মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭

বোরখা

বোরখা বিক্রি বাজারে বেড়েছে। মুসলিম মুমিনার সংখ্যা বাজারে বেড়েছে। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে জন্ম নিবে আল্লার অলী। কারন মা যদি হয় মরিয়ম সন্তান হবে ইশা রুহুল্লাহ , মা যদি হন আমেনা ছেলে হবেন হযরত মোহাম্মদ ()। যেহেতু পর্দা নারীর হাতপায়ের মতো আরেকটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ সেহেতু পর্দানশীল নারী ব্যতীত ফরহেজগার সন্তান আশা করা যায় না। জান্নাতের প্রত্যেক বিভাগে পর্দানশীল আমার বান্ধবীরা থাকবেই থাকবে ইনশাল্লাহ।

এতক্ষন একটি গড় হিসাব হাজির করলাম। গড় হিসাব, মাথাপিছু আয়, জাতীয় আয় প্রভৃতি হিসাব অনেক সময় হাস্যকর।

ধরেন একটি দেশে দশজন মানুষ। দুইজন মানুষের কাছে আছে দশ হাজার টাকা, ছয়জনের কাছে দুই হাজার, একজনের কাছে একশ টাকা, এক জনের কাছে কোনো টাকাই নাই। গড় হিসাব করলে যার কাছে টাকা নেই তার মাথায়ও একটি বিশাল অর্থপরিমান চলে আসবে, অথচ লোকটির কাছে কোনো টাকাই নেই।

অনেক বোরখাওয়ালীর আমল নামায় নেকনামার কোনো হাসিয়ত নেই। তারপরও তারা বোরখা পড়ে।

কেন?

কারন বোরখা পরিধান করলে কাপড় বেশি পরতে হয়না। মেয়েদের একসেট কাপড় বর্তমানে দুই হাজার টাকার নিচে কল্পনা করা যায় না। আর প্রতিদিন একসেট কাপড় পরলে প্রসাধনী প্রতিযোগিতায় নিজের অবস্থান থাকে না। তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাই উত্তম পন্থা বা সিরাতুল মুস্তাকিন।

পার্কের প্রত্যেক জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো। যে মেয়েটি ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে পারে না তারও তো টেম্পু চালানোর শখ জাগে। তারা তলে তলে টেম্পু চালাবে কিন্তু অন্য লোক জানবে ক্যানে ...তাই বোরখা আবরন নিরাপদ। রাতে যে হোটেলে স্বামীস্ত্রী পরিচয় দিয়ে একসঙ্গে থাকবে সেই হোটেলেও সিসিক্যামেরা লাগানো। সুতরাং তুমি বাসা থেকে বোরখা পরে আসবা।

কেন?

আরে বুঝ না সময়টা সিসিক্যামেরার ....

বোরখা পরে পাশাপাশি রিকসায় বসা মানে ছোটোখাটো নাইট ক্লাব। হাজার দর্শকের মন মাতিয়ে সুন্দরী কমলাকে নাচতে হয় না। একজনের মন মাতালেই হয়। রিকসায় তখন প্রচন্ড মাতন্ড তাপ। এই তাপে দুইজন বিগলিত আর একজন মানে রিক্সাচালক মনে মনে জমা করে যৌবন তাপ-- রিকসা গ্যারেজে জমা দেয়ার সাথে সাথে রাস্তার মোড়ে দাঁড়ানো যৌনকর্মীদের কাছে হাজিরা দিতে আরম্ভ করে। সারাদিনের জমানো টাকার একটি বিশাল অংশ যৌনকর্মীরা নিয়ে নেয়। ফলে গ্রামের বাড়িতে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কায়ক্লেশে থাকা জরিনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না আক্কাস মিয়া -- " হারা বছর ডাহা শহরে কাম করে টেহা কই? "

আক্কাস মিয়া জরিনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। আক্কাস মিয়া কেবল পাথরের মতো চুপ থাকে। একসময় ঘরের ব্যয় বহনের ভার গ্রহন করে কিছুটা জরিনা।

জরিনা মানুষের বাড়ি বাড়ি কাম করে। জরিনার ভরা যৌবন দেখে সর্দারের মনে জোয়ার আসে। সর্দার জরিনারে জোছনা রাইতে আইতে কয়। সর্দার জরিনারে লইয়া পীর ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। মাইনসে জিগাই বিবিরে লইয়া কই যাও সর্দার ...সর্দার ইনিয়ে বিনিয়ে নানা রকমের উত্তর দেয়। বোরখা পরার কারনে জরিনাকে চিনতে পারে না মানুষ।

জরিনা এখন বোরখা পরে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে দাঁড়ায়। রিকসা গ্যারেজে জমা দিয়ে যৌবন তাপ ঠান্ডা করতে আক্কাস মিয়া বোরখা পরা জরিনাকে ভাড়া নেয় এক রাইতের জন্য...

এখন আর জরিনা আক্কাস মিয়াকে জিজ্ঞেস করে না হারা বছর ডাহা শহরে কাম করে টেহা কই....

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৭

উথাল

চরমে যাবার ভয় বারবার জড়ায়ে ধরে
পরমকে পাওয়ার আকুতি বারবার হৃদয়ে আসে
গুনাগারের মতো ভগবান আমার বারবার ডাকে

আমি যেতে চাই
আমি ধরতে চাই
ঘুমাতে চাই যোনির ভেতর গতিশীল নদী হয়ে

ঘাসফুল অজ্ঞান না হয়ে মরে যায়,
আকাশ থেকে নেমে আসে নৌকাবাইচ-- লাল পতাকা-- নাগরিক শব্দ থেকে নিস্তার নেই-- বাড়িদের কোনো ঘর নেই-- এতো নাইএর মাঝে ক্যামনে মাঝি নৌকা চালায় ইচ্ছে জাগে জানিবার-- বৃষ্টির মতো মোনালিসা মেঘ আসে-- সৃষ্টির জল চলে যায় পাহাড়ে-- চলে যায় পর্বতের পরপারে।

কেন তুমি হাসতে জানো না?

কেন তুমি প্রার্থনার মতো চুপ থাকো ইথারে ইথারে?

কেন তুমি পুষে রাখো কাফের অভিমান?

আমি তো রোজ মানুষ, মিনিটে মিনিটে মানুষ, কিয়ামতের পরেও মানুষ-- আমার জন্য একপাশে দোযখ অন্যপাশে স্বর্গ-- অনিয়মিত হাসি আমাকেও দিতে হয়-- স্বর্গের লোভে আমিও কায়েম করি সালাত-- আমার হৃদয়েও আসে কামাতুর এলহাম।

কেন তুমি মেলে ধরনা ভোরের আলো, রাত্রির কম্পন? জীবন তো এমনই মুহুর্তের ভেতর বেহুলার মতো সংগ্রাম প্রিয়-- লাতামুরগী থিউরি মেনে নিলে সঙ্গমে তবলার মতো সুখ বাজে কানে কানে-- প্লাজমা হয়ে যাই তবুও নিরাকার ফুল তুমি-- ভুলের শহরে অধিক ভুল।

নির্বাচিত ভুল থেকে জাদুঘর হবে, স্তনের উপরে দেয়া হবে চুপচুপে স্পর্শ-- লিওনার্দো রচনা করবে লাভ স্পটের বহুভুজ চিত্র-- এ্যাভসার্ড আইডিয়া।

কাল থেকে ঝড় হবে
বৃষ্টি হবে মাঝেমাঝে

শিলাবৃষ্টিতে রচনা হবে নাভিমূলদেহ

দেহের ভেতর জমা হবে পলিমাটি সুখ-- পকেট ভর্তি মাধ্যমিক গনিত।

কাজ হবে না
ধ্যান হবে না
সকাল হবে না
কেবল প্রিয়তমা পাখির মতো শব্দের ওমে পালিয়ে যাওয়া কোনো এক নীরব শহরে।

আসবো না
বসবো না
কইবো না কতা তর লগে-- প্রয়োজন বলে কিছু নেই-- কিছু নেই সমস্ত আয়োজনে-- পৃথিবী এখন গনিত সমাধান-- তুমিও আমার মতো আস্ত অভিমান 

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

সেল

বারবার বলি ধুলা রেখে আসো, সে ধুলা দেখে আসে-- দুধেও মাছি আসে বিষাক্ত পাখনায়-- একবার ধুলামাখা মুখ দেখ মনের আয়নায় 

রো

রোগীর অভিনয় করলে কবিরাজ আর ডাক্তারের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায়-- রোগীকে চিনতে হলে ডাক্তারের অভিনয়ের প্রয়োজন হয় না

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৭

নেয়া

নেতা এমন কোনো বিষয় না যা ইন্না আনজালনাহু ফি লাইলাতুল কদর, মানে নেতা কদরের রাতে নাযিল হয় না। আমাদের মধ্যে থেকেই নেতা তৈরি হয়। জনগন যেমন হবে তার প্রধানকে তেমনি হতে হবে নতুবা অন্ধের দেশে চোখগত সমস্যা তৈরি হবে 

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

সুরের

একটা সময় সুরের খেলা কিছুই বুঝতাম না। এখনো বুঝি না। তবে কিছুটা বুঝি। এখন গান শুনতে গেলে কথা মনে থাকে না। বারবার সুরের কাজে মগ্ন হয়ে যাই। সুরে যেন কথাগুলো পানাফুলের মতো ভাসে-- আমিও ভাসতে থাকি আংশিক কথার ভেতর অধিকাংশ সুরের ভেতর 

এউজি

এই পৃথিবী সতীনের মতো শুধু দখল নিতে চায় 

গভীর আশায় বারবার ভুলে যাই মানুষ হয়েও জলের জালের মাছ 

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭

ঘরে

আমি মানে নিরাকার। যত গভীরে যাই ততই ছোট হয়ে আসে আমার চোখ কান নাক গলা মুখ। মুখের গল্প যেন সময়ের ফেনা-- সময়ের ঢেউয়ের তালে ফেনাদের জীবন।

একদিন একদিন করে মানুষ মরে যায়
মানুষ মরে যেতে যেতে আশার বীজ রেখে যায় ।

আশার বীজ থেমে গেলে হৃদয়ের ঘাটে পানাফুল ফুটে-- থেমে যাওয়ার নাম গতি, পরাজিত জীবন জয়ের বাতাস।

নিরাকার আমির নাম নেই কোনো, কত নামে ডাকে লোকে আমাকে তোমাকে, আমাকে দেখা যায় না তবুও দীর্ঘজীবী কার্বন কপি আসে সময়ের ফ্লেপে।

বাস্তব এমনই যা দেখে না তাকে দৃশ্য বলে
যা শুনে না তাকে কথা বলে
যা বুঝে না তাকে বোধ বলে
এক চমৎকার অদৃশ্যের ভেতর কেটে যায় রাধাফুল জীবন, হরতাল, হাতিয়ার-- আমার ঘরে আমিই নিরাকার। 

তোলা

তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে আমাকে পেয়ে গেলাম 

:!:

যাবে
       কোনো এক খাদে
             জীবন হারালে
                      জীবন পাবে

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

সবই থেকে যায়

নতুন নক্ষত্রের আলোর রং নীল
অনেক তাপ তারে দিয়েছিল চিল
হলুদ আকাশের নীল নীল চিল
নক্ষত্রও বৃদ্ধার মতো ফুলে ফেঁপে উঠে বয়সের বাড়ে-- ঝুলে পড়ে তার শুকনো স্তন-- পুড়ে পুড়ে লাল হয় তার দেহ-- তখন মনে পড়ে তার যৌবনপ্রতারনার কথা-- কাকে যেন কথা দিয়েছিল অভিসারের-- কার ঠোঁটে যেন রেখেছিল ঠোঁট অভিনয়ে-- সব মনে পড়ে তার খুব করে।

সময়ের ফাঁদ চোখের ভেতর থেকে যায় চোখ হয়ে
একদিন একদিন করে ফিরে আসে অগ্নিগোলক হয়ে স্মৃতির ঘরে...
নদীর মতো
জলের মতো
পাহাড়ের মতো
পাখির পাখনার মতো সে তখন কথা কই
স্মৃতির আগুনে ফুটতে থাকে যতসব স্মৃতির খই।

সবকিছু থেকে যায়-- গতকাল থেকে যায়--আজ থেকে যায়--আগামীকাল থেকে যায়

সবকিছু থেকে যায় -- চিল নীল ভুল ফুল
আমরা শুধু নক্ষত্রের মতো আমাদের এঁকে যাই। 

অন্তত

অন্ধকারে তুমি আমি এক
আলোতে যত প্রকার প্রভেদ

অন্য

অন্ধকার হলেই জোছনা ফুটে
অন্ধকারেই আমাদের শত শত ভয়
পাখি উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে
নদী বহে বাঁকে বাঁকে
ভয়ার্ত মানুষ ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে যায় দ্রুত পায়ে
পিলার ধরে জমতে থাকে প্রাচীন কিছু কথা
গভীর কোনো এক স্বপ্ন লুকিয়ে বাড়ি ফিরে হাসনাহেনা
প্রতিদিন একটু একটু বেঁচে থাকা 

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রেম

প্রেমকে তুলি দিয়ে আর্ট করা যায় না, প্রেমকে শব্দ দিয়ে ধরা যায় না, প্রেম কোনো সুরের নামও নয়, প্রেমকে জলে খুঁজতে মানা, প্রেম চাপ তাপ ব্যথায় ভরা কোনো এলাকা নয়, প্রেম নয় কোনো সিনেমা যা হলে দেখা যায়, প্রেম কোনো বাবা নয় যার কাছে চকলেট চাওয়া যায়, প্রেম তো নবজাতক শিশুর মা নন যার স্তনে আস্থা রেখে শিশু ঘুমায়, প্রেম এমন কোনো ফুলের সর্বনাম নহে যার গন্ধে স্নান করা যায়, প্রেমকে রাতের অন্ধকারে ঢাকা যায় না-- প্রেম এক অধরা কাহিনি যার পেছনে আমৃত্যু ছুটে চলে মন আর তার শুদ্ধ বাহিনী। 

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রতি

প্রেমিকের রাডারমন
কথা বললে প্রেমিক যতটুকু বুঝে তারচেয়ে বেশি বুঝে কথাহীনতায়

কেন তুমি ব্যাখ্যা করতে আসো প্রিয়?

প্রেমিককে শিশু ভাবা অন্যায় পাপের অধিক পাপ
মোমবাতি আর প্রেমিক হমান হমান-- দিয়াশিলাইয়ের আশায় বসে থাকে জ্বলবার বাসনায়
আগুনে আগুনে প্রেমিকের মন সাজায় সাধনায়
গভীর হতে হতে আদম হাওয়াকে হারায়
হারাতে হারাতে হাওয়া আদমকে নাহারানোর মতো পায়
প্রেমিকের চাওয়া পাওয়া সমাজচোখে দেখা যায় না
ফুলের দোকানে থাকে রাধা ভুলের দোকানে না
সাবান তো তখনই সাবান যখন তা ফেনা 

মন খারাপের সকাল বেলায় পাশে একটু বসতে দিও
আমিও মানুষ দুঃখ আসে এই কথাটি মনে নিও
কাছে থেকো পাশে থেকো উষ্ণ হৃদয় ছোঁয়া দিও
ফড়িং মনে উড়তে গিয়ে সাথে তুমি আমায় নিও

মানুষ থাকে

সকাল বেলা দেখা হয়েছে কোন এক শুক্রবারের লগে। লাল শুক্রবার বলতে একখান কথা আছে। মা হিসাব করতেন শুক্করে শুক্করে আসট। কত লাল কিংবা আসট শুক্রবার জীবন থেকে  চলে গেল দূরের কোনো এক অচেনা গ্রামে যেখানে সূর্য আসে না--

থাকে শুধু অন্ধকার
থাকে না বনলতা সেন
থাকে না হাঁটাবাবা
থাকে শুধু বন্ধ্যাকাল

সময় এক নিষ্ঠুর ধারনা যা মানুষ বানিয়েছে বারবার। কাগজে ফুল গন্ধে মাতাল হাওয়া ভুলানো চোখের ভেতর। ভেতর ভেতর ভাই ভাই হলেও দ্বীপ একটা আছেই জলের চারিধারে। ভেতরে ভেতরে গন্ধ রোপন করলে আলো এসে কিলবিল করে জলপাই বনের গহীন প্রানে--

তীব্র প্রান চাই
আরও আরও তীব্র

বিরাট এক ব্যথা প্রানে এসে থেমে যাবে কম্পনে কম্পনে। সরিষা ফুলের গাছে পাখির মতো পোকা বসে দিনরাত। কোথাও কোন আলো নেই-- অন্ধকার। বিরাট এক অন্ধকারে মানুষ আরও মানুষ হয়ে পথ চলে সমবায় মনে--- সমবায় ব্যয় থেমে গেলে মানুষ আর কতটুকু মানুষ থাকে....

দেহ চলে যায়
গন্ধ থাকে অনুভূতির খাঁচায়
অচিন গন্ধ চেনা সুরে গান ধরে

গন্ধ মাতাল প্রানী হয়ে আরও একটিবার তোমার ভেতর ডুব দিতে চাই-- যত গভীর হবে তুমি তত গভীরে আমি ডুবরী-- জ্বালানীর মতো খরচে খরচে থেকে যাব বারবার-- সবপ্রানে এখন তুমিহীন অন্ধকার

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭

সত্যের

কার কাছে কি কতা কমু-- সব কাকের ঠোঁট মাংসমুখী, সব নদী জেনে নাজেনে ধরে সাগরের গতি, নিজেকে দেখানোর জন্য কবরে বসেও তারা খেলে সেলফি সেলফি।

কার কাছে কি কতা কমু-- এখানে যোগ হয়েছে চোখের জলের মার্কেটিং, শুরু হয়ে গ্যাছে ডিএসএলআর রাজনীতি, মানুষ ভুলে গ্যাছে শেকড়মুখী নীতি, সব বেগুন এখন আগুনে পুড়ে, তেল মিশেছে জলের লগে।

কার কাছে কি কতা কমু--  সবার মনে রাগ আর রাগ, পারলে ঠেকা পারলে ঠেকা এমন একখান ভাব, মাস্টর ভুলে গ্যাছে ছাত্র, ছাত্র চলে গ্যাছে গাতায়, মাস্টর ছাত্র এক হয়ে আছে খাতায় আর খাতায়।

কার কাছে কি কতা কমু-- সব কাঁঠাল জেনে গ্যাছে মরুভূমি ছিল যা এখন তা নদী, মাছের রাজা পাঙাশ যত খুশী তত খা তত খা, গুটিবাজ রংবাজ এক হয়ে একাকার, সত্যের মৃত্যু শতবার শতবার। 

জ্যাম

জ্যাম এখন হৃদয়ে আটকে থাকা পিন 

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭

!

বাঁশ মারা গেলে বাঁশি কিংবা শিল্প হয়ে যায় ....

শয়তান

শয়তান অনেক সাধনায় শয়তান 

মুখ

মুখ থেকে মুখে বদলে যায় কথার রং 

শুনে

মানুষের কোলাহল আকাশ হমান
গাছের ঘরে দেখা দেয় হৃদয়বিদারক অসুখ
মেঘ আর কতটুকু জমা রাখে ঋতুর হিসাব
ঋতু তো জলের জলে ভেসে থাকা আসমানী কথা
যারা জানে তারা তো জানেই, আর যারা জানে না তারা আরও অজানায় চলতে থাকে চলিতে থাকে আশা দুরাশার কানায় কানায়
কেন গো রাধা একমুঠো নীল কুয়াশা এনভেলাপে জমা করেছিল?
কোনো কোনো মহাকাল তোমারই মতো শ্যামের দেশে কেঁদে কেঁদে মরে

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

দা

যে কোনো পাহাড়ি রাস্তার মতো তুমি এক হৃদয়ের নাম হতে পারতো,সুন্দর কোনো চাঁদের মতো তোমার ঠোঁট হওয়ার কথা ছিল আজকের মিছিলে-- ক্রিসেন্ট আর ললিত।

তুমি সেই তুমিই রয়ে গ্যালে
তুমি সেই তুমিই ছিলে
তোমার কোনো পরিবর্তন দেখায় না আজকের পৃথিবী।

আমাদের মাঠে এখন সবুজ ঘাস, আমাদের ঘাটে যৌবনা নৌকা, আমাদের ছেলেদের হাতে বাতাসের নাটাই--  চোখের আলোতে দেখা যায় না সবকিছু।

সবকিছু উৎসব করে চলে না জগতের, সব ধানী রাজার ফরমায়েশি কামলা নহে, কিছু লোক আছে আলোর গভীরে অন্ধকারের পোশাকে ঢাকা-- সময়ের আশায় বসে আছে মহলে মহলে মোড়ে মোড়ে দোকানে দোকানে।

সূর্য আসলে আমাকে ডেকে দিও, তাকে নিয়ে চা খেতে যাবো শ্রমের বাজারে, সামনের সময় শ্রমজীবী শাষন, মানতেই হবে তাদেরকে তোমাকে আমাকে।

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৭

যৌবন

অভিশাপ কখনো কখনো রহমতের মতো দেখায়
রাতের বিছানায় শুয়ে আছে ইবাদত
জোয়ারের মাছ
জোছনার ফল
সূর্যগ্রহনকাল আমার ঘুমভাঙা শৈশব
চমৎকার একটি হাত স্পর্শ করেছে নধর যৌবন
যৌবনকাল শেষে নারীও পুরুষের চোখে মানুষ
ফুল আসে
ফুল ঝরে যায়
ফুল থেকে দেখা যায় ফসলের বাহার
গ্রামের বাড়িতে গভীর অন্ধকার
রাত আসে
রাত যায়
রাতের শহর গভীর একা গভীর একা
সব চলে যাবে আলোর ভেতরে ম্যাগাজিন আয়োজনে
বাতাসের মতো থাকবে শুধু আশা, লাল নীল হলুদ রঙের আশা
সবুজ আশা একটু হলেও জীবনের চেয়ে দীর্ঘ
দীর্ঘজোয়ারে গতর রেখে দেখি মানুষ এখনো যৌনগন্ধী প্রানী

বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৭

ঝুলে আছে সব-- হৃদয় কিংবা মানুষ
                           আকাশ কিংবা পথ 

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

অরেক

আকাশের তারাদের বেঁকে যাওয়া সময়
সূর্য জেনে গ্যাছে চাঁদের বিনয়
মানুষ ভুলে যায় মানুষের ঋন
বেঁচে থাকে ঘৃনাবোধ এক দুই তিন
মরে গেলে মরে যায় হিসাবের কাল
সময়টা বাতাসের মানুষের আকাল 

রাতভর

এখন অনেক রাত। জলিমা ঘুমিয়ে আছে বালিশের সাথে। প্রজাপতি বেড়ালঘুম দিয়েছে কিছুক্ষন আগে। আমার টেবিলে পড়ে আছে বুদ্ধদেব বসুর রাতভর বৃষ্টি। মালতীর একটু আগে ঘুম ভাঙে, জয়ন্তুর জন্য তার হৃদয়ে জমা হয়েছে কুয়াশা।

এখন শীতকাল। মানুষের জলে নামতে মানা। শিশুরা মান্যপ্রিয় প্রানী না। আমার মনও আজ শিশুর মতো। কুয়াশাভেজা বাতাস ঝিরঝিরে গতরে বয়ে যাচ্ছে আমার। এই রাত কুয়াশাকালের, এই রাত লেপ্টে থাকার জন্য নহে।

প্রিয় ঘুম আমার, কাল এসো আমার চোখে। চোখ আমি তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি। ভালোবাসার তো ঘর নেই, বাড়ি নেই, আইন নেই, আদালত নেই। ভালোবাসার জন্য থাকে শুধু ভালোবাসা। 

P

Imagination can't imagine the imagination. Here is here and there is there, we are not in the here and there. We are nowhere into the alive. Every thought needs every thought. Refrain is the greatest militant illiteracy. We need patience much, patience needs multiple patience.

সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

চোখ

রক্তচোখগুলো এক একটি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে তুমি প্রতিনিয়ত জীবন তৈরির প্রেরনা পাবে 

!?

নদী যখন কাঁদে তখন তার চোখ থেকেও কী জল বের হয়? 

রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৭

রাত

আলো আর শব্দ থেকে দূরে থাকতে পারলে ভালো লাগে। আলো আর শব্দের ভেতর মশা ঢুকে গ্যাছে। রাত হলেই হিলিয়াম নীরবতার ভেতর ডুবে যাই, কথা বলতে ভালো লাগে না, কথা শুনতে ভালো লাগে না, কোনো এক নীরব নগরী আমাকে ডাকে-- তার নাম মৃত্যু নয়, আবিষ্কার।

পাহাড় যেখানে সমতল সেখানে শুন্যতা, পাহাড়ের শুন্যতায় দাঁড়িয়ে দেখি পৃথিবী এক সমতল শুন্য ভূমি। পৃথিবীও ঝুলে আছে শুন্যে। কোনো এক নীরব শক্তি আমাদের সবপাশে গোপনে খেলা করে-- মাঝির দেখা পাই না মাঝির দেখা পাই না।

সব নদীর মতো আমার হৃদয়েও যদি ঢেউ ওঠে লোকে হয়তো আমাকে পাগল বলবে, আমাকেও দেখাবে ডাক্তার কবিরাজ কিংবা কোরানের নাস অথবা আলাক। তাদেরকে তখন তুমি বলে দিও সব অসুখ অসুখ না, কিছু অসুখ আছে মহাকালের ঔষধ। 

জানা

কোনো মানুষ ভালো না খারাপ এটা খুব গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন না। বিবেচ্য বিষয় হলো মানুষটি আমার টাইপের কিনা। অনেক প্রোফেসনাল ডাকাত দেখেছি যাদের একটি ফটোজেনিক হৃদয় রয়েছে, অনেক প্রোফেসনাল ভালো মানুষকে দেখেছি যাদের রয়েছে সুন্দর একটি কদাকার চারিত্রিক দিক। কারোপক্ষে শতভাগ মুন্সি হওয়া সম্ভব নয়, কারন প্রান খেয়ে প্রানী বাঁচে। 

দয়াল

তিনি চাইলে আকাশ হবে
নামবে বৃষ্টি ঝড়
তিনি চাইলে মপর্না আবার চিনবে নিজের ঘর।

তিনি চাননা, হিরাপান্না
তিনি চান সত্য একটা হৃদয়।

তিনি একটা সত্য বানায় মিথ্যার উপর
মিথ্যার উপর রং মাখিয়ে রাজা নিজের পর।

জলের ঘরে অনেক কথা জমা থাকে রোজ
স্বপ্ন দেখার ফুল সেনারা রাখে পথের খোঁজ।

দরকারি এক দোকান খুলে প্রেমের বাজার চলে
তিনি উড়ায় রঙ্গের পায়রা আকাশ বিক্রি করে।

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রত্যেক পাড়ের একটি দীর্ঘশ্বাস থাকে, দীর্ঘশ্বাস খেয়ে বেঁচে থাকে পাড়ের গাছ 

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

শুভ

শিশুরা পৃথিবীর তারা। শিশুর হাসিতে আনন্দ, কান্নায় আনন্দ। শিশু এক আনন্দের সর্বনাম। প্রত্যেকে মরনের পর শিশু হয়ে যায়। 

:::::::::::

বৃষ্টি দেয়ার সন্ধ্যা বেলা সত্য একটা চুমু দেবো
নীরব ঘরে গোপন কথায় শ্বাস-প্রশ্বাসের খেলায় নেবো
আস্ত একটা রাত দেবো
আস্ত একটা জীবন দেবো
আসবি তুই সব ভুলে
এই পাগলের মাতাল ঘরে
ভ্রমর হবো তর পালানে
উষ্ণ বাতাস শীতের জলে
আসবি তুই প্রেম বাগানে
নাইতে যাবো জলের ঘাটে
সকাল দুপুর সন্ধ্যা যাবে আসবে প্রভাত
দেহের উপর দেহ হাতের উপরে হাত 

বু

যতবার কথা বলতে আসি ততবারই মনে হয় ছোটোখাটো একটি বিপ্লব করে ফেললাম। সরকারকে সিংহাসন থেকে প্রজার কাতারে নামিয়ে আনার নামই কী বিপ্লব? সামরিক শাষনামলে জনগনের অধিকারজোয়ার আদায়ের নামই কী বিপ্লব? চায়ের টেবিলে সুশাসন সুশাসন বলে শব্দকম্পনের রোদই কী বিপ্লব?
বিপ্লব তো উচিতের দেয়াল ভেঙে দেয়ার নাম।
বিপ্লব তো হাজার বছরের ফুলশয্যা থেকে তোমাকে, তোমার মস্তিষ্ককে মানবিক প্রয়োজনের সামনে উপস্থিত করানোর নাম।
বিপ্লবকে আজ তারা নিয়ে গ্যাছে প্রতিষ্ঠানে-- বিপ্লব তাই গির্জার সঙ্গীতের মতো শুনায়-- আমি শুধু তোমার ভেতর ঢুকে যেতে চাই গোধূলী যেমন করে রাতের ভেতর ঢুকে যায়। 

রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৭

ভুল নজরে

ঠিকানা। বাসের নাম। লোকাল বাস। জাতীয় মানের লোকাল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থামে না। হাতইশারায় থামে। থামলো। আমি আর সোহেল ভাই বাসে উঠলাম।

হিমউৎসবের হাত ধরে জাহাঙ্গীরনগর আসা। উৎসবটি বেশ মুগ্ধকর। প্রথমবারের মতো ওয়াজের মতো করে গান শুনলাম।

আড়াইসিধার শীতকাল মানে ওয়াজ-মাহফিল। ওয়াজ শুনে শুনে আড়াইসিধার প্রত্যেকটি শিশু বড় হতে থাকে। আসমানের ওয়াজ। আসমান থেকে হুজুর ধীরে ধীরে জমিনে নেমে আসেন। সবার কন্ঠে সুবহানাল্লাহ।

সিট খালি নেই। পেছনের সিট খালি। ভাই পেছনের সিটে বসে গেলেন। আমি দরজায় দাঁড়িয়ে দৌঁড়ানো দৃশ্য দেখছি। দরজার পাশের সিটটি খালি হলো। বসলাম। জানালার পাশে বসতে চাইলাম। লোকটি বসে গেলেন। জানালার পাশে  যেন বসতে পারি লোকটিকে বললাম। লোকটি বললেন 'না'। কিছুক্ষন চুপ করে থাকি। তারপর ... তাকে আস্তে করে বললাম বমি কী আপনার উপরে করবো, না জানালা দিয়ে সোজা বাইরে ফেলে দিবো!? লোকটি বসেন বসেন বলে সুন্দর করে জায়গা ছেড়ে দিলো। মনে মনে হাসলাম।

আপনার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ?

কীভাবে বুঝলেন?

যেভাবে জানালার পাশে সিটটা নিয়ে নিলাম সেইভাবে।

লোকটি চমৎকার এক হাসি দিলেন। হাসিতে শব্দ নেই, প্রান আছে। জানালার পাশে আমি। গতিময়তার সাথে আমি।

আমিন বাজার ব্রিজ। তুরাগ নদী। তুরাগ নদী স্রোত হারিয়ে আজ বাজার । নারী আর নদী যৌবনের সমান বয়সী। যৌবন শেষে নারী হয়ে যায় স্মৃতির কাবাব আর নদী উদাম বাজার।

এই রাস্তায় পড়ে আছে তারেক মাসুদের রক্ত। যৌবন রক্ত। তারেক মাসুদ মানে মাটির ময়না। তারেক মাসুদ মানে রানওয়ে। মাটির ময়না ও রানওয়ে অতি সত্যের হাতছানি-- কারো জন্য হুমকি। পুঁজিবাজার খুব গরম একটা জিনিস, হুমকি সহ্য করতে পারে না। তাই এই রাস্তা জানে তারেক মাসুদ আজ কোথায়!

কোথায় যাবেন?

নিউমার্কেট।

ভাড়া দেন।

কত?

নব্বই টাকা।

একশত টাকার একটি নোট দিলাম। দুইজনের ভাড়া চল্লিশ টাকা। কিন্তু দশ টাকা ফেরত দিল।

আরও পঞ্চাশ টাকা ফেরত দাও।

মামা যত ভাড়া ততই রাখছি।

তাহলে নিউমার্কেট গিয়ে পাঁচ হাজার টাকা ফেরত দিও, আর একটিও শব্দ খরচ করবো না।

আমার পাশে বসা লোকটি হাসছেন। টিটু একদিন এমন করে হেসেছিল।

টিটু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়ে। লেখালেখিও করে। আমার পাশে সূচনা বসা। সূচনা জানালার পাশে। আমার ডান পাশে টিটু। সূচনা ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র এবং বাসে বমি করার অভ্যাস আছে। বাস চলছে। সূচনা গম্ভীর হয়ে আসতেছে। শুরু করলাম সূচনার সাথে কথা।

সূচনা বমি বমি লাগছে?

হুম।

আমারও বমি করার অভ্যাস আছে। আজকে দুজনে একসাথে বমি করবো। আজকে সারা বাস আমাদের বমি করার প্রতিযোগিতা দেখবে। আমি নিশ্চিত আমি ফার্স্ট হবো।

তুমি বমি কর কত বছর বয়স থেকে?

ছোট কাল থেকে।

তাহলে বমি করার অভিজ্ঞতা আমার তোমার চেয়ে বেশী।

কীভাবে?

আমি যখন আম্মার পেটে তখন আম্মা ঢাকা এসেছিলেন তাঁর বাবাকে বিমান বন্দর থেকে রিসিভ করার জন্য, তাঁর বাবা মক্কাফেরত হাজী ছিলেন তো তাই। আম্মা তখন বাসে বমি করে। আসলে বমি করেছিলাম আমি। কারন আমি তখন আম্মার পেটে।

আমার কথা শুনে সূচনা হাসতে শুরু করে, টিটুও হাসে। হাসি আর কথার মধ্য দিয়ে আমরা কখন যে শাহবাগ পৌঁছে যাই টেরই পেলাম না। সূচনা সেদিন বলেছিল লং ড্রাইভে গেলে আমাকে নিয়ে যাবে। তারপর থেকে সূচনার জীবনে কত লং ড্রাইভ চলে আসে, আমারই শুধু সেই তিন প্রহরের বিল দেখা হলো না!

মামা এই নেন আপনার পঞ্চাশ টাকা।

তাহলে আর চার হাজার নয় শত পঞ্চাশ টাকা কে দিবে?

মামা ভুল হয়ে গেছে, ভুল তো মাইনসেই করে ....

আসলেই ভুল তো মানুষকেই করতে দেখি, যন্ত্র তো ভুল করতে পারে না। যন্ত্র ভুল করলে অকেজো হিসাবে ট্রিট করা হয়, আর মানুষ ভুল করলেও মানুষ।