সুপ্রিয় কাঁপছে। তার বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল বেশি কাঁপছে। পা থেকে কোমড় পর্যন্ত কাঁপছে। শরীরও কাঁপছে তবে হালকা।
আমি ত অবাক। ক্লেস অব ক্লেন খেলায় যে সারাদিন মত্ত থাকে, যুদ্ধ নিয়ে যার কারবার মোবাইলে দিনরাত তার কপালে কেন চিকন ঘাম থাকবে....
স্পট থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে সে, আমাকে বলছে আমিও যেন তার কাছে চলে যাই, আমি ছেলেটার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি, ছেলেটির হাত দিয়ে গড়গড় করে রক্ত পড়ছে ....
বারাকপুরের চিড়িয়া মোড় থেকে আমরা অটোতে উঠি। যাবো ধুবি ঘাট। ধুবি ঘাট থেকে হুগলি নদী পার হয়ে শ্রীরামপুর। ধোপা থেকে ধুবি শব্দের জন্ম।
অটো ড্রাইভারকে দেখামাত্র আমার গ্রামের ছেলে মিজানের কথা মনে হয়ে গেল। মিজান সিএনজি চালক। মিজান সিএনজি চালালে মনে হতো বাতাস যেন ঝগড়া শুরু করল। একদিন মিজানকে বলেছিলাম "ভাইরে, মাথা ঠান্ডা করে গাড়ি চালাবে, গাড়ি চালানো সবটাই মনোযোগ আর আর মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যাপার, প্রতিযোগী মনোভাব বাদ দিবে"।
মিজান আমার কথা কানে নিয়েছিল কিনা জানি কিন্তু আমার কানে আসে তার মৃত্যুর সংবাদ! মিজান সিএনজি দুর্ঘটনায় মারা যায়!
তাই মিজানের মতো দেখতে অটো চালককে বললাম "আস্তে চালাবে, কোনো প্রকার তাড়াহুড়ো নেই, আমি কিন্তু তোমার পাশে বসা"।
প্রথম প্রথম আস্তেই চালালো। তারপর আমার মনোযোগ চলে গেল দৃশ্যের দিকে। অটো ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢুকে গেল। হঠাৎ একটি ছেলের উপর তুলে দিল! যেন কিছু দেখলাম যেন কিছু দেখলাম না! ছেলেটি ছিটকে গিয়ে দূরে পড়ে গেল!
আমার পাশে বসা সুপ্রিয়। আমাদের পেছনে একজন মহিলা এবং তার মেয়ে এবং একজন পুরুষ। মহিলা ও তার মেয়ে কপালে ঠেস খেল, পুরুষটা হাতে হালকা আঘাত পেল। আসলে কী জানেন ত হঠাৎ আঘাতে ব্যথার পরিমান টের পাওয়া যায় না ....
সুপ্রিয় ( ক্লেস অব ক্লেনের তার গ্রুপের গুরুত্বপূর্ন একজন) শুধু কাঁপতেছে এবং অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলেটির বন্ধুরা আসলো। অবাক হলাম আবার। কারন অটো চালকের উপর তারা হাত তুলেনি। দোষ ত অটো চালকের আছেই। কারন গাড়ি ড্রাইভ মানে গতিতে মনোযোগ। আমি নিশ্চিত তার মনোযোগ গতিতে ছিল না। কোনো প্রকার জরিমানাও করা হয়নি। একজন আর্মি আসলেন। তিনিও চুপচাপ দাঁড়ানো। সুপ্রিয় ত আর যাইহোক কাঁপছে আর্মি ত কাঁপছেও না।
অটো চালক চলে গেল। তার ভাড়া দেয়া হলো না। ঘাটে এসে আমরা ডিউ খেলাম। ধীরে ধীরে সুপ্রিয় স্বাভাবিক হয়ে এলো কিন্তু তাকে আর বারাকপুরে রাখা গেল না, সে বাড়ি চলে যাবেই যাবে, ক্লেস অব ক্লেনে বাংলাদেশী টাইগারদের বিপরীতে এ্যাটাক দিতে হবে।
আকাশ ডাকছে। জল পড়বে হয়তো। মেঘলা দিনে আমার একলা থাকতে খুব ভালো লাগে। যদিও স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন " They alone live who live for others ...."
আমি ত অবাক। ক্লেস অব ক্লেন খেলায় যে সারাদিন মত্ত থাকে, যুদ্ধ নিয়ে যার কারবার মোবাইলে দিনরাত তার কপালে কেন চিকন ঘাম থাকবে....
স্পট থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে সে, আমাকে বলছে আমিও যেন তার কাছে চলে যাই, আমি ছেলেটার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি, ছেলেটির হাত দিয়ে গড়গড় করে রক্ত পড়ছে ....
বারাকপুরের চিড়িয়া মোড় থেকে আমরা অটোতে উঠি। যাবো ধুবি ঘাট। ধুবি ঘাট থেকে হুগলি নদী পার হয়ে শ্রীরামপুর। ধোপা থেকে ধুবি শব্দের জন্ম।
অটো ড্রাইভারকে দেখামাত্র আমার গ্রামের ছেলে মিজানের কথা মনে হয়ে গেল। মিজান সিএনজি চালক। মিজান সিএনজি চালালে মনে হতো বাতাস যেন ঝগড়া শুরু করল। একদিন মিজানকে বলেছিলাম "ভাইরে, মাথা ঠান্ডা করে গাড়ি চালাবে, গাড়ি চালানো সবটাই মনোযোগ আর আর মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যাপার, প্রতিযোগী মনোভাব বাদ দিবে"।
মিজান আমার কথা কানে নিয়েছিল কিনা জানি কিন্তু আমার কানে আসে তার মৃত্যুর সংবাদ! মিজান সিএনজি দুর্ঘটনায় মারা যায়!
তাই মিজানের মতো দেখতে অটো চালককে বললাম "আস্তে চালাবে, কোনো প্রকার তাড়াহুড়ো নেই, আমি কিন্তু তোমার পাশে বসা"।
প্রথম প্রথম আস্তেই চালালো। তারপর আমার মনোযোগ চলে গেল দৃশ্যের দিকে। অটো ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢুকে গেল। হঠাৎ একটি ছেলের উপর তুলে দিল! যেন কিছু দেখলাম যেন কিছু দেখলাম না! ছেলেটি ছিটকে গিয়ে দূরে পড়ে গেল!
আমার পাশে বসা সুপ্রিয়। আমাদের পেছনে একজন মহিলা এবং তার মেয়ে এবং একজন পুরুষ। মহিলা ও তার মেয়ে কপালে ঠেস খেল, পুরুষটা হাতে হালকা আঘাত পেল। আসলে কী জানেন ত হঠাৎ আঘাতে ব্যথার পরিমান টের পাওয়া যায় না ....
সুপ্রিয় ( ক্লেস অব ক্লেনের তার গ্রুপের গুরুত্বপূর্ন একজন) শুধু কাঁপতেছে এবং অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলেটির বন্ধুরা আসলো। অবাক হলাম আবার। কারন অটো চালকের উপর তারা হাত তুলেনি। দোষ ত অটো চালকের আছেই। কারন গাড়ি ড্রাইভ মানে গতিতে মনোযোগ। আমি নিশ্চিত তার মনোযোগ গতিতে ছিল না। কোনো প্রকার জরিমানাও করা হয়নি। একজন আর্মি আসলেন। তিনিও চুপচাপ দাঁড়ানো। সুপ্রিয় ত আর যাইহোক কাঁপছে আর্মি ত কাঁপছেও না।
অটো চালক চলে গেল। তার ভাড়া দেয়া হলো না। ঘাটে এসে আমরা ডিউ খেলাম। ধীরে ধীরে সুপ্রিয় স্বাভাবিক হয়ে এলো কিন্তু তাকে আর বারাকপুরে রাখা গেল না, সে বাড়ি চলে যাবেই যাবে, ক্লেস অব ক্লেনে বাংলাদেশী টাইগারদের বিপরীতে এ্যাটাক দিতে হবে।
আকাশ ডাকছে। জল পড়বে হয়তো। মেঘলা দিনে আমার একলা থাকতে খুব ভালো লাগে। যদিও স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন " They alone live who live for others ...."
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন