রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৪

গাদি

গাদি/গাদ্দি = নিতম্ব

গাইল = সিমেন্ট বা লোহা দিয়ে তৈরি কূপ আকৃতির পাত্রবিশেষ, গালি।

পইললা = প্রথম

গাম= আঁঠালো কিছু, শরীরের লবণাক্ত পানি।

হিং মাছ = শিং মাছ ["স "  বর্ণ  "হ" বর্ণ হিসাবে উচ্চারিত]।

হিংগিল = শ্লেষ্মা

হেরা = তারা [ "ত" বর্ণ "স" বর্ণ হিসাবে উচ্চারিত]।

লুলা = পঙ্গু

লালু = লাল রঙের

ইডা = এইটা, এটি

কাইজ্জা = ঝগড়া

টেলহা = ঠাণ্ডা, নরম প্রকৃতির, ভদ্র [টেলহা ভাত, টেলহা মানুষ]।

কানি = অন্ধ মহিলা, ত্রিশ শতাংশ

বাগি = বর্গা

বাইগগা যাওয়া = লুকিয়ে যাওয়া [ছেলে-মেয়ে গোপনে বিয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পলায়ন ]।

পিআইজ্জা = পেঁয়াজের মতো গোল জাতীয় কিছু যা সাধারণত পায়ে দৃশ্যমান হয়ে থাকে,বুড়িয়া, গিলটি।

বান্দর = বানর

বেডাহুননী = পুরুষের মতো যে মেয়ে (Nancy)

শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৪

কেন এমন হল?

ভালোই ছিলাম। বিকেলটা আমারই ছিল। সকালটাও ছিল ফুরফুরে, দুপুর কেটে যেতো বন্ধুদের সাথে হাতাহাতি, চোখাচোখি, খুনসুটির খেলায়। রাতে মায়ের ভাষার ক্রোড়ে ঘুমিয়ে যেতাম, স্বপ্নের দেশে হতাম স্বপ্নের মতো রঙিন, গেলাসে গেলাসে করতাম আনন্দ পান।

কেন এমন হল?

জল হয়ে সাগরে ঢেউ তুলে জলাতিক আনন্দে, মেঘ হয়ে চুপ থেকে মেঘাতিক স্নিগ্ধতায়, বৃষ্টি হয়ে রুপালি সিঁড়ির মতো পৃথিবীতে এসে দলাতিক নন্দনে চলছিল আমার ট্রেন -- ঝকঝক, ঝকঝক।

কেন আজ আমি তেমন নই ?

শৈলবালা রাজকন্যা। এক প্রজার সাথে প্রেম করে। তাদের প্রেম মেনে নিতে চায়নি রাজপরিবার। শৈলবালা প্রেমিকের হাত ধরে রাজ্য ত্যাগ করে। দুজন অনেক দূরে চলে যাবে, চোখের সীমানা ছাড়িয়ে। কুমার নদীর কাছে ভাইদের হাতে ধরা পড়ে প্রেমিকযুগল। শৈলবালাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ভাইয়েরা। কুমার নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় শৈলবালার হাত, পা, মাথা, মস্তক।  কুমার নদী আজো বয়ে চলে সময়ের ধারায়। আজো কুমার নদী শৈলবালার অনুরাগে ছন্দময়।
কিন্তু কুমার নদী আমার বুকের ভেতর এতো ঢেউ তুলে কেন?

আমি তো শৈলবালা নই।

আমি তো ছোট্ট চাঁদের বুড়ি। পুতুলের মতো ঘুরাঘুরি করি। বিজ্ঞ জনের মতো হতে কত চেষ্টা করি অথচ পুতুলের ঘর-সংসারই আমার বাড়ি।
আমার ভেতরে আমি কত একা, আমার কেউ নেই,ব্যস্ত শহরের সবাই ব্যস্ত, আমার মতো কেউ নেই।

মা, তোমা থেকে আমি কততত দূরে, তুমি শুধু আমার কান্না শুন, আমার চোখে আর চুমু দিতে পারনা, বড় আপা, আমরা আর ভূত দেখে ভয় পাইনা, গল্পের সাথে কাটে না আমাদের  সারারাত।

আমি কত ভালো আছি মা,
কত ভালো আছি আপা!

বাবা মাঝেমধ্যে আমার খোঁয়ারে আসে। আমাকে ধমকের চকলেট দিয়ে যায়। আমি যেন শিশুর মতো আচরণ না করি। আমি নাকি অনেক বড় হয়ে গেছি, বিবাহিত নারীদের মতো বড় ।প্রায় আমার শহুরে কাকুকে পাঠায় খোঁয়ারে আছি কিনা যাচাই করতে।

বাবা, ও বাবা! আমি যে সকলের মাঝে থেকেও বড় একা, আমি যে বন্দিনী, আমার প্রতিটি অঙ্গ যে একাকীত্বের বনদস্যু, তুমি কী দেখতে পাও, শুনতে পাও?
বাবা,  ও  আমার পিয়ারা বাবা, বলো না।

ঐ যে, ঐ লোকটা আমাকে বলেছিল,  "ভালোবাসে "
আমি বিশ্বাস করিনি, আমার কী যে হাসি পেয়েছিল -- হা হা হা
লোকটি বলেছিল, তুমি হয়তো আমার কাছ থেকে এমন প্রস্তাব প্রত্যাশা করনি।
আমিও বলেছিলাম, প্রত্যাশা যেহেতু করেনি, উত্তর নঞর্থকই হবে।
এই নিয়ে আমার আন্টি কত হেসেছিল, হেসেছিল মামা। আমিও হেসেছিলাম বেশ।
হাসতে হাসতে কখন যে ফাঁসির মালা গলে পড়েছি, টেরই পাইনি। টের পেয়েছি বহুদিন পর যখন লোকটির, প্রতারকটির গার্লফ্রেন্ড আমাকে ফোন করেছিল।
সেদিন কী যে কেঁদেছিলাম আমি। বিছানায় শুয়ে আছি, কখন রাত আসে, কখন দিন আসে, এমনকি কোনো মুহুর্ত ছিল কিনা আমি কিচ্ছু বলতে পারিনা।
অনেক দিন পর আমি চোখ মেলে তাকালাম, নিজের দিকে তাকালাম। চেয়ে দেখি,
ও মা,  এ কী?
আমার কলিজাটা পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আগুন জ্বলছে।  ছাইচাপা আগুন এখনো দাউদাউ করে জ্বলে।
বাবা, আমার প্রানের বাবা,
আমি পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি, তোমার বেহেশত থেকে আমাকে শান্তি এনে দাও,
শান্তি দাও, শান্তি!

শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৪

হেবিট

মানুষ অভ্যাস তৈরি করে, অভ্যাসই মানুষকে চালিত করে। অনেকটা বেলুন আর তার ভেতরকার গ্যাসের  মতো।

First of all man is the Creator of habit, then the habit is the driver of man, as the so of balloon and its inner gas. 

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

যে পথ আমার ঠিকানা

তুমি ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই, নেই কোনো মত
আমার সমস্ত পথ এঁকেবেঁকে ছুটে চলে তোমার পথের ঠিকানায়
তার কিংবা তাহাদের মতে কিংবা পথে নয়
তোমার মত নিয়ে যারা খেলা করে, খেলে যায় সাপুরাম সাপুড়ে
তারা জানে না প্রিয় কিংবা প্রিয়তা
মতে,পথে থাকে না
প্রেম,
সে তো ধনাত্মক চার্জ
গভীরে যেতে জানে, গভীরতা খোঁজেনা
প্রেম!
মত তৈরির কারখানা
প্রেম?
একপ্রাণে পথ চলার শিল্পরীতি, অফুরন্ত প্রাণের শিল্পশালা

প্রিয় সুহৃদ,

মন্দির কিংবা মসজিদ ভাঙার অসীম সাহস, অন্তিম ইচ্ছা আপনার আছে কিনা আমার জানা নেই। পৃথিবীকে কতবার ভেঙেছেন তাও আমার জানা নেই।

শুধু জেনেছি আপনি ভাঙতে পারেন।

কী ভেঙ্গেছেন আপনি জানেন?

রাতের ধ্যানমগ্ন সময়ে প্রিয়-প্রিয়ার হৃদয়ঙ্গম মুহুর্তকে টুকরো টুকরো করে দিয়েছেন।

প্রিয়-প্রিয়া যখন খেলা করে স্বং ব্রক্ষ্মা সেই খেলার সজীব দর্শক, কেবলই হাসে আর প্রেরণা জোগায়। তিনি জানেন এই খেলায় সুর থাকে না, সুর তৈরি হয়, প্রতিটি সুর সৃষ্টির প্রমত্তায় উন্মাদ। তাঁর রহস্যের পল্লব এখানেই কেবল ভোরের সূর্যের মতো সত্যের স্ফুলিঙ্গ উড়ায়। অসুর,যাকে সৃষ্টি করা হয়েছে প্রেমের পাঠশালায়, যাকে পাঠানো হয়েছে পৃথিবীতে ইশ্বরের বিপরীতে , সেও এক জায়গা এসে স্থির হয়ে যায়।

জানেন সে জায়গাটি কোথায়?

প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়!

সেই হৃদয় ভাঙার অভিযানে আপনারা অসুরের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছেন।

এ্যাডাম-ইভ পৃথিবীতে নেমে আসে, নামানো হয়। ভাগ্যের পরামর্শে দুজন দুপথে দুভাবে।  ইভহীন এ্যাডাম ছটফট করে, ডানাভাঙা পাখির মতো ঘুরে বেড়ায়  শ্রীলঙ্কার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। এ্যাডামের চোখের জলে নহর তৈরি হয় যা কিনা তৃষ্ণার্ত পাখির সুপেয় পানি। তাদের বুকের ভেতরের নোনা ব্যথা চোখের কথা হয়ে ঝরে। তাদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে। প্রিয়হারা কান্নার সুর ইশ্বরের অস্তিত্বে আঘাত আনে। ইশ্বর তখন নড়েচড়ে বসেন। তখন থেকে ইশ্বর কসম করেছে প্রেমের সাথে থাকবেন ,তখন থেকে তিনি প্রেমের মাঝে  অপ্রেমের রিংটোন বাজাননা।

আপনারা আজ ইশ্বরের বিপরীতে!

আগুন নিয়ে খেলা করতে পারেন। আগুন আপনার পৃথিবীর সদস্য। প্রেম নিয়ে খেলা করতে যাবেন না, প্রেম আপনার পৃথিবীতে নেই।

প্রেমনদীর মাঝি হয়েছি আকাশ ভরা কাঁটা
প্রেমের পাশে বিপ্লব রেখে হাঁটছি আমি একা
আকাশ তুমি সঙ্গে থেকো, বাতাস দিও প্রাণ
অন্ধের চোখে জীবন দেব, গাইব প্রেমের গান

প্রিয়তার প্রিয়ারা,

প্রগতিশীলতার ঢং আপনাদের অঙ্গে, প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব আপনাদের ঠোঁটে, কানে, ললিত দৃষ্টির প্রস্তুত এলাকায়। আপনাদের ভাষার মাংসে প্রাগৈতিহাসিক গন্ধ। তাইতো কবিকে নিয়ে অকহতব্য কথন।

কবি নিয়ে কথা বলা এতো সহজ?

শব্দের সাথে শব্দের মিল দিলেই কবিতা হয়না, কবিতা মানুষের শেকড় থেকে শিখরের কথা বলে, প্রচলিত দাসকে শেখায় মর্যাদার গূঢ় অর্থ।
কবির প্রেম শুরু হয়, শেষ হয়না। বন্য আবেশ ঝুলে থাকে শরীরের দেয়ালে। একধরনের জলপাই রঙের অন্ধকার তখনে-সখনে প্রশান্তির স্লোগানে মুখরিত করে তুলে মৃত্তিকার আমপারাঃ।
তাই ভবের চোখে না, ভাবের মনে ভেবে দেখুন-- আপনি কতটুকু মানুষ, আর কতটুকু মানুষ হলে মানুষ চেনা যায়।
সমাজের ত্যজ হলে মানুষ হয় কী অমৃতের সন্তান?
নিজের চেহারার এক আয়াতও মুখস্থ নেই অথচ কী সহজে প্রাক্কলিক বক্তব্যে  তাহার আদ্যোপান্ত মুখস্থ বলেন।
মুখস্থ প্রিয়দের জানায় মুখস্থ সেলাম, নমস্কার
জয় হোক
আপনাদের মুখস্থ আবিষ্কার

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

উদ্ভুত

মাটির পেটে জন্ম নিচ্ছে মানুষ
মানুষ চিনেনা ঘাস
ঘাসের সাথে মানুষের উদ্ভুত অবিশ্বাস 

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৪

সাফিয়ার কাম

শীত পড়ছে। কাম নাই। তবু সাফিয়া প্রতি সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হয় কামের নাম করে। তার সন্তান ও প্রতিবেশীরা জানে সাফিয়া বারডেম হাসপাতালে কাজ করে।
মূলত সাফিয়া হাসপাতালে কোনো কাজ করেনা।
সাফিয়ার কামের জায়গা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মাঠ, মাঠের নির্জন প্রান্তর। সাফিয়ার গতরে শীতল কুয়াশা, কণ্ঠ বসে আসতে চায়। তবু সাফিয়া হাক তোলে,

লাগাইবা?
আহো, আহো

সাফিয়ার "আহো" শব্দটি ঘন কুয়াশায় ধাক্কা খেয়ে তারই দিকে ফিরে আসে। গভীর রাতে সাফিয়া বাড়ি ফিরে যায়, দরজায় কড়া নাড়ে। ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলে ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া  রোদেলা।রোদেলা মারে জিগাই,

আম্মা, দিনে কাম করবার পার না?

আম্মা ফেলফেল করে তাকিয়ে থাকে, দারিদ্র্যভরা কণ্ঠে উত্তর দেয়,

রইদের তাপ যে গতরে সহ্য অইনা মা

সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

প্রজাপতি

প্রজাপতি
ঠোঁটের কাছে, চোখের কাছে তোমায় রাখি
প্রজাপতি
মনের প্লেটে  আকাশরঙে তোমায় আঁকি
প্রজাপতি
রাত বিকেলের শিশির হয়ে তোমায় ডাকি
আসবে তুমি ভোরের পাশে
আসবে তুমি সকাল সাজে
আসবে তুমি সবুজ লাজে
আমার সকল কাজে এখন তুমি হাসে

রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৪

ঠোঁটের কাছে

সকাল। শীতের সকাল। হেতাকে ফাঁকি দিয়ে শিশির লুকানো বাতাস শরীরকে বিছানাতে  থাকতে বাধ্য করে। শুয়ে শুয়ে তার কথা, তাহার কথা কখনো ঠোঁটের কাছে, কখনো মস্তিষ্কের গোপন এলাকায় খেলা করে।প্রায় রাতসকালে তাকে ফোন করি। সে তখন ঘুমায়। তার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য মাঝে মাঝে এই বিশেষ অভিযান চলে। মোবাইলের স্পিকার বেয়ে ভেসে আসে আড়মোড়া কণ্ঠ। আমার চমৎকার শিশুমনটা তখন জেগে উঠে।
বর্ষাকালে আমাদের এলাকায় পাটচাষ হতো।  বর্ষার যুবতী জলের মাঝে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতো পাটগাছ। বাতাসের সাথে তাদের মিহিকুচি বন্ধুসভা আমাদের আনন্দসভাকে মিছিলে নামাতো। পাটপঁচা গন্ধের একটি বিশেষ অর্থ ছিল আমার নাকের কাছে। যে অর্থের অর্থ উদ্ধার করা যায়না আজো, তবু আজো মনে পড়ে তার গন্ধের অদৃশ্য দৃশ্য।
পাটকাঠি রোদে শুকাতে দেওয়া হতো। অনেকটা তাবুস্টাইলে।  মনে হতো যেন কসমিক তাবু। আমরা এই তাবুতে ঢুকে পলাপলি খেলতাম। বিস্মিত এক ভালোলাগা খেলা করতো হৃদয়ের উজানে, হৃদয়ের ভাটিতে।
শহরে চলে আসি। গ্রামে আর বর্ষাকাল আসে না, হয়না পাটচাষ। হয়তো তারাও শহরে চলে গেছে।
তার, তাহার ঘুমভাঙা আইমের মাঝে, সাপভাঁজের শব্দের ঘাটে সেই কসমিক তাবু সুপ্ত ছিল, জানতাম না। আজ জানি।
ভুলে গিয়েছিলাম সেই বিস্মিত ভালো লাগা। আবার মনে হলো, আর ভুলবার নয়।
 কাছাকাছি আছি চোখ আর চোখের পাতার মতো।
আমরা কাছাকাছি আছি আকাশ আর পৃথিবীর মতো।
আমাদের সাধনা অনুভূতির সাধনা। অনুভূতির সাধনায় মানুষ আজ মানুষ।

জেট মাস

জেট মাস = জৈষ্ঠ্য মাস

ল্যাডা = নিতম্ব দিয়ে বসা

ছাও= বাচ্চা

টুফা = দই তৈরি ও রাখার পাত্র বিশেষ

গাবর = জেলে, যারা সাধারণত ময়লা ও জল সমেত থাকে [গালি হিসাবে ব্যবহৃত হয় ~ গাবরের বাচ্চা গাবর]।

সইলতা = সলিতা

কেউরের ছিপা =দরজার বগল

 ওগাইর তলা = মোরগ-মোরগীর বাসস্থান।

লালুছ =  লালসা।

কেরসা = কোনো কিছুর বিধ্বস্ত অবস্থা[ভুল উপায়ে কাঁচা কিছুকে পাকাতে গিয়ে যে অবস্থা হয়]।

তেরসা = বাকাঁ, বিশৃঙ্খলভাবে বাঁকা।

জেফত = খাবারের উৎসব, নেকের আশায় আয়োজিত খাবারের অনুষ্ঠান।

ঘাটলা= পুকুরের ঘাট

পাইলা = মাটির পাত্র

শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৪

হুজুরের সাদা চোখ

বেডা বেহাইয়্যার ডক আমার লগে আইয়্যা বইছে
কঅন যা ওইট্যা যান গা?
শোভন চেয়ারে শুয়ে আছে লিলুয়া বেগম। শোভন চেয়ারটি দের্ঘ্যে তিন ফিট, প্রস্থে এক ফুট। লিলুয়া বেগম দের্ঘ্য চার ফিট, প্রস্থে দেড় ফুট। লিলুয়া বেগমের পা জানালার বাইরে অন্ধকারে শরীর স্পর্শ করেছে। মাথা পাশের সিটে বসা আল্লামা হুজুরের সাদা পোশাকের ঢেউ ধরতে চায়। ডান হাতটি বালিশের ভূমিকা পালনরত। লিলুয়া বেগমের বইশের চোখ প্রায়বার তেড়ে আসে সামনের সিটে বসা প্রনামের দিকে। প্রনাম তার দিকে ফিরে তাকায়, তাকে আবিষ্কার করে অতীতচেনায়। লিলুয়া বেগমের দৈহিক কাঠামো তার খালাম্মার দেহের কাঠামোর প্রায় অনুরূপ। কিন্তু লিলুয়া বেগমের চোখে প্রনাম ভাইরাস দেখতে পায়। পীর সাহেব যে ভাইরাসের চোখে তার মেয়ে মুরিদের দিকে তাকায় সেই ভাইরাস।
মাঝে মাঝে সে চোখ বুজে, ধ্যানরকমের চোখ বুজা। তার পেট তখন সিট বেয়ে নিচে পড়তে চায়।
চোখ বুজা থেকে তার শরীরে নেমে আসে ঘুমরকমের নীরবতা। লিলুয়া বেগমের পেট তখন গামলার পানির মতো টলমল করে, টলমলে নড়ে উঠে। পাশের সিটে বসা টুপিহুজুর সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে লিলুয়া বেগমের শরীর তেলাওয়াত করে। প্রতি আয়াতে দশ নেকি। নাকি তার চেয়ে বেশী নেকি জমা হয় তার পুণ্যের পাল্লায় আমাদের জানা নেই। বয়স্ক স্তন ট্রেনের ছন্দময় প্যারেডের সাথে টকবগ টকবগ করছে। সুযোগে সবার চোখ মেডিটেশনের একনজরের একনিষ্ঠতার ব্যায়াম সেরে নিচ্ছে।
প্রতি শোভন চেয়ারে দুটি সিট। পাশাপাশি দুইজন বসে। মাঝখানে কোনো পার্থক্যের বেড়া নেই। লিলুয়া বেগম একাই দুটি সিট খরিদ করেছে।
কেন করেছে?
তার স্বামীর আদেশ।
সেও চায় তার পাশে কোনো পুরুষ মানুষ না বসুক।
তার এই চাওয়ার ভেতর কিমপরমধিকসুখং আছে, আছে কী পরিমাণ জীবন তা তত্ত্ব মারফতে ধরা পড়ে না। নারীদের চাওয়া তো এমনই পাওয়ার আকাঙক্ষায় সুপ্ত থাকে। প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা তাদেরকে ব্যথিত করে, পীড়িত করে অবশেষে তাদেরকে মহিলা করে। মহিলা মানেই মহলের ছায়ায় থাকা, মহলের ছায়া চলে কর্তৃপক্ষের আদেশে।
 কর্তৃপক্ষের বিধিই তাদের সামাজিক ইশ্বর।
লিলুয়া বেগম ইশ্বরের হুকুম মেনেছে।
লিলুয়া বেগম একাই সিটে বসেছিল। কোথা থেকে কোনো এক পুরুষ এসে তার সিটে বসল। লিলুয়া বেগম "না" করতে পারল না। রাগ করেছে এমন কোন সিম্বল মুখে রেখাপাত করেনি। বরং এমনভাবে বসেছিল যেন তারা স্বামী-স্ত্রী।
নরসিংদী স্টেশনে লোকটি নেমে গেল।
দইয়ের টুফার মতো লিলুয়া বেগমের মুখে তখন চাক্কা চাক্কা শব্দের কারিশমা
মানু কি লইজ্জা সরম দইয়া লাইছে
লগে আইয়া বইলে তো নাও করন যা না
লিলুয়া বেগমের মহাভারত শুদ্ধ করা টাইপের কথা শুনে সিটের পাশে দাঁড়ানো মেয়েটিও বসার কথা বলতে সাহস করেনি। কিন্তু মেয়েটির চেহারায় বসার প্রবল প্রাবল্য লক্ষ্য করা যায়। কোনো চেহারার করুণ ভাষ্য লিলুয়া বেগম পাঠ করতে চায়না। সে কেবল জানে সে একাই দুটি সিট খরিদ করেছে, সে কোনোদিন জানেনি মানুষ হিসাবে সে একটি সিট ক্রয় করতে পারে।
ভৈরব স্টেশন আসার আগ পর্যন্ত এই সিটটা কখনো লিলুয়া বেগমের ডাইনিং, কখনো বেডরুম, কখনো বৃন্দাবন কিন্তু মানুষের পৃথিবী হয়ে উঠে নাই!

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৪

সমাজ

আমি বুঝিনা সমাজ রে
সমাজ বুঝেনা আমা রে
অবুঝ সক্ষমে চলি আমি আর সমাজ
রূপালী দ্বীপে শুয়ে থাকে অন্ধকার
বঙ্গপোসাগর থেকে ভেসে আসে ডাকাতিয়া ফেনা
ফেনায় ভেসে ভেসে সমাজ গড়ে নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপের স্পর্শে সমাজ হয়ে গেল কবি
সামাজিক কবি জানেনা  কবি হতে গেলে কারো দারস্থ হতে হয়না
সমাজ জানেনা মনেরও রয়েছে একান্নবর্তী সমাজ
তারপরও সমাজের পালকে আমার পাখনা উড়ে
সমাজের লিটমাসে আমি হয়তো পাপি, হয়তো নেকি
ঘুমানোর আগে পাঠ করি
আসতাক ফিরুল্লা হা রাব্বী মিন কুল্লি জামবে ওয়া তুবু ইলাইহি

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৪

চৌ চৌ

ক্ষুধার গন্ধে ঘুম আসেনা
লাইতে জেগে রই
মাগো তোমার রান্না করার
উনুন গেল কই
চাল ফুরাল ক্ষুধা বাড়িল
বর্ষা এল ঘরে
ফুলের গন্ধ নাকে আসেনা
পেট চৌ চৌ করে 

বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৪

হিজিমনি

দেশের নাটাইয়ে উড়ে মনের ঘুড়ি
ভালো ছিল হলে তবে পাথর কিংবা নুড়ি
মানুষের ঢং নিয়ে রোবট জীবন
রাষ্ট্রের হিজিমনি মনের মরন

Occupied mind born by state flies
Better to be a stone, a grief of stone
Man is robot in face of man
Mind is dead in playing of state

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৪

সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৪

Allure

Will not provoke you anymore
You were my allure
No one knows blinding blizzard in me on coming
Going you onto the fire of novelty dew
Mind me again as the grace of few
Best bid for remembrance
Bid fair to do
Forevermore awaiting for your Serena mind
Wait for omen, wait for omeno


17 11 2014, 6.40
Central Library, Dhaka University 

রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৪

কেতকী

জমিন আর আকাশ নিয়ে পাখিদের দুটানা মন
একাকী কেতকী
এক ঢালে সারাটি জীবন

শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

Hawker

Honesty based on belief system is the best hawker

নারী কেবা

নারী ও পাখি উড়ে উড়ে চলে
রমণী ও ঘুড়ি উড়ে কথা কই
নারী ও কাক শীতে ঢল ঢল
নদী ও নারী স্রোতে কল কল

নারীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পুরুষ, পুরুষের বৃন্দাবন নারী 

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৪

কে আছে তাকে ফেরাবার

যে যাবার সে যাবেই, যাবে ছলছল ছলনায়,
যাবে অজানায়, অজানা অভিযোগে! যে চলে যায় সে কখনো আসেনি, আসা মানুষের যাওয়া হয়না। Richard Parker ভুলে যেতে পারে নিস্তব্ধ সাগরে একমাত্র পাশে থাকা মমতাময়ী বন্ধুর কথা, ভুলে যেতে পারে প্রেমময়ী যুবকের  কথা আয়ু কেটে যে দিয়েছিল বেঁচে থাকার সাহস ও খাবার,
সহজেই যেতে পারে  জঙ্গলে আপন মঙ্গলে,
কে আছে তাকে ফেরাবার!  বালিতে পড়ে থাকা বন্ধুর কথা খেয়ালও আসেনা তার।
সে যে পশু, শুধুই পশু,
তাকে মনের দখল দেয়া পাপ
I was certain he was going to look back at me ...But he just started ahead into the jungle
মানুষ অপেক্ষা করে কালের পর কাল।
মানুষ বাঁচে, বাঁচায়, মানুষের চোখে মহাকাল।

সত্যের মতো রাক্ষস

তোমাদের পথে হাঁটিনি বলে আমি খোঁড়া
তোমাদের চোখে দেখিনা বলে আমি অন্ধ
তোমাদের মতো শুনিনা বলে আমি কালা
আমাকে থামাতে তোমার অনুপম ভাষার মেলা
থেমে যাবে তুমি, তোমাদের দলবল
সময় সত্যের মতো রাক্ষস

বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৪

বাঁকসুন্দরীর কথা মনে পড়ে

``সিয়েন আনিয়োস দে সোলেদাদ"
উপন্যাসের  সূচনা অনেকটা কৌতূহলে,রহস্যে -- যেখানে প্রথম হোসে আর্কাদিয়ো একটি লোককে হত্যা করে আর এরপর সে প্রচণ্ড অনুশোচনায় ভোগে, ভয়ঙ্কর রকমের এক বিবেকের দংশন শেষ পর্যন্ত তাকে তার গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে এবং গ্রাম ছেড়ে পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে সে পত্তন করে পৌরাণিক মাকোন্দোর।
``সিয়েন আনিয়োস দে সোলেদাদ"
উপন্যাসটির লেখক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস। লাতিন আমেরিকার উপন্যাস নিয়ে বিশেষ করে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস-এর লেখালেখির পেছনের কাহিনি নিয়ে  চমৎকার একটি কথোপকথনের [গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এবং মারিয়ো বার্গাস ইয়োসা-এর মধ্যে কথোপকথন]  বই আমার হাতে আসে।
গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম। ক্লাসের পেছনের বেঞ্চটি নির্বাচন করলাম যাতে আমার গিলাতে কোনো কাঁটা না লাগে। ক্লাস শেষে সোজা সেমিনার  লাইব্রেরীতে। সেমিনার লাইব্রেরীর বইগুলো চুপচাপ, কলহীন, শান্ত ; কুমারীও বলা যায়। কারণ আজ পর্যন্ত কোনো পাঠকের হাত তাদের শরীর স্পর্শ করেনি। বইয়ের দুংখ হয়তো ধূলিকণা বুঝতে পারে।
একদিন বইয়ের কুমারীভাব
নষ্ট করা জন্য অভিযান চালাই। সেইদিন ধূলিকণার সাথে আমার প্রচণ্ড যুদ্ধ করতে হয়। ফলাফল যে খুব ভালো হয়েছিল এমন না, আমি ডাস্ট এলার্জির  আক্রমণের কবলে পড়ি। সেইদিন থেকে তওবা করেছি আর কোনোদিন ধূলিকণা আর বইয়ের দাম্পত্য জীবনে তৃতীয় হাত প্রবেশ করাবো না।
তারপরও পড়াশোনা আমাকে করতে হয়। কারণ পড়াশোনা আমার কাছে জৈবিক কাজ।  বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাই তেমনি বেঁচে থাকার জন্য পড়ি।
পড়তে পড়তে জানতে পারি, বোর্হেসের সাংঘাতিক রকমের রক্ষণশীল, প্রতিক্রিয়াশীল একটি মন আছে কিন্তু সৃষ্টিশীলতার প্রশ্নে একবিন্দুও প্রতিক্রিয়াশীল কিংবা রক্ষণশীল নন। বোর্হেসের রচনাকর্মে এমন কিছু পাওয়া যায়না যেটাকে বলা যেতে পারে সমাজ বা ইতিহাসের পরিপন্থী বা জগতের নিশ্চল কল্পদৃশ্য, অন্তহীন এক কল্পদৃশ্য যা ফ্যাসিবাদ বা সাম্রাজ্যবাদকে উসকে দেয় বা তার বন্দনা করে।
আরো জানতে পারি, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস লেখালেখি শুরু করেন পনেরো বছর বয়সে এবং তিনি তখন মনে করতেন লেখালেখির কোনো মানে হয়না। তাঁর ইচ্ছা ছিল উকিল হওয়ার। কারণ তিনি চলচ্চিত্রে দেখেছিলেন উকিলরা ন্যায্য বিচারের জন্য কোর্টে লড়াই করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর তাঁর স্বপ্নের গতিপথ পরিবর্তন হয়। একধরনের ভালো লাগা থেকে গল্পসল্প লিখতে আরম্ভ করেন। গল্প ছাপানো অক্ষরে দেখে তাঁর  আরেক ধরনের ভালো লাগা কাজ করতে থাকে।
বেস, শুরু হয়ে গেল তাঁর লেখক জীবন। চলে আসে একধরনের দায়বদ্ধতা।
লেখক যেমন দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে লেখেন আমিও পাঠউদ্ধারের প্রেরণা নিয়ে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কোলাহলে সব কিছু হতে পারে কিন্তু পড়াশোনা হয়না। তাইতো সেমিনার লাইব্রেরীর এক কোণে বসে পড়ছি। লাইব্রেরীর বইগুলো এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন মায়াময় দৃষ্টি যেকোনো পুরুষমনের মরুময় এলাকায় করুণার প্লাবন আনতে পারে। কিন্তু আমি জেনে গেছি ধূলিকণার সাথে তাদের গভীর প্রেম। যুদ্ধ করে নিজের বীরত্ব প্রকাশ করে প্রেমিকাকে জয় করবো এমন প্রাগৈতিহাসিক ছেলে আমি নই। আমার ব্যাগভর্তি বইতে আমি সন্তুষ্ট। তারপরও চোখের আবেদন যুক্তি মানে না।নিজের সাথে যুদ্ধ করেই নিজের মতকে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। আমিও তাই করলাম।
আমার চোখ কালো কালো খাবার মগজে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বাম দিক থেকে লাইব্রেরী আপার নাগ ডাকার শব্দ কানে আসছে। কানে অদৃশ্য তুলা স্থাপন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
হঠাৎ কানে আসে এ শার্পের একটি কণ্ঠ,
 `পরীক্ষা?'
মগজ তার দিকে ফিরে তাকায়।

ঠোঁটে কালো তিল, চোখে কালো মেঘ, বাম হাতের তর্জনীতে জিরো ফিগারের আংটি, চোখের নিচে প্রশান্ত মহাসাগর, কানে স্লিম লতি, কোমড়ের বাঁক যেন স্রোতের স্নিগ্ধ মোহনা, দাঁতে যেন শরতের সফেদ মেঘ খেলা করছে, সব মিলিয়ে যেন চোখের ভেতর, স্বপ্নের ভেতর খেলা করা এক নারী।
আমি মৃদু কণ্ঠে উত্তর দেই,
`না'
সে চলে যায়, আমার মগজও চলে আসে কালো খাবারের দিকে। মনোযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছি। কিছুতেই মন থাকছে না বইয়ের পাতায়।বারবার ভাবছি তার কথা, তার কথা মানে তারই উচ্চারিত ধ্বণি --
`পরীক্ষা?'
ছাত্র কী শুধু পরীক্ষার জন্য পড়ে?
আমি কী তাহলে ছাত্র হতে পারিনি?
প্রশ্ন করি কিন্তু উত্তর আসেনা। উত্তর যাঁরা দিবেন তারা ভদ্রতার টুপি পড়ে জ্যামিতিক হারে সালাম খরিদ করে যাচ্ছেন।
হয়তো এই কারনেই বাংলা বিভাগ লাবণ্যের দেখা পায়না। অমিতের সুরে কথা বলে না কোনো প্রাণ। অনন্তের মার দুংখের আয়তিকে টিস্যুপেপার আবেগের যৌথ খেলা মনে করে স্বস্তি পায়।

সাহিত্য পড়তে আসি চেতনাকে জাগ্রত করা জন্য। ভর্তি হওয়ার আগে ভেবেছিলাম রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মানিক, শেক্সপিয়র বুঝি বাংলা বিভাগের করিডোর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করে। তাঁদের স্পর্শ পেয়ে সমৃদ্ধ হবে আমার ইচ্ছার উড়ন্ত ঘুড়ি। ভাবতাম সাহিত্যধর যাঁরা আছেন তাঁরা শিখাবেন সাহিত্য মানে নিজের মতো চিন্তা করা, নিজের আয়নায় নিজেকে দেখা, অন্ধকারের ভেতর আলো,  আলোর ভেতরে অন্ধকার খোঁজ করা।  জীবনব্যাপ্তির  নিচে যে নৈপুণ্য থাকে তার সাথে আমাদের নবীন জ্ঞানের স্পর্শ ঘটানোর জন্য যে  পরিক্রমা তা আবিষ্কারের পথ দেখাবেন তাঁরা।

বাস্তবতা ভিন্ন, তাঁরা যেন আকাশের তারা। মহা মুশকিল আমাদের বামন ছাত্রদের। এমন কোনো মই আবিষ্কার হয়নি যার সরল সহযোগিতায় তারাদের কাছে পৌঁছানো যায়। ফলে তারা দেখে দেখে চোখের পুষ্টি সাধন হয় কিন্তু মনের অপুষ্টি থেকেই যায়।
তারারা মাঝে মাঝে জমিনে নেমে আসেন। এসে আমাদেরকে উন্নত প্যাকেজ সিস্টেমের উপহার দেন। জীবনকে যারা প্যাকেজের স্রোতে ভাসিয়ে দিতে পারে তাদের জন্য আমার জয়তু অভিনন্দন। প্যাকেজ সিস্টেম মেধাবীর পাহাড় তৈরি করতেছে যাদের সাথে প্রতিনিয়ত ধাক্কা খেয়ে আমার চেতন ফিরে। আর তখনই স্বপ্নের দেবী আমাকে বলে যায়,
``ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি"
আমি এতো রতন লইয়া কেন শিট তৈরি করিতে পারি নাই , কেন আমার নাম মেধাবীদের তালিকায় আসিবে না।
বুঝলুম, আমার জন্ম মেধাবী হইবার জন্য নহে, আমার জীবন মেধাবীদের একরঙা শিটের ভেতর প্রবেশ করিবার নহে। আমার জীবন বাতাসের লগে বন্ধুত্ব করে, সময় ও নদীর কথা শুনতে ব্যাকুল। তবু বাঁকসুন্দরী কথা ভুলিতে পারিনা,

`কী, পরীক্ষা?'

মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৪

জীবন যেখানে জলের মতো চলে

চিরচেনা জনপ্রিয়তার নগর
গাণিতিক হিসাবে ঠাসা
দৃষ্টির প্রদীপ ফেলে জ্বলে না লাল নীল দীপাবলী
ঢের ভালো,
মোটা চালের গন্ধে ধানখেতের পাশ দিয়ে হাঁটা
বটতলার উদাস দ্বীপে নিঝুম ভাতঘুম
আকাশছাদের চা স্টলে ভবিষ্যৎহীন কথা
যদি জানতুম
সফল হতে গেলে বিফলতার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়
বাতাসও গ্রহণ করেনা দীর্ঘশ্বাসের ভার
প্রচলিত রোদ শুকায় না শরীরের ভেজা জল

দূর থেকে সেলাম দিতাম নগর তোমায়
তোমার কীর্ত্তন শুনেই মুগ্ধ থাকতাম
পেন্সিলে আঁকা স্বপ্নে তোমাকে দেখতে আসতাম

অথচ আসতাম হয়ে গেল আসা, স্বপ্ন হয়ে গেল বাস্তব
হে আমার লাগামহীন স্বপ্ন
তুমি একবেলা নিষ্ঠুর হও
স্রোতের গতি থেকে নির্জন ফুসরত চাই,  জ্যামিতিক নির্জন
যেতে চাই কোলাহল থেকে শারীরিক দূরে
জীবন যেখানে জলের মতো চলে

নফস

নফস যেন জীবনের জলে রঙিন জাহাজ
ইউসুফের জামার মতো ছড়ায় খুশবুর আবাস


জা. রুমী
অনুবাদক :এমরানুর রেজা

সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

রং - ঢং

মেনকার রং তোমার অঙ্গে
বিশ্বামিত্রের ঢং আমার সঙ্গে 

রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪

ব্লাইন্ড

আকাশ থেকে নেমে আসে বিশ্বাস
স্বং বিশ্বাস নয়, বিশ্বাসের ফটোকপি
বালুর বাড়িতে শেকড়ায়িত প্রশান্তির অন্ধকার
রূপরাজ্যের দৈত্য হয়ে গেল বিশ্বাসের হাতিয়ার

সময় সম্ভাবনাময়। সম্ভাবনার গর্ভে সংকট। সময়, সম্ভাবনা,স্পেসের বাইরে এক শুন্য জীবন। শুন্যতার সাথে সম্ভাবনার রিয়েল সম্পর্ক। যে সত্তা শুন্যতার চর্চা করে সেই মূলত স্বাপ্নিক, বাস্তবিক কিউপিড। সূর্যের মানুষ পৃথিবীর খোঁজ পায়না, পৃথিবীর মানুষ সূর্যকে আগুনের বল মনে করে। সময় গাধার মতো বহন করে আবর্তনের ঠেলাগাড়ি। বহন করতে পারেনা আমাকে, বহনযোগ্য নয় আমার ভেতরের জমাটবদ্ধ সময়সীমা। চিরদিনের উল্টো-পাল্টা আমি গড়ি ডানপিটে গুজরাট নগর, পবিত্র শহর। বিশ্বাসের তেলে সেদ্ধ করি তৈরিকরা থিউরি; সত্য নহে, মিথ্যা নয়,  হুজুগে বাগান। 

শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৪

অধরা জীবন

পড়শির বাড়ি থেকে উঠে আসা সন্ধ্যা
আমাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়
সফেদ মেঘের গুঁড়া মতো হেঁটে চলি আজ থেকে কাল
কোনো এক অচেনা অসুখ শুয়ে থাকে নীল কিংবা হলুদ নয় একেবারে লাল শরীরে
ডানা ভাঙা হতাশায় স্বপ্ন নামে
স্বপ্নের কাছে পৃথিবী নধর
প্রনম্য কুচকাওয়াজে মৃত্তিকার সাথে গড়ে ছান্দসিক জীবন
অধরা জীবন, জীবন রে আমার, জীবন কেন এতো কথা বলে

বিপ্লবী জনাব

বিপ্লব সন্নিকটে
কার বিপ্লব?
আপনার ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের?
ভালো তো, সব পাপই অবশেষে চুষে নেয় মক্কার পাথর
সহজলভ্য কচুরিপানাও ভাসমান
স্থির কেবল আপনার আদর্শিক বক্তব্য
কোথায় পান এতো নৈতিক কথা,
মুখে না মগজে?
বিপ্লব সন্নিকটে
আপনার মনে আছে রবীন্দ্রনাথের কথা
যিনি বলেছিলেন `বাঙ্গালী কোনো কাজ শুরু করে শেষ করেনা'
ও! মনে থাকার কথা না
সুখী হতে গেলে অনেক কথাই মন থেকে সরিয়ে ফেলতে হয়, ফেলাকথা নিয়ে তারপর সাজাতে হয় মুখের বাগান
বিপ্লব অতি নিকটে,
একেবারে আপনার চোখের কাছে, সুবিধার কাছে

ছোটকালে ছিপ দিয়ে মাছ ধরতাম। এক জায়গায় বকের মতো বসে থাকা হয়ে উঠতো না আমার। মাছ শিকার করতে হলে একজায়গায় প্রত্যয়ী হয়ে বসে থাকার ফলাফল সুবিধাজনক। বিষয়টি অনেক পরে বুঝলাম। বুঝেও বিশেষ ফল হলো না। কারণ বুঝার পর মাছ শিকারের নেশা হারিয়ে ফেললাম। নেশাহীন আমার কেবলই মনে পড়ে --
আওতি হে যাওতি
কুছ নেহি পাওতি

শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৪

চেনা - জানি সুর

চেনা-জানা সুর
ডাকে সুমধুর
ঢেউ তোলে আমার প্লাবনে।।

তুমি যে সখা উড়ারও পাখা
                  পাখিরও পাখা
এলোকেশে ধরো ভৈরবী সুর।।

আমি যে ছিলাম শিশুরও মতোন
বানালে আমায় আস্ত মানুষ
যাবে যদি যাও শুধু বলে যাও
যাবো ক্যামনে তোমাস্মৃতি থেকে দূর।।


কথা ও সুর : এমরানুর রেজা
07, 11,2014 : 8.45

বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৪

World and leader

Three types of people control the world

1~ Politician
2~ Writer
3~One who is good for nothing

If you want to be a politician you have to travel a lot, To be a writer you have to learn a lot, if you want to be a good for nothing you have to know how to laugh.

আশুতোষ

দুতলা ঘরটা দেখলেই একতলা মনের কথা কানে বাজে
একতলা মনে দুটি রুম
একটিতে সাবেক, অন্যটিতে বিবেক
সাবেক আর বিবেক নিয়ে উটের মতো উঠা- নামা করে মনটা
সাবেক ডিসচার্জ বহুদিন আগে
বিবেক ঘড়ির ফলার জীবিত পথে
সাবেকের পথে লাশ হয়ে শুয়ে থাকেন তিনি
ফুলের বাগানের মালী বিবেক যিনি আশুতোষ জ্ঞানী
নর্থপোলে কথার ভার
মোবাইলজীবনের কম্পন
মাটি ভেদ করে আকাশের দিকে বেড়ে উঠার প্লাবন
থেমে থাকে গন্ধমফলের অশ্বত্থ ছায়া
কালের কলিজার তলায় ডেকে আনা নৈপুন্য শব্দ

বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৪

শ্রুতি

শুনে শুনে জ্ঞানী হওয়ার প্রবনতা মানুষের সহজাত তবে প্রমিত নয়।
মানুষ, বিশেষ করে ভারতবর্ষের মানুষ রটনাকে[প্রবাদবাক্য~ যা রটে তা কিছু হলেও ঘটে] ঘটনা হিসাবে চালিয়ে দিয়ে বেশ আরামবোধ করে।
শুধু কী চালিয়ে দেওয়া?
একেবারে সভা, সমিতি, মহাসমাবেশ আয়োজনের মেলা চলে!
অথচ গঙ্গার জল অনেক গড়িয়ে যাওয়ার পর প্রমান হয় কান মাথার সাথেই আছে চিলও আকাশের বাতাসে।

Man wants to be a intellectual on listening by born but not the expression of the ability.
Man, specially the man of the Indian  subcontinent used to have the propaganda as the original copy of the incident (Proverb ~ It's may occurred at least a little what is aired).
Is it limited up to airing?
Propaganda is used to make a huge procession, conflict, projection of rustic task and so on. At the margin of brimful sequence concluded that the ear is yes with head and the kite is yes in the sky.

সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৪

যোগ্যতা

প্রেম করা একটি যোগ্যতা। প্রেমের সাথে থাকা তারুণ্য। প্রেমে লীন হয়ে যাওয়া বিকলাঙ্গ নদীর স্রোত।

Inductive causality of love affirmative is the ability. It is a projection of youth enough too. Losing self in love is the paralyzed stream of the river. 

লাইব্রেরী

আজকাল লাইব্রেরীতে যাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরী। একটু দেরী হলে আমার জন্য কোনো আসন  থাকে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও একটি অসুস্থ সিট ফাঁকা পাওয়া যায়না। আসন পূর্ণ করে বসে থাকেন গবেষক( আমার পুলকবোধ করার কথা)।
সাধারণ জ্ঞান মুখস্থ করার গবেষক!
যারা মুখস্থ করছেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। অথচ তাদের মুখস্থ করার কথা ছিল বাংলাদেশের রাজধানী দিল্লি!
আবার অনেকে নাইন-টেন এর মেথ নিয়ে মহাব্যস্ত। অনার্স- মাস্টার্স সম্পূর্ণ করে সাত বছর আগে ফিরে যাওয়া,
বাহ,
চমৎকার!
বাসি খাবার খেয়ে আমরা অভ্যস্ত, বাসি জ্ঞান আমাদের মেধাকে কেন পূর্ণ করবে না? নতুন কিছু করা প্রত্যয় থাকলে অবশ্যই করা যায়।
তবে কালো পিঁপড়ার মানসিকতা ত্যাগ করতে হয়, ত্যাগ করতে হয় কাকড়ানীতি।
ভদ্রকালী ভগবতীর এক মূর্তি। এই দেবী ষোড়শ হস্তযুক্তা। একদিন মহিষাসুর স্বপ্ন দেখেন, দেবী ভদ্রকালী তাঁর শিরোশ্ছেদ করে রক্তপান করছেন। স্বপ্ন দেখে ভীত [Cowards die many times before their deaths/The valiant never taste of death but once/Of all the wonders that I yet have heard/ It seems to me most strange that men should fear/Seeing that death, a necessary end,
Will come when it will come] মহিষাসুর ভদ্রকালীর পূজা করতে আরম্ভ করে। পূজায় তুষ্ট হয়ে দেবী তাঁর কাছে উপস্থিত হন। দেবী তাঁর কথা মনোযোগের সাথে শুনেন। মহিষাসুরের কান্নাজড়ানো আবেদন দেবী বৃথা যেতে দেননি। দেবী তাঁকে বদ করবেন বাস্তবিক সত্য। তবে তাঁর তপস্যার পুরস্কারস্বরূপ তাকে পায়ের নিচের পাপুস হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। যতকাল দেবী পূজা পাবে ততকাল মহিষাসুর পাপুসের মর্যাদা পেয়ে যাবে ষোলোকলায়।
আমাদের বিশ্বমানের ছাত্রদের অবস্থা মহিষাসুরের মতো হচ্ছে কিনা?
 উন্নত চাকর হওয়ার জন্য কী শেকড়বিহীন হাপিত্যেশ। শুধু শারীরিক নয়,  মানসিক চাকর হওয়ার জন্যেও বটে । বিক্রি হতে হন্যে হয়ে বইয়ের সাথে চোখের সম্পর্ক তৈরি করছে। সম্পর্ক হচ্ছে না জ্ঞানের সাথে প্রজ্ঞার, প্রজ্ঞার সাথে মগজের। জাতি এগিয়ে যাচ্ছে পোশাকনীতি ভবিষ্যতের দিকে, প্রজ্ঞানীতি শ্রেষ্ঠবাণী চিরন্তনীতে পাওয়া যায়, শ্রমে পাওয়া যায়না।
ওহে ঈশ্বরী পাটুনী তোমার সন্তান আজ তোমার কথা পালন করছে অক্ষরে অক্ষরে (আমার সন্তান যেন তাকে দুধে-ভাতে)।
তবু তোমার দুঃখ পাওয়া উচিত। কারণ তারা তোমার কথার চরণ ধরেছে, আচরণ ধরেনি।

শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৪

পাগল

পাগল কথা কইনা
পাগল কথা বলার কিছু পায়না
পাগল মানুষের মতো আভিধানিক নয়
অভিধান খুঁজে খুঁজে মানুষ হয়রান
চালায় জোরে           হ্যাইয়্যা
স্বপ্নের ঠেলাগাড়ি
শরীরপথে কাচাঁ লবণ আর প্রসাধনী সাবান
পাগল কেবলই হাসে
চাঁদনী রাতে জোৎস্না শিকার করে
পাগল জোৎস্না রাতের জেলে
পাগল কথা কইনা
বলার মতো কিছু পায়না