ক্বীন ব্রীজ। সুরমা নদীর অলঙ্কার। ক্বীন ব্রীজ আসামের গভর্নর মাইকেল ক্বীনের স্মৃতি বহন করে আছে। সুরমাকে নদীর মা বলা হয়। সুরমা নদীর মা বরাক নদী। মণিপুর পাহাড়ের মাও সংসাং হতে বরাক নদীর উৎপত্তি। বাংলাদেশ সীমান্তে নদীটি দুই শাখায় বিভক্ত। উত্তরের শাখাটি সুরমা নদী, আর দক্ষিণের শাখার নাম কুশিয়ারা নদী। সুরমা নদী সিলেট এলাকায় প্রবেশ করে , আর তাতেই সুরমা অববাহিকার সৃষ্টি।
ক্বীন ব্রীজ ধনুকের শরীরের মতো বাঁকানো। ব্রীজের উপরিভাগ পিঞ্জিরার মতো। এই ব্রীজে এখনো পাঁচ টাকায় দাস পাওয়া যায় যারা বসে থাকে ব্রীজের গোড়ায়। তাদেরকে ঠেলা বলা হয়। ব্রীজটি যথেষ্ট ঢালু হওয়াতে রিক্সা চালকের পক্ষে রিক্সা উপরে ওঠানো বেশ কষ্টসাধ্য। আর পেসেঞ্জার তো মহা মনিব। তাই রিক্সা যাতে ঢালু খাড়া ব্রীজপথ বেয়ে উপরে ওঠতে পারে সেইজন্য রিক্সার পেছন থেকে ধাক্কা দেয় এই ঠেলা।
ক্বীন ব্রীজের নিচের সুরমা নদী দেখলে অনুধাবন করা যায় নদীর স্রোতোকাহিনি। পানি যথেষ্ট ময়লা। তারপরও চোখের সাথে মনের সম্পর্ক তৈরি করে দেয় এই সুরমা নদীর জল।
সুরমা নদী, উপরে ক্বীন ব্রীজ, নদীর কিনারে চায়ের দোকান, ফাস্টফুড দোকান। ফাস্টফুডের সাথে এখনো আমার প্রিয় রসহ্য গড়ে ওঠে নি। তাই চা-ই খাচ্ছি। এক কাপ- দুই কাপ - তিন কাপ। ঠোঁটে গরম পানি, চোখে স্রোতোস্বিনী সুরমা, স্নিগ্ধ বিকালের চমৎকার মায়াবী কালার। তাইতো মনে পৃথিবীর প্রশান্তি। হঠাৎ চোখে পড়ে সুরমা রিভার ক্রুজ। টিকেট চারশত বিশ টাকা। সময় এক ঘন্টা। অত্যন্ত রুচিশীল খাবার তালিকা। এই ক্রুজের ভ্রমণবাসিন্দা হওয়া মানে ভিন্ন রকমের অনুভূতি। খাওয়া, সুরমা নদীর স্রোতে ভেসে থাকা। একজন নারী, একজন রমণী অঙ্গদুলালী গানও শুনাবে আপনাকে -- হাজার দর্শক মন মজায়া নাচে রে সুন্দরী কমলা। এই সুরমাপৃথিবীর কাছে চমৎকার একটি সন্ধ্যাসময় যাপন করলাম। চমৎকার।
প্রশান্তির বিছানা বিছনাকান্দি....
আম্বরখানা থেকে সিএনজিতে ওঠলাম। উদ্দেশ্য বিছনাকান্দি। রাস্তার দুপাশে নয়নাভিরাম দৃশ্য। যতই গভীরে যাচ্ছি মনে হচ্ছে এই বুঝি বিছনাকান্দি। কিন্তু না, মক্কা বহুত দূর হে। যা দেখছি তা যেন টুকরো টুকরো জান্নাত-- জল, সমুজ আর আকাশের মেলা। তোয়াকুল ইউনিয়নে যখন আমাদের সিএনজি তখন আমি প্রায় মাতাল।
ইয়া মাবুদ, আমি এ কী দেখছি!
আমার তখন মনে হয়েছে যারা প্রোফেসনাল কিলার তারাও যদি এই দৃশ্য দেখে তারা চিরদিনের জন্য ভালো হয়ে যাবে। ধর্ষকের সৌন্দর্যচেতনা বৃদ্ধি পাবে, নারীকে কেবল মাংস মনে হবে না।
বিছনাকান্দি আসলাম। গরম সিঙাড়া দেখলে আমি একটু লোভী হয়ে ওঠি। এখানে যে কয়েকটি দোকান আছে তা একেবারে সাধাসিধা। সিঙাড়া খেতে পারিনি। কারণ স্বাদ কেমন যেন নোনতা পানসে। এখান থেকে নৌকা দিয়ে মূল স্পটে যাওয়া যায়, আবার হেঁটেও যাওয়া যায়। হেঁটে রওয়ানা হলাম। গ্রামগুলো প্রকৃতি লালিত। প্রকৃতির বাতাসে ভেজা ঘ্রাণ।
গ্রাম পেছনে ফেলে আসার পর যা দেখলাম তা প্রকাশ করার ভাষা আমার কেন, কারোই নেই। সবুজ পাহাড়, রঙিলা আকাশ জোম হয়ে চোখের ভেতর চলে আসছে। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আমার কাছে পরিবর্তন হতে লাগলো। এতদিন সৌন্দর্য সম্পর্কে আমার যে ধারণা ছিল তা একেবারে পরিবর্তন হয়ে গেল। আমার দেহে আমার মন ছিল না। চাঁদ আর সূর্য যখন এক রেখায় চলে আসে তখন পৃথিবী থেকে জল ফিনকি দিয়ে বের হয়ে যেতে চায়, বিছনাকান্দির অসীম প্রিয়ার আহবানে আমার মনও দেহ থেকে ফিনকি দিয়ে বের হয়ে যায়।
বিছনাকান্দি আমার প্রথম প্রেমিকা যার জন্মের ইতিহাস কেউ জানে না, অনুমান করতে পারে, যার মৃত্যু কেউ কোনোদিন কামনা করে না।
পাহাড়, সবুজাভ পাহাড়। পাহাড়কে রঙিলা করে কখনো শুভ্র মেঘ, কখনো কালিয়া মেঘ, কখনো শিশির কনা। পাহাড়ের বুক-পথে জনবসতির মাটির দিকে নেমে আসছে ঝর্ণা।ঝর্ণা নয়, শাদা শাদা মেঘ যেন নেমে আসছে পৃথিবীর মানুষের কাছে। ঝর্ণা মানুষের জন্য নিয়ে আসে পাথরউপঢৌকন।
ঝর্ণার শীতল পানিতে বসে অনেক্ষণ ধ্যানস্থ ছিলাম। জল হয়ে পাহাড়ে গেলাম, পাহাড় থেকে মেঘে , মেঘ থেকে সাগরে, সাগর থেকে মহাসাগরে। মহাসাগরে গিয়ে দেখি চিরচেনা আমি। চোখ মেললাম। দেখি ঝর্ণার স্রোত থেকে পানি নিতে আসলো এক পাহাড়ি কন্যা। পাহাড়ি কন্যা দেখলেই কোনো এক গোপন ভালোলাগা তৈরি হয় আমার হৃদয়ের আকাশে, তারা কেবল পাখি হয়ে উড়ে, আর আমার পাখি পাখি মন তখন পাখিদের দলে। ঝর্ণার পাথরে বসে গান ধরলাম --
ও পাহাড়ি কন্যা
পিছু ফিরে দেখ না
একবার তুমি আমার।।
তোমার চোখের নজর যেন নয়
আকাশের তারা তেমনি হয়।।
জলের গায়ে শব্দ আটকে যায়। তারপরও মৃদু শব্দ পাহাড়ি কন্যার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে। পাহাড়ি কন্যা পর পর তিন বার জল নিতে আসলো। তারপর আর আসলো না। আমিও যেতে পারিনি, হতে পারিনি ধীরাজ। কারণ এখানে বাংলাদেশ, ঐখানে ইন্ডিয়া। আমাদের মাঝে দেশের সীমানা। সীমানা যারা তৈরি করে তারাই মানুষ হত্যা করে, সীমানা যারা প্রতিষ্ঠা করে তারাই প্রেমিকদের শত্রু, মানবতার ঘৃণ্য পুঁজ।
চলে আসবো এমন সময় শুরু হলো বৃষ্টি। বিছনাকান্দির বৃষ্টি একরকম দাহ্য অভিজ্ঞতা! এক ফালি শুভ্র মেঘ কী করে একফোঁটা বৃষ্টির জল হয়ে যায় সরাসরি দেখতে পেলাম। পাহাড়ের দিকে তাকালে দেখা যায় মেঘের আধিপত্য। মেঘের ফাঁকে সবুজ পাহাড় কালো হয়ে উঁকি দেয়। মেঘ, পাহাড়, ঝর্ণা, বৃষ্টি, পাথর আর আমি-- এক নতুন মানুষ।
অন্ধকার নেমে আসবে। জলপুরী রেস্টুরেন্টে পাখির মাংস দিয়ে কিছু খেলাম। খেয়ে নৌকা করে হাদার পাড় বাজারের উদ্দেশে। নৌকা চলছে তো চলছে। একদিকে সাত পাহাড়, অন্যদিকে নিসর্গ, মাঝে মাঝে পাথরদ্বীপ। অন্ধকারের আধিক্যহেতু নিজের শরীর দেখা যায় না এমন সময় হাদার পাড় বাজারে এসে পৌঁছুলাম। সিএনজি করে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম।
কিন্তু মন আমার পড়ে আছে বিছনাকান্দির জলে যেখানে পাহাড়ের আস্তানা,
মন পড়ে আছে বিছনাকান্দির পাহাড়ে যেখানে মেঘ এসে বিশ্রাম করে,
মন পড়ে আছে বিছনাকান্দির মেঘে যেখান থেকে ঝর্ণা রঙ তুলে আনে।
ক্বীন ব্রীজ ধনুকের শরীরের মতো বাঁকানো। ব্রীজের উপরিভাগ পিঞ্জিরার মতো। এই ব্রীজে এখনো পাঁচ টাকায় দাস পাওয়া যায় যারা বসে থাকে ব্রীজের গোড়ায়। তাদেরকে ঠেলা বলা হয়। ব্রীজটি যথেষ্ট ঢালু হওয়াতে রিক্সা চালকের পক্ষে রিক্সা উপরে ওঠানো বেশ কষ্টসাধ্য। আর পেসেঞ্জার তো মহা মনিব। তাই রিক্সা যাতে ঢালু খাড়া ব্রীজপথ বেয়ে উপরে ওঠতে পারে সেইজন্য রিক্সার পেছন থেকে ধাক্কা দেয় এই ঠেলা।
ক্বীন ব্রীজের নিচের সুরমা নদী দেখলে অনুধাবন করা যায় নদীর স্রোতোকাহিনি। পানি যথেষ্ট ময়লা। তারপরও চোখের সাথে মনের সম্পর্ক তৈরি করে দেয় এই সুরমা নদীর জল।
সুরমা নদী, উপরে ক্বীন ব্রীজ, নদীর কিনারে চায়ের দোকান, ফাস্টফুড দোকান। ফাস্টফুডের সাথে এখনো আমার প্রিয় রসহ্য গড়ে ওঠে নি। তাই চা-ই খাচ্ছি। এক কাপ- দুই কাপ - তিন কাপ। ঠোঁটে গরম পানি, চোখে স্রোতোস্বিনী সুরমা, স্নিগ্ধ বিকালের চমৎকার মায়াবী কালার। তাইতো মনে পৃথিবীর প্রশান্তি। হঠাৎ চোখে পড়ে সুরমা রিভার ক্রুজ। টিকেট চারশত বিশ টাকা। সময় এক ঘন্টা। অত্যন্ত রুচিশীল খাবার তালিকা। এই ক্রুজের ভ্রমণবাসিন্দা হওয়া মানে ভিন্ন রকমের অনুভূতি। খাওয়া, সুরমা নদীর স্রোতে ভেসে থাকা। একজন নারী, একজন রমণী অঙ্গদুলালী গানও শুনাবে আপনাকে -- হাজার দর্শক মন মজায়া নাচে রে সুন্দরী কমলা। এই সুরমাপৃথিবীর কাছে চমৎকার একটি সন্ধ্যাসময় যাপন করলাম। চমৎকার।
প্রশান্তির বিছানা বিছনাকান্দি....
আম্বরখানা থেকে সিএনজিতে ওঠলাম। উদ্দেশ্য বিছনাকান্দি। রাস্তার দুপাশে নয়নাভিরাম দৃশ্য। যতই গভীরে যাচ্ছি মনে হচ্ছে এই বুঝি বিছনাকান্দি। কিন্তু না, মক্কা বহুত দূর হে। যা দেখছি তা যেন টুকরো টুকরো জান্নাত-- জল, সমুজ আর আকাশের মেলা। তোয়াকুল ইউনিয়নে যখন আমাদের সিএনজি তখন আমি প্রায় মাতাল।
ইয়া মাবুদ, আমি এ কী দেখছি!
আমার তখন মনে হয়েছে যারা প্রোফেসনাল কিলার তারাও যদি এই দৃশ্য দেখে তারা চিরদিনের জন্য ভালো হয়ে যাবে। ধর্ষকের সৌন্দর্যচেতনা বৃদ্ধি পাবে, নারীকে কেবল মাংস মনে হবে না।
বিছনাকান্দি আসলাম। গরম সিঙাড়া দেখলে আমি একটু লোভী হয়ে ওঠি। এখানে যে কয়েকটি দোকান আছে তা একেবারে সাধাসিধা। সিঙাড়া খেতে পারিনি। কারণ স্বাদ কেমন যেন নোনতা পানসে। এখান থেকে নৌকা দিয়ে মূল স্পটে যাওয়া যায়, আবার হেঁটেও যাওয়া যায়। হেঁটে রওয়ানা হলাম। গ্রামগুলো প্রকৃতি লালিত। প্রকৃতির বাতাসে ভেজা ঘ্রাণ।
গ্রাম পেছনে ফেলে আসার পর যা দেখলাম তা প্রকাশ করার ভাষা আমার কেন, কারোই নেই। সবুজ পাহাড়, রঙিলা আকাশ জোম হয়ে চোখের ভেতর চলে আসছে। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আমার কাছে পরিবর্তন হতে লাগলো। এতদিন সৌন্দর্য সম্পর্কে আমার যে ধারণা ছিল তা একেবারে পরিবর্তন হয়ে গেল। আমার দেহে আমার মন ছিল না। চাঁদ আর সূর্য যখন এক রেখায় চলে আসে তখন পৃথিবী থেকে জল ফিনকি দিয়ে বের হয়ে যেতে চায়, বিছনাকান্দির অসীম প্রিয়ার আহবানে আমার মনও দেহ থেকে ফিনকি দিয়ে বের হয়ে যায়।
বিছনাকান্দি আমার প্রথম প্রেমিকা যার জন্মের ইতিহাস কেউ জানে না, অনুমান করতে পারে, যার মৃত্যু কেউ কোনোদিন কামনা করে না।
পাহাড়, সবুজাভ পাহাড়। পাহাড়কে রঙিলা করে কখনো শুভ্র মেঘ, কখনো কালিয়া মেঘ, কখনো শিশির কনা। পাহাড়ের বুক-পথে জনবসতির মাটির দিকে নেমে আসছে ঝর্ণা।ঝর্ণা নয়, শাদা শাদা মেঘ যেন নেমে আসছে পৃথিবীর মানুষের কাছে। ঝর্ণা মানুষের জন্য নিয়ে আসে পাথরউপঢৌকন।
ঝর্ণার শীতল পানিতে বসে অনেক্ষণ ধ্যানস্থ ছিলাম। জল হয়ে পাহাড়ে গেলাম, পাহাড় থেকে মেঘে , মেঘ থেকে সাগরে, সাগর থেকে মহাসাগরে। মহাসাগরে গিয়ে দেখি চিরচেনা আমি। চোখ মেললাম। দেখি ঝর্ণার স্রোত থেকে পানি নিতে আসলো এক পাহাড়ি কন্যা। পাহাড়ি কন্যা দেখলেই কোনো এক গোপন ভালোলাগা তৈরি হয় আমার হৃদয়ের আকাশে, তারা কেবল পাখি হয়ে উড়ে, আর আমার পাখি পাখি মন তখন পাখিদের দলে। ঝর্ণার পাথরে বসে গান ধরলাম --
ও পাহাড়ি কন্যা
পিছু ফিরে দেখ না
একবার তুমি আমার।।
তোমার চোখের নজর যেন নয়
আকাশের তারা তেমনি হয়।।
জলের গায়ে শব্দ আটকে যায়। তারপরও মৃদু শব্দ পাহাড়ি কন্যার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে। পাহাড়ি কন্যা পর পর তিন বার জল নিতে আসলো। তারপর আর আসলো না। আমিও যেতে পারিনি, হতে পারিনি ধীরাজ। কারণ এখানে বাংলাদেশ, ঐখানে ইন্ডিয়া। আমাদের মাঝে দেশের সীমানা। সীমানা যারা তৈরি করে তারাই মানুষ হত্যা করে, সীমানা যারা প্রতিষ্ঠা করে তারাই প্রেমিকদের শত্রু, মানবতার ঘৃণ্য পুঁজ।
চলে আসবো এমন সময় শুরু হলো বৃষ্টি। বিছনাকান্দির বৃষ্টি একরকম দাহ্য অভিজ্ঞতা! এক ফালি শুভ্র মেঘ কী করে একফোঁটা বৃষ্টির জল হয়ে যায় সরাসরি দেখতে পেলাম। পাহাড়ের দিকে তাকালে দেখা যায় মেঘের আধিপত্য। মেঘের ফাঁকে সবুজ পাহাড় কালো হয়ে উঁকি দেয়। মেঘ, পাহাড়, ঝর্ণা, বৃষ্টি, পাথর আর আমি-- এক নতুন মানুষ।
অন্ধকার নেমে আসবে। জলপুরী রেস্টুরেন্টে পাখির মাংস দিয়ে কিছু খেলাম। খেয়ে নৌকা করে হাদার পাড় বাজারের উদ্দেশে। নৌকা চলছে তো চলছে। একদিকে সাত পাহাড়, অন্যদিকে নিসর্গ, মাঝে মাঝে পাথরদ্বীপ। অন্ধকারের আধিক্যহেতু নিজের শরীর দেখা যায় না এমন সময় হাদার পাড় বাজারে এসে পৌঁছুলাম। সিএনজি করে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম।
কিন্তু মন আমার পড়ে আছে বিছনাকান্দির জলে যেখানে পাহাড়ের আস্তানা,
মন পড়ে আছে বিছনাকান্দির পাহাড়ে যেখানে মেঘ এসে বিশ্রাম করে,
মন পড়ে আছে বিছনাকান্দির মেঘে যেখান থেকে ঝর্ণা রঙ তুলে আনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন