শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৪

গানের এলাকা

কথা ও সুর :এমরানুর রেজা

জাগো মানুষ, জাগো মানুষ
জাগাও তোমার মনটা
যেখানে রবে না        কোনো কপটতা।।

একজনে আহার করে দিয়ে পল্লান্ন
অন্যজন অশ্রু ফেলে না পেয়ে অন্ন
যাও না তুমি, যাও না তুমি, বাড়াও তোমার হাতটা
যেখানে রবে না        কোনো কপটতা।। 

সংস্কৃতি পীর বাবা আমরা তার শিষ্য

উদ্ভিদ মাটির সন্তান। উদ্ভিদের সন্তান আমরা মানুষ, চোখের সামনে দৃশ্যমান প্রাণিবর্গ। প্রাণিবর্গের আশ্রয়ে লালিত-পালিত অদৃশ্যমান প্রাণিও। মাটির মানে গড়ে ওঠে আমাদের প্রাথমিক মানপর্ব। মাটির রস উদ্ভিদের দেহের পুষ্টিসাধন করে । উদ্ভিদ আমাদের দেহে রক্তসাইকেল গঠন করে। রক্তের পাকাফল বীর্য। শুক্রকিট ডিম্বানুকে প্রেমপ্রস্তাব দেয়। ডিম্বানু তখন তৈরি করে প্রেমিকলিস্ট। সক্রিয় ও শক্তিশালী শুক্রকিট ডিম্বানুর অনুভূতিকে গ্রাস করতে সক্ষম হয়। সম্পন্ন হয় জাইগেট প্রক্রিয়া। শুরু হয় উদ্ভিদ ও শুক্রকিটের দাম্পত্য জীবন। দুই দেহের এক বাড়ি। প্রকাশ পেতে থাকে তৃতীয় শক্তির লক্ষণ মানব শিশু। সময়ের চাহিদা মতো এক সময় পৃথিবীর তালপাতায় কেঁদে ওঠে পৃথিবীসন্তান নবজাতক। নবজাত মাটি নয়, মাটির সংস্কৃতি। মাটির সাথে কথা বলে জানতে পারি মাটি কেবল মাটি হিশেবে নিজের অস্তিত্বের জানান দিতে চায় না। সেও বিকশিত হতে চায়। হতে চায় সুন্দর থেকে সুন্দরতর। প্রয়োজনে সুন্দরতম। মাটির ইচ্ছা সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম প্রাপ্তি নবজাতক। যা কিনা মাটির সংস্কৃতি। যে শিশুটি আজকে জন্মগ্রহণ করল তার কান্নাই বলে দেয়, সে বিকশিত হতে চায়। সে কাঁদে কেন, সে জানে। আমরা জানি না। প্রতিটি কান্না নিজেকে আবিষ্কারের সুযোগ এনে দেয়। কান্নার উৎসে সক্রিয় অভাববোধ। অভাববোধ মহিমাগতিকে তরান্বিত করে। মহিমাগতি সহজেই সৌন্দর্যসাগরে সাঁতার কাটার সুযোগ পাই। আর সৌন্দর্যসাগর হচ্ছে সংস্কৃতি।
সংস্কৃতি চলকমানকে গ্রহণ করে। ধ্রুবকমানকে তার বরাবরই অপছন্দ। সাগর, নদী, পুকুরের পানি প্রায়ই চুপচাপ থাকে। চুপচাপ থাকাই ধ্রুবকমান। কোনো কোনো সময় বাতাস পানিএলাকায় বেড়াতে আসে। তখন পানি নৃত্য করে। আমরা মানবিক ভাষায় পানিনৃত্যকে ঢেউ বলি। ঢেউয়ের সাথে যখন সূর্যরশ্মির চুম্বন প্রক্রিয়া আরম্ভ হয় তখন ভিন্নধর্মী উৎসব দেখতে  পাই। আলো-ঢেউ উৎসব। আলো- ঢেউ উৎসব হচ্ছে চলকমান। পন্ডিতদের ভাষায় বললে সংস্কৃতি।
তা হলে আমি যা, তাই আমার সংস্কৃতি? না, আমি যা হবো, তা আমার সংস্কৃতি? 
সংস্কৃতি জৈবিক কাজ সম্পন্ন করে ইচ্ছার  কান্তিপাড়ায়। ইচ্ছার  বৈবাহিক পরিণতি কাজ। কাজের ধারাবাহিক পর্যায় অভ্যাস নামে খ্যাত। অভ্যাস দিয়ে কাউকে চেনা যায়। কিন্তু মান্য করা বা শ্রদ্ধা করা যায় না। অভ্যাসের পাকাফল দিয়েই শ্রদ্ধা বা স্নেহ অর্জন করতে হয়। অর্থাৎ অভ্যাস যখন সার্বজননীন তখন তা গুরুদক্ষিণা পাওয়ার মতো বিশ্বাস অজর্ন করতে পারে। আমারা তখন শ্রদ্ধাভাজন অভ্যাসকে অন্তরে লালন করতে শিখি, প্রায়োগিক আখড়ায় নেমন্তনে মুখরিত করেত চাই সবপাশ, সবশূন্য বলয়-
I will not have a son who can not hold up his head in gathering of the clan. I would sooner strangle him with my own hands. And if you stand staring at me like that, ”
Things Fall Apart: Chinue Achebe
অভ্যাসের পেছনে চিন্তা ধ্যানী। অভ্যাসের একক চিন্তা যদি নিরাপরাধ না হয় তবেই তা প্রথা। নিরাপরাধ যতটা না সময় উপযোগী তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন উপযোগী । ব্যক্তিগত প্রয়োজন সার্বজনীন হয় আপন যোগ্যতা বলে। কালোত্তীর্ণ যোগ্যতা বাজারজাতকরণের মানে নির্ধারিত হয় না। সার্বজনীন যোগ্যতার মান নান্দনিকতা। নান্দনিকতার সামষ্টিক ক্রিয়াঙ্গন সংস্কৃতি, প্রথাকে টেস্ক দেয় না। সে আপন সুরে গান গায়। যাদের সঙ্গীতজ্ঞান আছে ঠিকই তাকে খোঁজে নেয়। কালচার যে রাজ্যের রাজা সেরাজ্যে কাস্টম আক্রমণ করতে পারে না। কারণ কাস্টম ইংরেজ হতে পারে। কালচার সিরাজউদ্দৌলা কিংবা আলীবর্দী খান নয়। কালচার এমন উদার নীতি গ্রহণ করে যেখানে সমস্ত মহিমা চেতনার আন্তর্জাতিক বাজার বসে। ফলে জীবনধারনের পদ্ধতি জীবনমানের পদ্ধতির কাছে পরাজিত হতে বাধ্য। তাই তো কালচার সর্বকালে জয়সূচক শব্দের উচ্চারণ । তারই প্রতিবেশী কাস্টম সাম্প্রদায়িক হীনমন্নতায় আবদ্ধ। খাঁচার মধ্যে ছটফট করে হাছন রাজার মতো। প্রাণবন্ধুর দেখা পায় না। কিংবা লালনের মতো জলপিপাসায় মৃত্যুবরণ করে কালের মহিমায়।
আমার আব্বা কৃষক। তিনি কৃষি জমিতে চিন্তা ও শ্রমের কর্ষণে ফসল ফলান। উৎপাদিত ফসল আশানুরূপ না হলে তিনি বলেন ফলন ভালো হয় নি। কখনো বলেন না, উৎপাদিত ফসল খারাপ। উৎপাদিত ফসল হলো বীজের সংস্কৃতি। আর সংস্কৃতি কখনো ‘অপ’ বা ‘খারাপ‘ হতে পারে না। তা হলে বীজকে অস্বীকার করা হয়, বীজ মূলত একটি ধারণা। যে ধারণা মানুষের প্রয়োজনে সময় উপযোগী সুযোগ ব্যয়ের ধারণা পূরণ করে তা-ই সভ্যতার স্মারক। তাই সংস্কৃতির বিপরীতে অপসংস্কৃতি বলা সভ্যতার তিলকে অজ্ঞতার চিহ্ন রাখার নামান্তর। সংস্কৃতি শব্দটি পজেটিভ। আর পজেটিভ শব্দ নেগেটিভ উপসর্গকে সহ্য করে না। সতীন মনে করে। ঝগড়া হয়। তখন আমরা ঝগড়ার সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ি।ঝগড়ার সংস্কতি! হ্যাঁ। মন্দ সংস্কৃতি বলে কিছু নেই। তবে। মন্দের সংস্কৃতি বিদ্যমান। যার সাথে অভিযোজন প্রক্রিয়া অল্প সংখ্যক মানুষের সম্পন্ন হয়ে থাকে। হয় তো সচেতন অনুভূতি বিষয়টি আঁচ করতে পারে-

The music in my heart I bore

Long after it was heard no more
The solitary Reaper: wordsworth
মন্দের সংস্কৃতি চরিত্রহীন। চরিত্র ছাড়া নয়। চরিত্রহীন মহান শব্দের সম্পূরক। চরিত্রছাড়া ভীরুতার সমার্থক। চরিত্রহীন সাহসিক আখড়ার সাধু সন্ন্যাসী। একজন মানুষ যদি সত্যিই আলোচিত অ-মানুষ হতে পারে সেও সভ্যতার কাজে আসে। শরীর পচঁনশীল বলেই পৃথিবী গোলাপগন্ধময়। আমরা তাও জানি, গোলাপগন্ধের স্বীকৃতি অন্য কোন বিপরীত অসহ্যনীয় গন্ধ। দুটিই গন্ধ। একটির সাথে আমাদের ইন্দ্রিয় মানা-মানি খেলা খেলতে পেরেছে। অন্যটির সাথে পারি নি। এটি আমাদের ইন্দ্রিয়ের ব্যর্থতা। ইন্দ্রিয়ের ব্যর্থতাকে প্রাকৃতিক ব্যর্থতা বলা কি মানব স্বভাবজাত? নইলে মন্দের সংস্কৃতিকে আমরা কেন সামাজিক জীব হিশেবে আখ্যানকাব্যে স্থান দিবো না।সংস্কৃতি আর মন্দের সংস্কৃতি স্বামী-স্ত্রী। তাদের বিবাহকার্য সম্পন্ন হয় আড়ালে-আবডালে। পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ তাদের বিবাহের সাক্ষী। নদীর বয়ে চলার স্বাভাবিকতা তাদের কাবিননামা। পৃথিবীর নিয়ম-নীতিকে কাঁটাতারে বন্দী রেখে তাদের সকল মিলন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তখনই চিন্তার সারিতে যোগ হয় নতুন শব্দ সভ্যতা। মন্দের সংস্কৃতি আর সংস্কৃতি আলোকময় সন্তান। পৃথিবীর সন্তানের কাছে তাকে চেনা চেনা মনে হয়। শিশুসভ্যতার হাঁটি-হাঁটি, পা-পা স্বভাবটি পৃথিবীর মানুষের কাছে বিদেশে চলে যাওয়ার মতো মনে হয়।সংস্কৃতিবান জাতির শব্দ চয়নে তাজা প্রাণের বিলক্ষণ শোভা পায়। শব্দে জাতির মানসিক অবেগটিও ওঠে আসে। কারণ। শব্দের লাওহে মাহফুজ ই”ছা বা চিন্তার পাটাতন। চিন্তার পূর্ণায়ত অভিব্যাক্তি প্রকাশ পায় শব্দের আবর্তন-বিবর্তনের মধ্যে। তাই তো আমরা কি বলতে চাই বা কি বলব তারই মধ্য দিয়ে ওঠে আসে আমরা কেমন। প্রশংসার আধিক্য জন্ম দেয় তোষামোদী স্বভাব। প্রশংসার স্বল্পতাও বিকাশের জন্যে ক্ষতিকর। প্রশংসার স্বাভাবিকতা কোনো জাতির আলোয়ত অবয়ব সংস্কৃতি। তোষামোদ প্রক্রিয়া কখনো বাক্যের সংস্কৃতি হতে পারে না। তোষামোদ প্রক্রিয়া চরিত্র ছাড়া। তাই এর কবরের নাম ডাস্টবিন।কবি শব্দটি গাম্ভীর্যপূর্ণ। শব্দটিকে ওজন করার মানদণ্ড নেই। সংস্কৃতিবান শব্দ। আমরা যদি ‘কবি’ শব্দটির আগে কোনো বিশেষণ যোগ করতে চাই তাহলে ‘কবি‘ শব্দটিকে অপমান করা হয়। কারণ। এমন কোনো বিশেষণ তৈরি হয় নাই যা ‘কবি’ শব্দটির আগে বসার যোগ্যতা রাখে। ‘কবি’ যেহেতু পজেটিভ শব্দ তাই তার আগে (ভালো কবি, খারাপ কবি, বাজারি কবি, রাজনৈতিক কবি, ধান্দাবাজ কবি) বিশেষণ ব্যবহৃত হওয়ার নয়। লেখক, মানুষ, মধু, দুধ প্রভৃতি শব্দের বেলায়ও একই কথা খাটে।বেঁচে থাকার মৌলিক শক্তি প্রাণ। তাকে বড় কিংবা ছোট করে দেখানোর কোনো উপায় নেই। তারপরও প্রাণকে ‘ছোট প্রাণ’ বলে যারা বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তারা কতটা নির্বোধ? গল্পের পক্ষেও একই কথা বলতে পারি। গল্প ছোট কিংবা বড় হতে পারে না। গল্পের ওজনদণ্ড গল্প নিজেই। সংকীর্ণ মানসিকতা চরিত্র ছাড়া বৈশিষ্ট্যকে মোটাতাজা করে। যারা সরাসরি কর্মের সাথে জড়িত তারাই শব্দের পিতা। তাদের চিন্তায় নতুন শব্দের উর্বর ভূমি। উৎপাদিত শব্দ এক সময় লেখককারখানায় এসে বাজারজাতকরণ সম্পন্ন হয়। বিপনন প্রক্রিয়া তারাই সম্পন্ন করে।মধ্যবর্তী মানুষ শব্দসাঁকো ব্যবহার করে প্রয়োজন নদী পাড়ি দিয়ে থাকে। আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে যে শব্দ তৈরি হলো তাকেই গ্রহণ করা উচিত। অক্সিজেনকে ‘অক্সিজেন’ হিশেবে বাক্যপরিবারে জায়গা দেওয়া উচিত। ‘অম্লজান’ বলা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়। তাতেই বিশৃঙ্খলা। ‘অম্লজান’ শুধু অক্সিজেন না, কার্বন-ডাই-অক্সাইডও বটে।হিস্ট্রি আর ইতিহাস এক কথা নয়। তার পরও আমরা ‘হিস্ট্রি’ কে ইতিহাস বলে রুচিবোধের জায়গাকে গর্ব দেই। সংস্কৃতিবান শব্দের ধারক মনে করি। "হিস্ট্রি " শব্দের উৎপত্তি Histaria  থেকে। লেটিন "histaria " মানে to investigate  (কোনো কিছু আবিষ্কার করা) । ইতিহাস শব্দটি সংস্কৃতি ‘ইতিহ্’ শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ দাঁড়ায় ‘ঐতিহ্য’। ঐতিহ্য কীভাবে ইতিহাস হয় তা বোধগম্য নয়। যেমন বোধগম্য নয় Science (From Latin Scientia, meaning “knowledge” is a systematic enterprise that builds and organizes knowledge in...) কীভাবে ‘বিজ্ঞান’।Science শব্দটি ‘বিজ্ঞান’ (বিশেষ জ্ঞান) বলা রুচিবোধের স্খ’লন। ‘শুদ্ধ’ শব্দটিকে ‘বিশুদ্ধ’ (বিশেষ ধরনের শুদ্ধ) অভিধায় জাতে তোলা অলঙ্কারের আধিক্য। অলঙ্ককারে আধিক্য স্বাভাবিকতা নষ্ট করে। কৃত্রিম কিছু সংস্কৃতি হতে পারে না। স্বাভাবিকতার মাঠে সংস্কৃতি হাত তালি দেয়। ‘শুদ্ধ‘ কে ‘বিশুদ্ধ’, ‘জ্ঞান’কে ‘বিজ্ঞান’ বলে উ”চারণের দীর্ঘ প্রক্রিয়াই তৈরি করা হয়। কাজের কিছু হয় না। আর বাক্যের সংস্কৃতি এখানে ভাবা যায় না, মেনে নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। বরং প্রচলিত ভুল বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করতে পারি। নতুবা কতটা বর্বর জাতি তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে। রোগের সুপ্ত জীবাণু যত তাড়াতাড়ি লক্ষণ হিশেবে প্রকাশ পাবে ততই রোগীর জন্যে ভালো। অন্তত চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে।
তবে, আমরা কোথায় যেন আছি?

ফুলের সৌন্দর্য মানব অনুভূতিকে আকর্ষণ করে। এটি বাস্তব ও কাব্যিক। ফুলের সৌন্দর্য আকর্ষণে যে চোখ ব্যর্থ, বুঝতে হবে সে চোখে সমস্যা আছে। ফুল ফুলবৃক্ষের জীবনাচরণ নয়। জীবনের বিকশিত রূপ।

তেমনি মানুষের জীবনাচরণের বিকশিত অবয়ব তার সংস্কৃতি। এটি অন্য মানুষকে এমনকি অন্য প্রাণিকেও আকর্ষণ করবে, তা বাস্তব ও কাব্যিক। তাতে যদি দ্বিমত থাকে তবে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা রয়েছে মনে, মননে। সমস্যাটির ডেলিস্টার নাম দেয়া যেতে পারে সুবিধার রাজনীতি, মৌলবাদের উগ্রোতা যেখানে ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন‘ জাঙ্কফুডজাতীয় শব্দ। শব্দসংস্কৃতির ক্ষতিকারক লিটলবয় ।
সংস্কৃতি যখন জনসমাবেশে যাবে তখন বুঝতে পারবো তার উপযোগিতা কতটুকু। সৌন্দর্যের কাঁচঘরের আরামদায়ক বাসনা তার নিজস্ব সৌন্দর্য। সত্তাকে সমৃদ্ধ করে। সৌন্দর্যবোধ-এ মতানৈক্য  থাকতে পারে, দ্বন্দ্ব  থাকতে পারে না। কারণ। সংস্কৃতির রক্তপ্রবাহ সৌন্দর্য। যিনি নিজেই একটা শক্তি। তাই তো ভুলে যেতে পারি না ‘আমার এলাকায় আমি রাজা’। বাক্যটি লোকজ, আবেদন শক্তিময়।

সংস্কৃতি হলো শক্তিময় এলাকার পিতা " পীরবাবা।
শক্তি বিনাশে বিশ্বাসী নয়, রূপান্তরে আশা রাখে।
আর আমরাই সেই রূপান্তরের শিষ্য।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫, জুন ০৬, ২০১৩

রিপু মাছের গতিপ্রকৃতি



বাতাসমোড়ানো দাতব্যমানুষ তোলে আনে স্বপ্নঘর
স্বপ্নের চারপাশে খাবি খায় আপন- পর
নিজেকে রোপন
বাংলাদেশ বুনন
জেগে ওঠে বালুচর
বালুচরে হাততলি ,ভেলকিবাজি
রূপ নারানের কূলে পাতাফাঁড়ি
পাতাফাঁড়ি অলস অসীম , বৃত্তায়নে হেলেনভূমি
প্যারিসচোখ কামুক হয়েছে
রিপুমাছের লাফালাফি
বাংলাদেশ অন্তসত্তা
জারজ আহাজারি!


১৬,১১,২০১২

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৪

তিলোত্তমা কোথায় লিলিথ নয়

লিলিথ। যায় আভিধানিক অর্থ ডাইনি। হ্যাঁ। ডাইনিটি এ্যাডামের মনকে ছন্নছাড়া করেছে। আজও এ্যাডাম লিলিথটানে উদাসীন। আমৃত্যু এ্যাডামের জীবনে লিলিথ অধরা। তাইতো এ্যাডামের প্রতিনিধি প্রত্যেক মানুষের জীবনে একজন লিলিথ থাকে যাকে সে পাই না। একজন ইভ থাকে যাকে নিয়ে সে সংসার করে।
এ্যাডামের একা একা ভালো লাগে না। দেহসাথী প্রার্থনা করা হলো। আবেদন মঞ্জুর। সমস্ত সৌন্দর্যের সার বস্তু থেকে তৈরি করা হলো লিলিথকে । সুন্দরী লিলিথ বড় বেশি অহংকারী। মিলনক্ষণে এ্যাডামের নিচে শোতে তার আপত্তি। এ্যাডাম লিলিথকে বাধ্য করতে চায়। কিন্তু লিলিথ বাধ্যগত হওয়ার না। ফলস্বরূপ দুজন দুপথে দুভাবে! শেষ হয় তাদের মিলনস্পর্শ। শুরু হয় বিরহ স্পর্শকাতরতা।
লিলিথ-এ্যাডাম এই কাহিনিপ্রবাহটি মেসোপটেমিয়া হিব্রু মিথলজির অংশবিশেষ।
ভারতীয় কিচ্ছা-কাহিনিতেও একজন লিলিথ সজ্জিত সজীব। এখানকার লিলিথের নাম তিলোত্তমা। বিশ্বকর্মা সৌন্দর্যের মাখনে  তিলে তিলে তাকে গড়েছেন। পুরুষের অর্ধঅংশ হতে নয়। কামবাসনার লোভাতুর  আধার । সুন্দ আর উপসুন্দকে হত্যা করার এটমবোমা । তার রহস্য জালে অসুরদ্বয় বন্দী। সর্বশেষ সংবাদ সুন্দ, উপসুন্দ মৃত। তিলোত্তমা জীবিত। তাকে সূর্যপথে  রাখা হয়েছে। সূর্যালোকের আধিক্যে তাকে আমরা দেখতে পাই না।
ভারতবর্ষের পুরুষ সূর্যের প্রতিনিধি। তিলোত্তমারা তাদের আলোর ছায়া।
কোনো চোখ পুরুষেআলো ভেদ করে নারীমঞ্চ দেখতে পায় না। এখানে তিলোত্তমারা "নটবরের মা "মানছুরার মা "; পণ্য বিজ্ঞাপনের পণ্য!
আর লিলিথ স্বাধীনচেতা নারী।
ঈশ্বরকেও যে বড়ো আঙুল দেখানোর সাহস রাখে। 

::::

শত্রুপক্ষকে অভিশাপ দিচ্ছি
প্রেমে পড়ো
::::
মানুষের হাতে শিকারযন্ত্র
পাখির ডানায় উড়ারমন্ত্র
:::
তোমাকে শুধু একবার দেখেছি
অন্ধকারেও দেখব বলে
তোমাকে শুধু একবার ডেকেছি
হাবিয়াতেও ডাকব বলে
মনের পাপড়ির দিয়ে পোশাক বানিয়েছি
কোনো এক কালে পড়াব বলে 

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৪

সায়াহ্নের তুমি

বহুদিন তোমার স্বপ্নে আমার স্বপ্ন ছিল
বহুরাত আমার জীবনের আলকেমিতে তোমার বিচরণ ছিল
বহুমোহে তোমার রূপের আগুনে আমার আমি দগ্ধ ছিল
আমার বংশীর সুরে তোমার মন উদ্বেল ছিল
হঠাৎ
আমার ঘুম ভেঙে গেল
যায়  স্বপ্নে  আমি বিভোর ছিলাম
চেতনায় সে এখন অদৃশ্য রাধা
আর আমি
তাম্বুলখণ্ডের জীবন্ত কৃষ্ণ
আমি পরিচিত হবো বিরহখণ্ডের কৃষ্ণনামে
তখন তুমি রাধা নতুবা ফজিলাতুন্নেসা
তবে
তুমি মলুয়া হও
তা আমার ইচ্ছার স্বাধীনতা নই
কারণ
তোমার কাছে আমি ধর্ম
আর তুমি
আমার অন্তরের ,অন্তরতর দর্শন 

প্রকৃতির শেষ নাচ

যৌবনবতী একঝাঁক লতা রক্তাক্তরাধা
আয়নঘরে আগুন জ্বলে
মহান কৃষ্ণের চেতন জাগে, চেতন উড়ে
রাধাইচ্ছা ফণা তুলে কৃষ্ণজলে
কৃষ্ণনলে চুয়ে চুয়ে আয়ু পড়ে
আয়ু খেয়ে মাতাল পাখি আকাশ খোঁজে
রাধাবাতাস চুপিসারে পেখম মেলে
হুমরা ডাকাত বোতাম খোলে রাধাফুলে
অলসভূমি  আড়াল খোঁজে, আড়াল পোষে
প্রকৃতিরাজ্য মানুষ বোঝে, রাধাকান্নার অর্থ খোঁজে  

জয়দর

চরিত্রবান রাত। রাতবীর্য অন্ধকার। আলোয়পূর্ণ ছায়া অন্ধকারের পোশাক। দ্রোহতাবিজ ঝুলে থাকে অন্ধকারের সদর দরজায়।
আনন্দ! সল্পচিন্তার আস্তানা, দুংখের নবীনে যৌতুকে ঘেটুপুত্র।
অন্ধকারবাবা "হক মওলা " জিকিররব তোলে। মানুষ! মানুষের কাছাকাছি দূরে যায়। অসীম সসীম দূর।
জয়দর। পলিমাটির মানুষ। কুয়াশার ডাকে চোখের দরজা খোলে। বউওম হৃদয় টানে। হৃদয়টানে  ডোবে থাকার অর্থ বছরব্যাপি উপোস থাকা। চকবাজারে যেতে হবে। মানুষ ভাড়া আনবে। সূর্যদিনের পুরুটাই সময়ের জন্য। সত্রাস শীতের বিরুদ্ধে বাবুয়ানী অস্রে সজ্জিত নয় জয়দর। রাস্তায় নামে জয়দর। সঙ্গে কেবল অর্ধেক পা, অর্ধেক বরফ।
ভাড়াটে মানুষ কেটে আনবে পলিমাটিসন্তান। মানসিক শাসন ঘিরে ধরবে তাদের সবপাশ। কাজে ফাকি দিতে মানা। জয়দর তাদের বলবে
  ভাত পরের, কাম নিজের 

ক্ষ্যাপার পরিমাপ

সিগারেট, পৃথিবী এক সাথে চলে
চরম,পরম বন্ধু
রাতে সিগারেট বন্ধু খোঁজে পায়
পৃথিবী আতুঁড়ঘরে আলসেমি খায় 

সজাগ চোখ

অন্ধচোখ যখন পৃথিবী খোঁজে
না-খোঁজার মানুষ তখন নিজেকে খোঁজে
নর্তকীআয়নায়, তারাসন্ধ্যায়, ডুবন্তশঙ্কায়
হারানোর ভান করে হাসির তামাশায় 

মংগ্রো সংগ্রাম







রাতগভীরে খসে পড়ে তারাবোধ
প্রায়োগিক বোধ উৎসবে
আম্মা, রান্না করে পিয়াজ- রসুন 

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৪

ভাবনার দরজাগুলো

নারীর একটিমাত্র পৃথিবী। সামাজিক পৃথিবী। পৃথিবীটা ছোট কিন্তু গোছানো। পুরুষের পৃথিবীটা আপেক্ষিক বড়। এবং বড় হতে থাকে। তবে পুরুষদুনিয়াজুড়ে অগোছালো খাবভাব। তাইতো পুরুষের কাছে  ভালোবাসা হলো  জীবনের একটি অংশ । আর নারীর কাছে ভালোবাসা মানে পুরোটা জীবন।

Per female  has a unique zone. So called social arena. The zone is to very glen but so very orderly decorated. Male earth comparatively wide and is going to be widen but sweet disorder. Only for that love is a part of life to the male and love is a whole portion of life to the female.
::::
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই। আসলেই তারা ভবঘুরে। তবে! তারা কখনো সরকার আমিন, কখনো কাজী বর্ণাঢ্য।

Laughter, torment, pleasure out of control, out of destination. Actually they are loafer. But! Some time they are Sarker Amin, some time they are Kazi Barnadhyo .
::::
নারীর প্রশস্ত বুক, প্রশস্ত করে পুরুষের চোখ
দৃশ্য চলে যায়, থেকে যায় দৃশ্যলুকানো সুখ

Giant breast of the girl best watch for the eye
The seen come for gone, gleam  pleasure is for long

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৪

হিমঘরের রাণী


কথা ও সুর :এমরানুর রেজা

দুঃখ আশ্রমে  দুঃখ নিয়ে  খেলা করো না
আমার মাঝে বন্ধু তুমি, আমিই থাকি না
কাল সারা রাত আকাশ খোলা  বৃষ্টি নামে নি
আমার বুকে জমানো মেঘ কেউ দেখি নি
সুযোগ পেলে  বৃষ্টি হয়ে  অঝোরে ঝরে যায়
আবার আমি থমকে দাঁড়ায় বন্ধুকে কেন কাঁদায়।।

প্রজাপতির একটি ডানা কখনো হতে চায় নি
তোমার বুকে বানাব ঘর, বানাবই আমার বাড়ি
দুংখের সাথে দুঃখ মিলে দুঃখ যাবে হেরে
হবো আমরা চির শান্তি বন্ধু তোমাকে নিয়ে।। 

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৪

টুকিটাকি টুনটুনি

নদীর জলে মিশে আছে পূর্বপুরুষের হাক -ডাক,  দুংখ -বেদনার ছোপ ছোপ প্লাবন। চিরতরে জলের সাথে মিশে যাওয়ার পূর্বে নিজের মতো করে তাকে সজাগ চোখে দেখে নিলাম। জয় গুরু গোমতী 

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

তা রানি

হ্যালো ...
আফনে কৈ?
কেরে! কোনো দরহার আছে
আম্মা কইছিন আমারে স্টেশনে দিয়া আইতেন
রেডি অও, আমি আইতাছি ....
তারাচান রোকেয়া হলের সামনে। তারানি আসবে। তাকে নিয়ে যাবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। তারানি আসে। চোখে-মুখে রাগমুখী উত্তেজনা। গেরুয়া রাগ। তবে তা ঠোঁটের লিপস্টিকের মতো ভাসমান নয়। আবিষ্কারের সুযোগ হাতছানি দেয়। অনেক কিছু জেনেও কিছুই জানে না তারাচান!
অহন বাড়ি যাইতাছো কেরে?   ট্রেনে যদি বোমা ফোডে!  ককটেল বোমা!
মরলেই ভালো অইবো, আমার আম্মা খুশি অইবো। আম্মারে খুশি করতাম যাইতাছি। বিয়া! ডিব্বা দেখছে, ডিব্বার রং দেখছে না।।
তারানিকে দেখতে আসবে। কোরবানির গরুকে যেমন করে দেখে। হাত দেখবে, পা দেখবে, চুল দেখবে। আবার মুসলমানী মুরুব্বিরা বলবেন
  মা, কলেমা ফারো, একটু হনাও তো
দেখে-শুনে গৃহপালিত মনে হলে মহলের বাসিন্দা বানাবে।
তারানি তো বন্য। সভ্য সমাজ তার হিমোগ্লোবিন বিরোধী। ডেক- ডেস্ককির মাস্টার হওয়া তার  রুচিবোধের শত্রু।  তবুও বুকে জমানো একটা মেঘ তার ঠোঁটে কম্পন তোলে
   আল্লা কেরে ফোলা বানাইছে না, মাইয়্যা অইয়া ভুল অইছে 

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

শব্দের মাতৃভাষা

::ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়া জোন ::

 কখনো কখনো ''হ'' ধ্বনির উচ্চারণ ''আ''

হাত > আত; হাঁটা > আডা; হাটু > আডু; খালি > আলি; হাতি > আতি;

হারানো > আরানো; হাচ্চি > আচ্চি; হাগা > আগা; হাড়>হাড্ডি>আড্ডি;

হাল> আল; হালচাষ >আলচাষ ; হাঁস > আস;হাতুড়ি >আতুড়ি
::::
 “ও” কারের উচ্চারণ “উ” কারের মতো করা হয়

আলো > আলু; ভালো > ভালু; কালো > কালু; কোথায় > কুথায় ; কোটা > কুটা ; শোনা > শুনা;

সোনা > সুনা; পাঠানো > পাঠানু ; খোলা > খুলা ; চোর > চুর ; ডোবা > ডুবা ; নোনা > নুনা
::::
 আঞ্চলিক উচ্চারণে মহাপ্রাণ ধ্বনি “খ” বিলুপ্ত_
খাওয়া > হাওয়া; খালা > হালা; খুশি > হুশি; খাল > হাল; খোকা > হুকা; খদ্দর > হদ্দর; খাবার > হাবার;
::::
 শব্দের মাঝে কিংবা শেষে যদি ‘ট’, ‘ঠ’ থাকে তবে তা ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার আঞ্চলিক উচ্চারণে ‘ট’, ‘ঠ’ স্থলে ‘ড’ হয়

কাঁটা > কাডা; নাটাই > নাডাই ; ফাটা > ফাডা; নটী > নডি; ছুটি > ছুডি; কোটা > কুডা; মাটি > মাডি; ছাটাই > ছাডাই;

মাঠ > মাড; কাঁঠাল > কাডাল; বৈঠা > বৈডা; ওঠটি >ওডতি , উঠোন > উডান
 ::::

 ‘স’ বর্ণটির উচ্চারণ ‘হ’ বর্ণ হিশেবে করা হয়

সে> হে; শালা> হালা ; সারা> হারা ; সাজ> হাজ; সতীন > হতিন ; সকলে >হুগলে

আবার কখনো কখনো ‘স’ কে ‘ছ’ বর্ণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয়
সালাম > ছালাম; সিলমোহর > ছিলমোহর ; গোসল > গোছল; সালুন > ছালুন > ছান
::::
‘ ক’ বর্ণটিকে  ‘ হ ‘ বরণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয়

কাকা > কাহা; ঢাকা > ঢাহা ; থাকা > থাহা ; সকাল > সহাল , বাঁকা > বেঁকা > বেহা ; ডাকাত > ডাহাইত
 ::::
  ‘স’ বর্ণটির উচ্চারণ ‘হ’ বর্ণ হিশেবে করা হয়
সে> হে; শালা> হালা ; সারা> হারা ; সাজ> হজ ; সতীন > হতিন ; সকলে >হুগলে

আবার কখনো কখনো ‘স’ কে ‘ছ’ বর্ণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয়
সালাম > ছালাম; সিলমোহর > ছিলমোহর ; গোসল > গোছল; সালুন > ছালুন > ছান

বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৪

Dream chemistry even the dream world

Dream world is dream. The matrix of the dream world is dream also.
The moon comes in light with lit light. Lit light is her child. Just because moon is the lighter. On coming the light dark matter ever or never not to be plaintive to wear on. The moon is carnal only for her own child. Known to that she has a power to make her presence over dark arena.
But the power of her is tenant. She is debt to another lighter called sun.
The child of the moon is real dream what is tenable to sense. We are animal busy appreciating the moon and must yes to have her on for the real dream. So the moon is the dream.
And the lighter of the moon cited sun dream of dream.
By this and that thought cave Single one starts entering the eternal zone named dream chemistry.
Main anthem of the dream is imagination. Imagination ensures the creature that this was that,that is this. So the universe is imaginative zone and true what thought is imaginative true.
Imagination is nothing but a dabble power. Power language. A word for the power language appropriate ''Chemistry''.
Dream world is the visible infant of the twig chemistry.
And all our sense indeed dream chemistry even the dream world.

27-30,08,,2013

The bird within tear

An inane bird falls in love of the cloud. But many a time gone away to conceive that the cloud is born to wander. Then the bird passes the time with tear. The tear turns into a body with the mouth and says that I want to have you.
But the bird says that I can’t believe in you. The tear shocked.
 Again the bird habituated dreaming with the raft cloud. Actually It is ramble for the bird. Again after again the dazzle cloud sets in the eye. After on an after the bird is not able to yell anymore. Agony is her food but the tear does not ensure his presence. And the bird is unable to drink the word-‘yes madam, need not to be frosted, I am around you. ‘By and by the bird realizes that she has lost something and very something.
What a luck the bird is!
She does not realize herself!

2 p.m,09,07,2013;Bangla Academy.

Sin the very word

Sin is a very smile and smile very word. He is also social animal. The mentality of abasing him refers to ignore the natural system. We are man busy abdicating sin world. An abductive  mentality comes to the rule and says_
What is good for us, have them;
What is bad for us, quit them.
But what is the standard to rectify the sin world. It is good, that is bad how can we say?
Actually I am yearning for saying that the guilty of sin is the guilty of ours.
The very word sin comes from an origin. The origin does not create anything that we consider sin. When the creation of the origin starts living in our den, we begin filtering the creation. Being failure to adapt ourselves in any sort of creation we bored at first. Then the term of negligence added. We begin to avoid very powerful cute and gentle negotiation. Sin is one of them. So the very limitation of ours is to the limitation of sin.

12,07,2013, Bazarchartalla

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৪

টুকিটাকি টুনটুনি

- জানি ভালো আছেন। রেজা আপনাকে ভুলি নি, ভুলতে পারে না!

- ভুলে যাবেন সেটাও তো ভাবিনি !

- মনের একটা অসীমঘর আছে। মানুষ যখন কিছু ভুলে যায়  অসীমঘরে সেই কিছুর ঠাঁই হয়। ভুলতে পারলে ভালোই হত। শুরু হত মনযোগলের অসীমে বসবাস 

Mind arena



Mind is very short. Very big, the world of the mind is. Mind world is so cute and gentle. To live and to be alive the mind world demands a market. Eventually the mind market is born. Mind market deals in feelings. The task of the mind market is to collect information from various sources. Then blank disk turns into blaring cosmic. Collective information gives forth a lot of active information. This is called active brain system. Active brain system is a device. But it is natural. Automatically it buys and sales information. It is so called information center. If a mosquito bites in any part of the body, the center calls in a doctor. On getting commend the doctor rushes to the mosquito and behaves on the active brain way.
Actually mind is an idea. Brain is not so. But the ray of the brain is the best comrade of the mind.
Early word for the mind is cultivation. It cultivates experience. The collection of experience is mind. A mind without experience is also a mind. But the mind is apart from society. Real thought does not avail them in society. Because it is an angel thought. We are social being for doing evil and noble job. The thought is not available in the word ‘God knows’ but believing usual flow. Usual flow knows who is God.
So the mind without experience is the yacht for cutting comfort. It is a politics for beneficiary too, not for all but for a single cabin. It is narrative to the world that experience always on the mind abed. When a man is dead, his mind also gone away is.
But why?
Because
Experience is a green word. It makes a friend to the alive something.
So
Mind is not a heaven or hell word. It is not the color but the figure of experience. And mind market is very complex. Choice is also dominated by the very complex.





Emranor Reja
313. Zia Hall
University Of Dhaka
22,06,2013
araishidha

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৪

জীবন নদীর বৈঠা

নারীর সৌন্দর্যে জমানো হাজারো বছরের পুরোনো মূল্যবোধ। তাই নারী  হওয়া একটি যোগ্যতা। সুন্দরী নারী!
::::
আত্মবিশ্বাসের জোয়ার থাকলে কোনো সমস্যাই সমস্যা নয়। প্রতিটি সমস্যা ঞ্জানের উত্স হয়ে দাঁড়ায়।
Tide of confidence is rampart at the foreign problem . Every problem is the very source of knowledge
::
 নারীর গুপ্তধনের খোঁজ পেতে কখনো কিছু ভাষা, কখনো সতেজ অর্থ, কখনো কোমল খ্যাতি বিনিয়োগ করা লাগে। আর পুরুষকে জানতে নারীটাকে শুধু নারী হওয়া লাগে।
17 1 2014
::::

নিজেকে খুঁড়তে থাকি।"আমি "কে আবিষ্কার করতে। যে আমিকে জন্মগত ভাবে সাথে নিয়ে চলছি। শরীরের নদী -নালা, খাল -বিল খোঁজে তার দেখা পাই। দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে। কিন্তু হায়! একি? "আমি"তো বড় বেশ শংকর, বড় বেশি শোষণের রক্তে ভেজা । তখন মনে পড়ে আসল কথা! আমার "আমি "বলে কিছু ছিল না, কারোই থাকে না।  

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

::তারানি::

বিষুবীয় পিরিতি। তারানির লগে আমার বিষম পিরিতি। মাইদ্দে মাইদ্দে মনডা লাতার লাহান ফাল দিয়া উডে। কৈ রে তারানি? তুই কৈ!
   তারাচানের এই মনেকথা তারানি বোঝে না। বোঝতে চাই না। ভাবখানা এমন যেন বাচ্চা শিশু। কিচ্চু বোঝে না। সব কিছু গিলায় দিতে অই। আসলে সে বিচ্চু ছেরি।
এই ছেরিডার লাইজ্ঞা তারাচানে মনে আগুন জ্বলে। টিক্কা আগুন। যে আগুন তারানিকে শান্তি দেয়, মুগ্ধ করে না। মুগ্ধ করে লম্বা ছেলে, লাম্বা গ্লেমার। হিস শিশ ঠোঁট, জেন্টেল কিউট মুখ।
 আলো -আধাঁরি আমতলাও তারানিকে ডাকে। যৌবন ডাক। যে ডাকে হাফের বিষ অংগপ্রতি ডেউ তোলে। কৃষ্ণ-যমুনা, যমুনা-রাধা ডেউ।
দৃশ্যলুকানো হাত তারানিকে ধরতে চায়। করতে চায় বেডরুমের ওয়ালপেপার। যে ওয়ালপেপারে নিজেকে কোরবান করেছে  মিলিয়ন নারীর অতীতপ্রবাহ!
 সেই নারীভোলানো মধুবিষ হাত তারানিকে স্পর্শ করতে পারে না। প্রহরীর ভূমিকায় ভালোবাসার কাচঘর। যে ঘরের জন্মকথা বুক ফোটে মুখে আসেনা। তাইতো মুখোমুখি হতে হয়
  আফনের লগে পরিচয় অইয়া ভুল অইছে
তারাচান তখন আসমানের দিকে তাকাই। তার পূর্বপুরুষের কথা মনে আসে
   যার লাইজ্ঞা করলাম চুরি, হে ঐ ক বড় চুর

থোড়া বিথরে

::
  ধন্যবাদ
  ধন্য হোক তোমার জীবন

::
  চোখের সামনে তোমার থাকা
  মনের বনে নিয়ত একা
  You are always in front of eyes
  Alone in lone over the mind

1211013

জীবনের মা ল গা ড়ি ::::

:::
কনডম আত্মঘাতী। নিজের মৃত্যুতে প্রাণের সফল মৃত্যু ঘটায়। প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ। অপরাধ অসাংবিধানিক। তাইতো কনডমের ফাসির আবেদন বরাবরই খারিজ।

:::
বিশ্বাসে বিশ্ব মিলে, কৃষ্ণ বহুদূর
Krishna is sweet afar , earth coalesces at the finger of confidence

:::
কুয়াশার কামড় ভালোবাসার কষ্টের মতো শান্তি। আঠালো সুখ।

শ ব্দ

আরবি-ফারসি শব্দের প্রথমে ব্যঞ্জন বর্ণ এবং তার সাথে ''আ'' কার থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কথ্য ভাষায় ''আ'' কার প্রায় উচ্চারিত হয় না---

নামাজ > নমাজ; কালেমা > কলেমা; রাসুল > রসুল; জামানা > জমানা; মোনাজাত >মনাজাত; তাবলীগ > তবলীগ; হাকীকত > হকিকত, তাসবি > তসবি; তারিফ > তরিফ

গাতা

এক মুঠো চুমু, তিন চিমটি চোখের জল ভালোবাসার স্যালাইন।ভালোবাসার শুষ্ক মৌওসমে এই স্যালাইন বেশ কর্মঠ।
কয়েক ডজন মনের এক সাথে বসবাস।চুঙ্গার আগা দিয়া কালি পড়ে মাংসের গাতায়। গাতায় মাছ লাফালাফি করে। শিং মাছ, পুটি পোনা,কই মাছ।
সোডিয়াম আলো ভালোবাসা ও আকর্ষণে কিরণমাখা লিপস্টিক লেপন করে। ফলে ওষ্ঠ অধরকে দেহসহ চায়।আর অধর ওষ্ঠকে দেহাতীত অনুভব করে।
এইভাবেই শেষ হয়
ভালোবাসার ভেতরে আকর্ষণ, আকর্ষণের ভেতর ভালোবাসার চলচিত্রায়ন
দুংখিত
শুরু হয়

A fist of kiss, three pinch of tear is a saline of the love. In the drab season of the love this man made saline is much more brisk.
A dozen over a dozen mind lives on quaffing analogous decision. In the flesh puddle the soot trickling by the tip of the Cunga. Fish is capering in the puddle.Shing,Poti,Kai.
Sodium light is just dummy for only love and only for attraction. Just because labium wants the base with body. And base intends the labium with mind.
This is the way to end---
the movie of love within attraction
and attraction within love
Oh! sorry
This is the way to be started

08,08,2013
313,Zia Hall

The notion of my motion

I was within a tableland. The name of my tableland is silence. Now I can walk, am able to utter. But I can’t stare at the tabor of my silence.
The earth also cites me that he was also silent. And we were hers. I am puzzled and so on….
Now I am the father of time being. An arena has been created for playing. But when, the field is acceded. I have been the player in confidence. Who says me a player? To be a player a ground is needed. Mind is the ever ground for that. He always sends a message to his nearest feelings. So he is a haberdasher so called. I call him alive partner. Alive means not only the mood of being fresh all times. Alive means the haggle of natural flow. The more I want to be alive the more I am bound to be virtual. Then I have to endure the virulence of the earth. On that mean time the green earth
turned to be viscid earth. We want a idea for satisfaction. The ultimate ulterior of the idea is heaven. Day after day I am habituated by this word. Not for the belief but for the love of heyday habit. And I am yearning for the entrance in the heaven. Only for that I am able to consider earth tiny toy. What I watch, what I think in front of my reality makes me insane. Because everything is the doth of meaningless. Sustain marker kisses the mind. Mind waddles around the wanted earth-heaven. Then there is no alternative to narrate the earth mood.
I am bitter child. My mother utter very unknown word to the nearest ear of mine. When I fall in crying. Her mother also uttered that. It seems to me garland word. Most of the mother bears so unknown a word that still now I don’t know what is the cabal of that uttering. My mother along with her mother does believe. But they don’t conceive the synopsis of the word that is used to console every child in their painful mood.
That garland word is my first motion. Today it makes me mysterious.
In a wide, nature is our mother I think some times. Her great beauty charms me now and then. Gradually I have lost my mind to the earth
.when earth cries I have to cry. I have to chuckle while she is chuckling . But when he is the father of time then I am good for nothing.
My brain is unable to nab the resuming time. Again the habit walks onto the theology. Mind sits alone within the eternity. Love comes to me and encourages smiling. But I make him sure that only sun can smile.But
But from where does sun get so much love?
When I feel myself within the sun. Self provides me a info that I am going to lose my personality.
Why
Because personality is the dress of god.
God is born to change not to be changed.
Since then I am stand still!
I don’t know from where I was!
I don’t conceive where I will go!Sometimes I can’t believe that I am!

313,zia hall
University of Dhaka

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪

নৌকাজল

নৌকাজলে সুখী!
রাধা নিজেরে হারায়  নৌকার ছায়ায়,
তুমিও হারাবা
কানবে সাধক আয়নাসাই
মন হারালে মন পাবে না
নিজের মনে নিজেরে ভাসাও
কৃষ্ণপুরুষ মথুরায় পাঠাও

Beloved are in water boat
Radha lost herself in such criminal flow
you are about to same
crying and crying around the great mirror
Lost mind is for gone last
school your mind within your engird
 Make Krishna free for the Mothura

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪

মধুমালা

এত কাছ থেকে তোমাকে অনুভব করব, ভাবিনি!
সময়ের সাথে আমি যেমন মিশে যাচ্ছি তেমনি তুমিও আমার সাথে
কী?
আমি যেন না বলি
কী?
উপহাসে বেচেঁ থাকে মানুষ
উপহাস! কোথায়?
আমার হাড়ের ভেতর লজ্জাঘরে
যে হাড় বানানো ছিল বনিয়াদি কৌশলে আদিম পাটাতনে
সহজ ভাষায় বলুন
সহজ ভাষায়!
চোরের ভূমিকায় আমি এখন ডাকাত
বাপরে.... তাহলে তো পুলিশ ডাকতে হয়
পুলিশ
আলী বাবা পুলিশের গুপ্তধন
আর তোমার রাজ্যের পুলিশ!
সে তো আমার পোষা গুপ্তচর
আচ্ছা
সওদা বরাবরই পছন্দের নয়, তাই মন বিনিময়ে লেনদেন করব না
ডাকাতির প্রমোশনে সত্রাস হবো
বাজেয়াপ্তের করবো টুকিটাকি গতিপথ, গতিনীতি
ততদিন ভালো থেকো আমার মধু
মধুমালার ত্রিঘাত মোহনায় 

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪

বেকার সামগ্রী ::1

     মানুষ জন্মগতভাবে দস্যু, ধাপ্পাবাজ। গাছ থেকে নেয়, গরু থেকে নেয়, মোরগী থেকে নেয়। নেয়ার কাজে ব্যস্ত।
সমাজ, সভ্যতার উপকারী মানুষ কোথায় থাকে আসলে বলা যার না। তবে তাদের খোঁজে নিতে হয়। তিনারা থাকেন আড়ালে -আবডালে।
নাজমুল আলম সোহাগ। প্রথম কথাতে কেন যেন মনে হলো তিনিও গুপ্তজীবী মানুষ।
জানতে পারি তিনি কলেজে বাংলা পড়ান। বুঝতে পারি ভবঘুরে প্রভাষক।
আলোচনা জমে ওঠে। রাখালছাড়া আলোচনা :
    প্রয়োজন আসল কথা। ধরো, বিয়ের মাধ্যমে সন্তান লিগ্যাল। কিন্তু বিয়ে চালু হওয়ার ইতিহাস বেশি দিনের নয়। তাহলে আমাদের শরীরে জারজরক্ত প্রবাহিত?
প্রশ্নটা অনুভূতির কাছে প্রাসঙ্গিক। উত্তেজনা উপত্যকায়। মাথার উপর দিয়ে চলে ।
তাঁর কাছ থেকে জানতে পারি আমরা একে - অন্যকে সম্মান দিতে জানি না।  আমরা শুধু  রাজনৈতিকভাবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে বিচ্ছিন্ন।
 তার প্রশ্নঘর থেকে একটা চাপা সমাধানের  গন্ধ আসে :  আমরা যেন প্রকৃতির রোষানলে না পড়ি। অথাৎ প্রকৃতির প্রতি শৃঙ্খল মনোভাব পোষণ করা।
তাহলে মানুষ প্রকৃতির অংশ নয়?
নরসিংদীর শহর এই প্রশ্নের উত্তরাখণ্ডে যাবে না। যাবে,  প্রশ্ন নিয়ে বেচেঁ থাকা কিছু অলস মানুষ।  কিছু  নাজমুল আলম সোহাগ। 

রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৪

:::জীবনী ::

Child is just my native mate. But why is totally unknown to me. Either Alaksandar or Socrates is below simple in the child kingdom. Intention is their indeed zone. Bowing head is absent in the child syllabus. This topic charmed me very much.
A child attracts me in the cider mood name Manchura Rahman.I call her ministry of foreign. I have no importance on-round her world. She is the sole king in her adorned universe. No quality i have to be object in hers. I don't know from where i will achieve such a degree to be qualified.
Sudden youth time she comes in front of me. My feelings turn into citric. Eye having elastic member. Courage does not customize itself as a citadel between the eye and feelings. Confidence is constant within the doth.
I am afraid of hers just because she consider my kingdom smoky?
I can not utter any clap adding the prefix 'in' with motion.
whats up, time in the last ,
She starts delivering sound with leaf mood. okay, whats a luck !I have got a opportunity to make her my guest. With the sudden she utter
''Stop, stop now!''
What a glorious beauty, beautiful word!
On then i stare at the pet lychee tree inside the window. The tree is unable to open his wish widely only for the big mango tree above her presence. The lychee tree does not utter for the sole time the word ''stop,stop now''.
My alive life,
Within my whole life you are a Manchura Rahman.
Never and ever I will prefer you to be the lychee tree....

শিশু আমার প্রিয় প্রতিবেশীজন।কারন হিশেবে বেশি কিছু হাজির করতে পারবো না। আলেকজান্ডার কিংবা সক্রেটিস শিশুপৃথিবীতে মূল্যহীন। চোখের সামনে দৃশ্যমান জগৎ তার সাজানো সংসার। শিশুরা পূজা দিতে পছন্দ করে না --- বিষয়টি আমাকে মুগ্ধ করে।
ইদকালে একটি শিশুকে খুব ভালো লাগে। আকিকা নাম মানছুরা রহমান। আমি ডাকি পররাষ্টমন্ত্রী। পরিবারে আমি প্রধানমন্ত্রী টাইপের কেউ। মানছুরাপৃথিবীতে আমার কোনো গুরুত্ব নেই। তার সাজানো সংসারে সে একাই রাজা।প্রজা হয়েও তার রাজ্যে বসবাস করতে যোগ্যতা লাগবে। এই যোগ্যতা অর্জনের উৎস কোথায়, জানা নেই।ফলে এই আমি বৈষয়িক সংসারে রাজা হয়েও মানছুরা রাজ্যে প্রজা হওয়ার যোগ্যতা রাখি না।
যৌবনা দুপুরে পিলপিল পায়ে মানছুরা আমার সামমে এসে দাঁড়ায়। অনুভূতিগুলো চুপচাপ হয়ে আসে । চোখগুলো রাবারময় হয়ে ওঠে। কিন্তু অনুভূতি কিংবা চোখে সাহসের জোয়ার আসে না ।আর আত্মবিশ্বাস বিন্দুকোটায় স্থির। রাজ্যের মূল্য তার কাছে মূল্যহীন বলেই কী এত ভয়? বেগের সাথে ''আ'' উপসর্গর্টি যোগ করেও কিছু বলতে পারি না।
অবশেষে
শিশুসুলভ রেওয়াজ তার পক্ষ থেকে শুরু হয়।যা হোক অতিথি আপ্যায়নের সুযোগ পাওয়া গেল।হঠাৎ বলে ওঠল---
'চুপ কর'আশ্চর্য সুন্দর শব্দ!
জানালার পাশে পোষা লিচু গাছটির দিকে তাকাই। বড় আম গাছটির পাখনার কারনে লিচু গাছটি ডানা ঝাপটাতে পারে না । কোনো দিন বলতে পারে নি 'চুপ করো'।
জীবনী
তুমি আমার কাছে জীবনভর মানছুরা রহমান হয়ে থাকো। কখনো লিচু গাছটি হতে বলবো না....

শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৪

word aroma

বেডা= পুরুষ, বেডি= মহিলা
মূলে শব্দটি ভেড্ডা, ভেড্ডি
বাঙ্গালীদের আদিম অধিবাসী ভেড্ডিক বা ভেড্ডাপ্রতিম মানুষ। অনেকে শব্দটি শুদ্ধতায় উচ্চারণ করে ভেটা, ভেটি। ভেড্ডিকদের জন্মস্পট সিংহল। তারও আগে তারা আদি-অস্ট্রেলিয়ান। 

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৪

জী ব নের মা ল গাড়ি

~বিষণ্ণতা চেতনার জৈব সার

~মানুষ স্বাভাবিকভাবে বন্য ,অস্বাভাবিকভাবে সভ্য

~প্রভুর প্রথম সন্তান প্রণাম

~শিক্ষক আমাদের বন্ধু,পরীক্ষা নেয়ার অর্থ হলো বন্ধু বন্ধুকে অবিশ্বাস করা

~পূর্ণ অসুস্থতা পূর্ণ সুস্থতার পূর্ব লক্ষণ

~মানুষ শান্তি খোঁজে। অথচ কাজ থেকে শান্তি আসে

~ওযু ভেতরে বাহিরে শুদ্ধ করে।তাই ওযু শুদ্ধতার ভিটামিন।
~আমার গুরুর নাম সমস্যা
problem is my teacher

~ভালোবাসা মানে দুর্বলতা ন্য; উদারতা
Love means not sick for anyone; widely wish for weal.

~রাত মানে অন্ধকার নয় ; চোখের অসুখ
Night is not the collection of dark body; very limitation of the eye
~Love; you have killed me
Now
I am going to kill you!
~জীবন একটা রোগ ; আশা,আকাংখা,সম্পদ সেই রোগের জীবাণু
Life is a disease; wish, wistful, property is her germ
~জল আগুনকে পোড়ায়, আগুনে পোড়ে না  Fire can not burn the water ;water can burn the fire
~একা দোষী হওয়ার সুযোগ নেই । তবে । দোষ স্বীকারের মধ্যে রয়েছে সাহসী হওয়ার সুযোগ ।
~দুনিয়াটা নারীর মতো l ধরতে গেলে ফসকে যায় lপিছনে ফেলে আসলে চকিত চাহনিতে তাকায় l
World seemed like the girl to. She is unable to trace the
dote. Doughty to the lose and loose.

~সাহিত্যের প্রায়োগিক জায়গা বহুবিধ।জীবনের সব শাখা সাহিত্যে এসে হাফ ছাড়ে।
আর আমরা অজ্ঞতায় দীর্ঘশ্বাস উড়াই সাহিত্যে এসে !!

~বন্ধু হল নামাজের মতো।
সবাই নামাজ পড়ে কিন্তু আল্লাহকে পায় না।
~হতাশা ব্যর্থতার চেয়েও অনিষ্টকারী
Frustration is born to fuddle the failure

~অন্ধকার রাতের জননী

Dark is the mother only for the night
~লজ্জা ও কামের মাঝখানে বাঙালি নারীর মন
Shy in sex is still ever for the Bangali girl

~মন কখনো ভুল করে না।কারন ।ভুল কি মন তা জানে না, মানে না।সমাজ ভুল নির্বাচনের কারখানা।
Mind does not know what is wrong. The society selects the option.

~কোনো মানুষই মহৎ নয়; তাকে মহৎ বানানো হয়  No man is great; made known to great
~প্রকৃতি ভ্রমণে মন একাই বর। প্রকৃতি তখন আত্মার সময়বন্ধু,আদিম বান্ধবী
Escort out of need across the nature family.Just then nature is native friend, near door....

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৪

জীবন নামের রেলগাড়িটা

সকাল হতেই ঘুমকে বিদায়। সহযোগিতায় পরিকল্পনা। মাতৃসুলভ নাস্তা প্রস্তুত। চায়ের চুমুতে শরীর চাংগা। ফোন আসে।
ভাই, আমার আসতে দশ মিনিট লাগবে।
সময় মতো বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের সামনে আমরা। মাজার মানে দেখার মতো জায়গা। সজাগ চোখে এখানে দেখার মতো হাজার বছরের পুরনো কাছিম অর্ফে কচ্ছপ। ডাকনাম মাদারি। মানুষের বিশ্বাস মাদারির রিজিক। মাদারি  যাদের প্রদত্ত খাবার বেশী খায় খোদায়ী সাহায্য তাদের প্রতি তত বেশী!
সুলতানুল আরেফিন বায়েজিদ বোস্তামী। আরেফিন মানে পরিচয় লাভকারী। ইসলামি ভাষায় যিনি আল্লাহর পরিচয় পেয়েছেন। তার তাপ-প্রতাপ আকাশ থেকে আসে। আমরা জমিনের মানু। তাই মাজার বলতে যা বোঝানো হয়েছে সেখানে যায়নি।
কোথায় যাব? দায়িত্ব চোখের উপর। চোখ আমাদের নিয়ে আসে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন - এর সামনে। চোখ, মাতাল করা নীরবতায় বিস্মিত। পাহাড় ঘেরা। পাহাড়ের পোশাক গাছপালা। গরম সবুজ। সবুজ পরিবারে বিশ্ববিদ্যালয় !অস্তির। বাস্তব অস্তির। শুদ্ধ বাতাসে তরুণিমা কোলাহল।
চোখের ভরসায় বৈঠা ঘোরে। লক্ষ্য পাহাড়। কলেজে পাহাড়। পাহাড়ের পা থেকে মাথায় উঠবো। দেখি, পা এলাকায় গোলক-গর্ত। আসলে তা হলো ঝরনা-গর্ত। স্তরে -স্তরে যে পাহাড় গড়ে ওঠে তারাই কেবল এমন ঝরনা জন্ম দেয়ার হ্মমতা রাখে। যা কিনা পাহাড়িদের টিউবওয়েল।
আমরা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। বিজয় আমাদের। আমাদের পা পাহাড়ের মাথায়।আরেফিন নগর চোখের সামনে চঞ্চল। আহারে! বাচ্চা বাচ্চা লাগে।
অবাক! যখন পাহাড়ের মাথায় ছাগলপাল। জানতে পারি এখানেও মানুর কলোনি।চোখে তাদের খোঁজ। কিছু ঘর- দৃশ্য আবিষ্কার। যেতে থাকি কাছাকাছি কাছে।
টিন-মাটির মিশেল ঘর। ঘরের সামনে বাতাসি উঠোন। উঠোনে দাদি -নাতনির উকুন আনাআনি। পারদেশি আমাদের কাছে পুলক। তাদের কাছে  নিত্য জীবনপ্রবাহ। দাদির কাছে ভিবিন্ন কিছু জানতে চাই। দাদিরা মুখ থেকে আমাদের কানে আসে
  তুয়ার হতা ন বুঝি
খুব অসহায় বোধ করলাম। তখনি তাসলিমা অনুবাদের ভূমিকায়। ক্লাস টুতে পড়ে। ভারী মিস্টি।
হঠাৎ চোখে ভেসে আসে ইটঘর। পাহাড়ের এক কোনায়। আবুল কালাম আজাদ। এই ঘরের মাহাজন। দেখি তিনি রান্নার কাজে ব্যস্ত। পাহাড়ি চাচি থালা-বাসন ধোয়ায়। অল্পভাষা বিনিময়ে ভালো লাগার খেলাখেলি। চাচা চা খাওয়ার দাওয়াত দেন। লোভনীয় প্রস্তাব। মনে প্রাণে কবুল। চাচি চুলায় পানি বসায়। পাহাড়ি পানি। আমি গান ধরি
  টাকা -পয়সায় শান্তি মিলে না রে ,শান্তি কোন জায়গায়
চাচির চোখ বড় হয়ে  আসে। মুখে নেমে আসে  ভাষা
  তুয়ার গানওয়া আত্তে ভালা লাইগগি, তুর গলা বালা, আর ওগ্যা গা
অনুবাদে বুঝতে পারি গান গাইতে বলছে। গান গাইতে থাকি। গানের মাত্রা ওঠা-নামার সাথে ওঠা-নামা করে পাহাড়ি চাচির অংগ।
দোকানি কেক নিয়ে চাচা আসে। চলে চা কেক আর আটারুটির নাস্তা। মনে রাখার মতো স্বাদ।
মোবাইল ফোন কেপে ওঠে। ভাই, আমাদের ট্রেন কয়টায়? মনে পড়ে বাড়ি যেতে হবে।
আমাদের পা মধ্যাকর্ষ শক্তির পহ্মে। পেছনে চারটি চোখ টা টা দিচ্ছে। টা টা দিচ্ছে পাহাড়ের কোলঘেঁষা গায়েবী মাজার। যে মাজারের ইতিহাস জানে না পাহাড়প্রাণ সংগ্রামী মানুষ, আমি, সাবিহা কিংবা জুবায়ের হোসেন অপু

2:1:2014

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৪

থোড়া বিথরে

ভালোবাসায় আড়িপাতা মাংসপোড়া ঘ্রাণ
পোড়ামাংসে খেলা করে মানুষ হওয়ার গান

Flesh to and fro ash flesh eavesdrops in love
Man in shine over the scorched flesh line for time

মৌ খাওয়ার অভ্যস্থতায় মাছি হয়েছে মৌমাছি ~
মৌ তো সাধু ফুলের বীর্য;ফলের পুঁজ ।

১২।১০।২০১৩
৩১৩ জিয়া হল

পাখাহীন পাখি তুমি কতকাল চলবে
পাখির নামটি তুমি অচিরেই হারাবে
How long the bird with swift featherless
Near is going to lose your name

তুমি আমি দুইয়ের মাঝে দূর কত দূর
কাঁটাতারে বৃন্দাবনে দৃশ্য বহুরূপ
মনরে তোমার প্রেমের নাগর ইচ্ছাঅচিনপুর

২৬,০৯,২০১৩
আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন

সাগরঘাটে বসতি তোমার
ঘটিপুকুরের স্নান
ব্রহ্মা তোমার ভাষার দেশে
পৃথিবীর বদনাম
****

মায়ের কান্নায় বাংলাদেশ ভিজে
ঈশ্বর ভিজে না
Bangladesh lubricated with mother's rheum
oh! the God you are indifferent to the due
****
ছেলেধরা মেয়ে তুমি পুরুষ পেয়েছো
মেয়েভোগী ছেলে তুমি মাংস কিনেছো
****
রাহুর রক্তে পিঁয়াজের ভাষায় কথা বলে মানুষ
সময়ের ফাঁকে জীবন ফুরিয়ে যায়, পিঁয়াজ ফুরায় না
****

মরণে বেঁচে থাকে মানুষ
বেঁচে থেকে বদলায় ফানুস

Death gives man life
Life provides balloon with change

08,09,2013 in train

প্রতি হঠাৎ ঘুম থেকে ওঠে তোমায় খোঁজি
তুমি আমার ঘুম ছিলা তখন বোঝি

In every sudden on tearing sleep up in search of you
You were sleep on my is ken
** ** **
তোমার সাথে আমি মিলেমিশে থাকি
অনেক মিলের একটি অমিল
আমি যেন তুমি, তুমি যেন আমি
****
তারাও আমার মতো আয়ু খেয়ে বাঁচে
মানুষও তারার মতো আকাশে ভাসে

Star lives on hope alike me
Man flits in fain as the star

৩০,০৯,২০১৩,বাজার চারতলা,রাত ১২.৩০

তোমার অনেক থাকার মাঝে আমি নেই
আমার অনেক না-থাকার মাঝেও তুমি আছো
****
পিদিম হয়েছি গলে গলে যাই
দহনকালে জন্মে আলো
পৃথিবী সাজাই
****
জীবনের ছোট গাঁয়ে জেগে ওঠে রাত
বেমালুম ভুলে গেছি সূর্যপ্রভাত
সুখের ঋণ নিয়ে কষ্ট কিনি
কষ্টের মালামালে আমি দোকানী
The night has risen in the village of lives Sun dawn gone away beneath behind buying the sorrows by the gala
 I am the seller having the pain part
****

সূর্য ভালোবেসে  ফুল দিয়েছে
চাঁদ আদিম সুখে ফুল নিয়েছে
চাঁদের পৃথিবীতে সূর্য রাজা
সূর্য পাপী হয়ে পূর্ণঅহ জাগা

The sun only loves the moon
But the moon always awaiting
for the sole love of the Sun
On the moon sun is the king
Being sinner sun is still without asleep


তোমার মনে একটি আশা উঠোক জেগে
আমি ছিলাম, আমি আছি তোমার মাঝে
 I am within you for rally ever
You will think so every ever but never

রাতের ভ্রমণ

রাত ঘুমকে সতীন মনে করে। ঘুম-বউকে নিয়ে তুলতুলে সময় বয়ে যাচ্ছে। রাতের সহ্যসীমা ছাড়িয়ে যায়। ঐতিহাসিক মন্ত্রে আমাকে জাগায়। চেয়ে দেখি রাত তখন মাঝ বয়সী রমণী।তার চোখে-মুখে নিঃসঙ্গতার ছাপ। মাথার উপরে ধোঁয়াটে আকাশ।শরীরে হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস।
আমার বয়সী ঘুম-বউ তখন পাশে নেই। কেবল আমি আর রাত। মহাকালপাতা থেকে খসে পড়ে সময়পাতা । তারই মাঝে রাত আর আমি নিঃসঙ্গতা ভাগাভাগি করি।
কখন যেন
শক্তিশালী ঘুম-বউ টেনে খিঁচরে নিয়ে আসে তার ঘরে। তখন আমি নেংটা পুরুষ।
আহারে
ঘুমঘরে রাত নেই; রাতঘরে ঘুম নেই

নুরাইন

আজকাল মনটা দিনকালে যাতায়াত করে। যৌনচাহিদার মোড়কশব্দ 'ভালোবাসা' মানতে না-রাজ নুরাইন।
নুরাইন। কালে ভেসে আসা কনকলতা। ভালোবাসার কয়লায় নিজেকে পোড়ানো যার বিলাসিতা। দেহের যে অংশটি 'পা' বুঝানো হয়েছে নুরাইন তেমনি একটি অংশের মালিক।
বিড়ালটি প্রায় আসে পায়ের কাছ থেকে কাছে।মালিকানার অংশীদার হতে নয়,অংশ বিশেষের দাবি মেটাতে।
শিহরনের লাভা ছড়িয়ে পড়ে নুরাইনে।
নুরাইন তখন গলনাংক।
তরল পশুর সাথে অদেখা পশুর গোপনচলন।
সামাজিক শিকল কাটাতারে সীমানা নির্ধারণ করে।
সামাজিক দূরত্বে  তখন নুরাইনের পা।
পায়ের সাথে দেহের শিহরণপ্রবাহ থেমে যায়।
চলতে থাকে
চোখের সাথে চোখের কথোপকথন,
ভরা সময়ে মনচলন,
মানুষ না-বুঝা শিত্তকার --  মিউ, মিউ

৮,০৬,২০১৩

চাবুক

মরনের মতো দীর্ঘ একটা চাবুক পীঠে আশ্রয়রত| হাজার বছরের ইতিহাস লুকানো তার বিষাক্ত দাঁতে| বিনয়ী বিশ্বাস থোকা থোকা শ্রদ্ধায় আস্থাবান হয়ে ওঠে| আস্থার আধিক্য কেড়ে নিতে থাকে জন্মপূর্ব শক্তিকণা| চর্বিত চর্বণ ''আমি'' করুণার ডাস্টবিনে হাবি খাই| আমার প্রতিনিধি মানুষ পূর্বজন্মের উত্তর পুরুষ
(শ্রদ্ধা এক ধরণের মানসিক পূজা)

২৯,০৯,২০১৩
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন