শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

তা রানি

হ্যালো ...
আফনে কৈ?
কেরে! কোনো দরহার আছে
আম্মা কইছিন আমারে স্টেশনে দিয়া আইতেন
রেডি অও, আমি আইতাছি ....
তারাচান রোকেয়া হলের সামনে। তারানি আসবে। তাকে নিয়ে যাবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। তারানি আসে। চোখে-মুখে রাগমুখী উত্তেজনা। গেরুয়া রাগ। তবে তা ঠোঁটের লিপস্টিকের মতো ভাসমান নয়। আবিষ্কারের সুযোগ হাতছানি দেয়। অনেক কিছু জেনেও কিছুই জানে না তারাচান!
অহন বাড়ি যাইতাছো কেরে?   ট্রেনে যদি বোমা ফোডে!  ককটেল বোমা!
মরলেই ভালো অইবো, আমার আম্মা খুশি অইবো। আম্মারে খুশি করতাম যাইতাছি। বিয়া! ডিব্বা দেখছে, ডিব্বার রং দেখছে না।।
তারানিকে দেখতে আসবে। কোরবানির গরুকে যেমন করে দেখে। হাত দেখবে, পা দেখবে, চুল দেখবে। আবার মুসলমানী মুরুব্বিরা বলবেন
  মা, কলেমা ফারো, একটু হনাও তো
দেখে-শুনে গৃহপালিত মনে হলে মহলের বাসিন্দা বানাবে।
তারানি তো বন্য। সভ্য সমাজ তার হিমোগ্লোবিন বিরোধী। ডেক- ডেস্ককির মাস্টার হওয়া তার  রুচিবোধের শত্রু।  তবুও বুকে জমানো একটা মেঘ তার ঠোঁটে কম্পন তোলে
   আল্লা কেরে ফোলা বানাইছে না, মাইয়্যা অইয়া ভুল অইছে 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন