শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রেমিকমন

প্রেম করাটা সবার সাজে
প্রেমিক হওয়া নয়,    বোকা মন
প্রেমিক হওয়া নয়
প্রেমেতে ফাঁকি চলে
প্রেমিকমনে নয়।।

পদ্মপাতার জল টলমল
নদীর জলে গতি কোমল
প্রেমের জলে মন উচাটন
প্রেমিকমন জানে ।।


কথা ও সুর : এমরানুর রেজা
3112015

শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৫

God

God knows what is the power of devil
God
Please carry on your hatred over me
When your hatred will die on me
I will mix then up with soil 

স্বরসতী

আকাশ।
আজ কত দূরে।
অথচ একদিন এই আকাশ হাতের কাছে ছিল। তখন আজকের মতো এতো মানুষ ছিলনা। মানুষ বলতে কেবল আমাদের পরিবার। ঠাকুরমা ছিল আমাদের পরিবারের সবচেয়ে লম্বা মানুষ। ঠাকুরমার রাগও ছিল খুবই বেশি। তাঁর একটি সুন্দর বদভ্যাস ছিল। আর তা হল খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা, আমাদেরকে উঠানো। একদিন সকালে তিনি উঠোন ঝাড়ু দেয়ার কাজে ব্যস্ত। ঐ দিন আকাশটা কেন যেন আরো একটু নিচে নেমে আসে । ঠাকুরমা যখন সোজা হয়ে দাঁড়ায়  তখনই আকাশের সাথে ধাক্কা খায়। ঠাকুরমা খুব বিরক্ত হচ্ছিল। ইয়া আলী বলে আকাশকে দিলেন এক ঝাড়ুমাধ্যম।

আকাশ আবার যথেষ্ট ব্যক্তিত্ববান। খুব লজ্জ্বা পেল। আকাশ সিদ্ধান্ত নিল আর না, আর পৃথিবীর মানুষের কাছাকাছি থাকা যাবেনা। পৃথিবীর মানুষ হাতের কাছের মূল্যবান কিছু মূল্যায়ন করতে জানেনা। দূরের তুচ্ছ কিছু নিয়ে রাতকে দিন বানাতে পারে।
যেই কথা সেই কাজ। আকাশ দূরে চলে যায়। একেবারে চোখের সীমানা ছাড়িয়ে।

আকাশের খোঁজে পাখি উড়ে।
পাখি হয়তো আকাশ খোঁজে। পাখির আকাশে মেঘ উড়ে। মেঘেরাও আকাশ খোঁজে পায়না। আকাশকে ছোঁয়ার কত শখ আমার। কেবল আকাশকে স্পর্শ করার জন্য পাখি হতে চাই, মনে মনে গান ধরি --

এমন যদি হতো
আমি পাখির মতো
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ

হায় ভগবান! একদিন সকালে পাখি হয়ে উড়তে থাকি। বাতাসে উড়া আর জলে সাঁতার কাটার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে জল নিচের  দিকে টানে না, বাতাসে ভাসমান থাকা যায়না। পৃথিবীর মানুষের শরীরে চুম্বক আছে, তার দিকে  টানতে থাকে কেবল।

আমার সাথে আরেকটি পাখি উড়ে । মেয়ে পাখি। তার নাম স্বরসতী। তার কোমড়ের বাঁক যেন কামনার নদী। অধর যেন গভীর গাঙ আর আমি যেন গাংচিল। দুজন দুজনের খুব কাছাকাছি । তার মনের দেখা পাই আমার মনের আয়নায়। আমার শরীর আর তার শরীর বহুদিন জিরো ডিগ্রিতে অবস্থান করে। বহুদিন মিশন পজিশনে তার সাথে আমি।  তার শরীরের অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া আমার শরীরে আস্তানা গাড়ে। তার দেহপালিত জীবাণু আমার শরীরের এসে পরিণত ভাইরাস, বিদেশী ভাইরাস। বিদেশী ভাইরাস আমার রোগ প্রতিরোধ সেলে আক্রমণ করে। হ্রাস পাই প্রতিরোধ ক্ষমতা। পাখি অবস্থাতেই আমার মৃত্যু হয়।

আমার আর আকাশ ছোঁয়া হলনা!

অনেক শতাব্দীর পর ....

পৃথিবীতে আমার বন্ধুর সংখ্যা অনেক কম। অনেক কম বন্ধুর মাঝে সুপ্রিয় একজন। বাড়ি শ্রীরামপুর, হুগলী । তার বাড়িতে আমার নেমন্তন্ন ।নিদিষ্ট সময়ে তার বাড়িতে পৌঁছানোর কথা থাকলেও পৌঁছাতে পারি নাই। তার বাড়িতে যখন উপস্থিত হয় তখন  সন্ধ্যা ছয়টা। হুগলীর সন্ধ্যা অনেকটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা, অনেকটা বিধবা নারীর মানসিক অবয়বের মতো। বন্ধুটির বাড়িতে উৎসবের কোলাহল। পূজার উৎসব। সুপ্রিয়ের বাড়িতেই পূজামণ্ডপ।
আজ নাকি স্বরসতী পূজা!
স্বরসতী নামটা শুনতেই আমার বুকের ভেতরে একটি বজ্রপাতের শব্দ শুনি!
এ কোন স্বরসতী?
আমি যখন রেগে যাই কিংবা অবাক হয়ে যাই তখন কোনো কথা বলিনা, বলতে পারিনা।
স্বরসতী? নামটি আমাকে অবাক করেছে। ধীরে ধীরে পূজামণ্ডপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সাধুদৃষ্টির মদনতাড়নায় স্বরসতীর দিকে তাকালাম। আমার শরীরের রক্ত যেন টগবগিয়ে দৌঁড়াবে এমন, কথা বুঝি থেমে গেল। স্বরসতীর ভরা যৌবন আমাকে আদিম অন্ধকারে দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সে এতক্ষণ এক নজরে তাকিয়ে ছিল আমারই খোঁজে হয়তো। তাকে পরিপূর্ণ চিনতে আমার  আধটুকু সমস্যা হয়। কারণ তার ছিল প্রাকৃতিক সাজ, আজ অনেক কৃত্রিম সাজ তার অঙ্গে। আমাকে চিনতে তার এতটুকু স্মৃতিভ্রম হয়নি।

নতুবা কেন সে আমার দিকে ছুটে আসবে সংসারত্যাগী প্রেমিকার মতো?

আমাকে জড়িয়ে ধরে সে পৃথিবীর কান্নাকে এক করে ফেলে। এই কান্নার শব্দ নেই, অর্থ আছে।

আমাদের দিকে চেয়ে আছে সুপ্রিয়, চেয়ে আছে স্বরসতী-পূজামণ্ডপের ভক্তপ্রাণ। আমরা চেয়ে আছি আকাশের দিকে, অভিমানে  যে আকাশ  আজ অনেক দূরে!

বুধবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫

কার্বনকপি

একটা সময় সুখের সন্ধান করতাম। সুখের সন্ধান করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ক্লান্ত শরীরে ছায়ার দিকে দৃষ্টি পড়ে। প্রথমবারের মতো আমারই কার্বনকপির দেখা পাই। অবাক হয়ে দেখি ছায়া আমার ক্লান্ত হয়না। আমার ফটোকপি আমাকে অনুসরণ  করলেও আমার ক্লান্তিকে অনুসরণ করেনা।
আমি থেকে ছায়া কিন্তু  ছায়া থেকে আমি হয়না। ছায়া নাচতে জানে, নাচাইতে জানেনা।
এইভাবে, আরো অনেক উপায়ে আমি আর ছায়া এক তবে আলাদা।
এখন প্রতিদিন আমাকে খুড়ি, আমাকে খুঁজি। অসংখ্য আমির দেখা পাই। আমার ভেতরে একটি ব্লাকহোল, একটি জান্নাতুল ফেরদাউস, একটি হাবিয়া।
কোথায় , কোন পথে যাবো?
ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তাই খোঁজাখুঁজির ব্যবসা বাদ। এখন কেবল ছায়া হওয়ার পালা। 

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

নিরীহ

যে মানুষ কাউকে আঘাত করে কথা বলে না,  সবার চোখে সেই মানুষটি নিরীহ;
যে মানুষ ত্যাগ করতে জানে,  সমাজের চোখে সেই মানুষটি বোকা। নিরীহ আর বোকা মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে ; তাইতো বেড়ে যাচ্ছে শিয়ালের লেজকাটা নীতি, এজিদের নিজভোগী বেড়াজাল।

Simple man is he in every man's eye  who does not say anything in hard line. Who can sacrifice in confidence is a  master piece foolish in the eye of society . But it is a matter of concern that day by day the simple  as well as foolish decreasing in a whole. And for the complexity in inner and on outer enhanced gradually.

সোমবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫

পুরুষের গন্ধ

আজ গোধূলী পার্লারে থাকবে না। থাকবে না এমন নয়, থাকার মতো অবস্থা নেই। গোধূলী বাসায় যেতে চায় কিন্তু আজকের জন্য বাসায় যেতে মানা।

গোধূলী পার্লারের ছোট্ট একটি কামড়ায় থাকে। চিকন একটি বেড। বেডের সাথে আয়না। রাত যত গভীর হয় আয়নাটা তত স্বচ্ছ হতে থাকে। স্বচ্ছ আয়নায় অতীতের লোমহর্ষক স্মৃতি ভাসতে থাকে অবিরাম। অতীতের স্মৃতি গোধূলীকে ভয়ার্ত করে তোলে। অতীত মানে জীবন্ত স্মৃতির মৃত কবর। রাত গভীর হলেই গোধূলী কবরে শুয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে। চোখের জল গড়িয়ে পড়ে চিন্তাকে স্যাঁতস্যাঁতে করে দেয়। আয়নায় চোখের জল,  কিছু ভাবী হতাশা, হাহাকারকে  জমা করে একসময় ঘুম আসে গোধূলীর পৃথিবীতে।

সখিনা বেগম। গোধূলীর মা। আরজ আলী। গোধূলীর বাবা। আরজ আলী গোধূলীকে তালাক দিয়েছে গোধূলী যখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। গোধূলীর মা একজন সাংবিধানিক সঙ বেছে নিয়েছে ; বাবাও। সখিনা বেগমের খোঁজ- খবর নেয়ার মতো বন্ধু অনেক। সখিনা বেগমের বর্তমান স্বামী এস, আই। চাকরির প্রয়োজনে ছয় দিনই বাড়ির বাইরের থাকে । ছয়দিনই গোধূলী বাসাতে থাকতে পারে । কিন্তু সে থাকে না। যদিও সে দিনে বাসাতে যায়, রাতে তার দম বন্ধ হয়ে আসে, মানসিক দম। রাতের বাসাটি বেশ আরামদায়ক, বাসযোগ্য। আরামদায়ক বাসযোগ্য বাসাটিতে গোধূলী পুরুষের গন্ধ খুঁজে পায়। রাতেই তা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে, হতে হতে গোধূলীর শরীরের এসে ধাক্কা লাগে  ; যে ধাক্কা সে সহ্য করতে পারেনা, মেনে নিতে পারে না, অমান্য করার সাহস তার নেই।

ইতি, মিলি, সাথি পার্লারের স্টাফ। তাদের কাজ শুরু হয় সকাল দশটায়, শেষ হয় রাত আটটায়। মাঝেমধ্যে গোধূলীকে তাদের কাজে সহায়তা করতে হয়। এমনিতে গোধূলী এ্যাকাউন্টের দায়িত্বে । রাত দশটার পর সে তাদের জীবনের গল্প শুনে। তারা গল্পের শুরু করে কিন্তু শেষ করতে পারেনা। কারণ শেষ পর্বটি তাদেরও জানা নেই, জানানো হয়নি। অসমাপ্ত গল্প শুনে সে  কবরের মতো রুমটিতে চলে যায়, আয়নার সাথে কথা বলে। কিন্তু আজ সে পার্লারে থাকবে না। ইতি, মিলি, সাথির শরীরের পুরুষের কাচা গন্ধ। এই গন্ধ তাকে অস্থির করে তুলছে।

সে যাবে কোথায়?
শহরটিতে জায়গার অভাব নেই, মানসিক স্বস্তি পাওয়ার মতো জায়গা বড়ই অভাব!

গোধূলীর তখন পাঁচতলার আন্টির কথা মনে পড়ে। সাবিহা আন্টি। তিনি মায়ের ভাষায় কথা বলেন। স্নেহভরা কণ্ঠ। বিনয়ের রসে টল টল। তিনি প্রায় বলেন,

" মা, তোমার কাকু শুক্রবারে শুধু বাসায় আসে, সরকারি কাজ, ছুটি পাইনা, পার্লারে তোমার ভালো না লাগলে, সোজা আন্টির বাসায় চলে এসো।"

আজ গোধূলী আন্টির বাসায় যায়। আন্টির বাসায় কড়া নাড়ে। আন্টি দরজা খুলে।

" মা এসেছো, আসো "

আন্টির চারটে রুম। গেস্ট রুমের পাশের রুম থেকে একটি লোক বেরিয়ে আসে। আন্টির বয় ফ্রেন্ড। গোধূলীর চোখের দিকে লোকটি তাকায়। গোধূলী তার চোখে চোখ রাখার সাহস পায়না। গোধূলী একবার মায়ের বাসার দিকে তাকায়, একবার পার্লারের দিকে তাকায়, আরেকবার আন্টির দিকে তাকায়। সবখানে সে একই গন্ধ অনুভব করে, পুরুষের গন্ধ।

গোধূলী ছাদে চলে যায়। কম্বল মুড়িয়ে বসে থাকে। সে এক কোণে একটি ছায়া দেখতে পায়। পুরুষের ছায়া। যে পুরুষের শরীরে একদিন সে প্রেমের গন্ধ পেয়েছিল। আজ সে-ই পুরুষের শরীরে কেবলই পুরুষের গন্ধ। ছায়াকে সে অতিক্রম করতে পারেনা। গোধূলীর চোখে জল আসে। জলের কাছে সে জানতে চায়,

" জল, আমার পরম বন্ধু, তোমার শরীরেও কী একদিন পুরুষের গন্ধ ফুটবে? "

রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

ছোট

পৃথিবীকে এতো ছোট মনে হয় কেন?
বিভীষিকার মতো ছোট
চারদিকে তৈরি করা ছাঁচ রাইফেল ধরে আছে
বলে কেবল,

"আমার মতো থাকো, নতুবা চলে যাও "

চলে যেতে যেতে দেখি
শকুনেরা খেয়েছে আমার বিশাল পৃথিবী

অসত্য হাহাকার

কুকুর কেন ডাকে একবারও ভেবেছি আমি?
তারা তো প্রাজ্ঞ নয়
মনের ভেতর পোষে রাখে স্বার্থের লীলাভূমি
রিক্সা চালক মিলন কাকুর মতো তারাও তো মনের কথা বলে
কত ভালো কথা শুনেছি জীবনে
কত জনকে বেসেছি ভালো সরল প্রাণে
সবাই কেবল কাছে টানে প্রয়োজনে
একমাত্র আমার কাছে আমার কোনো প্রয়োজন নেই, তবলার কাছে আঙুলের যেমন

আমার কাছে আমার কোনো প্রশ্ন নেই, ধূলিকণার সাথে বাতাসের যেমন

আমার কাছে আমার কোনো কৈফিয়ত নেই, নদীর কাছে জলের যেমন

সবাই কেন আমার হয়ে উঠেনা,
 আমি কেন হতে পারিনা সবার
আসলে কুকুরের ডাকই সত্য,
অসত্য আমার হাহাকার

বুধবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৫

নয়া বাবার মাজার

মাগরিবের সময়। পবিত্র বাণীতে বলা আছে মাগরিবের সময় পৃথিবী ধবংস হয়ে যাবে। এই সময়টাতে সব পাখি ঘরে আসে, সব নদী-- ফুরায় জীবনের সব লেনদেন। আমি কেবল ঘর থেকে বের হই, জীবনের মানে খুঁইজা লইতে চাই। একা একা হাঁটি, চিন্তা প্রক্রিয়াকে এক করার চেষ্টা করি। মাথায় কেবল একটি গান ঘুরপাক খায় --

আমার এই দুনিয়ার খেলা
মাগরিবেতে ডুবে যাবে গো

ভাবতে ভাবতে চিন্তা বিযুক্ত মনের দেখা পাই। চিন্তা বিযুক্ত মন যে শান্তির এসথেটিক আস্তানা তা শুধু বিশ্বাস নয়, মননে মান্য করি।

মাগরিবের এই সময়টাতে প্রেমতলার রাস্তা দিয়ে হাঁটি। মাগরিবের আযানের সাথে সাথে চমৎকার অন্ধকার এখানে আসতে থাকে। মাগরিবের নামাযের পর অন্ধকারের সুমিষ্ট ঘ্রাণ নাক দিয়ে প্রবেশ করে নিউরনে আলোড়ন তোলে। প্রকৃতির সাংসারিক জীবন খুব কাছ থেকে দেখতে পারি। তাদের জীবন দেখতে দেখতে যাত্রাপুর গ্রামে গিয়ে ওঠি। তখন আমার চেতন ফিরে। তখন আমার বাড়ি ফেরার পালা।

আড়াইসিধা আমার বাড়ি। ভূইঁয়া পাড়া। যাত্রাপুর গ্রাম থেকে ভূইয়া পাড়া আসার পথে একটি মাঠ অতিক্রম করতে হয়। এই মাঠের ফসল মূলত ধান। মাঠটি বছরে দুইবার ধান প্রসব করে । বাড়ি ফেরার সময় এই ফসলি মাঠের একটি নিদিষ্ট আইল ধরে হাঁটতে থাকি। আইলটি আমার  মুখস্থ। চোখ বন্ধ করে হাঁটতে পারি।আইলটি পুকুর পাড়ের দিকে চলে গেছে। পুকুর পাড়ের পাশে ছোট্ট খাল। খালটি বাঁশের পুলে পার হতে হয়। খালটির পাশে মাটির একটি টিলা আছে ।
টিলাটির কাছে এলেই আমার প্রস্রাব চাপে। আমি এখানে বেশ আয়েশ করে প্রস্রাব করি।

এক বছর হয়ে গেল প্রেমতলার সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটি না। বাড়ির ফেরার পথে মাটির দলায় প্রস্রাব করি না।

 টিলাটি আজ ইট দিয়ে পাকা করা হয়েছে। এটি এখন
"নয়া বাবার মাজার "। অনেক দূর থেকে ভক্ত-মুরিদ বাবার মাজার জিয়ারত করার জন্য আসে।দরিদ্র মানুষ  চোখের জলে  বাবার কাছে প্রার্থনা করে, পুঁজিপতিরা গরু-মহিষ  মাজারের সামনের গাছটিতে বেঁধে  রেখে বাবার দরবারে মনের মুকসুদ পূর্ণ করার জন্য  প্রার্থনা করে।

দশচক্রে ভগবান ভূত। দশের সাথে তাল মেলানোর জন্য আমিও " নয়া বাবার মাজারে " যাই। মাজারের খুশবু আমার নাকে আসেনা। আমার নাকে কেবল প্রস্রাবের গন্ধ আসে, যে প্রস্রাব আমি এক বছর আগে এখানে জমা রেখেছিলাম।

মঙ্গলবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৫

অনেক দূর

ভ্রমণে বের হলে সঙ্গে ব্যাগভর্তি বই থাকতো। এখনো থাকে। এখন আর বই পড়া হয়না। কারন মনভর্তি বউ থাকে। বউটা আমার একমাত্র পাঠ্য বই। প্রতিদিন নতুন সূচি নিয়ে হাজির হয়।
আমি তাকে পাঠ করি। কিন্তু পাঠ্য বই আমার শেষ হয়না।
দুই লাইনের মাঝখানের লাইনটি পড়ি, মাঝখানেই ঘুমিয়ে যাই। ঘুম থেকে জেগে দেখি নিতাইগঞ্জের পথ অনেক দূর, অনেক দূর ....

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

সত্য, মিথ্যা

সত্য স্রোতের মতো উৎসমুখী। সত্যের কোনো নিদিষ্ট মানদণ্ড নেই। সত্যের মানদণ্ড সত্তা। সত্য প্রাকৃতিক, মিথ্যা কৃত্রিম। আমরা সাধারণত মিথ্যা বলি উপকারের আশায়। কিন্তু সত্য সর্বদা মিথ্যার চেয়ে উপকারী ।
মানসিক বিশৃঙ্খলার প্রাথমিক  পদক্ষেপ মিথ্যা।
আমি যা এবং যা করি তা সরাসরি প্রকাশ করার নামই সত্য। ভাষার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই কৃতকর্মের পরিপূর্ণ কখনো প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাই যাকে আমরা সত্য বলে মানি তা আংশিক সত্য আর যাকে মিথ্যা বলে চালিয়ে দেয় তাও আংশিক মিথ্যা। 

রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫

নাম

পৃথিবীর একটি নিবাস ছিল
নাম তার পৃথিবী
মানুষেরও একটি নাম ছিল
নাম তার মানুষ
অথচ কত সহজে পৃথিবীর নাম হলো মানুষ
মানুষের নাম হলো পৃথিবী

সনাতনী রাধা

কারবার করে অর্থকরী মনের দেখা মিলে
অদেখা থেকে যায় মাথিনহৃদয়
ধীরাজ!
হৃদয় হত্যা করে তুমি পুণ্যলতা
মাথিনমন বন্য,
তোমার পথ চেয়ে আছে আজো
চেয়ে থাকবে অনাদিকাল
মন যদি একবার মনের দেখা পায়
তবে কেন মোমের মতো কারবারী মেকআপ
উত্তর আধুনিক!
তুমি মেকআপ বোঝ
মন বোঝনা
ধীরাজ আজ তোমার পুরুষ

আর মাথিন?

মাথিন সনাতনী রাধা

শনিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৫

পৃথিবীর গান

পৃথিবী থেকে চলে যাবো, চলে যাবার আগে জানবো না বেঁচে থাকার মানে কী!  বেঁচে থেকে জানার উপায় নেই মরে যাওয়ার কোনো টেকনিক্যাল অর্থ আছে কিনা ! বেঁচে থাকা আর চলে যাওয়ার মাঝে শুধু মেনে নেওয়া। মানতে বাধ্য পীরবাবার কথা, পীরবাবা আশীর্বাদে তুষ্ট করেন সন্তুষ্টির গিলাফ।
গুরুজী কেবল রহস্যের জাল বুনে। পীরবাবাসহ  অনেক সাধু এমন পৃথিবী অঙ্কন করেন যার ইতিহাস থাকেনা কোনো কালে। কালহীন ইতিহাসে সাঁতার কাটি আমরা | আমাদের ভোলা মন অতীত আর অদৃশ্যে সুখস্মৃতির পায়রা উড়ায়। বর্তমানকে ফাঁকি দিয়ে আর কতদূরে যাবে,  কতদূরে যাবে সুন্দরী মন।

শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৫

ত্যাগের মহিমা

বস্তু মাত্রই অসংখ্য অণু বা কণার সমষ্টি। প্রতিটি কণা স্বতন্ত্র ওজন নিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষিত হচ্ছে। ভূ-কেন্দ্র হতে প্রত্যেক কণার দূরত্ব অধিক হলে পাশাপাশি অবস্থিত কণাগুলোর ওপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল পরস্পর সমান্তরাল ও সমমুখী। বস্তুটিকে যেভাবেই রাখা হোকনা কেন এ সমস্ত সমান্তরাল বলগুলোর লদ্ধিবল একটি বিন্দুতে ক্রিয়াশীল থাকে। এই বিন্দুই হলো বস্তুর অভিকর্ষ কেন্দ্র বা ভার কেন্দ্র।

ভার কেন্দ্রের আচরণ, গতিবিধি বস্তুর অন্য কেন্দ্র থেকে আলাদা। সেন্ট্রাল অব গ্রেভেটির কারনে বস্তুর মধ্য থেকে কিছু অংশ আলাদা হয়ে যায়। সুতরাং ল অব নেচারের কারনে বৃহত্তর পরিসীমায় বৈষম্যে থাকবে তাইতো স্বাভাবিক।

শীতকালে সূর্য পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে। পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে যায়। সূর্যের অবস্থানের কারনে পৃথিবীর কোথাও তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে নেমে আসে। অল্প তাপমাত্রায়  আর অধিক তাপমাত্রায়  উৎপাদিত ফসল কখনো এক নয়। তাইতো তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে একেক অঞ্চলে একেক ফসল উৎপাদিত হয়।  যা খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি, যার উপযোগীতা আমাদের রুচিবোধের জায়গা তৈরি করে তাইতো ফসল। ফলত মানুষের রুচিবোধ, জীবনাচার ভিন্ন থেকে ভিন্নতর স্বাভাবিকভাবেই হয়ে যায়।

আবার ধর্মীয় কারনে অনেক প্রাকৃতিক খাবার নিষিদ্ধ। তাই খাদ্যগত্য বৈষম্য দূর করা যাচ্ছে না। যাচ্ছে না এই কারনে যে প্রত্যেক মানুষ সামাজিক সুবিধাকে সামনে রেখে পরিমিত ধর্মবোধ পছন্দ করে।

পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের সংগ্রাম আর সমতলে বসবাসরত মানুষের সংগ্রাম এক নয়। এক নয় নদী বা সাগর উপকূলের মানুষের সংগ্রামইতিহাস  এবং মরুভূমির মানুষের সংগ্রামইতিহাস। সংগ্রাম মানসিক গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভৌগলিক এই বৈষম্য মানুষের মাঝে প্রথমে শারীরিক, পরে মানসিক বৈষম্য তৈরি করে।

বৈষম্য দ্বন্দ্বকে গাঢ় থেকে প্রগাঢ় করে। মনে করা হয় দ্বন্দ্ব বিকশিত হওয়ার মূল হাতিয়ার। তাই  বিকশিত মানসিক অবস্থা  একপ্রকারের পতন,মানসিক বিকার  এক প্রকারের অর্জন।

এমনিভাবে বৈষম্যের স্রোতে সমতার স্লোগান ফেনায়িত ঢেউ মাত্র। যে ঢেউ কোনোদিন কূলে পৌঁছে না, কূলে পৌঁছানোর তাড়া  বৈষম্যের শরীরকে হৃষ্টপুষ্ট করে।

তবে বৈষম্য যদি ভাইরাস হয়, ত্যাগের মহিমা সেখানে এন্টিভাইরাস। ত্যাগের মহিমায়  পাথরও প্রকৃতির মতো মোলায়েম হয়ে যায়, জলের শরীরও হয়ে যায় পিচঢালা রাস্তা। তাইতো মানবিক পৃথিবী মূলত ত্যাগের মহিমায় সজ্জিত পৃথিবী যেখানে মানুষ নাতিশীতোষ্ণ মানসিকতায়  সময়যাপন করে। 

বৃহস্পতিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৫

সার্কাস

একটি পালক। একটি পাখির পালক। উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে আমাদের ঘরে আসে। আমাদের চোখে আসে। আমাদের সামনে খেলা করে। আমরা তার খেলা দেখি। তার খেলাতেই সাপলুডুর মতো আটকে থাকে আমাদের জীবন।
পাখির পালক জানেনা সুখ কেমন । তবুও তাকেই  সুখ মানি। সুখের বয়স বাড়ে। পালক মহাকালের মতোই চিরন্তন, নবীন।
পালকের বিনোদনে অর্থ ঢালি, ঢেলে দেই  জীবন অফুরান। অথচ পালক এসেছে বিনোদনহীন জীবনসন্ধানে।
পালকের পেছনে ছুটে চলি আমরা
হয়তো পালক ছুটে চলে সার্কাসের পিছু

বুধবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৫

সাঁইজি

পাতাপৃথিবীর জল আর কতটুকু। কতটুকু জল হলে জীবন চলে। জলের সার্কাসে মনে আনন্দ মেলে। তবুও যে আটপৌরে জীবন, পৃথিবীময় ক্ষুধা। ক্ষুধার শাষনে শরীর চলে, মন চলে না। জলের মতো মন আমার নিচে নামে তো নামে, সীমানা অতলের তলে, সীমানা পাইনা।
সাঁইজি মাঝে মাঝে শরীর আর মন ধরে টান দেন। উপরে তোলে ভাসমান করেন। ভাসি আর ভাবি-- পাখি কত পারিবারিক, পরিবারের ভেতরে সামাজিক। ভাবনা যেমন করে বাল্ব হয়ে উঠে তেমন আমিও পাখি হয়ে উঠতাম।
আর হয়ে উঠা হয়না।
সাঁইজি বেশি সময় ছায়াশীতল পরশে রাখেন না। আমাকে কেবল  আমি হয়ে উঠার গান শুনান।
 সাঁইজি কখন খেলে কোন খেলা!

সোমবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রলাপের আলাপ

ফুলের পাশে জীবন শয্যাগত আঁধার
কোলাহলে কলরব নিঝুম প্রভাত
প্রমিথিউস সন্ধ্যায় মরিয়মের হাট
পিতাহীন ঈসা মরিয়ম মা
তারা মানুষ বুঝে,  মন বুঝে না
মরিয়ম জিবরাইল চিনে, মানুষ চিনে না
ফুলের ঘরে ভুল ঝরে প্রলাপে আলাপ
নিশিদিন প্রতিদিন আবেগে সাঁতার
জারজ আরজ আসে কোরানি সেতার
দলে বলে সাধু আসে ভুলে ভুলে হতাশ  

রবিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৫

অর্ধেক

আয়নায় সূর্য উঠে
আয়নায় ফুল ফোটে
আয়নায় ঝুলে থাকে অর্ধনগ্ন মুখ 

শনিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৫

ধীরাজ

রাস্তার পাশে নদী। আমাদের ছোট নদী। তবে এঁকেবেঁকে চলে না। রাস্তাটির মতো বাঁক নেয়। বাঁক নেয়ার ফলেও তার স্রোতের জোয়ার জোয়ারই থাকে। ঋতু বদলে জলের গতিমুখ বদলায়। তখন আমাদের ছোট নদীকে আর নদী বলা যায়না। জলহীন খাল। জলহীন হলেও শুষ্ক নয়। সবুজ ঘাসের জোয়ার আসে নদীটির শরীরের এলাকায়। যে খণ্ডকালিন জেলে এখান থেকে ছোট ছোট মাছে তার ডুলা পূর্ণ করত,  সে-ই জেলেই  রাখাল হয়ে কেটে নিয়ে যায় সবুজ ঘাস। আবার সুমনের মা নদীটির কূলে রোপণ করে লাউগাছ। অল্পদিনেই লাউডগা তরতাজা হয়ে উঠে, লাউফুল দেখা যায়, ফুল থেকে সবুজযৌবনা লাউ মনোরম ভঙ্গিতে বেড়ে উঠে। এইভাবেই আমাদের নদী, আমাদের ছোট নদী মাছ, ঘাস, সবজির আধার।

নদীটির পাশে কলেজ। ক্লাসে বসেই জলের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। মাছদের খেলা সরাসরি চোখে আসে। লাউয়ের যৌবনঠাসা অপরূপ মনে সুরমার মতো লেপ্টে থাকে।

নদীটির পাশে যে কলেজ সে-ই কলেজের শিক্ষক ধীরাজ। বাংলা পড়ায়। প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক যুগের অনেক কবিতা তার মুখস্থ। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে কবিতা তেলাওয়াত করে। আদর্শিক বক্তব্য আওড়াতে থাকে মিনিটের পর মিনিট। তার বক্তব্য মাটির কাছাকাছি ছাত্রদের কাছে দুর্বোধ্য জ্ঞানসূচী। তবুও রাতজাগা কষ্টে মুখস্থ করা কবিতাভাণ্ডার তাকে জাহির  করতেই হবে। ছাত্ররাও নিরুপায়  হয়ে তার তেলাওয়াত করা কবিতা শুনে না, দেখে।

আমিও তার ছাত্র ছিলাম। তার কোনো কথাই আমি তখন বুঝিনি । আজ বুঝি। অসম্ভব শ্রুতিধর হওয়াতে তার প্রতিটি বাক্য আজও কানে বাজে। আজ তিনি আমার কাছে প্রাসঙ্গিক। অথচ কত অপ্রাসঙ্গিকভাবে তার কণ্ঠে  শুনেছিলাম --

সই, কেমনে ধরিব হিয়া
আমার বঁধুয়া       আন বাড়ী যায়
আমার আঙ্গিনা দিয়া।

বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৫

জড়দৃশ্য

দৃশ্যগুলো জড়। দৃশ্যের আড়ালে ঘটনা থাকে যেখানে রয়েছে লেনদেন। যদিও সব ঘটনা লেনদেন নয়। সব নয়, কিছু  লেনদেনে লেপ্টে থাকে প্রাণের স্পর্শ। খুবই নগন্য প্রাণ আছে যারা প্রাণের দেখা পায়।


The scene is defunct. There is a light something  beneath the dark where dealings found within the events. Though every episode is not alive yet. Many a little energy is able to touch the ability of episode between the deals within pickle.

বুধবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৫

বর্গ

কবিতা আর সুন্দরী নারীর দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে নেই।।

আগুন জ্বালাতে গিয়ে নিজেই জ্বলে উঠি।।

ভুল করে ফোন চলে আসে , যদি মন চলে আসে।। 

সোমবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৫

জনমত

শিকার যুগ। মানুষ তখন শিকার করে দিনযাপন করে। মানুষের চাহিদা একটি দিনের ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকে। চাহিদার সীমাবদ্ধতার কারণে হানাহানির পরিমাণও সীমাবদ্ধ। মানুষের মধ্যে জমা করার প্রবণতা দেখা দেয়। কারন কোনোদিন অধিক শিকার মিলে আবার কোনোদিন মিলে না। শিকার না মিললে উপোস থাকতে হয়। উপোস যাতে না থাকতে হয় সেই জন্যই জমা রাখার মানসিকতা তৈরি হয়। জমা রাখার প্রবণতাকে কেন্দ্র করে জন্ম নেয় বন্টন ব্যবস্থা। বন্টন ব্যবস্থাকে ভিত্তি করে গড়ে উঠে শ্রেণীসংগ্রাম। শ্রেণীসংগ্রাম মানুষকে বাধ্য করে সমাজ গঠনে। এক সময় মানুষ হয়ে উঠে পরিপূর্ণ সাংগঠনিক প্রাণি।
আজকের সামাজিক জীব।
জনমত সামাজিকতার প্রধান খুঁটি। এই খুঁটি ভেঙে গেলে সমাজ টিকেনা।
জনমত মানে প্রত্যেক জনগণের আলাদা আলাদা মত এমন না। জনমত মানে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে এমন মত।
সমাজ ভাঙনের সিনেমা আমরা দেখতে পাই,দেখতে পাই লোক হয়ে উঠছেন ব্যক্তি। লোকের মাঝে যে সংহতি, ঐকতান থাকে আজকাল  ব্যক্তির মাঝে তা ক্রমবর্ধমান হারে হ্রাস পাচ্ছে। ব্যক্তি কেবল নিজের চাহিদা, প্রয়োজন, যোগান নিয়ে ভাবছেন। এক রুমে পাঁচ জন দিনযাপন করে অথচ কত সুন্দরভাবে পাঁচজনই আলাদা-- কাজে, প্রয়োজনে।

লোক {people~ body of persons comprising a community} থেকে উঠে আসা প্রতিনিধি যখন মত নির্ধারণ করে  তখনই তা হয়ে উঠে  পরিপূর্ণ জনমত। যতই মানুষ ব্যক্তি হয়ে উঠে ততই জনমতে ব্যক্তিমতের প্রাধান্য স্পষ্ট থেকে স্পটের দিকে যায়। সামাজিক ভাঙন বৃদ্ধি পায়। সমাজ ভঙ্গুর হলে ব্যক্তি কিংবা লোকের  অস্তিত্ব হুমকির স্রোতে ভাসে। তাইতো সমাজ ভাঙা যায়না, ভেঙে যায়।

রবিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৫

স্বপ্ন

অভিমানী মেঘের তারা
আকাশ পথে ঝড়ে
পদ্মফুলের পাটিগণিত
হিসাব নিকাশ করে
ছায়াবন্ধু গভীর সিন্ধু
অলস দুপুর প্রায়
সামনে থাকা রাজা ভুলে
অতীতের গান গায়
কোন সাগরের বাতাস তুমি
কোন আকাশের মেঘ
শীতের দেশে বালুর মাঠে
রাজ কুমারীর ড্রেস
বালুর পাশে সবুজ জঙ্গল
সোনা রোদের খেলা
আকাশ ফেঁটে আশা নামে
সামনে এগিয়ে চলা
অজয় নদীর সজল হাসি
তারার মুখে ভাসে
অসভ্য এক বন্য আবেগ
রাজকুমারীর দেশে
তবুও তারা স্বপ দেখে
বৃষ্টি নামবে রোজ
মরুর বুকে জলের প্লাবন
সুখ স্বপ্নের  খোঁজ

শনিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৫

চোরের মেলা

এই জগতে সবাই চোর
চোরের মেলায় আমি ডাকাত
ডাকাত তবে ভাসমান
ভেসে ভেসে চালাই শুধু বেঁচে থাকার অভিযান
প্রয়োজনের পাসওয়ার্ডে খুলি দূরের আসমান
কালকে আমি আজ করিনা
আজই আমার ধ্যানজ্ঞান
বুকপকেটে জীবন রেখে
ডাকাত আমি ভগবান
আমার দেশের অট্টালিকা ভেঙে করি চুরমার
ভিনদেশী পুঁজিবাজার কেড়ে নিল আমার প্রাণ 

শুক্রবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৫

staring

True tear
Sweet eye
Watch the margin, margin of life
We are a mutual one for one
Exile, never exile me
Staring conceived the staring
My proclaims my, eyes attract eye

বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৫

দাস হতে পারি

দাস হতে পারি
হতে পারি ক্রীতদাসদের অধম
যদি তুমি একমাত্র মুনিব হও
বেশি কিছুই চাইনি, চাইবো না
শুধু ভেতর থেকে বের হওয়া একমাত্র হাসি
মোলায়েম জিজ্ঞাসা, প্রাকৃতিক কৌশল
সা ও রে' স্বরের মাঝখানে বেঁচে থাকা কয়েকটি শব্দ
পেতে দিও আমার সরল মনের বেদনায়
বেদনা মধুর হয়ে যাবে সুখের সীমানায়
সীমানায় তুমি আর আমি
আর আমাদের সুখেরা
কবুতর কবুতর জীবন  বাকবাকুম, বাকবাকুম