বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

কোথায় আছে আমার পাগল জানি না

শান্তিনিকেতন আসলে একটা পাগলকে খুঁজে বেড়াই রোজ যে গর্ত খুঁড়ে নিজের জন্য, অনেক স্বপ্নের ভীড়ে যার হলুদিয়া মন।

শান্তিনিকেতনে আসলে একটা পাগলকে খুঁজতে থাকি রোজ যে গল্প করতে করতে খাবারের কথা ভুলে যায়, যে গান গাইতে গাইতে ভুলে যায় বানানো সমাজের আদব কায়দা, যে রাতের পর রাত অন্ধকারের ভেতর হেঁটে বেড়ায়।

একটা পাগলকে খুঁজি যার গলায় মানুষের মালা, যার মুখে প্রেমের কালাম, যার চোখ থেকে রোদ কান্না একসঙ্গে নেমে আসে, যে হাসতে জানে, হাসাতে জানে, যার কাছে জীবন মানে মানুষ।

বীজগনিত, পাটিগনিত, ত্রিকোনমিতির হিসাব জানবে না সে, বোকা ট্রেনের মতো সে কেবল জীবন নিয়ে চলবে চলবে, ভেদিয়া গ্রামের মতো চুপচাপ সবুজ বিলাবে, অজয়ের ব্রিজে বিকাল বেলা বাতাস খেতে আসবে। সূর্য নিভে গেলে আদিম ঘরে রাখবে সে কিছু স্বপ্নের নিশান, নিশান বাতাসে উড়বে ঘুরবে বলবে কল্যানের জয়গান।

একটা পাগলকে খুঁজে বেড়াই যে শিশুর চোখে দেখে নিরাপদ ইতিহাস, শিশুর চোখে বুনে দেয় আগামীর জল্পনা কল্পনা।

শান্তিনিকেতন আসলে একটা পাগলকে খুঁজে মরি যে বলবে "দেবার ব্যথা বাজে আমার বুকের তলে, নেবার মানুষ জানি নে তো কোথায় চলে-- "।

পাগলের দেখা পাই নাকো পাই নাকো, তবুও পাগলের লাগি আসি বারবার, একবার তার দেখা পেয়ে যাবো, পেয়ে যাব ঠিকই একবার তার দেখা যার মনভর্তি অফিস নেই এমফিল পিএইচডি নেই, নেই ত বিজ্ঞাপনে উঠবার ফেলুদা তাড়া।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন