বেডা বেহাইয়্যার ডক আমার লগে আইয়্যা বইছে
কঅন যা ওইট্যা যান গা?
শোভন চেয়ারে শুয়ে আছে লিলুয়া বেগম। শোভন চেয়ারটি দের্ঘ্যে তিন ফিট, প্রস্থে এক ফুট। লিলুয়া বেগম দের্ঘ্য চার ফিট, প্রস্থে দেড় ফুট। লিলুয়া বেগমের পা জানালার বাইরে অন্ধকারে শরীর স্পর্শ করেছে। মাথা পাশের সিটে বসা আল্লামা হুজুরের সাদা পোশাকের ঢেউ ধরতে চায়। ডান হাতটি বালিশের ভূমিকা পালনরত। লিলুয়া বেগমের বইশের চোখ প্রায়বার তেড়ে আসে সামনের সিটে বসা প্রনামের দিকে। প্রনাম তার দিকে ফিরে তাকায়, তাকে আবিষ্কার করে অতীতচেনায়। লিলুয়া বেগমের দৈহিক কাঠামো তার খালাম্মার দেহের কাঠামোর প্রায় অনুরূপ। কিন্তু লিলুয়া বেগমের চোখে প্রনাম ভাইরাস দেখতে পায়। পীর সাহেব যে ভাইরাসের চোখে তার মেয়ে মুরিদের দিকে তাকায় সেই ভাইরাস।
মাঝে মাঝে সে চোখ বুজে, ধ্যানরকমের চোখ বুজা। তার পেট তখন সিট বেয়ে নিচে পড়তে চায়।
চোখ বুজা থেকে তার শরীরে নেমে আসে ঘুমরকমের নীরবতা। লিলুয়া বেগমের পেট তখন গামলার পানির মতো টলমল করে, টলমলে নড়ে উঠে। পাশের সিটে বসা টুপিহুজুর সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে লিলুয়া বেগমের শরীর তেলাওয়াত করে। প্রতি আয়াতে দশ নেকি। নাকি তার চেয়ে বেশী নেকি জমা হয় তার পুণ্যের পাল্লায় আমাদের জানা নেই। বয়স্ক স্তন ট্রেনের ছন্দময় প্যারেডের সাথে টকবগ টকবগ করছে। সুযোগে সবার চোখ মেডিটেশনের একনজরের একনিষ্ঠতার ব্যায়াম সেরে নিচ্ছে।
প্রতি শোভন চেয়ারে দুটি সিট। পাশাপাশি দুইজন বসে। মাঝখানে কোনো পার্থক্যের বেড়া নেই। লিলুয়া বেগম একাই দুটি সিট খরিদ করেছে।
কেন করেছে?
তার স্বামীর আদেশ।
সেও চায় তার পাশে কোনো পুরুষ মানুষ না বসুক।
তার এই চাওয়ার ভেতর কিমপরমধিকসুখং আছে, আছে কী পরিমাণ জীবন তা তত্ত্ব মারফতে ধরা পড়ে না। নারীদের চাওয়া তো এমনই পাওয়ার আকাঙক্ষায় সুপ্ত থাকে। প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা তাদেরকে ব্যথিত করে, পীড়িত করে অবশেষে তাদেরকে মহিলা করে। মহিলা মানেই মহলের ছায়ায় থাকা, মহলের ছায়া চলে কর্তৃপক্ষের আদেশে।
কর্তৃপক্ষের বিধিই তাদের সামাজিক ইশ্বর।
লিলুয়া বেগম ইশ্বরের হুকুম মেনেছে।
লিলুয়া বেগম একাই সিটে বসেছিল। কোথা থেকে কোনো এক পুরুষ এসে তার সিটে বসল। লিলুয়া বেগম "না" করতে পারল না। রাগ করেছে এমন কোন সিম্বল মুখে রেখাপাত করেনি। বরং এমনভাবে বসেছিল যেন তারা স্বামী-স্ত্রী।
নরসিংদী স্টেশনে লোকটি নেমে গেল।
দইয়ের টুফার মতো লিলুয়া বেগমের মুখে তখন চাক্কা চাক্কা শব্দের কারিশমা
মানু কি লইজ্জা সরম দইয়া লাইছে
লগে আইয়া বইলে তো নাও করন যা না
লিলুয়া বেগমের মহাভারত শুদ্ধ করা টাইপের কথা শুনে সিটের পাশে দাঁড়ানো মেয়েটিও বসার কথা বলতে সাহস করেনি। কিন্তু মেয়েটির চেহারায় বসার প্রবল প্রাবল্য লক্ষ্য করা যায়। কোনো চেহারার করুণ ভাষ্য লিলুয়া বেগম পাঠ করতে চায়না। সে কেবল জানে সে একাই দুটি সিট খরিদ করেছে, সে কোনোদিন জানেনি মানুষ হিসাবে সে একটি সিট ক্রয় করতে পারে।
ভৈরব স্টেশন আসার আগ পর্যন্ত এই সিটটা কখনো লিলুয়া বেগমের ডাইনিং, কখনো বেডরুম, কখনো বৃন্দাবন কিন্তু মানুষের পৃথিবী হয়ে উঠে নাই!
কঅন যা ওইট্যা যান গা?
শোভন চেয়ারে শুয়ে আছে লিলুয়া বেগম। শোভন চেয়ারটি দের্ঘ্যে তিন ফিট, প্রস্থে এক ফুট। লিলুয়া বেগম দের্ঘ্য চার ফিট, প্রস্থে দেড় ফুট। লিলুয়া বেগমের পা জানালার বাইরে অন্ধকারে শরীর স্পর্শ করেছে। মাথা পাশের সিটে বসা আল্লামা হুজুরের সাদা পোশাকের ঢেউ ধরতে চায়। ডান হাতটি বালিশের ভূমিকা পালনরত। লিলুয়া বেগমের বইশের চোখ প্রায়বার তেড়ে আসে সামনের সিটে বসা প্রনামের দিকে। প্রনাম তার দিকে ফিরে তাকায়, তাকে আবিষ্কার করে অতীতচেনায়। লিলুয়া বেগমের দৈহিক কাঠামো তার খালাম্মার দেহের কাঠামোর প্রায় অনুরূপ। কিন্তু লিলুয়া বেগমের চোখে প্রনাম ভাইরাস দেখতে পায়। পীর সাহেব যে ভাইরাসের চোখে তার মেয়ে মুরিদের দিকে তাকায় সেই ভাইরাস।
মাঝে মাঝে সে চোখ বুজে, ধ্যানরকমের চোখ বুজা। তার পেট তখন সিট বেয়ে নিচে পড়তে চায়।
চোখ বুজা থেকে তার শরীরে নেমে আসে ঘুমরকমের নীরবতা। লিলুয়া বেগমের পেট তখন গামলার পানির মতো টলমল করে, টলমলে নড়ে উঠে। পাশের সিটে বসা টুপিহুজুর সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে লিলুয়া বেগমের শরীর তেলাওয়াত করে। প্রতি আয়াতে দশ নেকি। নাকি তার চেয়ে বেশী নেকি জমা হয় তার পুণ্যের পাল্লায় আমাদের জানা নেই। বয়স্ক স্তন ট্রেনের ছন্দময় প্যারেডের সাথে টকবগ টকবগ করছে। সুযোগে সবার চোখ মেডিটেশনের একনজরের একনিষ্ঠতার ব্যায়াম সেরে নিচ্ছে।
প্রতি শোভন চেয়ারে দুটি সিট। পাশাপাশি দুইজন বসে। মাঝখানে কোনো পার্থক্যের বেড়া নেই। লিলুয়া বেগম একাই দুটি সিট খরিদ করেছে।
কেন করেছে?
তার স্বামীর আদেশ।
সেও চায় তার পাশে কোনো পুরুষ মানুষ না বসুক।
তার এই চাওয়ার ভেতর কিমপরমধিকসুখং আছে, আছে কী পরিমাণ জীবন তা তত্ত্ব মারফতে ধরা পড়ে না। নারীদের চাওয়া তো এমনই পাওয়ার আকাঙক্ষায় সুপ্ত থাকে। প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা তাদেরকে ব্যথিত করে, পীড়িত করে অবশেষে তাদেরকে মহিলা করে। মহিলা মানেই মহলের ছায়ায় থাকা, মহলের ছায়া চলে কর্তৃপক্ষের আদেশে।
কর্তৃপক্ষের বিধিই তাদের সামাজিক ইশ্বর।
লিলুয়া বেগম ইশ্বরের হুকুম মেনেছে।
লিলুয়া বেগম একাই সিটে বসেছিল। কোথা থেকে কোনো এক পুরুষ এসে তার সিটে বসল। লিলুয়া বেগম "না" করতে পারল না। রাগ করেছে এমন কোন সিম্বল মুখে রেখাপাত করেনি। বরং এমনভাবে বসেছিল যেন তারা স্বামী-স্ত্রী।
নরসিংদী স্টেশনে লোকটি নেমে গেল।
দইয়ের টুফার মতো লিলুয়া বেগমের মুখে তখন চাক্কা চাক্কা শব্দের কারিশমা
মানু কি লইজ্জা সরম দইয়া লাইছে
লগে আইয়া বইলে তো নাও করন যা না
লিলুয়া বেগমের মহাভারত শুদ্ধ করা টাইপের কথা শুনে সিটের পাশে দাঁড়ানো মেয়েটিও বসার কথা বলতে সাহস করেনি। কিন্তু মেয়েটির চেহারায় বসার প্রবল প্রাবল্য লক্ষ্য করা যায়। কোনো চেহারার করুণ ভাষ্য লিলুয়া বেগম পাঠ করতে চায়না। সে কেবল জানে সে একাই দুটি সিট খরিদ করেছে, সে কোনোদিন জানেনি মানুষ হিসাবে সে একটি সিট ক্রয় করতে পারে।
ভৈরব স্টেশন আসার আগ পর্যন্ত এই সিটটা কখনো লিলুয়া বেগমের ডাইনিং, কখনো বেডরুম, কখনো বৃন্দাবন কিন্তু মানুষের পৃথিবী হয়ে উঠে নাই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন