সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

উত্তর

একটাই মন
প্রশ্ন কেন অনেক
তাহলে কী মন
গাছের মতো শাখা -প্রশাখা সমেত
গাছের তো শেকড় আছে
মনের শেকড় কোথায়
প্রশগুলো খুবই সহজ
উত্তর পাওয়া দায়
উত্তরগুলো সুবিধাগড়া, উত্তর আসলে নাই 

যদি হতাম

ট্রেনজীবনের লক্ষ্য দৌড়। এবং দৌড়ানো তার চাকরি। ট্রেন দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে। তার লাগামহীন অস্থির জীবন।  মাঝে মাঝে  করুণ চাহনিতে বৃক্ষপরিবারের দিকে তাকায়।
ইস! আমি যদি বৃক্ষ হতে পারতাম। তার ''যদি হতাম'' কোনো দিন সফলইচ্ছার  সামনে আসেনি, আসার নয়।
বৃক্ষও ট্রেনের গতিময় জীবন দেখে অবাক বেবাক। কত দেশ ভ্রমণ করছে ট্রেন। আর  নিয়তি নিয়ম জন্মদিন থেকে মৃত্যুদিন পর্যন্ত আমাদেরকে এক জায়গার বাসিন্দা করে রেখেছে। বৃক্ষপরিবারের হাপিতোশ শেষ হয়না, শেষ হওয়ার না।
বৃক্ষ ও ট্রেনের এই অমীমাংসিত আকাঙক্ষার জীবন দেখে তৃতীয় সৃষ্টি জীবনের আরেক গল্প শোনায় আকাঙক্ষার গ্রামে। পাখি হতে চায়, প্রজাপতি হতে চায়। হতাম যদি রঙিন প্রজাপতি, ফুলে ফুলে মাখামাখি। কিন্তু ''যদি হতাম " অল্পসময়ের জন্যও যদির বলয় অতিক্রম করে বাস্তবতার মাঠে ফুটবল খেলে না, ফলে তাদের ঘিরে তৈরি হয় না প্রোফেসনাল দর্শক।
আসলে ''যদি হতাম", ''যদি হতে পারতাম " সৃষ্টির একটি গোপন প্রোগ্রাম! যে প্রোগ্রামটি প্রতিটি সৃষ্টিকে বিষন্নতা, অবসাদ, দুঃখ সরবরাহ করে থাকে।
 হ্যাঁ এই সরবরাহের কাজটিও প্রোগ্রামটির চাকরি, সেও কোনো না কোনো '' যদি হতাম " ভাইরাসে আক্রান্ত!!

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০১৪

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০১৪

ত্যাগের ভিটামিন

ভালোবাসা একটি অহংকারপ্রাসাদ যেটি বিশ্বাসের ইট-বালু দিয়ে তৈরি করতে হয়। এবং প্রাসাদটি সাজাতে হয় ত্যাগের অলঙ্কারে।

Love is a pride palace that is built by the brick with sand so of belief and has to adorn it by the ornament of mutual sacrifice .

বুধবার, ২৫ জুন, ২০১৪

প্রশান্তি

গাছের নিচে ছায়া থাকে, ছায়ায় থাকে প্রশান্তি
পাতার নিচে মায়া থাকে, মায়া কেবলই অশান্তি
অশান্তি জেনেও পাতার নিচে পাখি বাসা বাঁধে
প্রশান্তি মেনেও গাছের নিচে মানুষ বাসা বাঁধে না
মানুষ আসলে প্রশান্তি চিনে, ছায়া চিনে না 

সোমবার, ২৩ জুন, ২০১৪

একদিন তারানিকে

তোমার কষ্ট আমাকে কষ্ট দেয়। জানিনা কি কষ্ট বহন করে তুমি জীবনবাহন চালিয়ে যাচ্ছ। তোমার কষ্টের অংশীদার হবো এই যোগ্যতা আমার নেই। তবে তুমি ভালো থাকো এতটুকু আশা করতে পারি। গাছের পাতা যখন ঝরাপাতা তখন জীবনের হিসেব মিলিয়ে আর কি হবে?
চোখের সামনের কয়েকটি দৃশ্য আমার মনে  ভাসমান সিনেমা। সময় পেলে সিনেমাঘরে একটু অলস সময় কাটায়।
তুমি এতো ছেলের সাথে হাঁটো কেন? আমাদের সমাজ বিষয়টি ভালো ভাবে দেখেনা। তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা থাকতে পারে। আমিও ভালো ভাবে নিতে পারিনা। কারণ ছেলেদের আমার চেনা। ছেলেরা মেয়েদের বন্ধু ভাবতে পারে না, মাংস ভাবে।
এইতো একটু আগে এক কবি ফোন দিল। জিজ্ঞেস করলো আমি ভালো আছি কিনা। আমি জানি সে আজকে  আমার কুশল জিজ্ঞেস করার জন্য ফোন দেয়নি। কথার শেষ পর্যায়ে প্রমাণ হলো।প্রথমে জিজ্ঞেস করলো আবৃত্তির ওরিয়েন্টেশন ক্লাস কেমন হলো। তারপর আসল কথা। সুনসান সুন্দরী কোনো নারী আছি কিনা।  আমি স্বাভাবিক হাসিতে বুঝালাম আছে তবে চাষাবাদযোগ্য নয়। কবি পৃথিবীর হাসি মুখে জমা করে আমাকে নিশ্চিত করলো " তৈরি করে নিবে "।
ভাবো, যারা সভ্যতা তৈরি করবে তারাও সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগের ডাইনোসর। আর তুমি যাদের সাথে হাঁটো তারা তো পুরাতন ধ্যানে -ধারণাকে পোষাক বানিয়ে হাঁটে!
জানি, তুমি একটি ছেলেকে খোঁজ যে তোমার ছোট্ট অনুভূতিগুলোর মূল্য বুঝবে। কিন্তু কাকের বাসায় ডিম রাখবে এমন কোকিল তুমি নও। তুমি জানো না তোমার পূর্বসুরী মহুয়া ছোট কালে ডাকাতি হয়, নার্গিস জাতীয় কবির ভাষাফাঁদে পড়ে হয় প্রতারিত, কাদম্বরী নর্তকীদের মতোও মূল্যায়িত হয়নি। শুনেছিলাম ইতিহাসের বড় শিক্ষা-- কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। তোমার কাছে তার প্রায়োগিক অবয়ব দেখতে পেলাম।
কাল সারারাত খুব বৃষ্টি ছিল। ইচ্ছে হচ্ছিল এক অঞ্জলি বৃষ্টি তোমার আমানতে রেখে আসি। আর বলে আসি মেঘের মতো গলতে পারলে বৃষ্টি হওয়া যায়। আর বৃষ্টিরই কেবল  ক্ষমতা আছে পৃথিবী দেখার।
গলে যাবে মহাকালের পাতায়? সময়ের আগুন অপেক্ষা করে আছে! তুমি তো আগুন চিন না, বাতাসে ঘর-সংসার।
বাতাসবিক্ষুব্ধ কাঁচা লেবুপানি তোমার ঘরে আসে ,তুমি সময়ের নৃত্যে বাকবাকুম করতে থাকো। আর কলাপাতায় খোঁজ কর লেবুর রস। তাহলে কি ধরে নিবে তোমার ভাষারক্তে  লালিত সেই বীজ তাড়িত করে যখন-তখন
মাছ হাও হিং জাগুর,লাং দর সবার ঠাহুর

বাংলাদেশী

বাংলাদেশীদের আর কিছু থাক বা না থাক সুন্দর একটি মন আছে।
ইগল পাখির মতো মন।
করতোয়া নদীর মতো মন।
এখন শুধু চাষাবাদ প্রয়োজন।

Bangladeshi has conceived a solid capital called mind,
As like the eagle,
As like the Karatoya river,
But it is urgently essential to be cultivated.

রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪

Life epic

Love equal to mutual understanding and  trustful home.One should respect one's decision, one's idea. A diffident mentality is quite unable to provide love peace.
Obedience is respect when it is practical in the home of every mind. But obedience is destructive when it is partial. If we want to cultivate love zone at first it is essential to make prepared our mentality. Fire is born to burn but belief is born to make a man green and ever green.
A shanty of bush not only seen in the soil but also seen in the mentality. It is urgently essential for every cultured mentality to clear and be a clean paper.
Belief is a practice. Every time we are born by belief. We drink water and we are used to belief that the water is not polluted. Parents is a belief word. Just because we actual don't know who is our parents! We are informed. And informed is not certified. Said in business "belief is the capital ".Every religion in the seen universe survived within belief. Even in the scientific term a scientist at first recognize or believe his confidence. When we sleep we believe that we will wake up. So belief is the world, belief is the born and death is the belief even.

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০১৪

একটি কুকুর!

মেঘলা মেঘনা। এই মেঘনা পাড়ের সন্তান বাবুল। আদুরে নাম বাবু। আর্ট ভালো করে। এই কাজটি নিজের চেষ্টায় শেখা।মরা নদী তার চোখের সামনেই থাকে। মরা নদীটি মেঘনা নদীর শাখা নদী। নদীর ভাঙন বাবু ছোট কাল থেকেই দেখে। জীবনের এই পর্যায়ে এসে জীবনের ভাঙণে আতঙ্কিত নয়। বাবু পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে। তার সাথে আরো অনেকে পড়ে, অনেকেই পড়তো।
অনেকে যারা পড়তো এবং অনেকে যারা পড়ে উভয় তার দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয় --
-দুইন্নাডা কুচু পাতার পানি, আইও টলমল টলমল করে,
-হায়রে মানু নামাযও পরছ, আবার বেবাক হেতের আইলও ভাঙছ

তার দীর্ঘশ্বাস পরিবেশের গরম বাতাস ভারী করে কিন্তু সমাজের ভারী মানুষের তাতে কিচ্ছু আসে যাই না। কারণ বাবু দরিদ্র, অসুস্থ। অসুস্থ আর দরিদ্র মানুষের সুস্থ কথা কিংবা বক্তব্য দিতে নেই!  তাতে গণেশ, সীতা , লক্ষী এক সাথে রাগ করে। তবু বাবু আর্ট করে, স্বপ্নের জাল বুনে
আশায় বাধে বাসা
আশায় ফুটায় ফুল
আশার তরে জীবন মরণ
আশায় সুখের মূল
বাবু আশাবাদী তার জীবনে ভোর আসবে না। তাতে তার মনে সুখ নেই এমন নয়। সে সুখের প্রাচীন মানব। গুহার ভেতরে অন্ধকার চাষ করতে পারে। যারা আলোতে বাস করে তারা মূলত অন্ধকার পছন্দ করে, আর অন্ধকারে যাদের বসবাস তারা তো শান্তির দীর্ঘশ্বাস উড়ায়!
একটি কুকুরের কামড় জীবনকে  বিপন্ন সুখের স্পর্শে পূর্ণ করে দিতে পারে, পারে শীতল আগুনের জোয়ার এনে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে হিমায়িত করে দিতে।
একটি কুকুর!
ভাদ্র মাস। প্রকৃতির আস্ত রোদ কুকুরের মানসিক এলাকায় হাটাহািট করে। এই সময়টা তাদের যৌন জীবনের জন্য পৌষ মাসের মতো  প্রাসঙ্গিক। কাঁঠাল পাকা রোদ, বাবু আড়াইসিধা বাজারে যাবে । জয়দর পোট্রি অতিক্রম করা পর একটি বাঁশঝাড়। পুকুর পাড়ের পূর্ব কোণায় নাইনটি ডিগ্রি এ্যাঙেলে এই বাঁশঝারের সংসার। বাঁশঝাড়ের কাছে যেতেই কুকুরটি তেড়ে আসে, ডান পায়ের উরু থেকে একখণ্ড মাংস শিকার করে। বাবু চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। আজো তার জ্ঞান ফিরেনি। তবু সে আর্ট করে, স্বপ্নের জাল বোনে, আলোর মিছিলে অন্ধকারের খবর পড়ে!

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০১৪

ছাপ থেকে পাপদা

ছাপ= পরিষ্কার ;
হারা = পরাজিত, সমস্ত ;
মোটামুটি > মুডে মাডে ;
আনা হাওয়া = উপোস ;
আমডা > আমরা;  কুদ্দুর= অল্পপরিমান ;
কছু কছু = অল্প অল্প ;
ঝমঝম > ঝুমা = ঝাকুনি দেয়া,
জাগ্রত > অ জাগ্রত >অজাগর
ডিব্বা = পট / পাত্র
বিছুইন = পাখা
 ছুরানি =চাবি
বানডি = মেস/ দিয়াশলাইয়ের কাঠি
 হুতা = সুতো
 কাচ = চুড়ি ; কট্টা = বাটি,
কাহই = চিরুনি ; ততা =গরম ;
 হর = সর ; সরা = হরা
হাছুন = ঝাটা ; পাপদা = পেপে

Love magic

What a magic of love
I watch you by my heart

সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

ঘুম এক মৃত্যুর নাম

ঘুম প্রকৃতির মতো প্রশান্তিদায়ক। ছোট্ট মৃত্যুর কাছারিঘর। ঘুমিয়ে যাওয়া মানে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। প্রতিদিন ফ্রেসভাবে ঘুমানো  মানে  ফ্রেসভাবে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। যতই সময় যাচ্ছে ততই চিরস্থায়ী ঘুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, চিরস্থায়ী প্রশান্তির দিকে রওয়ানা হচ্ছি!

রবিবার, ১৫ জুন, ২০১৪

আকাশ আর আমি

আমি যতটুকু হিমালয়ে উঠি হিমালয় ততটুকুই নিচে নামে।
আকাশ ধরতে গিয়ে নিজেই আকাশ হয়ে যাই
Now I know what is sky, how to fly!

শনিবার, ১৪ জুন, ২০১৪

আমার প্রেমিকার নাম ব্যক্তিত্ব

আমার প্রেমিকার নাম ব্যক্তিত্ব।ব্যক্তিত্ব মানে তা যা আমাকে অন্যের কাছ থেকে আলাদা করে।
ব্যক্তিত্ব ভেঙে দশটা প্রেম করা যায় অর্থাৎ  ব্যক্তিত্বহীনই দশটা প্রেম করে। তাছাড়া ব্যক্তিত্ব এমন এক প্রেমিকা যে সারা জীবন সঙ্গে থাকে, হাসির স্থলে কাঁদায় না ; কাঁদার স্থলে হাসায়, প্রশান্তি বনে হাঁটায়।

আমি মুনির পুত কামলা

আমি মুনির পুত কামলা
আমার বংশ ক্ষেতের লগে বীজের বিয়ে দেয়। ক্ষেতের আর বীজের মিলনে জন্ম হয় ফসল।
ফসলে বিশাল আকাশসহ পৃথিবী আছে। এই পৃথিবীতে সাবেরা বাংলো বানায়। বাংলোতে এসি রুম আছে যেখানে রঙিন রুব্বান কোমরের ভাঁজে সাবের বিনোদন জমা করে।
আমি মুনির পুত কামলা
ভাবের লগে শব্দের বিয়া করাই
ভবের জগৎ পুক্ত করি
আমার আম্মা কইতো
ভাবের জগৎ পুক্ত না অইলে, ভবের জগৎ পুক্ত অইনা

বুধবার, ১১ জুন, ২০১৪

আশ্রমকন্যা

কোনো একজন আমাকে বলেছিল তুমি আমার সাথে সুস্থ প্রেম করতে পারো না ; সাময়িকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করছো। আমি তখন বিশ্বাস করেনি। কারণ তোমাকে আমি বিশ্বাসের  মানদণ্ডে কখনো পরিমাপ করেনি । বসিয়ে ছিলাম  মনের কাবাঘরে যেখানে পূজা দিতাম চেতনথাকা প্রতিটি সময়। তুমি ছিলে আমার পূজার দেবী। চেতন অচেতনকে কন্ট্রোল করে, তাই অধিকাংশ সময় তুমি আমার চেতনহীন মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছো। হাইড্রোজেন হয়ে তোমার পাশে থেকেছি। তুমি বুঝতে পারোনি। কারণ আমিতো ভর নিয়ে হাজির হয়নি।
তুমিও আমার ঘুম ভাঙিয়ে বলতে
" পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ "
আমি বলতাম "না "
রাতে উঠে শেষ করে ফেলবো "
তুমি তখন বলতে " আমি বললাম  পরীক্ষা  ভালো হবে "
আমি তখন চোখের জলের মতো লাফিয়ে উঠতাম! বই নিয়ে বসতাম।
আর আমার এই বোকা মনটাকে বলতাম "হে মন, তুমি মধুর বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করো না, প্লিজ তুমি মনোযোগী হও "
মন তখন সুবোধ বালকের মতো আমার অনুশাষন মেনে চলতো। একটু অমনোযোগী হলেই ঘণ্টা তলার আওয়াজ এসে আমার মনের রাখালকে বলতো "সময় স্রোতের আনুগত্য সাহাবা "
আজ থেকে এমন কথামৃত মোবাইল বেয়ে আমার কানে আর আসবে না, আসলেও আমি গ্রহণ করতে পারবো না।
তোমার গানের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলাম আমি! কখনো খুব করে বলা হয়নি। কারণ আমি জানতাম বলাতে থাকে আড়ম্বর, তাতে আন্তরিকতা ম্লান হয়ে যায়। আজকে দেখি তুমি প্রসংশা চেয়েছিলে খুব করে।
আরে মধু  ,প্রসংশা তো মুখের ভাষা, অন্তরঙ্গ ভাষা অন্যরকম যা তোমাকে কাঁদাবে, হাসাবে, মাতাল করে পাগল করবে।
আজ তুমি আমাকে অসুস্থ করে চলে গেলে। আমি আর কোনো দিন সুস্থ হবো কিনা জানি না , আমার সাথে এইভাবে রাজনীতি না করলেও পারতে। সবার বিশ্বাস সত্য, মিথ্যা হলাম আমি, আমার সেই আম্রকুঞ্জের শীতলতা।
ভালোবাসা পাঠ্য বইয়ে পাওয়া যায় না, তাই ভালোবাসা কী তোমার জানা হয়ে উঠেনি! পাঠ্য বইয়ের দুই - চারটি নিয়মে আমাকে বোঝার চেষ্টা করেছো! তুমি তাতে সফলও হলে!
আমি বিফল, পরাজিত সৈনিক, আমার মনের মাংসগুলো তোমার রান্নার উপযোগী করে তুলতে পারিনি!
 তোমার  স্মৃতির ডাস্টবিনে আজ থেকে আমি পরিত্যক্ত আবর্তন।
তোমার মনে অনেক ঋতু আসবে, ভৌগলিক বিশেষ সুবিধার কারণে আমার মনে ঋতু একটিই -- মধুপর্ণা! তাকে ধারণ করেছি, আর ধারণকৃত বিষয় প্রকাশ করা যায় না, প্রকাশ করতে গেলে মূলের সুর সফলভাবে বিধ্বস্ত হয়।
কারণহীন বালক-বালিকা আমরা। কারণ ছাড়া একসাথে হয়েছিলাম। যখন আমাদের পথ চলায় কারণ চলে আসলো তখনই আমরা হয়ে গেলাম অধ্যাপকের মতো সমালোচক।
কিন্তু ভালোবাসা তো সৃজনশীল। সমালোচকের অনুপ্রবেশে সেখানে নেই। সমালোচনা ছায়া নিয়ে কথা বলে আর সৃষ্টি মূলস্রোতে বিকশিত হয়। আজ আমরা মূলের স্বাদ থেকে চিরতরে বঞ্চিত।
আজ চেয়ে দেখো তোমার চারপাশের মানুষগুলো কত সত্য! কত সত্য হৃদয় হরণ রোড আর কবি সুপ্রভাত যে তোমাকে বলেছিল কবিতা চাপা দিবে।  তাদের নিয়ে বেচেঁ থাকো, সংসারী হও,ভালোই তো থাকতে চেয়েছো, ভালো থাকবেই!
আমিও প্রার্থনা করি আমার কষ্টের দ্বিগুণ তুমি সুখী হও!
 শোনো আশ্রমকন্যা,
রতন পল্লীতে এঁটো গ্রহের সাথে প্রতিদিন আমাকে দেখতে পাবে। তখনো যদি কখনো তোমার কাঁচকলা চোখ আমার চৈত্যশরীরে আটকে যায়  চোখটা বাড়িয়ে দিও, আবেগের সুতোয় মনের মিশিনে সেলাই করে নিব।

লাল রঙ্গ

লাল রঙ দেখে প্রাণিচোখ তেড়ে আসে। যেন লাল রঙের সাথে  তাদের  সাম্রাজ্যতান্ত্রিক শত্রুতা। সব রঙ প্রাণিচোখের সাথে আপোষ করেছে কেবল লাল রঙ ছাড়া।
রঙের মেলায় লাল রঙই ব্যক্তিত্ববান 

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০১৪

শব্দের

শব্দের ভেতর এ কেমন আগুন
প্রকৃতির ভাঁজ থেকে চুষে নেয় ফাগুন
শব্দের ভেতর এ কেমন ফাগুন
জলের শীতল গায়ে জ্বালায় আগুন

রবিবার, ৮ জুন, ২০১৪

স্বার্থপর বনাম প্রেমিক

স্বার্থপর মানুষের সাথে চলতে সুবিধা। কারণ তারা শুধু স্বার্থ পেলেই খুশি। প্রেমিকের সাথে চলতে সদা সতর্ক থাকতে  হয় । কারণ তারা চায় মন। আর মন পেতে চাইলে মন বিনিয়োগ করা লাগে। 

শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪

রসের গাঙ

এখনো তুমি নারী
হলুদবর্ণ, বর্ণবহুল
পেছনে কালছে বাড়ি
পুরুষ জল থেকে জলবায়ু, জল করে পান
রস না হলে রাস হয়না, নারী রসের গাঙ

বেলুন বেলুনই থাকে

বেলুন বাতাসে হেলে দোলে
তার যা যা ছিল তা তা আছে, তা তাই থাকবে-- কৌমার্য আইলের ভাঁজ, কচি লাউয়ের আগায় সবুজের সমাহার
শান্ত, সমাহিত সাগর শুধু অস্থির, অস্থির হয়
সময়ের মতো প্রলম্বিত তার কামনার সার্কাস
শুষ্ক নদীর কূল তখন রসালো খাবার
নদীর কূল ভাঙে,
চিরকালীন সফেন পড়ে থাকে জলের ক্লান্ত চেহারায়
ক্লান্ত পথিক স্থিতিস্থাপক, সময়ের সাবান সমাধান
যে ঠোঁট অধরকে লাফিয়ে ধরে, সেই ঠোঁট ক্ষয়ে যায়
বেলুন বেলুনই থাকে, সাগর শুকিয়ে যায়

বেলুন বেলুন ই থাকে

বেলুন বাতাসে হেলে দোলে
তার যা যা ছিল তা তা আছে, তা তাই থাকবে-- কৌমার্য আইলের ভাঁজ, কচি লাউয়ের আগায় সবুজের সমাহার
শান্ত, সমাহিত সাগর শুধু অস্থির, অস্থির হয়
সময়ের মতো প্রলম্বিত তার কামনার সার্কাস
শুষ্ক নদীর কূল তখন রসালো খাবার
নদীর কূল ভাঙে,
চিরকালীন সফেন পড়ে থাকে জলের ক্লান্ত চেহারায়
ক্লান্ত পথিক স্থিতিস্থাপক, সময়ের সাবান সমাধান
যে ঠোঁট অধরকে লাফিয়ে ধরে, সেই ঠোঁট ক্ষয়ে যায়
বেলুন বেলুনই থাকে, সাগর শুকিয়ে যায়

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

সুরসিকা

তুমি আমার চোখের একনিষ্ঠ পাঠক
আমি তোমার দেহচিলের আন্তরিক শ্রোতা
সুরসিকা
পাতার ভাঁজে বৃষ্টি নামে বিশ্বস্ত ফোঁটা

বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০১৪

বৃষ্টির সাথে

চেয়েছিলাম বাসা
দিয়েছ আশা
আশা দেয়া খুব সহজ,
খামখেয়ালি ভাষা বিনিয়োগ, দুই চারটি বিশ্বাসযোগ্য চোখের পলক,
তাইনা?
আয়নায় ঝুলে থাকা আকাশের পাখি হলে, আমাকে বানালে সোনালি ঈগল
তোমার মোমালি রুমের অংশ তো চাইনি
পশু পালনের স্যাতস্যাতে কক্ষে শরীরমাপা ঠাঁই হলেই হতো
ঠাঁই হলো ঘামের ঘরে, দূর্বাঘাসে

বাস্তবতা :

পশু- পাখি, মানুষ ঘুমায় রুমের বিত্তে একসাথে
আমি ঘুমাই সূর্যনেতা বৃষ্টির সাথে

কতটুকু

কতটুকু কালো হলে আলো বলা যায়
কতটুকু ভালো হলে ভুলে চলা দায়

বুধবার, ৪ জুন, ২০১৪

রাখাল

রাখাল ছুটে চলে রাখালীর দেশে
রাখালীর বনলতায় আশ্বর্য প্রদীপ আছে
প্রদীপের খোঁজে খোঁজে দিন চলে যায়
রাখাল তো জানেনা রাখালি কী চায়

দুংখের সাথে যুদ্ধ

প্যান্ডোরার বক্স দুংখের জন্মভূমি। এই বক্স খোলা হলে পৃথিবী প্রথমবারের মতো দুংখের সাথে পরিচিত হয় । আজ পর্যন্ত দুংখের শাষণ চলছে, শোষণ মেনে নিচ্ছি আমরা। মেনে নেয়াতে আনুগত্য থাকে, মুক্তি থাকে না। অনেকে হয়তো গোপনে তার সাথে টেবিলের নিচের কাজটি সম্পূর্ণ করেছেন । নতুবা এতদিন জনাব দুঃখ টিকে থাকেন কীভাবে? আমরা এর প্রমাণও পাই --
হে দারিদ্র,  তুমি মোরে করেছ মহান।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সন্মান
কণ্ঠ-মুকুট শোভা দিয়াছ, তাপস,
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস,

আহারে! দরিদ্রতা নিয়ে কী রোমান্স। বিকশিত হওয়ার অনেক মাধ্যম বিদ্যমান । দরিদ্রতা প্রধান মাধ্যমে কেন? বরং দরিদ্রতা মানসিক বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায়। যাদের নুন আনতে মজুদকৃত পান্তা ফুরিয়ে যায় তারা জানে না সাগরের ইলিশের স্বাদ কেমন । আর আকাশের তারা, শেকড়বিহীন বটবৃক্ষ, সাপ প্রভৃতি তো তাদের দেবী, দেবতা, যাকিনা অনেকের কাছে গ্রহ - উপগ্রহটির, বৃক্ষ, প্রাণি। অর্থনৈতিক মুক্তি ব্যতীত মানসিক মুক্তি অসম্ভব। তাই অর্থনৈতিক দীনতাকে জিওল রেখে দুংখের জয়গান চিন্তার সীমাবদ্ধতাকে জিওল করে।বরং সুস্থ মানসিকতা দুংখের মা দরিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, কোনো আপোষ কিংবা যুদ্ধ বিরতি নয়।

সোমবার, ২ জুন, ২০১৪

পাগল মন

পৃথিবীটা জলে পরিপূর্ণ। সবদিকে জলের দাপট। তাইতো মনের মূল্য নেই। মন তো লোহার মতো গলে গিয়েও জলে ভাসে না। জলের আশায় মন কাঁদে না। তবু জল আসে। মনের পাশে বসে। মন তো ইদু কাহার বিড়ি না, চাইলেই পাওয়া যায়। মন চায় মনের আরাধনা। মনটা যদি বাষ্প করা যেত বাতাস হয়ে আকাশের সাথে গোপন অভিসার হতো।
আসলে মনটাই পাগল। গণিকার পুরুষের মতো তার ঘটে রদ-বদল --
পাগল মন, মন রে, মন কেন এত কথা বলে!

রবিবার, ১ জুন, ২০১৪

কেরামতি

দয়িতার চোখে বিশ্বাস রেখে বলেছিলাম কিছু একটি শেখাবে আমায়?
গতকাল রাতে জন্ম নেয়া পাতার মতো আশ্বস্ত করে জানতে চেয়েছিল-- "কী "
প্রেম! প্রেমিক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যক, আমার তা নেই
সে চেষ্টায় নেমেছিল
মানবিক গুনাবলীর কারনে
প্রেম শেখানোর পরিবর্তে শুরু হলো বিনিময় প্রথা, আমদানি -রপ্তানি বাণিজ্য
গুয়েভারার মতো আমার প্রেমও হয়ে গেল বাণিজ্যিক নিলামঘরের পণ্য

গোয়ালমন আশা ছাড়েনি  ....

মুহুর্তপ্রতি আধুনিক নদী যে প্রসাধনী জলের স্রোতে বয়ে চলে অবিরাম
কোনো এক গণিকা বিকালে তার কাছেও গিয়েছিলাম
সেও পঁয়ত্রিশ ডিগ্রি এ্যাঙেলে হাজার বছরের পুরুষ চায় -- প্রেম-টেম এগুলা বাহা কথা

এক রাতে,
ঝুমকো ঝুমার বৃষ্টি নামে
ছাঁদনাতলায় বসে আছি মনের পাটাতনে
আহা! আহারে ...
কতকাল ছিলাম আমি তোমা থেকে দূরে
বৃষ্টি, তুমি প্রেমময়ী
আমার মাঝে প্রেম জাগিয়ে তুমি প্রেমহীন
পূর্ণ করে আমায়, হয়ে যাও শুন্যে বিলীন
তবুও তুমি আর আমি মহাকালের প্রতীক

উপসংহার :
পূর্ণ করতে চাইলে শুন্য হওয়া লাগে
শূন্যের বাজারে প্রেমের দেখা মিলে

আগুনমুখী পাতাল

তোমার হাতে সিগারেট জ্বলে
আমার মনে আগুন
লালন তোমার আরশীনগর
আর কত দূর আর কত দূর
মনের দেয়ালে জানালা থাকে
জানালার পাইনা খোঁজ
পরিচিতি আকাশ দূরে চলে যায়
পাতালে নামছি রোজ

ব্যথা

সকালের কাছে রাত দূরতম দ্বীপ
রাতের কাছে সকাল পরিশ্রমী পথিক
সকাল-রাত আসল কথা
বাকিসব বানানো ব্যথা