বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

চার্জ

চার্জ শেষ হয়ে যাবে
চোখের নিচে জমা থাকবে ফোঁটা ফোঁটা ইচ্ছা।
সূর্যতাপে হৃদয় গলে যাওয়ার আগে চলে যাবো কোনো এক শীতের দেশে।

মানুষ মারা গেলে মনে পড়ে কেউ কেউ বেঁচে  আছে
কেউ হাসে
কেউ ভাসে
কেউ নাচে
কেউ আবার চোখের জলে চোখ আঁকে। 

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬

ঝপাঝপ

সব কথা যদি ব্যক্ত হয়ে যায়
শিকারি অনুভূতি পালাবে কোথায়?
আমি বরং চুপিচুপি দরজায় কান পাতি
পাখা মেলে উড়ে যাবো দূর অজানায়।
কিছু কথা ফল হয়ে
কিছু কথা ফুল হয়ে
কিছু কথা পাখি হয়ে
জমা রবে গাছে ডালে পাখির ডানায়।   

গীত

আপনি হয়তো অন্ধকারে বসে অন্ধকারের গীবত করছেন, কিন্তু লোকটি মোমবাতি জ্বালিয়ে হলেও আলোর চাষ করে যাচ্ছে 

স.চ

আমার বরং বেয়াদব হতে ভালো লাগে
সূর্যের মতো সটান চোখে তাকাতেই ভালো লাগে
সবদিকে আদব, আদব আর আদম
বাপরে বাপ!

আজকাল বেয়াদবের গালিও বেয়াদব
মূর্খের গালিও মূর্খ

সম্মানিত যাঁরা আছেন তাঁরা পরকালের মতো ইহকালের ভয় দেখান, তিনি যেন জেলরক্ষক আর আমি তার পোষা আসামি।

তোমার কাছে কী বলা যায় আমার কোনো স্বাধীনতা নেই? তাহলে তুমি কাঁদবে।

আমার কাছে কী বলা যায় আমার কোনো স্বাধীনতা নেই? তাহলে আমাকে বেয়াদব হতে হবে, হতেই হবে বেয়াদব।

আদবদের কারখানায় জ্বলবে আমাদের আগুন
আদবের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে কদর্যফুল 

সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৬

ফুরিয়ে

প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে অভিমান আর অভিমান, পাথর জানে না হৃদয়ের দাম 

জ..

আল্লা যারে ধন দিছে তারে মন দেয় নাই, যারে মন দিছে তারে ধন দেয় না। গ্রামের মানুষ এই কথাটি প্রায় বলে, বলে তারা শান্তি পায়। শান্তি পাওয়ার অধিকার বোকা চালক বুঝে না, পাওয়াটা আসল কথা।

আমগো মুসা নবী একদিন আল্লারে জিগাইছে, আচ্ছা আল্লা, তুমি কাউকে বানাইলা রাজা, কাউকে প্রজা, কাউকে মনিব আবার কাউকে দাস -- এমন করলা কেরে?

আল্লা ক তাইলে সবারে সমান বানাই দেই?

মুসা নবী ক আইচ্ছা।

আল্লা একটি শর্ত দিলেন মুসা নবীকে। আর তা হলো সবাইকে এক দুপুরে দাওয়াত দেয়া, খাবারের দাওয়াত।

মুসা নবী সবাইকে এক দুপুরে খাবারের দাওয়াত দিলেন।

নিদিষ্ট দিন সবাই খাবার খেতে আসলো কিন্তু মুসা নবী খাবার প্রস্তুত করতে পারলেন না।

কারন সবার পকেটে অর্থ আছে, কেউ বাবুর্চি হতে চায়নি,
কারন সবার পকেটে অর্থ আছে কেউ কাঁচামাল বহন করে মুসা নবীর বাড়ি পর্যন্ত আনতে সম্মত হয় নি।

তারপর আল্লা আবার মুখ খুললেন। মুসা নবীকে বললেন, দেখেছো মুসা, কেন আমি রাজা প্রজা দাস মনিব তৈরি করেছি! মুসা নবী এই বিষয়ে আর কোনো কথা বললেন না।


কাল মার্ক্স এই বিষয়ে আপনার কোনো কথা আছে কী? 

.ব

তুমিও বেশ আছো
আমিও বেশ আছি
তোমার ভালো থাকা দেখে
আমি ভালো থাকা শিখি।

কত সুন্দর পরিবেশে পাতাচোরা আলোয় গন্ধমাখা দিন তোমার।

একটি বিকালের কাছে নরম একখান ফুরফুরে মেজাজ চাওয়া আমার, একটি নদীর মাঝে বাঁশিবাদক একজন মাঝি হলেই চলবে, দূর্বাঘাসে বসে অলস আসনে দক্ষিনা বাতাসের কাছে কিছু সুখ চাইবো।

পথভোলা সন্ধ্যায় ডালুম পেঁচার মতো চেয়ে  চেয়ে তোমার সুখ কিনে নিবো, ঘুঘুর মতো ঠিক সকালে তোমার কানের নিচে ডাকের আড্ডা দিবো, সুখের মতো ঠিক একদিন সুখ দেখে নিবো।

ভালো আছি জেনো
মান্যবর কোনো প্রার্থনা নেই আমার

প্রিয় চাঁদ, আর কত বিতরন করবে রূপের আতর চুপচাপ?
কথার পৃথিবী চায় কথার বৃষ্টি টুপটাপ

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

গ...

প্রেমিকার ঠোঁটে শুধু লিপস্টিক থাকে না, গালিও থাকে 

দ.

কনফার্ম হৃদয় চিনে কনফার্ম হৃদয়, পালতোলা নৌকা জানে বাতাসসময় 

চ...

 বিশ্বের সব কিছু কক্ষপথে চলে, আমিও।

ইচ্ছা চুম্বক শক্তি হিসাবে কাজ করে, ফলে ইচ্ছা তার মূলের দিকে ধাবিত হতে থাকে।
যা কিছু হবে ইচ্ছাশক্তি অনুযায়ী হবে, যা কিছু হবে না তা ইচ্ছাশক্তিকে ছিল না।

মানুষের কক্ষপথের নাম ইচ্ছা। 

ঘন.

বহুল পাতারও একখান কথা থাকে
জীবিত গাছেরও কিছু কথা রয়েছে

প্রোফাইল পিকচারে ঝুলে থাকে ব্যক্তিগত কথা, সুখবোধ, আনন্দ
কালো চুলের আয়েসভের মাছের জালে ধরা দেয় না
তবে জালে আটকা পড়ে প্রাকৃতিক দাম্পত্য

মৃত পাতার রং ভুলে যায় বদল, ভুলে যায় নকল
নকলে নকলে টিকে আছে জীবন, ডাক্তার, বিজ্ঞানী , আইনস্টাইন
বাবুই পাখির ঘরে মৃত পাতার মহরত অযথা অযথা শিল্পের আওয়াজ

জীবন ঘন হয়ে বসবাস করে আশার ভেতর জলের মতো
ডাক্তার ভুলে গেছে গাছের কথা মৃত পাতার মনত্রী
বিনয় ভালো নেই প্রিয়তমা আমার, ও আমার গায়ত্রী

আমার দেহের মাটিতে ছিল সুস্থ কৃষক, ইঞ্জিনিয়ার, বাবুর্চি থেকে বিপ্লবী
তোমার পাতারা ভালো নেই,
নেই ভালো বাবুই পাখির নিশুতি ঘর
ফুল চায় মরে গিয়েও সাজাতে বাসর 

শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬

চ.কম

চাঁদের যৌবন জানতে সাগরকে কেন ডেকেছিলে প্রিয়?
এতোই যদি মান অভিমান চাঁদ হয়ে কেন এসেছিলে ঘরে আমার?

লোনা পানির মাছে থাকে স্রোতের ফেনা
হাতের নিচে থাকে হাজারো ছায়া,
চাঁদের মুখে কলঙ্ক লেপ্টে দিয়েছে তারা লোনা পানির ফেনা আর ছায়ার মতো,
ছায়া তো মূলের দ্বিগুন কখনো বহুগুনে পীথাগোরাস
ছায়াকালে তোমার মনে বিয়োজন ব্যথার সাল
ব্যথার সালেও নদীর তীরে বাঁশি বাজে
সুরের পাখনায় ভর করে নেমে আসে গতকাল আজ আগামীকাল

কামাতুর ঘামের গন্ধে ঘৃনা জমা থাকে তবুও ঘামহীন কৃষক ঢেউ তুলে না হৃদয়ে তোমার
হৃদয়ের ঘরে এখনো তোমার ছায়া বহুগুনে দেখি
অর্ধেক চাঁদ আধেক নদী পথ ভুলে গেছে মাঝি

অন্ধদলের মনে মাথার ঠিক এক হাত উপরে আকাশের বাড়ি
ঠিক একদিন নদীর স্রোতের মতো বলে দিবো আড়ি বন্ধু আড়ি 

গ্রাম.

নাগরিক মানুষ প্রতি রাতে হয়তো মিউজিক প্লেয়ার চালু করে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভিনয় করে কিন্তু চোখে ঘুম আসে না, তারপর কেমিক্যাল কেয়ারে চোখের পাতা বন্ধ করে এবং নিজেকে হাজার রকমের অটোসাজেশন দিতে দিতে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার মিশন চালায়। কিন্তু এখানে ব্যাঙ কাহারবা তালে মিউজিক প্লেয়ার অন করে। প্রাকৃতিক মিউজিক প্লেয়ার। এখানে বিছানায় গতর রাখা মানে চোখে চমৎকার ঘুম নেমে আসা, মনে নেমে আসে সুমনা স্বপ্ন।

ঘুম থেকে জেগে ওঠলেই অনুধাবন করা যায় ঘুমিয়ে ছিলাম। হলুদ আলো চোখে এসে নাচতে শুরু করে, হাঁসের চুই চুই ডাক কানে এসে তারাময় সঙ্গীত রচনা করে। হাঁসের ডাক শেষ না হতেই লাতার কামুক ডাকক্রিয়া মনে জানান দেয় প্রকৃতির অমিয়ভূষন নিয়তির কথা। লাতার ডাকের সাথে হামিং করে ছাগলের বাআ বাআ ধ্বনি হৃদয়ে নিয়ে আসবে চরসাটুরিয়া আবেদন। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাউকে আটকে রাখে না, সে জানে কাউকে আটকে রাখা মানে আটকে থাকা।
আরেকটি কথা, গ্রামের কোনো উপাদান আখেরি মোনাজাত পড়ে না, তারা কেবল মোনাজাত শুরু করে এবং আমিন আমিন রবে রবাহত গ্রামীন হৃদয়ের আকাশ বাতাস।

আমি পৃথিবী ভ্রমনে আমরন নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই। পৃথিবী ভ্রমন না করলে নিজের ভেতরের পৃথিবীর সন্ধান পাওয়া যায় না,  ঘরময় জীবন আমার ভাল্লাগে না।

আমি তাদের সাথে থাকতে চাই যারা গোছানো শব্দটি বলতে দিয়ে গুছানু বলে ফেলে কিন্তু উচ্চারিত গুছানু শব্দটিও প্রানের মিনার থেকে প্রতিধ্বনিত হয়ে থাকে, যারা ইস্কুলে যাবার আগে সৌন্দর্য ধ্যানে পাউডার দিয়ে মুখভর্তি করে ফেলে, যারা হুমায়ূন ফরিদী, মান্না, চিরকালীন মা  আনোয়ারার অভিনয় দেখতে দেখতে আকিজ বিড়ির কিংবা পাতা বিড়ির ধোঁয়ায় নিজেকে ব্যস্ত রাখে।

এই প্রকৃতির টানে হৃদয়বোধ্য জন তালকে করেছে বেতাল, বেতালকে করেছে মাতাল তবুও তারা রচনা করে চলছে  জীবনের উপরে জীবন। এখানে কচুরিপানার ফাঁকে মাথা ভেসে ওঠে, মানুষের মাথা, ছিপনৌকায় মাছের আশায় সময় পালে সময়কেনা বালক। আল্পনা রানী পাল হাসির আড়ালে মুখ লুকায়, মাটিরও আছে জীবন অবশেষে জেনে যায় নগর পলাতক বালক, নারগানা গ্রামে যেন রোজ ফুটে মাটিফুল, তেঁতুলপাতা ঠোঁটে খেলা করে হাসির ইন্দুর।

বাসের ছাঁদে বসে শরীফ কন্ট্রাক্টরের সাথে চলে আড্ডা। তার কথায় উঠে আসে মাটি ও মানুষের কথা-- পানির অপর নাম জীবন। অথচ মানুষ পানি বানায় না, বানায় গ্যাস, যে গ্যাস খেলে পেটের সমস্যা হয় সেই গ্যাস।

তার কথা শুনে আমারও ভাবনার দরজা খুলে যায়। ভাবতে থাকি সেই সব মানুষের কথা যারা রোদের শাসন মেনে নিয়ে গড়ে তুলে আমলনামার সেতু, যে সেতুর উপর ভর দিয়ে আমরা অতিক্রম করি কঠিন হিসাবের অমসৃন পথ। অথচ আমরা বউপাগলা ভাইয়ের মতো রঙিন করি শ্বশুরবাড়ির মুখ। 

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬

সা রে

মাঝে মাঝে ভাষাহীন হয়ে যায় যাপিত নদী
ঘর খুঁজে পায় না ভাবনার পলাতক গতি
গরম নেমে আসে জলের পালতোলা ভাঁজে
জানালার গতরখানা ভুলে যায় শব্দের কারুকাজ, পর্দার ভেতর রচনা করে জীবনভিত্তিক আকাশ
আকাশ ডেকে বৃষ্টি আসে, বিজলি আসে নায়ক জসীমের মতো
গ্রামের মানুষ, নাগরিক এসিধর রুম শান্তির পর্দায় সিনেমা দেখতে বসে
বোরখা খুলে শীতল বাতাসে হেলান দিয়ে দূরে চেয়ে থাকে আমেনা
টিউনিক ফাঁকে বৃষ্টি পড়ে কৃষকের গরীব আঙিনায়
নীলনয়না হয়তো চুপচাপ বসে থাকে সিগারেটের ধোঁয়ায়

গরম আর বৃষ্টির মাঝে কত চমৎকার বোঝাপড়া-- একজন আসে অন্যজন যায় 

স্মৃতি

একটি স্মৃতির কথা বলা যেতেই পারে। স্মৃতি আসলে মাছের মতো যতোক্ষণ মনজলে ডুবে থাকে ততোক্ষণ তরতাজা থাকে। স্মৃতি কিন্তু একটি নামও হতে পারে। স্মৃতি কখনো ছেলেদের নাম হবে না। নামের বৈষম্য পৃথিবীতে আমার কাছে  বৈষম্যের মা। শিশুকাল থেকেই একজন মানুষ দুটি পরিচয়ে বড়ো হতে থাকে -- ছেলে অথবা মেয়ে,  মানুষ ব্যতিত অন্য কোনো প্রাণির মধ্যে এই বিষয়টি এতো তীব্রভাবে পরিচয়প্লেট হিসেবে অবস্থান করে না।

মাঝেমধ্যে দেখি বিড়ালের বাচ্চা জন্ম হলে ওলা বিলাই দুই একটি বাচ্চাকে গুম করে ফেলতে। পরে জানতে পারি গুম হওয়া বাচ্চারা বেটা বিলাই ছিলো। বেটা বিলাই বেটা বিলাইকে সহ্য করতে পারে না। ওলা বিলাই বাচ্চাদের গুম করে নিয়ে প্রথমে গলায় আঘাত করে, পরে ইন্দুর যেভাবে খায় সেভাবে সে বেটা বেলাইকে খাইতে থাকে। ওলা বিলাই কিন্তু মেয়ে বিলাই বাচ্চাকে আক্রমণ করে না। যে মার কাছে ছেলে-মেয়ের কোনো পার্থক্য  নেই সেই মায়ের স্বামী ওলা বিলাইয়ের কাছে বেটা বিলাই খাবারের বস্তু!

ওলা বিলাইকে আমি সুস্থ বলি না। মানুষের পৃথিবীতে সে শেষ পর্যন্ত সুস্থ থাকতে পারে না। বনের বিলাইকে ওলা হতে হয় না, মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সে পুরুষ বিলাই-ই থাকতে পারে।

এই সমাজ কিছু পারলেও অধিক কিছু নষ্ট করে। এই সমাজ কখনো নতুন কিছুকে খুব সুন্দর করে গ্রহণ করতে শিখে নাই। ব্যাপারটা অনেকটা বাংলাদেশের রাজনীতির মতো -- এক সরকার যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয় আরেক সরকার ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ গ্রহণ বাবদ তিন বছর ঢনঢন করে নষ্ট করে, এক বছর ভোগ করে, আর এক বছর কাজ করে। ফলে নতুন কিছু এই সমাজ তখনই গ্রহণ করে যখন নতুন অনেক পুরাতন হয়ে যায়।
গ্রহণ করবে কী করে?

বাসিখাবার প্রবণতা এখনো এই সমাজের শেষ হয় নাই। তাই এই সমাজে ত্যাগের হোক কিংবা ভোগের হোক স্মৃতি একটাই-- বাসি স্মৃতি!

তরতাজা স্মৃতি এখানে দেখতে পাওয়া যায় না। তরতাজা স্মৃতি এখানে ট্যাবু।

একখান স্মৃতির কথা বলা যেতেই পারে।
মেয়েটির নাম স্মৃতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আমি কোচিংয়ে ভর্তি হই। ভৈরব। অন্য দশজন ছাত্রের মতো আমি ভর্তি হইনি। আমি কোচিংয়ের পরিচালককে গিয়ে বললাম ` আপনার এখানে কোচিং না করলেও আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবো, আমার কাছে বেশি টাকা নেই, ভর্তি করাবেন?

এনাম ভাই হেসে আমার বিস্তারিত জিজ্ঞেস করলেন। ব্যাস তিনি সন্তুষ্ট। আমাকে ভর্তি করিয়ে নেন। ভর্তি হলেও আমি ক্লাস করি না। সপ্তাহে একদিন এসে গতিবিধি লক্ষ্য করি। ছাত্ররা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজধানী মুখস্থ করার জন্য, আর Tense অর্থ কাল এই ধারনা নিতে কোচিংয়ে ভর্তি হয়।

হটাৎ একজন স্যারের দেখা পেলাম। ইংরেজি পড়ান। কবিতাও লেখেন। একটি বইও বের করেছেন। তিনি কোচিংয়ের ভেতর শুধু ইংরেজির জন্য আলাদা কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। আমি তাঁর কোচিংয়ের নিয়মিত ছাত্র। একদিন হঠাৎ তিনি বললেন এখন স্বরচিত কবিতা পড়বে রেজা। মনে মনে খুব লজ্জাবোধ করেও কবিতা পড়তে ডেস্কে গেলাম।
কবিতা পড়তে লাগলাম -- বহুদিন তোমার স্বপ্নে আমার স্বপ্ন ছিল, বহুরাত আমার জীবনের আলকেমিতে তোমার বিচরন ছিল .....।

পীনপতন নীরবতা। কবিতা পড়া শেষ। এবার কমপ্লিমেন্টের পালা। স্যার এমন কমপ্লিমেন্ট করলেন আমার মর্যাদা দুই চারজন চেয়ারম্যানের মতো সালামমার্কা হয়ে গেলো। সবাই এবার আমাকে ঘিরে ধরে। আমিও প্রেসব্রেফিংয়ের মতো এক এক করে উত্তর দিয়ে যাচ্ছি।

সবাই বিদায় নিলে ভৈরব নদীর মতো একটি মেয়ে আমার কাছে আসে। খুব মোলায়েমভাবে তার চোখ আমার চোখের উপরে রাখে। আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সাব্জেক্টে ভর্তি হবেন। আমি তো অবাক। অবাক দুটি কারনে। প্রথম কারন : বনলতা সেনের মতো কোনো উচ্চারন আমার কানে বাজে। দ্বিতীয় কারন : আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো এই বিষয়ে সে নিশ্চিত।

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ভর্তি হই, আর সে ভর্তি হয় ইংরেজিতে। বাংলা বিভাগের প্রতিবেশী বিভাগ ইংরেজি বিভাগ। খুব কাছাকাছি দুই বিভাগের অবস্থান। অথচ স্মৃতির আর আমার দূরত্ব আকাশ আর জমিনের মতো। কদাচিৎ তার সাথে দেখা হই। আমি তাকে দেখামাত্র চিনতে পারি না। কারন সে এখন হুফাওয়ালা বোরখা ব্যবহার করে। কিন্তু মাঝে মাঝে টের পাই দুটোচোখ আমাকে দেখছে, আর সেই চোখদুটো চিনতাম বলেই চিনি। স্মৃতি আসলেই স্মৃতি। 

সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১৬

স.

চিড়িয়াখানায় পাউন্ড পাউন্ড দীর্ঘশ্বাস জমা থাকে। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মানুষই জমজমাট ব্যবসা করতে পারে, পশুপাখি ব্যবসা বুঝে না। এই মানুষই আবার নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ বলে মিছিল করে। মানুষ যাকে বড় বলে সেই বোকা হয়।  

ইরি

পাগলী পোকাদের ছেড়ে চলে আয়, উর্বর জমি আমার বর্গা দিয়েছি আজ সাত মাস,জেনে রাখিস এই জমি তুই ছাড়া বিক্রি হবার না, ইরি বিরি গাইন্দা ধানের ফসলি মৌসুম আমার, তর জাবার পূর্ন করবে বারো মাস, তর নখের আঁচড়ে মাটি পাবে প্রান, প্রান ভাসবে আবেগের বন্যায়,এখনো বেঁচে আছে এই মাটি তর স্পর্শের কামনায়,পাগলী সব কিছু ভুলে সব পাহাড় বেয়ে চলে আয় আমার আঙিনায়, তকে  আমার ষোলো আনা চাই, এক সিকি কম হলে জ্বলবে আগুন এই বাংলায়। 

না রী

চাঁদের গতরে মেঘ কালারের শাড়ি
মাঝি আজ নদী ছেড়েছে
নারী ছেড়েছে বাড়ি

মাঝখানে

নিরীহ মানুষের হাতে অস্ত্র আসলে প্রথমে তারা নিজেকে শক্তিশালী ভাবতে আরম্ভ করে। তখন শক্তিশালীদের মতো আচরন করতে পছন্দ করে। যদিও তারা নিয়মিত শক্তিশালী নয় কিন্তু নিয়মিত শক্তিশালীদের আচরন দেখে অভ্যস্ত।

নিয়মিত শক্তিশালীদের প্রধান চরিত্র হচ্ছে নিরীহ সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার করা। তাই নিরীহ সম্প্রদায় যখন কিছু সময়ের জন্য অস্ত্র হাতে পায় তখন তারা অত্যাচার করা ব্যতীত অন্য কোনো শক্তিশালী আচরন খুঁজে পাই না।

প্রত্যেক আচরন শক্তিমুখী 

রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬

.:.

এরা জীবন দিতে চায়নি, এরা জীবন দেয়ার ফাঁদে আটকে গেছে 

আউলা

প্রতি শুক্রবার হলুদ আলো নেমে আসে আমাদের শহরে। আমাদের চোখ থেকে যেমন তেমন দৃষ্টি আর নেমে আসে না পৃথিবীর এই নবীনতম ঘরে। লেকের নিচের বটগাছে এখনো কান্না পাখির মতো কিচিরমিচির গান করে। বৃষ্টি আসবে বলে কথার বরখেলাপ করে না, ঠিকই বৃষ্টি নেমে আসে দুই দেহের জোয়ার-ভাটায়, কান্নায়-কামনায়।

অযথা অভিযোগে কত শত দূরত্ব রচনা, ঠিক দুপুর হলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়া-- আহারে মানুষ পেলাম না, আহারে মানুষ পেলাম না!

নীরব সন্ধ্যায় নিশ্চুপ রেস্টুরেন্টে কফি খেতে খেতে হৃদয়ে বর্ষা নেমে আসে, কোনোমতেই জলের স্রোত দেখানো যায় না কাউকে। জানালার ফাঁকে ভেসে আসে একঝাঁক শাদা বকের দুধসাদা ওড়াউড়ি।

খুব জানতে ইচ্ছে করে শীতের পরে মানুষের দেহে কী বসন্ত আসে না, পুরাতন ভুলগুলো অযথা আলাপ না করে নবীন ফুলে প্রকৃতিকে পূর্ন করে তুলে না?

সব হৃদয় একদিন হৃদয়ের সাথে মিলাদ মিলনে মিলে যায়, তুমিও মিলে যাবে কোনো এক জলের সাথে বিবাহিত বর্ষায়। 

ওগো

তারা শব্দের প্রথমে র' ফলা থাকলে র' ফলাকে উচ্চারন করতে প্রস্তুত নয়। ফলে গ্রাম, গ্রামীন, প্রান , ঘ্রান প্রভৃতি শব্দের উচ্চারন করে গেরাম, গেরামিন, পরান , গেরান।

তারা জিব্বার ওঠানামা, আগেপিছে নিয়মনীতির প্রতি যথেষ্ট পরিমানে উদাসীন। দেখা যায় টিব্যাগকে উচ্চারন করতেছে টিকেট। টিব্যাগের চা দাও বললে, তারা অনুবাদ করে জানতে চায় টিকেট চা কিনা। তখন বলি হ মামা, টিকেট চা।

তারা শব্দের সংক্ষিপ্তকরনে পটু। ওগো আমার আপাকে তারা আগঅ' বলে কাজ সমাধান করে ~ আগঅ  তুমি হুদুহুদি রাগ করতাছ। 

শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৬

,!

রিক্সাওয়ালা ভাসমান রেকর্ডার 

যা দেখা

যা দেখা হয় তা মনেই দেখা হয়, চোখ তো কেবল দেখার উপায় মাত্র 

অত্যন্ত

সবাই যখন কথা বলে সবপাশ মাতাল করে রাখে নিজেকে তখন নিতান্ত গরীব কথার মানুষ মনে করতে থাকি। কৃপন স্বভাবও কিন্তু আমার নেই। ব্যাংকে আমি কথা জমা রাখি না। আজকাল কথা শুনতেও ভালো লাগে না। আমি মনে হয় গাধার মতো চুপ থাকতে শিখেগেছি দুর্বলের মতো গর্জন করবো বলে। শুনেছি দুর্বলের গর্জন নাকি অনেক সুন্দর, অনেক শক্তিশালী। 

ব্যথা

দেখে দেখে বুঝেছি সে নামেমাত্র ব্যথাতুর

আমি ব্যথা দিয়ে ব্যথা বুঝেছি।।


শরৎ এলে ফুলঘ্রানে মন আমার হয় ব্যাকুল
ফুলে ফুলে মধু চিনেছি।।


কাঙাল বেশে ঘুরি সখা মাধুকরী স্বভাব না

অভাব দিয়ে স্বভাব চিনেছি।।


আসো যদি বাউল বেশে বাজাও বাঁশি এই বনে
দেখবে আমি বসে আছি ব্যথাতুর মনে।। 

না

তোমার স্তন থেকে প্রতি রাতে ঝরে পড়ে কঠিন সোনা রোদ
চাঁদের দুধেল হাওয়া ঠোঁট থেকে আস্তে আস্তে নেমে পড়ে নাভিমূলে
মেরুদন্ড বেয়ে কোনো এক আমাজান অন্ধকার পায়চারী করে যৌগনির্মিত পথে

মানুষ হওয়ার হাজার বছর আগে তুমি নারী

পুরুষ তোমাকে শ্রদ্ধা করবে বলে মা ডাকেনি,  মা ডেকেছে কারন তুমি আব্বার বউ
পুরুষ তোমাকে খুব আদর করে বোন ডাকেনি, বোন ডেকেছে কারন তুমি তার ভাগে ভাগ বসাওনি
পুরুষ তোমাকে মানুষ ভেবে বন্ধু ডাকেনি, ডেকেছে খুব সস্তায় যৌনতার সুড়সুড়ি পাবে বলে
হাজার বছরের পুরুষ তোমাকে হাজার বছর ধরে বউ করে রেখেছে কারন তুমি  শোপিস , তোমার নরম সুর ঘরের অলঙ্কার

তারা হাজির করবে তোমার সামনে প্রাকৃতিক হিসাব অথচ তারাই বন কেটে করছে উজার, সাজিয়েছে কংক্রিট সংসার

তারা পুরুষ তারা জানে প্রকৃতির ক্ষমতা, তারা জানে না প্রকৃতির ত্যাগের মহিমা, মহিমার প্রতিবাদ

দিন যাবে বেড়ে যাবে দ্বন্দ্ব, এক হাতে কখনো প্রার্থনা চলে না, প্রার্থনাবিহীন  হাত কখনো প্রভুর কাছে পৌঁছে না, কখনো পৌঁছে না 

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬

যে সব পরগাছা মেয়েরা ভাবছেন স্বামী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলেই আপনার মেরুদন্ডের একটি পারিবারিক ঠিকানা হয়ে যাবে তাদেরকে শুধু বলতে চাই আপনিও  কিন্তু জীবন্ত গাছ। মানুষ ইচ্ছা করলেই পরগাছা হতে পারে কিন্তু মানুষ ইচ্ছা করলেই গাছ হতে পারে না, যদিও স্বকীয়তা নিয়ে প্রত্যেকটি মানুষ জন্মগ্রহন করে।

আপনার মানসিকতায় যদি পরগাছা মনোভাব থাকে তাহলে আপনার সন্তানও পরগাছা মানসিকতা নিয়ে বড় হবে। কারন দশ মাস দশ দিন সন্তান আপনার গর্ভেই অবস্থান করে। শিশুর মানসিক গাঠনিক পর্যায়েও আপনার সান্নিধ্য হয়তো লাভ করে থাকে, আপনার বুকের দুধ তার পৃথিবীর বুকে প্রথম খাবার। ছহবত আসল কথা-- ছহবতে ছালে তোরা ছালে কোনাদ ছহবতে তালে তোরা তালে কোনাদ।


অনেকে আপনাকে গাছের খুঁটি ভাবতে পারে, আপনি নিশ্চয় খুঁটির মতো জোয়ার-ভাটাহীন পদার্থ হতে জন্মগ্রহন করেন নাই, পৃথিবী আপনাকে মানুষ ভাবতেই পছন্দ করে যার সংগ্রামী একটি দেহ আছে, মগজ আছে যা অর্ডার শুনার জন্য কেবল প্রস্তুত না-- আদালতে অর্ডার অর্ডার করার জন্যও প্রস্তুত হয়ে আছে। 

বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬

হ্র

হৃদয়দায় হৃদয় দিয়ে মোচন করতে হয়, সংসারের দায় সমাজ দিয়ে 

,

রেগে যাওয়া আমিষহীনতার লক্ষন 

শনি

অনেক বছর আগে আমার এক ছাত্র ছিল-- মেধাবী, শান্ত, সৌম্য। হঠাৎ করে সে ছাত্র শিক্ষক হয়ে গেলো। বিষয়টি আমার জন্য আনন্দদায়ক ছিল।

কিন্তু হঠাৎ করে তার শিক্ষক হওয়াটা আমি মেনে নিতে পারিনি। কারন হঠাৎ কিছু হয়ে গেলে হঠাৎ ভেঙে পড়ে এমন কথা শুনতে শুনতে  বড় হয়েছি।

তারপরও আমি আমার ছাত্রটিকে খুঁজে বেড়াই যাকে আমি চিন্তামগ্নভাবে চিনিতে পারতাম।

ছাত্র শিক্ষক হলে শিক্ষকের জন্য সবচেয়ে আনন্দের কিন্তু বেয়াদব হলে শিক্ষকের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। আমি তাই শিক্ষকরূপে ব্যর্থতার ভার বহন করে চলেছি।

সামাজিক জীবনে যা বাস্তব তাকে অবাস্তব বলে চালিয়ে দেয়া মিথ্যা কিন্তু ছাত্রশিক্ষকজীবনে সত্যকে গোপন করার নাম মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য হিসাবে চালিয়ে দেয়া প্রতারনা।

আমার সাথে সে যে প্রতারনা করলো আমি তাকে কোনোদিন ক্ষমা করবো না। কারন এখনো সে যথেষ্ট যুক্তিবাদী, আর আমি তার জন্য যুক্তিহীন ছিলাম, আছি।

সম্পর্ক আদালতের আইনে থাকে না, সম্পর্ক থাকে হৃদয়ে, যে হৃদয় ভাষা জানে না 

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৬

নন্দিত নরক

রাবেয়াকে বাংলাদেশের মানুষ মনে হয়, রাবেয়ার চলে যাওয়াটাও এই বাংলার মানসিকতার শেকড়ে টান দিয়ে যায়।

রাবেয়া কেন চলে গেল?

তার চলে যাওয়াটাই কী নিয়তি ছিল?

শরীফ আকন্দ নিয়তিবাদী মানুষ ছিলেন। অথচ তার পড়াশোনা ছিল বিস্তর, আচরনেও নির্লিপ্ত। এই মাস্টার সাহেবকেও চলে যেতো হলো। মন্টু সেও চলে গেলো। হঠাৎ ইয়াসমিনের দেখা পেলাম, ভাবলাম, সে গন্ধ বিতরন করবে, ও মা ! সেও চলে গেল।

হুমায়ূন আহমেদ প্রথমে চরিত্রের প্রতি পাঠককে আগ্রহী করে তুলেন। তারপর পাঠকদের একটা ধাক্কা দেন, মানসিক ধাক্কা। পাঠক এই ধাক্কা সহ্য করার জন্য প্রস্তুত আছে কিনা এই ভাবনাটুকু তাঁর থাকে না। তিনি পাঠককে খুব ভালো করে বুঝতে পারেন, আর সে জন্যই হয়তো মন্টুর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ফলে নাহার ভাবীকে যেমন রুনুপরিবারের একজন মনে হয় তেমনী পাঠকের কাছে নির্মিত সমগ্র পারিবারিক বলয় চিরচেনা হৃদয়ঘেরা পরিবেশ হয়ে ওঠে-- আর এখানে হুমায়ূন আহমেদের শক্তি, নন্দিত নরকের শক্তি। 

!

সময় একটা গোল লম্বা কিংবা বাঁকা আকাশ যেখানে যাপিত জীবন পাখি হয়ে উড়ে 

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

সম্মান

সম্মান > সন্মান = সম + মান। অনেকেই সম্মানকে সন্মান উচ্চারন করে। প্রথম কারন সচেতনতার অভাব, দ্বিতীয় কারন অধিকাংশের কাছে সম + মান এর চেয়ে সন + মান অধিক আত্মীয়সুলভ। সম + বাদ = সংবাদ কিন্তু অধিকাংশ উচ্চারন করে সমবাদ, কারন অধিকাংশের কাছে সং' শব্দটি ততটা অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন করেনি যতটা সম' শব্দটি অর্জন করেছে। 

রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬

রই

একজনকে কল করতে হয় অন্যজনকে রিসিভ করতে হয়-- তাহলে কথোপকথন সম্ভব-- দুজনই রিসিভ করলে কিংবা কল করলে মোবাইল তাদের কথোপকথনের ব্যবস্থা করে দেয় না।

যন্ত্র নিয়ম বুঝে হৃদয় বুঝে না 

প্রেম.

প্রেমে থাকাটাই প্রেম
যতবেশী কাছে যাওয়া
ততবেশী বেড়ে যায় মানসিক জ্যাম 

স✔

অহংকারের কাছ থেকে শিখেছি পতনের সুখ, পতনের সুখ কনডমছেঁড়া আর্তনাতের মতো আনন্দে আনন্দে নিখোঁজ 

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬

এখানে

তুমি তো অন্ধ নও
অন্ধের লেখার মতো নয় তোমার রূপের বাহার
হাত দিয়ে পরখ করি তাই তোমার দেহের আকার
ঠোঁটের ভেতর ঠোঁট, স্তনের বোঁটায় তর্জনী বৃদ্ধার-যুগল ইতিহাস
কেঁপে ওঠে বারবার তোমার কোমড়ের তীরে বেঁচে থাকা ভাঁজ
এখানেই তুমি আর আমি
এখানেই আমরা জীবনের দাস

র.....

পূর্নতা শেষে আসে, এখন গভীর রাত, আরও গভীর হলে অন্ধকার সুরলোক ছড়ায় আলোর জ্যোতি, মোমবাতি জীবন জানে বেদনার ভার, মোমবাতি মোমবাতি জীবন আমার, পেঁয়াজ আর পান্তার সাথে রোজ বসবাস, তবুও যদি নেমে আসে চোখে স্বপ্নের বাহাস, রোজ তাই সজাগ রাখি আমার হাজার বছরের ওপেন মিউকাস 

!!!

সব কিছু জেনে
জেনে গেছি তবে
পাথরে ফুল ফোটে না
ভালো আছি
ভালো থেকো জেনে
ডানাকাটা পাখি আকাশে উড়ে না 

স্তন.

কারো স্তন বড় দেখলে আমার ভালো লাগে। চোখের এবং মনের ভালোলাগা কাজ করে। স্তনের নিচে হৃদয় আছে এমন বায়বীয় ধারনা থেকে নয়, স্তনের নিচে আমার সন্তানের খাবার আছে এমন ধারনা থেকে। আমি চাই না আমার সন্তান ফার্মের মুরগীর মতো বড় হোক , আমি চাই আমার সন্তান স্তন্যপায়ী মানুষের মতো বড় হোক।

আমাদের এক কাহা আছেন। মতিন কাহা। তিনি অনেক মজার মজার গপ্প করেন। একদিন তিনি বলতেছিলেন `` অহনকার বিলাফানের গইমের লাহান বুক, তাতেই হালি নাছুম নাছুম করে, আমগো মা চাচিরা বাড়ি ঝাড়ু দিতে দিতে কহন যে আমরা দুধ হাইয়্যা চলে গেছি আব্বা চাচারা কইতেই পারে না "।

মতিন কাহার গপ্পটি  নিছক গপ্প নয়, গপ্পটির প্রায়োগিক ও বাস্তবিক জায়গা আছে।  বর্তমান সময়ে অনেকেই স্তনের বিজ্ঞাপনের জন্য ফোমের ব্রা, আর যাদের টাকা পয়সা আছে তারা যন্ত্রের সহায়তা নিয়ে থাকে। আরে ভাই যন্ত্রের দিয়ে তো মন্ত্রের কাজ চলে না। মন্ত্রের জন্য প্রয়োজন সাধনার পরম্পরা। এখন তো সাধনার দরকার হয় না যেখানে ডিব্বার দুধ বর্তমান।

ও আমার বাঙালি লেখক, শুনে রাখো, তোমার সন্তান দুধের বদলে খাবে লজেন্স আর ভাতের বদলে খাবে ফাস্টফুড।

আমার সন্তান যেন থাকে লজেন্সে ফাস্টফুডে 

শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬

!!

আমার গ্রামের নাম পৃথিবী 

সত্য ...

আমার কাজটি আমি করে যাবো, আমি যখন কথা বলবো তখন হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবো-- আমি যখন ব্যাট হাতে মাঠে নামবো তখন বলের দিকে আমার ষোল ইন্দ্রিয়ের বত্রিশ সেক্টর মনোযোগ, গ্যালারি বলে কিছু একটা আছে যেখানে হাততালি এবং নিন্দা উৎপাদন হয়ে থাকে তা আমার জানবার বা মানবতার কথা নয়, আমার প্রেমিকার নাম তখন বল, আমার গুরুর নাম তখন বল আমার পরিচয়  তখন বল।

আমি আমার কাজটি করে যাবো, ফলাফল ভাবনায় পড়ে থাকো তুমি প্রিয়তমা উত্তেজনা আমার, আমি জানি আমার জন্ম আম্মা আব্বার আনন্দের ফল, সিদ্ধান্ত থেকে কোনো জন্মই পৃথিবীতে আসে না, মৃত্যুর মতো জীবিত যারা তারাই হয়তো আমার সাথে একমত হতে পারে, আমি কাউকে আমার সাথে একমত হতে বলিনি, বাগানে অনেক ফুল দরকার বাগানের প্রয়োজনে।

আমি আমার কাজটি করে যাবো আমার প্রয়োজনে। আমির জন্ম হলে আমরা তারা সে প্রভৃতি শব্দের প্রয়োজন পড়ে না। আমি মানেই তো অনেক, ঘর থেকে শুরু করে বাহির, কালো থেকে শুরু করে সংখ্যাত্রয় সফেদ 

শান্তি ...

থাকি পূর্বপল্লী গেস্ট হাউজে। রুম নাম্বার দুইশত চব্বিশ। শান্তিনিকেতনে পূর্বপল্লী গেস্ট হাউজটি অনেকটা গাছঘেরা দ্বীপ। শান্তিনিকেতনে একটি জীবিত নদীর খুব দরকার ছিল। তাহলে আশ্রম মানসিকতা হতো তরল ছন্দময়। এখনো তাদের জীবনে যথেষ্ট ছন্দ আছে তবে কেবল গাছময়, ছায়াময়।

নদী বয়ে চলার ছন্দ শেখায়, নদী শেখায় ভাঙনের মধ্য দিয়েও কেমন করে বেঁচে থাকা যায়, ভালোবাসা যায়, নদী মাঝে মাঝে উত্তাল হয় কিন্তু ঘৃনাশিক্ষা নদীজীবন কাউকেই দেয় না।

আমার রুমটা ছোট্ট। বনসাই ছোট্ট হলেও দৃশ্যমান সৌন্দর্যের ঘাটতি থাকে না। বনসাই বৃক্ষের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য মানুষের হাতের স্পর্শকানন।

রুমের জানালা দিয়েই দেখা যায় কে আসতেছে, কে যাচ্ছে। তাছাড়া রুমে থাকা মানে জানালার দিকে আমার দৃষ্টি থাকতোই। রাস্তা গতির প্রতীক, মানুষের মনকে নিথর স্থিতিশীলতা যেমন আকর্ষন করে তেমনি সরব গতিশীলতাও খুব করে তার দিকে টানে।

আজকে জানালার দিকে তাকাতেই বার বার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কথা মনে হচ্ছে। দাদাকে আমি চিনি তথ্যসূত্রে। দাদা তাঁর স্বনামেই খ্যাত তবে বিখ্যাত কেউদের দলে তিনি হয়তো নন যতটুকু জেনেছি।

হঠাৎ দেখি তিনি আসছেন। আনন্দিত হলাম। নিচে রেস্টুরেন্ট। নিচে গেলাম। তিনি খেতে বসলেন,  তার পাশে বসি। আমি তাঁকে চিনেছি কিন্তু তিনি হয়তো আমাকে চিনতে পারেননি, চিনতে পারলে অন্তত ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করতেন। কারন তিনি ইগো দিয়ে তৈরি না, মাটি দিয়ে তৈরি আমার বিশ্বাস।

দাদার আর আমার মাঝখানে মিষ্টি  রাখা, তা অবশ্যই দাদাকেই দেয়া হয়েছে। কারন চিন্টুর কাছে আমি মিষ্টি চাইনি। তারপরও আমার ইচ্ছা আমি দাদাকে দেয়া মিষ্টিটাই খাবো।

খাবার শেষ হলে মিষ্টি খাওয়ার রেওয়াজ বাঙালি সমাজে। আমার আগেই দাদার খাবার শেষ হবে। দাদাকে দেয়া মিষ্টিটা খাওয়ার ইচ্ছা যখন শতভাগ স্থির করি তখনই দাদা মিষ্টিপ্লেটটা আস্তে করে তাঁর সীমানায় নিয়ে গেলেন, দাদার খাবার কিন্তু শেষ হয়নি। বিষয়টি এমন যে মিষ্টিপ্লেট আমার এটা নিয়ে বন্টন চলবে না। অবাক হওয়ার মতো কথা হলো মনে ঘটে যাওয়া মুহূর্তফলের  সাথে বাইরের আবাদি আচরন সরাসরি মিলে যাবে কেন তাও আবার বেটেবলে!
আমিও মিষ্টিটা দাদার সীমানা থেকে আমার সীমানায় নিয়ে আসি,  মিষ্টি খাচ্ছি খাবারও খাচ্ছি। সরি দাদা বাঙালি খাবারনীতি মানতে পারিনি।

দাদা আমাকে কিচ্ছু বলেনি, শুধু চিন্টুকে আরেকটি মিষ্টিপ্লেটের অর্ডার দেন। এবার দাদাও মিষ্টি খাচ্ছে, আমিও খাচ্ছি। আমার আর দাদার মাঝখানে কেবল দেয়ার বিষয় আর নেয়ার বিষয়টি নদীর মতো গতিশীল হয়ে থাকলো।

ছয় মাস পর আবার যখন শান্তিনিকেতনে যাই তখন(!)মেলার মাঠের পাশে দাদার সাথে অনেক্ষকন কথা চলে। আমরা যে গাছের নিচে দাঁড়ানো ছিলাম ঠিক তার উপরে ছিল আকাশ, আকাশ থেকে বর্ষারোদ গাছের পাতাকে ফাঁকি দিয়ে নেমে আসে আমাদের চোখেমুখে। তবুও ক্লান্তিহীন অভিমুখে আমাদের কথাভ্রমন চলতেই থাকে। কথা বলতে বলতে মানব দা ভুলে গেলেন তাঁর প্রাত্যহিক ডিউটির কথা, আমিও ভুলে গেলাম শান্তিনিকেতনে আসলে কোনো নদী নেই এমন দৃশ্যের প্রবাহকল্পনার কথা 

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬

স..

অভ্যাসের প্যাকেজ প্রতিনিয়ত মানুষকে তাড়া করে, মানুষও মিশে আছে অভ্যাসে জলের মতো, আর ভাসমান ফেনা নিয়ে পৃথিবীতে তর্ক চলে
ঝগড়া হয়
জীবন রচনা করে কবর, মানুষ কিন্তু পাখির মতো উড়ে, মানুষ কিন্তু নদীর মতো চলে, মানুষ কিন্তু গতির মতো রূপান্তর ঘটায়, মানুষ এক ধারনার নাম আকাশ যেমন করে ধারনা হয়ে বসে আছে 

আ✔.

তারা আমেরিকান মদ খেয়ে আমেরিকাকে গালি দেয়, তাও আবার আমেরিকা পরিচালিত ফেইসবুকে, কাজী নজরুল ইসলাম ভগবানের ( ইংরেজ) বুকে পদচিহ্ন এঁকে দেয় কিন্তু এই ভগবান তাঁকে কাগজ আর ছাপাখানার ব্যবস্থা করে দেয়। বাঙালি গালির সংস্কৃতি ভালো করেই তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। গালি দিয়ে মুখ চললেও, জাহাজ চলে না, জাহাজ চলতে তেল লাগে। আর তারা তেলের খবর ভালোই রাখে। 

বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬

প.

পৃথিবীর ঠান্ডাজ্বর!  ঔষধ খেলে পৃথিবীর  ভালো হতে সময় লাগবে সাতদিন, ঔষধ না খেলে তার সুস্থ হতে সময় লাগবে এক সপ্তাহ 

??

মাথার ভেতর মৌমাছি নেই
মৌমাছি যায় না মধুর কাছে
মৌমাছি আমার, মধু আমার
কোথায় আছে, কেমন আছে?
আমার এখন তপ্ত দুপুর
চোখে আসে ক্লান্তিঘুম
আড্ডাবিকাল আসতে পারে
তাও অনেক পরের কথা
মনের ভেতর মৌমাছি নেই
নেই তো কোনো মধুব্যথা
চোখের ভেতর আছে শুধু
আসে শুধু ফাগুনসখা
মনের ভেতর হাপর তুলে
মধু প্রিয়ার কথার পাখা 

মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১৬

?

Actually problem is not the problem when we are we 

গরীব

বিবিসি নিউজ শুনছিলাম। শুনছিলাম এক গ্রামীন মায়ের বক্তব্য। অবশ্যই বক্তব্য বলা যাবে না, বলতে হবে গ্রামীন মায়ের কথা। কারন মিডিয়া মনে করে গ্রামীন সহজ সরল মানুষ বক্তব্য দেয়ার মতো যোগ্যতা রাখে না। বক্তব্য বা অভিভাষন দেয়ার একমাত্র যোগ্যতা রাখে শহরের গুগলমুখী মানুষ যারা মুখ ও মুখোশের হিসাবটা ভালো জানে।

কথায় যা উঠে আসলো তা হলো গ্রামীন মা বন্যায় আটকা পড়েছে। তার কুড়ি পঁচিশটা হাঁস ছিল, তার মধ্যে দশটি হাঁস মারা গ্যাছে। আর দশটি হাঁস মারা যাওয়াতে তার বড় ক্ষতি হয়ে গ্যাছে। হ্যাঁ, সে বলছিল তার বড় (!) ক্ষতি হয়ে গ্যাছে।

অথচ এই শহরের বিলাসী রেস্টুরেন্টে  প্রতি ডিনারে মাত্র একটি টেবিলে দশ হাঁসের অবচয়ের হিসাব ডাস্টবিনে জমা থাকে! 

হ্বো

আসলে সব কিছু করার একটি মৌসুম আছে। আমাদের পরিবেশ আমাদেরকে মৌসুম উপযোগী করে গড়ে  তুলতে পারে নাই।

যেমন এখন আমার ইচ্ছা হচ্ছে তিনশ ফিট রাস্তার পাশে হেলাল ভাইয়ের চায়ের দোকানে বসে কোনো এক বন্ধুপ্রতীম  মানুষের সাথে আধা ঘন্টা ধরে এক কাপ চা খাওয়া। আবার আমার বন্ধুপ্রতীম মানুষটার হয়তো ইচ্ছা হচ্ছে স্নান শেষ করে কোনো এক প্রিয়তম বই আয়েস করে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাওয়া।

আড্ডা দেয়ার সময়ে আমাদের বাড্ডা যেতে হয়, বাড্ডা যাওয়ার সময় হলে আমরা আড্ডায় যাই।

আমাদের ইচ্ছাগুলো ইচ্ছা হয়ে রই তবুও আমরা ইচ্ছা করি 

পায়রা

পায়রা পোষা দিনগুলো চনমনে দারুন
চোখেমুখে নেমে আসে খইকাঁটা ফাগুন
হঠাৎ দেখি
হঠাৎ দেখায় জলঘরে আগুন
পায়রার সুরে বাজে বাকবাকুম বাকবাকুম
দুঃখবতী দুঃখ আমার ফুলবাগের কুসুম 

সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬

ভুল

পরিবারের বড় সন্তান অল্প অভিজ্ঞতার কারনে ভুল করে অধিক। পরিবারের ছোট সন্তান অধিক অভিজ্ঞতার কারনে ভুল করে অধিক। পরিবারের একমাত্র সন্তান  ভুল করতে পারে এই বোধটুকু তার মনে সাধারনত জন্মে না।

ভুল করার কারনে কারো জীবন থেমে থাকে না, তবে কিছু সময় খসে পড়ে ভিন্ন যাত্রায়। ভুল করার কারনে কেউ কোনোদিন শয়তান পদবিও লাভ করে না, কেউ কেউ শয়তান হয়েছে ইচ্ছাকৃত দাম্ভিকতায়।

তারপরও বলি মানুষ কিন্তু কারো ব্যক্তিগত সম্পদ না, মানুষ চলমান সামাজিক জীব। 

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

Man

Know nothing but I can do a little something alike the doors as the ray of sun as it is. Every possible look you can discover over my eyes while being ability to watch something within the anything.
Man is not rub off matter able into the wild tune den. Man is just watch doing something along the loveable forest.

I believe I am man, I have a possible look, possible step and possible abrupt motion. I make you remind that I am man, really not the so called. I am either sent or organized to do immeasurable something.

No one is master over my look, the nature is master of me and so everyone. I am not master of anyone, I am just guide for the while some journey for the forward man of my mind and body. 

ব✔

মুঠোফোনে বন্দী হবি জানলে
আমি ইথারের কৃষ্ণ হতাম 

আমাদের মা জাতির দিকে যে লুক ( look)  ভালো দেয় সেই তাদের চোখে লোক ভালো 

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৬

নির্বোধের সাথে রেগে যাওয়া বড় ধরনের  মূর্খতা, নির্বোধের সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে পশ্চিম দিকে অস্ত যায় 

শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬

বি....

যা বিশ্বাস করা যায় না তা কখনো চোখ দিয়ে দেখা যায় না, যা চোখ দিয়ে দেখা যায় তা এক সময় বিশ্বাস ছিল। বিশ্বাস এক শক্তির নাম যা অনেক অজানা শক্তিকে শিকার করে আনে অভিজ্ঞতায়, অভিজ্ঞতা প্রাজ্ঞতার শহরে প্রবেশের লাইসেন্স। 

বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬

জাত.

বাঙালি নারী প্রেমিকা হওয়ার যোগ্যতাই রাখে না। প্রেমিকা বললাম বন্ধু অর্থে যার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেয়া যায়, যে আমাকে পুরুষ মনে না করে মানুষ মনে করবে। বাঙালি নারী কেবল স্ত্রী আর মা হতে জন্মগ্রহন করে।

মেয়েটির প্রথম যেদিন ঋতুস্রাব হয় সেইদিন মেয়েটির মা নতুন এক প্রানীর সাথে মেয়েটিকে পরিচয় করায়, আর সেই প্রানীটি হলো সাপ।

মা আমার যা কিছু করো সাপের কাছ থেকে কিন্তু সাবধান থাকবে-- এমন করে সাবধান বানী শুনায় চিরায়ত মা। মেয়েটি তখন সাপের কাছ থেকে সাবধান থাকে, জলে নামা তো (যদিও বয়সটা জলে নামার) দূরের কথা একটু ঝোপঝাড় দেখলেই সাবধান, ভয়ে প্রান তার যায় যায়।

একদিন সাপ মেয়েটির কাছে এসে বলে ভালোবাসি। মেয়েটির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তখন তার মায়ের কথা মনে পড়ে। মনে মনে ভাবে এইভাবেই বুঝি সাপ আমার দেহে বিষ ছড়াবে। তবুও প্রাকৃতিক টানে মেয়েটি মনে মনে সাপের উচ্চারিত শব্দটি নিয়ে ভাবনায় বসে, সাপের ফেইসবুকে ডু মারে, কোনো বিষ দাঁত আছে কিনা আবিষ্কার করার চেষ্টা করে। যদি কোনো বিষ দাঁতের অনুমানসন্ধান মিলে যায় তাহলে ঐ সাপের কাছ থেকে সাত মাইল দূর দিয়ে হাঁটবে। আর যদি সাপটা দুরাহাপ টাইপের কিছু হয়ে থাকে তবে তো হিসাব বাংলা সিনেমার কাহিনী। তখন কিন্তু বিষ মেয়েটির কাছ থেকে সাপের দিকে ট্রান্সফার হতে থাকে। মেয়েদের দাঁত কেমন বিষাক্ত তখন ঐ নিরীহ টাইপের সাপটি অক্ষরে অক্ষরে টের পায়।

আরেকটি কথা লতাপাতা মানসিকতা কিন্তু তাদের থাকবেই যেখানে তারা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, যেখানে তাদের একটি রসালো গাছের প্রয়োজন। তারা প্রতিনিয়ত মনে করে বৃষ্টি হচ্ছে যেখানে তাদের পুরুষছাতা আবশ্যক। পুরুষছাতাও মেয়েদের এই লতাপাতা মানসিকতা নিয়ে সাপলুডু খেলায় মেতে ওঠে।

ধরুন মেয়েটি আপনার গান শুনে আপনার প্রতি মুগ্ধ হয়েছে। মুগ্ধতা থেকে আপনি বিষধর হতে পারেন এমন ধারনা প্রাথমিকভাবে দূর হয়ে যাবে। কারন মুগ্ধতা অনেকটা প্যারাসিটামল টাইপের, প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজে লাগে। যখন মুগ্ধতা কেটে যাবে তখন মেয়েটির তার মায়ের কথা মনে হবে, যৌবনাগমনেসময়ে মায়ের সেই শ্রেষ্ঠ বানী চিরন্তনীর কথা মনে পড়বে এবং আপনার গানকে সে তখন বিষদাঁত মনে করবে এবং বিষদাঁত ভেঙে দেয়ার জন্য শুরু হবে তার মিশন টুয়েন্টি ফোর ফর ব্রেকিং পয়জনিক টুথ। নেমে আসবে কলহ, শুরু হবে অশান্তি। তখন আপনি গান গাইতে যাইবেন আর আপনার কানে বাজবে প্রিয়তমা মাছির ভনভন আওয়াজ।

কেন প্রিয়তমা মাছি ভনভন করবে?

কারন মাছি ভয়ে আছে তার জায়গা নিয়ে, তার অবস্থান নিয়ে। প্রতিভাবান মানুষ কখনো তার অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত থাকে না। কারন প্রতিভাবানদের প্রতিভা প্রকাশের অনেক জায়গা থাকে, প্রতিভাবানরা ভীরু হতে পারে না।

আপনি কী বলতে চান ভালোবাসার জায়গা থেকে প্রিয়তমা মাছি ভনভন করে?

এমন ভালোবাসার তো দরকার নেই যে ভালোবাসা সূর্য সেন হতে দেয় না, যে ভালোবাসা নন্দলাল তৈরি করে।

ভালোবাসার কথা বলবেন?

ভালোবাসতে যোগ্যতা লাগে, যোগ্যতা। সুস্থ মানুষের যোগ্যতা একধরনের, অসুস্থ মানুষের যোগ্যতা একধরনের।

বেড়ালও  ভালোবাসতে জানে। কীভাবে জানেন? দাঁত দিয়ে কামড় দিয়ে। বিড়াল যখন আপনাকে একটু ভালোবাসবে তখন সে তার শরীর আপনার অঙ্গে ঘষা দিবে, যখন তীব্র ভালোবাসবে তখন সে দাঁত দিয়ে কামড় দিবে।

আশা করি বেড়ালের তীব্র ভালোবাসা আপনার প্রয়োজন হবে না।

ও আরেকটি কথা তো বলাই হলো না পৃথিবীর প্রত্যেক ধর্ম মতে বিয়ে মানে কিন্তু যৌনতার বৈধতা। আমাদের সমাজ হয়তো মনে করতে পারে বিয়ে মানে সন্তান লালন পালনের বৈধতা। আর বাঙালি নারী মনে করে বিয়ে মানে জাতে ওঠার বৈধতা। বিয়ে না হলে আমাদের সমাজ নারীদের নিচু জাতের মানুষ মনে করে। আর নিচু জাতের মানুষ যেদিন জাতে ওঠে সেইদিন বাঙালি পুরুষ বুঝতে পারে জাত কাহাকে বলে! 

মাছ

মাছ বাজারের লোক আমি দোকান থেকে বলছি,মাছহীন জীবন আমার মাছহীন জীবন, ভেতর থেকে জলে নেমেছি, ভেতর দিয়ে ভেতর কিনেছি,
মাছহীন জীবন আমার মাছহীন জীবন,শ্যাওলার সাথে যে মাছের নিত্য বসবাস সেই মাছের আশায় দিন যায় আমার দিন যায়, মাছহীন জীবন আমার মাছহীন জীবন, ভাবতে পারি না মাছেরও জীবন আছে মাছেরও জীবন, মাছহীন জীবন আমার মাছহীন জীবন 

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

চ...

কোনো প্রসংশাই আজকাল গতরে মাখি না, কোনো নিন্দা আসে না কানের কাছে যেখান থেকে শব্দ গোল হয়ে মনে পৌঁছে, শুধু বসে থাকি বসে থাকি এবং বসে থাকি নীরব কোনো ঘুমে, তোমাদের পথেরা আগুনের মতো কাছে টানে, পথহারা পথিকই জানে আগুনের মর্ম এবং মানে 

মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০১৬

জতেক

কারো কথা মনে পড়ে খুব
কারো কথা মনে আনে সুখ
কারো কথা  ট্রেনকাটা লাশঘরের ঘুম
কারো কথা জলের মতো উৎসমুখী দুঃখ
কারো কথা বুকের দেশে লুকিয়ে রাখা মুখ
কথার জলে ভেসে থাকে যত্রতত্র লোভ
কথা চলে
কথা চালায়
কথা জাগে
কথা জাগায়
কথার মাঠে খেলা করে মানুষ হওয়ার লোভ
কথার জালে যত বিবাদ ক্রোধের ভেতর ক্রোধ 

এ....

এই জীবনে কারো ক্ষতি করার নূন্যতম চিন্তা করিনি। আমাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যও তাই। অবশ্যই তাই। তা আত্মবিশ্বাসের সাথে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো। তবে নিজের অজান্তে কিংবা আবেগের প্রাবল্যের কারনে হয়তো ভুল করেছি কিন্তু ভুলগুলো খুব রকমের বড় আকারে বা নাক কাটার মতো অপরাধ হতে পারে না। আবেগের ভুল আবেগের মতোই ক্ষনস্থায়ী।

কারো সাথে মিশলে মন থেকে মেশা হয়েছে, কোনো প্রকার বৈষয়িক চিন্তাকে সামনে রেখে কখনোই সম্পর্ক নামক অভিধান রচনা করিনি। যার সাথেই থেকেছি, থাকি মন থেকে তার জন্য কল্যান কামনা করি , তাদের ভুল দেখলে সংশোধন করে দেয়ার চেষ্টা করি।

আমি অনেক ভাগ্যবান যে এই জীবনে যাদেরকে আমি পেয়েছি তাদের সঙ্গ পেয়ে আমি সুখবোধ করেছি, গর্ব দিয়েছি নিজেকে। আমার সাথে থেকেছে, থাকে কিন্তু আমার ক্ষতি কামনা করে এমন কেউ আছে বলে কল্পনাতেও আমি বিশ্বাস করতে পারি না। তবে আমার প্রিয় কোনো কোনো সঙ্গ আছে যারা আমার কিছু মানবীয় আচরন মেনে নিতে পারে না, পারে না বললে ভুল হবে-- আমার কাছ থেকে প্রত্যাশা করে না। সে আচরনকে আমি অবশ্যই চিনি কিন্তু ....।

নরসিংদী অল স্টার মেসে থাকতাম। আমাদের রুমে আমরা তিনজন। আমি শামীম, আর নীরব ভাই। তারা আমাকে খুব পছন্দ করতো, আমিও। আমরা যখন পড়তে বসতাম তখন ঘড়ি দেখা নিষিদ্ধ ছিল। নিয়মটা আমার পক্ষ থেকেই পাশ করা হয়েছিল যাতে অনেকক্ষন পড়তে পারি। নীরব ভাই ঘুমিয়ে যেতো আর আমি তার চোখে পানি দিয়ে দিতাম, সে আবার মনোযোগ দিয়ে পড়তে বসতো। আমাদের মাঝে চমৎকার বোঝাপড়া ছিল, বিশেষ করে আমার আর নীরব ভাইয়ের মধ্যে। নীরব ভাইকে নিয়ে একটি গল্পও লিখেছিলাম `` নীরব আলীর নীরব ঘুম ", ছাপা হয়েছিল মঈন ভাই সম্পাদিত কানামাছি পত্রিকায়। নীরব ভাইয়ের চোখেমুখে চমৎকার এক আশারোদ খেলা করতো।

মেস ছেড়ে দিয়ে একসময় বাড়ি চলে যাই। নিজকাজে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

কয়েকমাস পর স্মৃতির টানে ঐ মেসে আবার যাই। গিয়ে দেখি আমার রেখে আসা বেডে আরেকজন বিছানা পেতেছে। আমার বেডে বিছানাপাতা ছেলেটির সাথে খুব মনোযোগ সহকারে কথা বললাম, যেহেতু উপদেশ দেয়ার অভ্যাস আছে তাই মাশেল্লা উপদেশ দিতে কম দেইনি।

নীরব ভাই আসে, আমাকে দেখে সে কান্না শুরু করে দেয়। আমি রুম থেকে আসার পর সে একদিনও মানসিক শান্তিতে থাকতে পারেনি। তার একধরনের মানসিক রোগের জন্ম হয়ে যায়। অথচ আমি যখন ছিলাম ....!

আমি নিজেকে খুব সার্ফ এ্যাকসেল ধোঁয়া সাধু মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি না, শুধু বলতে যাচ্ছি আমি যাদের সাথে চলাফেরা করি তাদের জন্য আমার এমন অন্তরতম শুভকামনা থাকে যা তাদের মা বাবার পক্ষেই করা সম্ভব। ছোট্ট কাল থেকে শুনতে শুনতে বড় হয়েছি একটি আপ্তবাক্য, আর তা হলো মা বাবার মনে কষ্ট দেয় যে সন্তান সে কখনো শান্তিতে থাকতে পারে না। মা বা কখনোই সন্তানের অকল্যান কামনা করে না। 

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬

স....

আকাশ তুলে নিয়েছে মুগ্ধ কিছু রাত, যদিও আকাশ আর মুগ্ধতার মাঝে অসীম ফারাক, যদিও মুগ্ধতা একাকাশের নাম, যদিও আকাশ এক মুগ্ধতার তলে ছাতিম প্রতাপ,
প্রতাপে মুগ্ধতায় লাল নীল দুনিয়া কৃষকের হাসি সরল মেয়ের সরল ম্যানিয়া, কামের ঘরে জমা থাকা কাম, মনের ঘরে জমা থাকা মন এক থেকে একাধিক চোখের আয়োজন-- দুটি চোখ কাছাকাছি এলে দুটি ঠোঁট রচনা করে হাওয়াগত দূরত্ব, মন কখনো থেমে যায় না গতিহীন নদীর মতো, মনে কেবল উড়ে আসে ইজিলোড প্রেম বার বার, বার বার প্রেমে পড়ে মনইমাম হারায় তার স্রোতপথ, নগ্ন হলে গোপন ঘরে নেমে আসে বীর্যপাত ক্ষমা, যুবক খুঁজে পায় দলবল শান্তির পল সুস্থ কামনায়,

আর কত অভদ্র হলে সুভদ্র হবে মানুষ?
আর কত সভ্য হলে মানুষ বানাবে আরো আরো বানোয়াট মুখ? 

,.

বড়শি দিয়ে মাছ ধরা যায়, মানুষ ধরা যায় না, মানুষ বড়শিজ্ঞান মাছের জন্য তুলে রাখে 

বিলা

আমার আম্মা কইতেন পুলাফানরে হারাপ বানা বিলাফান , পুলাফানের কোনো দোষ নাই। আম্মার আম্মা, তারও আম্মা এই কথা বিশ্বাস করতেন। আম্মার এই হাজার বছরের বিশ্বাসকে আমি শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি, পারবো না।

তাই আমি আম্মার পুলা হয়েও এখনো  এক বিলার কথা খুব মনে পড়ে। মনে পড়ার সাথে কেমন যেন এক প্রশান্তি নিজের ভেতরে প্রবাহিত হতে থাকে-- অনেকটা শরৎমেঘের মতো, অনেকটা নিঝুমদ্বীপের একলা রাতের ঘুমপ্রিয় পাখির মতো, অনেকটা তিনশ ফিট রাস্তায় নিভে যাওয়া সন্ধ্যায় রিকসা চড়া ভ্রমনের মতো।

বিলাডা কেমন আছে জানি  না, জানতে ইচ্ছে হয় না এমন না। সব অজানা জীবনের জন্য ক্ষতিকর না, তাই জানতে চাই না। কিছু প্রিয় অজানা আছে যা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আনন্দে আনন্দে বেঁচে থাকার জন্য আম্মার মতোই সহায়ক ভূমিকা রাখে।

যখন দেখি আকাশে একটা পাখি একলা একলা ঘুরছে, যখন দেখি কোথাও কোনো এক দূরতম নির্জন দ্বীপ, যখন শুনি কোনো কথা কোনো সুরে বসতে যাচ্ছে, যখন কোনো ডিরেক্টর মনতাজ করতে গিয়ে সিগারেট ধোঁয়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে তখন, ঠিক তখনই আমার বিলাডার কথা মনে পড়ে।


বিলাডা অনেক ভালো আছে জানতে পারলে অনেক ভালো লাগবে, অনেক ভালো লাগা কেমন তা অবশ্যই ভাষায় প্রকাশ করার সক্ষমতা আমার নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি কাউকে ভেতর থেকে ভালো লাগলে নিজের ভেতরটা তার জন্য নিবেদিত প্রানে পরিগনিত হতে বাধ্য-- সেই জায়গা থেকে তাহার জন্য শুভকামনাবোধ ব্যতীত আজও অন্য কিছু আবিষ্কারের খাতায় নাম নিবন্ধন করেনি।

একটি গান মানুষের মুখে প্রায় শুনি আল্লা নাকি তার প্রেমিক / প্রেমিকা বিচার করবো।
কেন?
সে নাকি তার অনেক ক্ষতি করেছে। গানটি শুনে আমি হাসি আর ভাবি কীরে ভাবা এ কোন ধরনের প্রেমিক যে তার বন্ধুকে অভিশাপ দেয়। ক্ষতি করার অধিকার যে আমাকে দিবে না তাকে কেন আমি উপকার করতে যাবো।

উপকার আর ক্ষতির বাইরে সম্পূর্ন আলাদা এক পৃথিবী আছে যেখানে  জলবায়ুহীন মন থাকে সেখানে দেখা যায় প্রেমের মর্মাহত বাসা-- যত গভীর আশা,  যত গভীর প্রত্যাশা,  যত গভীর হতাশা  সবই আছে সেই মর্মাহত পুরাতন বাসায়। সেই বাসায় বিলাডা আসে,  আমিও যাই অথচ দুজনের দেহ কত সুন্দর করে অদৃশ্য, অদৃশ্য দেহে চলে আত্মার ইথার, কাতারে কাতারে সাজাই আমরা কথার বাহার।
আমাদের মাঝে যে কথা জন্মগ্রহন করে তা হয়তো অনেকদিন নবাগত শিশুর চোখসম শক্তিতে অনুবাদহীন থাকবে। তারপর তারা একদিন অনুবাদ হবে পৃথিবীর পাড়ায় পাড়ায়।

তারপর, তারপর হবো ইতিহাস