উদ্ভিদ মাটির সন্তান। উদ্ভিদের সন্তান আমরা মানুষ, চোখের সামনে দৃশ্যমান প্রাণিবর্গ। প্রাণিবর্গের আশ্রয়ে লালিত-পালিত অদৃশ্যমান প্রাণিও। মাটির মানে গড়ে ওঠে আমাদের প্রাথমিক মানপর্ব। মাটির রস উদ্ভিদের দেহের পুষ্টিসাধন করে । উদ্ভিদ আমাদের দেহে রক্তসাইকেল গঠন করে। রক্তের পাকাফল বীর্য। শুক্রকিট ডিম্বানুকে প্রেমপ্রস্তাব দেয়। ডিম্বানু তখন তৈরি করে প্রেমিকলিস্ট। সক্রিয় ও শক্তিশালী শুক্রকিট ডিম্বানুর অনুভূতিকে গ্রাস করতে সক্ষম হয়। সম্পন্ন হয় জাইগেট প্রক্রিয়া। শুরু হয় উদ্ভিদ ও শুক্রকিটের দাম্পত্য জীবন। দুই দেহের এক বাড়ি। প্রকাশ পেতে থাকে তৃতীয় শক্তির লক্ষণ মানব শিশু। সময়ের চাহিদা মতো এক সময় পৃথিবীর তালপাতায় কেঁদে ওঠে পৃথিবীসন্তান নবজাতক। নবজাত মাটি নয়, মাটির সংস্কৃতি। মাটির সাথে কথা বলে জানতে পারি মাটি কেবল মাটি হিশেবে নিজের অস্তিত্বের জানান দিতে চায় না। সেও বিকশিত হতে চায়। হতে চায় সুন্দর থেকে সুন্দরতর। প্রয়োজনে সুন্দরতম। মাটির ইচ্ছা সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম প্রাপ্তি নবজাতক। যা কিনা মাটির সংস্কৃতি। যে শিশুটি আজকে জন্মগ্রহণ করল তার কান্নাই বলে দেয়, সে বিকশিত হতে চায়। সে কাঁদে কেন, সে জানে। আমরা জানি না। প্রতিটি কান্না নিজেকে আবিষ্কারের সুযোগ এনে দেয়। কান্নার উৎসে সক্রিয় অভাববোধ। অভাববোধ মহিমাগতিকে তরান্বিত করে। মহিমাগতি সহজেই সৌন্দর্যসাগরে সাঁতার কাটার সুযোগ পাই। আর সৌন্দর্যসাগর হচ্ছে সংস্কৃতি।
সংস্কৃতি চলকমানকে গ্রহণ করে। ধ্রুবকমানকে তার বরাবরই অপছন্দ। সাগর, নদী, পুকুরের পানি প্রায়ই চুপচাপ থাকে। চুপচাপ থাকাই ধ্রুবকমান। কোনো কোনো সময় বাতাস পানিএলাকায় বেড়াতে আসে। তখন পানি নৃত্য করে। আমরা মানবিক ভাষায় পানিনৃত্যকে ঢেউ বলি। ঢেউয়ের সাথে যখন সূর্যরশ্মির চুম্বন প্রক্রিয়া আরম্ভ হয় তখন ভিন্নধর্মী উৎসব দেখতে পাই। আলো-ঢেউ উৎসব। আলো- ঢেউ উৎসব হচ্ছে চলকমান। পন্ডিতদের ভাষায় বললে সংস্কৃতি।
তা হলে আমি যা, তাই আমার সংস্কৃতি? না, আমি যা হবো, তা আমার সংস্কৃতি?
সংস্কৃতি জৈবিক কাজ সম্পন্ন করে ইচ্ছার কান্তিপাড়ায়। ইচ্ছার বৈবাহিক পরিণতি কাজ। কাজের ধারাবাহিক পর্যায় অভ্যাস নামে খ্যাত। অভ্যাস দিয়ে কাউকে চেনা যায়। কিন্তু মান্য করা বা শ্রদ্ধা করা যায় না। অভ্যাসের পাকাফল দিয়েই শ্রদ্ধা বা স্নেহ অর্জন করতে হয়। অর্থাৎ অভ্যাস যখন সার্বজননীন তখন তা গুরুদক্ষিণা পাওয়ার মতো বিশ্বাস অজর্ন করতে পারে। আমারা তখন শ্রদ্ধাভাজন অভ্যাসকে অন্তরে লালন করতে শিখি, প্রায়োগিক আখড়ায় নেমন্তনে মুখরিত করেত চাই সবপাশ, সবশূন্য বলয়-
I will not have a son who can not hold up his head in gathering of the clan. I would sooner strangle him with my own hands. And if you stand staring at me like that, ”
Things Fall Apart: Chinue Achebe
অভ্যাসের পেছনে চিন্তা ধ্যানী। অভ্যাসের একক চিন্তা যদি নিরাপরাধ না হয় তবেই তা প্রথা। নিরাপরাধ যতটা না সময় উপযোগী তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন উপযোগী । ব্যক্তিগত প্রয়োজন সার্বজনীন হয় আপন যোগ্যতা বলে। কালোত্তীর্ণ যোগ্যতা বাজারজাতকরণের মানে নির্ধারিত হয় না। সার্বজনীন যোগ্যতার মান নান্দনিকতা। নান্দনিকতার সামষ্টিক ক্রিয়াঙ্গন সংস্কৃতি, প্রথাকে টেস্ক দেয় না। সে আপন সুরে গান গায়। যাদের সঙ্গীতজ্ঞান আছে ঠিকই তাকে খোঁজে নেয়। কালচার যে রাজ্যের রাজা সেরাজ্যে কাস্টম আক্রমণ করতে পারে না। কারণ কাস্টম ইংরেজ হতে পারে। কালচার সিরাজউদ্দৌলা কিংবা আলীবর্দী খান নয়। কালচার এমন উদার নীতি গ্রহণ করে যেখানে সমস্ত মহিমা চেতনার আন্তর্জাতিক বাজার বসে। ফলে জীবনধারনের পদ্ধতি জীবনমানের পদ্ধতির কাছে পরাজিত হতে বাধ্য। তাই তো কালচার সর্বকালে জয়সূচক শব্দের উচ্চারণ । তারই প্রতিবেশী কাস্টম সাম্প্রদায়িক হীনমন্নতায় আবদ্ধ। খাঁচার মধ্যে ছটফট করে হাছন রাজার মতো। প্রাণবন্ধুর দেখা পায় না। কিংবা লালনের মতো জলপিপাসায় মৃত্যুবরণ করে কালের মহিমায়।
আমার আব্বা কৃষক। তিনি কৃষি জমিতে চিন্তা ও শ্রমের কর্ষণে ফসল ফলান। উৎপাদিত ফসল আশানুরূপ না হলে তিনি বলেন ফলন ভালো হয় নি। কখনো বলেন না, উৎপাদিত ফসল খারাপ। উৎপাদিত ফসল হলো বীজের সংস্কৃতি। আর সংস্কৃতি কখনো ‘অপ’ বা ‘খারাপ‘ হতে পারে না। তা হলে বীজকে অস্বীকার করা হয়, বীজ মূলত একটি ধারণা। যে ধারণা মানুষের প্রয়োজনে সময় উপযোগী সুযোগ ব্যয়ের ধারণা পূরণ করে তা-ই সভ্যতার স্মারক। তাই সংস্কৃতির বিপরীতে অপসংস্কৃতি বলা সভ্যতার তিলকে অজ্ঞতার চিহ্ন রাখার নামান্তর। সংস্কৃতি শব্দটি পজেটিভ। আর পজেটিভ শব্দ নেগেটিভ উপসর্গকে সহ্য করে না। সতীন মনে করে। ঝগড়া হয়। তখন আমরা ঝগড়ার সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ি।ঝগড়ার সংস্কতি! হ্যাঁ। মন্দ সংস্কৃতি বলে কিছু নেই। তবে। মন্দের সংস্কৃতি বিদ্যমান। যার সাথে অভিযোজন প্রক্রিয়া অল্প সংখ্যক মানুষের সম্পন্ন হয়ে থাকে। হয় তো সচেতন অনুভূতি বিষয়টি আঁচ করতে পারে-
The music in my heart I bore
Long after it was heard no more
The solitary Reaper: wordsworth
মন্দের সংস্কৃতি চরিত্রহীন। চরিত্র ছাড়া নয়। চরিত্রহীন মহান শব্দের সম্পূরক। চরিত্রছাড়া ভীরুতার সমার্থক। চরিত্রহীন সাহসিক আখড়ার সাধু সন্ন্যাসী। একজন মানুষ যদি সত্যিই আলোচিত অ-মানুষ হতে পারে সেও সভ্যতার কাজে আসে। শরীর পচঁনশীল বলেই পৃথিবী গোলাপগন্ধময়। আমরা তাও জানি, গোলাপগন্ধের স্বীকৃতি অন্য কোন বিপরীত অসহ্যনীয় গন্ধ। দুটিই গন্ধ। একটির সাথে আমাদের ইন্দ্রিয় মানা-মানি খেলা খেলতে পেরেছে। অন্যটির সাথে পারি নি। এটি আমাদের ইন্দ্রিয়ের ব্যর্থতা। ইন্দ্রিয়ের ব্যর্থতাকে প্রাকৃতিক ব্যর্থতা বলা কি মানব স্বভাবজাত? নইলে মন্দের সংস্কৃতিকে আমরা কেন সামাজিক জীব হিশেবে আখ্যানকাব্যে স্থান দিবো না।সংস্কৃতি আর মন্দের সংস্কৃতি স্বামী-স্ত্রী। তাদের বিবাহকার্য সম্পন্ন হয় আড়ালে-আবডালে। পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ তাদের বিবাহের সাক্ষী। নদীর বয়ে চলার স্বাভাবিকতা তাদের কাবিননামা। পৃথিবীর নিয়ম-নীতিকে কাঁটাতারে বন্দী রেখে তাদের সকল মিলন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তখনই চিন্তার সারিতে যোগ হয় নতুন শব্দ সভ্যতা। মন্দের সংস্কৃতি আর সংস্কৃতি আলোকময় সন্তান। পৃথিবীর সন্তানের কাছে তাকে চেনা চেনা মনে হয়। শিশুসভ্যতার হাঁটি-হাঁটি, পা-পা স্বভাবটি পৃথিবীর মানুষের কাছে বিদেশে চলে যাওয়ার মতো মনে হয়।সংস্কৃতিবান জাতির শব্দ চয়নে তাজা প্রাণের বিলক্ষণ শোভা পায়। শব্দে জাতির মানসিক অবেগটিও ওঠে আসে। কারণ। শব্দের লাওহে মাহফুজ ই”ছা বা চিন্তার পাটাতন। চিন্তার পূর্ণায়ত অভিব্যাক্তি প্রকাশ পায় শব্দের আবর্তন-বিবর্তনের মধ্যে। তাই তো আমরা কি বলতে চাই বা কি বলব তারই মধ্য দিয়ে ওঠে আসে আমরা কেমন। প্রশংসার আধিক্য জন্ম দেয় তোষামোদী স্বভাব। প্রশংসার স্বল্পতাও বিকাশের জন্যে ক্ষতিকর। প্রশংসার স্বাভাবিকতা কোনো জাতির আলোয়ত অবয়ব সংস্কৃতি। তোষামোদ প্রক্রিয়া কখনো বাক্যের সংস্কৃতি হতে পারে না। তোষামোদ প্রক্রিয়া চরিত্র ছাড়া। তাই এর কবরের নাম ডাস্টবিন।কবি শব্দটি গাম্ভীর্যপূর্ণ। শব্দটিকে ওজন করার মানদণ্ড নেই। সংস্কৃতিবান শব্দ। আমরা যদি ‘কবি’ শব্দটির আগে কোনো বিশেষণ যোগ করতে চাই তাহলে ‘কবি‘ শব্দটিকে অপমান করা হয়। কারণ। এমন কোনো বিশেষণ তৈরি হয় নাই যা ‘কবি’ শব্দটির আগে বসার যোগ্যতা রাখে। ‘কবি’ যেহেতু পজেটিভ শব্দ তাই তার আগে (ভালো কবি, খারাপ কবি, বাজারি কবি, রাজনৈতিক কবি, ধান্দাবাজ কবি) বিশেষণ ব্যবহৃত হওয়ার নয়। লেখক, মানুষ, মধু, দুধ প্রভৃতি শব্দের বেলায়ও একই কথা খাটে।বেঁচে থাকার মৌলিক শক্তি প্রাণ। তাকে বড় কিংবা ছোট করে দেখানোর কোনো উপায় নেই। তারপরও প্রাণকে ‘ছোট প্রাণ’ বলে যারা বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তারা কতটা নির্বোধ? গল্পের পক্ষেও একই কথা বলতে পারি। গল্প ছোট কিংবা বড় হতে পারে না। গল্পের ওজনদণ্ড গল্প নিজেই। সংকীর্ণ মানসিকতা চরিত্র ছাড়া বৈশিষ্ট্যকে মোটাতাজা করে। যারা সরাসরি কর্মের সাথে জড়িত তারাই শব্দের পিতা। তাদের চিন্তায় নতুন শব্দের উর্বর ভূমি। উৎপাদিত শব্দ এক সময় লেখককারখানায় এসে বাজারজাতকরণ সম্পন্ন হয়। বিপনন প্রক্রিয়া তারাই সম্পন্ন করে।মধ্যবর্তী মানুষ শব্দসাঁকো ব্যবহার করে প্রয়োজন নদী পাড়ি দিয়ে থাকে। আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে যে শব্দ তৈরি হলো তাকেই গ্রহণ করা উচিত। অক্সিজেনকে ‘অক্সিজেন’ হিশেবে বাক্যপরিবারে জায়গা দেওয়া উচিত। ‘অম্লজান’ বলা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়। তাতেই বিশৃঙ্খলা। ‘অম্লজান’ শুধু অক্সিজেন না, কার্বন-ডাই-অক্সাইডও বটে।হিস্ট্রি আর ইতিহাস এক কথা নয়। তার পরও আমরা ‘হিস্ট্রি’ কে ইতিহাস বলে রুচিবোধের জায়গাকে গর্ব দেই। সংস্কৃতিবান শব্দের ধারক মনে করি। "হিস্ট্রি " শব্দের উৎপত্তি Histaria থেকে। লেটিন "histaria " মানে to investigate (কোনো কিছু আবিষ্কার করা) । ইতিহাস শব্দটি সংস্কৃতি ‘ইতিহ্’ শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ দাঁড়ায় ‘ঐতিহ্য’। ঐতিহ্য কীভাবে ইতিহাস হয় তা বোধগম্য নয়। যেমন বোধগম্য নয় Science (From Latin Scientia, meaning “knowledge” is a systematic enterprise that builds and organizes knowledge in...) কীভাবে ‘বিজ্ঞান’।Science শব্দটি ‘বিজ্ঞান’ (বিশেষ জ্ঞান) বলা রুচিবোধের স্খ’লন। ‘শুদ্ধ’ শব্দটিকে ‘বিশুদ্ধ’ (বিশেষ ধরনের শুদ্ধ) অভিধায় জাতে তোলা অলঙ্কারের আধিক্য। অলঙ্ককারে আধিক্য স্বাভাবিকতা নষ্ট করে। কৃত্রিম কিছু সংস্কৃতি হতে পারে না। স্বাভাবিকতার মাঠে সংস্কৃতি হাত তালি দেয়। ‘শুদ্ধ‘ কে ‘বিশুদ্ধ’, ‘জ্ঞান’কে ‘বিজ্ঞান’ বলে উ”চারণের দীর্ঘ প্রক্রিয়াই তৈরি করা হয়। কাজের কিছু হয় না। আর বাক্যের সংস্কৃতি এখানে ভাবা যায় না, মেনে নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। বরং প্রচলিত ভুল বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করতে পারি। নতুবা কতটা বর্বর জাতি তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে। রোগের সুপ্ত জীবাণু যত তাড়াতাড়ি লক্ষণ হিশেবে প্রকাশ পাবে ততই রোগীর জন্যে ভালো। অন্তত চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে।
তবে, আমরা কোথায় যেন আছি?
ফুলের সৌন্দর্য মানব অনুভূতিকে আকর্ষণ করে। এটি বাস্তব ও কাব্যিক। ফুলের সৌন্দর্য আকর্ষণে যে চোখ ব্যর্থ, বুঝতে হবে সে চোখে সমস্যা আছে। ফুল ফুলবৃক্ষের জীবনাচরণ নয়। জীবনের বিকশিত রূপ।
তেমনি মানুষের জীবনাচরণের বিকশিত অবয়ব তার সংস্কৃতি। এটি অন্য মানুষকে এমনকি অন্য প্রাণিকেও আকর্ষণ করবে, তা বাস্তব ও কাব্যিক। তাতে যদি দ্বিমত থাকে তবে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা রয়েছে মনে, মননে। সমস্যাটির ডেলিস্টার নাম দেয়া যেতে পারে সুবিধার রাজনীতি, মৌলবাদের উগ্রোতা যেখানে ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন‘ জাঙ্কফুডজাতীয় শব্দ। শব্দসংস্কৃতির ক্ষতিকারক লিটলবয় ।
সংস্কৃতি যখন জনসমাবেশে যাবে তখন বুঝতে পারবো তার উপযোগিতা কতটুকু। সৌন্দর্যের কাঁচঘরের আরামদায়ক বাসনা তার নিজস্ব সৌন্দর্য। সত্তাকে সমৃদ্ধ করে। সৌন্দর্যবোধ-এ মতানৈক্য থাকতে পারে, দ্বন্দ্ব থাকতে পারে না। কারণ। সংস্কৃতির রক্তপ্রবাহ সৌন্দর্য। যিনি নিজেই একটা শক্তি। তাই তো ভুলে যেতে পারি না ‘আমার এলাকায় আমি রাজা’। বাক্যটি লোকজ, আবেদন শক্তিময়।
সংস্কৃতি হলো শক্তিময় এলাকার পিতা " পীরবাবা।
শক্তি বিনাশে বিশ্বাসী নয়, রূপান্তরে আশা রাখে।
আর আমরাই সেই রূপান্তরের শিষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫, জুন ০৬, ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন