শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

পাতা

পাতার আড়ালে সত্য খুঁজতে যেওনা, পাতার সামনে সত্য থাকে। পাতার দৃশ্যে যদি বিশ্বাস রাখা যায় অন্ধভাবে, অন্ধচোখ জীবন পাবে।

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

তোমার মনের হাসপাতালে অনেক রোগী

চলন্ত ট্রেন কখনো জানে না তার গতি কতটুকু
তোমার চলন দেখে আমাকে থামতে হয়
ভাবতে থাকি নাপা কিংবা প্যারাসিটামলে চলবে কিনা
কিন্তু না
তুমি হালুবালু পথচারী, ক্রনিক রোগীর মতো হাউসে চলো
মিউটেশনে জন্ম দাও অগোছালো মেঘ
আমি তো পাহাড় নয়, ছোঁয়ে যাবো তোমার  শরীর
তাই দূর্বাফুলে চোখ রেখে আয়ুর ইতি টানার সিদ্ধান্তে অটল
ভাসমান মেঘ কিংবা কম্পনজনিত আবেগে নয়

উপসংহার :

তোমার মনের হাসপাতালে অনেক রোগী
আমার দেশে ডাক্তারের ক্রাইসিস

টান

ঘুমের ঘরে তালা দিয়ে কে তুমি ডাকো
দূরে থেকেও সূর্য হয়ে আমায় জাগিয়ে রাখো

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

মহুয়ার কাল শেষ

সূর্যের কাল শেষ , আলোর পৃথিবী
চৌম্বকনৃত্য হেলে দুলে আকাশে বাতাসে
জীবনের তিন রাস্তায় মরা নদীর তান
আলোয়ান  জয়তু বিকশিত গান
শব্দের ধর্মঘট কতটুকু আকালে বেকাল
লুতফুল প্রেম চলে আগাপাছাতলে
কর্পোরেট কামড়া-কামড়ি  চোখে গ্লাস কালো
পৌষের হাওয়ায় বাজে দিগ্বিদিক আলো
বৃষ্টির হাসি আর পাহাড়ি সবুজ
গলা ছেরে গান ধরে গণিকা অবুঝ
ঝকচকে হিলের মেলায় পায়ে নেই নূপুর
মহুয়ার কাল শেষ, সূর্য আলো, জয় গুরু

বাহির বাহার

শুকনো পাতায় সবুজ রঙের বাহার
সাদা মেঘ চলছে একা
নীল বেদনা তাহার
আকাশ বেয়ে নামবে লালের ঢল
আলীবাবা খুশিতে নাচে
বাড়ছে তাহার দল
হলুদ মাঠে  কালো বেদনার সারি
শৃগালের হাতে পৃথিবীভার
মানুষের নেই বাড়ি
সাদা মেঘ ভবঘুরে তাই,
বাতাসে নেই সুবাস
কাহ্ন কহি গই করিম নিবাস

বুধবার, ২৮ মে, ২০১৪

ভালো থাকুক দেবতারা

আজকাল পালকির কথা খুব মনে পড়ে। পালকির জন্মের সাথে সাথে জন্ম হতো নুন্যতম দুজন দাসের। ঋতুভেদে তাদের ধর-মূল্য উঠা-নামা করতো। এখন পিয়াজ -রসুনের মূল্য উঠা- নামা করে যখন মানুষ তার মূল্য বৃদ্ধির জন্য অনশন করে।  কিন্তু হায়! মানুষের মূল্য আর বাড়ে না। এমন দিন আসতেছে যখন "পানির মতো সস্তা"
আর কেউ বলবে না, বলবে " মানুষের মতো সস্তা "। তবুও
ভালো থাকুক দেবতারা যারা বৃষ্টিতে ভিজে
বিলাসিতার মাটিতে রোপণ করে সুখ
আমি তো মূল্যছাড়া মানুষ, বৃষ্টি আমাকে ভেজায়
রক্তে বয়ে চলেছি চিরকালীন অসুখ

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০১৪

শব্দঘর~

তবন = লুংগি ;
ফিরনি > সিরনি >সিন্নি ;
আগগা= এগিয়ে আসা;
পিচ্চা = পিছনে যাওয়া;
ভাটি > বাইট্টা = ছোট আকৃতির, পেছনে যাওয়া ~ সিন্নি দেহলে আগগা, কুত্তা দেহলে পিচ্চা = সুবিধাভোগী মানসিকতা ; আগে গেলে বাগে হা, পিচে গেলে পইসা ফা = শান্ত চিত্তে সফলতা থাকে এমন ;
কুস্তা = কিছু, অল্প পরিমাণ ;
তাফাত = দূরে;
বাগ = দূরে যাওয়া;
বন /হের = খড়;
আগা / গু = মলমূত্র ;
খালা + আম্মা = খালাম্মা > হালাম্মা
জ্যেষ্ঠ >জেঠা> জেডা =বড় চাচা
জ্যেষ্ঠী > জেঠী>জেডী = বড় চাচী

অজ্ঞতা

হতাশার মায়ের নাম অজ্ঞতা। অজ্ঞতা বিশৃঙ্খল চিন্তার ফল।

Frustration is the result of dark light. Dark light is rather ordinary adorned. 

সোমবার, ২৬ মে, ২০১৪

এন্টিবায়োটিক

তোমার হাসি দেখে মৃত্তিকা হাসে
বাতাস সংসার ভুলে গৃহত্যাগী বাউল
মুনসুর হাল্লাজ ভুলে যায় 'আইনাল হক '

যেদিন তোমার হাসি হবে কচি সবুজ বাঁশঝাড়
নেমে আসবে নীরবতার দল
দলছুট বৃষ্টিরা নিয়ে আসবে আরো সবুজ
তখনই
অজস্র পাখি তোমার শরীরে বানাবে বাসরঘর
তুমি হবে হাসির মা, বালিশভেজা চোখের জল

রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

আত্মামগ্ন

আত্মবিশ্বাসী হওয়ার আগে আত্মমগ্ন হওয়া চাই। তাহলে আত্মবিশ্বাসের রাতে জোনাকির  মতো অহংকারআলো ঝলমল করতে পারে না। আত্মমগ্নতা থেকে নিজের সম্পর্কে যে ধারণা হয় তাই হলো পূর্ণময় নিজবিশ্বাস। নিজবিশ্বাসী মানুষের কাছে ডাকাত আসে না, ডাকাতি হওয়ার ভয়ে।

শনিবার, ২৪ মে, ২০১৪

পুরুষের সুখ

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাটিতেছি জীবনানন্দের পথে
শান্তির উপকরণ সীমিত হয়ে আসে
দুদণ্ড শান্তির জন্য যাই বনলতার কাছে
বনলতা তুমি এত উদার কেন?
জানতে চাও এতদিন কোথায় ছিলাম আমি!
আমি তো আমি নয়, আমি সেই চর্যাপদের কবি
খনহ ণ ছাড়ই ভুসুকু অহেরি
তুমি তো বেহুলা, রাধা, জুলেখা আজকের কাদম্বরী
আমি তো পুরুষ কেবলই চাষ করি তোমাদের ভূমি
প্রয়োগ করি কৃত্রিম সার, আদায় করি ভোগ
এইভাবেই আমি পুরুষ, স্বামী আর তুমি পুরুষের সুখ

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০১৪

ছারপোকা

ছারপোকা রোদ সহ্য করতে পারে না। রোদে তার সাস্থ্যহানি ঘটে। হবে না কেন? সে তখন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত । রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। আহারে! গ্রীষ্মের ডোবার মতো সে শুকিয়ে যায়।

চোখে তার রোদভরা ক্লান্তি। ইতিমধ্যে ঘামের জলে কয়েকবার স্নান করা হয়েছে। কাঠফাটা রোদ চাষ করে জীবন ফলান। তুলাখণ্ড শান্তি মিলে রাতের ছায়ায়। বিশ্বাস করে তেলাভেজা বালিশে মাথা রাখে।
কিন্তু, এই বালিশ যে ছারপোকার শীতাতপনিয়ন্ত্রীত রুম। সহজলভ্য ব্লাডব্যাংক।আয়েশ করে রক্ত খায় আর শরীরের ওজন বাড়ায়।
মাংসের ভারে চলিতে হেলিয়া পড়ে বায়
শ্রমিকের শরীরে মাংস নাই
শেয়াল-শকুনের কেন এত মাংস চায়?

উদ্ধারকৃত মন

যেদিন তুমি আকাশ ছিলে আমি ছিলাম সূর্য
যখন তুমি মানুষ হলে আমি ব্যথায় পূর্ণ
আবার তুমি আকাশ হবে , আমি হবো কৃষ্ণ
তাম্বুলখণ্ডে ঘৃণা করবে, বংশীখণ্ডে আমি নাই
বিরহখণ্ডে তোমার নিয়ে হংসমৈথুনে থাকবো তাই

শিক্ষা নদীর ঢেউ

শিক্ষা এক সম্পর্কের নাম। চিন্তার সাথে চিন্তার, চিন্তার সাথে বস্তু জগতের সম্পর্ক ( কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল)। ইন্দ্রিয় প্রতিনিয়ত শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণকে ইন্দ্রিয় ধরে রাখতে পারে না। যে শিকার অনূভুতি  ব্যক্তির চেতনাঘরে স্থায়ী সদস্যপদ  লাভ করে তাই মূলত শিক্ষা। ব্যক্তি তো একটি কাভার যা চিন্তার গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণভাবে চালিত। তাই তরুণ চিন্তাসমষ্টি অর্ফে শিক্ষা প্রাণিকে পরিবর্তন করে আলতো আলোয়, সবুজ সরোবরে। শিক্ষা সাগরের জলের মতো প্রতি মুহূর্তে আধুনিক। সদস্য অতীত আর অতিথি বর্তমানকে নিয়ে সে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনে, বনসাই বুনন। শিক্ষার বড় যোগ্যতা হলো সে নেতা হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ সেই প্রভাবিত করে চেতনে -অবচেতনে। দারুণ নিদারুন প্রভাবক। অন্যভাবে বললে শিক্ষা হলো একটি সাবান; যে  ধৌত করে, ধৌত হয়। একসময় ব্যক্তিকে সতেজ করে এবং পরিপূর্ণ পূর্ণ করে পাশাপাশি পূর্ণ হয় টুইটুই যৌবনে ( In fashioning myself I fashion the man)।

তাহলে শিক্ষার নৈতিকতা কোথায়?

নিয়ম -নীতির শান্তিময় এলাকার নাম নৈতিকতা। আর নিয়ম-নীতি শিক্ষার  বীজতলায় লালিত -পালিত হয়। তাইতো শিক্ষার নৈতিকতার প্রয়োজন পড়ে না। তবে নৈতিকতা শিক্ষার কাছে ঋণী। নৈতিকতার সীমান্তে শিক্ষা বসন্তের গান গায়। নৈতিকতা স্থান, কাল, পাত্রভেদে ভিন্ন হতে হতে একসময় শূন্যতায় বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু শিক্ষার শুরু কিংবা শেষ, আকার কিংবা প্রকার নেই। সর্বোত্তম বহু নয়, অধিকগামী। তার শক্তিসৌন্দর্য মহাকালকে তোয়াক্কা করে না (A thing of beauty is joy for ever)।

শিক্ষাপৃথিবীর নাম?

হ্যাঁ ; শিক্ষার পৃথিবীর নাম ত্রিভুবন -- বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ। শিক্ষা, অতীতকে বর্তমানে দাওয়াত করে। একসময় তারা মেহমান- মেজবান। এই মেহমান -মেজবান  একসাথে ভবিষ্যতের উদ্দেশ্য  যাত্রা  করে।তাতে তাদের সফলতা ও ব্যর্থতা দুই থাকে। তবে ত্রিকালদর্শী যে শিক্ষা তাই পূর্ণাঙ্গ। আর পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পূর্ণ করার ক্ষমতা রাখে ত্রিকালব্যাপিয়া (True education is such as will give you the capacity to keep on learning from all your experience )। তিন কালের নির্যাস যে শিক্ষা ধারণ করে সেই শিক্ষা স্বং একটি কাল। তাঁর এলাকা তখন ধারণ করার এলাকা, প্রকাশ করার নয়।

শিক্ষার জন্মস্থান?

শিক্ষা জন্মগ্রহণ করে না। সে সকল জন্মের উৎস নিয়ে কথা বলে। সীমিত অনুভূতি অসীম শিক্ষার দ্বারস্থ হয়, নিকটস্থ করে তোলে তার জ্ঞানের সীমা। ফলে একসময় শিক্ষা হয় সাম্প্রদায়িক। এবং আমরা অপ্রকাশ্যে বলি 'নিরপেক্ষ বলতে কিছু নেই '।প্রকৃতপ্রস্তাবে শিক্ষার কোনো জাত, পাত, বর্ণ, গোত্র বলে কিছু ছিল না এবং নেই। তাইতো বলি অসীমকে সসীম বলে চালিয়ে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের প্রবল (ইকরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজি খালাক)।

শিক্ষার আত্মীয়-স্বজন!

শিক্ষার দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের নাম মানুষ। মানুষ শব্দটি সাম্প্রদায়িক। সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ছাকনি থাকে। ছেকে তাই তোলে আনে যা তার জন্য সময়গত প্রয়োজন। প্রয়োজনের বাইরে কখনো তারা চিন্তা করতে পারে না। ফলে মানুষের কাছে শিক্ষা এসে খুব অসহায় হয়ে পড়ে। গভীর জলের মাছ জলহীন হলে যেমন অসহায় হয়। সৃষ্টির প্রতিটি শাখার - প্রশাখায় শিক্ষা অত্যন্ত সজীব, প্রাণবন্ত। তবে মানুষ যদি শিক্ষার প্রকৃত আত্মার সন্ধান পেতে চায় তাহলে পরমশূন্য তাপমাত্রায় নিজেকে, সত্তার সাম্প্রদায়িক চিন্তাকে ওয়াশ করে আনতে হবে। তবেই মানুষপৃথিবী নতুন পৃথিবীর খোঁজ পাবে (আগার কুচ মোরতোবা চাহো /আপনা হাস্থিকো মেটাদে)

শিক্ষা কিন্তু ধারণা নয়, ধারণা হলো শিক্ষার দৃশ্যমান রূপ। শিক্ষিত জাতি মানে ধারণার জাতি। মূলত শিক্ষাকে যারা ধারন করে তারাই জ্ঞানী, প্রজ্ঞাপন প্রজ্ঞাময় নয়, সত্যের আড়ালে সত্য যেখানে সত্য বলতে কিছু নেই।

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

বর্ষা

কতকাল বয়ে চলা যায় চেতনা
পৌষ জানেনা বর্ষার যাতনা

ছায়ার ভেতরে মহাকাল

বটের ছায়া সুশীতল, আরামদায়ক পরম
সবজি জন্মে না  তার নিচে
ছায়াও ভয়ঙ্কর
কেন তুমি ছায়ার মতো থাকো নীল আকাশ
বৃষ্টি হয়ে উর্বর করো নদীর শরীর
প্রান্তিক প্রেমিক উপোস বহুকাল
মিস্টি বালু রোদে হাহাকার
বসে থাকো ঘোড়ার উপর ছেড়ে দাও লাগাম তার
বেচেঁ থাকো কালে তালে, বাঁচিয়ে রাখো তালে তালে
ছায়ার ভেতরে মহাকাল

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

নিরপরাধ অপরাধ

মনসার যুগ কখনো শেষ হয় না। তার পূজা পাওয়ার রীতিও আবর্তিত আধুনিক ভার্সনে।  অপরাধী হওয়ার জন্য অপরাধ করা লাগে না। চাঁদ সওদাগরীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হলেই হয়।
  মনসা! তুমি না দেবী! তোমার মানসিকতা হওয়ার কথা আকাশচুম্বী। বাবার নিরপরাধ অপরাধে লখিন্দরকে  জলে ভাসাও। নারী হয়ে নারীর বারোমাসি কষ্টের খোঁজ না-রাখাই বুঝি দেবীর ধর্ম।
ও! আমি তো মানুষ। তোমাদের জ্ঞানের পরিসীমা বুঝবো কেমনে ! কিন্তু বেহুলার বেদনা যে আমারই বেদনা, আমি যে বেহুলার সন্তান। আমাকে নাচিয়ে আর কতকাল তোমার অন্দরমহলে মিলাদ হবে? বিতরণ হবে জিলাপি। কাঁচের কুয়াশায় স্বপ্ন বুনে আমি হবো শায়ের --
  এই যে দুনিয়া কীসেরও লাগিয়া কত যত্নে গড়িয়াছে সাঁই

মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০১৪

মানুষ

সংসারে চলছে ভোগের আয়োজন
মানুষ হওয়া কী খুব প্রয়োজন?

শব্দের ঘর

বিলা= কিশোরী ( বহুবচনে বিলাফান) ~ অখনকার বিলাফানের লইজ্জা সরম দইয়া গেছে ;
 সরম = চকিত  লজ্জা ;
বুর = গোসল, প্রত্যুষ ~ আজ্জা বুরে বুর ফারুম ;
আছার = হোঁচট খাওয়া, ফেলে দেওয়া ~ তোরে একটা আছার দিমু!; আছার না হাইলে কাছার চিনে না (লোকবাক্য)=বিপদে না পড়লে সচেতন হয়না এমন
কাছার = ঢালু জায়গা, সাধারণত যে জায়গা দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয় ;
লালু =লাল আকৃতির ;
ট্যাংরা = মাংসহীন ;
কামেলা = জন্ডিস ;
হিংগিল = শ্লেষ্মা
হাটাস>হাডাস =নোংরা প্রকৃতির লোক
হাতির = গভীর সম্পর্ক
কিল = মুষ্টিবদ্ধ আঙুলের ঘুষি ; শিল >হিল ~ ঘাড় নোয়াইয়া তারে উভা মারে কিল / ঝড় বরিষণে যেন পড়ে দারুণ শিল
হালুবালু = তাড়াহুড়ো

সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪

শান্তির খোঁজ চিলময়

আলো যখন আলো হলো
রাত তখন কালো
নদী চলে স্রোতের বেগে
চর জেগেছে ভালো
বৃক্ষ সকল সবুজ হলো
সাগরের তল ঢালো
সূর্য পেল আলো
চাতক পেল বৃষ্টিফল, শান্তির নল-কল
মানুষ সকল শান্তি খোঁজে ঝরায় চোখের জল  

রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪

ফুলেল ফুল

ফুল অনেক সুন্দর, ফুলকে সবাই ভালোবাসে।। আমিও সুন্দর থেকে সুন্দরতর হবো, আমাকেও ভালোবাসবে।। কিছু অন্ধ থাকবে যাদের জন্য উৎপাদন করবো ঘ্রাণ।। কারো ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পাবে যারা হাতে পাবে আমার মোলায়েম শরীর।। তবুও যারা আমাকে অস্বীকার করবে তাদের জন্য রয়েছে প্রভু তোমার ক্ষমা।। 

The night within spring


Abdur Rahman is the first wing. Sweet savour within the rind of the man is alive after marriage at least some day, he gives the impression. His variance is time to time--where the source is --in whole body or within the flesh? He has got married just few days ago. About the font of the aroma is being searched; but it is moving mysterious for the time being.
The second wing is Laila Mou. She is to trace the decision map,actually she has not though about the marriage yet. Her parents showed much curiosity to the figure and personality like Abdur Rahman. As so the task of wedding is terminated as a whole. Think and thought is the out of the value for her being a elegant and one for. She is tittering mood still now.
Man has to comprehend positive something like that thought. By the ups and downs of the two spouses sides, again the period of fifteen has ran away. It is the introduction section called. As the Bash has a knot, so it is trampled with oil-the ape oil ride that tree -- the termination of the life myth will be resulted by the Catholic feat of getting down and up. These Bash myth as a part of humanities is worth of rehearing in the moon-ray -glove within shell afraid. Zero, is the result must.
One sort of practice needed must for the such kind of speech team. Abdur Rahman is the lighter of the seven century. His mind is dry and outspoken like the instrument of a bitter dress.
'said 'is the first dialogue, 'no 'is the second conversation. Laila Mou, ever green chiaroscuro leaf. Her build is a thermometer seemed.
It is not possible for me to retain the inclination of this girl. Though it is without usages informed to this per man.
Firstly illustration may provide. Abdur Rahman is clicked at the time of equipping tea, the shallow - dish is jumped down from the hand of the maniac for the origin of the harrow, incaution. What is ensuing, keep aside is to say to Laila Mou off and on.
Then it is seized to mind - grandmother wanted to call her born to death name Jahanara --is soul appropriate. When Abdur Rahman went to the nearest tea stall to take tea the idle talkative and customer leaving the place to intimidated mood --is the answering question, perhaps the described person has love and respect over him. The mother-in -low received cordially of least away --it is empathized nothing for the smooth world. The noon and the evening is twinkling and resounding with deep within deep invocation--man. Even in the spring there has been swimming much crow. The monitor of the eye skimmed the most --the cultivation of the mustard seed. Of late, the bee box is set up by the mustard field by the abetment of new comer N. G. O. The mustard from moon -ray, the honey from mustard. Then honey flows for the fox. The queen bee is is at box always.; The labor bee does not have the power of progenitor,but their have much working power. Abdur Rahman adores honey. Laila Mou 's color of the surface is as lack-day with milk,her teeth are much more satisfactory as the broken rice.
Wrong is always born in the stomach of the qualm. Lustrous the mustard beyond the horizon. Have back Abdur Rahman  caught Laila Mou's shoulder by his hand like a blind. Did the sweet stern stench of the flesh attract the nostril of the panther! Laili Mou kept himself busy to free the glow - worn that was detained in the dress arena seeming twinkleing lighter of the port. Abdur Rahman yearns for biting by the shoulder of the virgin married wife in the moment of mysterious motion. It is easy to come to mind by the help of the mustard -feeling swooning once.
The result does not come into view usually follow the straight line. Abdur Rahman is the out of the sense because of the conceal mood talking the fire --fly by his hand. Is the Laila Mou azure fairly?


Source story :Siraz Salikeen
Translation work :Emranor Reja  

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

ভালোবাসা বিশ্বাসযোগ্য প্রেমিকা

অবিশ্বাস যখন আজরাইল হয়ে ঘরে আসে
ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়
আরে ও, অবিশ্বাসী মন
ভালোবাসা বিশ্বাসের বৃক্ষে সবুজ এক বন
যেখানে বাঘ আছে, হরিণও আছে,
আছে চর্যার অপণা মাংসে হরিণা বৈরী
তবুও ভালোবাসা বিশ্বাসের স্রোতে বহতা নদী 

মৃত্যু পাতার প্রশান্তি

একটি গাছ থেকে যখনই একটি পাতা খসে পড়ে,  পাতা জানে তার বেদনা কতটুকু। গাছেরও বেদনা অপার। মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বেদনা কখনো শেষ হয় না, শেষ হওয়ার না। তারপরও পাতা, সাজানো পৃথিবীতে সংসার গড়ে, হাসে, গায়, আনন্দে নৃত্য করে, প্রসংশা পায়। কিন্তু তাতো পাতার জন্য বরফের দৃশ্যমান অংশের মতো ভাসমান। ভাসমান দৃশ্যের বাইরেও পাতার একান্ত নিজস্ব পৃথিবী রয়েছে যা থেকে আজ সে অনেক আলোকবর্ষ দূরে। প্রিয়তার দুঃখ মেনে নেয়া যায়, ভুলে থাকা যায় না।
তাইতো পাতার সুখ চিরকালের দুঃখ, পাতার দুংখ স্বজনহারানো দুংখ ঝরনার মতো ঝরছে তো ঝরছো!  

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

কৃষক

জোয়ারে যে কচুরিপানা ভাসে  তাকে বেধে রাখা যায় না। তবু বেধে রাখতে চায় কৃষক।। গোয়ালের গরু যে সকাল থেকে উপোস। ক্ষুধার তাড়নায় উলানে তার দুধ নামে নি। দুধফল যদি না তুলতে পারে কৃষক তাহলে সারাদিন চুলা জ্বলবে না। বৃষ্টির মতো পরিচয়হীন হাহাকারে বয়ে যাবে কৃষকের জীবন।।আর কৃষকের কষ্ট ভাজি করে আমি রান্না করবো কবিতা --
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশে চাষা 

বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

সরল দেশ

জোয়ারের মাস্তানি দেখে
ভাটা হতে ইচ্ছে করে
জোয়ারের চুলে বিদিশার গন্ধ
তবু সে আউলিয়া সাজে
আউলিয়া, আযান দিয়া আর কত খাইবা
বাজানের খবর লও
বাজান তোমার ভাটিয়ারি, বাউলপনা মনে
গরল ছেড়ে সরল দেশে চলো জনে জনে 

মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০১৪

তারানির ডাক্তার

রাত আসে, চলেও যায়। তারাচানের কাছে রাত  আসতে সময় লাগে, খুব সময় লাগে। সারাটা দিন কাটে রাতের দিকে চেয়ে চেয়ে।
জন্মমাত্র একটি ছেলেশিশুর মনে সাজানো থাকে এক কোমল পৃথিবী। এই পৃথিবীতে থাকে একটি নারী শিশুর সেট আপ। মিস্টি বৃষ্টিতে কিছু কিচিরমিচির পাখি গোল্লাছুট খেলে। তারাচানের দিনময় মনে সেই নারী শিশুটিও গোল্লাছুট খেলে। কেবল রাতেই  রাজা-রাণীর ওয়াজ চলে । অনেক রহস্যের জগৎ আবিষ্কৃত হয়। জামাই মিয়া পরীর ওয়াজ করে। যে পরীকে সঙ্গে নিয়ে তারাচান জন্মগ্রহণ করেছে, সেই পরীর ওয়াজ।  তাকে ঘিরে বসে থাকে লিপা আফা, মুলাম হা, তারাচান। মাঝে মাঝে লালু এসে জড়িত হয়। সারারাত মুগ্ধ হয়ে পরীর ওয়াজ শোনে তারা। জামাই মিয়া যাত্রার ঢঙে সরবরাহ করে কথারমালা।রাত ফুরিয়ে যায়। কানে আসে এক বিদেশী সুর --
আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউয়ু
জামাই মিয়া ওয়াজ থামিয়ে দেয়। কিন্তু শিশুমন শোনতেই চায় --
কাহা আরেকটু কও, ফরিডা কী ফুলের বাগে ঐ লাইতে আইছিন?
কাহা আর বলে না। তারে যে সহালে কামে যাইতে অইবো। অতৃপ্ত মন নিয়ে ঘুমাতে যায় তারাচান। হাজারো বছরের পুরনো ঘুম।

আজ তারাচান পরীকে দেখে। কিন্তু এই পরীর পেছনে পাখা নেই। পাখা আছে পরীর মনে। যে পাখা দিয়ে পরী উড়ে বেড়ায় আকাশে বাতাসে। উড়ে বেড়ায় স্বপ্নের রঙিন দেশে। চোখ মিলে খোঁজতে থাকে এক নায়ককে, যে তাকে বুঝবে --
হুনেন, দোহানে যে ডাক্তারটা বঅ, হে আমারে ছেকা দিছে,
-কেমনে
হেরে আমার মনে দরছিন, কিনতু হে নাকি বিবাহিত, শুধু বিবাহিত, হের জি ফোলাও আছে

তারাচান মুগ্ধ হয়ে পরীর কাছ থেকে পরীর কিস্সা শোনে। ছোট্ট কালের পরীর সাথে তাকে মেলানোর চেষ্টা করে। মিলে না। কিন্তু অমিলটাও কেন যেন মিল হয়ে দাড়ায়। নদীর ঢেউ আর কূলের মাঝে যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কে এগিয়ে যায় তারাচান -তারানি যেন তিস্তা আর ইছামতী নদী, নদীর জোয়ার! 

ফেরার ভয়

তুমি যখন চুপ করে থাকো
রহস্যভরা কাঁচামরিচ তোমার চোখে-মুখে
সংশয়ের সংকল্প সদা টলমল যদি চলে আসি তোমায় ছেড়ে
ভয় নেই হলুদগুঁড়া এখনো যায়নি তোমার দেশে  ফেরার ভয়ে
চলছি জেতবনে রাবণ নয়, গৌতমতালে
ভালোবাসার দোকান খুলে বসেনি
বসেছি, বিক্রেতা আমি, ক্রেতা কেবলই তুমি
Do, do that, ever do, that I done
You are my lagoon, pleasure and burn

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪

people of busy land

You are people of busy land
Fuck you time, fucked by air
What an enjoyable sense
Ardent interest, liable ardent

চর থেকে আক্কেল

চর =থাপ্পড়, ভাসমান ছোট দ্বীপ ;
হেরে =তারে;
হামডাইন =কোনো কিছুতে কোনো কিছু প্রবেশ করানো বা ঢুকানো ;
হে দিগে = সেদিকে ( স' হ হিসেবে, ক' গ হিসেবে উচ্চারিত হয়েছে );
ফেনা = কচুরিপানা > কচুরিফেনা > ফেনা;
ফাডা =পুরুষ ছাগল,শক্তির প্রতীক (ফাডার ঘর ফাডা=গালি~ এই গালিটি সাধারণত মেয়েরা পুরুষদের জন্য ব্যবহার করে)  ;
 সরিষা > হরিসা > হওরা;
নাইল্লা =পাট গাছ ;
কুত্তা =কুকুর ; কাওয়া = কাক ;
তেরা = গোয়ার প্রকৃতির ( তুই একটা তেরা মানু) ;  বেক্কল = বোকা;
আক্কেল = জ্ঞান (ফুলাডার আক্কেল আছে ; প্রবাদ বাক্য ~ আক্কেলে আউলিয়া)

রবিবার, ১১ মে, ২০১৪

অতীত

অতীত নিয়ে মাথা হাঁটানোর প্রয়োজন নেই। তিনি কবরে চলে যাবেন। তাঁকে চর্চা করবেন  মুনকার -নাকির। আর জীবিতদের জন্য অমৃত বাণী --
 ওল্লাল আখিরাতো  খাইরুল লাকা মিনাল ওলা "

শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

মোবাইল সভ্যতা

মোবাইল সভ্যতা পুরুষকে করেছে নারীর কাছাকাছি।
নারীকে করেছে পুরুষের অধিবাসী।।

দৃশ্য এক :

  হ্যালো,  ভুলক্রমে আপনার মোবাইল একাউন্টে কিছু টাকা চলে গেছে । আসলে এমন ভুলের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আশা করি আপনি আমাকে সহযোগিতা করবেন (কোমল মিহি আবৃত্তির কণ্ঠে)।
কোন সহযোগিতা চেয়েছে মোবাইল পুরুষ,  তা নারীর বুঝবার কথা নয়। কারণ রক্তের ঘ্রাণে যে ছারপোকা চলে তার কৌশলগত অবস্থান বহুবিধ -- বিনয়ের শাষণে চলে শোষণ!
মেয়ে : ঠিক আছে ।আপনার টাকা আপনার মোবাইলে একাউন্টে চলে যাবে। তবে একটু সময় লাগবে।
-সমস্যা তো তৈরি হয় জীবন থেকে কিছু মুহূর্তে কেড়ে নেয়ার জন্যে। সমস্যা নেই। আপনার প্রাসঙ্গিক সময় আমার সাথে আধটুকু  জুতসই হলেই হলো
তৃতীয় দিন :
আবারও আপনাকে বিরক্ত করার জন্য দুংখিত। আপনার হয়তো মনে নেই .....
মেয়ে : ও, দুংখ প্রকাশ করার কথা আমার! আজকে যে করে হোক পাঠাবোই।
- আপনাকে কষ্ট দিচ্ছি। কী আর করবো বলুন। গরীব দেশের মানুষ! নুন আর পান্তার সাথে উঠা -বসা।
মেয়ে  : আপনি তো খুব সুন্দর করে কথা বলেন।
 - সুন্দর করে কথা বললে কী হয়? সুন্দরের মূল্য কারো কাছে আছে!  এখনকার মানুষ লক্ষী আর সীতাকে এক সাথে চায়। তাই আমি অভাগা ভাগ্যহতই রয়ে গেলাম।

মেয়েটির  উর্বর মন ছেলেটির  রসালো ভাষার আবেদনে মুগ্ধ। মেয়েটি টাকা ফেরত পাঠায়। শুধু কী টাকাই পাঠায়? নিজের অজান্তে মনের কিছু অংশও পাঠিয়ে দেয়।

টাকা পাওয়ার পর :
কুলি যুগে আপনি এত ভালো কেন বলেন তো? আমি নিশ্চিত আপনি কোনো অভিজাত পরিবারের  সন্তান। ভুলের দেবতাকে ধন্যবাদ। তিনি হয়তো ইচ্ছে করেই আমাকে দিয়ে ভুল করিয়েছেন আপনার মতো ভালো মানুষের সন্ধান পাওয়ার জন্যে।
নারী :আপনার তাই মনে হলো? আমি কিন্তু মোটেও ভালো মানুষ না।
- আপনি কতটুকু ভালো তা জানতে চায় না। তবে যতটুকু ভালো হলে সংসার চলে ততটুকুই মহত্ব আপনি ধারন করেন।
নারী :বাপরে! আপনি কী মানুষ?
- পশুর রক্ত ধারণ করে আছি। তবে  মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি। তাছাড়া  মানুষের খোঁজ যেহেতু পেয়েছি, মানুষ হতে আর সময় লাগবে না।
নারী :আমার ভাবনাটি ঠিক আপনার   উল্টো। আজকাল ভুল করেও কিছু শুদ্ধ কাজ হয়ে যায়,  তাই না?
- তাইতো দেখতে পাচ্ছি। জানেন আপনাকে রবীন্দ্রনাথের গানের মতো মনে হয়!
নারী : হা হা হা, কোন গানের মতো।
- আমাদের যেদিন প্রথম দেখা হবে সেদিন বলবো। একেবারে কম্পাস দিয়ে দিকসহ বুঝিয়ে দেব।
ডেটিং :
লাল কাপড়, কপালে কালো দ্বীপ  আরো উপজীব্য সাজে মেয়েটি ছেলেটির হাত স্পর্শ করে বসে আছে। ছেলেটি এখন মেয়েটির মনের রাখাল। মেয়েটিও অনুগত প্রাণি, ছেলেটির সমস্ত ইচ্ছা পূরনের যন্ত্র।
শেষ দৃশ্য :
তোমাকে এত ফোন দেয়। মোবাইল তোল না কেন?
ছেলে :জানি না ; আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না।

কী করে ভালো লাগবে । ছেলেটির যে আরেকটি মোবাইলে টাকা পাঠানোর সময় হয়ে গেছে!

শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪

জীবিত

আমার বন্ধু দয়াময়
তোমার পারদনিধান মন বর্ণহীন সাজরঙ
হঠাৎ তুলসী গাছ হয়ে যাও
আমি তখন আন্তরিক পূজারী হয়ে
সকাল-সন্ধ্যা তোমার ধন্যবাদে পূজা করি
ঝড়ো হাওয়া হয়ে যখন আমার আধমরা ঘরে ঝাকুনি তোল
আমার কম্পিত নোনাজলে হয়ে যায় সাগরজল
দিশেহারা মাঝি হয়ে চালাই মনমাঝি
মুখে থাকে তাসবীহপাঠ
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবাহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্জুয়ালিমিন
নদী, সাগর, জল, ডালিমফল কতকিছু হলে তুমি
আমি শুধু আমিই রয়ে গেলাম তোমার তিয়াসী
আমার বন্ধু দয়াময়, তোমারে দেখিবার মনে লয়

বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০১৪

একটি পাখি বনাম সব পাখি



একটি পাখি হাঁটতে বের হয় রোজ বিকেলে
সব পাখি হাঁটতে বের হয় রোজ সকালে
সব পাখি চায় ভূমি
একটি পাখি চায় রাজত্ব
একটি পাখি সারা রাত আকাশ শিকার করে সকালে বাড়ি ফিরে
সব পাখি সারা রাত ঘুম শিকার করে সকালে বাড়ি ছাড়ে 

বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

আর্জি

আসুন
আমরা জানালার পাশে বক্তব্য রোপণ করি
দৃশ্য দেখার আগে বক্তব্য দেখি

Come along
To cultivate oration amid the window
 Should watch the speech before the scene

নির্বাণ

একটি হাতকাটা লাশ কাটাঘরে
পরে আছে সাপে নেউলধূসর পাড়ে
যোজন যোজন দূরে
নগ্নদৃশ্য বসে আছে মাঝির অপেক্ষায়
ডিঙ্গা এসেছে নদীর কূলে মাঝি আমার নাই
নিজেই মাঝি চলল চরে নির্বাণ তার চায়
মাঝখানে তুমি পেছনে নারী, নির্বাণ একটু সামনে
 নারী ভেতরে চর আছে, চরের ভেতরে তুমি
 পেছনে তাকালে কলঙ্ক হবে, নারী কলঙ্কভূমি
 সামনে চলো, মুক্তি পাবে, নির্বাণই তোমার নারী

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০১৪

বিদায়

তোমার বিদায় যেন এক পশলা বৃষ্টি
কাদাময় হয়ে উঠি
আমি তো বেলে নয়, এঁটেল মাটি

A bun of rain as if your bye reaction
Me to clayey alike
As I am not sandy soil, earth of fertile 

রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

চাওয়া বনাম ভালোবাসা

চাওয়া মানে ভালোবাসা নয়। ভালোবাসা মানে পারস্পরিক পাওয়া যতটুকু চাওয়া। চাওয়ার ভেতরেও থেকে যায় এক অতৃপ্ত দ্বীপ। যেখানে থাকে প্রেম, প্রেমিক, প্রেমিকার বাসা। আকাঙক্ষার ভেতরে স্বপ্নের আশা।

Wanted yearning is not love. Love means mutual living. A hollow island is yes for the loveable aspirations that is the drone of affluence, love and love escort. Affable wish amid the hope. 

শনিবার, ৩ মে, ২০১৪

ব্যবধান



কথা ও সুর : এমরানুর রেজা,
                   মশিউর রহমান সৈকত

একতালা, দুইতালা
ফার্স্ট ক্লাস, সেগেন্ড ক্লাস
শোষণে শোষণে বাড়ছে শিশু, বাড়ছে ব্যবধান।।

আমার ঝরে ঘাম,
তুমি চিবাও সুয়িংগাম,
তোমার ডাইনিং এ চাওমিং
আমার হারিকেনে কেরোসিন।।

তোমার ঘরটা আলোয় আলোয়,
আমার অন্ধকার,
বস্তির পাশে উঁচু দালান
বাড়ছে ব্যবধান।।

তোমার আকাশে বৃষ্টি নামে,
আমার আকাশে রোদ,
বস্তির ছেড়া মানুষেরা ঘুমায় না প্রতি রোজ,
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে,
সকাল হওয়ার এই তো সময় সূর্য আনো তোলে।।

শব্দের মা তৃ ভা ষা

ডেগ = রান্না করার পাত্র,
কেডা= নিদিষ্ট অর্থে কে ,
অতলা = প্রচুর, (এহানে অতলা মানু কেরে)
রাত > রাইত, তারা > হেরা, কাল > কাল্লা,
লাউ =কথা,
লাঠি > লাডি,  দরকার > দরহার, লোহা > লোয়া, এটা > ইডা, এখন > অখন , পুত্র > পুত, ইনি > ইলা,
কিতা= নিদিষ্ট অর্থে কি,  
ঝি= মেয়ে (ফুফুকেও ঝি বলা হয়) ,
খুঁটি > হুডা, বাড়ি> বাইত, রাত > লাইত,
হুতুম = শোয়া ; ফাতি= বাঁশের পাত্র, ডিগলা= রশি, মূলত গরু ছাগল বেধেঁ রাখার রশি;
 হয়েছে >অইছে,   মহিষ > বইস, জিংলা =চিকন বাঁশ