থাকি পূর্বপল্লী গেস্ট হাউজে। রুম নাম্বার দুইশত চব্বিশ। শান্তিনিকেতনে পূর্বপল্লী গেস্ট হাউজটি অনেকটা গাছঘেরা দ্বীপ। শান্তিনিকেতনে একটি জীবিত নদীর খুব দরকার ছিল। তাহলে আশ্রম মানসিকতা হতো তরল ছন্দময়। এখনো তাদের জীবনে যথেষ্ট ছন্দ আছে তবে কেবল গাছময়, ছায়াময়।
নদী বয়ে চলার ছন্দ শেখায়, নদী শেখায় ভাঙনের মধ্য দিয়েও কেমন করে বেঁচে থাকা যায়, ভালোবাসা যায়, নদী মাঝে মাঝে উত্তাল হয় কিন্তু ঘৃনাশিক্ষা নদীজীবন কাউকেই দেয় না।
আমার রুমটা ছোট্ট। বনসাই ছোট্ট হলেও দৃশ্যমান সৌন্দর্যের ঘাটতি থাকে না। বনসাই বৃক্ষের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য মানুষের হাতের স্পর্শকানন।
রুমের জানালা দিয়েই দেখা যায় কে আসতেছে, কে যাচ্ছে। তাছাড়া রুমে থাকা মানে জানালার দিকে আমার দৃষ্টি থাকতোই। রাস্তা গতির প্রতীক, মানুষের মনকে নিথর স্থিতিশীলতা যেমন আকর্ষন করে তেমনি সরব গতিশীলতাও খুব করে তার দিকে টানে।
আজকে জানালার দিকে তাকাতেই বার বার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কথা মনে হচ্ছে। দাদাকে আমি চিনি তথ্যসূত্রে। দাদা তাঁর স্বনামেই খ্যাত তবে বিখ্যাত কেউদের দলে তিনি হয়তো নন যতটুকু জেনেছি।
হঠাৎ দেখি তিনি আসছেন। আনন্দিত হলাম। নিচে রেস্টুরেন্ট। নিচে গেলাম। তিনি খেতে বসলেন, তার পাশে বসি। আমি তাঁকে চিনেছি কিন্তু তিনি হয়তো আমাকে চিনতে পারেননি, চিনতে পারলে অন্তত ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করতেন। কারন তিনি ইগো দিয়ে তৈরি না, মাটি দিয়ে তৈরি আমার বিশ্বাস।
দাদার আর আমার মাঝখানে মিষ্টি রাখা, তা অবশ্যই দাদাকেই দেয়া হয়েছে। কারন চিন্টুর কাছে আমি মিষ্টি চাইনি। তারপরও আমার ইচ্ছা আমি দাদাকে দেয়া মিষ্টিটাই খাবো।
খাবার শেষ হলে মিষ্টি খাওয়ার রেওয়াজ বাঙালি সমাজে। আমার আগেই দাদার খাবার শেষ হবে। দাদাকে দেয়া মিষ্টিটা খাওয়ার ইচ্ছা যখন শতভাগ স্থির করি তখনই দাদা মিষ্টিপ্লেটটা আস্তে করে তাঁর সীমানায় নিয়ে গেলেন, দাদার খাবার কিন্তু শেষ হয়নি। বিষয়টি এমন যে মিষ্টিপ্লেট আমার এটা নিয়ে বন্টন চলবে না। অবাক হওয়ার মতো কথা হলো মনে ঘটে যাওয়া মুহূর্তফলের সাথে বাইরের আবাদি আচরন সরাসরি মিলে যাবে কেন তাও আবার বেটেবলে!
আমিও মিষ্টিটা দাদার সীমানা থেকে আমার সীমানায় নিয়ে আসি, মিষ্টি খাচ্ছি খাবারও খাচ্ছি। সরি দাদা বাঙালি খাবারনীতি মানতে পারিনি।
দাদা আমাকে কিচ্ছু বলেনি, শুধু চিন্টুকে আরেকটি মিষ্টিপ্লেটের অর্ডার দেন। এবার দাদাও মিষ্টি খাচ্ছে, আমিও খাচ্ছি। আমার আর দাদার মাঝখানে কেবল দেয়ার বিষয় আর নেয়ার বিষয়টি নদীর মতো গতিশীল হয়ে থাকলো।
ছয় মাস পর আবার যখন শান্তিনিকেতনে যাই তখন(!)মেলার মাঠের পাশে দাদার সাথে অনেক্ষকন কথা চলে। আমরা যে গাছের নিচে দাঁড়ানো ছিলাম ঠিক তার উপরে ছিল আকাশ, আকাশ থেকে বর্ষারোদ গাছের পাতাকে ফাঁকি দিয়ে নেমে আসে আমাদের চোখেমুখে। তবুও ক্লান্তিহীন অভিমুখে আমাদের কথাভ্রমন চলতেই থাকে। কথা বলতে বলতে মানব দা ভুলে গেলেন তাঁর প্রাত্যহিক ডিউটির কথা, আমিও ভুলে গেলাম শান্তিনিকেতনে আসলে কোনো নদী নেই এমন দৃশ্যের প্রবাহকল্পনার কথা
নদী বয়ে চলার ছন্দ শেখায়, নদী শেখায় ভাঙনের মধ্য দিয়েও কেমন করে বেঁচে থাকা যায়, ভালোবাসা যায়, নদী মাঝে মাঝে উত্তাল হয় কিন্তু ঘৃনাশিক্ষা নদীজীবন কাউকেই দেয় না।
আমার রুমটা ছোট্ট। বনসাই ছোট্ট হলেও দৃশ্যমান সৌন্দর্যের ঘাটতি থাকে না। বনসাই বৃক্ষের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য মানুষের হাতের স্পর্শকানন।
রুমের জানালা দিয়েই দেখা যায় কে আসতেছে, কে যাচ্ছে। তাছাড়া রুমে থাকা মানে জানালার দিকে আমার দৃষ্টি থাকতোই। রাস্তা গতির প্রতীক, মানুষের মনকে নিথর স্থিতিশীলতা যেমন আকর্ষন করে তেমনি সরব গতিশীলতাও খুব করে তার দিকে টানে।
আজকে জানালার দিকে তাকাতেই বার বার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কথা মনে হচ্ছে। দাদাকে আমি চিনি তথ্যসূত্রে। দাদা তাঁর স্বনামেই খ্যাত তবে বিখ্যাত কেউদের দলে তিনি হয়তো নন যতটুকু জেনেছি।
হঠাৎ দেখি তিনি আসছেন। আনন্দিত হলাম। নিচে রেস্টুরেন্ট। নিচে গেলাম। তিনি খেতে বসলেন, তার পাশে বসি। আমি তাঁকে চিনেছি কিন্তু তিনি হয়তো আমাকে চিনতে পারেননি, চিনতে পারলে অন্তত ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করতেন। কারন তিনি ইগো দিয়ে তৈরি না, মাটি দিয়ে তৈরি আমার বিশ্বাস।
দাদার আর আমার মাঝখানে মিষ্টি রাখা, তা অবশ্যই দাদাকেই দেয়া হয়েছে। কারন চিন্টুর কাছে আমি মিষ্টি চাইনি। তারপরও আমার ইচ্ছা আমি দাদাকে দেয়া মিষ্টিটাই খাবো।
খাবার শেষ হলে মিষ্টি খাওয়ার রেওয়াজ বাঙালি সমাজে। আমার আগেই দাদার খাবার শেষ হবে। দাদাকে দেয়া মিষ্টিটা খাওয়ার ইচ্ছা যখন শতভাগ স্থির করি তখনই দাদা মিষ্টিপ্লেটটা আস্তে করে তাঁর সীমানায় নিয়ে গেলেন, দাদার খাবার কিন্তু শেষ হয়নি। বিষয়টি এমন যে মিষ্টিপ্লেট আমার এটা নিয়ে বন্টন চলবে না। অবাক হওয়ার মতো কথা হলো মনে ঘটে যাওয়া মুহূর্তফলের সাথে বাইরের আবাদি আচরন সরাসরি মিলে যাবে কেন তাও আবার বেটেবলে!
আমিও মিষ্টিটা দাদার সীমানা থেকে আমার সীমানায় নিয়ে আসি, মিষ্টি খাচ্ছি খাবারও খাচ্ছি। সরি দাদা বাঙালি খাবারনীতি মানতে পারিনি।
দাদা আমাকে কিচ্ছু বলেনি, শুধু চিন্টুকে আরেকটি মিষ্টিপ্লেটের অর্ডার দেন। এবার দাদাও মিষ্টি খাচ্ছে, আমিও খাচ্ছি। আমার আর দাদার মাঝখানে কেবল দেয়ার বিষয় আর নেয়ার বিষয়টি নদীর মতো গতিশীল হয়ে থাকলো।
ছয় মাস পর আবার যখন শান্তিনিকেতনে যাই তখন(!)মেলার মাঠের পাশে দাদার সাথে অনেক্ষকন কথা চলে। আমরা যে গাছের নিচে দাঁড়ানো ছিলাম ঠিক তার উপরে ছিল আকাশ, আকাশ থেকে বর্ষারোদ গাছের পাতাকে ফাঁকি দিয়ে নেমে আসে আমাদের চোখেমুখে। তবুও ক্লান্তিহীন অভিমুখে আমাদের কথাভ্রমন চলতেই থাকে। কথা বলতে বলতে মানব দা ভুলে গেলেন তাঁর প্রাত্যহিক ডিউটির কথা, আমিও ভুলে গেলাম শান্তিনিকেতনে আসলে কোনো নদী নেই এমন দৃশ্যের প্রবাহকল্পনার কথা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন