বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পুটিয়া বাজার

পুটিয়া বাজার। এখানে গরু পাওয়া যায়, ঘোড়াও পাওয়া যায়। পান পাওয়া যায় আবার ধানও পাওয়া যায়। কল পাওয়া যায় আবার বলও পাওয়া যায়।

পুটি মাছ থেকে পুটিয়া। শনিবার বড় হাট, বুধবার তার চেয়ে ছোট হাট বসে।

বাজারের পাশ দিয়ে লেকলেকে হাড়িধোয়া নদী বয়ে চলেছে। আশেপাশের বিশ ত্রিশ গ্রামের প্রধান ভরসার জায়গা এই বাজার।

গ্রামের মানুষের প্রায় সব প্রয়োজন নিয়ে বসে আছে এই বাজার। এই বাজারেই এক সময় ডাকাতি হতো।  জয়নাল ডাকাতের নাম এখনো মুরুব্বিদের মুখে শুনতে পাওয়া যায়। এখন আর এখানে ডাকাত আসে না। তবে কয়েকটি ব্যাংক বাজারের আশেপাশে খুব শক্তিশালী উপায়ে অবস্থান নিয়েছে।

পুটিয়া বাজারকে কুফি বাজারও বলা হয়। কারন আছে। মাগরিবের পর প্রায় সব দোকানে মোটা সলতের কুফি জ্বলে ওঠতো। এখনো জ্বলে ওঠে। তবে আগের তুলনায় খুবই কম। আধুনিক বাল্ব এসে কুফিকে বিদায় দিয়েছে। শ্রীচরন বাবু কিন্তু এখনো চানাচুর বিক্রি করে চলেছে। আধুনিক ফাস্ট ফুড তার চানাচুরের মচমচে জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে পারেনি।


পৃথিবীর সব গ্রামের আচরন প্রায় এক কিন্তু পৃথিবীর সব বাজারের আচরন কিন্তু এক নয়। বাজারের মধ্যে দিয়ে ভূত গ্রামের ভেতর ঢুকে। গ্রামের মানুষ ধীরে ধীরে ভূতগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তখন গ্রাম আর গ্রাম থাকে না। গ্রাম হয়ে পড়ে ভূতরাজ্য।

পুটিয়া বাজারেও কীটনাশক ভূতের দেখা পাওয়া যায় যা আমাদের জমিকে বিষক্রিয়া নার্সারি করে তুলছে খুব স্লো মোশনে। তবে এই কথা মানতে হবে পুটিয়া বাজারে এখনো প্রাচীন বাজার পদ্ধতির একটা ফ্লেভার রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন