বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭

বিশেষ ধরনের ইচ্ছা

আবেগ ছাড়া পৃথিবীতে কিচ্ছু হয় না। প্রত্যেক সৃষ্টির পেছনে কাজ করেছে আবেগ। যুক্তি দিয়ে ব্রীজ বানানো যায় কিন্তু ব্রীজ বানানোর মাথা বানানো যায় না। প্রেমিক যদি প্রেমিকাকে চুমু খাওয়ার আগে যুক্তি নিয়ে বসে তাহলে থাপ্পড় খেতে হবে। কারন যুক্তি বা বিবেক বলে চুমু খাওয়া মানে থুতু খাওয়া।

আমাদের গল্পেরা

গল্পের সাথে আমার দেখা হয় না। অথচ কী মজার ব্যাপার বল ত গল্পকে সাথে নিয়ে ঘুরি, সাইকেলে চাপি, তাকে পেছনে বসায়। গল্প দূর থেকে আমাকে দখল করে নেয়। দখল করার কী দারুন ক্ষমতা তার!

দখল শব্দের মধ্যে একটি নদী নদী ব্যাপার রয়েছে দখল শব্দের মধ্যে একটি চর চর ব্যাপার রয়েছে। আমাদের গল্পেরাও দখল হয়ে যায়। ছোট্ট একখান দিয়াশলাইয়ের কাঠি অন্ধকারকে চ্যালেঞ্জ করার নিপুন ক্ষমতা রাখে কিন্তু সে নাই, সে ব্যস্ত গবেষনায়-- মাছ কেন খাবি খায় এই বিষয়ে।

আরও আরও অক্সিজেন দরকার বন্ধু, রাত এখনো অনেক গভীর।

আমাদের গল্পে বৃষ্টির মতো জ্বিনভূত নেমে আসতো-- আমরা কেঁপে কেঁপে উঠতাম, মাথার উপরে টিনের চালা থাকতো না, আমরা গোল হয়ে আসতাম, আমাদের রক্তে কাঁটা খেলা করে যেতো, আমরা ভয় পেতে পেতে জানালা আটকে দিতাম, মাকে খুব শক্ত করে ধরতাম দুহাত চার পায়ের সমস্ত শক্তি এক করে, খুব শক্ত করে ধরতাম।

আমাদের গল্পে রতনপল্লী ছিল, ছিল না আহারে দোকান, খোকন দা ছিল, ছিল না কোল্ডড্রিংস্কের বাহার চিকেন পাকোড়া।

আমাদের গল্পেরা অনেক কথার মতো নিজেকে বিক্রি করে ফেলে চাকচিক্যময় দ্যোতনার কাছে, মিথ্যা কোনো লিপস্টিকের বাজারে।

আমাদের গল্পের আজ কোনো ঘর নেই, বাড়ি নেই, আমাদের গল্পের আজ কোনো মধ্যরাত নেই, আমাদের গল্প বের হতে হতে ভেতর ভুলে গ্যাছে!

বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭

যে যার মতো

সবাই তো আমার মতো হবে না, আমিও সবার মতো হতে পারবো না, বাগানে অনেক ফুলের গাছ, তাইতো বাগান এতো সুন্দর, তবে অনেক মানুষ থাকবে যারা বলার মধ্যে কেবল নিন্দাটাই বলবে, তাই কখনো কখনো মানুষবাদ মানে আমার কাছে নিন্দাবাদও বটে 

অনেক জীবন

শরীরে থাকে এক জীবন, মনে থাকে অনেক জীবন 

মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭

লালবান দীঘি

আমি আছি লালবান দীঘির মাছরাঙা জলে
মানুষের দেখা নেই দেখা যায় আমাকে সূর্যের লাল চোখে

লাল কাপড় লেফ রাইট লেফ রাইট করতে করতে উত্তর দিক থেকে দক্ষিনে মন বাড়ায়, অনেক কথা নগ্ন হলে হিজল পাতার ছায়ায় যৌবনের সুড়সুড়ি লাগে

আছি তো লালবান দীঘির ছোট ছোট ঢেউয়ের পুরাতন সুরে

নামহীনা পাতা জলে ভাসছে, পুরাতন ঘরটা আরও পুরাতন হয়ে চেপে গেছে একদম চেপে গেছে
বাতাস আসে
সুখ আসে
শান্তি আসে
আসে না কেবল মাছরাঙার মাছ, মাছের আশায় করুন সুরে সে ডাকে, ডাকতে থাকে একটু পর পর। কিশোর বিজয় ছিপ নিয়ে বসে আছে ইটের রেলিং ধরে মাছ ধরবে বলে।
বিজয়  মাছ চায়
মাছরাঙাও মাছ চায়
মাছ তাহলে কাকে চায়?
মাছও হয়তো কাউকে চায়। চাওয়া চাওয়ির এই দুনিয়ায় আমি তবে কাকে চাই জিজ্ঞেস করি মনকে বারবার।

মন আমার কালো চশমা পরে বেদনা ঢাকে, অতীত কোনো প্রিয়তমা সুখ জলের ধারায় একদম নিভে যায়, লখিন্দরমন ভেসে যায় ভেসে যায় বেহুলা তার পাশে নাই পাশে নাই

সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭

প্রিয় ঋতু

প্রিয় ঋতু। প্রিয় ঋতু নামে আমাদেরকে রচনা লিখতে হতো। ক্লাস ফাইভ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এই রচনা লেখার রীতি চালু ছিল। আমার চারপাশের সবাই প্রিয় ঋতু রচনা মুখস্থ করতো। কিন্তু আমি কোনোদিন বাংলা রচনা মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখিনি।

ছোট কাল থেকে কেন যেন বানাইয়া লিখতে ভালো লাগে। বানাইয়া লেখা মানে নিজের মতো করে লেখা। ফলে প্রিয় ঋতু রচনা লিখতে হলে আমি একেক পরীক্ষায় একেক উত্তর লিখতাম।

মজা করে লিখতাম। প্রিয় ঋতুর দৃশ্যগুলো চোখের সামনে টপ টপ করে ভাসত আর আমি লিখতাম।

এক কথায় বললে আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল। কারন শীতকালের সাথে কাজের একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, মানুষ প্রচুর কাজ করতে পারে এবং প্রচুর আরাম করতে পারে। তাছাড়া শীতকালের কুয়াশার মধ্যে জোছনার মতো মিহি মিহি একটা বিষয় রয়েছে।

রচনা লেখার আবার একটি বিশেষ পদ্ধতি ছিল। প্রথমে ভূমিকা লিখতে হবে, তারপর ব্যাখা এবং সবার শেষে উপসংহার।

ভূমিকার বদলে অনেকে লিখতো প্রারম্ভিকা, অনেকে লিখতো প্রথম কথা, অনেকে লিখতো সূচনা। নতুন কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারলে যেন আলাদাভাবে নজর কাড়া যাবে। লেখার কয়েকটি শিরোনাম জাতীয় শব্দ একটু আলাদা হলে নাম্বার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ষাট পার্সেন্ট। আমাদের ইসলাম শিক্ষা যিনি পড়াতেন তাঁকে আমরা মোল্লা স্যার বলতাম। মৌলভি থেকে মোল্লা। মোল্লা স্যার পরীক্ষার খাতা পড়তেন না, কখনো খাতার ওজন দেখে কখনো খাতার পাতা গুনে নাম্বার দিতেন ( Its not flying words its real)।

উপসংহারের বদলে কেউ লিখতো যবনিকা, কেউ লিখতো শেষ কথা, কেউ লিখতো সারকথা। লিখে নীল হলুদ কালি দিয়ে শিরোনামকে নজরমুখী করে দেয়া হতো। শিক্ষকের যাতে শিরোনাম দেখতে কোনো প্রকার  চোখভুল না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা।

কলেজে এসে রচনা লিখতে হয় কিন্তু শিরোনাম দিতে হয় না। অর্থাৎ প্যারা প্যারা করে লিখলেই হলো। ব্যাপারটা আমার জন্য আরামদায়ক ছিল। কলেজ একবার ভাষা আন্দোলনের উপর এক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আমি আনমনে কী যেন কী লিখে আসলাম। ওমা! আমার ডাক চলে আসে। নিগার আপা, খোকন ভাই আর আমাকে ডাকা হয়। উপজেলাতে এক বিশাল রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কলেজের হয়ে আমরা তিনজন যাই। সেই রচনা প্রতিযোগিতায়ও কী যেন কী লিখলাম। শুন্য পাইনি। দ্বিতীয় হয়েছিলাম। খোকন ভাই হয়েছিল প্রথম। নিগার আপা কোনো পুরষ্কার পাইনি। তৃতীয় হয়েছিল জিয়া ফার্টিলাইজার কলেজের এক ছাত্রী। উপহার হিসাবে  আমি পেয়েছিলাম ডেল কার্নেগীর একটা বই। বইটি আমার বেশ কাজে লাগে। কারন একটা বয়স পর্যন্ত motivation খুব দরকার। motivation আসলে মৃত্যুর আগেও দরকার হয় আজরাইলের সাথে যুদ্ধ করার জন্য।

মনে আছে, একবার প্রিয় ঋতু লিখেছিলাম বর্ষাকাল। বর্ষাকালের উপকারিতা লিখতে গিয়ে লিখেছিলাম বর্ষাকালে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বন্যা হলে স্কুল কলেজ জলে প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে স্কুলে না গিয়ে সারাদিন খেলাধূলা করা যায়। আর খেলাধূলা অনেক আনন্দের বিষয়।

সারাদিন খেলাধূলা করা যায়, কেউ কোনো কিছু বলে না। বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লিখে দিয়েছিলাম আমাদের খেলার মাঠ অনেক উঁচু জায়গায়, বন্যা হলেও জল প্লাবিত হয় না।

লিখে আমি আনন্দ পেলেও স্যার পড়ে আনন্দ পাননি। তাইতো কুড়িতে স্যার  আমাকে দিয়েছিলেন শুন্য।

পরের সেমিস্টারে আবার তোমার প্রিয় ঋতু নামে রচনা আসে। আমি আবার লিখি বর্ষাকাল। বর্ষাকালের উপকারিতা একটু পরিবর্তন করে লিখি বর্ষাকালে পাটপঁচার গন্ধ আসে। আর পাটপঁচার গন্ধ আমাদের স্কুলের গোলাপ ফুলের চেয়ে সুমিষ্ট। এবারেও স্যার আমাকে কুড়িতে শুন্য দিলেন। আমার অপরাধ আমি নাকি বক্তব্যের সামাজিক যোগ্যতা রক্ষা করতে পারিনি। আমার অনেক বন্ধুরা বক্তব্যের সামাজিক যোগ্যতা রক্ষা করতে পেরেছিল এবং তারা কুড়িতে প্রায় বারো-পনেরো করে নাম্বার পায়। শুন্য পেয়ে আমি খুশি ছিলাম, কারন আমার শুন্য প্রাপ্তিতে আমার পার্সোনালিটি ছিল কিন্তু আমার বন্ধুদের হৃষ্টপুষ্ট নাম্বারে তাদের পার্সোনালিটি ছিল না। তাই তাদের আনন্দ ছিল তেজহীন, আমার কষ্ট ছিল, তবে তেজের কষ্ট যার স্থান আনন্দের অনেক অনেক উপরে।

নিজেকে মাঝে মাঝে করাত কলের ঠিক মাঝখানে ফেলতে হয়, নিজেকে মাঝেমধ্যে পরাধীন করতে হয় নইলে প্রকৃতি পরাধীন করে ফেলে। তবে নিজেকে নিজে পরাধীন করার মধ্যে একটু সুখ আছে এই জন্য যে নাটাই শেষ পর্যন্ত নিজের হাতে থাকে। যে কারনে আমি শুন্য পেয়েছিলাম কারনটা আমার জানা ছিল। তাইতো অনেক শুন্যকে অতিক্রম করে অসীমের দিকে যাত্রা করেছি। হয়তো অসীম এক শুন্যের নাম....

শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭

প্রান দাও হে পাথরের বুকে

খোলা জানালা হৃদয় আমার বসত তোমার
শত আঘাতের ভয় প্রানে জাগে ক্ষয়
একলা বাতাস
রঙিন হাওয়া
এলোমেলো চুল
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি
ফাঁদ পেতে বসে আছে চন্দ্রাবতী পরি
বাদামের খোসা জমায় নগরের মশিউল
কলাপাতা চড়ে সাইকেল গাড়ি
রোদ এসে জমা হয় গাছের নিচে
অলকা রঙের মুখে পাহাড়ি ঢং

নীলে জমা হয় মানুষের কথা, বেদনার ভারে নূরজাহান নীলের মতো রঙিলা হয়ে ওঠে সমাজের সূচিবিন্যাস ঘরে, একলা মানুষ অনেক পরে, সুখগুলো সব আপন জনের, তোমার একলা বাতাস অনেক পরে, মানুষ ত অনেক হলে, হয়ে দেখো প্রান পাথরের বুকে

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

শান্তির আশায়

শান্তির আশায় ঘরমুখো পাখি নেমে আসে রাস্তায় রাস্তায়
শান্তির আশায় মন ভেঙে পড়ে কান্নায় কান্নায়
শান্তির আশায় মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে নিয়মের নামাতায়
এক ঠুঙা বাদাম
এক মুঠো হৃদয়
কিছু পলাতক অধিকার ঘর থেকে ঘরে পালিয়ে বেড়ায়
শান্তির আশায় একটা রাতের ঘুম অযথা কেটে যায়

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

জয় করে নিতে আসে যারা

লিখতে গেলে হাত থেমে যায়, বলতে গেলে মুখ নেমে আসে শব্দের নিচে, মনে মনে তুমি বাজে অবিরাম অবিরত।

ভালো আছো জেনেও ভালো থাকতে পারি না কেন? ভালো রাখার মতো মহৎপ্রান এখনো জমা হয়নি আশার কানায় কানায়, তাইতো এতো তাড়াহুড়ো বড্ড বেয়াড়া আড্ডা জমায় ইচ্ছেঘুড়ির হাত ধরে।

এখনি বলে দিতে পারি সব কথা-- তুমি ছাড়া লায়লী মজনু তাজমহল শাজাহান যমুনা নদী সব বৃথা, একমাত্র তুমি ছাড়া সব বৃথা। কিন্তু বলতে পারি না কোনো কথা, আমার কোনো শব্দ অনুবাদ করতে পারে না মনের সেই উজান ভাটি -- তুমি ছাড়া সব বৃথা!

নদী কেমন করে পলি খেয়ে খেয়ে চর জাগায় দেখেছি। আমি মেঘনার ছেলে। দেখেছি চর কেমন করে গিলে খায় জলের দামাল। দেখেছি। আমি মেঘনার ছেলে। দেখেনি কেমন করে আমার হৃদয়ে জমা হলে তুমিপলি, টের পাইনি কেমন করে তুমিপলি মিশে গেলে সময়জলে। কত অদেখা জীবনের মতো আয়ু নিয়ে মানুষের হৃদয়ে থেকে যায় ইতিহাস জানে না, জানে না সন্ন্যাসব্রত পথের হেয়ালি।

এই তো দেখছি, অলকানন্দার হলুদ হাসি লেপ্টে আছে তোমার ঠোঁটের ক্যানভাসে, মুখে আছে জলরঙে মনতালের ঢেউ।  আমার মতো বিরক্ত করবে আছে নাকি কেউ? থাকলেও থাকতে পারে না। চাপ পড়লে খুলে যায় পুরাতন সব মুখ-- চার নাম্বার গেইট, তালাপড়া বুক স্টল। সব, একদম সব।

আকাশেরও চোখ আছে নিজেকে দেখার, পুরাতন আশার নিচে খুচরো বাতাস খেলা করে দিনরাত। অনেক রাত। এখন অনেক রাত। এখনই ঘুমানোর মতো রাত। তুমি কী ঘুমিয়ে গেছো আমার অনেক আগে? নইলে এখনি বলে দাও আলোর নির্ধারিত পরিমান যা দূর করবে সমস্ত অন্ধকার-- চোখের সামনে থেকে মনের ভেতরের সব ফুটপাত।

তোমার ছায়ার ফুটপাতে  খুঁজে বেড়াই-- দেখতে কী পাও, শুনতে কী পাও? আমাকে জিতে নাও, তোমার জয়কে আমি জিতে নিব একদিন

বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

চোখ ফিরিয়ে দেখে নিলাম তোকে

চোখ ফিরিয়ে দেখে নিলাম তোকে
মনখারাপের দুঃখগুলো রেখে
তোর চুলে আউলা বাতাস উড়ে
চোখ ভাসে গ্রাম্য বাতাস রোদে।।

হলুদ আলোয় বৃষ্টি কলমি ফুল
চোখের তারায় জলভুলানো দোল
মিষ্টি দলের আকাশনীলা পরি
তোর চোখে সময়ছবি আঁকি।।

চোখ ফিরিয়ে দেখে নিলাম তোকে
হৃদয়নোটে তোকে নিলাম টুকে
বিশাল আকাশ তোইস্বপ্ন বুকে
আমার বিশাল আকাশ তোইস্বপ্ন বুকে।।

মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭

Still kill me dear

Last night I felt the acute gean trying to knock me up and down. Last night I was or I was not. Walking across the mind path I lose myself just I lose myself along the thought. Thought, my dear cherished thought, how are you, what about your pet river?
Miss you much!
World den going on there. How far away my dear? Your face wine makes me drunk onto the interior glean.

well, everything is going on well.Very good your presence-- I have got it in my mind. Zero time between the rural mood dances in my dream grass and to wake and to lay down for the time neonatal something. In everything and everywhere you are here my dear but unable to trace your green lips and left finger. You are the motion of time energy you know?

The word has been dead only for the touch of your chloroform Presence.
Presence
Your presence
Still kill me dear
How are my last night?
I need you again
Need you again my beloved last night better than any kind of the best. 

সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

পরিবার

প্রত্যেকটা পরিবার থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়-- বালিশ জানে না-- দুই জন জানে 

রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭

পাখনার নিচে আদিম অন্ধকার

তারপর আমাকে বাজারে তুলা হলো। এক টাকা দামের চকলেটের সাথে রাখা হলো আমাকে। কেউ কেউ রাখলেন দামি কোনো হিরা মনি মুক্তার সাথে। কেউ আবার মেয়াদোত্তীর্ন পন্যের সাথে রেখে দিল ডাস্টবিনের জন্য।

আমার তো ভালো লাগে গ্রামের নীরব অন্ধকার। যেখানে গ্রাম শহর মানুষ বলতে কিছু নেই এমন জায়গায় যেতে পারলে আরও ভালো লাগবে বলে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকি দিনের পর দিন।

দুটি কালিম পাখিকে রেখে ছিলাম ব্যক্তিগত খাঁচায়। দেখলাম দিনের পর দিন তারা ম্লান হয়ে আসছে। ভেতরে তাদের হাজার বছরের ছটফটানি। একদিন তাদের মুক্ত করে দিলাম। তারা কোনো এক পুরাতন ডোবায় কচুরিপানার ঘরে রচনা করে তাদের প্রাকৃতিক সংসার। তারপর দুই থেকে তারা হয়ে গেলো শতাধিক, ছড়িয়ে পড়লো আড়াইসিধার প্রত্যেক ডোবায় ডোবায়। আর আমি হয়ে গেলাম তাদের পাখনার নিচের আদিম অন্ধকার।

কথাকে

আজকাল কথাকে কোনো এক নির্জন দ্বীপের রাখাল মনে হয় 

শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

যোগাযোগ নিভে গেছে

দূরত্ব অনেক। যোগাযোগ নিভে গেছে। সংকোচ জমা হয়ে আছে আঙুলের কোনায় কোনায়। যেখানে দেখা হয়েছিল আমাদের সেখানে আমাদের কোনো শব্দ নেই। পৃথিবীর লাল নীল হলুদ চোখেরা আর আমাদেরকে নিয়ে দোকানপাঠ করতে আসে না, হিসাব তুলে না রোজকার নিক্তি পাল্লায়।

আমাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মেলার মাঠ নেই, ছাতিম তলা নেই বলে যারা জানে তারা ভুল জানে। আমাদের সবই আছে, কেবল দৃশ্যরব তুলার মতো কোনো মডিফিকেশন নেই। দূরত্ব অনেক। যোগাযোগ ঘুমাতে গেছে বহুদূর।

অভিকর্ষ বল স্থির হতে হতে শুন্যে নেমে আসে, মধ্যাকর্ষ বল থেমে যেতে যেতে বায়ুহীন হয়ে পড়ে, তাপমাত্রা কমে যেতে যেতে পরমশুন্য অবস্থায় পৌঁছে যায় বলে এক পৃথিবী আছে যেখানে মানুষের হৃদয় যেতে পারে না, স্টক সলিউশন কাজ করে না। আমরা পেরেছি। তোমার প্রত্যেক শব্দ আমি প্রতিক্ষন শুনতে পাই, আমার প্রতি শব্দ তোমার হৃদয়ে সাজে পঞ্চপ্রানের মতো। দূরত্ব অনেক। যোগাযোগ ভাঁটফুল গন্ধ নিয়ে মিশে গেছে।

পুরুষের চোখের জলে প্রচুর আয়োডিন থাকে। তোমার চোখে আছে সালফার এসিড। তোমার জানালায় নিমপাতা সুখ, আমার জানলায় আষাঢ় মাসের অসুখ। অনেক কথা বলা যেতে পারে পৃথিবীতে থেকে। তুমিআমি তাই অনেক আগেই চলে গেছি পৃথিবী থেকে অনেক দূরে জোছনার দেশে যেখানে শব্দের মতো চাষ করি আমরা উপলব্ধিভূমি। দূরত্ব অনেক জমে গেছে। কামিনী ফুল আসে, গন্ধ আসে দলে দলে, নিভে গেছি আমরা মেঘের আড়ালে।

ঘরে যখন বিজলি থাকে না, খুব আরাম করে অন্ধকার দেখি, অন্ধকারের নিজস্ব ভাষাকে হৃদয়বাহী করে তুলার চেষ্টা করি, অন্ধকারের অনেক গভীরে একজন কমলালেবুর বসবাস, আমরা যারা সামাজিক মানুষ অনেক বছর তাকে নিজের করে নিতে পারিনি। অথচ সে ছিল আমাদের সত্যিকারের নিজের লোক। ফ্রেকটাল জরিপে আমরা তো নেই, যেমন ছিলেন না একজন কমলালেবু। তাইতো আমাদের যোগাযোগ দূরত্বের মোহনায়। যোগাযোগ নিভে গেছে।

তবুও জানতে ইচ্ছে করে আর কতটা জীবন, আর কতটা জীবন এমন করে যাবে প্রিয় ....

বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

আমাদের ঘরের সেই টিভি

আমাদের ঘরে একটা টিভি ছিল। সনি টিভি। ছোটোখাটো গোলগাল। চৌদ্দ ইঞ্চি রঙিন টিভি।

আমাদের পরিবারে একটি টিভি ছিল। অনেক আগে। আকরাম খান যখন ছয় মেরে বাংলাদেশকে পাঠিয়ে দিল দর্শক গ্যালারিতে তখন। শাবানা যখন নারীর সতীত্ব ধরে রাখার জন্য সবার অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে তখন। সালমান শাহ যখন সত্যের মৃত্যু নাই ছবি করে সবার চোখে জল নিয়ে আসে তখন।

আমরা সবাই গোল হয়ে আসতাম সাপ্তাহিক ছবি দেখার জন্যে। আমাদের পরিবারের সবাই টিভিটাকে আলাদাভাবে যত্ন করত। যেহেতু কৃষক বাড়ি অযত্নের অনেক কারন ছিল। সব কারন অতিক্রম করে আমরা সবাই তাকে আলাদাভাবে টেক কেয়ার করতাম এটাই সত্য।

আম্মা একটা সাদা পর্দা কিনে আনলেন। পর্দাটার উপরে অনেক যত্ন নিয়ে সুঁইসুতার কাজ দিয়ে আঁকাবাঁকা ফুলঝাপ তৈরি করলেন। তারপর পর্দাটা দিয়ে টিভির সারা গতর ঢেকে দেয়া হলো। তখন তাকে গ্রামীন নব বধূর মতো মনে হতো। খেলাধূলার পর এই টিভিই ছিল আমার প্রেমের জায়গা।

কয়েক বছর সে ভালোই সার্ভিস দিল। তারপর শুরু করে এক উদ্ভুত আচরন। যখনই আমাদের পরীক্ষা আসার সময় হয় তখনই নষ্ট হয়ে যায়। ধরুন, পরীক্ষার আর এক মাস বা বিশ দিন বাকী, এমন সময় সে নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের ভালোই লাগত। পরীক্ষা শেষে আবার মেরামত করে আনতাম।

একবার সে নষ্ট হলো। ডাক্তারের কাছে নেয়া হলো। আর ত সুস্থ হয় না। ডাক্তার বলেছে তার ক্যানসার হয়ে গ্যাছে, ব্লাড ক্যান্সার, তাকে আর বাঁচানো সম্ভব না। আমাদের পরিবারে কষ্টের বন্যা নেমে আসে। একদিন টিভিটা মারা গেল! সবাই তাকে দাফন দিয়ে দিতে চায়ল। একমাত্র আমি বললাম 'না '। তাকে দাফন করা যাবে না।

আমার রুমে তাকে রেখে দিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল তাকে আবার জীবিত করা যাবে। ছোট মানুষের বিশ্বাস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ধরনের বিশ্বাস।

আজকে আমি বড় হয়েছি, টিভিকে জীবিত করতে গিয়ে দেখি সেই দিনের বড় মানুষদের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল-- যে মারা যায় একেবারেই মারা যায়, তাকে আর ফেরানো যায় না আমাদের এই ভালোবাসার পৃথিবীতে, আমাদের এই প্রেমের পরিবারে

শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭

শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭

নিকট নিকটে

দূরে পাহাড়
তারও দূরে মেঘ
তারও দূরে আকাশ
তারও দূরে চোখের সীমানা
তারও দূরে মনের কল্পনা
তারও অনেক কাছে তুমি আর আমি
আমরা মিলে যাই পাহাড়ে পাহাড়ে
আমরা মিলে যাই আকাশে আকাশে
আমরা মিলে যাই মেঘে মেঘে
আমরা মিলে যাই কল্পনায় কল্পনায়
আমরা মিলে আছি আমাদের সাথে
অনেক সবুজ
অনেক স্বপ্ন
অনেক কথা
অনেক গন্ধ জন্ম নেয় আমাদের ঘরে
দূরকে করেছি কাছে
কাছকে করেছি নিকট নিকটে

ব্যক্তিগত চায়ের স্টল

চাঁদকে সাথে নিয়ে চাঁদ দেখবো বলে বাহিরকে করেছি ঘর।

অন্ধকারকে আলো বলা যেতে পারে যদি আলোর কোন নিজস্ব পথ না থাকে।

বেদনার সাগর পাড়ি দিলে মানুষ কোলে তুলে নেয়, বেদনার সাগর পাড়ি দিতে হয় নিজেকেই।

আমাদের দুঃখের মতো আমাদের পাশে থাকে আমাদের বোন।

এক ছাতার নিচে জীবন পাড়ি দিব বলে অনেক বৃষ্টির কথা ভুলে গেছি।

তোমাকে স্পর্শ করিনি তাই এখনো ইতিহাস দেখা হয়নি।

আমার আকাশে রোজ শাদা মেঘ উড়ে যায়-- না হতে পারি মেঘ না হতে পারি জীবন।

জলের ভেতর জেলখানা
    মানুষ আজব কারখানা।

কয়েদী বন্দী করে কয়েদীকে,আর আমরা সিনেমা দেখি রোজ রাতে, অন্ধকারে।

আমার মাথায় রোদের মৃত্যু হয়, কারন তুমি ছায়া রচনা করে যাও রোদের দিনে।

আমাকে বুঝতে কারো লাগে এক জীবন, কারো লাগে অনেক জীবন, কারো আবার কোন জীবনেই হয় না।

তোমার জয় দেখে আমার জয় তোমার শৈশব হয়ে যায়।

 পৃথিবী নাচে কখনো জেনে, অধিক সময় না জেনে।

অনেক কান্নার পর একটি সবুজ মাঠ মানুষের চোখে নামে।

তুমি বন্ধু নদী নৌকা আমি তোমার ঢেউ।

ইতিহাস সাহসের অভাবে কাক হয়ে যায়।

সাঁতার না জেনেও তোমার জলে মৃত্যুর মতো ভাসি।

এখানে জীবন এসে সময়কে ধমক দিতে থাকে
তোমার চোখ জন্মের আগের কথা জমা রাখে।

লাজুক লতা অল্প অল্প কল্প কথা
লাজুক লতা তোমার চোখে প্রেমের দেখা।

পৃথিবী এক অক্টোপাস সরলরৈখিক বিনোদন।

বাঁধ দিলে বলে
কেউ হলো জেলে
কেউ হলো মাছ।

আশায় আলোয় পথ চলে বীরের মন।

চোখের দৃষ্টি অনেক আগে মানুষের ঘরবাড়ি।

দারুন সূর্যের মতো আজকের শিশু বাজারে যাবে।

 মানুষ আইন মান্য করে আইন মানুষকে মান্য করে বলে।

অপেক্ষা করতে শিখে গেছি বন্ধু রোদ তোমাকে হতেই হবে।

 আলোর পেছনে অনেক আশা থাকে, তাই পথে রেখো চোখ, সময় আসবে।

আলোকে ভালো বলতে মন লাগে, ভালো বলতে শিখে গেলে দুরন্বয় ভোগান্তি থাকে না, রাখে না।

অনেক কথা নেশার দেশের জন্য জমা রাখে সময়।

আকাশচুরি করে পাখিও ঘরে ফিরে--তারার কোন দোষ নেই মেঘের দেশে।

আমার চোখেও বৃষ্টি নামে বন্ধু।

পাহাড় দেখা হয়ে গেলে মানুষের একটা পুরাতন ফাইল ঘাটিতে হয়।

অনেক যাতনার পরও তুমি কিছু বলবে বলে ছাতা বদল করে বৃষ্টির কাছে হাত রাখি।

একদিন জানালা বেয়ে জোছনা নামবে।

ত্যাগের আকাশ কেবলই বড় হতে থাকে।

আমার চোখ জেনে গেছে ব্যথার অবদান।

কষ্টের কাছে কিছু ব্যথা ছিল বন্ধু, বৃষ্টি হলে আমি ভিজবো।

একটা হাত কয়েকটি চুড়ির শব্দ জানে স্বপ্নের জাল রোদের তাপে কেন ভেঙ্গে যায় বহুবার।

একটি ছাতার জন্য আমি একটি বিপ্লব করবো জেনে রেখো।

দুঃখ জানে না আমার সাধনা তার চেয়েও অনেক বড়।

হাসতে হাসতে কান্নার বাড়ি যাবো।

আড়ালে অনেক ছায়া হারিয়ে যায় গোপনে।

গোপনে গোপনে চাষাবাদ করে চাষা --- অনেক অজানা অনেক অজানা।

চাকরি জানে না মনের রাজ্যের খবর।

খুলে রেখেছি প্রান আরও আরও প্রান চাই।

দেখা হবে তার সাথে কোন এক অদেখার বাজারে।

জোয়ারের হাসি ভাটায় মিলিয়ে যায়।

 জল যদি এনেই দিলে বিষ কেন আয়োজন করে খাওয়ালে।

নীরবে কেন ট্রেনের বিষাদ।

আমি কি বলে দেবো তোমার চোখে কেন আমারই মতো আগুন নামে খুব সকালে?

রোদ আসবে বলে বৃষ্টি নিয়ে বসে আছি অনেক দিন ধরে।

প্রকৃতির কাছে একবার একবার করে বারমুখি হতে গিয়ে দেখি চোখ মেলে বসে আছে আমার সন্ন্যাসব্রত মনা।

তবুও ইচ্ছে জাগে খুব
মনের দেশে মাঝি হয়ে দূরে রাখি সুখ।

তাইতো এখন সকাল হবে
তাইতো পাতায় গল্প রবে।

এবং বলে অবশ্যই কিছু একটা থাকে।

দরিয়ার দরিদ্র মায়ের আঁচল।

ভগবান হয়ে এলি, কেন রে তোর মানব সংসার হবে!

অনেক আকাশের উপর অনেক বাড়ি।

পাঠশালায় রোজ শেখানো হয় মানুষের চেয়ে বড় কিছু আছে --- মানসিকতা।

বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

ডেডিকেশন

রোদ কাদা বৃষ্টি অতিক্রম করে যারা স্কুলে যেতো তারাই স্কুল হয়ে ওঠেছে। তালা যেমন চাবি চায় তেমনি পৃথিবী আপনার কাছে চায় ডেডিকেশন। ডেডিকেশনের অভাবে অনেক মেধা প্রতিভা প্রজ্ঞা কবরের ঘাস হয়ে গ্যাছে, আর একমাত্র ডেডিকেশনের অবদানে অনেকে হয়ে গ্যাছে পাথরের ফুল।

সাপ

সাপ একবার বলল তোমরা আপেল খাও, তারপর থেকে তারা বারবার আপেল খেতে লাগলো। আপেল খাওয়ার কারনে পৃথিবী নামক দ্বীপে তাদেরকে নির্বাসন দেয়া হলো। তবুও তারা আপেল খাবে।

জান্নাতে যেমন সাপ ছিল পৃথিবীতেও সাপ আছে। তবে পৃথিবীতে সাপ এসে ব্যবসায়ী হয়ে গ্যাছে-- মাছ ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী, শিক্ষা ব্যবসায়ী, গান ব্যবসায়ী, ধর্ম ব্যবসায়ী, কর্ম ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী।

বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭

মেঘের খেলা

যেদিন দেখবে আকাশে কোনো মেঘের খেলা নেই সেইদিন মানুষের দলে আমাকে খুঁজে পাবে

মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭

রূপকথার বাড়ি

মেঘধর সত্য

জীবনের নিচে অনেক মিথ্যা শাপলা ফুলের মতো চোখ মেলে আকাশে, টঙ্গী ফেনের কথা আমরা ভুলতে পারি না, ইতিহাস এমন, ইতিহাস তেমন, ইতিহাস তাহাদের কালো ছায়া।

মেঘধর মিথ্যা

অনেক আলো এসে গাছের নিচে নীরব হয়ে দাঁড়ায়, স্বদেশি কবিতা আবৃত্তি করে জাতীয় চেতনায়, অনেক হুজুরের পাগড়ি তখন মাটির নিচের ট্যাবলয়েড হাতিয়ার হয়ে যায়।

মেঘধর সত্য মিথ্যা

নারী মানে প্রকৃতির খুব কাছের কোনো পারফিউম অভিধান, ভালোবেসে খুন করে তারা, ভালো না বেসে অনায়াসে করে জীবনদান, নারী মানে মানুষের রহস্যময় নৌকা জীবনের কালকেতু অভিধান

প্রেম হয়ে গেলাম

ভালোবাসা অন্ধ হয়ে গেলে
প্রেম এসে আলো দেয় মনে
ভালোবাসা মারা গেল
আমরা মরে গেলাম
বেঁচে গেল আমাদের প্রেম

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

অনেক হারানো গল্পের মতন গল্প

তোমার শরীরে আবার জন্মেছে তরুলতা পশু পাখি ফুল, আবার আমি রাখাল হবো, আবার করবো ভুল

এক ভুলে জীবন গেলে অহংকার কোথায় মানব জীবনে
ভুলে ভুলে জীবন যাবে ভুলে ভুলে জীবন

বৃষ্টি আসবে
ভেজাবে আমাকে তোমাকে
বৃষ্টি আসবে
লুকাব আমি তোমাতে

অনেক রোদের মতন আমিও মিশে যাবে তোমার রক্তধারায়, ফুটপাত ধরে মানুষ হেঁটে চলে আজন্ম কাল।
মানুষ। মানুষ এক বানানো কল্পকাল।

মানুষের ঘর নেই তবুও মানুষ ঘর বানায়
মানুষের কোনো সংবিধান নেই তবুও তারা চায় আইনের শাষন, হরিপদ কালারের টিয়াসুখ মানুষ খুঁজে ধর্মের মতন।

আমি খুঁজে মরি তোমাকে একবার, বারবার-- ফেইসবুক বাতাসে ইথারে ইথারে চোখের ভেতর মনের কথায়-- তুমি নাই তুমি নাই, আবার তোমাকে পাই বিবাহিত তরুলতা ফুলে আষাঢ়ের ঘরে ঘরে পাতায় পাতায়।

আমি একবার তোমাকে চাই, চাই বারবার, অনেক হারানো গল্পের পরও তুমি আমার।

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

রেগে গেলে

রেগে গেলে কেউ কেউ চুল ঠিক করে বার বার অথচ ভুলকে ঠিক করে না একবার

আগুন লাগে

আপনার শরীরে আগুন লাগেনি, সুতরাং আপনার বিশ্বাস করার দরকার নেই ঘরে আগুন লেগেছে, আপনি বিশ্বাস না করলেও এ কথা সত্য যে ঘরে আগুন লেগেছে। ঘুম থেকে ওঠে দেখবেন আপনার শরীরেও আগুন লেগেছে কিন্তু তখন বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস আস্থা অথবা আস্থাহীনতা কোনো কাজে আসবে না। 

শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭

মাটির মানুষের মতো জয়

কোন কবি যে বলেছিল পরাজিত হয়ে তোমার কাছে এসেছি। আমি জয়ী হয়ে তোমার কাছে যেতে চাই। জয়ী মানে বিশাল কোনো চকচকে মিহি মোম হয়ে  কিংবা জমির মালিক হয়ে নয়। জমির মালিক আমার পক্ষে হওয়া সম্ভব না।

জমির মালিক জনগন। জনগনও জমির মালিক নয়, জমির ব্যবহারকারী মাত্র।

কোনো ব্যক্তি কোনো জমির মালিক হতে পারে না। যারা পারে তারা অনেক কিছুই পারে-- ফুলের বাগানে ভুলের চাষ করতে পারে, ফলের বাগানে বিষের চাষ করতে পারে, গরীবের পেটে শিক্ষিত সেজে লাত্তি মারতে মারে, আকাশের মালিক হতে পারে, বাতাসের মালিক হতে পারে। তারা পারে এবং পারে। আমি অনেক কিছুই পারি না এবং পারি না। আমি পারি কেবল জয়ী হতে। জয়ী বলতে মাটির মানুষ....

মাটির মানুষ হয়ে তোমার কাছে যাবো
অমল হয়ে তোমার কাছে যাবো
ফেরারী ফৌজ হয়ে তোমার কাছে যাবো
মেঘে ঢাকা তারা হয়ে তোমার কাছে যাবো
টিনের তলোয়ার হয়ে তোমার কাছে যাবো
সব্যসাচী হয়ে তোমার কাছে যাবো

এখন আমার জন্য কোনো জয় নেই। এখন আমার জন্য কোনো পরাজয়ও নেই। এখন আমার জন্য আমি জানি তুমি নেই।

একসময় তুমি ছিলে-- আমার জন্য জয় ছিল, আমার জন্য পরাজয় ছিল।

এখন আমার জন্য আছে বকুল ফুল, শাপলা ফুল, কদম ফুল, রাতফুল, পথফুল

প্রান

প্রানের মানুষের সাথে থাকলে প্রান চার্জ হয় 

একা এক অসুখের নাম

আমাদের বাড়ির দক্ষিনে ডোবা। আমাদের বাড়ির দক্ষিনে সবুজ আর সবুজ। সবুজে রাতে ডাহুক ডাকে। দিনে সেই ডাহুকই আবার খেলা করে বাচ্চা নিয়ে।

দক্ষিনে বসে সবুজ দেখা যায়, ডাহুক দেখা যায়, অনেক বছরের পুরাতন এক কাঁটাগাছ দেখা যায়, দেখা যায় না দূরের সেই গ্রামটিকে।

গ্রামটি আমার শৈশবের প্রশ্ন গল্প কৌতূহল। মনে মনে গ্রামটিতে হাঁটাচলা করে আসি, আমার পায়ে তাতেই সন্ধ্যা নামে। রাত করে বাড়ি ফিরি। মনে মনে। সেই গ্রামে মানুষ থাকে, না ভূত থাকে তাও জানতাম না। জানতে পারবো বলে আশাও করিনি। গ্রামটি তাই আমার কাছে একধরনের আলিফ লায়লা সিরিয়াল-- দেখে দেখে দেখার বাসনা বাড়ে।

সেই দূরের গ্রামের পরপারেও আমাদের জমি ছিল। আব্বা গ্রামটি পার করে প্রায় নিজের জমি দেখতে যেতো। আব্বাকে নিয়ে আমার টেনশনের শেষ ছিল না। কারন ভূত যদি আব্বাকে কিছু করে।

আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম। গ্রামের ছায়াটিও আমার চোখের সামনে ছোট হয়ে আসতে লাগলো।এখন আর ব্লার করা সেই ছায়া দেখি না, গ্রামটিই কেবল দেখি, গ্রামের ভেতর মানুষের হাঁটাচলা পর্যন্ত দেখি।

এখন আমি অনেক বড়। আর গ্রামটি? গ্রামটি আমার কাছে অনেক ছোট।

ছোট চোখ দিয়ে ডাহুককে যেমন দেখতাম এমনই দেখি, সবুজকে যেমন দেখতাম তেমনি দেখি, একা দাঁড়িয়ে থাকা কাঁটাগাছটিকে এখনো দেখি একা।অনেক অদেখা আস্তে আস্তে দেখা হয়ে যায়, অনেক দেখা কেমন যেন অদেখা থেকে যায়। অনেক অদেখা আবার ভাঁজ করে রাখলে ডোবার পাশের কাঁটাগাছটি হয়ে যায় যে অনেক তেজ নিয়েও বড় বেশি একা।
একা
একা
একা
একা এক অসুখের নাম 

শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭

পথ চলে না পথে

পথ চলে যায় এদিক সেদিক
পথ চলে যায় সেদিক এদিক
পথ চলে যায় গয়া কাশী
পথ মেনে নেয় কান্না হাসি
পথ চলে যায় সচিবালয়
পথ চিনে নেয় ভোগের বলয়
পথ চলে যায় মসজিদে
পথ চলে যায় মন্দিরে
পথ চলে যায় শাহাবাগ
উতাল পাতাল চিচিংফাক
কারো পথ কারো পথ ধার্মিক কার্ল মার্ক্স
মাওবাদী চাওবাদী
মানববাদী নারীবাদী
দোকানবাদী দর্জিবাদী
বিষপোকা বিষপোকা
মানুষ মারার যন্ত্রগাড়ি
পথ চলে না পথে
পথ চলে যায় বিধানসভার বানানো এজলাসে
পথ চলে না পথে
পথ চলে যায় হুজুর ইমাম পুরোহিতের মতে
পথ চলে না পথে
সঠিক পথে রোজ রাতে অন্ধ গাড়ি চলে
জানালার ফাঁকে তবুও আশার আলো আসে

লাল হবে

ভালোবাসায় তোমাকে হত্যা করেছি বলে আজকের  সূর্যটি লাল, ভালোবেসে আবার তোমাকে হত্যা করবো বলে আগামীকালও সূর্যটি লাল হবে

প্রতিবাদ

ইটের ভাঁজে ভাঁজে আমি প্রতিবাদ রেখে যাবো, অট্টালিকা আরও আরও বড় করতে থাকুন, আপনাদের বিলাসীতা আপনাদেরকে ঘরছাড়া করবে 

বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

ডাকঘরে

বাতাসে তোমার নামে চিঠি যাবে, মনের ডাকঘরে একবার খোঁজ নিও 

মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭

সন্তান তোমহার

রানী হওয়ার বালিয়ার্ড শখ নারীর এই বাংলার
প্রেমিকার যৌথ জাগানিয়া সুখ হতে চায়নি নারী এই বাংলার
নারী ভুলে যায় তারে
নারী ভুলে তার আপন কপাল
নারীর কপালের কালো টিপ রুপান্তর হয়ে আজ উদ্যানের সবুজ পাতা
তার হাসি থেকে রঙধনুর সাত রঙ বর্নে গন্ধে বর্নিল
রাজা আমি নই তোমার আকাশের নিচে
তোমার রাজা হবে এমন যোগ্যতা কার আছে বলো

একবার গনিত করা হয়ে গেলে সাদা কাগজে দেখা দেয় লাল ফুলের ভয়ঙ্কর সুন্দর মুখ, ঘ্রান নিতে গিয়ে মৃত্যু রচনা করে পুরুষ

আমার মতো নয় পুরুষ
তোমার মতো নয় নারী
তুমি আমার মতো আরেকটি আমি
আমি তোমার মতো আরেকটি তুমি

গ্যাসের মতো হালকা হয়ে এলে চোখে দেখা দেয় অনেক জন্মের মার্বেল গতি
খুব সহজ
খুব সরল
খুব মোলায়েম
পাহাড় পর্বত আকাশ সমতল নিয়ে আজকের তুমি এক নবাগত পৃথিবী

আজকের নারী তুমি-- দূরে দেখা যায় ব্যর্থ রাখালের ছায়া
তোমাকে মহলে রাখে এমন অবৈধ পুরুষ ন দেখি আর
দেখিবে না আর সন্তান তোমহার