মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

বেঞ্চ

স্কুল ছুটি দিলেও আমি বেঞ্চে বসে থাকতাম, আস্তে করে কান রাখতাম বেঞ্চের শরীরে, উপলব্ধি করার চেষ্টা করতাম তার নীরব ভাষা,  বেঞ্চ কারো জন্য বসে থাকে না, বেঞ্চ বসে থাকে কেবল নিজের জন্য, বেঞ্চের তো আর হৃদয় নেই 

পরীক্ষা

অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে নেয়া হয় সুস্থ করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, পরীক্ষাহলে ছাত্রকে নেয়া হয় অসুস্থ করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। ছাত্র পরীক্ষা দেয়ার সাথে সাথে যেন হালকা হয়ে গেলো-- নে বাপ, বাঁচা গেলো।

তারপরও আমার কাছে পরীক্ষাহল বাসরঘর, প্রশ্নপত্র প্রিয়তমা বান্ধবী। আমি কিন্তু পরীক্ষাহলে মিষ্টি খেয়ে ঢুকি। 

সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬

!......

তুমি জয়ী হলে সবচেয়ে বেশী আনন্দিত হই আমি, কারন বীজগনিত পাটিগনিত অনেক আগেই ভুলে গেছি 

জং

মুখস্থ করে তোতাপাখিও কিছু নাম বলতে পারে, মুখস্থ করা একটি কাজ তবে প্রতিভার পর্যায়ে পড়ে না, মুখস্থের পর্যায়কে উন্নতির মানদন্ড ধরে নিলে মানুষ এখনো তোতাপাখির মতো হয় জঙল নয় খাঁচায় থাকতো 

রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

আমগো লোক

প্রেম কখনো ভাঙে না, আকাশে উড়ে যায়। কপিলা কুবের মাঝির সাথে থাকার ব্যাপারে প্রত্যয়ী। কুবের মাঝিও তাতে খুশী। কপিলার ছলাৎছলাৎ হাসি কুবের মাঝির হৃদয়ের পাড় ভেঙ্গেছে যে কতবার তার কোনো হিসাব নাই-- তাতেও মাঝি হতাশ না।

আরে ভাই, চাকর না হইতে পারলে হতাশা না অইলে বিষয়টি কেমন আনকোরা আনকোরা লাগে কিন্তু প্রেমিকারে না পাইলে হতাশ হইবার কিচ্চু নাইগা।

যে প্রিয়জন হৃদয় পর্যন্ত এসেছে, রান্নাঘরে  তাকে না আনলেও তো চলে!

কপিলা কুবের মাঝির কাছে আহে নাই, আইছে স্বাধীনতার কাছে, সংসার নামক জেলখানা না পছন্দের কপিলার, না কুবেরের-- তারা দুজনই জেলখানাকে টা টা জানাইছে।

আমগো কুবের মাঝি আর শেষের কবিতার অমিত কিন্তু এক চরিত্রের না-- মাঝি জীবন নিয়ে চলে আর অমিত জীবন আমদানি করে। লাবণ্য প্রেমের দোকানি, আর কপিলা জীবন নামক গল্পে আমগো আসমানী। 

তোকে

এখনো তোকে নিয়ম করে দেখি
তোর নিয়মে অনিয়মটা শিখি 

শনিবার, ২৮ মে, ২০১৬

মাচুংকা

এক সময় পৃথিবীতে প্রচুর গাছ ছিল। জঙ্গল। জঙ্গলে বসবাস করে মানুষ। মানুষের সাথে পোকামাকড় পশু পাখিও বসবাস করে। পোকামাকড় পশু পাখির আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ নির্মান করে মাচা। একটু উঁচু জায়গা।

মাচাতে শরীরযাপন করে  মানুষ আগের চেয়ে নিরাপদবোধ করে। আরও আরও নিরাপত্তার জন্য মানুষ চেষ্টা করতে থাকে।

চেষ্টায় কি না হয়!

আজকের মানুষ নির্মান করেছে সুন্দর আবাসভূমি-- এখানে পশু পাখি  পোকামাকড় ঢুকবে তো অনেক দূরের কথা, প্রাকৃতিক তাপ পর্যন্ত ঢুকতে পারে না। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত!

তাপনিয়ন্ত্রিত রুমে পোকামাকড় নেই কিন্তু মানুষ আছে! মানুষকে পোকামাকড়ের চেয়ে বিষধর দেখায় যার জন্য মানুষের রুমের ভেতর তৈরি হয় রুম আর রুম মাচা আর মাচা। একটু উঁচু জায়গা, একটু বেশি নিরাপদ থাকনভূমি ....

বলদ

বলদ একটি কাজ ভালো পারে-- খাবার খাওয়া। বলদ খাবার খাবে, হজম করবে এবং বের করে দিবে। বলদ পারে না হজমকৃত খাবারকে প্রক্রিয়াজাত করে শুক্রানু কিংবা ডিম্বানু তৈরী করতে।

বলদকে যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হয় তখন অসংখ্য বলদ তৈরির পথ সুগম হতে থাকে।

সরি সরি,
বলদ তো বলদ তৈরীর ক্ষমতাও রাখে না-- অনেকের সৃজনশীল ক্ষমতা নষ্ট করতে পারে। নষ্ট করার কাজটাই প্রতিভানরা যেমন পারে তার চেয়ে ভালো পারে প্রতিভাহীনরা। 

শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

জলিমা..

আজ শুক্রবার, আরেকটা ছুটির দিন, আরেকটি মিলনের দিন কিন্তু আজকের আকাশে এতো মেঘ কেন, কেন এতো গর্জন?
সুন্দর আকাশ কেমন চমৎকার ফ্যাকাসে হয়ে আছে, বৃষ্টি হলেই পারে, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না, হচ্ছে না তো হচ্ছে না!

জলিমা,
মেঘলা আকাশ কেন আমার মনের উপর ভর করেছে? কালো নীল শাদা মেঘে ভরে গ্যাছে আমার আকাশ, বৃষ্টি হলেই জলের নদীতে হাসফাঁস করে শোকসমগ্রকে বিদায় জানাতে পারতাম, বৃষ্টিও মৃত্যুর মতো অপেক্ষাকারী প্রিয়তমা ধৈর্যের অসুর, কান্দি কাটি চোখে জল নাই তো জল না!

সাক্ষাৎও এক তৃষ্ণার নাম, এক হৃদয়ঘটিত সুখের নাম! জল না পান করে থাকা যায় কিন্তু সাক্ষাৎ না করে আমি যে বাঁচতে পারবো না!

জলিমা,
ক্যামনে থাকো তুমি আমি বিহনে, তোমার হৃদয়গাছে কী একবারও আমার প্রেমবাতাস স্পর্শ করে না?

চলে আসো সব ছেড়ে, চলে আসো এই অধম গরীবের ঘরে,
তুমিআমি মিলে একখান চায়ের দোকান দিমু নদীর কূলে, মাঝিরা রাইতে দিনে চা খাইবো, যাত্রীরা চায়ের দোহানে বসে তামাম পৃথিবীর ক্লান্তি ঝরাইবো,চায়ের দোহানে আমরা হুমু বিক্রেতা, চব্বিশ ঘন্টা কাছে তাহুম, তোমারে হালি দিহুম আর দিহুম, রাইত অইলে, আরে হুন গভীর রাইত অইলে তোমারে লইয়া নাও ভাসামো পানসে নদীর জলে, কখন যে ফর্সা হইয়্যা যাইবো তুমি টেরই পাইবা না, কসম খোদার টেরই পাইবা না ....

(মনে তো তুমি আছো পরকালের মতো কিন্তু যে চোখ দৃশ্য দেখে সে কেন তোমাকে দেখবে না!?) 

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

টিয়া

এক সন্যাসবাজারে গেলাম যারা ভাগ্য বলে দিতে পারে। সন্ন্যাসী প্রত্যেকের ভাগ্য বলে দিচ্ছে। কেউ আনন্দে, কেউ বিষন্ন মনে বাজার থেকে বের হচ্ছে।

কোনো সন্ন্যাসী আমার ভাগ্যরেখা দেখেও না, বলেও না! সবাই শুধু আমার পায়ের দিকে তাকায়।

ও মা! তারা আমার পায়ের দিকে তাকায় কেন? আমার পায়ে  তো অন্যেদের পায়ের মতোই সাধারন জুতা পড়া।

কেউ আমার ভাগ্যরেখা দেখলো না তো দেখলো না....

সন্যাসবাজার থেকে বের হয়ে আসলাম। রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এক টিয়া পাখির সাথে দেখা। এই টিয়া সাধারন টিয়া পাখি নই, এই টিয়া পাখি ভাগ্য গননা করতে পারে।

আস্তে করে টিয়া পাখিটির সামনে দাঁড়ালাম। টিয়া যথারীতি অন্যেদের ভাগ্য গগনা করে, এবার আমার পালা। এখন সে আর আমার ভাগ্য গননা না করে আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।

আয় খোদা! একি কান্ড!!

তাইলে কী আম্মা হেসা কথাই কইতেন-- গরীবের পায়ে লক্ষ্মী ....

লক্ষ্মী পা আমার, তুমি ঘুম থেকে ওঠে যে দেখলা বেলা নাই, এখন ক্যামনে যাইবা আশাবাদী বাড়িনিতাই, ক্যামনে যাইবা!? 

:

এক কোকিল গান গায়, হাজার প্রেমিকের ঘুম নাই 

কাতান

রেললাইনের দুটি রাস্তা দূরে দূরে একদিকে চলে গ্যাছে, এক আকাশের নিচে এক বাতাসের ভেতর তারা দুজন অথচ কত প্রিয়তমা দূরে তারা, রেললাইনে চলতে হাত লাগে না, পা লাগে, পা-- জীবন আর মৃত্যু রেললাইনের দুটি রাস্তা, কখনো এক কাতারে তারা নামায পড়ে না, সমান্তরাল দূরে দূরে তাদের অবস্থান, জীবনকে জানতে কিচ্ছু লাগে না, কিচ্ছু, একখান সুন্দর মরন লাগে, মরন 

বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬

সে✔

মানুষ মারা গেলে কাঁদে না, কাঁদায়
কান্না জীবিত মানুষের
কান্না জীবিত মানুষের চোখে একমাত্র মানায় 

মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

স্ব

বিদেহীরাজ-- বর্ষা গেলে পানি শুকিয়ে যাবে, ভরা জোছনা কইবে না কথা কারো সাথে, পদ্মগুলো ঘ্রান হারাবে, ফুল ভুলে যাবে জীবনের মানে, তবুও থাকে কথা তবুও থাকবে কথা কোনো এক সন্ধ্যায় কোনো এক অচেনা গাছের নিচে ইয়া বড় চান্দের লগে, জলপড়া বিকেল জানে হুটতুলা রিকসায় ঠোঁটের নিচের লতাপাতা কেন কাফে কেন কাফে, দুই দেহ এক হৃদয়ের কাফেলা প্রতি পলকে প্রতি শ্বাসে শ্বাসে প্রেমের তাবলিক করে,

বিদেহীরাজ-- জানো তুমি? আজও চালতা ফুলের আছে সেই আগের মতো নোনতা স্বাদ, আজও চলাচল স্নোগাড়ির আবেগমথিত কাজ  

প্রেম

প্রিয়তমা প্রেম আমার ক্যামনে আছো হে
তারার তারায় জোনাকআলো এখনো আকাশে
রোয়া ধান রোপনের স্বপ্ন আছে মনে
বর্ষা আসলে নৌকা যাবে আবাদি বনে 

স....

বহু বছর আগে এই বাংলায় একদম ঘোড়াদৌঁড় নামে একখান প্রতিযোগিতা হয়েছিল,প্রতিযোগিতায় কয়েক হাজার লোক মারা যায়,আজ পর্যন্ত তাদের কবর দেয়ার কিংবা শশ্মানচাপা দেয়ার কাজটি সমাপ্ত হয়নি,তাই লাশের উপর লাশ পড়তে থাকে এই মাটির উপর।কৃষ্ণমেনন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে,গাছে গাছে পাখি তুলবে গানের সহজিয়া সুর,নীরিহ প্রানীরা দলবদ্ধ হবে,নীরিহ প্রানীরা থাকবে নতুন কোনো পতাকার তলে এটাই প্রকৃতির নীতি।ভাই আমার তোমারে একখান পরামর্শ দেই,হুনে রাখো--হরিনাকুন্ডে যদি বাঘপাল না থাকে হরিনীর শারীরিক গঠন এতো চমৎকার দেখাতো না।তাই হগলরে হগলের মতন থাকতে দেন,আর মুখে একখান সূর্যমার্কা হাসি রাখেন,দেখবেন লাইফ ইজ বিউটিফুল,সো বিউটিফুল।

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

সে

যে আছে মনে মনে সে তো মনের মতো পুরাতন
যে আছে মনে মনে সে তো মনের মতো আপন 

✔?

দিনের শেষে আমিও মানুষ
আমার রক্তেও খেলা করে সাপের ফুসফুস 

তুমি চলে যাবে আমি জানি কিন্তু কতটুকু দূরত্ব রচনা করলে চলে যাওয়া বলে তা আমি জানি না 

ডায়েরী

তখন আমি ছাত্র। তৃতীয় শ্রেনীর  ছাত্র। আমার ক্রমিক নং চার। তিন ছিল আমারই মতো আরেকজন মানুষের। সেই মানুষটাকে আজও আমি ভুলতে পারিনা। পারিনা বললে ভুল হবে। ভুলতে চেষ্টা করিনা।

আমাদের গ্রামের পাশেই মেঘনা নদী। মেঘনা নদীর পাশে একটি বিদেশি এলাকা। বিদেশী এলাকাটিকে আমরা হাউজিং বলি। সেখানে যতসব ভদ্রলোকদের জায়গা। সেখানে  সেই মানুষটি যার ক্রমিক নং তিন সে থাকে। বিকেল বেলা বাজার চারতলার মাঠ থেকে হাউজিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি, কখনো খেয়া নৌকায় চলে যাই নদীর ঐপাড়ে যদি তাকে দেখা যায়। হাউজিং এলাকাটি দেয়াল দিয়ে বেষ্টিত, আমার মতো সাধারন মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ, তথাপি দেয়ালের উপর দিয়ে ছাঁদে তাকিয়ে থাকতাম যদি তার দেখা পাই। তাকে কখনো দেখা যেতো না, তার মতো করে অনেকের দেখা পাই। মতো করে পাওয়া মানুষ দিয়ে কী আর জীবন চলে! জীবনের জন্য চাই সরাসরি জীবন।


সে তৃতীয় শ্রেনীতে কোনো ক্লাস করতো না। প্রত্যেক বার স্যার যখন ক্রমিক নং তিন বলে সম্বোধন  করতেন কোনো উপস্থিতিরব শোনা যেতো না। তৃতীয় শ্রেনীতে তিন ক্রমিক নাম্বারে একধরনের শুন্যতা ছিল, শুন্যতা ছিল আমার ভেতর।
কিন্তু সকল প্রকার শুন্যতা সে পূর্ন করে যেতো পরীক্ষা দিতে এসে। ছয়টা পরীক্ষা যেন ছয়টা ইদ। আমার এক বেঞ্চ সামনে সে বসতো। চমৎকার ওর হাতের লেখা।  আমার জন্য ওর পক্ষ থেকে বরাদ্দ ছিল চমৎকার হাসি। ওর হাসি দেখে আমি কিছু সময়ের জন্য নায়ক সালমান শাহ হয়ে যেতাম -- শার্টের কালার খাড়া করে পড়া, শার্টের নিচ অংশ দিয়ে গিট্টু দেয়া, এক্কেবারে নায়ক। সেও হয়তো নিজেকে নায়িকা ভাবতো-- পরীক্ষা দিচ্ছে  তো দিচ্ছে হঠাৎ হঠাৎ লেখা বন্ধ করে সে আমার দিকে তাকাতো । আমিও লেখা বন্ধ করে তার মৌনতার সমর্থন দিতাম।

আমরা কী করছি আমরা তখন জানি না, বয়সটা জানার ছিল না,  বয়সটা ছিল কৌতূহলের। তার ফ্যালফ্যাল করে  তাকানোর মাইদ্দে আমি একটা আস্তা জীবনের আস্তানা পেয়েছিলাম।

আমার সাথের বন্ধুরা রেজাল্ট ভালো করার জন্য প্রার্থনা করতো আর আমি প্রার্থনা করতাম আমার রোল যেন চার থাকে আর ওর তিন। যিনি মনের কথা পাঠ করতে পারেন তিনি আমার প্রার্থনা কবুল করেছিলেন। চতুর্থ শ্রেনীতে আমার রোল হয়েছিল চার আর ওর তিন।

চতুর্থ শ্রেনীতেও সে কোনো ক্লাস করতে আসেনি। কিন্তু তাকে দেখার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে থাকতো, বাংলা সিনেমা দেখতে বসলে যে নায়িকাকে দেখা যেতো তার জায়গায় আমি ওকে ভাবতাম, আর নায়েকের  জায়গায় আমি-- চলতো আমাদের অপেক্ষার পূর্নদৈর্ঘ বাংলা ছায়াছবি।

প্রথম সাময়িকী পরীক্ষা। আমি লাক্স সাবান দিয়ে গোসল করেছি যাতে শরীরে ভালো গন্ধ হয়, মাথায় দিয়েছি গানিভাঙা সরিষার তেল যাতে কচকচে কালো দেখায় চুল, মুখে মেখেছি ফেয়ার এন্ড লাভলী যাতে আমার কফি কালারের চেহারাখানা ধবধবে সাদা দেখায়, পরিধান করেছি ধবধবে সাদা শার্ট, আর ইংলিশ প্যান্ট।

পরীক্ষা চলছে। কয়েক মিনিট চলে গেলো। আমার সামনের বেঞ্চ ফাকাঁ। দেড় ঘন্টা চলে গেলো। সে এলো না। আমার মন এতো বিষন্ন দেখাচ্ছে যেন পরীক্ষায় একটি প্রশ্নও কমন পড়েনি। মনের ভেতরও যে একটি বিশাল ফাকাঁ জায়গা আছে আমি সেইদিন টের পেলাম।
পরীক্ষা শেষ।
সে এলো না। লজ্জায় কোনো স্যার ম্যাডামের সাথে কোনোদিন কথা বলার সাহস পাইনি। সেদিন মানে তার পরীক্ষায়  না আসার দিন আমি হঠাৎ যেন সাহসী হয়ে উঠলাম। তার না আসার কারন জিজ্ঞেস করলাম স্যারদের। স্যার বললেন সে টি সি নিয়ে চলে গ্যাছে! তার চলে যাওয়া আমি মেনে নিতে পারেনি, নিজেকে পরিপূর্ন নায়ক মনে করতে লাগলাম। কারন বাংলা সিনেমায় তাই দেখতাম অর্থাৎ নায়িকা হঠাৎ করে হারিয়ে যায় কিংবা নায়িকার বাবা চাকরিসূত্রে অন্য কোথাও চলে যায়।

সারাটি বিকাল বিষন্ন এবং বিষন্ন। পশ্চিম আকাশে সূর্য চলে যাওয়ার দৃশ্য  দেখা যাচ্ছে -- খুব লাল,  খুবই লাল। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা নেমে আসলো, হাউজবিল্ডিংগুলো ধীরে ধীরে লুকিয়ে ফেললো তার মুখ।

সে চলে গ্যাছে দেয়ালের ঐপাড়ের কোনো এক কনক্রিটের দালানে -- সেই হাউজিং -- ভদ্রলোকদের যেখানে আনাগোনা।

দেয়ালে ঔপাড়ে এখনো হয়তো সে পরীক্ষা দেয়, আমিও পরীক্ষা দেয় তবে দেয়ালে বাইরে মেঘনা নদীর পাড়ে কোনো এক ভাঙা ইস্কুলে -- আমার মন ভেঙে যে চলে গেলো তার জন্য না ও দায়ী, না আমি -- আমরা আমাদের জায়গায় দায়মুক্ত মানব মানবী....

রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

আমরা তিনজন

সৈয়দ শামসুল হকের মানুষ' গল্পটি পড়লাম যেখানে মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করতে পারে না, যেখানে মানুষ মানুষের ভয়ের কারন।

আসলেই মানুষের পৃথিবী এক উদ্ভুত জগতের আলো-ছায়া। মানুষের ঘরে যেমন চাল ডাল থাকা আবশ্যক তেমনি আবশ্যক বিলাসিতার সামগ্রী তেমনি আবশ্যক ব্যক্তিচিন্তার সফল বাস্তবায়নের আবাসিক ভূমি। আমিই সঠিক, আমার পরে আর কোনো সঠিক চিন্তা থাকতে পারে না-- এমন বোধ মানুষকে তাড়া করে প্রতিনিয়ত টর্নেডো সাইক্লোন যেমন তাড়া করে সর্বদা। তবে প্রকৃতি কখনো মানুষের উপর অযাচিত কোনো আচরন করার মানসিকতা রাখে না। তাছাড়া আমরা বিপুলা প্রকৃতির কতটুকু জানি!

চারপাশে কেবল চিন্তাবিদদের আনাগোনা। এক একজন চিন্তাবিদ যেন এক একটি সাগর। আর আমার মতো আনাড়ি মাঝি যারা আছেন তারা তাদের ভাঙা নৌকা নিয়ে সাগর পাড়ি দিবে তো দূরের কথা মেঘনা নদীর শাখা নদী পাগলা নদীর জলপাকে পড়ে বিপাকে আছে।


কিন্তু বুদ্ধদেব বসুর আমরা তিনজন' গল্পের মতো যদি আমরা সামাজিক সম্পর্কগুলো দেখতে পেতাম তাহলে কেমন হতো!

আমরা তিনজন' গল্পে তারা তিন বন্ধু।  তারা যেন সমাজের তিনটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ। মানুষ গল্পে যেমন মানুষের প্রতি মানুষের অপ্রীতিকর জায়গা দেখানো হয়েছে ঠিক তেমনি আমরা তিনজন গল্পে দেখানো হয়েছে সামাজিক সম্পর্কের এক সুন্দরম এলাকা। ত্যাগের মহিমা সুন্দর বলেই দ্রৌপদীর পাঁচপতি যেমন জীবনাচারের চিত্র আমাদেরকে উপহার দিতে পারেননি তেমন কিংবা তার চেয়ে আস্থাশীল জীবনাচারের বোধপ্রতিমা আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন অসিত, হিতাংশু, বিকাশ এবং হীরেনবাবু( হীরেনবাবু অন্তরার স্বামী)।

অর্জুনকে আইন(বারো মাসের জন্য দ্রৌপদীর এক পতির সাথে থাকা আইন ) অমান্য করার কারনে বনবাসে যেতে হয় কিন্তু বুদ্ধদেব বসুর আমরা তিনজন গল্পে কোনো প্রকার আইন নেই।

আইন আছে,
এই আইনের নাম ভালোবাসা, এই আইনের নাম ত্যাগের মানসিকতা।

অন্তরাকে তারা ধারন করেছে হৃদয়ে, তাই তাকে তাদের ঘরের পালঙ্কবালিশ না বানালেও চলবে.... প্রেম এমনই অন্ধ, প্রেম এমনই লাভবাদী ভোগবাদী এলাকাকে ছাড়িয়ে নতুন এক এলাকা, নতুন এক পৃথিবী যেখানে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির দেয়াল গড়ে ওঠে না, গড়ে ওঠে কেবল পথচলার মসৃণ আস্থাশীল পদক্ষেপ....

শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

নে....

আপেল, আমের মতো বেদেনা আমাদের এলাকায় একটি ফল, আমাদের কাছে বেদনা এবং বেদেনা একই রকম, তাই বেদনার রঙ্গের চেয়ে গুনগত মানই গুরুত্বপূর্ন 

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

জলিমা

জলিমা,
আজও তুমি এলে, এলো না তোমার ফোন কেবল, তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম কিংবা একটি ছোট্ট মেসেজ, কিছুই এলো না, হঠাৎ এক ঝাঁকে নেমে আসে বৃষ্টি, বৃষ্টির পর শুরু হয় আমার মাথা ব্যথা, মাথা ব্যথা নামক অসুখ আমার নেই।
তাহলে আজ কেন আমার মাথায় নেমে আসলো ব্যথা?

ব্যথাদের উপরে হয়তো কোনো আকাশ নেই, আকাশ থাকলে এমন চমৎকার বাতাস আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে সামনে রেখে কাউকে আক্রমন করতে পারে না।

জলিমা,
তোমার সাথে দেখা হবে না বলে আমিও তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে চলে গেছি, আমাদের দেখা আমাদের মতো করে হবে এটাই আমরা চাই, আমাদের চাওয়া পাওয়ার সাথে তাল রেখে চলে না, আমাদের পাওয়া বরাবরই চাওয়াকে ছাড়িয়ে যায়। পৃথিবী যেমন আছে তেমনই রবে তোমার কিংবা আমার। তারপরও আমাদের একটি পৃথিবী থাকবে যেখানে কোনো সাংবাদিকতা থাকে না, থাকে না কোনো সংবিধিবদ্ধ আইন কিংবা চুক্তি।

জলিমা,
আজ অনেকদিন হয়ে গেলো, তোমার কাছেও কী অনেকদিন হয়ে গেলো মনে হচ্ছে?  মনে হলে একটি মেসেজ আমার মোবাইলে আসতে পারতো, আসেনি বলে ভালোই বোধ করছি, তুমি ভালো না থাকলেই আমার যত অস্থিরতা।  তোমার এক পদক্ষেপ শান্তি দেখবো বলে আমি দশ পদক্ষেপ অশান্তির পথ এগিয়ে যেতে পারি।

জলিমা,
সত্যিই তোমাকে আমি অনুভব করি অন্তরের ঠিক সেই জায়গায় যেখানে সূর্য বিদায় নেয়ার পর চাঁদ ওঠে .... 

বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

সন্তুষ্ট

খাবারের ব্যাপারে মাত্রাজ্ঞান থাকলে বদহজমের সম্ভাবনা থাকে না, সন্তুষ্টির ওভার ডুজ আত্মার মৃত্যুর কারন হতে পারে।
এতো সন্তুষ্টি আপনি কোথা থেকে পান যখন পূর্ন তৃপ্তি সতেজ মানুষের পরকালের নাম? 

পোকানিধন

পোকানিধন মিটিং চলে বৈঠকে
মানুষ যারা যাচ্ছে মারা কান কেটে
হলুদ আলো বকুলঘ্রানে রোজ হাটে
মিয়া হাসি গান্দা কূলে ঘাস কাটে 

An order

We all are blind, an order is the glass of our blind eyes. An order utters its presence just to adorn the blind eyes and make an ego station to draw the limit faculty of the man's grocery. Order makes us in a scene that is known as a satisfaction. There is nothing to be satisfied as we are the result of nothing.

Body, figure, structure, gesture are nothing but so called class room you know. Class room is the deep dark of the illiteracy. Illiteracy is bestowed on the autopsied match and so bubble intercept.

Man does smile that is handed over the time to time, man does tell a truth that is a custody to growth and growth. What is the unique? What is the mind blowing, what is mine over me? Nothing, just nothing, just a shit my dear Mr fair. 

✘✔

অবস্থানগত কারনে কারো কারো মাথায় শিং গজায় অথবা অবস্থান কারো মাথায় শিং নিয়ে আসে। শিংওয়ালা প্রানি থেকে হাজার মাইল দূরে থাকি, কারন এখনো হাজার মানুষের ভীড়ের একজন ভাবতে ভালো লাগে। 

বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

এজেন্সি

অন্ধকার গোল হয়ে আসে রুমের ভেতর স্বপ্নের আনাচেকানাচ। বৃষ্টির জলে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে রাধাবাতাস। মাথার ভেতর পাখিদের কলকাকলি, গতিশীল ঢেউ চুপ হয়ে আসে হাইপোথ্যালামাসের আলপথে।

তোমাকে ভাবি-- আহারে আমার সহজিয়া প্রেম!
তাহাকে চাই-- বৃষ্টির জলের মতো অধরা শব্দ।
তার সাথে থাকি-- দেহের সাথে দেহের গোপন কর্তব্য।

ছিন্ন জীবনে পত্র লেখার ফুরসত নেই, নেই কোনো ডাহা প্রেম, যা ধ্যানের মতো গভীরে নিয়ে যায় আমার চক্রাকার বাস।

জাস্ট কর্তব্য, জাস্ট প্রয়োজনের ভেতর কেটে যায় দিন।
একটি আলোকনার ভেতর ডুব দিয়ে দেখি কানের কাছে বাজে ছুটিশেষ ঘন্টা,
জীবন একটাই, জীবন একটা প্রিয়তমা চিঠির শেষ পৃষ্ঠা 

মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১৬

স্বপ্ন ....

স্বপ্ন তুমি খোলা আকাশের নিচে এক চিলতে সুখ
স্বপ্ন তুমি কারবালার সখিনা বিবির মুখ
স্বপ্ন তুমি মানুষের ঘরে ক্ষুধা মিটাও থরে বিথরে
স্বপ্ন তুমি ঠোঁটের নিচে তিলের মতো, গাছে গাছে তালের মতো, আকাশের ঐ তারার মতো, জ্বলে পুড়ে শেখার মতো, হৃদয় পোড়া ঘ্রানের মতো

স্বপ্ন আবার নগ্ন ঘাসের অনাহত দুঃখ

স্বপ্ন তুমি আমার ঘরের, আমার ঘরের সফেদ আকাশ
আকাশ বেয়ে চাঁদে উঠি, চাঁদের ঘরে বানাই ঘর
ব্যাধি তুমি দূরেই থাকো, ব্যাধিকে আমি বলি পর 

ফ.......

রাজা

খাস মহলে ইন্দুর ঢুকেছে, বেড়াল আনেন তাড়াতাড়ি
বেড়াল যেন ঘুমে ঘুমে না বানায় স্বপ্নের বাড়ি

অতএব সর্তক থাকবেন


বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত আগন্তুক 

জ✔✘

আমি কোমায় তুমি কামে,
প্রেমিক আমি না তুমি(?)
জানে
সে জানে 

তারা সুন্দর করে দায়িত্ব নিয়ে গালি দিতে পারে অথচ দায়িত্ব নিয়ে তৃষ্ণার্তকে এক গ্লাস পানি পান করাতে যত আলসেমি 

হ✔.

তোমাদের সুখবাদী আর লাভবাদী চিন্তায় আমি না তুললাম কালাম মাতম
যতনে যাতনায় ভুলে যাবো ভাই আমিও রক্ত মাংসের একজন
আমারও আছে হৃদয় একখান সুখলাভ হিসাবকরন চিন্তক
মনে রাখবো শুধু আমিও তোমার মতন, আমিও তোমাদের মতন  

একমাত্র তারাই রিকসায় চড়ে ভুলে যায় রিকসাচালকের কথা, বনহংস আর বনহংসীর কাছে জলই কামের বিছানা 

সোমবার, ১৬ মে, ২০১৬

অ......

বিগত অন্ধকার
কালে কালে তোমার বাড়ছে প্রভাত
বাড়ছে তোমার শক্তির বাহার, পলে পলে পালে পালে হৃদয় এক অনিবার্য নাম, মেঘালয়ের শাড়ি ধরে টান দেয় দুষ্টু আসাম, গভীরতর সুখে বোধের বাজারে সানাইয়ের অনাহত আযান, প্রিয়তমা সুরে আসে রবাহত অসুরের টান, কলঙ্কের প্রতিটি টানে থাকে মাকড়শার খাবারঘের জালের মতো এক খন্ড প্রাচুর্যতম বহিরাগত মানিক জান, বিগত অন্ধকারে চাপা পড়ে যত সব যত্রতত্র অহংকার

অন্ধকার প্রচারে পাচারে মুখ রাখে না
সূর্যের সাথে তার গভীর লেনাদেনা 

!✔

আজ বৃষ্টি হলে কাল থেকে জলের ইহকাল শুরু, ঘুম এক পরকালের নাম 

হ✔

অনেকের কাছে প্রেমিকা শব্দের বাংলা অনুবাদ রোবট যাকে রিমোট দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা যায়, স্বামী শব্দের বাংলা অনুবাদ রাখাল যার ইশারা সীমানায় প্রত্যেকটি পশু রাব্বাইক রাব্বাইক বলতে বাধ্য 

ব....

মানুষের ভেতরের বোকা মানুষটা অন্য মানুষকে বোকা ভাবে, মানুষ সব বুঝে জনাব মানুষ সব বুঝে, বুঝেও বোকার ভান ধরে অলসতা আর ভীতিবিচলিত মনকারনে 

দে

হলো না
দেখা হলো না
না দেখার ব্যথাটুকু গেল না
বলা গেল না
মমতাময়ী ব্যথা গো আমার বেঁচে থাকো তুমি সখায় সখায়
পাখিদের গানে শাখায় শাখায়
ব্যথা থেকে শুকনো ডাঙায় জল আসে
দেহে আসে প্রান, প্রানে আসে থরে থরে জীবনের গান 

রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬

শ.....

শিক্ষকের কাজ পথ তৈরি করা না-- নতুন পথ আবিষ্কার করতে চেতনা তৈরি করে দেয়া,
এখনকার শিক্ষকরা মহান মমতাময়ী, তাই তারা শুধু পথ তৈরি করেই ক্ষান্ত হন না, একেবারে তৈরি পথে হাত ধরে ধরে অনুসারীদেরকে পার করে দেন, অন্ধ মানুষকে চোখওয়ালা মানুষেরা যেভাবে হাত ধরে ধরে মহাসড়ক পার করে দেয়।

ফলে আমরা যারা অন্ধ ছাত্র আছি সারা জীবন দেখানো পথের জন্য পথ চেয়ে বসে থাকি, কোনোদিন পথ আবিষ্কার করার ঝুঁকিপূর্ন আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ আসে না-- আসলেই পথিক পথের সৃষ্টি করে না, মহান শিক্ষকই পথ তৈরি করে থাকেন 

শশাঙ্ক

প্রতিদিন মনে হয় নতুন একটি শব্দ শুনা দরকার যাতে চনমনে একটি সাগর তৈরি হয় মনের দরজায়, শুনি প্রতিদিন অতি কমন চর্বিত চর্বন অতি কথন কতিপয় শব্দ,

একই শব্দের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত হতে থাকে আমার ভেতরের আগামসিলেন,

অভ্যাসগতভাবেই চেনাজানা শব্দের ভেতর আমরা মানুষ, তবুও বলি কহতব্য কথা-- আমার ভেতর এক শক্তিশালী অ্যান্ড্রি ডুফ্রেইন ( 37927)  বসবাস করে ' আমি তাকে চিনি ' আমি তাকে পোষা বেড়ালের মতো আদুর করি ' চমৎকার তার মিউমিউ মিউজিক ' তার পায়চারি আমাকে আন্দোলিত করে এখন তখন তখন এখন,

চিরচেনা এই শব্দের জেলে আমি একা হলেও রেড ( 30265) নামে এক বিস্ময়কর ছায়ার দেখা পাই, ছায়াটাকে ভাঙ্গা নৌকার মতো মেরামত করবো যদিও তা কাঠমিস্ত্রির কাজ, মাঝে মাঝে চরিত্রের বাইরে অভিনয় করতে হয়, তাহলেই ব্রুকসের মতো পলায়নবাদী হতে হই না,

আমার বরং একখান হাতুড়ি দরহার জেলখানাকে কলঙ্কিত করার জন্য, একখান কলঙ্কই পারে জেলখানাকে  পবিত্রতম জায়গা বানাতে-- একজন রেডের মনে চমচমে আশা জাগাতে,

একমাত্র আশাই শশাঙ্ক নামক এই সমাজকে বানাতে পারে আয়েসভের শ্বাস নেবার নিরাপদ বনভূমি, আশাই পারে মুক্তি আদায় করে নিতে,
মুক্তিই একমাত্র আদায় করার বিষয়, বাদবাকি ছলছল ছলনা, ছায়ায় ছলনা  

বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬

জোনাক

জোনাকপোকা যে রাজ্যে থাকে তার নাম ঝোপঝাড়। মানুষের বানানো রাজ্যের প্রতি তার কোনো আকর্ষন নেই। আলোর লোভ কার না আছে। আলোর মাতমে উইপোকা শুরু করে মরনজিকির। সুখের আশায় উইপোকা মারা যায় মানুষের পৃথিবীতে এসে, জোনাকপোকা টিকে থাকে ঝোপঝাড়ে মিটি মিটি আলোর সাথে প্রেমময় সুখের সাথে 

জলিমা

জলিমা
আজও এলে তুমি গরীব আঙ্গিনায়,  তোমার চোখে আজও নামবে ঢল,আজও কৃষ্ণ সাজাবে বৃন্দাবন, ফুলেল ফুলেল রাধার অভিসারপথ, তোমার হৃদয়ের কোনে থাকে যদি একখান ঘর, কবুতর হুমু, বাকবাকুম বাকবাকুম জীবন,
জলিমা
আমি কোনো সাইনবোর্ড চাই না, চাই না আমাদের নামে হোক চৌরাস্তার মাথায় পালিস করা ইলেকট্রনিক বিজ্ঞাপন, আমাদের ঘরে আমরা গভীর চুপচাপ, চুপচাপ  উল্লম্ফন  

শপথ

কত ঢেউ স্রোতের সাথে মিশে গেলো
কত স্রোত আজও পেলো না তার গতিপথ


গন্তব্যে যাবে না বলে ঢেউয়ের বন্ধু স্রোত, স্রোতের নেই কোনো প্রথাগত শপথ 

মাংস

আজকাল কোনো মাংসেই আগ্রহ নেই আমার-- হৃদয়ের খুব কাছে কান পেতে থাকি মরীচিকা বেয়ে যদি নেমে আসে ভোর-- চকচকে সবজি সকাল-- মাংসের বাজারে বরাবরই থাকে হৃদয়ের আকাল-- হৃদয়ের বাজারে চাকরি নিয়েছি হয়ে গেছে বহুকাল-- দেখে যাও প্রিয় আমার এখন মানবিক সাল 

ফ.দ

নোঙরপরা পা তার জলে ভেজা ঘাস
বিষাদ নদী বিষাদ ঢেউ বিস্তর আকাশ
জল নেমে যায় চাঁদের ঘাটে
জোয়ার নামে জোয়ার নামে
মানুষ সকল অন্ধ মাছি অন্ধঘরে
বৃষ্টি নামে নদীর বাঁকে নদীর বাঁকে
তারা সবাই ঠান্ডা বেঁচে ঠান্ডা বেঁচে
মানুষ এমন এমনি মানুষ
ঘোরে বাঁচে ঘোরে বাঁচে

আ...

রিকসায়  পাশাপাশি  বসে যিনি আপনার কোমরে হাত দেন তিনি আপনাকে সাগরের তীর চেনাবে, আর যিনি কাঁধে হাত রাখেন তিনি আপনাকে সাঁতার শেখাবে 

হ....

কোথায় কোন বনে
কোথায় কার সনে
একলা একলা কেশবতী দুঃখ চলছে এবং চলে
কথা নাই, বার্তা নাই একলা মনে গোপন বনে
আপডেট হতে থাকে তার দুঃখ আধুনিক ভার্সনে
কথা নাই, বার্তা নাই দুঃখকথা তার সনে
প্রানের কথা, হৃদয়ের কথা তাহার সনে  

বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১৬

এ......মধু......

এখন পাতা ছেঁড়ার কাল
তুই পাতা ছিঁড়তে থাক
তুই পাতা ছিঁড়ে কান 

দ......

তুই পুরাতনকে করিস নতুন, আর আমি নতুনকে করি পুরাতন,

নতুন চর জাগবে, আমি একখান বাড়ি বানামু, বাড়ির হমনে একটি উঠোন, উঠোনের হমনে ফুল বাগানের দেয়াল, দেয়ালের মাথা দিয়ে দেখা যাবে বার্ষিক নদী, নদীতে থাকবে সব সময় একটি কুসা নৌকা, তরে নিমু না, কসম খোদার তরে নিমু না,

ভরা চান্দের রাইতে আমরা নদীতে তাহুম, প্রতিদিন অইবো আমগো হানিমুনের কাল কিন্তু অই ভরা  জোছনায়  আমরা খোলস পাল্টামো, পুরাতন বাদ দিয়া আমরা হুমু এক্কেবারে নতুন, তরে নিমু না আমগো লগে, খোদার কসম তরে নিমু না আমগো লগে, তুই পুরাতনকে করিস নতুন, আর আমরা নতুনকে করি পুরাতন 

ভো

শিশুকে স্কুলে ভর্তি হতে গেলে ভোকাব্যুলারি শিখতে হয়, বাংলাদেশীদের কাছে ভোকাব্যুলারি মানেই ইংরেজি ভাষা।
স্কুলে ভর্তি হয়েও ভোকাব্যুলারিই মুখস্ত করে। ভোকাব্যুলারি শেখানোর জন্য নিযুক্ত করা হয় একজন প্রাইভেট টিউটর। স্কুল কলেজ যতোদিনে পাশ করে ফেলে ততোদিনে ছাত্রটি প্রায় ভোকাব্যুলারির জাহাজ। সে যে  ভোকাব্যুলারার জাহাজ হয়েছে তা প্রমান দিতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়। প্রমানিত হয়ে গেলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বমানের ছাত্র।

পড়াশোনা শেষে  এখন তাকে চাকরি পেতে হবে। চাকরি পাওয়ার জন্য আবার ভোকাব্যুলারি! এখন ভর্তি হতে হয় ভোকাব্যুলারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবার সেই ভোকাব্যুলারি মুখস্তকরন। ভোকাব্যুলারি শেখানোর জন্য  ভোকাব্যুলকরি শিক্ষকরা নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন।মহান মহান পন্ডিত শিক্ষকদের স্পর্শে সে তখন  ভোকাব্যুলারির সাগর।

চাকরি পায়, চাকরি পাওয়ার পর বুঝতে পারে ভোকাব্যুলারি মানেই ইংরেজি ভাষা না। তখন তার বোধোদয় হয় এবং চাকরি জীবনে শুরু করে নতুন করে ছাত্রের পড়াশোনা। কিন্তু পাকা আম কী আর কাঁচা আমের মতো সবুজ হয়।
আহারে!
আহারে আমাদের
তাহাদের ভোকাব্যুলারির জীবন ....

বুধবার, ৪ মে, ২০১৬

ঘর

ছোট ঘরে বৃষ্টি পড়ে
বড় ঘরে দৃষ্টি পড়ে
তারা বোকা বিভেদকারী
কেবল দেয়াল সৃষ্টি করে 

রোগী

সব সময় যে রোগী ডাক্তারের কাছে যায় এমন না, রোগী ডাক্তার ছদ্মবেশী রোগীর কাছেও যায়, ফলে রোগেরোগী এক সারা, তাই রোগীর রোগ চেনার ক্ষমতা না থাকলেও ডাক্তার চেনার ক্ষমতা থাকা আবশ্যক 

পালায়

জীবনের এক পাশে একটি নদী আরেক পাশে পাহাড়ি অভিমান
পথ চলতে চলতে গভীর রাতে দমকা বাতাসে সব কিছু ওলটপালট
সবুজ দেখে আটকে যাওয়া চোখ গভীর বনের দিকে হাঁটতে থাকে
একদিন একদিন করে আমরা কোনো গর্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যেখানে আমরাই আমাদের পরিচিত মুখ

হঠাৎ প্যানাসনিকের ডাহে ভেঙ্গে যাবে হাজার বছরের কোনো এক গোপন মুখ
গোপন নিজ শক্তিগুনে গোপন থাকে, গোপন একটি জাদুকরি আলাদিনের বাটি

সব নদী যেমন ফুরায় জীবনের সব লেনদেন, সব জাদুকরি বাটি হারায় সম্মোহনের সীমানা
তখন তুমি আজকের মতো ডাকবে না, তখন তুমি কেবল দুদন্ড মানুষ, আমিও

জাদু চলে গেলে কে থাকে বলো করুনাময় মায়ায়, ক্লান্তি নেমে আসে ভালোবাসার মোলায়েম জানালায়-- পালায় পালায় ভালোবাসা পালায় 

ভালোবাসা জল, মানবহৃদয় মাছ, জলে জলে মাছের জীবন 

সোমবার, ২ মে, ২০১৬

ভালোবাসি

ভালোবাসি ভালোবাসি
রোজ সকালে ফুলের পাশে
আমরা ফোটি আমরা ফোটি
ভালোবাসি ভালোবাসি
লেকের পাশে
বৃষ্টি নামে
গরম ভাঙ্গে
দুজোড়া চোখ চোখাচোখি
আমরা ভাসি আমরা ভাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি