সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

তাহলে আমি?

পৃথিবীটা মানুষদের জন্যে জটিল। খারাপদের জন্যে আরো জটিল। বলদের জন্যে শান্তির জায়গা।
তাহলে আমি ....?
জেনে গেছি পৃথিবীতে ভালো থাকা সম্ভব না!
তাই ভালো আছি! ভালো থাকবো!!

World is hard complex to the eye of man; better hell to the bad. But world seems cute heaven to the asquint watch.
But I....?
sure that fresh impossible to be happy in the surface!
And that for alive, be alive forever!!

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

মানুষের মৃত্যু দুইভাবে হয়--দৈহিক, মানসিক। দৈহিক মৃত্যুর আগে  ইচ্ছে করলেই হাসা যায়। কিন্তু মানসিক মৃত্যুর আগে ইচ্ছে  করলেই কাঁদা যায় না। 

Dream For Morn

The day of born us is the day of dream
Dream strolls along the puzzle
Onto the thrill as for man of straw
Dream for walk miles to miles
Dream is to you where alone I am
Leave me, impossible!
Leave you, impossible!
Just for you
Just for me
Only for us
We are same and one hand of the clock
Clock is the dream, dream for morn 

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০১৪

যন্ত্র

মানুষ যন্ত্রকে বিশ্বাস করে, মানুষকে না। তাই যন্ত্র হতে ইচ্ছা করে।কিছু হয় বা না হয়, আস্থাশীল তো হয়ে উঠবো। কিন্তু যন্ত্র তো সর্বকালের দাস। আমি কী দাস হতে চাই। না! দাস হয়ে আছি, মানতে পারছি না।  আবার ভাবি, যন্ত্রও তো মানুষ। মানুষের সন্তান। আসলে আমরা জাদুর জগতে  বসবাস করি। যেখানে আমরা ছায়া। আর ছায়াকেই বিশ্বাস করি, ভালোবাসি। 

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৪

বনলতা তুমি হেলেন নয়

পৌষ ১৩৪২।  'কবিতা ' পত্রিকার নতুন সংখ্যা পৃথিবীর মুখ দেখল। এই সংখ্যাতেই বনলতা সেন কায়াহীন অথচ রসসমেত হাজির হয়। যার চুল কবেকার নিটোল উপমায় ঘেরা। যার সৌন্দর্যের মাজার জিয়ারত করলে জানা যায় নারীর সুপ্ত প্রতিভার ধারা। এখানে বনলতা নারীর নয়, নারীর প্লাটফর্ম। যে নারী ত্যাগের অসীম মহিমায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে কালের পর কাল, যুগের পর যুগ। শান্তি দিতে পারায় যেন তার জন্মমাত্র লক্ষ্য, মৃত্যুপূর্ব সাধনা। সেবার মানসিকতায় সদা প্রস্তুত। সদা প্রফুল্ল। কখনো ক্লান্তি কিংবা বিয়োজন মানসিকতা স্পর্শ করে না। বরং শান্তি নিতে যদি অনিয়মিত হয়ে যায় জীবনানন্দের পথিক ; এই নারী করুণ রাগে, উদারা সুরে প্রকাশ করে মনের গহীনে জমা হওয়া  ভক্তিগান --- 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
তবে জীবনানন্দের পথিক আর এডগার এলান পোর প্রেমিক এক নয়। এই পথিক হাজার বছরের পুরনো পথিক। যাঁরা নিজেকে নিয়ত আবিস্কারে ব্যস্ত, এই পথিক তাঁদের প্রতিনিধি।
মানুষের শরীরের মতো বনলতা সেন কবিতার শরীর। তিনটি অংশে বিভক্ত। প্রতিটি অংশ প্রকৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, চলমান জীবন, জীবনের চলচ্চিত্রের মোড়কে আবৃত। আলোচিত সবকিছুই পথিককে শান্তি দিতে ব্যর্থ। কেবল বনলতা ছাড়া। তাইতো বারবার ভুল জায়গায় শান্তি খোঁজে, বারবার  সঠিক বনলতায় শান্তি পায় আমাদের পথিক। এখানে এডগার এলান পোর প্রেমিক সম্পূর্ণ ভিন্ন।যে প্রেমিক হেলেনের সৌন্দর্যে মাতাল হয়ে কবিতা লিখে (Helen, thy beauty is to me /like those nicean  barks of yore,)।ততটুকু মাতাল প্রেমিক হতে পারে না, যতটুকু মাদকতা এলান পো ধারণ করেন। কিন্তু জীবনানন্দের পথিক বনলতাকে নারী ভাবতে নারাজ। পথিক, বনলতাকে বন্ধু ভাবে। তাইতো সব সৌন্দর্য যখন তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় বন্ধুসৌন্দর্য তখন আপন, অন্ধকারের মতো আপন। মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

প্রেমের বিচার


কথা ও সুর : এমরানুর রেজা

রাত, রাত, একটু আসো, ও রাতের তারা
প্রেমের আজ বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক ধারা।।

ভিন্ন গ্রহের শিল্প তুমি, তোমার ছবি আঁকি
শিল্প, শিল্পী কথা হবে, এইটুকু শুধু বাকি;
তোমার কথায় কী যে ভাবি, ভাবনা খোঁজে  পাইনা
অবলা শত নাবলা কথা বলেও বলা হয় না।।

রাত বিকেলে ফোনে যখন তুমি আমায় ডাকো
ঘুম পাড়ানির মাসি-পিসি ঘুমিয়ে তুমি থাকো ;
আমি তখন সিড়ি ভেঙে খোলা মাঠে দাঁড়ায়
ইচ্ছে জাগে মনের তোমাকে ছিঁড়ে কেটে দেখায়।।

কোনো রাতের শেষ প্রহরে সেলাই ছিঁড়ে দেখায়
তোমার মনের একতারা তখন দুতারাটা বাজায় ;
বেচেঁ থাকার স্বপ্নটুকু তোমার কুলে রাখি
প্রেমের বিচারের ফাসিঁ হয় না, মৃত্যুযন্ত্রণা বাকি।।

রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৪

তারাচানের চোখে হাজার বছর খেলা করে

ট্রেন চলছে। নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনপূর্ণ মানুষকে কাঁঠালের কোষ, কাঁঠালের কোষ মনে হচ্ছে। ষাটোর্ধ্ব চাচা প্রতিবেশী শরীরে হেলান দিয়ে দাড়ানো। মায়ের গর্ভের মতো এখানে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা নেই। আন্ধার থেকে চুয়ে পড়া আলোয় কিছু মুখ, কিছু ইশারা সনাক্ত করা যায়। আড়িখোলা স্টেশন। মিস্টার লোকাল এখানে কিছুক্ষণ রেস্ট নেয়। স্টেশনমাস্টারের রুম থেকে আসা তীর্যক আলো অল্পের জন্যে হলেও রেলকামড়াকে উৎসবমুখর করে তোলে। চাচার আঙ্গুল তখন দাড়িএলাকায় নিড়ানির কাজ করে।
কাহা কৈ যাইবা?
ফেনি
কাহা, তোমার আব্বা-আম্মার দেয়া নামডা কী?
বাতিজা, গরিব মাইনসের আবার নাম
তাহলে গরীব মানুষ আমৃত্যু কোনো দিন বুঝবে না,সে আসলে গরীব নয়?  তাকে বোঝানো হচ্ছে এমনটা। তাদের নামের গর্বও কেড়ে নিবে রক্তচোষা ফানুস!
এই ভাবনায় সরব নীরব তারাচান। নীরব চোখে তার হাজার বছর খেলা করে (টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী /হাড়ীত  ভাত নাঁহি  নিতি আবেশী )।বিশাল খোলা মাঠ দ্রুত পেছনে চলে যাচ্ছে। চোখে লেপ্টে যাচ্ছে বয়স্ক অন্ধকার।অন্ধকার তারাচানকে কেবল মোহিত করে না, মাতাল করে। মাতাল হওয়ার পরোক্ষে ঘটে আসল ঘটনা ---
অন্ধকারের মাঝে একটি আলোর ঘর। আলোর ঘরে দুটি প্রাণি। একজন বলছে 'আমি আইসক্রিম খাব ' অন্য জন বলছে 'মানি ব্যাগে টাকা নেই '  কিংবা একজনের ঠোঁট আরেকজনের ঠোঁটকে কামড়ে ধরে কিন্তু ক্ষুধার্ত মুখ শুষ্ক, রসহীন হাজার বছর ধরে। তারাচানের চোখে হাজার বছর খেলা করে! 

খাদ্যশস্য

মানুষ মানুষকে খায়
কারণ সে মানুষ
পশু মানুষকে খায়
কারণ মানুষ পশু নয়

Man takes man's flesh
As he man
Animal takes man's flesh
As man is not an animal

শনিবার, ২২ মার্চ, ২০১৪

আপনি, তুমি

সম্ভোধন ভাষার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ব্যক্তির সাথে বক্তার সম্পর্ক, সম্পর্কের সাথে সম্পর্কের এডাপশন উঠে আসে সম্ভোধনের মাধ্যমে। বাংলা ভাষায় 'আপনি ' তিনি ' সম্ভোধন  শ্রদ্ধার জায়গা থেকে বিচার করা হয়। যে শ্রদ্ধায় এক ধরনের ভক্তি থাকে। এক ধরনের দাসসুলভ মনোভাব থাকে। 'তুমি'তে থাকে শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসার প্রবনতা। কাছে আসা। তবে এই কাছে আসা বিনয়ের ভারে ন্যুব্জ।বিন্যস্ত  বিনয়ের মোড়কে আধিপত্যও এখানে লক্ষ্য করা যায়। 'তুমি'কে প্রীতিময় এলাকার বাসিন্দাও বলা যেতে পারে ।অর্থাৎ  'তুমি' আর 'আপনি'তে থাকে পূজা গ্রহণ-প্রদান  মানসিকতার পুরো শরীর।তুই সম্ভোধনটি  স্পর্শকাতর। গুরু-শিষ্য ভাব চলে আসে। সবচেয়ে বড় কথা শোষণের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। বাস্তবিক শোষণ।  

শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০১৪

!

তাৎক্ষনিক দেখার পর যে ভালোলাগা , তা ভালোবাসা নয়। ভালোলাগার ফ্লাশ মুভ। মাঝে মাঝে তা পরিণতি পায়। তবে অধিকাংশ সময়  মূলের দিকে ফিরে যায়। 

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০১৪

লেজ

অনেকে মনে করে আকাশে বীজ রোপণ  করার ইচ্ছা করলে জমিনে হলেও বীজ রোপণ করা সম্ভব। এই মনে করা বাক্যটি হীনম্মন্যতায়  ভোগে। পাশাপাশি পরাজয়ের রশিটা লেজের মতো জয়ের শরীরে সংযুক্ত থাকে।
প্রকৃত অর্থে, আকাশে বীজ রোপণ করার ইচ্ছা করলে, আকাশে তো বীজ রোপণ করা সম্ভব হবেই ;আকাশের উপরে যদি কোনো আকাশ থাকে সেখানেও কিছুটা স্পর্শ করবে ।
কারণ দৌড় প্রতিযোগিতায় লক্ষ্যে পৌছনোর পরও দৌড়াতে হয়। 

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

শুভরাত্রি



শুভতম রাত্রি! তাইতো ভালো, শুভরাত তোমার প্রতি
শান্তিতে বুজে আসুক তোমার চোখের পাতা,
শান্তির অবিরল ধারায় অভিসিক্ত হোক ভাবীকালের সোনালি দিন!
যেখানে আমার আমির অবস্থান সেখানে নেই স্থিরতা
ঘুমের আয়োজন আমার কাছে বৃথা
অন্ধকার মোড়কে ঢাকা স্বপ্ন-সফলতা
বিদায়ী ভাষণ-পৃথিবীতে যাব না আবার।

মূল:স্যার হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

পাগলামি র ইমেজ

পাখিরা জাহাজে উঠেছে
জাহাজ যৌবনের প্রতীক
বন্দরের রাবণরা খুব বেশি ভয়ানক
আমি ভাসমান পথিক
পাখি হলাম না, মাছ হলাম না, না হলাম ভয়ানক
পুরনো মোড়কে আমি আধুনিক আদম
মন বিলিয়ে বানিজ্য করি নিত্য সত্যচরাচর
চকচকে আয়নায় তেলকাড়া হাসি রুমালে বাধাই
তাইতো মদ হবো, কাচাঁ মদ, সারা শরীরে দেশীয় আমেজ
মাতাল করে গান শোনাবো "পৃথিবীডা পাগলামির ইমেজ "

পাথর আসলেই পাথর

নদীর কিনারায় কাচঘেরা ঘর। মানে কাচঘর। বিজ্ঞাপনের মতো সংক্ষিপ্ত অবয়ব কিন্তু রসে টুইন টুইন। অসম্ভব লাবণ্য তার মুখোমুখি মনিটরে  । তার বিন্যস্ত সৌন্দর্যে সহোদর জলের আয়নাও অবিভূত। কিন্তু সেও জীবনমুখী হৃদয়ের টান অনুভব করে।
জলের নীচে পাথর। পাথরপরিবার।পাথরেরও মন আছে। বিলিয়ে দেওয়ার নির্জলা আনন্দজোয়ারে পাথরও ভাসে, ভাসায়।
কৃষ্ণ রাধার কাছে মন সমর্পণ করে। রাধাকে দেখে নয়, দেখার বড়ায়ি বর্ণনায়। কাচঘরের প্রতি জলের মুগ্ধতা পাথরকে মোহিত করে। মোহিত মোহনায় পাথর আর নিজেকে খোঁজে পায়না। গভীর থেকে গভীরতর আকর্ষণ, আকর্ষণ করাতে বাধ্য করে। একসময় কাচঘরও হেলিয়ে পড়ে মুগ্ধতার মোহনস্রোতে।
পাথর আর কাচঘরের মানসিক জীবনপ্রবাহ!
পাথর আর কাচঘর সংসারী হবে। আক্রান্ত আকর্ষণের পরিণতি চায় তারা। গভীর মমতায়, শ্রদ্ধাময় ভালোবাসায় পাথর কাচকে কাছে টানে। যতই মিলনের তীব্রতা বাড়ে ততই কাচ ভেঙে ভেঙে টুকরো টুকরো। কাচঘরের জীবন বিপন্ন ,মৃত্যু মুখে পতিত।
কাচ মরে প্রমাণ করল, পাথর আসলেই পাথর! পাথরও ততক্ষণে বোঝে গেল ভালোবাসা তার মানায় না!!

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

উপমা, রূপক, প্রতীক, চিত্রকল্প

ব্যক্তি মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা থেকে অনুমানের জন্ম। অনুমানের আবিষ্কারের ফলে আমরা রূপক, উপমা,প্রতীক, চিত্রকল্পের খোঁজ পাই। উপমায় যে তুলনা করা হয় তার অর্থ বহুবিধ হয়, হতেই পারে। প্রতীকও একধরনের উপমা। তবে তার চিহ্নিত অর্থ আপাতত নিদিষ্ট। কিন্তু চিত্রকল্পের মতো সরাসরি নিদিষ্ট নয়। চিত্রকল্প হলো মনের কচিকাচা তরুলতা। প্রিয়তমার মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে। উপমা, রূপক উল্লম্ফনে বেচেঁ থাকে। নিজেকে ছড়িয়ে দেয় চেনা-জানা পরিবেশের পরিবেশনের মোহনায়। রূপকের অর্থ উদ্ধারের জন্য চঞ্চল সচেতন প্রয়োজন। তাইতো রূপকের বসবাস জ্ঞানীদের শহরে, শহরের দরজায়। 

বুধবার, ১২ মার্চ, ২০১৪

আয়নামানুষ

আয়না দেখে, দেখায়। ততটা দেখে না, যতটা দেখা যায়। ততটুকু দেখায় না যতটুকু দেখানো প্রয়োজন। আয়নাও স্বার্থপর। আংশিক ভোগবাদীও বটে ।
 আয়নার শরীরে মানুষের ছায়া পড়ে। আয়না তখন আয়নামানুষ। আর আয়নামানুষ এখন পর্যন্ত আধুনিক নেতা। নিজের মতো করে প্রভাবিত করছে যুগ টু যুগ, কাল টু কাল। সবার নিউরন ফাকি দিয়ে তৈরি করেছে ঐতিহ্যবাহী সিদ্ধান্তের জগৎ --সেই নাকি "আমি"! মানুষের আস্ত অবয়ব।
কিন্তু পোষা বিড়ালটি আয়নার সামনে শিকারি হয়ে উঠে। যুদ্ধপ্লাবন নেমে আসে তার চোখে। আয়নাবিড়াল কখনো তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারেনি। ক্লান্তির জন্মপূর্ব তার সংগ্রাম। শেষে দুজন দুপথে দুভাবে। কোনো প্রকার আপোষ নেই।
ওয়াও! আমরা মানুষ, চাহাত রঞ্জিত চশমা। ঘরে ঘরে মোকারাতে কালো কালো চশমা।
আর ইতর বেড়ালটি এখনো নিজেকে খোঁজে নিজের ভেতর, যন্ত্রদানব কিংবা আসমানে নয় 

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০১৪

B

যখন আমি বিষন্ন থাকি, বিষন্নতায় একা
সব কিছুই ঠিকঠাক, মনডা শুধু বাকাঁ
চুলের বাসায় উকুনমতো নীরব বসে থাকা 

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

জীবন নামের রে ল গা ড়ি টা

নরসুন্দা। নদীর নাম। জন্মস্থান হুসেন পুরের পুরাতন ব্রক্ষপুত্র। নদীটির শরীর ক্যাটরিনা কাইফ  টাইপের। কিশোরগঞ্জ গ্রাম্য শহরের একমাত্র নদীপ্রাণ হলেন তিনি। করিমগঞ্জের ধনু নদীর সাথে তাঁর রক্তের সম্পর্ক। কিন্তু কবেকার সুদর্শনার মতো তিনি আজ মৃত। স্থানীয় ভাষায় মরা নদী। এখনো মানুষদের মধ্যে সচেতন গোষ্ঠী লেখক, মরার নদীর বেদনায় মর্মাহত। তাইতো চুপিচুপি গোপন অভিযান চলে। নরসুন্দার যৌবন ফিরিয়ে আনার অভিযান। আশার কথা নরসুন্দার খনন কার্য শুরু হয়ে গেছে। আবারও নরসুন্দার পূর্ণলাবণ্যের ছল ছড়াবে সৌন্দর্যের অন্তর আত্মায়। কবি মেরাজ রাহীম তিনার নিত্যচলনে মুগ্ধ হয়ে প্রেম নিবেদন করবেন, শোনাবেন প্রেমের উৎসর্গে ভাষাবাণী
"তোমার বাড়িতে মালতি ফুটেছে /আমার বাড়িতে ঘ্রাণ /আমার বাড়িতে এ মরণদেহ/ তোমার বাড়িতে প্রাণ
মেরাজ রাহীমের সাথে আট বছরের পরিচয়। ইথারীয় পরিচয়। তাঁর হাসিটা জন্মমাত্র শিশুর মতো তুলতুলে। মানুষটার প্রতিটি আবেদন সারল্যের জোয়ারে টুইটুই।
সরলপ্লাবনে আবেদন করলেন যেন ছড়া উৎসবে আসি। আসলাম। তখন রাত এগারোটা ত্রিশ মিনিট। কিশোরগঞ্জ শহর ঘুমিয়ে আছে। আমাদের জন্য হোটেল রিভার ভিউতে সিট বরাদ্দ রাখা। যানবাহন নেই। হেটেই হোটেলে পৌছি। তারপর ঘুমন্ত শহরের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করি।
সকালে জাগানো হয়। নাস্তা করানো হয়। ছড়া মেলায় যেতে হয়। ছড়া উৎসবে কিছু মুখের মুখোমুখি হতে হয়  যা আমাকে নতুন এক চিন্তাঘরে নিয়ে যায়। যে মেয়েটি শুধু গৃহিণী হওয়ার কথা সেইসঙ্গে উন্নত দাস সেও মুক্তির ছড়া পড়ে। আশির উর্ধ্বে আবদুছ ছাত্তার চাচাও ছড়া পড়ে জীবনের শেষ লকমা তুলতে চান মুখে। মানুষগুলো এই যান্ত্রিক যুগেও কবিতা, ছড়ার ঘোরে মাতাল। খুব বেশি প্রকৃতির কাছাকাছি। অতি অল্পসময়ে আপন করে নেয়ার অসীম ক্ষমতা তারা ধারন করে। মুগ্ধ হওয়া ব্যতীত উপায় থাকেনি।
এখন চলে যাচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল আমাকে ডাকছে। কিন্তু কী যেন রেখে আসলাম আমার বন্ধু তুষার, আবির, শ্রদ্ধেয় আসাদ ভাইয়ের কাছে। কী যেন!  

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

রাহে আল্লা মারে কে

কোনো এক অলৌকিক কারনে মানিব্যাগ শুন্য। পুলিশের মানিব্যাগ শুন্য হলে চোখের সামনে দৃশ্যমান সকলেই আসামি। আসামি ভাবার সুযোগ আমার নেই। কারন ব্যয় বোঝে আয় করার হিসাব জানা আছে। তাছাড়া মানুর ঘরেতো পয়দা অইছি। মানুর মনে কষ্ট দিয়া ধর্মঘরে পূজা দিতে জানি না। মানুষকে ভালোবেসে শিশু হওয়াতেও আনন্দ আছে, বোকা বনাতে থাকে তৃপ্তি।
ক্রেডিট কার্ডও নেই। তবে আত্মবিশ্বাসের ক্রেডিট কার্ড কখনো শুন্য হয় না। তাই আত্মবিশ্বাসকে সাথে নিয়েই  হাটছি।মাথায় দুপুরের রোদ। লাঞ্ছ ডাকসুতে করতে হবে। বিশ টাকার টোকেনে সামাজিক লাঞ্ছ। অদৃশ্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে লাইনে দাড়ালাম।
আমি কী বলতে পারবো টোকেন দেন, টাকা নাই। আর তখনই সবাই চুপিচুপি রহস্যের হাসি ফোটাবে। টাকার দেশে পুজিপতি হাসি।
যতই টোকেনঘরের সামনে যাচ্ছি ততই সংশয়ের ঢেউ আত্নপ্রত্যয়ের পাড়কে ভাংছে তো ভাংছে। আমার ভেতরকার লজ্জার দহনগন্ধে তার নাকে গিয়ে লাগে। নতুবা যাকে চিনি না, জানি না, সে কেন বলবে "আপনি টেবিল প্রস্তুত করেন, আমি টোকেন নিচ্ছি। "
হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। জীবনের আরেক নতুন প্রবাস প্রবাহ।
রীতিমত সে খাবার নিয়ে আসে। খাচ্ছি আর ভাবছি।  আত্মাবিশ্বাস আমার কাছে বার বার নায়ক সাজার চেষ্টা করছে। নায়িকার কথা ভাবার তার কোনো সুযোগও নেই। খাবার শেষে তারপরও তাকে বললাম, "আমি ধন্যবাদ দিতে জানি না "
সেও আমাকে বলল "ধন্যবাদের মেলায় ধন্যবাদ আশাও করি না। "
তারপর থেকে রাহে আল্লা মারে কের দেশে আমার বসবাস। যে দেশের শুরু কিংবা শেষ নেই। জন্ম হয় কেবল রহস্যের আবর্তনে রহস্য।
আর আমি সেই রহস্যের চিন্তাশীল চেতন। 

রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪

দুঃখ

কিছু মানুষ দুংখের ছায়ায় রোদ পোহায়। তাঁরা আসলেই সাহসী মহৎপ্রাণ। জীবনকে উল্টে -পাল্টে জানতে পারে। রোদেভাজা,কষ্টেভেজা জীবন | লাভ করে অভিজ্ঞতার নবীন থেকে নতুনতর উৎস।
আর কিছু মানুষ ঘামভেজা দুংখে তৈরি করে দীর্ঘশ্বাসের রমরমা প্রাসাদ। দুঃখ বিলাস।