মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩

বাসুদেব অর্জুন এবং

 —একটা কথা বলতে চাই, আপনি মাইন্ড করবেন বাসুদেব?


— আগে বলো, তারপর মাইন্ড করি।


—হা হা হা, বাসুদেব আপনি রসিকতার রাজা। 


— আপনাকে অনেকে লম্পট, নারীলিপ্সুক বলে। 


— হা হা হা, যারা বলে অতিসত্য কথা বলে, তবে সত্য বলে না। 


— কেমন বিষয়টা বাসুদেব, ঠিক মাথার উপর দিয়ে গেলো?


— অর্জুন গাছের ছাল থাকে না, জানো তুমি?


— জ্বি বাসুদেব, হরিণের সুস্বাদু মাংস যেমন হরিণের শত্রু তেমনি অর্জুন গাছের ছালের অধিক উপকারিবোধ তাকে গাছের সাথে থাকতে দেয় না।


— যে নারী আমাকে অধিক ভালোবাসে সেই আমার উপর কলঙ্কের অলঙ্কার লেপন করে যাতে শেষপর্যন্ত আমার শরীরে ছাল থাকে।


— শোনো অর্জুন, তোমাকে একটা কথা বলি।


— বলুন বাসুদেব, আমার মনোযোগ আপনার দাসত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত।


— জোলেখা ইউসুফকে জেলে দিয়েছিল, অনেকে অনেক  কারন বলে থাকে, মূল কারন আরেকটা— জোলেখা চেয়েছিল ইউসুফের সৌন্দর্য অন্যকোনো নারী না দেখুক এবং জোলেখা প্রায়ই চুপিচুপি কারাগারে ইউসুফকে দেখতে যেতো।


— ও মাই গড!  একি বললেন বাসুদেব!! 


— শোনো অর্জুন, নারীর দেয়া আঘাতেও মমতা থাকে, সেই মমতা ধারণ করতে পারলে মায়ার জগতে যাবে তুমি— মায়া থেকে এই মহা জগতের সৃষ্টি— মহাকাল মায়ার মোহনজালে টিকে আছে।