শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬

গজপ্রতি

ঘুমিয়ে ছিলাম। চোখ বন্ধ। চোখে সজাগ দৃষ্টি। মন চোখের আগেই সজাগ হয়ে গেলো। জানালা দিয়ে সোজা আকাশের দিকে। অনেক আলো চাঁদের গতরে। অনেক আলোই চাঁদের একাকীত্বের বিজ্ঞাপন করেছে। আমি অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছি। আমার একাকীত্বের কোনো বিজ্ঞাপন নেই।

শুয়ে শুয়ে চাঁদ দেখার আনন্দই আলাদা-- আনন্দ মনের মাঠে আন্দোলন করে। তাদের মতো অনেক টাকার মালিক হলে ছাদ দিয়ে আকাশ দেখা যায় এমন ব্যবস্থা করবো।

গরীবের ছাদের নাম অবশ্যই আকাশ। গরীবের ছাদ দিয়ে সব কিছু সোজা সোজা আসে-- বিষ্টি কিংবা রইদ। গরীবের রোগ হলেও সোজা মৃত্যুর দেশে চলে যায়। মাঝখানে চিকিৎসা, হাসপাতাল, ডাক্তার, আইসিও এমন কোনো মিডিয়া নাই। গরীবের সব কিছু সোজাসাপ্টা।

টাকাওয়ালারা কী আমার মতোই  আকাশ দেখে, অন্ধকার ঘরে মাঝরাতে, একা একা, শুয়ে শুয়ে?

তাদের আকাশ দেখার, চাঁদ দেখার প্রয়োজন হয় না। তাদের রুমেই আকাশ, চাঁদ বসানো থাকে। ইচ্ছা হলেই তারা আকাশ আর চাঁদ একসাথে পায়।

আমরা গরীব, আমাদের আকাশে ইচ্ছাকৃত চাঁদ তাহে না, আমাদের চাঁদ ইচ্ছাকৃত আকাশে তাহে না। অধীনস্ত জীবন আমাদের। আমাদের প্রেম কাম যম ধন সব কিছু উপরওয়ালার হাতে। তার ইচ্ছা হলেই শ্রীনিধির কুলে একটু তীরের দেখা পাই, মাঝরাতে একটু চাঁদের দেখা পাই অন্ধকার ঘরে একা একা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন