বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৪

তিলোত্তমা কোথায় লিলিথ নয়

লিলিথ। যায় আভিধানিক অর্থ ডাইনি। হ্যাঁ। ডাইনিটি এ্যাডামের মনকে ছন্নছাড়া করেছে। আজও এ্যাডাম লিলিথটানে উদাসীন। আমৃত্যু এ্যাডামের জীবনে লিলিথ অধরা। তাইতো এ্যাডামের প্রতিনিধি প্রত্যেক মানুষের জীবনে একজন লিলিথ থাকে যাকে সে পাই না। একজন ইভ থাকে যাকে নিয়ে সে সংসার করে।
এ্যাডামের একা একা ভালো লাগে না। দেহসাথী প্রার্থনা করা হলো। আবেদন মঞ্জুর। সমস্ত সৌন্দর্যের সার বস্তু থেকে তৈরি করা হলো লিলিথকে । সুন্দরী লিলিথ বড় বেশি অহংকারী। মিলনক্ষণে এ্যাডামের নিচে শোতে তার আপত্তি। এ্যাডাম লিলিথকে বাধ্য করতে চায়। কিন্তু লিলিথ বাধ্যগত হওয়ার না। ফলস্বরূপ দুজন দুপথে দুভাবে! শেষ হয় তাদের মিলনস্পর্শ। শুরু হয় বিরহ স্পর্শকাতরতা।
লিলিথ-এ্যাডাম এই কাহিনিপ্রবাহটি মেসোপটেমিয়া হিব্রু মিথলজির অংশবিশেষ।
ভারতীয় কিচ্ছা-কাহিনিতেও একজন লিলিথ সজ্জিত সজীব। এখানকার লিলিথের নাম তিলোত্তমা। বিশ্বকর্মা সৌন্দর্যের মাখনে  তিলে তিলে তাকে গড়েছেন। পুরুষের অর্ধঅংশ হতে নয়। কামবাসনার লোভাতুর  আধার । সুন্দ আর উপসুন্দকে হত্যা করার এটমবোমা । তার রহস্য জালে অসুরদ্বয় বন্দী। সর্বশেষ সংবাদ সুন্দ, উপসুন্দ মৃত। তিলোত্তমা জীবিত। তাকে সূর্যপথে  রাখা হয়েছে। সূর্যালোকের আধিক্যে তাকে আমরা দেখতে পাই না।
ভারতবর্ষের পুরুষ সূর্যের প্রতিনিধি। তিলোত্তমারা তাদের আলোর ছায়া।
কোনো চোখ পুরুষেআলো ভেদ করে নারীমঞ্চ দেখতে পায় না। এখানে তিলোত্তমারা "নটবরের মা "মানছুরার মা "; পণ্য বিজ্ঞাপনের পণ্য!
আর লিলিথ স্বাধীনচেতা নারী।
ঈশ্বরকেও যে বড়ো আঙুল দেখানোর সাহস রাখে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন