মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০১৫

বাবু ভাই

বর্ণাঢ্য দার দিকে তাকালেই বাবু ভাইয়ের কথা মনে পড়ে।  বাবু ভাই আমার চেয়ে পনেরো বছরের বড়। তারপরও আমার কাছেই সে আরামবোধ করত।
প্রতিবেশীজন বাবু ভাই আমার কাছে এলেই হাসতো, মিটির মিটি হাসি। তার হাসিতে গান, তার গানে ছিল প্রাণ, তার হাসিতে ছিল সমাজের প্রতি ভরাট কটাক্ষ।
তার চোখে কোনোদিন জল দেখিনি।
সে আমাকে কেবল নায়ক হওয়ার গল্প শুনাতো, নায়ক ওমর সানির গল্প।
ওমর সানি-মৌসুমী তখন দারুণ জুটি।
কিন্তু আমি, আমি কিন্তু ওমর সানি হতে চাইনি। কারণ ততদিনে সালমান শাহ আমার স্বপ্নের নায়ক। আর শাবনূর আমার স্বপ্নের নায়িকা -- সাথী তুমি আমার জীবনে, সাথী তুমি আমার মরণে!
বাবু ভাই খুব আস্তে আস্তে কথা বলতো, আমাকে মেথ ম্যাজিক শেখাতো। একদিন শুনেছিল, একদিন শুনেছিলাম বাবু ভাইয়ের সুতীব্র চিৎকার। পৃথিবীর পাঁজরে নেমে এসেছিল সত্যের কোমল। তারপর বাবু ভাই চুপ। আর কোনোদিন কথা বলেনি। মাটির সাথে পেতেছে এখন সে চিরদিনের সংসার।
তারপর শুনি বর্ণাঢ্য দা বেঁধেছে মানুষের সংসার পৃথিবীর অর্ধবৃত্তে ঝুলে থাকা স্তনের মতো। কিছুদিন টুয়াপাতি খেলা…  সংসার আর করা হলো না তার।

 এখন সে ছবি আঁকে -- লাল, নীল, হলুদ, কালো রঙ্গের ছবি। অথচ কালো রঙ্গের ছবি আঁকার জন্য কত্ত চেষ্টা করেছিল বাবু ভাই।
বাবু ভাইয়ের কালো রঙের আঁকা ছবিগুলো কেন যেন লাল রং হয়ে যেতো।
আমিও আজকাল কালো রং দেখিনা, কেবল লাল রং দেখি, কেবল বাবু ভাইকে দেখি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন