ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালি শব্দটি কয়েকটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। হালি মানে শুন্য। হালি মানে চার। হালি মানে মাত্র।On eating I call you~ খাওয়ার পর পরই আমি তোমাকে কল দিলাম বা হালি খাওয়া শেষ করলাম এমনি তোমারে কল দিলাম।
শহরের আগে যখন হালি শব্দটি যুক্ত হয়ে হালিশহর হয় তখন আমাকে একটু থেমে কথা বলতে হয়। হালিশহরে একটি জায়গার নাম বৌবাজার, আরেকটি জায়গার নাম পানির কল। নামদ্বয় ভালো লেগেছে।
বৌবাজারে কী বৌ বিক্রি করা হতো?
ছুটির দিন এইসব বাজারে মাইয়্যা ফোয়া বাজার করতে আসে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার অথবা বিয়েসামগ্রীর বউ রিলেটেড মালামাল এখানে পাওয়া যায় বেশ করে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার। বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গার নাম হয়ে যায়, রাখা হয় না।
হালিশহরে কোনো বৌকে রাস্তাঘাটে তেমন দেখি নাই। তাদের জন্ম হয়েছে কেবল ঘরের অলঙ্কার হয়ে থাকার জন্যে। তাই অলঙ্কার মোড়ে গিয়ে আমাকে থেমে যেতে হয়। আমাকে ধুলাবালির মাস্তানি দেখে ভাবতে হয় এ কোন দেশে আইলাম ভাই!
দিল্লী শহর প্রথমে দেখে আমাকে বিস্মিত হতে হয়েছে। কোনো পজেটিভ কারনে নয়, নোংরা পরিবেশের কারনে। দিল্লীর অনেক জায়গা শহরের মতো সাজানো সুন্দর, অনেক জায়গা চট্রগ্রাম শহরের মতো অগোছালো, দৃষ্টিবালিময়।
রানী রাসমনি বারুনী স্নান ঘাট আমাকে আনন্দ দেয়। জীবনে প্রথম দেখলাম কেমন করে সূর্য আস্তে আস্তে জলের নিচে নিজের মুখ লুকায়। ভদ্রলোকরা যাকে সান সেট বলে আমি তাকে বলি রানওয়ে। সময়ের রানওয়েতে সূর্য আস্তে আস্তে ছায়ার আড়ালে চলে যায়। দৃশ্যটি খুবই নির্মম খুবই বাস্তব খুবই সত্য।
দক্ষিন কাট্টলীর মানুষ অনেকটা রেগে থাকা লাতার মতো, আন্তরিকতার গভীর কোনো ছাপ নাই। জাইল্লা পাড়ায় কিছু সনাতনী বাচ্চাকে দেখি মোনাজাত করতে আর আল্লার নাম জপ করতে। আমি অবাকই হয়েছি। আবার অবাক তেমন হয়নি। কারন আমার জানা আছে প্রভাব ভাইরাসের কথা। প্রভাব ভাইরাসের কারনে লোহাও জলে ভাসে। এই জাইল্লা পাড়ায় ত্রিনাথ ঠাকুর তত শক্তিশালী নহে যত শক্তিশালী বেলায়াতে রাসুল।
ফয়েজ লেকের আরিফের কথা মনে ভাসে। ফয়েজ লেকের সুন্দর দ্বীপ দোকানটির চালক সে। ছেলেটি চমৎকার হাসে। ফয়েজ লেকের পাহাড়ি জলের মতো মনোলোভা তার হাসি। কিন্তু তার মনে বড় দুঃখ কেন সে গরীবের ঘরে জন্ম নিল কেন সে পড়াশোনা করতে পারিনি।
এই দেশের প্রতিটি মানুষ দুঃখের ভার বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের হাজার রকমের দুঃখ। কারো দুঃখ বেলুন টাইপের, কারো দুঃখ সবুজ রঙের, কারো দুঃখ খেলনা ঢঙের। দুঃখ যেন এখনকার মানুষের একটি অদৃশ্য গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ।
আরে ভাই এতো কষ্ট কেরে? পথ থেকে সরে গিয়ে ছদ্মবেশে দেখা যায় প্রিয়নাথের মুখ যদি দেখাই শান্তির কারন হয় এবং ভালোবাসা হয় জীবনের নাম। জীবনের দিকে ভালো করে তাকাতে পারলে সে চমৎকার আলো দেয়, তখন জীবনের ফাঁকে ফাঁকে জমা হওয়া দুঃখজল শুকিয়ে যায় অনায়াসে, অনায়াসে তখন বলা যায় লাইফ ইজ শান্তি ইন নো সিজন লেন্ড।
শহরের আগে যখন হালি শব্দটি যুক্ত হয়ে হালিশহর হয় তখন আমাকে একটু থেমে কথা বলতে হয়। হালিশহরে একটি জায়গার নাম বৌবাজার, আরেকটি জায়গার নাম পানির কল। নামদ্বয় ভালো লেগেছে।
বৌবাজারে কী বৌ বিক্রি করা হতো?
ছুটির দিন এইসব বাজারে মাইয়্যা ফোয়া বাজার করতে আসে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার অথবা বিয়েসামগ্রীর বউ রিলেটেড মালামাল এখানে পাওয়া যায় বেশ করে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার। বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গার নাম হয়ে যায়, রাখা হয় না।
হালিশহরে কোনো বৌকে রাস্তাঘাটে তেমন দেখি নাই। তাদের জন্ম হয়েছে কেবল ঘরের অলঙ্কার হয়ে থাকার জন্যে। তাই অলঙ্কার মোড়ে গিয়ে আমাকে থেমে যেতে হয়। আমাকে ধুলাবালির মাস্তানি দেখে ভাবতে হয় এ কোন দেশে আইলাম ভাই!
দিল্লী শহর প্রথমে দেখে আমাকে বিস্মিত হতে হয়েছে। কোনো পজেটিভ কারনে নয়, নোংরা পরিবেশের কারনে। দিল্লীর অনেক জায়গা শহরের মতো সাজানো সুন্দর, অনেক জায়গা চট্রগ্রাম শহরের মতো অগোছালো, দৃষ্টিবালিময়।
রানী রাসমনি বারুনী স্নান ঘাট আমাকে আনন্দ দেয়। জীবনে প্রথম দেখলাম কেমন করে সূর্য আস্তে আস্তে জলের নিচে নিজের মুখ লুকায়। ভদ্রলোকরা যাকে সান সেট বলে আমি তাকে বলি রানওয়ে। সময়ের রানওয়েতে সূর্য আস্তে আস্তে ছায়ার আড়ালে চলে যায়। দৃশ্যটি খুবই নির্মম খুবই বাস্তব খুবই সত্য।
দক্ষিন কাট্টলীর মানুষ অনেকটা রেগে থাকা লাতার মতো, আন্তরিকতার গভীর কোনো ছাপ নাই। জাইল্লা পাড়ায় কিছু সনাতনী বাচ্চাকে দেখি মোনাজাত করতে আর আল্লার নাম জপ করতে। আমি অবাকই হয়েছি। আবার অবাক তেমন হয়নি। কারন আমার জানা আছে প্রভাব ভাইরাসের কথা। প্রভাব ভাইরাসের কারনে লোহাও জলে ভাসে। এই জাইল্লা পাড়ায় ত্রিনাথ ঠাকুর তত শক্তিশালী নহে যত শক্তিশালী বেলায়াতে রাসুল।
ফয়েজ লেকের আরিফের কথা মনে ভাসে। ফয়েজ লেকের সুন্দর দ্বীপ দোকানটির চালক সে। ছেলেটি চমৎকার হাসে। ফয়েজ লেকের পাহাড়ি জলের মতো মনোলোভা তার হাসি। কিন্তু তার মনে বড় দুঃখ কেন সে গরীবের ঘরে জন্ম নিল কেন সে পড়াশোনা করতে পারিনি।
এই দেশের প্রতিটি মানুষ দুঃখের ভার বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের হাজার রকমের দুঃখ। কারো দুঃখ বেলুন টাইপের, কারো দুঃখ সবুজ রঙের, কারো দুঃখ খেলনা ঢঙের। দুঃখ যেন এখনকার মানুষের একটি অদৃশ্য গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ।
আরে ভাই এতো কষ্ট কেরে? পথ থেকে সরে গিয়ে ছদ্মবেশে দেখা যায় প্রিয়নাথের মুখ যদি দেখাই শান্তির কারন হয় এবং ভালোবাসা হয় জীবনের নাম। জীবনের দিকে ভালো করে তাকাতে পারলে সে চমৎকার আলো দেয়, তখন জীবনের ফাঁকে ফাঁকে জমা হওয়া দুঃখজল শুকিয়ে যায় অনায়াসে, অনায়াসে তখন বলা যায় লাইফ ইজ শান্তি ইন নো সিজন লেন্ড।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন