সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

পাগলা ঘন্টা

রাত। নয়টা বিশ। ঘন্টা বাজে ঢং ঢং।
রাত। নয়টা ত্রিশ। ঘন্টা বাজে ঢং ঢং ঢং ঢং। পাগলা ঘন্টা-- হলে কিন্তু ঢুকতেই হবে।

এটা একটা উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের চিত্র।

নয়টা ত্রিশের মধ্যে ছেলেদেরকে হলের ভেতর ঢুকে যেতে হয়। কারন রাতের অন্ধকারে কিছু মাংসাশী প্রানী নেমে আসে পৃথিবীতে। মাংসাশী প্রানীরা পুরুষ ধরে ধরে খায়। প্রানীরা আবার নারী খায় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্তৃপক্ষ ছেলেদের বিশেষ ভালোবাসা দিয়ে অন্ধকারকালীন সময়টা খাঁচায় বন্দী করে রাখে।

ছেলেরা সারারাত খাঁচায় ছটফট করে। রাত মানেই তাদের কাছে এক অভিশাপের নাম। তাদের প্রেমিকারা চাঁদনী রাতে জোছনা মেখে নদীতে সেলফি তুলে, লং ড্রাইভে বের হয়। আর তারা ইমোতে ইনবক্সে সুখ ভাগাভাগি করে। মানেটা কী জানেন তো!? প্রেমিকারা আপেল খায় আর প্রেমিক আপেলের গল্প শুনে।

সকাল হলে খাঁচা খুলে দেয়া হয়। ছেলেদের বন্দীশালার রেশ কাটতে কাটতে দুপুর হয়ে যায়, দুপুরের পর বন্দীশালায় ঢুকতে হবে এই ভাবনা ভাবতে ভাবতে নয়টা বেজে যায়, নয়টা ত্রিশ বেজে যায়।

তখন ঘন্টা বাজে ঢং ঢং ঢং ঢং। পাগলা ঘন্টা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন