বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮

যার চোখ আছে কিন্তু কেন নেই

চিকিৎসক। কবিরাজি চিকিৎসক। কবিরাজ ভাই। কবিরাজ ভাই নিজে ঔষধ বানায়, আবার ক্রয় করেও আনে। গাছের লতাপাতা দিয়ে ঔষধ নির্মান করে। হ্যাঁ, নির্মানই করে। একবার কবিরাজ ভাই আমারই পরিচিত এক বিবাহিত বন্ধুকে ঔষধ দিয়েছে। মজার ঘটনা হলো ঔষধ সেবনের একদিনের মাথায় বন্ধুর বউ চলে যায় তার বাপের বাড়ি কোনো এক গুরুত্বপূর্ন কাজে।

সাতদিন বন্ধুর বউ তার বাপের বাড়ি থাকে।এই সাতদিনে বন্ধু আমার কোল বালিশের পাছা ছিঁড়ে ফেলে। তখন থেকেই বুঝতে পারি কবিরাজ ভাইয়ের নির্মিত ঔষধ বেশ কার্যকরী।

কবিরাজ ভাই আমাকে দিলেন জিংকু বিলুবা। প্রথমে ঔষধ দেখে মনে হয়েছে মেহেদি পাতার  (Lawsonia inermis) গুঁড়া যার ইংরেজি নাম হেনা। কিন্তু কবিরাজ ভাই বলে অন্য কথা। ফলে জানতে পারি জিংকু বিলুবা আসে নেদারল্যান্ড থাইল্যান্ড থেকে। এবং এই ঔষধ কাজ করতে শুরু করে সেবনের সাতদিন পর থেকে।

জিংকু বিলুবা সেবন করতে শুরু করি। এই ঔষধ ব্রেইন ফাংশন সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।

কিন্তু ঘটনা অন্য জায়গায়। তিন মাসের ঔষধ আমি ভুলে সাত দিনে খেয়ে ফেলি!  ফলে আমার মাথা মাত্রাতিরিক্ত কাজ করতে আরম্ভ করে। মানুষের শরীরের দিকে তাকালে মানুষের শরীরের পোশাক আর চোখে পড়ে না, সরাসরি শরীর চোখে পড়ে। এই কথা অনেকদিন চাপা দিয়া রাখলাম মনে মনে। একদিন এক আড্ডায় বলেই ফেললাম যে আমার চোখ কাপড় দেখে না, সরাস‌রি শরীর দেখে। এই কথা শুনে বন্ধুরা বান্ধুবীরা হাসে। বিষয়টা এমন যে মজা করার আর বুঝি কোনো বিষয় নাই। তারপরও এক বন্ধু অল্প বিশ্বাস করে প্রমান নিতে চায়। আমিও দিলাম প্রমান!

প্রমান পেয়ে বান্ধুবীরা  দৌঁড়ানো শুরু করে। একজন বন্ধু ছাড়া সবাই চলে যায়। এখনো বান্ধুবীরা আমার সামনে আসতে চায় না, আমাকে দেখলে রাস্তা বদল করে জায়গা বদল করে। আমার অপরাধ আমি একটু বেশি দেখি কিন্তু জিংকু বিলুবা সেবনের আগে আমি তাদের সাথেই বসে আড্ডা দিতাম, কারন আমার দেখার চোখ ছিল তখন তাদেরই মতো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন