মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫

শ্রমিক এবং লেখক

একটি আলোর কণা পেলে
লক্ষ প্রদীপ জ্বলে
একটি মানুষ মানুষ হলে
বিশ্ব জগৎ টলে

লেখাটি কার আমি জানি না, তবে লেখাটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি। লেখা তো এমনই হওয়া চাই,  জীবনের মতো উর্বর। লেখা মানে আমি মনে করি উন্নত কথা। যে কথা আইডিয়াবাহী, যে আইডিয়া জীবন বদলে দিতে পারে, জীবনকে নিয়ে যেতে পারে সত্য, সুন্দর, মহিমায় পৃথিবীর দিকে। একটি জীবন যদি অন্য জীবনের কাজে না আসে,  তাহলে সেই জীবনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। জীবনের প্রয়োজন কেবলই জীবনের কাছে।

লেখা তো সূর্যের কিরণোৎসব যা সূর্যের মতো লেখকের জৈবিক কাজ।

তবে লেখাধরা আর মাছধরা এক কথা নয়, মাছ থাকে জলের নিচে যা ধরার জন্য জেলেমন হলেই যথেষ্ট, আর লেখা থাকে বোধের নিচে যার জন্য প্রেমআগ্রহ এবং লেখকমন থাকা আবশ্যক।

বুদ্ধিকে যাঁরা জীবিকার মাধ্যম হিশাবে বেছে নেন তাঁরা শ্রমিক। শ্রমিকের একটি সুবিশাল গুরুত্ব সমাজে আবশ্যিকভাবে রয়েছে তবে লেখকের অবস্থান অন্য রকম -- খুব বেশি মানবিক। বুদ্ধিজীবী মনে করেন বেঁচে থাকার জন্য `বুদ্ধি' তাঁর পণ্য, কিন্তু লেখক মনে করেন বাঁচিয়ে রাখার জন্য লেখাটি তাঁর উপকরণ।

শ্রমিক আর লেখকের জন্য সমাজ এখনো বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন