শুক্রবার, ১২ জুন, ২০১৫

হাগু

আমার বন্ধু প্রযুক্তি আর আমি ওয়েস্টেন হোটেলে গেলাম। নতুন জায়গায় যেতে ভালো লাগে যদি তা মিউজিয়াম জাতীয় কোনো জায়গা না হয়। মিউজিয়ামকে পুরনো দিঘি মনে হয়। আর দিঘিতে তো স্নান করা যায় না। একসময় করতাম যখন নদীতে স্নান করার স্বাদ আস্বাদন করিনি।

বন্ধু আমার সেলুনে প্রবেশ করল, চুলমিস্ত্রি ভালো করে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে যত কাজ করা যেতে পারে সবই করল। তার জন্য চুলমিস্ত্রি বিল ধার্য করল পাঁচ হাজার টাকা মাত্র। পরে জুতা কালি করাতে সময়ের আরও কিছু বয়স হল। মাইনে ধার্য হলো সাত শত টাকা। পরে আমি আর আমার বন্ধু দুটি কফি নিলাম। বিল আসলো আটত্রিশ শত টাকা।
হিসাব কষে দেখলাম এক ঘণ্টায় আমার বন্ধুর মনিহারি খরচ প্রায় দশ হাজার টাকা। একদিনে প্রায় এক লক্ষ টাকা। এক মাসে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা।

 ছোট্ট কালের কিছু সময়ের বন্ধু জসীম। সে এখন রিকসা চালায়। দৈনিক ইনকাম তিন শত টাকা। তিন বেলা ভালোভাবে খাবারের ব্যবস্থা করতেই সে হিমসিম খায়। আর্থিক অনটনের কারণে সেনেটারি টয়লেটের ব্যবস্থা করতে পারেনি জসীম। প্রকৃতির উন্মুক্ত পরিবেশ তার টয়লেট।

জসীমের হাগু পানিতে, বায়ুতে মিশে যায়। আমার ধনাঢ্য বন্ধু হয়তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে শুয়ে আছে। কিন্তু বায়ু ঐ রুমেও পৌঁছে যায়। ফলে বায়ুর মাধ্যমে জসীমের হাগু আমার ধনাঢ্য বন্ধুর নাক দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে।

এসি গাড়িতে বসে আমার ধনাঢ্য বন্ধু মাম পানি পান করে। এই মাম পানিতেও মিশে আছে জসীমের হাগু।
কোনোভাবেই জসীমের হাগু থেকে পরিত্রান পাবে না আমার ধনাঢ্য বন্ধু প্রযুক্তি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন