বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৪

নীরব প্রেম

মূল

গরচেহ তাফসীর যঁবা রওশন গরাস্ত
লেকে ইশকে বেযবাঁ রওশন তরাস্ত


অনুবাদ

ভাষার ঘনঘটায় প্রেম আবোল -তাবোল
নীরবে প্রেমের নদী স্রোতে বহুগুণ

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০১৪

আবেগের বেগ

আবেগের বেগে ইঞ্জিন চালু হয়,
ইঞ্জিন চলে,
ইঞ্জিন চলে যোক্তিক সিস্টেমে

Engine is launched by the speed of emotion, then it is started swimming, swimming only for systematic notion 

সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০১৪

খোদার কসম জান

শিশুদের বেয়াদবী ,আহ্লাদী  ভালো লাগে, মনে থাকে মনে রাখার মতো!
কপটহীন, নির্লিপ্ত শিশুরাজ্য!! মনের মতোই শিশুর চলাচল-কোলাহল সরল, অনিন্দ্যসুন্দর! শিশুর হাসিতে প্রেম, কান্নায় প্রেম, ভাবনায় মাটির ঘ্রাণ!!
শিশুদের জীবনে বৃষ্টি আসে কিন্তু শিশুমন কাদাময় হয়ে উঠে না! শিশু অসুস্থ হলে একটি অভিমানের অভিধান বুননের ইচ্ছা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।
অভিমানের অভিধান কেন?
কাঁটাতারের ঝুলন্ত এলাকায় রাগ কিংবা ক্ষোভ নয়, অভিমান বেশ মানানসই।

মুনাই শিশু! আদুরে, আহ্লাদে। শ্যামবাটির হাসিমুখে মায়াবী সুর। বৌদির দোকানে যে লুচি পাওয়া যায় সেই লুচির পেছনের ইতিহাস। সর্বমঙলার মিষ্টির স্বাদের ভিন্নতায় মুনাইয়ের গান গাওয়া, চুপচাপ অভিলাষ, মৌনতার শব্দ, বিড়ালময় হাঁটা।

বৌদির দোকানে মুড়ি -ঘুঘনি খেতে এসে  মুনাইয়ের চোখ চোখ রেখে বলি বার বার

খোদার কসম জান   ভালোবেসেছি তোমায়

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৪

গায়ত্রী

গায়ত্রী!
অভিমান কতটুকু জলজ হলে
নোনতা লবন
কতটুকু দাহ্য হলে
আগুনমরন
কলাপাতায় বৃষ্টিস্নাত বর্ষায়
মেঘের ঘনঘটা
যুক্তির  সাথে আবেগের মিলন মেলায়
পানসে প্রেমভর্তা
চোখের সুখদফলে তুমি বিনয়ের ভাষাস্রোত

গায়ত্রী!

তুমি কেন ফিরে যাবে!
কবির নারী যে মরে না মরনে
বেচেঁ থাকে পুলকে -শিহরণে

সন্তানহীনা নারী বেঁচে গেলে তুমি বিনয়ের ভাষার টিউবসন্তানে
মানবজন্মে কেউ কেউ বীরঙ্গনা অচেতন সংগ্রামে

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৪

নির্মাণ

ছবি আঁকার বিষয় না, নির্মাণের বিষয়,
চিন্তা এঁকে ছবি নির্মাণ করা হয় 

শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

33 নং চর্যা

গীতে চর্যাপদ
অনুবাদ ও সুর : এমরানুর রেজা


টালত মোর ঘর নাহি পড়বেশী
হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী।।
বেঙস সাপ চঢ়িল জাই
দুহিল দুধু কি বেন্টে সামাই।।

ঢিলার উপরে বেঁধেছি বাড়ি
নির্জন রাস্তায় চলছে গাড়ি
গোয়ালে ধান নেই, করি মেজবানি
উনুন আগুনে পোড়ে শুন্য হাড়ি।।


বলদ বিআএল গবিআ বাঁঝে
পীঢ়া দুহিঅই এ তীনি সাঝে।।
জো সো বুধী সোহি নিবুধী
জো সো চোর সোহি সাধী।।

এ কোনো আকাল এলো জগতের মাঝে
বলদ প্রসব করে গাভী বন্ধা রে
চোর আজ সাধু হলো, সাধু আজ চোর
সকালটা আন্ধারে ঢেকে যায় রোজ।।

সহজ

পৃথিবীতে  ''সহজ" শব্দটিই কেবল সহজ! যা কিছু অর্জনযোগ্য সব কিছু সাধনার ফল!!

Easy
is  sorely easy in word not in reality, in real seen everything is the result of hard some capability

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৪

পত্রিকার পাতা

পত্রিকার পাতায় খেলা করে চালাকজনের শেয়াল শেয়াল কৌশল,
ঝড়া রক্তগুলো হয়ে উঠে করুনা উদ্রেক মামলেট 

বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪

স্বকীয়তা

দুঃখ একটি স্বকীয় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠ নিয়ে জীবনকে উপভোগ্য করে তোলা যায়। দুংখের সময় দুঃখপ্রকাশ করায় কল্যাণকর। প্রিয়জনের বিয়োগ ব্যথায় চোখের জল আত্মহত্যা করবে স্বাভাবিক। তাতে মন্ত্রনা কিংবা সান্ত্বনা দেয়ার কিছু থাকে না।
সব সময় ভালো থাকার চিন্তা এক অসুখের নাম। অসুখ মানে সুখ নেই এমন।

জীবনের চড় থেকে

মোনায়েম ভাই। আমার চেয়ে বয়সে ছয় মাসের বড়। একদিনের বড় অইলেও বড়, গ্রাম তাই মনে করে। আমিও তাই মনে করি, প্রমাণ হিসাবে মুখ বড় করে ভাইও ডাকি। সেই ক্লাস ওয়ান থেকে এক সাথেই পড়াশোনা। এখন আর একসাথে নেই। তবে পাশাপাশি থাকি। তিনি পড়াশোনা করেন ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ আর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমাদের মাঝে দূরত্ব পনেরো মিনিটের পথ। সে রান্না ভালো করে। ভালো কিছু রান্না করলে আমাকে ফোন দেয়
রেজা,  তুই কই?
ভালো খাবারের সুযোগ আমার পেট ছাড়তে চায় না। ফলে জিয়া হলের 313 নাম্বার রুম থেকে ছুটে চলি মোনায়েম ভাইয়ের 113 নাম্বার  রুমের উদ্দেশ্য। এই ঘটনাটা প্রায় ঘটে।

মিয়া ভাই আফনের প্রেম অইয়া যাইবো.......

মোনায়েম ভাইয়ের রুমে থাকেন শাহীন ভাই । বাড়ি ফরিদপুর। তিনি ঝকঝকে একটি  এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট কিনে আনলেন। পনেরো হাজার টাকা মূল্যের। সাথে সাথেই আগের সস্তা ড্রেস ডেকোরেশনও পরিবর্তন করলেন। এতো দামি সেট কেনার উদ্দেশ্য দুটি
ভাবসাব
গেইমস খেলা
আমি তার সেটটি হাতে নিলাম আর কইলাম এতো দামি সেট ব্যবহার করেন অথচ ফেইসবুক ব্যবহার করেন না, ইডা অইলো।
পরে আবার খিচুড়ির দাওয়াতে 113 নাম্বার রুমে যাওয়া হয়। যাওয়ার সাথে সাথে শাহীন ভাই জানান দিল সে ফেইসবুক আইডি খুলছে,  এখন তাকে প্রোফাইল পিকচার আপলোড করে দিতে হবে। করে দিলাম আর কইলাম
মিয়া ভাই এবার আফনের প্রেম অইয়া যাইবো
এই কথা হুইনা সে শিশুর মতো বয়স্ক হাসি দিল!

শাহীন ভাইয়ের বিয়ে

13 জুলাই 2014 ফারজানা ইসলামকে বিয়ে করেন। অপরূপ সুন্দরী মেয়ে। শাহীন ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল 2018 সালে বিয়ে করা। টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে সে টিউশনি করাতো, আর তা থেকেই সে ব্যাংকে ডিপোজিট এ্যাকাউন্ট খোলে। 2018 সাল পর্যন্ত ডিপোজিট সময়সীমা। কিন্তু হায়! সেই এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেটটি বিক্রি করে তাকে বিয়ে করতে হয়েছে। এখন আর তিনি  ফেইসবুক ব্যবহার করেন না । তার ভালো লাগে না। এখন মিনিটে মিনিটে বউয়ের কল আসে
এই তুমি কী করছো? এতো ফোন রিসিভ করতে তার আর ভালো লাগে না, তবে তার বউকে সে অনেক ভালোবাসে।

ফেইসবুক থেকে প্রেম তারপর বিয়ে.......

ফারজানা ইসলাম কবি নজরুল -এ পলিটিকাল সায়েন্স বিভাগের ছাত্রী। বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। বাবার কঠোর শাষনামলে বড় হওয়া। ফেইসবুক আইডি নতুন খুলছে। বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সাথে হাই, হ্যালো বলে বন্দী সময়টাকে উপভোগ করার একটি মানসিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে দিন যাচ্ছে তার।
হঠাৎ এক কাঙ্খিত পুরুষ তার ফেইসবুক এলাকায় কড়া নাড়ে। তার হৃদয়আত্মা নড়ে উঠে। চলতে থাকে চেটের পর চেট। প্রায় এক মাস যাবত চেটইতিহাস । তারপর ছেলেটি মেয়েটির মোবাইল নাম্বার চায়। মেয়েটিও দেয়। এখন মোবাইলে কথার মিনিঝড় চলতে থাকে রাত- দিন।
এক সময় তারা দেখা করে। হাত ধরে, মন ধরে। কেটে যায় ছয় মাস। হুট করে ফারজানার বাবা বর ঠিক করে রেখেছেন বিয়ে দিয়ে দিবে বলে।  ফেইসবুকপ্রেমিকের  মন উতলা হয়ে উঠেছে, কী করা যায়, আঠারো সালের আগে বিয়ে, অসম্ভব! প্রেমিকমন শর্ত, তর্ক মানে না। সব কিছু ছেড়ে ফারজানা ইসলাম চলে আসলো শাহীন খানের কাছে। শাহীন খানও তাকে বিয়ে করে সরাসরি ফরিদপুর। বাবার বাড়ি। পরিবারের সবাই মানসিকভাবে বিয়াটি মেনে নিতে পারেনি। কারণ এই বিয়ের ঘটক যে ফেইসবুক!  তাদের যুগে ঘটক ছিল ছাতাওয়ালা এক মানুষ যে পান চিবায় আর সাজানো মিথ্যা বলে কথার ফাঁকে ফাঁকে। তারপরও ফারজানা ইসলাম আর শাহীন খান এখন ভালো সময় কাটাচ্ছেন! নদীর ঝড় থেমে গেছে। সব কিছু স্বাভাবিক।
শুধু ঐ প্রোফাইল পিকচার আর রাখতে পারেনি শাহীন খান, আমাদের শাহীন ভাই .......

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০১৪

কর্তা

ছড়ানো ভাত আর দাঁড়ানো কাকের মাঝখানে রাষ্ট্রের পদকর্তা

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

কংসাবতী র তর্জনী

কংসাবতী রূপে রাধাচূড়া পাতা, সহজে মিশে যেতে পারে আঁধারে কিংবা আলোয়। তার জীবনাচারের অধ্যায়গুলোও মৌলিক মনে- মননে। ইগল পাখির মানসিকতা তার প্রেমে।
কৃষ্ণচোখ যে চিলচোখ। হাবিয়া থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস কোনো সৌন্দর্য ডুক্কু ডুক্কু খেলবে আর কৃষ্ণ জানবে না,  এমন তো হতেই পারে না।  এমনটি হয়েছে ইতিহাসে নেই!
কংসাবতীও কৃষ্ণের কামনার নজরে আসে।রক্ত-মাংসময় কামনা।
কংসাবতীর আলিঙ্গনে শীতল হতে কৃষ্ণ ধারন করে দামোদর নদের ছদ্মবেশ।
- এস্ট্রোজেন হরমোনের অত্যাচারে নীল হয়ে উঠছি দিনের পর দিন, আমাকে শান্ত করো কংসাবতী
- দামোদর, তুমি কী চাও?
- তোমার উষ্ণ আলিঙ্গন
- তুমি আজ প্রান্তিক দামোদর, আমার দেহ, কায়া, তনু, মন সব কিছুই সাগরের দরগায় সমর্পিত
- হায়রে সময়, তোমার জন্ম কেন মানুষের ঘরে হলো না, তাহলে তুমি মানুষের দুংখ বুঝতে, এই দামোদরের দুংখ বুঝতে! এতো নিষ্ঠুর হতে নেই কংসাবতী!
- প্রয়োজনে নিষ্ঠুরতার নাম মানবিকতা,  জানো তো  মানবিকতা সুযোগ ব্যয়ের ধারণা মেনে চলে
 - দয়া করো দয়াময়ি, আমি তোমার দয়ার দরজার পাশে দাঁড়ানো
- ভিক্ষুকদের আমার রাজা পছন্দ করেন না, আমিও না
- তোমার মতো রাধাও আমাকে অপমান করেছিল, পরে তার কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে, ভারী হয়ে উঠে যমুনা নদী
- মেঘ হওয়ার আগে বৃষ্টি হতে নেই, তুমি তো তাই হলে। আচ্ছা,  অযোগ্যতা আমার কাছে যোগ্যতা, কাল সীতালগ্নে এসো, আমি না হয় রামের অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে হলেও তর্জনীটি তোমাকে অল্পক্ষণের  জন্য দিবো!
- বাপিসা! বাপিসা, কংসাবতী গো তোমার কোমলমহতী মন

সীতালগ্ন আসার আগেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছে তর্জনী! কংসাবতীর তর্জনী এখন এ্যাম্বুলেন্সে, তারপর হাসপাতালে, তারপর রাজপ্রাসাদে।

কংসাবতীকে বিশ্বাস করা যায়, কংসাবতীর তর্জনীকে না!

মেঘ আকাশের গোপন বান্ধবী

আকাশে মেঘ থাকে, মেঘে আকাশ থাকে না।নাকি আকাশকে আকাশ হতে মেঘের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক?
আসলে সকল সৌন্দর্য ও সত্য একে অন্যের পরিপূরক।যে মন সত্যকে ছাপিয়ে সৌন্দর্যের স্বপ্ন দেখায় সেই মনগুল ধীরে ধীরে হয়ে উঠে পূজার দেবী। কালের বিচারে আজকের মা কালী, স্বরসতী আরো কত কী, জমিনে আর থাকেন না, হয়ে যান আকাশ!
আমরা যারা জমিনের মানুষ মেঘ হয়ে ভেসে ভেড়াই আমাদেরই তৈরি আকাশের উদার অঙ্গনে।
মেঘ আর আকাশ আমাদেরই ভিন্ন পরিচয়।
মেঘ আকাশের গোপন বান্ধবী।

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০১৪

ঠাণ্ডা -ঠাণ্ডী

ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডী কিছু দিন প্রেম করার পর বিয়ে করে।
তাদের বিবাহ উৎসবের নাম কাশি।   

শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৪

ফণা

কবি হওয়ার আগে মানুষ হয়েছি
মানুষদের প্রেমিক হতে হয়
প্রেমিক হয়ে দেখি
গরু-ছাগলের পৃথিবী,
ঘাস খায়, ফণা তুলে

প্রেমিক

অহংকার আর প্রেমিক ছাড়া
কবির নেই কোনো কিছু

অহংকার আর প্রেমিক সত্ত্বা পৃথিবীর যিশু

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৪

মা

অসুস্থ হলে আম্মাকে জানাতে  ভালো লাগে না।কারন তিনি সেকেন্ডপ্রতি কেয়ার নিতে শুরু করেন। তিনি যেন নিশ্চিত হয়ে যান আমি নয়, তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। এত কেয়ার ভালো লাগে না। কিছু ভালো না লাগাতেও থাকে পরম প্রশান্তি! 

চিরচেনা

চোখে চোখ রেখে রাত কেটে যায়
মনের মোহনায় মন খোঁজে পাই
কালোর সাথে কলমি, জলপাই রঙ মেশাই
চোখের রঙে, মনের রঙে, রঙের রঙে
তুমি হয়ে উঠো আমার মানুষ, মানুষের প্রাণ
ঝিনুকসাজে বয়ে চলো গভীর জলে অবিরত অবিরাম
এইভাবেই
চিরচেনা পৃথিবীর ইভ-এ্যাডাম

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০১৪

অপঠিত আমি

তোমাকে পাঠ করতে গিয়ে
অপঠিত থেকে যাই আমি
আমার নদী -নালা,  খাল-বিল
বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা, রৌদ্রের ডানায় মনচিল

 বার বার ফিরে আসি চলনবিল থেকে হাকালুকি
হাকালুকি থেকে কোপাই নদী,
শ্রীনিকেতনের গভীর চলন থেকে রাজনগরের মুক্ত আকাশ
 এখনো সুরঞ্জনা নগ্ন মাছির মতো উদাস, উদাস বাউল
গান গেয়ে যায় , কণ্ঠে তার ভৈরবী সুর
সব পথ ছেড়ে, সব মত ভুলে
আমি এখন বেসুরা অসুর
তোমার গান গাইতে গিয়ে
আমি এক অশ্রাব্য  সুর
তাই বিমানের ভেতরে বিমান কিনে মাহফিল হবে,
 পাঠ হবে নিজমগ্নের দরুদ
সাল্লু আলাইহি  ....ওঁম শান্তি ওঁম

সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০১৪

মরুভূমি

মরুভূমি ভাবে মেঘ যদি বৃষ্টি হয়ে
রসে টলমল করে তোলে জীবন
মেঘ বহুকাল আগে হয়েছে মেঘদূত
মরুভূমির আশা কুহক, বাস্তবস্বপ্ন অনেক দূর
তবু উঠেছে ঝড় মরুভূমির মনে
মেঘ তখনো বিদিশার বনে
মরুভূমি আশা ছাড়েনি, চাষ করেছে ভাষা

`মেঘ এতোটা খারাপ না,খারাপ তবে এতটা না '

আমি শুনে হাসি ভুলের জোয়ারে ভাসি
বলি,
এরই নাম প্রেম, ভালো বাসাবাসি
মন্দ নয়, তবে ভালো না
মেঘের জন্য তুমি বাসি ফুল,
আমি ভূতের রাজা ভুল
আফসোস!  আফসোস!

ভোগের সকাল

আমি থেকে পিতা, পিতা থেকে পিতামহ
যুগের পর যুগ, কালের পর কাল
শালবীথির নীরবতা থেকে আমাজানের গভীরতা
 মানুষের চোখে আকাশ দেখেছি, প্রেম দেখেনি
আকাশ লুকানো বাতাস, বাতাস লুকানো প্রেম
সফোক্লিসের ইদিপাস, ঘাটের কথার সন্ন্যাস
 রাজনগর বাজারে বিক্রি করে হরিতকীজল
আমরা কিনি চকোলেট, প্রসাধনী বেদ
অথচ ইলেট্রন কেমন প্রেমময় চোখে করেছিল ভ্রমণ প্রোটনের দিকে

পেয়েছি মানুষজন্ম
যেখানে প্রেমের মাথায় গজায় ভোগের বটগাছ
প্রতিটি মানুষ পুঁটিমাছদ্বন্দ্বে করে বসবাস
দিনের পর দিন রাতের পর রাত
মানুষজন্ম ইভের ইতিহাস, ভোগের সকাল

রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৪

টিউন

গিটার টিউন করতে গিয়ে
মেজাজ ডিসটিউন হয়ে যায়
তুমি কী আমার গিটার হবে গো
আমি কিছু কালের জন্য গান হতে চাই

পোয়াতি কেলেঙ্কারি

পোয়াতি কেলেঙ্কারি নকলদানা কলসী কোমড়ে  বেধেঁ চলে।  সূর্য হাজার বছরের রাতে ঘুমন্ত যুবক। যুবতীর খোঁজে সময়খাদক পুরুষ জীবনকে করে আবেগের অবিরত ঝর্ণা। সময়ের গন্ধে পুরুষের যৌবনচোখের নিচে কালি পড়ে। কালিমা অথবা মা কালি সমতার নিক্তি ছেড়ে ক্ষমতাবান হয়েছিল।  তাকে ছাড়িয়ে আজ শিব ক্ষমতাবতী, জিউস তাইতো সিঁড়িতে বসা পৃথিবীর আসন পেতে।
পৃথিবীর আসন মূলত আযানের মতো ভয়ঙ্কর, জানাযার মতো অবয়ব সত্য!
মন ছুটে চলেছে প্রেমের পেছনে, প্রেম তো ফদনার, ফসফরাস, কুসুম, শশী ডাক্তার
দহনে দহনকাল, কালে কালে জ্বলে
পোয়াতি কেলেঙ্কারি নকল দানা কলসী কোমড়ে বেধেঁ চলে

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০১৪

মৃত্যুর বান্ধবী

হাসি মৃত্যুর বান্ধবী,মৃত্যুর মতো শক্তিশালী, স্বকীয় প্রতিষ্ঠান! অর্থাৎ হাসিই কেবল মৃত্যুর বান্ধবী হওয়ার যোগ্যতা রাখে!

my baby

My baby,
cute and sweet I miss you more
as the nearest knocking of door
Heart sound, heart mount turning into tune
What a life alarm walks along my odour
Beneath your stream a local cry, bendable shy
Usually say "hi " just for  " hi "
Your watery eye annihilates the universal cry and smiling shy
My born will be my born over your mind below your eye
Please
make a journey across me bending the limitation just to say "bye "
Appellant man I am wild and wine

শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০১৪

বন্ধুভাগ্য

বন্ধু হলো এমন যার কাছে আত্মা জমা রাখা যায়। আত্মা জমা রেখে আমানতের মহান নছিহতবাণী স্মরণ করিয়ে দিতে হয়না( লা ইমানা লিমান লা আমানতা লাহু)। বন্ধুভাগ্য সবার ভালো হয় না, হলে পৃথিবীতে দৃশ্যমান শান্তি, প্রশান্তির সংজ্ঞা পরিবর্তন হতে বাধ্য, অনন্ত বন্ধুময় এলাকায় ।
সাহস করে একটি কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে,  আমার বন্ধুভাগ্য অনেক শক্তিশালী, মাটির মতো উর্বর। কিছু সম্পর্ক থাকে যা কিনা রক্তের সম্পর্ককে ছাড়িয়ে যায়। আমার আর আমার বন্ধুদের সম্পর্ক এমন।
একটি কথা বলি?
আমার এক আন্তর্জাতিক বন্ধু আছে। সে বরফের চেয়ে শীতল। তাই তাকে হিমানী বলে ডাকি। হিমানী নামটি তার মোটেও পছন্দ না। সে মনে করে এটি তার সম্পর্কে আমার সঠিক মূল্যায়ন নয়। আমি তাকে বলি আবেগের সংজ্ঞা জানি না, তাই আবেগ আমার কাছে প্রাসঙ্গিক এবং প্রাসঙ্গিক আধুনিক। সে তাতে রাগ করে বরফ হয়ে যায়। আমি তখন বলি এইতো প্রমাণ, বরফ মানে হিমানী হয়ে গেলে। সে তখন হাসে, হাসির জলে ভাসে। আমি তখনই বলি, বন্ধু ` আমাকে ভুলে যেওনা '
যাব, অবশ্যই যাবো, ভুলে আমি যাবই!
নারীসুলভ অভিমানী বাক্য। যে বাক্য আমাকে ফুরফুরে করে তোলে। তারপরও তাকে বলি `` একটি প্রশ্ন করবো "
`` হুম "
নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি আমাকে বলা যাবে?
সে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী, হুরমুর করে বলতে থাকে --
``Every action has an equal and opposite reaction "
আমি বলি 'তুমি ভালো বলেছো ' তবে আমার দাদী চান্দামা আরো ভালো করে বলতেন --

আমায় যদি তুমি কান্দাও, তোমার কান্দন পরে রে
 সোনা বন্ধু, ভুইল না আমা রে ....

Night

It is deep night but sleep wish is so child
Does sleep fall in forest where sound is grown cry
My sleep day by day entering the trivial dune in the surface of new moon
New moon is the song of green child
And for yearning sleep is so child
So child for too night
Too night is ever brink for morn
Morn is dislike as for selfish influence of the sun and her ray
It is too night, night is great

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০১৪

সত্যাসত্যকে

জীবনে সকাল আসে
অনেক সকালের মতো নয়
বাতাসে সুবাস থাকে
তা আমার নয়
আমি কেবল পথিক, পথই যার পরিচয়
পথের খুঁজে রোবেনে যায় সত্যাত্মা( সত্যাত্ম প্রাণারামং মন আনন্দং), কারাগারে হাজারো বিদ্রোহী
পথের মানুষ মহাকালের নায়ক, কালে পাপী
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ আমি আজ চোর বটে
আমার সকাল-বিকাল পথে তুমি থাকো প্রাসাদে
তুমিই ভগবান, দেবতা, অবতার, ইশ্বর রতন
দাশ হয়ে ঝুলে আছে তারার মতোন
পথে হাঁটাচলা, পথে নাওয়া-খাওয়া পথেই জীবন 

বুধবার, ৯ জুলাই, ২০১৪

বটতলা থেকে ছাতিমতলা

একটি সরল রাস্তা চলে গেছে কলাভবন থেকে বিনয় ভবন
বটতলা থেকে ছাতিমতলা
মনের কাছে তিনপাহাড় কেন, ঈশ্বরপাহাড়ও কোনো রকম বাঁধা নয়
বাঁধা ছিল কেবল তোমার ঘাসফড়িংমন, আনচান উচাটন
সময়ের কাবিনে তাকেও করেছি সুজন , করেছি আপন
তুমি গো সুজন বেঁচে থাকার ব্যজন
বহু তিল তালে প্রেমময় জীবন
বালির বাঁধে বাঁশির আচরণ
কানে কী বাজে না রাখিয়া
বলেছিল কৃষ্ণ
যাবে না মথুরায়,
প্রেমের নদী অবিরত চলে সহিয়া বহিয়া

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০১৪

কৃষ্ণ

আকালে কালো হলেই কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কালো ছিল না, রাধার প্রেমে কালো হয়ে যায় 

পূর্ণদৈর্ঘ্য

পূর্ণদৈর্ঘ্য হাসি স্বল্পদৈর্ঘ্য ভৌগলিক মনে
কালো পায়রা হয়ে উড়ে যায়
দুধের মিছিলে চলে চোখের নাচন
হাসিফুল চোখের সামনে থাকে না অনেকক্ষণ
হাসতে নাকি জানে না কেউ, কে বলেছে ভাই
হাসির মুখে মনের ছবি, মানুষ চেনা যায়
হাসিকে তাই অফিসিয়াল করতে হয়না
অফিসে তো  হলুদ কার্ড, লাল কার্ডের বন্যা

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০১৪

একা

মানুষ ঘুমের মতো একা
একের মতো তার ব্যথা

Alone, men are so alone as sleep born
Pain is so alive as like so alone

ধনেশপ্রেম

ধনেশ পাখির ঠোঁটের মতো একটি খুঁটি। যেহেতু খুঁটি সেহেতু  জন্মানোর কথা না, স্থাপন করা হয়েছে। খুঁটিটির  আশেপাশে ভ্যাপসা গন্ধ, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। কোনো চোখ খুঁটির  প্রতিবেশী এলাকায় ভ্রমণ তো দূরের কথা চুকিও দিবে না। খুঁটির মূল এলাকায় তো দৃষ্টিভ্রমণের প্রশ্নই আসে না।
তবু খুটির নীরব শরীর কারো জন্য অভিসারের এলাকা। হ্যাঁ, দুটি কাপলচড়ুই মন ও শরীরের তাড়নায় প্রেম প্রেম খেলা খেলে যাচ্ছে। পাখি দুটির প্রণয়ক্রিয়া ফটোকপি করতে চাচ্ছে আকাশ। ধীরে ধীরে ক্যামেরার পজিশন প্রস্তুত করে সে। এখন কেবল লাইট -ক্যামেরা -এ্যাকশন বলে কাজ করার পালা।
তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি টের পায় চড়ুই! বিমান হয়ে উড়াল দেয় বাতাসে!
পাখিও চায় না তাদের প্রেমে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি আসুক!
কিন্তু কালের পর কাল তৃতীয় পক্ষ খুঁটি স্থাপন করে আসছে নতুবা তাদের ডিএসলআর মন কার অবয়বের  ফটোকপি করবে, কেমনে হবে সে ফটোমিস্ত্রি, গলিত রামধনুর নিউজ লিখে রঙ্গবাজ 

রবিবার, ৬ জুলাই, ২০১৪

বৃষ্টি

 বৃষ্টি দেখলে রাধিকার কান্নার কথা মনে পড়ে,
মজনুবেগে ঝরে অঝোর রাধিকাকান্না...

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০১৪

হাসির বাগানের বাগডুম

হাসির বাগানে ফোটে সাম্যের ফুল
এক ঝোঁপ মুন্সিয়ানা গ্রীস-টাইটান ফুলে ভুল
শোষণের চিবুকে মানবতার ঢোল
আকালে বেকাল উদার উদয় তাল
কান্নার বীজমন্ত্রে প্রণয়- প্রীতির প্রীতম আকাল
ওড়নার বোবা কান্নায় জলের ইতিহাস
হাসির বাগানে বহে সাম্যের বাতাস

ভাঁজ

পাতার ভাঁজে লুকিয়ে থাকে কৃষ্ণচূড়ার মায়া
চীএ হাসির মোড়ল ভাঁজে নাচে পাতার কায়া

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০১৪

চুম্বক চুম্ব

ফুটবল, মনোবল
ফুটবল আর মনোবলের মাঝে বৈবাহিক সম্পর্ক
একজনে চুমু দেয় অন্যজনে চুমু নেয়
দেহ কেবল চুমুর ঘটক 
মাটির দেহে আগুন জ্বলে
আগুন পোড়ায় মাটি
দহনে দহনে ইটের জন্ম
দহনকাব্য খাঁটি

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

নারীমন

নারীমন উঁচু নয় যেন পায়ের হিল
নারীমন নদী নয় আস্ত একটা তিল

হিমানী

হিমানী,
রাতের সাগরে ঝিনুকের সন্ধানে বাইশ বছর হেঁটেছি। ভাসমান জলে কিছু কচুরিপানার স্পর্শে অনুসন্ধানী মনটা জেগে উঠতো ;ভাবতাম এই বুঝি পেয়ে গেলাম স্বপ্নের সমান ঝিনুক ;যে ঝিনুকের মালার আদলে বাকিটুকু সময় যাপন করা যায়। কিন্তু না! যাপিত কচুরিপানা কখনো মনের দাবি পূর্ণ করতে পারে না, পারার কথা নয়।
তাই ভাবি বিষ্ণু দে কেন সাইনারার প্রার্থনা করেন, কেন বলে উঠেন "লেকে আজকাল সকলেই যায়/ ভালো লাগেনিকো তোমার যাওয়া।  মিশে গেলে তুমি সাধারণে হায়!  "
 শিল্পীত মনের রোদেলা আকাশে পাখি উড়তে পারে না, সেখানে মনপাখির উড়াউড়ি, ঘুরাঘুরি। আর মন তো অরশ্রী মার্কেট পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় সেঁজুতির আন্তরিক কামনায়, ব্লাক হাউজের চিত্রকর্মে নয়, চিত্রশিল্পীর মনের রৌদ্র-ছায়া বনে। তাই নারী কিংবা পুরুষ প্রজাপতি দেখে কিন্তু প্রজাপতি পায় না! আর প্রজাপতি মহাকালর্ষি একাকিত্ব ধারণ করে দীর্ঘমেয়াদি কষ্ট চাষাবাদ করে। ফলে সমকালীনমন হয়ে যায় কষ্টের খামার! তুমিও সে খামারবাড়ির এককালীন সদস্য, ভুলের ফুলের বাগান।
জানো
ভুলের একটি মহান শক্তি হলো তা মানুষকে চিন্তাশীল করে । চিন্তাশীল মানুষদের একটি জীবন থাকে, মৌলিক জীবন। মৌলিক জীবনের কাছে মৌমাছি আসে, জীবনের ঘ্রাণে নয় মৌয়ের  টানে। আহারে বেচারা মাছি! মৌ চিনেছিলো, মৌয়ের জীবন চিনে নি! তাতেও দুংখ নেই, দুংখ কেবল এই জন্য যে আজীবন মৌমাছি মৌজীবনের খোঁজও পাবে না, পাওয়ার কথা না।
কেন যেন!
আমার যাত্রাপথ  পরিবর্তন হলো। রাতের সাগরে নৌকা চালানোর নেশা থেকে মন উঠে গেল। সূর্যের বালুময় আলোতে পথ চলতে শুরু করি, পথ চলতে শুরু করি গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথে। হাঁটতে হাঁটতে এক নাগ কেশরের হাহাকার শুনতে পাই, আমার মায়াবতী মন তার কাছে গিয়ে শীতল এক প্রশান্তি অনুভব করে, এমন এক প্রশান্তি যে প্রশান্তির খোঁজে জীবনানন্দ মহাকাল, মহাদেশ ঘুরে বার বার বনলতার কাছে ফিরে আসতেন। বিস্মিত হওয়ার বিষয় নাগ কেশরের হাহাকার এতই পরিশীলন পরিশীলিত যে আমার মনের নদী-নালাকে কানায় কানায় পূর্ণ করে দিলো। বুঝলাম, হাহাকারই কেবল সকল হাহাকার থামিয়ে দিতে পারে।
আমরা এখন মালতী ফুলের চাষ করি। আমাদের বাগানে আমরাই মালী, আমরাই ফুল।  বিরহ - মধুর সলিল ছন্দে বয়ে চলে ফুলেল জীবন, জীবনের গান, ঘ্রাণ।
সুজাতা এখন পৃথিবীর মিষ্টান্ন মাথায় নিয়ে প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ গৌতম মানুষের অভিমুখী , চলেও আসবে। এখন শুধু সময়ের পালাক্রমে মাটিতে রসের আন্তর্জালে টুইটুই হওয়ার পালা।
তবে হ্যাঁ
হিমানীফুল যেন মাগরিব পর্যন্ত আমার পাশে থাকে, তবে আমি কিংবা আমরা মালতী ফুল, অজস্র ভুল হওয়ার যোগ্যতা রাখি, রাখবো।
ভুলের নৈতিকতা নান্দনিকতাকে সত্যায়িত করে। ভুলগুলো জীবনকে ফুলময় করে। তবে আমাদের ভুল যেন রুমালভুল না হয়!
কথা দাও দূরে যাবে না, জমানো বরফ হয়ে আমার সাগরে ভেসে থাকবে। আবার যখন জলীয় বাষ্পে ছড়িয়ে যাবে প্রকৃতির কুলকুল তালে আমি তখন ছন্দ হবো, তোমার চলার অদৃশ্য জোয়ার, তোমার আন্তাণুবিক দূরত্বে থেকে মজনু নয়, লায়লি -মজনু হবো-- ইতিহাস নয়, সময়ের পাতায়। তুমি প্রত্যুষে শাদা শাড়ি পড়ে মন্ত্রপাঠপূর্বক আমার দিকে তাকাবে, আমি তখন লজ্জায়  করিমুরি, তোমার মন্ত্রের বিনীত পাঠক--
'' আমার ধর্ম নেই, আমি যাকে ভালোবাসি সে ভাগ্যবানই আমার ধর্ম "
তখনই মনে পড়বে রাতের সাগরে ঝিনুক খোঁজার কথা, আমি মনে মনে হাসবো, আর তোমাকে পড়াবো হাসির সুতোয় বানানো অহংকারের পোশাক যা হবে মেলার মাঠের মতো উদার।

বুধবার, ২ জুলাই, ২০১৪

Nature

প্রকৃতি যখন কিছু নিয়ে যায় ;অনেক কিছু দিয়েও যায়

Nature knows what is the capita essential along with potential necessity  

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০১৪

মহাকালের মহাদেব

মরে যাওয়া এক ধরনের বেঁচে যাওয়া কিন্তু বেঁচে থাকা নয়। বেঁচে থেকে মরে যাওয়ার চেয়ে মরে গিয়ে বেঁচে থাকা নান্দনিক। কিন্তু মীর জাফরও  বেঁচে আছে, আলেকজান্ডারও বেঁচে আছে। আসলে কে বেঁচে আছে?
আলেকজান্ডারের বেঁচে থাকার মানদণ্ড মীরজাফর সম্প্রদায়। পরোক্ষভাবে মীরজাফরেরা আলেকজান্ডারের সাহসী, সততার সত্তাকে সত্যায়িত করে থাকে। তাই বেঁচে থাকার সাবলিল জায়গায় মীর জাফর প্রাসঙ্গিকভাবে মূখ্য।
তাহলে কে মারা যায়?
অলস শান্তিকামী মধ্যমপন্থা অবলম্বনকারী
এরা গাইও না, বলদও না,  মাঝ দিয়া ছেনা

আশ্চর্য প্রদীপ

আশ্চর্য প্রদীপ। বাংলার বই। ছোটকালে সিনেমাকে বই বলতে শুনতাম।  ছোট কালের চারপাশের মানুষগুলো মনে করতেন বই থেকে যেমন শেখা যায় তেমনি সিনেমা থেকেও শেখার অনেক কিছু আছে, থাকে। আমি বড় হলাম কিন্তু ছোট হয়ে গেলো বই শব্দটি। এখন বইয়ের অনেক নাম শুনি --সিনেমা, ফিল্ম, মুভি, শর্ট ফিল্ম আরো কত কিছু।
বইটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ''আশ্চর্য প্রদীপ" গল্প অবলম্বনে রচিত। চিত্রনাট্য গীতরচনা ও পরিচালনায় অনীক দত্ত।
''আঙ্গুল ফোলে কলা গাছ" প্রবাদটির প্রতিনিধিত্ব করে আজকের গ্লোবালাইজেশনের ঝকঝকানি কাভার। গ্লোবালাইজেশনের নামে চালাক শেয়ালগুলো অর্থের পাহাড়ে হচ্ছে ধনাঢ্য পুঁজিবাজারের মহাজন। কারো চাহিদা মাটির ব্যাংকে দুইচার পয়সা জমানোতে সীমাবদ্ধ, পাশাপাশি কারো চাহিদা সুইস ব্যাংকে ডলার জমানোতেও সীমাবদ্ধ থাকছে না। ফলে মানুষের নৈতিকতা অর্থের মানদণ্ডে চালিত, পরিচালিত। ছাপানো কাগজ যখন জীবন চালানোর মানদণ্ড তখন লোভাতুর মন ক্রমানুসারে ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। লোভ আর শান্তি এক সাথে থাকতে পারে না।  ফলে অর্থের পাহাড়ে থেকেও শুন্যতা গ্রাস করছে দিনের পর দিন, সময়ের পর সময়। তৈরি হচ্ছে বড় আকারে শাষন-শোষণ। শাষকগোষ্ঠী বিলাসিতায় জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে আরোপিত করেছে যাকিনা নৈতিকতা বর্জিত, মানবিকতা লঙ্ঘিত। শোষনের যাঁতাকলে নিপষ্পিত শ্রেণী হারাচ্ছে মানুষের উপর চিরকালীন মানবিক আস্থা। তাইতো মানুষের জীবন যন্ত্রের মতো রসহীন, অনুভূতিহীন রোবটজীবনের অনুষঙ্গবার্তা।
মানুষ, যন্ত্র, অবিশ্বাস, মুখোশ তারপরও আংশিক জীবন প্রভৃতি বিষয়কে উপজীব্য করে '' আশ্চর্য প্রদীপ " --
'' সব তো আর আইটি
বুঝলেন ভাইটি
এখন হইছে নানা রকম সব বুলি
কোনোটা রাখি আর কোনোটা ভুলি "

একজন ঝুমুর (শ্রীলেখা মিত্র)  গ্লোবালাইজেশনের প্রভাব সমর্থিত বাঙালি নারীর প্রতিভূ। যে দৈহিকভাবে বাঙালি কিন্তু মননে প্রচারিত আধুনিকতার প্রতিমা। রন্টিকে বাংলা নয়, ইংলিশ মিডিয়া পড়ানো যার স্বপ্ন।  অর্থ-বিভব এর কাছে পরাস্থ  স্বামী -স্ত্রীর সম্পর্কের সত্যতা।  অনিলাভ গুপ্ত (শ্বাশত চট্রোপাধ্যায়)  অর্থের গ্লেমারে কল গার্লে পুঁজিপতিসান্ত্বনা খোঁজে। কিন্তু সত্য বাস্তবতার মতো কঠিন। কল গার্ল  তার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে আসে, ততক্ষণে তার মনের তাপমাত্রা শরীরে ঘামের কাভারেজ সম্পূর্ণ করে। কারণ দরজা যে কলিং বিল চাপে, আর যে অনিলাভ গুপ্ত জৈবিক আনন্দে দরজা খোলে দুজনই অর্থের ঘোরে মোহাগ্রস্থ, জীবনের তালে মাতাল নয়, বেতাল।
একজন ঝুমুর আশ্চর্য প্রদীপের উপকরণ আরেকজন অনিলাভ গুপ্ত আশ্চর্য প্রদীপের উপাদান। ফলে টেলিভিশনের স্কিন থেকে ভেসে আসা শব্দটি ''Love is life " কোনো দিন সত্যের মুখ দেখেনি, বার বার মগজে ঘুরপাক খায় মালামালের উদার যৌবন। একজন হরিদাশ পালের কাছে গ্রাহক আর্জি রাখে '' মায়ের মুখের আকৃতিটা যেন মালামালের মুখের মতো হয়।প্রতিনিয়ত নতুন চায়, পুরাতনকে নতুনভাবে তৈরি করার ক্ষমতা রাখে না আশ্চর্য প্রদীপ
''Old work and no play makes Jack a dull boy "
এইভাবেই আশ্চর্য প্রদীপ অর্ফে প্রদীপ দত্ত তথ্যের ভাণ্ডারে পুঁজিপতিবাবা যিনি ভোগবাদের জিকিরে মাতোয়ারা!