সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

কংসাবতী র তর্জনী

কংসাবতী রূপে রাধাচূড়া পাতা, সহজে মিশে যেতে পারে আঁধারে কিংবা আলোয়। তার জীবনাচারের অধ্যায়গুলোও মৌলিক মনে- মননে। ইগল পাখির মানসিকতা তার প্রেমে।
কৃষ্ণচোখ যে চিলচোখ। হাবিয়া থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস কোনো সৌন্দর্য ডুক্কু ডুক্কু খেলবে আর কৃষ্ণ জানবে না,  এমন তো হতেই পারে না।  এমনটি হয়েছে ইতিহাসে নেই!
কংসাবতীও কৃষ্ণের কামনার নজরে আসে।রক্ত-মাংসময় কামনা।
কংসাবতীর আলিঙ্গনে শীতল হতে কৃষ্ণ ধারন করে দামোদর নদের ছদ্মবেশ।
- এস্ট্রোজেন হরমোনের অত্যাচারে নীল হয়ে উঠছি দিনের পর দিন, আমাকে শান্ত করো কংসাবতী
- দামোদর, তুমি কী চাও?
- তোমার উষ্ণ আলিঙ্গন
- তুমি আজ প্রান্তিক দামোদর, আমার দেহ, কায়া, তনু, মন সব কিছুই সাগরের দরগায় সমর্পিত
- হায়রে সময়, তোমার জন্ম কেন মানুষের ঘরে হলো না, তাহলে তুমি মানুষের দুংখ বুঝতে, এই দামোদরের দুংখ বুঝতে! এতো নিষ্ঠুর হতে নেই কংসাবতী!
- প্রয়োজনে নিষ্ঠুরতার নাম মানবিকতা,  জানো তো  মানবিকতা সুযোগ ব্যয়ের ধারণা মেনে চলে
 - দয়া করো দয়াময়ি, আমি তোমার দয়ার দরজার পাশে দাঁড়ানো
- ভিক্ষুকদের আমার রাজা পছন্দ করেন না, আমিও না
- তোমার মতো রাধাও আমাকে অপমান করেছিল, পরে তার কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে, ভারী হয়ে উঠে যমুনা নদী
- মেঘ হওয়ার আগে বৃষ্টি হতে নেই, তুমি তো তাই হলে। আচ্ছা,  অযোগ্যতা আমার কাছে যোগ্যতা, কাল সীতালগ্নে এসো, আমি না হয় রামের অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে হলেও তর্জনীটি তোমাকে অল্পক্ষণের  জন্য দিবো!
- বাপিসা! বাপিসা, কংসাবতী গো তোমার কোমলমহতী মন

সীতালগ্ন আসার আগেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছে তর্জনী! কংসাবতীর তর্জনী এখন এ্যাম্বুলেন্সে, তারপর হাসপাতালে, তারপর রাজপ্রাসাদে।

কংসাবতীকে বিশ্বাস করা যায়, কংসাবতীর তর্জনীকে না!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন