বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০১৫

পৃথিবী এক পরিবার

আমাদের পরিবারের সদস্য পাঁচ। বাজার থেকে কাঁঠাল কিনে আনা হলো দুটি। আমি একাই একটি কাঁঠাল ভক্ষণ করলাম। আর একটি কাঁঠাল অন্য চারজন মিলেমিশে খেলো। আমার শরীরে পর্যাপ্তের অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হলো কিন্তু অন্য সদস্যদের শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালরির ঘাটতি। প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটে। ফলে আমি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা শারীরিকভাবে অসুস্থ। কারণ সুস্থতা কোনো আধ্যাত্মিক ঘটনা নয়, সম্পূর্ণ খাবার এবং পরিবেশ নির্ভর।

গ্রীষ্মকালীন ফসল ঘরে তোলার মৌসুম। ধান কাটা, ধান সিদ্ধ করা, ধান শুকানো, ধান গোলায় তোলা-- এমন শ্রমনির্ভর কাজ আমাদেরকে করতে হয়। আমাদেরকে বলতে আমাদের পাঁচ জনকে।
আমি একা তিনজনের খাবার খেতে পারলেও তিন জনের কাজ একা করতে অক্ষম। এবং পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া পরিবারের অন্য সদস্যরাও কিন্তু পর্যাপ্ত কাজ করতে অক্ষম। ফলে ফসল যে সময়, যেভাবে ঘরে উঠার কথা সেইসময় কিংবা সেইভাবে কিন্তু ফসল ঘরে ওঠেনি, ওঠতে পারেনি।

পৃথিবী আমাদের পরিবার, মানুষ সেই পরিবারের সদস্য। পৃথিবীর একটি মানুষ যদি উপোস থাকার কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে প্রত্যেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এখনো মানুষ প্রকৃতির কাছে অসহায়, প্রকৃতিকে জয় করতে হলে পরিবারের প্রত্যেক সদস্য সমানভাবে কাজ করতে হবে। আর সমানভাবে কাজ করতে হলে সামর্থের সমতা অতীব জরুরী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন