সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

যদি হতাম

ট্রেনজীবনের লক্ষ্য দৌড়। এবং দৌড়ানো তার চাকরি। ট্রেন দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে। তার লাগামহীন অস্থির জীবন।  মাঝে মাঝে  করুণ চাহনিতে বৃক্ষপরিবারের দিকে তাকায়।
ইস! আমি যদি বৃক্ষ হতে পারতাম। তার ''যদি হতাম'' কোনো দিন সফলইচ্ছার  সামনে আসেনি, আসার নয়।
বৃক্ষও ট্রেনের গতিময় জীবন দেখে অবাক বেবাক। কত দেশ ভ্রমণ করছে ট্রেন। আর  নিয়তি নিয়ম জন্মদিন থেকে মৃত্যুদিন পর্যন্ত আমাদেরকে এক জায়গার বাসিন্দা করে রেখেছে। বৃক্ষপরিবারের হাপিতোশ শেষ হয়না, শেষ হওয়ার না।
বৃক্ষ ও ট্রেনের এই অমীমাংসিত আকাঙক্ষার জীবন দেখে তৃতীয় সৃষ্টি জীবনের আরেক গল্প শোনায় আকাঙক্ষার গ্রামে। পাখি হতে চায়, প্রজাপতি হতে চায়। হতাম যদি রঙিন প্রজাপতি, ফুলে ফুলে মাখামাখি। কিন্তু ''যদি হতাম " অল্পসময়ের জন্যও যদির বলয় অতিক্রম করে বাস্তবতার মাঠে ফুটবল খেলে না, ফলে তাদের ঘিরে তৈরি হয় না প্রোফেসনাল দর্শক।
আসলে ''যদি হতাম", ''যদি হতে পারতাম " সৃষ্টির একটি গোপন প্রোগ্রাম! যে প্রোগ্রামটি প্রতিটি সৃষ্টিকে বিষন্নতা, অবসাদ, দুঃখ সরবরাহ করে থাকে।
 হ্যাঁ এই সরবরাহের কাজটিও প্রোগ্রামটির চাকরি, সেও কোনো না কোনো '' যদি হতাম " ভাইরাসে আক্রান্ত!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন