মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

রাস্তা

প্রিয় রাস্তা, রাজার পা পেয়েই হয়ে গেলে রাজপথ! তোমাকে ত আমি হৃদয় দিয়েছিলাম

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

মথুরা সত্য

শকুনি যতভাবে বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণকে পরাজিত করার চেষ্টা করেছে ঠিক ততভাবে শকুনি পরাস্ত হয়েছে।

পান্ডবরা জয় হয়নি, জয় হয়েছে সত্যের। সত্যের পতাকা তুলে ধরবার জন্যে যদি কেউ না থাকে স্বয়ং প্রকৃতি তখন সত্যের পতাকা হাতে তুলে নেয়। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং প্রকৃতি হয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন।

নিষ্ঠুরতা প্রকৃতি সহ্য করতে থাকে কিন্তু নিষ্ঠুরতার সীমা যখন সহ্যের সীমানা ছেড়ে যায় প্রকৃতি তখন কুরুক্ষেত্র নির্মান করেন যেখানে শকুনি যত পরিকল্পনা করুক না কেন, সবই তার প্রতিকূলে অবস্থান নিতে বাধ্য।

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯

শ্রীরাম

জয় শ্রীরাম বলে মিছিলে হামলা হবে। আপনি বলবেন "শান্তির মিছিল," শ্রীরাম-ভক্ত বলবে "এই আক্রমন ধর্মের।"

শান্তি ও ধর্ম যখন ইংরেজি থিউরি পিউরি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যায় মানুষ তখন মতবাদের ফাদে পরে নিজের আপনজন হারায়

শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯

শেখ সাদীর গুলিস্তা

এক দেশে এক রাজা ছিলেন। গুলিস্তার রাজা। না। গুলিস্তা কোনো শহরের নাম নয়। গুলিস্তা মানে ফুলের বাগান। শেখ সাদী তার বইয়ের নাম দিয়েছেন গুলিস্তা। এটি মূলত মানবিক জাগতিক  ইন্দ্রিয়াতীত নৈতিক শিক্ষার আধার।

বলছিলাম এক দেশে এক রাজা ছিলেন। না। রাজা গাজা খেতেন না। তবে রাজা আদেশ দিতেন। সব রাজাই আদেশ দেন। শেখ সাদীর গুলিস্তা কিতাবের রাজাও আদেশ দিলেন।

কী আদেশ দিলেন?

 লোকটির মৃত্যু।

লোকটিকে যেন শহরের কেন্দ্রে জনসম্মুখে ফাসি দেয়া হয়।
কেন কেন?

কারন আমরা জানতে পারিনি। বইয়ে উল্লেখ্য নাই। রাজাদের অবশ্যই ফাসিটাসি দিতে কারন লাগে না। রাজা বলে কথা। রাজা যদি নিজের ইচ্ছামতো আইনটাইন নিয়মটিয়ম তৈরি করতে নাই'ই পারে তাহলে রাজা হবে কেমনে!?

লোকটি নিজের মৃত্যুর কথা শুনে রাজাকে বকাবকি করতে আরম্ভ করে। ভাগ্যিস লোকটির ভাষা রাজা বুঝতে পারে না। রাজা প্রধান উজিরের কাছে জানতে চান, লোকটির উচ্চারিত ভাষা সম্পর্কে। উজির ঠাডা মিথ্যা কথা বলে।

লোকটি আপনার প্রশংসা করছে এবং কোরানের একটি আয়াত পাঠ করছে।

আয়াতের মাহাত্ম কী?

আয়াতের মাহাত্ম হচ্ছে  ''নিশ্চয়ই প্রভু দয়ালু হৃদয়কে ভালোবাসেন এবং তার জন্য নির্ধারিত রেখেছেন অফুরান কল্যান।"

রাজা প্রধান উজিরের কথা শুনে লোকটির সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করেন। রাজা বলে কথা। লোকটির মুখে হাসি নেমে আসে। কিন্তু সমস্যা বাধে অন্য জায়গায়। রাজ্যের অন্য এক উজির বলে ওঠে অন্য এক কথা।

মহারাজ।

বলো।

প্রধান উজির আপনার সঙ্গে মিথ্যা বলেছে। লোকটির শাস্তি হওয়া আবশ্যক। মিথ্যা বলার অপরাধে প্রধান উজিরেরও শাস্তি হওয়া দরকার।

কী মিথ্যা বলেছে?

লোকটি আপনাকে বকাবকি করেছে।

এবার রাজা কিছুক্ষনের জন্যে চুপ হয়ে গেলেন। রাজ্যসভায় মেঘের ঘনঘটা। কী হতে যাচ্ছে কেউ অনুমান করতে পারছে না। অনেকেই ভাবছেন প্রধান উজিরের বিশাল শাস্তি হবে। অনেকের ভাবনা হয়তো সত্যি হতো। কিন্তু সত্যি হলো না। রাজা বললেন ভিন্ন কথা।

যে সত্য ফিতনা তৈরি করে সেই সত্যের চেয়ে ফিতনা দূরকারী মিথ্যা উত্তম।

রাজা প্রধান উজিরের পক্ষ নিলেন এবং লোকটি ক্ষমা করে দিলেন।

এই গল্পটি বলার সময় গুলিস্তার স্রষ্টা শেখ সাদী কয়েকটি দার্শনিক বক্তব্যও দিলেন। বক্তব্যের মূলকথা হলো মানুষ যখন চরম বিপদে পড়ে যান তখন তার স্বাভাবিক সেন্স কাজ করে না। তখন যে কারো পক্ষে অস্বাভাবিক আচরন করাও স্বাভাবিক
(ওয়াক্তে জুরু র' ত চু নমা নদ গুরিজ
দস্তে বেগি রতসরেশাম সিরেতেজ)।

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

আপনার কল্যান হোক


আপনাকে যখন থেকে চিনি তখন থেকে আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অসীম। আপনার বাবাকে দেখার পর তাঁর প্রতি ও আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায়। আপনার ও আপনাদের কল্যান কামনা করেছি এবং করতে থাকার প্রয়াস করি।

আপনাদেরকে কখনো পুলিশি রাষ্ট্রের লোক মনে করি নাই। বরাবরই মনে করেছি মানবিক রাষ্ট্রের লোক আপনারা। মনে করেছি মানুষ ও মানুষের সরলায়িত হৃদয় আপনার শেষ গন্তব্য। আমার সার্টিফিকেট আমি কারো কাছ থেকে চাই না। তবে মনে রাখবেন নিশ্চয়ই রাস্তার কুকুরও ভালো প্রভুর আচরনে সন্তুষ্ট হয়।

কাউকে বিব্রত বিরক্ত করার শিক্ষা আমাকে দেয়া হয়নি। আমি সবার সাথে একটা সীমানা পর্যন্ত মিশি, তারপর সীমানাকে সীমানায় জায়গায় রেখে চলে আসি নিজের ভেতরে বানানো কুয়ার মতো ছোট্ট নিরেট জায়গায়। কারো শরীরের ধুলাবালি খুব মুছতে যাই না আমি, কারন ধুলাবালি মুছতে মুছতে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিটিও মুছে যেতে পারে।

আমার নীরবতা আমার শক্তি। অনেকের নীরবতাও অনেকের শক্তি। তাই আমার নীরবতায় দয়া করে আঘাত করতে আসবেন না, প্রকৃতি সহ্য করবে না। প্রকৃতি আমার আপনার চেয়ে অনেক শক্তিশালী।

আপনাদেরকে যে উচ্চ আসনে রেখেছি সেখানে থাকুন এটাই আমার অনুরোধ। কোনো প্রকার মিথ্যাচার কোনো প্রকার অযাচিত অভিযোগ ক্রিয়া আমার দিকে ছুঁড়ে দিবেন না। মিথ্যুক যেই-ই হোক তার পরিনতি ভালো হয়নি। মিথ্যা স্বয়ং আত্মঘাতী।

আমাকে গালিগালাজ করা যেহেতু আপনার মৌলিক  অধিকারের মধ্যে পড়ে সেহেতু আমার কিছু বলার নেই। তবে মিথ্যাচার বন্ধ করুন। আর কিছু বলতে চাইলে ফোন দিয়ে সরাসরি কথা বলুন। চোরের মতো চোরাবালি নির্মান করবেন না। আমি চাই না আপনার সম্মান নষ্ট হোক, কারন আপনি সম্মানিত।

সবশেষে বলবো ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। কারন দুই হাজার ১৪ সাল আর দুই হাজার 19 সাল হাজার হাজার মিনিটের খেলা। ভালো সম্পর্ক নষ্ট করার চেয়ে সম্পর্ক সম্পর্কের জায়গায় রেখে দেওয়াই সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল আচরনের নামান্তর।

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

জয় হে

জয় হওয়ার কম সম্ভাবনা নিয়ে যে জয় হয় তার আনন্দ অধিক, জয় হওয়ার অধিক সম্ভাবনা নিয়ে যে জয় হয় তার প্রশান্তি অধিক

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

বটে

বিড়ালের যখন মৃত্যু আসে তখন সে বাঘকে আক্রমন করে বসে

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯

জীবনের জন্যে সতর্কতা প্রয়োজন, জীবন নাশের জন্যে অতি সতর্কতাই যথেষ্ট

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯

পাথরের আকাশ

তুমি তবে ফুল হয়ে পাথরের আকাশে পাখির মতো উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে গন্ধ বিলাও অবিরত

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

প থ

হে পথ, তোমার কী বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করে না!?

কালিয়া নিষাদ

তারা ভরা আকাশ নদীর জলে
নদী ভরা জল আকাশ হলে
আমি তুমি ভেসে চলি সামাজিক ছলে
তবু ত কিছু মানুষ জেগে থাকে রোজ
জোছনাজলে চোখভাজা ভোজ
মিটিং চিটিং করে আলো কোসা নৌকা মাঝি
প্রেমিকার ঠোঁটে রাখে প্রেমরাত আজি
গহিনে জমা করে চাল ডাল ভাত
প্রভাতের ঘরে বসে হারামি রাত
ঢেউয়ের পর ঢেউ ভাঙে পদ্মার জল
আকাশে তারা নয় মানু‌ষের কল
আকাশ নদী হলে নির্বানে আমি
উজানে নদীর ডাক কালিয়া ভূমি

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

রূপালি রোদ আর মিষ্টি আলোর শহর

একবার মানুষের ডাক পেয়ে হাশর পৃথিবীর দিকে হাটা শুরু করে। নদী থেমে যায়। মানুষের জেলখানা বন্ধ হয়ে যায়। একটা লোকের কাছে দায়িত্ব দিয়ে সব লোক ঘুমাচ্ছে। অন্ধকার ঘুম।

এখানে নদীর অনেক ঢেউ, অনেক স্রোত। কাল ভোর হবে। আজ একটি নির্দিষ্ট দিন যেখানে কবরের ডাক কানে আসতে পারে। মানুষের ঘুম নেই। নদী ও নারীর ঘুম নেই। মাদের ঘুম নেই। বলেন। আপনি বলতে থাকুন। শুনতে আসা লোকদের বড়ই অভাব। কেউ ব্রার মতো কেউ চরের মতো কেউ নদীর কুয়াশার মতো বলতে চায়। বলুন। বলতে থাকুন।

হোক পদ্মা বা মেঘনা নদী। সব জলের সম্পর্ক অনেক গভীর অনেক নিবিড়। মানু‌ষে মানুষে সম্পর্কে অনেক আজাইরা স্বার্থ থাকে যেখান রোদ এসে খেলা করে না। মানুষ নৈর্ব্যক্তিক মানুষ অবজেক্টিভ মানুষ কাকতালীয় ব্যাপার স্যাপার। মানুষ হতে পারেনি প্রিয় আপেল ফুলের নরম ঠোঁট।

ভেসে চলছি আমরা। ভেসে চলছি আমরা নদীর উপরে কিংবা অন্ধকারের ভেতরে অথবা অজানা কোনো জান্তব মাধ্যমে। ভয় আর ভয়। মৃত্যুর ভয়। পরকালের আগুনের ভয়। ভয়ের মাঠে সুখ বলে কিছু নেই। জাস্ট ভয়কে আঙ্গুল দেখাতে মনের যত আয়োজন হতে পারে কিন্তু পারেনি। ভয় আর ভয়। ভয়ের বাগান চারদিক। বেচে থাকার তীব্র ইচ্ছা খেলা করে বাসনায়। জেলখানা ভাঙার ইচ্ছা থাকে না আসামির। মানুষ আজন্ম আসামি।

দূরে আলো জ্বলছে। শব্দ হচ্ছে কানে। ঢেউয়ের শিবিরে  নীরবতার শব্দ। ঘুমাতে যাও এখন কিংবা আসন্ন সময়ে। ঘুমাতে যাও বন্ধু আমার। ঘুমে ভয় আসবে। ঘুমে ভয় আসবে সাপের কিংবা কুকুরের। কাল ভোর হবে। ভোরে কাল হবে। লোকটি আঙ্গুল চিবাতে চিবাতে মৃত্যুর কথা বলবে।

গ্রাম দেখা যায়। লোকসভা বসবে না। রাজনীতি হবে। মিছিল হবে। শ্রীকৃষ্ণ শ্রীকৃষ্ণ বলে গ্রাম উন্মাদ হয়ে যাবে। আবার যুধিষ্ঠির।  কুরুক্ষেত্র ফিরে আসবে রাজসভার নিরাপদ আসনের সুখসভায়।

ভোর হবে। কাকের সভা সেন্সর পাবে। কুকুর আদালত ডাকবে। মানুষ ঘুমাবে মিষ্টি খেয়ে। সূর্য রোদের প‌রিবর্তে বিতরন করবে প্রচন্ড মাতন্ড তাপ।

আলোর ঘ্রান। আলোর গ্রাম। নিশ্চয় আলোর ঘ্রান সিংহের বগলে ফ্লাট বানাবে। মোহ লাভজনক নয়। মোহকে ফেলে আসলাম মেঘনার জলে। জলে ভেসে থাকে আমাদের প্রাচীনতম ষাঁড়। ঘাড় থেকে প্রথম আলোর চিহ্ন মুছে ফেলে মানুষ এক অতি আদি দানবের নাম। মানুষ এক ফেনায়িত তীরের নাম। চাইলেই পারি নদীর মতো রাত কেটে ফেলতে। চাইলেই পারি জেলের মতো মাছ শিকার করতে।

শিকার! শিকার থেকে আজকের মানুষ। মানুষ এক শিকারের নাম। মানবতা কথাটি স্টকহোম বিথাঙ্গল গ্রাম। আলোর বাজার। মিটিমিটি আলোর বাজার।

বোকামি। চালাকি। চালাকি। বোকামি। তারপর অনেক বছর নির্বাক। নির্বাচন হলে জয় নিয়ে শুরু হবে লাফালাফি। ভালো ত তাই যা নির্বিশেষে নিথিয়া নিথর। নিথর অলি আল্লা ক্লান্ত হয় না মৃত্যুঘুমে। মৃত্যুঘুম এক ভ্রমনের নাম হলে আমিও যাবো অযুত লক্ষ নিযুত কুটির ঘরে।

ঘর থেকে বাহির বাহির থেকে ঘর, তারপর বাহিনির সুপেয় পানি। পানি অথবা জল। জল অথবা পানি। মানুষ হোক মানুষের নিরাপত্তার অতন্দ্র প্রহরী।

সততাকে অভিশাপ দেয়ার পরেও কেউ কেউ মহা মানুষ। মানুষ এমনই কার গলে মালা পরায় কার গলে তুলে দেয় ইলিশ মাছের কাটা মানুষ ন জানে। কেডা জানে কার কপালে পোনা নদীর জল বাকে বাকে খেলা করে হৃদয়ে কচা ঘাটে।

আমরা যে বাসায় উঠলাম তার নামটা অনেক সুন্দর। সুন্দর স্বপ্নের মতো সুন্দর। কিন্তু নামটি ভুলে গেছি। ভুলে গেলে সবুজ মাঠের চিহ্ন হৃদয়ের বারান্দায় ঝুলে থাকে, ঝুলে থাকে, ঝুলে থাকে এবং ঝুলে থাকার কথা আছে।

পাগলে টেকা চিনে। যে পাগল টেকা চিনে না তার লগে বহুদিন থেকে দেখেছি মানুষ বড় একা, দুনিয়া এক ক্যাসিনো আর তথ্য পত্ত তুলার মতো উড়ে আসা বক।

কলে শব্দ থাকে। মনে শব্দ থাকে। বাজারে শব্দ থাকে। ফেইসবুকে শব্দ থাকে। শব্দের অনেক নাম। তিন হাজার কিংবা তার চেয়েও বেশি। শব্দের লেজ ধরে লেফ রাইট লেফ রাইট করতে থাকে সভ্যতার সেনাবাহিনী। রূপালি রোদ আর মিষ্টি আলোর শহরে মিস মাম্পি বেড়াতে গেলে দুর্গাসাগর নিজেকে রহস্যের হাতে সমর্পন করে। তারপর চলে যুগান্তর রূপান্তর, রূপান্তর যুগান্তর। ফুল হয়ে যায় আশাতীত ভুলের নাম।

কীর্তনখোলা নদীর মাঝে দিয়ে বয়ে গেছে জোছনা। আমাদের লঞ্চ কীর্তনখোলা নদীর উপরে। আমাদের লঞ্চ হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে সদরঘাটের পানপাতা শিবের দিকে যাচ্ছে। ভান্ডারিয়া লঞ্চ ঘাটের টুপিওয়ালা মজিদ রোজ মানুষ ঠকানো ব্যবসা করে যাবে, আবার সালামও দিবে বড় করে।

মাছধরা যুবক আমি কীর্তনখোলা নদীর। ঢেউয়ের লগে লগে কথা বলে রাতকে করি সকাল, সকালকে করি রাত। তারপর মানুষ তারপর সমাজ তারপর দেশ তারপর অনেক থিউরি পিউরিকে মাছের বাজারে বিক্রি করি বিনা পয়সায়।

বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯

হঠাৎ যদি


ত্যাগেও সুখ আছে, ভোগেও সুখ আছে-- ভোগবাদীরা বলবে অন্য কথা


আপনার নাক খাড়া আমরা জানি-- তাই বলে কী যত্রতত্র নাক গলাতে হবে, আপনার নাক খাড়া নয় দেখাই যাচ্ছে--  যত্রতত্র নাক গলাতে আপনার লজ্জা হওয়া উচিত


কাছের মানুষ যখন জানতে চায় 'কেমন আছি' তখন নিজেকে অনেক দূরের মনে হয়, দূরের মানুষ যখন জানতে চায় না 'ভালো আছি কিনা' দূরকে দূর বলে বোধকরি

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯

দুঃখবাদ

আনন্দটা আমার ( আমার অধীনে), আমি আনন্দ হয়ে যায় না, দুঃখটা আমার ( আমার অধীনে), আমি দুঃখ হয়ে যায় না। তাই আনন্দ কিংবা দুঃখ যতই পাগলা ঘোড়ার মতো আচরন করুক, লাগামহীন হতে পারে না।

কুকুরবাদ

কুকুর দলবদ্ধভাবে আক্রমন করে, এই কুকুরই মাংস খাওয়ার সময় দলকে অপছন্দ করে

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯

আকার থেকে নিরাকার

কত ইতর খেলা ঘটে যায় হৃদয়ে
বাসা বাধে ভালোবাসা বাসা বাধে বাহিরে
কত রঙিন খেলা বসে যায় হৃদয়ে
বাসা বাধে ভালোবাসা বাসা বাধে ভেতরে
কুয়াশার কাপড়ে পড়ে থাকে স্মৃতির লাশ
মানুষের অপমানে মানুষেরই কালান্তর উল্লাস
বাসা বাধে ভালোবাসে বাসা বাধে আশেপাশে
দূরে থাক তবু তার সুখডাকা ঘর থাক
কাছে আসে ভালোবাসে কাছে আসে নিজে নিজে
ঘর বানায় ঘর ভাঙে দোষারোপ করে শেষে
কাছে আসে ভালোবাসে দূরে যায় দোষ ধরে
ভালো থাক
         সুখে থাক
সুখে থাক
         ভালো থাক
আমোদে প্রমোদে সুখে থাক ভালো থাক
আমাদের সময়ে সময়ের অভিশাপ
কাল সাপ নীল সাপ ভালো সাপ অভিশাপ
আমাদের সময়ে আমাদের অভিশাপ
ভালো থাক সুখে থাক
আমোদে প্রমোদে নীল জলে পাক সাত
ভুল হলেও ঝড়টা ফুলদের ঘরে যাক
      থাক থাক ভালো থাক
                ভালোবাসা ভালো থাক
                       ভালো থাক সুখে থাক

বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯

তবু দেখি না

তোমার নামে নামি আমি
তোমার কথায় চলি
তুমি দেখাও আগুন পাথর
বরফ পেলে গলি।।

নীরবে সরব থাকিয়া
কবিতা করো বসিয়া
যা দেখাও তা দেখি আমি তবু দেখি না।।

তমসা নিবিড় অন্ধকার
আলোতে চোখে দেখা ভার
তুমি আলো তুমি আধার তুমিই সরকার।।

শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯

বাস্তবতা

কারো কাছে বাস্তবতা দোকান, কারো কাছে বাস্তবতা দোকানের ফুল, কারো কাছে বাস্তবতা দোকান কিংবা ফুল নয়, খুশবু। আমার কাছে বাস্তবতা দোকান, ফুল, খুশবু নয়, আমি স্বয়ং নিজে।

প্রে মে

গনিতের প্রেমে প্রতিনিয়ত অঙ্ক মেলে না

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৯

মাইক বাজতেছে

মোস্তফা রহমান আরজু। এলাকায় পরিচিত
আরজু মাস্টার নামে। তিনি আর এখন নেই। তিনার ছেলে ইমরান এখনো আছেন। ইমরান মামা। ইমরান মামাকে আমি কোনোদিন দেখি নাই। নাম শুনেছি। এখন ইমরান মামার রুমে ঘুমাতে যাচ্ছি। কানে আসতেছে গোবিন্দ জপনাম--- হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ। আজ সারা রাত গোবিন্দ জপনাম চলবে। চব্বিশ প্রহরের আজ শেষ দিন। মাইক বাজতেছে। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ কোথায় আছেন জানি না। ভক্তকুল কৃষ্ণ কৃষ্ণ জপ করতে করতে হাওরের চাদের মোলায়েম জোছনাস্নানে বিকীর্ন করছে হৃদয়।

যে রুমে ঘুমাতে যাচ্ছি তার পাশে একটা ঘর, তার পাশে গোবিন্দ জপমালা চলছে। শুনে হয়তো অনেকে অবাক হবেন এই কারনে যে এই গ্রামটির নাম চৈয়ারকুড়ি যা নাছিরনগর উপজেলার অধীনে। ইদে মিলাদুন্নবী তথা হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভ জন্মদিন ছিল একদিন আগে। এই উৎসবের কারনে মিল্লাদুনবী এশার নামাযের কিছুক্ষন পরেই মসজিদ ভিত্তিক আয়োজন সমাপ্ত করে দেয়া হয়। নাছিরনগর দাঙ্গার কথা বর্তমান মিডিয়ার মহান কল্যানে আমরা জানতে পারি। এই গ্রামে আসার পর হিন্দু মুসলিম ত্যাগের মহিমা দেখলে সহজে অনুধাবন করা যাবে মিডিয়া তার টিআরপি বাড়ানো জন্যে তিলকে কেমন করে তাল করেছে।

এই গ্রামে এখনো কোনো সনাতন ছেলে জন্মগ্রহন করলে তার নাম রেখে দেয় কোনো মুসলিম ছেলে, এই গ্রামে এখনো কোনো মুসলিম ছেলের ঘুম ভাঙে মাসি- পিসির উলুধ্বনি শুনে। কে হিন্দু কে মুসলিম তা এখানে খুজে পাওয়া যায় না, এখানে খুজে পাওয়া যায় স্বাধীন সম্প্রীতি। তারপরও এখানে সনাতনীরা নির্যাতিত হচ্ছে এই কথা প্রতিষ্ঠা করতে হবে-- কারন তাতে অনেকের ব্যবসা করার সুযোগ আসে।

(তুষার মুসলিম ছেলে। সৌরভের নাম রেখে দেয় তুষার। তুষার সামনে এসএসসি দিবে। আর সৌরভের বয়স দেড় বছর। কেমন সম্প্রীতি আর শ্রদ্ধাবোধ থাকলে ক্লাস টেন-এ পড়ুয়া এক ছেলের কথা শুনে নাম রাখে জীবন নমঃ ও তার পরিবার)

আরেকটি কথা বলা দরকার। মাইক দিয়ে এমন জোরালোভাবে আকাশ বাতাস কাপিয়ে অনেকের ঘুম হারাম করে কৃষ্ণ কেন আমি ব্যক্তিগতভাবে আল্লাকেও ডাকার পক্ষে না। বাংলাদেশের মানুষ অনেক শিক্ষিত হওয়ার কারনে ওয়াজ আওয়াজ রেওয়াজ স্বরাজ সবই আকাশ বাতাস কাপিয়ে করতে পছন্দ করে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বাভাবিক বিষয়, সামাজিক ভব্যতার রীতিনীতির রুচিশীল আচার। এ নিয়ে কথা বলার মুই কে হুনুরে!?

মানুষ চিৎকার তখনই  করে যখন অনেক দূরে কেউ থাকে, মানুষ উচ্চস্বরে তখনই কথা বলে যখন মনে করা হয় আস্তে কথা বললে পাশের লোকটিকে রিচ করা যাচ্ছে না অথবা পাশের লোকটি কানে কম শুনে। আমার প্রভু আমার নিকটেই থাকেন, আমার প্রভুকে খুব নীরবে ডাকলেও শুনেন। তাই তাকে লাউডলি ডাকতে হয় না।

যাক, এখন রাত প্রায় চারটা বাজে। ঘুমাতে হবে। কৃষ্ণ জপনাম এখনো বাতাসকে নাড়াচাড়া করছে জোরালোভাবে। কৃষ্ণ নাম কানে নিয়েই ঘুমাতে যাচ্ছি। ফ্রয়েডিয় স্বপ্ন ব্যাখ্যা অনুযায়ী আজকে ঘুমে কৃষ্ণদর্শন তথা বিশ্বদর্শন হয়ে যাতে পারে। আর একবার কৃষ্ণদর্শন হয়ে গেলে ......!!

প্রেয়ার

প্রভু গো আমার, এমন কোনো সত্যের সন্ধান আমাকে দিও না যে সত্য প্রতিষ্ঠিত সত্যের উপর আমাকে বাহাদুরি করতে শেখায়

রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯

মাউন্ট

যার চুল পড়ে যাচ্ছে চুল পড়ে যাচ্ছে তা নিয়ে এতো দুঃখ এতো বিষাদ, তার মাথা যে পড়ে যাচ্ছে লোভের কাছে তার মাথা যে পড়ে যাচ্ছে মাৎসর্যে, তার মাথা যে পড়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রের দুর্নীতির কাছে তা নিয়ে ত দুঃখ করতে দেখি না তাকে

শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৯

প্যারামিটার

সুখী লোকটির কাপড় ছিল না অথচ সুখী হওয়ার জন্যে রাজার কাপড়ের দরকার ছিল

কাজ তবে শব্দহীন

পৃথিবীতে চিহ্ন রেখে যাওয়ার চিন্তাটাই আপনাকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। রেজা ভাই পৃথিবীতে শব্দহীন বাঁচতে শিখো যেখানে কাজ আছে দৃশ্য নেই, দেখবে কোথাও না কোথাও আপনার চিহ্ন থেকে যাবে।

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯

মাছ নয়, নদী নিয়ে গেলো

এক বন্ধুর হাতে স্বর্ন দিয়ে বলেছিলাম 'এক মাস পর নিয়ে যাবো।' দুই বছর পর বন্ধুকে বললাম 'আমার স্বর্ন ফেরত দাও।' বন্ধু ফেরত দিলো রূপা। তার মতে আমি তাকে রূপাই দিয়েছিলাম। আমি বন্ধুর সাথে কোনো প্রকার তর্কে জড়ানোর প্রয়োজন মনে করিনি। কারন ডায়মন্ড হিরার চেয়ে মহামূল্যবান 'আস্থা' সে হারিয়েছে যা তার জন্যে আমার হৃদয়ে জমা ছিল!

রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯

মাত্র ত একটা কথাবীজ

দারুন সন্ধ্যা নেমে এলো। হেমন্তের সন্ধ্যা। চারদিকে কুয়াশা নামি নামি। একটা শীতেল হাওয়া বুকের বা পাশ থেকে ডান পাশে উড়ে গেলো মিনিট দশেক আগে। সূর্য আসবে। মাস্তানি স্বভাব ছেড়ে দেয় সূর্য এই হেমন্তের নীরব ভোরে দুপুরে সন্ধ্যায়।

হাস বাড়ি ফিরে। রোদ ফিরে যায় ঘরে প্রিয়ার ডাকে। বানান শুদ্ধ করে চলে আলিফ লায়লার নায়িকা সিনান সুন্দরী। গাও গেরামের লতার মতো হাত সিনানের। দেখা হয়েছে একবার। ঘরে বউ করে আনার মতো দেখা। তার সাথে দেখা হবে আরও একবার। কোনো দেখা থেকে নয়-- অদেখা থেকে বার বার ডেকে যাবো তাকে-- সিনান সিনান বলে ঘুম পাবে আরও একবার হেমন্তের দুপুরে।

মাত্র ত একটা কথাবীজ
মাত্র ত একটা ভাববীজ
মাত্র ত একটা সুদর্শন চক্রবীজ রাখা হলো চোখে কানে

 রাখা হয়নি যা তাই ত তোমার চোখের মতো হন্তারক-- মেরে মেরে নিয়ে আসে জীবনে-- কুরুক্ষেত্রের অভিমন্যু যেমন কর্ন থেকে শ্রেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠ অর্জুন থেকে, এমন শ্রেষ্ঠ হতে পারে রেজাও জেনে রেখো তুমি সময়ের মালিক সিনান আমার।

সময়ের মালিক সিনান আমার
পাহাড় আমিও চিনি
জানি উপত্যকার অশীতিপর অহংকার
অনেক জেনেছি বাসুদেব বুদ্ধ হেরা গুহা কিংবা চিন্ময় আধার
তোমাকেও জেনে নিবো পাঠ্যপুস্তক করে
এক দুই তিন
তিন দুই এক
'ক'তে কলা 'খ'তে খেচর
শিকড়ে শিখন
শিখনে শেক্সপিয়ার
ভব্যতা অভদ্রতা জেনে যাবে কালে পলে
আমাদের ঘর হবে প্রেম নদীর ভরম কূলে

বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯

সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯

সংগঠন

সংগঠন। সম মানসিকতার দুই বা ততোধিক মানুষ যখন কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মিলিত হয় তাই সংগঠন। সংগঠনের জন্য আর্থিক বিষয় মুখ্য নয়, আবার মুখ্য। কারন অর্থের তরলমান অনেক জায়গায় প্রয়োজন হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে আবশ্যক হয়ে পড়ে।

সংগঠন তারাই করে যারা সমাজের অন্য আট দশজন থেকে আলাদা। সংগঠনের অনেক কাজ থাকতে পারে কিন্তু সংগঠনে তৎপর লোকটির প্রধান গুন আত্মমর্যাদাবোধ। ইন্টিগ্রিটি সেন্স না থাকলে সংগঠন করা যায় না, মূলত ইন্টিগ্রিটি সেন্স থেকে একজন মানুষ সাংগঠনিক মানুষ হয়ে উঠে।

একটি মাজারের খাদেম আর সাংগঠনিক মানুষটির মধ্যে অবশ্যই কিছু নীতিগত পার্থক্য থাকবে। খাদেম বাজার খুলে বসে আছে মানে টাকা আসবে, যে কেউ তার মাজারে গরু ছাগল মহিষ ভেড়া উপহার দিতে পারবে। একজন সাংগঠনিক মানুষ কখনো বাজারের খাদেমের মতো অন্যের কাছে অর্থ প্রত্যাশা করতে পারে না। তবে অনেকেই সংগঠনকে  এতিমখানার চেয়েও এতিম করে ফেলে যেখানে অর্থের সমাগম অন্য জায়গা থেকে না হলে তাদের সংগঠন নামক এতিমখানাটি চলবেই না।

অনেকে আবার স্পন্সরের নামে সমাজের জন্য ক্ষতিকর এমন মানুষের কাছে এমন প্রতিষ্ঠানের কাছে হাত পাতে। তাতে কয়েকটি ক্ষতি হয়-- সংগঠনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, সমাজের জন্য ক্ষতিকর লোকটি প্রশ্রয় লাভ করে, সাংগঠনিক তৎপরতার ইনার ব্রাইড্‌শেড চোখে পড়ে।

সমাজে এমন মানুষও রয়েছে যারা অবৈধভাবে অর্জিত টাকার কিছু অংশ সমাজে প্রচলিত নামিক কল্যানকর কিছু সংগঠনকে প্রদান করে থাকে তার অবৈধভাবে অর্জিত টাকার বৈধতা পাওয়ার জন্যে। সংগঠনও অর্থ পেয়ে বিশাল খুশি। নেমে পড়ে লোকটির বিজ্ঞাপনে। বিজ্ঞাপনের আড়ালে লোকটি গড়ে তুলে অবৈধ টাকার বিশাল পাহাড়।

অনেকে আবার ব্যক্তিগত সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে সংগঠনকে পুষ্টিকর করতে চায়। তাতে ফল হয় ভয়াবহ। তাতে প্রথমে ব্যক্তি তার ভবিতব্য সম্ভাবনাকে নষ্ট করে, তারপর সংগঠনের সামগ্রিক ইমেজকে জনগনের গীবতমুখী করে তুলে।

'স্বাধীনতার সুখ' কবিতাটি আমরা পড়েছিলাম যেখানে নিজ হাতে গড়া কাচা ঘর খাসা হওয়ার কথা রয়েছে অর্থাৎ নিজেদের সংগঠন নিজেদের চেষ্টায় প্রচেষ্টায় অর্থায়নে চলা জাতি-ব্যক্তি-রাষ্ট্রের জন্য কল্যানকর। সংগঠন অন্তত মাধুকরী করতে পারে না, মাধুরীকে আনতে পারে সমাজে, মাগনা মাৎসর্যে আঘাত করতে পারে প্রশ্নের থরেবিথরে।

শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯

কেউ কেউ

কেউ কারো কাছে যায় না, প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে যায়

সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

নিষ্ঠুরতার গান

মানুষ বাঘের নিষ্ঠুরতা অপছন্দ করে কিন্তু বাঘকে পছন্দ করে

নিরীহ

পিপড়ার মতো নিরীহ ও দলবদ্ধ থাকতে ভালো লাগে

বাংলা

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ নয়-- পুরুষপ্রধান বাংলাদেশ-- আর কয়েকদিন পর হবে ব্যাংকপ্রধান বাংলাদেশ

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

আ য় না

আয়না কথা বলে না-- কথা না বলেও বলে দেয় অনেক-- আয়না কথা বলে নীরবে-- ভালোও বলে মন্দও বলে-- আয়না যাতা বলে না-- যা তাই বলে

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

বসবাস

প্রেম-ভালোবাসায় আমি বাস করি, আমি 'প্রেম ভালোবাসা' হয়ে যায় না

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

দানব বনাম মানব

কম্প্রোমাইজ মানবকে দানবে পরিনত করে, সেকরিফাইজ দানবকে মানব বানায়

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

আমাদের মধ্যবর্তী বাতাস

কথা বলার সময় এখনই
চুপচাপ
খুব নীরবে নেমে আসো তুমি রাধিকা বনে
নেমে আসো নীরব ঠোটে চোখের জঙ্গলে
বৃন্দাবন ইউসুফমন
ইউসুফমন বৃন্দাবন

ভোর হলে পাখিদেরও কথা নির্মিত হবে
নির্মিত হবে দালান সাদা পাথর রাজকীয় হত্যা
এখন রাত এখনই সময় নিজেকে ভুলে যাবার
এখন রাত এখনই সময় চোখে চোখ রাখবার

পুরাতন দালাল আরও পুরাতন হয়ে তোমার ঘরে
পুরাতন ঘর আরও পুরাতন হয়ে তোমার মনে
পুরাতন মন আরও পুরাতন হয়ে তোমার জলে
ঘরে মনে জলে এখনই আমাদের সময়

চুপচাপ
একদম চুপচাপ
একপ্রকার চুলেরও আওয়াজ হবে না কোনো
জলঘাটে
মনঘাটে
ত্রিবলিপাঠে নেমে আসো অহিত্যাগী বাসুদেব দ্রুপদ

আমাদের সুখ হবে জ্যামিতিক ঝরনার পাড়ে
আমাদের প্রশান্তি হবে গানিতিক সবুজের ঘরে
আমাদের বসবাস হবে প্রামানিক জোছনার থরেবিথরে
ঘাটের মাঝি ডুব দিয়ে বুঝে নিবে সব--
ক্যাসেট ফিতার মতো যেতে যেতে সামনে
ক্যাসেট ফিতার মতো আসতে আসতে পেছনে

রাত উর্বর এনাফ কিছু হারাবার
রাতই সরস সময় কিছু পাবার
রাতই আমাদের সময় আরও কাছে আসার পেচার চোখের মতো পলকে পলকা পলকে পলক

পালকের মতো আকাশ দেখতে দেখতে--
পালকসুখে তোমার জমিনে আটকে যাবো আমি
আমিফল তোমার ভেতর থেকে হবে আকাশমুখী
আকাশ থেকে জমিন
জমিন থেকে আকাশ
তারপর আমরাই মধ্যবর্তী বাতাস

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯

প্রিয় দেশ আমার ভালোবাসি তোমায়

দেশটা যখন কাদে প্রচন্ড কান্না পাই আমার
দেশটা যখন হাসে অনায়াসে হাসতে থাকি আমি

পুরো দেশটা আমি
পুরো দেশটা আমার মা
পুরো দেশটা আমার সংসার

কোথাও কোনো শিশু দেখলে জড়িয়ে ধরি
এখানে সরল হাসি নীরব নদীর প্রেমে পড়ি
সুযোগ পেলে প্রিয়তমা টানে শাপলাজল হৃদয়ে আকি
কোথাও কোনো অন্যায় দেখলে হয়ে উঠি প্রতিবাদী
দেশের আনাচে কানাচে পতপত করে উড়তে থাকি

ভ্রমনের আনন্দে নয়
ক্লান্তি দূরের নাগরিক সুখে নয়
মা যেমন সন্তানকে দেখে
সন্তান যেমন মাকে দেখে
দেখতে থাকি উড়তে থাকি ভাসতে থাকি

আমার দেশটা সবুজ
আমার দেশটা শ্যামলিমা ডালিয়া
আমার দেশটা তামাটে হলুদ রঙিন
আমার দেশটা জলে পলে ফুলে পলিন
আমার দেশটা জলজ
আমার দেশটা পঙ্কজ

ভালোবাসি তাই তোমার ব্যথায় কেপে উঠে আমার অন্তর্গত আত্মা
ভালোবাসি তাই তোমার অপরাধে অশ্রুসজল আমার অঙ্গরাজ্য সত্তা
ভালোবাসি তাই দেখতে চাই তোমায় চাদের জোছনায়
ভালোবাসি তাই তোমায় দেখতে চাই নিবিড় ভালোবাসায়

ভালোবাসি 'এবং' দেশ আমার
ভালোবাসি 'তারপর' দেশ আমার
ভালোবাসা 'ও' দেশ আমার
ভালোবাসি-- তারপর
ভালোবাসি-- অতঃপর
ভালোবাসি-- তারপর
ভালোবাসি-- অতঃপর

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৯

মানুষের দল

বিড়াল খেতে থাকলো টিকটিকি, টিকটিকি খেতে থাকলো মাকড়সা, মাকড়সা খেতে থাকলো মশা, মশা খেতে থাকলো মানুষ, মানুষ খেতে থাকলো মানুষ, তারপর মানুষ বলতে লাগলো মানুষ শ্রেষ্ঠ

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কেবল মাটি নয় দেবতা

প্রেম থাকলে মাটিকেও মনে হয় দেবতা, প্রেম বিহনে দেবতাও হয়ে যান মাটি

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রাত হবে তাই

রাত হলেই সকাল হয়ে যায় না, রাতের কয়েক হাজার মাইল ম্যারাথন দৌড়ের পর সকাল আসে

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

প্রতিপক্ষ

যখন প্রতিপক্ষ থাকে তখন শরীর-মন একসঙ্গে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে, যখন প্রতিপক্ষ থাকে না তখন শরীর ও মন দুটি পক্ষ হয়ে নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ হয়ে যায়

মায়াবতী

তিনশত দুই। তিনশত সাত। তিনশত ৫৪। বাংলাদেশের মানু‌ষের কাছে অধিক পরিচিত তিনটি ধারা। তবে তিনশত দুই ধারা খুব বেশি পরিচিত। দন্ডবিধির তিনশত ৫৪ ধারাটি ইদানিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারন আগে বাংলাদেশের নারীরা নিজের শরীরকে ইজ্জতের প্রথম এবং শেষ মূলধন মনে করতো। এবং এই মূলধনের উপর কোনো প্রকার আক্রমন মানে তাদের জীবন শেষ। এই মূলধন কোনো প্রকার চুরি বা ডাকাতি হলে মৃত্যুই  প্রথম এবং শেষ অবলম্বন মনে করে তারা মাটিতে মিশে যাওয়ার নিয়তে যাত্রা করতো।

নারীর দৃষ্টিভঙ্গিররর বদল হয়েছে। এখন তারা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। অবশ্যই সব সময়ই প্রতিবাদের আড়ালে অসৎ নিয়তের বান্দা থাকে যারা নিজের মানসিক অসুস্থতাকে প্রতিবাদের নামে বিক্রি করতে চায়।

এই তিনটি ধারাকে কেন্দ্র করে 'মায়াবতী' জোয়ার পেয়েছে। মায়াবতী মূলত মায়া'র প্রিন্সেস মায়া হয়ে উঠার এক জীবনস্রোত। অরুণ চৌধুরী মায়াকে তাঁর ক্যামেরা শিল্পের মাধ্যমে মায়াবতী করে তুলেছেন। মায়াবতীকে সিনেমা মনে হতে পারে মনে হতে পারে টেলিফিল্ম। আমার কাছে মনে হয়েছে সত্য ঘটনার সরাসরি ছদ্মবেশ অথবা নিষিদ্ধ পল্লীর প্রসিদ্ধ কোনো জীবন যা পর্দার মধ্যে দিয়ে এসে আমাদের কান ও চোখকে শীতল ও সচেতন করে দেয়।

মায়া সেই মেয়ে যার মাংস আছে কিন্তু মাংসের নিরাপত্তা নেই। দরিদ্র ঘরের জোছনা মায়া যা আশীর্বাদের চেয়ে অভিশাপ অধিক সৃষ্টি করে। ফলে ছোট বয়সে মায়া নিরাপত্তার নামে হয়ে পড়ে নিষিদ্ধ পল্লীর বাসিন্দা। এমন ঘটনা পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ঘটে। দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীমসনদে যে সকল রাজারা বিচরন করেন তারা সমাজের পর্যাপ্ত ভদ্রলোক। এই ভদ্রলোকদের বাইজি যারা হয়ে থাকে তারা বড় ঘরের মাইয়্যাদের মতো এ্যাডভাঞ্চার করার সুউচ্চ অভিলাষকে সামনে রেখে দৌলতদিয়ার রেলওয়ে যৌনপল্লীর বাসিন্দা হন না। তাদের প্রত্যেকের জীবনের পেছনে রয়েছে নিষ্ঠুরতার চোরাবালির বেলকুচি যা শুনে হাসি আসবে, জল আসবে চোখের গলিপথে, আহত হতে হয় হৃদয়ে হৃদয়ে।

মায়া সেই দৌলতদিয়ার পল্লীকন্যা। তবে যৌনকর্মী সে নয়। ওস্তাদ খোদাবক্স তাকে সুরকর্মী করে তুলেছেন, ব্যারিস্টারপুত্র ইকবাল তাকে করেছে প্রেমিকা। তাই মায়া কিংবা প্রিন্সেস মায়া অথবা মায়াবতী এক‌টি গল্প যা দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর বিশেষ সৃষ্টি।

নির্মাতা অরুণ চৌধুরীর এটি দ্বিতীয় সিনেমা। প্রযোজনায় আছে আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ও অনন্য সৃষ্টি অডিও ভিশন প্রোডাকশন।  ইয়াশ রোহানের এটি দ্বিতীয় সিনেমা। তার প্রথম সিনেমা 'স্বপ্নজাল'। ইয়াশ রোহানের সাথে তিশার এটি দ্বিতীয় কাজ। এর আগে তারা এক‌টি নাটকে কাজ করেছে। খুব সম্ভবত নাটকের নাম 'উপলব্ধি', পরিচালক ইমেল হক।

মায়াবতী সিনেমায় ফ্লাশব্যাক পদ্ধতি বারবার ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে ভালোই লেগেছে তবে ব্যাকল্যাশ সমস্যাও তৈরি হয়েছে। মায়াবতীতে সঙ্গীত খুব গুরুত্বপূর্ন। ফরিদ আহমেদ একজন গুনগত মানগত সজ্ঞায়িত শিল্পীজন। চিরকুট ব্যান্ডও বেশ নাম কামায় করেছে ইদানিং। ফরিদ আহমেদ ও চিরকুটের যৌথ প্রয়াসে মায়া বেগমের ভূপালটোড়ী জীবন এক প্রেরনার নাম হয়ে অবস্থান নিয়েছে। তাছাড়া মামুনুর রশীদ থেকে শুরু করে এই সিনেমার প্রত্যেক আর্টিস্ট যেকোনো গল্পকে জীবন দেয়ার ক্ষমতা রাখেন, এমন সক্ষমতা তাঁরা মায়াবতীতে দেখাতে সক্ষমও হয়েছেন। তবে দুই ঘন্টা বিশ মিনেটের এই সিনেমায় আদালত পাড়ার আয়োজন খুব গুরুত্বপূর্ন জায়গা দখল করে আছে  যা সিনেমার গতিমুখকে নাটকমুখী করে তুলেছে। তবু কোনো প্রকার জাজমেন্ট না করে বলবো 'মায়াবতী' একটি জীবনের গল্প, একজন মায়া বেগমের চিত্রলেখা, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক ব্যতিক্রম জীবনদায়ী আয়োজন।

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অনেকেই

অনেকে ফুল গাছ হয়ে জীবনে আসে, তারপর কাঁটা রেখে ফুলসহ মারা যায়

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শিক্ষা

পথ চলতে হোঁচট খাওয়া অপরাধ নয়-- শিক্ষা

মাথার ডায়রিয়া

কেবল শরীরের ডায়রিয়া হয় না, মাথারও ডায়রিয়া হয়। মাথার ডায়রিয়া হলে মুখ থামতে চায় না, মাথার ডায়রিয়ায় নির্জনতা স্যালাইন হিসাবে কাজ করে।

ছোট বোনদের প্রতি উপদেশ

এমন মানুষ হও যেন পৃথিবীর প্রত্যেক প্রান্তের মানুষের কল্যানে তোমার মেধা প্রজ্ঞা ধৈর্য কাজে লাগে। তোমার সাথে আমাদের বিশ্বাস ও প্রার্থনা রয়েছে।

কারো সাথে কখনো প্রতিযোগিতা করবে না, প্রতিযোগিতা করবে নিজের সাথে। কারো সুখ দেখে কখনো নিজেকে ইনফিরিউর ভাবতে যাবে না, মানুষকে সুখী করা যেমন সুখের তেমনি মানুষকে সুখী দেখাও আনন্দের।

গাছ যত বড় হতে থাকে বাতাস তত বেশি লাগে-- তাই বিপদে ভয় পাওয়া যাবে না। পৃথিবীতে এমন কোনো সমস্যা নেই যার সমাধান থাকে না। প্রত্যেক জীবন যেমন মৃত্যু নিয়ে জন্মগ্রহন করে তেমনি প্রত্যেক সমস্যা জন্মগ্রহন করে সমাধান নিয়ে। কখনো আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে যাবে না। পৃথিবীতে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়।

 বিচলিত চিত্ত কখনো কাজে আসে না। কিন্তু এই সমাজ এই পারিপার্শ্বিকতা তোমার চিত্তকে বিচলিত করার জন্যে ফাঁদ পেতে থাকে।

সব সময় মনে রেখো তুমি কৃষকের সন্তান। সংগ্রাম তোমার কাঁধে, সংগ্রাম তোমার রক্তে। মানু‌ষের কাছে সাধু হওয়ার চেষ্টা কখনোই করবে না, নিজের কাছে নিজে সত্যবাদী কর্মট সৌখিন হয়ে উঠবে। জীবনের পথে অনেকেই তোমাকে নিয়ে ভুলবাল ভাবতে পারে, তাদের ভুল ভাঙানোর চেষ্টা তোমার থাকবে কিন্তু কখনো মরিয়া হয়ে উঠবে না।

তুমিও মেঘনার সন্তান। উদার হবে মানবিকতার স্রোতে, হিসাবী হবে সময়ের ব্যাপারে। মা-বাবা পৃথিবীতে সময়ের একটা এ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছেন, তাকে ব্যবহার করতে শিখবে।

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বিজ্ঞাপন

মিডিয়ার মাধ্যমে ফুল কিনতে নেই, তাতে গন্ধ আর ফুলের মাঝে বিজ্ঞাপন ঢুকে যায়।
বিজ্ঞাপনের দাপটে
গন্ধ যায় লুটপাটে

Let me do love

Say
Just say
If i say something
Something like the word of love
Something alike the word of living together
Something alike the word of getting closer than closest

Hate me?
You hate me?
Or you will be ready to make a fire?

Ready
I am ready to resume your fire dump and hatred

please
please my hush
please
Please my flying bird let me do love
Let me do close
Let me live in your mind forest lose

My love
Only my love provides me with you a green river
My love will help you to have something life enough
My love will adorn you to catch me strong high
Only my love can make you a word
Only my love is able to have you free fresh world

Please
Please my hush let me love
Let me close
Let me live in your mind throne lose

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

We are happy so happy dear

We are happy dear
We are really happy

We can talk to each other but we can’t
Can walk along the eternal but can’t?

We can have a cup of tea in the evening on the bank of peace of tranquillity, of course we can but time is ignored either in camp or camp out

River is playing bird is sleeping sky is busy in leaving home and so on
We are we
You are you
I is afar very far from your handball

Miss you in the late night while missing you day by day
Fish like me
Fish like you is a beads in the time den
You can do everything
I can do everything
Only we can do nothing
Why
But why

Key function does its duty so fast
Really so fast
Only we are getting so last cutting so last having absolutely last

We are happy dear
We are really so happy

Dead body knows what is happy and what is not
Dead body does not know what is happy and what was there
We are dead we are about to die
We are really a lie
Really we are a garden grave
Time is leaf
Past is tree
Tree is gossip
Tree is thought of you and me being able to lunch a flag

Love you in branch of tree
Love you in lump of night stream
For this
Only for this we are happy
We are really happy dear

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

গয়াল

নদী পার হতে গিয়ে অনেকেই জেলে হয়ে মাছ ধরা শুরু করে, কেউ কেউ তীরে গিয়ে সূর্যধরার পথে হাঁটা শুরু করে

বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৯

পথ হারালেই

পথ হারালে অনেকে মনে করেন এই বুঝি জীবন শেষ। না। পথ হারালেই নবকুমার কপালকুণ্ডলার দেখা পান, কলম্বাস দেখা পান আমেরিকার আর আলাদিন খুঁজে পান আশ্চর্য প্রদীপ।

নেচার

কিছু পাখি আছে খাঁচার জন্য নির্দিষ্ট-- আকাশে তারা পরাধীন। কিছু মাছ আছে অ্যাকুরিয়ামের জন্য নির্দিষ্ট-- সাগরে তারা অসহায়।

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৯

বি প্ল ব

কুকুর চব্বিশ দিন রাস্তায় থাকলেও বিপ্লব হয় না, মানুষ চব্বিশ ঘন্টা রাস্তায় থাকলেই বিপ্লব অনিবার্য

ফায়ার সার্ভিস

যে লোকটি ফায়ার সার্ভিসের চাকরি করে তার ঘরেও ফায়ার লাগে

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯

শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯

লাম্পট্য

প্রেমে লাম্পট্য থাকে,লাম্পট্যে প্রেম থাকে না

বা সু দে ব

একবার আগুন ধরানোর পর যখন চুলা জ্বলে যায় তখন চুলার মান ত জানা গেলো। চুলার মান না জেনে আগুন জ্বালালে দেবালয় জ্বলবে এবং বাসুদেবও হাসবে।

বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯

বন্ধুত্ব

বন্ধুত্ব হলো ঢেউয়ের মতো যেখানে কেউ কাউকে ডমিনেট করতে চায় না কিন্তু প্রত্যেকেই তীরে পৌঁছে যেতে চায়

মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯

বন্ধুত্ব

বন্ধুত্বকে পরীক্ষার পর্যায়ে নিয়ে গেলে আর বন্ধুত্ব থাকে না, বন্ধুত্ব শ্বাস প্রশ্বাসের বাতাসের মতো যা থাকলে টের পাওয়া যায় কিন্তু না থাকলে অনিবার্য পরিনতি

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯

তোমারে ডাকি

তোমারে ডাকি
তোমারে ডাকি
চুলবাধা রূপসী কন্যা নারী
ভুলে যাও সব
ভুলে যাও সব
দুঃখ বেদনা আড়ি।।

মিছিলে স্লোগানে
কাগজে কলমে
পাইনা তোমার দেখা
রং তুলি আজ অবশ হয়েছে
আঁকতে পারি না কথা।।

মেঘলা দিনে একলা আকাশ
একলা আমি থাকি
দুঃখেরা সব নদী হয়েছে
জলের দেশে বাড়ি।।

শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৯

মাই ডিয়ার পুরুষ

আপনার মুখের চেয়ে আপনার পা সুন্দর, আপনার পায়ের চেয়ে আপনার মন সুন্দর। কিন্তু। কিন্তু আমি পুরুষ, আমাকে আপনার অন্য কিছুর প্রসংশা করতে হবে নতুবা পুরুষ সংবিধানের অনেক অনুচ্ছেদ বাতিল বলে আদেশ জারি করতে হবে।

শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৯

আহত বটে

আহত বটে। দারুন আহত। ঐতিহাসিক আহত। শহরসেবা থেকে বাসুদেব পালাতে চায় গ্রামে। গ্রাম থেকে মুনাফা পালায় শহরে। সকালের পর অন্ধকারে গন্ধে আদালত বাগান মুখরিত হয়ে উঠে। জজ সাহেব এখুনি আসবেন। খুলবেন নিয়মের বান্ডেল। কচকচ আওয়াজ হবে। বারান্দায় থাকবে অপেক্ষা। মানুষ নিয়ত একা। মানুষ প্রতিনিয়ত একা। মানুষ অবিরাম একা। মানুষ অনন্তকাল একা।

মানু‌ষের যা নেয় তা বানাতে আরামবোধ করে মাকড়সার স্বপ্ন। মানু‌ষের খাবার নেয় তবু শিকারে যায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

বৃষ্টিজল
বরফজল
নদীজল
মেঘজল
কামজল
চোখজল
স্রাবজল
জলে বলে ছলে মানুষ গেল মরে

অনেক নীরব পড়ে থাকে একান্তে খুব সবুজে লখিন্দরের বাসায়। কথা বলতে পারে মানুষ কারন মানুষ কথা বলতে পারে না। ছায়ার পাশে জলের ঢেউ প্রতিদিন প্রতিক্ষনে মারা যায়। ঘর থেকে পালায় পালায়--  ঘর বানানোর নামে দুঃখ বানায়।

রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৯

বিজ্ঞাপন

শুধু টেলিভিশন না, আজকাল মানুষের আচরনও বিজ্ঞাপন দেখায়

শিব

ভগবান শিব ধ্যান করেন। উনার আবার ধ্যান করতে গাঁজা লাগে। সরি সরি। গাঁজা বলা যাবে না, সিদ্ধি বলতে হবে সিদ্ধি। গাঁজা সরবরাহের দায়িত্ব পরে বাংলাদেশের উপর। বাংলাদেশ আবার অলস মানুষ। তিন মাস কাজ করে নয় মাস ঘুমায়। শিব সময়মতো সিদ্ধি পাননি। শিব ভগবান গেছেন ক্ষেপে। ভগবানদের আবার রাজাদের মতো স্বভাব-- ক্ষেপে গেলে অভিশাপ দেন, সন্তুষ্ট হলে প্রদান করেন আশীর্বাদ।

ভগবান শিব বাংলাদেশকে অভিশাপ দিলেন!

কী অভিশাপ?

বাংলাদেশে প্রচুর মশার জন্ম হবে এবং এই মশা বাংলাদেশের আরামের ঘুম হারাম করে ফেলবে!

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯

দুর্বল

দুর্বল তার দুর্বলতা ক্ষমতা দিয়ে ঢাকতে চায়, এইকারনে দুর্বলের ক্ষমতা ভয়ঙ্কর

রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯

ধর্মের জিকির

জলের সাথে মিশে যাওয়ার পর অনেকদিন দেখা হয় না আমাদের। পুরাতন পথে ঘর নির্মান করে দ্রোনাচার্য দেবব্রত ভীষ্ম সূর্যসন্তান কর্ন। পুরাতন পথের অলংকার তারা। পুরাতন পথে হাঁটে না বাসুদেব। পুরাতন পথে প্রাসাদ নির্মান করে অহংকার করতে চায় না অর্জুন ভীম যুধিষ্ঠির নকুল সহদেব। বাতাসের শব্দ থেকে যারা কিছু নিতে পারে তারা ত নিবেই। ঘরের বাইরেও ঘর থাকে। অহংকার থেকেও মানুষের জন্ম হয়। জ্ঞানরাজ আলীও না খেয়ে থাকে অভাবে। কলমের মুখ থেকেও কখনো কখনো বের হতে থাকে রক্ত। জলের খুব কাছে পাতার নড়াচড়া। মাছ জালে আসবেই। নদী এখনো বেঁচে আছে। ট্রেন চলে না রেললাইনে-- যাত্রী চলে। একলব্য একমাত্র শিষ্য একলব্য একমাত্র গুরু। একলব্যই পারে স্বয়ং চলতে ও চালাতে। বর্ষাকাল মানেই ত জলের মাহফিল। দ্রৌপদীর মাহফিলে পঞ্চ পান্ডব ধর্মের জিকির।

Think your better

Whole silent whole word and whole life is a drop of stone turn. My dear life, how are you? Make sure your flag. Make sure your day morn. Walking and walking sleeping and sleeping onto the eternal pole game. My dear life, how are you? Last time, time before last I kiss your green leaf. You are possible milk, you are possible road, you are possible river. My dear life think you are fresh enough. If come you should come, if hate you should hate, if love you should love. Everything or anything or nothing think better.

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯

প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমাদের ভবিষ্যৎ

একাডেমিক শিক্ষা অনেকটা ঘরের মতো। যখন ঘর ছিল না তখনো মানুষ পৃথিবীতে ছিল। তখন আকাশটাই ছিল একমাত্র ছাদ। এখন ছাদের ভেতরেও ছাদ আছে। ঘরের প্রান খুঁটি। খুঁটিকে অনেকেই খুঁটিনাটি বিষয় বলতে পারে। কিন্তু খুঁটিনাটি বিষয়টি ঘরের জন্য মহা সত্য। দালানের জন্য যেমন ফাউন্ডেশন প্রান তেমনি ঘরের জন্য খুঁটি তেমনি একাডেমিক শিক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা।

প্রাথমিক শিক্ষার একাডেমিক আঁধার প্রাথমিক বিদ্যালয়। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয় একাডেমিক শিক্ষার ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন দুর্বল হলে দালান যত আকাশমুখী হবে ততই বিপদজনক।

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা তথা ফাউন্ডেশন শুধু দুর্বল নয়, খুবই দুর্বল। দুর্বলতার কারন অনেক। প্রধান কারন শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা আছেন তাদের শিক্ষার গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। অধিকাংশ শিক্ষক নিজের পছন্দকে সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। নিজের পছন্দ মতো বিয়ে না করলে কারো দাম্পত্য জীবন সুখের হয়েছে এমন কথা রূপকথার কাহিনিতেও শুনতে পাওয়া যায় না।

অনেক অনেক বছর আগে শিক্ষকতার এক‌টি সামাজিক মর্যাদা ছিল। শিক্ষকদের মনে করা হত সমাজের মাথাতুল্য। তখন ক্ষমতা আর মর্যাদা দুটি ভিন্ন সত্তা। এখন ক্ষমতা মানে মর্যাদা, মর্যাদা মানে ক্ষমতা নয়। এখন কলমের চেয়ে মিসাইল পারমানবিক বোমা শক্তিশালী। ফলে একজন শিক্ষকের চেয়ে একজন বন্দুকধারী মানুষ অনেক শক্তিশালী। তাই যে যত পাওয়ার প্রেকটিস করতে পারে সে তত শক্তিশালী।

বিদেশ থেকে চিঠি এসেছে। চিঠিতে কালো কালো লেখার মানে জানতে চান শাড়িপরা বউ মায়াভরা মা। মানে ত কেউ জানে না পরিবারের। জানে। একজন জানেন। তিনি হলেন মাস্টার। মাস্টার নয় মাস্টার মশাই। মাস্টার মশাই চিঠির কালো কালো বর্নের বাংলা অনুবাদ করেন আর তাতে শাড়িপরা বউ মায়াভরা মা কান্দে হাসে। বিদেশের ছেলে আর দেশের মা বউয়ের মাঝখানে প্রয়োজনীয় সেতু হয়ে অবস্থান করেন মাস্টার মশাই। ফলত মাস্টার মশাই তখন এক প্রয়োজনের নাম।

প্রয়োজন ছাড়া মানুষ কাউকে ভক্তি করে না।
প্রয়োজন ছাড়া মানুষ কাউকে হত্যাও করে না।

যুগের চাহিদায় মানুষ তার প্রয়োজনের বিকল্প আবিষ্কার করে নিতে পেরেছ কিন্তু মাস্টার মশাই নিজেকে প্রয়োজনীয় করার বিকল্প পথ মত আবিষ্কার না করার ব্যর্থতা নিয়ে হয়েছে মাস্টর।

আগে বিজ্ঞাপনে মাস্টার মশাইকে উপযোগ চরিত্র হিসাবে দেখা যেতো। ঘরের চাল কোন রঙের হবে কোন টিন ব্যবহার করলে টেকসই হবে তা নির্ধারন করে দিতেন একজন স্কুল মাস্টার। কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তার ডাক পাওয়ার আগে ডাক পেতেন একজন স্কুল মাস্টার। স্কুল মাস্টারকে ধরা হতো জ্ঞানের আকর। আর এখন তিনারা হয়ে গেছেন আকরবাতি।

তিনারা যে আকরবাতি হলেন এর দায় অবশ্যই রাষ্ট্রকে নিতে হবে। কারন রাষ্ট্র বন্দুকবাহিনীর প্রতি যতটা গুরুত্ব দিয়েছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ততটা গুরুত্ব পন্ডিতবাহিনীর প্রতি দেয় নাই। ফলে মগজহীন হাত তৈরি হচ্ছে যে হাতকে সহজে মগজধোলাই করা যায়।

ফলে জঙ্গল নেই কিন্তু জঙ্গীর গন্ধ পাওয়া যায় এই মাটিতে। অথচ এই মাটি ছিল সূফিদের মাটি, এই মাটি ছিল চার্বাকদের মাটি, এই মাটি ছিল কবি নজরুলের সাম্যবাদী কবিতার মাটি, এই মাটি ছিল রবীন্দ্রনাথের সোনার তরী কবিতার দার্শনিক মাটি, এই মাটি ছিল জীবনানন্দের বনহংস আর বনহংসীর ধানের মাথায় সবুজ পাতার রূপালি নদীর আদিম সুখে মাতম করা মাটি, এই মাটি ছিল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কবিতার ( পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি/গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে/তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।) মাটি, এই মাটি ছিল বাউলকথার প্রেমথাকা মাটি।

সেই সময়ের কথা বলছি যখন গুরু গরু নয়। তখন গুরুদের এক‌টি দায়িত্ব ছিল। দায়িত্বের পাশাপাশি তাদের একটা চেতনাও ছিল। আর এখন দায়িত্বের নাম ব্যবসা আর চেতনার নাম ব্যবসায়িক মন। গুরু এখন রাষ্ট্রের কাছে গরু। গরুকে এখন মাঠে যেতে হয় না, গোয়াল আর গোয়ালপাড়ায় থেকে দুধ আর মাংস দিলেই হয়। অবশ্যই মাংসদুধও তাকে দিতে হয় না, আধুনিক সময় তার কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারে।

স্টুডেন্ট যত বড় বিদ্যান হোক না কেন শিকড়কে অস্বীকার করা বা ভুলে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়, বর্তমান সময়কে সামনে রেখে বলতে গেলে আবার অসম্ভবও নয়। গুরুকে গরু বানানোর কাজটি প্রাথমিকভাবে শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। শিকড়ের পচনপ্রভাব পাতায় ধরা পড়ে খুব সহজে। গুরু গৃহপালিত গরু হয়ে যাওয়ার পর লাভবান হয়েছে অনেক মহল। প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে গুনাবলিকে পন্যাবলি বানানোর প্রক্রিয়াটি সহজে সম্পন্ন করা গেছে।

সেবার নৈতিকতা আর ব্যবসায়িক নৈতিকতা এক নয়। সেবার নৈতিকতা মানবিক আর ব্যবসায়িক নৈতিকতা জাগতিক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কর্মসূচি জাগতিক করা হয়েছে। ফলে স্টুডেন্ট বর্নের সাথে বর্নের মিলনের ফলদায়ক হিসাবটা জানতে পারে বলতে পারে, জানতে পারে না বলতে পারে না মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের গভীরতার জায়গাটি কোথায়। তার জন্য অবশ্যই শিক্ষক দায়ী। আজকের স্টুডেন্ট আগামীর শিক্ষক, আগামীর শিক্ষক আজকের স্টুডেন্ট।  ছাত্রকে অবশ্যই বড় করে অপরাধী বলাও যায় না। কারন শিক্ষক ডেবিট ক্রেডিট জানেন না, ছাত্র কেমন করে চূড়ান্ত হিসাব মেলাবে!?

সংস্কৃতি মানবজাতির ক্যাপিটেল। মানবজাতি উন্নত হয়ে রুচিশীল হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদ লাভ করে সংস্কৃতির কাছ থেকে। ক্যাপিটেলের ধারনা যুগে যুগে পরিবর্তন হয়ে মানবমুক্তির কারন যে হতে চেয়েছে তার জন্য দায়ী সংস্কৃতি। সংস্কৃতিকে অনেকটা মাটির উর্বরতা শক্তির সাথে তুলনা করা যায়। মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে অপ্রাকৃতিক কৃষি ব্যবস্থার কারনে আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রের মেধাভিত্তিক সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক শিক্ষাচরনের কারনে।

শিশু বয়সটা মূলত অভিযোজিত হবার বয়স। এই বয়সে শিশু পৃথিবীতে চলার প্রশিক্ষন লাভ করে। এই বয়সে তাই শিশুর প্রয়োজন সম্পর্ক নির্মান কৌশল শিক্ষা। অথচ এই বয়সে তাকে শিখতে হয় তার পাশের ছাত্রটি বা ছাত্ররা তার আন্তরিক শত্রু যাদের সাথে মুখ দিয়ে কথা বলা যাবে কিন্তু মন দিয়ে চলা যাবে না। কারন এক‌টি ক্লাসে তাকে একাই মেধাবী হতে হবে। অন্যরাও মেধাবী হতে পারবে তবে দ্বিতীয় শ্রেনীর। অর্থাৎ সংস্কৃতি হয়ে যাচ্ছে প্রতিযোগিতা নির্ভর। সংস্কৃতি যখন প্রতিযোগিতার জয়গান করে তখন মানুষে মানুষে সম্পর্ক নষ্ট হয়। কারন সংস্কৃতি বিকশিত হয় মানুষের বৃক্ষত্যাগতলে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের থাকতে পারে ক্যানভাস রং তুলি, থাকতে পারে অভিনয় কর্মশালা, থাকতে পারে আবৃত্তি, থাকতে পারে সঙ্গীত, থাকতে পারে ভ্রমনাবিষ্কার। এই শিক্ষা ডিজিটগুলা অপশনাল হিসাবে নয়, থাকতে হবে পাঠ্যক্রমে। তাহলে ছাত্ররা মননশীল হয়ে বেড়ে উঠবে। মাথায় রাখতে হবে এখন কিন্তু পুকুরের গল্প শুনে ছাত্ররা বেড়ে উঠছে না,  এখন বাতাসের যুগ, তাদের হাতের সামনে আটলান্টিক মহাসাগর। বাচ্চাদেরকে নিজেদের সর্বোচ্চ বুদ্ধি শ্রম প্রাজ্ঞসার দিয়ে নির্মান না করলে তারা যেকোনো কিছু দ্বারা নির্মিত হয়ে যাবে। তখন ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

ধৃতরাষ্ট্র তার একশত পুত্রকে সঠিক সময়ে সঠিক শিক্ষা দেয়নি। তাইতো তার ফল হয়েছে অত্যন্ত নিদারুন করুন। গোবিন্দকে আসতে হলো শকুনির আয়োজিত খেলায়। নির্মান হলো কুরুক্ষেত্র। মরতে হলো দুর্যোধনকে মৃত্যু হলো তার ভাই মিত্রদের।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কিন্তু রোবট না। যদিও তাদেরকে রোবট মনে করে রাষ্ট্র। একজন শিক্ষক একটানা কথা বলেন সাত আট ঘন্টা। তাও আবার বাচ্চাদের সাথে। মলম বিক্রেতাও এতো কথা বলে না যত কথা বলতে হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। একসময় শিক্ষকরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্লান্ত হওয়া স্বাভাবিক। কারন তাদের শরীরে অসুরের রক্ত নয়, মানুষের রক্ত। মানবিক রাষ্ট্র অবশ্যই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দিষ্ট ক্লাসের ব্যবস্থা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানুষ আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শ্রমিক ভাবার কোনো কারন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও পেতে পারে। প্রাপ্তির জায়গা থেকে বৈষম্য দূর হলে শিক্ষাও পাবে তার সংস্কৃতি ও তার নিজস্ব বিকাশ।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯

লেগে গেছে আগুন

শকুনির কেল্লা হাতে নিয়ে তারপর ঘুমাতে যাবো
তারপর ঘুমাতে যাবো আমি
এবং ঘুমাতে যাবো
ঘুমাতে যাবো আমি
থেমে যাক যত সব ধর্মের আচার
মায়াজাল মুছে যাক এখুনি

রক্তের দাম দিতে জানে না যারা তারা মৃত এই সংসারে
যারা দুর্যোধন তারা হত্যা হবে পথে প্রান্তরে
এতো লিলুয়া খেলা কেন কী জানতে চাই না কিছু
শকুনির মৃত্যু শান্তির ধারা আনতে পারে রক্তে
ধৃত রাষ্ট্র কাপুরুষ অন্ধ প্রতিবন্ধী
অন্ধ কখনো চোখের সমান ভালোবাসতে পারে না

আজ নিস্তব্ধ
আজ থেমে গেছে রাজ্যের প্রজা উৎসব
বাসুদেবের ময়ূরপুচ্ছ নাচে না আজ
আজ কুন্তির ঘর নেই হস্তিনাপুরে
শুকুনির মাথা দিয়ে প্রানিকুলের খাবার প্রস্তুত হবে
দুর্যোধন শয়তানের রক্ত ভেসে যাক নর্দমায়

হাসান কান্দে
হোসেন কান্দে
কান্দে বিবি সখিনায়
এজিদের হাসি দেখে বিশ্বের কান্না পায়, কান্না ধরে আমার

"নীল সিয়া আসমা লালে লাল দুনিয়া,
আম্মা! লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া।
কাঁদে কোন ক্রদসী কারবালা ফোরাতে,
সে কাদনে আঁসু আনে শিমারেরও ছোরাতে।"

হস্তিনাপুর আজ ভাসছে দুখের বন্যায়
সাদা পাথরে রক্তের দাগ
আগুনে আগুন সবখানে
আগুনে আগুন হৃদয়ের জানালায়
আগুন লেগেছে মানবতায়
আগুন লেগেছে কারবালায়

মানু‌ষের পথে যারা বিষ ঢালে
অর্জুনের পথে যারা বিষ ঢালে
আলী আসগর নদী যারা ভাসায় রক্তের  বন্যায়
তারা মরে নাই
তারা পাপী মরে নাই
তাদের মরন আমার হাতে তারপর আমি ঘুমাতে চাই
আমি ঘুমাতে চাই
এবং আমি ঘুমাতে চাই

হস্তিনাপুর ভাসছে বিরহের বন্যায়
মুখে নাই কথা চোখে নাই দেখা
চোখে আমার ঘুম নাই ঘুম নাই

রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

ভীম

হস্তিনাপুরের ভীম করলাকে রাতভর মিষ্টির সিরার মধ্যে ডুবিয়ে রাখে। ভীমের ধারনা ছিল মিষ্টান্নের সংস্পর্শে এসে করলা মিষ্টি হয়ে যাবে। কিন্তু করলা করলাই থেকে যায়।

# করলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Momordica charantia। করলার আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, যা ১৪শ শতাব্দিতে চীনে নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৯

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

অনেক দিন পর

পাথর ভাবলে
পাহাড় হয়ে পড়তে দেই
পাহাড় ভাবলে
আকাশ হয়ে বসতে দেই
আকাশ ভাবলে
কবিতা হয়ে ভাবতে দেই
কবিতা ভাবলে
ভাবনা হয়ে প্যাঁচানো রবো হাজার বছর
শিখর থেকে শেকড়
শেকড় থেকে শিখর
যেখানে যাবে সেখানেই রবো
রশ্মি হলে সূর্য হবো
অন্ধ হলে আলো নেবো
ভালোবাসায় বিষাদ দেবো

শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯

মহাভারত

মহাভারত পড়ছি। এক‌টি কথা কানে লেগে গেলো। কথাটি হলো "দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন দুর্বল হন তখন রাষ্ট্রের সকল শাখায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে!"
আসলেই ত তাই। শেকড় দুর্বল হলে কান্ড শাখা প্রশাখার বিশৃঙ্খলা রোধ করার ত কেউ থাকে না।
এবং জানতে পারলাম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার সিদ্ধি গ্রামের কমলাকান্তের পুত্র কাশীরাম দেব কেন বলেছিলেন--
                         "চন্দ্র বাণ পক্ষ ঋতু শক সুনিশ্চয়।
                          বিরাট হইল সাঙ্গ কাশীদাস কয়।।"
কেন বলেছিলেন--

                         "মহাভারতের কথা অমৃত সমান।
                          কাশীরাম দাস ভনে শুনে পূণ্যবান॥"

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯

রেজা নদী

মরনের আগেও যদি দেখা হয়ে যায়
বলবো ভালোবাসি তোমাকেই চাই

মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯

কবেতবে

ভালোবাসতে ভালোবাসতে ভোর করে ফেলার পরও তোমার ঠোঁটে রাতের গন্ধ

সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯

ভাবমূর্তি

যাকে কোনোদিন চোখে দেখি নাই সে যদি আমার মনের ভেতর থেকে থাকে তবে তা সবটাই মানসিক ,আমার মনের নিজস্ব ক্ষমতা, মনের নিজস্ব ক্ষমতা বলে শিল্পী অনেক কিছু নির্মান করেন তবে তা ক্যানভাসে বা সিনেমার পর্দায় কিংবা শব্দের খুব নীরবে, সিনেমার পর্দার নায়িকা কখনো জীবনের নায়িকা হয় না, কারন তার জন্য নায়ক নির্দিষ্ট থাকে, ক্যানভাসে থাকে রং, শব্দের ভেতরে নীরবে নীরবে খেলা করে স্রষ্টার সাপ্লিমেন্ট সাপলুডু

বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯

ছাদধর্ম

ছাদে উঠি ছাদে থেকে যাওয়ার জন্য নয়, ছাদ থেকে বড়দেরকে কত ছোট্ট দেখায় তা দেখার জন্যে

শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯

অজ্ঞান পার্টির কবলে আমাদের ট্রেন

অজ্ঞান পার্টির সাহস দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। ঘটনাটি রাতের মহানগরে। আমরা যাচ্ছি চট্রগ্রাম।

সাধারনত ট্রেনের নিজস্ব বাহিনী ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে কিচ্ছু খাই না। পানিও না। কিন্তু শনিবারে রাতে একটু রিস্ক নিলাম। কুমিল্লা যাওয়ার পর ট্রেনে রস মলাই উঠে। মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আমার টান একটু বেশি। রিস্কটা হয়তো এইকারনেই নেয়া। তাও আবার কুমিল্লার রস মলাই বলে কথা।

এক কেজি রস মলাই। ট্রেনে উঠার আগে রাতের খাবার খাইনি। সময় ছিল না। তবে এক কেজি দই খেয়েছি। দইয়ের প্রতিও আমার টান একটু বেশি। রমজান মাসে সেহরি খেতে উঠতাম কেবল চাক্কা দইয়ের জন্যে। সকালে দই চাক্কা থাকত না। সবার খাওয়ার পর দই চাক্কা থাকার কথা না। তাই রোজা না রাখলেও সেহরির সময় আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলা ছিল পরিবারের আরেকটি ফরজ কাজ।

রাতের খাবার না খেলেও এক কেজি দই আর চারটি আম রুপালি খেয়ে ট্রেনে উঠে পরি।

সিটে বসে চোখ বন্ধ করি। আসমানে চাঁদ। চানকে চোখে রেখে ট্রেনভ্রমন এক অমায়িক সুখবোধ জন্ম দেয় মনে। ট্রেন চলছে। হঠাৎ চোখ খুলে দেখি আমার ডান হাতে একটা ফড়িং আশ্রয় নিয়েছে। হাত থেকে ধীরে ধীরে আশ্রয় নিয়েছে আমার কাঁধে। ফড়িং তার মামার বাড়িতে বেড়াতে যাবে। তার মামার বাড়ি চট্রগ্রাম পলোগ্রাউন্ড রেলওয়ে কলোনিতে। আশ্রয় নিয়েছে ত নিয়েছে। একটুও নড়ছে না। মাঝেমাঝে পাখা নাড়ে।

তুসা সাত-আট চামচ রস মলাই খেয়ে আর খায়নি। অথচ রস মলাইটি ভালো ভালো বলে সেই বিজ্ঞাপন বেশি করছিল। যাক এক কেজি রস মলাইয়ের সবটাই আমাকে খেতে হয়। খাওয়ার পর বুঝতে পারি সামথিং রং।

কী করা যায় বুঝতে পারছি না। তাকে যদি বলি আমার  মাথার ভেতরে  বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে তাহলে সে অস্থির হয়ে যাবে।

হাঁটতে ইচ্ছে করছে (অবশ্যই ট্রেনের এক পাশ থেকে অন্য পাশ একবার হাঁটা দেয়া আমার হবি)।

চলো, আমিও হাঁটবো তোমার সাথে,  তুসা বলে।

না, তুমি বসো, ব্যাগ আছে না উপরে।

সে সিটে বসা।
আমি খাবারের কেবিনে গিয়ে বললাম এক কাপ পানিতে চারটা টিব্যাগ দিয়ে চা দেন। তারা সব কিছু ক্লোজ করে দিছে। তারপরও আমার জন্যে জল আবার গরম করে। চা খাওয়ার পর ভেতরের সব কিছু বের হয়ে আসতে চাচ্ছে। আমিও চাচ্ছিলাম এমনটা হোক। আরাম করে বমি করি। ভেতরের সব কিছু বের হয়ে আসে।

আমি যখন বমি করি তখন আমার সাথে কেউ নাই। কেউ নাই বলতে কাউকে রাখি নাই। কিন্তু। ফড়িংটা আমার কাঁধ থেকে লেকলেক করে আমার দিকে চেয়ে আছে। বমি করার সময় একবার সে আমার মাথায় বসে আবার আমার কাঁধে বসে। বমি করছি আর ফড়িংকান্ড দেখে অবাক হচ্ছি। ভেতর থেকে আর কিচ্ছু বের হওয়ার নাই। এবার শান্তি আর শান্তি।

একটা জলের বোতল কিনি। জল পান করতে করতে সিটের দিকে এগিয়ে যাই। আমাদের সিট ট্রেনের তেতুলিয়ায়। ট্রেনের টেকনাফ থেকে ট্রেনের তেতুলিয়ার দিকে যাচ্ছি। যাত্রী যারা জেগে আছে সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকায়। না। আমি কোনো নবী পয়গম্বরের মতো মুখশ্রী ধারন করি নাই। কারন একটাই।  ফড়িং। আমার কাঁধে এমন একটা ফড়িং দেখে তারা অবাক হচ্ছে।

সিটের কাছে গিয়ে দেখি বিশাল এক ভিড়। এক লোক অজ্ঞান হয়ে আছে। তার জ্ঞান ফেরানোর জন্য পুলিশসহ সবাই চেষ্টা করছে। তার জ্ঞান আর ফিরে না। পুলিশকে বললাম 'কিছু একটা করেন'। পুলিশ বললো 'চিটাগাং যাওয়ার আগে কিচ্ছু করার নাই।'

আসলেই কিচ্ছু করার নাই?  না, তিনি কিচ্ছু করবেন না?  কিচ্ছু করার নাই, না, তিনি কিচ্ছু করবেন না এটা জানার জন্য  অপেক্ষা করতে হয়েছে চট্রগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছানো পর্যন্ত।

সবাই নেমে গেলো যার যার মতো। আমরা সিটে বসা। আমাদের নেমে যেতে বলা হলো। আমাদের যারা নেমে যেতে বললেন তারাই সেন্সলেস লোকটিকে ট্রেন থেকে নামিয়ে সোজা এ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে পাঠান। হা হা হা। এমনটি হলে ভালোই হতো। এমন কিচ্ছু হয়নি। লোকটিকে তারা রেলওয়ের ইটের বিছানায় রেখে যার যার মতো চলে যাচ্ছে। পুলিশের কোনো খোঁজ নেই।

ট্রেনের দায়িত্বরত প্রধান অফিসার দলবল নিয়ে সাই সাই করে হেঁটে যাচ্ছে নিজস্ব আরামের দিকে। সারা রাত তারা কত কষ্ট করেছে। আমি ডাক দিলাম তাকে। জানতে চাইলাম সেন্সলেস লোকটির কী হবে। তিনি আমাকে রামায়ন মহাভারত কুরান হাদিস ইচ্ছামতো বুঝালেন। আমিও বুঝলাম। আমাদের মাথাও ঠিকমতো কাজ করছিল না। কারন বমি করলেও রস মলাইয়ের সাথে মেশানো অজ্ঞান ইফেক্ট কিছু হলেও ত মাথায় রয়ে গেছে। বুঝতে ছিলাম। তাদের সাথে কথা বলে কোনো ফায়দা হবে না। বন্ধুকে ফোন দিলাম। বন্ধু সেকেন্ডে হাজির। বন্ধুর বাসায় স্নান করে একটা বিশাল ঘুম দিলাম। ঘুম থেকে উঠলাম একদম সন্ধ্যায়।

ট্রেন থেকে নামার কিচ্ছুক্ষন আগে ফড়িংটা নেমে যায় বা চলে যায় অথবা আমাকে বিদায় জানায় কিংবা তার ডিউটি শেষ।

সেন্সলেস লোকটি কোথায় আছে কেমন আছে জানি না, জানি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সেন্সলেস কর্মকান্ডের জন্য সিলেট টু ঢাকাগামী উপবন ট্রেনটি মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছে

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯

জীবনের ঘাসপাতা

বলতে চাওতো অনেক কিছু
কিছুই বলোনা
না বলা সেই কথামালা জেনেও জানি না

এক হাতে পাহাড়
অন্য হাতে নদী
মাঝ মনেতে সমুদ্র এক করে উড়া উড়ি
শুনতে গেলে তোমার কথা ডুবে যাবে তরী

থাকো তুমি তোমার মতো যেমন থাকে আকাশ
পাতাঘরে এসো বন্ধু হয়ে রাতের বাতাস

বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯

পতেঙ্গার জলজোয়ার

যেখানে জাহাজ ভিড় করে সেখানে জল থাকে। জল থাকলেই জাহাজ ভিড় করে না। জাহাজের এক‌টি নির্দিষ্ট গতিপথ আছে। নির্দিষ্ট গতিপথ ধরে সীতাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে। সে পাশ করেছে। রাম পরাজিত হয়নি। কারো জয় আকাশে উড়া কারো জয় উড়োজাহাজ নির্মান করা।

বেহুলাকে মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হয়নি। রাজার শাস্তি রাজার মতো প্রজার পুরস্কার প্রজার মতো। মানুষ একটি জাহাজ যার জলের চেয়েও গতিপথ বেশি প্রয়োজন।

পতেঙ্গার আকাশে পোস্টপেইড বাতাস। সাগরের ঢেউ ত আছেই। তারও রয়েছে নিজস্ব জাহাজ। জাহাজের কারনে পতেঙ্গার কোনো একটি অঞ্চলকে মানুষের গ্রাম মনে হয়। মনে হয় ফুল পাখির দেশ।

অপেক্ষা করে করে রাত তালা দিয়ে অভিমান চোখে বালিশে মাথা রাখে ঘরমুখো মানুষ। শিশুরা প্রথমে শিখে অভিমান। তারপর কান্না। তারপর শিখে মিথ্যা বলা। শিশুরাও পতেঙ্গার কাছে এসে ঢেউয়ের মতো শিশু হয়ে যায়। জোয়ার আসে ঢেউ বাড়ে জোয়ার চলে যায় ঢেউয়ের পাখনা তখনো থামে না।
জল থেকে ঢেউ
ঢেউ থেকে জীবন আর জীবন থেকে আমাদের ডোমেস্টিক ছায়া।

শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯

বলবো তোমার প্রেমিক আমি

তোমার চোখে বৃষ্টি কেমন
ভেবেও আমি ভাবি না
তোমার চোখে রোদের খেলা
দেখেও আমি দেখি না

একলা আমি সাগর তীরে
সাগর আমি সাগরমুখী
পেছন থেকে স্মৃতির খেলা
গল্প আমার লুকোচুরি

আকাশ বেয়ে চাঁদ উঠে
মেঘও তার প্রতিবেশী
পেছনে সব উড়াল পাখি
সমাজ নিয়ে দারুন খুশী

বয়ে চলা জীবন নিয়ে
প্রশ্ন করি উত্তর লিখি
বর্ষাজলে বেহুলা ভাসে
স্বর্গ কোথায় স্বর্গ খুঁজি

জীবন যাবে জীবন রবে
আসবে তুমি আসবে আমি
আবার যখন দেখা হবে
বলবো তোমার প্রেমিক আমি

চলছে গাড়ি যাত্রী তারই

চলছে ট্রেনের মোড়ক পেঁচানো পলিজিনি গাড়িখানা
বাতাসলগে আজব শহর জ্বিন আলাদিনের আস্তানা
ট্রেন থেকে অনেক দূরে শ্রমিকের ঘর বাড়ি
মামলার সুখে আমলা এখন অপরাধমাখা গাড়ি
মাঝখানে দ্বীপের মতো রোদেলা হাসি নারী
ঠোঁটের ভেতর ঘর বেঁধেছে বহুগামী নদী
সাগর উত্তাল পাতালে নেমেছে পাহাড় প্রিয় দিদি
পাহাড়ে পাহাড়ে পাখি কলরব জমিনে মানুষ রাজা
রোজ মরছে ঘামের রক্ত চেতনার বাড়ছে সাজা
কলাশিশ্ন জিংলা নিয়ে বাড়ছে বিপ্লবী
বাড়ছে ফলের রংকালার বাড়ছে ভংবাদী
দোয়া কবুলের নামে বাড়ছে আমিন আমিন রব
হুজুর খাচ্ছে মজুরের ঘাম বাড়ছে লেবাসের জপ
আবহাওয়ার খবর দিচ্ছে ভাঙ্গা কলের গান
ঝরাপাতার পেঁচানো রোগ ভ্যানিটি ব্যাগের প্রান
বিপ্লব হয়েছে বিনোদন সিনেমা তেলাপোকা সাহস
দলাদলির ঘর সংসার সুদ কাঞ্জি পাট্টা চেলি চাহস

বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯

সত্য

মিথ্যাকে প্রমান করতে হয় সত্য দিয়ে, সত্য সার্টিফিকেট না পেলেও সত্য

লেখক

যারা বলে জনপ্রিয় লেখা ভালো হয় না জনগনের জানা প্রয়োজন তারা কিন্তু জনগন না

শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯

প্রেমিকের কামিন

রাধামন পাতামন বাতাসে নড়ে
বৃন্দাবন উষ্ণপন কালা জলে পড়ে
কলসিন্দুর কদম ডালে আষাঢ়ী উদাম করে
কালকেতু ঘরে পর পরকীয়া ডরে
উচাটন অনাথা আলপিন সুরে
মনগাছ পাতা ছাড়ে থরেবিথরে
মনে থাকে কামজ্বর সমাজে আকাশ
কৃষ্ণপ্রান ডেকে ডেকে ডাহুক হতাশ
রাধাস্তন মরুভূমি হাতঘাস বিহীন
ডুবে ভেসে মরে যায় প্রেমিকের কামিন

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

রাস্তাঘাট খোলা থাকুক

অনেক কাল সয়ে রয়ে দেখেছি মানু‌ষের কঙ্কাল বড় গাছের ছোট পাখি
গাছের পাথর থেকে আকাশগঙ্গা পাড় পর্যন্ত মানুষ এক আজব প্রানি
মানুষের ঘর থাকে ঘরের অনেক দূরে
মানু‌ষের প্রেম থাকে প্রেমের ভেতর শরীরের ত্রিসস্তিশাল্কো ছাড়িয়ে
ভোর হলেও রাতের ডাক থেকে যায়
নদী ডাকলেও ভাঙনের শব্দ সিনেমার পর্দায়
কোনো বিষয়বস্তু থাকলেও ক্যামেরার কালার মন্দ
ক্রিকেট খেল
ফুলবট খেল দেখতে দেখতে পদ্মা মাতৃত্বের শক্তি হারায়
বাদাম বিক্রেতা বাদাম
আলু বিক্রেতা আলু
টুপি বিক্রেতা টুপি বিক্রি করেই চলেছে
অধ্যাপক বিক্রি করে চলেছে শিক্ষা
টিএসসির হকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকার হয়েছে বহু শতাব্দী আগে
আমরা কেবল খেলা দেখি
আমরা কেবলই খেলা দেখি খেলার অনেক পরে

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

রত্না আম

রত্না। আমের নাম। পৃথিবী বিখ্যাত আমআলফনসো ও নীলম থেকে শংকরায়নে রত্না আমের জন্ম। ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি আঞ্চলিক গবেষনা কেন্দ্র থেকে তার সৃষ্টি। রত্মা আমের বড় সাইজের ওজন প্রায় তিন শত পনেরো গ্রামের মতো। রত্মা আম গাছটি ঝোপাল তবে খুব বড় হয় না, বলা যায় মাঝারি আকৃতির।

বাংলাদেশে এই রত্না আমটি অধিক উৎপন্ন হয় রাজশাহী অঞ্চলে। রত্না আমের গন্ধ চমৎকার সুমিষ্ট কিন্তু খেতে খুবই পানসে। অর্থাৎ অনলাইনের নিউজ শিরোনামের মতো রত্না আম বুক দেখায় পীঠ দেখায় কিন্তু হৃদয় দেখাতে পারে না। তাই রত্না আম হলো উপভোগের তবে ভোগের নয়।

শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৯

পাখি

রাস্তায় পড়ে আছে। প্রায় মৃত। পা দুটি উপরে। কাছে গিয়ে দেখি প্রান আছে। ছিও ছিও করছে। দোয়েল পাখিটিকে হাতে নিলাম। রুমে নিয়ে আসি। রুমে আনার কারন ইউটিউব দেখে ট্রিটমেন্ট করবো। রুমে এনে বিছানায় রাখি।

ইউটিউব ওপেন করে পাখিদের কিচিরমিচির চালু করি। রুম ভরে যায় পাখিদের কিচিরমিচিরে। দেখি তখনো দোয়েলটি মৃত প্রায়। কেন যেন মনে হলো চলতে থাকুক ইউটিউব চলতে থাকুক পাখি সব করা রব।

ইউটিউবের কিচিরমিচির চলছে, আমিও চললাম স্নানঘরে। বাড়ি যাবো। স্নান করলাম বেশ সময় নিয়ে। স্নান আমার কাছে বিরাট প্রার্থনা। শরীরে জল পড়ার সাথে সাথে যতটুকু শান্তি আমি পাই তার চেয়ে অধিক শান্তি যেন পৃথিবীতে নেমে আসে তার জন্যে প্রার্থনা করি।

স্নান শেষ করে দোয়েলের কাছে আসি। অবাক! বিছানায় সে আর নেই। তাহলে কী বিড়াল খেয়ে ফেললো?  রুমে ত বিড়াল নেই।

তাহলে?

ডাইনিং রুমের লতাপাতার উপরে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আনন্দে মন ভরে গেলো! থাক তিনি তিনার মতো। আমি আমার কাজ করি। ইউটিউবের কিচিরমিচির সাথে তিনিও কিচিরমিচির করতে থাকেন।

বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ। ভাবলাম দোয়েলটিকে রুমে রেখেই চলে যাবো। তাকে একা রুমে রেখে যাওয়া মহা অন্যায়। তার বের হয়ে যাওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ। কী করা যায়!? বিরাট দ্বিধান্বিত দ্বিধাবিভক্ত মানসিকতা শরীরে ভর করে। তাকে ছেড়ে দিতে পারি, আবার রেখে দিতে পারি। পাখিটির আনন্দ দেখে তার প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে মনে। তাকে রেখে চলে গেলে আবার খাবারদাবারও পাবে না।

অবশেষে সিদ্ধান্তে আসি। তাকে ছেড়ে দিবো। তার চলে যাওয়ার সমস্ত পথ নির্মান করে দিলাম। কিন্তু এখন আর সে যেতে চায় না। জানালার কাছে যায় কিন্তু যায় না। অনেকবার জানালার কাছে যায় কিন্তু বের হয়ে যায় না। আমি ত তাকে ছেড়ে দেবার পূর্ন মানসিকতা ফিট করে ফেলেছি।

একসময় সে রুম থেকে বের হয়েই যায়। রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। বারান্দার গ্রিলে বসে থাকে রুমের দিকে মুখ করে। ভাবটা এমন মিস্টার রেজা এখনো সময় আছে, একবার ভাবুন।

আমি সমস্ত ভাবনা অতিক্রম করে বারান্দার দরজা ক্লোজ করি। বারান্দার দরজা ক্লোজ করার সাথে সাথে তিনিও দিলেন বিরাট এক উড়াল! তার উড়াল দেখে মনে মনে বলতে থাকি my love is enough love to let you enough free

বুধবার, ৫ জুন, ২০১৯

ভাইরাল

সন্তান পৃথিবীতে আসার সাথে সাথে অনেক মাকে ফেইসবুকে আসতে হয়, কারন মায়ের পেট থেকে সন্তানের জন্ম হলেও অনেক মায়ের জন্ম হয় ফেইসবুকের ওয়াল থেকে

শনিবার, ১ জুন, ২০১৯

আগুন হে

দিয়াশলাই নিজে জ্বলার পর জ্বালাতে পারে। আগুন জানে না সে যে আগুন, যেমন জল না যে সে আগুনের জন্য পুলিশ। আগুন ও জলকে জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই, দিয়াশলাইকে জ্ঞানস্কুলে পাঠাতে পারেন।

বাদাম বিক্রেতা

বাদাম বিক্রেতা মরুভূমিতে গেছিল, সেখান থেকে ক্যাকটাস গাছ এনে জলাভূমির হাল পাড়ে রোপন করে নিয়মিত জল দিতে থাকলো, তারপর গাছটি মারা গেলো। তারপর বাদাম বিক্রেতা আবার বলতে শুরু করে "বাদাম লাগবো বাদাম, গরম গরম বাদাম"

পুরস্কার

পুরস্কার পেলে অনেকেই প্রেগনেন্ট হয়ে যায়, স্বাভাবিক চলাফেরা করতে তাদের রুচিতে বাধে, শরীরেও বাধে

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯

দানে দানে পে লেখা হে

বাতাসের শব্দ কানের কাছে এসে ঘরের কথা বলে
মানুষের গান চড়ুই পাখির মতো একলব্য সত্যাগ্রহ

লাল আলো সামনে
সবুজ বাতি আরেকটু সামনে
পেছনের সিটে প্রজন্মের ডাক

সূর্য থেকে আজকের পৃথিবী, ধার্মিক বলবে অন্য কথা রূপকথার মতো তবু কানের কাছে ঘেনঘেন

সবুজ পাতার নিচে দোয়েলের দাম্পত্য
প্রজাপতি মারা গেলে কবর দিও ফুলে
হৃদয় মারা যায় হৃদয়ের অনিত্য ভুলে

সামনে ফুল
তার যথারীতি পেছনে হৃদয়ের ভুল
তার একটু সামনে সমবায় ডাহুক

কামুক ডাহুকের যৌবন জল গলাবাহিত স্রোত একদিন একদিন করে জন্ম দেয় পানাফুলদল-- ধার্মিক বলবে অন্য কথা

কদমফুল ধরতেই পারি না
প্রিয়তমা হাসতেই পারে না
ভোগের ইবাদত বসে ঘরে বাইরে মার্কেটে কিংবা প্রেমিকার একান্ত মনের ইচ্ছারুমে

মন ন বুঝে তুমি
মন ন বুঝায় আমি
আমাদের এখন ন বুঝার সমবায় কাল
তবু কানে যেন বাজে
দানে দানে পে লেখা হে খানেওয়ালাকা নাম
ট্রেন লেইট করে
ট্রেন লেইট করলেও স্টেশনে থাকা যাত্রীবাহী কাম

মা নু ষে র

মানুষ দেখবো বলে প্রায় চিড়িয়াখানায় যাই, গিয়ে দেখি জেলখানার মতো মানুষ যা দেয় তাই খায়,আমার মতো পশুরা মানুষকে চিড়িয়াখানায় বন্দী করেছে

বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯

ব্যবসা

ব্যবসায়ী বউয়ের হাতে যখনই ছেলেটি পরে তখনই সে কসাই হতে বাধ্য, ব্যবসায়ী স্বামীর হাতে যখনই মেয়েটি পরে তখনই সে বিমর্ষ হতে বাধ্য। আমাদের ইদানিং ছেলেমেয়েরা কাপড়ের সৌন্দর্য দেখার আগে কাপড়ের ব্যান্ড মানে দাম দেখে। মানে এই জেনারেশন ব্যবসা  শেখার আগে ব্যবসায়িক হয়ে উঠে।

মানুষ পারে! মানুষ পারে বটে!!

পরিচিত এক পাগল ছিল। কারো সাথে কোনো কথা বলতো না। সকাল বেলা তার এলাকা থেকে আমাদের এলাকায় আসতো। আবার বিকাল বেলা তার এলাকা থেকে আমাদের এলাকায় আসতো। দিনে দুইবার তার আসা যাওয়া। কারো সাথে কোনো কথা বলতো না। আমার মতো শয়তানের হাড্ডিও তাকে ক্ষেপানোর চিন্তা করতে পারি নাই। কারন তার ব্যক্তিত্ব ছিল মারাত্মক রকমের উন্নত। অনেকটা শিক্ষকদের মতো। কাউকে ক্ষেপানোর জন্য ডেবিট ক্রেডিট একটা ব্যাপার লাগে। এই ব্যাপারটা তার মধ্যে ছিল না। তার মধ্যে ছিল তুমুল নীরবতা। দুনিয়ার কর্ম টর্ম লাভ লস হিসাব নিকাশ তার মাঝে ছিল না।

একদিন শুনি, পাগল মারা গেছে!
কয়েকদিন পরে শুনি, পাগলের নামে মাজার হয়ে গেছে!!

যে পাগল দুনিয়ার কোনো প্রকার হিসাব নিকাশের ধারে কাছে ছিল না, দুনিয়ায় মানুষ তাকেই নিজেদের দুনিয়াবি কাজে ব্যবহার করে নিলেন। মানুষ পারে! মানুষ পারে বটে!!

এবার আসি আসল কথায়। হিমুকে আমার ভালো লাগে। হুমায়ুন আহমেদের হিমুর কথা বলছি। ভালো লাগে কারন হিমুর পকেট নাই। হিমু সংগঠন করে না। হিমুর সংগঠনের নাম "পৃথিবীর সমস্ত মায়া ত্যাগ করা"।

অথচ আজকাল পকেটহীন হিমুর নামে পকেটওয়ালা বাহিনি তৈরি হচ্ছে, সংগঠনবিরোধী হিমুর নামে সংগঠনপ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটি নির্মান লাভ করছে। মানুষ পারে! মানুষ পারে বটে!!

রবিবার, ২৬ মে, ২০১৯

বাপ

নিজের বাপের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলে যত্রতত্র বাপ পাতাতে হয় না

শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৯

প্রকাশক

প্রকাশক আসলে বই বের করতে জন্মগ্রহন করেন নাই, প্রকাশক জন্মগ্রহন করেছেন ব্যবসা করতে, ব্যবসা না করলে তিনার দোকান যে বন্ধ হয়ে যাবে, তাই  লেখক খোঁজা তার কাজ নয় প্রোডাক্ট খোঁজা তার কাজ। যত দিন যাচ্ছে আল্লার অশেষ রহমতে বাংলাদেশের প্রোডাক্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লার অশেষ কৃপায় আগামী দিন এই প্রোডাক্ট আরও বৃদ্ধি পাবে। আমিন। প্রকাশক মানে দোকানদারের প্রতি আল্লার নেক নজর রয়েছে। সুতরাং দুশ্চিন্তার কোনো কারন নাই।

বুধবার, ২২ মে, ২০১৯

দেখার ইচ্ছা

দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন একটা পাখি ছিলে গাছের বাসায়
তোমাকে দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন তুমি একটা কান্না ছিলে ঝরনার মতো একদম
দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন একটা অপেক্ষা ছিলে দুই মিনিট  কিংবা বাসা থেকে প্রিয় গাছটার দূরত্বে
দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন মেঘলা আকাশে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির ঢেউ তারপর হুটহাট রিকসা
তোমাকে দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন একটা সন্ধ্যার ভেতর কথা নাকথার কুলাসকাস অথবা হাতেধরা নাধরা মাঝামাঝি অভ্যাস
দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন হঠাৎ করে বাসার সামনে উপস্থিত হওয়া
তোমাকে দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন আমাকে দেখে মিষ্টি হাসিটা দিতে না চেয়েও দিয়ে ফেলা
দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন স্পর্শ না করেও স্পর্শ করার তুমুল সুখে পাওয়া
তোমাকে দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন বাচ্চাদের মতো ঠোঁটে লাল লিপস্টিক দেয়া তারপর আমার চোখের দিকে একটু চেয়ে হেসে ফেলা
দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন বসন্তের পাতার মতো শিশু সরলতা তারপর মানব স্বভাব ভুলে গিয়ে পাখির মতো উড়াল দেয়া
তোমাকে দেখার ইচ্ছা জাগে খুব
যেমন সমুদ্রের বুকে নির্বাক পতাকা হয়ে পতপত কথা বলা
ইচ্ছা জাগে ইচ্ছা জাগে
শরৎ এলে কাঁশবনে আবার ভিজতে ইচ্ছা জাগে
বহুতলের তোমার শরীর জলডুবনে মানুষ লাগে

মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

সরকারি চাকর নয়, সেবক

যারা সরকারি চাকরি করে তারা কিন্তু এলিয়েন না, তারা আমাদের সমাজেরই মানুষ, তারাও সামাজিক জীব, তাদেরও ক্ষুধা পেলে খাবার চায়, তারাও সিনেমা দেখে কাঁদে। আপনার আমার মা যেমন পরিবারের গোছানোর কাজটি করে তারাও দেশটা গোছানোর কাজ করে। আপনার মা কিন্তু বা আপনার বাবা কিন্তু আপনার পরিবারের চাকর না। হ্যাঁ, মাবাবা যে পরিবারে সেবা দেন তার জন্য তারা কোনো দৃশ্যমান বিনিময় নেন না। তবে মনে রাখা ভালো বিনিময় একটি চক্রের নাম। প্রকৃতিতে প্রতিনিয়ত আদান প্রদান চলে।

মাটি কেন গাছ জন্ম দেন জানেন?

গাছ হলো মাটির সন্তান। মাটিরও খাবারের দরকার হয়। নতুবা মাটি মারা যাবে। গাছের মধ্যে দিয়ে মাটি প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহ করে। এইভাবে প্রকৃতির প্রত্যেক উপাদান প্রত্যেক উপাদানের কাছ থেকে কিছু নিয়ে থাকে কিছু দিয়ে থাকে।

আপনারা অনেকেই পুলিশকে খারাপ চোখে দেখেন। একবার ভাবুন ত এই খারাপ পুলিশ যদি একদিন না থাকে তাহলে? তাহলে প্রত্যেক ঘর হয়ে যাবে জেলখানা। কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। আরেকটি বিষয়। আপনার হাতে এক অঞ্জলি ফুল নেন। তারপর রাখুন কয়েকটা ঘন্টা। দেখবেন ফুলের গন্ধ আপনার শরীরের অংশ হয়ে যাবে।  আবার পঁচা, আমপঁচাই রাখুন আপনার হাতে কয়েকঘন্টা। দেখবেন আপনি অতিষ্ঠ হয়ে যাবেন। এবার বলুন ডাস্টবিন মানের ক্রিমিনালদের সাথে আমাদের পুলিশ চব্বিশ ঘন্টা থাকে, তাদের মানসিক অবস্থা কেমন হবে!?  পুলিশ ত ভাই রোবট না, তারাও মানুষ। তারা ভাড়ার বিনিময়ে আপনার আমার দেশে কাজ করে না। তারাও এই দেশের নাগরিক।

সরকার কে?

সরকার হলো জনগনের সিদ্ধান্তের আয়না। সরকার হলো জনগনের প্রতিফলন। জনগন সচেতন হলে সরকার সচেতন হতে বাধ্য। শিয়ালের রাজা শিয়ালই হয়, সিংহ হয় না। লঙ্কাতে রাবনই থাকে, রাম থাকে না, রাম লঙ্কায় গেলে রাবন হতে বাধ্য।  আবার রাবন রামের রাজ্যে আসলে সীতাকে অগ্নিইক্ষাতে পাঠাতে বাধ্য। কারন রামের কাছে সীতা গুরুত্বপূর্ন, সাথে সাথে প্রজাদের ইচ্ছানুভূতিও গুরুত্বপূর্ন।

তাই সরকারি কর্মচারিকে চাকর বলার আগে একবার ভেবে দেখবেন আপনি তাদের মতো সেবক হতে পেরেছেন কিনা। সরকারকে গালি দেবার আগে একবার ভেবে দেখুন আপনিও কোথাও কোথাও সরকার। সরকার হিসাবে আপনি কতটা সত্যনিষ্ঠ দায়িত্ববান ভাবুন।

আমার এক বড় ভাই আক্ষেপ করে বলেন এই জাতিকে পরিবর্তন করা যাবে না। কারন তিনি ভেবেই পান না পরিবর্তনের কাজটা কোথা থেকে শুরু করবেন। তিনি ভেবে পাবেনও না। কারন পরিবর্তনটা যে নিজ থেকে শুরু করতে হবে তা তিনি জানেন না। আমরা আসমানে ছেপ দিতে দিতে নিজের শরীরকে কাদা করে ফেলেছি।

সোমবার, ২০ মে, ২০১৯

আলোতাস

বিড়াল ভালোবাসা প্রকাশ করে কামড় দিয়ে, বিড়ালের ভালোবাসাকে স্বীকার করি কিন্তু বিড়ালের কামড়কে অস্বীকার করি

নী ল

পরিনিত আকাশের মতো তুমি নীল ছড়াও

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯

শয়তান

মানুষ 'শয়তান' বলে গালি দিতে দিতে শয়তানের দায়িত্ব কমিয়ে দিচ্ছে

বি জ্ঞা প ন

বিজ্ঞাপন খুব ভালো ব্যাপার । বিজ্ঞাপন আছে বলে পৃথিবী টিকে আছে এমন কথা অনেক মহা জ্ঞানী বলতেই পারে। মহা জ্ঞানীরা বিজ্ঞাপনের নব নব পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। দেখলাম এমন এক বিজ্ঞাপন পদ্ধতি। পদ্ধতিটি পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম।  পৃথিবীর অনেক কিছুই আমার কাছে প্রথম মনে হয়। বিপুলা এই পৃথিবীর কতটুকু জানি!

আসল কথায় আসা যাক। মানে বিজ্ঞাপনের কথা বলছি। সুন্দর ব্লাউজ আর শাড়ি পরে মেয়েটি বসা, ছেলেটি পাঞ্জাবি পরে মেয়েটির পেছনে দাঁড়ানো।

ভাবলাম শাড়ি-পাঞ্জাবির বিজ্ঞাপন। কিন্তু না। তারা নব দম্পতি। একজন চাকরি করে সরকারি ব্যাংকে আর অন্যজন রাষ্ট্রীয় পুলিশে। প্রস্তুতি শাখা কলেজের ফাউন্ডার জানতে পারে তারা ছিল তার কলেজের স্টুডেন্ট। ফাউন্ডার সাব ভাবলেন এই সুযোগ! কলেজের সুনাম বৃদ্ধি করা যাবে। সাথে সাথে রাস্তার মোড়ে এই সফল দম্পতির ছবি বড় করে বিজ্ঞাপন করে দিলেন, নিচে সবুজ কালিতে বোল্ড করে লিখে দিলেন " প্রস্তুতি শাখা কলেজের সাবেক স্টুডেন্ট ও সফল দম্পতি"। ছবিতে মেয়েটির ও ছেলেটির  হাতের কাছে পদমর্যাদা লেখা।

আরেকটি রাস্তার মোড়ে দেখি দুটি  কিউট ডিউট বাচ্চার ছবি। বাচ্চা দুটি খুবই কিউট। প্রস্তুতি শাখা কলেজের ফাউন্ডার কেন দুটি কিউট বাচ্চাকে রাস্তার মোড়ে ঝুলিয়ে দিলেন বুঝতে পারলাম না। তারপরও বোঝার চেষ্টা করি। খুব ভালো করে তাকিয়ে দেখি লম্বালম্বিভাবে লেখা "শিশুর প্রতি নজর রাখুন, সেও হতে পারে পারিবারিক ধর্ষনের শিকার"।

পরে খবর নিয়ে জানতে পারি এই বাচ্চা দুটিও প্রস্তুতি শাখা কলেজের কোনো এককালে পরা স্টুডেন্টের সন্তান। অবাক হলাম এইভেবে যে প্রস্তুতি শাখা কলেজের ফাউন্ডার কেন বলেনি " আমাদের কলেজে যারা পড়াশোনা করে তাদের শতভাগ মেধাবী সন্তান জন্মের নিশ্চয়তা আমরা দিয়ে থাকি, মেধাবী না হলেও কিউট ত হবেই"।

বাচ্চা দুটির কিউট ভাব থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না, মন সরাতে পারছিলাম না প্রস্তুতি শাখা কলেজের ফাউন্ডারের মাথার কারুকার্য থেকে -- কত সুন্দর করে তিনি বিজ্ঞাপনের নামে মানুষের ঘাম বিক্রি করে দিতে পারেন....

শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯

স্মৃতি বড্ড বেহায়া

স্মৃতি বড্ড বেহায়া
বারবার মগজে ভাসে চরের মতো
একফালি রোদ এসে কুয়াশার পাশে বসে
বিরাট এক বন্যা হয় দেশে দেশে

এই যে এই দেশের মানুষ চোখের বাইরে কিচ্ছু দেখে না
লুটপাট হচ্ছে আকাশ
লুটপাট হচ্ছে বাতাস
লুটপাট হচ্ছে কিস্তির চাল
লুটপাট হচ্ছে প্রিয়তমার নদীপাতা আঁচল

স্মৃতি কেবল ভেসে উঠে বারবার চোখের ভেতর মনের ভেতর সবুজ পথের বাঁকে এক কন্বের ইচ্ছার ভেতর
মুখ বন্ধ করে থাকলেই ইবাদত
মুখ খুললেই শহীদ
কারেন্ট জালে বনসাই করা কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়ি
দূরে গিয়ে সুখে থাকলে ভালো
কাছে এসে কষ্ট পেলে ভালোর বদনাম

বৃষ্টি হলে গাছ ত জল পাবেই
রাজাদের প্রার্থনা কবুল হলেও সুন্দর আলী কানাডায় যাবে না
সুন্দর আলী জেলে মানুষ মাচোজীবন তার 
বিপ্লবীরা নিরাপদ বাক্যে কথা বলে যেন সহমত আর সংহতির বাজার
বেঁচে থাকার লোভ
স্মৃতি বড্ড বেহায়া সমাজ টমাজ বুঝে না
কেবল প্রেম দেখায় কেবল কাম দেখায়

বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৯

চা ম ড়া

অনেকে চামড়া বিক্রি করে লেখক সাজে, একসময় তাদের চামড়া সস্তা হয়ে যায় তখন তাদের লেখাও আর আসে না

বুধবার, ১ মে, ২০১৯

:!:!:!:

ছোট্ট দুটি পাখা নিয়েও বড় পাখিটা উড়তে পারে কারন 'পাখি উড়তে পারবে না' তা বলার জন্যে কোনো মানুষ পাখিপরিবারে নাই

গা লি

গালি দিতে গলা লাগে, ভালোবাসতে লাগে মন

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

চাকরি মানে সেবা

চাকরি মানে খেলার মাঠ নয় যে খেলতে নামলেন আর সময়ের দিকে তাকাতে থাকবেন। চাকরি মানে সেবা। সেবা করার কোনো বয়স থাকতে পারে না। কারো মনে হলো চল্লিশ বছর বয়সে চাকরি করবে মানে সেবা করবে, এক‌টি কল্যানমূলক রাষ্ট্রে সেই ব্যবস্থাও থাকা আবশ্যক। পৃথিবীর কোথাও কী আছে এটা দেখা খুব জরুরী নয়, পৃথিবীর কোথাও কী আমরা রপ্তানি করবো এটা দেখার বিষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই, এই বাংলায় আছে, আমরা তাঁর আদর্শ পৃথিবীর অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারি এবং করেছি। এই লেংদেয়া বয়সীনীতি জাতিকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তুলে, মানসিকভাবে দুর্বল জাতি উন্নত রাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারে না। সাহসিক মানসিকতাও একটি জাতির বিশাল সম্পদ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সাহসের চিহ্নসূচক।

এক‌টি কথা প্রচলিত আছে। আর তাহলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মেধার দিক থেকে তৃতীয় নাম্বার ছাত্রটি হয় রাজনীতিবিদ, দ্বিতীয় নাম্বার ছাত্রটি হয় আমলা, আর প্রথম নাম্বার ছাত্রটি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। প্রত্যেকেই রাষ্ট্রের সেবার সাথে জড়িত। রাজনীতিবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক হওয়ার ব্যাপারে কোনো বয়সফ্রেম নেই। আমলাতান্ত্রিক সেবার সাথে মানে চাকরির পাওয়ার ব্যাপারে বয়সফ্রেম থাকবে কেন!?

চাকরি হলো পোশাক যা মানুষের সামাজিক মর্যাদার সাথে জড়িত, সামাজিক মর্যাদা না থাকলে মানুষ মারা যায় না কিন্তু মানুষকে বেঁচে থাকতে গেলে সামাজিক মর্যাদার প্রয়োজন হয়। সামাজিক মর্যাদার বিষয়টি নিশ্চিতকরন একটি রাষ্ট্রের প্রাথমিক কয়েকটি কাজের এক‌টি। যে জাতি যত বেশি আত্মমর্যাদা সম্পন্ন সেই জাতি তত বেশি উন্নত। উন্নত মানে ব্রিজ কালভার্ট নির্মান নয়। ব্রিজ কালভার্ট যদি মানসিক প্রশান্তির কারন না হয় তাহলে তা অবনতির নামান্তর।
ত্রিশ বছর পর কোনো স্টুডেন্ট আর স্টুডেন্ট থাকে না। ত্রিশ বছরের পর কোনো স্টুডেন্টের সার্টিফিকেট আর কোনো কাজে আসে না। চাকরি একজন স্টুডেন্ট না-ই পেতে পারে, সবাই শুধু  চাকরি করবে এটিও একটি জাতির জন্য আশাব্যঞ্জক কথাপ্রবাহ নয় কিন্তু ....ত্রিশ বছরের পর একজন স্টুডেন্টের সার্টিফিকেট মৃত বলে ঘোষিত হবে তা মেনে নেওয়ার নয়। ঘর বড় না করে ঘরের বড় মানুষদের ঘর থেকে বের করে দেয়ার নীতি কখনো সুস্থ সাবলীল হতে পারে না।

কবিতা লিখে সিনেমা নির্মান করেও এক‌টি জাতির উপকার করা যায়। কারো মনে হতে পারে পুলিশ হয়ে এক‌টি জাতির উপকার করবে। কারো মনে হতে পারে পলান সরকার হয়ে এক‌টি জাতির উপকার করবে। বয়সফ্রেম উপকার করার পথে অন্তরায় হয়ে কাজ করতে পারে না।

জনগন যদি বলতে শুরু করেন রাষ্ট্র পরিচালনা অনেক কঠিন কাজ। রাষ্ট্র পরিচালকের শুধু অভিজ্ঞতা থাকলে হবে না বয়সও থাকতে হবে, আই মিন বয়সের এক‌টি সীমানা থাকতে হবে। তাহলে?তাহলে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ন রাজনীতিবিদদের হারাতে পারি অথবা  বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারি। জনগন তা করবে না। কারন জনগন রাজনীতিবিদদের কাছে দেশটা বলতে গেলে বাগি দিয়ে দিছেন!

চাকরির বয়সসীমা বেঁধে দেয়ার মধ্যে এক‌টি চালাকি রয়েছে। বয়সসীমার ভেতরে যারা চাকরি পায় না তারা সরকারি খাতায় বেকার। বেকারদের নিয়ে সরকারের যত টেনশন। গরীব পরিবারের সন্তান হয় বিদেশে গিয়ে টাকা পাঠালে পরিবারের লাভ নতুবা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা বসবাস করলে পরিবারের লাভ। অর্থাৎ পরিবার চায় সন্তান এক‌টি অর্থকরী ফসল হয়ে উঠুক। সন্তান যদি অর্থকরী ফসল না হতে পারে তখন পরিবার চায় সন্তানটি অন্তত নিজের মতো থাকুক ভিক্ষাবৃত্তি করে হলেও। গরীব রাষ্ট্রের চিন্তাও ঠিক গরীব পরিবারটির মতো।

একবার ভেবে দেখুন ত বয়সসীমা যদি একটি মানুষের কার্যদক্ষতার সীমা হয় তাহলে আমরা পৃথিবীর কত কত বড় বড় মানুষদের কার্যসেবা থেকে বঞ্চিত হতাম। আল্লা যদি মনে করতেন ত্রিশের পর একজন মানুষ প্রায় সেবা দেয়ার উপযোগ হারিয়ে ফেলে। তাহলে কী হতো!? কী হতো জানি না, তবে আমরা কুরান শরীফ নাও পেতে পারতাম!

জনগন কোনো এক সাংবিধানিক সত্ত্বাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। কেন দিয়েছে? দিয়েছে কারন জনগন ভালো থাকতে চায়।

সাংবিধানিক সত্ত্বা কখনো নিজেকে জনগনের মালিক মনে করা ঠিক নয়। জনগন সাংবিধানিক সত্ত্বার কামলা না। জনগন নিজের প্রয়োজনে সংবিধান নির্মান করে আবার নিজের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে। সাংবিধানিক সত্ত্বা যখন ক্ষমতার লোভে জনগনকে ধোঁকা দিতে চায় জনগন তা উপলব্ধি করার যথেষ্ট জ্ঞান প্রজ্ঞা রাখে। কারন বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে স্বাধীন হয়েছে অনেক আগেই, এখন বাংলাদেশ যথেষ্ট সাবালক। সাবালক বাংলাদেশকে পরিচালনা করতে গিয়ে নাবালকের মতো কাজ করবেন তা কখনো সময় মেনে নিবে না। সময় কখনো লজিক দেখায় না, ম্যাজিক দেখায়। সময়ের ম্যাজিক দেখার আগে আমাদেরকে ন্যায় নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল ও সত্যবাক হতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবী থেকে চলে যাবার পর বাংলাদেশটা যেন তাদের কাছে শিশুখেলনা আর তারা তা দিয়ে ঝুনঝুনি বানিয়ে আনন্দ খেলছে। দেশটাকে নিজের বগলের সম্পত্তি না ভেবে জনগনের আমানত ভাবতে শিখুন। নতুবা কবি বলে উঠতে পারে "ভাত দে হারামজাদা নতুবা মানচিত্র খাব।" ভাতের ধারনা কোনো  সময় মৌলিক চাহিদা আবার কোনো সময় মৌলিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করে।

একজন ছাত্রের প্রথম অধিকার পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি পাওয়ার অধিকার। তারপরও জীবনানন্দ দাশ কেন লিখবে "পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি।" পৃথিবীতে বিশুদ্ধ চাকরি নাই, কারন পৃথিবীর গভীর থেকে গভীরতম অসুখ। সিংহাসন চালায় শিয়াল অথচ সিংহাসনে বসার কথা ছিল সিংহের। কর্নেল তাহের শেষ পর্যন্ত শিয়ালের সাথে পেরে উঠতে পারেননি। তাইতো এখনো লক্ষ লক্ষ বেকার যুব সমাজ। লাখ লাখ বেকার স্টুডেন্ট হতাশার জোয়াল কাঁধে গরু হয়ে ঘাস খাবে আর আপনি কনট্রাক্টর হয়ে নতুন নতুন গোয়ালঘর তৈরি করবেন আর বলবেন দেশ উন্নত হচ্ছে। ভুল। সব ভুল। আপনার কথায় যথেষ্ট ঝাল থাকলেও তা জনগনের জিহ্বা পর্যন্ত পৌঁছবে না।

চাকরি ইজ চাকরি। দেশকে দেশের মানুষকে দেশের ভৌগলিক অবস্থানকে কল্যানমূলক করে রাখার জন্য দেশের প্রতিটি জনগনকে চাকরের মতো আন্তরিকভাবে কাজ করা প্রতিটি পদক্ষেপই চাকরি। চাকরিকে কোটটাই অফিস আদালত, ইউনিফর্ম ইউনিভার্সিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলা খুব আদিম পশ্চাৎপদ চিন্তাভাবনা।

সৈয়দ শামসুল হক প্রায় নয়টার ভেতরে স্নান খাওয়া শেষ করে অফিসে যেতেন। তাঁর অফিস কোথায় জানেন? তার ফ্লাটের আরেকটি রুম, আরেকটি রুমের এক‌টি টেবিল যেখানে তিনি পড়াশোনা ও লেখালেখি করতেন। সৈয়দ শামসুল হকের কাছে পড়াশোনা ও লেখালেখি করাটা ছিল চাকরি। তাই আমাদের প্রত্যেকের চাকরি করতে হবে এবং রাষ্ট্রকে আমাদেরকে চাকরি করার সমস্ত ব্যবস্থা করে দিতে হবে, তার জন্য অবশ্যই কোনো বয়সফ্রেম থাকবে না। কারন আমরা কাজী নজরুল ইসলামের "যৌবনের গান"  প্রবন্ধটি পড়েছি, আমরা জানি যৌবন আর বার্ধক্যের পার্থক্য কোথায় কেমন!?

সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯

জামাইবাবু

বিয়ের প্রথম কয়েক বছর পাওয়ারপ্লে চলে। এই সময়টাতে জামাইবাবু চার ছক্কা পিটায়। এই সময়টাতে জামাইবাবুকে বিরক্ত না করা ভালো। মানে তাকে তার মতো খেলতে দেন। এই সময়টাই রান তুলে নেয়ার যোগ্য সময়। একসময় ফিল্ডার সারা মাঠ ছড়িয়ে যায়। তখন জামাইবাবু আস্তেধীরে ইনজামাম কিংবা রাহুল দ্রাবিড়ের মতো দেখেশুনে খেলে। তখন পানি পানের বিরতিও চলে। তখন জামাইবাবুকে চা খাওয়ার জন্যে ডাক দেয়া যেতেই পারে। চল্লিশের শেষে আবার পাওয়ারপ্লে। তখন কিন্তু আবার চার ছক্কা পিটানোর মৌওসুম। তখন জামাইবাবু আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বে। তখন আবার তাকে তার মতো খেলতে দিতে হবে।

জামাইবাবুদের খেলা শেষ হয় না। তবে অনেকে অধিক খেলতে গিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯

চাচা মিয়া

ঠিক মাথার উপরে। আকাশটা ঠিক মাথার উপরে। সূর্যটাও। তেষ্টা পেয়েছে খুব। আশেপাশে টিউবওয়েল খুঁজে যাচ্ছি। পেয়েছি বটে। পঞ্চাশোর্ধ্ব এক চাচা জল পান করছেন-- এক গ্লাস দুই গ্লাস তিন গ্লাস। অবাক করা ব্যাপার। দেখলাম চাচা মিয়া দোকান থেকে দুপুরের খাবার খেলেন মাত্র। খাবার খাওয়ার পর একজন মানুষ এতো জল খেতে পারে!?

চাচা, এতো জল খাচ্ছেন, কোনো সমস্যা?

না। ডাক্তর কইছে হাওনের ফর যতলা ফানি হাওন যা অতলা হাইবার লাইগগা। আগে হাওনের ফর সাত আট গেলাস ফানি হাইতে ফারছি, অহন ফারি না।

চাচা মিয়া খাবারের সাথে সাথে এতো পানি পান করা ঠিক না।

কী কও মিয়া, আমার ডাক্তর লন্ডন থেইক্কা চ্যালেস কইরা পাস কইরা আইছে, অত বেশি বুইঝ না, বেশি বুঝা বালা না।

লন্ডন থেকে চ্যালেঞ্জ করে যে ডাক্তার পাশ করে আসে সেই ডাক্তারের রোগী পানি কেন যেকোনো বিষ খেলেও হজম হয়ে যেতে পারে,  তাই বুঝলাম চাচাকে বুঝানোর ক্ষমতা আমার নেই, নিজেই কম বুঝে জল পান না করে রাস্তা বরাবর সোজা হাঁটা ধরলাম, ততক্ষনে চাচা মিয়া আরও এক গ্লাস জল খেয়ে নিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯

সাধারন

সাধারন এমন অসাধারন যে চোরকে মারে কিন্তু সন্ত্রাসকে ভয় পায়

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯

একলা ঘরে একলা আকাশ

আকাশের ভীষন জ্বর
জঙ্গলে নেমেছে ঝড়
মাথার উপর কঠিন তুফান
আকাশের লাগছে ডর
মা গেছেন সুদূর জাপান
বাবা গেছেন বনে
বড় দাদা ডেটিংয়ে গেছেন
সুস্মিতা সেনের সনে
পাড়াত সব মানুষ আছেন অফিস টুফিস কাজে
বন্ধুরা তার ব্যস্ত চরম কোচিং টুচিং সাজে
একলা ঘরে একলা আকাশ সকাল থেকে রাত
বাড়তে থাকে নিজের সাথে আকাশের সংঘাত
বাবা ফিরেন গভীর রাতে
দাদা ফিরেন গভীর প্রাতে
মাও তার খোঁজ নেন রোজ আপডেট ইমোতে
একলা ঘরে একলা আকাশ সকাল থেকে রাত
সুখের আগুনে সিদ্ধ আকাশ যেন চুলার ভাত

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯

আমার মতো যেদিন পৃথিবী হবে

ছোটকাল থেকে আমার একটা বিশেষ রোগ আছে। আর তাহলো সাজানো রোগ। আমার চারপাশটাকে সব সময় সাজিয়ে রাখতে চাই। সাজানো যেকোনো কিছু  আমার ভালো লাগে খুব করে।

যেদিন থেকে পড়ার টেবিল বলে কিছু একটা আছে সেইদিন থেকে আমার টেবিলে অন্য কারো হাত দেয়া বারন। একটা পোকাও যদি আমার টেবিলের উপর দিয়ে হেঁটে যেতো কোনো প্রকার সিসি ক্যামেরা ছাড়াই আমি টের পেতাম। টেবিলে হাত দেয়া বারন কারন অন্য কেউ হাত দেয়া মানে অগোছালো করে ফেলা। আমি দেখেছি আমি ব্যবহারিক জিনিস সম্পর্কে যত যত্নবান তত যত্নবান মানুষ আজও আমার চোখে পড়েনি।

অনেকে নিজের জিনিসটা খুব যত্ন করে রাখে কিন্তু অন্যের জিনিসের প্রতি উদাসীন। আমি নিজের জিনিসের চেয়ে অন্যের জিনিসের প্রতি অধিক যত্নবান। হ্যাঁ। দায়িত্ব নিয়ে বলছি।

আমরা যদি আমাদের চারপাশটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন মার্জিত করে রাখি তাহলে কী খুব অর্থের প্রয়োজন!?

অবশ্যই না।

জাস্ট ইচ্ছার প্রয়োজন।

বাড়িতে আমাদের ঘরের সামনে যে ফুলের বাগান আছে তা আমার চেষ্টায় করা। ফুলের বাগান করার পর দেখা গেল বাড়ির লুকই দৃ‌ষ্টিনন্দনের ডাক খায়। পেয়ারা গাছের চারপাশ সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে ঘের দেয়ার পর পেয়ারা গাছের পরিবেশ অন্যরকম সৌন্দর্যের হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে। এই কাজগুলো করেছিলাম ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার আগে। কাজগুলো করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়নি। জাস্ট ইচ্ছা করেছিলাম। লালপুর বাজার থেকে কয়েকটি ফুলের চারা কিনে আনছিলাম। ইট বাড়িতেই ছিল। এক বিকালে কয়েক ঘন্টার জন্য এক ইটমিস্ত্রিকে ডেকে আনি এবং কাজ শেষে তার হাতে তিনশত টাকা তুলে দেই। বেস-- হয়ে গেলো।

তারপর হাসনাহেনা ফুল কিনে আনি। যেহেতু রাস্তার পাশেই আমাদের বাড়ি সেহেতু জোছনা রাতে হাসনাহেনা যখন গন্ধ ছাড়ে প্রায় মানুষ কিছুক্ষনের জন্যে হলেও একটু দাঁড়ায়। তাতেই পথিকের আনন্দ, আমারও আনন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক রুমে আটজন থাকতাম। আটজন এক রুমে রিফিউজিরাও থাকে না। একটা গোয়াল ঘরেও গরু হিসাব মাফিক রাখা হয়। আটজন কেমন করে এক রুমে থাকতাম তা ভাবতে গেলে ঘৃনায় লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে। কাছের ছোট ভাই বড় ভাই সারা বাংলাদেশেই আমার আছে। কাছের মানে খুব কাছের। তারা রাতে আমার সাথে থাকতে চায়তো মাঝেমধ্যে কিন্তু তাদেরকে আমি রাখতে পারতাম না। সরকারি হাসপাতালের বেডের চেয়েও ছোট বেডে দুইজন থাকতাম, দুজন করে চারটি বেডে আটজন। নিজেদের কার্বনডাইঅক্সাইডে যখন রাত বাড়ার সাথে সাথে রুম ভার হয়ে আসে তখন অতিথিদের এনে কষ্ট দেয়ার চিন্তা কবিরা গুনার শামিল। কবিরা গুনা মানে বড় অপরাধ।

একবার মনে আছে গভীর রাতে আমার সেনাবাহিনী ভাই ফোন দেন। রাতে আমার সাথে থাকতে চান। আমি ভাইকে না করতে পারিনি, আবার আমার রুমেও নিতে পারিনি। সোহেলের সাথে ভাইকে রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দেই। সোহেল এখন বাংলাদেশ পুলিশে আছে। কেউ যখন আমার সাথে থাকতে চায়তো আমি যখন না করতে পারতাম না তখনই আমি সোহেলকে ফোন দিতাম। সোহেল খুব ভালো অবস্থায় থাকতো এমন না। আমার অবস্থা দেখে আমার মানুষেরা কষ্ট পাক তা আমি চাইতাম না। সোহেল থাকত সূর্যসেন হলে আর আমি থাকতাম••••। যাক আমার হলের নামটা নাইবা বললাম।

যেহেতু ঢাকা মেডিকেলের পাশেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেহেতু প্রায় পরিচিত মানুষ একটা রাত থাকার জন্যে ফোন দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের খুব বড় মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে সমাদৃত। ফলে এখানে যখন কেউ পড়তে আসে তার প্রতি স্বাভাবিকভাবে অন্যদের নিডসাম ডিমান্ড অধিক থাকে। তারপরও  হলজীবনে রুমে আমি কোনো গেস্ট আনিনি। আমার কাছের কয়েকজন আমার রুমে ছিল কিন্তু তখন রুম একেবারে ফাঁকা ছিল। অর্থাৎ কোনো ছুটিতে সবাই যখন বাড়ি যায় বা রুমের সদস্য সংখ্যা যখন কোনো কারনে দুইতিন জন থাকতো আমি রুমে কয়েকজনকে এনেছি বিচ্ছিন্নভাবে। তবে তা খুবই নগন্য ঘটনা। আমি যাদের সাথে বেড শেয়ার করতাম তাদের প্রায় গেস্ট আসতো।

একদিন রাতে চাঁদপুরের এক গেস্ট আমার সাথে থাকে। আমি তাকে চিনি না। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে অনেক রাতে হলে ফিরতাম। আমি ওয়াশরুমে গেলে আমার সাথে একজনের প্রায় দেখা হতো। তিনি হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ ভাই। ভাই আমাকে দেখে একটা হাসি দিতেন, আমিও হাসি দিতাম। সোহাগ ভাই ফ্রেশওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন। ভাইয়ের দেখাদেখি আমিও একটা ফ্রেশওয়াশ কিনে আনি। একদিন ব্যবহার করেছিলাম। তারপর আর ব্যবহার করা হয়নি। ফ্রেশওয়াশ দিয়ে মুখে ঢলাঢলি খুবই ক্লান্তিকর ব্যাপার।

বলছিলাম অনেক রাতে হলে ফিরে দেখি একজন অপরিচিত ছেলে বেডে শুয়ে আছে। বুঝতে পারি গেস্ট। অনেক অস্বস্তি থাকার পরও আস্তে করে শুয়ে পড়ি। শুয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে বসি। না না। কোনো বাজে স্বপ্ন দেখার ব্যাপার স্যাপার না। আমার মুখ ভরে গ্যাছে ছেফে। ছেফে মানে থুথুতে। আমার পাশে ঘুমানো অতিথি কাকে যেন স্বপ্নে গালি দিচ্ছে আর ছেফ দিচ্ছে। স্বপ্নের সেই ভাগ্যবান লোক কে আমি জানি না কিন্তু বাস্তবের ভাগ্যহত লোকটি আমি। তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে যাই এবং স্নান করি। তারপর সেই রাতে আর ঘুমাইনি। মলচত্ত্বরে হাঁটতে হাঁটতে সকাল করে ফেলি।

হলজীবনে আমরা যে রুমে থাকি তা পরিষ্কার করার জন্য প্রতিদিন সকালে একজন আসেন। তিনি কোনোরহমে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্বখানা পালন করে যান। যে ময়লা বসবাস করে রুমে আল্লার রহমতে সেই ময়লাই থেকে যায়। তাছাড়া রুমসদস্য বাইরে থেকে এসেই বিছানায় শরীর লেলিয়ে দেন। পায়ের ময়লা পায়ের জায়গায় থাকে না-- বিছানায় যায়। প্রথম প্রথম খুব ঘেন্না লাগতো। আস্তে আস্তে আমিও তাদের মতো মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবনমতো হয়ে উঠি। ডাস্টবিন সামথিংকে ডাস্টবিন হুলথিং ভাবতে শিখি।

আমার এক প্রিয় ভাইয়ের রুমে আমি প্রায় থাকতাম। ভাইয়ের রুম ঢাকা শহর থেকে একটু দূরে। ভাই আমাকে প্রায় গালি দিতেন। গালি দেয়ার কারন পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক। ভাইয়ের গালি শুনে আমি মনে মনে হাসতাম। গামছা বাথরুমে রেখেই বের হয়ে যেতাম। ভাই এ জন্যে গালি দিতেন। বাথরুম শেষে এক বালতি পানি ঢালার জন্যে বলতেন, আমি তা করতাম না, ভাই এ জন্যে গালি দিতেন। ভাইয়ের গালি শুনে আমি মনে মনে হাসতাম। কারন তিনি যে পরিচ্ছন্নতার কথা বলতেন তা অনেকটা ডাস্টবিনে পারফিউম দেয়ার মতো। তাই আমি ভাইয়ের পরিচ্ছন্নতার জ্ঞান দেখে ভেতরে ভেতরে হাসতাম।

পরিচ্ছন্নজ্ঞান আর রুচিবোধের চমৎকার এক জায়গা আবিষ্কার করেছিলাম সাবিতা আপার বাসায়। সাবিতা আপা আমাদের চীনাগ্রুপকে তাঁর বাসায় নেমন্তন্ন দেন। আমরাও যাই। গিয়ে অবাক হয়ে যাই। কত সুন্দর করে সাজালেন তিনি তাঁর চারপাশ! আপা সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট। আপা যেমন করে তাঁর ফ্লাট সাজাতে পেরেছেন তেমন করে কী হলকে সজ্জিত করতে পেরেছেন!? মন এক, সৌন্দর্যচেতনা এক, তাহলে ব্যষ্টিক আর সামষ্টিক জায়গায় এতো পার্থক্য কেন!?

অবশ্যই কারন রয়েছে। পাহাড় সহনশীল বলেই আমরা পাহাড় বেয়ে উঠতে পারি। চারপাশকে গোছানো আর পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তুলার জন্য যে সহনশীল মানসিকতা প্রয়োজন তা আমাদের নেই। আমরা টাকার উপরে ঘুমাতে রাজি আছি কিন্তু সৌন্দর্যের ভেতর ঘুমাতে অক্ষম।

ছোটকালে ইসলাম শিক্ষা বইয়ে পড়েছিলাম পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। বই থেকে কথাটি জানার আগেও পরিচ্ছন্নতা আমার চরিত্রে ছিল। চরিত্রে ছিল থাকবে আছে। এখন আর টেবিল না-- পুরো ফ্লাট পরিচ্ছন্ন রাখি। একদিন! একদিন পুরো পৃথিবীটা পরিচ্ছন্ন গোছানো স্বাস্থ্যকর করে রাখবো!!

সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৯

প্র শ্ন

আল্লার কথা মানেনি হাওয়া, মানুষের কথা কেমনে মানবে হাওয়ার সন্তান!?

রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৯

মা হোক সন্তানের প্রধান পরিচয়

সন্তান যখন পৃথিবীতে আসে মাদের রাতদিন বলে কিছু থাকে না-- একটাই দিন থাকে-- সন্তানদিন। সন্তান হাসলে মা হাসেন, সন্তান কাঁদলে মা কাঁদেন, সন্তান ঘুমালে মা ঘুমানোর স্বপ্ন দেখেন, সন্তান জেগে থাকলে মা জেগে থাকেন।

বীর্য থেকে ব্যক্তি হওয়া পর্যন্ত যতবার সন্তানের পরিবর্তন সাধিত হয় ততবারই মায়ের পরিবর্তন সাধিত হয় দৈহিক ও মানসিকভাবে। সন্তানের পরিবর্তন চোখে পড়ে কিন্তু মায়ের পরিবর্তন সমাজের পর্দায় ঢাকা পড়ে যায়।

যখন সন্তান মায়ের পেটে আসে তখন সন্তানের জন্মদিন, মায়ের পেট থেকে যখন সন্তান পৃথিবীতে আসে তখন মায়ের জন্মদিন আর সন্তানের প্রথম মৃত্যুদিন।

মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক যত গভীর ততোধিক গভীর সম্পর্ক আর কারো সাথেই থাকে না। অথচ সন্তানকে পরিচিত হতে হয় বাবার পরিচয়ে। বিষয়টি কৃত্রিম ও অবৈজ্ঞানিক।

দশ মাস একটা পাথরের সাথে থাকলেও পাথরের গুনাবলি ব্যক্তির মধ্যে স্থানান্তরিত হবে। আর একটি শিশুর গাঠনিক পর্যায় থেকে জাগতিক পর্ব অবধি মায়ের উপর সম্পূর্নভাবে নির্ভরশীল। এককথায় মা ছাড়া শিশুটি একেবারে অসহায়। অসহায় শিশুটিকে শক্তিশালী করে তুলেন মা। তাই মা হোক সন্তানের প্রধান পরিচয়।

চ রি ত্র

চরিত্রবান শিশু বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইমানদার হতে থাকে

সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৯

রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯

রেজা ভা ই

কত বিমান চোখের সামনে দিয়ে উড়ে যেতে দেখি, তারপরও রেজা ভাই কেবল চিল হতে চায়-- আকাশের উপরে আকাশ

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৯

পাখির একটা কথা ছিল

পাখির একটা গল্প ছিল
শুনেনি কোনো নৌকা
পাতার একটা কথা ছিল
শুনেনি কোনো বাতাস
আমাদের ঘর ভরে যায় গন্ধরাজ
আমাদের ঘর পেয়ে যায় হাসনাহেনা

এক‌টি ফুলের দুটি কথা জীবন দিয়ে আঁটা
জোছনা রাতে বৃষ্টিমাখা আকাশগঙ্গা ঢাকা
কলকাতা কলকাতা কলকাতা
শুনেনি কোনো কথা
শুনেনি আমার কথা

নদীর একটা গল্প ছিল
শুনেনি রাতের চাঁদ
পাহাড়ের একটা কথা ছিল
শুনেনি সোনালি রাত
আমাদের ঘরে থেকে যায় নীরবতা
আমাদের ঘরে নামে উদাস পাতা

বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯

Mind it my dear

Make sure that you are very near of you. Man is very afar of the man. Man is hunger. Man is eye sided blind. Man needs to be a third finger glass. Keep dreaming onto possible dream. Keep walking onto reasonable goal. A man is always staring at your playing. Go first, walk first, leave first . You should learn how to walk slow, you should learn a must how to sleep time to time. Sleep is the culprit medicine for the upcoming and ongoing virile virus. Love is homemade pinnacle. The history of the home is post pond human flow. So love is not solution. Solution is having silent step of the breath.please mind it my dear, mind that tomorrow is another day.

বিয়েনামা

কত পুরাতন ইট দেখলাম বিয়ের পর বিল্ডিং হয়ে যায়

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯

মাথাপিছু বাংলাদেশ

মাথাপিছু আয় বাড়ছে কিন্তু মাথাপিছু সুখ কমছে। জীবনের জন্য যা আবশ্যক তাই প্রয়োজন। জীবদেহের জল প্রয়োজন। কিন্তু জীব পর্যাপ্ত জল পান না করে পান করছে চা- কফি। জীবের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ফল সবজি আমিষ ভিটামিন ভাত রুটি। জীব তা গ্রহন না করে গ্রহন করছে জাঙ্কফুড। আয় যখন বিনিয়োগমুখী হতে পারে না তখন তা বিপদমুখী হতে বাধ্য। তখন লেখকের কথা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে-- অর্থ অনর্থের মূল।

মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯

এক পৃথিবীর পরে

শিলার মতো কিছু একটা পড়ছিল যখন
একমুষ্টি বৃষ্টি আমি চেয়েছিলাম
উল্টো কথা শুনিয়ে আমায় ঘুম পাতালে
পাতালে আমি বৃষ্টির জন্য কেঁদেছিলাম

সব আকাশের নীল রঙ নেই
নীল ঘুড়ি আকাশে উড়ে তবু উড়ে
একমুঠো বৃষ্টি আমি চেয়েছিলাম
তুমি সাগর দেখিয়ে শান্ত হলে
আমি নদী পেলেই খুশি ছিলাম

ঘরের ভেতর ঝরনা একটা দরকার ছিল
বিদায় ঘন্টা শুনিয়ে দিলে শান্ত সুরে
 খুব অজানা আদিম বাড়ির অলস পুরে
এক পশলা বৃষ্টি আমি চেয়েছিলাম

তুফান এলে চোখের পাতায় ভর দুপুরে
বাঁশপাতার সবুজ আমায় স্বপ্ন দেখায়
হলুদ খামের তোমার কথা মনে করে
এক পৃথিবী বৃষ্টি আমি চেয়েছিলাম

রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৯

দেহপাতায় বাজে সুর

বসে আছি তোমার দেখা
বলছি আমি গোপন লেখা
যা দেখছো তা দেখা না
যা বলছো তা বলা না।।

এ‌কের ঘরে অখন্ড ভাব
শুন্য এসে জুড়ে আলাপ
সময় বেটা বিশাল সাব
কথাতথা ফেনা প্রলাপ।।

এ ত এক পরদেশি সুর
ভাবেসাবে উদাসী নুর
জলে মলে নৃত্য করে
নামে সে পাগলপুর।।

একের ঘরে আগুন লাগে
আলো এসে ছাতা ধরে
বৃষ্টিমন বাতাসে নড়ে
দেহপাতায় বাজে সুর।।

শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯

রায়পুরা উপজেলা মল্লিকপুর গ্রাম

আজকে শুক্রবার। ছোটকালে মনে করতাম পৃথিবীর সব কিছু বন্ধ থাকে শুক্রবারে। এখন জানি কোনো বারেই কোনো কিছু বন্ধ থাকে না। 'বিরতি, বন্ধ' মানুষের বানানো শব্দ। মানুষের বানানো শব্দ থেকে দূরে থাকতে পারলে পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা যায়। পৃথিবীর কাছে থাকা মানে কসমিক সিস্টেমের খুব কাছে যাওয়া। অনেক শব্দের ভেতর দিয়ে আমরা নিজের অবস্থান জানতে চেষ্টা করি বলেই আমাদের কাছে আমরা আগন্তুক।

আগন্তুক রেজা আজকে যায় নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী গ্রাম মল্লিকপুরে। শুধু রেজা যায়নি, রেজাসহ দশজনের এক‌টি টিম আজকে গিয়েছে মল্লিকপুর গ্রামে।

এমরানুর রেজার কাছ থেকে জানতে পারি গ্রামটি মনের মতো মনোরম। গ্রামের চেয়ে গ্রামের মানুষের আচরন আরও বেশি অমায়িক সুন্দর।

গ্রামের ঠিক উঠোনে মেঘনা নদী। মূল মেঘনা নয়, মেঘনার শাখা। বাউলদের জীবন এখানে মেঘনার মতোই সতত প্রবাহমান। মেঘনা আর বাউলকথা এই গ্রামের মানুষকে অন্য যেকোনো গ্রামের চেয়ে আলাদা করেছে আপ্যায়নে, শৃঙ্খলায়, সাগ্রহে। অর্থনৈতিক জীবনধারা তাদের এখনো গ্রামীন। কিন্তু মানবিক জীবনধারায় তারা পরিমিত মার্জিত প্রয়োজনীয় আধুনিক।

আজকের দিনটি ব্যতিক্রম আনন্দধারার এক‌টি দিন। মহা আনন্দের জয় হোক। মহা আনন্দের জয়ে ভেসে যাক আনন্দের গ্লানি।

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯

(+)

হৃদয় যেখান উল্টাপাল্টা সোজাবেহা হয়ে আরামে বিশ্রাম নিতে পারে তার নাম ঘর

Hindsight is always twenty-twenty

বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯

):(

শরীরের ক্ষত প্রদর্শন করে প্রাপ্তির ইচ্ছাটা ভিক্ষুকদেরই আছে

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯

চিন্তাশীল

চিন্তাশীল হলেন তিনি যিনি অধর ও ওষ্ঠ্যে তালা লাগানোর পর চাবিটাকে সাগরে মাঝখানে ফেলে দেন

রাস্তা

পথিক দেখলেই রাস্তার দুঃখ বেড়ে যায়

সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৯

স্বাধীনতা

আমাদের স্বাধীনতা সর্বোচ্চ সার্টিফিকেট পেয়েছে কিন্তু এখনো চাকরি পাচ্ছে না

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯

ভু ল

মানুষ, ভুল মানুষ চিনতে সবচেয়ে বড় ভুল করে

।।

নির্জন বৃন্দাবন
কৃষ্ণরাধা অচেতন

পুরুষতন্ত্র

পুরুষরা বিয়ের রাত থেকে বউয়ের গলায় পুরুষতন্ত্রের একটা কৃত্রিম মালা ঝুলিয়ে দেয়-- এই মালা সুগন্ধ দেয় না আবার নষ্টও হয় না তবে সমাজ ধরে রাখে। এই সমাজ ধরে রাখা মালা নিয়ে বউরা গৃহপালিত জীব আর তারা জীবের পতি বা স্বামী বা প্রভু।

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

আমাদের অভ্যাস গ্রামের বাড়ি যাবে

বাঁশপাতার চোখ বলতে আপনারা কী বুঝবেন আমি জানি না। আমি জানি কাল ভোর ফুটবে। ঠিক কাল নয়। আজই। একটু পরেই অন্ধকার চলে যাবে গ্রামের বাড়ি। মসজিদে মসজিদে আযান হবে একটু পরেই।লাল আর অসম বিরোধ জলের সাথে যাচ্ছে জীবন যাচ্ছে সময়।

বাঘচোখ বলতে আমরা নদীর গর্জন বুঝি। আমরা বলতে যারা বাঘের মাংস খেতে অভ্যস্ত হয়নি তারা।আমরা বলতে যারা এখনো বাঘের খাবার হয়নি তারা। তারপর হাওয়া আর পলাশের প্রান্তর। একটা লাল রং গিলে খায় সবুজ প্রান্তিক জোন। গলার শীত কমে গেলে ডিসটোপিয়া বন্যা আমাদের গ্রামে বেড়াতে আসে। বেড়ানো তার অভ্যাস। পুরাতন সাইকেল আর টিউবওয়েল পড়ে থাকে ইটের চমকচিত্রে। ইউটোপিয়ান আগামী কল্যানী কর্মকারকে পূজা দিতে আসে রোজ। আমাদের বর্ষাকাল।

‘আমরা কিংবা আমাদের’ বলতে যা বুঝি সেখানেও থাকে বিন্দু বিন্দু বিভেদের দেয়াল। মানুষ তার দেয়াল ভাঙে না। মানুষ তার প্রতিবেশীর দেয়াল ভাঙে। মানুষ প্রায়ই নিজের কাছে নিজে প্রতিবেশী হয়ে ওঠে। সকালের কিংবা ভোরের স্বপ্ন দেখা মন্দ কিছু নয় নিশ্চয়। তারপরেও রাত জেগে জেগে ভোর লালন করে কয়জন!? ক্লান্তিতে নুয়ে পড়া আমলকি চারা জানে বেদনার রং কেন নীল। ভালো বাসতে বাসতে প্রেমিক হয়ে ওঠতে অনেকটা পথ হাঁটা লাগে। সকালকে প্রশ্ন করো। সে মানে সকাল ঠিকই বলে দিবে কেমন তমসা রোদনীল থাকে তার রাত জীবন।

রাত থেকে একটা দিন
একটা দিন থেকে একটা রাত
মানুষ বলবে অন্য কথা

মানুষ অন্য কথা ভিন্ন কথা বলতে পারে বলেই সে মানুষ। মানুষের চোখ আছে বলে মানুষ দেখে না, মানুষ দেখে বলে মানুষের চোখ আছে।

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৯

বনসাই আলাপ

বিজ্ঞান দিয়ে জীবনের দৈর্ঘ্য প্রস্থ মাপতে যাওয়া মানে পা দিয়ে সাগরের গভীরতা নির্ধারনের চেষ্টা। জীবনকে কোনো ফর্মায় থিওরিতে তত্ত্বের মশালে ফেলা যায় না। জীবন তার মতো স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক, সমতল কিংবা বহুতল। তাই বৈজ্ঞানিক জীবন বা বৈজ্ঞানিক দর্শন বলতে আমরা যা শুনে থাকি তাও একধরনের বনসাই আলাপ।

সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯

দুদুমদু কবিতা

একদিন ক্যাকটাসে হেঁটে
চলে যাবো বহুদূর
অনেক অনেক পরে
কলাপাতা দুপুর
দুদুমদু কবিতা দুদুমদু কবিতা

আষাঢ়ের মাসি এসে
সবুজ পাতার দেশে
ঝুমঝুম বৃষ্টি সেজে
নিয়ে যাবে শেষে
দুদুমদু কবিতা দুদুমদু কবিতা

ছাদের এক উঠোন কোনে
কাপড়ের ফাঁকে ফাঁকে
লাল নীল হলুদ রোদে
চোখদের পিদিম ফোটে
দুদুমদু কবিতা দুদুমদু কবিতা

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯

আমাদের আমেনা

আমাদের আমেনা স্কুলে যায় না
আমাদের আমেনা ঠিকঠাক খায় না
আমাদের আমেনা বেশি কথা কই না
আমাদের আমেনা চুপ করে থাকে না
না না না না না
আমাদের আমেনা আমাদের আমেনা
আমাদের আমেনা ক্ষুধা পেলে হাসে না
আমাদের আমেনা চোখে তার জোছনা
আমাদের আমেনা লোকে বলে 'জোস না!'
আমাদের আমেনা চুলে ঢেউয়ে মোহনা
আমাদের আমেনার বড় বড় পাখনা
মেঘপাখি ধরতে
দেশে দেশে ঘুরতে
লোকসেবা করতে
জলকনা সাজতে
আমাদের আমেনা দেখে রোজ আয়না
আমাদের আমেনার আছে কিছু বায়না
আমাদের আমেনা সময়ের উড়না
রোজ তাই বলি ভাই ' আমেনা আমেনা'
সময়ের কাছে আছে আমেনার পাওনা

শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

বিড়ি

যারা এখনো আকিজ আর পাতার বিড়ি খায় তারাই বাংলা ভাষা ও বাংলা জীবনের রিয়েল প্রতিনিধি

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯

বুলেট

মানুষ যা কিছু বানায় তা অবশ্যই নিজেদের জন্যে এমনকি কামান কিংবা বুলেট

বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯

মানুষের হৃদয়

চ্যালাদের চাল হবে ডাল হবে ভাত হবে মাছ হবে, চিলেরও মিলে যাবে মোরগীর ছানা মাছের মাংস মরা গরুর গিলা কলিজা। মানুষের হবে-- মানুষের হবে কেবল ফরমালিনমুক্ত হৃদয়, অবিক্রিত শরীর।

দুঃখ পেলে

দুঃখ পেলে আকাশে চোখ রেখো
একটা তারা জ্বলছে রোজ
নামছে নিচে দেখো
দুঃখ পেলে জানালা খুলে দিও
আসবে বাতাস আমারই মতো
প্রানে টেনে নিও
দুঃখ পেলে কবিতা পড়তে বসো
কাব্য সুখের আলো আসবে
উদার মনে হেসো
দুঃখ পেলে জলের পাশে হেঁটো
ঢেউয়েরা সব গায়বে গান
দুঃখসুতা কেটো
দুঃখ পেলে দুঃখ করো বসে
চোখের জলে কথা বলো নিজের সাথে হেসে

বসন্ত এসেছে বলে বসন্ত আসেনি

রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯

আমি হাসতে পেরেছিলাম কারন কান্নার যথেষ্ট কারন ছিল

ফেরেশতারা

আমি ছিলাম তার কাছে ফেরেশতার মতো। এখন আমি তার কাছে ফেরেশতা। তাই সে আমাকে বিয়ে করেনি। সে বিয়ে করেছে ফেরেশতার মতো কোনো একজনকে।

মানুষ পরিস্থিতির সন্তান

শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯

ছক্কা বনাম

ছক্কা মারলে হাততালি এমনিতে আসবে, হাততালির জন্য ছক্কা মারে না খেলোয়াড়

বেদনায় বেদনায় আঘাতে আঘাতে

মেঘনা নদী। পদ্মা নদী। জলের কল্পনা। জলের আল্পনা। জলের শহর। জলের গ্রাম। জলের পৃথিবী। মেঘনাকে ভুল করে পদ্মা বলে ফেলার মিনিটখানেক পরে আমার ঘুম ভাঙার ডাক বাতাসে আসে। বাতাসের অনেক দায়। দায় থেকে ভারমুক্ত হয়ে দেখি নদীও পালক মেলে মেঘ হয়ে গেছে। মেঘবতী বৃষ্টি হয়ে পৃথিবীর কোথাও উর্বর করবে আগুন পানি মাটি বাতাস। তাই একবার আগুন, কয়েকবার বাতাস, বহুবার মাটি ও পানি হয়ে দেখেছি মানু‌ষের গন্তব্য শেষপর্যন্ত ব্যথায় বেদনায় যন্ত্রনার তীব্র আঘাতে আঘাতে!

মানু‌ষ অভ্যাসের নয়, সমাজের দাস

বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯

সুবিধাভাগী

সুবিধার জন্যে যারা অসুবিধাকে সামনে আনে তারা সুবিধাবাদী, অসুবিধার জন্যে যারা সুবিধার কথা বলে তারা সুবিধাভাগী

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯

শ্রমিকের রাজা

রাজ্যে নতুন আইন হলো। এক রাজ্যে। অবশ্যই সেখানে এক রাজা ছিল। একদা এক রাজা ছিলেন। রাজ্যের আয়তন খুবই ছোট ছিল। এক লক্ষ সাত চল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মতো। জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। মাত্র বিশ কোটি। যেহেতু আয়তন ও জনসংখ্যা খুবই কম ছিল সেইকারনে প্রজাদের খাবার রাজকোষ থেকেই দেয়া হতো।

রাজা নতুন আইন করেন। আইনে বলা আছে সকালের নাস্তা প্রজাদের দেয়া হবে না। রাজা মনে করেছিলেন তিন বেলার খাবার খেয়ে প্রজারা শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান হয়ে যেতে পারে যা তার আসনের জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্তু রাজা প্রেসব্রিফিং করে জানালেন অন্য কথা। রাজা নাস্তা বন্ধ করার ব্যাপারে যে কথা জানালেন তা আপনাদের না জানলেও চলবে। আমাদের মসজিদের হুজুর বলতেন "সব কথা জানতে নেয়, সব কথা বলতে নেয়।"

কেউ কেউ রাজার নতুন আইনকে ভগবানের আইন বলে মেনে নিলেন। কেউ কেউ মানবে না এটা স্বাভাবিক। যারা মানল না তারা শুরু করে মিটিং মিছিল অনশন। তারা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। রাজ্যের বাইরে রাজা যেখানে চা খেতে যান সেই চায়ের দোকানেও তারা সকালের নাস্তার দাবিতে চিকা মেরে দেয়। পোস্টার ভ্যানগার্ডের প্রচার প্রচারনা ত আছেই। রাজা পড়লেন মহা বিপাকে। সমস্যা নেই। আইডিয়াবাজ লোকেরা ত রাজার পাশে আছেনই। রাজার পাশের আইডিয়াবাজরা আবার তিন বেলা নিয়ম করে খাবার খান। সুস্থ সাবলীল তাজা খাবার। ফলে তাদের আইডিয়াও হবে বা হয় টাইম ডি ফিক্টু।

রাজা ঘোষনা দিলেন, ঘোষনা দিলেন সকাল বেলার নাস্তা দেয়া হবে। রাজার আইনকে যারা ভগবানের আদেশ বলে মনে করেন আগের মতোই খুশি হলেন। যারা রাজার আইনকে ভগবানের আদেশ মনে করেন না তারা একটু বেশি খুশি হলেন। খুশির প্রমান হিসাবে তারা আনন্দ মিছিল বের করেন, লাইভে আসেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

নাস্তা নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ায় প্রজারা। রাজাও লাইনে দাঁড় করায় সিভিল লাঠিয়াল। সিভিল লাঠিয়াল নিয়ম করে নানা অজুহাতে প্রজাদের উপর লাঠিচার্জ করে। এইভাবে কয়েকদিন চলতে থাকে। কেউ কেউ আহত হয়ে খাবার নিতে আসতে পারে না কয়েকদিন। কেউ কেউ ভয় পেয়ে খাবার নিতে আসতে পারে না কয়েক বছর।

মানুষ টিকে থাকতে পারে বলে মানুষ টিকে আছে। প্রজারাও খাবার সংগ্রহের নতুন পথ আবিষ্কার করে। তারা বাড়ির পাশের জমিজমা চাষবাস শুরু করে। তবে রাজকোষ থেকে দূরে চলে আসে। রাজকোষ চলে যায় একচেটিয়া সিভিল লাঠিয়ালদের হাতে। তবে রাজকোষ প্রজাদের কাছ থেকে দূরে যায়নি। বিভিন্ন উপায়ে রাজকোষ পূর্ন হয় প্রজাদের ঘামের বিন্দু বিন্দু জলে!