বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২

ভাষার চলাফেরা

 বাজে কয়টা ভাই?

দশটা।

সই দশটা?

হুম। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নরসিংদী কিশোরগঞ্জে সই মানে সমান। সই দশটা মানে সমান দশটা। সই(সহি) দেয়া মানে স্বাক্ষর  দেয়া— টিপসই শব্দটি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও ত্রিপুরা রাজ্যে বহুল প্রচলিত। সই আবার বান্ধবী অর্থেও ব্যবহৃত হয়— দুস্ত মানে বন্ধু, দুস্তের বিপরীত শব্দ হিসাবে সই ব্যবহৃত হয়— তখন সখি হতে সই শব্দের জন্ম।


'সই কইরা লামু' শব্দটি ঠিক করে ফেলা অর্থে ব্যবহৃত হয়। কেউ যখন খুব বাড়াবাড়ি করে তখন 'সই কইরা লামু' শব্দটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের মানুষ বলে থাকে। 'সই করা' মানে সমান করা। লাঙল দিয়ে চাষ করার পর ক্ষেতে ইডা বা মাটির ঢিলা জমা হয়। আর সেই ইডা বা মাটির ঢিলা মই বা চগম দিয়ে অথবা মুহৈর<মুগুর ব্যবহার করে ভেঙে সমান করে বিজ ফেলার উপযোগিতা নির্মাণ করতে হয়। ক্ষেতের ইডা বা মাটির ঢিলা ভেঙে সমান করাকে ত্রিপুরা রাজ্য ও ময়মনসিংহের মানুষ বলে 'সই করা'। তাই সই করা মানে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাউকে নির্মান করা। আবার 'সই করা' তাক করা অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 


—হে আমারে সই কইরা ইডা মারছে।


ইডা মানে মাটির ঢিলা বা মাটির শক্ত গোলক। ইডার চাহা মূলত বিশেষ্য। ইডা ক্রিয়া+বিশেষ্য অর্থে ব্যবহৃত হয়—ইডা শব্দটি একা একা খুবই কম ব্যবহৃত হয়— ইডা দেয়া,ইডা মারা, ইডা ভাঙা,ইডা খাওয়া, ইডা দেখা। ইডা দেখা আবার প্রবাদ বাক্য যার অর্থ চোখে বিপদ দেখা বা ভবিষ্যতে বিপদের সম্ভাবনা দেখা। 


আবেগ যখন ঘন হয়ে আসে তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের মানুষ ইডাকে বলে ইডাল অথবা ইন্ডাল।


আবার ইডা শব্দটি কিন্তু এটা অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে— এটা>এইডা>ইডা>ইতা— ইডা শব্দটি তখন সর্বনাম এবং তাচ্ছিল্য ও রাগ প্রকাশে এই ইডা সর্বনামটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 'ইডা'র বহুবচন ইতা এবং ইতান। খুবই নিচু ও তাচ্ছিল্যের সুরে কোনো সর্বনামকে ইঙ্গিত করতে 'ইতান' শব্দটি উচ্চারণ করা হয় এবং প্রায়ই ইতান+এ=ইতানে বলা হয় রাগের আবেগকে আরও ঘন করে আনার জন্যে। ইতানে সর্বনামটি কখনো কখনো কর্ম আবার কখনো কখনো কর্তা হিসাবে বাক্যে বসে।


— আমি জানি ইতানে গ্রামের সর্বনাশ করছে!=কর্তা

—মাস্টার ইতানরে ছাত্র মনে করে না।= কর্ম

— ইডা কার পোলা?

—ইতা কোন জীবনে মানুষের কামে লাগযে?

— ইতানে শুধু খায় আর ঘুমায়।

— ইতানরে কেডা কইছে মেম্বরের কাছে যাইত?


ইডা (This one) সর্বনামটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে নিকটে অবস্থান করছে এমন কাউকে বুঝাতে। হিডা (That one) সর্বনামটি একবচনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে নিকট দূরে অথবা দূরে অবস্থান করছে এমন কাউকে বুঝাতে। ইডার বহুবচন ইতা বা ইতানে। হিডার বহুবচন হিতা বা হিতানে। 


— ইতানে এ কতা না কইলে হিতানে জানছে কেমনে?


ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের 'স'কে 'হ' উচ্চারণ করার একটি সুন্দর প্রবনতা রয়েছে~সকলে>হগলে,  সিঁথি সিঁদু> হিতি হিদু। 


সিথান,শিথান, (বিশেষ্য)= শিয়রদেশ; শয়নকারীর শীর্ষদেশ; শোয়া অবস্থায় মাথার দিক(মেঘের মতো গুচ্ছ কেশরাশি শিথান ঢাকি পড়ছে ভারে ভারে— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর),উপাধান; মাথার বালিশ, মাথা (শিথানে সিদুঁর)। (বিপরীতার্থক শব্দ) পৈথান। {(তৎসম বা সংস্কৃত) শিরঃস্থান>}।


এই সিথান শব্দটিকে নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ অঞ্চলে 'হিতান' বলে— এই জনের পরিবর্তে বলে 'ইলা', সেই জনের পরিবর্তে বলে 'হিলা'। ইলা এবং হিলা সর্বনামটি বড়জনকে বুঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।


— ইলা এ্যাস্টনকে ডাকছে।

— হিলা হালি ভাই ভাই করে। 


বিষয়টি মজার। কারন ইলা এবং হিলা যেমন কর্তা হিসাবে বাক্যে বসে তেমনি সম্বন্ধ পদ হিসাবেও বাক্যে  ব্যবহৃত হতে আমরা দেখতে পাই। 


—ইলার লাইগগা তোরে আজগা মাফ করছি।

—হিলার লগে তুমি কতা কইতে গেছ কেরে?

সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

ওগো প্রিয় স্টেশন প্রিয়া

 একটি বেকার স্টেশন— একটি বেকার স্টেশনে বসে আছি—কতিপয় মৌমাছি টেবিলে বৈকালিক খেলাধূলা ছেড়ে খাওয়াদাওয়াতে ব্যস্ত। ট্রেন আসতে অনেক দেরি।


একজন দোকানি মহিলার সাথে স্টেশনের হকার এক লোকের তুমুল বাকযুদ্ধ চলছে। নিশ্চিত হকার লোকটির রাতে ঘুম হয়নি। হকার লোকটির ভাবসাব এমন যেনো সে প্রতিবাদী আন্দোলনের সম্মুখযোদ্ধা। ট্রেন আসতে অনেক দেরি। রোদের ছায়া পশ্চিম দিকে হেলেদুলে পড়ছে।


হকার লোকটির রাগ বাড়ছে— তিন নাম্বার থেকে একেবারে সাত নাম্বার বিপদ সংকেত— দোকানি মহিলার বাড়ছে অসহায়ত্ব—চোখে জল তার টলমল।


হকার লোকটির রাগভাব একেবারে দমন করে স্টেশনের এক হুজুর দোকানি— সেরের উপর সোয়া সের।


প্রায় এক মাস পর আবার স্টেশনে হিজরা দেখি— তাও আবার বোরখা হিজাব পরিহিত অবস্থায়। দোকানি মহিলাটি খাবার খাচ্ছে— দুপুরের খাবার— তাও আবার বিকালবেলার চশমাপরা সময়ে। ট্রেন আসতে অনেক দেরি।


স্টেশনের নিরাপদ নির্জনতা আর কবরের হাইফেন রূপকথার মধ্যে অমিল থাকলেও মিলের মিলিয়ন সাদৃশ্য অবশ্যই চাপা পরে আছে কথাফুলের গন্ধের আড়ালে— সৌরভ এবং গৌরব সহোদরা অস্থায়ী ভাস্কর্য। ট্রেন আসতে এখনো অনেক দেরি।


প্লাটফর্মে মা কুকুরটি তাকিয়ে আছে বাচ্চার চোখের দিকে—বাচ্চার চোখে নিজের ক্ষমতা দেখতে পায় মা— পৃথিবী তাকে ক্ষমতাহীন  করলেও বাচ্চার পৃথিবীতে সে রাজা— রাজা হতে কার না ভালো লাগে!?


ট্রেন আসতে এখনো দেরি— দেরিপথ আজ অথবা কাল কমে আসবে— ট্রেন আসবে— আমি হয়ে যাবো ট্রেনের যাত্রী— স্টেশন আবার কোনো যাত্রীকে তুলে দিবে ট্রেনে।

ট্রেন আসবে যাবে— যাত্রী আসবে যাবে— স্টেশন ট্রেন ও যাত্রীকে নিয়ে জন্মের মতো একা।

বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২

বাসুদেব অর্জুন কিংবা বাসুদেব

 অর্জুন— বাসুদেব, ইদানিং ব্রেইন কাজ করে কম,স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে মনে হচ্ছে।

বাসুদেব— রাতে ঘুমানোর ঠিক আগ মুহূর্তে এক চামচ মধু খাবে।


প্রায় এক মাস বয়ে গেলো— অনেকগুলো রাত ঢুকে গেলো দিনের ভেতর— অনেকগুলো দিন ঢুকে গেলো রাতের ভেতর— জন্ম নিলো হাজারো ঘটনা হাজারো লেনদেন।


অর্জুন— বাসুদেব, আমার ব্রেইনের অবস্থা তো আগের চেয়েও খারাপ হচ্ছে


বাসুদেব— আচ্ছা 

অর্জুন— একটা পথ দেখান বাসুদেব 

বাসুদেব— মধু খেয়েছো নিয়মিত? 

অর্জুন— মধুতে ভেজাল, তাই খেজুর গুড় খেয়েছি, মধুও মিডা খেজুরের গুড়ও মিডা।

 

বাসুদেব— হা হা হা 


বাসুদেব— বাবুরে, বিষও তিতা, চিরতার জলও তিতা, তুমি নিশ্চয়ই চিরতার অভাবে বিষের প্রয়োজন অনুভব করবে না!?

অর্জুন— ভুল হয়েছে বাসুদেব, ব্রেইন ইদানিং একটু কম কাজ করছে তো

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

ওগো

 মনে একেছো তুমি প্রেমিকের খেয়াল 

চোখে রেখেছো ওগো ভাষার দেয়াল

বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২

বাচো দীর্ঘশ্বাসে

 পড়তে যখন ইচ্ছে হলো 

পড়তে তুমি থাকো 

অসুখটুসুখ গায়ে তোমার ভালো করে মাখো 

ইচ্ছে এক দারুণ ব্যাপার 

সকাল বেলার পাখি 

ইচ্ছে হলে পালক কেটো 

কেটে নিও আখি 

কিচ্ছু হবেনা

রঙের দুনিয়া 

দেখবেনা 

উড়বেনা— এইটুকু আর কি!?

মন খারাপের দিনে বেদনাকে ডাকো

ইচ্ছে হলে বিষন্নতায় অহিনিশি থাকো

ভালো থাকা বাজে ব্যাপার 

তোমার সাথে যায়না

বাজার থেকে কিনে আনো অজুহাতের আয়না

তারপর এক সকাল দেখে মন খারাপের দেশে

সব প্রজাদের রাজা হয়ে বাচো দীর্ঘশ্বাসে

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

আ ফা লে র মা ছ

 ০১

মানুষ 'শয়তান' বলে গালি দিতে দিতে শয়তানের দায়িত্ব কমিয়ে দিচ্ছে


০২

আজ বৃষ্টি হলে কাল থেকে জলের ইহকাল শুরু, ঘুম এক পরকালের নাম


০৩

অনেকের কাছে প্রেমিকা শব্দের বাংলা অনুবাদ রোবট যাকে রিমোট দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা যায়, স্বামী শব্দের বাংলা অনুবাদ রাখাল যার ইশারা সীমানায় প্রত্যেকটি পশু রাব্বাইক রাব্বাইক বলতে বাধ্য


০৪

গোবরের পদ্মফুল ছদ্মবেশে গোবরই থাকে


০৫

রেজা ভাই একা চলে, সাথে নিয়ে রব, কখনো তাকে সাথে অনিন্দ্য রফরফ


০৬

সমস্যা সমুদ্র হমান, সমাধানের উপায় যেনো ডিঙি নৌকা, তবু সমস্যা সমাধান করতে হবে এক এক করে, একেবারে নয়


০৭ 

অঙ্গ ব্যবহার না করলে অঙ্গহানি ঘটে


০৮

কালো কোনো রঙ নয়— সব রঙকে সে ধারন করে— আল্লা কোনো রঙ নয়— সব রঙকে তিনি ধারণ করেন


০৯

পরিস্থিতি পালটাই কিন্তু দরজা খোলার কাজটি দরজাতেই থেকে যায়


১০

টাকাহীনরে হঠাৎ করে টাকা দিও না প্রভু,তাহলে সে মানুষের মনকে হিরোশিমা নাগাসাকি বানিয়ে ফেলবে— টাকা দিও কাউকে যেনো সে সহনশীল হয়ে উঠে নিজের প্রতি এবং নিজের পারিপার্শ্বিকতার প্রতি


১১

রাতে সূর্যের অস্তিত্ব খুজতে বের হন রেজা ভাই— রাতে সূর্যের অস্তিত্ব মনে নিয়ে বসে থাকার নাম আস্তিকতা


১২

প্রেম মানে প্রিয়জনের মনে ও গতরে ঢলে পড়া— প্রিয়জন সরে গেলে মাটিতে মিশে যেতে হয়— জাস্ট মিশে যেতে হয়— বিদেশি ভাষায় এই মিশে যাওয়ার নাম দেবদাস বা মজনু


১৩

প্রচারে আচার না থাকলে জীবনে এসে সে প্রচার অনাচারের অবয়ব ধারন করে


১৪

সঠিক সময়ে বর্জন করতে পারলে বর্জন অর্জন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে


১৫

জীবনকে সহজ করার আশায় যে আপনার ঘর করতে আসবে,জীবন কঠিন হয়ে গ্যাছে এই কথা বলে সে পালাবে


১৬

শারীরিক বীর্যে কেউ প্রেগন্যান্ট হলে তার পেট ভর হয় আলস্য ভর করে, আদর্শের বীর্যে কেউ প্রেগন্যান্ট হলে তার মন ভর হয় মানসিক শক্তি বেড়ে যায়


১৭

মানসিকভাবে সমমুখী  দুটি মানুষ পরস্পরকে বিকর্ষণ করে দূরে থাকে— মানসিকতার দিক থেকে ভিন্ন দুটি মানুষ পরস্পরকে আকর্ষণ করে সংসার করে, মানসিকভাবে সমমুখী দুটি মানুষ নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করে রাধাকৃষ্ণ প্রেম করে


১৮

মিথ্যার বাপের নাম মিথ্যা— মিথ্যার মায়ের নাম ক্ষতি কর্মকার


১৯

হুদা আত মুখে যায় না কিন্তু শিশুর হুদা আত মুখেই থাকে— শিশুর মতো নিষ্পাপ যারা তারাও হুদা আত মুখে নিতে জানে 


২০ 

Thinking over nothing is absolutely nothing 


২১

দশের অবস্থাই মূলত দেশের অবস্থা


২২

ব্রেক ফেইল মানুষের সামনে থেকে জাস্ট নিজেকে সরিয়ে নিতে হয়


২৩

লোভ বেশি কাজ করলে ব্রেইন কাজ করে কম


২৪

ঘরে যাওয়া আর ঘুরতে যাওয়া এক কথা নয়

 

২৫

ছোট্ট কিছুকে যারা বড় করতে পারে তারাই দিনশেষে বড় হয়— বড় কিছুকে ধরে রাখা ছোট মনের কাজ

 

২৬

হেসে কথা বলুন— দেখবেন, দেশে রিজার্ভের সূর্য উঠবে— সংসারে নামবে হিজলের ছায়া


২৭

মেয়েদের অনুমান কুকুরের ঘ্রানশক্তির মতো শক্তিশালী


২৮

এই গভীর রাত জানে— জানে আমার চোখের জল— আমি এসেছি মানুষের পাশে দাড়াতে— মানুষকে ভরসা দিতে— মানুষের ভয় দূর করতে— আমাকে ভুল বুঝে তোমরা আমাকে দূরে সরিয়ে দিও না প্লিস— দূরে চলে গেলেও সূর্য হবো— তোমাদের অন্ধকার দূর করে দিয়ে আনবো ফসলি প্রভাত।


২৯

পাহাড়ের মরা ডাল সমতলের জিন্দা ডালের চেয়ে শক্তিশালী


৩০

ভালোবাসতে গিয়ে দেখবে ভালো বাসাটা হারিয়ে গ্যাছে সমাজের ছায়াতলে— ভালোবাসার খাবার ত্যাগ— ভালো বাসার জন্যে চায় আপোষ


৩১

"You are born and you are made up" is not the same idea deon or discipline— In your born discipline your family your society your state will be your somehow comfort zone and you will be estimated a positive ashore— In the way of making up discipline you are completely alone and you have to face small and big verdict hiccup oration— Groggy support you will get but it’s little enough. In your born discipline you the narrative only— You the creative one, an extraordinary creative in your making up discipline and It's the most sedentary way to spend your life and make your life enjoyable strolling Ocean.


৩২

সমস্যা হচ্ছে মাঠের বাইরে কথাবলা লোকের অভাব নাই— মাঠের ভেতরে কাজের লোকের বড়ই অভাব


৩৩

পোষা পাখি ঘরে না ফিরলে হয় পাখি নতুন ঘর পেয়েছে নতুবা পথ হারিয়েছে


৩৪

চোখের সামনে খাবার দেখে সুস্বাদু ভেবে আনন্দিত হবেন না— খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারি হলে তা আপনার শরীরের উপাদান হয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার আনন্দ ও প্রশান্তির কারন হবে 


৩৫

যে ভালো থাকে একমাত্র সেই ক্ষমতা রাখে ভালো রাখার— সমাজের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত কত মা স্টেশনে সন্তান বিক্রি করে দেয় রাতের আড়ালে— শুকনো পাতার কাছে সবুজ প্রার্থনা করে কেবলই যারা অবুঝ— প্রাজ্ঞ-জীবন ছুটে চলে সবুজের বিপুলা অক্সিজেনের বনে 


৩৬

দায় মানে কোনো কিছুর উপর অন্যের অধিকার। কন্যাসন্তান পিতা-মাতার কাছে এক প্রকার দায়। প্রতিটি কন্যাসন্তান দায় হয়ে জন্মগ্রহণ করে  যাহাদের শরীরে অদৃশ্যভাবে লেখা থাকে চাহিবার মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবেন।


৩৭

তোমার ঠোঁটের মতো প্রিয় কোনো কম্পন হৃদয়ে আমার জমা নেই

তবুও তোমার হৃদয় গলনাঙ্ক ব্রথেল 


Sweet sound of your lip, deemed vibration of yours is acute afar from the storage of mine

But yet your heart is brothel alike, your heart in melting point 


৩৮

ঘরের ইন্দুর বেড়া কাটবে ইডাতো স্বাভাবিক কথা— ইন্দুর ঘরের কাপড় ঘরের বেড়া কেটেই তার নির্ধারিত কাজ বা রুটিন ওয়ার্ক চরিত্রের সাথে করে থাকে— ইন্দুর না বুঝবে ঘর না বুঝবে বাহির— এমনটাই ইন্দুরের ক্লাসিক স্বভাব— অথচ চিরায়ত মহান মানুষ ইন্দুরকে ক্লাসের আদর্শলিপি বইয়ের নামাতা-বানানের স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে ব্যবহার করতে চায়— মানুষের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে ঝুলে থাকে শিকারভুলা বিলাই


৩৯

চোখমন অন্ধ হলে সূর্যের আলোতেও আপনি অন্ধকারে


৪০

আদম নবীকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হলো— নিশ্চয়ই জান্নাত থেকে বের করে দিয়ে তাকে আবার জান্নাতে রাখবেন না— তাহলে তাকে কোথায় পাঠালেন? সোজা কথা, জাহান্নামে! আর জাহান্নামটা কোথায়?  পৃথিবী। ইলমাল ইয়াকিন এবং আইনাল ইয়াকিন বলে আল্লার হুকুমে থাকার নাম জান্নাত আর হুকুমের বাইরে অবস্থান করার নাম জাহান্নাম।


৪১

শ্রেষ্ঠ ভালোবাসাটা পেতে রাজার মেয়ে হওয়া লাগে না— প্রেমিকের রাজা হওয়া লাগে


৪২

যখন কেউ কারন না জেনে সিদ্ধান্ত বলে দেয় তখন সে কানকথা লাগানো মানুষ 


৪৩

পাতার সংসার ততক্ষণ পর্যন্ত সবুজ যতক্ষণ তার সম্পর্ক গাছের সাথে— গাছ ততক্ষণ পর্যন্ত জীবিত যতক্ষণ তার সম্পর্ক শেকড়ের সাথে— শেকড় মাটির উপরে চলে আসলে সবুজের বিলুপ্তি ঘটবে


৪৪

অত্যন্ত বিশ্বাসের সাথে স্ত্রী স্বামীর বিশ্বাস ভাঙতে জানে— স্বামী চৎমকার নির্ভরতায় অন্যের সুরঙ্গে ঢুকতে জানে—তাইতো বলি, স্বামী আর স্ত্রী সম্পর্ক চরম বিশ্রী দেখতে দারুণ সুশ্রী


৪৫

সূর্য মেঘের আড়ালে গেলেও তাপ দেয়, চাঁদ দেয় জোছনা— আড়াল মানে ঘুমিয়ে যাওয়া নয় জনাব— জেগে থাকার হিজরত প্রার্থনা


৪৬

যন্ত্র ব্যবহারের আগে বুঝা যায় না তা ভালো না মন্দ— বিয়ে এমন এক যন্ত্র যা ফিরত দিতে গেলেও যন্ত্রণা দেয়


৪৭

গাধাকে ট্রেনিং দিয়ে দেখুন— উত্তম গাধা হবে— গাধাকে ট্রেনিং না দিয়ে গাধা হিসাবে বাচতে সহায়তা করুন— কিপটাকে দানবির হাজী মোহাম্মদ মহসিনের ওয়াজ করে দেখুন— কিপটা মহসিনকে খুজে বের করবে কিন্তু নিজে হজী মোহাম্মদ মহসিন হবে না


৪৮

You are the poor one may be, your eyes aren’t yet, your eye is a rich kid to aid you and Show you more something


৪৯

আমরা জীবনকে চূড়ান্ত বলে মনে করি— দুধ যদি চূড়ান্ত হতো দই মাখন ঘিকে আমরা পেতাম না— প্রত্যেক রূপান্তরের সূচনাপর্ব রয়েছে— জীবনের রূপান্তর মূলত জীবনের চূড়ান্তরূপ।


৫০

প্রেম প্রিয় উকায়ালি নদী— সাতার জানলে নদীর ভেতরে তুমি কৌশলী তরী— কৌশল হারালে তরীতে হায় মরি মরি

শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২

বান্দরবান এবং নাফাখুম

 কবুতর শান্তির প্রতীক— এমনটাই বলা হয়ে থাকে— এমনটা বলার পেছনে অনেক কাহিনি রয়েছে— ইসলামিকসংস্থা একধরনের কাহিনি বলে— সমাজবিজ্ঞানী একধরনের কাহিনি বলে— রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই আরেকধারার কাহিনি বলবেন। তবে আমার কাছে একটি কথা খুব ভালো লেগেছে— কবুতর পরকীয়া করে না—  কবুতর সঙ্গী বদল করতে চায় না— সঙ্গী মারা গেলেও নতুন সঙ্গী নিতে বা তাকে দিতে বহু জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।তাই কবুতর শান্তির প্রতীক। 


নাফার খুব প্রিয় কবুতর। কারন একটাই। কবুতর পরকীয়া করে না। নাফার খুব ভালো বন্ধু তুন ইয়াত। তুন ইয়াতের সাথে নাফা আজ ঘুমধুম গ্রামে যাবে। বাড়ির বাইরে-টাইরে সে খুব একটা যায় না— যাওয়ার ইচ্ছা হয়। আজ সে যাবেই। 


তারা যাত্রা শুরু করে। পাহাড়ি রাস্তা তাদের চেনা। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা পৌঁছে যায় ঘুমধুম গ্রাম। গ্রাম ভালো লেগে যায় তাদের। রাতে তুন ইয়াতের খালার বাড়িতে থেকে যায় নাফা। সকালে বাড়ি ফিরে। সকাল বলতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়।


বাড়ি ফিরে নাফা দেখে তার স্বামী হাসেলিয়া অগ্নিমূর্তি ধারন করে আছে— সে বিশ্বাস করতে পারছে না আর নাফাকে— নাফা কোনোভাবেই হাসেলিয়াকে বিশ্বাস করাতে পারছে না তুন ইয়াত তার একজন ভালো বন্ধু জাস্ট— এর বেশি কিছু না। পরিস্থিতি আরও জটিল হতে থাকে— হাসেলিয়ার ঘ্যানঘ্যান ঘ্যানঘ্যানানি বাড়তে থাকে। মেয়েদেরকে মেরুদণ্ড মনে করে এমন পরিবার বাংলাদেশে খুব কম।পাহাড়েও। পারিবারিক অযথা চাপ বাড়তে থাকে নাফার মানসিক পাড়ায়। একদিন সব কিছু উপেক্ষা করে উধাও! কোথায় গ্যাছে নাফা কেউ জানে না! 


হাসেলিয়ার ঘরে নতুন বউ আসে।  তুন ইয়াত তার প্রেমিকাকে বিয়ে করে। নাফা উধাও মানে উধাও— আর তার দেখা নাই। 


জোছনা রাত। মিহিদানার মতো মৃদুমন্দ বাতাস। পাহাড়ি বাহারি পাতায় যেনো রঙের যৌবন উন্মাদ খেলা— এমন সময় ঝর্ণার পাশে পাহাড়ি বৈচিত্র্যময় ফুলের ❀ শাড়ি পরে নৃত্য করছে এক নারী। গ্রামের সবাই ছুটে আসে তাকে দেখতে। মধ্যরাত। তুন ইয়াত তাকে দেখতে পাচ্ছে। হাসেলিয়া পাচ্ছে না। নাফাকে দেখতে পাওয়া একধরনের প্রেস্টিজিয়াস ইসু হয়ে দাঁড়িয়েছে— যারা নাফাকে দেখতে পাচ্ছে তারা নিজেকে অনেক পুন্যবান মনে করছে— আর পুন্যের ভিত্তিতে পাহাড়ে রাজা নির্ধারিত হয়। গ্রামের যেসকল স্বামী তাদের বউকে বিশ্বাস করে কেবল তারাই দেখতে পাচ্ছে ঝর্নানারীর মনভুলানো নৃত্য। তুন ইয়াতের সেই ঝর্নানারীকে চিনতে ভুল হয় নাই— নাফা— নাফা সেই নৃত্যরত নারীর নাম। 

তারপর থেকে সেই ঝর্নার নাম নাফাখুম।


নাফাখুমের চোখ বরাবর ঝুলন্ত ব্রিজ। ব্রিজটা শতবর্ষী দাদির পানখাওয়া দাতের মতো নড়ে কিন্তু পড়ে না। বিজ্রে দাড়িয়ে আছি। ঝরনার জলবাষ্প আমার সমগ্র শরীরে আছরে পড়ছে। রাত প্রায় তিনটা। নাফাখুমবাসী ঘুমাচ্ছে। আমিও ঘুমাতে পারি— ঘুম এক বিশ্রামের নাম। ঝরনার জলবাষ্প আমার অনুভূতির এলাকায় এমন প্রশান্তির ধারা বয়ে দিয়ে যাচ্ছে যা বিশ্রামের অধিক কিছু। কানে আসছে পাহাড়ি পাখির ডাক। এমন ডাক জীবনে প্রথমে কানে বাজছে। খুব সুন্দর মনের মানুষ মারা গেলে পাহাড়ি পাখির ডাক হয়ে যায়— মায়াভরা সুরের রাধাশ্যাম আহবান— যাকে ধরা যায় না,আবার পরিহারও করা যায় না— যেনো প্রদোষ প্রবর প্রদ্যোত।


নাফাকে দেখার জন্যে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষ  এই কুয়াশায়ময় শীতল শীর্ষ ঝর্নার কাছে— কেউ পায় কেউ পায় না— কেউ থেকে যেতে চায় নাফাখুম অনিবার্য কালের শেষ রেখার শেষ ইচ্ছাবৃন্ত পর্যন্ত।


বান্দরবান থেকে থানছি। থানছি থেকে রেমাক্রি। রেমাক্রি থেকে নাফাখুম। বান্দরবান থেকে থানছি প্রায় ৯০ কিলোমিটার। থানছি মানে বিশ্রামের স্থান।বান্দরবান থেকে থানছি যাওয়ার আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা চোখের নিচে নরম শীতল আবহাওয়া নির্মাণ করে নিতে জানে— পাহাড়ি নরম কোমল তুলতুলে সবুজের শরীর মনের গভীরে বাসরের আয়োজন করে নিবে সচেতন মনকে ফাকি দিয়ে। কি বলিব চুলখোলা মেঘ বেগম আর বাতাস প্রিয়ার কথা— যেনো নির্জন বনে প্রিয়তমার ঠোঁটের উপত্যকায় অধর অধিকারের প্রথম প্রশান্তি!


ফাকে একটা কথা বলে নেয়া দরকার। আমার পরিচিত এক ছোট বোন পাহাড় থেকে একটি বিলাই আনে। বিলাই বা ফেলিস ক্যাটাস রাধার মতো রাতে অভিসার করে। রেমাক্রির চেয়ারম্যান মার্কেটে সে প্রায় এক মাসের মতো ছিলো। হঠাৎ একদিন রাতে বিড়ালের কান্না শুনতে পায়। তার ঘুম ভেঙে যায়। তার একটি অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে— তার পায়ের শব্দ শুনলেই বিলাই দৌড়ে আসে। তার পায়ের শব্দ শুনেই বিড়ালটি কান্না রেখে দৌড়ে আসে। বিলাই বা ফেলিস ক্যাটাস রাতে অভিসারে যায়। তাই রাতে তাদের কান্না বাড়ে— পার্টনার খুজতে থাকে। তাদের কান্না মূলত কান্না নয়— শ্যামের বাশি।


বিলাইটিকে সে গ্রামে নিয়ে আসে। ঘুম থেকে উঠে বিলাইটিকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকদিন বয়ে গেলো— পাওয়া যাচ্ছে নাতো যাচ্ছে না। পাওয়া গেলো— কারের উপরে। কার থেকে নামানো হলো। আবার চলে যায় কারের উপরে। কারের উপরে তাকে খাবার দাবার দেয়া হচ্ছে। বিলিভ ইট অর নট— প্রায় ছয় মাস বিলাইটি কারের উপরে ছিলো। শ্যামা প্রিয় উল্লাস পাহাড়ের বিলাইটিকে রাখতে পারেনি— পাহাড়ের বিলাইকে সে পাহাড়েই রেখে আসে। 


পাহাড়ের বিলাইটি কেনো সমতলে নিজের জায়গা করে নিতে পারেনি তা নিয়ে টিম বাংলাদেশের অনেক বড় মিটিং হয়েছিল। রেজাল্ট আসেনি। এসেছিল অনুমান। তবে আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি পাহাড়ের বিলাইকে সমতল- সম্মান-সম্মত করে তুলবো— তাতে বাংলাদেশের বহত ফায়দা হবে।


সিমলার রাস্তা আর বান্দরবানের রাস্তা যেনো সহোদরা— একজন পার্লারে যাওয়া শিখেছে অন্যজন প্রাকৃতিক উপায়ে নিজেকে সজ্জিত করে রেখেছে। মানে কী? মানে খুব সোজা। বান্দরবান এবং তার রাস্তাঘাট এখনো প্রাকৃতিক— তবে প্রাচীন নহে। সেইদিন হয়তো বেশি দূরে নয় যখন দেখবো বান্দরবানের শরীরেরও আধুনিক পৃথিবীর চলমান ছোয়া। তবে নীলাচল( সাজানো পাহাড়) থেকে রাতের পাহাড়কে মনে হয়েছে প্রায় সিমলাময়— মানে পাহাড়ের অলিগলিতেও দিনে দিনে পড়ছে আধুনিক পৃথিবীর ছোয়া। সেই সন্ধ্যা রাতের নীলাচল— তার আঁচল বিছানো বাতাস শরীরে যে প্রশান্তির ধারা বয়ে দিয়েছে তা বজায় থাকবে কোষের কোনায় কোনায় আজীবন— সত্যিই পাহাড় ব্যতীত এমন প্রশান্তির বাতাস অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না— এমন বাতাস কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি— বাতাস প্রিয়ার রানী সে যে আমার পাহাড় ভূমি। 


নাফার শরীরে এখনো আধুনিক পৃথিবীর চলমান ছোয়া স্পর্শ করতে পারেনি। আজ সে এসেছে কুয়াশার পোশাকে। অসম্ভব অবলা সৌন্দর্য আজ তার অঙ্গে— কাশফুলের শরীরে ভরা জোছনা পড়লে উপর থেকে যেমন দেখায় তেমন সমাহিত সৌন্দর্য সমাহার নাফার সমগ্র শরীরে— শরীরে তার বাতাবি লেবু আর রজনীগন্ধার মোহমায়া ঘ্রাণ। পাহাড়ি লাতা ডাকছে— সকাল হয়ে এলো— মনে হলো এক পলক। এবার মুখে কথা ফুটে আমার— নাফাকে বলি, চলো আমার সাথে। নাফা হাসে। হাসি তো নয়— যেনো ছাতিম ফুলের গন্ধ উড়ছে আকাশে বাতাসে। আবার ভাবি নাফাকে কেনো আমার সাথে যেতে বলি— আমিও তো থেকে যেতে পারি। আমরা সবই কেনো আমার করতে চাই— আমরা কী হতে পারি না তার কিংবা তাদের।


পাহাড়কে আমাদের মতো করতে গেলে বড় ভুল হয়ে যাবে। পাহাড়ের নিজস্ব প্রান আছে একেবারে নিজের মতো— সবার মতো— আবার সবার থেকে সবচেয়ে আলাদা। থানছি থেকে রেমাক্রি যাওয়ার পথে যে স্বর্গলাভ হয়, রেমাক্রি থেকে নাফাখুম যাওয়ার পথে যে অন্তরলোক অনুভূতির সন্ধান মেলে তা পৃথিবীর কোথাও এমন করে আছে বলে আমার মনে হয় না। নৌকা চলছে— দুপাশে সবুজের আকাশ— সবুজ আকাশের উপরে মেঘময় বাতাসি নীলার চুলের বাহার— পুরাতন বড় বড় পাথর— বাতাসের বিশুদ্ধ উচ্চারণ— নৌকা চলছে— মাটি পুরাতন হতে হতে পাথর প্রাসাদ হয়ে, হয়ে গ্যাছে গাছের নিরাপদ আশ্রয়। কতশত গাছ আছে এই পাহাড়ে বলা মুশকিল। কেউ কেউ হয়তো জরিপ আমাদের সামনে উপস্থাপন করবে কিন্তু তা সত্য নয়— পাহাড়ের ভাষা যারা জানে তারা হয়তো অনুমান করতে পারবে— তবে সঠিক তথ্য অনেক অনেক দূরে।


দেশের দক্ষিণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি পাহাড়ি নদী সাঙ্গু—  সাঙ্গুকে শঙ্খ নদী বলতে বেশ আরাম লাগে আমার— কর্নফুলীর পর এটি চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী— বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি নদীর উৎপত্তি তার মধ্যে শঙ্খ নদী অন্যতম— মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার মদক এলাকার পাহাড়ে সাঙ্গু নদীর জন্ম— বান্দরবান জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, আনােয়ারা ও বাঁশখালীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাঙ্গু সাপের মতো রাবারের দেহ আর সর্পিল ভঙ্গিতে  বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে— উৎসমুখ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত সাঙ্গুর দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার— ১৮৬০ সাল— চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গেজেটিয়ার প্রকাশকালে ব্রিটিশ শাসকরা ইংরেজিতে এটিকে সাঙ্গু নাম দেন তবে মারমা সম্প্রদায়ের ভাষায় শঙ্খকে রিগ্রাই থিয়াং অর্থাৎ স্বচ্ছ পানির নদ বলা হয়। বান্দরবানের শঙ্খ-তীরবর্তী লােকজনের ৯০ শতাংশই মারমা— যাদের প্রথম এবং প্রধান দেবি বা দেবতা এই শঙ্খ নদী। 


শঙ্খ নদীর মায়াময় শরীর দিয়ে আমরা বয়ে যাচ্ছি রেমাক্রির দিকে। সুন্দরী গ্রাম চোখে পড়ে কিন্তু সময় স্বল্পতার কারনে তাকে এক্সপ্লোর করতে পারিনি। চোখে আসে রাজা পাথর। রাজা পাথরকে ঘিরে বহু কিসসা কাহিনি দাড়িয়ে গ্যাছে। পুর্নিমা রাতে এই পাথরের কাছে মানুষ যা প্রার্থনা করে তাই নাকি পায়। পূর্নিমা রাতে এই পাথরের উপরে বসে ধ্যান করলে বেশ প্রশান্তি প্রশান্তি ফিল হবে বলে মনে হচ্ছিল আমার কাছে— মানুষ নিজের মতো করে ভাবতে পছন্দ করে— মানুষ নিজের মতো করে নিজের দেবতা নির্মাণ করে— পাহাড়িদের কাছে এই রাজা পাথর খুবই আরাধ্য পূজনীয় আত্মা— তারা মনে করে এই রাজা পাথর জীবিত এবং এই রাজা পাথর এবং তার রানী পাথর থেকে  শঙ্খ নদীর সমস্ত পাথরের জন্ম। তাহলে বুঝতে পারছি শঙ্খ নদীতে তিন প্রকার পাথরের দেখা মিলবে— রাজা পাথর, রানী পাথর এবং তাদের সন্তান পাথর। শীতকালে এই পাথরের রাজ্যে শঙ্খজল তেমন থাকে না। ফলে এই নদীতে চলমান ছোট ছোট আন্ডারওয়েট নৌকা চলতে সমস্যা ফিল করে। 


শঙ্খ নদীতে চলতে চলতে কতশত গাছবৃক্ষ চোখে পড়ে— কারো নাম ধরে ডাকতে পারি নাই— একটি গাছ কেবল তার বুক আর পীঠ দিয়ে আমাকে পরিচিত পরিচিত সুখ দিয়েছে— কলা গাছ। কিন্তু এই দুর্গম পাহাড়ের ঢাল থেকে কেমন করে পাহাড়ি পরিশ্রম কলা সংগ্রহ করে ভেবেই অবাক হচ্ছিলাম— তাদের পক্ষে সম্ভব— পাহাড়ের সমস্ত জেনেই তারা পাহাড়ের মানুষ।


একটি কথা শুনে আপনারা আমার সাধারণ জ্ঞানের লেভেল সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন— পাহাড়ে যাওয়ার আগেও জুম চাষ কি জানতাম না— জুম বলতে একটি ফসলকে বুঝতাম যা পাহাড়ের ঢালে জন্মে। পাহাড়ে গিয়ে নিজের চোখে দেখলাম এবং জানলাম জুম হলো ফসল চাষ করার জন্যে পাহাড়ি পদ্ধতি। জুম পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকমের ফসল চাষ করতে পাহাড়িদের আজাইরা মাটিনষ্টকারি সার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না— পাহাড়ে প্রচুর পরিমানে জায়গা এখনো পতিত যেখানে বিভিন্ন রকমের ফসল চাষ করা যায় জাস্ট পারিশ্রমিক খরচে।


নাফাখুম যাওয়ার পর দেখি দারুণ উপভোগ্য বৈচিত্র্যময় ক্ষুধা লেগেছে আমার— আলসার কালচারের কালে এমন অনার্য সুন্দর ক্ষুধা লাগা অবশ্যই আশীর্বাদের ব্যাপার— গোসল করে আসতে আসতে খাবার রেডি— লাল চালের গরম ভাত,পাহাড়ি মুরগির ডিম আর পাহাড়ি ডাল। তিন প্লেট ভাত একাই খেলাম— আরও খেতে যাবো এমন সময় ইসলামের নবীর উপদেশের কথা মনে ফুটে উঠে— একটু ক্ষুধা রেখেই উঠে গেলাম।


নাফাখুমে ১৮ পরিবারের বসবাস— সবাই আদিতে বৌদ্ধ— ইদানিং তারা খৃষ্টান হয়েছে— ১ পরিবার নাফাখুমে কেবল বৌদ্ধ ধর্মের— থানছি বান্দরবানের পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় প্রায় মানুষ ইদানিং খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের সাথে হাতে হাত রেখে আলোর পথে চলে আসতেছে— এই আলো এমন এক আলো যা চোখে দেখা যায় না মনে উপলব্ধি করা যায় না কিন্তু থিউরি দিয়ে বুঝতে হয়— আরাকান রাষ্ট্র থিউরি। আমি এসব থিউরি ফিউচার কম জানি— আমি পাহাড়ে এসে কয়েকটি শব্দ শিখতে পেরেছি— বাংলা ভাষার শব্দ—


ক্রাও= মোরগির ডিম 

ভি ও= হাসের ডিম 

ক্রা= মোরগি 

হ তে = ঠিক আছে

কলিগ কলিগ= একটু একটু 

লা ফা= চা 


পাহাড়ি কোনো মেয়ে বোরখা পরে না।কোনো ছেলেকে দেখিনি পরতে পাঞ্জাবি— দেখেছি ছেলেমেয়ে একসঙ্গে কাজ করতে একসঙ্গে ব্যবসা করতে। পাহাড়ি ছেলেমেয়েদের শরীরে মেদ নেই— পাহাড় তাদের শরীরকে মেদহীন করেছে— করেছে ক্রিয়াশীল। তবে পাহাড়ি মানুষ ব্যবসা করা শিখে গ্যাছে— শিখে গ্যাছে দুইকে কেমন করে চার বানাতে হয়।


আসেন আসেন, বসেন বসেন, চলো চলো,যাই যাই— এই জাতীয় শব্দ টিমটুরের জাতীয় সঙ্গীত— অথচ আমি এক জায়গায় বসে কাটিয়ে দেই সাত-আট ঘন্টা কখনো কখনো— টিম নিয়ে ভ্রমণ করতে আমার ভালো লাগে না— একা একা ভ্রমণ করতে দারুণ ভালো লাগে আমার— টিম নিয়ে ভ্রমণ করার শিক্ষা আমাকে দেয়া হয়নি— শিখতে পারি নাই— একা অথবা দুইজন মিলে ভ্রমণ উপভোগ করি আমি। কেনো?  অনেক কারন!  সব কারন বলতে চাই না—তবে একটা কৌতুক বলি— শুনুন— এক লোক এক জুতিসের কাছে গেলেন হাত দেখাতে— জুতিস তার হাত দেখে একটি সাবান দিলেন— লোকটি তো অবাক! সাবান কেনো দিলেন জুতিস বাবা!!

বাবা আমাকে সাবান কেনো দিলেন? কাউকে দিচ্ছেন পাথরের আংটি কাউকে দিচ্ছেন রূপার আংটি, আমাকে সাবান কেনো?  

জুতিস বাবা লোকটিকে বললো," আগে হাত ধৌত করে আসেন" 


আসলেই রেজা ভাই, ভ্রমনে যাওয়ার আগে হাত ধৌত করার দরকার আছে। তবে রেজা ভাই ভুলবেনা পাহাড়ের বাতাস— এ যেনো বাতাস নয়— স্বর্গের অপ্সরার কোমল হাত— চাষ করে শরীরে শান্তির আভাস— জেগে উঠে দেহমনে ভালোবাসার প্রিয়তম রাত প্রতাপ সাবাশ।


প্লাবন শেষ। নুহ নবী কাককে পাঠালেন পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করে আসার জন্যে। কাক আর ফিরে আসেনি। তারপর কবুতরকে পাঠালেন। কবুতর যথাসম্ভব যথাসময়ে ফিরে আসে। ঠোঁটে করে নিয়ে আসে জলপাইয়ের পাতা।পায়ে তার পেকমাটি। কবুতরের পায়ে পেকমাটি দেখে নুহ নবী বুঝতে পারেন পৃথিবী বসবাসের উপযোগী হয়েছে। সেই সময় নুহ নবী কবুতরের জন্যে আল্লার কাছে দোয়া করেন এবং কবুতর আজ শান্তির প্রতীক।


নাফার পছন্দ কবুতর। কবুতরের পুষ্টিমানভরা মাংসের জন্যে নয়— কবুতরের পোষমানা স্বভাবের জন্যে। নাফা ফিরে আসতে জানে। নাফা এমন পাখি যে বেড়াতে যায় কিন্তু দিনশেষে তার ঘর চায়। নাফাকে হাসেলিয়ারা বুঝতে পারে না— আর বুঝতে পারে না বিধায় সংসারের গভীর গভীরতর অসুখ এখন— কবুতর একবার অতীত ভুলে গেলে আর অতীতে ফিরে যায় না— কবুতর শান্তির প্রতীক—নাফা কবুতর হয়ে বেচে থাকে তুন ইয়াতের বিশ্বাসী আত্মায়।

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

কেমন তুমি এমন দিনে

 বৃষ্টি তুমি পড়ছো কেনো এমন দিনে 

আমার কথা পৌঁছে দিও তার মনে 

একলা আমি 

একলা থাকি 

একলা হাসি 

একলা ভাসি 

তুমি এলে দুজন হবো ইকো বনে

বৃষ্টি তুমি পড়ছো কেনো এমন দিনে 

লজ্জা পাখি চলে আসো 

বসো তুমি সবুজ বনে

বাজতে থাকো আমার মনে

বাতাস প্রিয় পাতা কনে 

আমার কথা পৌঁছে দিও তার মনে

তাকে নিয়ে সময় হবো নোনা বনে

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২

মেঘপাতা

 বৃষ্টিমাখা পাতা তুমি

বাতাস পেলে নড়ো

ছায়াঘরেও আমায় তুমি

ছাতার মতো ধরো

বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মেঘনামা

 হে চাঁদ— মেঘের ☁ গতরে যখন তুমি জোছনা মাখো— আমার গতরে তখন অন্ধকারের মেঘ

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

জলের মতো একা সে চলে

 বুঝালো সে 

বুঝলাম শেষে 

মেঘের আড়ালে মেঘ পাতার দেশে 

জলের মতো একা সে চলে।।


দোলে দোলে চলে 

পলে পলে বলে 

বাতাস গায়ে তার আকাশ মেখে 

নীরব চোখে গোপনে দেখে।।


ডাকে না কথায় 

ইশারায় বলে 

ফুলের শহরে যেমন গন্ধ মিলে 

নদীর স্রোতে সাগরে মিলে।।


হাসিতে তার বাশি বাজে 

সুরের পালে নুরের তালে 

নদীর স্রোতে সাগরে মিলে।।

শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

দূরে অথবা দ্রুত

 সব কিছু দ্রুত হবে— জন্ম কিংবা মৃত্যু— ভয় কিংবা সাহস— ভালোবাসা অথবা ঘৃণা। এমন সময় আসবে তিন মাসে জন্ম নিবে মানুষের বাচ্চা— ত্রিশ বছর হবে মানুষের গড় আয়ু।পান খেতে খেতে হাসতে হাসতে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়বে প্রিয় চাচা কিংবা যৌবনা ফুলের বাতাস। মায়ের আঙুল ধরে যে শিশু পাঠশালায় যাবে টুপি আর পাঞ্জাবি পরে হটাৎ সবকিছু ছেড়ে পালাবে— পৃথিবী উপরে পৃথিবী।


পালাতে পালাতে মানুষ ভুলে যাবে মানুষের মুখ মানুষের কথা— মানুষ আর হাসবে না মানুষের মতো— পশুকে কেউ কোনোদিন হাসতে দেখেনি— মানুষের পৃথিবীতে হাসি এক উদ্ভুত ভয়ংকর আবিষ্কার। কলা গাছের সমান হবে একটি কলা— ভোগে যাবে— মায়ের ভোগে যাবে তোমাদের জমানো সুখ কিংবা আশ্চর্য ঐশ্বর্য।


রাত হলে ভয়ে কাপতে থাকবে দিনের মানুষ— দিন হলে ভয়ে কাপতে থাকবে রাতের মানুষ। ব্যক্তিগত স্ত্রী বলে— ব্যক্তিগত স্বামী বলে— ব্যক্তিগত সন্তান বা সম্পত্তি বলে কিছুই থাকবে না তোমাদের ঘটে— সিনেমা চলবে— জাস্ট সিনেমা চলবে চোখের ঠিক বিশুদ্ধ পর্দা বরাবর। পালাতে পালাতে ভুলে যাবে পালানোর পথ— একই জায়গায় বারবার ফিরে এসে দেখবে একই মানুষ একই অভিশাপ— কেবল ঘুমানোর চেষ্টায় অস্থির হয়ে উঠবে বালুদের বাড়িঘর।


কেবল তুমি— কেবল তুমিই— পুত্র আমার,তখনো হাসবে মানুষের মতো— তুমিই দেখাবে আলাদিন আশ্চর্য প্রদীপ পৃথিবীর পথে— বাতাসের শরীরে বাতাস। কারন তুমি জানো— কারন তুমিই জানো পুত্র আমার, শক্তি বা সামর্থ্য কিংবা ক্ষমতার লড়াই অথবা অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই— সবই ফেনার মতো তীরে এসে অস্তিত্ব হারায়।তবে পুত্র আমার, মানুষের মনকে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চিনে নিও— মানুষের মন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জঙ্গলের নাম। জঙ্গল অবশ্যই এক প্রয়োজনীয় কালোত্তীর্ণ মঙ্গলের নাম— বাতাসকে করে নিও বন্ধু— আকাশকে সমুদ্র মেনে করিও আবিষ্কার।

বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

পরাণ সিনেমার আলোকে বাংলাদেশ

 ডেইজি সরকার সক্রিয় চরিত্র। ডেইজি সরকারকে কেন্দ্র করে সব চরিত্র প্রান পেয়েছে। রোমান একজন গুরুত্বপূর্ণ মাস্তান হয়ে উঠে ডেইজি সরকারের কারনে আশ্রয়ে— ডেইজি সরকারের আড়ালে রয়েছে আরও শক্তিশালী কোনো এক সরকার যাকে দেখা যায় না কিন্তু তার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।


পলিটিক্যাল স্রোত এবং আইনের বইগন্ধ যে একই গতিপথ খুজে নিয়ে থাকে বাংলাদেশে তা রায়হান রাফি অত্যন্ত চমকপ্রদ ইঙ্গিতপূর্ণ উপায়ে পর্দার সামনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে পরাণ সিনেমার আলোকে। 


প্রথম দর্শনে মনে হতে পারে পরাণ একটি প্রেমের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সিনেমা।  আসলে সিনেমাটি প্রেমের পরিনতি থেকে শুরু হয়েছে এবং শেষ হয়েছে পরিনতির কারন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে— কজ এন্ড ইফেক্ট।


একজন ডেইজি সরকারের সামনে রোমান মাত্র একখান কুফির আলো— ফু দিলেই নিভে যাবে এবং গ্যাছেও বটে— একজন রোমান ডেইজি সরকারের সরাসরি মাঠ পর্যায়ের প্রতিনিধি— রোমানের সামনে অনন্যা কিংবা সিফাত পানহা কলার মতো নরম— টিপ দিলে গলে যাবে এবং গ্যাছেও বটে।অনন্যা Bipolar disorder রোগে আক্রান্ত বলে আপনারা অনেকেই পেটের বাতাস কিছুটা হালকা করতে পারেন।তাতে লাভ নেই— ঠাকুর ঘরের কলা কে খায় জনগণ আজ না জানলেও কালকে জানবেই, জানতেই হবে, কারন মানুষ চিরকাল বোকা তাহে না মিয়া ভাই, তাহে না। 


সিলেটের ছেলে রায়হান রাফির একটি স্বাভাবিক প্রলুব্ধ প্রবণতা আছে,আর তা হলো জনপ্রিয় একটি ইসলামি সংগীতকে আস্তে করে সময়োপযোগী করে দর্শকের  সামনে উপস্থিত করা— মৃত্যু চেতনার দিকে পর্দার সামনের মানুষদের নিয়ে যাওয়া তার আরেকটি গোপন অভিলাষ— "সাজিয়ে গুজিয়ে দে মোরে..

সজনী তোরা.." এই গানটি বাউল কামাল পাশার লেখা হলেও গ্রাম এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে হুজুররা পরকালের গুরুত্ব বোঝানোর জন্যে তাদের সামনের দর্শকদের এই গানটি কেদে কেদে অথবা কান্নার অভিনয় করে শোনাত এবং এখনো শুনায়— পরাণ সিনেমায় এই গানটি বহুবার ব্যবহার হয়েছে এবং তাতেই দর্শকদের চোখের পানি নাকের পানি এক করতে হয়েছে।


রায়হান রাফির সিনেমায় প্রেম অলঙ্কার হিসাবে আসে। পোড়ামন ২ কিংবা দহন অথবা পরান সিনেমায় প্রেম কেবল অলঙ্কার— সামাজিক বাস্তবতা, রাজনৈতিক নির্জনতা কিংবা কোলাহল, চরিত্রের নীরব প্রেক্ষাপটের অলঙ্কার হিসাবে আসে প্রেম। পরান সিনেমায় সিফাত অনন্যার প্রেম অথবা সিফাত রোমানের দ্বন্দ্ব অথবা সিফাত অনন্যার প্রেম কেবলই দৃশ্য— দৃশ্যের পেছনের কাহিনি নিয়ন্ত্রণ করে আলী বাবা চল্লিশ চোর।


অনন্যা রোমানের প্রস্তাব অস্বীকার করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়নি—এমনকি নিয়াজী দারোগাও রোমান সার্কেলের কাছে বন্দী। ফলে রোমানের ক্ষমতাহাতে অনন্যা বাধ্য হয়ে ধরা দেয় এবং সুবিধা নিতে শুরু করে। মানবমন— অভ্যাসের দাস— স্বাধীন ডানার প্রত্যাশী। একসময় অনন্যাও রাজনীতির ভাষা বুঝে ফেলে। তবে জলে থেকে কতক্ষন ডাঙার যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়?


ডিরেক্টর রায়হান রাফি খুব সুন্দর করে ড্রোনের ব্যবহার করে। পরান সিনেমায় ড্রোনের তেমন ব্যবহার দেখা যায়নি। প্রত্যেকটা অভিনেতার সাবলীল মুভমেন্ট চোখে পরার মতো।শরীফুল রাজ বা রোমানের চরিত্রশক্তি যথেষ্ট মার্জিত সুন্দর গতিময়তায় যথাযথ আশ্বাসসঞ্চিত অবয়ব।


পরাণ সিনেমার ভাষা ব্যবহার সুতরাং কিংবা এবং টাইপের না— আমাদের চারপাশের চিরচেনা সৌরজগতের ভাষা— সংলাপের  আচরণে ভাষার মাজেজা-পরিবেশ সোয়িং করেছে কিন্তু রোয়িং করেনি। বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের মানুষের ভাষা পরাণ সিনেমার জলপ্রপাতের ধারা অবিরাম প্রবহমান রেখেছে।


ইনডোর শট এবং আউটডোর শট প্রায় কাছাকাছি। পর্দায় রোমান গংদের প্রবেশ দৃশ্যটি  চোখে লেগে থাকার মতো— তখন পর্দায় দারুণ এক কালার ভেসে উঠে— রিয়েল বাংলার বৃষ্টি— যেনো এক নতুন সৃষ্টি। তবে সিনেমার কালারমান শব্দমান টানা ধরে রাখতে পারেনি কালারম্যান— কখনো তামিম ইকবালের মতো উত্তেজিত হয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে গ্যাছে পরাণ সিনেমার কালারমান এবং শব্দমান।


প্রিয় বিরানি খেয়ে রোমান তারই মিত্র তুতুর হাতে মারা পরে— অবিশ্বাসের জাল বিস্তার করে ঘরের ভেতর কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার ইচ্ছে করে— এখানেও ডেইজি সরকাররা বেচে যায় অথচ ডেইজি সরকাররাই শেষ রাতের বাদুড়। এইভাবে প্রতিবার প্রতিনিয়ত মাছের ব্যাপারী বেচে যায়— জেল জরিমানা খায় সেই লোক যে খাবারের মাছ ধরে।


সিফাতকে কুপিয়ে মারে রোমান, রোমানকে হত্যা করে তুতু — তুতু ও অনন্যাকে আইনি উপায়ে হত্যা করবে রাষ্ট্র— পুরষ্কারের মালা পরবে আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ। আর রাষ্ট্র?  মাস্টার শট দিয়ে ড্রোনের মাধ্যমে দেখাবে সব কিছু ঠিক আছে আর গোপনে গোপনে বলবে দেশের পতাকার বাইরেও আমার একটি পতাকা আছে— আর সেই পতাকার নাম সিন্ডিকেট— সুতরাং আমার পতাকা তলে আসো— বেচে যাবে এবং এসি রোমে রোমান্টিক খাবারের ভরতলে যাবে সব— তোমার দেহ তোমার মন।


পরিচালক— রায়হান রাফি

প্রযোজক— লাইভ টেকনোলজিস

চিত্রনাট্যকার— শাহজাহান সৌরভ, রায়হান রাফি


শ্রেষ্ঠাংশে

বিদ্যা সিনহা সাহা মীম

শরিফুল রাজ

ইয়াশ রোহান


সুরকার

নাভেদ পারভেজ

চিত্রগ্রাহক

মিছিল সাহা

মুক্তি

১০ জুলাই ২০২২

দৈর্ঘ্য

১৩৯ মিনিট


একটি সাধারণ গল্পকে অসাধারণ করে দর্শকের সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা— গল্পটি আমাদের সবার জানা— ২০১৯ সালের ২৬ জুন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে হত্যা হয় তার স্বামী রিফাত শরীফ আলোচিত সন্ত্রাস অথবা মিন্নির প্রেমিক সাব্বির আহমেদ নয়ন অর্ফে নয়ন বন্ডের হাতে।

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২

অর্থাৎ

 দূরে তুমি একদিন মনে বাজে বহুদিন

কাছে তুমি বহুদিন মন বলে একদিন

বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

রেজা কালা

 রাধাকে করিও জিজ্ঞেস

কেনো আমি কালা

পারলে জেনে নিও 

তার বুকের জ্বালা

দেখা অদেখা পৃথিবী

 পুরাতন। পিরিত পুরাতন। স্বাস্থ্যশীল পুরাতন। বহু জাগতিক পুরাতন পৃথিবী। মানুষের কল্পনার মতো যাচিত সনাতন পৃথিবী। কাচা পাতা বিক্রি করতে করতে জলের ছায়ায় কাপ্তাই মানুষ ভাসে— জলে স্থলে রসে কসরত ভঙ্গিতে প্রতারক মানুষ প্রার্থনার কথা বলে— অপরাজিতা ফুল ❀ দিয়ে চা হলেও আমার দুখ তোমার হয়ে যায় না— আমার দুখের কারন হতে পারো তুমি কিংবা তোমরা। আকাশে তারায় ☆ তারা যন্ত্র পাঠায়— তারা আকাশ বানাতে পারে না— আকাশের পাতে সূর্য একটা ডিম পারে— আর সেই ডিম খেয়ে বেচে থাকে যতসব বিজ্ঞানীফুল আর ফুলবানুর দল। আকাশ থেকে যতদূর মানুষের ঘর ততকাছে মানুষের মন— আকাশের সাথে দেখা হয় রোজ— দেখা হয় না দেখা হয় না কেবল মাটির উজ্জ্বল ব্রোর মনবাজারের প্রোজেনিটর সরলতার সাথে— রাখা হয় না রাখা হয় না খোঁজ— দ্যা স্কাই হেজ নো কালার— তোমায় নীল রঙের শাড়ি উপহার দিবো প্রথম রাতে — আমি পড়বো রেড চেড়ি কালারের পাঞ্জাবি— কাল বৃষ্টি হবে না— চোখে এখন পাহাড়ের মেঘ ☁— মেঘ ভাসে তুমি হাসো— তুমি হাসো আমি ভাসি— হাসতে হাসতে ভাসতে ভাসতে আমরা হয়ে উঠি চর— চর থেকে চারভাগ স্থল— তারপর পৃথিবী। পৃথিবী। পিরিত পৃথিবী। স্বাস্থ্যশীল পৃথিবী। মানুষের কল্পনার মতো স্থলমাতানো জলকাপানো মনমাতানো কাকত মামত পৃথিবী।

মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

ডার্টবোর্ড

 ১৮৬০ সালের কাছাকাছি সময়ে ডার্টবোর্ড ইংল্যান্ডের সোনালি রোদে প্রথম কোনো এক শাদা চামড়ার লোক খেলেছিলো বলে আমরা নিষাদরা অনুমান করে থাকি। বর্তমান আয়ারল্যান্ডসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বেশ জনপ্রিয় এই নিশানাপ্রধান খেলাটি। এই খেলাটি হাত, চোখ এবং ব্রেইনের খেলা। 


ডার্টবোর্ড থেকে ব্যক্তির অবস্থান দূরত্ব ৮ ফোট ৯ ইঞ্চি— ভূমি থেকে বোর্ডটির উচ্চতা ৫ ফোড ৮ ইঞ্চি বা ১.৭২ মিটার। তার কিন্তু অনেক ডাকনাম আছে— throwers, arrows, tungsten, dartsmith।


ওয়ার্ল্ড ডার্ট ফেডারেশন(WDF) ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এই ফেডারেশনের সদস্য পদ লাভ করলেও বাংলাদেশ এখনো পদ্দা সেতুতে ছবি তুলা নিয়ে ব্যস্ত।  PDC World Cup of dart প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২০১০ সালে জার্মানিতে।  


ডার্টবোডের মূলবিন্দু সই করতে পারলে জিত আপনার এবং আপনার নাম্বার হবে ১০০— মূলবিন্দুর শরীর ঘেঁষে রয়েছে স্পর্শবিন্দু এবং তাকে সই করতে পারলে আপনি পাবেন ২৫ নাম্বার।

সার্কেল রয়েছে দুটি— অন্তসার্কেল এবং প্রান্তিক সার্কেল— অন্তসার্কেল সই করতে পারলে আপনি পাবেন ডার্ট যে নাম্বার বরাবর রয়েছে তার তিনগুণ ( মানে ২০ বরাবর হলে ৬০), প্রান্তিক সার্কেল সই করতে পারলে আপনি পাবেন যে নাম্বার বরাবর ডার্ট রয়েছে তার দুইগুণ ( মানে ১৩ বরাবর হলে ২৬)। এবং বৃত্তের ভেতরে অন্যসব জায়গায় যেখানে আপনার ডার্ট থাকবে এবং ডার্ট যে নাম্বার বরাবর থাকবে সেই নাম্বারই আপনার প্রাপ্তি নাম্বার। মোট নাম্বার ১০০ প্রাপ্তি হলে আপনি জয়। আরেকটি কথা, আপনার হাতে কিন্তু  ডার্ট দেয়া থাকবে ছয়টি। টুর্নামেন্ট হলে হিসাব আলাদা জয়নাম্বার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে— ১০১ রাখতে পারেন অথবা ৩০৩ রাখতে পারেন— ইটস আপ টু ইউ।


আমার নিজের রুমে একটি ডার্টবোড রয়েছে এবং ঘুম থেকে উঠে আমার প্রথম কাজ এই বোডের মূলবিন্দু সই করা খেলায় মত্ত হওয়া— নিজেই নিজেকে পুরষ্কারজয়ী ঘোষণা করি ইন এবরি মোর্নিং। 


উজ্জ্বল ভাইয়ের মাটি ক্যাফেটা দারুণ— প্রকৃতির মাঝখানে ম্যান মেইড প্রকৃতি। প্রায়ই সেখানে গিয়ে আকাশ-নদী, নদী-কাশফুল, চাঁদ-জলের সাথে বাতাসের মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানানোর অভিপ্রায়পথ ধরার চেষ্টা করি। মাটি ক্যাফেটার অবস্থান নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দক্ষিণে শেখ হাসিনা ব্রিজের দক্ষিণপাশ সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে। 


একদিন গিয়ে দেখি উজ্জ্বল ভাই ডার্টবোর্ড খেলার আয়োজন করেছেন— দশবার চ্যালেঞ্জ নিলাম অথচ একবারও জয়ী হতে পারেনি। ফলে পুরষ্কারহীন উপায়ে ঘরে ছেলে ঘরে ফিরে আসে। কিন্তু পুরষ্কার জানে না এমরানুর রেজা ভাই বিশাল নাছোড়বান্দা— রেজা ভাইয়ের রাগের চেয়ে জিদ বেশি।


আজ (৪ জুলাই২০২২) গিয়ে চুপচাপ বসে রইলাম— ইচ্ছে সবার খেলা শেষ হলে ঠান্ডা মাথায় খেলবো এবং আজকে জিতবোই। এক লিটার জল আর এক কাপ কফি শেষ করি।  রাত বাজে প্রায় ১০টা। ওমা! ডার্টবোডের গুনার হুক ছিড়ে গেলো— আজকে আর খেলা হবে না!! আমার অনুরোধে বিশেষ উপায়ে বোর্ড ঝুলানো হলো। 


মাত্র একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি এবং প্রথম চ্যালেঞ্জে জয় লাভ করি। বিষয়টা আনন্দের।

আনন্দ বেচে থাকলে মানুষ বেচে থাকবে।

আনন্দের জয় হোক 

জয় হোক প্রশান্তিময় চিত্তের।

শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

তোমার আকাশে আমার মেঘ

 আহা!

আহারে প্রেম!!

গেলাম চলে দূরে বহুদূর 

ছিলো আমাদের আকাশ এককালে 

ছিলো বাতাস প্রানময় তোমার সুরে 

আহা! 

আহারে প্রেম!!

রোদে শুকায় জোছনায় জেগে উঠে 

কালের খাতায় চর জাগে চক ডাস্টার স্বভাব 

ভুলে গেলাম ভুলে গেলাম 

মনফুল তুমিবন এখন ঢেউয়ের ঘরে দোল 

আমার দারুন অভ্যাসের বিছানো অভাব 

আহা!

আহারে প্রেম!!

চলে যায় ঝরা পাতা পথে 

আনন্দ নৃত্য করে অনিবার্য শোকে

বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২

হ্যালো দ্যা টাইম

 দুজন পাশাপাশি 

পাশাপাশি দুজনে যেনো গাছের দুটি নতুন পাতা 

উপরে আকাশ নীল পাহাড়ের মতো 

নিচে জলের শুতায়ল ধারা 

একদল বাতাস শরীরের পারাপার রেখা বরাবর 

মিষ্টি রোদ বৃষ্টি হয়ে ঝরছে চোখেমুখে 

গাঙচিলের মাছ শীতার্ত আয়ের উৎস জানে না 

মাঝি দ্যা ম্যান আকছে রিজার্ভ রিজিক 

আকছে রিজার্ভ রিজিক ডিঙি⛵ ধ্যানে নিবিষ্ট মনে

আমরা দুজন মনের নামাতা পড়ে পড়ে হয়রান 

আমরা দুজন লঙ্ঘনের বারান্দায় ফুলকুড়ানো স্বপ্নে

লঞ্চে চলছে নাবলা কথা-দুকথায় স্মৃতির আড়তদারি 

ভাবছি তুমি হবে আমার গন্তব্য 

অথবা 

আমি হবো তোমার গন্তব্য 

গন্তব্য জানার আগেই তুমি নেমে গেলে গন্তব্যে 

দেখতে দেখতে তুমি মিশে গেলে 

মিশে গেলে তুমি 

হয়ে গেলে আমার দেখা ছোটোবেলার আকাশ

আকাশে তখন মেঘ ☁ 

বৃষ্টি হচ্ছে 

হচ্ছে বৃষ্টি একটানা— আষাঢ় শ্রাবণ ট্র্যাজেডি 

একজন্মে বৃষ্টি কখনো ফিরে না মেঘে 

আকাশ কখনো ভিজে না রোদে

শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

প্রে মে র

 সূর্যের পৃথিবীতে তুমি আমি দূরের 

সময়ের পৃথিবীতে তুমি আমি প্রেমের

রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

রঙিন প্রচ্ছদে রঙহীন

 দেখার তৃষ্ণায় ব্যাকুল এ মন 

পাওয়ার আশা শুন্যতে 

দেখার আশায় পাল তুলেছি 

কোথায় তুমি কোন দেশে 


মনের আয়নায় তুমি উদয় 

হওনা প্রিয় হওনা সদয় 

মন আনন্দে নৃত্য ছন্দে 

দেখার তৃষ্ণায় ডুবে রই 


রঙ ছড়িয়ে রঙহীন তুমি 

রঙহীন রঙে কেমনে চিনি 

ভাটির কথা উজানে গিলি 

এক দুই তিন চার সংখ্যা টানি 

শুন্য সুন্দরে কেমনে মিলি

সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

Problem

 


You can love the problem— you can hate the problem— you are able to ignore the problem— the best way is loving the problem and very carefully trying within best level to solve the problem— otherwise you can ignore the problem very hopefully— Don’t let you sink in problems

ছটা

 দেহছায়ায় গন্ধ পাবো কদম ফুলে 

খুব সকালে তারই খুজে পেখম পেলে 

ঠোঁট তুলায় বৃষ্টিভরা নদীর দিনে 

ভাবছি তখন শব্দ হবো রঙিন টিনে 

রোপণ করে তোমার ভেতর আমি একটা 

গোপন হয়ে প্রকাশ হবো আলোর ছটা

সা ত পাচে

 চাঁদ যাবে না ঘরে 

জোছনা জলের শরীর খেলায় বাতাস নড়েচড়ে 

নড়ছে বাতাস কাপছে মন 

উদাস মেঘের গান 

অতীত আসে বর্তমানে ভবিষ্যতের টান

শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

তা র কি চ্ছু হ বে না

আকাশে বাড়ি বানানোর পর

বাড়ি বানানোর কয়েকদিন পর

এবং 

দুইয়ের সাথে দুই যোগ করার পর

যোগফল যখন জনগণের বদলে সরকার হলো

তখন

ঠিক তখনই

পৃথিবীতে নেমে আসে জোছনার প্লাবন 

চোখে নাকে কানে সাদা আর হরিণ রঙের ফুলের মেলা 

দূর থেকে ভেসে আসে মানবাধিকার কান্না 

কান্নাকাটি সেরে তিনি চললেন পুরাতন বাড়ির খুঁজে 

বাড়ি মিলেও গেলো

মোবাইল রেকর্ড

দারুণ কাজ

জমজমাট ফেইসবুক ইউটিউব টুইটার

কেবল ফতুর হচ্ছে ভিখারি আবেগ 

গাছে পাতা না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না 

ব্যাংকে মেঘ না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না 

বাতাসে ভোর না থাকলে তার কী? কিচ্ছু হবে না

জমানো আলোতে তার চশমাচোখ পেয়ে যাবে পথ 

জমানো চালে তার ক্ষুধার্ত মুখ পেয়ে যাবে ঘাস 

জোছনার প্লাবন বাড়তে থাকবে 

শীতার্ত চোখে পাহাড় নেমে ভাসবে গরম জলে 

পর্যাপ্ত পরিশ্রম স্বার্থক করেছে আকাশের গল্পছাদঘুড়ি

জলপ্রেম দেখেছে হাজার বছর তারা ফুল ফুল 

গভীর স্রোতে উজানে টানা সাপ পাথর নুড়ি

বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

বিশ্বাস

 পানসে নদীতে এখন জলের যৌবন। নৌকা থাকে ঘাটে সারি সারি। রাতে নৌকাড্ডা বেশ জমে উঠে। চাচ্ছি আজকে আমাদের আড্ডায় কুকুরটা অংশগ্রহণ করুক। বাড়ি গেলে যতক্ষণ ঘরের বাইরে থাকি ততক্ষণ সে আমাদের সাথেই থাকে। নৌকায় উঠা তার জন্যে টাফ। তাকে কেউ নৌকায় উঠা শেখায়নি। অথবা তাকে নৌকায় উঠাবে এমন বিশ্বাসযোগ্য লোক কুকুরটা পাইনি। আমি ভালো করেই জানি কুকুরটা আমাকে খুব বিশ্বাস করে। কারন আমি তাকে মিষ্টি খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে, আমি তাকে আম খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে, এমনকি আমি তাকে পেয়ারা খেতে দিয়েছি সে খেয়েছে। 


আজকে তাকে নৌকায় উঠাবো। খান ভাই আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করেছে যে আমি কুকুরটাকে নৌকায় উঠাতে পারবো না। মুচকি হাসি ☺ দিয়ে চেষ্টা করতে থাকি। কুকুরটা যখন নৌকায় উঠে যাচ্ছে এমন সময় খান ভাই একটা বাশ কুকুরটার দিকে ছুড়ে মারে। কুকুরটা ব্যথা পেয়ে দূর সরে যায়। 


ভাই আপনি কাজটা ঠিক করেন নাই ঠিক করেন নাই! 


তারপর খান বলেন এক মহান কালোত্তীর্ণ কথা— 

" মানুষ আমারে বিশ্বাস করে না, আর তোরে কুত্তা বিশ্বাস করে ফেলবে, তা হতে দেবো না।" 


তারপর থেকে কুকুরটার নাম দিলাম 'বিশ্বাস'

সোমবার, ১৬ মে, ২০২২

আফা লে রমা ছ

 ০১

হুজুর আর খেজুর মরুভূমিতে ভালো জন্মে


০২

For the sex you can get easily a lot of terrible sources, for the love you can get something a less than the want, for the better living for the sake of soul touch they are rare and you are rare too— Nature gives you something by giving you nothing 


০৩

মশাকে যতই গালি দেই না কেন আমরা, মশা তার দায়িত্ব সম্পর্কে শতভাগ সচেতন


০৪

চালাক নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, বুদ্ধিমান অন্যকে আলোকিত করে। কারন চালাক থামতে জানে না, বুদ্ধিমান পরাজয়ে হাসতে জানে।


০৫

মানুষ অরক্ষিত প্রাণী। মানুষের শিং নেই, বড় বড় নখ নেই, ধূলিকণা থেকে রক্ষার জন্য শরীরচুলও তেমন নেই, রোগ প্রতিরোধ এন্টিবডিও যে খুব শক্তিশালী এমন নয়।


মানুষের একটি শক্তিশালী মস্তিষ্ক রয়েছে। হাজার হাজার বছরের পুরনো মস্তিষ্ক। মানুষ এই মস্তিষ্ক ব্যবহার করে ভিনগ্রহে যেতে চায় অথচ পৃথিবীর তিন ভাগ জলকে কাজে লাগানোর দিকে বিশেষ কোনো নজর নেই।


পৃথিবীতে মানুষের দ্বন্দ্ব শেষ হয় না, তাতেও পৃথিবীতে মানুষের বিকাশ থেমে নেই। মানুষ ঘোড়ার মুখে লাগাম দিয়েছে, গরুকে এনেছে গোয়ালঘরে, বাঘ-সিংহকে খাঁচায় বন্দী করেছে। মানুষই পারে একটি জায়গায় এক হয়ে যৌথভ্রমণের নাবিক হতে,  তাহলে সমস্ত প্রতিকূলতা মানুষের কাছে এসে অসহায় হয়ে যাবে....


০৫

যত উপরে উঠি ততই সহজিয়া জীবন


০৬

বর্ষাকালের হাওর গর্ভবতী ফুল নারী মা— শীতের হাওর পরিশ্রমী বাবার মতো কান্দে জোয়াল নিয়ে কুয়াশা গতরে মেখে দায়িত্বের দিকে ছুটে চলা এক মহাপ্রাণ


০৭

অভিনয় করে গরীব থাকতে গিয়ে কতজন বড় লোক হয়ে যায়— কতজন বড় লোকের অভিনয় করতে গিয়ে ছোটো লোক বনে যায়


০৮

প্রেমের নায়ক কষ্ট বিক্রি করে বউয়ের জন্য ফুল নিয়ে আসে, সংসারের নায়ক ভুল বিক্রি করে বউয়ের জন্য ফুল নিয়ে আসে


০৯

মানুষ মারা গেলেও মানুষের নাক ডাকার শব্দ শোনা যায়,  মাথার নিচের বালিশ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়


১০

গতির শুদ্ধ নাম জীবন। জীবনের পথ ধরে মানুষের হাঁটাচলা। মানুষ মূলত মানসিকভাবে মানুষ। শারীরিক অবয়ব মানসিকতার ফলাফল মাত্র।


The authentic name of motion is life. Man is strolling across the road of life. Man is man for the mentality, of the mentality and by the mentality. The physique is the sole so result of mentality. 


১১

রাধা পারে ফুল ফিরিয়ে দিতে। রাধাই থাকে ফুলের সাথে। ফুল বিহনে রাধাই জ্বলে কৃষ্ণঅনলে।


১২

সাহিত্য অতৃপ্তির খেলা। গভীর তৃপ্তি নিয়ে সাহিত্যের হৃদয় স্পর্শ করা যায় না। গভীর তৃপ্তি নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর। আত্মসমর্পণ আত্ম-হন্তারক।

বাজপাখি পাহাড়ে চলে যায়। বাজপাখি লোকালয়ে থাকে। লোকালয়ে যে বাজপাখি থাকে তার কাছে জীবন মানে শিকার-শিকারি। নতুন জীবনের আশায় যে বাজপাখি পাহাড়ে যায় তার কাছে জীবন মানে এক সাধনার নাম। সাধনার সামনে প্রতিদিন নতুন নতুন উপলব্ধি এসে ধরা দেয়। লোকালয় তো টেস্টটিউব বেবি— হাওন পেলে যার কান্দন থেমে যায়। 

অসন্তুষ্টি তাই আশীর্বাদের নাম। কারন হাতের পাঁচ কেবল সন্তুষ্টির কথা বলে। সাহিত্য হাতের পাঁচ দিয়ে হয় না, সাহিত্য হাতের পাঁচের সাপলুডু খেলা।


১৩

করাপ্টেড ব্যবস্থায় লেখকদের মুখে হাড্ডি দেয়ার জন্যে কর্তৃপক্ষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করে


১৪

মানুষের জ্বর মাপার জন্যে থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয় মুখে অথবা বগলের নিচে— গরুর জ্বর হলে থার্মোমিটার তার মুখে ব্যবহার করা যায় না, করলে থার্মোমিটারকে ঘাস ভেবে ভেঙে ফেলবে, রক্তাক্ত হয়ে যাবে গরু— তাই থার্মোমিটারের মাধ্যমে গরুর জ্বর মাপতে হয় তার পায়ুপথ দিয়ে


১৫

হঠাৎ শুনবেন ইন্দুর একটি বই লিখেছে এবং শুনবেন বিড়াল পরিবারে বইটি বেশ প্রিয়তা লাভ করেছে


১৬

মানুষ সত্যবাদী শত্রুকে পছন্দ করে কিন্তু মিথ্যাবাদী বন্ধুকে না, সত্য কিংবা মিথ্যা মানুষেরই বানানো একধরনের ইউটোপিয়া


১৭

সব পাখি ঘরে ফিরে— সব মশাও ঘরে ফিরে— পাখি ঘরে ফিরে খাবার খেয়ে— মশা ঘরে ফিরে খাবার খেতে


১৮

পরাজয় থেকে একদিন জয়ের জন্ম হয়েছিল, মানুষ তার শেকড় ভুলে যায়


১৯

বড় হতে হতে দেখবেন পায়ের নিচের দূর্বাঘাসও আপনার চেয়ে নির্ভীক স্বাধীন


২০

চান্দের জোছনার মালিকানা নেই, বাল্বের আলো মুদির দোকানে বিক্রি হয় রোজ


২১

সমাজ তেল্লা মাথায় তেল দেয়—তাই ভাবছি, মাথাই পর্যাপ্ত তেল রাখবো— তবুও সমাজকে রাখবো না— আমিন


২২

কখনো কখনো মিস্টার লেজ জনাব মাথাকে খেয়ে ফেলে


২৩

Never Trust anyone with the Wealth and wife— In the Harbour society husband is not yours only 


২৪

বিজ্ঞান দিয়ে জীবনের দৈর্ঘ্য প্রস্থ মাপতে যাওয়া মানে পা দিয়ে সাগরের গভীরতা নির্ধারনের চেষ্টা। জীবনকে কোনো ফর্মায় থিওরিতে তত্ত্বের মশালে ফেলা যায় না। জীবন তার মতো স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক, সমতল কিংবা বহুতল। তাই বৈজ্ঞানিক জীবন বা বৈজ্ঞানিক দর্শন বলতে আমরা যা শুনে থাকি তাও একধরনের বনসাই আলাপ।


২৫

জাহাজ জলের উপর দিয়ে চলবে এটাই নিয়ম। জাহাজ ফুটো হয়ে গেলে এর ভিতরে পানি ঢুকবে। ডুবে যাবে। মানুষকেও আলোচনার ভেতর দিয়েই যেতে হবে। ফুটো হয়ে যাওয়া মানুষ আলোচনায় তলিয়ে যায়।


২৬

পাহাড়কে বাতাস সহ্য করার সক্ষমতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিখতে হয় 


২৭

ছাগলের সংখ্যা অধিক হলেও রাখালের সংখ্যা কম


২৮

বাংলাদেশের মানুষ বদনামপ্রিয় প্রান— এমনকি মৃত্যুর আগেও আজরাইলের কাছে কারো না কারো নামে শেষ বদনামটি করে


২৯

অহংকার জ্ঞানীর বিষদাঁত— বিষদাঁত না থাকলে ন্যাংটা ছাওপুলাও সাপরে রশি বানাইয়া দোল খাবে


৩০

বিয়ে হয় দুটি পরিবারের মধ্যে, সমাজ থার্ড আম্পিয়ারের ভূমিকা রাখে, ছেলেটি মেয়েটি ব্যাটবল মাত্র।

ভাবছেন ফার্স্ট  এবং সেগেন্ড আম্পিয়ারের কথা। তারাও আছেন। তারা হলেন তরবারির মতো ঝুলে থাকা রাষ্ট্রীয় কিংবা ধর্মীয় আইন।

বিয়েতে দর্শক যারা আছেন তারা দাওয়াতপত্র পাওয়া সত্ত্বেও gift নামক টিকেট ক্রয় করে বিয়ে গ্যালারিতে ঢুকে এবং এনজয় নামক মুনাফা পেয়ে বেশ খুশি মনে বাড়ি ফিরে।


৩১

মন বাতাসের বংশধর

Mind is the descendant of the air 


৩২

পরিবারের সবাই যখন কাজে ব্যস্ত— হাসপাতালে লোকটি একা— হাসপাতালে লোকটি যখন একা পরিবারের সবচেয়ে বেকার মানুষটি তখন বিশুদ্ধ কাজের মানুষ


৩৩

ফেইসবুক—

কালিদাসের মেঘদূত।।  রাধা- কালার বড়ায়ি ||ইংরেজদের মীর জাফর।। দেসদিমনার রুমাল।।


৩৪

আপনি সন্দেহ করছেন ভালো কথা— আপনার সন্দেহ কিন্তু সন্দেহের বাইরে না


৩৫

পছন্দ বা ঘৃণা ব্যক্তির একক যোগ্যতা— দুজন বা ততোধিক ব্যক্তির সামষ্টিক ক্ষমতা হলো কমিনিউকেশন


৩৬

গালি দিতে গলা লাগে, ভালোবাসতে লাগে মন


৩৭

বাংলাদেশের যখন কম্পিউটার আবিষ্কার করার বয়স বাংলাদেশ তখন কম্পিউটারে কয়টা নাটবুল্টু আছে তা মুখস্থ করে মোটা বেতনের চাকরি পায়।


চাকরি পেয়ে বাংলাদেশ নয়টা পাঁচটা নাটবুল্টু বিষয়ক অফিস করে, অফিস শেষে ফার্মের মুরগী দিয়ে ডিনার করে সোজা বিছানায় চলে যায়।


বিছানায় কোনোদিন আধাঘন্টা একঘন্টা টুর্নামেন্ট খেলে কোনোদিন খেলে না। যেদিন বাংলাদেশ বিছানায় কোনো প্রকার টুর্নামেন্টের আয়োজন করে না সেদিন ডিনার ডাইজেস্ট না হওয়ার কারনে পেটে গ্যাস পড়ে। তাই বাংলাদেশকে প্রায় প্রতিদিন ট্যাবলেট বিষয়ক অফিস করতে হয়।


এইভাবেই হিমালয় থেকে সুন্দরবন তারপর হঠাৎ বাংলাদেশ!


৩৮

ছোট্ট দুটি পাখা নিয়েও বড় পাখিটা উড়তে পারে—কারন 'পাখি উড়তে পারবে না' তা বলার জন্যে কোনো মানুষ পাখিপরিবারে নাই


৩৯

আলো অন্ধকারের নিন্দা করে না, চ্যালেঞ্জ করে


৪০

বাংলাদেশে বড় হওয়া মানে পাওয়ারের অধিকারী হওয়া। যার কাছে পাওয়ার আছে সেই সবচেয়ে বড় মানুষ। একসময় লাঠির পাওয়ার খুব গুরুত্বপূর্ন ছিল। এখন টাকার আর প্রশাসনিক পাওয়ার খুবই গুরুত্বের দাবিদার।


কোনো মানুষ যখন এই তথাকথিত গুরুত্বপূর্ন পাওয়ারের দিকে যেতে থাকে তখন অন্যরা মানুষটির লেজে ছাই দিয়ে ধরে পেছনের দিকে টানতে থাকে। সকল টান উপেক্ষা করে মানুষটি যখন পাওয়ারের অধিকারী হয় তখন অন্যরা মানুষটির লেজে তেল ঘি মাখতে শুরু করে।


বাংলাদেশের মানুষ আসলে পায়ের নিচে রাখা আর মাথার উপরে রাখার কাজটা ভালো পারে, বুকে টেনে রাখবার কাজটি এখনো শিখে উঠেনি।


৪১

সাগরও আকাশে উড়ে বাষ্পের পালকে


৪২

মানুষ মূলত দেশ


৪৩

মানুষ যখন কাউকে বড় করে তার পেছনে কাজ করে রাজনীতি, মানুষ যখন কাউকে ছোট করে তার পেছনে কাজ করে রাজনীতি— আমি কেবল সমাজ রাষ্ট্রের  রাজনীতিটা মগজে বুঝতে চাই,শ্রবনে না


৪৪

আমার সীমাবদ্ধতা মানে তো আকাশের সীমাবদ্ধতা না,আকাশের তো দূরের কথা পাখিরও না 


৪৫

আলোটা অন্ধকার দূর করতে করতে অন্ধকারই হয়ে যায়—এটা আলোর নিয়তি নয়, সীমাবদ্ধতা।


৪৬

পুরাতন বোতলে নতুন জল রাখা গেলেও পুরাতন মনে নতুন সুর রাখা যায় না


৪৭


অতীত নিয়ে মাথা হাঁটানোর প্রয়োজন নেই— তিনি কবরে চলে যাবেন— তাকে চর্চা করবেন  মুনকার -নাকির।

আর জীবিতদের জন্য অমৃত বাণী—

ওল্লাল আখিরাতো খাইরুল লাকা মিনাল ওলা 


৪৮

রাত বাড়ে, জেগে থাকা বাড়ে— শীতের আগুন বাড়ে না বাড়ার মতন


৪৯

মানুষ আসলে ব্যক্তিমানুষকে পছন্দ করে না,ব্যক্তি মানুষের ভেতরের প্রয়োজনকে পছন্দ করে। মানুষ আসলে ব্যক্তি মানুষকে অপছন্দ করে না, ব্যক্তি মানুষের ভেতরের প্রয়োজনহীনতাকে অপছন্দ করে


৫০

ভাষা দিয়ে যা প্রকাশ করা যায় না তাইতো ভাষা 


৫১

এই পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার তার নিজস্ব বিনয়— বিনয়ের আম্মার নাম সহনশীলতা

বুধবার, ১১ মে, ২০২২

সোমবার, ৯ মে, ২০২২

চোখের সামনের সুগন্ধি হয়ে

 একটু আসো 

  ফাঁকে একটু আসো 

    ফাঁকে ফাঁকে একটু আসো 

      অনেকটা থেমে যাও 

        তসবির দানার মতো সুতায় প্রেম গাও 

  পাতায় পাতায় একটু হাসো

   অনেকটা থেমে যাও 

   শীতের শিরায় বসে মানুষের প্রান গাও 

পূর্বাভাস অপূর্ব পুর্বারঙে সূচনাসুর অনাবিল গাঙচিল 

   জলের ফাঁকে থামো একটু আনন্দ অনাবিল 

     নারীবাদী রূপকথায় নারী আবাদি দাওয়াবিল 

      সেইখানে 

       যেখানে মজনু খুঁজে হারানো দিন 

        ইয়া জাজং নিথুয়া দিগন্ত আলপিন 

         লায়লি খুঁজে সুর 

          ভোরবেলা পাতার আদর আন্ধার দেহে নুর 

     বাজনার শানে বাজে সুর নৃত্য তাল আনন্দ 

    পাতার দেহে বাতাস যেমন জয় পরানের ছন্দ 

         হলুদ গুড়ো হলুদ গুড়া আলিফ লাম মিম 

          ঘনঘোর তমসা 

           বাতায়ন লেবানন 

            লুকোনো গন্ধম অদৃশ্য আলাদিন 

              রকদস্তি একদিন দুইদিন তারপর বহুদিন 

   শেষ রাতে জেগে উঠে পাতার ফাঁকে জ্বিন 

     জ্বিন যেনো পরী চায় 

      পরী চায় ঘর 

       থেমে থেমে আপন করো 

         করো না 

          করো একটু পর

সোমবার, ২ মে, ২০২২

পাতা ✋পাখি

 পাতাও উড়তে চায়

আকাশে আকাশে 

পাখা নেই তাতে কী 

বাতাস তো আছে

দ্রাক্ষা লাক্ষা মধু

 দ্রাক্ষা। লাক্ষা। উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি। অথচ কত পার্থক্য তাদের আচরণ। দ্রাক্ষা মানে কিচমিচ( vine wilt), লাক্ষা মানে জতু অথবা বড়ই গাছের পোকার বুমি অথবা অলক্ত। মহাভারতে জতুগৃহ নামে এক লোমহর্ষক পরিকল্পনা আমরা দেখতে পাই। পঞ্চপাণ্ডবদের মেরে ফেলার জন্যে জতুগৃহ নির্মাণ করা হয়। রাখে আল্লা মারে কে!? লাক্ষার ভয়ঙ্কর আগুন পঞ্চপাণ্ডবদের  ক্ষতিনিশানার কোনো পথ দেখাতে পারেনি। 


কবিরাজ সাহেবের কাছে এসে জানতে পারি লাক্ষা ও দ্রাক্ষার সাক্ষাৎ পার্থক্য। জানতে পারি মধুর বিশাল এলাকার কথা যেখানে মধু বিভিন্ন উপায়ে মানুষের শরীরে পিএইচডি করে। 


বাড়িতে মধু রাখতে পারেন। মধু জ্বরের বিপরীতে দারুণ কাজ করে। তবে একটা মজার কথা বলি— আমার একান্ত ব্যক্তিগত অবজারভেশনের ফলে বলছি— পৃথিবীতে যত মধু নামের মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে তারা কিন্তু মানুষের মনের অথবা শরীরের জ্বর বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সক্রিয়  সহায়ক সরকার হিসাবে কাজ করে😃🤪।


বলছিলাম মধু শরীরে জ্বরের বিপরীতে কাজ করে। তবে কোনো মানুষ দীর্ঘমেয়াদি বায়ুর রোগী হলে মধু সেবন না করাই ভালো। কারণ মধু বায়ু বৃদ্ধিকারী। আপনারা অনেকেই জানেন মধু গরম খাবার। আসলে মধু ঠান্ডা খাবার এবং কষায় রস। আরেকটি কথা বলি, মধু নামে যত মানুষ আমার চোখে পড়েছে, দৃশ্যত মনে হয়েছে তারা অত্যন্ত নরম কোমল পানীয়, আসলে তারা গরম রাগী মেজাজ স্থানীয়।

 

আমরা যখন কোনো খাবার গ্রহণ করি তা আমাদের শরীরে তিন প্রকার ক্রিয়া নির্মাণ করে—

উষ্ণ করে

শীতল করে 

অউষ্ণ করে


মধু যেহেতু শীত বীর্যের আকর সেহেতু পিত্তনাশক বা শরীর শীতল করে এবং মধু যেহেতু কষায় রস সেহেতু বায়ু বৃদ্ধি করে বা বৃদ্ধি করে ব্যথা। যেকোনো ব্যথার জন্যে দায়ি বায়ু। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র অনুযায়ী শরীরের যেখানে বাতাস জমে সেখানেই ব্যথা হয়। মধু কষায় রস তাই সে কফনাশক। শরীরে মাটি ও জলের পরিমাণ বাড়লে কফ বাড়ে। মধু স্তম্ভ হিসাবে কাজ করে। কারন তা কষায় রস। যেকোনো কষায় রস স্তম্ভ বা প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করে। তবে ব্যতিক্রম তো আছেই। তাই মধু যেকোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতিকর আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আগের দিনে ক্ষতঘার ড্রেসিং করার কাজে মধু ও ঘি সমান পরিমাণে মিশ্রণ করে একধরনের ড্রেসিং প্রক্রিয়া নির্মাণ করা হতো। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র বলে মধু ও ঘি সমান পরিমাণে মিশ্রণ করে একটা প্রক্রিয়া নির্মাণ করলে তা বিষ হয়ে যায় যা খাবার হিসাবে গ্রহনে  কিডনি ও চামড়ার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে।

বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২

বা সুদে ব অর্জু ন

 অর্জুন:  আপনি রাধাকে ভুলে যান গোবিন্দ।


গোবিন্দ পানসে নদীর জলে যেখানে প্রায় পাকা ধান আর মেঘে ঢাকা চাঁদের ছায়া পড়েছে সেখানে মায়াপড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।


অর্জুন: কিছু বলছেন না যে গোবিন্দ। 


গোবিন্দ: শরীরের কবর দেয় মানুষ— আত্মার কবর দেয় আল্লা— আমার আর রাধার সম্পর্ক আত্মার— একমাত্র আল্লাই আমাদের সম্পর্কের কবর দিতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

অনর্গল নদী

 হ্যালো মাই ডিয়ার অনর্গল নদী 

সাগরের দেখা পাও যদি

বলিও

বলিও তারে

বৃষ্টি হয়ে যাবো তার বাড়ি 

সে এক আশ্চর্য সহনশীল আনন্দ— বামটান ডানটান 

গাছের ছায়ায় এক ভয়ানক গ্রাম 

ছায়ার সুরে মনোধর ঝড় তুফান তুলে

চোখে তার রাগের মিউজিয়াম কোলাহল করে

কাকলি বাতাস গভীর রাতে মৃত্যু গিলে

বলিও

বলিও তারে

জলের দুই পার বেদনায় একাকার

দুই পার এক হলে জলমনে হাহাকার

সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২

বা সু দেব অ র্জু ন

 অর্জুন— সবাই কপালের টিপ নিয়ে ব্যস্ত কেনো?

বাসুদেব— কারন তাদের কপাল নির্ধারণ করে তাদের স্বামীরা।

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

সন্তান যেনো থাকে জোছনা রাতে

 প্রশিক্ষণ। মানসিক প্রস্তুতি। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। শারীরিক সক্ষমতা। তারপর মা হয়ে উঠার,বাবা বনে যাওয়ার চেষ্টা করতে হয়। তবে এই কথা সত্য যে জঙ্গলে গাছ আপনি আপনি বড় হয়ে উঠে, মঙ্গলে গাছের আবাদ করতে অবশ্যই চেষ্টা কিংবা প্রচেষ্টা লাগবে।


একটা সময় পরিবারগুলো ছিলো জঙ্গলের মতো প্রাকৃতিক— বলতে গেলে যৌথখামার। নানানানি মাসিপিসি দাদাদাদি সবাই মিলে সন্তানের দেখভালের ভার নিতো— সন্তান বড় হয়ে উঠতো আনন্দে। আর এখনকার সন্তানের মা ব্যস্ত, বাবা ব্যস্ত, নানানানি দাদাদাদি মাসিপিসি হয় ব্যস্ত নয় অসুস্থ। ফলে সন্তানের আনন্দ বাস্তবতা নির্মাণ হচ্ছে মোবাইলে— কার্টুনের মতো বেড়ে উঠছে তারা, তারার কবিতা শুনে মোবাইলে। কয়েকবছর পর এই কার্টুন জেনারেশন যখন সমাজে ফাংশন করতে শুরু করবে সমাজে শাসনের বদলে দেখা দিবে বিশৃঙ্খলা— দুষ্টু নয়, নষ্ট আচরণ ভর করবে তাদের মনে— মনন বলতে তাদের কিছু থাকবে কিনা দয়াল মালুম হে।


আপনি ভাবছেন সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করে মানে পৃথিবী উপযোগী করে গড়ে নেয়ার জন্যে আপনি একাই যথেষ্ট। নো। কখনোই না। বাচ্চারা আপনার কাছ থেকে যা শিখবে আপনা থেকে তারচেয়েও অনেক বেশি শিখে। আপনা বলতে বাচ্চার মানসিকতার প্রতিবেশ। মানসিকতার প্রতিবেশ বলতে তার আচরনবিধির পারিপার্শ্বিক জায়গা। তাই আপনার সন্তান একটি সুন্দর পরিবেশ পাবে এটাই আপনার  সন্তানের প্রধান প্রাপ্তি— ব্যাংকের ডিপোজিট বা আপনার জমানো কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নয়। 


ধরুন আপনার অনেক টাকা আছে  তাহলে সন্তানকে নিয়ে ভ্রমণ করুন— তাহলে সন্তানের অহংকার মোটা না হয়ে হৃদয় মোটা বা বড় হবে উদার হবে— হৃদয় উদার না হলে সামাজিক সত্যের কাছে পরাস্ত হতে হয়,সত্য নির্মানের ক্ষমতা থাকে না।


ভ্রমন করা মানে কিন্তু বাড়ির পাশের রেস্টুরেন্টে গিয়ে পিৎজা বার্গার স্যান্ডউইচ মার্কা ছবি তুলে স্যাটেলাইট ভরাট করে ফেলা নয়— ভ্রমণ করা মানে নিজের অভিজ্ঞতার বাইরে নতুন কোনো কালচারের সাথে পরিচিত হওয়া। সব নদীতেই সব সাগরেই জল থাকে কিন্তু সব জলের বয়ে চলার গল্প বয়ে চলার গতিপথ ভিন্ন— ভিন্ন গল্পের সাথে ভিন্ন গতিপথের সাথে আপন মনের বিবাহ করানোর নাম ভ্রমণ— আর ভ্রমণখরচ হলো সেই বিবাহের কাবিন। 


একদিন ঢাকার এক দামি রেস্টুরেন্টে যাই। তখন রাত বারোটা ত্রিশ মিনিট প্রায়। আমাদের খাবার শুরু হওয়ার প্রায় দশ পনেরো মিনিট পরে একটি পরিবার আসে। এখনকার পরিবার মানে দুজন মিলে বিয়ে তিনজন মিলে পরিবার। দুজনের সাথে ছয় সাত বছরের একটি সন্তান আসে। যে সময়টা সন্তানের ঘুমানোর দরকার সেই সময়টাই সন্তান খেতে আসছে। এই সন্তান যখন বড় হবে তখন সে রাতে ঘুমাতে যাবে না সকাল সকাল— সকালে ঘুমাতে যাবে— ফলে শারীরিক মানসিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে বাধ্য।


বাচ্চা একটি চিকেন ফ্রাই খাচ্ছে। খাওয়ার মাঝখানে সি-ফিশের ফ্রাই আসে। তখন তার নজর সি-ফিশের দিকে। সি ফিশ অল্প খেয়ে বলে "খাবো খাবো না, তিতা তিতা।" বাচ্চা-বয়স থেকে সে ইগনোর করা শিখছে— প্রাপ্ত বয়স্ক সময়ে যা তার মধ্যে ইগো ইগনোর নির্মান করবে, তুলনা করা শিখবে— প্রাচুর্যের তুলনা হোক ও হোক দারিদ্র্যের তুলনা— তারা ভয়ঙ্কর যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণহীন করে তুলে— মানুষ যখন তার মেজাজের কাছে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে তখন তার মোড তিনশো ষাট ডিগ্রি অ্যাংগেলে সোয়িং করে— প্রথমে নিজের প্রতি অবিশ্বাস, পরে নিজের পারিপার্শ্বিকতার উপর অনাথবন্ধু সম্পর্ক গড়ে উঠে।


বাচ্চাটি খাচ্ছে আর কার্টুন দেখছে। তার মাবাবা তাতে বিশাল খুশিতে ☺ বাগবাকুম। কারন তাদের হানিমুনে বাচ্চাটি বিরক্ত করছে না— আরে ভাই, প্রশিক্ষণের সময় যে সন্তান বিরক্ত করে না প্রয়োজনের সময় সেই সন্তানই আপনাকে বিবস্ত্র করবে। তার মানে এমন কথা বলছি না, কেয়ারিং করতে করতে আপনি নিজেই বাচ্চার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হয়ে উঠেন। 


সাইকেল অব ডেভলপমেন্ট বলে, ১৮ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত থিংকিং স্টেজ— এই সময়ে বাচ্চা সন্তান শিখে কিভাবে ভাবতে হয়— এই সময় অভিভাবকদের অতিরিক্ত কেয়ারিং করার ফলে অনেক বাচ্চা ভাবার অবকাশ হারায়— ফলে থিংকিং স্টেজে ব্লক তৈরি হয় যা হার্ট ব্লকের চেয়ে ভয়ঙ্কর। একটা কথা খুব করে মনে রাখা প্রয়োজন— সন্তানের জন্যে সব করে দেওয়া মানে সন্তানের ভবিষ্যৎ পথে একটি বিরাট গর্ত নির্মান করে দেওয়া যা অতিক্রম করার শিক্ষা মায়ের আদুরে বাবার প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠা সন্তানের থাকে না। 


সন্তানকে ছেড়ে দিন। প্রত্যেকটা বয়সের একটা চ্যালেঞ্জ থাকে, তাকে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দিন।কখনো জিতবে কখনো হারবে। তাতে অসুবিধা নেই। তাতে বিশাল সুবিধা হলো আপনার ছায়ায় আস্তে আস্তে তার মেরুদণ্ড শক্ত হয়ে উঠবে— জীবন সংগ্রামের উঁচুনিচু পাহাড় জয় করতে শিখবে। সন্তানকে আকাশের ঘুড়ি না মনে করে হাতঘড়ি মনে করতে পারেন— যার কাটা আপন গতিতে চলে— যার নিজস্ব ব্যাটারি বা মতামত রয়েছে কিন্তু আপনার হাতে বা আপনার চোখের সামনে থাকে। 


সন্তানকে আপনি একটি অলঙ্কারের সাথে পরিচিত করাতে পারেন। অলঙ্কারটি বাজারে কিনতে পাওয়ার যায় না— পাওয়া যায় নৈতিকতার অভিধানে— অলঙ্কারটির নাম 'সত্যকথা' বলা। সন্তান যেনো আপনার শাষনের ভয়ে আপনার সাথে মিথ্যা না বলে। প্রথমে শাষনের ভয়ে মিথ্যা বললে পরবর্তীতে লাভের স্বার্থে মিথ্যা বলবে। মা হিসাবে আপনি ভয়ের ফায়দা নিবেন না,মানে সন্তানকে ঘুম পাড়ানির মাসিপিসির গল্প বলুন কিন্তু অন্ধকার থেকে জ্বিনভূত ডেকে আনবেন না অথবা সন্তান ভয় পায় এমন কোনো বিষয় তার মনের সামনে বার বার ডেকে না এনে  বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার দিকে সন্তানকে কনভার্ট করানোর সহজিয়া উপায় খুঁজে বের করা উত্তম। 


ভয় দেখিয়ে সন্তানকে পৃথিবীর সাথে পরিচিত করাতে  পারেন, আবার প্রেমের মাধ্যমেও তাকে পৃথিবীর সাথে পরিচিত করাতে পারেন— ইটস আপ টু ইউ। ভয়ের ভবিষ্যৎ ভালো না,প্রেমের ত্রিকাল আরামদায়ক এবং ফলদায়ক— ভয় আর প্রেমের মাঝখানে অবস্থান করে উচ্ছ্বাস— সন্তান যেনো উচ্ছ্বসিত থাকে দারুণভাবে— প্রতিযোগিতা করবে— কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে না— কেবল সময়ের সাথে— ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উত্থান পতন রয়েছে, সময়ের তা নেই। সন্তান যেনো হয়ে উঠে সময়ের সন্তান।

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২

আলো থেকে সহনশীল দূরে

 আমিও জানতাম 

নদী তীরে বসে থাকা বাতাস্খ আসমান 

কালেফুল জলনল ডোবাকল ময়দান 

মায়ায় মন ভাসে না ভাসে মন শানেমান 

আলোতে জয় রাম 

গোপনে হনুমান 

চললাম চললুম 

বদনামে নামেনাম— নামে নয় সুনাম 

জলে মাছ ডাঙায় লাশ 

চলে হাস জলে হাস 

এক পাখি দুই নাম 

দুই পাখি এক দাম 

দুই পাখি এক ঘরে 

এক ঘরে এক কাম 

এক কাম এক কাম— কয় নয় বেশি দাম

চোখজল কাদা করে কার পাখি কার ঘরে

হাসিমন

জলাবন

এক পাখি দুই ঘরে দুই দুই নাম করে

ঠোঁট আছে পাখি আছে 

নদী ভরা মাছ আছে 

বেচে থাকা ভেসে থাকা আরও কাছে আরও কাছে

চলো মন চুলা মন 

এক রাজা এক ধন

কল্ল ভল্লি চেয়ারের সুধীগন

মাঝপথে নেচে যায়

মরে যে বেশি খায়

খায় খায় করে মন 

নদী তীরে দুনাপন 

যার যে সে নাই 

আছে যে তাই নাই

শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২

Hello

 Sinuous trail 

You are beautiful 

Sinuous sweeping trail your body is 

I decide to meander physically side by side and tip top troops and down town of the long


One night 

One dark night 

Or Hazard dark of the terrible moonlight 

I will be busy drinking your inner and outer stream 


Life is a tale untold 

Life is a gamble appeared book readable one

Let's deliquesce in it

A very loving you 

Moral luck and fog behind war you are

So vivid and violent you are in the bed I think and its made me enough wild— wild to life


It’s a story all about the interior beauty 

Its a decision all about the uncaring exterior 

So be ready 

And make a fight of the undid night


You and me 

Me and you 

Loo the water 

Loo the air 

Everything is watch under the water 

Everything is watch over the sky 

We are here 

We are there 

Above and beyond anything of everything

বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

স বাই কে বল খু ল তে বলে

 সবাই কেবল খুলতে বলে

খেলতে গ্যাছে চাঁদ

চোখের দেশে ফুলের বাগান ঠোঁট কাঁপানো রাত

বিজন বনে হরিণ নাচে

পাতার ফাঁকে আলো

পাপড়ি ধরে প্রেমের ধরন

দেহের ফলন ভালো


খুলতে খুলতে জোছনা দেখা 

সাপের মতো নদী

তলদেশে এটেল মাটি 

মাটির আরাম গদি

গভীর থেকে গভীরে যাওয়া 

আরাম বনে আরাম পাওয়া 

গরম নরম বেদি

খুলতে খুলতে চাবি তালা

গন্ধে ব্যাকুল দেহ মালা

বাড়তে থাকে পারদ জ্বালা 

তুলসী বনে রাধা কাঁপে

কাঁপে তুলসী কালা


সবাই কেবল খুলতে বলে 

বলে তাকে প্রেম 

কামে সবুজ মানবদেহ জানে রাধাশ্যাম

ভালো লাগা নীলের জলে দেখা বকের সারি

খুলতে জানা নদী জানে সাগর আসল বাড়ি

সাগর থেকে সাগরে যাওয়া ওপেন টিউন মেটার

খুলে ফেলার সুরা কেরাত মন্দ নয় বেটার

আঙুল আঙুল খেলার পালায় তার হয়ে যায় গিটার


সবাই কেবল খুলতে বলে 

খেলতে পারে ধীজন 

খেতে গেলে গলায় ধরে 

চোখের নেশায় ভোজন 

ভোজন রসিক সাতার জানে 

জল জোয়ারে ভাসে 

খুলতে জানলে বেহা হাড় সোজা হয়ে হাসে

মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ব স ন্ত এসে গ্যা ছে

 সিএমসিতে এলোমেলো দাঁড়িয়ে আছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার কাছে জানতে চাইলাম ফটোকপির মেশিন কোথায় পাওয়া যায়। তিনি আসমানে চোখ তুলে এলোমেলো উত্তর দিলেন। 


আপনারা পুলিশ যারা সবাই কী রেগে কথা বলেন? 


পুলিশ হাসি ☺ দিয়ে বললেন 'আমি কী রেগে কথা বললাম?' 


আমি হেসে উত্তর দিলাম, 'না'— আপনি বসন্তের ফুলের ❀ মতো কথা বললেন। 


তারপর দুজন একসঙ্গে চা খেতে গেলাম— চায়ের কাপে নেমে এলো আমাদের বসন্ত— বসন্ত এসে গ্যাছে

শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

হাওর

 বর্ষাকালের হাওর গর্ভবতী ফুল নারী মা— শীতের হাওর পরিশ্রমী বাবার মতো কান্দে জোয়াল নিয়ে কুয়াশা গতরে মেখে দায়িত্বের দিকে ছুটে চলা এক মহাপ্রাণ

শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

জেনে রাখো পুত্র আমার

 জান্নাতের দুটি টিকেট আছে। একটা তোমার, আরেকটি যাকে ইচ্ছা তাকে দিতে পারবে। জান্নাত মানে অফুরন্ত সুখের প্রশান্তির দীর্ঘমেয়াদি আবাস— ফুলের গন্ধে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকার মতো নাতিশীতোষ্ণ প্রাসাদ।


কাকে দিবে তুমি এই টিকেট?


তোমার সাথে যে জাহান্নামে যেতে চায় না তাকে কখনো জান্নাতের টিকেট দিবে না—পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি। পুত্র আমার জেনো রাখো তুমি— মানুষ নশ্বর আবার মানুষই অবিনশ্বর— মানুষ কালের সন্তান আবার মানুষ থেকেই কালের সৃষ্টি। মানুষকে জানো চোখ কান নাক মুখ হাত পায়ের সমস্ত অনুভূতি প্রয়োগ করে— মানুষকে জানার কিছুক্ষণ আগেও কোনো ফাইনাল কথা বলবে না পুত্র আমার।  


মানুষ আগুন বানাবে,মানুষ তোমাকে আগুনে ফেলবে, মানুষ আবার নিজের প্রয়োজনে তোমাকে আগুন থেকে রক্ষা করবে— মানুষ নদীর মতো সাগরে মিশে যাওয়ার লোভে পাড় ভাঙে— ভাঙতে ভাঙতে বেচে যায় নদী। 


আকাশ ভেঙে মাথায় পড়বে এই ভয়ে মাটির নিচে লুকানোর ছলছল চেষ্টা করো না— আকাশ বলে কিছু নেই, মাটি বলেও আরামদায়ক কিছু নেই— মাটি এক বিশাল প্রানি— প্রান দেয় প্রান নিয়ে থাকে— আকাশ ও মাটির সাথে তুলনাহীন জীবন যাপন করো পুত্র আমার— বিশ্বাস করবে চোখের সামনে এক পৃথিবী মনের সামনে পৃথিবী হাজার। 


রঙের বাহারে পোকা হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে না পুত্র আমার— বটগাছের সুশীতল ছায়ায় ঘুমিয়ে যাবার আগে নিতাই গঞ্জে যাওয়ার কথা মাথায় রেখো— চোখের সামনের সমস্যাকে সরল গনিতের মতো সমাধান করবে— সমাধান হবেই— সময় লাগবে— অপেক্ষা করা একটা যোগ্যতা— বেচে থাকার আরেক নাম অপেক্ষা— মৃত্যুর সোনালি ডানার চিল এক অপেক্ষা— অপেক্ষা নিজগুণে মহাকাব্য মহাকাল। 


হাতকে করে তুলবে উপকারী— মন যেনো হয় ফুলের ❀ বাগান— চোখ দিয়ে তাই দেখবে যা দেখা যায় না— কথা যেনো হয়ে উঠে বিপন্ন-বিস্ময়ের ভেতরে এক বিন্দু হলেও আশার উচ্ছ্বাস— উপকারীকে সূর্যের মতো দূরে রাখবে প্রেমের মতো সুরে ডাকবে পুত্র আমার। 


পৃথিবীর কোনো কিছু শতভাগ শান্তি কিংবা অশান্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখে না— রাত চলে যায় বলে দিন আসে না— দিন আসে বলে রাত চলে যায় না— দিন এবং রাত তোমার দুটি চোখ পুত্র আমার— নাকের দেয়ালে তুমি পৃথিবীর মানুষ— পৃথিবীতে প্রাসাদ বানাবে অবশ্যই— তবে মনে রেখো প্রাসাদের মতো তুমিও কোনো মালিকের অধীন— যা আছে তা যেমন সত্য যা নেই তাও তেমন সত্য— সত্যের নির্মান ক্ষমতা যেনো তোমার থাকে— আমার কথা যেনো তোমার ছায়া বা মায়া না হয়ে উঠে সেইজন্য আমার কথা তোমার চোখের সামনে মনের আয়নায় ল্যাবরেটরি হিসাবে তুলে ধরলাম— নির্মানের দায় কিংবা মুক্তি কেবলই তোমার— চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস— মানুষ কেবল প্রবাহের ছায়া থেকে বানানো ছবি— ছায়াছবি।

রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

আ ফা লের মা ছ

 ০১

হারানো রোদের গল্প শুনতে শুনতে যাদের দিন যায় তাদের ডান চোখের নিচের সবুজ গাছটির ছায়ায় বসে থাকি আমি

০২

ভাবের সম্পর্ক পরিবর্তন হয় না— ভবের সম্পর্ক প্রয়োজনে আসে আবার প্রয়োজনে চলে যায় 

০৩

চাঁদ দেখবো বলে এক‌টি রাত চেয়েছিলাম, ভোর দেখতে হলে রাতের দরকার হয়

০৪

লেজ নাড়ানো কুকুরের স্বভাব, চোখ এবং মনের বড়ই অভাব

০৫

তার মোড শেন ওয়ার্ন  কিংবা মুরালিধরনের বলের চেয়ে অধিক সোয়িং করে, বল দেখে ব্যাট করো হে হিটার,আউট হলে ক্যারিয়ার চলে যাবে দর্শক গ্যালারিতে

০৬

কবিকে দেখা যায় কবিতার আকাশে— অন্য কোথাও কবি যেনো জলের বাতাস

০৭

ভাইরাসকে আক্রমন নয়, ভাইরাসের আক্রমনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও শক্তিশালী এন্টিবডির প্রয়োজন

০৮

Man at all software not yet hardware and we are the same software and software has no country so called, our country is our working process 


০৯

আরোপিত সব কিছু জোয়ারের মতো দেখায় কিন্তু ভাটার মতো আচরন করে

১০

ঢাকা শহর ইনটেনসিভ কেয়ারে আছে, যেকোন সময় কোমায় চলে যেতে পারে

১১

মানুষের পছন্দবোধ দিয়ে উপলব্ধি করি মানুষের নদী যেখান থেকে সে মাছ ধরে, জল আনে কিংবা যেখানে মানুষ স্নান করে। মানুষের অপছন্দবোধ থেকে অনুধাবন করি মানুষের সাগর যেখান থেকে তার উৎপত্তি।

১২

পরিনতি আর সূচনার ঠিক মাঝখানে আশার আস্ফালন

১৩

সবকিছুকে সন্দেহের চোখে দেখা  মানুষটি শেষমেশ নিজের চোখকেও সন্দেহ করে

১৪

মানুষপাল খেলা করে স্বার্থের মাঠে

১৫

পৃথিবীর গার্ডিয়ান বিপ্লবী, বিপ্লবীদের দীর্ঘশ্বাসে থাকে মানুষ

১৬

দিতে চাইলাম বড়শি, নিতে চাইলে মাছ

১৭

প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে তারা মাছ কিংবা সাপ হয়ে যায়

১৮

প্রভু যখন কোনো ব্যক্তির কল্যান চান তখন তার পাশে সঠিক পরামর্শদাতা নিয়োগ করেন, আবার যখন কোনো ব্যক্তির অকল্যান অনিবার্য হয়ে পড়ে তখন তার কাছ থেকে সঠিক পরামর্শদাতা তুলে নেন

১৯

কলিজার ছায়ায় যে সন্তানের জন্ম সেই সন্তানের খাবার কলিজা

২০

মিষ্টি মেয়েটি বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে গেলে পৃথিবী উর্বর হয়ে উঠে

২১

ফ্যানের কত্ত দুঃখ— তাকে কেবল বাতাস দিতে হয়

২২

ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই কমবেশি বেশ্যা, বাইরে বাইরে শতভাগ মাওলা আল্লামা

২৩

ভোগের জগতে তারা ডুবে যায়— ভাবের জগতে মিশে যায় মানুষ— ডুবে গেলে মৃত্যু— মিশলে মিলে জীবন

২৪

গরীবের এক চোখে ক্ষুধা, অন্য চোখে যন্ত্রনা,গরীবের মুখে তাই চিৎকার

২৫

চুপ করে থাকো— দেখবে কেউ না কেউ তোমার মনের ভাষায় কথা বলছে

২৬

এখন রুমের বাইরের চেয়ে রুমের ভেতরে খেলা চলে বেশি— সিড়ি দিয়ে নামার সময় সবাই বলুন সোবহানাল্লাহ

২৭

প্রভুর ক্ষমতার নাম দয়া

২৮

বিরহের ফুল গন্ধে ভালো

২৯

গাধাকে আদা খেতে বলবেন না, কারন আদাটা মানুষের খাবার

৩০

রাগের আয়ু বেশী দিন হলে জীবনের আয়ু কমে যায়, অভিমানের আয়ু কৌমার্য হলে সম্পর্কের বন্ধন বৃদ্ধি পায়।

৩১

আকাশে উড়তে গিয়ে দেখলাম প্রচুর বাতাস— আকাশে উড়ার আগে বাতাসকে ব্যবহার করতে শিখতে হয় প্রিয় এমরানুর রেজা ভাই— এখন তাহলে সোলেমান নবীর প্রেমে মগ্ন থাকো কিছুকাল

৩২

চোরের কাজে গিরস্থের চোখ— ডাকাত এখন তৃতীয় মুখ

৩৩

চাবির কাজ কেবল তালার সাথে না— মালিকের সাথেও— তালার কাজ কেবল নিরাপত্তার সাথে না— চাবির সাথেও

৩৪

টেনশন হলো আপনার গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের এক্স, খুব কাছে ডাকলে সংসার ভাঙবে

৩৫

সাপের কাছ থেকে মধু আশা কর কেন রেজা ভাই, মৌমাছির কাছ থেকে মধু আশা না করলেও মধুই পাবে

৩৬

এক ভদ্রলোক বলেছিলেন "মানুষ খাবে এটাই তার প্রকৃতি, তবে মানুষ যখন কেড়ে খায় এটা তার বিকৃতি, আর যখনই মানুষ বন্টন করে খায় এটা তার সংস্কৃতি।"


সমাজের দুর্নীতিবাজ, চোর, সন্ত্রাস বন্টন ব্যবস্থা অত্যন্ত সুষমভাবে মেনে চলে। রেলওয়ে স্টেশনে এক‌টি মোবাইলও যদি চুরি হয় এর ভাগাংশ পাবে টপে যে চোর আছে সে। আর সন্ত্রাসদের ত কার্যালয় বিভাগ এলাকা ডিপার্টমেন্ট ভাগ করা থাকে। কেউ কারো জায়গায় নাক গলানো ত দূরে থাক আঙুলও গলাবে না। অর্থাৎ এরা বন্টন সংস্কৃতি মেনে চলে। ফলে তারা বিরাট বিরাট নেগেটিভ কাজ করেও তারা বিরাট মানুষ। 


সত্যিকারের সত্য মানুষ যারা, যারা আসলেই বিরাট মানুষ তাদের ভালো কথা আছে সুন্দর চিন্তা আছে বেদনা মানিক আছে আরামের কম্বল আছে, নাই কেবল বন্টন, নাই কেবল সংস্কৃতি।

৩৭

ভালোবাসাকে বুঝতে হয় একটা জীবন দিয়ে, জীবনে ভালোবাসা আসে না

৩৮

আশেপাশে প্রচুর অভিধান রেজা ভাই, মাথাটাকে অন্ততপক্ষে অভিধানমুক্ত রেখো। পেস্ট আর ব্রাশ কিন্তু দাঁত খেয়ে ফেলে। রেজা ভাই পেস্ট আর ব্রাশকে নিয়মিত চেক করে নিও।

৩৯

গ্রীষ্মকালে বিরক্ত করার জন্য গরম থাকে, শীতকালে আরাম দেয়ার জন্য বেকারদের জন্য কেউ থাকে না। রাত শেষে বালিশের সাথে একা।

৪০

মরনের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে বেঁচে থাকা

৪১

খেলাধুলা পরাজয় মেনে নেয়ার প্রশিক্ষণ

৪২

ভুলের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যা বাড়ছে

৪৩

কোনো একজন একশ মিটার গতিতে দৌঁড় দিলে অন্যরা চারশ মিটার গতিতে লোকটিকে থামানোর চেষ্টা করে। এটা হলো বাংলাদেশ। অথচ দুইশত মিটার গতিতে দৌঁড় দিয়ে লোকটিকে অতিক্রম করা যায়। আমরা আসলে অতিক্রম করতে চাই না, অতিক্ষতি করতে চাই।

৪৪

তুমি সিনেমার নায়িকাদের মতো অপেক্ষা করো। আর আমি? আমি সিনেমার রিয়েল দর্শকদের মতো পর্দায় চেয়ে থাকি।

৪৫

বিদেশীরা বাংলা বললে আমাদের মন আনন্দে নাচতে থাকে— আমাদের আনন্দের নাচ শেষ করার জন্যেই বিদেশীরা বাংলা বলে— ইতিহাস! ইতিহাস তাই বলে!!

৪৬

তুমি ভেবেছিলে আকাশটা তোমার হবে— তুমি ভাবোনি আকাশে ঝড় তুফান বজ্রপাতের মতো কিছু একটা থাকতে পারে

৪৭

কোনো মানুষ ভালো না খারাপ এটা খুব গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন না। বিবেচ্য বিষয় হলো মানুষটি আমার টাইপের কিনা। অনেক প্রোফেসনাল ডাকাত দেখেছি যাদের একটি ফটোজেনিক হৃদয় রয়েছে, অনেক প্রোফেসনাল ভালো মানুষকে দেখেছি যাদের রয়েছে সুন্দর একটি কদাকার চারিত্রিক দিক। কারোপক্ষে শতভাগ মুন্সি হওয়া সম্ভব নয়, কারন প্রান খেয়ে প্রানী বাঁচে।

৪৮

পাকস্থলী অনেক স্মার্ট। আর স্মার্ট বলেই খাবারকে দুইভাগে বিভক্ত করে। একভাগ পাঠিয়ে দেয় রক্তে, অন্য ভাগ পাঠিয়ে দেয় পায়ুপথে পৃথিবীতে। পাকস্থলী আবর্জনা ধরে রাখে না। অথচ মস্তিষ্ক আবর্জনা ধরে রাখতে পছন্দ করে— হে দয়াল, মস্তিষ্কের কেন একটি পায়ুপথ দিলা না, তাহলে মানুষেরা চৈতন্য নিয়ে ভালো থাকতে পারতো।

৪৯

অন্ধকারকে সরানোর জন্যে মহা শক্তিশালী এক সূর্য কাজ করে— আপনার কাজ না করলেও চলবে

৫০

দৃশ্যগুলো জড়। দৃশ্যের আড়ালে ঘটনা থাকে যেখানে রয়েছে লেনদেন। যদিও সব ঘটনা লেনদেন নয়। সব নয়, কিছু  লেনদেনে লেপ্টে থাকে প্রাণের স্পর্শ। খুবই নগন্য প্রাণ আছে যারা প্রাণের দেখা পায়।


The scene is defunct. There is a light something  beneath the dark where dealings found within the events. Though every episode is not alive yet. Many a little energy is able to touch the ability of episode between the deals within pickle. 

৫১

ভারতবর্ষের মানুষ পরিপূর্ণ ভালোবাসাও নিতে জানে না, আবার ঘৃণাও সহ্য করতে পারে না। তারা পছন্দ করে রহস্য। যে সম্পর্কের মাঝে যতবেশী  রহস্য সেই সম্পর্ক ততবেশী তরতাজা।

৫২

প্রেম এমন এক কুরি যা যেকোনো সাপকে ধরে নিয়ে আসে

৫৩

বিয়ের কিছু দিন পর প্রেমিকাদের স্বামীকে আঙ্কেল আঙ্কেল দেখায়। আমি জানতাম কাঁচা কাঁঠালই কেবল গরম দুধ পেয়ে পেকে যায়, পেকে যেতে বাধ্য থাকে। না। বাস্তবতা ভিন্ন। মানুষের জীবনও অনেক সময় পাখিদের মতো, কাঁঠালের মতো।

৫৪

গ্রামের মানুষ কখনো পুরাতন হয় না— দিনে দিনে হয়ে উঠে নতুন থেকে নতুনভাবে নতুন

৫৫

বিশ্বাসে বিশ্ব মিলে, কৃষ্ণ বহুদূর 

Krishna is sweet afar , earth coalesces at the finger of confidence 

৫৬

পড়ে যাচ্ছে— তারপর হাসতে থাকে এমরানুর রেজা ভাই— কেনো জানেন? হাসি নামক মহা ঔষধটা পড়ে যাওয়া বা উঠার সাথে সম্পর্কিত না— হাসির সম্পর্ক প্রানের সাথে, চৈতন্যের সাথে

৫৭

অর্জন আর বর্জনের মাঝে হাইফেনের মতো ঝুলে থাকে মোহ। এই মোহের আরেক নাম ভয়, আরেক নাম লোভ আরেক নাম অহংকার আরেক নাম হিংসা।

প্রথম অভিজ্ঞতা

 "ও সবচেয়ে ভালো খেলেছে কিন্তু ও মারে না"— কথাটি এমরানুর রেজা ভাই সম্পর্কে বলেছেন ওস্তাদ Abdullah Al Monsur । ওস্তাদের মন্তব্যটিতে আমি অবাক এবং বিস্মিত হয়েছি এবং বুঝতে পেরেছি ওস্তাদদের ফাকি দেয়া যায় না। তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন যদি নাই আঘাত করেন তাহলে কেনো উশুর মতো লাইফ থ্রেটিং খেলা খেলতে গেলো এমরানুর রেজা ভাই। উত্তর একটাই অভিজ্ঞতা যুবকের মাধুর্য আর বৃদ্ধের সান্ত্বনা। 


জীবনে প্রথম হেড গিয়ার,চিষ্ট গিয়ার পড়লাম এবং মেটের মতো পাচোরা জায়গায় উঠলাম। হেড গিয়ার পরার পর মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসতেছে, তবু সাহস ধরে রেখে পাচোরা মেটে জীবনে প্রথম ফাইটার্স। 


বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে কারাতে ও জোডো করি কিন্তু উশু ফাইট সম্পুর্ন আলাদা জগৎ। টানা মেট প্রেকটিস না করে কখনো কোনো ন্যাশনাল গেইমে অংশগ্রহণ করা আবশ্যকীয় উপায়ে উচিত না। 


উশু একটা গেইম— মেটে উঠে কেউ সেটা মনে রাখে না— মনে করে বিপরীত খেলোয়াড় যেনো তার হাজার বছরের শত্রু— আরে ভাই দরকার পয়েন্ট— কাউকে ইনজুরি করার কেনো দরকার!?  সেনাবাহিনি, আনসার,বিজিপির খেলা ভালো লেগেছে — কারন তারা যখনই মনে করেছে অপোনেন্ট দুর্বল  তখন তারা কোনো হিট করেনি, জাস্ট পয়েন্ট নিয়েছে— কারন তাদেরকে গেইম কালচার শেখানো হয়। 


এই উশু সানডা মাইর খাওয়া বা মাইর দেওয়ার প্রতিযোগিতা নহে— এটি পয়েন্ট গেইমিং, তবে বাংলাদেশের কিছু প্লেয়ার গেইমরুল না জেনে আন্দাজি কিল-ঘুষি শুরু করে, এমরানুর রেজা  বিপরীত প্রতিযোগির বিরাট মুখ বিরাটভাবে খালি পাওয়া সত্ত্বেও আঘাত করেনি— কারন রেজা ভাই কাউকে আঘাত দিলে নিজে অধিক আঘাত পায়— তারপরও বিপরীত খেলোয়াড়ের মুখে আস্তে একটা পাঞ্চ করেছিলাম,তাতেই তার চোখমুখ বিবর্তন হয়ে যাচ্ছিল, তাই নিজ থেকেই আস্তে করে শেষমেশ সরে আসলাম। তবে এই খেলায় অংশগ্রহণ করে জীবনে এমন এক মূল্যবান অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি যা ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবে না।


Blue সাইডে আমি খেলতে নামি— কোনো প্রকার আঘাত করার মানসিকতা নিয়ে নয়— জাস্ট ডিফেন্স করে পয়েন্ট নিয়ে নেওয়া— দুই তিন বার বিপরীত খেলোয়াড়কে মেটে হুতাই দিছি— সে আমাকে দুর্বল করার জন্যে প্রথম থেকে বাম পায়ে একের পর এক কিক মেরে যাচ্ছিল— দুর্বল করার জন্যে কেনো বললাম — কারন 'নি' জয়েন্টের উপরে হিট করলে পয়েন্ট আছে,সে হিট করতেছিল 'নি' জয়েন্টের নিচে। কিন্তু সে জানেনা আমার 'নি' জয়েন্টের নিচের অংশে সাত আটবার হিট করলে আমার পা লোহা হয়ে যায়— একসময় দেখি ছেলেটা ভয় পেয়ে গেছে, আমার খুব মায়া হলো— এমরানুর রেজা ভাইয়ের মতো মায়াময় মন নিয়া কেউ যেনো উশুর মতো ফাইটিং বক্সিং গেইম খেলতে না নামে। ওস্তাদের কথাটি কানে লেগেছে— ' ও সবচেয়ে ভালো খেলেছে"— ভালোর আগে ওস্তাদ ব্যবহার করেছেন ' সবচেয়ে' নামক বিশেষণ যা আমার মনের ইতিহাসে চির আশীর্বাদ সূচকে চেষ্ট গার্ড বা গিয়ার হয়ে থাকবে।


#বঙ্গবন্ধু১৬জাতীয়উশুচ্যাম্পিয়নশিপ—২০২১

জয় গোবিন্দ জয় রাধে

 — বাসুদেব একটা কথা বলবো?


— মাধব আপনি আমার সাথে কথা বলবেন, তাও আবার অনুমতি নিয়ে!


— না বলছিলাম যে গত রাতে একটা স্বপ্ন দেখলাম। 

— বাহ, আপনারে স্বপ্ন দেখে পুরো সৃষ্টি, আপনাকেও স্বপ্ন দেখতে হয়, বাহ, বাহ, মাধব। 


— আচ্ছা, তাহলে বলুন দেখি আপনার স্বপ্নের ধারা। 


— স্বপ্নে দেখি রাধা মথুরায় চলে এসেছে, তাও আবার বোরখা পরে, রাধার আগমনে আপনার চেহারায় অস্বস্তির মেঘ ☁। 


— মাধব, তুলসী বনের রাধাকে আমি চিনি,সে ছদ্মবেশ জানে না, তাই তাকে আমি দিয়েছি বিরহ, মথুরায় রাধাকে আমি নিয়ে আসতে পারি, মথুরাকে স্থাপন করেছি রাধার মনে, তাইতো আমি মথুরার রাজা।


— বাসুদেবের জয়, জয় গোবিন্দ, আপনি বিরহের শিরোমণি, জয় মুকুট আপনার,আপনি প্রশান্তি আপনি  ধৃষ্টার সম্মান। 


— আরেকটি বিষয় জানতে চাই গোবিন্দ 


— বলুন তবে 


— স্বপ্নে রাধা আমার সাথে কোনো কথা বলেনি,রেগে আছে আমার প্রতি 


— আপনার সাথে কেনো কথা বলবে? আপনার মন রাধাকে বোরখা পরায়, যে মন রাধাকে চিনতে পারে না, সে মনের সাথে রাধা কেনো কথা বলবে?

— জয় গোবিন্দ জয়, আপনি কথার ইশ্বর 

— জয় আপনার মহিমার, জেনে রাখুন, রাধা আমার ইশ্বর

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

বাসুদেব অর্জুন

 অর্জুন— আমার কাছে যদি সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার থাকতো! 

কৃষ্ণ— সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার থাকলে কি করতে অর্জুন? 

অর্জুন— মানবজাতির উপকার করতাম বাসুদেব। 

কৃষ্ণ— মানুষের উপকার করার মধ্যে দিয়ে সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার আসে অর্জুন,তুমি সবার হও,দেখবে সব তোমার হয়ে যাবে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২

ভালোবাসি

 কেউ একজন আকাশ থেকে নেমে এসে বলবে 'ভালোবাসি'— তখন তাকে নিয়ে জমিনে রোদের মতো ছড়িয়ে যাবো

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২

হয় বিপ্লব নয় বিলুপ্ত

 হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু 

মাঝখানে কোনো দাড়ি কমা সেমিকোলন নেই 

হৃদয় থেকে

আত্মা থেকে বলছি মা

বলছি আমার জঠরবাস সত্য থেকে


এমন কথা এখনো বলতে পারিনি মা 

যে কথায় কথারা দাড়িয়ে যাবে কাতারে কাতার 

ঘুম থেকে জেগে উঠবে তোমার সন্তান

তোমার সন্তানেরা তুলে আনবে প্রভাত 

মা জেনে রাখো তুমি— হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু


দেশের মা নদী 

পৃথিবীর মা নদী 

মা মারা যাচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত

মায়ের লাশের উপরে উঠছে অট্টালিকা প্রাসাদ

অভিশপ্ত সন্তান 

অভিশপ্ত দেশ 

অভিশপ্ত পৃথিবী 

অভিশপ্ত পৃথিবীর বাতাস 

হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু জেনে রাখো মা 

জেনে রাখো আকাশের স্বাধীন নীলিমা


জনপ্রিয়তা আর পাসওয়ার্ড প্যাটার্ন জীবন দিয়ে কি করবো মা— বউখাওয়া আর স্বামীমারা জীবন বহু দেখেছে পৃথিবী— ঠোঁট থেকে চামচ— চামচ থেকে ঠোঁট— উঠানামা আর উঠানামা— যাওয়া আর যাওয়া— আসা আর আসা— কাকের ঠোঁটের মতো হলুদ আলেয়ার খেলা।


হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু 

মরে যাওয়ার শোকে নয়— সুখে হোক পথচলা


সব হালারা প্রোডাক্ট— বিক্রি হয়ে যায় 

বিক্রি হয় সকালে 

বিকালে বিক্রি হয় 

বিক্রি হয় শেষ রাতের দন্ডিত শিশ্নোদরপরায়ণ রোগে

প্রজেক্ট টেন্ডারের কাছে স্লোগান বিক্রি হয় গতকাল কিংবা আজকে— আজকে অথবা আগামীকাল— কোনো ইজমে আস্থা নেই আমার— জেনে রাখো মা— তোমাকে জানতেই হবে হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু।


আমার সবচেয়ে বড় ইজম আমারই মতো আরেকজন মানুষ— মানুষের রক্ত বহন করে আজ আমি উত্তর নিষাদ— নিষাদপুত্র ডাক দিবে বিপ্লব বিপ্লব চিৎকার— হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু— মাঝখানে নেই কোনো হরিনাম আল্লা মুসলমান।


চোখ দিয়ে রক্ত নামে যখন দেখি বিচারের নামে চলে পৌরহিত্যের প্রহসন— যখন দেখি হাসপাতালের টাকা চলে যায় হইচভরা চালে অন্যদিকে অন্যতম কোনো লকারের গতরে— যখন দেখি সবাই বলে 'জয় বাংলা' ভুল মনে ভুল জায়গায়— আমার হিমোগ্লোবিন ঠান্ডা হয়ে আসে যখন দেখি হিপোক্রেসি কন্ঠ বলে মানুষের জয় হোক— মানুষের জয় অবশ্যই হবে মা— গাছে গাছে প্রেম ফোটবার  কাল অবশ্যই আসবে— তোমার সন্তান অবশ্যই জেগে উঠবে এবং বলবে গুড মর্নিং পৃথিবী গুড মর্নিং সত্য ন্যায় সুন্দরের— হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু 

মাঝখানে নেই কোনো হাইফেন জীবন 

নেই 

 একদম নেই কোনোকিছু 

       ভাবলে যা হারায় মানুষ তেমন কিছুও নেই 

           হয় বিপ্লব নয় মৃত্যুর মতো অন্যদিকে অন্যকিছু

যে পথে তোমার প্রিয়জন গ্যাছে

 জুনায়েদ বোগদাদির মামা সাররী সাকতী। সকত থেকে সাকতী। সকত শব্দটির অর্থ হলো ভূমিতে পড়া। ভূমিতে পতিত ফল কুড়িয়ে বিক্রি করে তিনি জীবনযাপন করেন প্রথম জীবনে। তার পীরের নাম মারুফ কারখি। সাররী সাকতী অত্যন্ত উচু মানের একজন সাধক ছিলেন— কথিত আছে দীর্ঘ ৯৮ বছর তিনি কখনো মাটিতে পীঠ লাগাননি— ঘুম পেলে দেয়ালে ঠেশ দিয়ে বসতেন। 


সাকতী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু। আবহাওয়া খুবই গরম। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করতে চায়লেন।তিনি নিষেধ করেন। তার মতে বাতাস আগুনের তেজ নাকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করা বন্ধ করে নছিহত চায়লেন নিজের মামার কাছে নিজের জন্যে।


— জুনায়েদ! মানুষের সাহচর্য বর্জন করে শুধু আল্লাহর ধ্যানমগ্ন হয়ে কালযাপন করো। 


জুনায়েদ মামার কথা শুনে জবাব দিলেন—"এমন কথা যদি আপনি আগে বলতেন তাহলে আমি মানুষ থেকে এমন দূরে থাকতাম যে আপনার সেবা করার জন্যেও আসতাম না।"


সাধক সাররী সাকতী যৌবনে ইয়াকুব নবীকে স্বপ্নযুগে  প্রশ্ন করেছিলেন কেমন করে ইয়াকুব নবী ইউসুফ ও আল্লাহকে একসঙ্গে ভালোবাসতে পারলো। উত্তর মেলেনি— পর্যাপ্ত ধমক পেয়েছিলেন সাররী সাকতী আল্লাহর পক্ষ থেকে। 


আল্লাহ মানুষকে ধমক দেন এমন কথাও আমাদের শুনতে হয়— দেখতে হয় কুয়াশা গলে গলে পড়ে চোখের বিছানায়।