বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮

প্রেমের লাম্পট্য

বাসর ঘরই যে প্রেমিকের প্রধান উদ্দেশ্য সেই প্রেমিক লম্পট, প্রেমে লাম্পট্য আহার্যের লবনের মতো পরিমিত প্রয়োজনীয়

সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

বৃত্ত

জীবন এমন এক বিন্দু বৃত্ত তৈরির ক্ষমতা নিয়ে সে বেঁচে থাকে

রক্ত

মানুষ সাপকে ভয় পায় অথচ ছারপোকা থাকে বালিশের আন্তরিক নিকটে

বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

সুর

সুর হলো এমন বিষয় তুমি যাপন করলে সে তোমার পোশাক হয়ে যাবে

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

রোদে মলিন

প্রতিদিন আকাশ দেখতে দেখতে মনের ভেতর একটি পাখি উড়তে থাকে। কালো ঠোঁট তার। প্রেমে আদ্র। রোদে মলিন।

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮

তালতলা বাজার

তালতলা বাজারে মানুষ বিক্রি হয় মাছের দামে-- টেবিলের উপরে টেবিলের নিচে।

তান্দুরী চিকেন। জুস। ফ্রাইড রাইস। রূপচাঁদা কাবাব।

তালতলা বাজারে বিরাট গরু ছাগলের হাট।

বার্গার। থাই সুপ। কাচ্চি বিরিয়ানি। চিকেন ফ্রাই। নান রুটি।

তালতলা বাজারে স্বার্থপোকা খাবি খায় জলে অক্সিজেনে।

শীতের সকালে বৃষ্টির মিছিল
মিছিলে কৈবর্ত রোদ।

তালতলা বাজারে কলাবউয়ের বেগুন সস্তায় পাওয়া যায়
কার্তিকের ঠোঁট পায় মাংসের স্বাদ।

কামান তাক করা আছে-- মরিচের বিরুদ্ধে মিষ্টি মিষ্টির বিরুদ্ধে মরিচ। মজায় আছে তালতলা বাজারে শিয়াল বনরাজ সিংহ মাংসাশী বাঘ।

আলো বিক্রি চলছে
হত্যা বিক্রি চলছে
বিক্রি চলছে উপাসনা প্রার্থনা।

সকাল মানে তালতলা বাজার, দুপুর মানেও তাই বিকাল মানে তালতলা বাজার রাত মানেও তাই। মানুষ এখন অনেক ভদ্রতা নিয়ে তালতলা বাজারে যায়।

সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

ঘুমাতে যাবো

কবি, তোমার কবিতা পড়ে যে মানুষটি ঘুমাতে যায় সেও কোনো কবিকে কাঁদায়

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

কান্না নয়

তোমার চোখে কান্না নয়
আমায় চোখে রেখো
শব্দের ইশান কোনে
আমার ছবি দেখো

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮

অ আ

মেয়ে দেখলেই যে ছেলেটি প্রেমে পড়ে যায় সেই ছেলেটি এখনো হাঁটা শিখেনি অথবা তার শরীরে পুষ্টির অভাব

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮

মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮

আগুঞ্চ

প্রত্যেক পরিবারে এক‌টি চুলা থাকে যেখানে আগুন জ্বলে

সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

ভালো আছি

তোমাকে দেখে কাছে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করতো "ভালোবাসি", এখন তোমাকে দেখে দূর থেকেই মনে মনে বলি "ভালো আছি"

তো মা কে

তোমাকে চাই না মানে তুমি  চায়লেও আমি তোমাকে চাই না, তোমাকে চাই মানে তুমি না চায়লেও আমি তোমাকে চাই

শনিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৮

প্রেমের বাতি

প্রেমে পড়ার আগে তার যে পরিমান তিল ছিল, প্রেমে পড়ার পরেও তার সেই পরিমান তিল আছে, প্রেমে পড়ল অথচ তিল পরিমান ক্ষতি হলো না-- এ কেমন প্রেম!

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮

বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

ভার

আনন্দকে ভয় পাই মৃত্যুর মতো মৃত্যুকে ভয় পাই আনন্দের মতো

বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮

যার চোখ আছে কিন্তু কেন নেই

চিকিৎসক। কবিরাজি চিকিৎসক। কবিরাজ ভাই। কবিরাজ ভাই নিজে ঔষধ বানায়, আবার ক্রয় করেও আনে। গাছের লতাপাতা দিয়ে ঔষধ নির্মান করে। হ্যাঁ, নির্মানই করে। একবার কবিরাজ ভাই আমারই পরিচিত এক বিবাহিত বন্ধুকে ঔষধ দিয়েছে। মজার ঘটনা হলো ঔষধ সেবনের একদিনের মাথায় বন্ধুর বউ চলে যায় তার বাপের বাড়ি কোনো এক গুরুত্বপূর্ন কাজে।

সাতদিন বন্ধুর বউ তার বাপের বাড়ি থাকে।এই সাতদিনে বন্ধু আমার কোল বালিশের পাছা ছিঁড়ে ফেলে। তখন থেকেই বুঝতে পারি কবিরাজ ভাইয়ের নির্মিত ঔষধ বেশ কার্যকরী।

কবিরাজ ভাই আমাকে দিলেন জিংকু বিলুবা। প্রথমে ঔষধ দেখে মনে হয়েছে মেহেদি পাতার  (Lawsonia inermis) গুঁড়া যার ইংরেজি নাম হেনা। কিন্তু কবিরাজ ভাই বলে অন্য কথা। ফলে জানতে পারি জিংকু বিলুবা আসে নেদারল্যান্ড থাইল্যান্ড থেকে। এবং এই ঔষধ কাজ করতে শুরু করে সেবনের সাতদিন পর থেকে।

জিংকু বিলুবা সেবন করতে শুরু করি। এই ঔষধ ব্রেইন ফাংশন সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।

কিন্তু ঘটনা অন্য জায়গায়। তিন মাসের ঔষধ আমি ভুলে সাত দিনে খেয়ে ফেলি!  ফলে আমার মাথা মাত্রাতিরিক্ত কাজ করতে আরম্ভ করে। মানুষের শরীরের দিকে তাকালে মানুষের শরীরের পোশাক আর চোখে পড়ে না, সরাসরি শরীর চোখে পড়ে। এই কথা অনেকদিন চাপা দিয়া রাখলাম মনে মনে। একদিন এক আড্ডায় বলেই ফেললাম যে আমার চোখ কাপড় দেখে না, সরাস‌রি শরীর দেখে। এই কথা শুনে বন্ধুরা বান্ধুবীরা হাসে। বিষয়টা এমন যে মজা করার আর বুঝি কোনো বিষয় নাই। তারপরও এক বন্ধু অল্প বিশ্বাস করে প্রমান নিতে চায়। আমিও দিলাম প্রমান!

প্রমান পেয়ে বান্ধুবীরা  দৌঁড়ানো শুরু করে। একজন বন্ধু ছাড়া সবাই চলে যায়। এখনো বান্ধুবীরা আমার সামনে আসতে চায় না, আমাকে দেখলে রাস্তা বদল করে জায়গা বদল করে। আমার অপরাধ আমি একটু বেশি দেখি কিন্তু জিংকু বিলুবা সেবনের আগে আমি তাদের সাথেই বসে আড্ডা দিতাম, কারন আমার দেখার চোখ ছিল তখন তাদেরই মতো।

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

বিয়াদুধ

অটোতে বসা। দুধ কিনে আনছি। সয়াবিন তেল দিয়া যে বাজারি দুধ বানায় এই দুধ না। রিয়েল দুধ। বিয়ের আগে দুধ খাওয়া উত্তম। বিয়ের পরে দুধ খাওয়া অতি উত্তম। তবে বিয়ের আগে ও পরে রিয়েল দুধ পাওয়া খুবই কষ্টের। অনেক খুঁজতে হয়। অনেক কষ্ট করেও খুঁজে পেলে ভালো। মুরুব্বিদের বলতে শুনছি রিয়েলের এক গুন, আনরিয়েলের আঠারো দোষ।

গেইট বাজার থেকে রিয়েল দুধ কিনে আনছি।তরতাজা ব্যাপার স্যাপার।
অটোতে আমি আর অটোম্যান। অটো চলছে। অটো থামল। এক লোক উঠে।লোকটির দিকে তাকিয়ে কথা বলার ইচ্ছা হল।

আপনার মন খারাপ?

লোকটির আমার দিকে মিটমিট করে তাকায়।

আপনি বিয়ে করেছেন। ( রাস্তার পাশেই তার বাড়ি। অটোতে উঠার সময় তার চেহারায় বউয়ের সাথে ঝগড়া করার ছাপ)।

হুম।

বিয়ে করলে মন ত খারাপ থাকবেই।

কেন?

স্বামী চায় বউ তাকে যেন বুঝে, বউ চায় স্বামী যেন তাকে বুঝে, দুজনই চাওয়ার মধ্যে থাকে, ফলে পাওয়া দূর থেকে কাঁদে।

আমার কথা শুনে লোকটি প্রথমে ঠোঁট ফাঁক করে, তারপর ঠোঁটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে গরম বাতাস বের করে। গরম বাতাস আমার মুখে এসে লাগে।

আপনি রাস্তার ধুলোবালি শরীরের ভেতরে নেন?

লোকটি আমার দিকে চোখ বড় করে তাকায়। এমন করে তাকানোর এক‌টি অর্থ আছে। অর্থ হল পাগলের মতো কথা বলে ক্যান।

তারপরও আমি বললাম আবার।

ধুলোবালি শরীরের ভেতর নেন কিনা বলেন?

একপ্রকার বিরক্ত হয়েই বলে "না"।

তারপর আমি বললাম " একপ্রকার কথা থাকে ধুলোবালির মতো শরীরের ভেতরে বা মাথার ভেতরে নিতে হয় না, নিলে শরীর অসুস্থ হয়"।

কথাটি শুনে লোকটি তার ঠোঁটে ঠোঁট কামড়ে ধরে, চোখ টলমল করে ওঠে, আস্তে করে চোখের জলের কয়েকটি ফোঁটা আমার বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলের নখের একটু নিচে পড়ে।

অটো থামে।

আমি নেমে যাই।
লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি বাসার দিকে হাঁটতে থাকি। আমার হাতে রিয়েল দুধের আনন্দ। আর লোকটির? লোকটির মাথায় বিয়াদুধের ভার!