসে

সাদা রঙের ব্যবহার্য জিনিস আমরা ঘরে বা শরীরে কম আনি। কারন ময়লা বেশি হয়। ময়লার দেশে সব জিনিস সমানুপাতিক হারে ময়লা হয়। কিন্তু সাদা জিনিসে ময়লা বেশি দেখা যায়। আমরা চাই ময়লা থাকুক, তবে দেখা যেন না যায়। অর্থাৎ ময়লা নিয়ে ঘুরতে আমাদের সমস্যা নাই, দেখাতে যত সমস্যা।

সাদা রঙের জিনিস ঘরে আনার ব্যাপারে ইতস্ততবোধ থাকলেও সাদা চামড়ার নারী কিন্তু ঠিকই আমরা ঘরে আনতে চাই। সাদা চামড়ার নিচে মাথা আছে কিনা, মাথার মাঝে পর্যাপ্ত মগজ আছে কিনা তা জানার কোনো প্রয়োজন নাই। কারন ঘরে একটা সাদা জিনিস লাগবে যেখানে অন্ধকারের বিপরীতে একখান জোছনাময় আবেশ পাওয়া যায় অথবা ময়লাহীন একটা ব্যাপার স্যাপার থাকে। পরে দেখা যায় মগজহীন সাদা চামড়া নিজেই শ্রেষ্ঠ ময়লা যা পাউডার সাবান দিয়ে দূর করা যায় না।

রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পৃথিবী

পৃথিবী মনের ছায়া, পৃথিবী তাই করে মন যা করতে চায়, পৃথিবী তাই দেখে মন যা দেখতে চায়, পৃথিবী তাই শুনে মন যা শুনতে চায়

অজ্ঞাত রাতের ফুল

মানুষ নিজের ব্যাপারে সবচেয়ে কম জানে। কারন চোখ নিজেকে দেখে না,কান নিজেকে শুনে না। অন্যের চোখে আমরা আমাদেরকে দেখি, অন্যের বাক্যে আমরা আমাদেরকে শুনি।

শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সবার ঘড়ি বাজারে থাকে না

তুমি ভাবছো এখন অনেক রাত
ঠিক এখন ঠিক এখনই আমি ভাবছি সকালের আর একটু বাকি
কেউ হয়তো ভাবছেন এখন চোখে অনেক অন্ধকার
কেউ আবার ভাবছে সূর্য জিনিসটা দিনের, তাই সে সার্বজনীন নয়
কেউ আবার ভাবছেন চাঁদ কেবল রাতের, তাই সে কমিউনিস্ট নয়

একটু পরে লোকটি অপারেশন থিয়েটারে ঢুকবে মানে আশানিরাশা এখন তার মনে

এই যে আমি একটা সাদা প্যান্ট আর সাদা গেঞ্জি পরে বসে আছি নরম বিছানায় তাতে তোমার কী?

তোমার কলেজিয়েট মেঘ ঠিকই রাষ্ট্র না মেনে পাহাড় ডিঙিয়ে জলে মিশে যাবে--
এরই নাম আবহাওয়া বার্তা।

পাট গাছের সাথে মিশে আছে আমাদের শৈশব, বিশেষ করে বর্ষাকালকে পাটগাছকাল বলা যেতে পারে। আমরা রচনা লেখতাম বর্ষাকালে পাটপঁচা গন্ধ আসে নাকে। এখন বর্ষাকাল। তোমার গন্ধ পাই রোজ রাতে। রাত মানে আমার কাছে দিন-- তোমার এক‌টি ঘড়ি আছে, আমার আছে একটা, প্রত্যেকের ঘড়ি ঠিক আলাদা আলাদা।

সি নে মার পর্দা

সিনেমা দেখার সময় প্রত্যেকে নায়ক কিংবা নায়িকা হয়ে পর্দার ভেতরে চলে যায় কিন্তু মারামারি শুরু হয়ে গেলে প্রত্যেকে পর্দার বাইরে চলে আসে

শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কলাবল

যাকে ধরে ধরে কলা খাওয়া শেখাবেন সেই আপনাকে কলার বাকল দিয়ে আহত করবে

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফ্যান চলছে

একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সবকিছু অনিশ্চিত। অনিশ্চিত কিছু নিয়ে আমরা খেলা করি হিংসা করি দ্বন্দ্ব করি। নিশ্চিত বিষয় বা মৃত্যু নিয়ে আমাদের কোনো মাথা নাড়ানো নাই। 'বেঁচে আছি' কথাটি বাস্তব, 'বেঁচে থাকবো না' কথাটি মহা বাস্তব। আমরা বাস্তবতার সাথে প্রেম করি, মহা বাস্তবতাকে একদম ভুলেই যাই।

সময়ের শব্দ

জল থেকে আসলাম মাছ হয়ে
মাটিতে মিশে গেলাম গাছ হয়ে

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৮

তারা ঘুমে

মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষ তার চিন্তা। যেদিন থেকে মানুষ তার নিজ চিন্তাকে বলতে পারবে আসসালামু আলাইকুম সেইদিন থেকে মানুষ হবে ফুল আর সুগন্ধি হবে তার আচরন।

একটু পরে

মানুষ শয়তানকে গালি দেয় না, মানুষ শয়তানকে দিয়ে গালি দেয়

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮

রান্নাঘরের গরীব

খাসি মরে তেলে
গরীব মরে মেলে

এটি এক‌টি গ্রামীন প্রবাদ। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে এই প্রবাদটি বিশেষভাবে শুনতে পাওয়া যায়। প্রবাদটি আমাদের বলছে গরীবের সম্পদ তার শরীর এবং শরীর থেকে অর্জিত কাজ। মেল বা মেলা করলে বা আড্ডা দিলে গরীব বাঁচবে না। কারন এক‌টি দিন মানে এক‌টি কর্মময় সূর্য তার কাছে।

খাসির শরীরে যেমন তেল বা চর্বি হলে সে বাঁচে না তেমনি গরীবের চর্বি হল মেল বা মেলা। সুতরাং গরীব জন্মগ্রহন করেছে কেবল খাবারের প্রয়োজন অর্জন করার জন্য, অন্য কোনো আরাম আয়েস গরীবের জন্য নয়।

মেল শব্দটি আবার সংগঠন অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মানে গরীব কোনো সংগঠন তৈরি করতে পারবে না। করলে মরনকে নিয়তি জেনে করতে হবে। সুতরাং এই প্রবাদের মোরাল অব কনভার্সেশন হল গরীব কেবল নিজের জন্য বাঁচবে গরীব কেবল খাবারের জন্য ছুটবে, কোনো প্রকার মেল বা সামাজিকতা তার জন্য নয়, সামাজিকতার জন্য মহাজন মাতব্বর চেয়ারম্যান ত আছেই।

গ্রাম পঞ্চায়েতের সামাজিক বিচারব্যবস্থা অনুষ্ঠানের লৌকিক নাম মেল। সেখানে গরীব সুবিচার পায়না। প্রায়ই সালিশের রায় যায় শক্তিমানের পক্ষে। ফলে গরীবের মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত থাকে মেলে। এই মেলে আবার গোপনে গোপনে আর্থিক লেনদেনও হয়ে থাকে। বিচারক টাকা খেয়ে রায় দেয় সুবিধামতো। যেহেতু গরীবের টাকা নেই সেহেতু মাথা নিচু করে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাকে রহমতের বৃষ্টির আশায়।

বংশনির্ভর গ্রাম ব্যবস্থায় লাঠির জোর খুবই আবদালি বিষয়। যার ছেলে যত বেশি তার তত বেশি লাঠি। যার লাঠি নাই সেও এক প্রকার গরীব। তাই লাঠিহীন ব্যক্তি ঘর ব্যতীত সব জায়গায় মেল করতে পারে না বা নিরাপদ নয়। তাই মেল বিষয়টি শক্তির আস্তানা হিসাবে শক্তিমানদের হাজার বছরের তীরধনুক।

মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮

একটু আগে

মানুষ তার সাথেই প্রতিযোগিতা করে, হিংসা করে, দ্বন্দ্ব করে, নিন্দার জাল বিস্তার করে যাকে হাত দিয়ে ধরা যায়। যে হাতধরার বাইরে থাকে তাকে মানুষ পূজা দেয়। পূজা দেয়া এবং প্রহার করা দুইটাই মানুষের হাতের ব্যাপার।

মানুষ পারে মানুষ পারে যে হাত দিয়ে পূজা দিতে সেই হাত দিয়ে প্রহার করতে। অথচ তারা বাম হাত দিয়ে খায় না। কারন বাম হাত দিয়ে মল পরিষ্কার করা হয়। মল পরিষ্কারের হাত দিয়ে খাবার না খাওয়া গেলেও প্রার্থনা করা যায়-- হয়তো খাবারের চেয়ে প্রার্থনা উত্তম নয় সেই কারনে।

মানুষ হাতে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে।  মানুষ পরিষ্কার করে না হাতে লেগে থাকা দুর্নীতির ময়লা। কারন চোরকে গালি দিলেও মানুষ চুরি করতে আরামবোধ করে।

রবিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৮

মৃ ত্যু

প্রিয় মানুষ মরে গিয়ে গন্ধ হয়ে যায় যাকে আমরা দেখতে পাই না কিন্তু অনুভব করি

শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮

হা হা হি হি

তুমি একটা অভিনয়
নতুন কোনো ছবিনয়
হা হা হি হি
নতুন করে শিখছি

শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮

মা নু ষ

কোনো কারন ছাড়া মানুষ মানুষকে ভালোবাসতে পারে, কোনো কারন ছাড়া মানুষ মানুষকে ঘৃনা করতে পারে। মানুষ ভালোবাসা ও ঘৃনা দিয়ে তৈরি।

তোর জন্য আমার সন্ধ্যা পাতা হয়ে ঝরে

তোর ঠোঁটের মধ্যে লেপ্টে থাকার অসুখ আমার
তোর বাউল চোখে চোখ রাখার অসুখ আমার
তোকে ভীষন ভীষন ভীষন মনে পড়ে
আমার আকাশ তোর জন্য বৃষ্টি হয়ে ঝরে।।

তোর আকাশে নীল হবার অসুখ আমার
তোর বাতাসে ঢেউ হবার অসুখ আমার
তোর হাতে হাতটি রাখতে ভীষন ইচ্ছে করে
তোর জন্য আমার স্বপ্ন বিকাল হয়ে ঝরে।।

তোর চুলের নিচে ছায়া হবার অসুখ আমার
তোর সাগরের মাঝি হবার অসুখ আমার
আমার মন সারাটা দিন তোর জীবন পড়ে
তোর জন্য আমার সন্ধ্যা পাতা হয়ে ঝরে।।

বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮

ব্যক্তিমন

কোনো ব্যক্তি যখন জানবে আপনি তার চেয়ে দুর্বল ব্যক্তি তখন আপনাকে খেলনা বানিয়ে আনন্দ খেলবে, ব্যক্তি যখন জানবে আপনি তার চেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি তখন আপনাকে পূজা দিবে এবং আপনার নামে প্রসাদের বানিজ্য করবে, কোনো ব্যক্তি যখন জানবে আপনি ক্ষমতায় প্রায় তার সমান ব্যক্তি তখন আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে

বঙ্গবন্ধু

যার ডাকে সাত কোটি মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন তাঁর জানাযায় সাত জন সাহসী মানুষ পাওয়া যায়নি

মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮

পশুতুল্য

মানুষকে না জেনে মানুষ বলা যায় না,পশুকে না জেনে পশু বলা যায়

সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৮

চোখের দুর্ভাগ্য এলে ধোঁয়াকেও কুয়াশা মনে হয়

প্রিয়তমা ঠান্ডা

প্রিয়তমা ঠান্ডা আমাকে আক্রমন করেছেন। তিনি আমাকে অনেক দুর্বল করে ফেলে। শুনেছি সিংহ ও রবীন্দ্রনাথ ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না পারতেন না। আমিও ঠান্ডা সহ্য করতে পারি না।কিন্তু আমি ত রবীন্দ্রনাথ কিংবা সিংহ নয়।

প্রচন্ড কষ্ট হয় আমার। শরতের মেঘের মতো আমার নাকেও সাদা সাদা মেঘের ঢেউ দেখা দেয়। আকাশের মেঘ দেখে যদিও মন জুড়ায়, নাকের মেঘ দেখে মন পুড়ায়।

হোমিও ডাক্তার বলেন আমার মধ্যে ব্রাউনিয়া সিমটম। ঠোঁট শুষ্ক হয়ে আসা, শীতশীত অনুভূত হওয়া, খাবারে অরুচি, সারা শরীরে একটা আনইজিভাব বিরাজ করা ব্রাউনিয়ার লক্ষন। এ্যালোপ্যাথি ডাক্তার বলবেন 'ধুর মিয়া হোমিও কোনো চিকিৎসা হইল'। এমনভাবে বলবে যেন তার সাবেক গার্লফ্রেন্ডের বর্তমান বয়ফ্রেন্ড হলো হোমিওপ্যাথি।

আরে ভাই, হোমিওপ্যাথি যদি মানু‌ষের শরীরের জন্য সন্ত্রাস টাইপের কিছু হয় তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে আক্রমন চালানোর চেষ্টা করো। না। তা করবে না। গরম ভাতের লাহান শুধু মেজাজ দেখাবে।

আমার সাথে প্রিয়তমা ঠান্ডা মেজাজ দেখিয়ে চলেছে। সকালে এক রকম, রাতে অন্য রকম, বিকালে আবার টুটালি অন্য রকম।

প্রথমে প্রিয়তমা আমার মধ্যে একটা কিসিং কিসিং মোড জাগ্রত করে, তারপর গলার শেষভাগ ও নাকের শেষভাগে বসে কুটকুট কুটকুট করতে থাকে। তারপর থেকে আমার শরীরে তার টিটুয়েন্টি উল্লাস শুরু হয়। শরীরের তাপ বেড়ে যায়, নাক দিয়ে জল ঝরতে থাকে। দুই একদিন এই অবস্থার ডিউরেশন। তারপর প্রিয়তমা আর পাতলা থাকতে পারে না। তার শরীরে মেদ জমে। মেদসহ প্রিয়তমা আস্তে আস্তে নাক দিয়ে বের হতে থাকে। তখন বুঝতে পারি আমার উপর তার অধিকার ফলানোর মাত্রা কমে আসতেছে।
এরপর শুরু হয় ছোট ছোট কাশি। কাশি আসলেই বুঝতে পারি প্রিয়তমা আমার প্রায় চলে গ্যাছে। এবং চলেও যায়।

মজার ব্যাপার হলো ঠান্ডা মানে প্রিয় প্রিয়তমা যখন আমার উপরে ভর করে তখন সে ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে চিন্তা করার বিন্দুমাত্র সুযোগ সে রাখে না। গভীর ভালোবাসা। সে চলে যাওয়ার পর বুঝতে পারি গভীর ভালোবাসা কেবল আনন্দ দেয় না কষ্টও দেয়।

শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৮

পাচাটা

ঠান্ডা আমাকে দুর্বল করে ফেলে। আশীর্বাদ রেখো । সিংহ নাকি ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও পারতেন না, আমি ত সিংহ কিংবা রবীন্দ্রনাথ না তবে আমি কেন পারি না

শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১৮

মাইল টু মাইল

মাইলের পর মাইল দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে শরীরের ঘামে কয়েকটা নদী হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি হান্ড্রেড মাইল জিনিসটা ঘরের আঙিনাতেই ছিল

বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৮

প্রাক্তন রোদ

প্রতি রাতে তোমাকে নিয়ে ঘুমাতে যাই
প্রতি ভোরে সূর্যের সাথে তোমাকে নিয়ে সকাল সাজাই

তুমি তুমি তুমি আমার আস্থাশীল সংবিধান

আমার ফৌজদারি আইন
তুমি আমার দন্ডবিধি তিনশত দুই ধারা
তুমি আমার এটেম টু মার্ডার চারশত ছাব্বিশ

তুমি আমার মাথার নিচের কার্পাস তুলা

একটা দিনের মতো তুমি একটা রাতের মতো তুমি, দিন ও রাতের মিলন তুমি, তুমি তুমি তুমি এবং তুমি

অলসতার গভীরে কোনো আলস্য নেই, আলস্যের গভীরে প্রিয় তুমি আছো

বাতাস বয়ে যায় সকাল হয়ে যায়, সবুজ পাতার সাথে খয়রাতি রঙ দেখা দেয় আমাদের পুব আকাশে, তখন সূর্যের মতো জেগে ওঠো তুমি আমার চোখেমুখে

ত্রিবি, তুমি আমার ঘুম, তুমি আমার নয়টা পাঁচটা অফিস, তুমি আমার কুংফু কারাতে, তুমি আমার দৃশ্য তুমি আমার অদৃশ্য

তোমার জন্য আমি পাহাড় হয়েছি, তোমার জন্য আবার হবো সমতল, তোমার জন্য হবো আমি আদিম মেঘ, ত্রিবি, তুমি আমার পড়ন্ত রোদ
কোমল বাতাসের ভেতর তুমি আমার মিহি ক্রোধ

তুমি আছো বলে আমি আছি
তুমি নেই বলে আমি নেই
দেখা হয়েছিল কোনো একবার
দেখা হোক দেখা হোক বারবার বারবার
মরে মরে বেঁচে যাই আরও একবার আরও একবার

I am

I am the earth world country and thought is my universal capital

বুধবার, ৮ আগস্ট, ২০১৮

প্রতিবাদ

নিরাপদ সড়ক চাই প্রতিবাদ করতে করতে আমাদের মুখে যে থুথু জমে তা রাস্তায় ফেলে রাস্তাকে দূষিত করি, রাস্তায় প্রতিবাদ করে আমাদের শরীরে যে হিরোভাব আসে তা ঘরে গিয়ে বোন বা বউয়ের সাথে প্রদর্শন করি

মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮

সেন্টার

সার্টিফিকেট দেয়ার সেন্টার এখানে হাজারে হাজার, তবে সেন্টারেরই কোনো সার্টিফিকেট নাই। সার্টিফিকেট সেন্টার বাজার এখানে শ্রম বাজারের চেয়ে শক্তিশালী।

সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১৮

ছাগলামি

ছাগল সব পাতা খায়, according to ছাগল সব বিষয়ে কথা বলা ছাগলামি 

অনেক সাপকে দেখেছি পাথরে ছোবল দিয়ে বিষদাঁত হারাতে

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮

মেঘবতী আমার

যৌবনরাতে বৃষ্টি নামে রিনিঝিনি টুপটাপ মুষলধারে
ও আমার যৌবনপ্রিয়া পাখি নেমে আসো আমার অন্তশীলা কৃষি বুকে-- উড়াও আমায় আকাশের সীমানায়

মেঘবতী রাতের সাথে গল্প হোক-- একটা রাতের গল্প জ্যোতিপাত গদ্যময় শহরে

টেমস নদীর প্রেম
সিঙাড়া সিঙাড়া স্তন
কাগজের নৌকা দরজা থেকে দরজায় পালিয়ে বেড়ায়

সুখ নাই সুখ নাই বহুমুখী সমবায় সমাজজেল
কে যেন গোপনে বিলায়
গোপন জালেও গোপন থাকে না ইচ্ছাতীর

সব কিছু ছেড়ে সব কিছু ভুলে
আহো না মইজা যাই ডুইবা যাই গভীরে আরও গভীরে ধানক্ষেতের বারান্দায়-- জীবন দেখি তোমার ভেতরে আমার
       আমার ভেতরে তোমার

বন্ধুত্ব

বন্ধুত্ব বিষয়টা আমার কাছে আকাশ আবিষ্কারের মতো-- যার চোখের দৃষ্টি যত ভালো সে তত গভীরে দেখতে পারে অথবা যার চোখের দৃষ্টি যত ভালো সে তত উপরে আকাশ আবিষ্কার করতে পারে। বন্ধু বাজারের কাঁচা সবজি নয় যার গুরুত্ব কেবল রান্নাঘর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, বন্ধু সেই ছাতাটি নয় যাকে রোদে বা বৃষ্টিতে ব্যবহার করা যায়, বন্ধু এক‌টি মতবাদ যাকে টুয়েন্টি ফোর আওয়ার চর্চা করতে হয়, লালন করতে হয়। 

আর্থিক সম্পর্কের বাইরে বন্ধুত্ব একপ্রকার আত্মিক বোধের সর্বনাম। শরীরে যেমন মন থাকে তেমন করে মনে থাকে বন্ধুত্ববোধ। বন্ধুত্ববোধ ব্যতীত মানুষ দেবতা হয়েও চলতে পারবে না। কারন জানানোর মধ্য দিয়ে সুখ আসে কষ্ট লাঘব হয়। 

বন্ধু হয়তো ব্যক্তির মতো স্বয়ম্ভু হয়ে ওঠতে পারবে না কিন্তু একে উপরের আয়না হয়ে ওঠতে পারবে যেখানে নিজেকে উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে জানার একটা প্রয়াস থাকে।

বন্ধুত্বে অনেক ভুলত্রুটি হয় তখন তৃতীয় কেউ এসে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে জেনে বা নাজেনে, কারন সমাজ রক্তের সম্পর্কের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ককে এতোটা গুরুত্ব সহকারে দেখে না, তাই বন্ধুত্ব সম্পর্কে সমাজ বা সমাজের তৃতীয় কেউ প্রায় নেগেটিভ একটা ধারনা নির্মান করে রাখে। বন্ধুত্বে তাই তৃতীয় মতামতকে গুরুত্ব দিতে নাই। 

বন্ধুত্বে তাই জলনীতি মেনটেইন করতে হয়। অর্থাৎ চলার পথে বাধা আসলে হয় বাষ্প  নয় কঠিন নয় তরল হয়ে বন্ধুর সাথে বন্ধুর থেকে যাওয়ার পথটি রচনা করতে হয়।

বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮

বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮

বন্ধুসভা

যারা বন্ধুত্বের জন্য স্বার্থলেভেল মেনটেইন করে তারা পাকা আম চিনে পাকা আমের গাছ চিনে না

মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

তোমার নামে নদী কিনবো

আমি একটা আকাশ কিনবো নদীর পাড়ে
চাঁদের আলোয় তিল বসাবো নীলের গায়ে
হলুদ কালার আলো থাকবে জল বরাবর
জলের নিচে মাছের আবাস সুখ তরাতর
বৃষ্টি এলে প্রেমের চালে শব্দ হবে
চুলগন্ধ ফুলের চালে নাকে যাবে
সবুজ একটা পাহাড় নামবে দূর জানালায়
মেঘের একটা নহর নামবে ঘাটু ঝরনাগায়
মধ্যরাতে তারার দল
রীতিমতো দিবে কল
সবুজ হাসি মনের দেশে
উঠোন পথে চলবে হেসে
আঙ্গুল আমার তোমার ক্ষেতে
করবে চাষ রাত বিরাতে
সবুজ একটা আলো এসে
পড়বে তোমার নরম ঠোঁটে
আমি তখন গরম বাতাস
শরীর তোমার তুলার তাস
আমি একটা বাড়ি করবো নদীর জলে তোমার সাজে
ঠিক তখন আমার আকাশ সজল এক প্রেমের লাজে

সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

অ প রাধ

তোমার অপরাধ আমি ইতিহাস করে রাখতে পারি কিন্তু রাখবো না, কারন ইতিহাসের অপরাধ থেকেও কেউ কেউ অপরাধী হয়ে ওঠে

রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

লিমা লেবালন ঘুরবো

যুদ্ধের পৃথিবী চাই না
রাষ্ট্রের মতবাদ খাই না
একসাথে থাকবো ঘুরবো
লিমা লেবানন খুঁজবো।।

দ্বন্দ্বের কাঁটাতার চাই না
আশরাফ আতরাফ মানি না
একসাথে থাকবো ঘুরবো
লিমা লেবানন খুঁজবো।।

আসো বন্ধু আসো
হাতে হাতটা রাখো
একসাথে থাকবো ঘুরবো
লিমা লেবানন খুঁজবো।।

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮

সীমান্তজ্ঞান

আনন্দের সীমান্তে গেলে মানুষের জ্ঞান থাকে না কষ্টের সীমান্তে গেলে মানুষের জ্ঞান থাকে না, মানুষ মধ্যবর্তী ফলবতী ফলভোগী গাছ

বৃষ্টি

বাংলাদেশের বৃষ্টি ইদানিং বিদেশী বৃষ্টির লাহান হয়ে গ্যাছে-- এই আছে এই নাই। টাকাওয়ালারা বিদেশ থেকে মার্কেট করে শুধু জিনিসপত্র আনে নাই বৃষ্টিও নিয়া আইছে।

শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

ঘু ম

নির্জন দ্বীপের মতো ঘুম এসে চোখের বোতাম খুলে দিতে দিতে বলে "রাত হয়েছে, চলো এবার বিছানা পাতি"

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮

মধু খাই ঘুম যাই

নদী ও পাহাড় নিয়ে তুই আমার নারী
তিন বেলা সময় করে তরে আমি চুদি
চুদাচুদি বাদ দিয়ে হয় না কিছু
একবার ঢালু পাহাড় একবার লিচু
লিচুর রসের মতো ঠোঁটে ঠোঁট রাখি
যোনিপথ ভেদ করে ব্লাকহোলে ঢুকি
ব্লাকহোল ব্লাকহোল আজব শহর
শীতের সকাল দেশের মধুর নহর
মধু খাই ঘুম যাই
ঘুম যাই মধু খাই
বেঁচে থাকি রাতদিন স্তনের ভেতর
অল টাইম আমিময় নাভিফুল তর

মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১৮

কবর

সব নদীতে একই জল
সব জলে নাই পদ্ম কমল
সব আকাশে একই নীল
সব নীলে নাই মজনু মিল
সব মানুষের একটাই মন
কেউ সুজন কেউ কুজন
কেউ আবার জলদেশে অবাধ্য এক বিল
কেউ আবার নীলাম্বরী ডাকাতবেশী চিল
সবাই যখন সবার মতো চলছে রাতদিন
আমার মনে কবরগুলো বাজায় মৃত্যুবীন

সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেমন করে যেন ঘরের ভেতরের কথা খুব সহজ করে বাইরে নিয়ে এসে ফুলেল গন্ধময় করে তুলেন, বাইরের কথা ঘরে নিয়ে এসে ভীষন সুন্দর পূজাঅর্ঘ প্রতিমা করে তুলেন

রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

ফরমালিন

চাচার নাম ওসমান। চাচার সাথে কথা হচ্ছে। চাচা মাছে ফরমালিন দিচ্ছে। আমার চোখে পড়ে।

চাচা আপনার কয় মেয়ে?

এক মেয়ে।

একটা কথা বলি মাইন্ড করবেন না ত?

না বাবা, বলো।

আপনার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন?

না বাবা।

যে আপনার মেয়ের স্বামী হবে সে ত আপনার মাছ খেতে পারে, যেহেতু আপনি মাছটা বিক্রি করবেন।

হুম, খেতে পারে।

ফরমালিন দেয়া মাছ আপনার মেয়ের স্বামী (যে হবে) খেতে পারে, যেহেতু আপনি জানেন না আপনার মেয়ের স্বামী কে হবে।

হুম, খেতে পারে।

তাহলে ফরমালিনযুক্ত মাছ কী বাইরে দিচ্ছেন না নিজের ঘরেই নিয়ে আসতেছেন পরোক্ষভাবে?

বাবা, এইভাবে ভাবিনি কোনোদিন।

চাচা ভাবেন, ভেবে কাজ করলে পরকে পর ভাবা যায় না, প্রত্যেক পরই বিভিন্নভাবে আমাদের আপন।

শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১৮

পাতা আর বাতাসের মাঝখানে বসে যদির সাথে নদীর গল্প করি

শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১৮

প্রে ম

অসুস্থ হলে মানুষ ডাক্তারের কাছে যায়-- ডাক্তার প্রেম নয়, প্রয়োজন। প্রেম ত তাই যার কাছে না গেলে অসুস্থ হতে হয়।

ইচ্ছে করে জানতে

ইচ্ছে করে জানতে
কেমন করে কানতে
কেমন করে আগুন ফুল
বাউল ঠোঁটে টানতে
রোদের মতো চোখ তোমার
হলুদ কালো নীল
আকাশ কালো মন তোমার
সবুজ জলের বিল
বিলের জলে নৌকা পালে
কার ছবি আঁকতে
ইচ্ছে করে জানতে
ডালিম ফুলের মাংস নিয়ে
সবুজ ঘাসের দেশে গিয়ে
কার কথা ভাবতে
কার মুখে লাজুক ঠোঁটে
প্রথম চুমু আঁকতে
ইচ্ছে করে জানতে

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮

ঠিকঠাক

মৃত গাছে ফুটে না ভালোবাসার ফুল
মৃত শিশু ফিরে না নিজ মায়ের কুল
দিনরাত নামে ঠিকই আগুনের ফুল
নদীজোয়ার ভাঙে ঠিকই নদীর কূল
সব কিছু সব পথে ঠিকঠাক চলে
মানুষ নিজের মতো ভুলভাল বলে

বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮

বাবা মা

সন্তানকে ছোটোলোক করার পেছনে বাবামার মহান মহান ভূমিকা থাকে। সুতরাং বাবামার কোন কোন মহান ভূমিকা আপনারা অস্বীকার করিবেন।

অ আ

প্রেমের রাতে অন্ধকারও মেলে ধরে নিজের শরীর

সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮

শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৮

দুধের মাছি

যারা দুধ খেয়ে চলে যায় কিংবা দুধ খাওয়ার জন্য থাকে অথবা দুধ খেতে খেতে দুধেই মারা যায় তারাই দুধের মাছি

বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮

স ম স্যা

সমস্যার এতো পুঁজি হয় নাই যে সে বিদেশে চলে যাবে, সমস্যা পৃথিবীতে ছিল এবং থাকবে। তবে প্রত্যেক সমস্যা তার প্রেমিক সমাধানকে সঙ্গে নিয়ে সফরটফর করে।

বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১৮

ডানাওয়ালা মানুষ

বাতি নিভে যাওয়ার মতো কোনো সন্ধ্যা আসেনি
গরম অন্ধকারের মতো কোনো রাত আসেনি
শিবের মতো কোনো ভোর আসেনি আমার জীবনে

আমার জীবনে এসেছে একটা আকাশ সাথে কিছু মেঘ আর কাঁচা রোদ নিয়ে, কুয়াশা আর কিছু টকবগে বাতাস নিয়ে

একদিন অনেক দূরের আকাশকে ডেকে নিয়ে আসে আমাদের আকাশ, আমাদের উজান গাঙে নেমে এলো মধুরমা স্বপ্ন, জালে দেখা দিল বড় বড় খৈল মাছ, আমাদের গবাদি পশুর হাঁট দারুন জমে ওঠলো, গাছঘরে বাড়ে কলরব, মাঠে নেমে আসে দর্শন, দুগ্ধবতী হয়ে ওঠে আমাদের আড্ডা, উর্বরবতী রস আসে আমাদের চুম্বনে, আমাদের কথার ফিতা দেয়াল থেকে বের হয়ে গ্যালাক্সির উঠোনে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে

পৃথিবী ভুলে গেলো সাপ্লিমেন্ট নিয়তি, পৃথিবী আস্থা রাখতে আরম্ভ করে কর্মে সংগ্রামে কৌশলে

পৃথিবী ভুলে গেলো হয় মারো নয় বাঁচো নীতিমার্কা ঢেউটিনের ঢেঁকুর। আমাদের পৃথিবী এখন একগুচ্ছ ফুলের জীবন রূপকথার গল্পের নায়িকার মতোন মিহি স্লিম ডানাওয়ালা মানুষ

মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১৮

অনেক গোপনে ফুলের বাগান

কবির নখে মার্বেলের পৃথিবী
কার যেন মনের ভেতর সংসার পরিবার সেও নাকি কবি তাও দুজন মিলে খুব গোপনে দেয়ালে ঝুলে থাকা পর্দাঢাকা ছবি

টিউবওয়েলে নদীর সাঁতার
পেয়ারায় হয়ে যায় সকালের নাস্তা সাথে একটা রসেঠাসা আম হলে খারাপ হয় না

এমবাপে ভালো খেলে খুব ভালো খেলে ফুটবল, ইচ্ছে করে তাকেও বলি পুঁজিবাজারের আঁতুড়ঘর যেমন তোমার গোপন বাসরঘর

আপনি ত আর আবহাওয়াবিদ নন জানবেন অনেক আগে থেকেই কত হবে আপনার প্রেমঝড়
ঝরে যাবে সব ঝরে যাবে শুকনো পাতা কিংবা সবুজ কলরব

রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

রাতের প্রার্থনা

তিনি সাধারনের ভেতর অসাধারন গুন রেখে দিয়েছেন, যারা অসাধারন তারা এই সাধারনের খোঁজ পায় না

মানুষ

আগুনে পুড়ে পুড়ে মানিক হই
বিশ্বাসে জন্ম নিয়ে মানুষ রই

শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১৮

বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১৮

সুনীল

মানুষের রঙিন ছাদ দেখতে দেখতে আমার সুনীল আকাশটার কথা ভুলে গেছিলাম

ত্যাগ করতে হয়

তিতাস। তিতাস এক‌টি ট্রেনের নাম। তিতাস এক‌টি আনন্দের নামও বটে। তিতাস আছে বলেই অনেক অফিসার বাড়ি থেকে গিয়ে অফিস করতে পারে, ঢাকার মতো ডেড সিটিতে বসবাস করতে হয় না। তবে তিতাস ট্রেনের ভীড় ঢাকার মতোই-- পা রাখতে গেলে হিসাব করতে হয়। কারন পা রাখতে গেলে পা হয় আগুনে পড়বে নয় আরেকটা পায়ের উপর পড়বে।

আমি সিট পেয়েছি কিন্তু ভীড়ে প্রচন্ড মাতন্ড প্রায়। ভীড় কেটে কোনোক্রমে দরজায় পা রাখলাম। টিকেট কাটতে গেলে কাউন্টারে সিটওয়ালা টিকেট নাই। বললাম 'দেখেন না পারেন কিনা'। বলল 'আরেকদিন আইসেন, দেখবো দিতে পারি কিনা'।

মনটা বেজার হয়ে গেল। আমার মন বেজার দেখে আল্লা সাথে সাথে ফেরেশতা পাঠায় দিলেন।
ফেরেশতা বলল 'কই যাবেন'।

ঢাকা যাবো।

দেন টাকা দেন।

টাকা দিলাম এবং সিটওয়ালা টিকেট পেলাম।

টাকা থাকলেই টিকেট পাওয়া যায় না। চাহিদা ও যোগান রেখা যাদের ভালো ধারনায় আছে তারা বিষয়টা ভালো বুঝতে পারবেন। আমি সিট পেলাম চাহিদা ও যোগান রেখার বাইরে ফেরেশতা রেখায়।

সিট ত পেলাম। কিন্তু সিটে যাবো কী রে? তার উপরে আমার সামনে দুজন নারী-- তাদের কাপড়ের চেয়ে শরীর বেশি দেখা যায়। ফলে ভীড় ত আছেই ভীড় নির্মান করে রাখার চেষ্টা আরও বেশি। বুঝতে পারলাম যেমন করেই হোক ভীড়  ভাঙতেই হবে।

শুরু করলাম মিশন। মিশন ব্যর্থ হতে পারে না। দুজন নারীর মাঝখানে আমি। আমার সামনে বৃদ্ধ চাচা। চাচার হাতে ব্যাগ। চাচাকে অতিক্রম করতে পারলেই দরজা এলাকার ভীড় নষ্ট হয়ে যাবে।

মেয়ে দুজনের সবপাশে পুরুষ মাঝখানে আমি। মেয়ে দুইজন এমন করে মুখে পাউডার দিছে রীতিমতো কেরাম খেলা যাবে। তাদের মাঝখান থেকে যেতে পারলে আমিও বেঁচে যাই তারাও বেঁচে যায়। চাচাকে অতিক্রম করতে যাবো এমন সময় চাচার প্লাস্টিকের ব্যাগ ছিদ্র হয়ে সাদা সাদা কি যেন আমার শরীরে পড়তে থাকে! দুধ। ট্রেনে আমার দুধস্নান হয়ে গেলো। দুধের কাঁচা গন্ধ সবাই সহ্য করতে পারে না। আস্তে আস্তে কৃত্রিম ভীড় নষ্ট হয়ে গেলো। আমি সিটে গিয়ে বসে গেলাম নারী দুজনও সুন্দর করে সিটে গিয়ে বসে।

কয়েক লিটার দুধ কয়েকজন মানুষের জীবনে আরাম নিয়ে আসে। বুঝতে পারলাম শান্তির জন্য ত্যাগ করতে হয়-- হয় দুধ নয় রক্ত!

বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১৮

সূর্যছায়া

সূর্যের ছায়া পড়েছে পৃথিবীর উপর
পৃথিবী গরম থাকবে তাই বহু বছর

রবিবার, ১ জুলাই, ২০১৮

সত্য এক

অধিকাংশ মানুষ নিজেই একটা বল, সমাজ যেভাবে লাথি দেয় সেইভাবেই তারা চলে, সমাজকে বল করে যেদিন মানুষ লাথি দিতে পারবে সেইদিন দর্শকের উপরের দর্শকরা পৃথিবীতে নেমে আসবে, মানুষ জানতে পারবে নতুন এক সত্য 

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১৮

দুধ

কলকাতার সব খাবারই প্রায় জেনুইন, দুধটা একটু বেশি জেনুইন

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮

আমাদের শিক্ষা

স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আমাদেরকে সাঁতার শেখানো হয় পাঠ্যপুস্তকে, পাঠ্যপুস্তক থেকে সাঁতার শিখে আমরা যখন বুকভরা সাহস নিয়ে জলে সাঁতার দিতে যাই তখনই নাকেমুখে পানি ঢুকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে শহীদের মর্যাদা লাভ করি, কেউ কেউ বেঁচে গিয়ে গাজি উপাধি লাভ করে।

খুবই ভালো-- বাঁচলে গাজি মরলে শহীদ

সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮

ছায়া

সূর্যের উল্টাপীঠে আমাদের বাড়ি তাই আমাদের শরীরে ছায়ার মাস্তানি নেই

জ য়

পাহাড়ের উচ্চতাকে সম্মান দেখিয়ে দূরে থাকতে চাই না, জয় করতে চাই

শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১৮

দুজনে দূরপথে কাছাকাছি

শরীরের উদাম মাঠে তোমার
কেউ হলো নেইমার মেসি
কেউ হলো স্পেন কেউ হলো ফ্রান্স
আমি ত পুলিনহো
গোল দেয়ার আগেই মাঠের অতীত

উর্বর যৌবন বৃথাই বহিয়া যায় যেন হাজার বছরের উষর ডাঙ্গা
ফসলের ঠাঁই নাই ফসলের খবর নাই
তাকালেই মনে পড়ে লাল কার্ড অতীত

টেবিলের নিচে সুখপা
গাছের আকাশে পাখিরব
চায়ের কাপে হলুদ সন্ধ্যা ফেরাতে পারে না আর আমাদের এক পথে
কেবলই রেফারিং রেফারিং ডাক

তবু মনে পড়ে সুতাকাটা ঘুড়ির কথা যে অনেক দূরে গিয়েও নৌকা করে এসেছিল প্রেমিকের বাড়ি

তাইতো
হয়তো তাই
সেও আছে
আমিও আছি
দুজনে দূরপথে কাছাকাছি

খে লা

দেখে দেখে খেলাটা দেখাতে হয় শেষে

বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮

চর মধুয়া

চর মধুয়া। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটি গ্রাম। মূলত চর গ্রাম। এই গ্রামের চারপাশে জল। মেঘনার জল। এই গ্রামের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। মাছ শিকারও এখানে এক‌টি পেশা। প্রায় হাজার পনেরো বাসিন্দাকে লালন করে এই চর। শ্রমিক হিসাবে বিদেশে যাওয়া ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হওয়ার মতো এক‌টি স্বাভাবিক ব্যাপার এই গ্রামের মানুষের কাছে।

রেজাউল এখন মাঝি। সেও মালয়েশিয়া শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল। কাজের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না বিধায় দেশে চলে এসেছে। সে মূলত কৃষি কাজ করে। ছয় মাস কৃষি কাজ করে, ছয় মাস নৌকা চালায়। এমন প্রান্তিক কৃষকের পরিমান চর মধুয়া গ্রামে প্রচুর।

চর মধুয়া পুরো মাত্রায় গ্রাম। সংশপ্তক উপন্যাসে আমরা যে গ্রাম দেখতে পাই হুবহু সেই রকম গ্রাম। তবে এখানে সনাতনীদের তেমন দাপট নেই। দাশ, সূত্রধর, নাথ মিলে সত্তর থেকে আশি পরিবারের বসবাস।

এই চরে অভিজাত শ্রেনি শিকদার বংশ। শিকদার বংশে রয়েছে ত্রিশটির মতো পরিবার। শিকদার বংশ বাদেও অনেক বংশের দেখা এখানে মিলে।

বিদ্যুৎ আছে। তবে শতভাগ নেই। তাছাড়া বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্মকথা এই গ্রামে খুব বেশি দিনের নয়। এখানকার মানুষদের চিকিৎসার জন্য নির্ভর করতে হয় নরসিংদীর সদরের হাসপাতালগুলোর উপর। মোবাইলের বিনোদন মিডিয়া তাদের আকর্ষনের মূল কেন্দ্রবিন্দু। কিন্ডারগার্টেন স্কুল এখানেও পৌঁছে গেছে। পৌঁছেনি প্রাইমারি ও হাইস্কুলগুলোতে সময়োপযোগী শিক্ষার মান।

আসাদুল্লার মা ছাগল পালন করেন। ছাগলের আয় থেকে তার সংসার চলে যায়। আসাদুল্লা বিদেশ গিয়েও সংসার চালানোর মতো সুবিধা করতে পারেনি। এই চরের অনেকেই গবাদি পশু পালন করে। গবাদিপশু পালন, মাছ শিকার, কৃষি কাজ, বিদেশে গমন এই চরের মানু‌ষের উপার্জনের প্রধান উৎস।

এই গ্রামে অল্প মাত্রায় শিক্ষিত লোক আছে। কিন্তু শিক্ষিত লোকদের মধ্যে শিক্ষার গুনাবলী নেই। হাজার বছরের চরদ্বন্দ্ব এখনো এই গ্রামে বিদ্যমান। পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করে চর নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে হয় বাংলাদেশকে। তাদের কষ্টে উপার্জিত লাখ লাখ টাকা খেয়ে ফেলে চরদ্বন্দ্ব।

মধু থেকে মধুয়া। এই চরের শারীরিক সৌন্দর্যে মধু আছে সত্যিই কিন্তু মানসিক সৌন্দর্যে মধু নীল মেঘের মতো দুর্লভ।

রবিবার, ১৭ জুন, ২০১৮

আরামে আরাম

আমাদের টিনের চাল। বৃষ্টি নামে আরামে আরামে।কত সুখ আমাদের! আমাদের জানালায় খোলা মাঠ। সবুজ খেলা করে আরামে আরামে। কত সুখ আমাদের!
আমাদের উঠোনে নদী মেঘনা। সুখমাছ উঠে আসে রান্নাঘরে। কত সুখ আমাদের! বিরাট বিল্ডিং নির্মানে আশায় আমরা রাতের ঘুম হারাম করি না, বাজারের বড় মাছ কেনার নেশায় কাউকে ঠকানোর স্বভাব নেই আমাদের। কত সুখ আমাদের! আমাদের বারান্দায় গন্ধফুল, আমাদের মাটিতে উর্বর খাবার। ফুলে ফলে আমাদের দিন আসে রাত যায় আরামে আরামে। কত সুখ আমাদের! আমাদের গাভী দুধ দেয় উজার করে, আমাদের ষাঁড় দেয় লাল কালারের মাংস। দুধে আর মাংসে আমাদের আরামের বছর ঘুরে। কত সুখ আমাদের! আমাদের শীতল পাটিতে ঘুমের প্রশান্তিতে কামড় বসায় এন্টিবায়োটিক পিঁপড়া। তবু  কত সুখ আমাদের!

মনবিধান

শিশুর সাথে কথা বলতে সংবিধান লাগে না, একটা মন লাগে

বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮

আমার আমি

আমার একমাত্র শত্রু আমি। তাই প্রতিনিয়ত আমি আমাকে পরাজিত করার চেষ্টা করি। আমার একমাত্র বন্ধু আমি নিজে। তাই প্রতিনিয়ত আমি আমাকে পুরস্কৃত করার কাজে ব্যস্ত থাকি। আমি মূলত আমাকে ঘৃনা করি এবং ভালোবাসি।

মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১৮

ত বে

তুমি তবে তিতাস হবে
আমি তবে হব আকাশ
তবু দূরে
তবু কাছে
স্বর্গ পরবাস

সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

রেজানদী

কলসি ভেসে গেল জলে
আশ্রয় নিল রেজা শাড়ির আঁচলে
দেহ তার থেকে গেল রেজানদী কূলে

ঘটনাকানা

নেগেটিভকে পজেটিভ হিসাবে দেখা একপ্রকার ঘটনাকানা রোগের লক্ষন

মুগ্ধ তা

ফুলের গন্ধে আমরা মুগ্ধ হই, কিন্তু ভুলে যাই গন্ধ নেয়ার যন্ত্রপাতি আমাদের ভেতর। মুগ্ধতা দ্বিপাক্ষিক বিষয় যা ফুলও জানে না ব্যক্তিও জানে না, জানে হাজার হাজার বছরের সময়স্রোত।

শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮

মিস্ত্রি চিনে মন সিজদা কর

মিস্ত্রি বানায় ঘর
মালিকে অনেক পর
মালিকই ঘরের আবার আপনজন
মিস্ত্রি চিনে মন সিজদা কর।।

তুফানে কাঁপে ঘর
মালিকের লাগে ডর
কখন জানি ঘর তার ভেঙ্গে যায়
মিস্ত্রির তাতে কোনো দায় নাই।।

ঘরের পাশে হাছনাহেনা
গন্ধে তার ঘুম আসে না
মালিকের মনে লাগে মধুডর
সাপ এসে কখন বলে মররে মর।।

মিস্ত্রি কাঠ চিনে
চেনা কাঠে পেরেক মারে
বাতাসে আওয়াজ তুলে থর থর
মিস্ত্রি চিনে মন সিজদা কর।।

মাছ নয় বড়শি

আপনি যে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন তা জাতি কেমনে জানবে? অথবা আপনার যে একটা উপকারী মহান মন আছে তা মিডিয়া কেমনে জানবে?

সহজ। একদম সহজ।।

ইদে, পূজায়, বড় দিনে কিংবা অন্য যে কোনো বরকতময় দিনে খুচরো জামা কাপড় কিনেন আর তা শোষিতদের মাঝে বন্টন করে দেন।

অথবা কনকনে শীতে শোষিতদের মাঝে কম্বল কিনে অথবা গরম কাপড় কালেকশন করে বিতরন করেন। ব্যস হয়ে গেলো-- আপনি মহান দানবির অথবা মহান মনের মানুষ হয়ে যাবেন।

জনাব, শোষিতদের আর কত মাছ দিবেন!? এবার বড়শিটা দিয়ে দেন না, বড়শি পেয়ে তারাও আপনার মতো শোষক হয়ে ওঠুক, একবেলা মাছ দিয়ে সারা বছর মাছ খাওয়ার লালুস না দেখালে হয় না....

শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮

নিশ্চুপ ফল

প্রতিটা ফল শাড়ি পরিধান করে, শাড়ি আস্তে আস্তে খুলতে হয় তারপর খেতে হয়।।

তারপর তিনি বললেন "না না, প্রতিটা ফল পর্দাশীল, তাইতো তাকে খাওয়ার ইচ্ছা জাগে"।।

খাওয়ার ইচ্ছাটা আমাদের মনে তাই তাকে আস্তেধীরে খাই আর কি।।

তারপর তিনি বললেন "খাওয়া একটা প্রয়োজন, প্রয়োজনকে এতো যুক্তিতর্কের মোড়কে আটকানো যায় না জনাব"।।

ফলের উপরের অংশের চেয়ে ভেতরের অংশ নরম, নরম অংশে আমাদের দাঁত আরাম পায় বেশ।।

এবং তিনি বললেন "যা দেখা যায় তারচেয়ে যা দেখা যায় না তার প্রতি আমরা আকর্ষনবোধ বেশি করি"।।

ফল নিশ্চুপ! ফলের জীবনের উপর কেবল মৃত্যু ঢলে পড়ে!!

বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮

বুধবার, ৬ জুন, ২০১৮

বন্ধু

একজন ভালো বন্ধু একটা সূর্যের মতো দরকারী যে আমার দিনকে কর্মময় করে তুলে, একজন ভালো বন্ধু একটা চাঁদের মতো প্রয়োজনীয় যে আমার রাতকে জোছনাময় করে তুলে

মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮

রক্তের দাম চাই

তোমাদের ঘরে থাকে
বিলাসবহুল দামি গাড়ি
আমাদের ঘরে থাকে
গরম বাতাস শুন্য হাড়ি
শ্রমিক ঝরায় ঘাম
পায় নাকো তার দাম
বছর বছর ধরে তাদের রক্ত খেয়ে
তোমরা তোমরা মহান।।

তোমাদের ঘরে থাকে
বৃষ্টি বিলাস এসি বাতাস
আমাদের ঘরে থাকে
ঘামাচি আর কান্না প্রলাপ
শ্রমিক ঝরায় ঘাম
পায় নাকো তার দাম
বছর বছর ধরে তাদের রক্ত খেয়ে
তোমরা তোমরা মহান।।

তোমাদের ঘরে থাকে
দামি সোফা রঙিন টিভি
আমাদের ঘরে আমরা
রোদে পুড়ি বৃষ্টি ভিজি
শ্রমিক ঝরায় ঘাম
পায় নাকো তার দাম
বছর বছর ধরে তাদের রক্ত খেয়ে
তোমরা তোমরা মহান।।

শুভরাত্রি

অনেকেই আমাকে ম্যাসেজ দেয় "শুভ রাত্রি"। তারা শুভ এবং রাত্রির মাঝখানে ফাঁক রাখে। কিন্তু আমি জানি শুভ এবং রাত্রি বিবাহিত। তাই তাদেরকে আলাদা রাখতে চাই না অন্তত রাতের বেলায়। তাইতো আমি ম্যাসেজ পাঠাই শুভ এবং রাত্রিকে এক করে "শুভরাত্রি"

সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮

ভালো থেকো

ভালোবেসে ভালো থেকো
ভালো থেকে ভালো রেখো

স্ব প্ন

অনেক স্বপ্ন মনে জন্মায় মনেই মারা যায়। স্বপ্ন যখন মন থেকে হাতে আসে তখনই তা স্বপ্ন।

বি ষ

সাপের শরীরে বিষ আছে তা সাপ জানে না জানে মানুষ

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

আবহাওয়া

এইদিনে
এইদেশে
নদীর কোনো ভবিষ্যৎ নেই
মানুষের নেই আবাসিক সুখ
লাল টুপি
সাদা টুপি কেবল আদর্শের কথা বলে
ঘরে নেই
বাইরে নেই খাবারের সুখ
ডানা থাকলে আকাশে ওড়া যায় না প্রিয়তমা আমার, ডানার ভেতরে খুব ভেতরে একটা মধ্যাকর্ষনভেদী শক্তি থাকা লাগে-- শক্তি নাই শক্তি নাই পাখির ডানায় শক্তি নাই।

যে পাখির ডানা ওড়ে সেই পাখির মুখ বলে না ত কথা, যে পাখি উড়তে পারে না তার কথামিছিলে মুখরিত সবপাশ।

আজকাল কথার স্বপ্নজাল
আজকাল আদর্শের ভুংভাং
গান নয় আজকাল আওয়াজের টুংটাং
ম্যাকাপের ওজনে ভারী হয় সুন্দরীর মুখ
বিলাসীতার রঙ্গে রঙিন হয় যুবকের কার্পেট।

একটু পরে ঠান্ডা নামবে বলে আশ্বাস দেয় আবহাওয়াবিদ
অনেকদিন
অনেক বছর পরেও গরমের কাল হাত পেতে থাকে বুক পেতে থাকে
গরমের কাল শেষ হয় না ত আর
কেবল আশ্বাস কেবল আশ্বাস

আমার মাথা থেকে ঘাম পায়ে গিয়ে পড়ে, পায়ের ঘাম পায়েই শুকায়, মানুষের জীবন মানুষে খায়, মানুষের মাংস মানুষে কামড়ায়।

শনিবার, ২ জুন, ২০১৮

কান কথা

কানকথা মুখে আসে
মুখকথা কানে যায়
এখানে মগজের কাজ নাই
এইখানে মগজের কাজ নাই
বিশ্বাস অতি বিশ্বাস
ভক্তি অতি ভক্তি
দিনরাত চলে তাই
ভাই ভাই খাই খাই
মগজের কাজ নাই
এইখানে মগজের ভাত নাই

ক্যানসার

শরীরের কোন অংশে ক্যানসারের ভাইরাস পাওয়া গেলে তা কেটে ফেলে দিতে হয়। ডাক্তার তাই করেন। জীবন বাঁচাতে গেলে ডাক্তারকে এমন অনেক নিষ্ঠুর কার্যাবলী অত্যন্ত দক্ষভাবে সমাপ্ত করতে হয়। প্রয়োজনে নিষ্ঠুর হওয়ার নাম মানবিকতা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে রোগীর চেয়ে ডাক্তার বেশি।

শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

সহনশীল

আপনার সন্তানকে নিয়মিত সহনশীলতার টিকা দেন যাতে সে গনতান্ত্রিক মানুষ হয়ে ওঠতে পারে।

শিক্ষিত ছাগল শেষ পর্যন্ত মানুষ হয়ে ওঠতে পারে কিন্তু গনতান্ত্রিক ছাগল শেষ পর্যন্ত মানুষের হয়ে ওঠতে পারে না।

বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১৮

পা হা ড়

পাহাড়কে মাটির চুলা যাতে মনে না করতে হয় তাই যথাসম্ভব দূর থেকে দেখি

টাকার ময়লা

এক‌টি জনগোষ্ঠী প্রতিদিন কী পরিমানে ময়লা খায় তা সেই জনগোষ্ঠীর টাকার শারীরিক অবয়ব দেখেই অনুমান করা যায়

বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

তা লা

তালার ভেতর তালা
চাবির হইছে জ্বালা
ভেতরে ফানুস হাপ
বাইরে থাকা বালা

মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮

খা লি ক ল স

খালি কলস বাজে বেশি বিষয়টা এমন না, খালি কলস কাঁদে বেশি। কারন তার ক্ষুধা পায়।

রবিবার, ২৭ মে, ২০১৮

কা জ

বড় মানুষদের সম্পর্কে বড় বড় মিথ্যা থাকে, মিথ্যাটা তারাই প্রচার করে যারা বড় হতে পারে না। তবে বড়রা মিথ্যা দিয়ে বড় হয় না, বড় হয় কাজ দিয়ে।

শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

ভু ল

বাম হাতে দেখি ডান হাতের ভুল
সাগর চিনে না সাগরের কূল

শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮

প্রশ্ন

মানু‌ষের বানানো ঘর যদি আল্লার ঘর হয় তাহলে আল্লার বানানো ঘর কোথায়?

মূর্তি যদি পালনকর্তা না হয় তাহলে মসজিদ কীভাবে পালনকর্তার ঘর হয়? মূর্তি মসজিদ নির্মান করতে ত একই জিনিস লাগে-- ইট পাথর সিমেন্ট মিস্ত্রি।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

নি খোঁ জ

তার প্রেমে বিভোর হয়ে আছি যাকে দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না উপলব্ধি করা যায় না শব্দে ডাকা যায় না কিন্তু খুঁজতে খুঁজতে নিখোঁজ হওয়া যায়

প্রে ম

গোপন প্রেম মারা যায় গোপনে
গোপন কথা ভাসে চোখের জলে

বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

আব্বার উপদেশ

এই জীবনে অনেককেই অপছন্দ করি কিন্তু কাউকেই শত্রু ভাবি না। কাউকে শত্রুভাবার শিক্ষা আমাকে দেয়া হয় নাই। ছোটকালে অনেক শয়তানি করতাম কিন্তু মারামারি করি নাই।

নিরীহ কারনে আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে মারামারি করতাম। সকালে মারামারি করলে দুপুরে গলাগলি করে গোসল করে একসঙ্গে খাবার খেতে বসতাম। তাই আমাদের মারামারি ছিল আমাদের সম্পর্কের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অবয়ব।

কখনো যদি বাইরের কারো নামে আব্বার কাছে বিচার দিতাম আব্বা উল্টো আমার বিচার করতেন। আব্বা বলতেন,

"কাডে গুনে ধরলে গুনের দুস নাই দুস কাডের।"

মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

প্রিয়তমা রাষ্ট্র আমার

সমস্যার ভাইরাস সমাজে ছড়িয়ে দেন। তারপর যখন দেখবেন ভাইরাস ঠিকমতো কাজ করছে, মানে জনগনকে আক্রান্ত করছে, বুঝবেন আপনার ছড়ানো ভাইরাসে ভেজাল নাই।

তারপর আপনিই আবার এই ভাইরাস ধবংস করার জন্য কমিটি গঠন করেন, সাংবাদিক সম্মেলন করেন, স্কুল কলেজসহ গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানে ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হতে আদেশলিপি প্রেরন করেন। জনগনকে দিয়েই আপনার ছড়ানো ভাইরাস জনগনের সমাজ থেকে তুলে নেন।

এমন কাজটি ধারাবাহিকভাবে করতে পারলে দেখবেন আপনি রাষ্ট্র হয়ে ওঠবেন। তখন আপনার রাষ্ট্রে আমরা নিয়মিত কর দিবো এবং আন্তরিক আনুগত্য প্রকাশ করবো।

ধরা

তোমার সুন্দর ধরা পড়ে গ্যাছে আগুনে
শীতবাতাস তোমার যাবে না আর ফাগুনে

উপোস থাকলে রোজা নয়

উপোস থাকলে রোজা হয়
ঘুম কেন রোজা নয়
শান্তিতে র্ধম হয়
অশান্তিতে র্ধম নয়।। 

দাড়ি টুপি হুজুর হলে
পৈতাকে ব্রাহ্মন বলে
কল্যানে ধর্ম হয় 
পৈতা টুপি ধর্ম নয়।। 

টাকা থাকলে হাজী হয়
জ্ঞান থাকলে কাজী হয়
গরীব কেন উপোস রয়
তার উপোস রোজা নয়।। 

 মানুষ থাকে প্রেমের দলে
প্রেম রাখে দেহ বলে
প্রেমে থাকে আল্লা রাসূল
 অপ্রেমেতে তারা নয়।।

সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

অভি শা প

তোমাকে দেখার সাথে সাথে ভুলে গেলাম আমাকে-- ঝড়ের সাথে বৃষ্টি যেমন।  আমাকে দেখামাত্র মনে পড়ে তোমার কথা-- ঝড়ের রাতের ভয় যেমন।

তোমাকে ভুলে গেলে অভিশাপ দিতে ইচ্ছা করে-- কেন মুগ্ধতা চলে গেল তোমার আকাশ থেকে। তোমাকে মনে পড়লে অভিশাপ দিতে ইচ্ছা করে-- কেন মুগ্ধ হই তোমার এলোহিস্ট দৃষ্টিতে।

আমার প্রথম অভিশাপে তোমার বিয়ে হয়, আমার দ্বিতীয় অভিশাপে তোমার বিয়ে ভেঙে যায়। আবার তোমাকে অভিশাপ দিবো যেন তুমি ফলবতী গাছ হয়ে ওঠো, ফলবতী গাছটি যেন আকাশের কোনো গভীর প্রান্তে বাড়ি খুঁজে পায় যেখানে আমার অভিশাপপাখি ডানা মেলে বাতাস কাটতে অক্ষম।

তাহলে?

তাহলে অভিশাপ দেয়ার দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবো, মাটিতে মিশে যেতে যেতে বলতে পারবো অন্তত তোমাকে অভিশাপ দেয়ার জন্য পৃথিবীতে বেঁচে ছিলাম, তোমার চোখের সামনে বেঁচে ছিলাম,তোমার আশীর্বাদের সামনে বুক পেতে ছিলাম।

শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮

ডানে বামে

সোনম কাপুর। আম্মা সোনম কাপুরের ছবি দেখলেন পত্রিকায়।

আইচ্ছা, বিলাডার নামে কাফুর আছে, সইললে কাফুর অত কম কেরে?

আমার মাথার ভেতর দিয়ে এক‌টি লাল ট্রেন বয়ে গেলো।

আম্মা, যাদের নামের শেষে কামেল আছে দেখবেন কামের শেষে তারা অধিকাংশ জালেম।

আমার কথা শুনে আম্মা এক‌টি মিষ্টি হাসি দিলেন। মায়ের হাসি সন্তানের জন্য কাবা শরীফ জিয়ারতের চেয়েও বরকতময়। সোনম কাপুর পর্যাপ্ত পর্দানশীল হলে এই প্রেমের মাসে আমি বিশেষ বরকতের অধিকারী হতে পারতাম না।

ধন্যবাদ সোনম কাপুরকে, ধন্যবাদ তাঁকে যিনি ডান হাতের সাথে বাম হাতের ব্যবস্থা রেখেছেন।

প্রে ম

শয়তান প্রেমের প্রধান শত্রু। রমজান মাস আসলে শয়তানের দরজা বন্ধ হয়ে যায় প্রেমের দরজা খুলে যায়।

স্বয়ং

কেউ হয়তো জানে না রাতের আঁধারে জন্ম নিচ্ছে অনেক অন্ধকার
কেউ হয়তো জানে না দিনের আলোতে ঘুমিয়ে যাচ্ছে অনেক আঁধার

মানুষ মানিক রতন

সেজদারত মানুষ আমার
আমার  প্রিয় আপনজন
মানুষ মন্দির মানুষ মসজিদ
মানুষ মানিক রতন।।

মানুষ তইয়্যা মসজিদ খোঁজ
এ কেমন তুমি
ফুলের গন্ধে মাতাল তুমি ভুলে ফুলভূমি
ফুলের প্রেমে মগ্নমন জানে গন্ধের কারন।।

মানুষের মনে থাকে দেশ
বাইরে থাকে বেশ
দেশে বেশে সেজদা দিলে মানুষ হয় অশেষ
অশেষ মানুষ অসীম প্রভুর সাথে সদা কানেকশন।।

মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮

সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮

ব ল দ

আমরা একটা গোয়াল ঘরের দিকে যাচ্ছি। গোয়াল ঘরে দুই একটা গাভী রাখা হবে। কারন মাঝেমধ্যে গাভীর খাঁটি দুধের প্রয়োজন হবে। গোয়াল ঘরে বেশিরভাগই থাকবে বলদ। দুধের চেয়ে মাংস উত্তম এতোদিনে মালিকপক্ষ জেনে গ্যাছে। পর্যাপ্ত খড় দেয়া হবে, গরাত দেয়া হবে কচুরিপানা, গামলায় দেয়া হবে পর্যাপ্ত হইল বুসি। মালিকপক্ষের প্রচুর গোয়ালঘর প্রয়োজন, প্রয়োজন অনেক অনেক বলদ।

আমাকেও গোয়ালপাড়ার একজন করা হবে আমি জানি। কিন্তু মালিকপক্ষ জানে না গোয়ালে যাবো বলে শিংদুটো যত্ন করে ট্রেনিং নিচ্ছে বহুদিন ধরে। কিন্তু মালিকপক্ষ আমার শিংদুটো ভেঙ্গে দিবে যত্ন করে। আমিও হয়ে যাবো গোয়ালপাড়ার বলদ। আমিও মাছডালের পরিবর্তে খড় হইল বুসি খেতে অভ্যস্ত হয়ে যাবো।

এমনি করে অভ্যাস তাকে বানিয়েছে মালিক আর আমাকে বানাবে বলদ। 

আ লো টা

আলোটা অন্ধকার দূর করতে করতে অন্ধকারই হয়ে যায়-- এটা আলোর নিয়তি নয়, সীমাবদ্ধতা।

রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮

ওয়াজাদা এক‌টি বিপ্লবের নাম

আরবি শব্দ وجدة, যার অর্থ দাঁড়ায় এমন একজন নারী যে তার অস্তিত্ব খুঁজে পায়। অস্তিত্ব মানে সাহস যা মানুষের মৌলিক গুন। একমাত্র সাহসই মানুষের চরিত্রের মৌলিক দিক যা মানুষের চরিত্রের অন্য দিকগুলোকে হেফাজত করে বা বিকশিত করে তুলে।

তাহলে ওয়াজাদা সিনেমায় কে সাহসী বা অস্তিত্ববান?

অবশ্যই হাইফা আল মনসুর। কারন অনেক। তবে তার দূরদর্শী মানসিকতার সাথে সর্বময় দৃষ্টিকোনের দিকটি গুরুত্বপূর্নভাবে আলোচনার দাবি রাখে।

ওয়াজাদা এক‌টি সিনেমা। দশ বছরের এক‌টি মেয়ের সাইকেল কেনার কাহিনিকে মূল বিন্দু ধরে সৌদি আরবের জীবনাচার তুলে ধরার প্রয়াসই ওয়াজাদার প্রধান চরিত্র। এই সিনেমার লেখক ও পরিচালক হাইফা আল মনসুর। হাইফা আল মনসুরের বাবা একজন কবি। ফলে ছোটকাল থেকেই সৌদি আরবের ধুলাবালির ভেতর যে জীবননাশকারী সাপ লুকিয়ে আছে তার সন্ধান পেয়েছিলেন হাইফা আল মনসুর। তাইতো নির্মান করেন প্রথার বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষনাকারী সিনেমা ওয়াজাদা।

ওয়াজদা এক‌টি সাইকেল কিনবে। তার সামাজিক প্রথা বলে মেয়েদের সাইকেল কেনা যাবে না। ওয়াজদা সামাজিক প্রথা মানতে রাজি নয়। তার বন্ধু আবদুল্লাহ তাকে সাইকেল শিখতে সহযোগিতা করে। ওয়াজদা বিভিন্ন উপায়ে টাকা জমাতে থাকে। সবুজ কালারের সাইকেলটি কিনতে ওয়াজদার আটশত রিয়াল প্রয়োজন। সে সাতশত তের রিয়াল সংগ্রহ করেছে এবং সাতাশি রিয়াল মাকে দেয়ার জন্য অনুনয় করে। কিন্ত তার মা সাইকেল কেনার ব্যাপারে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

পাঠশালার কুরান প্রতিযোগিতায় ওয়াজদা প্রথম পুরস্কার পায়। পাঠশালার চেয়ারম্যান তাকে অভিন্দন জানায় এবং জানতে চায় পুরস্কার হিসাবে পাওয়া এক হাজার রিয়াল দিয়ে সে কী করবে।
ওয়াজদা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে সে এক‌টি সাইকেল কিনবে। চেয়ারম্যান তার উপর রেগে যায়। কারন চেয়ারম্যানের পাঠশালা মেয়েরা রাস্তায় সাইকেল চালাবে এমন অনুমতি দেয় না। তাই সে পুরস্কারবাবদ এক হাজার রিয়াল পায় না। কিন্তু ওয়াজদার মনে প্রশ্ন থেকে যায় তার বন্ধু আবদুল্লাহ যদি রাস্তায় সাইকেল চালাতে পারে তবে সে কেন নয়! তার মনের প্রশ্ন এক সময় বিজয়ের মুখ দেখে। ওয়াজদা রাস্তায় সাইকেল নিয়ে বের হয় এবং তার বন্ধু আব্দুল্লাহকে অনেক পেছনে ফেলে প্রধান রাস্তার বড় বড় গাড়ির সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয় ওয়াজদার সাইকেল।

সিনেমার ব্যাপ্তিকাল আটানব্বই মিনিট। চমৎকার অভিনয় করেছে ওয়াজদা, রিম আব্দুল্লাহ মানে ওয়াজদার মা, ওয়াজদার বন্ধু আব্দুল্লাহ। তারা কাহিনির সাথে মিশে যেতে পেরেছে। সিনেমা দেখতে দেখতে কখনো মনে হয়নি কোনো চরিত্র অভিনয় করছে, মনে হচ্ছে বাস্তবিক চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো কাহিনিপ্রবাহ। এর জন্য অবশ্যই ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ দিতে হয়। সৌদি আরব সিনেমাটি নির্মানের অনুমতি দিলেও সৌদি আরবের জনগন সিনেমা নির্মানের মানসিকতা লালন করে না, তার উপরেও আরেকটি কথা আছে-- হাইফা আল মনসুর একজন নারী। নারী রাস্তায় নেমে ডিরেকশন দিবে, তাও আবার সিনেমার কেরেক্টারদের! অসম্ভব! একদম অসম্ভব!!

আর এই অসম্ভব কাজটি সম্ভব করলেন হাইফা আল মনসুর। তার জন্য অবশ্যই তাকে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। তিনি ভ্যানে থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে ডিরেকশন দিয়েছেন। ফলে দেখা যায় আউটডোর শট থেকে ইনডোর শটগুলো বেশ পরিচ্ছন্ন।

পরিবেশ দেখানোর ব্যাপারে ডিরেক্টর যথেষ্ট মার্জিত। ডিরেক্টরের মূল দৃষ্টি ছিল সৌদি আরবের কালচারে নারীর অবস্থান।

ঘরে ঝুলানো বংশ তালিকায় ওয়াজদার কোনো নাম নেই। কারন সে মেয়ে। ওয়াজদা তা মেনে নেয়নি, ওয়াজদা ঠিকই তালিকায় নিজের নাম লিখে দেয়। মাথায় স্কার্ফ পরে যাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক আদেশ দেয় পাঠশালা। ওয়াজদা তাও মেনে নেয়নি। একটি ছেলের জন্য ওয়াজদার বাবা আরেকটি বিয়ে করতে চায়। ওয়াজদা তাও মেনে নিতে পারে না। ওয়াজদা তার মাকে লাল পোশাকটি মার্কেট থেকে কিনে তার বাবার মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়। কারন ওয়াজদা মনে করে লাল পোশাকটিতে তার মাকে সুনিপুন অপরূপ দেখায়। কিন্তু তার মা লাল পোশাকটি কিনে নাই, লাল পোশাকের জন্য যে টাকা তার কাছে সঞ্চ‌িত ছিল তা দিয়ে কিনেছে ওয়াজদার জন্য সাইকেল। ওয়াজদাই এখন তার সব, সব ফেলে তার স্বামী চলে গ্যাছে দ্বিতীয় বিয়ের কাছে।

সৌদিজীবনাচার আর আধুনিক জীবনবোধের দ্বন্দ্ব দেখানোর জন্য ওয়াজদার সাইকেল কেনার ইচ্ছাটি মূলত রূপক।

সালাতের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে এমন সময় ওয়াজদা তার বন্ধু আব্দুল্লাহকে শিষ দেয়। সৌদিজীবনাচারে মেয়েদের শিষ দেয়া এমনিতেই নিষিদ্ধ তাও আবার সালাতের জন্য মসজিদে যাচ্ছে এমন এক‌টি যুবককে। এমন করে অনেক নিদারুন সুন্দর আচরন করেছে আধুনিক জীবনের প্রতিবিম্ব ওয়াজদা। প্রতিষ্ঠাকে প্রশ্ন করে ওয়াজদা সফলও হয়েছে, কেবল সফল হতে পারেনি হাজার বছরের পুরাতন পুত্রলিস্পা বাবার কাছে।

শনিবার, ১২ মে, ২০১৮

প্রসঙ্গ

প্রস্থে বেড়েছে বহুগুন
হয়েছে বস্তা সস্তার চেয়ে আগুন
দৈর্ঘ্য আছে আগের মতন মামাবাড়ি আম
মনমূল্য পুরাতন গলি হ্রাস পেয়েছে দাম

তুলনা

মাথার চেয়ে যে দেহের বিকাশ আগে ঘটে সেই দেহ মাথাকে শান্তিতে থাকতে দেয় না

শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮

রপ্তানি

ঘুষহুরকে গালি দিতে ঘুষহুর হওয়া লাগে না, আবার হুজুরকে সম্মান করতেও হুজুর হতে হয় না

বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮

প্র তি বা দ

আমাদের মেয়েদেরকে বানানো হয়েছে প্রকৃতির মতো, গাছের মতো, বাতাসের মতো। সব কিছু সহ্য করবে তারা নীরবে নিভৃতে। মেয়েরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে কেমন যেন পুরুষ পুরুষ লাগে।

রাতভর

আমাদের গল্পরা মাঝরাতে বেড়াতে এসে সকাল করে বাড়ি ফিরে

বুধবার, ৯ মে, ২০১৮

বিজয় সিংহ দীঘি

ফেনী নদী। ফেনী নদীর মায়ের বাড়ি ত্রিপুরার পর্বত। মায়ের বাড়ি থেকে সে বাবার বাড়ি বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।  ফেনী নদী থেকে ফেনী জেলার নামকরন। মুহুরী নদী আবার ছোট ফেনী নদী নামে লোকালয়ে পরিচিত।

ফেনী জেলার অন্তরে মহিপাল এলাকায় ধপধপ করছে বিজয় সিংহ দীঘি। আয়তন ৩৭.৫৭ একর। রাজা বিজয় সেন অত্যন্ত আরাম করে এই দীঘি খনন করেছিলেন।

এই দিঘীর খনন নিয়ে অনেক কিংবদন্তী প্রচলতি রয়েছে লোকালয়ে। যে জ্বিনদের সহযোগিতায় এই দীঘি রাজা খনন করেছিলেন তাদের কেউ কেউ এখনো এই দীঘির আশেপাশে অবস্থান করে বলে অনেকের মতামত।

বিজয় সিংহ দীঘি রাতের বেলা একরকম, সকাল বেলা আরেক রকম, বিকাল বেলা আবার অন্য রকম। প্রত্যেক সময়ে প্রত্যেক মুহূর্তদৃশ্য লক্ষ করা যায় তার শরীর অবয়বে।

এই দীঘির চারপাশে রয়েছে কবর। বৃষ্টির জলে কবরের মাটি দীঘির জলে এসে পড়ে। তাই দীঘির জলকে হাড়ধোয়া জল বললে ভুল হবে না। তবে এই বিজয় সিংহ দীঘির প্রধান আকর্ষন কাকডাকা নীরবতা, অন্ধকারমাখা তরলতা, সূর্যমাখা প্রিয়তা।

মানুষ তবে ভালো চিনুক

ভালো মানুষদের জানতে হয় তার পাশে ভালো মানুষ কারা, খারাপ মানুষদের জানতে হয় না তার পাশে খারাপ মানুষ কারা।

ভালো মানুষ  তার পাশের ভালো মানুষদের না চিনলেও খারাপ মানুষ ঠিকই তাকে চিনে রাখে এবং চিনে রাখার মাশুল ভালো মানুষটি ভালো করেই পায়।

একা ভালো মানুষ কখনো ভালো মানুষ নয়, একা পশু সব সময় একাই পশু।

মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮

দেহের মাহফিলে

মরে ত যাবই সই
কেন তবে মরনের কথা কই
চলো একটা রাত আঁকি
চোখে মুখে ঠোঁট রাখি
ফুল ধরি জাল ফেলে
গান হই গলা তুলে
প্রেমের জিকির তুলি দেহের মাহফিলে

মহানগর প্রভাতী

মাইশা। ওর নাম মাইশা। বাবা পুলিশ। মা গৃহিনী। মাইশার সাথে আমার দেখা ট্রেনে। আমাদের পেছনের সিটে তাদের সিট। আমরা একটি ঝড়কে ধরবো বলে চিটাগাং যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঝড়কে ধরতে পারিনি, পেরেছি এই ঝড়কন্যাকে হালকা উপলব্ধি করতে।

এই ঝড়কন্যা ক্লাস টুতে পড়ে। প্রথম দেখাতে মনে হয়েছিল মাইশা জমানো চুপচাপ এক বরফের নাম। ক্লাস টুতে তার রোলনং দুই। সে চায় ক্লাস থ্রিতে তার রোলনং হোক তিন। ক্লাস ওয়ানে তার রোলনং ছিল এক। যখন তার বরফ গলে গেলো তখন সে নদী হতে পারতো, হয়েছে সাগর, তাও আবার আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তাল ঝড়।

এই ঝড়কন্যা আমাকে সিটে বসে থাকতে দেয়নি। তার মতে আমি আল্লার চেয়েও কালা।

আমি বললাম "আল্লা কালা এই কথা তোমাকে কে বলছে?" সে বলে সে নাকি প্রতি রাতে আল্লাকে দেখে।

আমি বললাম আমি যেহেতু কালা সেহেতু আমার থেকে দূরে থাকো, তুমি তোমার সিটে বসে থাকো।
সে বলে তর কাছে থেকে তোকে মারব এটাই আমার আনন্দ।

তার আনন্দ সহ্য না করতে পেরে আমাকে অবশেষে আমার সিট থেকে ওঠে যেতে হয়েছে। যেহেতু ফাস্ট ক্লাস কামরা সেহেতু এখানে সভ্যদের ভীড়। এই ঝড়কন্যাকে ইগনোর করবে এমন মহান শক্তি কারোই ছিল না। সবার দৃষ্টি এই ঝড়কন্যার দিকে, সবার মুখে মৃদু হাসি।

ঝড়কন্যা আমার সিট দখল করে। এখন তার দুইটা সিট। প্রায় শেষের দিকে আমি আমার সিটে আবার বসতে পারি কিন্তু এর জন্য আমাকে ঝড়কন্যার অনেক আনন্দ সহ্য করতে হয়েছে।

ঝড়কন্যা ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার সময় আমাকে একটা নাম দিয়েছে। নামটা হলো কালোমাছি। ট্রেন থেকে নামার সময় তার কনিষ্ঠতম আঙ্গুলটি আমার চোখের সামনে এনে আমার কনিষ্ঠ আঙ্গুলের সাথে মৃদু স্পর্শ করে আস্তে করে বলে "আড়ি"।

আজকে মনে হচ্ছে সত্যিই ত "আড়ি"। তার সাথে ত আমার আর দেখা হবে না, দেখা হলেও সে তখন অনেক রঙ চিনে ফেলবে, অনেক রঙ্গের বাহারে এই কালোমাছির দৃশ্যত রঙ তার চোখে পড়বে না!

সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

বাং লা দে শ

বাংলাদেশে বড় হওয়া মানে পাওয়ারের অধিকারী হওয়া। যার কাছে পাওয়ার আছে সেই সবচেয়ে বড় মানুষ। একসময় লাঠির পাওয়ার খুব গুরুত্বপূর্ন ছিল। এখন টাকার আর প্রশাসনিক পাওয়ার খুবই গুরুত্বের দাবিদার।

কোনো মানুষ যখন এই তথাকথিত গুরুত্বপূর্ন পাওয়ারের দিকে যেতে থাকে তখন অন্যরা মানুষটির লেজে ছাই দিয়ে ধরে পেছনের দিকে টানতে থাকে। সকল টান উপেক্ষা করে মানুষটি যখন পাওয়ারের অধিকারী হয় তখন অন্যরা মানুষটির লেজে তেল ঘি মাখতে শুরু করে।

বাংলাদেশের মানুষ আসলে পায়ের নিচে রাখা আর মাথার উপরে রাখার কাজটা ভালো পারে, বুকে টেনে রাখবার কাজটি এখনো শিখে উঠেনি।

রবিবার, ৬ মে, ২০১৮

শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮

ইনবক্স

ফেইসবুকের ইনবক্সে সে নাগরকে খুঁজে পেলো যে অনেক প্রেম পাকায়। কয়েকদিন পর এই নাগরই হয়ে গেলো নাগরাজ যে অনেক বিষ পাঠায়।

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮

বিড়াল ভোগে থাকলে ইঁদুর শান্তিতে থাকবে না স্বাভাবিক

বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার প্রয়োজন নেই। ঘন্টা বাঁধার কাজটিও বিড়ালের  সাথে একধরনের আপোষ করা। সাক্ষাৎ শত্রুর সাথে কোনো প্রকার আপোষ থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না।

বিড়ালের গলায় ঘন্টা না বেঁধে বিড়ালের  গলা কেটে ফেলা আবশ্যিক কাজ।

বিড়াল বহুবছর যাবৎ অলস হয়েও রাষ্ট্রের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে, কৃষকের গাভীর তাজা দুধ খাচ্ছে চুরি করে।

বিড়ালের অত্যাচার আর সহ্য করা যাবে না। বিড়ালকে পৃথিবীছাড়া করেই পৃথিবীর সত্যিইকারের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে।

সত্যিকারের স্বাধীনতা কখনো অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন নয়। কারন স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হয় না, স্বাধীনতা নিজেই তার অনুসারীদের রক্ষা করে।

সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৮

ব্যাঙের চিন্তারা

খাল। খালে ব্যাঙের ডাক সন্ধ্যার পর থেকেই আরম্ভ হয়। তাদের ডাকাডাকি চলে প্রায় ভোর পর্যন্ত। তারা এই ডাকাডাকি করে মূলত তাদের প্রজননকালীন সময়ে। এই ডাকাডাকি একধরনের স্বাধীনতার ডাকও বটে। অর্থাৎ যে যেখানে আছে সে যেন ডাকাডাকির স্থানে উপস্থিত হয়ে একাত্মতা স্বীকার করে।

এই সময় ব্যাঙপরিবারে উৎসব হয়-- দূরের সাথে কাছের কাছের সাথে দূরের  মিলন উৎসব, নতুন সদস্যদের পৃথিবীতে আগমনের আগাম উৎসব। 

খালের পর একটি বিল্ডিং, তারপর আরেকটি বিল্ডিং, তারপর আরেকটি সুউচ্চ বিল্ডিং। সুউচ্চ  বিল্ডিংটিতে ইটভাটার মতো টাকাওয়ালারা থাকেন। টাকাওয়ালারা যেখানে বিল্ডিংয়ে টাকা ব্যতীত কোনো আত্মীয় স্বজনকে এলাউ করে না সেখানে একটি ব্যাঙ তাদের চকচকে টাকার কালার নষ্ট করবে তা ত ভাবনারও অতীব অতীত।

সুউচ্চ বিল্ডিংয়ের দেয়ালের কাছে যেতেই দেখলাম একটি ব্যাঙ পলিথিনের ভেতর ছটফট করছে। ব্যাঙটি বাঁচতে চায়। দেখলাম পলিথিনের মুখ সুতা দিয়ে বাঁধা। পলিথিনের মুখ খুলে দিলাম। ব্যাঙটিকে দেখলাম লাফাতে লাফাতে আবার বিল্ডিংয়ের দিকে চলে যেতে।

ব্যাঙটি ইচ্ছা করলেই খালের দিকে যেতে পারত যেখানে তার স্বজাতিরা তার জন্য অপেক্ষা করছে। আবার ভাবলাম, ব্যাঙটি ইচ্ছা করলেই খালের দিকে যেতে পারে না। কারন যে ব্যাঙ জন্মের পরই বিল্ডিং চিনে খালের স্বাধীনতা আর অসীম সুখ সে অনুবাদ করতে জানবে ক্যামনে!?

এই অপরাধ না ব্যাঙের না বিল্ডিংয়ের না খালের। এই অপরাধ স্বয়ং অপরাধ সৃষ্টিকারীর।

রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮

ধর্ষন

ফুল দেখে যাদের নাক জেগে ওঠার আগে শরীর জেগে ওঠে তাদের মনে ধর্ষনের জীবানু রয়েছে

শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮

এমনি করে তুমি এমনি করে আমি

মানুষ হয়ে রাতের মতো কথা বললে
আমি কিন্তু ঠিকই একটা ভোর কিনবো

ভোরের সাথে সূর্যে যাবো
ভোরের কথায় দুঃখ পাবো
ভোরের চোখের শিশির খাবো

তখন তুমি ঠিকই একটা ভোর হবে
আমরা তখন দুপুরস্রোতে বিকাল হবো
বিকালপরে অন্ধকারের খরস্রোতা এক নদী পাবো

তখন তুমি মাত্র দুপুর
পাওয়ার ইচ্ছায় তীব্র ব্যাকুল
আমরা তখন দুপুররাতের শান্তি সুখের কুমকুমাকুম

এমনি করে বয়বে রাত
এমনি করে নামবে দিন
পাখি গায়বে গায়বে গান
একটি নদী জলে ভরা
একটি নদী চরে খরা

গুনাগুন

ট্যাবলেট সুন্দর হলে বাচ্চারা খেতে আরাম পায়, শরীরের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ট্যাবলেটের যথাযোগ্য গুন

বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮

জ্ঞানের দাপট

কেউ যখন কোনো বিষয়ে ভালো জানে তখন সেই বিষয়ে সে কথা বলে এক ঘন্টা কিংবা তারচেয়েও কম সময়, কেউ যখন কোনো বিষয়ে কম জানে তখন সেই বিষয়ে সে কথা বলে এক সপ্তাহ কিংবা তারচেয়েও বেশি সময়। ভালো কিছু আসলেই আয়তনে ও ওজনে কম হয়, দুধের চেয়ে দুধের মাখন আয়তনে ও ওজনে অবশ্যই কম।

সাপ

সাপের বিষদাঁত তুলে নিতে হয় সাপকে মারার জন্য নয় সাপ যাতে মারতে না পারে সেইজন্যে

ফুল কেন

ফুল, ফুল হওয়ার জন্য গন্ধ ও সৌন্দর্য বিলায় না, গন্ধ ও সৌন্দর্য  বিলায় বলে তার নাম ফুল

বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮

হঠাৎ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের যখন কম্পিউটার আবিষ্কার করার বয়স বাংলাদেশ তখন কম্পিউটারে কয়টা নাটবুল্টু আছে তা মুখস্থ করে মোটা বেতনের চাকরি পায়।

চাকরি পেয়ে বাংলাদেশ নয়টা পাঁচটা নাটবুল্টু বিষয়ক অফিস করে, অফিস শেষে ফার্মের মুরগী দিয়ে ডিনার করে সোজা বিছানায় চলে যায়।

বিছানায় কোনোদিন আধাঘন্টা একঘন্টা টুর্নামেন্ট খেলে কোনোদিন খেলে না। যেদিন বাংলাদেশ বিছানায় কোনো প্রকার টুর্নামেন্টের আয়োজন করে না সেদিন ডিনার ডাইজেস্ট না হওয়ার কারনে পেটে গ্যাস পড়ে। তাই বাংলাদেশকে প্রায় প্রতিদিন ট্যাবলেট বিষয়ক অফিস করতে হয়।

এইভাবেই হিমালয় থেকে সুন্দরবন তারপর হঠাৎ বাংলাদেশ!

এহেন জামানা

সমাজে যখন প্রচুরতম গাধা তৈরি হয় তখন সে গাধাদের মধ্যে থেকে অনেকতম সিংহের প্রয়োজন অনুভব করে

পাখির চেয়ে পাখার ওজন বেশি হলে সে পাখি আর উড়তে পারে না

কুয়ার ব্যাঙ সাগর চিনলেও কুয়ার প্রশংসা করবে। কারন কুয়াতে বাস করতে যোগ্যতা লাগে না, সাগরে বাস করতে যে যোগ্যতার প্রয়োজন হয়

এহেন জামানায় আল্লা দাবি করলেও বান্দা পাওয়া যাবে এবং সেই বান্দারা আবার সেই আল্লার নিন্দাও করবে

শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮

কোন দিকে মন আমার

আমার বন্ধুদের অনেকেই অফের বল লেগে খেলতো, আবার স্ট্রেটের বল অফে খেলতো, কেউ কেউ লেগের বলও অফে খেলতো, অনেকে আবার ইউর্কা লেন্থের বলকে ফোল টাস করে খেলার চেষ্টা করতো-- তাতে তারা দুচারটে বাউন্ডারি যে পেতো না এমন না, পেতো। তবে আউটই হতো বেশিরভাগ সময়।

ক্রিকেট খেলা এমনিতেই অনিশ্চিত খেলা, আর বলের টু দ্যা পয়েন্ট খেলতে না পারলে ত আরও অনিশ্চিত।

ক্রিকেটের চেয়েও অনেকগুন বেশি অনিশ্চিত মানুষের জীবন। জীবনেও অনেক ধরনের বল আসে-- উপদেশের বল, অনুরোধের বল, হিংসার বল, প্রেমের বল, বিরহের বল, তোষামদী বল ইত্যাদি ইত্যাদি।

মনকে তাই জানতে হয় কোন বল কোন দিকে খেলতে হয়, ভুল দিকে খেললে বাউন্ডারি হতে পারে মাঝেমধ্যে কিন্তু আউট হবার সম্ভাবনাই বেশি।

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮

প চ

প্রচারে কবিমন পাচার হয়ে গেলে পচে যায় হৃদয়

রাগ

দিনে দিনে মানুষের মনের তাপমাত্রা বাড়ছে, শীঘ্রই মন গলে গলে শরীরের রাগীয় অঞ্চল ডুবে যাবে

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮

কাজী নজরুল ইসলাম

কাজী নজরুল ইসলামের জীবনকালীন সময়ডার কথা ভাবলে আমার শরীরে কাডা দিয়া ওডে!

মুসলমানরা তখন বলে নজরুল হিন্দুদের কবি কারন সে কীর্তন লেখে। হিন্দুরা বলে নজরুল মুসলমানদের কবি কারন সে হামদ-নাত লেখে। আর ঠিক তখন প্রগতিশীলদেরও অনেকেই বলে নজরুল একটা বলদ কবি কারন সে মানবতার পক্ষের লোক নয়।

অথচ নজরুলের গানের লাইন দিয়ে আজকে মুসলমানদের ইদের আনন্দযাত্রা শুরু হয়, মানবতাবাদীদের বক্তৃতা শুরু হয় ,কৃষ্ণকে প্রান দিয়ে জপ করে কৃষ্ণদ্বীপের অধিবাসীরা।

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

খাবার নষ্টকারী মাছি

একদিন। গ্লাসের জলে একটি মাছি পড়ে। তার পাখা ভিজে যাচ্ছে এবং সে প্রায় জলে ডুবে যাচ্ছে। তার বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছা তার ছটফটানিতে দেখতে পেলাম।  তার প্রান রক্ষা করলাম। মাছিটি নড়তে পারছে না। তার শরীরে এমন একটি রং দিয়ে দিলাম যাতে হাজার মাছির ভীড়েও আমি তাকে সনাক্ত করতে পারি।

সেদিনের মতো মাছিটি উড়ে গেলো। তাকে আমি পোষ মানাতে চাইনি। কারন মাছিকে কেউ পোষ মানাতে চায়না।

এখন প্রতিদিন খাবার টেবিলে পৃথিবীর ময়লা নিয়ে সেই মাছিটি হাজির হয়। খাবার নষ্ট করে। আমি তার প্রতি রেগে যেতে পারি কিন্তু রেগে যায় না। কারন আমার কাছে যা ময়লা মাছির কাছে তা খাবার।

পাপ

মানুষের উপর আস্থা রাখা পাপ, মানুষের উপর থেকে আস্থা হারানো মহা পাপ

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৮

সবুজ হবে কালাচাঁন

জীবনের সব স্তর শেষ হয়ে গেলে বনলতাপৃথিবী কাছে আসে, কাছে এসে বলে এতোদিন কোথায় ছিলেন?
সব সুখ উড়ে যায় বাতাসে-- প্রচন্ড ব্যথায় আকাশও বুক খুলে বসে, গোপন গল্পরা রাতচোখে সবুজ আনে বনঘাসে। নরম মাংসের মতো হৃদয়ের গভীরে হাঁটে চাঁদের বাজার-- মানুষ মানে একটা হাইফেন একটা নিছক কাগজের মেলা।

অনেক অল্প অভিধানে মাথার ভেতর খেলা করে শব্দের পিকনিক, অবস্থান ত্রিমোহনী সুরে বাতাসের পরিবারে কালভার্ট আঁকে-- মানুষ মারে মানুষ বাঁচায়।

ধর্মঢাল চোখের আগে চলে রোবটের মতো-- রাত নাই ভোর নাই দুপুর নাই এক কথাতে সারাক্ষন। ভয়ের বাজারে একমাত্র দ্রব্য পরকীয়া পরকাল, ভয়ের বাজারে ডানাকাটা পরী উড়ে আকাশে বাতাসে কারনে অকারনে
জ্বর হবে পৃথিবীর
জ্বর হবে নিশ্চিত
ভেসে যাবে ডানবাম
বৃক্ষ পাবে যমুনার চর
সবুজ হবে কালাচাঁন

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

শবে মেরাজ

প্রত্যেক প্রেমিক প্রত্যেক প্রেমিকের সাথে মিলিত হবে এটাই শবে মেরাজের তাৎপর্য

পেরেকের দাগ

ফিরোজা বেগম। গ্রামের সহজ সরল মানুষ। তার তিন মেয়ে এক ছেলে। তার একটি মাত্র স্বামী। স্বামী বাইক দুর্ঘটনায় একটি পা হারায়। ছেলেটি পৃথিবীর সার্কাস বুঝার আগেই সংসারের হাল ধরেছে। ফিরোজা বেগম যথেষ্ট সুন্দরীও বটে। সে কোনোদিন স্কুলের বারান্দায় যায়নি। নারী যখন সুন্দরী হয় এবং অশিক্ষিত হয় তখন গ্রামীন জীবনে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তাছাড়া গরীবের বউ এমনিতেই সবার ভাবী। তাছাড়া সম্পদ যেখানে থাকে সেখানে পিঁপড়ার দলাদলি ভয়ঙ্করভাবে লক্ষ করা যায়। পুরুষতন্ত্র নারীকেও সম্পত্তি মনে করে। সুন্দরী নারী ত শুধু সম্পত্তি নয় সম্পদও বটে।

অশিক্ষার অভিশাপ, সুন্দর দেহের অভিশাপ, দারিদ্র্যের অভিশাপ নিয়ে ফিরোজা বেগমকে অনেক জটিল কুটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। প্রত্যেকটি পরিস্থিতি টেকেল দিতে তার মৃত্যুর মতো যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়। মৃত্যু যন্ত্রনা কেমন জানি না কিন্তু যত যন্ত্রনার নাম শুনেছি তার মধ্যে মৃত্যু যন্ত্রনা নাকি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। তাই উপমা হিসাবে মৃত্যু যন্ত্রনার কথা আনলাম।

একদিনের ঘটনা। ফিরোজা বেগম স্নান করে তারে কাপড় নাড়ছে। এমন সময় এক কাপড় ব্যবসায়ী হাক দেয় "কাফর  লাগবে কাফর"। ফিরোজা বেগমের দৃষ্টি কাপড় ব্যবসায়ীর দিকে যায়। কাপড় ব্যবসায়ীর দৃষ্টি ফিরোজা বেগমের চুল থেকে টুপটাপ জল পড়ে যে সেলোয়ার কামিজের কিছু জায়গায় ভিজে গেছে সেই জায়গায়। সুতি কাপড় ভিজে গেলে চামড়ার সাথে লেগে যায় তখন কাপড় আর চামড়া মিলে তৃতীয় মাত্রার ভোগীয় আবেদন নির্মিত হয়।

ফিরোজা বেগম আবার প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে চোখে সুরমা দেয়। তার স্বামী সুরমাভরা চোখ দেখতে বেশ আরাম পায়। স্বামীর আরামের জন্যই মূলত সে চোখে সুরমা দেয়।

গ্রামের মানুষ চোখে সুরমা দেয়াকে পুন্যের কাজ মনে করে। তারা মনে করে মুসা নবী আর আল্লার প্রেমে তুর পাহাড় জ্বলে যায়। তুর পাহাড় জ্বলে যে ছাই হয় সেই ছাই থেকে সুরমার সৃষ্টি। তাই সুরমা কোনো পৃথিবীর বিষয় নয় স্বয়ং জান্নাতি নিয়ামত। বেহেশতের হুরদের চোখে সুরমা থাকবে এমন কথাও কোনো কোনো আলেমে দ্বীন প্রচার করে। গভীর রাতে যখন ফিরোজা বেগমের স্বামী নিয়াজ রহমান বউকে বুকে টেনে নেয় তখন হুর গেলমানের স্বাদ অনুভব করতে থাকে এবং তার জন্য অনেকাংশে দায়ী এই তুর পাহাড়ের সুরমা।

স্নান শেষ করে যখন ফিরোজা বেগম উঠানে বের হয় তখন কিন্তু তার চোখে আর সুরমা থাকে না, থাকে সুরমার লেশ। সুরমালেশ চোখে ফিরোজা বেগমকে আর হুর হুর মনে হয় না, মনে হয় পুরি। চোখের সামনে এমন জ্যালজ্যান্ত পুরী দেখে কাপড় ব্যবসায়ী মহব্বত মিয়ার মাথা ঠিক থাকতে চায় না। মহব্বত মিয়া ক্যামনে এই পুরীনৌকায় পেরেক ঢুকাবে এই চিন্তায় অস্থির।

ও মিয়া কী কাফর আছে?

মাগো, আমি মুনিপুরি শাড়ি বিক্রি করি।

হাওয়াই মিঠাই রঙের শাড়ি আর মনিপুরি শাড়ির প্রতি ফিরোজা বেগমের বেশ টান।  মনিপুরি শাড়ি পরে যখন সে পান চিবায় তখন মনে মনে এক অনিন্দ্যনিত্য আনন্দ অনুভব করতে থাকে। মনিপুরি শাড়ি সে একবারই উপহার পেয়েছিল। তাও পাশের গ্রামের করিম মিয়ার কাছ থেকে। করিম মিয়া বিবাহিত পুরুষ। পাঁচ সন্তানের বাপ। লুচ্চা হিসাবে গ্রামের মানুষের কাছে তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। লুচ্চা করিম মিয়া কেন ফিরোজা বেগমের ঘরে পেরেক মেরে বসেছিল তার একটা ইতিহাস কিংবা আখ্যান অথবা গল্প ত আছেই।


ইতিমধ্যে তিন সন্তানের বাপ হয়েছে নিয়াজ রহমান। গ্রামে তার মুদির দোকান। সারাদিন দুই তিনশত টাকা পকেটে থাকে।

যে টেহা কামাও হে টেহা দিয়া সংসার চলে ক্যামনে?

তাইলে কি করমু, কও দেহি?

হেরা বারির দিলরুবার বাফ কি বালা টেহা পাটাচ্ছে প্রতি মাসে।

আমারে বিদেস যাইতে কইতাছ?

হ।

এলহা তাকতে ফারবা?

এলহা কিসের, আম্মা আছে না, আমার মাইয়াফুলা আছে না।


বউয়ের কথা শুনে নিয়াজ রহমান দালালের লগে যোগাযোগ করে। গ্রামের দালাল আবার আন্তর্জাতিক মানের টাউট। সে হয়তো একজন লোক বিদেশ নিতে পারবে কিন্তু এমন ভাব দেখায় যেন একশত জন লোক নিতে পারবে। ভাব ত বড় কথা না, সবার কাছ থেকে টাকাও নিবে। টাকা নিয়ে সব জনকেই দুইমাস পর পর ফ্লাইটের ডেইট দিবে।ডেইটের দিন ইয়ারপোর্ট নিবেও, নিয়ে গিয়ে দেড় দুই ঘন্টা বিমানবন্দরের আশেপাশে বসিয়ে রেখে বলবে ফ্লাইট ক্যানসেল-- আবহাওয়া খারাপ, বিমান দুর্ঘটনা হইছে, বিমানের তেল শেষ ইত্যাদি ইত্যাদি।

তখন একটি মজার ঘটনা ঘটে-- লোকটি বিদেশ যাবে বলে বাড়ির ছোট বড় সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে, লোকটির মা বউ এক সপ্তাহ আগে থেকে কান্নাকাটি শুরু করেছে। স্বামীকে বিদায় করে দরজা বন্ধ করে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছে আর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে বাড়ির উপর দিয়ে কোনো হেলিকপ্টার গেলেও বউ ভাবে এই বিমান দিয়ে স্বামী তার বিদেশ যাচ্ছে।

বউ সন্তান মা যখন ভাবছে তার স্বামী তার বাপ তার সন্তান বিদেশ চলে গ্যাছে এমন সময় সে বাড়িতে হাজির। বাড়ির কেউ প্রথমে তাদের চোখকে বিশ্বাস করতে চায় না, পরে দালালের উপস্থিতি দেখে আস্তে আস্তে বিশ্বাস করতে শিখে তাদের কর্তা বিদেশ যেতে পারেনি। এইভাবে কয়েকবার ফ্লাইট ক্যানসেল হওয়া পর দালালরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তারপর কয়েকবছর পর দেনধরবার করে অর্ধেক টাকা হাসিল করা যায় বাকি অর্ধেক টাকা বিমান খেয়ে ফেলে।

নিয়াজ রহমানের টাকা কিন্তু বিমানে খায়নি। কারন ফিরোজা বেগমকে করিম মিয়ার প্রথম দেখাতেই ভালো লাগে। করিম মিয়াও চাচ্ছিল নিয়াজ রহমান বিদেশে গিয়ে থাকুক কয়েক বছর। নিয়াজ রহমান তাই যথাসময়েই বিদেশ যায়। খুব দ্রুতই চলে যায়। গ্রামের মানুষ বলাবলি করছিল নিয়াজের কফালই বালা। আসলেই নিয়াজের বিদেশী কফাল বালাই ছিল, প্রতিমাসে বিশ চল্লিশ হাজার টাকা পাঠাইত। কিন্তু বিদেশে বেশিদিন থাকতে পারে নাই, এর জন্য দায়ী এই করিম মিয়া।

করিম মিয়া ফিরোজা বেগমরে লইয়্যা মার্কেটে যায়, সিনেমা হলে যায়, পীর ভাইয়ের বাড়ি যায়, বৃষ্টির রাইতে ফিরোজা বেগমের লাইগ্যা কাঁঠাল নিয়া আহে, মিষ্টি কাঁঠাল। এই মিষ্টি কাঁঠালের গন্ধ রিয়াদে অবস্থানরত নিয়াজ রহমানের নাকে গিয়া লাগে। তাই কাউকে নাজানাইয়া নিয়াজ রহমান একদিন  সকাল সকাল বাড়িতে হাজির। বাড়িতে এসে দেখে করিম মিয়ার মাথায় হওরার তেল দিয়ে দিচ্ছে ফিরোজা বেগম, তখনই চিৎকারে বাড়ি কাঁপিয়ে তুলে নিয়াজ রহমান। তারপর থেকে করিম মিয়ার আর দেখা নাই।


আজ মুনিপুরি শাড়িওয়ালাকে দেখে ফিরোজা বেগমের করিম মিয়ার কথা মনে পড়ে, বৃষ্টির রাইতের কথা মনে পড়ে, মিষ্টি কাঁঠালের কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে করিম মিয়ার গরম শরীরের কথা। নারীশরীরে যে ঢেউ আছে আর সেই ঢেউ কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় এ বিষয়টি ফিরোজা বেগম প্রথমবারের মতো করিম মিয়ার কাছেই জানতে পারে। দুলদুলানি খেলায় ফেনা তুলার কাজটি করিম মিয়া ভালোই পারতো। এতো সব কারনেই লুচ্চা করিম ফিরোজা বেগমের মনে ঠাঁই করে নিয়েছিল। এখন আর করিম মিয়ার কথা ফিরোজা বেগমের মনে তেমন বাতাস কাটে না। গ্রামীন বউয়েরা আসলে চরের লাহান যার দখলে যায় তার কাছেই চাষযোগ্য জমি হয়ে ওঠে।

এ মুনিপুরি সারিডা কত টেহা?

মাগো তুমার লগে দামদর করা যাইব না, নিষেধ।

কেডা নিসেদ করছে?

আমার মাথার ওফরে ছেমার লাহান যিলা তাহে হিলা।

হিলা কেডা?

জ্বিনের বাদসা রাজিবদিন।

রাজিবদিনের নাম শুনে ফিরোজা বেগমের সইললে কাডা দিয়া ওডে। বহুদিন ধরে ফিরোজা বেগম একজন মানুষকে তালাশ করতেছে মনে মনে যার লগে জ্বিনের বিশেষ হাতির আছে। জ্বিন নয় একেবারে জ্বিনের বাদশার লগে হাতির আছে এমন মানুষ তার বাড়ি পর্যন্ত চলে আসবে এমনটা বিশ্বাস করার নয়। তাও ফিরোজা বেগম বিশ্বাস করতে চায়। আল্লার বিশেষ বান্দারা মনের খবর জানে এমন কথা ফিরোজা বেগম অনেকবার শুনেছে হুজুরদের কাছে।

বাজান আফনে আমরার ঘরে আইয়েন।

ঘরে যাওনের অনুমতি নাই মা।

বাজান আমরা কী পাফি, ঘরে কেরে যাইতেন না?

এ বাড়ির অফর দিয়া দেও আসা যাওয়া করে। এ বাড়িতে অনেক আগেই রাজা বাদশার বিল্ডিং ওটে যাইত, শুধু দেওয়ের কুনজরের কারনে কোনো উন্নতি নাই, কুফার পর কুফা লাইগগা তাহে।

অহন কি করা লাগব বাজান?

পানি আন।

পানির মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা তাকায়া থাকে মহব্বত। তারপর হাত রাখে পানিতে। তারপর এই পানি সবাইকে খেতে বলে।

বাজান পানি ত মিডা অইয়্যা গ্যাছে গা।

এডা পানি না, রাজিবদিন জ্বিন তার রাজ্য থেকে কুমকুম গাছের রস নিয়া আইছে এক মিনিট আগে, এই রস পানিতে দিলে পানি আর পানি থাকে না, কুমকুম বিজলি হয়ে যায়।

কুমকুম বিজলির নাম ফিরোজা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা আগে শুনেনি।  শুনে নাই বিধায় কুমকুম বিজলি তাদের কাছে জমজম কূপের পানির চেয়েও পবিত্র ও দেওদূরকারী বলে মনে হচ্ছে।

কুমকুম বিজলির পানি খাওয়ানোর পর বিনা টাকায় মুনিপুরি শাড়ি ফিরোজা বেগমের হাতে দিয়ে বিদায় নেয় মহব্বত।

মহব্বত এখন আর কাপড় ব্যবসায়ী মহব্বত না। এখন সে দরবেশ মহব্বত।
দরবেশ মহব্বতের জন্য এখন ফিরোজা বেগমের মন আনচান করতে থাকে। কত কথা জমা আছে তার মনে। কিন্তু বাড়ি থেকে দেও দূর হওয়ার আগ পর্যন্ত ত দরবেশ বাবা আসবে না।

সকাল থেকে রাত
 রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ফিরোজা বেগমের মনে এখন শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা। দরবেশ বাবার অপেক্ষা। নিয়াজ রহমানও ইদানিং দরবেশ বাবারে নিয়া নানা রকম খোয়াব দেখা শুরু করেছে। একদিন নিয়াজ রহমানের ছেলে জিম খোয়াবে দেখছে দরবেশ বাবা তারে লয়ে আসমানের উপর দিয়া উড়ে উড়ে জ্বিনদের রাজ্যে যাইতেছে। এই খোয়াব জিম আবার তার মার কাছে কইছে। মা আবার জিমকে এই খোয়াবের কথা কারো কাছে কইতে নিষেধ করছে, তাতে নাকি খোয়াবের বরকত নষ্ট অইবো। জিম কারো কাছে এই বরকতময় খোয়াবের কথা বর্ননা করতে যায়নি। জিমের মাও এই দরবেশ বাবার কথা কারো সাথে শেয়ার করেনি, গর্ভের সন্তানের মতো ধরে রেখেছে মনে।

অন্ধকার রাত। মাঘ মাসের অন্ধকার রাত। গভীর ঘন কুয়াশা, গভীর ঘন অন্ধকার রাত। রাত দশটায় দরজায় কড়া নাড়ে কেউ একজন।

গ্রামের বাড়িতে শীতের মাসে রাত দশটা মানে অনেক রাত। তারপরও বেশি কড়া নাড়তে হয়নি দরবেশ বাবার। সকাল থেকেই একটা কাক ডাকতে ডাকতে বাড়ি প্রায় মাতিয়ে তুলে যা মেহমান আসার ইঙ্গিত বহন করে। তাই নিয়াজ রহমান পরিবারের একটা মানসিক প্রস্তুতি ছিল কেউ একজন আসবে।

দরজা খুলে জিম। দরবেশ বাবাকে দেখেই জিম আনন্দে আত্মহারা। পরিবারের সবাই গোল হয়ে বসে। ফিরোজা বেগম অনেক খাবার আপ্যায়ন করতে চায় কিন্তু রাতে সে কোনো খাবার খায় না, জ্বিনের বাদশার নিষেধ, এক ফোঁটা পানিও খায় না দরবেশ বাবা।

মা তুই মুনিপুরি শাড়িডা পরে এখানে আই, জ্বিনের বাদশার মুনিপুরি শাড়ি অনেক পছন্দ। আজগা জ্বিনের বাদশার লগে তরারে দেখা করামু।

ফিরোজা বেগম মুনিপুরি শাড়ি পরে এসে দরবেশ বাবার মুখোমুখি বসে। দরবেশ বাবার পাশে নিয়াজ রহমান। বাবার আরেকপাশে জিম, জিমের পাশে তার দুই বোন, নিয়াজ রহমানের পাশে তার এক মেয়ে।

ঘরের হগল লাইট নেভানো হয় বাবার আদেশে, বাবার আদেশে এক জগ পানি আনা হয়, দরবেশ বাবার আদেশে কেবল পাঁচটি মোমবাতি টেউ টেউ করে জ্বলতে থাকে। সবাইকে চোখ বন্ধ করতে বলে বাবা। বাবার কথামতো সবাই চোখ খুলে। তারপর দরবেশ বাবা কুমকুম বিজলি পান করতে বলে সবাইকে সহি নিয়তে। সবাই সহি নিয়তে বিসমিল্লাহ বলে কুমকুম বিজলি পান করতে থাকে। নিয়াজ রহমান সবার চেয়ে এক মগ বেশি পান করে কুমকুম বিজলি।
কুমকুম বিজলি পান করে সবাই জ্বিন বাদশার রাজ্যে  চলে যায়, ঘরে থাকে কেবল দরবেশ বাবা।

জ্বিনবাদশার রাজ্য থেকে তারা যখন পৃথিবীতে ফিরে আসে তখন তারা আর ঘরে নাই, তারা তখন হাসপাতালে। হাসপাতাল রুমের সবকটি পাখা ঘুরছে, শুধু ফিরোজা বেগমের বেডের উপরের লাল আর সবুজ রঙের পাখাটি ঘুরছে না, নষ্ট। ফিরোজা বেগমের পাশে বসা তার প্রতিবেশী চান্দামা। চান্দামা ফিরোজা বেগমের কপালে মোলায়েমভাবে আঙ্গুল নাড়ছে। নিয়াজ রহমান বউকে দেখামাত্র চোখ বন্ধ করে বেডের পাশে বসে পড়ে। ফিরোজা বেগমের মাংসে তখন অনেক পেরেকের দাগ!


বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৮

বিয়ে ভাইরাস

বিয়ে করার আগে ছেলেটার বুক যথাসম্ভব উঁচু থাকে, বিয়ে করার পর জামাইয়ের বুক নিচু হতে থাকে বউয়ের বুক যথাসম্ভব উঁচু হতে থাকে-- নদীর এপার ভাঙে ওপার জাগে এই ত নদীর খেলা

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলাদেশী

একমাত্র বাংলাদেশের ক্রিকেটটিম খেলায় জিতলেই সব বাংলাদেশী একসঙ্গে আনন্দিত হয়, অন্য কোনো জায়গায় বাংলাদেশীরা তেঁতুল পাতার সুজন হতে পারে না

ভো র

হুট করে ভূমিকম্প আসতে পারে, ভোর আসতে সময় লাগে

মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৮

পৃথিবীতে মানুষ আসে না, আসে মানুষের বয়স

পৃথিবীতে মানুষ আসে না, আসে মানুষের বয়স।

বয়স কথা বলে, বয়স খেলাধূলা করে, বয়স চাকরি করে, বয়স বিয়ে করে, বয়স হিজরতে যায়, বয়স বিপ্লব করে, বয়স বাবা হয়, বয়স ঠাকুরমা হয়, বয়স দাদা হয়, বয়স প্রেম করে, বয়স কথা দিয়ে কথা রাখে না, বয়স বৃন্দাবনে যায়, বয়স রাধা হয়, বয়স রাজা হয়, বয়স কান্না করে, বয়স মারা যায়।

পৃথিবীতে মানুষ আসে না, আসে বয়স।

জীবনের সুইচ

সুইচ একবার নিবে গেলে
বাত্তি ত আর জ্বলে না
পাওয়ার ব্যাংকের খবর নিলা না
পাওয়ার ব্যাংকের খবর জান না।।

মায়ের পেটেতে উদয়
মায়ের পেটেতে অস্ত
মাঝখানেতে চাকরি বাকরি আনন্দ কষ্ট
মায়ায় মায়ায় জীবন গেলো
কায়া সাধন হলো না।।

মনবিমান আকাশ পাতালে
শান্তি খুঁজে ঘরের ভেতরে
রংনাম্বারে ফোন করে সে আসল মানুষ খুঁজে
ছায়ার মানুষ মানুষ নারে
কায়া সাধন হলো না।।

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

শয়তান সেদিন পড়ার টেবিলে বসেছিল

বাড়ি থেকে আমি কখনো পালাই নাই। যেহেতু আমি আমার গ্রামের একমাত্র শয়তান ছিলাম সেহেতু বাড়িপালানো আমার জন্য প্রায় স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই স্বাভাবিক ব্যাপারটা আমার হয় নাই।

এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার আগে আমি ঢাকাই গেছি মাত্র দুইবার। তাও আব্বার লগে।

একবার বাড়ি থেকে পালানোর উদ্দেশে আমি আর আমার বন্ধু জসীম আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসি। কারো প্রতি রাগ করে বা কেউ আমাকে শাষন করেছে  এমন কোনো বিষয় ছিল না। কারন একটাই নায়ক হবো।

আমি ত ক্লাস টু থেকে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখি। তাই নায়ক হওয়ার বাসনাটা তখন মাথায় ঝেঁকে বসে। সিনেমায় নায়কেরা দেখতাম ছোট কালে পরিবার থেকে হারাইয়া যায় অথবা পরিবার থেকে পলাইয়া দূরে কোথাও চলে যায়।

আশুগঞ্জে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার বয়স তখন নয়। ট্রেন সিনেমাতে দেখেছি কিন্তু সরাসরি দেখি নাই। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পরিকল্পনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি চায়ের দোকানে কাজ করবো। কারন আমার সেই ছোট্ট বয়সের অধিকাংশ নায়কেরা ছোট বয়সে চায়ের দোকানে অথবা ডে লেবারের কাজ করে।

দাঁড়িয়ে আছি প্লাটফর্মে, হঠাৎ দেখি সাইক্লোনের মতো একটা ট্রেন আইতাছে আমাদের দিকে। মাগো, সেই কী মহা গতি! ট্রেনের সেই গতি আর গর্জন দেখে এক দৌঁড়ে প্লাটফর্ম থেকে নেমে বাড়ির দিকে যাত্রা করি। বাড়িতে গিয়ে গোসল করে সুন্দর করে পড়ার টেবিলে বসি। পরিবারের সবাই অবাক "শয়তান পড়ার টেবিলে"।

ভাগ্যিস শয়তান সেদিন পড়ার টেবিলে বসেছিল নয়তো সে এতোদিনে পৃথিবী বিখ্যাত নায়ক হয়ে যেতো!