বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

শব্দের মাতৃভাষা

::ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়া জোন ::

 কখনো কখনো ''হ'' ধ্বনির উচ্চারণ ''আ''

হাত > আত; হাঁটা > আডা; হাটু > আডু; খালি > আলি; হাতি > আতি;

হারানো > আরানো; হাচ্চি > আচ্চি; হাগা > আগা; হাড়>হাড্ডি>আড্ডি;

হাল> আল; হালচাষ >আলচাষ ; হাঁস > আস;হাতুড়ি >আতুড়ি
::::
 “ও” কারের উচ্চারণ “উ” কারের মতো করা হয়

আলো > আলু; ভালো > ভালু; কালো > কালু; কোথায় > কুথায় ; কোটা > কুটা ; শোনা > শুনা;

সোনা > সুনা; পাঠানো > পাঠানু ; খোলা > খুলা ; চোর > চুর ; ডোবা > ডুবা ; নোনা > নুনা
::::
 আঞ্চলিক উচ্চারণে মহাপ্রাণ ধ্বনি “খ” বিলুপ্ত_
খাওয়া > হাওয়া; খালা > হালা; খুশি > হুশি; খাল > হাল; খোকা > হুকা; খদ্দর > হদ্দর; খাবার > হাবার;
::::
 শব্দের মাঝে কিংবা শেষে যদি ‘ট’, ‘ঠ’ থাকে তবে তা ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার আঞ্চলিক উচ্চারণে ‘ট’, ‘ঠ’ স্থলে ‘ড’ হয়

কাঁটা > কাডা; নাটাই > নাডাই ; ফাটা > ফাডা; নটী > নডি; ছুটি > ছুডি; কোটা > কুডা; মাটি > মাডি; ছাটাই > ছাডাই;

মাঠ > মাড; কাঁঠাল > কাডাল; বৈঠা > বৈডা; ওঠটি >ওডতি , উঠোন > উডান
 ::::

 ‘স’ বর্ণটির উচ্চারণ ‘হ’ বর্ণ হিশেবে করা হয়

সে> হে; শালা> হালা ; সারা> হারা ; সাজ> হাজ; সতীন > হতিন ; সকলে >হুগলে

আবার কখনো কখনো ‘স’ কে ‘ছ’ বর্ণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয়
সালাম > ছালাম; সিলমোহর > ছিলমোহর ; গোসল > গোছল; সালুন > ছালুন > ছান
::::
‘ ক’ বর্ণটিকে  ‘ হ ‘ বরণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয়

কাকা > কাহা; ঢাকা > ঢাহা ; থাকা > থাহা ; সকাল > সহাল , বাঁকা > বেঁকা > বেহা ; ডাকাত > ডাহাইত
 ::::
  ‘স’ বর্ণটির উচ্চারণ ‘হ’ বর্ণ হিশেবে করা হয়
সে> হে; শালা> হালা ; সারা> হারা ; সাজ> হজ ; সতীন > হতিন ; সকলে >হুগলে

আবার কখনো কখনো ‘স’ কে ‘ছ’ বর্ণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয়
সালাম > ছালাম; সিলমোহর > ছিলমোহর ; গোসল > গোছল; সালুন > ছালুন > ছান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন