কোনো একজন একশ মিটার গতিতে দৌঁড় দিলে অন্যরা চারশ মিটার গতিতে লোকটিকে থামানোর চেষ্টা করে। এটা হলো বাংলাদেশ। অথচ দুইশত মিটার গতিতে দৌঁড় দিয়ে লোকটিকে অতিক্রম করা যায়। আমরা আসলে অতিক্রম করতে চাই না, অতিক্ষতি করতে চাই।
শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭
বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
গম আছি আই বাবু
অনেক শব্দের ভীড়ে রোদ নামে তাপের পেরেক মারে হৃদয়ে হৃদয়ে। হৃদয়ের অপচয়।
অনেক নীরবতার ভীড়ে কুয়াশা নামে হিমানী আমেজে জমে আসে হৃদয়। হৃদয়ের অপচয়।
মাধ্যমিক জীবন আনন্দ অনেক। বসন্তের দেশে পীড়িত নয় ফুল, নদী যত বড় তত বিখ্যাত নয় কাগজের বর্ষা,আষাঢ় মাস।
আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে তেইসা বয়সী রাইতে ডানাওয়ালা ফুরি সাই সাই কইরা উইরা যায়। আকাশের দিকে তাকাই, বাতাসে চোখ লাগাই, আকাশ দেখা গেলেও ফুরি ন দেখা যায়। হৃদয়ের অপচয়।
হুনছি ফুলের গন্ধে রোজ রাইতে ফুরি নেমে আসে মাটির কাছে-- এই লোভে হাসনাহেনা ফুলফাঁদ পাতি আমার ঘরের সামনে, ফুলের গন্ধে সাপ আসে ফুরি ন আসে বেবাগ। হৃদয়ের অপচয়।
গম আছি আই এই হতা আই ক্যামনে কমু বাবু,জলিমা গেল জল আনতে আর বাড়ি ন আইয়ে, দিনে রাইতে জোয়ার আহে, আমার জলিমা আহে নাতো আর, চোখের জল বাতাসে মিশে গেলে রাখাল ছেলের বুকে নামে গোধূলী হলুদ। হৃদয়ের অপচয়।
অপচয় অবচয়ের এ্যাকাউন্ট ওপেন করে পৃথিবীর চোখে রাতকানা রোগ, প্রেমিকার হৃদয়ে অপূর্ব এক টিয়া পাখির ঠোঁট।
অনেক নীরবতার ভীড়ে কুয়াশা নামে হিমানী আমেজে জমে আসে হৃদয়। হৃদয়ের অপচয়।
মাধ্যমিক জীবন আনন্দ অনেক। বসন্তের দেশে পীড়িত নয় ফুল, নদী যত বড় তত বিখ্যাত নয় কাগজের বর্ষা,আষাঢ় মাস।
আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে তেইসা বয়সী রাইতে ডানাওয়ালা ফুরি সাই সাই কইরা উইরা যায়। আকাশের দিকে তাকাই, বাতাসে চোখ লাগাই, আকাশ দেখা গেলেও ফুরি ন দেখা যায়। হৃদয়ের অপচয়।
হুনছি ফুলের গন্ধে রোজ রাইতে ফুরি নেমে আসে মাটির কাছে-- এই লোভে হাসনাহেনা ফুলফাঁদ পাতি আমার ঘরের সামনে, ফুলের গন্ধে সাপ আসে ফুরি ন আসে বেবাগ। হৃদয়ের অপচয়।
গম আছি আই এই হতা আই ক্যামনে কমু বাবু,জলিমা গেল জল আনতে আর বাড়ি ন আইয়ে, দিনে রাইতে জোয়ার আহে, আমার জলিমা আহে নাতো আর, চোখের জল বাতাসে মিশে গেলে রাখাল ছেলের বুকে নামে গোধূলী হলুদ। হৃদয়ের অপচয়।
অপচয় অবচয়ের এ্যাকাউন্ট ওপেন করে পৃথিবীর চোখে রাতকানা রোগ, প্রেমিকার হৃদয়ে অপূর্ব এক টিয়া পাখির ঠোঁট।
বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭
লেজ আর ন চাই
কোনোদিন আম্মারে মা কিংবা আম্মু কিংবা মামি, মাম, মাম্মি বলতে পারি নাই। আম্মারে আম্মা বলেই শান্তি। টিভির মানুষেরা আম্মারে মা বলতো। আমিও কয়েকবার চেষ্টা করছি কিন্তু পারি নাই।
আম্মাজান ছবিতে আমাদের মান্না ভাই মুখভরে আম্মা ডাক দিয়েছিল। হে দিন থেইক্যা মান্না ভাইরে খুব আপন আপন লাগে। ঢাহা শহর থেকে যারা আমগো গ্রামে ইদেটিডে বেড়াইতে যাইতো তাগো সন্তানরা দেখতাম মারে মাম্মি মাম্মি ডাহে বাড়ি উজানে তুলে ফেলত। শহুরে মানুষের রঙের ডিব্বা, ভাষায় ডিব্বা দেখেশুনে আমার নিজের উপর মায়া হতো। এখন? তাদের উপর উপর মায়া হয়।
গ্রামের মানুষ শহুরে হওয়ার জন্য প্রথমে ভাষার মধ্যে লেজ লাগায়, তারপর আচরনের মধ্যে লেজ লাগায়, তারপর শরীরের চেয়ে লেজ বড় হয়ে যায়। আমি আম্মারে আম্মাই বলতে চাই, যে লেজ কেটে আমি মানুষ হয়েছি সেই লেজ আর না চাই সেই লেজ আর ন চাই।
আম্মাজান ছবিতে আমাদের মান্না ভাই মুখভরে আম্মা ডাক দিয়েছিল। হে দিন থেইক্যা মান্না ভাইরে খুব আপন আপন লাগে। ঢাহা শহর থেকে যারা আমগো গ্রামে ইদেটিডে বেড়াইতে যাইতো তাগো সন্তানরা দেখতাম মারে মাম্মি মাম্মি ডাহে বাড়ি উজানে তুলে ফেলত। শহুরে মানুষের রঙের ডিব্বা, ভাষায় ডিব্বা দেখেশুনে আমার নিজের উপর মায়া হতো। এখন? তাদের উপর উপর মায়া হয়।
গ্রামের মানুষ শহুরে হওয়ার জন্য প্রথমে ভাষার মধ্যে লেজ লাগায়, তারপর আচরনের মধ্যে লেজ লাগায়, তারপর শরীরের চেয়ে লেজ বড় হয়ে যায়। আমি আম্মারে আম্মাই বলতে চাই, যে লেজ কেটে আমি মানুষ হয়েছি সেই লেজ আর না চাই সেই লেজ আর ন চাই।
বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭
উর্দু গীতিকার জাভেদ আখতারের পৃথিবী থেকে বাংলা পৃথিবী
In lamhon ke daaman mein,
Paakeza se ristey hain
Koi kalma mohabbat ka, dohratay farishtay hain
Khamosh si hain zameen, hairaan sa falak hai
Ek noor hi noor sa ab aasmaan talak hai
Nagme hi nagme hain jaagti soti fizaon mein
Husn hain saari adaon mein
Ishq hain jaise hawaon mein
Nagme hi nagme hain jaagti soti fizaon mein
Husn hain saari adaon mein
Ishq hain jaise hawaon mein
Kaisa yeh ishq hain, kaisa yeh khwab hain,
Kaise jazbaat ka umda sailaab hai?
Din badley, raatein badle, baatein badli,
Jeena ke andaaz hi badle hain
In lamhon ke daaman mein,
Paakeza se ristey hain
Koi kalma mohabbat ka, dohratay farishtay hain
সময়ের স্রোতে কিছু সম্পর্ক ভাসে
অনেক পবিত্র হৃদয় সেই সময়ে হাসে
ফেরেশতাও সেই সম্পর্কের কবিতা পড়ে
আকাশ বিস্মিত পৃথিবী নীরব হয়ে আসে
জমিনে আসমানে আলোয় আলোয় সাজে
নীরব হয়েছে সরব, সরব আরও সরব নীরব ঘরে
তোমার মায়াক্ষেপে আমার মন থাকে প্রেমে
বাতাসের পকেটে আমাদের প্রেম থাকে জমে
এ কেমন প্রেম?
এ কেমন ধ্যান?
এ কেমন আবেগ মনের প্রবাহে?
দিন রাত হয়, রাত দিন হয়, কথা ছায়া ফেলে, জীবন জীবনকে রেখে যায় দূরে, তবুও প্রিয় সম্পর্ক থাকে, তবুও প্রিয় সম্পর্ক থাকে সময়ের স্রোতে, ফেরেশতারা সেই সম্পর্কের কবিতা লেখে।
ফুলেশ্বর
আমার দেহ তোমার মনে
তোমার দেহ আমার মনে
আমার দেহ ফুল হলে
গন্ধ ফুলের তুমিবনে
তোমার দেহ আমার মনে
আমার দেহ ফুল হলে
গন্ধ ফুলের তুমিবনে
মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
অ আ ক খ
গনতান্ত্রিক ঠোঁটে বিপ্লবের ঘাম
শিয়ালের পাঠশালায় মানুষের নাম
শিয়ালের পাঠশালায় মানুষের নাম
শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
হাসি
তোমার মুচকি হাসির পাঠশালায় আমি রোজ বর্নমালা শিখি
শীতের লাশ
শীতের লাশ বহন করি আমরা
লোকে আমাদের জীবিত বলে
তোমার ঠোঁটে লাল আনন্দ
চোখে কাজল
তোমার মাথায় লাল স্বপ্ন
কালো রাতে কালো মিয়া কালোর ঘাট প্রতিষ্ঠা করেছিল, তুমি বেশ হয়েছিলে, তোমার আনন্দে সূর্য সীমান্ত বেয়ে চলে গেছে দেশের ওপারে।
আমি এখন দেশ বলতে বুঝি তুমি
আমি এখন রাষ্ট্র বলতে বুঝি তুমি
আমি এখন পতাকা বলতে বুঝি তুমি
তুমি একটা সবুজের নিচে আমার পাতার কথা, আমার আলুপোড়া ঘ্রানের মিস্টি শব্দ, আমার কুয়াশাপ্রিয় রাস্তা।
নারদের জন্মকথা আমিও জানি, আমার আকাশেও উড়ে পাখিদের বাড়ি, কেবল হলুদ সন্ধ্যার দিকে মুখ ফিরে দেখি ভোরের আলোতে মেশানো রাষ্ট্র সভ্যতা সংবিধান নামে তাবিজ পানি। আমরা জনগন তাবিজ পানি খাই আর হুজুরের রোগ মুক্তির প্রানপন প্রার্থনায় উপাসনায় বসি মা দেবীর সুশীতল ছায়ায়।
লোকে আমাদের জীবিত বলে
তোমার ঠোঁটে লাল আনন্দ
চোখে কাজল
তোমার মাথায় লাল স্বপ্ন
কালো রাতে কালো মিয়া কালোর ঘাট প্রতিষ্ঠা করেছিল, তুমি বেশ হয়েছিলে, তোমার আনন্দে সূর্য সীমান্ত বেয়ে চলে গেছে দেশের ওপারে।
আমি এখন দেশ বলতে বুঝি তুমি
আমি এখন রাষ্ট্র বলতে বুঝি তুমি
আমি এখন পতাকা বলতে বুঝি তুমি
তুমি একটা সবুজের নিচে আমার পাতার কথা, আমার আলুপোড়া ঘ্রানের মিস্টি শব্দ, আমার কুয়াশাপ্রিয় রাস্তা।
নারদের জন্মকথা আমিও জানি, আমার আকাশেও উড়ে পাখিদের বাড়ি, কেবল হলুদ সন্ধ্যার দিকে মুখ ফিরে দেখি ভোরের আলোতে মেশানো রাষ্ট্র সভ্যতা সংবিধান নামে তাবিজ পানি। আমরা জনগন তাবিজ পানি খাই আর হুজুরের রোগ মুক্তির প্রানপন প্রার্থনায় উপাসনায় বসি মা দেবীর সুশীতল ছায়ায়।
শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
তুমিআমি
তোমার অসুখ নিয়ে তুমি বড় সুখী
আমার সুখ নিয়ে আমি বড় দুঃখী
আমার সুখ নিয়ে আমি বড় দুঃখী
বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
যাদের স্বপ্ন বিক্রি হবে বলে
সিভিল সোসাইটির মানে তারা জানে না। তাদের চোখে নিজস্ব চোখ, তাদের মুখে নিজস্ব ভাষা, তাদের মনে নিজস্ব স্বপ্ন। ঝুনহির ফাঁকের মতো তাদের দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা।
হিজিমনি তাদের আনন্দ দিতে না পারলেও তাদের আনন্দ কেড়ে নিবে ধীরে ধীরে। একদিন তাদের স্বপ্নের ফাঁক দিয়ে সিভিল সোসাইটি টাপুর টুপুর পড়তে থাকবে। তাদের নিজস্ব স্বপ্নের ঘর ভিজে যাবে পরবাসী স্বপ্নে। তারা তখন নিজেদের বিজয় দিবস উদযাপন করবে পরবাসী স্বপ্নে পরবাসী সুরে পরবাসী কল্পনায়।
এমন সরিষা ফুল বিকালে শিশুটি যাবে চরে। ঘাস কাটবে। ঘাস বাড়িতে আসবে। বাড়িতে গাভী সবুজ ঘাস খাবে। গাভী দুধ দিবে। দুধ বিক্রি হবে সকালের বাজারে। বাজার থেকে শিশুটির বাবা কিনে আনবে আনাইচ তরকারি চাল ডাল। ঘরে রান্না হবে। তারপর তার ক্ষুধার্ত মুখ পাবে খাবার।
শিশুটি প্রতিদিন স্বপ্ন দেখে ভালো কিছু খাবারের। আর রাষ্ট্র প্রতিদিন শিশুর খাবার কেড়ে নেওয়া স্বপ্নে বিভোর।
হিজিমনি তাদের আনন্দ দিতে না পারলেও তাদের আনন্দ কেড়ে নিবে ধীরে ধীরে। একদিন তাদের স্বপ্নের ফাঁক দিয়ে সিভিল সোসাইটি টাপুর টুপুর পড়তে থাকবে। তাদের নিজস্ব স্বপ্নের ঘর ভিজে যাবে পরবাসী স্বপ্নে। তারা তখন নিজেদের বিজয় দিবস উদযাপন করবে পরবাসী স্বপ্নে পরবাসী সুরে পরবাসী কল্পনায়।
এমন সরিষা ফুল বিকালে শিশুটি যাবে চরে। ঘাস কাটবে। ঘাস বাড়িতে আসবে। বাড়িতে গাভী সবুজ ঘাস খাবে। গাভী দুধ দিবে। দুধ বিক্রি হবে সকালের বাজারে। বাজার থেকে শিশুটির বাবা কিনে আনবে আনাইচ তরকারি চাল ডাল। ঘরে রান্না হবে। তারপর তার ক্ষুধার্ত মুখ পাবে খাবার।
শিশুটি প্রতিদিন স্বপ্ন দেখে ভালো কিছু খাবারের। আর রাষ্ট্র প্রতিদিন শিশুর খাবার কেড়ে নেওয়া স্বপ্নে বিভোর।
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
এক ঘন্টা পর পরীক্ষার হলে গেলাম
এ নিয়ে আমার জীবনে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো ঘটে গেল।
প্রথমবার ঘটেছিল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দিতে আসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নতুবা পড়াশোনা করবো না। তাই ফর্ম কেটেছিলাম একটাই। বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে আমার সিট পড়ে। কিন্তু সিট খুঁজে পেতে পেতে পনেরো মিনিট গত হয়ে যায়। এক ঘন্টার পরীক্ষার মধ্যে যদি পনেরো মিনিট গত হয়ে যায়, তাও আবার এগারো তলায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠতে হয় তাহলে কী অবস্থা হবে!
কর্তব্যরত টিচার হয়তো ভেবেছিলেন আমার কোনো সময়জ্ঞান নেই। ইশ্বর টিচারের ভাবনায় একটা বড় রকমের অট্টহাসি দিয়েছিলেন আমি নিশ্চিত। কারন ইশ্বর আর আমি জানি সময়ের সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্ম হিসাব কেমন করে আমি মেনে চলি ....
আজ মঙ্গলবার। শুক্রবারে পরীক্ষা হয়েছিল দুইটা ত্রিশ মিনিটে। আমি ভাবছি আজকেও দুইটা ত্রিশ মিনিটে। দুইটার দিকে আস্তে আস্তে পরীক্ষার হলের দিকে যাচ্ছি। আমি সাধারনত পরীক্ষার হলে যাই দশ মিনিট আগে। পকেটে থাকে চকলেট। পরীক্ষা দেই আর চকলেট কডর কডর খাই। আমার পাশের তারা চকলেট চাই কিন্তু আমি দেই না, লালুস দেখাই, খুব মজা পাই।
সিঁড়ি বেয়ে পরীক্ষার হলের দিকে যাচ্ছি। সিঁড়ি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমি কী খুব আগে চলে আসলাম?
ওমা! পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে একটা ত্রিশ মিনিটে, মাথায় একটা পাথর যেন পড়লো!
আস্তে করে খাতা প্রশ্ন নিলাম। ভীস্মদেব স্যার আস্তে আস্তে আমার কাছে আসলেন, আমার কানের কাছে মুখ রাখলেন, তারপর আস্তে আস্তে বললেন, "কোনো সমস্যা নাই বাবা, সময়টা ভাগ করে নাও, তুমি পারবে।"
'তুমি পারবে' কথাটা জাদুর মতো আমার
মনে কাজ করতে আরম্ভ করে। আমি ভুলে গেছি এক ঘন্টা পরে আমি পরীক্ষা দিতে আসছি।
পাঁচ নং প্রশ্ন মানে শেষ প্রশ্ন লিখছি, হাতে আছে এক ঘন্টা। বিভাগের HOD ভীস্মদেব চৌধুরী স্যার আবার আমার কাছে আসলেন।
প্রশ্ন সব লিখতে পেরেছো?
জ্বি স্যার। শেষ প্রশ্ন লিখছি।
স্যারের মুখে হাসি। আমার মুখে ও মনে হাসি।
আমার মুখেমনে আনন্দ এই জন্য যে আমি জানতে পেরেছি আজ আবার নতুন করে একজন শিক্ষক আর একজন ছাত্রের সম্পর্ক কোথায় এবং তা কত শক্তিশালী ....
প্রথমবার ঘটেছিল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দিতে আসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নতুবা পড়াশোনা করবো না। তাই ফর্ম কেটেছিলাম একটাই। বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে আমার সিট পড়ে। কিন্তু সিট খুঁজে পেতে পেতে পনেরো মিনিট গত হয়ে যায়। এক ঘন্টার পরীক্ষার মধ্যে যদি পনেরো মিনিট গত হয়ে যায়, তাও আবার এগারো তলায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠতে হয় তাহলে কী অবস্থা হবে!
কর্তব্যরত টিচার হয়তো ভেবেছিলেন আমার কোনো সময়জ্ঞান নেই। ইশ্বর টিচারের ভাবনায় একটা বড় রকমের অট্টহাসি দিয়েছিলেন আমি নিশ্চিত। কারন ইশ্বর আর আমি জানি সময়ের সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্ম হিসাব কেমন করে আমি মেনে চলি ....
আজ মঙ্গলবার। শুক্রবারে পরীক্ষা হয়েছিল দুইটা ত্রিশ মিনিটে। আমি ভাবছি আজকেও দুইটা ত্রিশ মিনিটে। দুইটার দিকে আস্তে আস্তে পরীক্ষার হলের দিকে যাচ্ছি। আমি সাধারনত পরীক্ষার হলে যাই দশ মিনিট আগে। পকেটে থাকে চকলেট। পরীক্ষা দেই আর চকলেট কডর কডর খাই। আমার পাশের তারা চকলেট চাই কিন্তু আমি দেই না, লালুস দেখাই, খুব মজা পাই।
সিঁড়ি বেয়ে পরীক্ষার হলের দিকে যাচ্ছি। সিঁড়ি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমি কী খুব আগে চলে আসলাম?
ওমা! পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে একটা ত্রিশ মিনিটে, মাথায় একটা পাথর যেন পড়লো!
আস্তে করে খাতা প্রশ্ন নিলাম। ভীস্মদেব স্যার আস্তে আস্তে আমার কাছে আসলেন, আমার কানের কাছে মুখ রাখলেন, তারপর আস্তে আস্তে বললেন, "কোনো সমস্যা নাই বাবা, সময়টা ভাগ করে নাও, তুমি পারবে।"
'তুমি পারবে' কথাটা জাদুর মতো আমার
মনে কাজ করতে আরম্ভ করে। আমি ভুলে গেছি এক ঘন্টা পরে আমি পরীক্ষা দিতে আসছি।
পাঁচ নং প্রশ্ন মানে শেষ প্রশ্ন লিখছি, হাতে আছে এক ঘন্টা। বিভাগের HOD ভীস্মদেব চৌধুরী স্যার আবার আমার কাছে আসলেন।
প্রশ্ন সব লিখতে পেরেছো?
জ্বি স্যার। শেষ প্রশ্ন লিখছি।
স্যারের মুখে হাসি। আমার মুখে ও মনে হাসি।
আমার মুখেমনে আনন্দ এই জন্য যে আমি জানতে পেরেছি আজ আবার নতুন করে একজন শিক্ষক আর একজন ছাত্রের সম্পর্ক কোথায় এবং তা কত শক্তিশালী ....
শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
অনেক মানুষের নাম মধু
শব্দের ছায়া দেখে পাখিদের ঘর আঁকে মানুষ
আকাশে বিমান উড়ে
আকাশে মেঘ উড়ে
আকাশে আকাশ উড়ে
পলাতক প্রেম এসে নির্মান করে সংসার
অনেক কথার বাহার
ফুল কিন্তু চোখের সামনেই থাকে
গলিত সূর্যের হাতে সন্ধ্যার বাজার বসে, মানুষ বড়ই নিষ্পাপ, আজাইরা কাজের মতো নিষ্পাপ।
মধুপুর গ্রামে আজও কোনো মধুর চাষ দেখি নাই, মধুর চাষ হয়েছিল বলে মনে পড়ে না কিংবা ইতিহাসও নেই, তারপরও গ্রামটির নাম মধুপুর।
অনেক মানুষের নাম মধু চা বিক্রি করে সাথে হয়তো চিনি নয়তো খেঁজুর গুর। যাক, নামে কী আসে যায়। নামের গুনে কত বদনাম আকাশের চাঁদে!
ককপীঠে বাতাস থাকে, ককপীঠে থাকে কিছু ঘুম কিছু বিশ্রাম। মৃত পুকুরের আগাছায় পরগাছার সন্যাস, চলক স্কিনের পেছনে হাত পেতে থাকে মাস্টার শটের কারসাজি, অনেক খেলার পর গল্পের নামে কেবলই ছায়াবীথিকার লম্বা হাত। পৃথিবীও বড় মানুষ, আমরা সেই মানুষের পোকা, বাতাসে ঘুরপাক খায় 'প্রবেশের নিজ সময়' 'দরজা বন্ধের' টুসটাস শব্দ।
আকাশে বিমান উড়ে
আকাশে মেঘ উড়ে
আকাশে আকাশ উড়ে
পলাতক প্রেম এসে নির্মান করে সংসার
অনেক কথার বাহার
ফুল কিন্তু চোখের সামনেই থাকে
গলিত সূর্যের হাতে সন্ধ্যার বাজার বসে, মানুষ বড়ই নিষ্পাপ, আজাইরা কাজের মতো নিষ্পাপ।
মধুপুর গ্রামে আজও কোনো মধুর চাষ দেখি নাই, মধুর চাষ হয়েছিল বলে মনে পড়ে না কিংবা ইতিহাসও নেই, তারপরও গ্রামটির নাম মধুপুর।
অনেক মানুষের নাম মধু চা বিক্রি করে সাথে হয়তো চিনি নয়তো খেঁজুর গুর। যাক, নামে কী আসে যায়। নামের গুনে কত বদনাম আকাশের চাঁদে!
ককপীঠে বাতাস থাকে, ককপীঠে থাকে কিছু ঘুম কিছু বিশ্রাম। মৃত পুকুরের আগাছায় পরগাছার সন্যাস, চলক স্কিনের পেছনে হাত পেতে থাকে মাস্টার শটের কারসাজি, অনেক খেলার পর গল্পের নামে কেবলই ছায়াবীথিকার লম্বা হাত। পৃথিবীও বড় মানুষ, আমরা সেই মানুষের পোকা, বাতাসে ঘুরপাক খায় 'প্রবেশের নিজ সময়' 'দরজা বন্ধের' টুসটাস শব্দ।
মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
বন্ধু গেলা রে
বন্ধু গেলা রে
গেলা বন্ধু রাইখা আমায় আন্ধারে (২)
পূর্ণিমা রাতে তোমার হাতে
বকুল ফুলের মালা
মেঘনার তীরে আন্ধার ঘরে
আমি যে একেলা
মনে ব্যাথা
মুখে নাই কথা
চোখে ঝরে অঝোর ধারা
পাখি ডাকে আগের মতো
গাছে বসে গানপাখি
উদাস নদী বৈঠা চালায়
নৌকাতে নাই মনমাঝি
আকাশ ভরা শুধু তুমি
পাখির ডানায় এই আমি
বন্ধু গেলা রে
গেলা বন্ধু রাইখা আমায় আন্ধারে (২)
গেলা বন্ধু রাইখা আমায় আন্ধারে (২)
পূর্ণিমা রাতে তোমার হাতে
বকুল ফুলের মালা
মেঘনার তীরে আন্ধার ঘরে
আমি যে একেলা
মনে ব্যাথা
মুখে নাই কথা
চোখে ঝরে অঝোর ধারা
পাখি ডাকে আগের মতো
গাছে বসে গানপাখি
উদাস নদী বৈঠা চালায়
নৌকাতে নাই মনমাঝি
আকাশ ভরা শুধু তুমি
পাখির ডানায় এই আমি
বন্ধু গেলা রে
গেলা বন্ধু রাইখা আমায় আন্ধারে (২)
সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
আমরা সবাই আমাদের মতো থাকতে চাই
একটা শব্দের পর আরেকটি শব্দ, একটি ভাবের গর্ভে আরেকটি বান, তারপর কলা গাছ আরও সবুজ হয়ে সমাজের পিলার, স্বপ্নযাত্রা আজকাল নদী হয়ে গ্যাছে,বিশাল নদী, আমেনার মা এখন ভয় পায়, অনেক ক্ষমতা নিয়েও আমানের মা ভয় পায়, আসমানে মেঘ নাই, নীল রঙের একটা শাড়ি সিস্টেম শেখাতে সূর্যের আত্মীয় নামে নেমে আসে পৃথিবীর মিছিলে, ঘরের জানালায় সবুজ মাঠ, রুপালি চাঁদ নাচতে থাকে মনের গ্রীনল্যান্ডে, রাস্তা বেয়ে কতিপয় হাত নৃত্য করে।
সবাই কেমন সবার মতো চলতে চায়
সবাই কেমন সবার মতো বলতে চায়
সবাই কেমন সবার মতো হাসতে চায়
একটু নিজের সাথে বিরোধ হলেই যমুনার জলে মরুভূমি বসে
একটু নিজের সাথে বিরোধ হলেই বাজারমূল্যের গারমি গলা
একটু নিজের সাথে বিরোধ হলেই জুয়ার আসরে বিক্রি করে প্রিয়তমা মুখ
কোকিল গান করে যায়, নিজের অসুস্থতায়ও সে গান গায়, তার গান অসুস্থকে সুস্থ করে না, সুস্থকে আরও সুস্থ করে তুলে।
বহুদিন হলো আমাদের জমি গাইন্দা চালের চাষ করে না, মিষ্টি গন্ধের আম গাছটি আমাদের বিলাসী পালঙ্ক এখন, আমি ত জানি জীবিত আম গাছই কেবল মিষ্টি গন্ধ ছড়ায়, মৃত মানুষই জানে মাটির পরিচয়, যুদ্ধাহত শিশুটি এখনো ভুলেনি স্বপ্ন দেখার ভয়।
সবাই কেমন সবার মতো চলতে চায়
সবাই কেমন সবার মতো বলতে চায়
সবাই কেমন সবার মতো হাসতে চায়
একটু নিজের সাথে বিরোধ হলেই যমুনার জলে মরুভূমি বসে
একটু নিজের সাথে বিরোধ হলেই বাজারমূল্যের গারমি গলা
একটু নিজের সাথে বিরোধ হলেই জুয়ার আসরে বিক্রি করে প্রিয়তমা মুখ
কোকিল গান করে যায়, নিজের অসুস্থতায়ও সে গান গায়, তার গান অসুস্থকে সুস্থ করে না, সুস্থকে আরও সুস্থ করে তুলে।
বহুদিন হলো আমাদের জমি গাইন্দা চালের চাষ করে না, মিষ্টি গন্ধের আম গাছটি আমাদের বিলাসী পালঙ্ক এখন, আমি ত জানি জীবিত আম গাছই কেবল মিষ্টি গন্ধ ছড়ায়, মৃত মানুষই জানে মাটির পরিচয়, যুদ্ধাহত শিশুটি এখনো ভুলেনি স্বপ্ন দেখার ভয়।
শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৭
সূরা লাহাব
সূরা লাহাব/মক্কায়
অবতীর্ণ/আয়াত
সংখ্যা 5। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাষায় সূরাটি অনুবাদ করলে দাঁড়াবে--
ﺗَﺒَّﺖْ ﻳَﺪَﺍ ﺃَﺑِﻲ ﻟَﻬَﺐٍ ﻭَﺗَﺐَّ
আবু লাহাইবার দুইডা আত লুলা অইয়া যাইবো, পইচ্চাগুইল্লা যাইব-ই
হুদা আত না হে নিজেও দংশ অইয়া যাইব
ﻣَﺎ ﺃَﻏْﻨَﻰ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺎﻟُﻪُ ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺴَﺐَ
হে যে দন সম্পত বানাইছে ইতা কুনু হের কামে আইব না
ﺳَﻴَﺼْﻠَﻰ ﻧَﺎﺭًﺍ ﺫَﺍﺕَ ﻟَﻬَﺐٍ
অলফ দিনের মাইদ্যে হে দুযহে যাইব আর উল্কাওয়ালা আগুনে ফুইরা ফুইরা চিল্লাইব
ﻭَﺍﻣْﺮَﺃَﺗُﻪُ ﺣَﻤَّﺎﻟَﺔَ ﺍﻟْﺤَﻄَﺐِ
হালার বেডার বউও হের লগে দুযহে যাইবো, হের বউডা হের কঠিন সহযোগী
ﻓِﻲ ﺟِﻴﺪِﻫَﺎ ﺣَﺒْﻞٌ ﻣِّﻦ ﻣَّﺴَﺪٍ
হের গলাতে তাকব হেজুরের কাডাওয়ালা দুরি
In her neck is a twisted rope of
Masad (palm fibre).
অবতীর্ণ/আয়াত
সংখ্যা 5। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাষায় সূরাটি অনুবাদ করলে দাঁড়াবে--
ﺗَﺒَّﺖْ ﻳَﺪَﺍ ﺃَﺑِﻲ ﻟَﻬَﺐٍ ﻭَﺗَﺐَّ
আবু লাহাইবার দুইডা আত লুলা অইয়া যাইবো, পইচ্চাগুইল্লা যাইব-ই
হুদা আত না হে নিজেও দংশ অইয়া যাইব
ﻣَﺎ ﺃَﻏْﻨَﻰ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺎﻟُﻪُ ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺴَﺐَ
হে যে দন সম্পত বানাইছে ইতা কুনু হের কামে আইব না
ﺳَﻴَﺼْﻠَﻰ ﻧَﺎﺭًﺍ ﺫَﺍﺕَ ﻟَﻬَﺐٍ
অলফ দিনের মাইদ্যে হে দুযহে যাইব আর উল্কাওয়ালা আগুনে ফুইরা ফুইরা চিল্লাইব
ﻭَﺍﻣْﺮَﺃَﺗُﻪُ ﺣَﻤَّﺎﻟَﺔَ ﺍﻟْﺤَﻄَﺐِ
হালার বেডার বউও হের লগে দুযহে যাইবো, হের বউডা হের কঠিন সহযোগী
ﻓِﻲ ﺟِﻴﺪِﻫَﺎ ﺣَﺒْﻞٌ ﻣِّﻦ ﻣَّﺴَﺪٍ
হের গলাতে তাকব হেজুরের কাডাওয়ালা দুরি
In her neck is a twisted rope of
Masad (palm fibre).
বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭
বিপ্লব
বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাজানোর কাজটি হলো বিপ্লব আর গলায় ঘন্টা বাজানোর গল্পটি রাজনীতি
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭
অনেক জমেছে কুয়াশা
দূরে
আরও দূরে গেলাম চলে
ভুলে
আরও ভুলে তোমায় নিলে তুলে
উজ্জ্বল যতসব তারা আজ আকাশছাড়া
রোদের সকালে তাপের পেখমে দহনতাড়া
একলা ঘরে আরও ভালো
মৌমাছি ফুলে ফুলে কৃষ্ণকালো
চোখ না চিনে রোবটআলো
লুনাটিক মগ্নতা অনেক হলো
মানুষের ঘরে এবার মন তুলে আনো
গেলাম চলে তাহলে
অনেক জমেছে কুয়াশা কাল টু কালে
আরও দূরে গেলাম চলে
ভুলে
আরও ভুলে তোমায় নিলে তুলে
উজ্জ্বল যতসব তারা আজ আকাশছাড়া
রোদের সকালে তাপের পেখমে দহনতাড়া
একলা ঘরে আরও ভালো
মৌমাছি ফুলে ফুলে কৃষ্ণকালো
চোখ না চিনে রোবটআলো
লুনাটিক মগ্নতা অনেক হলো
মানুষের ঘরে এবার মন তুলে আনো
গেলাম চলে তাহলে
অনেক জমেছে কুয়াশা কাল টু কালে
সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭
মাছ আর পাখির মতো হুবহু
শুন্যকে মিছিলে দাঁড় করালেও সংখ্যা হয় না, সংখ্যা মারা গেলেও শুন্য হয় না, অন্ধকারের সীমান্তে অন্ধকার থাকে আলোর সীমান্তে থাকে আলো, পাহাড়ের সাথে মুদির দোকান মালিকের কথা হয়, মুদির মালিক চাঁদ কিনতে চায়, তাই সে জোছনা রাতে টিএসসিতে এসে বসে থাকে, টিএসসি আবার আলু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে, এখন সে নায়িকা শাবানা নিয়ে ব্যস্ত, শাবানা আবার অভিনয় রেখে আল্লারাসূল নিয়ে মহা ব্যস্ত, জান্নাত তাকে পেতেই হবে।
এই দিকে দেখা দিয়েছে আইন সংকট। অনেক সংকটের মুহূর্তে মহারাজের ঠান্ডা লেগেছে, মহারাজ গান করতে পারছে না। রাজ্যে এখন মুশকিল কান্ড। নদী শুকিয়ে গ্যাছে। তাই নদী কৌশলে ডাকে। রাক্ষস রাক্ষসীর খেলা জমবে এবার।
আমার আর মাছ হওয়া হলো না।
আমার আর পাখির দেশে যাওয়া হলো না।
এখন একটা কুড়েঘর বানাব মাছ আর পাখির মতো হুবহু।
এই দিকে দেখা দিয়েছে আইন সংকট। অনেক সংকটের মুহূর্তে মহারাজের ঠান্ডা লেগেছে, মহারাজ গান করতে পারছে না। রাজ্যে এখন মুশকিল কান্ড। নদী শুকিয়ে গ্যাছে। তাই নদী কৌশলে ডাকে। রাক্ষস রাক্ষসীর খেলা জমবে এবার।
আমার আর মাছ হওয়া হলো না।
আমার আর পাখির দেশে যাওয়া হলো না।
এখন একটা কুড়েঘর বানাব মাছ আর পাখির মতো হুবহু।
শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭
Software
Man at all software not yet hardware and we are the same software and software has no country so called, our country is our working process
আরোপিত
আরোপিত সব কিছু জোয়ারের মতো দেখায় কিন্তু ভাটার মতো আচরন করে
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭
এন্টিভাইরাস
ভাইরাসকে আক্রমন নয়, ভাইরাসের আক্রমনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও শক্তিশালী এন্টিবডির প্রয়োজন
বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৭
সমাজ সেবা?
আমার দুই বন্ধু। আমরা তিনজন হাঁটছি। তারা দুইজন কথা বলছে। একজন ব্যবসায়ী। একজন সমাজ সেবক। ব্যবসায়ীজন বলছে--
আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসছে।
কী?
এই শহরে ত অনেক রিক্সা আছে।
হুম।
রিক্সার পেছনে আমার কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলে সারা শহরে আমার বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে যাবে। এত সহজে ও সস্তায় মূল্যবান বিজ্ঞাপন দেয়ার আর কোনো উপায় নেই।
সমাজ সেবকজন এবার বলে--
আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসছে।
কী?
অনেকের ওড়না বাহনের চাকার সাথে প্যাঁচ খায়। তাই রিক্সার পেছনে লিখে দিতে পারি 'আপনার ওড়না চাকা থেকে সাবধানে রাখুন'।
ভালো আইডিয়া।
তারপর ব্যবসায়ীজন আবার বলে--
আরও একটি কাজ করা যায়।
কী?
রিক্সার পেছনের অংশকে দুটি ভাগ করে একটি ভাগে আমার কোম্পানির বিজ্ঞাপন আরেকটি ভাগে ওড়নার কথাটা বললে কেমন হয়?
ভালো হবে। ব্যবসাও হবে আবার সমাজ সেবাও হবে।
আমি কান পেতে শুনছি আর হাসছি। কারন সমাজ সেবা যখন থেকে ব্যবসায়ীদের হাতে গেল তখন থেকে ব্যবসা হলো মুখ আর সমাজ সেবা হলো প্রসাধনী, প্রেম ভালোবাসা মমতা সহানুভূতি হলো উপযোগ আর মানুষ হলো উপযোগের উপকরন....
আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসছে।
কী?
এই শহরে ত অনেক রিক্সা আছে।
হুম।
রিক্সার পেছনে আমার কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলে সারা শহরে আমার বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে যাবে। এত সহজে ও সস্তায় মূল্যবান বিজ্ঞাপন দেয়ার আর কোনো উপায় নেই।
সমাজ সেবকজন এবার বলে--
আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসছে।
কী?
অনেকের ওড়না বাহনের চাকার সাথে প্যাঁচ খায়। তাই রিক্সার পেছনে লিখে দিতে পারি 'আপনার ওড়না চাকা থেকে সাবধানে রাখুন'।
ভালো আইডিয়া।
তারপর ব্যবসায়ীজন আবার বলে--
আরও একটি কাজ করা যায়।
কী?
রিক্সার পেছনের অংশকে দুটি ভাগ করে একটি ভাগে আমার কোম্পানির বিজ্ঞাপন আরেকটি ভাগে ওড়নার কথাটা বললে কেমন হয়?
ভালো হবে। ব্যবসাও হবে আবার সমাজ সেবাও হবে।
আমি কান পেতে শুনছি আর হাসছি। কারন সমাজ সেবা যখন থেকে ব্যবসায়ীদের হাতে গেল তখন থেকে ব্যবসা হলো মুখ আর সমাজ সেবা হলো প্রসাধনী, প্রেম ভালোবাসা মমতা সহানুভূতি হলো উপযোগ আর মানুষ হলো উপযোগের উপকরন....
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
বিপ্লব বাড়ি যায়
আলোচিত জ্ঞান দিয়ে অধ্যাপক হওয়া যায়, চকচকে চাকরি নেয়া যায়, মানুষের মুখে আসা যায় কিন্তু বিপ্লব করা যায় না! বিপ্লবের জন্য জাস্ট প্রয়োজন মানসিকতা, ত্যাগের মানসিকতা! বর্তমান ভোগের রাজ্যে ত্যাগের চেয়ে বড় কোনো বিপ্লব নেই। ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে জনকল্যানকামী মানুষই প্রকৃত বিপ্লবী আর অন্যরা ভোগ ও ভোগের রেপ্লিকা
আমাদের হত্যার সময় কোনো ভোর ছিল না
সানরাইজটা ছিল আমাদের
সানসেটটা হয়ে গেলো তোমার একান্তভাবে
সূর্যের লাল হলুদ আলো আমার চোখেও এসে পড়েছে
আমার চোখ রক্তের হৃদয়ের মতো লাল
সমবায় সমিতির নামে যারা রক্তখেকো তারা এখনো শান্তি উড়ায় মিছিলে সমাবেশে
তারা মনান্তর কথার লোভে হত্যা করে সুবোধ দৃশ্য
হৃদয়ে তাদের গর্ত
হৃদয়গর্তে তাদের লোভমাছ-- লাফালাফি করে
যারা চায়ের কাপে তুলে ধরে হিংসার জীবানু তারা এখন পূর্নকালীন প্রেমিক
আমার অপরাধ তরকারীতে লবন একটু মাত্রার বাইরে দিয়েছি
আমার অপরাধ লাল গোলাপের পরিবর্তে তোমার জন্য এনেছি সাদা গোলাপ
আমার অপরাধ মাস্টার হওয়ার পরিবর্তে হৃদয়ের কাঙাল হয়েছি
আমার অপরাধ পানাফুলের সবুজ থেকে শুরু করতে চেয়েছি আমাদের হৃদয়সংসার
আমার অপরাধ হতে পারিনি সাবেক চটপটি ফুচকা রাষ্ট্রের সংবিধান
নির্ভেজাল ক্ষমা আমিও করতে জানি
ক্ষমাশাপ তোমাকে দিতে চাই না আমি
ক্ষমাভিনয় দেখাতে চাইনা তোমাকে
ক্ষমাহীন মার্জনায় হৃদয়ে হৃদয়ে বহুকাল আমরা বেঁচে যাবো
প্রয়োজনশায় আবার সাগরে যাবো
আবার চানরে না লইয়ে তোমার হাসিরে লইবো
তারা তখনো গ্রীষ্মকালীন
তারা তখনো জাবরকাটা তর্কেলীন
তারা তখনো হৃদয় হত্যার মতো অশ্লীল
আমার থেকে দুটি ছায়া বের হয়ে যায়
একটি দেখে আরেকটি দেখায়
দেখাতে দেখাতে দেখতে দেখতে আমার দিন যায় আমার দিন যায়
সকালের সূর্যটা ঠিকই পশ্চিম দিকে আরেকটি সকাল বানায়
সানসেটটা হয়ে গেলো তোমার একান্তভাবে
সূর্যের লাল হলুদ আলো আমার চোখেও এসে পড়েছে
আমার চোখ রক্তের হৃদয়ের মতো লাল
সমবায় সমিতির নামে যারা রক্তখেকো তারা এখনো শান্তি উড়ায় মিছিলে সমাবেশে
তারা মনান্তর কথার লোভে হত্যা করে সুবোধ দৃশ্য
হৃদয়ে তাদের গর্ত
হৃদয়গর্তে তাদের লোভমাছ-- লাফালাফি করে
যারা চায়ের কাপে তুলে ধরে হিংসার জীবানু তারা এখন পূর্নকালীন প্রেমিক
আমার অপরাধ তরকারীতে লবন একটু মাত্রার বাইরে দিয়েছি
আমার অপরাধ লাল গোলাপের পরিবর্তে তোমার জন্য এনেছি সাদা গোলাপ
আমার অপরাধ মাস্টার হওয়ার পরিবর্তে হৃদয়ের কাঙাল হয়েছি
আমার অপরাধ পানাফুলের সবুজ থেকে শুরু করতে চেয়েছি আমাদের হৃদয়সংসার
আমার অপরাধ হতে পারিনি সাবেক চটপটি ফুচকা রাষ্ট্রের সংবিধান
নির্ভেজাল ক্ষমা আমিও করতে জানি
ক্ষমাশাপ তোমাকে দিতে চাই না আমি
ক্ষমাভিনয় দেখাতে চাইনা তোমাকে
ক্ষমাহীন মার্জনায় হৃদয়ে হৃদয়ে বহুকাল আমরা বেঁচে যাবো
প্রয়োজনশায় আবার সাগরে যাবো
আবার চানরে না লইয়ে তোমার হাসিরে লইবো
তারা তখনো গ্রীষ্মকালীন
তারা তখনো জাবরকাটা তর্কেলীন
তারা তখনো হৃদয় হত্যার মতো অশ্লীল
আমার থেকে দুটি ছায়া বের হয়ে যায়
একটি দেখে আরেকটি দেখায়
দেখাতে দেখাতে দেখতে দেখতে আমার দিন যায় আমার দিন যায়
সকালের সূর্যটা ঠিকই পশ্চিম দিকে আরেকটি সকাল বানায়
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭
এখন অনেক রাত
এখন অনেক রাত। দুইটা সাতাশ মিনিট না, দুইটা সাইত্রিশ মিনিট। তোমার জেগে থাকার সম্ভাবনা অনেক। জেগে থাকলে কেউ হৃদয়ের ডাক শুনতে পাই না। পৃথিবী এসে ভর করে কানে। প্রতি রাতে তোমার নামে ডাক পাঠাই। একদিনও উত্তর আসে না। যতটুকু জানি পৃথিবীতে এখন কোনো হরতাল চলছে না।
তাহলে উত্তর কেন আসে না?
শব্দের ভীড়ে প্রশ্ন করা যত সহজ উত্তর পাওয়া ততটা কঠিন।
ডাকপিয়ন হয়তো ঘুমিয়ে যাওয়ার আগেই তোমার কাছে চিঠিবার্তা পৌঁছে দেয়, তুমিও হয়তো নিছক শব্দের দুষ্টুচক্র ভেবে ডাস্টবিনে আমার শব্দকে রাত্রিযাপন করতে দাও। সকাল হলে পৃথিবী সূর্য দেখলেও আমার পাঠানো শব্দেরা আরও কোনো উন্নত ডাস্টবিনের উন্নত অন্ধকারে চিরকালের জন্য জায়গা করে নেয়।
পৃথিবী এক আজব জায়গা। কেউ সূর্যের আলোতে অন্ধকার দেখে কেউ অন্ধকারে আলো নিয়ে খেলে। আমি ঠিকই বাতাস ধরতে জলে নামবো। কৌশল নেয় তাতে কী! প্রয়োজনের চেয়ে বড় কৌশল আজও আবিষ্কৃত হয়নি প্রিয়তমা আমার। তোমাকে আমার প্রয়োজন। তাই তুমিই কৌশল আবার তুমিই আমার বাতাস।
এখন অনেক রাত। অনেকেরই কাল সকাল হবে। আমারও হবে। তবে আমার সকালটা ঠিক আরেকটি রাতের কাছাকাছি।
বুকে যাদের অনেক স্বপ্ন তাদের অনেক বাতাসের দরকার হয়। স্বপ্ন প্রচুর তেল খায়। বাতাস তুমি আমায় ছেড়ে যেও না। অনেকটা পথ আমি যেতে চাই ঠিক ব্লাকহোলের প্রথম পিতা পর্যন্ত। তার জন্য আমাকে সূর্যের আলোতে হাঁটতে হবে।
দূরত্বহীন গুরুত্ব আমরা রচনা করে যাবো ফুলের বাগানে, আমাদের শিশু জানবে ফুলের গন্ধ, আমাদের গাছে গাছে থাকবে পাখিদের সংসার, আমাদের নদী মেনে নিবে উর্বর ভূমির গুরুত্ব। শুধু একবার তুমি সঠিক সময়ে যেন ঘুমিয়ে যাও, শুধু একবার যেন ডাকের লোকটি সঠিক সময়ে আমার বার্তা তোমার মাইন্ডবক্সে পৌঁছে দেয়। তবেই পৃথিবীর প্রার্থনা আমার ঘর থেকে ভগবান হয়ে ছড়িয়ে পড়বে সময়হীন শুন্যতায়, আমার ঘর হবে ছাদের উপরের আকাশ। শুধু একবার লোকটি যেন তোমার ঘুমের জন্য অপেক্ষা করে।
আর আমি? আমি প্রতি রাতে তোমার নামে ঘুমাতে যাই। আমার ঘুম শিশুর মতো ভুলে যায় অতীত ভুলে যায় ভবিষ্যৎ, এক অদৃশ্য উত্তরপাওয়া আশাকাল হৃদয়ের নো মেন্স লেন্ডে বাস করতে থাকে করতেই থাকে।
এখন রাত দুইটা সাইত্রিশ নয়, তিনটা সাইত্রিশ। তুমি হয়তো এখনো জেগে আছো। যারা জেগে থাকে তাদের নাম হয়তো মানুষ, যারা ঘুমিয়ে যায় তারা এক হৃদয়ের নাম। হৃদয়ের অনেক গভীরে আমাদের দেখা হবে এই আশায় এখুনি ঘুমাতে গেলাম, তুমি নীল শাড়ির সাথে মিক্সিমাম এ্যাশ কালারের ব্লাউজ পরে আমার চোখ থেকে সানগ্লাসটা সরিয়ে নিও। আমার চোখ দেখবে তোমার হাসির কম্পন, তোমার চোখ দেখবে নির্জনতার এক প্রাচীন স্টেশন যেখানে সবুজ পতাকাটা অপেক্ষার তাপে নীল হয়ে গ্যাছে বহুদিন আগে
তাহলে উত্তর কেন আসে না?
শব্দের ভীড়ে প্রশ্ন করা যত সহজ উত্তর পাওয়া ততটা কঠিন।
ডাকপিয়ন হয়তো ঘুমিয়ে যাওয়ার আগেই তোমার কাছে চিঠিবার্তা পৌঁছে দেয়, তুমিও হয়তো নিছক শব্দের দুষ্টুচক্র ভেবে ডাস্টবিনে আমার শব্দকে রাত্রিযাপন করতে দাও। সকাল হলে পৃথিবী সূর্য দেখলেও আমার পাঠানো শব্দেরা আরও কোনো উন্নত ডাস্টবিনের উন্নত অন্ধকারে চিরকালের জন্য জায়গা করে নেয়।
পৃথিবী এক আজব জায়গা। কেউ সূর্যের আলোতে অন্ধকার দেখে কেউ অন্ধকারে আলো নিয়ে খেলে। আমি ঠিকই বাতাস ধরতে জলে নামবো। কৌশল নেয় তাতে কী! প্রয়োজনের চেয়ে বড় কৌশল আজও আবিষ্কৃত হয়নি প্রিয়তমা আমার। তোমাকে আমার প্রয়োজন। তাই তুমিই কৌশল আবার তুমিই আমার বাতাস।
এখন অনেক রাত। অনেকেরই কাল সকাল হবে। আমারও হবে। তবে আমার সকালটা ঠিক আরেকটি রাতের কাছাকাছি।
বুকে যাদের অনেক স্বপ্ন তাদের অনেক বাতাসের দরকার হয়। স্বপ্ন প্রচুর তেল খায়। বাতাস তুমি আমায় ছেড়ে যেও না। অনেকটা পথ আমি যেতে চাই ঠিক ব্লাকহোলের প্রথম পিতা পর্যন্ত। তার জন্য আমাকে সূর্যের আলোতে হাঁটতে হবে।
দূরত্বহীন গুরুত্ব আমরা রচনা করে যাবো ফুলের বাগানে, আমাদের শিশু জানবে ফুলের গন্ধ, আমাদের গাছে গাছে থাকবে পাখিদের সংসার, আমাদের নদী মেনে নিবে উর্বর ভূমির গুরুত্ব। শুধু একবার তুমি সঠিক সময়ে যেন ঘুমিয়ে যাও, শুধু একবার যেন ডাকের লোকটি সঠিক সময়ে আমার বার্তা তোমার মাইন্ডবক্সে পৌঁছে দেয়। তবেই পৃথিবীর প্রার্থনা আমার ঘর থেকে ভগবান হয়ে ছড়িয়ে পড়বে সময়হীন শুন্যতায়, আমার ঘর হবে ছাদের উপরের আকাশ। শুধু একবার লোকটি যেন তোমার ঘুমের জন্য অপেক্ষা করে।
আর আমি? আমি প্রতি রাতে তোমার নামে ঘুমাতে যাই। আমার ঘুম শিশুর মতো ভুলে যায় অতীত ভুলে যায় ভবিষ্যৎ, এক অদৃশ্য উত্তরপাওয়া আশাকাল হৃদয়ের নো মেন্স লেন্ডে বাস করতে থাকে করতেই থাকে।
এখন রাত দুইটা সাইত্রিশ নয়, তিনটা সাইত্রিশ। তুমি হয়তো এখনো জেগে আছো। যারা জেগে থাকে তাদের নাম হয়তো মানুষ, যারা ঘুমিয়ে যায় তারা এক হৃদয়ের নাম। হৃদয়ের অনেক গভীরে আমাদের দেখা হবে এই আশায় এখুনি ঘুমাতে গেলাম, তুমি নীল শাড়ির সাথে মিক্সিমাম এ্যাশ কালারের ব্লাউজ পরে আমার চোখ থেকে সানগ্লাসটা সরিয়ে নিও। আমার চোখ দেখবে তোমার হাসির কম্পন, তোমার চোখ দেখবে নির্জনতার এক প্রাচীন স্টেশন যেখানে সবুজ পতাকাটা অপেক্ষার তাপে নীল হয়ে গ্যাছে বহুদিন আগে
শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭
মসজিদ
আজকাল মসজিদ নির্মান চমৎকার এক সোস্যাল ফ্যাশন। চারটি ঘর মিলে একটি বাড়ি, সুতরাং তাদের একখান মসজিদ লাগবে। আগে দেখতাম মসজিদকে কেন্দ্র করে দূরদূরান্তের মানুষের মধ্যে একটি সম্প্রীতি গড়ে ওঠতো। কারন দুইতিন গ্রাম মিলে একটি মসজিদ ছিল। এখন মানুষে মানুষে সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে আর মসজিদের সংখ্যা বাড়ছে। মসজিদের সংখ্যা আরও বাড়বে এবং প্রত্যেক ঘরে ঘরে মসজিদ গড়ে ওঠবে ইনশাল্লাহ। কারন আল্লা মানুষের মধ্যে থাকে না, আল্লা থাকে মসজিদে
বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৭
আমার কোনো ছাদ নেই
আমার কোনো ছাদ নেই। নগরের রাত থেমে যায়। নগরে অন্তত একটা ছাদের প্রয়োজন পড়ে। আমার আকাশে বৃষ্টি যেমন করে পড়ে কুয়াশাও তেমন করে। নগরে তোমারও তেমন কোনো ছাদ নেই। ছাদের নামে কিছু হলুদ বাতিঘর কিছু কোলাহল তোমার রাতে নামে দেয়াল লিখনের অনেক পর। নগরে কারোই কোনো ছাদ নেই-- আছে কেবল সিগারেট ধোঁয়া অনেক পাখির ভীড়ে একটি অসুস্থ চেয়ার চেয়ারের পাশে গ্রামের সেই টুনটুনি পাখি। পাখির চোখে অনেক পুরনো এক ব্যস্ততার আগুন। পাখিটি দেখে না, আগুন ফলায়, পাখিটি গান গায় না, আগুন গিলায়।
সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৭
বি শ্বা স
বিশ্বাস একটি শহরের নাম যেখানে মানুষ অধিক সুবিধার আশায় ভীড় করতে থাকে
শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৭
আমার জেলখানার বন্ধুরা
আজ মানে বৃহস্পতিবার। আজ মানে আর এক সপ্তাহ। আমার পাশে বসা মিষ্টি। আজ সে আমার পাশে বসা। গতকাল সে আমার পাশে ছিল না। আগামীকালও সে আমার পাশে থাকবে না। গতকাল যে আমার পাশে ছিল তাকে যেমন করে অনুভব করতে পারি আগামীকাল যে আমার পাশে থাকবে তাকে তেমন করে অনুভব করতে পারি না। গতকাল আর আগামীকালের মাঝে আমিকাল বরাবরই নিয়তি হয়ে যায়।
নিয়তি ঠিক নয় বলা যায় সময়নিষ্ঠুরতা। সময়নিষ্ঠুরতা যতবার উপলব্ধি করেছি ততবার নাজিম হিকমতের কয়েকটি লাইন আমাকে জাপটে ধরেছে "বাতাস আসে বাতাস যায় / চেড়ির একই ডাল একই ঝড়ে / দুইবার দোলে না "।
এক সপ্তাহ পর আমরা কেউ আর ক্লাসে বসবো না। ক্লাস হবে। জেলখানার মতো নিয়মকানুন ঠিকঠাক চলবে। এক সপ্তাহ পর আমরা কেউ আর জেলখানায় থাকবো না। অনেক কালো টিপ আর আমার চোখে পড়বে না। আমরা ঠিকই জাহাজ বনে যাবো। কেউ আবিষ্কার করবে নতুন নতুন দ্বীপ, কেউ জলে কবর রচনা করবে। জীবন এমনই। এতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। আনন্দের বিষয় একটি সপ্তাহ যে আমাদের জীবনের শেষ সপ্তাহ তা ধীরে ধীরে টের পাচ্ছি, কারো কারো মনে মেঘ জমা হচ্ছে খুব করে কিন্তু দারুন বৃষ্টি হবে এমন উপায় নেই। বাতাসের হৃদয়স্পর্শী আলিঙ্গন পেলে মেঘ বৃষ্টি হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের মেঘ বৃষ্টি হবে এমন বাতাস কই!
এই পৃথিবী থেকে যখন চলে যাবো তখন এমন করে এক সপ্তাহ গুনতে পারবো না। কেউ কেউ হয়তো এক মিনিট অথবা এক সেকেন্ড আগে টের পেতে থাকে তার বা তাদের জন্য আর পৃথিবীতে কোনো জায়গা নেই। তখন জীবনের শেষ এক মিনিট এক সপ্তাহ অথবা এক কোটি বছরের মতো অনুভবে আসতে থাকে হয়তো।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দুই ধরনের বন্ধুদের সাথে আমি ক্লাস করেছি। যারা বোরখা পরে এবং যারা পরে না। যারা বোরখা পরে কোনোদিন আমি তাদের মুখ দেখেনি, বোরখাছাড়া যদি কখনো তাদের সাথে আমার দেখা হয় আমি তাদের চিনতে পারবো না। যারা বোরখা পরেনি তাদের মুখে ছিল তীব্র আলো, ফলত তারাও যদি প্রকৃত চেহারা নিয়ে আমার সামনে আসে তাদেরকেও আমি চিনতে পারবো না। কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। জেলখানাতেও প্রশান্তির ধারা নিয়ে আসা যায় কয়েদীর সচেতন পদক্ষেপে।
প্রত্যেক প্রশান্তি সংক্রামিত। আমরা প্রশান্তিকে সংক্রামিত করতে পারিনি। তা অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের সত্যিকারের পরিচয় থেকে দূরে থাকার ব্যর্থতা।
মানুষের পরিচয় মানে ধর্ম পরিচয় নয়। ধর্ম মানুষের পরিচয় হতে পারে না। ধর্ম মানুষের প্রয়োজনের নাম। আমরা শীতকালে এক পোশাক পরি আবার গ্রীষ্মকালে আরেক পোশাক। পোশাক আমাদের প্রয়োজন। ধর্মও পোশাকের মতো এক প্রয়োজনীয় বিষয়। ধর্মকে শরীরের চামড়া করেছি বিধায় দিন দিন আমরা একে অন্য থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। যেমন আমার থেকে মিষ্টি অনেক দূরে আমিও মিষ্টি থেকে অনেক দূরে অথচ কত সুন্দর করে আমরা পাশাপাশি বসে আছি। তাকে বলতে পারছি না অন্য কোনো পৃথিবীতে আমাদের দেখা হবে সেখানে আমরা আবার একসাথে কয়েদী জীবনযাপন করবো অথবা আমি জল হলে তুমি হবা নদীর পাড়। বলতে না পারার কষ্ট বলতে পারার আনন্দের চেয়ে বেদনাদায়ক। অনেক বেদনা নিয়ে মানুষ মৃত্যুবরন করে বিধায় মানুষ আর পৃথিবীতে ফেরত আসতে চায়না। জেলখানায় কেউ দুইবার যেতে চেয়েছে এমন কথা ত শুনিনি।
আমার জেলখানার বন্ধুরা, তোমরা ভালো থেকো, তোমাদের সাথে এমন করে আর দেখা হবে না। অনেক দেখাদেখির পরও তোমাদের চিনতে পারিনি, আবার অনেক বছর পর তোমাদের সাথে দেখা হলে আমাকে তোমরা চিনবে বা আমি তোমাদের চিনবো বলে মনে হয় না। অচেনা মানুষকে কেউ চিনতে পেরেছে বলে কোনো পাঠশালায় পাঠ করিনি।
নিয়তি ঠিক নয় বলা যায় সময়নিষ্ঠুরতা। সময়নিষ্ঠুরতা যতবার উপলব্ধি করেছি ততবার নাজিম হিকমতের কয়েকটি লাইন আমাকে জাপটে ধরেছে "বাতাস আসে বাতাস যায় / চেড়ির একই ডাল একই ঝড়ে / দুইবার দোলে না "।
এক সপ্তাহ পর আমরা কেউ আর ক্লাসে বসবো না। ক্লাস হবে। জেলখানার মতো নিয়মকানুন ঠিকঠাক চলবে। এক সপ্তাহ পর আমরা কেউ আর জেলখানায় থাকবো না। অনেক কালো টিপ আর আমার চোখে পড়বে না। আমরা ঠিকই জাহাজ বনে যাবো। কেউ আবিষ্কার করবে নতুন নতুন দ্বীপ, কেউ জলে কবর রচনা করবে। জীবন এমনই। এতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। আনন্দের বিষয় একটি সপ্তাহ যে আমাদের জীবনের শেষ সপ্তাহ তা ধীরে ধীরে টের পাচ্ছি, কারো কারো মনে মেঘ জমা হচ্ছে খুব করে কিন্তু দারুন বৃষ্টি হবে এমন উপায় নেই। বাতাসের হৃদয়স্পর্শী আলিঙ্গন পেলে মেঘ বৃষ্টি হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের মেঘ বৃষ্টি হবে এমন বাতাস কই!
এই পৃথিবী থেকে যখন চলে যাবো তখন এমন করে এক সপ্তাহ গুনতে পারবো না। কেউ কেউ হয়তো এক মিনিট অথবা এক সেকেন্ড আগে টের পেতে থাকে তার বা তাদের জন্য আর পৃথিবীতে কোনো জায়গা নেই। তখন জীবনের শেষ এক মিনিট এক সপ্তাহ অথবা এক কোটি বছরের মতো অনুভবে আসতে থাকে হয়তো।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দুই ধরনের বন্ধুদের সাথে আমি ক্লাস করেছি। যারা বোরখা পরে এবং যারা পরে না। যারা বোরখা পরে কোনোদিন আমি তাদের মুখ দেখেনি, বোরখাছাড়া যদি কখনো তাদের সাথে আমার দেখা হয় আমি তাদের চিনতে পারবো না। যারা বোরখা পরেনি তাদের মুখে ছিল তীব্র আলো, ফলত তারাও যদি প্রকৃত চেহারা নিয়ে আমার সামনে আসে তাদেরকেও আমি চিনতে পারবো না। কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। জেলখানাতেও প্রশান্তির ধারা নিয়ে আসা যায় কয়েদীর সচেতন পদক্ষেপে।
প্রত্যেক প্রশান্তি সংক্রামিত। আমরা প্রশান্তিকে সংক্রামিত করতে পারিনি। তা অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের সত্যিকারের পরিচয় থেকে দূরে থাকার ব্যর্থতা।
মানুষের পরিচয় মানে ধর্ম পরিচয় নয়। ধর্ম মানুষের পরিচয় হতে পারে না। ধর্ম মানুষের প্রয়োজনের নাম। আমরা শীতকালে এক পোশাক পরি আবার গ্রীষ্মকালে আরেক পোশাক। পোশাক আমাদের প্রয়োজন। ধর্মও পোশাকের মতো এক প্রয়োজনীয় বিষয়। ধর্মকে শরীরের চামড়া করেছি বিধায় দিন দিন আমরা একে অন্য থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। যেমন আমার থেকে মিষ্টি অনেক দূরে আমিও মিষ্টি থেকে অনেক দূরে অথচ কত সুন্দর করে আমরা পাশাপাশি বসে আছি। তাকে বলতে পারছি না অন্য কোনো পৃথিবীতে আমাদের দেখা হবে সেখানে আমরা আবার একসাথে কয়েদী জীবনযাপন করবো অথবা আমি জল হলে তুমি হবা নদীর পাড়। বলতে না পারার কষ্ট বলতে পারার আনন্দের চেয়ে বেদনাদায়ক। অনেক বেদনা নিয়ে মানুষ মৃত্যুবরন করে বিধায় মানুষ আর পৃথিবীতে ফেরত আসতে চায়না। জেলখানায় কেউ দুইবার যেতে চেয়েছে এমন কথা ত শুনিনি।
আমার জেলখানার বন্ধুরা, তোমরা ভালো থেকো, তোমাদের সাথে এমন করে আর দেখা হবে না। অনেক দেখাদেখির পরও তোমাদের চিনতে পারিনি, আবার অনেক বছর পর তোমাদের সাথে দেখা হলে আমাকে তোমরা চিনবে বা আমি তোমাদের চিনবো বলে মনে হয় না। অচেনা মানুষকে কেউ চিনতে পেরেছে বলে কোনো পাঠশালায় পাঠ করিনি।
বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭
আব্বার কথা
আমার আব্বা প্রায়ই কই "বাবারে, জিব্বার কাছ তেইক্কা অনেক কিছু হিকবার আছে, দাঁত জিব্বারে কত আঘাত করে, জিব্বা কিচ্ছু কই না, ব্যথা পেয়ে নিরলে কান্দে, দাঁত আস্তে আস্তে ফইরা যা, জিব্বা কিন্তু মরনের সময়ও মাইনসের লগে তাহে"
রবীন্দ্রনাথের আশ্রমে
এখন অনেক রাত। রাত আমার এতো ভালো লাগে কেন জানি না। বিষয়টি মানসিক। অবশ্যই সব ভালোবোধই মানসিক ব্যাপার। নতুবা পৃথিবীতে এতো রং থাকতে পর্নারং আমার ভালো লাগবে কেন।
ভালোলাগা পুরোটাই ভেতরকার ব্যাপার। শব্দশ্রবনও ভেতরকার ব্যাপার। কারন বাইরে অনেক শব্দ আছে আমি শুনতে পারি না কিন্তু কুকুর শুনে। বাইরে অনেক শব্দ আছে আমিও শুনি না কুকুরও শুনে না কিন্তু শব্দ যে আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
রাত যে আমার এতো ভালো লাগে তার কারন হতে পারে রাতের বিচিত্র রং, রাতের নীরবতার বাহার। আমার কিন্তু সেই দিনের রাতের কথা খুব মনে পড়ছে।
দাদাটা আমাকে সারাটা ট্রেন আপ্যায়নের মধ্যে রাখলেন। বোলপুর স্টেশনে নেমে চা খাওয়ালেন, অনেক মজার মজার গল্প করলেন, তারপর আমার কাছ থেকে বিদায় নিলেন যখন আমি নিরাপদ সীমায় পৌঁছে গেলাম। আমার ত মনে হচ্ছিল সে একজন ফেরেশতা যে সহযোগিতা করার জন্য এসেছিল। কারন শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেনের ভীড় দেখে রীতিমত ভয় পাচ্ছিলাম। হঠাৎ এক যুবা আসলো, এসে ট্রেনের ভেতরের অনেকটা জায়গা নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিলো। তারপর বিভিন্ন মজার গল্প বলতে বলতে নিয়ে আসলো বোলপুর। আমি টেরই পেলাম না পাঁচ ঘন্টা আমি ট্রেনে ছিলাম। তাই দাদাটাকে আমি মানুষ ভাবতে পারলাম না। কারন মানুষ অনেক ব্যস্ত, মানুষ নিজের ভোগের বাইরে অন্য কিছুকে বিরক্তিকর মনে করে। মানুষ হলেও তার ভেতরে ফেরেশতা আছর করেছিল। মানুষের উপরে শুধু শয়তান আছর করবে? না। ফেরেশতাও মানুষের উপর আছর করে। মানুষ তখন হয়ে পড়ে ফেরেশতাগ্রস্থ।
তবে শান্তিনিকেতনের সেই মেয়েটির উপর নিশ্চিত ভূত আছর করেছিল। বলছি মেয়েটির কথা....
সাইকেল নিয়ে সকাল সকাল বের হলাম। আম্রকুঞ্জ দেখবো। সকাল বেলার আম্রকুঞ্জ সত্যিই মনোলোভা। যেন প্রশান্তি কবরের মতো শুয়ে থাকে আম্রকুঞ্জের পাতায় শাখায়। দেখছি আর ভাবছি, ভাবছি আর দেখছি। ভাবতে ভাবতে দেখতে দেখতে সময় বয়ে যাচ্ছে। তারপর আরও সুন্দর দৃশ্য। বাচ্চারা গাছের নিচে গোল হয়ে পাঠ নিচ্ছে। আমি একটা গোলের কাছে নয় কাছাকাছি ঠাঁই নিলাম। আমার চোখে সানগ্লাস, মাথায় হেড, মুখে নীরবতা। পাঠ দিচ্ছেন এক ইয়াং লেডি।
ছোট বাচ্চা হঠাৎ বলে ওঠলো "কী দেখছেন?"
ইয়াং লেডি একটু আওয়াজ করেই বলে ওঠলো "মেয়ে দেখছে মেয়ে।"
আমি কিছুক্ষনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম। স্তব্ধ হলাম দুটি কারনে। এক, মেয়েটি কোনো ট্রমার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠেছে অথচ সে বাচ্চাদের পাঠ দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর! দুই, শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথের এলাকা যেখানে পজেটিভ চিন্তাচর্চা হওয়া ফরজে আইন অথচ সেখানে মেয়েটি নেগেটিভ চিন্তা করছে।
মনে মনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে বললাম, 'আপনি বোলপুরে শান্তিনিকেতন নামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে না, বাশারকে ইনসান করার জন্য, আর আপনার এখানে এই অবস্থা ...'
রবীন্দ্রনাথের সাথে আলাপ শেষ করার সাথে সাথে দেখলাম এক পিচ্চি আমার সাইকেলের কাছে।
এসে বলে "আপনি কে? এখান থেকে চলে যান।"
আমি কিন্তু সত্যিই চলে যাই। কিন্তু ....। আমার সাথে সব বাচ্চারা চলে আসতে থাকে। ঐ মেয়ে আর কিছু বুঝে ওঠতে পারে নাই। মেয়েটি হয়তো ভাবছে আমি হিমিলনের বাঁশিওয়ালা। সাথে সাথে এক মুরুব্বি শিক্ষক নিয়ে আমার কাছে আসে। বাচ্চারা যেতে চাচ্ছে না। আমি বলছি তোমরা যাও, তোমাদের সাথে আরেকদিন আড্ডা দিবো। বাচ্চারা চলে গেলে আমি সানগ্লাস খুলে মেয়েটির চোখে চোখ রেখে বললাম,
"আমি চোখ দ্বারা দেখি না, চোখ দিয়ে দেখি, মুখ দ্বারা কথা বলি না, মুখ দিয়ে কথা বলি"
ভালোলাগা পুরোটাই ভেতরকার ব্যাপার। শব্দশ্রবনও ভেতরকার ব্যাপার। কারন বাইরে অনেক শব্দ আছে আমি শুনতে পারি না কিন্তু কুকুর শুনে। বাইরে অনেক শব্দ আছে আমিও শুনি না কুকুরও শুনে না কিন্তু শব্দ যে আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
রাত যে আমার এতো ভালো লাগে তার কারন হতে পারে রাতের বিচিত্র রং, রাতের নীরবতার বাহার। আমার কিন্তু সেই দিনের রাতের কথা খুব মনে পড়ছে।
দাদাটা আমাকে সারাটা ট্রেন আপ্যায়নের মধ্যে রাখলেন। বোলপুর স্টেশনে নেমে চা খাওয়ালেন, অনেক মজার মজার গল্প করলেন, তারপর আমার কাছ থেকে বিদায় নিলেন যখন আমি নিরাপদ সীমায় পৌঁছে গেলাম। আমার ত মনে হচ্ছিল সে একজন ফেরেশতা যে সহযোগিতা করার জন্য এসেছিল। কারন শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেনের ভীড় দেখে রীতিমত ভয় পাচ্ছিলাম। হঠাৎ এক যুবা আসলো, এসে ট্রেনের ভেতরের অনেকটা জায়গা নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিলো। তারপর বিভিন্ন মজার গল্প বলতে বলতে নিয়ে আসলো বোলপুর। আমি টেরই পেলাম না পাঁচ ঘন্টা আমি ট্রেনে ছিলাম। তাই দাদাটাকে আমি মানুষ ভাবতে পারলাম না। কারন মানুষ অনেক ব্যস্ত, মানুষ নিজের ভোগের বাইরে অন্য কিছুকে বিরক্তিকর মনে করে। মানুষ হলেও তার ভেতরে ফেরেশতা আছর করেছিল। মানুষের উপরে শুধু শয়তান আছর করবে? না। ফেরেশতাও মানুষের উপর আছর করে। মানুষ তখন হয়ে পড়ে ফেরেশতাগ্রস্থ।
তবে শান্তিনিকেতনের সেই মেয়েটির উপর নিশ্চিত ভূত আছর করেছিল। বলছি মেয়েটির কথা....
সাইকেল নিয়ে সকাল সকাল বের হলাম। আম্রকুঞ্জ দেখবো। সকাল বেলার আম্রকুঞ্জ সত্যিই মনোলোভা। যেন প্রশান্তি কবরের মতো শুয়ে থাকে আম্রকুঞ্জের পাতায় শাখায়। দেখছি আর ভাবছি, ভাবছি আর দেখছি। ভাবতে ভাবতে দেখতে দেখতে সময় বয়ে যাচ্ছে। তারপর আরও সুন্দর দৃশ্য। বাচ্চারা গাছের নিচে গোল হয়ে পাঠ নিচ্ছে। আমি একটা গোলের কাছে নয় কাছাকাছি ঠাঁই নিলাম। আমার চোখে সানগ্লাস, মাথায় হেড, মুখে নীরবতা। পাঠ দিচ্ছেন এক ইয়াং লেডি।
ছোট বাচ্চা হঠাৎ বলে ওঠলো "কী দেখছেন?"
ইয়াং লেডি একটু আওয়াজ করেই বলে ওঠলো "মেয়ে দেখছে মেয়ে।"
আমি কিছুক্ষনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম। স্তব্ধ হলাম দুটি কারনে। এক, মেয়েটি কোনো ট্রমার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠেছে অথচ সে বাচ্চাদের পাঠ দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর! দুই, শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথের এলাকা যেখানে পজেটিভ চিন্তাচর্চা হওয়া ফরজে আইন অথচ সেখানে মেয়েটি নেগেটিভ চিন্তা করছে।
মনে মনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে বললাম, 'আপনি বোলপুরে শান্তিনিকেতন নামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে না, বাশারকে ইনসান করার জন্য, আর আপনার এখানে এই অবস্থা ...'
রবীন্দ্রনাথের সাথে আলাপ শেষ করার সাথে সাথে দেখলাম এক পিচ্চি আমার সাইকেলের কাছে।
এসে বলে "আপনি কে? এখান থেকে চলে যান।"
আমি কিন্তু সত্যিই চলে যাই। কিন্তু ....। আমার সাথে সব বাচ্চারা চলে আসতে থাকে। ঐ মেয়ে আর কিছু বুঝে ওঠতে পারে নাই। মেয়েটি হয়তো ভাবছে আমি হিমিলনের বাঁশিওয়ালা। সাথে সাথে এক মুরুব্বি শিক্ষক নিয়ে আমার কাছে আসে। বাচ্চারা যেতে চাচ্ছে না। আমি বলছি তোমরা যাও, তোমাদের সাথে আরেকদিন আড্ডা দিবো। বাচ্চারা চলে গেলে আমি সানগ্লাস খুলে মেয়েটির চোখে চোখ রেখে বললাম,
"আমি চোখ দ্বারা দেখি না, চোখ দিয়ে দেখি, মুখ দ্বারা কথা বলি না, মুখ দিয়ে কথা বলি"
সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭
আমাদের ঘরে শব্দের দেহ
যে একলা একলা হয় না মানুষ তার সাথে বসবাস করে, একলা হয়ে গেলে শব্দের প্রয়োজন ন পড়ে ন পড়ে, সব কিছু শব্দ করে, সূর্যের শব্দ আসে না কানের ঘরে, তবু কানে থাকে কানামাছি বু বু প্রজাশ্রমিক সাপলুডু
আমাদের দেখা হবে কোনো এক শীতমাসে
শহরের জ্বর থেমে গেলে সভাজন বসে ঘাটে
প্রার্থনা পাঠিয়েছি ডাকে
প্রার্থনা পাঠিয়েছি বাতাসে
পেয়ে যাবে কোনো এক রাতে
মন্দিরে সুখ নেই
সুখ নেই মসজিদে
সুখ নেই বানানো যতসব অভিধানে
সুখ আছে প্রেমিকের কান্নায়
আম্মার রান্নায়
আব্বার সকালের বাজারে
জ্বর আসে শহরে
জ্বর আসে বাতাসে
জ্বর আসে প্রেমিকার শীতকালে
শহরের মাথায় জল দিবে কেউ নেই
শহরের মাথায় হাত দিবে কেউ নেই
শহর মারা যাবে এইভাবে ঠিক এইভাবে জ্বরে আর শোকে
আমার প্রার্থনায় বেঁচে রবে তুমি এইভাবে ঠিক এইভাবে কাল থেকে কালে
আমাদের দেখা হবে কোনো এক পৌষের কোনো এক কুয়াশার কোনো এক দোকানে
প্রার্থনা পাঠিয়েছি ডাকে
প্রার্থনা পাঠিয়েছি বাতাসে
পেয়ে যাবে কোনো এক রাতে
মন্দিরে সুখ নেই
সুখ নেই মসজিদে
সুখ নেই বানানো যতসব অভিধানে
সুখ আছে প্রেমিকের কান্নায়
আম্মার রান্নায়
আব্বার সকালের বাজারে
জ্বর আসে শহরে
জ্বর আসে বাতাসে
জ্বর আসে প্রেমিকার শীতকালে
শহরের মাথায় জল দিবে কেউ নেই
শহরের মাথায় হাত দিবে কেউ নেই
শহর মারা যাবে এইভাবে ঠিক এইভাবে জ্বরে আর শোকে
আমার প্রার্থনায় বেঁচে রবে তুমি এইভাবে ঠিক এইভাবে কাল থেকে কালে
আমাদের দেখা হবে কোনো এক পৌষের কোনো এক কুয়াশার কোনো এক দোকানে
সচেতনতা
অনেক সার্টিফিকেট মানুষকে সচেতন বানাতে পারে না, সচেতনতা একটি অভ্যাস যা মানুষ ধীরে ধীরে অর্জন করে। সচেতন মানুষমাত্র বিপ্লবী মানে কল্যানকামী কৃষক।
শ্লোক
শাড়ি খুললে স্বদেশ
শাড়ি পরলে বিদেশ
শাড়ি পরলে বিদেশ
রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭
উত্তরের বাতাস
তোমার জানালায় উত্তরের বাতাস
আমার হৃদয়ে গ্রীষ্মানল আকাশ
আমার হৃদয়ে গ্রীষ্মানল আকাশ
ছায়াময়ী বেহুলা আমার
ছায়াময়ী বেহুলা আমার অনাদিকাল নামে শীতকালে বিথারি
বৃষ্টির কাল শেষে বেহুলার সাথে দেখা হয় শব্দে, আস্তে করে বললে ''বিরক্ত কেন করছেন?"
আগে 'বিরক্ত' তারপর 'কেন' তারপর 'করছেন'
প্রথমে বিশেষ্য তারপর প্রশ্নবোধক তারপর ক্রিয়া
জানো, ক্রিয়ার আগে বিশেষ্য এনে বনলতা সেন কম্পন তুলেছিল জীবনানন্দের হৃদয়
আমিও কম্পিত হয়েছি বরফ গলা নদী-- কথা নেই শব্দের জোয়ার নেই, সূর্যের তাপ নেই, চোখে ভেসে আসছিল বারবার আমাদের ঘাসময় জীবন, কেবল চোখের ভেতর খেলা করতে থাকে তোমার পুনশ্চ কাল।
ভুলে গেলে বাচাল নদীর কালাম?
বাচালতা থেমে গেলে তারাগাছ সবুজ হয়ে ওঠে আকাশমাঠে
আশীর্বাদ চাষাবাসে রূপালি হয় ধান বৈজ্ঞানিক হলুদ নামে ঠোঁটের ফাঁকে
কুয়াশার দ্বন্দ্ব ভুলে এসো কথামনে দেখা হোক চোখের সাগরে আনমনে
আমার ইশ্বর জানে তোমাকে চাই আমি আমার অনাদি জীবনে
বৃষ্টির কাল শেষে বেহুলার সাথে দেখা হয় শব্দে, আস্তে করে বললে ''বিরক্ত কেন করছেন?"
আগে 'বিরক্ত' তারপর 'কেন' তারপর 'করছেন'
প্রথমে বিশেষ্য তারপর প্রশ্নবোধক তারপর ক্রিয়া
জানো, ক্রিয়ার আগে বিশেষ্য এনে বনলতা সেন কম্পন তুলেছিল জীবনানন্দের হৃদয়
আমিও কম্পিত হয়েছি বরফ গলা নদী-- কথা নেই শব্দের জোয়ার নেই, সূর্যের তাপ নেই, চোখে ভেসে আসছিল বারবার আমাদের ঘাসময় জীবন, কেবল চোখের ভেতর খেলা করতে থাকে তোমার পুনশ্চ কাল।
ভুলে গেলে বাচাল নদীর কালাম?
বাচালতা থেমে গেলে তারাগাছ সবুজ হয়ে ওঠে আকাশমাঠে
আশীর্বাদ চাষাবাসে রূপালি হয় ধান বৈজ্ঞানিক হলুদ নামে ঠোঁটের ফাঁকে
কুয়াশার দ্বন্দ্ব ভুলে এসো কথামনে দেখা হোক চোখের সাগরে আনমনে
আমার ইশ্বর জানে তোমাকে চাই আমি আমার অনাদি জীবনে
শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭
শতাব্দীর পর
অর্ধ শতাব্দীর পর মানুষের নাম বদলে যাবে
যার গতরে পাঞ্চাবি আর মাথায় টুপি দিয়ে বলছো 'হুজুর' তার নামও বদলে যাবে
কয়েকটি মন্ত্রের দোহাই দিয়ে প্রনাম পাবে না কেউ, ঠাকুরঘরে আর কেউ কলা খেতে যাবে না
যার পায়ে নূপুর কপালে কালো টিপ হাতে চুড়ি দিয়ে অত্যন্ত আদুর করে ঘরের বিলাসী আসবাব করা হয়েছে তার নামও বদলে যাবে, তোমার ঠোঁট হবে না কোনো কাঁচা মাংস কিংবা কারো কামের আগুনে ছেঁকাবদ্ধ শিককাবাব
তখন তোমার নাম হবে আকাশ, আকাশের কোনো এক বনে হবে তোমার বসবাস। বনে বাস করলেই কারো নাম শকুন্তলা হয় না, সব বনে রাজা দুষ্মন্ত থাকে না, বন মানেই সকালের একটা রং, রং মানেই চরম নির্জনতা, একটা অখন্ড ভ্রমন
তোমার নাম পদ্মপাতাও হতে পারে, সারাটা সময় জড়িয়ে ধরবে জলের মিলন,তোমার নাম মানুষ কিংবা নারী হবে না, তোমার নাম হবে ভোর, সূর্যের কালিমা শরীরে তোমার থাকবে না থাকবে না হৃদয়ে তোমার অন্ধকারের লকলকে আড্ডা।তোমার নামে থাকবে না মাতাপিতার অলিখিত কলঙ্ক
তোমার নাম 'আমি' হলেও জানবে আমার কোনো দেশ কাল নেই তবে নাম তোমার মানুষ হবে না, মানুষের ঘরে মানবিক কোনো দরজা থাকে না, মানুষের আদালতে মানুষের নাম এক লাঞ্ছনা
যার গতরে পাঞ্চাবি আর মাথায় টুপি দিয়ে বলছো 'হুজুর' তার নামও বদলে যাবে
কয়েকটি মন্ত্রের দোহাই দিয়ে প্রনাম পাবে না কেউ, ঠাকুরঘরে আর কেউ কলা খেতে যাবে না
যার পায়ে নূপুর কপালে কালো টিপ হাতে চুড়ি দিয়ে অত্যন্ত আদুর করে ঘরের বিলাসী আসবাব করা হয়েছে তার নামও বদলে যাবে, তোমার ঠোঁট হবে না কোনো কাঁচা মাংস কিংবা কারো কামের আগুনে ছেঁকাবদ্ধ শিককাবাব
তখন তোমার নাম হবে আকাশ, আকাশের কোনো এক বনে হবে তোমার বসবাস। বনে বাস করলেই কারো নাম শকুন্তলা হয় না, সব বনে রাজা দুষ্মন্ত থাকে না, বন মানেই সকালের একটা রং, রং মানেই চরম নির্জনতা, একটা অখন্ড ভ্রমন
তোমার নাম পদ্মপাতাও হতে পারে, সারাটা সময় জড়িয়ে ধরবে জলের মিলন,তোমার নাম মানুষ কিংবা নারী হবে না, তোমার নাম হবে ভোর, সূর্যের কালিমা শরীরে তোমার থাকবে না থাকবে না হৃদয়ে তোমার অন্ধকারের লকলকে আড্ডা।তোমার নামে থাকবে না মাতাপিতার অলিখিত কলঙ্ক
তোমার নাম 'আমি' হলেও জানবে আমার কোনো দেশ কাল নেই তবে নাম তোমার মানুষ হবে না, মানুষের ঘরে মানবিক কোনো দরজা থাকে না, মানুষের আদালতে মানুষের নাম এক লাঞ্ছনা
শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭
হরতালের দিন
আমাদের হরতালের দিন কেউ রাস্তায় নামেনি, ঠিকই একটি পাখি রাস্তায় নেমেছিল এবং সবদিক কম্পিত করে বলেছিল ' হরতাল মানি না'। দুঃখের বিষয় আমরা কেউ পাখির ভাষা বুঝি না।
বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭
শিক্ষক
শিক্ষক কেবল শিক্ষক না এক অভিজ্ঞতার পাহাড় যেখান থেকে আকাশ খুব চোখে নেমে আসে
বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭
জীবন যেখানে
জীবন যেখানে ছোট সেখানে বড় বড় ওয়াদা পাতার উপর জলের শব্দ
বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭
Dream
I am learned how to walk towards the rossy lips of my dream, Used to have sweet breast of my dream, I am nothing when my dream is anything
বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭
রাত বেরাইতে আমার চোখে কালো চশমা
দেখছি ইদানিং মান্দারও জাল বুনে নিজের দেহে
জাল বুনে সে আগে থেকেই হয়তো
জাল বুনে সে কারন কুয়াশায়
মান্দারের জাল বুনন দেখবো বলে কার্তিক মাসের ভরা জোছনায় জন্ম হওয়ার কথা ছিল আমার
তা হয়নি
হতে পারত
I have ever thought
Nature does nothing so great for the great men
পৃথিবীতে আসলাম দুই তারিখ অগ্রহায়ন দুপুর দুইটায়
জলের শব্দ থেমে যায়
মেঘনা চুপিচুপি বেরাতে আসে আমার নির্জন গাডায়
হলুদিয়া পাখি বিমানের মতো নাথফুল পরে
শব্দের গতর থেকে অন্ধকার থেমে থেমে নামে
ইন্দুরের লগে আম্মা আমার দুস্তি করায়
আমিও তহন ইন্দুরের লাহান দিনে একবার ঘুমাই রাতে দুইবার ঘুমাই
নিয়ম মেনে বিলাইকে ভয় পাই
বিরাট ঝড় এল
আনত ঠোঁটে নামে মাটির ঘ্রান
আলাবালা প্রেমে চুলে হাত রাখে তর্জনী
বিলাই আটকে গেল আমার পায়ের নিচে
আমার পায়ের নিচে জন্ম নিল দুইয়ের অধিক বিলাইছানা
তারপর থেকে পৃথিবীর তাবৎ বিলাই আমাকে পীর মানে
হুজুর কেবলা আমি বিলাইয়ের সাথেও থাকি ইন্দুরের সাথেও থাকি
রাত বেরাইতে চশমা পরি
ইন্দুরের মুখ দেখি
বিলাইয়ের চোখ ঢাকি
জাল বুনে সে আগে থেকেই হয়তো
জাল বুনে সে কারন কুয়াশায়
মান্দারের জাল বুনন দেখবো বলে কার্তিক মাসের ভরা জোছনায় জন্ম হওয়ার কথা ছিল আমার
তা হয়নি
হতে পারত
I have ever thought
Nature does nothing so great for the great men
পৃথিবীতে আসলাম দুই তারিখ অগ্রহায়ন দুপুর দুইটায়
জলের শব্দ থেমে যায়
মেঘনা চুপিচুপি বেরাতে আসে আমার নির্জন গাডায়
হলুদিয়া পাখি বিমানের মতো নাথফুল পরে
শব্দের গতর থেকে অন্ধকার থেমে থেমে নামে
ইন্দুরের লগে আম্মা আমার দুস্তি করায়
আমিও তহন ইন্দুরের লাহান দিনে একবার ঘুমাই রাতে দুইবার ঘুমাই
নিয়ম মেনে বিলাইকে ভয় পাই
বিরাট ঝড় এল
আনত ঠোঁটে নামে মাটির ঘ্রান
আলাবালা প্রেমে চুলে হাত রাখে তর্জনী
বিলাই আটকে গেল আমার পায়ের নিচে
আমার পায়ের নিচে জন্ম নিল দুইয়ের অধিক বিলাইছানা
তারপর থেকে পৃথিবীর তাবৎ বিলাই আমাকে পীর মানে
হুজুর কেবলা আমি বিলাইয়ের সাথেও থাকি ইন্দুরের সাথেও থাকি
রাত বেরাইতে চশমা পরি
ইন্দুরের মুখ দেখি
বিলাইয়ের চোখ ঢাকি
সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭
সমস্যা আর সমস্যা
সমস্যার পর সমস্যার কথা বলে রোগীকে মানসিকভাবে দুর্বল করা যায়। রোগীর সমস্যা কিন্তু একটাই।
হয়তো আপনি বলবেন মাথা ব্যথার কথা, পাশাপাশি পেট ব্যথার কথা হয়তো চোখে কম দেখার কথাও বলতে পারেন। আসল কথা হচ্ছে রোগীর বুডি ফাংশন ঠিকমতো কাজ করছে না।
তা এতো সমস্যা না দেখে, একটি সমস্যা আবিষ্কার করতে পারি আমরা, কাল থেকে শুরু করতে পারি আমার চোখে আবিষ্কৃত সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক পদক্ষেপ।
এডিশন হয়ে যেতে পারি আমরা যিনি সমস্যা নিয়ে গোল টেবিলে বসেন নাই, বসেছেন চিন্তাঘরে একা একা। তারপর তাঁর চিন্তা সফল হলো, অন্ধকারের রাত হয়ে গেল প্রায় দিনের মতো। এখন রাতেও আমরা গোল বলের ক্রিকেট খেলি আর হুঙ্কার দিয়ে বলি মার ছক্কা হেইয়্যা।
হয়তো আপনি বলবেন মাথা ব্যথার কথা, পাশাপাশি পেট ব্যথার কথা হয়তো চোখে কম দেখার কথাও বলতে পারেন। আসল কথা হচ্ছে রোগীর বুডি ফাংশন ঠিকমতো কাজ করছে না।
তা এতো সমস্যা না দেখে, একটি সমস্যা আবিষ্কার করতে পারি আমরা, কাল থেকে শুরু করতে পারি আমার চোখে আবিষ্কৃত সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক পদক্ষেপ।
এডিশন হয়ে যেতে পারি আমরা যিনি সমস্যা নিয়ে গোল টেবিলে বসেন নাই, বসেছেন চিন্তাঘরে একা একা। তারপর তাঁর চিন্তা সফল হলো, অন্ধকারের রাত হয়ে গেল প্রায় দিনের মতো। এখন রাতেও আমরা গোল বলের ক্রিকেট খেলি আর হুঙ্কার দিয়ে বলি মার ছক্কা হেইয়্যা।
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
বিলুপ্ত নগরী
বিলুপ্ত নগরী প্রায় দেখতে যাও তুমি
তুমি জান কী
কারো কাছে তুমিও বিলুপ্ত নগরী
তুমি জান কী
কারো কাছে তুমিও বিলুপ্ত নগরী
শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭
অনেক দিয়ে অশেষ করে আমাকে মুগ্ধ করো
টাকা দিয়েছো ইচ্ছা দাওনি তার
ইচ্ছা দিয়েছো টাকা দাওনি আর
আকাশ দিয়েছো পাখা দাওনি উড়িবার
পাখা দিয়েছো শক্তি দাওনি তার
মাথা দিয়েছো ব্যথাও দিয়েছো আবার
ফুল দিয়েছো কাঁটাও দিয়েছো তার
মন দিয়েছো প্রেম দাওনি তার
প্রেম দিয়েছো মন পাইনা একবার
মাও করেছো কষ্টও দিয়েছো বারবার
বাবা করেছো বৃষ্টি দাওনি তার
সব দিয়েছো যারে সময় দাওনি গুনে মানে
বরফের ঘরে মানুষ বাঁচে অসীম শুন্যতা মনে
অসীম অসম মিলে গেলে তাই আমি অসহায়
তোমার ঘরে রোদ নামে আমি থাকি কান্নায়
ইচ্ছা দিয়েছো টাকা দাওনি আর
আকাশ দিয়েছো পাখা দাওনি উড়িবার
পাখা দিয়েছো শক্তি দাওনি তার
মাথা দিয়েছো ব্যথাও দিয়েছো আবার
ফুল দিয়েছো কাঁটাও দিয়েছো তার
মন দিয়েছো প্রেম দাওনি তার
প্রেম দিয়েছো মন পাইনা একবার
মাও করেছো কষ্টও দিয়েছো বারবার
বাবা করেছো বৃষ্টি দাওনি তার
সব দিয়েছো যারে সময় দাওনি গুনে মানে
বরফের ঘরে মানুষ বাঁচে অসীম শুন্যতা মনে
অসীম অসম মিলে গেলে তাই আমি অসহায়
তোমার ঘরে রোদ নামে আমি থাকি কান্নায়
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭
দেখাতে পারি দেশ অনেক উন্নত
তাই ত হলো
বৃষ্টি হলো এনাফ
কাদা মাখামাখি হলো ফুটবল
টব ঝুলানো হলো বারান্দার গ্রিলে
নদীকে আনা হলো বিস্তরভাবে অলস মনিটরের হালখাতায়
সাইকেল চালাতে গিয়ে সুবোধ ভুলে গেল মেঘনা নদীর সরল মাছের কথা
অধ্যাপক ভালো আছে
কুয়াশা ভালো আছে
চাকরির পড়াশোনা ভালো আছে
কেবল সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কোথায় যেন চলে গেল মানুষের প্রিয় ছয় ঋতু
মেরুদন্ড বেয়ে নোনা জল নামে
প্রেমিকার মুখ ভরে যায় ঘামে
লিপস্টিক কাঁপানো ঠোঁটের পাতায় শ্রাবনের কাক ডাকে
আবহাওয়া অফিসে সন্ন্যাসচর্চা চলে অবিরত
মানুষ অনেক ব্যস্ত অফিস অনেক ব্যস্ত নিউজরুম অনেক ব্যস্ত
একটু পরে একটু পর পর হেড অফিস লাইভে যাবে দেখাবে দেশ অনেক উন্নত
বৃষ্টি হলো এনাফ
কাদা মাখামাখি হলো ফুটবল
টব ঝুলানো হলো বারান্দার গ্রিলে
নদীকে আনা হলো বিস্তরভাবে অলস মনিটরের হালখাতায়
সাইকেল চালাতে গিয়ে সুবোধ ভুলে গেল মেঘনা নদীর সরল মাছের কথা
অধ্যাপক ভালো আছে
কুয়াশা ভালো আছে
চাকরির পড়াশোনা ভালো আছে
কেবল সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কোথায় যেন চলে গেল মানুষের প্রিয় ছয় ঋতু
মেরুদন্ড বেয়ে নোনা জল নামে
প্রেমিকার মুখ ভরে যায় ঘামে
লিপস্টিক কাঁপানো ঠোঁটের পাতায় শ্রাবনের কাক ডাকে
আবহাওয়া অফিসে সন্ন্যাসচর্চা চলে অবিরত
মানুষ অনেক ব্যস্ত অফিস অনেক ব্যস্ত নিউজরুম অনেক ব্যস্ত
একটু পরে একটু পর পর হেড অফিস লাইভে যাবে দেখাবে দেশ অনেক উন্নত
বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
যেখানে তুমি
মুসলমান হলে তোমায় মিলে প্রভু
কাফেরের মিলে হুর গেলমান
কাফেরের মিলে হুর গেলমান
বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭
নামিকা
রাতের মতো যারা হাসতে জানে না তাদেরকে আমি বিকাল বলি
আমার মায়ের শরীর
গল্পটা বলা যেতে পারে। গল্পটা এক সঙ্গীতকার আর এক বকরির। গভীর জঙ্গলে লোকটি মৃদন বাজায়। মৃদন ঢোল জাতীয় বাদ্যযন্ত্র। লোকটি যখন মৃদন বাজাতে থাকে এক বকরি এসে হাজির হয়। যতক্ষন লোকটি মৃদন বাজায় ততক্ষন বকরিটি কান পেতে বাজনা শুনতে থাকে।
একদিন লোকটি বকরির কাছে জানতে চায় "আমার সুরসঙ্গীত কী তোর কাছে খুব ভালো লাগে যে প্রতিদিন আমার কাছে এসে মনোযোগে বাজনা শুনতে হয়?"
বকরি বলে "তোর বাজনার সুর তাল লয় আমি কিছুই বুঝিনা"
তাহলে?
বকরি এবার বলে আসল কথা। বকরি বলে "তোর বাদ্যযন্ত্র বানাতে যে চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে তা আমার মায়ের শরীর থেকে এসেছে"
একদিন লোকটি বকরির কাছে জানতে চায় "আমার সুরসঙ্গীত কী তোর কাছে খুব ভালো লাগে যে প্রতিদিন আমার কাছে এসে মনোযোগে বাজনা শুনতে হয়?"
বকরি বলে "তোর বাজনার সুর তাল লয় আমি কিছুই বুঝিনা"
তাহলে?
বকরি এবার বলে আসল কথা। বকরি বলে "তোর বাদ্যযন্ত্র বানাতে যে চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে তা আমার মায়ের শরীর থেকে এসেছে"
তোমার প্রার্থনা আমার বাড়ি
অনেক রাতে ভোর নামে। ভোর আসলে সত্য ও মিথ্যার মিঠাই সন্তান। পাগল খুঁজে সাদা কাগজ, মায়ের দুধের মতো সাদা কাগজ। একটা কলম এই সময়ে রাতের অন্ধকারে কোথাও নেই। রাতের অন্ধকারে কেউ থাকে না, সবাই গভীর ঘুমে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, ফোন অফ রাখে প্রিয়তমা পর্না। কিন্তু একটা কলম তার খুব দরকার। দরকারের সময় দরকাররা কোথায় যেন পালিয়ে যায়।
আমার অপরাধ তোমাকে আলোতে নিয়ে আসা। জীবন আলোতে ম্লান হয়ে পড়ে। এই ত আমরা মায়ের জঠরে অন্ধকারের মতো আলোতে ছিলাম, আলোর অন্ধকারে ভালোই ত ছিলাম। অন্ধকারে যে মালতী ফুল ঘ্রান দিতে আসে তাই মানুষের শীতনিদ্রা। পৃথিবীতে এসে মানুষ ভুলে যায় হাওয়ায় রাত, মানুষ হত্যা করে চলে দৃশ্যের পর দৃশ্য। দূর থেকে দৃশ্য হত্যা করা অনেক কঠিন প্রিয়তমা। তুমি ত দৃশ্যহত্যার আগেই জীবন বিমা চালু করেছো আপনার লাগি।
অনেক রাত।
পাতার শব্দ কানে আসে।
পাখিরাও মানুষের মতো অক্টোপাস, পলিপাস রোগে শ্লেষ্মা আনে পৃথিবীর মাটিতে অনাচারে অনাকাঙ্ক্ষিত বোধগম্য বোধে।
আজ প্রথম তোমার শব্দ শুনলাম। অনেক বছর তোমাকে দেখেছি দূর জঙ্গলে ঝাপসা ঝাপসা-- তুমি এক পিচঢালা রাস্তা-- শান্তিতে অনেক গরম, অশান্তিতে হিমেল শীতল। তাই পাগল সাদা কাগজ পেয়ে যায়, বেঁচে থাকার শোকে খালবিল রচনা করে একবার বহুবার বাট নট বারবার।
মানুষ নিজের আয়নায় মুখ দেখে কথা বলে অবিরত। কিন্তু তারা কারা যারা ভোর রাতে মেলা করতে আসে গাছের নিচে? তাদের ঘরেও কী আত্মরতি উৎসব? এক অজানা প্যাকেজ অনুষ্ঠান চলতে থাকে হৃদয়ে হৃদয়ে আয়নায় আয়নায়-- কেনেডি হত্যা আমাকে একটু হলেও বিচলিত করে। কারন বৈঠক শেষে কিছু শান্তি রোপন করেছিলাম তার চোখে।
গরম নামে আবার, মাছ ওঠে আসে ডাঙায়। আপনি ত চুপ করে বসে থাকার লোক নন জনাব। চুপচাপ হলে ওডিসি রোগে নিজেকে পুতুল করে ফেলেন, তাই না?
কার কাছে হাত পাতি প্রিয়তমা আমার, সব হাতে হৃদয় থাকে না অর্থের বাসনায়।
চোখে ঘুম নামে।
হাতের কলম থেমে যায় ক্লান্তিতে ঘুমে ঘুমে অবসর বিষন্নতায়।
মেঘদল একটানা পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায়। কে তুমি স্বপ্ন আমার এক পীঠ চুল নিয়ে চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যাও-- আমাকে থেমে যেতে হয়, আমাকে থেমে যেতে হয় কৃত্রিম আলোর মোহনায়।
চোখে ঘুমের ঢল নামে, অনেক নবগ্রাম ঘাসের আদলে ঢেকে রাখে মুখ, বুঝাতে পারিনা কোনমতে,বৃষ্টি নামে বৃষ্টি নামে মানুষের ঘরে। তুমি নীল নিয়ে দরজা খুললে অবশেষে।
সূর্য আসবে এখুনি, কান পেতে থাকি ভ্যাপসা অন্ধকারে, কালোফুল গন্ধ ছড়ায় অনর্গল। একাধারে গল্প থাকা সত্ত্বেও পুলিশ গুলি চালায় মিছিলে। মানুষ আসে না মানুষ আসে না, পানির তৃষ্ণা নিয়ে চোখে মরুভূমি নামে, খেজুর গাছের চাষ শুরু হবে শীঘ্রই-- প্রার্থনা শেষ হলে আমিও তোমার, আমিও তোমার অথবা তোমার প্রার্থনায় বেঁচে থাকি আমি
আমার অপরাধ তোমাকে আলোতে নিয়ে আসা। জীবন আলোতে ম্লান হয়ে পড়ে। এই ত আমরা মায়ের জঠরে অন্ধকারের মতো আলোতে ছিলাম, আলোর অন্ধকারে ভালোই ত ছিলাম। অন্ধকারে যে মালতী ফুল ঘ্রান দিতে আসে তাই মানুষের শীতনিদ্রা। পৃথিবীতে এসে মানুষ ভুলে যায় হাওয়ায় রাত, মানুষ হত্যা করে চলে দৃশ্যের পর দৃশ্য। দূর থেকে দৃশ্য হত্যা করা অনেক কঠিন প্রিয়তমা। তুমি ত দৃশ্যহত্যার আগেই জীবন বিমা চালু করেছো আপনার লাগি।
অনেক রাত।
পাতার শব্দ কানে আসে।
পাখিরাও মানুষের মতো অক্টোপাস, পলিপাস রোগে শ্লেষ্মা আনে পৃথিবীর মাটিতে অনাচারে অনাকাঙ্ক্ষিত বোধগম্য বোধে।
আজ প্রথম তোমার শব্দ শুনলাম। অনেক বছর তোমাকে দেখেছি দূর জঙ্গলে ঝাপসা ঝাপসা-- তুমি এক পিচঢালা রাস্তা-- শান্তিতে অনেক গরম, অশান্তিতে হিমেল শীতল। তাই পাগল সাদা কাগজ পেয়ে যায়, বেঁচে থাকার শোকে খালবিল রচনা করে একবার বহুবার বাট নট বারবার।
মানুষ নিজের আয়নায় মুখ দেখে কথা বলে অবিরত। কিন্তু তারা কারা যারা ভোর রাতে মেলা করতে আসে গাছের নিচে? তাদের ঘরেও কী আত্মরতি উৎসব? এক অজানা প্যাকেজ অনুষ্ঠান চলতে থাকে হৃদয়ে হৃদয়ে আয়নায় আয়নায়-- কেনেডি হত্যা আমাকে একটু হলেও বিচলিত করে। কারন বৈঠক শেষে কিছু শান্তি রোপন করেছিলাম তার চোখে।
গরম নামে আবার, মাছ ওঠে আসে ডাঙায়। আপনি ত চুপ করে বসে থাকার লোক নন জনাব। চুপচাপ হলে ওডিসি রোগে নিজেকে পুতুল করে ফেলেন, তাই না?
কার কাছে হাত পাতি প্রিয়তমা আমার, সব হাতে হৃদয় থাকে না অর্থের বাসনায়।
চোখে ঘুম নামে।
হাতের কলম থেমে যায় ক্লান্তিতে ঘুমে ঘুমে অবসর বিষন্নতায়।
মেঘদল একটানা পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায়। কে তুমি স্বপ্ন আমার এক পীঠ চুল নিয়ে চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যাও-- আমাকে থেমে যেতে হয়, আমাকে থেমে যেতে হয় কৃত্রিম আলোর মোহনায়।
চোখে ঘুমের ঢল নামে, অনেক নবগ্রাম ঘাসের আদলে ঢেকে রাখে মুখ, বুঝাতে পারিনা কোনমতে,বৃষ্টি নামে বৃষ্টি নামে মানুষের ঘরে। তুমি নীল নিয়ে দরজা খুললে অবশেষে।
সূর্য আসবে এখুনি, কান পেতে থাকি ভ্যাপসা অন্ধকারে, কালোফুল গন্ধ ছড়ায় অনর্গল। একাধারে গল্প থাকা সত্ত্বেও পুলিশ গুলি চালায় মিছিলে। মানুষ আসে না মানুষ আসে না, পানির তৃষ্ণা নিয়ে চোখে মরুভূমি নামে, খেজুর গাছের চাষ শুরু হবে শীঘ্রই-- প্রার্থনা শেষ হলে আমিও তোমার, আমিও তোমার অথবা তোমার প্রার্থনায় বেঁচে থাকি আমি
মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭
অনেক রোদ তোমার চোখে এসে রাত হয়ে যায়
অনেক বেদনা নিয়োগ করে প্রিয়তমা আয়নাকে চিনি
আয়নাকে দেখা হলো
আয়নাকে এমন করে দেখা হয়ে যায়
আমাকে দেখা হয় নাকো আয়নার
যার জন্য মালতী ফুল রাখি থরেবিথরে
যার জন্য এক জীবন সাগর জমা হৃদয়ের ঘরে
সেও বাতাসের মতো পিচ্ছিল
সেও মানুষের পথে বড় দুর্লভ অনাচার
অর্থকরী মানুষ
নিয়মবাহী সাইকেল টুংটাং টুংটাং করে
বড় করে দেখে নাকো সাগরের মেঘ
মেঘদল হয়ে ছুটাছুটি করে জঙ্গলে পাহাড়ে জীবন এক আকাশের নাম, জীবন এক তৃষ্ণার সমান
পাহাড়ে না হয় না গেলে
জঙ্গলে না হয় না রাখলে পা
মেয়ে না হয়ে মানুষ ত হতে পারতে অনেক রাতে একটা নিষ্পাপ চোখে
হলে না, হতে পারলে না
অনেক নাপারা ইচ্ছা মানুষের ঘরে এসে বেগুন হয়ে গেলে সকালের নাস্তা ভালো হয়, ফ্রিজ আলমারি বেডরুম চকচকে দেখায়
তুমি বরং ঘরে থাকো আগুনের সাথে চুলার সাথে বিড়ালের সাথে
তোমার বন্ধু হবে একটা কালো টিপ প্রায় কপালের সমান, কয়েকটি শাড়ি আর রিমোট ঘুরানো ডিস ইন্টিনা, ফুলের বাগান তোমার দরজার সামনে থাকবেই থাকবে, ঘর সাজাতে সাজাতে ভুলে যাবে তুমি বাহিরেও থাকে নীল পদ্মের জোয়ার, আজকের ঘর না দিলো তোমারে আকার, আজকের নিয়ম না দিলো তোমারে আকার
আয়নাকে দেখা হলো
আয়নাকে এমন করে দেখা হয়ে যায়
আমাকে দেখা হয় নাকো আয়নার
যার জন্য মালতী ফুল রাখি থরেবিথরে
যার জন্য এক জীবন সাগর জমা হৃদয়ের ঘরে
সেও বাতাসের মতো পিচ্ছিল
সেও মানুষের পথে বড় দুর্লভ অনাচার
অর্থকরী মানুষ
নিয়মবাহী সাইকেল টুংটাং টুংটাং করে
বড় করে দেখে নাকো সাগরের মেঘ
মেঘদল হয়ে ছুটাছুটি করে জঙ্গলে পাহাড়ে জীবন এক আকাশের নাম, জীবন এক তৃষ্ণার সমান
পাহাড়ে না হয় না গেলে
জঙ্গলে না হয় না রাখলে পা
মেয়ে না হয়ে মানুষ ত হতে পারতে অনেক রাতে একটা নিষ্পাপ চোখে
হলে না, হতে পারলে না
অনেক নাপারা ইচ্ছা মানুষের ঘরে এসে বেগুন হয়ে গেলে সকালের নাস্তা ভালো হয়, ফ্রিজ আলমারি বেডরুম চকচকে দেখায়
তুমি বরং ঘরে থাকো আগুনের সাথে চুলার সাথে বিড়ালের সাথে
তোমার বন্ধু হবে একটা কালো টিপ প্রায় কপালের সমান, কয়েকটি শাড়ি আর রিমোট ঘুরানো ডিস ইন্টিনা, ফুলের বাগান তোমার দরজার সামনে থাকবেই থাকবে, ঘর সাজাতে সাজাতে ভুলে যাবে তুমি বাহিরেও থাকে নীল পদ্মের জোয়ার, আজকের ঘর না দিলো তোমারে আকার, আজকের নিয়ম না দিলো তোমারে আকার
রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭
ডানহাতি আপনি
আপনার ডান হাতের চেয়ে বাম হাত শক্তিশালী। বাদ, নীতি আর আইডিয়ার বাজার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিজের জানান দেবার প্রয়োজন কী? আপনার হাতকে প্রশ্ন করুন-- ডান হাত কিংবা বাম হাতকে-- বৈষম্যের উত্তর সহজে মিলবে।
ডানহাতি আপনি যে বাম হাতকে রোহিঙ্গা করে রেখেছেন তার জন্য কিন্তু আপনার মস্তিষ্ক কোনো ত্রান সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেনি।
ডানহাতি আপনি যে বাম হাতকে রোহিঙ্গা করে রেখেছেন তার জন্য কিন্তু আপনার মস্তিষ্ক কোনো ত্রান সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেনি।
নাথফুল
তোমার নাথফুল আমার চোখে এসে নৌকা হয়ে যায়
শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭
তুমি আছো তুমি হয়ে সে-ই ভালো
আমি যদি তুমি হয়ে যাই
জমে থাকা অভিযোগ কার নামে পাঠাই
তুমি যদি আমি হয়ে যাও
কার নামে অভিমান হৃদয়ে জমাই
কার ঘরে জ্বলবে আলো
কার দেহে ডানা মেলে শান্তিতে ঘুমাই
আমি তুমি এক হলে
কাঁশবনে কে যাবে
সন্ধ্যা সৌরভ যাবে কার মনে
কার চোখে চোখ রেখে নিজেকে বানাই
কার প্রেমে মগ্ন হয়ে সাধুবাদ জানাই
তুমি আছো তুমি হয়ে সে-ই ভালো
আমি আছি আমি হয়ে রাতের আলো
জমে থাকা অভিযোগ কার নামে পাঠাই
তুমি যদি আমি হয়ে যাও
কার নামে অভিমান হৃদয়ে জমাই
কার ঘরে জ্বলবে আলো
কার দেহে ডানা মেলে শান্তিতে ঘুমাই
আমি তুমি এক হলে
কাঁশবনে কে যাবে
সন্ধ্যা সৌরভ যাবে কার মনে
কার চোখে চোখ রেখে নিজেকে বানাই
কার প্রেমে মগ্ন হয়ে সাধুবাদ জানাই
তুমি আছো তুমি হয়ে সে-ই ভালো
আমি আছি আমি হয়ে রাতের আলো
বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৭
আমার চোখে চট্রগ্রাম শহর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালি শব্দটি কয়েকটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। হালি মানে শুন্য। হালি মানে চার। হালি মানে মাত্র।On eating I call you~ খাওয়ার পর পরই আমি তোমাকে কল দিলাম বা হালি খাওয়া শেষ করলাম এমনি তোমারে কল দিলাম।
শহরের আগে যখন হালি শব্দটি যুক্ত হয়ে হালিশহর হয় তখন আমাকে একটু থেমে কথা বলতে হয়। হালিশহরে একটি জায়গার নাম বৌবাজার, আরেকটি জায়গার নাম পানির কল। নামদ্বয় ভালো লেগেছে।
বৌবাজারে কী বৌ বিক্রি করা হতো?
ছুটির দিন এইসব বাজারে মাইয়্যা ফোয়া বাজার করতে আসে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার অথবা বিয়েসামগ্রীর বউ রিলেটেড মালামাল এখানে পাওয়া যায় বেশ করে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার। বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গার নাম হয়ে যায়, রাখা হয় না।
হালিশহরে কোনো বৌকে রাস্তাঘাটে তেমন দেখি নাই। তাদের জন্ম হয়েছে কেবল ঘরের অলঙ্কার হয়ে থাকার জন্যে। তাই অলঙ্কার মোড়ে গিয়ে আমাকে থেমে যেতে হয়। আমাকে ধুলাবালির মাস্তানি দেখে ভাবতে হয় এ কোন দেশে আইলাম ভাই!
দিল্লী শহর প্রথমে দেখে আমাকে বিস্মিত হতে হয়েছে। কোনো পজেটিভ কারনে নয়, নোংরা পরিবেশের কারনে। দিল্লীর অনেক জায়গা শহরের মতো সাজানো সুন্দর, অনেক জায়গা চট্রগ্রাম শহরের মতো অগোছালো, দৃষ্টিবালিময়।
রানী রাসমনি বারুনী স্নান ঘাট আমাকে আনন্দ দেয়। জীবনে প্রথম দেখলাম কেমন করে সূর্য আস্তে আস্তে জলের নিচে নিজের মুখ লুকায়। ভদ্রলোকরা যাকে সান সেট বলে আমি তাকে বলি রানওয়ে। সময়ের রানওয়েতে সূর্য আস্তে আস্তে ছায়ার আড়ালে চলে যায়। দৃশ্যটি খুবই নির্মম খুবই বাস্তব খুবই সত্য।
দক্ষিন কাট্টলীর মানুষ অনেকটা রেগে থাকা লাতার মতো, আন্তরিকতার গভীর কোনো ছাপ নাই। জাইল্লা পাড়ায় কিছু সনাতনী বাচ্চাকে দেখি মোনাজাত করতে আর আল্লার নাম জপ করতে। আমি অবাকই হয়েছি। আবার অবাক তেমন হয়নি। কারন আমার জানা আছে প্রভাব ভাইরাসের কথা। প্রভাব ভাইরাসের কারনে লোহাও জলে ভাসে। এই জাইল্লা পাড়ায় ত্রিনাথ ঠাকুর তত শক্তিশালী নহে যত শক্তিশালী বেলায়াতে রাসুল।
ফয়েজ লেকের আরিফের কথা মনে ভাসে। ফয়েজ লেকের সুন্দর দ্বীপ দোকানটির চালক সে। ছেলেটি চমৎকার হাসে। ফয়েজ লেকের পাহাড়ি জলের মতো মনোলোভা তার হাসি। কিন্তু তার মনে বড় দুঃখ কেন সে গরীবের ঘরে জন্ম নিল কেন সে পড়াশোনা করতে পারিনি।
এই দেশের প্রতিটি মানুষ দুঃখের ভার বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের হাজার রকমের দুঃখ। কারো দুঃখ বেলুন টাইপের, কারো দুঃখ সবুজ রঙের, কারো দুঃখ খেলনা ঢঙের। দুঃখ যেন এখনকার মানুষের একটি অদৃশ্য গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ।
আরে ভাই এতো কষ্ট কেরে? পথ থেকে সরে গিয়ে ছদ্মবেশে দেখা যায় প্রিয়নাথের মুখ যদি দেখাই শান্তির কারন হয় এবং ভালোবাসা হয় জীবনের নাম। জীবনের দিকে ভালো করে তাকাতে পারলে সে চমৎকার আলো দেয়, তখন জীবনের ফাঁকে ফাঁকে জমা হওয়া দুঃখজল শুকিয়ে যায় অনায়াসে, অনায়াসে তখন বলা যায় লাইফ ইজ শান্তি ইন নো সিজন লেন্ড।
শহরের আগে যখন হালি শব্দটি যুক্ত হয়ে হালিশহর হয় তখন আমাকে একটু থেমে কথা বলতে হয়। হালিশহরে একটি জায়গার নাম বৌবাজার, আরেকটি জায়গার নাম পানির কল। নামদ্বয় ভালো লেগেছে।
বৌবাজারে কী বৌ বিক্রি করা হতো?
ছুটির দিন এইসব বাজারে মাইয়্যা ফোয়া বাজার করতে আসে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার অথবা বিয়েসামগ্রীর বউ রিলেটেড মালামাল এখানে পাওয়া যায় বেশ করে তাই নাম হয়ে গেছে বৌবাজার। বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গার নাম হয়ে যায়, রাখা হয় না।
হালিশহরে কোনো বৌকে রাস্তাঘাটে তেমন দেখি নাই। তাদের জন্ম হয়েছে কেবল ঘরের অলঙ্কার হয়ে থাকার জন্যে। তাই অলঙ্কার মোড়ে গিয়ে আমাকে থেমে যেতে হয়। আমাকে ধুলাবালির মাস্তানি দেখে ভাবতে হয় এ কোন দেশে আইলাম ভাই!
দিল্লী শহর প্রথমে দেখে আমাকে বিস্মিত হতে হয়েছে। কোনো পজেটিভ কারনে নয়, নোংরা পরিবেশের কারনে। দিল্লীর অনেক জায়গা শহরের মতো সাজানো সুন্দর, অনেক জায়গা চট্রগ্রাম শহরের মতো অগোছালো, দৃষ্টিবালিময়।
রানী রাসমনি বারুনী স্নান ঘাট আমাকে আনন্দ দেয়। জীবনে প্রথম দেখলাম কেমন করে সূর্য আস্তে আস্তে জলের নিচে নিজের মুখ লুকায়। ভদ্রলোকরা যাকে সান সেট বলে আমি তাকে বলি রানওয়ে। সময়ের রানওয়েতে সূর্য আস্তে আস্তে ছায়ার আড়ালে চলে যায়। দৃশ্যটি খুবই নির্মম খুবই বাস্তব খুবই সত্য।
দক্ষিন কাট্টলীর মানুষ অনেকটা রেগে থাকা লাতার মতো, আন্তরিকতার গভীর কোনো ছাপ নাই। জাইল্লা পাড়ায় কিছু সনাতনী বাচ্চাকে দেখি মোনাজাত করতে আর আল্লার নাম জপ করতে। আমি অবাকই হয়েছি। আবার অবাক তেমন হয়নি। কারন আমার জানা আছে প্রভাব ভাইরাসের কথা। প্রভাব ভাইরাসের কারনে লোহাও জলে ভাসে। এই জাইল্লা পাড়ায় ত্রিনাথ ঠাকুর তত শক্তিশালী নহে যত শক্তিশালী বেলায়াতে রাসুল।
ফয়েজ লেকের আরিফের কথা মনে ভাসে। ফয়েজ লেকের সুন্দর দ্বীপ দোকানটির চালক সে। ছেলেটি চমৎকার হাসে। ফয়েজ লেকের পাহাড়ি জলের মতো মনোলোভা তার হাসি। কিন্তু তার মনে বড় দুঃখ কেন সে গরীবের ঘরে জন্ম নিল কেন সে পড়াশোনা করতে পারিনি।
এই দেশের প্রতিটি মানুষ দুঃখের ভার বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের হাজার রকমের দুঃখ। কারো দুঃখ বেলুন টাইপের, কারো দুঃখ সবুজ রঙের, কারো দুঃখ খেলনা ঢঙের। দুঃখ যেন এখনকার মানুষের একটি অদৃশ্য গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ।
আরে ভাই এতো কষ্ট কেরে? পথ থেকে সরে গিয়ে ছদ্মবেশে দেখা যায় প্রিয়নাথের মুখ যদি দেখাই শান্তির কারন হয় এবং ভালোবাসা হয় জীবনের নাম। জীবনের দিকে ভালো করে তাকাতে পারলে সে চমৎকার আলো দেয়, তখন জীবনের ফাঁকে ফাঁকে জমা হওয়া দুঃখজল শুকিয়ে যায় অনায়াসে, অনায়াসে তখন বলা যায় লাইফ ইজ শান্তি ইন নো সিজন লেন্ড।
সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭
তার নাম রেখো বেহুলা
তোমার বেড়ালটা খুব সুন্দর। চোখের পকেটে প্রিয় কোনো চিঠি রাখবার মতো সুন্দর। তোমার খোঁপার দোলনচাঁপা ফুলের মতো সুন্দর। বিশেষ করে তার চোখ এবং কান। তার শরীর সাদা মেঘের মতো, মানে কাঁশবনে পলাতক কোনো ফুলের মতো।
তার নাম কিন্তু চন্দ্রাবতী কিংবা রাধা রেখো না, তাহলে তাকে সারা জীবন মানুষের সাথে থাকতে হবে। কোনো মানুষ কোনো মানুষের সাথে থাকতে চায় না সমগ্র জীবন। কেউ কেউ থাকে। তবে খুব কষ্টে। বিড়াল বিড়ালের সাথে থেকে সুখ রচনা করে, সুখ পায়।
বিড়াল কেন কষ্ট করবে?
বেড়ালপরিবারে কোনো কৃষ্ণ নেই যাকে মথুরা জয় করতে হয় রাধাকে বিরহ রাজ্যের রানী করে, বেড়ালের দেশে কোনো ফুলেশ্বরী নদী নেই যেখানে প্রেমিক প্রেমিকা সলিলসমাধি নেয়, তাদের চোখে আছে কিছু চাওয়া কিছু চাওয়ার মতো পাওয়া।
আদর পেলে বেড়াল কান খাড়া করে। তখন তাকে খরগোস খরগোস লাগে। আদর পেলে বেড়ালের চোখে দেখা দেয় মেঘফুল-- কন্ঠে নামে মিউ মিউ প্রেমগর্জন। ঠিক তখনই বিড়াল তার অভ্যাসগত সঙ্গীকে খুঁজে। সঙ্গী হয়তো তার ডাক শুনতে পাই হয়তো পাই না। হয়তো মানুষাসুর তাদের সুর ব্যঞ্জনার পথে লঙ্কারাবন হয়ে দাঁড়ায়। তাই বলছি তার নাম মলুয়া কিংবা সীতা রেখো না। তার নাম রেখো বেহুলা। বেহুলা অন্তত প্রেমিককে নিয়ে যৌথভাবে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করতে জানে ....
তার নাম কিন্তু চন্দ্রাবতী কিংবা রাধা রেখো না, তাহলে তাকে সারা জীবন মানুষের সাথে থাকতে হবে। কোনো মানুষ কোনো মানুষের সাথে থাকতে চায় না সমগ্র জীবন। কেউ কেউ থাকে। তবে খুব কষ্টে। বিড়াল বিড়ালের সাথে থেকে সুখ রচনা করে, সুখ পায়।
বিড়াল কেন কষ্ট করবে?
বেড়ালপরিবারে কোনো কৃষ্ণ নেই যাকে মথুরা জয় করতে হয় রাধাকে বিরহ রাজ্যের রানী করে, বেড়ালের দেশে কোনো ফুলেশ্বরী নদী নেই যেখানে প্রেমিক প্রেমিকা সলিলসমাধি নেয়, তাদের চোখে আছে কিছু চাওয়া কিছু চাওয়ার মতো পাওয়া।
আদর পেলে বেড়াল কান খাড়া করে। তখন তাকে খরগোস খরগোস লাগে। আদর পেলে বেড়ালের চোখে দেখা দেয় মেঘফুল-- কন্ঠে নামে মিউ মিউ প্রেমগর্জন। ঠিক তখনই বিড়াল তার অভ্যাসগত সঙ্গীকে খুঁজে। সঙ্গী হয়তো তার ডাক শুনতে পাই হয়তো পাই না। হয়তো মানুষাসুর তাদের সুর ব্যঞ্জনার পথে লঙ্কারাবন হয়ে দাঁড়ায়। তাই বলছি তার নাম মলুয়া কিংবা সীতা রেখো না। তার নাম রেখো বেহুলা। বেহুলা অন্তত প্রেমিককে নিয়ে যৌথভাবে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করতে জানে ....
রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭
বোকা গদ্যময়
চালাকরাজ্যে বোকা গদ্যময়, মানুষের মুখ যেন রাবনের নদী
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
:...:
মারলে মরতে হয়,বাঁচালে বেঁচে যাই
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আকাশ কেবল আকাশ রচনা করে চলে
মেঘনার জলে নৌকা থাকে। আমাদের দেহের জলেও নৌকা থাকে। লোকে তাকে মন বলে। জলে মাছ থাকে। মনেও মাছ থাকে। বিজ্ঞান তাকে অনুভূতি বলে। ইয়াং ডাকাইত দল বলে ফিলিংস।
মেঘনার পাশেই গ্রাম। গ্রামের পেছনে আকাশ। ছোট কালে মনে হতো গ্রামের পেছনে যে আকাশ তাকে বুঝি গ্রামের পেছনে গেলেই ধরা যাবে। কতবার গ্রামের পেছনে গেলাম। আকাশ আর ধরা যায় না। আকাশ কেবল আকাশ রচনা করে চলে।
মেঘনার পাশেই গ্রাম। গ্রামের পেছনে আকাশ। ছোট কালে মনে হতো গ্রামের পেছনে যে আকাশ তাকে বুঝি গ্রামের পেছনে গেলেই ধরা যাবে। কতবার গ্রামের পেছনে গেলাম। আকাশ আর ধরা যায় না। আকাশ কেবল আকাশ রচনা করে চলে।
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আমাদের জন্মদিনেরা
এক সাধু। সাধুর কাছে প্রায় বিভিন্ন ধরনের মানুষ আসে। বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন সাধুকে করে। সাধু অত্যন্ত শান্ত মার্জিত উপায়ে প্রশ্নের সন্তুষ্টজনক উত্তর দেন। কিন্তু একটি প্রশ্নের উত্তর সাধু দেন না।
কোন সে প্রশ্ন? সাধুর বয়স জিজ্ঞেস করা হলে সেই সম্পর্কে সাধু কিছু বলেন না।
একদিন তার খুব কাছের এক মানুষ তার কাছে জানতে চায় কেন সে তার বয়স সংক্রান্ত কোনো উত্তর দেন না।
সাধু হাসলেন এবং প্রশ্নকারীর চোখের দিকে তাকালেন এবং বললেন,
"শরীরের আয়ু এক ইতর প্রানীরও রয়েছে কিন্তু মনের মানের আয়ু কেবল মানুষের রয়েছে, আমার মন আদৌ তার মান অর্জন করতে পেরেছে কিনা আমি জানি না, জানলেও তা পৃথিবীর উৎসব দিয়ে উদযাপন করার বিষয় নয়। লোহা দিয়ে কী স্বর্নের কীর্তন করা যায়?
কোন সে প্রশ্ন? সাধুর বয়স জিজ্ঞেস করা হলে সেই সম্পর্কে সাধু কিছু বলেন না।
একদিন তার খুব কাছের এক মানুষ তার কাছে জানতে চায় কেন সে তার বয়স সংক্রান্ত কোনো উত্তর দেন না।
সাধু হাসলেন এবং প্রশ্নকারীর চোখের দিকে তাকালেন এবং বললেন,
"শরীরের আয়ু এক ইতর প্রানীরও রয়েছে কিন্তু মনের মানের আয়ু কেবল মানুষের রয়েছে, আমার মন আদৌ তার মান অর্জন করতে পেরেছে কিনা আমি জানি না, জানলেও তা পৃথিবীর উৎসব দিয়ে উদযাপন করার বিষয় নয়। লোহা দিয়ে কী স্বর্নের কীর্তন করা যায়?
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
মশা কেন বেঁচে থাকবে
যে মশা আমাকে কামড় দিয়ে রক্ত খেয়েছিল সে আজ বেঁচে নেই, যে মশা আমার রক্ত খাচ্ছে সেও বেঁচে থাকবে না
তবু কথা থাকে
তবু কথা থাকে ব্র্যাকেটে
আকাশে আকাশে
কিংবা ছাদের বারান্দায়
কথাও ত ঘুড়ি
সুতো আছে তার
প্রতিপক্ষ চাপে মাঝে মাঝে সে নাটাই হারায়
কিছু ভুল ভুল করে সুখ পায়
তারা যেমন দিনের ভেতর নিজেকে লুকায়
আকাশে আকাশে
কিংবা ছাদের বারান্দায়
কথাও ত ঘুড়ি
সুতো আছে তার
প্রতিপক্ষ চাপে মাঝে মাঝে সে নাটাই হারায়
কিছু ভুল ভুল করে সুখ পায়
তারা যেমন দিনের ভেতর নিজেকে লুকায়
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আমার রাধা গো
আমার রাধা গো
কার ঘরে ঘুমাও তুমি অনেক রাতে এখন
কার চোখে পেল তোমার নতুন জীবন
কোন বাম আঙ্গুল রচনা করে তোমার মরন
ভুলে গেলে বৃন্দাবন
ভুলে গেলে আমারে
ভুলে গেলে যমুনার জল, জলেপ্রেমে মধুর মিলন
Miracle silence on your eyes
I am going to die I am about to die
আমার রাধা গো
সে ত জানে না আমার মতো ফুলতোলা অভিশাপ
বাচাল দুঃখে কেমন করে তার সাথে রাত কাটাও
পাথরের মতো তোমার হাসি
তোমার হাসি দেখবো বলে
মৃত্যুর মতো সুখ নিয়ে চলে গেলাম সেই ফেলে আসা বাড়ি
ভালো থাকো তুমি
ভালো থেকো তুমি
আমার রাধা গো
এখনো আমি হামতোম ডিয়ার জিন্দেগী
এখনো বৃন্দাবন রাখাল আমি তোমার অভিসারে সুখী
চলে এসো সময়ে
তমালের তলা এখনো বাঁশি বাঁধে রাধার স্মরনে
কার ঘরে ঘুমাও তুমি অনেক রাতে এখন
কার চোখে পেল তোমার নতুন জীবন
কোন বাম আঙ্গুল রচনা করে তোমার মরন
ভুলে গেলে বৃন্দাবন
ভুলে গেলে আমারে
ভুলে গেলে যমুনার জল, জলেপ্রেমে মধুর মিলন
Miracle silence on your eyes
I am going to die I am about to die
আমার রাধা গো
সে ত জানে না আমার মতো ফুলতোলা অভিশাপ
বাচাল দুঃখে কেমন করে তার সাথে রাত কাটাও
পাথরের মতো তোমার হাসি
তোমার হাসি দেখবো বলে
মৃত্যুর মতো সুখ নিয়ে চলে গেলাম সেই ফেলে আসা বাড়ি
ভালো থাকো তুমি
ভালো থেকো তুমি
আমার রাধা গো
এখনো আমি হামতোম ডিয়ার জিন্দেগী
এখনো বৃন্দাবন রাখাল আমি তোমার অভিসারে সুখী
চলে এসো সময়ে
তমালের তলা এখনো বাঁশি বাঁধে রাধার স্মরনে
Slot
In the end we will become sleep slot
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
শব্দটি
আমরা তাই শুনি যা শুনতে চাই, আমরা তাই দেখি যা দেখতে চাই। আমাদের দেখার অভ্যাস ধীরে ধীরে পুকুর হয়ে আসে, আমাদের শোনার অভ্যাস আস্তে আস্তে ডোবা হয়ে আসে। আমাদের মাঝে সর্বনাম হয়ে অবস্থান করে ট্রেনের ভেঁপু।
ন শুনি তোমায় ন দেখি আমায়
পৃথিবীতে শুধু আওয়াজ আর কেওয়াজ
ন শুনি তোমায় ন দেখি আমায়
পৃথিবীতে শুধু আওয়াজ আর কেওয়াজ
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
শীতলক্ষ্যা নদী আমার মারা যায় রোজ
গ্যাসবিলের পাশেই নজরুলের দোকান। নজরুল চা পান সিগারেট বিক্রি করে। গ্যাসবিল বিক্রি করে মানুষ মানুষের রুচি, মানুষের প্রতিদিনের সময়।
নজরুল এক সময় দারুন মাছধরা লোক ছিল। আজ সে কাস্টমার ধরে। রাতে বিলের পাশে নামে উঠতি যুবকের ঢল। তারা কথা বলে ফেইসবুকের ভাষায়। ফেইসবুক তাদের শেখাতে পারেনি গ্যাসবিলের রাবনমুখী ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার ফলকথা। যুবকের দল কথা বলে রাত জাগে রিংটোনের মতো বেজে ওঠে বারবার।
অথচ ভুলে গেছে তারা শীতলক্ষ্যার কথা। শীতলক্ষ্যা এক সময় কপিলার মতো মাথায় তেল দিত। খাঁটি সরিষার তেল। তার ঠোঁটে ছিল তেঁতুল পাতার মতো মহিন মিহি কলরব। তার শরীরে ছিল গ্রামীন নারীর আবাদি সুভেন্দু গন্ধ। আজ তার শরীরে মিলফ্যাক্টরির আজলা বীর্য।
শীতলক্ষ্যা মারা যায়। নদী মারা যায়। মারা যায় আমার বাংলাদেশ। নাকে আসে কার্বনের পোড়া গন্ধ। বুকের ভেতর চোখের ভেতর সাপ খেলা করে কামড়ে কামড়ে বিষাক্ত হয় আমার স্বপ্নের দৃশ্যরা।
সকালে সূর্য উঠবে। নজরুল তার দোকান খুলে বসবে গ্যাসবিলের দাহ্য বাতাসে। মরা বাতাসে একটু একটু করে মারা যাবে নজরুল। মারা যাবে মঙলদ্বীপ গ্রাম।
অনেক গ্রাম মারা যাওয়ার পর আপনি একবার আন্দোলন করতে আসবেন। তারপর আপনার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে নোবেল প্রাইজ। আপনাকে বলা হবে শান্তির মশাল।
হাততালি হবে একটানা হাততালি হবে।মিডিয়ার পর মিডিয়া দেখাবে আপনার ইলেকট্রনিক মুখ। নজরুল তখন মাটিতে জলেতে মিশে গিয়ে বলবে
"নো টক ডিয়ার নো টক
মাই কান্ট্রি ইজ নাইস
ইউ দি পলিসি ইজ ফাইন
কেরি অন ডিয়ার কেরি অন"
নজরুল এক সময় দারুন মাছধরা লোক ছিল। আজ সে কাস্টমার ধরে। রাতে বিলের পাশে নামে উঠতি যুবকের ঢল। তারা কথা বলে ফেইসবুকের ভাষায়। ফেইসবুক তাদের শেখাতে পারেনি গ্যাসবিলের রাবনমুখী ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার ফলকথা। যুবকের দল কথা বলে রাত জাগে রিংটোনের মতো বেজে ওঠে বারবার।
অথচ ভুলে গেছে তারা শীতলক্ষ্যার কথা। শীতলক্ষ্যা এক সময় কপিলার মতো মাথায় তেল দিত। খাঁটি সরিষার তেল। তার ঠোঁটে ছিল তেঁতুল পাতার মতো মহিন মিহি কলরব। তার শরীরে ছিল গ্রামীন নারীর আবাদি সুভেন্দু গন্ধ। আজ তার শরীরে মিলফ্যাক্টরির আজলা বীর্য।
শীতলক্ষ্যা মারা যায়। নদী মারা যায়। মারা যায় আমার বাংলাদেশ। নাকে আসে কার্বনের পোড়া গন্ধ। বুকের ভেতর চোখের ভেতর সাপ খেলা করে কামড়ে কামড়ে বিষাক্ত হয় আমার স্বপ্নের দৃশ্যরা।
সকালে সূর্য উঠবে। নজরুল তার দোকান খুলে বসবে গ্যাসবিলের দাহ্য বাতাসে। মরা বাতাসে একটু একটু করে মারা যাবে নজরুল। মারা যাবে মঙলদ্বীপ গ্রাম।
অনেক গ্রাম মারা যাওয়ার পর আপনি একবার আন্দোলন করতে আসবেন। তারপর আপনার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে নোবেল প্রাইজ। আপনাকে বলা হবে শান্তির মশাল।
হাততালি হবে একটানা হাততালি হবে।মিডিয়ার পর মিডিয়া দেখাবে আপনার ইলেকট্রনিক মুখ। নজরুল তখন মাটিতে জলেতে মিশে গিয়ে বলবে
"নো টক ডিয়ার নো টক
মাই কান্ট্রি ইজ নাইস
ইউ দি পলিসি ইজ ফাইন
কেরি অন ডিয়ার কেরি অন"
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ভালোবেসে সুখ চাই
বাওড়ের জলে গেলে পাগলামী কাঁধে বসে জোয়ালের মতো
আজ তাই ভুলে যাই যত ছিল মাখানো হৃদয়ের ক্ষত
গান গাই রোজ তাই
ভুলটুল মেনে নিয়ে ওয়াইফাই জল পাই
ঘর চাই মন চাই ভালোবেসে সুখ চাই
চাই চাই ফিরে চাই হারানো হাইফাই
আজ তাই ভুলে যাই যত ছিল মাখানো হৃদয়ের ক্ষত
গান গাই রোজ তাই
ভুলটুল মেনে নিয়ে ওয়াইফাই জল পাই
ঘর চাই মন চাই ভালোবেসে সুখ চাই
চাই চাই ফিরে চাই হারানো হাইফাই
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ব্যথামুক্তিতে কথাতথ্যে আমাদের ঘর
ব্যথাপ্রিয় ফুল
ঝরায় মুকুল
কত ব্যথা গো তোমার রাতের মতো ভেঙে পড়ে বিকেল বেয়ে
আমি তো রাখাল ঘর বেঁধেছি নদীর কূলে আযান মনে
সুখদের ঘর
মনভরা ঝড়
অনেক কথার গল্প জমা জোয়ার যেমন জলের ঘরে যখন তখন
অলস খোঁপার ভাঁজে আছে আমার হাতের গোপন কিছু শিল্প বুনন
মহামন জন
লীলাপ্রিয় পন
মিছিলের ঘাটে আশার প্রভাতে বালির খেলা অনিয়ম নিয়ম দেখাতে পারেন
ইউটার্নসুখ কেবলই তিনি দূরাগত দূরকারী পুরাতন সুখসুর বাজাতে জানেন
চেয়ে আছি তাঁর দিকে
চেয়ে আছি তোর চোখে
বাজে যেন আমাদের গল্প দিনেরাতে
তোর মুখে তাঁর চোখে
ঝরায় মুকুল
কত ব্যথা গো তোমার রাতের মতো ভেঙে পড়ে বিকেল বেয়ে
আমি তো রাখাল ঘর বেঁধেছি নদীর কূলে আযান মনে
সুখদের ঘর
মনভরা ঝড়
অনেক কথার গল্প জমা জোয়ার যেমন জলের ঘরে যখন তখন
অলস খোঁপার ভাঁজে আছে আমার হাতের গোপন কিছু শিল্প বুনন
মহামন জন
লীলাপ্রিয় পন
মিছিলের ঘাটে আশার প্রভাতে বালির খেলা অনিয়ম নিয়ম দেখাতে পারেন
ইউটার্নসুখ কেবলই তিনি দূরাগত দূরকারী পুরাতন সুখসুর বাজাতে জানেন
চেয়ে আছি তাঁর দিকে
চেয়ে আছি তোর চোখে
বাজে যেন আমাদের গল্প দিনেরাতে
তোর মুখে তাঁর চোখে
বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
প্রাকৃতিক প্রতিশোধ
প্রকৃতি ঠিক প্রতিশোধ শব্দটা জানে না। সে তার নিয়মতান্ত্রিক কাজটি করে যায়। নিয়মতান্ত্রিক কাজটিই অনেক সময় অনিয়মকারীর কাছে এসে প্রতিশোধ হয়ে যায়। মানুষ যেমন করে প্রতিশোধ শব্দটি নাড়াচাড়া করে প্রকৃতি যদি তেমন করে নাড়াচাড়া করত তাহলে পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতো অনেক অনেক আগে।
প্রকৃতি পুরষ্কার শব্দটিও মানে না। সে পুরষ্কার তিরস্কারের অনেক উর্ধ্বে বাস করে। সংসারের মাথা দিয়া প্রকৃতিকে অনুধাবন করা যাবে না। তাকে অনুধাবন করতে হলে সংসারকে পকেটে অথবা আঁচলে ভরতে হবে।
প্রকৃতি পুরষ্কার শব্দটিও মানে না। সে পুরষ্কার তিরস্কারের অনেক উর্ধ্বে বাস করে। সংসারের মাথা দিয়া প্রকৃতিকে অনুধাবন করা যাবে না। তাকে অনুধাবন করতে হলে সংসারকে পকেটে অথবা আঁচলে ভরতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
Let me study you you are letting to have
Dark night. Midnight too. Window is widow open. Sky is clear. The star is dazzling with his star. The cloud is playing trace conoid with his cloud. The starry air is weaving with his partner. I am so alone with my loneliness. Sometimes agony or gala makes a day for sable sublime.
I love dark.
I love midnight.
I love moonlight just for soul of dark scoring within the moonlight truss.
Hello my dear, how are you?
I am fine as so as my best.
Listen me I am listening you yearning for living together within the tummy dark of the time leaving world class society.
Come please come my pussy
Let me study you you are letting to have
I love dark.
I love midnight.
I love moonlight just for soul of dark scoring within the moonlight truss.
Hello my dear, how are you?
I am fine as so as my best.
Listen me I am listening you yearning for living together within the tummy dark of the time leaving world class society.
Come please come my pussy
Let me study you you are letting to have
সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এক দুপুরে যে আমাকে একটি পালক দিয়েছে আমি হয়তো তাকে ভুলে যাবো
আকাশ কুলে নিয়ে বসে আছো কল্পনাপাখির ডানায়, হাতে সাদা একখান ডায়রি, চোখে ভরা দুপুর নির্জন মাঠ, পায়ে ছায়াময় নীরবতা। সব মিলিয়ে তুমি ছিলে আশ্বিন মাসের ওড়াউড়ি সফেদ মেঘ। তোমাকে দেখে আমার কেন ভালো লাগবে না? সব আকাশই চোখের কাছে এসে ঘুম হয়ে যায়। তুমিও হলে।
প্রিয় পালক, তুমি কার কথা ডায়রিতে লেখতে চেয়েছো? আমার কথা? না কার কথা লিখবে ভাবতে ভাবতে কলম আর মন এক করছো এমন সময় আমি এসে হাজির হলাম ধপাস করে?
আমাদের সমাজে মেয়ে ছেলের কথা ভাববে, ছি ছি, এ এক মহা পাপের কাজ! ছেলে মেয়ের কথা ভাববে, তাও পাপ-- তবে আংশিক। কারন সমাজের প্রনেতা যেহেতু পুরুষ তাদের পাপ কম। পুরুষদের বেলায় পাপ একেবারে না থাকলে পাপের কদর কমে যাবে, তাই রাখা। পাপের নাম দিয়ে আমরা কত গুরুত্বপূর্ন কাজকে যে ঢেকে রাখি তার হিসাব কে রাখে!
গুরুত্বপূর্ন কাজ গুরুত্বহীন হয়ে গেলে সমাজ পিছিয়ে যায়। তাইতো আমরা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, আদালতে বাড়ছে উকিলমক্কেল খেলা। নদীতে কমে যাচ্ছে মাছ, জলে বাড়ছে দূষন, ভূমি হারাচ্ছে উর্বরতা, সাংবাদিক চুপচাপ বসে নেগেটিভ নিউজ খোঁজে, বুদ্ধিজীবী আর্টম্যান ভোগে টিআরপি ম্যানিয়ায়।
এই ত আমার সাম্যবাদী বন্ধুটি ভ্যানগার্ড হাতে ঘুরেফিরে কয়েকজন সাপলুডু মানুষের কাছে। তাকে বললাম চলো সিনেমা দেখি। সে সিরিয়াস মুডে বলল "চুপ করো"। সমাজকে ভয় পায় সে, কোন সমাজকে ভয় পায় সে, যে সমাজ তার চাকরির নিশ্চয়তা দিতে পারে না সেই সমাজকে, যে সমাজ তার পায়ে স্বাধীন গতি দেয়ার পরিবর্তে শিকল পরায় সেই সমাজ .... বন্ধুটিকে পেছনে ফেলে তোমার স্মৃতিপ্রিয় সুখ মনে নিয়ে আমি হাঁটতে লাগলাম রাষ্ট্ররেখা অতিক্রম করে। রাষ্ট্র,পরিবার তোমার মতো প্রয়োজন হতে পারেনি তবুও তারা তেলাপোকার মতো কেবলই টিকে যায় তোমার আর আমার মাঝখানে কাঁটাতার হয়ে। আমাদের মাঝে কোনো সমাজছবি রোদ ফেলে আয়নাবাজি করবে তা হতে দেব না। তুমি আজকে দুপুরের মতো স্বাধীন, আমিও।
আমাদের দুপুর বিকালে যাবে, বিকাল যাবে গোধূলি বেলায়, তারপর একটি ভীষন রাত। রাত মানে সমাজকে লাথি দিয়ে অন্ধকারে ফেলে দেয়ার কাল। রাত মানে ডাকাত হবো,পুলিশি রাষ্ট্রকে কেটে কুচিকুচি করবো বারবার।
প্রিয় পালক, তোমার কাছে একটি ফুল চেয়েছি দিয়ে দিলে, অনেক দিন পর আবার তোমার সাথে দেখা, তাই চেয়ে বসলাম তোমার প্রিয় ডায়রি, তাও দিয়ে দিলে। তারপর অনেকদিন পর যখন তোমার সাথে দেখা হবে তখন আমি তোমাকে চেয়ে বসব। তখন তুমি থমকে যাবে জানি। কারন তোমার কাছে আমি তোমার চেয়ে দামি ....
প্রিয় পালক, তুমি কার কথা ডায়রিতে লেখতে চেয়েছো? আমার কথা? না কার কথা লিখবে ভাবতে ভাবতে কলম আর মন এক করছো এমন সময় আমি এসে হাজির হলাম ধপাস করে?
আমাদের সমাজে মেয়ে ছেলের কথা ভাববে, ছি ছি, এ এক মহা পাপের কাজ! ছেলে মেয়ের কথা ভাববে, তাও পাপ-- তবে আংশিক। কারন সমাজের প্রনেতা যেহেতু পুরুষ তাদের পাপ কম। পুরুষদের বেলায় পাপ একেবারে না থাকলে পাপের কদর কমে যাবে, তাই রাখা। পাপের নাম দিয়ে আমরা কত গুরুত্বপূর্ন কাজকে যে ঢেকে রাখি তার হিসাব কে রাখে!
গুরুত্বপূর্ন কাজ গুরুত্বহীন হয়ে গেলে সমাজ পিছিয়ে যায়। তাইতো আমরা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, আদালতে বাড়ছে উকিলমক্কেল খেলা। নদীতে কমে যাচ্ছে মাছ, জলে বাড়ছে দূষন, ভূমি হারাচ্ছে উর্বরতা, সাংবাদিক চুপচাপ বসে নেগেটিভ নিউজ খোঁজে, বুদ্ধিজীবী আর্টম্যান ভোগে টিআরপি ম্যানিয়ায়।
এই ত আমার সাম্যবাদী বন্ধুটি ভ্যানগার্ড হাতে ঘুরেফিরে কয়েকজন সাপলুডু মানুষের কাছে। তাকে বললাম চলো সিনেমা দেখি। সে সিরিয়াস মুডে বলল "চুপ করো"। সমাজকে ভয় পায় সে, কোন সমাজকে ভয় পায় সে, যে সমাজ তার চাকরির নিশ্চয়তা দিতে পারে না সেই সমাজকে, যে সমাজ তার পায়ে স্বাধীন গতি দেয়ার পরিবর্তে শিকল পরায় সেই সমাজ .... বন্ধুটিকে পেছনে ফেলে তোমার স্মৃতিপ্রিয় সুখ মনে নিয়ে আমি হাঁটতে লাগলাম রাষ্ট্ররেখা অতিক্রম করে। রাষ্ট্র,পরিবার তোমার মতো প্রয়োজন হতে পারেনি তবুও তারা তেলাপোকার মতো কেবলই টিকে যায় তোমার আর আমার মাঝখানে কাঁটাতার হয়ে। আমাদের মাঝে কোনো সমাজছবি রোদ ফেলে আয়নাবাজি করবে তা হতে দেব না। তুমি আজকে দুপুরের মতো স্বাধীন, আমিও।
আমাদের দুপুর বিকালে যাবে, বিকাল যাবে গোধূলি বেলায়, তারপর একটি ভীষন রাত। রাত মানে সমাজকে লাথি দিয়ে অন্ধকারে ফেলে দেয়ার কাল। রাত মানে ডাকাত হবো,পুলিশি রাষ্ট্রকে কেটে কুচিকুচি করবো বারবার।
প্রিয় পালক, তোমার কাছে একটি ফুল চেয়েছি দিয়ে দিলে, অনেক দিন পর আবার তোমার সাথে দেখা, তাই চেয়ে বসলাম তোমার প্রিয় ডায়রি, তাও দিয়ে দিলে। তারপর অনেকদিন পর যখন তোমার সাথে দেখা হবে তখন আমি তোমাকে চেয়ে বসব। তখন তুমি থমকে যাবে জানি। কারন তোমার কাছে আমি তোমার চেয়ে দামি ....
রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আমাদের ব্যক্তিগত কসাই আমার হয়ে যায়
সুন্দর হয়ে গেলে
সুন্দর রয়ে গেলে
এক কবির বেদনায় থাকবে বলে কত সুন্দর কসাই হলে অবশেষে
মানুষের লোভ অনেক বোকার বাজার
মানুষের রুচির পাহাড় অতএব
শ্রাবন মাস চোখের আকাশে ঘন ঘন দেখা যায়, পিঁপড়া পিলপিল করে গাবের মতো আটকে থাকে হৃদয়ে, ভুল ব্যথা অভিনয়ে নাচে হৃদয়ের সমগ্র গতর ধরে।
আগরতলা টিভি স্টেশন আমাদের বাড়ি থেকে বহুদূরে তবুও বারবার ইন্টিনার নড়াচড়া করি যদি দেখতে পাই তোমার ছবি-- দেখা নাই দেখা নাই।
মানুষ জানে আমার ঘরে টিভি আছে, মানুষের সাথে সাথে আমিও জানি সেই বাংলা আসবে আমার ঘরে, টিভি জানে নেটওয়ার্কহীন জীবন তার অনেক দৃশ্যহীন জিরজির নিয়ে বেঁচে থাকা, কেবলই শব্দের বাহার।
সুইচ ব্যাংকের মতো নীরব এক কথা নিয়ে বাজারে গেলে মাছ থাকে না জলের ঘরে, নীরব হয়ে গেলে সুন্দর করে, নীরব করে দিলে আমায়।
অনেক বেদনা নিয়ে আমি এখন কার কাছে যাই
জলের গভীরে বেদনা স্রোত কাকে আমি দেখাই
সব মানুষ ত তোমার মতো প্রশিক্ষিত কসাই
আনন্দের সন্ধ্যায় তোমার বিলাইও ইন্দুরের লগে আলাবালা খেল দেখায়
দেখে যাই
দেখে যাই
অসহায় হলে চোখের নিচে মুখ লুকাই মুখ লুকাই
সুন্দর রয়ে গেলে
এক কবির বেদনায় থাকবে বলে কত সুন্দর কসাই হলে অবশেষে
মানুষের লোভ অনেক বোকার বাজার
মানুষের রুচির পাহাড় অতএব
শ্রাবন মাস চোখের আকাশে ঘন ঘন দেখা যায়, পিঁপড়া পিলপিল করে গাবের মতো আটকে থাকে হৃদয়ে, ভুল ব্যথা অভিনয়ে নাচে হৃদয়ের সমগ্র গতর ধরে।
আগরতলা টিভি স্টেশন আমাদের বাড়ি থেকে বহুদূরে তবুও বারবার ইন্টিনার নড়াচড়া করি যদি দেখতে পাই তোমার ছবি-- দেখা নাই দেখা নাই।
মানুষ জানে আমার ঘরে টিভি আছে, মানুষের সাথে সাথে আমিও জানি সেই বাংলা আসবে আমার ঘরে, টিভি জানে নেটওয়ার্কহীন জীবন তার অনেক দৃশ্যহীন জিরজির নিয়ে বেঁচে থাকা, কেবলই শব্দের বাহার।
সুইচ ব্যাংকের মতো নীরব এক কথা নিয়ে বাজারে গেলে মাছ থাকে না জলের ঘরে, নীরব হয়ে গেলে সুন্দর করে, নীরব করে দিলে আমায়।
অনেক বেদনা নিয়ে আমি এখন কার কাছে যাই
জলের গভীরে বেদনা স্রোত কাকে আমি দেখাই
সব মানুষ ত তোমার মতো প্রশিক্ষিত কসাই
আনন্দের সন্ধ্যায় তোমার বিলাইও ইন্দুরের লগে আলাবালা খেল দেখায়
দেখে যাই
দেখে যাই
অসহায় হলে চোখের নিচে মুখ লুকাই মুখ লুকাই
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
পুটিয়া বাজার
পুটিয়া বাজার। এখানে গরু পাওয়া যায়, ঘোড়াও পাওয়া যায়। পান পাওয়া যায় আবার ধানও পাওয়া যায়। কল পাওয়া যায় আবার বলও পাওয়া যায়।
পুটি মাছ থেকে পুটিয়া। শনিবার বড় হাট, বুধবার তার চেয়ে ছোট হাট বসে।
বাজারের পাশ দিয়ে লেকলেকে হাড়িধোয়া নদী বয়ে চলেছে। আশেপাশের বিশ ত্রিশ গ্রামের প্রধান ভরসার জায়গা এই বাজার।
গ্রামের মানুষের প্রায় সব প্রয়োজন নিয়ে বসে আছে এই বাজার। এই বাজারেই এক সময় ডাকাতি হতো। জয়নাল ডাকাতের নাম এখনো মুরুব্বিদের মুখে শুনতে পাওয়া যায়। এখন আর এখানে ডাকাত আসে না। তবে কয়েকটি ব্যাংক বাজারের আশেপাশে খুব শক্তিশালী উপায়ে অবস্থান নিয়েছে।
পুটিয়া বাজারকে কুফি বাজারও বলা হয়। কারন আছে। মাগরিবের পর প্রায় সব দোকানে মোটা সলতের কুফি জ্বলে ওঠতো। এখনো জ্বলে ওঠে। তবে আগের তুলনায় খুবই কম। আধুনিক বাল্ব এসে কুফিকে বিদায় দিয়েছে। শ্রীচরন বাবু কিন্তু এখনো চানাচুর বিক্রি করে চলেছে। আধুনিক ফাস্ট ফুড তার চানাচুরের মচমচে জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে পারেনি।
পৃথিবীর সব গ্রামের আচরন প্রায় এক কিন্তু পৃথিবীর সব বাজারের আচরন কিন্তু এক নয়। বাজারের মধ্যে দিয়ে ভূত গ্রামের ভেতর ঢুকে। গ্রামের মানুষ ধীরে ধীরে ভূতগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তখন গ্রাম আর গ্রাম থাকে না। গ্রাম হয়ে পড়ে ভূতরাজ্য।
পুটিয়া বাজারেও কীটনাশক ভূতের দেখা পাওয়া যায় যা আমাদের জমিকে বিষক্রিয়া নার্সারি করে তুলছে খুব স্লো মোশনে। তবে এই কথা মানতে হবে পুটিয়া বাজারে এখনো প্রাচীন বাজার পদ্ধতির একটা ফ্লেভার রয়েছে।
পুটি মাছ থেকে পুটিয়া। শনিবার বড় হাট, বুধবার তার চেয়ে ছোট হাট বসে।
বাজারের পাশ দিয়ে লেকলেকে হাড়িধোয়া নদী বয়ে চলেছে। আশেপাশের বিশ ত্রিশ গ্রামের প্রধান ভরসার জায়গা এই বাজার।
গ্রামের মানুষের প্রায় সব প্রয়োজন নিয়ে বসে আছে এই বাজার। এই বাজারেই এক সময় ডাকাতি হতো। জয়নাল ডাকাতের নাম এখনো মুরুব্বিদের মুখে শুনতে পাওয়া যায়। এখন আর এখানে ডাকাত আসে না। তবে কয়েকটি ব্যাংক বাজারের আশেপাশে খুব শক্তিশালী উপায়ে অবস্থান নিয়েছে।
পুটিয়া বাজারকে কুফি বাজারও বলা হয়। কারন আছে। মাগরিবের পর প্রায় সব দোকানে মোটা সলতের কুফি জ্বলে ওঠতো। এখনো জ্বলে ওঠে। তবে আগের তুলনায় খুবই কম। আধুনিক বাল্ব এসে কুফিকে বিদায় দিয়েছে। শ্রীচরন বাবু কিন্তু এখনো চানাচুর বিক্রি করে চলেছে। আধুনিক ফাস্ট ফুড তার চানাচুরের মচমচে জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে পারেনি।
পৃথিবীর সব গ্রামের আচরন প্রায় এক কিন্তু পৃথিবীর সব বাজারের আচরন কিন্তু এক নয়। বাজারের মধ্যে দিয়ে ভূত গ্রামের ভেতর ঢুকে। গ্রামের মানুষ ধীরে ধীরে ভূতগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তখন গ্রাম আর গ্রাম থাকে না। গ্রাম হয়ে পড়ে ভূতরাজ্য।
পুটিয়া বাজারেও কীটনাশক ভূতের দেখা পাওয়া যায় যা আমাদের জমিকে বিষক্রিয়া নার্সারি করে তুলছে খুব স্লো মোশনে। তবে এই কথা মানতে হবে পুটিয়া বাজারে এখনো প্রাচীন বাজার পদ্ধতির একটা ফ্লেভার রয়েছে।
মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
মুগ্ধতা
আমার এক বন্ধু আছে। তার নাম ম্যান অব সাইন্স। ম্যান অব সাইন্স কারো প্রতি মুগ্ধতা ধরে রাখতে চায় না। তার মতে মুগ্ধতা এক ধরনের জেলখানা। ফলে মুগ্ধতাকে ধরে তার প্রিয়তম গ্লাসে রেখে তাপে রেখে দেয়। মুগ্ধতা তখন বাষ্প হয়ে উড়ে যায়।
কলকাতা
কলকাতায় সম্মানবোধের চেয়ে আইনবোধ বড়
শোক
ইন্ডিয়ানদের শোকের আয়ু তাদের সিগারেটের মতো-- দুই টানে শেষ
রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বাওড় দেখা হলো এবার
দত্ত। মাইকেল। মাইকেল আর দত্ত এক নয়। তবুও তাঁর নাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেনো বলেন বঙ্গে বিবিধ রতন রয়েছে তা যশোরে না আসলে বুঝতে পারতাম না। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের গ্রাম অবশ্যই আলোচনার মতো সৌন্দর্যের দাবিদার। বাংলার গ্রাম শ্যামলিমা-- শ্যামল বর্নের গন্ধ জোয়ার।
ঝিকরগাছা থেকে যাবো রাজগঞ্জ। কপোতাক্ষ নদের ব্রিজের গোড়া থেকে বাইকে ওঠলাম। বাইক যিনি চালাচ্ছেন তার নাম আমিন। তার ছেলের নাম আসলাম ( বাংলাদেশের মানুষের নামের অর্থ জানলে আরবি অভিধানের অর্ধেক মুখস্থ হয়ে যাবে)। আসলাম মাদ্রাসায় পড়ে। ঝিকরগাছা ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা। সাইনবোর্ডে লেখা। বাস্তবতা কেমন তা অনুমান করতে পারি না। কারন বাংলাদেশের অনেক কিছু অনুমান করা সম্ভব নয়। কারন বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশে এখন দৃশ্যমান মুখের চেয়ে অদৃশ্য মুখ অনেক বেশি শক্তিশালী।
ঝিকরগাছা থেকে রাজগঞ্জ প্রায় আঠার কিলোমিটার এলাকা। বাইকভাড়া দুইশত টাকা।
বাইক চালাতে আরম্ভ করেছে আমিন। আমিন সাহেব প্রথমেই আমাকে ভয় দেখালেন। ডাকাত আক্রমন করতে পারে এমন ভয়। আমিও ভয় পেতে আরম্ভ করলাম। বাইক চালক আমিন আমাকে দেখালেনও বটে কোন জায়গাটিতে ডাকাত একটি লাশ কেটে কুচিকুচি করে ফেলে রেখেছিল। আমার ভয় আরও বেড়ে গেল।
বাইক থামান।
কেন?
পেশাব করবো।
ভয় পেলে মানুষের পেশাব পায়। অনেকের ভয় পেলে বমি আসে। হয়তো ভয়ের সাথে জলের একটা সম্পর্ক আছে। ভয় পেলে জল খেলে ভয় অনেকটা কমে যায়। আমি জলমাইনাস করে আবার বাইকে বসলাম।
বাইক চলছে। আমি একদম ভুলে গেছি ডাকাতের কথা।
কেন কেন?
রাস্তার দুপাশে খেঁজুর গাছের রমনীয় কেশ। কেশের ফাঁকে ফাঁকে দেখা যায় দৃশ্যমধুর মাঠবন। জোছনাপূর্ন আকাশ বিন্দু বিন্দু তারা। নিরন্তর নিরবতায় বারবার ঢুকে যাচ্ছে আমাদের শরীর। বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত নদীর মতো হিংস্র নীরব সৌন্দর্যের পাশে মৃদু বাতাসের হাততালি। হঠাৎ হঠাৎ, অনেকক্ষন পরপর গ্রামীন জীবনের আড্ডাসুখ যেন উৎসব দিনে নীল শাড়ি আর জলপাই কালারের ব্লাউজ পরে বসে রয়েছে। অপার সৌন্দর্যের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে বুঝতে পারলাম জীবনের আনন্দ কোথায় কেমন করে লুকোচুরি খেলে। জীবনের আরেকটি উপলব্ধি খুঁজে পেলাম যা কোন মানুষ দিতে পারে না, রাজগঞ্জ যাওয়ার স্লিম ফিগারের রাস্তাটি দিতে পেরেছে।
রাজগঞ্জ যাওয়ার পর জানতে পারি আমাকে যেতে হবে বেলতলা মানে হাজরাকাঠি। আরও ষাট টাকা বিনিয়োগ করে গেলাম বেলতলা। বেলতলা গিয়ে ভালো লাগা আরও বেড়ে যায়। গ্রামের বাজার এতো চমৎকার পরিচ্ছন্ন হতে পারে প্রথম দেখলাম। যে বেল গাছটির কারনে জায়গাটির নাম বেলতলা সেই গাছটি বহু বছর আগে মারা গেছে। তবুও নামের মধ্যে গাছটি বেঁচে আছে। ময়নার দোকান থেকে মিষ্টি খেলাম। মিষ্টির মধ্যেও পরিচ্ছন্ন স্বাদ মিশে রয়েছে।
সাইকেল নিয়ে আসে বন্ধু কামরুল। আমার বন্ধুসঙ্গ খুবই আনন্দের। কারন তাদের কাছে আমার রুচিবোধের পরীক্ষা দিতে হয় না। সে সাইকেল চালাচ্ছে আর গান করছে। গ্রামের রাস্তা। আকাশে চাঁদ। দশ মিনিটের মধ্যে আমরা বাড়িতে পৌঁছে যাই। মাটির বাড়ি এবং তার লাইটিংয়ের বাহার মুগ্ধকর।
কামরুলদের বাড়ি দুটি থানা জুড়ে রয়েছে। বাড়ির কিছু অংশ রয়েছে মনিরামপুর থানায় কিছু অংশ রয়েছে কেশবপুর থানায়। ইন্টারেস্টিং। খুবই ইন্টারেস্টিং।
সাইকেলে বসেই আমরা কিছু পরিকল্পনা করি। পরিকল্পনা এক: পুকুরে গোসল করা। পরিকল্পনা দুই: আখ চুরি করা।
গোসল শেষ করে এবার আখ চুরি করার পালা। দুজনে লুঙ্গি পরে নিলাম। লুঙ্গি নেংটি দিলাম। নিতম্ব ঝুলছে। আমার এবং তার।
আগের দিনের দাদা চাচারা নিতম্ব বের করে কেন কাজ করতো তার রহস্য একটু উদ্ধার করার চেষ্টা করলাম। নিতম্ব বের করে লুংগি নেংটি দিলে একটা বন্যভাব আসে। আর বন্যরা কাজে সুন্দর।
একটা বটি দা নিলাম। দা টি দেখতে বকের গলা এবং মাথার মতো।
কোনো আওয়াজ করা যাবে না কামরুলের নির্দেশ। ডিরেক্টরের নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে। জীবনে আখ ক্ষেত দেখেছি মাত্র একবার। নরসিংদীতে। দ্বিতীয় বার আখ ক্ষেত দেখবো। তাও রাতে। তাও আবার এসিসটেন্ট চোর হিসাবে....
চারদিকে সুনসান রাতবাঁধানো নীরবতা। আমরা যাচ্ছি চুরি করার ঋতি ও ঋদ্ধির পথে। সামনেই বাঁশঝাড়। বাঁশঝাড়ের পাশেই দাদিমার কবর। কবরের পাশেই বটগাছ যেখানে পরী নেমে আসতো। সারা রাত পরী নাচতো। তারপর সুন্দর ছেলেদের তুলে নিয়ে যেতো পরীরাজ্যে। জোছনা রাতেই বিশেষ করে তারা নেমে আসতো। আজকে ত আকাশমাতানো জোছনা। আমাকে দেখামাত্র পরীদের ভালো লেগে যাবে। কারন আছে। কারন মানুষদের বলা যাবে না, পরীরা জানে। ভয় সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠতে লাগলো। প্রধান চোরের নির্দেশ কোনো প্রকার আওয়াজ করা যাবে না এবং দৌড়ঝাঁপ করা যাবে না। কিন্তু আমার প্রচন্ড চিৎকার দিয়ে পালাতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু কোনো উপায় নাই। আলী বাবা গুহায় ঢুকে গ্যাছে। কামরুল একটা আখ কাটলো দুইটা কাটল, এমন করে আটটা আখ কাটলো।
আর লাগবে না আর লাগবে না, এবার বের হয়ে আসো।
সে বের হয়ে এলো।
কবর, বাঁশঝাড়, বটগাছ পার হয়ে যেতে হবে। আমার রক্ত শীতল হয়ে আসতেছে। পরী যদি আমাকে তুলে নিয়ে যায় তাহলে কালকে কে বাওড় দেখতে যাবে? বাওড় দেখতে হাওড়ের মতো তবে আয়তনে ছোট। বাওড়ে মাছ চাষ ভালো হয়। সাদা মাছ। প্রায় সারা বছর পানি থাকে সেখানে।
কে মনিরামপুর থেকে কেশবপুর ভ্যানে করে যাবে?
ভ্যান যশোরের রাস্তায় পাবলিক বাস। প্রাইভেট বাস বাইক কিংবা সাইকেলকে বলা চলে। শ্যামল সৌন্দর্য পাঠ করতে করতে এখানকার প্রত্যেকটি মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গমন ভ্রমন রমন করে থাকে। এখানকার রাস্তার পাশে বসে আড্ডা দিতে দিতে এক রাত শেষ করা যায়। গ্রামের কাছে ভরা সৌন্দর্য প্রার্থনা প্রত্যেক মানুষের। গ্রাম সেই প্রার্থনা রক্ষাও করে থাকে। মনিরামপুর কেশবপুর গ্রামে না আসলে হয়তো গ্রামসৌন্দর্যসত্য কথাটি আমি বুঝতে পারতাম না। থ্যাঙ্কস মাই ডিয়ার বিউটি সিন ভিলেজ ....
মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেনো বলেন বঙ্গে বিবিধ রতন রয়েছে তা যশোরে না আসলে বুঝতে পারতাম না। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের গ্রাম অবশ্যই আলোচনার মতো সৌন্দর্যের দাবিদার। বাংলার গ্রাম শ্যামলিমা-- শ্যামল বর্নের গন্ধ জোয়ার।
ঝিকরগাছা থেকে যাবো রাজগঞ্জ। কপোতাক্ষ নদের ব্রিজের গোড়া থেকে বাইকে ওঠলাম। বাইক যিনি চালাচ্ছেন তার নাম আমিন। তার ছেলের নাম আসলাম ( বাংলাদেশের মানুষের নামের অর্থ জানলে আরবি অভিধানের অর্ধেক মুখস্থ হয়ে যাবে)। আসলাম মাদ্রাসায় পড়ে। ঝিকরগাছা ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা। সাইনবোর্ডে লেখা। বাস্তবতা কেমন তা অনুমান করতে পারি না। কারন বাংলাদেশের অনেক কিছু অনুমান করা সম্ভব নয়। কারন বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশে এখন দৃশ্যমান মুখের চেয়ে অদৃশ্য মুখ অনেক বেশি শক্তিশালী।
ঝিকরগাছা থেকে রাজগঞ্জ প্রায় আঠার কিলোমিটার এলাকা। বাইকভাড়া দুইশত টাকা।
বাইক চালাতে আরম্ভ করেছে আমিন। আমিন সাহেব প্রথমেই আমাকে ভয় দেখালেন। ডাকাত আক্রমন করতে পারে এমন ভয়। আমিও ভয় পেতে আরম্ভ করলাম। বাইক চালক আমিন আমাকে দেখালেনও বটে কোন জায়গাটিতে ডাকাত একটি লাশ কেটে কুচিকুচি করে ফেলে রেখেছিল। আমার ভয় আরও বেড়ে গেল।
বাইক থামান।
কেন?
পেশাব করবো।
ভয় পেলে মানুষের পেশাব পায়। অনেকের ভয় পেলে বমি আসে। হয়তো ভয়ের সাথে জলের একটা সম্পর্ক আছে। ভয় পেলে জল খেলে ভয় অনেকটা কমে যায়। আমি জলমাইনাস করে আবার বাইকে বসলাম।
বাইক চলছে। আমি একদম ভুলে গেছি ডাকাতের কথা।
কেন কেন?
রাস্তার দুপাশে খেঁজুর গাছের রমনীয় কেশ। কেশের ফাঁকে ফাঁকে দেখা যায় দৃশ্যমধুর মাঠবন। জোছনাপূর্ন আকাশ বিন্দু বিন্দু তারা। নিরন্তর নিরবতায় বারবার ঢুকে যাচ্ছে আমাদের শরীর। বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত নদীর মতো হিংস্র নীরব সৌন্দর্যের পাশে মৃদু বাতাসের হাততালি। হঠাৎ হঠাৎ, অনেকক্ষন পরপর গ্রামীন জীবনের আড্ডাসুখ যেন উৎসব দিনে নীল শাড়ি আর জলপাই কালারের ব্লাউজ পরে বসে রয়েছে। অপার সৌন্দর্যের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে বুঝতে পারলাম জীবনের আনন্দ কোথায় কেমন করে লুকোচুরি খেলে। জীবনের আরেকটি উপলব্ধি খুঁজে পেলাম যা কোন মানুষ দিতে পারে না, রাজগঞ্জ যাওয়ার স্লিম ফিগারের রাস্তাটি দিতে পেরেছে।
রাজগঞ্জ যাওয়ার পর জানতে পারি আমাকে যেতে হবে বেলতলা মানে হাজরাকাঠি। আরও ষাট টাকা বিনিয়োগ করে গেলাম বেলতলা। বেলতলা গিয়ে ভালো লাগা আরও বেড়ে যায়। গ্রামের বাজার এতো চমৎকার পরিচ্ছন্ন হতে পারে প্রথম দেখলাম। যে বেল গাছটির কারনে জায়গাটির নাম বেলতলা সেই গাছটি বহু বছর আগে মারা গেছে। তবুও নামের মধ্যে গাছটি বেঁচে আছে। ময়নার দোকান থেকে মিষ্টি খেলাম। মিষ্টির মধ্যেও পরিচ্ছন্ন স্বাদ মিশে রয়েছে।
সাইকেল নিয়ে আসে বন্ধু কামরুল। আমার বন্ধুসঙ্গ খুবই আনন্দের। কারন তাদের কাছে আমার রুচিবোধের পরীক্ষা দিতে হয় না। সে সাইকেল চালাচ্ছে আর গান করছে। গ্রামের রাস্তা। আকাশে চাঁদ। দশ মিনিটের মধ্যে আমরা বাড়িতে পৌঁছে যাই। মাটির বাড়ি এবং তার লাইটিংয়ের বাহার মুগ্ধকর।
কামরুলদের বাড়ি দুটি থানা জুড়ে রয়েছে। বাড়ির কিছু অংশ রয়েছে মনিরামপুর থানায় কিছু অংশ রয়েছে কেশবপুর থানায়। ইন্টারেস্টিং। খুবই ইন্টারেস্টিং।
সাইকেলে বসেই আমরা কিছু পরিকল্পনা করি। পরিকল্পনা এক: পুকুরে গোসল করা। পরিকল্পনা দুই: আখ চুরি করা।
গোসল শেষ করে এবার আখ চুরি করার পালা। দুজনে লুঙ্গি পরে নিলাম। লুঙ্গি নেংটি দিলাম। নিতম্ব ঝুলছে। আমার এবং তার।
আগের দিনের দাদা চাচারা নিতম্ব বের করে কেন কাজ করতো তার রহস্য একটু উদ্ধার করার চেষ্টা করলাম। নিতম্ব বের করে লুংগি নেংটি দিলে একটা বন্যভাব আসে। আর বন্যরা কাজে সুন্দর।
একটা বটি দা নিলাম। দা টি দেখতে বকের গলা এবং মাথার মতো।
কোনো আওয়াজ করা যাবে না কামরুলের নির্দেশ। ডিরেক্টরের নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে। জীবনে আখ ক্ষেত দেখেছি মাত্র একবার। নরসিংদীতে। দ্বিতীয় বার আখ ক্ষেত দেখবো। তাও রাতে। তাও আবার এসিসটেন্ট চোর হিসাবে....
চারদিকে সুনসান রাতবাঁধানো নীরবতা। আমরা যাচ্ছি চুরি করার ঋতি ও ঋদ্ধির পথে। সামনেই বাঁশঝাড়। বাঁশঝাড়ের পাশেই দাদিমার কবর। কবরের পাশেই বটগাছ যেখানে পরী নেমে আসতো। সারা রাত পরী নাচতো। তারপর সুন্দর ছেলেদের তুলে নিয়ে যেতো পরীরাজ্যে। জোছনা রাতেই বিশেষ করে তারা নেমে আসতো। আজকে ত আকাশমাতানো জোছনা। আমাকে দেখামাত্র পরীদের ভালো লেগে যাবে। কারন আছে। কারন মানুষদের বলা যাবে না, পরীরা জানে। ভয় সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠতে লাগলো। প্রধান চোরের নির্দেশ কোনো প্রকার আওয়াজ করা যাবে না এবং দৌড়ঝাঁপ করা যাবে না। কিন্তু আমার প্রচন্ড চিৎকার দিয়ে পালাতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু কোনো উপায় নাই। আলী বাবা গুহায় ঢুকে গ্যাছে। কামরুল একটা আখ কাটলো দুইটা কাটল, এমন করে আটটা আখ কাটলো।
আর লাগবে না আর লাগবে না, এবার বের হয়ে আসো।
সে বের হয়ে এলো।
কবর, বাঁশঝাড়, বটগাছ পার হয়ে যেতে হবে। আমার রক্ত শীতল হয়ে আসতেছে। পরী যদি আমাকে তুলে নিয়ে যায় তাহলে কালকে কে বাওড় দেখতে যাবে? বাওড় দেখতে হাওড়ের মতো তবে আয়তনে ছোট। বাওড়ে মাছ চাষ ভালো হয়। সাদা মাছ। প্রায় সারা বছর পানি থাকে সেখানে।
কে মনিরামপুর থেকে কেশবপুর ভ্যানে করে যাবে?
ভ্যান যশোরের রাস্তায় পাবলিক বাস। প্রাইভেট বাস বাইক কিংবা সাইকেলকে বলা চলে। শ্যামল সৌন্দর্য পাঠ করতে করতে এখানকার প্রত্যেকটি মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গমন ভ্রমন রমন করে থাকে। এখানকার রাস্তার পাশে বসে আড্ডা দিতে দিতে এক রাত শেষ করা যায়। গ্রামের কাছে ভরা সৌন্দর্য প্রার্থনা প্রত্যেক মানুষের। গ্রাম সেই প্রার্থনা রক্ষাও করে থাকে। মনিরামপুর কেশবপুর গ্রামে না আসলে হয়তো গ্রামসৌন্দর্যসত্য কথাটি আমি বুঝতে পারতাম না। থ্যাঙ্কস মাই ডিয়ার বিউটি সিন ভিলেজ ....
বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অ ......
কিছু অপ্রাপ্তিকে ভালো করে স্নান করিয়ে কবর দিতে হয় এবং মাঝে মাঝে সেই কবরের পাশে গিয়ে বলতে হয় আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কবুর
বিদায় হে বন্ধু
কথা বললে না বলে কষ্ট পেলাম না, কথা বলতে শিখোনি বলে কষ্ট পেলাম, চিরতম শত্রুর সাথেও কথা বলা শিখতে হয়, আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীর অভিনয়টা তুমি শিখে ফেলবে তখন আজকের অনেক বিষয় তোমাকে কষ্ট দিবে, কথা শুনে শুনে যারা শিখে তাদের চোখ থাকে কিন্তু হৃদয় থাকে না, কাউকে অনুধাবন করতে হলে হৃদয়ের প্রয়োজন হয়। হৃদয়বাদী তোমার পক্ষে কোনোদিন হয়তো হওয়া সম্ভব হবে না, তাই তোমার কষ্ট বরাবরই চোখের জল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে-- মনের গহীন বন স্পর্শ করবে না। মনের গহীনে কষ্ট আলো ফেলে যার তারা মানুষের কাজে লাগে, সময়ের কাজে লাগে।
বিদায় বন্ধু, আর কোনোদিন কথা হবে না, যেন দেখা না হয়
বিদায় বন্ধু, আর কোনোদিন কথা হবে না, যেন দেখা না হয়
আমি মানে তুমি
তোমার আমার মাঝে যে বেহেস্ত রেখেছো তাকে আমি ঘৃনা করি, আমার মাঝে ডুব দিয়ে দেখি আমি এক উন্নত তুমি
জীবন অনেক দুর্ঘটনার পর....
সুপ্রিয় কাঁপছে। তার বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল বেশি কাঁপছে। পা থেকে কোমড় পর্যন্ত কাঁপছে। শরীরও কাঁপছে তবে হালকা।
আমি ত অবাক। ক্লেস অব ক্লেন খেলায় যে সারাদিন মত্ত থাকে, যুদ্ধ নিয়ে যার কারবার মোবাইলে দিনরাত তার কপালে কেন চিকন ঘাম থাকবে....
স্পট থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে সে, আমাকে বলছে আমিও যেন তার কাছে চলে যাই, আমি ছেলেটার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি, ছেলেটির হাত দিয়ে গড়গড় করে রক্ত পড়ছে ....
বারাকপুরের চিড়িয়া মোড় থেকে আমরা অটোতে উঠি। যাবো ধুবি ঘাট। ধুবি ঘাট থেকে হুগলি নদী পার হয়ে শ্রীরামপুর। ধোপা থেকে ধুবি শব্দের জন্ম।
অটো ড্রাইভারকে দেখামাত্র আমার গ্রামের ছেলে মিজানের কথা মনে হয়ে গেল। মিজান সিএনজি চালক। মিজান সিএনজি চালালে মনে হতো বাতাস যেন ঝগড়া শুরু করল। একদিন মিজানকে বলেছিলাম "ভাইরে, মাথা ঠান্ডা করে গাড়ি চালাবে, গাড়ি চালানো সবটাই মনোযোগ আর আর মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যাপার, প্রতিযোগী মনোভাব বাদ দিবে"।
মিজান আমার কথা কানে নিয়েছিল কিনা জানি কিন্তু আমার কানে আসে তার মৃত্যুর সংবাদ! মিজান সিএনজি দুর্ঘটনায় মারা যায়!
তাই মিজানের মতো দেখতে অটো চালককে বললাম "আস্তে চালাবে, কোনো প্রকার তাড়াহুড়ো নেই, আমি কিন্তু তোমার পাশে বসা"।
প্রথম প্রথম আস্তেই চালালো। তারপর আমার মনোযোগ চলে গেল দৃশ্যের দিকে। অটো ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢুকে গেল। হঠাৎ একটি ছেলের উপর তুলে দিল! যেন কিছু দেখলাম যেন কিছু দেখলাম না! ছেলেটি ছিটকে গিয়ে দূরে পড়ে গেল!
আমার পাশে বসা সুপ্রিয়। আমাদের পেছনে একজন মহিলা এবং তার মেয়ে এবং একজন পুরুষ। মহিলা ও তার মেয়ে কপালে ঠেস খেল, পুরুষটা হাতে হালকা আঘাত পেল। আসলে কী জানেন ত হঠাৎ আঘাতে ব্যথার পরিমান টের পাওয়া যায় না ....
সুপ্রিয় ( ক্লেস অব ক্লেনের তার গ্রুপের গুরুত্বপূর্ন একজন) শুধু কাঁপতেছে এবং অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলেটির বন্ধুরা আসলো। অবাক হলাম আবার। কারন অটো চালকের উপর তারা হাত তুলেনি। দোষ ত অটো চালকের আছেই। কারন গাড়ি ড্রাইভ মানে গতিতে মনোযোগ। আমি নিশ্চিত তার মনোযোগ গতিতে ছিল না। কোনো প্রকার জরিমানাও করা হয়নি। একজন আর্মি আসলেন। তিনিও চুপচাপ দাঁড়ানো। সুপ্রিয় ত আর যাইহোক কাঁপছে আর্মি ত কাঁপছেও না।
অটো চালক চলে গেল। তার ভাড়া দেয়া হলো না। ঘাটে এসে আমরা ডিউ খেলাম। ধীরে ধীরে সুপ্রিয় স্বাভাবিক হয়ে এলো কিন্তু তাকে আর বারাকপুরে রাখা গেল না, সে বাড়ি চলে যাবেই যাবে, ক্লেস অব ক্লেনে বাংলাদেশী টাইগারদের বিপরীতে এ্যাটাক দিতে হবে।
আকাশ ডাকছে। জল পড়বে হয়তো। মেঘলা দিনে আমার একলা থাকতে খুব ভালো লাগে। যদিও স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন " They alone live who live for others ...."
আমি ত অবাক। ক্লেস অব ক্লেন খেলায় যে সারাদিন মত্ত থাকে, যুদ্ধ নিয়ে যার কারবার মোবাইলে দিনরাত তার কপালে কেন চিকন ঘাম থাকবে....
স্পট থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে সে, আমাকে বলছে আমিও যেন তার কাছে চলে যাই, আমি ছেলেটার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি, ছেলেটির হাত দিয়ে গড়গড় করে রক্ত পড়ছে ....
বারাকপুরের চিড়িয়া মোড় থেকে আমরা অটোতে উঠি। যাবো ধুবি ঘাট। ধুবি ঘাট থেকে হুগলি নদী পার হয়ে শ্রীরামপুর। ধোপা থেকে ধুবি শব্দের জন্ম।
অটো ড্রাইভারকে দেখামাত্র আমার গ্রামের ছেলে মিজানের কথা মনে হয়ে গেল। মিজান সিএনজি চালক। মিজান সিএনজি চালালে মনে হতো বাতাস যেন ঝগড়া শুরু করল। একদিন মিজানকে বলেছিলাম "ভাইরে, মাথা ঠান্ডা করে গাড়ি চালাবে, গাড়ি চালানো সবটাই মনোযোগ আর আর মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যাপার, প্রতিযোগী মনোভাব বাদ দিবে"।
মিজান আমার কথা কানে নিয়েছিল কিনা জানি কিন্তু আমার কানে আসে তার মৃত্যুর সংবাদ! মিজান সিএনজি দুর্ঘটনায় মারা যায়!
তাই মিজানের মতো দেখতে অটো চালককে বললাম "আস্তে চালাবে, কোনো প্রকার তাড়াহুড়ো নেই, আমি কিন্তু তোমার পাশে বসা"।
প্রথম প্রথম আস্তেই চালালো। তারপর আমার মনোযোগ চলে গেল দৃশ্যের দিকে। অটো ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢুকে গেল। হঠাৎ একটি ছেলের উপর তুলে দিল! যেন কিছু দেখলাম যেন কিছু দেখলাম না! ছেলেটি ছিটকে গিয়ে দূরে পড়ে গেল!
আমার পাশে বসা সুপ্রিয়। আমাদের পেছনে একজন মহিলা এবং তার মেয়ে এবং একজন পুরুষ। মহিলা ও তার মেয়ে কপালে ঠেস খেল, পুরুষটা হাতে হালকা আঘাত পেল। আসলে কী জানেন ত হঠাৎ আঘাতে ব্যথার পরিমান টের পাওয়া যায় না ....
সুপ্রিয় ( ক্লেস অব ক্লেনের তার গ্রুপের গুরুত্বপূর্ন একজন) শুধু কাঁপতেছে এবং অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলেটির বন্ধুরা আসলো। অবাক হলাম আবার। কারন অটো চালকের উপর তারা হাত তুলেনি। দোষ ত অটো চালকের আছেই। কারন গাড়ি ড্রাইভ মানে গতিতে মনোযোগ। আমি নিশ্চিত তার মনোযোগ গতিতে ছিল না। কোনো প্রকার জরিমানাও করা হয়নি। একজন আর্মি আসলেন। তিনিও চুপচাপ দাঁড়ানো। সুপ্রিয় ত আর যাইহোক কাঁপছে আর্মি ত কাঁপছেও না।
অটো চালক চলে গেল। তার ভাড়া দেয়া হলো না। ঘাটে এসে আমরা ডিউ খেলাম। ধীরে ধীরে সুপ্রিয় স্বাভাবিক হয়ে এলো কিন্তু তাকে আর বারাকপুরে রাখা গেল না, সে বাড়ি চলে যাবেই যাবে, ক্লেস অব ক্লেনে বাংলাদেশী টাইগারদের বিপরীতে এ্যাটাক দিতে হবে।
আকাশ ডাকছে। জল পড়বে হয়তো। মেঘলা দিনে আমার একলা থাকতে খুব ভালো লাগে। যদিও স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন " They alone live who live for others ...."
বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
কোথায় আছে আমার পাগল জানি না
শান্তিনিকেতন আসলে একটা পাগলকে খুঁজে বেড়াই রোজ যে গর্ত খুঁড়ে নিজের জন্য, অনেক স্বপ্নের ভীড়ে যার হলুদিয়া মন।
শান্তিনিকেতনে আসলে একটা পাগলকে খুঁজতে থাকি রোজ যে গল্প করতে করতে খাবারের কথা ভুলে যায়, যে গান গাইতে গাইতে ভুলে যায় বানানো সমাজের আদব কায়দা, যে রাতের পর রাত অন্ধকারের ভেতর হেঁটে বেড়ায়।
একটা পাগলকে খুঁজি যার গলায় মানুষের মালা, যার মুখে প্রেমের কালাম, যার চোখ থেকে রোদ কান্না একসঙ্গে নেমে আসে, যে হাসতে জানে, হাসাতে জানে, যার কাছে জীবন মানে মানুষ।
বীজগনিত, পাটিগনিত, ত্রিকোনমিতির হিসাব জানবে না সে, বোকা ট্রেনের মতো সে কেবল জীবন নিয়ে চলবে চলবে, ভেদিয়া গ্রামের মতো চুপচাপ সবুজ বিলাবে, অজয়ের ব্রিজে বিকাল বেলা বাতাস খেতে আসবে। সূর্য নিভে গেলে আদিম ঘরে রাখবে সে কিছু স্বপ্নের নিশান, নিশান বাতাসে উড়বে ঘুরবে বলবে কল্যানের জয়গান।
একটা পাগলকে খুঁজে বেড়াই যে শিশুর চোখে দেখে নিরাপদ ইতিহাস, শিশুর চোখে বুনে দেয় আগামীর জল্পনা কল্পনা।
শান্তিনিকেতন আসলে একটা পাগলকে খুঁজে মরি যে বলবে "দেবার ব্যথা বাজে আমার বুকের তলে, নেবার মানুষ জানি নে তো কোথায় চলে-- "।
পাগলের দেখা পাই নাকো পাই নাকো, তবুও পাগলের লাগি আসি বারবার, একবার তার দেখা পেয়ে যাবো, পেয়ে যাব ঠিকই একবার তার দেখা যার মনভর্তি অফিস নেই এমফিল পিএইচডি নেই, নেই ত বিজ্ঞাপনে উঠবার ফেলুদা তাড়া।
শান্তিনিকেতনে আসলে একটা পাগলকে খুঁজতে থাকি রোজ যে গল্প করতে করতে খাবারের কথা ভুলে যায়, যে গান গাইতে গাইতে ভুলে যায় বানানো সমাজের আদব কায়দা, যে রাতের পর রাত অন্ধকারের ভেতর হেঁটে বেড়ায়।
একটা পাগলকে খুঁজি যার গলায় মানুষের মালা, যার মুখে প্রেমের কালাম, যার চোখ থেকে রোদ কান্না একসঙ্গে নেমে আসে, যে হাসতে জানে, হাসাতে জানে, যার কাছে জীবন মানে মানুষ।
বীজগনিত, পাটিগনিত, ত্রিকোনমিতির হিসাব জানবে না সে, বোকা ট্রেনের মতো সে কেবল জীবন নিয়ে চলবে চলবে, ভেদিয়া গ্রামের মতো চুপচাপ সবুজ বিলাবে, অজয়ের ব্রিজে বিকাল বেলা বাতাস খেতে আসবে। সূর্য নিভে গেলে আদিম ঘরে রাখবে সে কিছু স্বপ্নের নিশান, নিশান বাতাসে উড়বে ঘুরবে বলবে কল্যানের জয়গান।
একটা পাগলকে খুঁজে বেড়াই যে শিশুর চোখে দেখে নিরাপদ ইতিহাস, শিশুর চোখে বুনে দেয় আগামীর জল্পনা কল্পনা।
শান্তিনিকেতন আসলে একটা পাগলকে খুঁজে মরি যে বলবে "দেবার ব্যথা বাজে আমার বুকের তলে, নেবার মানুষ জানি নে তো কোথায় চলে-- "।
পাগলের দেখা পাই নাকো পাই নাকো, তবুও পাগলের লাগি আসি বারবার, একবার তার দেখা পেয়ে যাবো, পেয়ে যাব ঠিকই একবার তার দেখা যার মনভর্তি অফিস নেই এমফিল পিএইচডি নেই, নেই ত বিজ্ঞাপনে উঠবার ফেলুদা তাড়া।
মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
চাঁদ দেখবো বলে
ভাষা কোনো এঁদো পাতকুয়ো নয়, বরং প্রবহমান স্রোত যা চলতে চলতে খেয়ালমত দিক পরিবর্তন করে, তাকে সময় দিয়ে বেঁধে রাখা মুশকিল। বিদ্যাসাগর যে বাংলা লিখে গেছিলেন তাঁর গদ্যে, যা প্রধানত সংস্কৃত-নির্ভর, আজকালকার ছেলে-ছোকরারা, যারা বাংলা সাহিত্য সম্বন্ধে তত উৎসাহী নয় অথচ বাংলাভাষীই, তারা তার কতখানি বুঝবে? শ্রীকৃষ্ণকীর্তন যখন লেখা হয়েছিল, তখনও তো এ দেশে পর্তুগীজরাই আসেনি, আলু-টমেটো-আনারসের স্বাদ বাঙালি তখনো পায়নি, চা তো দূরস্থান। আসেনি ফরাসী, ওলন্দাজ, দিনেমার, ইংরেজরাও তাদের নিজেদের ভাষার শব্দের ঝুলি নিয়ে। বাংলা শব্দভান্ডার তখন নিজস্ব শব্দ ছাড়া সংস্কৃত ও প্রাকৃত শব্দ দিয়েই ভর্তি। মুসলমান অনুপ্রবেশের সাথে সাথে আরবি-ফারসি মিশেছে বাংলা শব্দভান্ডারে। তার পরে যত ইওরোপিয় ‘বিদেশি’ শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, ততই বাংলা পুষ্ট হয়েছে। বাঙালি যতই পরিচিত হয়েছে সমগ্র বিশ্বের সাথে, ততই তাদের কথা বলার, আচার-ব্যবহারের, পোশাক-পরিচ্ছদের পরিবর্তন হয়েছে, বদলে গেছে ভাষাও।
ভাষার ভৌগোলিক সীমারেখা টানাও অসম্ভব। মেদিনীপুর জেলার দাঁতন যদি হয় পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা সীমার পশ্চিমবঙ্গের দিকে শেষ রেলস্টেশন আর জলেশ্বর উড়িষ্যার দিকে প্রথম, তার মানে কি দাঁতনের লোকের ভাষা বাংলা আর জলেশ্বরের ওড়িয়া, আর তারা আপেল আর কমলার মত পুরোপুরি আলাদা? নো ওয়ে! দাঁতনের মানুষ বরং চট্টগ্রামের বা শ্রীহট্টের বাংলাকে হিব্রু বলে ভুল করলে তাদের বিশেষ দোষ দেওয়া যাবে না।
যদি চট্টগ্রামের ভাষা আর পুরুলিয়ার ভাষা দুটোকেই আমরা বাংলা বলে মানি ও স্বীকার করি, তবে চর্যাপদের বা তারও আগে বঙ্গভূমির লোকেরা যে ভাষায় কথা বলত, তাকে বাংলা বলে মানতে কী অসুবিধা?
লিপিও তাই। মনে রাখতে হবে, লিপি শিল্পীর সৃষ্টি। যতক্ষণ না মুদ্রণযন্ত্রে তা ছাপা হচ্ছে, কোনো দুজন ব্যক্তি তা হুবহু একই রকমভাবে লিখতে – অর্থাৎ আঁকতে – পারেন না। তারা দেখতে একই রকম হয় হয়ত, কিন্তু একই হয় না। আমরা এখন যে লিপি লিখতে বা পড়তে অভ্যস্ত, তাও তো হুবহু একই নয়, যদি তা ছাপা হয় বিভিন্ন ফন্টে। সিয়াম রূপালি আর বৃন্দা বা একুশে সিরিজের ফন্টগুলোর মধ্যে পার্থক্য নেই? তাও তো এগুলোর একটা বর্ণ হুবহু একই ছাপা হয়, আমরা যখন লিখি, আমাদের প্রতিটি বর্ণই একটু আধটু আলাদা হয়। সময়ের সঙ্গে এর পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। বাংলা ছাপার ইতিহাস তো মাত্রই দুশো বছরের। মুদ্রাকর চার্লন্স উইলকিন্স বঙ্গসন্তান পঞ্চানন কর্মকারকে দিয়ে কাঠের ও ধাতুর ‘টাইপ’ তৈরি করলেন, প্রতিটি বর্ণের জন্যে চার আনা মজুরি দিয়ে। উইলিয়ম কেরি শ্রীরামপুরে প্রেস বসালেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একেবারে গোড়ায়, প্রধানত যাবতীয় ভারতীয় ভাষায় বাইবেল ছাপানোর জন্যে। সেখানে বাইবেলের সঙ্গে সঙ্গে ছাপানো হ’ল রামরাম বসুর লিপিমালা, প্রতাপাদিত্য চরিত, দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্রের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জীবনী ক্ষিতীশবংশাবলিচরিতম্। সেই সব করার সময় যে লিপি ব্যবহার করা হ’ল, ধরে নেওয়া অন্যায্য নয় যে সেগুলো পঞ্চানন কর্মকারের নিজের হাতের লেখার মতই বা তিনি যেমন বাংলা লিপি দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন, সেই লিপিই। তখন যুক্তাক্ষর লেখার সমস্যা ছিল, র-ফলা, রেফ, ঋ-কার ইত্যাদিরও। যে রকম লেখা হয়েছিল, এখন তার থেকে অনেক আলাদাভাবে লেখা হয়। সে যুগের আগে যারা ভূর্জপত্র-টত্রে লিখতেন, তারা কীভাবে লিখতেন, তারাই জানেন। এখনও অনেকে রঞ্জন-এর ঞ্জ আর বিজ্ঞান-এর জ্ঞ-এর পার্থক্য করতে পারে না নিজে লেখার সময়, স-এর নিচে ত বসালে (অর্থাৎ স্ত লেখার সময়) যে স-এর চেহারা পুরো পালটে যায়, তা কজন নজর করে খেয়াল করে?
উত্তর ভারতের সমস্ত ভাষাই লেখা হয় নাগরী হরফে, যা নাকি ব্রাহ্মী থেকে খরোষ্ঠী হয়ে উদ্ভূত। দেবনাগরী, বাংলা, হিন্দী, পঞ্জাবী, মরাঠী, অসমিয়া – সবই তার বিভিন্ন রূপ। সুদূর তিব্বতের কিছু লিপির সঙ্গে আমাদের বাংলার লিপির মিল আছে।
সারা পৃথিবীতে এখন বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা পঁচিশ কোটির বেশি। অথচ এই সেদিন বঙ্কিম লিখে গেছিলেন – সপ্তকোটিকণ্ঠকলকলনিনাদকরালে; রবিও লিখেছিলেন – সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী। মানে তখন বঙ্গভূমে সাত কোটির কাছাকাছি মানুষ। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়েছিল ১৭৭০ সালে, তাতে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গেছিল, তিন কোটি থেকে লোক হয়ে গেছিল দুই কোটি। এই সংখ্যাগুলো যদি পেছন দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, দেখা যাবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের সময় এই নদীজপমালাধৃতপ্রান্তর-অধ্যুষিত বিস্তৃত বঙ্গভূমে মানুষ ছিল মাত্রই কয়েক লক্ষ। তাদের মধ্যে খুব যোগাযোগ থাকা খুব স্বাভাবিক নয়, কাজেই ভাষার ও লিপির সাম্য না থাকাই স্বাভাবিক।
বাংলা ভাষা ও তার লিপির ইতিহাস নিয়ে বক্তৃতা করতে গেলে এই সামান্য কথাগুলো মাথায় রাখতেই হবে।
*
*
*
(লেখক-- অমিতাভ প্রামানিক!)
ভাষার ভৌগোলিক সীমারেখা টানাও অসম্ভব। মেদিনীপুর জেলার দাঁতন যদি হয় পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা সীমার পশ্চিমবঙ্গের দিকে শেষ রেলস্টেশন আর জলেশ্বর উড়িষ্যার দিকে প্রথম, তার মানে কি দাঁতনের লোকের ভাষা বাংলা আর জলেশ্বরের ওড়িয়া, আর তারা আপেল আর কমলার মত পুরোপুরি আলাদা? নো ওয়ে! দাঁতনের মানুষ বরং চট্টগ্রামের বা শ্রীহট্টের বাংলাকে হিব্রু বলে ভুল করলে তাদের বিশেষ দোষ দেওয়া যাবে না।
যদি চট্টগ্রামের ভাষা আর পুরুলিয়ার ভাষা দুটোকেই আমরা বাংলা বলে মানি ও স্বীকার করি, তবে চর্যাপদের বা তারও আগে বঙ্গভূমির লোকেরা যে ভাষায় কথা বলত, তাকে বাংলা বলে মানতে কী অসুবিধা?
লিপিও তাই। মনে রাখতে হবে, লিপি শিল্পীর সৃষ্টি। যতক্ষণ না মুদ্রণযন্ত্রে তা ছাপা হচ্ছে, কোনো দুজন ব্যক্তি তা হুবহু একই রকমভাবে লিখতে – অর্থাৎ আঁকতে – পারেন না। তারা দেখতে একই রকম হয় হয়ত, কিন্তু একই হয় না। আমরা এখন যে লিপি লিখতে বা পড়তে অভ্যস্ত, তাও তো হুবহু একই নয়, যদি তা ছাপা হয় বিভিন্ন ফন্টে। সিয়াম রূপালি আর বৃন্দা বা একুশে সিরিজের ফন্টগুলোর মধ্যে পার্থক্য নেই? তাও তো এগুলোর একটা বর্ণ হুবহু একই ছাপা হয়, আমরা যখন লিখি, আমাদের প্রতিটি বর্ণই একটু আধটু আলাদা হয়। সময়ের সঙ্গে এর পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। বাংলা ছাপার ইতিহাস তো মাত্রই দুশো বছরের। মুদ্রাকর চার্লন্স উইলকিন্স বঙ্গসন্তান পঞ্চানন কর্মকারকে দিয়ে কাঠের ও ধাতুর ‘টাইপ’ তৈরি করলেন, প্রতিটি বর্ণের জন্যে চার আনা মজুরি দিয়ে। উইলিয়ম কেরি শ্রীরামপুরে প্রেস বসালেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একেবারে গোড়ায়, প্রধানত যাবতীয় ভারতীয় ভাষায় বাইবেল ছাপানোর জন্যে। সেখানে বাইবেলের সঙ্গে সঙ্গে ছাপানো হ’ল রামরাম বসুর লিপিমালা, প্রতাপাদিত্য চরিত, দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্রের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জীবনী ক্ষিতীশবংশাবলিচরিতম্। সেই সব করার সময় যে লিপি ব্যবহার করা হ’ল, ধরে নেওয়া অন্যায্য নয় যে সেগুলো পঞ্চানন কর্মকারের নিজের হাতের লেখার মতই বা তিনি যেমন বাংলা লিপি দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন, সেই লিপিই। তখন যুক্তাক্ষর লেখার সমস্যা ছিল, র-ফলা, রেফ, ঋ-কার ইত্যাদিরও। যে রকম লেখা হয়েছিল, এখন তার থেকে অনেক আলাদাভাবে লেখা হয়। সে যুগের আগে যারা ভূর্জপত্র-টত্রে লিখতেন, তারা কীভাবে লিখতেন, তারাই জানেন। এখনও অনেকে রঞ্জন-এর ঞ্জ আর বিজ্ঞান-এর জ্ঞ-এর পার্থক্য করতে পারে না নিজে লেখার সময়, স-এর নিচে ত বসালে (অর্থাৎ স্ত লেখার সময়) যে স-এর চেহারা পুরো পালটে যায়, তা কজন নজর করে খেয়াল করে?
উত্তর ভারতের সমস্ত ভাষাই লেখা হয় নাগরী হরফে, যা নাকি ব্রাহ্মী থেকে খরোষ্ঠী হয়ে উদ্ভূত। দেবনাগরী, বাংলা, হিন্দী, পঞ্জাবী, মরাঠী, অসমিয়া – সবই তার বিভিন্ন রূপ। সুদূর তিব্বতের কিছু লিপির সঙ্গে আমাদের বাংলার লিপির মিল আছে।
সারা পৃথিবীতে এখন বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা পঁচিশ কোটির বেশি। অথচ এই সেদিন বঙ্কিম লিখে গেছিলেন – সপ্তকোটিকণ্ঠকলকলনিনাদকরালে; রবিও লিখেছিলেন – সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী। মানে তখন বঙ্গভূমে সাত কোটির কাছাকাছি মানুষ। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়েছিল ১৭৭০ সালে, তাতে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গেছিল, তিন কোটি থেকে লোক হয়ে গেছিল দুই কোটি। এই সংখ্যাগুলো যদি পেছন দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, দেখা যাবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের সময় এই নদীজপমালাধৃতপ্রান্তর-অধ্যুষিত বিস্তৃত বঙ্গভূমে মানুষ ছিল মাত্রই কয়েক লক্ষ। তাদের মধ্যে খুব যোগাযোগ থাকা খুব স্বাভাবিক নয়, কাজেই ভাষার ও লিপির সাম্য না থাকাই স্বাভাবিক।
বাংলা ভাষা ও তার লিপির ইতিহাস নিয়ে বক্তৃতা করতে গেলে এই সামান্য কথাগুলো মাথায় রাখতেই হবে।
*
*
*
(লেখক-- অমিতাভ প্রামানিক!)
তোমারে চিনি
যে নদী থেকে আজকের আমি
সেই নদীতট আমার ফসলের ভূমি
সেখানে ডুব দিয়ে আমি আনন্দ খুঁজি
সেই নদীর জল খেয়ে বেঁচে থাকি
একই নদী আবার আমার যৌবনের তুমি
আমি আল্লা খোদা চিনি না
ওগো নারী তোমায় চিনি
সেই নদীতট আমার ফসলের ভূমি
সেখানে ডুব দিয়ে আমি আনন্দ খুঁজি
সেই নদীর জল খেয়ে বেঁচে থাকি
একই নদী আবার আমার যৌবনের তুমি
আমি আল্লা খোদা চিনি না
ওগো নারী তোমায় চিনি
সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
সন্ধ্যা মাঝি সাঁওতাল বালিকা
মানুষের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার মানুষ। পৃথিবীর সব সৌন্দর্য প্রায় এক। কিন্তু মানুষের সৌন্দর্য বৈচিত্র্যমিত্র।
মানুষের হিংসা ভালো লাগে, মানুষের রাগ ভালো লাগে, মানুষের অভিমান ভালো লাগে, মানুষের নির্লিপ্ততা ভালো লাগে। আকাশ যেকারনে আকাশ সেই কারনে আকাশকে ভালো লাগে। মানুষ যে কারনে মানুষ সেই কারন ছাড়াও মানুষকে ভালো লাগে।
সৌর জগৎ কসমিক সময়ের কাছে একটি বালির চেয়েও ছোট। আর পৃথিবীর জায়গা তো সেখানে নেই বললেই চলে। মানুষ ত আরও নেই। তবুও মানুষ একটা পারমানবিক বোমার নাম, মানুষ একটা ঐতিহাসিক প্রেমের নাম।
কোপাই নদীর সাথে কুমিল্লার গোমতী নদীর বেশ মিল। গোমতী নদী কিন্তু আমাদের ছোট নদী না যে বাঁকে বাঁকে চলে।
সন্ধ্যা মাঝি সাঁওতাল বালিকা। দশম শ্রেনির ছাত্রী। তাকে দেখে আমার মাথিনের কথা মনে পড়ে। ধীরাজ বেটা কৃষ্ণের যোগ্য বংশধর হয়তো। এখানে মাথিনকূপ নেই, আছে কংকালীতলা। সন্ধ্যা মাঝি কংকালীতলা মাঠের রাখাল। মা তার আজ অসুস্থ, তাই সে স্কুলে যায়নি। চমৎকার সরল মন আর লাজুক হাসি দিয়ে সন্ধ্যা মাঝিকে ভগবান সজ্জিত করেছেন-- কোপাই নদীর মতো বাঁকে বাঁকে চলে।
কংকালীতলা থেকে লাভপুর। ফুল্লুধারার মতো সবুজ ধানক্ষেত। ধানক্ষেতে বাতাস নাচতে থাকে নাবোঢ়া কন্যার হাসির লাহান। রোদ এসে বাতাসের লগে কামলার ভূমিকায় কিছু কথা বলে যায়। ইনিয়ে বিনিয়ে বলা কথা মানুষের কানে যায় না। মানুষ মিষ্টির মতো কড়া মিষ্টি চায়, মেশানো মিষ্টি আর ভালো লাগে না তাদের। বাবু বাগদী তবুও বাউল গান করে, মানুষের কাছে মানুষ হয়ে পৌঁছে যেতে চায়। কিন্তু মানুষ ত মানুষের ভেতর শুধু মানুষ চায় না, পশুও চায়।
মানুষের হিংসা ভালো লাগে, মানুষের রাগ ভালো লাগে, মানুষের অভিমান ভালো লাগে, মানুষের নির্লিপ্ততা ভালো লাগে। আকাশ যেকারনে আকাশ সেই কারনে আকাশকে ভালো লাগে। মানুষ যে কারনে মানুষ সেই কারন ছাড়াও মানুষকে ভালো লাগে।
সৌর জগৎ কসমিক সময়ের কাছে একটি বালির চেয়েও ছোট। আর পৃথিবীর জায়গা তো সেখানে নেই বললেই চলে। মানুষ ত আরও নেই। তবুও মানুষ একটা পারমানবিক বোমার নাম, মানুষ একটা ঐতিহাসিক প্রেমের নাম।
কোপাই নদীর সাথে কুমিল্লার গোমতী নদীর বেশ মিল। গোমতী নদী কিন্তু আমাদের ছোট নদী না যে বাঁকে বাঁকে চলে।
সন্ধ্যা মাঝি সাঁওতাল বালিকা। দশম শ্রেনির ছাত্রী। তাকে দেখে আমার মাথিনের কথা মনে পড়ে। ধীরাজ বেটা কৃষ্ণের যোগ্য বংশধর হয়তো। এখানে মাথিনকূপ নেই, আছে কংকালীতলা। সন্ধ্যা মাঝি কংকালীতলা মাঠের রাখাল। মা তার আজ অসুস্থ, তাই সে স্কুলে যায়নি। চমৎকার সরল মন আর লাজুক হাসি দিয়ে সন্ধ্যা মাঝিকে ভগবান সজ্জিত করেছেন-- কোপাই নদীর মতো বাঁকে বাঁকে চলে।
কংকালীতলা থেকে লাভপুর। ফুল্লুধারার মতো সবুজ ধানক্ষেত। ধানক্ষেতে বাতাস নাচতে থাকে নাবোঢ়া কন্যার হাসির লাহান। রোদ এসে বাতাসের লগে কামলার ভূমিকায় কিছু কথা বলে যায়। ইনিয়ে বিনিয়ে বলা কথা মানুষের কানে যায় না। মানুষ মিষ্টির মতো কড়া মিষ্টি চায়, মেশানো মিষ্টি আর ভালো লাগে না তাদের। বাবু বাগদী তবুও বাউল গান করে, মানুষের কাছে মানুষ হয়ে পৌঁছে যেতে চায়। কিন্তু মানুষ ত মানুষের ভেতর শুধু মানুষ চায় না, পশুও চায়।
রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
মানুষগাছ
বোকামন আমার ভুলে গেলে চলবে না মানুষগাছ অক্সিজেন দেয় না, কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) ছাড়ে
শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
জীবিত স্তন
দুটি মৃত সিগারেট
একটি সামনে অন্যটি একটু পেছনে
দুটি মৃত দিয়াশলাই পাশাপাশি
একটি ডাবগাছ জীবিত স্তন নিয়ে ফনা তুলে আছে অন্ধকারে
একটি সামনে অন্যটি একটু পেছনে
দুটি মৃত দিয়াশলাই পাশাপাশি
একটি ডাবগাছ জীবিত স্তন নিয়ে ফনা তুলে আছে অন্ধকারে
যখন বিপ্লব নামে
যখন বৃষ্টির মতো বিপ্লব নামে তখন আমি চুপ থাকি। বিপ্লবের সাথে আমার দেখা হয়ে যায় রাস্তার মোড়ে চায়ের কাপে রেস্তোরাঁয়। বিপ্লব এক সামরিক ট্রেনিং চুপ করে বসে থাকার নাম, কেমন করে মানুষ হাঁটতে হাঁটতে চোখ ফিরিয়ে তাকায় এবং অন্ধকারে মিলিয়ে যায় তা নোটবুকে লিখে রাখার নাম বিপ্লব।
মানুষ মানুষকে ভুলে গেলে শান্তি আসবে, মানুষ মানুষকে পরাজিত করলে শান্তি আসবে, মানুষ মানুষকে হত্যা করলে শান্তি আসবে। অনেক ক্লান্তি এসে জমা হয় শার্টের বোতামে, বোতামফুল তখন সাইকেল চালাতে পারে না, হাঁটতে থাকে। হাঁটা একমাত্র অসুখ যার কোনো বৃষ্টিরোগ নেই।
অনেক নদী বুকে নিয়েও আমি রোদমানুষ হতে পারি প্রিয়তমা, ছোট হতে হতে তোমার পায়ের আঙুলের অনেক নিচ দিয়ে চলে যাবো তবুও বলব না ভালোবাসি। ভালোবাসা কোনো দেশ নয় যার স্বাধীনতার দরকার হয়, ভালোবাসা এক আকাশের নাম, আকাশের উপরে আকাশ ....
মানুষ মানুষকে ভুলে গেলে শান্তি আসবে, মানুষ মানুষকে পরাজিত করলে শান্তি আসবে, মানুষ মানুষকে হত্যা করলে শান্তি আসবে। অনেক ক্লান্তি এসে জমা হয় শার্টের বোতামে, বোতামফুল তখন সাইকেল চালাতে পারে না, হাঁটতে থাকে। হাঁটা একমাত্র অসুখ যার কোনো বৃষ্টিরোগ নেই।
অনেক নদী বুকে নিয়েও আমি রোদমানুষ হতে পারি প্রিয়তমা, ছোট হতে হতে তোমার পায়ের আঙুলের অনেক নিচ দিয়ে চলে যাবো তবুও বলব না ভালোবাসি। ভালোবাসা কোনো দেশ নয় যার স্বাধীনতার দরকার হয়, ভালোবাসা এক আকাশের নাম, আকাশের উপরে আকাশ ....
শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
সূর্যের তেজ
একমাত্র তোমার কথা উঠলে আমি এখনো শিশুর মতো কাচুমাচু করি। বিশ্বাস করো, অনেক শিশুকে আমি যুবক বানাই, তারপর তাকে পৃথিবীর পথে ছেড়ে দিয়ে বলি ডানহাতে যেন থাকে মানুষের মুক্তি আর বাম হাতে সূর্যের তেজ।
দেখারা মারা যে গেল আর এলো না
তুমি ত তোমার মতো রয়ে গেলে
আমিও আমার মতো
অচেনা গলির সহজ কথাটি
জানল না কেউ জানল না কেউ
আমি ত আমার মতো রয়ে গেলাম
তুমিও তোমার মতো
চেনা পথের যুগল হাতটি
ধরল না কেউ ধরল না কেউ
আমিও আমার মতো
অচেনা গলির সহজ কথাটি
জানল না কেউ জানল না কেউ
আমি ত আমার মতো রয়ে গেলাম
তুমিও তোমার মতো
চেনা পথের যুগল হাতটি
ধরল না কেউ ধরল না কেউ
বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৭
বিশেষ ধরনের ইচ্ছা
আবেগ ছাড়া পৃথিবীতে কিচ্ছু হয় না। প্রত্যেক সৃষ্টির পেছনে কাজ করেছে আবেগ। যুক্তি দিয়ে ব্রীজ বানানো যায় কিন্তু ব্রীজ বানানোর মাথা বানানো যায় না। প্রেমিক যদি প্রেমিকাকে চুমু খাওয়ার আগে যুক্তি নিয়ে বসে তাহলে থাপ্পড় খেতে হবে। কারন যুক্তি বা বিবেক বলে চুমু খাওয়া মানে থুতু খাওয়া।
আমাদের গল্পেরা
গল্পের সাথে আমার দেখা হয় না। অথচ কী মজার ব্যাপার বল ত গল্পকে সাথে নিয়ে ঘুরি, সাইকেলে চাপি, তাকে পেছনে বসায়। গল্প দূর থেকে আমাকে দখল করে নেয়। দখল করার কী দারুন ক্ষমতা তার!
দখল শব্দের মধ্যে একটি নদী নদী ব্যাপার রয়েছে দখল শব্দের মধ্যে একটি চর চর ব্যাপার রয়েছে। আমাদের গল্পেরাও দখল হয়ে যায়। ছোট্ট একখান দিয়াশলাইয়ের কাঠি অন্ধকারকে চ্যালেঞ্জ করার নিপুন ক্ষমতা রাখে কিন্তু সে নাই, সে ব্যস্ত গবেষনায়-- মাছ কেন খাবি খায় এই বিষয়ে।
আরও আরও অক্সিজেন দরকার বন্ধু, রাত এখনো অনেক গভীর।
আমাদের গল্পে বৃষ্টির মতো জ্বিনভূত নেমে আসতো-- আমরা কেঁপে কেঁপে উঠতাম, মাথার উপরে টিনের চালা থাকতো না, আমরা গোল হয়ে আসতাম, আমাদের রক্তে কাঁটা খেলা করে যেতো, আমরা ভয় পেতে পেতে জানালা আটকে দিতাম, মাকে খুব শক্ত করে ধরতাম দুহাত চার পায়ের সমস্ত শক্তি এক করে, খুব শক্ত করে ধরতাম।
আমাদের গল্পে রতনপল্লী ছিল, ছিল না আহারে দোকান, খোকন দা ছিল, ছিল না কোল্ডড্রিংস্কের বাহার চিকেন পাকোড়া।
আমাদের গল্পেরা অনেক কথার মতো নিজেকে বিক্রি করে ফেলে চাকচিক্যময় দ্যোতনার কাছে, মিথ্যা কোনো লিপস্টিকের বাজারে।
আমাদের গল্পের আজ কোনো ঘর নেই, বাড়ি নেই, আমাদের গল্পের আজ কোনো মধ্যরাত নেই, আমাদের গল্প বের হতে হতে ভেতর ভুলে গ্যাছে!
দখল শব্দের মধ্যে একটি নদী নদী ব্যাপার রয়েছে দখল শব্দের মধ্যে একটি চর চর ব্যাপার রয়েছে। আমাদের গল্পেরাও দখল হয়ে যায়। ছোট্ট একখান দিয়াশলাইয়ের কাঠি অন্ধকারকে চ্যালেঞ্জ করার নিপুন ক্ষমতা রাখে কিন্তু সে নাই, সে ব্যস্ত গবেষনায়-- মাছ কেন খাবি খায় এই বিষয়ে।
আরও আরও অক্সিজেন দরকার বন্ধু, রাত এখনো অনেক গভীর।
আমাদের গল্পে বৃষ্টির মতো জ্বিনভূত নেমে আসতো-- আমরা কেঁপে কেঁপে উঠতাম, মাথার উপরে টিনের চালা থাকতো না, আমরা গোল হয়ে আসতাম, আমাদের রক্তে কাঁটা খেলা করে যেতো, আমরা ভয় পেতে পেতে জানালা আটকে দিতাম, মাকে খুব শক্ত করে ধরতাম দুহাত চার পায়ের সমস্ত শক্তি এক করে, খুব শক্ত করে ধরতাম।
আমাদের গল্পে রতনপল্লী ছিল, ছিল না আহারে দোকান, খোকন দা ছিল, ছিল না কোল্ডড্রিংস্কের বাহার চিকেন পাকোড়া।
আমাদের গল্পেরা অনেক কথার মতো নিজেকে বিক্রি করে ফেলে চাকচিক্যময় দ্যোতনার কাছে, মিথ্যা কোনো লিপস্টিকের বাজারে।
আমাদের গল্পের আজ কোনো ঘর নেই, বাড়ি নেই, আমাদের গল্পের আজ কোনো মধ্যরাত নেই, আমাদের গল্প বের হতে হতে ভেতর ভুলে গ্যাছে!
বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭
যে যার মতো
সবাই তো আমার মতো হবে না, আমিও সবার মতো হতে পারবো না, বাগানে অনেক ফুলের গাছ, তাইতো বাগান এতো সুন্দর, তবে অনেক মানুষ থাকবে যারা বলার মধ্যে কেবল নিন্দাটাই বলবে, তাই কখনো কখনো মানুষবাদ মানে আমার কাছে নিন্দাবাদও বটে
অনেক জীবন
শরীরে থাকে এক জীবন, মনে থাকে অনেক জীবন
মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭
লালবান দীঘি
আমি আছি লালবান দীঘির মাছরাঙা জলে
মানুষের দেখা নেই দেখা যায় আমাকে সূর্যের লাল চোখে
লাল কাপড় লেফ রাইট লেফ রাইট করতে করতে উত্তর দিক থেকে দক্ষিনে মন বাড়ায়, অনেক কথা নগ্ন হলে হিজল পাতার ছায়ায় যৌবনের সুড়সুড়ি লাগে
আছি তো লালবান দীঘির ছোট ছোট ঢেউয়ের পুরাতন সুরে
নামহীনা পাতা জলে ভাসছে, পুরাতন ঘরটা আরও পুরাতন হয়ে চেপে গেছে একদম চেপে গেছে
বাতাস আসে
সুখ আসে
শান্তি আসে
আসে না কেবল মাছরাঙার মাছ, মাছের আশায় করুন সুরে সে ডাকে, ডাকতে থাকে একটু পর পর। কিশোর বিজয় ছিপ নিয়ে বসে আছে ইটের রেলিং ধরে মাছ ধরবে বলে।
বিজয় মাছ চায়
মাছরাঙাও মাছ চায়
মাছ তাহলে কাকে চায়?
মাছও হয়তো কাউকে চায়। চাওয়া চাওয়ির এই দুনিয়ায় আমি তবে কাকে চাই জিজ্ঞেস করি মনকে বারবার।
মন আমার কালো চশমা পরে বেদনা ঢাকে, অতীত কোনো প্রিয়তমা সুখ জলের ধারায় একদম নিভে যায়, লখিন্দরমন ভেসে যায় ভেসে যায় বেহুলা তার পাশে নাই পাশে নাই
মানুষের দেখা নেই দেখা যায় আমাকে সূর্যের লাল চোখে
লাল কাপড় লেফ রাইট লেফ রাইট করতে করতে উত্তর দিক থেকে দক্ষিনে মন বাড়ায়, অনেক কথা নগ্ন হলে হিজল পাতার ছায়ায় যৌবনের সুড়সুড়ি লাগে
আছি তো লালবান দীঘির ছোট ছোট ঢেউয়ের পুরাতন সুরে
নামহীনা পাতা জলে ভাসছে, পুরাতন ঘরটা আরও পুরাতন হয়ে চেপে গেছে একদম চেপে গেছে
বাতাস আসে
সুখ আসে
শান্তি আসে
আসে না কেবল মাছরাঙার মাছ, মাছের আশায় করুন সুরে সে ডাকে, ডাকতে থাকে একটু পর পর। কিশোর বিজয় ছিপ নিয়ে বসে আছে ইটের রেলিং ধরে মাছ ধরবে বলে।
বিজয় মাছ চায়
মাছরাঙাও মাছ চায়
মাছ তাহলে কাকে চায়?
মাছও হয়তো কাউকে চায়। চাওয়া চাওয়ির এই দুনিয়ায় আমি তবে কাকে চাই জিজ্ঞেস করি মনকে বারবার।
মন আমার কালো চশমা পরে বেদনা ঢাকে, অতীত কোনো প্রিয়তমা সুখ জলের ধারায় একদম নিভে যায়, লখিন্দরমন ভেসে যায় ভেসে যায় বেহুলা তার পাশে নাই পাশে নাই
সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭
প্রিয় ঋতু
প্রিয় ঋতু। প্রিয় ঋতু নামে আমাদেরকে রচনা লিখতে হতো। ক্লাস ফাইভ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এই রচনা লেখার রীতি চালু ছিল। আমার চারপাশের সবাই প্রিয় ঋতু রচনা মুখস্থ করতো। কিন্তু আমি কোনোদিন বাংলা রচনা মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখিনি।
ছোট কাল থেকে কেন যেন বানাইয়া লিখতে ভালো লাগে। বানাইয়া লেখা মানে নিজের মতো করে লেখা। ফলে প্রিয় ঋতু রচনা লিখতে হলে আমি একেক পরীক্ষায় একেক উত্তর লিখতাম।
মজা করে লিখতাম। প্রিয় ঋতুর দৃশ্যগুলো চোখের সামনে টপ টপ করে ভাসত আর আমি লিখতাম।
এক কথায় বললে আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল। কারন শীতকালের সাথে কাজের একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, মানুষ প্রচুর কাজ করতে পারে এবং প্রচুর আরাম করতে পারে। তাছাড়া শীতকালের কুয়াশার মধ্যে জোছনার মতো মিহি মিহি একটা বিষয় রয়েছে।
রচনা লেখার আবার একটি বিশেষ পদ্ধতি ছিল। প্রথমে ভূমিকা লিখতে হবে, তারপর ব্যাখা এবং সবার শেষে উপসংহার।
ভূমিকার বদলে অনেকে লিখতো প্রারম্ভিকা, অনেকে লিখতো প্রথম কথা, অনেকে লিখতো সূচনা। নতুন কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারলে যেন আলাদাভাবে নজর কাড়া যাবে। লেখার কয়েকটি শিরোনাম জাতীয় শব্দ একটু আলাদা হলে নাম্বার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ষাট পার্সেন্ট। আমাদের ইসলাম শিক্ষা যিনি পড়াতেন তাঁকে আমরা মোল্লা স্যার বলতাম। মৌলভি থেকে মোল্লা। মোল্লা স্যার পরীক্ষার খাতা পড়তেন না, কখনো খাতার ওজন দেখে কখনো খাতার পাতা গুনে নাম্বার দিতেন ( Its not flying words its real)।
উপসংহারের বদলে কেউ লিখতো যবনিকা, কেউ লিখতো শেষ কথা, কেউ লিখতো সারকথা। লিখে নীল হলুদ কালি দিয়ে শিরোনামকে নজরমুখী করে দেয়া হতো। শিক্ষকের যাতে শিরোনাম দেখতে কোনো প্রকার চোখভুল না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা।
কলেজে এসে রচনা লিখতে হয় কিন্তু শিরোনাম দিতে হয় না। অর্থাৎ প্যারা প্যারা করে লিখলেই হলো। ব্যাপারটা আমার জন্য আরামদায়ক ছিল। কলেজ একবার ভাষা আন্দোলনের উপর এক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আমি আনমনে কী যেন কী লিখে আসলাম। ওমা! আমার ডাক চলে আসে। নিগার আপা, খোকন ভাই আর আমাকে ডাকা হয়। উপজেলাতে এক বিশাল রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কলেজের হয়ে আমরা তিনজন যাই। সেই রচনা প্রতিযোগিতায়ও কী যেন কী লিখলাম। শুন্য পাইনি। দ্বিতীয় হয়েছিলাম। খোকন ভাই হয়েছিল প্রথম। নিগার আপা কোনো পুরষ্কার পাইনি। তৃতীয় হয়েছিল জিয়া ফার্টিলাইজার কলেজের এক ছাত্রী। উপহার হিসাবে আমি পেয়েছিলাম ডেল কার্নেগীর একটা বই। বইটি আমার বেশ কাজে লাগে। কারন একটা বয়স পর্যন্ত motivation খুব দরকার। motivation আসলে মৃত্যুর আগেও দরকার হয় আজরাইলের সাথে যুদ্ধ করার জন্য।
মনে আছে, একবার প্রিয় ঋতু লিখেছিলাম বর্ষাকাল। বর্ষাকালের উপকারিতা লিখতে গিয়ে লিখেছিলাম বর্ষাকালে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বন্যা হলে স্কুল কলেজ জলে প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে স্কুলে না গিয়ে সারাদিন খেলাধূলা করা যায়। আর খেলাধূলা অনেক আনন্দের বিষয়।
সারাদিন খেলাধূলা করা যায়, কেউ কোনো কিছু বলে না। বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লিখে দিয়েছিলাম আমাদের খেলার মাঠ অনেক উঁচু জায়গায়, বন্যা হলেও জল প্লাবিত হয় না।
লিখে আমি আনন্দ পেলেও স্যার পড়ে আনন্দ পাননি। তাইতো কুড়িতে স্যার আমাকে দিয়েছিলেন শুন্য।
পরের সেমিস্টারে আবার তোমার প্রিয় ঋতু নামে রচনা আসে। আমি আবার লিখি বর্ষাকাল। বর্ষাকালের উপকারিতা একটু পরিবর্তন করে লিখি বর্ষাকালে পাটপঁচার গন্ধ আসে। আর পাটপঁচার গন্ধ আমাদের স্কুলের গোলাপ ফুলের চেয়ে সুমিষ্ট। এবারেও স্যার আমাকে কুড়িতে শুন্য দিলেন। আমার অপরাধ আমি নাকি বক্তব্যের সামাজিক যোগ্যতা রক্ষা করতে পারিনি। আমার অনেক বন্ধুরা বক্তব্যের সামাজিক যোগ্যতা রক্ষা করতে পেরেছিল এবং তারা কুড়িতে প্রায় বারো-পনেরো করে নাম্বার পায়। শুন্য পেয়ে আমি খুশি ছিলাম, কারন আমার শুন্য প্রাপ্তিতে আমার পার্সোনালিটি ছিল কিন্তু আমার বন্ধুদের হৃষ্টপুষ্ট নাম্বারে তাদের পার্সোনালিটি ছিল না। তাই তাদের আনন্দ ছিল তেজহীন, আমার কষ্ট ছিল, তবে তেজের কষ্ট যার স্থান আনন্দের অনেক অনেক উপরে।
নিজেকে মাঝে মাঝে করাত কলের ঠিক মাঝখানে ফেলতে হয়, নিজেকে মাঝেমধ্যে পরাধীন করতে হয় নইলে প্রকৃতি পরাধীন করে ফেলে। তবে নিজেকে নিজে পরাধীন করার মধ্যে একটু সুখ আছে এই জন্য যে নাটাই শেষ পর্যন্ত নিজের হাতে থাকে। যে কারনে আমি শুন্য পেয়েছিলাম কারনটা আমার জানা ছিল। তাইতো অনেক শুন্যকে অতিক্রম করে অসীমের দিকে যাত্রা করেছি। হয়তো অসীম এক শুন্যের নাম....
ছোট কাল থেকে কেন যেন বানাইয়া লিখতে ভালো লাগে। বানাইয়া লেখা মানে নিজের মতো করে লেখা। ফলে প্রিয় ঋতু রচনা লিখতে হলে আমি একেক পরীক্ষায় একেক উত্তর লিখতাম।
মজা করে লিখতাম। প্রিয় ঋতুর দৃশ্যগুলো চোখের সামনে টপ টপ করে ভাসত আর আমি লিখতাম।
এক কথায় বললে আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল। কারন শীতকালের সাথে কাজের একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, মানুষ প্রচুর কাজ করতে পারে এবং প্রচুর আরাম করতে পারে। তাছাড়া শীতকালের কুয়াশার মধ্যে জোছনার মতো মিহি মিহি একটা বিষয় রয়েছে।
রচনা লেখার আবার একটি বিশেষ পদ্ধতি ছিল। প্রথমে ভূমিকা লিখতে হবে, তারপর ব্যাখা এবং সবার শেষে উপসংহার।
ভূমিকার বদলে অনেকে লিখতো প্রারম্ভিকা, অনেকে লিখতো প্রথম কথা, অনেকে লিখতো সূচনা। নতুন কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারলে যেন আলাদাভাবে নজর কাড়া যাবে। লেখার কয়েকটি শিরোনাম জাতীয় শব্দ একটু আলাদা হলে নাম্বার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ষাট পার্সেন্ট। আমাদের ইসলাম শিক্ষা যিনি পড়াতেন তাঁকে আমরা মোল্লা স্যার বলতাম। মৌলভি থেকে মোল্লা। মোল্লা স্যার পরীক্ষার খাতা পড়তেন না, কখনো খাতার ওজন দেখে কখনো খাতার পাতা গুনে নাম্বার দিতেন ( Its not flying words its real)।
উপসংহারের বদলে কেউ লিখতো যবনিকা, কেউ লিখতো শেষ কথা, কেউ লিখতো সারকথা। লিখে নীল হলুদ কালি দিয়ে শিরোনামকে নজরমুখী করে দেয়া হতো। শিক্ষকের যাতে শিরোনাম দেখতে কোনো প্রকার চোখভুল না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা।
কলেজে এসে রচনা লিখতে হয় কিন্তু শিরোনাম দিতে হয় না। অর্থাৎ প্যারা প্যারা করে লিখলেই হলো। ব্যাপারটা আমার জন্য আরামদায়ক ছিল। কলেজ একবার ভাষা আন্দোলনের উপর এক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আমি আনমনে কী যেন কী লিখে আসলাম। ওমা! আমার ডাক চলে আসে। নিগার আপা, খোকন ভাই আর আমাকে ডাকা হয়। উপজেলাতে এক বিশাল রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কলেজের হয়ে আমরা তিনজন যাই। সেই রচনা প্রতিযোগিতায়ও কী যেন কী লিখলাম। শুন্য পাইনি। দ্বিতীয় হয়েছিলাম। খোকন ভাই হয়েছিল প্রথম। নিগার আপা কোনো পুরষ্কার পাইনি। তৃতীয় হয়েছিল জিয়া ফার্টিলাইজার কলেজের এক ছাত্রী। উপহার হিসাবে আমি পেয়েছিলাম ডেল কার্নেগীর একটা বই। বইটি আমার বেশ কাজে লাগে। কারন একটা বয়স পর্যন্ত motivation খুব দরকার। motivation আসলে মৃত্যুর আগেও দরকার হয় আজরাইলের সাথে যুদ্ধ করার জন্য।
মনে আছে, একবার প্রিয় ঋতু লিখেছিলাম বর্ষাকাল। বর্ষাকালের উপকারিতা লিখতে গিয়ে লিখেছিলাম বর্ষাকালে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বন্যা হলে স্কুল কলেজ জলে প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে স্কুলে না গিয়ে সারাদিন খেলাধূলা করা যায়। আর খেলাধূলা অনেক আনন্দের বিষয়।
সারাদিন খেলাধূলা করা যায়, কেউ কোনো কিছু বলে না। বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লিখে দিয়েছিলাম আমাদের খেলার মাঠ অনেক উঁচু জায়গায়, বন্যা হলেও জল প্লাবিত হয় না।
লিখে আমি আনন্দ পেলেও স্যার পড়ে আনন্দ পাননি। তাইতো কুড়িতে স্যার আমাকে দিয়েছিলেন শুন্য।
পরের সেমিস্টারে আবার তোমার প্রিয় ঋতু নামে রচনা আসে। আমি আবার লিখি বর্ষাকাল। বর্ষাকালের উপকারিতা একটু পরিবর্তন করে লিখি বর্ষাকালে পাটপঁচার গন্ধ আসে। আর পাটপঁচার গন্ধ আমাদের স্কুলের গোলাপ ফুলের চেয়ে সুমিষ্ট। এবারেও স্যার আমাকে কুড়িতে শুন্য দিলেন। আমার অপরাধ আমি নাকি বক্তব্যের সামাজিক যোগ্যতা রক্ষা করতে পারিনি। আমার অনেক বন্ধুরা বক্তব্যের সামাজিক যোগ্যতা রক্ষা করতে পেরেছিল এবং তারা কুড়িতে প্রায় বারো-পনেরো করে নাম্বার পায়। শুন্য পেয়ে আমি খুশি ছিলাম, কারন আমার শুন্য প্রাপ্তিতে আমার পার্সোনালিটি ছিল কিন্তু আমার বন্ধুদের হৃষ্টপুষ্ট নাম্বারে তাদের পার্সোনালিটি ছিল না। তাই তাদের আনন্দ ছিল তেজহীন, আমার কষ্ট ছিল, তবে তেজের কষ্ট যার স্থান আনন্দের অনেক অনেক উপরে।
নিজেকে মাঝে মাঝে করাত কলের ঠিক মাঝখানে ফেলতে হয়, নিজেকে মাঝেমধ্যে পরাধীন করতে হয় নইলে প্রকৃতি পরাধীন করে ফেলে। তবে নিজেকে নিজে পরাধীন করার মধ্যে একটু সুখ আছে এই জন্য যে নাটাই শেষ পর্যন্ত নিজের হাতে থাকে। যে কারনে আমি শুন্য পেয়েছিলাম কারনটা আমার জানা ছিল। তাইতো অনেক শুন্যকে অতিক্রম করে অসীমের দিকে যাত্রা করেছি। হয়তো অসীম এক শুন্যের নাম....
শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭
প্রান দাও হে পাথরের বুকে
খোলা জানালা হৃদয় আমার বসত তোমার
শত আঘাতের ভয় প্রানে জাগে ক্ষয়
একলা বাতাস
রঙিন হাওয়া
এলোমেলো চুল
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি
ফাঁদ পেতে বসে আছে চন্দ্রাবতী পরি
বাদামের খোসা জমায় নগরের মশিউল
কলাপাতা চড়ে সাইকেল গাড়ি
রোদ এসে জমা হয় গাছের নিচে
অলকা রঙের মুখে পাহাড়ি ঢং
নীলে জমা হয় মানুষের কথা, বেদনার ভারে নূরজাহান নীলের মতো রঙিলা হয়ে ওঠে সমাজের সূচিবিন্যাস ঘরে, একলা মানুষ অনেক পরে, সুখগুলো সব আপন জনের, তোমার একলা বাতাস অনেক পরে, মানুষ ত অনেক হলে, হয়ে দেখো প্রান পাথরের বুকে
শত আঘাতের ভয় প্রানে জাগে ক্ষয়
একলা বাতাস
রঙিন হাওয়া
এলোমেলো চুল
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি
ফাঁদ পেতে বসে আছে চন্দ্রাবতী পরি
বাদামের খোসা জমায় নগরের মশিউল
কলাপাতা চড়ে সাইকেল গাড়ি
রোদ এসে জমা হয় গাছের নিচে
অলকা রঙের মুখে পাহাড়ি ঢং
নীলে জমা হয় মানুষের কথা, বেদনার ভারে নূরজাহান নীলের মতো রঙিলা হয়ে ওঠে সমাজের সূচিবিন্যাস ঘরে, একলা মানুষ অনেক পরে, সুখগুলো সব আপন জনের, তোমার একলা বাতাস অনেক পরে, মানুষ ত অনেক হলে, হয়ে দেখো প্রান পাথরের বুকে
শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭
শান্তির আশায়
শান্তির আশায় ঘরমুখো পাখি নেমে আসে রাস্তায় রাস্তায়
শান্তির আশায় মন ভেঙে পড়ে কান্নায় কান্নায়
শান্তির আশায় মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে নিয়মের নামাতায়
এক ঠুঙা বাদাম
এক মুঠো হৃদয়
কিছু পলাতক অধিকার ঘর থেকে ঘরে পালিয়ে বেড়ায়
শান্তির আশায় একটা রাতের ঘুম অযথা কেটে যায়
বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭
জয় করে নিতে আসে যারা
লিখতে গেলে হাত থেমে যায়, বলতে গেলে মুখ নেমে আসে শব্দের নিচে, মনে মনে তুমি বাজে অবিরাম অবিরত।
ভালো আছো জেনেও ভালো থাকতে পারি না কেন? ভালো রাখার মতো মহৎপ্রান এখনো জমা হয়নি আশার কানায় কানায়, তাইতো এতো তাড়াহুড়ো বড্ড বেয়াড়া আড্ডা জমায় ইচ্ছেঘুড়ির হাত ধরে।
এখনি বলে দিতে পারি সব কথা-- তুমি ছাড়া লায়লী মজনু তাজমহল শাজাহান যমুনা নদী সব বৃথা, একমাত্র তুমি ছাড়া সব বৃথা। কিন্তু বলতে পারি না কোনো কথা, আমার কোনো শব্দ অনুবাদ করতে পারে না মনের সেই উজান ভাটি -- তুমি ছাড়া সব বৃথা!
নদী কেমন করে পলি খেয়ে খেয়ে চর জাগায় দেখেছি। আমি মেঘনার ছেলে। দেখেছি চর কেমন করে গিলে খায় জলের দামাল। দেখেছি। আমি মেঘনার ছেলে। দেখেনি কেমন করে আমার হৃদয়ে জমা হলে তুমিপলি, টের পাইনি কেমন করে তুমিপলি মিশে গেলে সময়জলে। কত অদেখা জীবনের মতো আয়ু নিয়ে মানুষের হৃদয়ে থেকে যায় ইতিহাস জানে না, জানে না সন্ন্যাসব্রত পথের হেয়ালি।
এই তো দেখছি, অলকানন্দার হলুদ হাসি লেপ্টে আছে তোমার ঠোঁটের ক্যানভাসে, মুখে আছে জলরঙে মনতালের ঢেউ। আমার মতো বিরক্ত করবে আছে নাকি কেউ? থাকলেও থাকতে পারে না। চাপ পড়লে খুলে যায় পুরাতন সব মুখ-- চার নাম্বার গেইট, তালাপড়া বুক স্টল। সব, একদম সব।
আকাশেরও চোখ আছে নিজেকে দেখার, পুরাতন আশার নিচে খুচরো বাতাস খেলা করে দিনরাত। অনেক রাত। এখন অনেক রাত। এখনই ঘুমানোর মতো রাত। তুমি কী ঘুমিয়ে গেছো আমার অনেক আগে? নইলে এখনি বলে দাও আলোর নির্ধারিত পরিমান যা দূর করবে সমস্ত অন্ধকার-- চোখের সামনে থেকে মনের ভেতরের সব ফুটপাত।
তোমার ছায়ার ফুটপাতে খুঁজে বেড়াই-- দেখতে কী পাও, শুনতে কী পাও? আমাকে জিতে নাও, তোমার জয়কে আমি জিতে নিব একদিন
ভালো আছো জেনেও ভালো থাকতে পারি না কেন? ভালো রাখার মতো মহৎপ্রান এখনো জমা হয়নি আশার কানায় কানায়, তাইতো এতো তাড়াহুড়ো বড্ড বেয়াড়া আড্ডা জমায় ইচ্ছেঘুড়ির হাত ধরে।
এখনি বলে দিতে পারি সব কথা-- তুমি ছাড়া লায়লী মজনু তাজমহল শাজাহান যমুনা নদী সব বৃথা, একমাত্র তুমি ছাড়া সব বৃথা। কিন্তু বলতে পারি না কোনো কথা, আমার কোনো শব্দ অনুবাদ করতে পারে না মনের সেই উজান ভাটি -- তুমি ছাড়া সব বৃথা!
নদী কেমন করে পলি খেয়ে খেয়ে চর জাগায় দেখেছি। আমি মেঘনার ছেলে। দেখেছি চর কেমন করে গিলে খায় জলের দামাল। দেখেছি। আমি মেঘনার ছেলে। দেখেনি কেমন করে আমার হৃদয়ে জমা হলে তুমিপলি, টের পাইনি কেমন করে তুমিপলি মিশে গেলে সময়জলে। কত অদেখা জীবনের মতো আয়ু নিয়ে মানুষের হৃদয়ে থেকে যায় ইতিহাস জানে না, জানে না সন্ন্যাসব্রত পথের হেয়ালি।
এই তো দেখছি, অলকানন্দার হলুদ হাসি লেপ্টে আছে তোমার ঠোঁটের ক্যানভাসে, মুখে আছে জলরঙে মনতালের ঢেউ। আমার মতো বিরক্ত করবে আছে নাকি কেউ? থাকলেও থাকতে পারে না। চাপ পড়লে খুলে যায় পুরাতন সব মুখ-- চার নাম্বার গেইট, তালাপড়া বুক স্টল। সব, একদম সব।
আকাশেরও চোখ আছে নিজেকে দেখার, পুরাতন আশার নিচে খুচরো বাতাস খেলা করে দিনরাত। অনেক রাত। এখন অনেক রাত। এখনই ঘুমানোর মতো রাত। তুমি কী ঘুমিয়ে গেছো আমার অনেক আগে? নইলে এখনি বলে দাও আলোর নির্ধারিত পরিমান যা দূর করবে সমস্ত অন্ধকার-- চোখের সামনে থেকে মনের ভেতরের সব ফুটপাত।
তোমার ছায়ার ফুটপাতে খুঁজে বেড়াই-- দেখতে কী পাও, শুনতে কী পাও? আমাকে জিতে নাও, তোমার জয়কে আমি জিতে নিব একদিন
বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭
চোখ ফিরিয়ে দেখে নিলাম তোকে
চোখ ফিরিয়ে দেখে নিলাম তোকে
মনখারাপের দুঃখগুলো রেখে
তোর চুলে আউলা বাতাস উড়ে
চোখ ভাসে গ্রাম্য বাতাস রোদে।।
হলুদ আলোয় বৃষ্টি কলমি ফুল
চোখের তারায় জলভুলানো দোল
মিষ্টি দলের আকাশনীলা পরি
তোর চোখে সময়ছবি আঁকি।।
চোখ ফিরিয়ে দেখে নিলাম তোকে
হৃদয়নোটে তোকে নিলাম টুকে
বিশাল আকাশ তোইস্বপ্ন বুকে
আমার বিশাল আকাশ তোইস্বপ্ন বুকে।।
মনখারাপের দুঃখগুলো রেখে
তোর চুলে আউলা বাতাস উড়ে
চোখ ভাসে গ্রাম্য বাতাস রোদে।।
হলুদ আলোয় বৃষ্টি কলমি ফুল
চোখের তারায় জলভুলানো দোল
মিষ্টি দলের আকাশনীলা পরি
তোর চোখে সময়ছবি আঁকি।।
চোখ ফিরিয়ে দেখে নিলাম তোকে
হৃদয়নোটে তোকে নিলাম টুকে
বিশাল আকাশ তোইস্বপ্ন বুকে
আমার বিশাল আকাশ তোইস্বপ্ন বুকে।।
মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭
Still kill me dear
Last night I felt the acute gean trying to knock me up and down. Last night I was or I was not. Walking across the mind path I lose myself just I lose myself along the thought. Thought, my dear cherished thought, how are you, what about your pet river?
Miss you much!
World den going on there. How far away my dear? Your face wine makes me drunk onto the interior glean.
well, everything is going on well.Very good your presence-- I have got it in my mind. Zero time between the rural mood dances in my dream grass and to wake and to lay down for the time neonatal something. In everything and everywhere you are here my dear but unable to trace your green lips and left finger. You are the motion of time energy you know?
The word has been dead only for the touch of your chloroform Presence.
Presence
Your presence
Still kill me dear
How are my last night?
I need you again
Need you again my beloved last night better than any kind of the best.
Miss you much!
World den going on there. How far away my dear? Your face wine makes me drunk onto the interior glean.
well, everything is going on well.Very good your presence-- I have got it in my mind. Zero time between the rural mood dances in my dream grass and to wake and to lay down for the time neonatal something. In everything and everywhere you are here my dear but unable to trace your green lips and left finger. You are the motion of time energy you know?
The word has been dead only for the touch of your chloroform Presence.
Presence
Your presence
Still kill me dear
How are my last night?
I need you again
Need you again my beloved last night better than any kind of the best.
সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭
পরিবার
প্রত্যেকটা পরিবার থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়-- বালিশ জানে না-- দুই জন জানে
রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭
পাখনার নিচে আদিম অন্ধকার
তারপর আমাকে বাজারে তুলা হলো। এক টাকা দামের চকলেটের সাথে রাখা হলো আমাকে। কেউ কেউ রাখলেন দামি কোনো হিরা মনি মুক্তার সাথে। কেউ আবার মেয়াদোত্তীর্ন পন্যের সাথে রেখে দিল ডাস্টবিনের জন্য।
আমার তো ভালো লাগে গ্রামের নীরব অন্ধকার। যেখানে গ্রাম শহর মানুষ বলতে কিছু নেই এমন জায়গায় যেতে পারলে আরও ভালো লাগবে বলে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকি দিনের পর দিন।
দুটি কালিম পাখিকে রেখে ছিলাম ব্যক্তিগত খাঁচায়। দেখলাম দিনের পর দিন তারা ম্লান হয়ে আসছে। ভেতরে তাদের হাজার বছরের ছটফটানি। একদিন তাদের মুক্ত করে দিলাম। তারা কোনো এক পুরাতন ডোবায় কচুরিপানার ঘরে রচনা করে তাদের প্রাকৃতিক সংসার। তারপর দুই থেকে তারা হয়ে গেলো শতাধিক, ছড়িয়ে পড়লো আড়াইসিধার প্রত্যেক ডোবায় ডোবায়। আর আমি হয়ে গেলাম তাদের পাখনার নিচের আদিম অন্ধকার।
আমার তো ভালো লাগে গ্রামের নীরব অন্ধকার। যেখানে গ্রাম শহর মানুষ বলতে কিছু নেই এমন জায়গায় যেতে পারলে আরও ভালো লাগবে বলে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকি দিনের পর দিন।
দুটি কালিম পাখিকে রেখে ছিলাম ব্যক্তিগত খাঁচায়। দেখলাম দিনের পর দিন তারা ম্লান হয়ে আসছে। ভেতরে তাদের হাজার বছরের ছটফটানি। একদিন তাদের মুক্ত করে দিলাম। তারা কোনো এক পুরাতন ডোবায় কচুরিপানার ঘরে রচনা করে তাদের প্রাকৃতিক সংসার। তারপর দুই থেকে তারা হয়ে গেলো শতাধিক, ছড়িয়ে পড়লো আড়াইসিধার প্রত্যেক ডোবায় ডোবায়। আর আমি হয়ে গেলাম তাদের পাখনার নিচের আদিম অন্ধকার।
কথাকে
আজকাল কথাকে কোনো এক নির্জন দ্বীপের রাখাল মনে হয়
শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭
যোগাযোগ নিভে গেছে
দূরত্ব অনেক। যোগাযোগ নিভে গেছে। সংকোচ জমা হয়ে আছে আঙুলের কোনায় কোনায়। যেখানে দেখা হয়েছিল আমাদের সেখানে আমাদের কোনো শব্দ নেই। পৃথিবীর লাল নীল হলুদ চোখেরা আর আমাদেরকে নিয়ে দোকানপাঠ করতে আসে না, হিসাব তুলে না রোজকার নিক্তি পাল্লায়।
আমাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মেলার মাঠ নেই, ছাতিম তলা নেই বলে যারা জানে তারা ভুল জানে। আমাদের সবই আছে, কেবল দৃশ্যরব তুলার মতো কোনো মডিফিকেশন নেই। দূরত্ব অনেক। যোগাযোগ ঘুমাতে গেছে বহুদূর।
অভিকর্ষ বল স্থির হতে হতে শুন্যে নেমে আসে, মধ্যাকর্ষ বল থেমে যেতে যেতে বায়ুহীন হয়ে পড়ে, তাপমাত্রা কমে যেতে যেতে পরমশুন্য অবস্থায় পৌঁছে যায় বলে এক পৃথিবী আছে যেখানে মানুষের হৃদয় যেতে পারে না, স্টক সলিউশন কাজ করে না। আমরা পেরেছি। তোমার প্রত্যেক শব্দ আমি প্রতিক্ষন শুনতে পাই, আমার প্রতি শব্দ তোমার হৃদয়ে সাজে পঞ্চপ্রানের মতো। দূরত্ব অনেক। যোগাযোগ ভাঁটফুল গন্ধ নিয়ে মিশে গেছে।
পুরুষের চোখের জলে প্রচুর আয়োডিন থাকে। তোমার চোখে আছে সালফার এসিড। তোমার জানালায় নিমপাতা সুখ, আমার জানলায় আষাঢ় মাসের অসুখ। অনেক কথা বলা যেতে পারে পৃথিবীতে থেকে। তুমিআমি তাই অনেক আগেই চলে গেছি পৃথিবী থেকে অনেক দূরে জোছনার দেশে যেখানে শব্দের মতো চাষ করি আমরা উপলব্ধিভূমি। দূরত্ব অনেক জমে গেছে। কামিনী ফুল আসে, গন্ধ আসে দলে দলে, নিভে গেছি আমরা মেঘের আড়ালে।
ঘরে যখন বিজলি থাকে না, খুব আরাম করে অন্ধকার দেখি, অন্ধকারের নিজস্ব ভাষাকে হৃদয়বাহী করে তুলার চেষ্টা করি, অন্ধকারের অনেক গভীরে একজন কমলালেবুর বসবাস, আমরা যারা সামাজিক মানুষ অনেক বছর তাকে নিজের করে নিতে পারিনি। অথচ সে ছিল আমাদের সত্যিকারের নিজের লোক। ফ্রেকটাল জরিপে আমরা তো নেই, যেমন ছিলেন না একজন কমলালেবু। তাইতো আমাদের যোগাযোগ দূরত্বের মোহনায়। যোগাযোগ নিভে গেছে।
তবুও জানতে ইচ্ছে করে আর কতটা জীবন, আর কতটা জীবন এমন করে যাবে প্রিয় ....
আমাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, মেলার মাঠ নেই, ছাতিম তলা নেই বলে যারা জানে তারা ভুল জানে। আমাদের সবই আছে, কেবল দৃশ্যরব তুলার মতো কোনো মডিফিকেশন নেই। দূরত্ব অনেক। যোগাযোগ ঘুমাতে গেছে বহুদূর।
অভিকর্ষ বল স্থির হতে হতে শুন্যে নেমে আসে, মধ্যাকর্ষ বল থেমে যেতে যেতে বায়ুহীন হয়ে পড়ে, তাপমাত্রা কমে যেতে যেতে পরমশুন্য অবস্থায় পৌঁছে যায় বলে এক পৃথিবী আছে যেখানে মানুষের হৃদয় যেতে পারে না, স্টক সলিউশন কাজ করে না। আমরা পেরেছি। তোমার প্রত্যেক শব্দ আমি প্রতিক্ষন শুনতে পাই, আমার প্রতি শব্দ তোমার হৃদয়ে সাজে পঞ্চপ্রানের মতো। দূরত্ব অনেক। যোগাযোগ ভাঁটফুল গন্ধ নিয়ে মিশে গেছে।
পুরুষের চোখের জলে প্রচুর আয়োডিন থাকে। তোমার চোখে আছে সালফার এসিড। তোমার জানালায় নিমপাতা সুখ, আমার জানলায় আষাঢ় মাসের অসুখ। অনেক কথা বলা যেতে পারে পৃথিবীতে থেকে। তুমিআমি তাই অনেক আগেই চলে গেছি পৃথিবী থেকে অনেক দূরে জোছনার দেশে যেখানে শব্দের মতো চাষ করি আমরা উপলব্ধিভূমি। দূরত্ব অনেক জমে গেছে। কামিনী ফুল আসে, গন্ধ আসে দলে দলে, নিভে গেছি আমরা মেঘের আড়ালে।
ঘরে যখন বিজলি থাকে না, খুব আরাম করে অন্ধকার দেখি, অন্ধকারের নিজস্ব ভাষাকে হৃদয়বাহী করে তুলার চেষ্টা করি, অন্ধকারের অনেক গভীরে একজন কমলালেবুর বসবাস, আমরা যারা সামাজিক মানুষ অনেক বছর তাকে নিজের করে নিতে পারিনি। অথচ সে ছিল আমাদের সত্যিকারের নিজের লোক। ফ্রেকটাল জরিপে আমরা তো নেই, যেমন ছিলেন না একজন কমলালেবু। তাইতো আমাদের যোগাযোগ দূরত্বের মোহনায়। যোগাযোগ নিভে গেছে।
তবুও জানতে ইচ্ছে করে আর কতটা জীবন, আর কতটা জীবন এমন করে যাবে প্রিয় ....
বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭
আমাদের ঘরের সেই টিভি
আমাদের ঘরে একটা টিভি ছিল। সনি টিভি। ছোটোখাটো গোলগাল। চৌদ্দ ইঞ্চি রঙিন টিভি।
আমাদের পরিবারে একটি টিভি ছিল। অনেক আগে। আকরাম খান যখন ছয় মেরে বাংলাদেশকে পাঠিয়ে দিল দর্শক গ্যালারিতে তখন। শাবানা যখন নারীর সতীত্ব ধরে রাখার জন্য সবার অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে তখন। সালমান শাহ যখন সত্যের মৃত্যু নাই ছবি করে সবার চোখে জল নিয়ে আসে তখন।
আমরা সবাই গোল হয়ে আসতাম সাপ্তাহিক ছবি দেখার জন্যে। আমাদের পরিবারের সবাই টিভিটাকে আলাদাভাবে যত্ন করত। যেহেতু কৃষক বাড়ি অযত্নের অনেক কারন ছিল। সব কারন অতিক্রম করে আমরা সবাই তাকে আলাদাভাবে টেক কেয়ার করতাম এটাই সত্য।
আম্মা একটা সাদা পর্দা কিনে আনলেন। পর্দাটার উপরে অনেক যত্ন নিয়ে সুঁইসুতার কাজ দিয়ে আঁকাবাঁকা ফুলঝাপ তৈরি করলেন। তারপর পর্দাটা দিয়ে টিভির সারা গতর ঢেকে দেয়া হলো। তখন তাকে গ্রামীন নব বধূর মতো মনে হতো। খেলাধূলার পর এই টিভিই ছিল আমার প্রেমের জায়গা।
কয়েক বছর সে ভালোই সার্ভিস দিল। তারপর শুরু করে এক উদ্ভুত আচরন। যখনই আমাদের পরীক্ষা আসার সময় হয় তখনই নষ্ট হয়ে যায়। ধরুন, পরীক্ষার আর এক মাস বা বিশ দিন বাকী, এমন সময় সে নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের ভালোই লাগত। পরীক্ষা শেষে আবার মেরামত করে আনতাম।
একবার সে নষ্ট হলো। ডাক্তারের কাছে নেয়া হলো। আর ত সুস্থ হয় না। ডাক্তার বলেছে তার ক্যানসার হয়ে গ্যাছে, ব্লাড ক্যান্সার, তাকে আর বাঁচানো সম্ভব না। আমাদের পরিবারে কষ্টের বন্যা নেমে আসে। একদিন টিভিটা মারা গেল! সবাই তাকে দাফন দিয়ে দিতে চায়ল। একমাত্র আমি বললাম 'না '। তাকে দাফন করা যাবে না।
আমার রুমে তাকে রেখে দিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল তাকে আবার জীবিত করা যাবে। ছোট মানুষের বিশ্বাস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ধরনের বিশ্বাস।
আজকে আমি বড় হয়েছি, টিভিকে জীবিত করতে গিয়ে দেখি সেই দিনের বড় মানুষদের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল-- যে মারা যায় একেবারেই মারা যায়, তাকে আর ফেরানো যায় না আমাদের এই ভালোবাসার পৃথিবীতে, আমাদের এই প্রেমের পরিবারে
আমাদের পরিবারে একটি টিভি ছিল। অনেক আগে। আকরাম খান যখন ছয় মেরে বাংলাদেশকে পাঠিয়ে দিল দর্শক গ্যালারিতে তখন। শাবানা যখন নারীর সতীত্ব ধরে রাখার জন্য সবার অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে তখন। সালমান শাহ যখন সত্যের মৃত্যু নাই ছবি করে সবার চোখে জল নিয়ে আসে তখন।
আমরা সবাই গোল হয়ে আসতাম সাপ্তাহিক ছবি দেখার জন্যে। আমাদের পরিবারের সবাই টিভিটাকে আলাদাভাবে যত্ন করত। যেহেতু কৃষক বাড়ি অযত্নের অনেক কারন ছিল। সব কারন অতিক্রম করে আমরা সবাই তাকে আলাদাভাবে টেক কেয়ার করতাম এটাই সত্য।
আম্মা একটা সাদা পর্দা কিনে আনলেন। পর্দাটার উপরে অনেক যত্ন নিয়ে সুঁইসুতার কাজ দিয়ে আঁকাবাঁকা ফুলঝাপ তৈরি করলেন। তারপর পর্দাটা দিয়ে টিভির সারা গতর ঢেকে দেয়া হলো। তখন তাকে গ্রামীন নব বধূর মতো মনে হতো। খেলাধূলার পর এই টিভিই ছিল আমার প্রেমের জায়গা।
কয়েক বছর সে ভালোই সার্ভিস দিল। তারপর শুরু করে এক উদ্ভুত আচরন। যখনই আমাদের পরীক্ষা আসার সময় হয় তখনই নষ্ট হয়ে যায়। ধরুন, পরীক্ষার আর এক মাস বা বিশ দিন বাকী, এমন সময় সে নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের ভালোই লাগত। পরীক্ষা শেষে আবার মেরামত করে আনতাম।
একবার সে নষ্ট হলো। ডাক্তারের কাছে নেয়া হলো। আর ত সুস্থ হয় না। ডাক্তার বলেছে তার ক্যানসার হয়ে গ্যাছে, ব্লাড ক্যান্সার, তাকে আর বাঁচানো সম্ভব না। আমাদের পরিবারে কষ্টের বন্যা নেমে আসে। একদিন টিভিটা মারা গেল! সবাই তাকে দাফন দিয়ে দিতে চায়ল। একমাত্র আমি বললাম 'না '। তাকে দাফন করা যাবে না।
আমার রুমে তাকে রেখে দিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল তাকে আবার জীবিত করা যাবে। ছোট মানুষের বিশ্বাস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ধরনের বিশ্বাস।
আজকে আমি বড় হয়েছি, টিভিকে জীবিত করতে গিয়ে দেখি সেই দিনের বড় মানুষদের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল-- যে মারা যায় একেবারেই মারা যায়, তাকে আর ফেরানো যায় না আমাদের এই ভালোবাসার পৃথিবীতে, আমাদের এই প্রেমের পরিবারে
শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭
.✔
আমরা টয়লেটে যাই, আমরা তো টয়লেট হয়ে যাই না
শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭
নিকট নিকটে
দূরে পাহাড়
তারও দূরে মেঘ
তারও দূরে আকাশ
তারও দূরে চোখের সীমানা
তারও দূরে মনের কল্পনা
তারও অনেক কাছে তুমি আর আমি
আমরা মিলে যাই পাহাড়ে পাহাড়ে
আমরা মিলে যাই আকাশে আকাশে
আমরা মিলে যাই মেঘে মেঘে
আমরা মিলে যাই কল্পনায় কল্পনায়
আমরা মিলে আছি আমাদের সাথে
অনেক সবুজ
অনেক স্বপ্ন
অনেক কথা
অনেক গন্ধ জন্ম নেয় আমাদের ঘরে
দূরকে করেছি কাছে
কাছকে করেছি নিকট নিকটে
তারও দূরে মেঘ
তারও দূরে আকাশ
তারও দূরে চোখের সীমানা
তারও দূরে মনের কল্পনা
তারও অনেক কাছে তুমি আর আমি
আমরা মিলে যাই পাহাড়ে পাহাড়ে
আমরা মিলে যাই আকাশে আকাশে
আমরা মিলে যাই মেঘে মেঘে
আমরা মিলে যাই কল্পনায় কল্পনায়
আমরা মিলে আছি আমাদের সাথে
অনেক সবুজ
অনেক স্বপ্ন
অনেক কথা
অনেক গন্ধ জন্ম নেয় আমাদের ঘরে
দূরকে করেছি কাছে
কাছকে করেছি নিকট নিকটে
ব্যক্তিগত চায়ের স্টল
চাঁদকে সাথে নিয়ে চাঁদ দেখবো বলে বাহিরকে করেছি ঘর।
অন্ধকারকে আলো বলা যেতে পারে যদি আলোর কোন নিজস্ব পথ না থাকে।
বেদনার সাগর পাড়ি দিলে মানুষ কোলে তুলে নেয়, বেদনার সাগর পাড়ি দিতে হয় নিজেকেই।
আমাদের দুঃখের মতো আমাদের পাশে থাকে আমাদের বোন।
এক ছাতার নিচে জীবন পাড়ি দিব বলে অনেক বৃষ্টির কথা ভুলে গেছি।
তোমাকে স্পর্শ করিনি তাই এখনো ইতিহাস দেখা হয়নি।
আমার আকাশে রোজ শাদা মেঘ উড়ে যায়-- না হতে পারি মেঘ না হতে পারি জীবন।
জলের ভেতর জেলখানা
মানুষ আজব কারখানা।
কয়েদী বন্দী করে কয়েদীকে,আর আমরা সিনেমা দেখি রোজ রাতে, অন্ধকারে।
আমার মাথায় রোদের মৃত্যু হয়, কারন তুমি ছায়া রচনা করে যাও রোদের দিনে।
আমাকে বুঝতে কারো লাগে এক জীবন, কারো লাগে অনেক জীবন, কারো আবার কোন জীবনেই হয় না।
তোমার জয় দেখে আমার জয় তোমার শৈশব হয়ে যায়।
পৃথিবী নাচে কখনো জেনে, অধিক সময় না জেনে।
অনেক কান্নার পর একটি সবুজ মাঠ মানুষের চোখে নামে।
তুমি বন্ধু নদী নৌকা আমি তোমার ঢেউ।
ইতিহাস সাহসের অভাবে কাক হয়ে যায়।
সাঁতার না জেনেও তোমার জলে মৃত্যুর মতো ভাসি।
এখানে জীবন এসে সময়কে ধমক দিতে থাকে
তোমার চোখ জন্মের আগের কথা জমা রাখে।
লাজুক লতা অল্প অল্প কল্প কথা
লাজুক লতা তোমার চোখে প্রেমের দেখা।
পৃথিবী এক অক্টোপাস সরলরৈখিক বিনোদন।
বাঁধ দিলে বলে
কেউ হলো জেলে
কেউ হলো মাছ।
আশায় আলোয় পথ চলে বীরের মন।
চোখের দৃষ্টি অনেক আগে মানুষের ঘরবাড়ি।
দারুন সূর্যের মতো আজকের শিশু বাজারে যাবে।
মানুষ আইন মান্য করে আইন মানুষকে মান্য করে বলে।
অপেক্ষা করতে শিখে গেছি বন্ধু রোদ তোমাকে হতেই হবে।
আলোর পেছনে অনেক আশা থাকে, তাই পথে রেখো চোখ, সময় আসবে।
আলোকে ভালো বলতে মন লাগে, ভালো বলতে শিখে গেলে দুরন্বয় ভোগান্তি থাকে না, রাখে না।
অনেক কথা নেশার দেশের জন্য জমা রাখে সময়।
আকাশচুরি করে পাখিও ঘরে ফিরে--তারার কোন দোষ নেই মেঘের দেশে।
আমার চোখেও বৃষ্টি নামে বন্ধু।
পাহাড় দেখা হয়ে গেলে মানুষের একটা পুরাতন ফাইল ঘাটিতে হয়।
অনেক যাতনার পরও তুমি কিছু বলবে বলে ছাতা বদল করে বৃষ্টির কাছে হাত রাখি।
একদিন জানালা বেয়ে জোছনা নামবে।
ত্যাগের আকাশ কেবলই বড় হতে থাকে।
আমার চোখ জেনে গেছে ব্যথার অবদান।
কষ্টের কাছে কিছু ব্যথা ছিল বন্ধু, বৃষ্টি হলে আমি ভিজবো।
একটা হাত কয়েকটি চুড়ির শব্দ জানে স্বপ্নের জাল রোদের তাপে কেন ভেঙ্গে যায় বহুবার।
একটি ছাতার জন্য আমি একটি বিপ্লব করবো জেনে রেখো।
দুঃখ জানে না আমার সাধনা তার চেয়েও অনেক বড়।
হাসতে হাসতে কান্নার বাড়ি যাবো।
আড়ালে অনেক ছায়া হারিয়ে যায় গোপনে।
গোপনে গোপনে চাষাবাদ করে চাষা --- অনেক অজানা অনেক অজানা।
চাকরি জানে না মনের রাজ্যের খবর।
খুলে রেখেছি প্রান আরও আরও প্রান চাই।
দেখা হবে তার সাথে কোন এক অদেখার বাজারে।
জোয়ারের হাসি ভাটায় মিলিয়ে যায়।
জল যদি এনেই দিলে বিষ কেন আয়োজন করে খাওয়ালে।
নীরবে কেন ট্রেনের বিষাদ।
আমি কি বলে দেবো তোমার চোখে কেন আমারই মতো আগুন নামে খুব সকালে?
রোদ আসবে বলে বৃষ্টি নিয়ে বসে আছি অনেক দিন ধরে।
প্রকৃতির কাছে একবার একবার করে বারমুখি হতে গিয়ে দেখি চোখ মেলে বসে আছে আমার সন্ন্যাসব্রত মনা।
তবুও ইচ্ছে জাগে খুব
মনের দেশে মাঝি হয়ে দূরে রাখি সুখ।
তাইতো এখন সকাল হবে
তাইতো পাতায় গল্প রবে।
এবং বলে অবশ্যই কিছু একটা থাকে।
দরিয়ার দরিদ্র মায়ের আঁচল।
ভগবান হয়ে এলি, কেন রে তোর মানব সংসার হবে!
অনেক আকাশের উপর অনেক বাড়ি।
পাঠশালায় রোজ শেখানো হয় মানুষের চেয়ে বড় কিছু আছে --- মানসিকতা।
অন্ধকারকে আলো বলা যেতে পারে যদি আলোর কোন নিজস্ব পথ না থাকে।
বেদনার সাগর পাড়ি দিলে মানুষ কোলে তুলে নেয়, বেদনার সাগর পাড়ি দিতে হয় নিজেকেই।
আমাদের দুঃখের মতো আমাদের পাশে থাকে আমাদের বোন।
এক ছাতার নিচে জীবন পাড়ি দিব বলে অনেক বৃষ্টির কথা ভুলে গেছি।
তোমাকে স্পর্শ করিনি তাই এখনো ইতিহাস দেখা হয়নি।
আমার আকাশে রোজ শাদা মেঘ উড়ে যায়-- না হতে পারি মেঘ না হতে পারি জীবন।
জলের ভেতর জেলখানা
মানুষ আজব কারখানা।
কয়েদী বন্দী করে কয়েদীকে,আর আমরা সিনেমা দেখি রোজ রাতে, অন্ধকারে।
আমার মাথায় রোদের মৃত্যু হয়, কারন তুমি ছায়া রচনা করে যাও রোদের দিনে।
আমাকে বুঝতে কারো লাগে এক জীবন, কারো লাগে অনেক জীবন, কারো আবার কোন জীবনেই হয় না।
তোমার জয় দেখে আমার জয় তোমার শৈশব হয়ে যায়।
পৃথিবী নাচে কখনো জেনে, অধিক সময় না জেনে।
অনেক কান্নার পর একটি সবুজ মাঠ মানুষের চোখে নামে।
তুমি বন্ধু নদী নৌকা আমি তোমার ঢেউ।
ইতিহাস সাহসের অভাবে কাক হয়ে যায়।
সাঁতার না জেনেও তোমার জলে মৃত্যুর মতো ভাসি।
এখানে জীবন এসে সময়কে ধমক দিতে থাকে
তোমার চোখ জন্মের আগের কথা জমা রাখে।
লাজুক লতা অল্প অল্প কল্প কথা
লাজুক লতা তোমার চোখে প্রেমের দেখা।
পৃথিবী এক অক্টোপাস সরলরৈখিক বিনোদন।
বাঁধ দিলে বলে
কেউ হলো জেলে
কেউ হলো মাছ।
আশায় আলোয় পথ চলে বীরের মন।
চোখের দৃষ্টি অনেক আগে মানুষের ঘরবাড়ি।
দারুন সূর্যের মতো আজকের শিশু বাজারে যাবে।
মানুষ আইন মান্য করে আইন মানুষকে মান্য করে বলে।
অপেক্ষা করতে শিখে গেছি বন্ধু রোদ তোমাকে হতেই হবে।
আলোর পেছনে অনেক আশা থাকে, তাই পথে রেখো চোখ, সময় আসবে।
আলোকে ভালো বলতে মন লাগে, ভালো বলতে শিখে গেলে দুরন্বয় ভোগান্তি থাকে না, রাখে না।
অনেক কথা নেশার দেশের জন্য জমা রাখে সময়।
আকাশচুরি করে পাখিও ঘরে ফিরে--তারার কোন দোষ নেই মেঘের দেশে।
আমার চোখেও বৃষ্টি নামে বন্ধু।
পাহাড় দেখা হয়ে গেলে মানুষের একটা পুরাতন ফাইল ঘাটিতে হয়।
অনেক যাতনার পরও তুমি কিছু বলবে বলে ছাতা বদল করে বৃষ্টির কাছে হাত রাখি।
একদিন জানালা বেয়ে জোছনা নামবে।
ত্যাগের আকাশ কেবলই বড় হতে থাকে।
আমার চোখ জেনে গেছে ব্যথার অবদান।
কষ্টের কাছে কিছু ব্যথা ছিল বন্ধু, বৃষ্টি হলে আমি ভিজবো।
একটা হাত কয়েকটি চুড়ির শব্দ জানে স্বপ্নের জাল রোদের তাপে কেন ভেঙ্গে যায় বহুবার।
একটি ছাতার জন্য আমি একটি বিপ্লব করবো জেনে রেখো।
দুঃখ জানে না আমার সাধনা তার চেয়েও অনেক বড়।
হাসতে হাসতে কান্নার বাড়ি যাবো।
আড়ালে অনেক ছায়া হারিয়ে যায় গোপনে।
গোপনে গোপনে চাষাবাদ করে চাষা --- অনেক অজানা অনেক অজানা।
চাকরি জানে না মনের রাজ্যের খবর।
খুলে রেখেছি প্রান আরও আরও প্রান চাই।
দেখা হবে তার সাথে কোন এক অদেখার বাজারে।
জোয়ারের হাসি ভাটায় মিলিয়ে যায়।
জল যদি এনেই দিলে বিষ কেন আয়োজন করে খাওয়ালে।
নীরবে কেন ট্রেনের বিষাদ।
আমি কি বলে দেবো তোমার চোখে কেন আমারই মতো আগুন নামে খুব সকালে?
রোদ আসবে বলে বৃষ্টি নিয়ে বসে আছি অনেক দিন ধরে।
প্রকৃতির কাছে একবার একবার করে বারমুখি হতে গিয়ে দেখি চোখ মেলে বসে আছে আমার সন্ন্যাসব্রত মনা।
তবুও ইচ্ছে জাগে খুব
মনের দেশে মাঝি হয়ে দূরে রাখি সুখ।
তাইতো এখন সকাল হবে
তাইতো পাতায় গল্প রবে।
এবং বলে অবশ্যই কিছু একটা থাকে।
দরিয়ার দরিদ্র মায়ের আঁচল।
ভগবান হয়ে এলি, কেন রে তোর মানব সংসার হবে!
অনেক আকাশের উপর অনেক বাড়ি।
পাঠশালায় রোজ শেখানো হয় মানুষের চেয়ে বড় কিছু আছে --- মানসিকতা।
বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭
ডেডিকেশন
রোদ কাদা বৃষ্টি অতিক্রম করে যারা স্কুলে যেতো তারাই স্কুল হয়ে ওঠেছে। তালা যেমন চাবি চায় তেমনি পৃথিবী আপনার কাছে চায় ডেডিকেশন। ডেডিকেশনের অভাবে অনেক মেধা প্রতিভা প্রজ্ঞা কবরের ঘাস হয়ে গ্যাছে, আর একমাত্র ডেডিকেশনের অবদানে অনেকে হয়ে গ্যাছে পাথরের ফুল।
সাপ
সাপ একবার বলল তোমরা আপেল খাও, তারপর থেকে তারা বারবার আপেল খেতে লাগলো। আপেল খাওয়ার কারনে পৃথিবী নামক দ্বীপে তাদেরকে নির্বাসন দেয়া হলো। তবুও তারা আপেল খাবে।
জান্নাতে যেমন সাপ ছিল পৃথিবীতেও সাপ আছে। তবে পৃথিবীতে সাপ এসে ব্যবসায়ী হয়ে গ্যাছে-- মাছ ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী, শিক্ষা ব্যবসায়ী, গান ব্যবসায়ী, ধর্ম ব্যবসায়ী, কর্ম ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী।
জান্নাতে যেমন সাপ ছিল পৃথিবীতেও সাপ আছে। তবে পৃথিবীতে সাপ এসে ব্যবসায়ী হয়ে গ্যাছে-- মাছ ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী, শিক্ষা ব্যবসায়ী, গান ব্যবসায়ী, ধর্ম ব্যবসায়ী, কর্ম ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী।
বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭
মেঘের খেলা
যেদিন দেখবে আকাশে কোনো মেঘের খেলা নেই সেইদিন মানুষের দলে আমাকে খুঁজে পাবে
মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭
রূপকথার বাড়ি
মেঘধর সত্য
জীবনের নিচে অনেক মিথ্যা শাপলা ফুলের মতো চোখ মেলে আকাশে, টঙ্গী ফেনের কথা আমরা ভুলতে পারি না, ইতিহাস এমন, ইতিহাস তেমন, ইতিহাস তাহাদের কালো ছায়া।
মেঘধর মিথ্যা
অনেক আলো এসে গাছের নিচে নীরব হয়ে দাঁড়ায়, স্বদেশি কবিতা আবৃত্তি করে জাতীয় চেতনায়, অনেক হুজুরের পাগড়ি তখন মাটির নিচের ট্যাবলয়েড হাতিয়ার হয়ে যায়।
মেঘধর সত্য মিথ্যা
নারী মানে প্রকৃতির খুব কাছের কোনো পারফিউম অভিধান, ভালোবেসে খুন করে তারা, ভালো না বেসে অনায়াসে করে জীবনদান, নারী মানে মানুষের রহস্যময় নৌকা জীবনের কালকেতু অভিধান
জীবনের নিচে অনেক মিথ্যা শাপলা ফুলের মতো চোখ মেলে আকাশে, টঙ্গী ফেনের কথা আমরা ভুলতে পারি না, ইতিহাস এমন, ইতিহাস তেমন, ইতিহাস তাহাদের কালো ছায়া।
মেঘধর মিথ্যা
অনেক আলো এসে গাছের নিচে নীরব হয়ে দাঁড়ায়, স্বদেশি কবিতা আবৃত্তি করে জাতীয় চেতনায়, অনেক হুজুরের পাগড়ি তখন মাটির নিচের ট্যাবলয়েড হাতিয়ার হয়ে যায়।
মেঘধর সত্য মিথ্যা
নারী মানে প্রকৃতির খুব কাছের কোনো পারফিউম অভিধান, ভালোবেসে খুন করে তারা, ভালো না বেসে অনায়াসে করে জীবনদান, নারী মানে মানুষের রহস্যময় নৌকা জীবনের কালকেতু অভিধান
প্রেম হয়ে গেলাম
ভালোবাসা অন্ধ হয়ে গেলে
প্রেম এসে আলো দেয় মনে
ভালোবাসা মারা গেল
আমরা মরে গেলাম
বেঁচে গেল আমাদের প্রেম
প্রেম এসে আলো দেয় মনে
ভালোবাসা মারা গেল
আমরা মরে গেলাম
বেঁচে গেল আমাদের প্রেম
সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭
অনেক হারানো গল্পের মতন গল্প
তোমার শরীরে আবার জন্মেছে তরুলতা পশু পাখি ফুল, আবার আমি রাখাল হবো, আবার করবো ভুল
এক ভুলে জীবন গেলে অহংকার কোথায় মানব জীবনে
ভুলে ভুলে জীবন যাবে ভুলে ভুলে জীবন
বৃষ্টি আসবে
ভেজাবে আমাকে তোমাকে
বৃষ্টি আসবে
লুকাব আমি তোমাতে
অনেক রোদের মতন আমিও মিশে যাবে তোমার রক্তধারায়, ফুটপাত ধরে মানুষ হেঁটে চলে আজন্ম কাল।
মানুষ। মানুষ এক বানানো কল্পকাল।
মানুষের ঘর নেই তবুও মানুষ ঘর বানায়
মানুষের কোনো সংবিধান নেই তবুও তারা চায় আইনের শাষন, হরিপদ কালারের টিয়াসুখ মানুষ খুঁজে ধর্মের মতন।
আমি খুঁজে মরি তোমাকে একবার, বারবার-- ফেইসবুক বাতাসে ইথারে ইথারে চোখের ভেতর মনের কথায়-- তুমি নাই তুমি নাই, আবার তোমাকে পাই বিবাহিত তরুলতা ফুলে আষাঢ়ের ঘরে ঘরে পাতায় পাতায়।
আমি একবার তোমাকে চাই, চাই বারবার, অনেক হারানো গল্পের পরও তুমি আমার।
এক ভুলে জীবন গেলে অহংকার কোথায় মানব জীবনে
ভুলে ভুলে জীবন যাবে ভুলে ভুলে জীবন
বৃষ্টি আসবে
ভেজাবে আমাকে তোমাকে
বৃষ্টি আসবে
লুকাব আমি তোমাতে
অনেক রোদের মতন আমিও মিশে যাবে তোমার রক্তধারায়, ফুটপাত ধরে মানুষ হেঁটে চলে আজন্ম কাল।
মানুষ। মানুষ এক বানানো কল্পকাল।
মানুষের ঘর নেই তবুও মানুষ ঘর বানায়
মানুষের কোনো সংবিধান নেই তবুও তারা চায় আইনের শাষন, হরিপদ কালারের টিয়াসুখ মানুষ খুঁজে ধর্মের মতন।
আমি খুঁজে মরি তোমাকে একবার, বারবার-- ফেইসবুক বাতাসে ইথারে ইথারে চোখের ভেতর মনের কথায়-- তুমি নাই তুমি নাই, আবার তোমাকে পাই বিবাহিত তরুলতা ফুলে আষাঢ়ের ঘরে ঘরে পাতায় পাতায়।
আমি একবার তোমাকে চাই, চাই বারবার, অনেক হারানো গল্পের পরও তুমি আমার।
রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭
রেগে গেলে
রেগে গেলে কেউ কেউ চুল ঠিক করে বার বার অথচ ভুলকে ঠিক করে না একবার
আগুন লাগে
আপনার শরীরে আগুন লাগেনি, সুতরাং আপনার বিশ্বাস করার দরকার নেই ঘরে আগুন লেগেছে, আপনি বিশ্বাস না করলেও এ কথা সত্য যে ঘরে আগুন লেগেছে। ঘুম থেকে ওঠে দেখবেন আপনার শরীরেও আগুন লেগেছে কিন্তু তখন বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস আস্থা অথবা আস্থাহীনতা কোনো কাজে আসবে না।
শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭
মাটির মানুষের মতো জয়
কোন কবি যে বলেছিল পরাজিত হয়ে তোমার কাছে এসেছি। আমি জয়ী হয়ে তোমার কাছে যেতে চাই। জয়ী মানে বিশাল কোনো চকচকে মিহি মোম হয়ে কিংবা জমির মালিক হয়ে নয়। জমির মালিক আমার পক্ষে হওয়া সম্ভব না।
জমির মালিক জনগন। জনগনও জমির মালিক নয়, জমির ব্যবহারকারী মাত্র।
কোনো ব্যক্তি কোনো জমির মালিক হতে পারে না। যারা পারে তারা অনেক কিছুই পারে-- ফুলের বাগানে ভুলের চাষ করতে পারে, ফলের বাগানে বিষের চাষ করতে পারে, গরীবের পেটে শিক্ষিত সেজে লাত্তি মারতে মারে, আকাশের মালিক হতে পারে, বাতাসের মালিক হতে পারে। তারা পারে এবং পারে। আমি অনেক কিছুই পারি না এবং পারি না। আমি পারি কেবল জয়ী হতে। জয়ী বলতে মাটির মানুষ....
মাটির মানুষ হয়ে তোমার কাছে যাবো
অমল হয়ে তোমার কাছে যাবো
ফেরারী ফৌজ হয়ে তোমার কাছে যাবো
মেঘে ঢাকা তারা হয়ে তোমার কাছে যাবো
টিনের তলোয়ার হয়ে তোমার কাছে যাবো
সব্যসাচী হয়ে তোমার কাছে যাবো
এখন আমার জন্য কোনো জয় নেই। এখন আমার জন্য কোনো পরাজয়ও নেই। এখন আমার জন্য আমি জানি তুমি নেই।
একসময় তুমি ছিলে-- আমার জন্য জয় ছিল, আমার জন্য পরাজয় ছিল।
এখন আমার জন্য আছে বকুল ফুল, শাপলা ফুল, কদম ফুল, রাতফুল, পথফুল
জমির মালিক জনগন। জনগনও জমির মালিক নয়, জমির ব্যবহারকারী মাত্র।
কোনো ব্যক্তি কোনো জমির মালিক হতে পারে না। যারা পারে তারা অনেক কিছুই পারে-- ফুলের বাগানে ভুলের চাষ করতে পারে, ফলের বাগানে বিষের চাষ করতে পারে, গরীবের পেটে শিক্ষিত সেজে লাত্তি মারতে মারে, আকাশের মালিক হতে পারে, বাতাসের মালিক হতে পারে। তারা পারে এবং পারে। আমি অনেক কিছুই পারি না এবং পারি না। আমি পারি কেবল জয়ী হতে। জয়ী বলতে মাটির মানুষ....
মাটির মানুষ হয়ে তোমার কাছে যাবো
অমল হয়ে তোমার কাছে যাবো
ফেরারী ফৌজ হয়ে তোমার কাছে যাবো
মেঘে ঢাকা তারা হয়ে তোমার কাছে যাবো
টিনের তলোয়ার হয়ে তোমার কাছে যাবো
সব্যসাচী হয়ে তোমার কাছে যাবো
এখন আমার জন্য কোনো জয় নেই। এখন আমার জন্য কোনো পরাজয়ও নেই। এখন আমার জন্য আমি জানি তুমি নেই।
একসময় তুমি ছিলে-- আমার জন্য জয় ছিল, আমার জন্য পরাজয় ছিল।
এখন আমার জন্য আছে বকুল ফুল, শাপলা ফুল, কদম ফুল, রাতফুল, পথফুল
প্রান
প্রানের মানুষের সাথে থাকলে প্রান চার্জ হয়
একা এক অসুখের নাম
আমাদের বাড়ির দক্ষিনে ডোবা। আমাদের বাড়ির দক্ষিনে সবুজ আর সবুজ। সবুজে রাতে ডাহুক ডাকে। দিনে সেই ডাহুকই আবার খেলা করে বাচ্চা নিয়ে।
দক্ষিনে বসে সবুজ দেখা যায়, ডাহুক দেখা যায়, অনেক বছরের পুরাতন এক কাঁটাগাছ দেখা যায়, দেখা যায় না দূরের সেই গ্রামটিকে।
গ্রামটি আমার শৈশবের প্রশ্ন গল্প কৌতূহল। মনে মনে গ্রামটিতে হাঁটাচলা করে আসি, আমার পায়ে তাতেই সন্ধ্যা নামে। রাত করে বাড়ি ফিরি। মনে মনে। সেই গ্রামে মানুষ থাকে, না ভূত থাকে তাও জানতাম না। জানতে পারবো বলে আশাও করিনি। গ্রামটি তাই আমার কাছে একধরনের আলিফ লায়লা সিরিয়াল-- দেখে দেখে দেখার বাসনা বাড়ে।
সেই দূরের গ্রামের পরপারেও আমাদের জমি ছিল। আব্বা গ্রামটি পার করে প্রায় নিজের জমি দেখতে যেতো। আব্বাকে নিয়ে আমার টেনশনের শেষ ছিল না। কারন ভূত যদি আব্বাকে কিছু করে।
আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম। গ্রামের ছায়াটিও আমার চোখের সামনে ছোট হয়ে আসতে লাগলো।এখন আর ব্লার করা সেই ছায়া দেখি না, গ্রামটিই কেবল দেখি, গ্রামের ভেতর মানুষের হাঁটাচলা পর্যন্ত দেখি।
এখন আমি অনেক বড়। আর গ্রামটি? গ্রামটি আমার কাছে অনেক ছোট।
ছোট চোখ দিয়ে ডাহুককে যেমন দেখতাম এমনই দেখি, সবুজকে যেমন দেখতাম তেমনি দেখি, একা দাঁড়িয়ে থাকা কাঁটাগাছটিকে এখনো দেখি একা।অনেক অদেখা আস্তে আস্তে দেখা হয়ে যায়, অনেক দেখা কেমন যেন অদেখা থেকে যায়। অনেক অদেখা আবার ভাঁজ করে রাখলে ডোবার পাশের কাঁটাগাছটি হয়ে যায় যে অনেক তেজ নিয়েও বড় বেশি একা।
একা
একা
একা
একা এক অসুখের নাম
দক্ষিনে বসে সবুজ দেখা যায়, ডাহুক দেখা যায়, অনেক বছরের পুরাতন এক কাঁটাগাছ দেখা যায়, দেখা যায় না দূরের সেই গ্রামটিকে।
গ্রামটি আমার শৈশবের প্রশ্ন গল্প কৌতূহল। মনে মনে গ্রামটিতে হাঁটাচলা করে আসি, আমার পায়ে তাতেই সন্ধ্যা নামে। রাত করে বাড়ি ফিরি। মনে মনে। সেই গ্রামে মানুষ থাকে, না ভূত থাকে তাও জানতাম না। জানতে পারবো বলে আশাও করিনি। গ্রামটি তাই আমার কাছে একধরনের আলিফ লায়লা সিরিয়াল-- দেখে দেখে দেখার বাসনা বাড়ে।
সেই দূরের গ্রামের পরপারেও আমাদের জমি ছিল। আব্বা গ্রামটি পার করে প্রায় নিজের জমি দেখতে যেতো। আব্বাকে নিয়ে আমার টেনশনের শেষ ছিল না। কারন ভূত যদি আব্বাকে কিছু করে।
আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম। গ্রামের ছায়াটিও আমার চোখের সামনে ছোট হয়ে আসতে লাগলো।এখন আর ব্লার করা সেই ছায়া দেখি না, গ্রামটিই কেবল দেখি, গ্রামের ভেতর মানুষের হাঁটাচলা পর্যন্ত দেখি।
এখন আমি অনেক বড়। আর গ্রামটি? গ্রামটি আমার কাছে অনেক ছোট।
ছোট চোখ দিয়ে ডাহুককে যেমন দেখতাম এমনই দেখি, সবুজকে যেমন দেখতাম তেমনি দেখি, একা দাঁড়িয়ে থাকা কাঁটাগাছটিকে এখনো দেখি একা।অনেক অদেখা আস্তে আস্তে দেখা হয়ে যায়, অনেক দেখা কেমন যেন অদেখা থেকে যায়। অনেক অদেখা আবার ভাঁজ করে রাখলে ডোবার পাশের কাঁটাগাছটি হয়ে যায় যে অনেক তেজ নিয়েও বড় বেশি একা।
একা
একা
একা
একা এক অসুখের নাম
শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭
মাধ্যমিক সুখ
মাধ্যমিক সুখে কেটে যায় বাংলাদেশের দিন
বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭
পথ চলে না পথে
পথ চলে যায় এদিক সেদিক
পথ চলে যায় সেদিক এদিক
পথ চলে যায় গয়া কাশী
পথ মেনে নেয় কান্না হাসি
পথ চলে যায় সচিবালয়
পথ চিনে নেয় ভোগের বলয়
পথ চলে যায় মসজিদে
পথ চলে যায় মন্দিরে
পথ চলে যায় শাহাবাগ
উতাল পাতাল চিচিংফাক
কারো পথ কারো পথ ধার্মিক কার্ল মার্ক্স
মাওবাদী চাওবাদী
মানববাদী নারীবাদী
দোকানবাদী দর্জিবাদী
বিষপোকা বিষপোকা
মানুষ মারার যন্ত্রগাড়ি
পথ চলে না পথে
পথ চলে যায় বিধানসভার বানানো এজলাসে
পথ চলে না পথে
পথ চলে যায় হুজুর ইমাম পুরোহিতের মতে
পথ চলে না পথে
সঠিক পথে রোজ রাতে অন্ধ গাড়ি চলে
জানালার ফাঁকে তবুও আশার আলো আসে
পথ চলে যায় সেদিক এদিক
পথ চলে যায় গয়া কাশী
পথ মেনে নেয় কান্না হাসি
পথ চলে যায় সচিবালয়
পথ চিনে নেয় ভোগের বলয়
পথ চলে যায় মসজিদে
পথ চলে যায় মন্দিরে
পথ চলে যায় শাহাবাগ
উতাল পাতাল চিচিংফাক
কারো পথ কারো পথ ধার্মিক কার্ল মার্ক্স
মাওবাদী চাওবাদী
মানববাদী নারীবাদী
দোকানবাদী দর্জিবাদী
বিষপোকা বিষপোকা
মানুষ মারার যন্ত্রগাড়ি
পথ চলে না পথে
পথ চলে যায় বিধানসভার বানানো এজলাসে
পথ চলে না পথে
পথ চলে যায় হুজুর ইমাম পুরোহিতের মতে
পথ চলে না পথে
সঠিক পথে রোজ রাতে অন্ধ গাড়ি চলে
জানালার ফাঁকে তবুও আশার আলো আসে
লাল হবে
ভালোবাসায় তোমাকে হত্যা করেছি বলে আজকের সূর্যটি লাল, ভালোবেসে আবার তোমাকে হত্যা করবো বলে আগামীকালও সূর্যটি লাল হবে
প্রতিবাদ
ইটের ভাঁজে ভাঁজে আমি প্রতিবাদ রেখে যাবো, অট্টালিকা আরও আরও বড় করতে থাকুন, আপনাদের বিলাসীতা আপনাদেরকে ঘরছাড়া করবে
বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭
ডাকঘরে
বাতাসে তোমার নামে চিঠি যাবে, মনের ডাকঘরে একবার খোঁজ নিও
মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭
সন্তান তোমহার
রানী হওয়ার বালিয়ার্ড শখ নারীর এই বাংলার
প্রেমিকার যৌথ জাগানিয়া সুখ হতে চায়নি নারী এই বাংলার
নারী ভুলে যায় তারে
নারী ভুলে তার আপন কপাল
নারীর কপালের কালো টিপ রুপান্তর হয়ে আজ উদ্যানের সবুজ পাতা
তার হাসি থেকে রঙধনুর সাত রঙ বর্নে গন্ধে বর্নিল
রাজা আমি নই তোমার আকাশের নিচে
তোমার রাজা হবে এমন যোগ্যতা কার আছে বলো
একবার গনিত করা হয়ে গেলে সাদা কাগজে দেখা দেয় লাল ফুলের ভয়ঙ্কর সুন্দর মুখ, ঘ্রান নিতে গিয়ে মৃত্যু রচনা করে পুরুষ
আমার মতো নয় পুরুষ
তোমার মতো নয় নারী
তুমি আমার মতো আরেকটি আমি
আমি তোমার মতো আরেকটি তুমি
গ্যাসের মতো হালকা হয়ে এলে চোখে দেখা দেয় অনেক জন্মের মার্বেল গতি
খুব সহজ
খুব সরল
খুব মোলায়েম
পাহাড় পর্বত আকাশ সমতল নিয়ে আজকের তুমি এক নবাগত পৃথিবী
আজকের নারী তুমি-- দূরে দেখা যায় ব্যর্থ রাখালের ছায়া
তোমাকে মহলে রাখে এমন অবৈধ পুরুষ ন দেখি আর
দেখিবে না আর সন্তান তোমহার
প্রেমিকার যৌথ জাগানিয়া সুখ হতে চায়নি নারী এই বাংলার
নারী ভুলে যায় তারে
নারী ভুলে তার আপন কপাল
নারীর কপালের কালো টিপ রুপান্তর হয়ে আজ উদ্যানের সবুজ পাতা
তার হাসি থেকে রঙধনুর সাত রঙ বর্নে গন্ধে বর্নিল
রাজা আমি নই তোমার আকাশের নিচে
তোমার রাজা হবে এমন যোগ্যতা কার আছে বলো
একবার গনিত করা হয়ে গেলে সাদা কাগজে দেখা দেয় লাল ফুলের ভয়ঙ্কর সুন্দর মুখ, ঘ্রান নিতে গিয়ে মৃত্যু রচনা করে পুরুষ
আমার মতো নয় পুরুষ
তোমার মতো নয় নারী
তুমি আমার মতো আরেকটি আমি
আমি তোমার মতো আরেকটি তুমি
গ্যাসের মতো হালকা হয়ে এলে চোখে দেখা দেয় অনেক জন্মের মার্বেল গতি
খুব সহজ
খুব সরল
খুব মোলায়েম
পাহাড় পর্বত আকাশ সমতল নিয়ে আজকের তুমি এক নবাগত পৃথিবী
আজকের নারী তুমি-- দূরে দেখা যায় ব্যর্থ রাখালের ছায়া
তোমাকে মহলে রাখে এমন অবৈধ পুরুষ ন দেখি আর
দেখিবে না আর সন্তান তোমহার
সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭
পাগলা ঘন্টা
রাত। নয়টা বিশ। ঘন্টা বাজে ঢং ঢং।
রাত। নয়টা ত্রিশ। ঘন্টা বাজে ঢং ঢং ঢং ঢং। পাগলা ঘন্টা-- হলে কিন্তু ঢুকতেই হবে।
এটা একটা উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের চিত্র।
নয়টা ত্রিশের মধ্যে ছেলেদেরকে হলের ভেতর ঢুকে যেতে হয়। কারন রাতের অন্ধকারে কিছু মাংসাশী প্রানী নেমে আসে পৃথিবীতে। মাংসাশী প্রানীরা পুরুষ ধরে ধরে খায়। প্রানীরা আবার নারী খায় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্তৃপক্ষ ছেলেদের বিশেষ ভালোবাসা দিয়ে অন্ধকারকালীন সময়টা খাঁচায় বন্দী করে রাখে।
ছেলেরা সারারাত খাঁচায় ছটফট করে। রাত মানেই তাদের কাছে এক অভিশাপের নাম। তাদের প্রেমিকারা চাঁদনী রাতে জোছনা মেখে নদীতে সেলফি তুলে, লং ড্রাইভে বের হয়। আর তারা ইমোতে ইনবক্সে সুখ ভাগাভাগি করে। মানেটা কী জানেন তো!? প্রেমিকারা আপেল খায় আর প্রেমিক আপেলের গল্প শুনে।
সকাল হলে খাঁচা খুলে দেয়া হয়। ছেলেদের বন্দীশালার রেশ কাটতে কাটতে দুপুর হয়ে যায়, দুপুরের পর বন্দীশালায় ঢুকতে হবে এই ভাবনা ভাবতে ভাবতে নয়টা বেজে যায়, নয়টা ত্রিশ বেজে যায়।
তখন ঘন্টা বাজে ঢং ঢং ঢং ঢং। পাগলা ঘন্টা।
রাত। নয়টা ত্রিশ। ঘন্টা বাজে ঢং ঢং ঢং ঢং। পাগলা ঘন্টা-- হলে কিন্তু ঢুকতেই হবে।
এটা একটা উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের চিত্র।
নয়টা ত্রিশের মধ্যে ছেলেদেরকে হলের ভেতর ঢুকে যেতে হয়। কারন রাতের অন্ধকারে কিছু মাংসাশী প্রানী নেমে আসে পৃথিবীতে। মাংসাশী প্রানীরা পুরুষ ধরে ধরে খায়। প্রানীরা আবার নারী খায় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্তৃপক্ষ ছেলেদের বিশেষ ভালোবাসা দিয়ে অন্ধকারকালীন সময়টা খাঁচায় বন্দী করে রাখে।
ছেলেরা সারারাত খাঁচায় ছটফট করে। রাত মানেই তাদের কাছে এক অভিশাপের নাম। তাদের প্রেমিকারা চাঁদনী রাতে জোছনা মেখে নদীতে সেলফি তুলে, লং ড্রাইভে বের হয়। আর তারা ইমোতে ইনবক্সে সুখ ভাগাভাগি করে। মানেটা কী জানেন তো!? প্রেমিকারা আপেল খায় আর প্রেমিক আপেলের গল্প শুনে।
সকাল হলে খাঁচা খুলে দেয়া হয়। ছেলেদের বন্দীশালার রেশ কাটতে কাটতে দুপুর হয়ে যায়, দুপুরের পর বন্দীশালায় ঢুকতে হবে এই ভাবনা ভাবতে ভাবতে নয়টা বেজে যায়, নয়টা ত্রিশ বেজে যায়।
তখন ঘন্টা বাজে ঢং ঢং ঢং ঢং। পাগলা ঘন্টা।
রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭
.✔
আকাশ কিনতে কিনতে জমিনে আজ শোকের মিছিল
শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭
আবুল কালাম আজাদ
আজাদ। আজাদ নামে এক ছেলে। ছেলেটি এক গরীব পরিবারে জন্মগ্রহন করে। গরীবের মনেও শখ জাগে। অনেক দিনের পয়সা জমানো আয়ে একটি ময়না পাখি কিনে আনে আজাদ।
অনেক আদুর করে সে ময়নাটিকে। রাতদিন তার মনোযোগ বেঁচে থাকে ময়নাটি ঘিরে। সহজ মনের সরল আদুর নিতে পারেনি ময়না। ময়নাটিকেও বিশেষ কোনো দোষ দেয়া যায় না। কারন এতো হৃদয়ভর্তি আদুর গ্রহনে জন্য প্রস্তুত ছিল না ময়নাটি। আজাদ যতই আদুর করে ততই তিরিং বিরিং করে ময়না। তারপরও ময়নার তিরিং বিরিং মেনে নেয় আজাদ। কারন আজাদ ময়নাটিকে সত্যিই ফিল করে।
এক সময় ময়নাটি আজাদকে হায়চিল ইনজেকশন দিয়ে স্রোতের বরফে শরীর ঢাকা দেয়।
বৃষ্টি, একটানা বৃষ্টি নামে আজাদের চোখে। বৃষ্টিও থেমে যাওয়ার নিয়তি নিয়ে জন্মায়। থেমে যায়।
আজাদ এখন অনেক বড় মানুষ। আজাদ এখন আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম এখন তাঁর বাড়ির সামনে দুটি মাতৃগাছ রোপন করেছে। এখন অনেক পাখি দিনরাত আজাদের বাড়ির সামনে কিচিরমিচির করে।
পাখিদের গান শুনে তিনি ঘুমাতে যান, পাখিদের গান শুনে তাঁর ঘুম ভাঙে, বহু বিচিত্র রঙের পাখি
অনেক আদুর করে সে ময়নাটিকে। রাতদিন তার মনোযোগ বেঁচে থাকে ময়নাটি ঘিরে। সহজ মনের সরল আদুর নিতে পারেনি ময়না। ময়নাটিকেও বিশেষ কোনো দোষ দেয়া যায় না। কারন এতো হৃদয়ভর্তি আদুর গ্রহনে জন্য প্রস্তুত ছিল না ময়নাটি। আজাদ যতই আদুর করে ততই তিরিং বিরিং করে ময়না। তারপরও ময়নার তিরিং বিরিং মেনে নেয় আজাদ। কারন আজাদ ময়নাটিকে সত্যিই ফিল করে।
এক সময় ময়নাটি আজাদকে হায়চিল ইনজেকশন দিয়ে স্রোতের বরফে শরীর ঢাকা দেয়।
বৃষ্টি, একটানা বৃষ্টি নামে আজাদের চোখে। বৃষ্টিও থেমে যাওয়ার নিয়তি নিয়ে জন্মায়। থেমে যায়।
আজাদ এখন অনেক বড় মানুষ। আজাদ এখন আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম এখন তাঁর বাড়ির সামনে দুটি মাতৃগাছ রোপন করেছে। এখন অনেক পাখি দিনরাত আজাদের বাড়ির সামনে কিচিরমিচির করে।
পাখিদের গান শুনে তিনি ঘুমাতে যান, পাখিদের গান শুনে তাঁর ঘুম ভাঙে, বহু বিচিত্র রঙের পাখি
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)