ইছামতি,
এই মুহূর্তে তুমি কী করছো?
আমি?
আমি আমার দিকে তাকিয়ে আছি। যতবার আমার দিকে তাকাই ততবার তোমার কথা মনে পড়ে। মানুষ শব্দটি আজকাল অ্যাবস্ট্রাক্ট মনে হয়। অথবা মানুষ একটা পুতুল যে নাচে যখন নাচানো হয়। কে নাচায় তা আমি জানি না। আবার এইও মনে হয়, যে পুতুল নাচে সে তো কোনোদিন বলতে পারে না যে সে নাচে কিংবা তাকে নাচানো হচ্ছে। আমি কেন বলতে পারি?
পৃথিবীর অনেকগুলো বছর অতিক্রম করে ফেললাম। আজও বুঝলাম না আমার পৃথিবীর মানে কী! খেলে বেঁচে থাকি না খেলে মারা যাই।খাওয়ার অভিধানে আমরা মানুষ। কী নিষ্ঠুর আমাদের অভিধান! আমার খাওয়া মানে তো অন্য কারো মৃত্যু, তাই না?
জানো ইছামতি, মাংস জাতীয় খাবার খেতে আমার কেমন যেন অস্বস্তি লাগে,আবার ভাবি সবজিও তো একপ্রকার মাংস। কিছু না খেয়ে যদি বেঁচে থাকতে পারতাম তাহলে নিজেকে অন্য প্রানির চেয়ে আলাদা মনে করতে পারতাম। একটি বাঘ শিকারে বের হয় আমিও বের হই, বাঘের কোনো ব্যাংক নেই আমার ব্যাংক আছে অর্থাৎ আমি ভোগের জায়গায় শক্তিশালী, অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক বেশি নিশ্চয়তার দরকার হয় আমার। আমাদের গুদামঘরে প্রতিদিন জমা পড়ে টন টন নিষ্ঠুরতা। প্রয়োজনের বাইরে আমরা নিষ্ঠুর হতে পারি বিধায় আমরা মানুষ, অনেকে বলে আশরাফুল মাখলুকাত!
ইছামতি,
তোমাকেও আজকাল অনেক বেশি নিষ্ঠুর মনে হয়। প্রেমের চোখ যে নেগেটিভ কিছু দেখার ক্ষমতা রাখে না তা ত তুমি ভালো করেই জানো। তোমার জানার আর মানার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক আমার চেয়ে অন্তত ভালো কেউ জানে না। অনেক কিছু জেনে কিছু হয় না, পথবিভ্রম তৈরি হয় মাত্র। একটা নিমগাছ দেখছি বোকার মতো নির্বাক দাঁড়িয়ে থেকে অক্সিজেন বিতরন করে যাচ্ছে। পৃথিবী মানুষকে বোকা হতে দেয় না। মানুষের কাছে বোকার চেয়ে বক্র শব্দটি অনেক দামি। যা কিছু দামি তা কিছুর চাহিদা বেশি। বোকা বোকা আচরন করি বিধায় অনেক বেশি সস্তা হয়ে গেছি আজকাল। কিন্তু একটি কথা জানো তো, সস্তাও জীবনচক্রের স্রোতে অনেক দামি হয়ে যায়। তখন কী প্রতিশোধ নেয়ার পালা আসবে? অবশ্যই না। প্রতিশোধ বলে কোনো শব্দ আমার কাছে জমা থাকে না। কত শব্দ কানের দেয়ালে আটকে যায়।
ইছামতি,
একটি সত্যের মুখোমুখি হবে তুমি একদিন। আমাদের আম্মা আব্বা সেই সত্যটির মুখোমুখি হয়েছিলেন বলে আজকে আমরা পৃথিবীতে। সেই কষ্টের মিষ্টতার জায়গায় আমাকে খুব করে উপলব্ধি করতেই হবে তোমাকে। কেন জানো? চরম উত্তেজনার জোয়ারে কয়েকটা দাগ আঁচড় দুজনকে দূরে সরাতে পারে না। উত্তেজনা শেষ হয়ে গেলে দাগগুলো খুব বড় করে চোখে আসে কিন্তু মনে আসে না।
ইছামতি,
তোমার মন বলে কী কিছু আছে যেখানে অভিমান বড় বড় পাহাড়ের মতো দেখায় যা আমার মতো মানুষকে জয় করতে হয় জীবনকে বাজি রেখে? জীবন তো একটাই, আসো না ঘাসের দেশে সবুজ হয়ে বাঁচি।
এই মুহূর্তে তুমি কী করছো খুব জানতে ইচ্ছে করে...
এই মুহূর্তে তুমি কী করছো?
আমি?
আমি আমার দিকে তাকিয়ে আছি। যতবার আমার দিকে তাকাই ততবার তোমার কথা মনে পড়ে। মানুষ শব্দটি আজকাল অ্যাবস্ট্রাক্ট মনে হয়। অথবা মানুষ একটা পুতুল যে নাচে যখন নাচানো হয়। কে নাচায় তা আমি জানি না। আবার এইও মনে হয়, যে পুতুল নাচে সে তো কোনোদিন বলতে পারে না যে সে নাচে কিংবা তাকে নাচানো হচ্ছে। আমি কেন বলতে পারি?
পৃথিবীর অনেকগুলো বছর অতিক্রম করে ফেললাম। আজও বুঝলাম না আমার পৃথিবীর মানে কী! খেলে বেঁচে থাকি না খেলে মারা যাই।খাওয়ার অভিধানে আমরা মানুষ। কী নিষ্ঠুর আমাদের অভিধান! আমার খাওয়া মানে তো অন্য কারো মৃত্যু, তাই না?
জানো ইছামতি, মাংস জাতীয় খাবার খেতে আমার কেমন যেন অস্বস্তি লাগে,আবার ভাবি সবজিও তো একপ্রকার মাংস। কিছু না খেয়ে যদি বেঁচে থাকতে পারতাম তাহলে নিজেকে অন্য প্রানির চেয়ে আলাদা মনে করতে পারতাম। একটি বাঘ শিকারে বের হয় আমিও বের হই, বাঘের কোনো ব্যাংক নেই আমার ব্যাংক আছে অর্থাৎ আমি ভোগের জায়গায় শক্তিশালী, অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক বেশি নিশ্চয়তার দরকার হয় আমার। আমাদের গুদামঘরে প্রতিদিন জমা পড়ে টন টন নিষ্ঠুরতা। প্রয়োজনের বাইরে আমরা নিষ্ঠুর হতে পারি বিধায় আমরা মানুষ, অনেকে বলে আশরাফুল মাখলুকাত!
ইছামতি,
তোমাকেও আজকাল অনেক বেশি নিষ্ঠুর মনে হয়। প্রেমের চোখ যে নেগেটিভ কিছু দেখার ক্ষমতা রাখে না তা ত তুমি ভালো করেই জানো। তোমার জানার আর মানার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক আমার চেয়ে অন্তত ভালো কেউ জানে না। অনেক কিছু জেনে কিছু হয় না, পথবিভ্রম তৈরি হয় মাত্র। একটা নিমগাছ দেখছি বোকার মতো নির্বাক দাঁড়িয়ে থেকে অক্সিজেন বিতরন করে যাচ্ছে। পৃথিবী মানুষকে বোকা হতে দেয় না। মানুষের কাছে বোকার চেয়ে বক্র শব্দটি অনেক দামি। যা কিছু দামি তা কিছুর চাহিদা বেশি। বোকা বোকা আচরন করি বিধায় অনেক বেশি সস্তা হয়ে গেছি আজকাল। কিন্তু একটি কথা জানো তো, সস্তাও জীবনচক্রের স্রোতে অনেক দামি হয়ে যায়। তখন কী প্রতিশোধ নেয়ার পালা আসবে? অবশ্যই না। প্রতিশোধ বলে কোনো শব্দ আমার কাছে জমা থাকে না। কত শব্দ কানের দেয়ালে আটকে যায়।
ইছামতি,
একটি সত্যের মুখোমুখি হবে তুমি একদিন। আমাদের আম্মা আব্বা সেই সত্যটির মুখোমুখি হয়েছিলেন বলে আজকে আমরা পৃথিবীতে। সেই কষ্টের মিষ্টতার জায়গায় আমাকে খুব করে উপলব্ধি করতেই হবে তোমাকে। কেন জানো? চরম উত্তেজনার জোয়ারে কয়েকটা দাগ আঁচড় দুজনকে দূরে সরাতে পারে না। উত্তেজনা শেষ হয়ে গেলে দাগগুলো খুব বড় করে চোখে আসে কিন্তু মনে আসে না।
ইছামতি,
তোমার মন বলে কী কিছু আছে যেখানে অভিমান বড় বড় পাহাড়ের মতো দেখায় যা আমার মতো মানুষকে জয় করতে হয় জীবনকে বাজি রেখে? জীবন তো একটাই, আসো না ঘাসের দেশে সবুজ হয়ে বাঁচি।
এই মুহূর্তে তুমি কী করছো খুব জানতে ইচ্ছে করে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন