শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

মানুষ

মানুষগুলো অন্য রকম 
আঁকাবাঁকা কথা বলে
মানুষগুলো অন্য রকম
সাপের মতো হেসে চলে
মানুষগুলো অন্য রকম
অন্ধকারকে আলো বলে
মানুষগুলো অন্য রকম
হিংসা থেকে নিন্দা করে
মানুষগুলো অন্য রকম
ছায়া দেখে মায়ায় পড়ে
মানুষগুলো অন্য রকম
আলেম আলেম মুখোশ পরে
মানুষগুলো অন্য রকম 
প্রয়োজনের হিসাব করে 
মানুষগুলো অন্য রকম 
নারীদেহে মাংস খোঁজে
মানুষগুলো অন্য রকম
কুকুর-বেড়াল আওয়াজ তুলে 
মানুষগুলো অন্য রকম
কেল্লা কেটে পুন্য করে
মানুষগুলো ভিন্ন রকম
চোখের জলে আকাশ ধরে
মানুষগুলো অন্য রকম
অন্য রকম নিজের ঘরে
মানুষগুলো অন্য রকম
অন্য রকম চোখের ভাঁজে, মনের ভেতর খুব গোপনে
আকাশ-পাতাল অন্য রকম
অন্য রকম চোখে চোখে 
আমি কেন একই রকম ঝরে পড়া পাতার মতন

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

ব্যথা

ব্যথা বাড়ছে। ব্যথা বাড়ছে। ব্যথার কোলাহল। ব্যথার কোলাহল চরম থেকে চরমে। ব্যথার কোলাহল যখন প্রান্তিক সীমায় অভিধানে তখন যুক্ত হয় একটি শব্দ-- প্রসবব্যথা। প্রসব ব্যথায় মাগো তুমি জ্ঞান হারালে। তুমি জ্ঞান হারানোর সাথে সাথে পৃথিবীতে আমার জ্ঞান ফিরে। পৃথিবীতে আমার জন্ম।

প্রতিটি জন্মই তাহলে ব্যথার ফল?

আজ ভরা যৌবনে আমারে জন্ম দিল যে নারী তার ব্যথা কি প্রসব ব্যথার চেয়ে কোনো অংশে কম? 

আমার দেখা সিলেট

ক্বীন ব্রীজ। সুরমা নদীর অলঙ্কার। ক্বীন ব্রীজ আসামের গভর্নর মাইকেল ক্বীনের স্মৃতি বহন করে আছে। সুরমাকে নদীর মা বলা হয়। সুরমা নদীর মা বরাক নদী।  মণিপুর পাহাড়ের মাও সংসাং হতে বরাক নদীর উৎপত্তি।  বাংলাদেশ সীমান্তে নদীটি দুই শাখায় বিভক্ত।  উত্তরের শাখাটি সুরমা নদী, আর দক্ষিণের শাখার নাম কুশিয়ারা নদী। সুরমা নদী সিলেট এলাকায় প্রবেশ করে , আর তাতেই সুরমা অববাহিকার সৃষ্টি।

ক্বীন ব্রীজ ধনুকের শরীরের মতো বাঁকানো। ব্রীজের উপরিভাগ পিঞ্জিরার মতো। এই ব্রীজে এখনো পাঁচ টাকায় দাস পাওয়া যায় যারা বসে থাকে ব্রীজের গোড়ায়। তাদেরকে ঠেলা বলা হয়। ব্রীজটি যথেষ্ট ঢালু  হওয়াতে রিক্সা চালকের পক্ষে রিক্সা উপরে ওঠানো বেশ কষ্টসাধ্য। আর পেসেঞ্জার তো মহা মনিব। তাই রিক্সা যাতে ঢালু খাড়া ব্রীজপথ বেয়ে উপরে ওঠতে পারে সেইজন্য রিক্সার পেছন থেকে ধাক্কা দেয় এই ঠেলা।

ক্বীন ব্রীজের নিচের সুরমা নদী দেখলে অনুধাবন করা যায় নদীর স্রোতোকাহিনি। পানি যথেষ্ট ময়লা। তারপরও চোখের সাথে মনের সম্পর্ক তৈরি করে দেয় এই সুরমা নদীর জল।

সুরমা নদী, উপরে ক্বীন ব্রীজ, নদীর কিনারে চায়ের দোকান, ফাস্টফুড দোকান। ফাস্টফুডের সাথে এখনো আমার প্রিয় রসহ্য গড়ে ওঠে নি। তাই চা-ই খাচ্ছি। এক কাপ- দুই কাপ - তিন কাপ। ঠোঁটে গরম পানি, চোখে স্রোতোস্বিনী সুরমা, স্নিগ্ধ বিকালের চমৎকার মায়াবী কালার। তাইতো মনে পৃথিবীর প্রশান্তি। হঠাৎ চোখে পড়ে সুরমা রিভার ক্রুজ। টিকেট চারশত বিশ টাকা। সময় এক ঘন্টা। অত্যন্ত রুচিশীল খাবার তালিকা। এই ক্রুজের ভ্রমণবাসিন্দা হওয়া মানে ভিন্ন রকমের অনুভূতি। খাওয়া, সুরমা নদীর স্রোতে ভেসে থাকা। একজন নারী, একজন রমণী অঙ্গদুলালী গানও শুনাবে আপনাকে -- হাজার দর্শক মন মজায়া নাচে রে সুন্দরী কমলা। এই সুরমাপৃথিবীর কাছে চমৎকার একটি সন্ধ্যাসময় যাপন করলাম। চমৎকার।

প্রশান্তির বিছানা বিছনাকান্দি....

আম্বরখানা থেকে সিএনজিতে ওঠলাম। উদ্দেশ্য বিছনাকান্দি। রাস্তার দুপাশে নয়নাভিরাম দৃশ্য। যতই গভীরে যাচ্ছি মনে হচ্ছে এই বুঝি বিছনাকান্দি। কিন্তু না, মক্কা বহুত দূর হে। যা দেখছি তা যেন টুকরো টুকরো জান্নাত-- জল, সমুজ আর আকাশের মেলা। তোয়াকুল ইউনিয়নে যখন আমাদের সিএনজি তখন আমি প্রায় মাতাল।

ইয়া মাবুদ, আমি এ কী দেখছি!

আমার তখন মনে হয়েছে যারা প্রোফেসনাল কিলার তারাও যদি এই দৃশ্য দেখে তারা চিরদিনের জন্য ভালো হয়ে যাবে। ধর্ষকের সৌন্দর্যচেতনা বৃদ্ধি পাবে, নারীকে কেবল মাংস মনে হবে না।

বিছনাকান্দি আসলাম। গরম সিঙাড়া দেখলে আমি একটু লোভী হয়ে ওঠি। এখানে যে কয়েকটি দোকান আছে তা একেবারে সাধাসিধা। সিঙাড়া খেতে পারিনি। কারণ স্বাদ কেমন যেন নোনতা পানসে। এখান থেকে নৌকা দিয়ে মূল স্পটে যাওয়া যায়, আবার হেঁটেও যাওয়া যায়। হেঁটে রওয়ানা হলাম। গ্রামগুলো প্রকৃতি লালিত। প্রকৃতির বাতাসে ভেজা ঘ্রাণ।

গ্রাম পেছনে ফেলে আসার পর যা দেখলাম তা প্রকাশ করার ভাষা আমার কেন, কারোই নেই। সবুজ পাহাড়, রঙিলা আকাশ জোম হয়ে চোখের ভেতর চলে আসছে। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আমার কাছে পরিবর্তন হতে লাগলো। এতদিন সৌন্দর্য সম্পর্কে আমার যে ধারণা ছিল তা একেবারে পরিবর্তন হয়ে গেল। আমার দেহে আমার মন ছিল না। চাঁদ আর সূর্য যখন এক রেখায় চলে আসে তখন পৃথিবী থেকে জল ফিনকি দিয়ে বের হয়ে যেতে চায়, বিছনাকান্দির অসীম প্রিয়ার আহবানে আমার মনও দেহ থেকে ফিনকি দিয়ে বের হয়ে যায়।

বিছনাকান্দি আমার প্রথম প্রেমিকা যার জন্মের ইতিহাস কেউ জানে না, অনুমান করতে পারে, যার মৃত্যু কেউ কোনোদিন কামনা করে না।

পাহাড়, সবুজাভ পাহাড়। পাহাড়কে রঙিলা করে কখনো শুভ্র মেঘ, কখনো কালিয়া মেঘ, কখনো শিশির কনা। পাহাড়ের বুক-পথে জনবসতির মাটির দিকে নেমে আসছে ঝর্ণা।ঝর্ণা নয়, শাদা শাদা মেঘ যেন নেমে আসছে পৃথিবীর মানুষের কাছে। ঝর্ণা মানুষের জন্য নিয়ে আসে পাথরউপঢৌকন।

ঝর্ণার শীতল পানিতে বসে অনেক্ষণ ধ্যানস্থ ছিলাম। জল হয়ে পাহাড়ে গেলাম, পাহাড় থেকে মেঘে , মেঘ থেকে সাগরে, সাগর থেকে মহাসাগরে। মহাসাগরে গিয়ে দেখি চিরচেনা আমি। চোখ মেললাম। দেখি ঝর্ণার স্রোত থেকে  পানি নিতে আসলো এক পাহাড়ি কন্যা। পাহাড়ি কন্যা দেখলেই কোনো এক গোপন ভালোলাগা তৈরি হয় আমার হৃদয়ের আকাশে, তারা কেবল পাখি হয়ে উড়ে, আর আমার পাখি পাখি মন তখন পাখিদের দলে। ঝর্ণার পাথরে বসে গান ধরলাম --

ও পাহাড়ি কন্যা
পিছু ফিরে দেখ না
একবার তুমি আমার।।

তোমার চোখের নজর যেন নয়
আকাশের তারা তেমনি হয়।।

জলের গায়ে শব্দ আটকে যায়। তারপরও মৃদু শব্দ পাহাড়ি কন্যার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে। পাহাড়ি কন্যা পর পর তিন বার জল নিতে আসলো। তারপর আর আসলো না। আমিও যেতে পারিনি, হতে পারিনি ধীরাজ। কারণ এখানে বাংলাদেশ, ঐখানে ইন্ডিয়া। আমাদের মাঝে দেশের সীমানা। সীমানা যারা তৈরি করে তারাই মানুষ হত্যা করে, সীমানা যারা প্রতিষ্ঠা করে তারাই প্রেমিকদের শত্রু, মানবতার ঘৃণ্য পুঁজ।

চলে আসবো এমন সময় শুরু হলো বৃষ্টি। বিছনাকান্দির বৃষ্টি একরকম দাহ্য অভিজ্ঞতা! এক ফালি শুভ্র মেঘ কী করে একফোঁটা বৃষ্টির জল হয়ে যায় সরাসরি দেখতে পেলাম। পাহাড়ের দিকে তাকালে দেখা যায় মেঘের আধিপত্য। মেঘের ফাঁকে সবুজ পাহাড় কালো হয়ে উঁকি দেয়। মেঘ, পাহাড়, ঝর্ণা, বৃষ্টি, পাথর আর আমি-- এক নতুন মানুষ।
অন্ধকার নেমে আসবে। জলপুরী রেস্টুরেন্টে পাখির মাংস দিয়ে কিছু খেলাম। খেয়ে নৌকা করে হাদার পাড় বাজারের উদ্দেশে। নৌকা চলছে তো চলছে। একদিকে সাত পাহাড়, অন্যদিকে নিসর্গ, মাঝে মাঝে পাথরদ্বীপ। অন্ধকারের আধিক্যহেতু নিজের শরীর দেখা যায় না এমন সময় হাদার পাড় বাজারে এসে পৌঁছুলাম। সিএনজি করে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম।
কিন্তু মন আমার পড়ে আছে বিছনাকান্দির জলে যেখানে পাহাড়ের আস্তানা,
মন পড়ে আছে বিছনাকান্দির পাহাড়ে যেখানে মেঘ এসে বিশ্রাম করে,
মন পড়ে আছে বিছনাকান্দির মেঘে যেখান থেকে ঝর্ণা রঙ তুলে আনে।

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

প্রেম

জীবনে চলতে গেলে একজন মানুষের প্রয়োজন হয়। ছেলে হলে নারীর, নারী হলে পুরুষের। এটি আমাদের জৈবিক অভ্যাস। জৈবিক অভ্যাসকে অস্বীকার করা তো দূরের কথা, প্রশ্নই করা যায় না। এটি নেশা তবে এই নেশা আমাদের মতোই জীবিত। এই নেশার অবসান মানে জীবনের অবসান।

Hmmm valo laglo....but, ki r kara jabe?

ভালোবাসা প্রত্যাশা করা কেনাবেচার মতো না। ভালোবাসতে যেমন মহান একক মন লাগে তেমনি ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছাও মহান মনের পরিচয়। যে দিতে জানে সে নেয়া থেকে দেয়া শিখেছে।

Anek ki6u jani na dada, anek ki6u bujhi o na, kabe je bujhbo ke jane? Hoy to samay i ekmatro bolte parbe..

ভালোবাসার মানুষ শুধু ভালোবাসা চায়
ঘৃণাও চায় একক ঘৃণা

R hya, ami to india theke.... Hoy to valo jani na.... Pls, ek2 janaben apni ke?

শুধু একটি কথা বলবো,
ভালোবাসা একটি শিল্প, এই শিল্প দুজনে মিলেমিশে করতে হয়। দুজন চেষ্টা করলে অনেক ভালো কিছু হয়ে যায়।

পরিচয় আমার তেমন কিছু নেই, তবে অনেক বড় একজন প্রেমিক, অনেক বড় মাপের। তাই আমার একমাত্র দেবার মতো পরিচয় আমি প্রেমিক।

Tai! Khub valo laglo....
Ki6u ta bujhi..... But, valo baste giye to sudhu i dukho peye gelam.... R sahyo hoy na.

Hmmm ei katha tuku ami biswas kari..

বেঁচে থাকার প্রশ্নে একজন নারী, বলছি একজন নারী খুবই আবশ্যক। যায় কাছে মানসিকভাবে নগ্ন হওয়া যায়। যে কখনো  ফরমাল ভাষায় কথা বলে না।

Hmmm bandhutwer charom porjay r ki.

ভালোবাসা দেয়ার মাঝে সুখ আছে তবে পাওয়ার মধ্যে থাকে আনন্দ। সৃষ্টির আনন্দ। ইশ্বরের আনন্দ।

জল নদীতে থাকলে নৌকা চলবেই। জীবনে যদি একটি নারী আর পুরুষের ভালোবাসা কানায় কানায় পূর্ণ থাকে সফলতা জীবনে আসবেই। পারস্পরিক বোঝাপড়া আছে এমন প্রেমিক সম্প্রদায়কে প্রকৃতি সহায়তা করে।
প্রোমোশন তাড়াতাড়ি হয়, স্বাস্থ্য ভালো থাকে, চেহারায় মাধুর্য থাকে।
মন হয় বসন্তের বাতাসের মতো ফুরফুরে।

ভালোবাসা কঠিন এক আধ্যাত্মিক এবং বৈজ্ঞানিক ঘটনা। প্রেমিক একজন বিজ্ঞানীর চেয়ে কোনো অংশে কম না। তবে আমরা ভালোবাসতে জানি না।
ভালোবাসতে গিয়ে ভালো মানুষ হয়ে পড়ি। কিন্তু একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার কাছে পৃথিবীর সব চেয়ে খারাপ মানুষ। আবার একজন প্রেমিকা তার প্রেমিকের কাছে পৃথিবীর সব চেয়ে খারাপ মানুষ। তবে খারাপ মানুষ দ্বয়ের পৃথিবী এক এবং একক। সেখানে দৃশ্যমান পৃথিবীর জায়গা নেই।

Eto gavi re jete chai na bandhu.....

কে বলেছে প্রেম ভাসমান?

জীবনের মতো গভীর। আবিষ্কার করতে হয়!!

আপনার স্ট্যাটাস, তারিখ আমাকে বিদ্ধ, বিদগ্ধ করেছে। কেন জানি না!

Keno, keno? Jar janyo se status take anek bojhate pari ni ajo.

I mean anek chesta kare o bojhate pari ni.

বোঝাতে চাননি

Tai mone hoy?

মনে হয়নি। বিশ্বাস করি।

আপনি যেমন করে মনের সাথে কথা বলেন তার সাথে এমন করে কথা বলেন। কসম আপনাদের পৃথিবী অনেক সুন্দর হবে। অনেক সুন্দর। একটি পৃথিবী সুন্দর করার জন্য একহাজার অজুহাত লাগে না। একটি মনমোহন মন লাগে!

আপনার চমৎকার একটি পাগল মন আছে। পাগল মন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা চিনতে ভুল করে না।

Ki jani, bandhu? Hobe ki na ke jane.....but dhanyabad apnake...

But , thik je kare6i... Tao bolte par6i na.

ভালো থাকবেন। মন যেন মনের দেখা পায়। ভালোবাসা ভালো লাগে চোখের সামনে কিংবা চোখের ভেতর।

Hmmm apni o valo thakben apnar moner manus er sange, i hope that.

সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫

ইচিং বিচিং

ইচিং বিচিং চিচিং চা
প্রজাপতি উড়ে যা
প্রজাপতি আর হাসে না
মন থাকে না বনে
প্রজাপতির চোখে কালি
বাঘ-সিংহ মনে
বিচ্ছু থেকে প্রজাপতি
ভুলে গেছে অতীত
ঝগড়া তার প্রধান গুন
অদল বদল বাতিক
ইচিং বিচিং চিচিং চা
প্রজাপতি উড়ে যা
বাতাসে আর উড়ে না সে
অহংকারে উড়ে
ইচিং বিচিং চেলা সকল
তার ডানাতে ফুঁকে
প্রজাপতির দুইটি ডানা
চারটি হয়ে যায়
ইচিং বিচিং চেলা সকলের
বানর নাচন তাই

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

স্বপ

মানুষ তার স্বপ্নের চেয়ে অনেক বড়। কারণ মানুষ স্বপ্ন দেখে তার আবিষ্কৃত চিন্তাশক্তি দিয়ে। অথচ মানুষের অসীম চিন্তাশক্তি অনাবিষ্কৃত থেকে যায়।
একদিন মানুষ স্বপ দেখত পাখির মতো উড়ার। আজকে মানুষ পাখির চেয়ে গতিশীল উপায়ে উড়তে পারে।

মাছের মতো সাঁতার কাটার স্বপ্নও মানুষের ছিল।  আজকে মানুষ মাছের চেয়েও দ্রুত উপায়ে  সাঁতার কাটতে পারে।

আসলে মানুষ অসীম ক্ষমতাবান, পারিপার্শ্বিকতা মানুষকে ছোট করে রাখে। 

শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৫

সুর কথা

জানি না কেন যে তোমা রে বেসেছি ভালো
বেসেছি ভালো
তোমাতে পেয়েছি আঁধার আর আলো,
আঁধার আর আলো।।

আমি, আমি তো ছিলাম একা
দিলে, দিলে তুমি দিলে দেখা
দিলে দেখা।।

নিশিদিন প্রতিদিন ডাকি তোমায়
অন্তরে ছবি আঁকা তুমি তো নাই।।

জানি তুমি আসবে না আর কোনোদিন
শুনবো না প্রিয় সুর স্মৃতিতে মলিন।।



সুরকথা : এমরানুর রেজা, আনজাম

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

এক থেকে সাত

1
মৃত্যু এক পর্যটন নগরী, প্রাণী বাধ্যগত পর্যটক

2
মায়ের জাত এখনো ঘরকেই জয় করতে শিখেনি, আর বাইরে তো তুমুল বৃষ্টি

3
শিশুদের চোখ নিষ্পাপ নগরী, শিশুদের হাসি হৃদয়ের ঢেউ

4
প্রতিটি ভ্রমণ একটি জন্মের কথা বলে, প্রতিটি রমণ একটি ভ্রমণের কথা বলে

5
প্রেমিকা বানরকে পছন্দ করে, প্রেমিককে মনে করে খোপার বেলী ফুল

6
মানুষের হাসির নিচে থাকে স্বার্থ, কান্নার নিচে আমিত্ব

7
প্রত্যেক নারী সাবজেক্ট- ভার্ব-অবজেক্ট, প্রত্যেক পুরুষ অবজেক্ট-ভার্ব-সাবজেক্ট

সিলেট রেলওয়ে স্টশন
8.30 a.m
25072015

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৫

দুর্নীতি

আরে ভাই,
দুর্নীতি করবে ভালো কথা,
কর।
কিন্তু ভালোভাবে কেন করবে না?
ভালোভাবে দুর্নীতি করতে চাইলে সুস্থ থাকতে হবে। আর সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যে ভেজাল বাদ দিতে হবে। তুমি যখন ভেজাল ড্রাই ফুড তৈরি করবে কৃষকও গরুর দুধে পাউডার মেশাবে। তখন ভেজাল ভেজাল প্রতিযোগিতা শুরু হবে, অসুস্থ হবে প্রত্যেক দুর্নীতিবাজ।
সিনেমায় দেখি ভিলেনগ্রুপ অন্য ভিলেনগ্রুপের সাথে হাত মেলায় নিজেদের স্বার্থে। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া গ্রুপ এবং খাদ্যে ভেজাল দেওয়া গ্রুপ অবশ্যই হাত মেলানো আবশ্যক নিজেদের রক্ষা করার আবশ্যিক প্রয়োজনে।

আরেকটি কথা শুনবে ভাই দুর্নীতিবাজ,
সময় = জীবন।
যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হলে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। তুমি যদি ভালোভাবে দুর্নীতি করতে চাও তাহলে তোমার অবশ্যই সময়জ্ঞান থাকতে হবে। সবাই তো আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না। ফলে রাস্তার যানজট, ভাঙ্গা রাস্তার ঝাঁকুনিজট উপভোগ করতেই হয়। ফলে সময় এবং স্বাস্থ্য বেহুদা পথে।

সময় এবং স্বাস্থ্য রক্ষা করার স্বার্থে প্রত্যেক দুর্নীতিবাজকে হতে হবে ভাই ভাই। ভাই কখনো ভাইয়ের অকল্যাণ কামনা করে না।

জসীমের হাগু

জসীম আজকাল কমোডে হাগু করে। কমোডের নিচঅংশে থাকে জল। জসীমের হাগু কমোডের জলে পড়ে, কমোডের জলে ঢেউ ওঠে, ঢেউ ভিজিয়ে দেয় জসীমের নিতম্ব এলাকা। তাই প্রত্যেক বার টয়লেটের পর জসীমকে অর্ধস্নান করতে হয়।

কমোডে বসলেই জসীমের ছোট কালের কথা মনে পড়ে। খালের উপর টয়লেট। কলাপাতার বেড়া, গাছের টুম দিয়ে তৈরি পা রাখার জায়গা। জসীমের হাগু খালে পড়ে, খালের জলে ঢেউ ওঠে কিন্তু ঢেউ এতো শক্তিশালী ছিল না যে স্পর্শ করবে জসীমের নিতম্ব এলাকা। কারণ পা রাখার জায়গা থেকে খালের জলের দূরত্ব প্রায় পাঁচ ফুট।

কমোডের জল আর নিতম্বের দূরত্ব পাঁচ ইঞ্চি। তবে হাগু খাওয়ার জন্য খালের জলে থাকতো কই মাছ, শিং মাছ, চান্দা মাছ, কানপোনা। কমোডের জলে কোনো প্রকার-প্রাকার মাছ থাকে না। হাগুগুলো লাল মাছের মতো ভেসে থাকে কেবল।

বুধবার, ২২ জুলাই, ২০১৫

ভালো লাগা

ভালো লাগার প্রত্যেক বিষয় ভালো। ভালো লাগার প্রত্যেক বিষয় আরামদায়ক। ভালো লাগে বলেই নদী ছুটে চলে মূলের দিকে। ভালো লাগে বলেই ছাদহীন আকাশ পাখিদের ঘর, বৃষ্টিহীন মেঘ বাতাসের বাড়ি।
ভালো লাগা থেকেই অন্তহীন উৎসব-- আইনস্টাইন, প্লেটো, রবীন্দ্রনাথ, আলেকজান্ডার।
কসাই হৃদয় কাটে, পুলিশ ঘুষ খায়, সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ-- জমাটবদ্ধ ভালো লাগা থেকে নয়, জমানো অন্ধকার থেকে ওঠে আসা এক ঝাঁক অজ্ঞতা।
ভালো লাগে বলেই বেঁচে আছে হৃদয়, বেঁচে থাকে হৃদয় গিভিং প্রেরণায়,
আয়ুদের ডানায়। 

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৫

ঘড়ির কাঁটা সময়ের আদিষ্ট নবী 

কবুতর

শ্যামবাঢী। শান্তিনিকেতন। রুম ভাড়া নিয়ে থাকি। সকালে বৌদির দোকানে যাই, চুপ করে লুচি- ঘুগনি তারপর দুই কাপ চা খেয়ে সোজা রুমে চলে আসি। গাছের নিচে টিনের চাল, চালের নিচে একমাত্র আমি।

দুপুরে রুমে রান্না করি-- ভাত, আলু অথবা ডিম। কোনোদিন আলু-ডিম একসাথে। ঢেড়সভাজি মাঝে মাঝে তরকারির তালিকায় অভিজাত হিশেবে জায়গা করে নেয়। খুব বেশি অলস হয়ে উঠলে রান্না করা গরম ভাতের সাথে আগুনছ্যাঁকা শুটকীই যথেষ্ট।

দুপুরে জয়দেব দার কাছ থেকে কয়েক গ্লাস আখের রস খাওয়ার জন্য বের হই। দুপুরেই সূর্যের সাথে আমার দেখা হয়, কেবল দুপুরেই। কতটুকু সূক্ষ্ম হলে নিজেকে দেখা যায় জানি না তবে জানার ব্যাকুল তিয়াস নিয়ে নিমজ্জিত থাকি সময়ের বিন্দু বিন্দু রেখায়।

পৃথিবীতে যখন অন্ধকার নামতে শুরু করে, সব পাখি যখন নীড়ে ফিরে, সবাই যখন অন্ধকারকে ঘরে ফেরার আযান মনে করে আমি তখন রুম থেকে বের হই। সুবর্ণ রেখায় যাই, বই দেখি, বই কিনি। সমবায় থেকে ড্রাই ফুড, পেস্ট, আদা, মরিচ প্রভৃতি সংগ্রহ করি।

সন্ধ্যালগ্নে আমার প্রধান কাজ একটিই -- হাঁটা। বিনয় ভবন যাওয়ার রাস্তাটি ধরে হাঁটতে থাকি। নির্জন, নির্জন এবং নির্জন। মাঝে মাঝে দুই একটি সাইকেলের শব্দ। সাইকেলের পেছনে নারীপাখির কলরব, নারীনদীর কলতান। কলরবে, কলতানে আমার হায় চিলের কথা মনে পড়ে--কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে।

হাঁটতে হাঁটতে সৃজনী শিল্পগ্রাম পর্যন্ত যাই। তখন পৃথিবীর জন্য সৃজনী শিল্পগ্রামের দরজা বন্ধ। দূর থেকে চেয়ে থাকি অপলক। রঞ্জিত ক্ষ্যাপার গান স্মৃতির বাতাসে ভাসতে থাকে --

পুরুষ অ যইবনঅ কালে হাতে মোহন বাঁশি
নারীর অ যইবনঅ কালে রে মুখে মৃদু হাসি

সৃজনী শিল্পগ্রামের দেয়াল অদৃশ্য হয়ে যায়, আমি তখন পুকুর পাড়ের পূর্ব দিকের ঘাটসিঁড়িতে বসি, এক জোড়া অগোছালো চোখ, কাফনে মোড়ানো হৃদয়কাপানো এক এবং একক  সুর আমার দিকে তেড়ে আসে -- আমাকে জীবিত করে, আমাকে বিরহী করে, আমাকে মরে যেতে সহায়তা করে।


আজ থেকে দেড় বছর আগে ....


অরশ্রী মার্কেট থেকে রুমে ফিরছি। নিমবৃষ্টি শান্তিনিকেতনের আকাশে। বৃষ্টিকে মাথায় নিয়ে হাঁটছি। আম্রকুঞ্জ চুপচাপ। নীরব আম্রকুঞ্জে কিছুক্ষণ ধ্যানমগ্ন থেকে থোকা থোকা নির্জনতা আমার দেহের ভাঁজে ভাঁজে ইনস্টল করছি।

 কখন ঝড় এলো, কখন শিলাবৃষ্টিতে আহত হলো আম্রকুঞ্জ বুঝতেই পারিনি। নিজের জলভেজা শরীরখানা দেখে বিস্মিত, বিস্মিত হতে হলো একটি বিধ্বস্ত কবুতর দেখেও। উড়তে চায়, উড়তে পারে না।

কবুতরটি হাতে নিলাম....

কবুতরটির শরীরে স্বজন হারানোর গন্ধ লেগে আছে, লেপ্টে আছে ঝড়ের তাণ্ডব লীলা। এক সময় হয়তো তার পরিবার ছিল, প্রেমিক ছিল, আজ সে আমারই মতো একা। মন থেকে তাকে আপন করে নিলাম, হৃদয়ের গোপন এলাকায় আসন পেতে দিলাম।

রুমে নিয়ে গেলাম। আমার সন্ধ্যা বেলার হাঁটার সঙ্গী করলাম। মানসিকভাবে নগ্ন হয়ে তাকে প্রেম শেখালাম, বাঁচতে শেখালাম। সে খেতে পারে না, হাত দিয়ে, ঠোঁট দিয়ে দিনের পর দিন তাকে  খাওয়ালাম।
একদিন কবুতরটি সম্পূর্ণ সুস্থ হবে, আকাশে উড়বে এমনই স্বপ্ন ছিল আমার।
অথচ
কোনো এক সকালে কবুতরটি আকাশে উড়াল দিল। আনন্দের কথা। কিন্তু আমি আনন্দিত হতে পারিনি। কারণ কবুতরটি এখনো সুস্থ হয়নি, এখনো সে মাথা সোজা করে দাঁড়াতে শিখেনি, এখনো তার পায়ে ভবের দড়ি।

হায়রে আমি কবুতরটিকে সুস্থ করতে পারিনি!

আহারে কবুতরটি হয়তো কোনো শিকারির হাতে পৌঁছে যাবে!

দুঃখ আমার কবুতরটি স্বজন চিনতে পারেনি!

আমি কিন্তু এখনো কবুতরটিকে খুঁজি বিনয় ভবনে,
প্রান্তিক রেলওয়ে স্টশনে,
পূর্বপল্লী গেস্ট হাউজের দুইশত চব্বিশ  নাম্বার রুমে, গীতাঞ্জলি সিনেমা হলে,সৃজনী শিল্পগ্রামে,
সাইন্সসিটি কিংবা শ্রীরামপুরের অর্ধসংবৃত সন্ধ্যায় গঙ্গা মায়ের উদার ঘাটে,
আমি এখনো খুঁজি। 

শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০১৫

লাইব্রেরি

লাইব্রেরিতে বসে আছি। শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি। যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমি না সেহেতু এখানে বসে থাকা অনিয়ম।

সকল অনিয়ম ক্ষতিকর নয়; অনেক সময় উপকারের চেয়েও উপকারী। কিন্তু আমি এখানে কেন বসে আছি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হতে পারে।  প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে আমি এই মুহূর্তে প্রস্তুত আছি কিনা এটি একটি জৈবিক প্রশ্ন।

আসলে জীবনের কোনো চাওয়া যখন পাওয়ার মতো হয়ে অবস্থান নেয় তখনই মানুষের ভেতরে ঢেউ উঠে।

ঢেউ,  সাইক্লোন,  টর্নেডো।

টর্নেডোর কোনো ইতিহাস নেই, সময় নেই, নিয়ম নেই, আছে কেবল সৃষ্টির উন্মাদনা, মূলকে ছাপিয়ে উঠার প্রেরণা।

লাইব্রেরির বিশাল জায়গা জুড়ে কয়েকটি মহিষ  শীত পোহাচ্ছে। মহিষ বললাম এই কারনে যে জলে মহিষ গরমের তীব্রতার কারনেই নামে।

লাইব্রেরির জন্য আমি অসাংবিধানিক মহিষ। আমিও কিন্তু শীত পোহাচ্ছি। কিন্তু আমার শীতকম্পনের ইতিহাস লাইব্রেরি জানে না, যে জানার কথা সেও আজকাল লাইব্রেরির সজ্জিত বই, সেলফ থেকে বই আনতে গেলে লাইব্রেরিকার্ড লাগে, আমার যে কার্ড নেই ....

লাইব্রেরি

লাইব্রেরিতে বসে আছি। শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি। যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমি না সেহেতু এখানে বসে থাকা অনিয়ম।

সকল অনিয়ম ক্ষতিকর নয়; অনেক সময় উপকারের চেয়েও উপকারী। কিন্তু আমি এখানে কেন বসে আছি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হতে পারে।  প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে আমি এই মুহূর্তে প্রস্তুত আছি কিনা এটি একটি জৈবিক প্রশ্ন।

আসলে জীবনের কোনো চাওয়া যখন পাওয়ার মতো হয়ে অবস্থান নেয় তখনই মানুষের ভেতরে ঢেউ উঠে।

ঢেউ,  সাইক্লোন,  টর্নেডো।

টর্নেডোর কোনো ইতিহাস নেই, সময় নেই, নিয়ম নেই, আছে কেবল সৃষ্টির উন্মাদনা, মূলকে ছাপিয়ে উঠার প্রেরণা।

লাইব্রেরির বিশাল জায়গা জুড়ে কয়েকটি মহিষ  শীত পোহাচ্ছে। মহিষ বললাম এই কারনে যে জলে মহিষ গরমের তীব্রতার কারনেই নামে।

লাইব্রেরির জন্য আমি অসাংবিধানিক মহিষ। আমিও কিন্তু শীত পোহাচ্ছি। কিন্তু আমার শীতকম্পনের ইতিহাস লাইব্রেরি জানে না, যে জানার কথা সেও আজকাল লাইব্রেরির সজ্জিত বই, সেলফ থেকে বই আনতে গেলে লাইব্রেরিকার্ড লাগে, আমার যে কার্ড নেই ....

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫

ময়লা

মানুষ আকাশের ময়লা পরিষ্কার করতে চায় কিন্তু নখের ময়লা মানুষের চোখে পড়ে না

বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০১৫

বাংলাদেশে পা রাখলাম

ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করে বাংলাদেশে পা রাখলাম। দূর পথের যাত্রায় আমার একমাত্র বাহন ট্রেন। এখন তো বাসে ওঠতেই হবে। কারণ বাস ব্যতীত যশোরের বেনাপোল টু ঢাকা আসার অন্য কোনো সহজ বিকল্প পথ নেই।

ভাবছি কী করবো।

 মনকে বললাম হাজার হাজার লোক বাসে চড়ে, আমিও চড়তে পারবো। আর যদি বমি করি তাতে কী, বমি হতেই পারে। বমি করবো এমন একটি মানসিক প্রস্তুতিও শেষ।

সোহাগ কাউন্টার থেকে হিমেল দুটি টিকিট নিল। তাও আবার এসি বাস। সাধারণ বাসে যদিও বমি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, এসি বাসে বমি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।  বাসের পেছনের দিকে আমাদের সিট। আজকে মৃত্যুর স্বাদ নিতেই হবে। মৃত্যুর স্বাদ বললাম এই কারণে যে মৃত্যুর সময় শুধু আত্মা বের হতে চাই, আর বমির সময় আত্মাঘর যেন বের হওয়ার জন্য কমিটি গঠন করে।

বাসে ওঠেই কন্ট্রাক্টরকে বললাম,

``আমি তো বমি করবো, কিছু কী দিবেন?"

সামনের সবাই ঘার ফিরিয়ে আমার দিকে তাকালেন।

কী রে ভাই আমি এমন কী বললাম সবাইকে আমার দিকে তাকাতেই হবে।

কন্ট্রাক্টর পলিথিন দিয়ে গেলেন।

আমাদের পেছনে আরও সিট আছে কিন্তু যাত্রী নেই। টোটাল বাসে যাত্রী সংখ্যা দশ। পরিচালকপক্ষ ইচ্ছা করেই এই বাসে যাত্রী কম রেখেছেন পরে জানতে পারি। অর্থাৎ এই বাসে সিলেকটিভ যাত্রীদের তোলা হয়েছে। সুতরাং এই সিলেকটিভ যাত্রীদের মধ্যে একজন ঘোষণা দিয়ে বমি করবে এটা স্বাভাবিকভাবেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো ইস্যু।

বাস চলছে এমন সময় এক ভদ্র মানুষ আমাকে বলে উঠলেন,
`` আপনি লেখক আমি আগেই বুঝতে পেরেছি।"
অবাক হলাম। আমার মুখে তো কোনো সাইনবোর্ড নেই। তাঁর সিক্স সেনস আমাকে মুগ্ধ করলো। তারপর তার  সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করলো আমার চোখ এবং আমার মন।
জানতে পারি তিনি অভিনেত্রী মিস জয়া চৌধুরী। চমৎকার, অত্যন্ত চমৎকার  মানুষ। শরীর এবং মনে অহংকারের কোনো আলগা পাউডার নেই। আমি, হিমেল আর জয়ার এক বন্ধুপ্রিয় আড্ডা চলতে থাকে, বাসও চলতে থাকে।

ফরিদপুর আসলাম। ফেরি পার হবো। রাত তখন প্রায় নয়টা। ফেরির ছাদে ওঠলাম। ছাদ থেকে দেখছি পদ্মা নদী। সর্বনাশা পদ্মা নদী। জলের গায়ে প্রিয় অন্ধকার শুয়ে আছে, বসে আছে, খেলা করছে।
হঠাৎ দেখি আমার পাশে দাঁড়ানো মিস জয়া চোধুরী। আমরা দুজন প্রিয় দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছি। আমি একবার তাঁর চোখের দিকে তাকায় আরেকবার নদীর জলের দিকে।

-আপনার চোখে জল, নদীর জল। জলের সাথে আপনার চোখের এতো মিল কেন?

-জলেও কাহিনি আছে, আমার চোখেও কাহিনি আছে।

-Don't mind, আমি সিগ্রেট খাই না কিন্তু আজকে পদ্মাকে দেখে ধোঁয়া জ্বালাচ্ছি। যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে ....

- সিগ্রেট না খেলে পুরুষদের  আমার পুরুষই মনে হয় না।

লে... আমি তো সিগ্রেট খাই না। তাহলে এখনো পুরুষ হইনি! মেয়েদের কাছে পুরুষ হতে গেলে শালার কত রকমের প্রসাধনী-ভাবের যে প্রয়োজন হয় তা বলার অবকাশ রাখে না।

প্রিয় মুহূর্ত অল্পতেই শেষ হয়ে যায়। বাস আবারো চলছে। হিমেল গান গাইলো, জয়া শুনলো, গানের শেষে আমি একটু একটু তেহাই দিলাম।
গান, গল্প, আড্ডা, আনন্দ এবং আনন্দ। কন্ট্রাক্টর বলছেন,
``রেজা ভাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।"

আমি নেমে গেলাম। কিন্তু বমির কথা একবারও মনে হলো না। বার বার শুধু মনে হয় জয়ার কথা, আমি এখনো পুরুষ হতে পারিনি, কারণ আমি সিগ্রেট খাই না। 

মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০১৫

নির্ধারন, নির্ধারিত

ঘটনা শব্দটি চলমান। মানবজীবনে যা ঘটে তাই ঘটনা। মানুষ হয়ে উঠার পেছনে যা ঘটেছিল তাও ঘটনা। ঘটনা সমাজের প্রাণ, ঘটনা সম্পর্কের প্রাণ। চিন্তাসমষ্টি ঘটনার রক্ত। তাইতো ঘটনা থেকে রটনা, রটনা থেকে ঘটনা।

আল্লাকে জিজ্ঞেস করলাম,
``আল্লা, ও আল্লা, তোমার লগে কথা কওন যাইবো?"

আল্লা ক, ``যাইবো।''

ক্যামনে?

কুরান আছে না, কুরানের কথাগুলোই তো আমার কথা।

ও আচ্ছা।

আচ্ছা আল্লা,  কুরান আমগো লাইগ্যা কখন পাঠাইলা?

ইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতুল কাদরি।

ভালো কথা, কদরের রাতে আমরা কুরান পাইছি।

 কিন্তু এর আগে কুরান কই আছিল?

বাল হুয়া কুরআনুম মাজীদ ফি লাউহিম মাহফুজ।

ও! কুরান লাউহে মাহফুজে সংগৃহীত ছিল!

 আচ্ছা আল্লা, কুরান তো দীর্ঘ তেইশ বছরে নাযিল হইলো। কিন্তু তেইশ বছরে কেন্? তুমি তো একদিন কিংবা কয়েকদিনে নাযিল করতে পারতা, তাই না?

পারতাম কিন্তু আমি তো বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আয়াত নাযিল করেছি।

বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে!

তাহলে স্পষ্ট যেখানে কুরানের আয়াত সংগৃহীত ছিল সেখানে ঘটনাও সংগৃহীত ছিল। এবং আল্লা বসা থাকতেন যে কাফের নবীজীকে পাথর মেরে রক্তাক্ত করবে, করবে মানে করতেই হবে তখন আল্লা আয়াত নাযিল করবেন। একজন আবুবকর হয়ে মোহাম্মদকে ( সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমর্থন করবেন আবার একজন আবু জাহেল হয়ে বিরোধিতা করবে। সমর্থন আর বিরোধীতার মধ্য দিয়ে ঘটনা তৈরি হবে ( এমন ঘটনা যা আল্লা চান)  তখন আল্লাহ আয়াত নাযিল করবেন।

আরেকটি কথা আল্লাহর শিক্ষাদপ্তর কিন্তু পিএসসির মতো না যে প্রশ্নের তিনটি সিট তৈরি থাকবে -- একটি প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেলে আরেকটি দেয়া হবে, আরেকটিও যদি ফাঁস হয়ে যায় তাহলে তৃতীয় নম্বার প্রশ্নসেটটি পরীক্ষার জন্য মনোনয়ন হবে। আল্লার নির্ধারিত বাণী বা আয়াত এক এবং অদ্বিতীয়, বাণী বা আয়াত যে ঘটনার উপর আরোপিত হবে তাও এক এবং অদ্বিতীয়।

তাই এখন আর বোধে আসে না
কে হাকিম,
কে পুলিশ
আবার কে চোর!

সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০১৫

অপরাধ

রাজনের অপরাধ সে চুরি করেছিল
হত্যাকারীর অপরাধ তারা রাজনকে হত্যা করেছিল
রাষ্ট্রের অপরাধ সে রাজন ও হত্যাকারী তৈরি করেছে
আমার অপরাধ অযোগ্য তুলা হয়ে মাথার নিচে বালিশে বালিশে 

শনিবার, ১১ জুলাই, ২০১৫

দুর্নীতি

দুর্নীতি মানে নীতি থেকে দূরে নয়। দুর্নীতি নীতির মতো শক্তিশালী।

নীতি মূলত একটি কাঠামো যা অন্য একটি কাঠামো ভেঙ্গে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। দুর্নীতিও একটি কাঠামো যা নীতিকাঠামো ভেঙে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতিকে অবজ্ঞা করার কিছু নেই।

একটি নিয়ম যখন আমরা দেখি তখন ঐ নিয়মের শরীরে আরেকটি নিয়মের কবরও দেখতে পাই।

তারপরও দুর্নীতি কেন সমাজে থাকবে না?

অবশ্যই থাকবে।

তবে নীতিকে অবজ্ঞা করে নই, শ্রদ্ধা করে। দুর্নীতি যখন নীতিকে শ্রদ্ধা করবে, নীতি যখন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবে তখন আমরা তৃতীয় কিছু পাবো। আর তা হল মানুষের কল্যাণনীতি। কারণ মানুষ  ফেরেশতা নয়, মানুষ শয়তান নয়, মানুষ বিষ্ণু নয়, মানুষ শেষ পর্যন্ত মানুষ।

দুর্নীতিকে অবজ্ঞা করা হয় বলেই নীতিবাগীশ লোকদের আপ্তবাক্য শুনি। আর আপ্তবাক্য সুনীতির ছায়ায় বড় ধরনের অনীতি। কারণ আপ্তবাক্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও অনেক ভক্তের মানসিক খাবার। ফলাফল মানসিক মৃত্যু। যুগে যুগে কালে কালে এই মৃত্যু অব্যাহত থাকে। যুগের এই মৃত্যুর হার কমাতে সহায়তা করে দুর্নীতি। কারণ দুর্নীতি সব সময় আপডেট।

ডিমগোস্ট

যুবতী রাতে আকাশের এক কোণে গোলাকার জোছনার উৎসব

আমি তাকে চাঁদ বলি

সূর্যদিনে  আকাশের এক কোণে চাঁদের কলরব

আমরা তাকে ডিমগোস্ট বলি

সময়ের ব্যবধানে চাঁদও ডিমগোস্ট হয়ে যায়!

চাঁদের কাছে পৃথিবী কেবল জোছনাই চায়।

বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০১৫

এক থেকে সাত

1

কলকাতার বৃষ্টি রাধার কান্না নয়
কৃষ্ণের বাঁশি।

2

প্রসাধনমুখে ছায়াছবির অভিনেত্রী হওয়া যায়, গর্বপ্রিয় মা হওয়া যায় না।

3

কাম আর প্রেম একই উৎসের ভিন্ন নাম।

4

শিশুর ভালোবাসা আর বৃদ্ধের ভালোবাসা যতটুকু কামের তারচেয়ে বেশি প্রেমের।

5

আকর্ষণের মতো প্রেম, প্রেমের মতো আকর্ষণ।

6

অপ্রাপ্তিতে থাকে পরমা আকাঙখা, পরমা প্রাপ্তিতে থাকে পরমা অপ্রাপ্তির স্রোত।

7

ক্ষমা মহৎ গুণ নয়
মহৎ প্রতিশোধ 

ইতিহাস

ইতিহাস স্বয়ং রচিত হয়নি কোনো কালে। ইতিহাস রচনা করেন কিছু মানুষ যারা থাকেন মসনদে। আমি মসনদের মানুষ নই। অতি সাধারণ আটপৌরে জীবন আমার। আমার আব্বা কৃষক, সকালে গরুর দুধ বিক্রি করেন। আম্মা গৃহিণী, চাল-ভাতের সাথে তাঁর সংসার।
এমন দিন যদি আসে সাধারণের প্রতিনিধি হয়ে আমাকেও লিখতে হবে ইতিহাস!
তাহলে?
তা হলে দুজন মানুষকে আমি স্মরণ করবো পরম শ্রদ্ধায়--

(ক) লাবণ্য দাশ

(খ) গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক

দুজনই জানেন সময়স্রোতের অনুকূলে
কেমন করে মাঝি পাল তুলে। কেমন করে মাঝি গায় ভাটিয়ালী গান। তাঁরা কিন্তু সময়সুযোগে গাইতেও জানেন আজম খান। গায়ত্রীর বিরহের গান  পুঁজিবাজারের প্রতিষ্ঠান।

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫

আদিম আদালত

সবাই জানে বর্ষাকালে মেঘ আর বৃষ্টি হয়। মেঘ আর বৃষ্টি জানে বর্ষাকাল বলে কিছু নেই।
রবীন্দ্রনাথের বর্ষাযাপন এক বিলাসী অনুমান।
বিলাসী অনুমান কেমন করে সমাজ হয়ে ওঠে তা আমরা সবাই জানি।
আমরা জানি মেসির বাড়ি হবে ফুটবলের মাঠের মতো, নারীর স্বপ্ন হবে চুলের বেণীর মতো। তাইতো স্বপ্ন আটকে গেছে ফেনার মতো স্বপ্লদৈঘ্য আয়ুসীমায়।
কাল থেকে পৃথিবী স্তানিস্লাভ। বেদান্ত ঘোষণা জয়তু অভিযানে নামবে। জয়ঘর হবে মানুষের আদিম আদালত।

মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০১৫

মন্দিরদর্শন

বালিব্রিজ। বালিব্রিজের নিচে জলের কোলাহল। জলের সান্নিধ্য পেলে আমার এক হাজার বছরের পুরনো দুঃখগুলোর সন্তরণ ঘটে, আমি তখন স্বাভাবিক মানুষ, আমার দীর্ঘশ্বাসগুলোও তখন কেমনতেমন জীবন হয়ে ওঠে।

বালিব্রিজের  নিচে যে জল সম্প্রদায় তাদের প্রাদেশিক নাম গঙ্গা (গঙ্গা মা)। গঙ্গাকে আমার কিন্তু মা মনে হয় না-- বান্ধবী মনে হয়, রাজনগরের সেই বান্ধবী যে এখন চাকর হওয়ার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে পড়াশোনায়। বান্ধবী মনে হওয়ার অবশ্যই আরেকটি কারণ আছে -- কারণ সে ভাঙ্গতে জানে। বান্ধবী তো এমনই যে আমাকে গড়বে গড়বে কিন্তু ভাঙনের মধ্য দিয়ে।

বালিব্রিজের  নিচে গঙ্গা।  গঙ্গার সঙ্গে নয়, পাশে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। মন্দিরটি জলাতঙ্ক প্রেমে আক্রান্ত। এখানে কিছু হনুমান দৃশ্যমান যারা মানুষের মতো সামাজিক। কিন্তু শান্তিনিকেতনের হনুমানগুলো এখনো যথেষ্ট অসামাজিক, নতুন মুখ দেখলেই তেড়ে আসতে চাই, পুলিশের ভয় দেখায়।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঢুকেই পুরনো মানুষ-মাটির ঘ্রাণ পেলাম। মন ধ্যানে রেখে উপলব্ধি করা চেষ্টা করলাম এই মন্দিরের প্রথম যৌবনে কারা তাকে চর্চা করতেন। কবুতর এখানে গৃহপালিত মেহমান। কবুতরের জীবনপ্রবাহে শান্তি শান্তি গন্ধ।

মন্দিরকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ভক্তি অসীম। যদিও ভক্তিতে কোনো প্রকার মুক্তি নেই, শক্তি আছে। তবে শক্তিটা তেলেভাজা বেগুনের মতো।
ভক্তদের মাঝে কিছু নারীভক্ত দেখলাম, দেখে মনে হয়েছে তারা এইমাত্র সিনেমার প্রোডাকশন হাউস থেকে নেমে এসেছে, শরীরে তাদের আইটেম সংয়ের পোশাক। একটি সুবিধা অবশ্যই হয়েছে, আর তা হলো দেব-দেবী দর্শন আর ওলা ওলা নায়িকা দর্শন এক সাথে অর্থাৎ এক টিকিটে দুই ছবি দেখার মতো আরামদায়ক।
কোনো জায়গায়  নতুন ভ্রমণে আমার দুটি পুরাতন কাজ --
(ক) চোখ ও মনকে দৃশ্যের গভীরে নেওয়া,
(খ) ছবিগ্রেফতার করা।
ছবি আমার কাছে ইটারনাল কাব্য। ছবিই সময়ের যোগ্য প্রতিনিধি। আমি হিমেলের ছবি গ্রেফতার করছি, হিমেল আমার ছবি।
এক সময় মন্দিরের পূর্ব কোণায় লেকের পাশে গেলাম। সিকিউরিটি গোপীনাথ দার কাছ থেকে অনুমতি নিলাম ছবিগ্রেফতার করার জন্য। তিনি অনুমতি দিলেন। দেয়ালের খাজ কাটা অংশে দাঁড়ালাম। আমার হাতের দুটি বই খাজ কাটা অংশে রাখলাম। ছবি নেয়া শেষ।

বের হয়ে যাবো। মন্দিরের কোণায় জলঘর। জল পান করলাম। গেইট থেকে বের হয়ে মনে হলো বই দুটি আনা হয়নি। তাড়াতাড়ি লেকের কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি বই নেই। গোপীনাথ দাও বলতে পারে না বই কোথায়। বিস্মিত হলাম। এতো অল্প সময়ে বই উধাও!

আগে জানতাম মন্দির থেকে জুতা চুরি হয়, আর এখন শিখলাম মন্দির থেকে বইও....

সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫

রবীন্দ্রভারতী

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মানেটা কী বিশ্ব মানের ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়?
হয়তো তাই।
মহাসড়কের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্বমান কথাটা আজকাল কাজে পাওয়া যায় না,
নামেই সীমাবদ্ধ থাকে। ফোর কোয়ার্টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলাম কিন্তু আমাকে প্রধান ফটকে আটকে দেওয়া হলো। আমার ফোর কোয়ার্টার তিনাদের নিয়মের সাথে যায়না। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চাইলে আমাকে ফোল প্যন্ট পড়ে আসতে হবে।
প্রতিবাদ করলাম,
তাতেই আমাকে প্রধান সিকিউরিটি অফিসারের কাছে নেওয়া হলো।
অফিসার আমার সাথে অত্যন্ত নম্রভাবে একটি প্যন্ট ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বললেন।
আমি বললাম লাগবে না, আপনাদের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম। আজকাল শ্রদ্ধা বিষয়টা উঠে গেছে।
প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ গতিবিধি অবজার্ভে ছিলাম। দেখলাম মেয়েরা ক্যাম্পাসে ঢুকছে কিন্তু তাদের স্তনের উপরে হালকা কাপড়ের প্রলেপ,
কোনো প্রকার ওড়না নেই। মেয়েদের শরীরে গরম বেশি-- এটা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুধাবন করতে পেরেছে।
 হায়রে মমতাময়ী রবীন্দ্রভারতী ! পর্যটকদের জন্য তোমার মমতা একটু রেখো, নইলে তুমিও যে পার্সিয়াল হয়ে যাবে। 

রবিবার, ৫ জুলাই, ২০১৫

বিরাজমান



ভালো ছিলাম আমি
বিষ খাওয়া শেখালে তুমি
মরতেও পারিনা, বাঁচতেও পারিনা
এ কেমন বিষ মরতেও দেয়না
উফ! কী যে যন্ত্রণা
মরনের মতো তীব্র বেঁচে থাকার বেদনা

শনিবার, ৪ জুলাই, ২০১৫

পশু আর মানুষ

পশু আর মানুষের মাঝে পার্থক্য আছে। পশুর কাছে খাবারই সামাজিক বাদবাকি পারিবারিক। খাবারের জন্য পশু যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। কিন্তু মানুষের কাছে বেঁচে থাকার অর্থ শুধু খাবার নয়। মানুষ চৈতন্যের কারিগর।

আমার আব্বা বলতেন ``তুমি যদি কোনো গরু কিনে আনো এবং শেষ রাতে যদি দেখ তোমার গোয়ালে গরু নেই। তাহলে? তা হলে মালিকপক্ষের কাছে ফোন করে প্রথমে জেনে নিবে গরুটি কোথায় ঘাস খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। দেখবে ঐ ঘাসের মাঠে গরুটি ঘাস খাচ্ছে ....

কথা

আমাদের দেশে হবে সেই মানুষ কবে
কথায় পটু তবে কাজে বড় হবে 

বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০১৫

পৃথিবী এক পরিবার

আমাদের পরিবারের সদস্য পাঁচ। বাজার থেকে কাঁঠাল কিনে আনা হলো দুটি। আমি একাই একটি কাঁঠাল ভক্ষণ করলাম। আর একটি কাঁঠাল অন্য চারজন মিলেমিশে খেলো। আমার শরীরে পর্যাপ্তের অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হলো কিন্তু অন্য সদস্যদের শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালরির ঘাটতি। প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটে। ফলে আমি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা শারীরিকভাবে অসুস্থ। কারণ সুস্থতা কোনো আধ্যাত্মিক ঘটনা নয়, সম্পূর্ণ খাবার এবং পরিবেশ নির্ভর।

গ্রীষ্মকালীন ফসল ঘরে তোলার মৌসুম। ধান কাটা, ধান সিদ্ধ করা, ধান শুকানো, ধান গোলায় তোলা-- এমন শ্রমনির্ভর কাজ আমাদেরকে করতে হয়। আমাদেরকে বলতে আমাদের পাঁচ জনকে।
আমি একা তিনজনের খাবার খেতে পারলেও তিন জনের কাজ একা করতে অক্ষম। এবং পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া পরিবারের অন্য সদস্যরাও কিন্তু পর্যাপ্ত কাজ করতে অক্ষম। ফলে ফসল যে সময়, যেভাবে ঘরে উঠার কথা সেইসময় কিংবা সেইভাবে কিন্তু ফসল ঘরে ওঠেনি, ওঠতে পারেনি।

পৃথিবী আমাদের পরিবার, মানুষ সেই পরিবারের সদস্য। পৃথিবীর একটি মানুষ যদি উপোস থাকার কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে প্রত্যেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এখনো মানুষ প্রকৃতির কাছে অসহায়, প্রকৃতিকে জয় করতে হলে পরিবারের প্রত্যেক সদস্য সমানভাবে কাজ করতে হবে। আর সমানভাবে কাজ করতে হলে সামর্থের সমতা অতীব জরুরী। 

প্রথম

পৃথিবীর প্রথম মিথ্যুক লেখক
পৃথিবীর প্রথম মানুষ লেখক 

বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫

নিন্দার্থে

মানুষের মতো নিন্দুকের বড়ই অভাব। প্রতিবন্ধী নান্দিপাঠ মানুষের জন্মগত ভাষণ, প্রতিবন্ধী নিন্দাপাঠ  মানুষের স্বভাবগত কথন। প্রতিবন্ধী স্রোতে বেঁচে থাকে কই মাছের জীবন।