বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

::তারানি::

বিষুবীয় পিরিতি। তারানির লগে আমার বিষম পিরিতি। মাইদ্দে মাইদ্দে মনডা লাতার লাহান ফাল দিয়া উডে। কৈ রে তারানি? তুই কৈ!
   তারাচানের এই মনেকথা তারানি বোঝে না। বোঝতে চাই না। ভাবখানা এমন যেন বাচ্চা শিশু। কিচ্চু বোঝে না। সব কিছু গিলায় দিতে অই। আসলে সে বিচ্চু ছেরি।
এই ছেরিডার লাইজ্ঞা তারাচানে মনে আগুন জ্বলে। টিক্কা আগুন। যে আগুন তারানিকে শান্তি দেয়, মুগ্ধ করে না। মুগ্ধ করে লম্বা ছেলে, লাম্বা গ্লেমার। হিস শিশ ঠোঁট, জেন্টেল কিউট মুখ।
 আলো -আধাঁরি আমতলাও তারানিকে ডাকে। যৌবন ডাক। যে ডাকে হাফের বিষ অংগপ্রতি ডেউ তোলে। কৃষ্ণ-যমুনা, যমুনা-রাধা ডেউ।
দৃশ্যলুকানো হাত তারানিকে ধরতে চায়। করতে চায় বেডরুমের ওয়ালপেপার। যে ওয়ালপেপারে নিজেকে কোরবান করেছে  মিলিয়ন নারীর অতীতপ্রবাহ!
 সেই নারীভোলানো মধুবিষ হাত তারানিকে স্পর্শ করতে পারে না। প্রহরীর ভূমিকায় ভালোবাসার কাচঘর। যে ঘরের জন্মকথা বুক ফোটে মুখে আসেনা। তাইতো মুখোমুখি হতে হয়
  আফনের লগে পরিচয় অইয়া ভুল অইছে
তারাচান তখন আসমানের দিকে তাকাই। তার পূর্বপুরুষের কথা মনে আসে
   যার লাইজ্ঞা করলাম চুরি, হে ঐ ক বড় চুর

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন