মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০১৫

আল্লা, ও আল্লা

আল্লা, ও আল্লা, তুমি মেয়ে হলে তোমার সাথে প্রেম করতাম, তারপর আমাদের মতো করে একটি দিন নির্ধারণ করে বিয়ে করতাম।

আরে না, বিয়ে করা লাগত না।
কারণ নিয়ম তো তুমিই তৈরি কর। তাছাড়া বিয়ে তো একটি চুক্তি যেখানে বাধ্যতামূলকভাবে একসাথে থাকার কথা আছে।
কয়েকদিন আগে রায়পুরা গ্রামে চুরি অইছে। গরু চুরি। সকালে দরজায় একটি চিরকুট পাওয়া যায়, কাঁচা হাতের লেখায় --

কাবিনে ভাত খাওয়ানো যায় না
তালা দিয়ে গরু রাখা যায় না!

আজকাল চোরও পরামর্শ দিতে জানে, পরামর্শ দিতে জানে এমন লোকের অভাব নেই। অভাব কেবল সংবেদ্য হৃদয়ের অভেদ্য সম্পর্ক। আর এমন অভেদ্য সম্পর্ক তোমার সাথেই তো হতে পারে, তাই না?

তুমি কত স্মার্ট, শান্ত, প্রাজ্ঞ। তুমি বলবে আমি শুধু শুনবো, তুমি হাসবে আমি শুধু দেখবো।

তবে একটি কথা আগেই বলে রাখি,  তোমার কথা আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যায় যদি , আমি কিন্তু পাখি হয়ে তোমার কথা ধরতে পারুম না। আমি যাতে বুঝি এমন সহজ সহজ অমৃত কথা বলতে থাকবে, বলতে থাকবে।

জগতে তুমি যে মায়ের জাত বানাইছ, এরা হালি যোগ্যতা চায়, টাকার যোগ্যতা, বাড়ির যোগ্যতা, খ্যাতির যোগ্যতা। তোমার তো কোনো যোগ্যতারই অভাব নাই। আর আমার একটুও যোগ্যতা নাই। সুতরাং উল্টো দিক থেকে হলেও হমান হমান। তাছাড়া আমগো লাহান তুমি অত অস্থির না। তাইতো যে দুনিয়া তুমি এক পলকে বানাইতে পারো, এই দুনিয়া বানাইছো ছয় দিনে।

আল্লা, ও আল্লা, তুমি কী নারী?
আমার দেহের বাড়িতে মাঝে মাঝে তোমার দেখা পাই,চিরদিন কেন পাই না!

আমার লগে তোমার অভিমান করা হাডে না, তুমি যদি অভিমান কর কোথায় শান্তি পাবো, কে আছে এমন শান্তি দিবো!

আমার অন্তরে যে বিরহ তা এতো তীব্র, এতো গভীরে ভাষাতে আনতে পারি না, কিন্তু তুমি তো অনুধাবন করতে পারো, তাই না?

আমারে একবার তোমার করে লও, তোমার হয়ে আমি সবার হতে চাই, চাই হতে আপনার আপনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন