সুহিনি সাবেত্রী। ছিপছিপে শরীরে আটসাঁট বাঁধন তার। তার দাঁত যেন সাগরের বালি-- চিকচিক করে। শাড়ি তার একমাত্র পোশাক। অবশ্যই রুমের ভেতর সে থ্রি কুয়াটার আর টিশার্ট পরে। সাইকেল তার প্রিয় বাহন। শুধু তার কেন, শান্তিনিকেতনের প্রায় স্টুডেন্টদের প্রিয় বাহন সাইকেল। টাকা হলে স্কুটার কিনবে এমন কথা সে প্রায় বলে বেড়ায়।
সুহিনি হাসলে গালে টোল পড়ে। তার চোখে কাজল দেয়া লাগে না, জন্মগতভাবেই তার চোখে কাজল দেয়া। তার মামা তাকে কাজল নামেই ডাকে।
সুহিনি যখন সাইকেলে চেপে বসে তখন মাঝেমধ্যে হালকা বাতাসে নাভিমূলের উপর থেকে শাড়ি সরে যায়, আর ঠিক তখন মাই গড টাইপের এক সৌন্দর্য নেমে আসে যেন বহু প্রত্যাশিত কাঞ্চনজংঘা!
সুহিনি শান্তিনিকেতনে অনীলদেব শর্মার অধীনে পিএইচডি করছে। বিষয় বাংলা সাহিত্যে গ্রামীন জীবন। বাংলা সাহিত্যে নারীদের অবস্থান নিয়ে সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে চেয়েছিল। তখন তার এক দাদা বললেন,
"তুই যদি 'বাংলা সাহিত্যে গ্রামীন জীবন' বিষয়টি নিয়ে পিএইচডি করতে পারিস তাহলে নারী পুরুষের বৈষম্যের পেছনের অনেক কারন সুন্দর করে তুলে আনা সম্ভব, আর আমাদের অর্থনীতির মূল এখনো তো অনেকাংশেই গ্রামীন।"
দাদার কথাতে যুক্তি ছিল বলে তার ধারনা। তাইতো ....
আসল কথাটা কিন্তু এখনো বলা হয় নি। সুহিনির প্রেমিক আছে। তার সমস্ত কাজ প্রেমিককে দিয়েই করায়। বই ফটোকপি করা থেকে শুরু করে ব্রাশ পেস্ট কেনা পর্যন্ত সব কিছু অর্জুন চৌধুরীই করে।
বাড়ি যাবে সুহিনি। বিশাল বিশাল ব্যাগ বহন করতে হবে প্রেমিককে। শান্তিনিকেতনে সাধারনত রিক্সা টিক্সা পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় তবে খুবই ব্যয়বহুল। অর্জুন চৌধুরী যদি ব্যাগ বহন করতে হালকা কোনো আপত্তি দেখায় তখন সুন্দরীর বিশাল এক ডায়লগ,
"প্রেম করবা আর ব্যাগ বহন করতে পারবা না, আমার কী আট দশটা প্রেমিক?"
প্রেমিক তখন চুপ হয়ে যায়, চুপ হয়ে নদীর মতো কলকল করে বয়তে আরম্ভ করে। প্রেমিকার সব দায়িত্ব পালন করতে করতে সে ভালো মানের গাধাই হয়ে ওঠেছিল। সুহিনি অবশ্যই তাকে আদর করে গাধা বলেই ডাকতো।
একদিনের ঘটনা। সুহিনি কিন্তু একা একটি রুমে থাকে। তার সাথে অবশ্যই একটা বিলাইও থাকে। বেড়ালের সাথে কথা বলতে বলতে তার চোখে ঘুম নামে প্রতি রাতে। আজ আর তার চোখে ঘুম নেই। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি। সাথে তুমুল ঝড়। সে অর্জুনকে ফোন দেয়।
আমার আম খাওয়ার খুব শখ হয়েছে, ঝড়ের আম।
এমন তুমুল বৃষ্টিতে কেমন করে আম কুড়াতে যাবো, তাছাড়া সকাল থেকে একটু জ্বর জ্বর ভাব।
দেখো, ন্যাকামো রাখো, প্রেম করবা আর প্রেমিকারে আম খাওয়াতে পারবা না।
দমক শুনে বেছারা ঝড়ের রাতে আম কুড়াতে বের হয়। আপনারা ভাববেন না সেই ঝড়ের রাতটা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক রাত্রির গল্পের ঝড়ের রাতের মতো রোমান্টিক কিংবা মামার বাড়ির ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো ছড়ার মতো সুখ। ঝড়টা ছিল আসলেই ঝড়।
সকাল হয়ে গেলো। অর্জুন চৌধুরীর আর কোনো খোঁজ নাই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোপাই নদীতে তার লাশ পাওয়া গেল।
সুহিনিকে এখন প্রায় দেখায় যায় বোলপুর রেলওয়ে স্টেশনে, প্রায় দেখা যায় প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশনে, মাঝেমাঝে ময়ূরাক্ষী নদীর আশপাশের এলাকায়ও দেখা যায়। তার মুখে এখনো সেই ডায়লগ, তবে একটু চেঞ্জ হয়েছে,
"প্রেম করবা আর মরবানা,
প্রেম করবা আবার বেঁচেও থাকবা,
ইশ আমার প্রেমিকরে ..... "
সুহিনি হাসলে গালে টোল পড়ে। তার চোখে কাজল দেয়া লাগে না, জন্মগতভাবেই তার চোখে কাজল দেয়া। তার মামা তাকে কাজল নামেই ডাকে।
সুহিনি যখন সাইকেলে চেপে বসে তখন মাঝেমধ্যে হালকা বাতাসে নাভিমূলের উপর থেকে শাড়ি সরে যায়, আর ঠিক তখন মাই গড টাইপের এক সৌন্দর্য নেমে আসে যেন বহু প্রত্যাশিত কাঞ্চনজংঘা!
সুহিনি শান্তিনিকেতনে অনীলদেব শর্মার অধীনে পিএইচডি করছে। বিষয় বাংলা সাহিত্যে গ্রামীন জীবন। বাংলা সাহিত্যে নারীদের অবস্থান নিয়ে সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে চেয়েছিল। তখন তার এক দাদা বললেন,
"তুই যদি 'বাংলা সাহিত্যে গ্রামীন জীবন' বিষয়টি নিয়ে পিএইচডি করতে পারিস তাহলে নারী পুরুষের বৈষম্যের পেছনের অনেক কারন সুন্দর করে তুলে আনা সম্ভব, আর আমাদের অর্থনীতির মূল এখনো তো অনেকাংশেই গ্রামীন।"
দাদার কথাতে যুক্তি ছিল বলে তার ধারনা। তাইতো ....
আসল কথাটা কিন্তু এখনো বলা হয় নি। সুহিনির প্রেমিক আছে। তার সমস্ত কাজ প্রেমিককে দিয়েই করায়। বই ফটোকপি করা থেকে শুরু করে ব্রাশ পেস্ট কেনা পর্যন্ত সব কিছু অর্জুন চৌধুরীই করে।
বাড়ি যাবে সুহিনি। বিশাল বিশাল ব্যাগ বহন করতে হবে প্রেমিককে। শান্তিনিকেতনে সাধারনত রিক্সা টিক্সা পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় তবে খুবই ব্যয়বহুল। অর্জুন চৌধুরী যদি ব্যাগ বহন করতে হালকা কোনো আপত্তি দেখায় তখন সুন্দরীর বিশাল এক ডায়লগ,
"প্রেম করবা আর ব্যাগ বহন করতে পারবা না, আমার কী আট দশটা প্রেমিক?"
প্রেমিক তখন চুপ হয়ে যায়, চুপ হয়ে নদীর মতো কলকল করে বয়তে আরম্ভ করে। প্রেমিকার সব দায়িত্ব পালন করতে করতে সে ভালো মানের গাধাই হয়ে ওঠেছিল। সুহিনি অবশ্যই তাকে আদর করে গাধা বলেই ডাকতো।
একদিনের ঘটনা। সুহিনি কিন্তু একা একটি রুমে থাকে। তার সাথে অবশ্যই একটা বিলাইও থাকে। বেড়ালের সাথে কথা বলতে বলতে তার চোখে ঘুম নামে প্রতি রাতে। আজ আর তার চোখে ঘুম নেই। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি। সাথে তুমুল ঝড়। সে অর্জুনকে ফোন দেয়।
আমার আম খাওয়ার খুব শখ হয়েছে, ঝড়ের আম।
এমন তুমুল বৃষ্টিতে কেমন করে আম কুড়াতে যাবো, তাছাড়া সকাল থেকে একটু জ্বর জ্বর ভাব।
দেখো, ন্যাকামো রাখো, প্রেম করবা আর প্রেমিকারে আম খাওয়াতে পারবা না।
দমক শুনে বেছারা ঝড়ের রাতে আম কুড়াতে বের হয়। আপনারা ভাববেন না সেই ঝড়ের রাতটা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক রাত্রির গল্পের ঝড়ের রাতের মতো রোমান্টিক কিংবা মামার বাড়ির ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো ছড়ার মতো সুখ। ঝড়টা ছিল আসলেই ঝড়।
সকাল হয়ে গেলো। অর্জুন চৌধুরীর আর কোনো খোঁজ নাই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোপাই নদীতে তার লাশ পাওয়া গেল।
সুহিনিকে এখন প্রায় দেখায় যায় বোলপুর রেলওয়ে স্টেশনে, প্রায় দেখা যায় প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশনে, মাঝেমাঝে ময়ূরাক্ষী নদীর আশপাশের এলাকায়ও দেখা যায়। তার মুখে এখনো সেই ডায়লগ, তবে একটু চেঞ্জ হয়েছে,
"প্রেম করবা আর মরবানা,
প্রেম করবা আবার বেঁচেও থাকবা,
ইশ আমার প্রেমিকরে ..... "
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন